৮:৩০ পূর্বাহ্ন

রবিবার, ১৭ নভেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : মে ১৪, ২০২৩ ১:৩৯ অপরাহ্ন
মোখা আতঙ্কে ধান ঘরে তুলতে ব্যস্ত বরিশালের কৃষকরা
কৃষি বিভাগ

চলতি মৌসুমে ধানে ভালো ফলন হওয়ায় খুশি দক্ষিণাঞ্চলের কৃষকরা। এরই মধ্যে ঘূর্ণিঝড় মোখা তাদের চিন্তিত করে তুলেছে। আর তাই এখন পুরোদমে চলছে মাঠে থাকা পাকা ধান কেটে ঘরে তোলার চেষ্টা। যদিও শ্রমিক সঙ্কটে কিছুটা হতাশা রয়েছে, তারপরও কঠোর পরিশ্রমের মধ্য দিয়ে জমিতে থাকা প্রায় ৯০ ভাগ ধান ইতোমধ্যে কাটা হয়ে গেছে বলে দাবি করেছেন কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা।

ঘূর্ণিঝড় মোখা মোকাবিলায় জমিতে থাকা বাকি ধান কেটে দ্রুত ঘরে তোলার আহ্বান জানিয়েছে কৃষি বিভাগ। কৃষি বিভাগ ও আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, যদি প্রবল শক্তি নিয়ে ভয়াবহ রূপ ধারণ করে ঘূর্ণিঝড় মোখা, তাহলে উপকূলের নিচু এলাকা প্লাবিত হবে। সেই সাথে ভারী বর্ষণ ও ঝড়ো বাতাসে পাকা ধান গাছের ক্ষতি হতে পারে। তাই ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানার আগেই উপকূলীয় এলাকায় ধান পেকে যাওয়ায় তা কেটে তোলার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।

বরিশাল বিভাগীয় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে বিভাগের ছয় জেলায় বোরো আবাদের ল্যমাত্রা ছিল এক লাখ ৯৩ হাজার ৪৬০ হেক্টর জমিতে। আর আবাদ হয়েছে এক লাখ ৯৪ হাজার ২৩৩ হেক্টর জমিতে।

এ দিকে ঘূর্ণিঝড় মোখা সম্পর্কে আগেভাগেই সতর্ক ছিল বরিশাল কৃষি বিভাগ। বিরূপ আবহাওয়ায় ফসলের যাতে ক্ষতি না হয় সে লক্ষ্যে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা কৃষকদের সচেতন করার পাশাপাশি বিভিন্ন পরামর্শ দিয়েছেন। যার ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বিভাগের ছয় জেলায় প্রায় ৯০ ভাগ ধান কাটা শেষ হয়েছে। আর ধান কাটতে গত তিন দিন ধরে ব্যস্ত সময় পার করেছেন বরিশাল, পটুয়াখালী, ভোলা, বরগুনা, ঝালকাঠি ও পিরোজপুরের কৃষকরা। এর মধ্যে যারা শ্রমিক পাচ্ছেন না- সেসব কৃষক পরিবারের পুরুষদের পাশাপাশি নারীরাও এগিয়ে এসেছেন ধান কাটায় সাহায্য করতে।

বরিশাল সদর উপজেলার চরবাড়িয়া ইউনিয়নের উলাল বাটনার ধানের জমির মালিকরা জানান, ঘূর্ণিঝড় মোখা তাদের দুশ্চিন্তায় ফেলেছে। অতিরিক্ত টাকা দিয়েও শ্রমিক পাচ্ছেন না ধান কাটার।

এ দিকে বরিশাল সদর উপজেলার কৃষক শুক্কুর মিয়া জানিয়েছেন, সারের মূল্য বৃদ্ধিতে উৎপাদন ব্যয় বাড়লেও আবহাওয়ার কারণে বোরো ধানের ফলন এবার ভালো হয়েছে। ধান পেকে যাওয়ায় কেটেও ফেলেছেন অনেকে। এখন ন্যায্য দাম পাওয়ার অপেক্ষা। তবে ভালো দাম না পেলে ব্যয় ওঠা নিয়ে শঙ্কা রয়েছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর বরিশালের উপ-পরিচালক মুরাদুল হাসান জানান, বরিশাল জেলায় ৬১ হাজার ১৪০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে ৮০ ভাগ ধান কাটা হয়েছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর বরিশাল বিভাগীয় কার্যালয়ের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ শওকত ওসমান বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে উদ্ভূত সমস্যা মোকাবেলা এবং ফসল রার জন্য আগেভাগেই মাঠ পর্যায়ের কৃষি কর্মকর্তাদের মাধ্যমে কৃষকদের সচেতন করা হয়েছে। ফলে এখন পর্যন্ত প্রায় ৯০ ভাগ ধান কাটা সম্ভব হয়েছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মে ১১, ২০২৩ ১০:০০ পূর্বাহ্ন
গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষে মুখে হাসি জয়পুরহাটের চাষিদের!
কৃষি বিভাগ

জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষে লাভবান চাষিরা। আশেপাশের জমিতে ধান দোল খাচ্ছে। এর পাশেই মাচায় দোল খাচ্ছে হলুদ-সবুজ তরমুজ। উপরে হলুদ হলেও ভেতরে টকটকে লাল। আবার অনেক তরমুজের উপরে সবুজ ভেতরে হলুদ। এখন প্রচন্ড গরমে এই পানি জাতিয় ফলটির বাজারে বেশ চাহিদা সৃষ্টি হয়েছে। কৃষকরা এই জাতের তরমুজ চাষ করে লাভবান হচ্ছেন।

জানা যায়, জয়পুরহাট জেলার পাঁচবিবি উপজেলার আওলাই ইউনিয়নের ভূতগাড়ি, ভারাহুত, শিরট্টি, গোড়নাসহ আশপাশের কয়েকটি এলাকায় গ্রীষ্মকালীন এই তরমুজের চাষ হচ্ছে। এই ফল চাষে খরচ কম ও গরমে এর বাজারদর ভাল থাকায় কৃষকরা লাভবান হতে পারেন। এই অঞ্চলে গ্রীষ্মকালীন তরমুজের চাষ দিন দিন বাড়ছে। এখানকার উৎপাদিত তরমুজ স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলা উপজেলায় সরবরাহ করা হচ্ছে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সূত্র মতে, চলতি বছর জয়পুরহাট জেলার ৫ উপজেলায় ৪৫ হেক্টর জমিতে তরমুজের চাষ করা হয়েছে। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ৯, পাঁচবিবিতে ২২, আক্কেলপুরে ২, ক্ষেতলালে ৫ ও কালাই উপজেলায় ৭ হেক্টর জমিতে মাচায় তরমুজ চাষ করেছেন চাষিরা।

কৃষক জয়নুল হক বলেন, আমি গত কয়েকবছর গ্রীষ্মকালীন তরমুজের চাষ করছি। চলতি বছর ৩ বিঘা ৭ শতক জমিতে কয়েক জাতের তরমুজের আবাদ করেছি। তারমধ্যে মধুমালা, সুগারকিং ও টাইগার ক্রাউন জাতের তরমুজ চাষ করেছি। এই জমিতে বছরে ৯ মাস ধরে এই তরমুজ চাষ করা যায়। আর বাকি ৩ মাস শীত মৌসুমে আলু চাষ করি। অন্যান্য ফসলের তুলনায় তরমুজে অধিক লাভ হয়। অসময়ে ও অল্প সময়ে এর চাষে লাভবান হওয়া যায় বলে অন্যান্য কৃষকরাও এর চাষে ঝুঁকছেন।

তিনি আরো বলেন, গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষে জমিতে জৈব সার, কীটনাশক, ইউরিয়া, ফসফেট, ডিএপি পটাশসহ যাবতীয় সার দিতে হয়। এছাড়াও বিঘাপ্রতি শ্রমিক মজুরি সহ ৪৫-৫০ হাজার টাকা খরচ হয়। বাজারদর ভাল থাকে বলে লাভবান হওয়া যায়।

ভারাহুত গ্রামের কৃষক মুসা মণ্ডল বলেন, চলতি বছর আমি সাড়ে ৩ বিঘা জমি ৩০ হাজার টাকায় বর্গা নিয়ে তরমুজ চাষ করেছি। এর চাষে বিঘাপ্রতি ৪০-৫০ হাজার টাকা খরচ হয়। ৮০-১০০ মণেরও বেশি ফলন পাওয়া যায়। বাজারদর ভালো থাকলে এক থেকে দেড় লক্ষ টাকার তরমুজ বিক্রি করা যায়। অনেকেই ২ লাখ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করতে পারেন। বর্তমানে প্রতি মণ তরমুজ ১২০০-১৮০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এর চাষ লাভজনক হওয়ায় ফসল তরমুজ চাষে এই এলাকার অনেকেই স্বাবলম্বী হচ্ছেন।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক (শস্য) কৃষিবিদ মো. মজিবুর রহমান বলেন, স্থানীয় কৃষকরা ব্ল্যাক বেবি, মধুবালা, গোল্ডেন ক্রাউন, ইয়েলো কিংসহ কয়েক জাতের তরমুজ চাষ করছেন। অনেকে একই জমিতে ২-৩ বার তরমুজ চাষ করছেন। আমরা কৃষকদের সব ধরনের সহযোগিতা করছি।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মে ১১, ২০২৩ ৯:৪২ পূর্বাহ্ন
প্রচন্ড দাবদাহে লোকসানে ঝালকাঠির লেবু চাষিরা!
কৃষি বিভাগ

লেবু চাষে লোকসান গুনছেন ঝালকাঠির চাষিরা। গত কয়েক বছরে এখানকার লেবু বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করলেও প্রচন্ড গরমের কারণে লেবুতে রসের পরিমান কমে গেছে। ফলে বাজারে লেবুর ভাল দাম পাওয়া যাচ্ছে না। অনেক চাষিরা হতাশ হয়ে এর চাষ না করার সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন।

জানা যায়, ঝালকাঠি জেলায় পেয়ারা আমড়ার পর লেবু ব্যাপক সাড়া ফেলেছিল। এই জেলার ভিমরুলি, কাফুরকাঠি, শতদশকাঠি, বাউকাঠিসহ ২২টি গ্রামের কৃষকরা লেবু চাষে স্বাবলম্বী হয়েছেন। তবে এবছর প্রচন্ড গরমের কারণে লেবুতে রসের পরিমান কমে যায়। এছাড়াও তাপের কারণে ফলের আকারও অনেকটা ছোট হয়ে যায়। ফলে লেবুর বাম্পার ফলন হলেও বাজারে ভাল দামে বিক্রি করতে পারছেন না কৃষকরা। এতে তাদের লোকসান গুনতে হচ্ছে।

কৃষি বিভাগের তথ্য মতে, চলতি বছর জেলায় ৩৩৬ হেক্টর জমিতে লেবুর চাষ হয়েছে।

এক চাষি বলেন, বৃষ্টি না হওয়ার ফলে মাটিতে প্রয়োজনীয় রস ছিল না। আর প্রচন্ড তাপের কারণে ফলের আকারও ছোট হয়ে যায়। লেবুর ভেতরে রসের পরিমানও কম। তাই বাজারে ভাল দামে বিক্রি করতে পারছি না। এতে চাষের খরচও উঠাতে পারবো বলে মনে হচ্ছে না।

অন্যান্য আরো চাষিরা জানায়, বর্তমান বাজারে ৮০টি লেবু ৮০-১৫০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করা যাচ্ছে। এতে লাভ হচ্ছেনা। উৎপাদন খরচও উঠা নিয়ে শঙ্কা রয়েছে।

ঝালকাঠি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, গত বছরে লাভবান হতে পারায় চলতি বছর এই জেলার চাষিরা লেবু চাষে বেশি আগ্রহী হন। তবে এবছর প্রচন্ড দাবদাহের কারণে লেবুর আকার ছোট হয়ে যায়। আর লেবুতে রসের পরিমান কমে যায়। তাই কৃষকরা বাজারে তুলনামূলক কম দামে বিক্রি করছেন। চাষিদের সকল সমস্যা সমাধানে আমরা এগিয়ে আসছি। তাদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মে ৮, ২০২৩ ১২:২৫ অপরাহ্ন
বোরোর বাম্পার ফলনে খুশি নওগাঁর চাষিরা!
কৃষি বিভাগ

নওগাঁর নিয়ামতপুরে ধানের ব্যাপক ফলন হয়েছে। কৃষকরা আগাম জাতের ইরি-বোরো চাষ করে ভাল ফলন পেয়েছেন। এই অঞ্চলের মাটিতে ধানসহ অন্যান্য ফসলের বেশি উৎপাদন হয়।

জানা যায়, চলতি বছর নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের ফলে কৃষকরা সময় মতো সেচ দিতে পেরেছেন। পাশাপাশি কৃষি অফিসের কর্মকর্তারা নিয়মিত খোজ খবর নিয়েছেন। এবছর আবহাওয়া ভাল থাকায় ও জমির সঠিক পরিচর্যা করতে পারায় কৃষকরা বাম্পার ফলন পেয়েছেন। এখানকার কৃষকরা ইস্পাহানী-৮, বেবিলন, হীরা, মেটাল সীড হাইব্রিড, আর ব্রি ধান ২৮,৬৩, ৭৪, ৮১, ৮৪, ৮৬, ৮৮, ৮৯, ৯০, ৯২, বঙ্গবন্ধু ধান ১০০, জিরাশাইল কাটারী উফশী জাতের ২২,৩৬৫ হেক্টর বোরো ধানে আবাদ করেছেন। বর্তমানে কৃষকরা ধান কেটে বাড়ি নিয়ে যাচ্ছেন। সেখানে মাড়াই করে শুকিয়ে ঘরে তোলার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন।

উপজেলা কৃষি অফিসের সূত্র মতে, চলতি মৌসুমে নিয়ামতপুরের ৮ ইউনিয়নে ২০ হাজার ৯৯৫ হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে। আর ২২ হাজার ৬৮৫ হেক্টর জমিতে আবাদ হয়েছে।

উপজেলার ভাবিচা ইউনিয়নের আমইল গ্রামের কৃষক হোসেন আলী বলেন, এবছর আবহাওয়া ভাল থাকায় ও জমিতে সঠিক পরিচর্যা করাতে বেশি ফলন হয়েছে। আমি বিঘায় ২৪-২৮ মণ ফলন পেয়েছি। বাজারদর ভালো থাকলে আশা করি লাভবনা হতে পারবো।

বাহাদুরপুর ইউনিয়নের গোকুলপুর গ্রামের কৃষক আব্দুল আজিজ বলেন, আমি এই মৌসুমে ৫ বিঘা জমিতে বোরো ধানের আবাদ করেছি। জমিতে সময় মতো সার, সেচ দিতে পেরেছি। এছাড়াও আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় গাছের রোগবালাই কম হয়েছে। ফলন বেশি হয়েছে। ইতোমধ্যে আমার ২ বিঘা জমির ধান কেটেছি। এতে বিঘাপ্রতি ২৫ মণ করে ফলন পেয়েছি। বর্তমান বাজারে ১২০০-১৫০০ টাকা মণ দরে বিক্রি হচ্ছে।

নিয়ামতপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কামরুল হাসান বলেন, কৃষকদের আগাম ধান চাষের জন্য উৎসাহিত করতে কৃষি বিভাগ থেকৈ সার, বীজ বিনামূল্যে দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও মাঠ পর্যায়ে আমাদের কর্মীরা কৃষকদের পরামর্শ দিয়েছে। এখন পর্যন্ত এই উপজেলার ৪০ শতাংশ জমির ধান কাটা হয়েছে। কৃষকরা বর্তমানে ধান কাটার উৎসবে মেতেছেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মে ৮, ২০২৩ ১০:০৬ পূর্বাহ্ন
ঠাকুরগাঁওয়ে সবজি চালে বিপ্লব
কৃষি বিভাগ

গত কয়েক বছর ধ‌রে লাভের মুখ দেখায় সবজি চাষে ঝুঁকেছেন ঠাকুরগাঁও‌য়ের কৃষকরা। এর মধ্যে সদর উপ‌জেলার গ‌ড়েয়া ইউ‌নিয়‌নের ৬‌টি গ্রা‌মে সব‌জি চাষ ক‌রে বিপ্লব ঘ‌টি‌য়ে‌ছেন কৃষকরা। এখানকার উৎপা‌দিত সব‌জি বিক্রি হচ্ছে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায়।

সরেজমিনে সদর উপ‌জেলার গ‌ড়েয়া ইউনিয়‌নের মিলনপুর, খামার, চখহল‌দি, সিংপাড়া ও মাঝ‌দিসহ বি‌ভিন্ন এলাকায় গি‌য়ে দেখা যায়, মিষ্টিকুমড়া, চালকুমড়া, ধন্দুল ও কাঁকরোলসহ নানা ধর‌নের সব‌জি চাষ কর‌ছেন চা‌ষিরা। উৎপা‌দিত এসব সব‌জি বি‌ক্রি করছেন ওই ইউনিয়‌নের বা‌গেরহাট আড়‌তে। আড়তে বি‌ক্রির ফ‌লে উৎপাদিত সব‌জির দাম ভা‌লো পা‌চ্ছেন তারা। অন‌্যদি‌কে আড়তে ১০০ ‌থে‌কে ১৫০ জন মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। ত‌বে সার ও ডিজেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় একদি‌কে যেমন দু‌শ্চিন্তা অন্যদিকে কাঙ্ক্ষিত ফলন না পেয়ে হতাশ তারা।

কৃষক জাহাঙ্গীর আলম জানান, আড়‌তে সব‌জি বি‌ক্রি কর‌তে আস‌ছি। ত‌বে সব‌জির দাম খুব কম। বৈরী আবহাওয়ার কার‌ণে ফলনও কম হ‌য়ে‌ছে। ৮০০ টাকার সার ১ হাজার ৬০০ টাকায় কিন‌তে হ‌চ্ছে। এতে সব‌জিতে লাভ তো দূ‌রের কথা, আসল টাকাই উঠ‌ছে না। সব‌জির বি‌ভিন্ন প্রকা‌রের রো‌গের প্রাদুর্ভারের পাশাপাশি সব‌জির দাম কম হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন অনেক কৃষক। এ কৃষ‌কের দা‌বি, তিন বিঘা জ‌মি‌তে সব‌জি চা‌ষে ১ লাখ ৩ হাজার টাকা খরচ হ‌লেও আসল টাকাই উঠ‌বে না তার।

ঠাকুরগাঁও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক সিরাজুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, ঠাকুরগাঁও জেলার জমি অনেক উচু এবং উর্বর, তার পাশাপাশি কৃষক যারা রয়েছেন তারা নিবিড় পরিচর্যার মাধ্যমে ব্যাপক উৎপাদন করছেন। এর ফলে ঠাকুরগাঁওয়ে সবজির বিপ্লব ঘটেছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মে ৬, ২০২৩ ৮:০০ অপরাহ্ন
রাজশাহীর ‘ম্যাঙ্গো ক্যালেন্ডার’ নিয়ে বিতর্ক, যা বলছে প্রশাসন
কৃষি বিভাগ

রাজশাহী অঞ্চল আমের জন্য বিখ্যাত। স্থানীয় এই সুনাম ধরে রাখতে এবং বাজারে মানসম্মত আমের সরবরাহ নিশ্চিত করতে ম্যাঙ্গো ক্যালেন্ডার প্রকাশ করে জেলা প্রশাসন।

ঘোষিত ম্যাঙ্গো ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার দশ দিন আগে থেকেই আম পাড়ার তারিখ নির্ধারণ করার পর এনিয়ে তৈরি হয়েছে বিতর্ক।

সমালোচনাকারীরা বলছেন, এমন সিদ্ধান্তের কারণে আম চাষীরা ক্ষতির মুখে পড়তে পারে। কারণ ৪ মে থেকে গুটি আম পাড়া শুরুর কথা বলা হলেও এখনো অনেক আম পরিপক্ক হয়নি। তবে জেলা প্রশাসন বলছে যে, বাজারে মানসম্মত আম নিশ্চিত করতেই চাষীদের স্বার্থের দিক বিবেচনা করে এই ক্যালেন্ডার তৈরি করা হয়েছে।

এবারের প্রকাশিত ম্যাঙ্গো ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, ৪ মে থেকে গুটি আম পাড়া যাবে। এছাড়া ১৫ মে থেকে গোপালভোগ, ২০ মে থেকে রানীপছন্দ, লক্ষণভোগ বা লখনা, ২৫ মে থেকে হিমসাগর বা খিরসাপাত, ৬ জুন থেকে ল্যাংড়া, ১০ জুন থেকে আম্রপালি, ১৫ জুন থেকে ফজলি, ১ জুলাই থেকে আশ্বিনা, বামি আম-৪, গৌড়মতি এবং ২০ অগাস্ট থেকে ইলামতি আম পাড়া যাবে।

এবিষয়ে রাজশাহীর জেলার প্রশাসক শামীম আহমেদ বলেন, জেলায় উৎপাদিত বিভিন্ন জাতের আম কোন সময় থেকে বিক্রির জন্য পাড়া শুরু করা যাবে তার সময় সীমা উল্লেখ করে তালিকা প্রকাশ করা হয়। স্থানীয়ভাবে এই তালিকাকে বলা হচ্ছে ‘ম্যাঙ্গো ক্যালেন্ডার’।

তিনি বলেন, এবার যেহেতু বেশি খরা ছিল সেজন্য আম পাড়ার তারিখ কিছুটা এগিয়ে আনা হয়েছে। এমন আবহাওয়ার কারণে বাঘা উপজেলার কিছু বাগানে গুটি আম পাকতে শুরু করায় তারিখ এগিয়ে আনার বিষয়টিতে জোর দেয়া হয়েছে। কিছু বাগানে বিচ্ছিন্নভাবে কিছু আম পাকছে যেগুলো কৃষকরা বাজারজাত করতে চায়। এই কৃষককে যদি আরো ১০দিন পর্যন্ত ওয়েট করতে হয় তাহলে কিন্তু তার আমগুলো নষ্ট হলে সে বাজারমূল্য থেকে বঞ্চিত হবে।

আম পাড়ার সময়সীমা এগিয়ে আনার বিষয়ে জেলা প্রশাসক বলেন, ৪ মে থেকে আম পাড়া শুরু করার কথা বলা হয়েছে। যাদের আম পাকেনি তারা আম পাকার জন্য অপেক্ষা করতে পারবে। এতে কোন বাঁধা নেই।

তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে এই দিন থেকে তারা আম নামাতে পারবে। তার মানে এই নয় যে, সব আম নামিয়ে ফেলতে হবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মে ৫, ২০২৩ ১০:৫৩ অপরাহ্ন
রাজশাহীতে হলুদের বাম্পার ফলন
কৃষি বিভাগ

রাজশাহীতে মসলা জাতীয় ফসল হলুদ চাষে কৃষকের আগ্রহ বাড়ছে। এই ফসলটি রান্নায় ব্যাপক ব্যবহার। ফলে সারাবছরই এর চাহিদা রয়েছে। গত কয়েক বছর যাবত এই ফসল চাষ করে কৃষকরা লাভবান হতে পারছেন বলে দিন দিন এর চাষ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এছাড়াও এবছর হলুদের ভাল ফলনের পাশাপাশি বর্তমান বাজারদরেও খুশি কৃষকরা।

জানা যায়, রাজশাহী জেলার পুঠিয়া উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের চাষিরা ব্যাপক পরিমানে হলুদ চাষ করছেন। অল্প খরচে ও কম পরিচর্যায় বেশি ফলন পাওয়া যায় বলে কৃষকরা এর চাষ করে থাকেন। এছাড়াও পুরো বছর জুড়েই এর চাহিদা রয়েছে। এই জেলায় চাষের পরিমান বাড়ার পাশাপাশি অন্যান্য বছরের তুলনায় এবছর হলুদের ফলন বেশি হয়েছে। আশানুরূপ ফলন ও বাজার ভাল পাওয়ায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সূত্র মতে, চলতি বছর জেলার বছর পুঠিয়া উপজেলার ৬ টি ইউনিয়নে প্রায় সাড়ে চারশত হেক্টর জমিতে হলুদের চাষ করা হয়েছে। যা গত বছরের তুলনায় ৪০ হেক্টর বেশি। আর ৮ হাজার ৪২০ মেট্রিক টন হলুদ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।

বানেশ্বর হাটে আগত হলুদ চাষী কাওসার আলী বলেন, প্রায় প্রতিটি রান্নায় ব্যবহার হয় বলে সারাবছর হলুদের চাহিদা থাকে। এর চাষে সার ও কীটনাশকের পরিমান খুবই কম লাগে। গত বছরের তুলনায় এবছর ফলন বেশি পেয়েছি। চাহিদার কথা মাথায় রাখতে হয় না। এর চাষে লাভবান হতে পারায় অনেকেই এর চাষ করছেন।

হলুদ ব্যবসায়ী আজগর উদ্দিন বলেন, সারাদেশে পুরো বছরজুড়ে হলুদের চাহিদা রয়েছে। এর চাহিদা কখনো কমেনি। অন্যান্য বছরের তুলনায় এবছর হলুদের বাজারদর ভাল। বর্তমানে প্রকারভেদে প্রতি মণ হলুদ ১৩০০-১৬০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম বলেন, রাজশাহী জেলায় দিন দিন হলুদ চাষ জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। কৃষকরা আবাদি জমির পাশাপাশি অনাবাদি পতিত জমিতেও এর চাষ করছেন। অল্প পুঁজি ও সঠিক পরিচর্যায় বেশি ফলন পাওয়া যায়। এছাড়াও সারাবছর জুড়ে এর চাহিদা ও দাম দুটোই ভাল পাওয়া যায়। আমরা কৃষকদের মাঠপর্যায়ে যেয়ে প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও সহযোগিতা করছি।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মে ২, ২০২৩ ১০:২১ পূর্বাহ্ন
মিষ্টি কুমড়া চাষে লাভবান ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মুস্তাকিম!
কৃষি বিভাগ

মিষ্টি কুমড়া চাষে কৃষক মুস্তাকিম সরকার বাম্পার ফলন পেয়েছেন। তিনি সারাবছর বিভিন্ন ধরনের সবজির চাষাবাদ করে থাকেন। এরমধ্যে টমেটো, শসা, ক্যাপসিকাম বেগুন, তরমুজ, সাম্মামও রয়েছে। তাই এবছর তিনি মিষ্টিকুমড়া চাষ করে সফলতা পেয়েছেন।

জানা যায়, কৃষক মুস্তাকিম সরকার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার মোগড়া ইউপির ধাতুরপহেলা গ্রামের বাসিন্দা। তিনি এবছর প্রথমবারের মতো বাণিজ্যিকভাবে মিষ্টি কুমড়ার চাষ করে ব্যাপক ফলন পেয়েছেন। তিনি আদমপুর গ্রামে বিশাল এলাকা নিয়ে দোয়া বহুমুখী কৃষি খামার নামে একটি কৃষি খামার গড়ে তোলেন। সেখানে তিনি শসা, টমেটো, বেগুন, ক্যাপসিকাম, তরমুজ, বাউকুল বরই, সাম্মামসহ নানা জাতের ফল ও সবজি বাণিজ্যিকভাবে চাষ করছেন। চলতি বছর তাতে মিষ্টি কুমড়া যোগ করেন। এবং প্রায় ৪০ টনের ওপরে কুমড়া উৎপাদন করেন। স্থানীয় পর্যায়ে খুচরা ও পাইকারি বিক্রি করছেন। মিষ্টি কুমড়া চাষে লাভবান হওয়া যায় বলে অনেক কৃষকরা এর চাষে ঝুঁকছেন।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, তিনি একটি টিনশেড ঘরের ভেতরে ছোট বড় মিষ্টি কুমড়া গুলো স্তূপ করে রেখেছেন। তার উৎপাদিত একেকটি মিষ্টি কুমড়ার ওজন প্রায় ২-৫ কেজি। আর মোট ৪০ টনের বেশি। এখান থেকেই তিনি তা বিক্রি করছেন। পাইকরার সরাসরি তার কাছ থেকে কুমড়া সংগ্রহ করে নিয়ে যাচ্ছে।

কৃষক মুস্তাকিম সরকার বলেন, আমি সারাবছর বিভিন্ন সবজি ও ফলের চাষ করে থাকি। এবছর ১০ বিঘা জমিতে উচ্চ ফলনশীল হাইব্রিড জাতের মিষ্টি কুমড়ার আবাদ করেছি। এতে সব মিলে বিঘাপ্রতি ১৩ হাজার করে খরচ হয়েছে। চারা রোপনের ৩ মাসের মধ্যেই জমি থেকে মিষ্টি কুমড়া তুলে বিক্রি করতে পেরেছি।

তিনি আরো বলেন, জমিতে ৪০ টনের ওপরে ফলন পেয়েছি। আশা করছি প্রতি টন মিষ্টি কুমড়া ২০-২২ হাজার টাকায় বিক্রি করতে পারবো।

স্থানীয় অন্য কৃষকরা জানায়, চাষাবাদে তার এমন সফলতা এলাকার বেকার যুবকদের উৎসাহিত করছে। তিনি নিজেকে একজন আদর্শ চাষি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। আশা করছি তিনি আরো এগিয়ে যাবেন।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহানা বেগম বলেন, কৃষক মুস্তাকিম এবছর প্রথমবারের মতো মিষ্টি কুমড়ার চাষ করেছেন। তিনি অন্যান্য আরো সবজি ও ফল চাষ করে নিজেকে একজন আদর্শ কৃষক হিসেবে গড়ে তুলেছেন। আশা করছি বর্তমান বাজারদর ভালো থাকলে তার উৎপাদিত মিষ্টি কুমড়া বিক্রি করে লাভবান হতে পারবেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মে ১, ২০২৩ ১১:৪৭ অপরাহ্ন
আখ চাষে লাভবান গাজীপুরের চাষিরা!
কৃষি বিভাগ

আখ চাষে গাজীপুরের চাষিরা ব্যাপক ফলন পেয়েছেন। আগে শুধু গরমের মৌসুমেই আখের চাষ করা হতো। তবে বর্তমানে শীত ও গ্রীষ্ম দুই মৌসুমেই আখ চাষ করা হচ্ছে। চাষিরা চাষের পাশাপাশি বাজারে ভালো দাম পেয়ে লাভবানও হচ্ছেন। আর কম খরচে মাত্র ৭-৮ মাসের মধ্যেই উৎপাদিত আখ বাজারজাত করা যায় বলে কৃষকরা আখ চাষে ঝুঁকছেন।

জানা যায়, গাজীপুর উপজেলার প্রায় সবগুলো ইউনিয়নে কম বেশি আখের চাষ হলেও কালীগঞ্জ, বাহাদুরসাদী, জামালপুর, মোক্তারপুর পৌরসভা এলাকায় বেশি চাষ হয়েছে। এখানকার চাষিরা ঈশ্বরদী ১৬ ও ৩৬, টেনাই, বি.এস.আর.আই ৪১ ও ৪২ জাতের আখের বেশি চাষ করছেন। মাত্র ৭-৮ মাসের মধ্যে এর বাজারজাত করা যায়। আর কম খরচে উৎপাদন করে বেশি দামে বিক্রি করে লাভবান হওয়া যায় বলে কৃষকরা এর চাষে ঝুঁকছেন।

স্থানীয় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মতে, চলতি মৌসুমে গাজীপুর উপজেলায় ৬২ হেক্টর জমিতে আখের চাষ করা হয়েছে। যা গত বছরের তুলনায় ২ হেক্টর বেশি জমিতে চাষ হয়েছে। গত বছর ৩ হাজার ৬১৪ মেট্রিকটন আখের ফলন পাওয়া গেলেও এবছর ৩ হাজার ৭৩৫ মেট্রিকটন আখের আবাদ হয়েছে। বর্তমানে সব মৌসুমে আখের চাষ করে লাভবান হতে পারায় কৃষকরা এর চাষে ঝুঁকছেন।

বাহাদুরসাদী ইউনিয়নের বাশাইর গ্রামের চাষি আব্দুর রহমান বলেন, গত বছরের তুলনায় বছর চাষের খরচ বেড়েছে। গত বছর ১০ শতাংশ জমিতে আখের চাষ করতে ১০-১৫ হাজার টাকা খরচ হলেও এবছর আরো বেশি খরচ হয়েছে। আর জমির আখ ৫৫ হাজার টাকায় বিক্রি করেছি।

খলাপাড়া গ্রামের আরেক চাষি ইসলাম সরকার বলেন, আখের চাষ করতে আমার বেশি খরচ হয় না। কারণ আমি নিজেই জমিতে সব কাজ করি। এবছর ৯ শতাংশ জমিতে চাষ করেছি। চাষে ১০-১৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। জমিতে আখের ব্যাপক ফলন হয়েছে। তাই প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার টাকার আখ বিক্রি করতে পেরেছি।

কালীগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ ফারজানা তাসলিম বলেন, উপজেলায় দিন দিন আখ চাষের পরিমান বাড়ছে। কম খরচে চাষ করে বেশি লাভ করা যায় বলে কৃষকরা আখ চাষে ঝুঁকছেন। আমরা কৃষকদের আখ চাষের প্রশিক্ষণ ও প্রদর্শনীর মাধ্যমে চাষে আগ্রহী করা হচ্ছে। এছাড়াও চাষের জন্য মাঠ পর্যায়ে যেয়ে পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করা হচ্ছে। কৃষকরা আখের বাম্পার ফলন পেয়েছেন। আর বাজারে ভালো দামে বিক্রি করে লাভবান হচ্ছেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : এপ্রিল ২৬, ২০২৩ ১০:৫৬ পূর্বাহ্ন
সূর্যমুখী চাষে লাভের আশা খুলনার কৃষকদের
কৃষি বিভাগ

খুলনার কয়রা উপজেলায় লবণাক্ত জমিতে সূর্যমুখী চাষে ব্যাপক সাড়া ফেলেছেন কৃষক কালিপদ সরকার। তিনি আগের বছর ১৬ শতাংশ পতিত জমিতে সূর্যমুখী চাষ করে সফল হয়েছেন। সূর্যমুখী চাষে খরচ কম ও পরিশ্রম কম লাগে। তাই এ বছর তিনি ২ বিঘা জমিতে সূর্যমুখী চাষ করছেন।

সুত্রে জানা যায়, খুলনার কয়রা উপজেলার আমাদি ইউনিয়নের পাটুলিয়া গ্রামের বাসিন্দা কৃষক কলিপদ সরকার। এবার সবচেয়ে বেশি সূর্যমুখী চাষ হয়েছে আমাদি ইউনিয়নে। ইউনিয়নটিতে গত বছর ৪ হেক্টর জমিতে সূর্যমুখীর চাষ হয়েছিল। আর এবার ২৫ হেক্টর জমিতে। এবার সূর্যমুখী চাষে কৃষকরা লাভবান হতে পারবেন বলে আশা করছেন।

গ্রামের কৃষক চণ্ডীপদ সরকার বলেন, গত বছর ২ বিঘা জমি চাষাবাদে আমার খরচ হয়িছিল ২৫ হাজার টাকা। সূর্যমুখীর বীজ বিক্রি করিছিলাম ৭০ হাজার টাকা। লাভ হয়িছে ৪৫ হাজার টাকার মতো। তাই এবারও সূর্যমুখীর চাষ করিছি।’

বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের খুলনা কার্যালয়ের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. হারুনর রশীদ বলেন, এ উপজেলায় জমিতে নদীর বেড়িবাঁধ ভেঙে লোনা পানি প্রবেশ করার কারনে আমন ধান ছাড়া কোন সফল উৎপাদন হয় না। উপকূলের এসব লবণাক্ত জমিতে সূর্যমুখীর উৎপাদন বাড়াতে পারলে একদিকে যেমন অনাবাদি জমির পরিমাণ কমবে, অন্যদিকে দেশে ভোজ্যতেলের আমদানি নির্ভরতা অনেকাংশে কমে যাবে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা অসীম কুমার দাস বলেন, এক মণ সূর্যমুখীর বীজ থেকে ১৮-২০ কেজি তেল উৎপন্ন হয়। প্রতি কেজি তেল বিক্রি হয় ৪০০-৪৫০ টাকা। বর্তমানে সূর্যমুখী তেলের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় স্থানীয় কৃষকদের মধ্যে এ ফসল উৎপাদনের আগ্রহ বাড়ছে।

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop