৫:৪৭ অপরাহ্ন

সোমবার, ১৮ নভেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : ডিসেম্বর ৩, ২০২২ ৭:০৫ অপরাহ্ন
বাকৃবিতে নবান্ন উৎসব ‘নবরূপে নবান্ন’ উদযাপিত
কৃষি বিভাগ

কৃষিবিদ দীন মোহাম্মদ: বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের টিম উৎসবের আয়োজনে নবান্ন উৎসব ‘নবরূপে নবান্ন’ আয়োকন করা হয়েছে।

শনিবার(৩ ডিসেম্বর) বাকৃবি ছাত্রলীগের সার্বিক সহযোগিতায় এটি অনুষ্ঠিত হয়।

বাকৃবি ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. লুৎফুল হাসান সকাল সাড়ে ৯টায় বাকৃবি হেলিপ্যাডে কৃষক র‌্যালি উদ্বোধনের মধ্যদিয়ে দুইদিন ব্যাপী অনুষ্ঠানমালার উদ্বোধন করেন।

ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা প্রফেসর ড. খান মোঃ সাইফুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রফেসর ড. লুৎফুল হাসান বলেন, বিজয়ের মাসে এ উৎসব যুক্ত হয়ে বাঙালির প্রতিটি মানুষকে আরও উৎসবমুখর করে তুলেছে। এ সময় তিনি ‘নবরূপে নবান্ন’ উৎসব আয়োজকদের আন্তরিক ধন্যবাদ ও মোবারকবাদ জানান।

এছাড়াও অনুষ্ঠানসূচিতে বাকৃবি স্টেডিয়ামে আজ দুপুর ১টায় নতুন চালের ভাতে মধ্যাহ্নভোজ, দুপুর ২টায় নবান্ন মেলা, বিকেল ৪টায় বাংলার ঐতিহ্যবাহী বাউল গান, সন্ধ্যা সাড়ে ৫টায় গ্রাম বাংলার প্রাচীন বিনোদনের উৎস ঐতিহ্যবাহী যাত্রাপালার আয়োজন করা হয়। এছাড়াও আগামীকাল ৪ ডিসেম্বর ২০২২ সন্ধ্যা সাড়ে ৫টায় বাকৃবি জয়নুল আবেদীন মিলনায়তনে ছাত্র-ছাত্রীদের আয়োজনে কনসার্টের অনুষ্ঠিত হবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ডিসেম্বর ৩, ২০২২ ৬:৫৬ অপরাহ্ন
সীমান্তের পতিত ও উঁচু জমিতে সবজি চাষে ভাগ্য বদলের চেষ্টা চাষিদের
কৃষি বিভাগ

শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতী উপজেলার পাহাড়ী সীমান্তবর্তী এলাকার দরিদ্র পরিবারের লোকেরা পতিত ও উঁচু জমিতে সবজির চাষ করে আর্থিকভাবে স্বচ্ছল হচ্ছেন। এই এলাকায় জমি থাকলেও উঁচুতে হওয়ায় সেখানে ধান, পাট চাষ করা যেত না। ফলে তারা অনেক কষ্টে দিন কাটাতো। এখন তারা সেই জমিতে সবজির চাষ করে স্বাবলম্বী হচ্ছেন।

জানা যায়, শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতী উপজেলার নলকুড়া ইউনিয়নের পাহাড়ী সীমান্তবর্তী এলাকায় নরসিংদী ও আরো বিভিন্ন এলাকার মানুষ এসে বসবাস শুরু করে। তারা অত্যন্ত দক্ষ কৃষক। পাহাড়ি উঁচু জমিতে ধান, পাট চাষ করতে না পারলেও তারা সেখানে বিভিন্ন জাতের সবজি সীম, লাউ, বরবটি, করল্লা, চাল কুমুড়, মিষ্টি লাউ, পুটল, কাকরুল, বেগুন, লাল শাক, পালং শাক, ডাঙ্গা, আলু ও মূলা সহ আরো অনেক জাতের সবজি চাষে সফলতা পেয়েছেন। সবজি চাষে তাদের সফলতা দেখে স্থানীয় কৃষকরা সবজি চাষ শুরু করে।

বর্তমানে জেলার ঝিনাইগাতী উপজেলার নলকুড়া ইউনিয়নের পাহাড়ী সীমান্ত এলাকা সন্ধাকুরা, গোমরা, গারকোনা, হলদীগ্রাম, ফাকরাবাদ, ভারুয়া, রংটিয়া সহ আরও অনেক গ্রামে বাণিজ্যিকভাবে সবজি চাষ শুরু হয়েছে। ভাগ্যের চাকা ঘুরিয়ে অবহেলিত জনগোষ্ঠী এখন স্বাবলম্বী হতে শুরু করেছে। এখন এখানকার উৎপাদিত সবজি ট্রাক যোগে দেশের বিভিন্ন জেলা উপজেলায় সরবরাহ করা হচ্ছে। নগদ টাকায় এই সমস্ত সবজি বিক্রি করে কৃষকরাও খুশি।

ভারুয়া গ্রামের হাফেজ আলী বলেন, আমি ১৫ শতাংশ জমিতে লাউয়ের চাষ করেছি। জমিতে লাউয়েরে ভালো ফলন হয়েছে। এখন পর্যন্ত ৫০ হাজার টাকার লাউ বিক্রি করেছি।

সন্ধাকুরা গ্রামের আব্দুল কাদির বলেন, আমি ২০ শতাংশ জমিতে কেরেলার আগাম জাতের শীম চাষ করেছি। জমিতে ব্যাপক ফলন ও বাজারদর ভালো থাকায় লক্ষাধিক টাকার শীম বিক্রি করেছি।

ঝিনাইগাতী উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা মোঃ হুমায়ুন দিলদার বলেন, আগে এইসব এলাকায় সবজির চাষাবাদ করা হতো না। এখন তাদের সবজি চাষে সফল হওয়ার খবর শুনে খুব খুশি হয়েছি। আমরা তাদের সবধরনের সহযোগীতা ও পরামর্শ দিতে প্রস্তুত।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ও উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তা মঞ্জুরুল হক বলেন, সীমান্তবর্তী এলাকায় আগে সবজির চাষাবাদ করা হতো না। বর্তমানে তারা সবজি চাষে ব্যাপক সফলতা পেয়েছেন। আমরা কৃষকদের সবজি উৎপাদনের জন্য আরও উৎসাহিত করছি।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ডিসেম্বর ২, ২০২২ ২:৫৬ অপরাহ্ন
রাতের আঁধারে কৃষকের ধান পুড়িয়ে দিল দুর্বৃত্তরা
কৃষি বিভাগ

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে রাতের আঁধারে কৃষকের ধান পুড়িয়ে দিল দুর্বৃত্তরা।

গত বুধবার (৩০ নভেম্বর) দিবাগত রাত এগারোটায় উপজেলার ২নং হিঙ্গুলি ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের আজমনগর রেলক্রসিং সংলগ্ন চলাচলের রাস্তার পাশে মাড়াইয়ের জন্য রাখা ধানে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

মনিন্দ্র চৌকিদার বাড়ির স্বদেশ কুমার দাসের স্ত্রী ক্ষতিগ্রস্ত শিল্পী রাণী দাস (৪৫) জানান, বুধবার দিবাগত রাত আনুমানিক এগারোটার দিকে মাড়াইয়ের জন্য রাখা ধানের স্তূপে অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনি। এরপর রাত তিনটার দিকে আবারো অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে যার ফলে ১০ গণ্ডা জমির সম্পূর্ণ ধান পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এতে প্রায় ৪০ হাজার টাকার ধান পুড়ে যায়।

হিঙ্গুলি ইউনিয়ন পরিষদের ৩নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আলতাফ হোসেন জানান, ধানে অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি এবং এই বিষয়ে খোঁজখবর নিচ্ছি।

জোরারগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নুর হোসেন মামুন জানান, হিঙ্গুলি ইউনিয়নের আজমনগর ধুমঘাট রেলক্রসিং সংলগ্ন চলাচলের রাস্তার পাশে মাড়াইয়ের জন্য রাখা ধানে অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ফোর্স পাঠানো হয়েছে। তবে এবিষয়ে কেউ কোনো অভিযোগ দায়ের করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ডিসেম্বর ১, ২০২২ ৫:৫৭ অপরাহ্ন
উন্নত প্রযুক্তিনির্ভর পাটবীজ উৎপাদনকারী চাষীদের প্রশিক্ষণ
কৃষি বিভাগ

দিনাজপুরের খানসামায় উন্নত প্রযুক্তিনির্ভর পাট ও পাটবীজ এবং সম্প্রসারণ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় পাটবীজ উৎপাদনকারী চাষীদের প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) সকাল ১০ টায় উপজেলা প্রশাসন ও পাট অধিদপ্তরের আয়োজনে উপজেলা পরিষদ হলরুমে পাট অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন ৫০ জন পাটচাষীদের উন্নত প্রযুক্তিনির্ভর পাট ও পাটবীজ এবং সম্প্রসারণ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় এ প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাশিদা আক্তারের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সফিউল আযম চৌধুরী লায়ন। এসময় আরো বক্তব্য রাখেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বাসুদেব রায়, উপজেলা অতিরিক্ত কৃষি কর্মকর্তা ইয়াসমিন আক্তার, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা রতন কুমার বর্মন, জেলা পাট উন্নয়ন কর্মকর্তা দিলীপ কুমার মালাকার, উপজেলা উপ-সহকারী পাট উন্নয়ন কর্মকর্তা সোহেল রানা প্রমুখ। শেষে প্রশিক্ষণে অংশগ্রহনকারী পাটচাষীদের মাঝে পাটের ব্যাগ প্রদান করা হয়।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : নভেম্বর ৩০, ২০২২ ৭:২১ অপরাহ্ন
পুকুরপাড়ে সবজি চাষে ঝুঁকছেন বাগেরহাটের চাষিরা
কৃষি বিভাগ

বাগেরহাট জেলার বিভিন্ন উপজেলায় দিন দিন জনপ্রিয়তা পাচ্ছে পুকুর পাড়ে মাছ চাষের পাশাপাশি করলা, শসা, লাউ, ঢেঁড়স, মিষ্টি কুমড়া, উচ্ছে, ঝিঙে, চাল কুমড়া, বরবটি, শিম, পুঁইশাক, পেঁপে, শসা, খিরাইসহ নানা রকমের সবজি চাষ। মাছ চাষের পাশাপাশি পুকুরের পাড় পতিত অবস্থায় ফেলে না রেখে সেখানে বিশেষ পদ্ধতিতে বাঁশ ও জাল দিয়ে ঝুলন্ত মাচা তৈরি করে বিভিন্ন সবজির চাষ করে আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন চাষিরা।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে ৮৮০ হেক্টর জমিতে সবজি চাষ হয়েছে। এর মধ্যে ৫৪০ হেক্টর ঘেরের পাড়ে জমিতে সবজি চাষ হয়েছে। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৬০ হেক্টর জমি বেশি।

চুনখোলা ইউনিয়নের আংরা গ্রামের দীপঙ্কর বিশ্বাস জানান, তাঁর তিন বিঘা ঘেরের পাড়ে মাচা পদ্ধতিতে সবজির চাষ করা হয়েছে। উৎপাদিত সবজি পাইকারি দরে ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করেন তিনি। মাছের পাশাপাশি সবজি চাষ থেকে ভালই আয় হয় বলেও তিনি জানান।

একই এলাকার খোকন শেখ বলেন, বর্তমানে দেশ-বিদেশে সবজির ব্যাপক চাহিদা হওয়ায় গত কয়েক বছরে মাছের ঘেরের পাড়ে সবজি চাষে ভাগ্যের পরিবর্তন এসেছে তাঁদের জীবনে। মাচা পদ্ধতিতে সবজি চাষে বহু কৃষকের ভাগ্য ফিরেছে বলেও তিনি জানান।।

মোল্লাহাট উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ অনিমেষ বালা বলেন, বেশিরভাগ ঘেরের পাড়ে সবজি চাষ হচ্ছে। বর্তমান ফসল তোলার ভরা মৌসুম চলছে। কৃষকরা ভালো দামও পাচ্ছেন। নিরাপদ সবজি উৎপাদনে কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে বিভিন্ন সেবামূলক পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : নভেম্বর ৩০, ২০২২ ৭:০৭ অপরাহ্ন
রাজবাড়ীতে বাণিজ্যিকভাবে কমলা চাষে ছরোয়ারের চমক
কৃষি বিভাগ

বাণিজ্যিকভাবে কমলা চাষ করে সফল হয়েছে রাজবাড়ীর ছরোয়ার হোসেন। চাকরির পাশাপাশি তিনি এই কমলার বাগান করেন। বর্তমানে তার বাগানে শোভা পাচ্ছে চায়না ও নাগপুরীসহ ৪ জাতের কমলা। যা একবার রোপন করলে অন্তত ১০ বছর ফল পাওয়া যায়। তাছাড়া বাজারে কমলার ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। কমলা বিক্রি করে তিনি ভালো আয় করতে পারছেন।

জানা যায়, ছরোয়ার হোসেন রাজবাড়ী সদর উপজেলার চর বাগমারা গ্রামের বাসিন্দা। তিনি চাকরি করার পাশাপাশি ২ বছর আগে কমলার বাগান করেন। তার বাগানে চায়না, দার্জিলিং, নাগপুরী ও মেন্ডারিংসহ ৪ জাতের মোট ৪৫০টি কমলা গাছ আছে। প্রতিটি গাছের ডালে থোকায় থোকায় ঝুঁলছে হলুদ ও সবুজ রঙের কমলা। এই কমলাগুলো খেতে সুমিষ্ট ও খু্বই সুস্বাদু।

কমলাচাষি ছরোয়ার হোসেন বলেন, আমি গত দুবছর আগে আমার ৪ বিঘা জমিতে চায়না, দার্জিলিং, নাগপুরী, মেন্ডারিংসহ ৪৫০টি কমলার চারা রোপন করি। বর্তমানে প্রায় সবগুলোতে গাছে কমলা এসেছে। কমলার বাম্পার ফলন হয়েছে। কমলা চাষে এখন পর্যন্ত ৫ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। এবছর যা ফলন এসেছে তাতে প্রায় ৭ লক্ষ টাকার কমলা বিক্রির আশা করছি। অনেকে আমার কাছে কমলা চাষের পরামর্শ নিতে আসেন। আমি তাদের কমলার চারা ও চাষের পরামর্শ দিচ্ছি।

কমলার বাগান দেখতে আসা দর্শনার্থী সাত্তার মোল্লা বলেন, ছরোয়ারের বাগানের প্রায় প্রতিটি গাছেই কমলা ধরেছে। আমি কমলা খেয়ে দেখেছি। খেতে খুবেই মিষ্টি ও সুস্বাদু। অনেককে দেখলাম তার কাছে পরামর্শ নিচ্ছে।

রাজবাড়ী সদর উপজেলা কৃষি অফিসার মো. বাহাউদ্দিন শেখ জানান, মানুষের ধারনা ছিল যে কমলা শুধু পাহাড়েই উৎপাদন সম্ভব। কিন্তু বর্তমানে সমতল ভূমিতেও কমলার চাষ হচ্ছে। তেমনি ছরোয়ারের বাগানটিও সমতল ভূমিতে হয়েছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : নভেম্বর ২৮, ২০২২ ৯:২৮ অপরাহ্ন
‘কৃষকের কোমরে দড়ি, লক্ষ-কোটি টাকা ঋণ খেলাপিদের কিছু হয় না’
কৃষি বিভাগ

একটি বেসরকারি ব্যাংকের আইনজীবীকে উদ্দেশ্য করে আপিল বিভাগের চেম্বারজজ আদালতের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম বলেছেন, ২৫ হাজার টাকার জন্য সাধারণ কৃষকের কোমরে দড়ি বেঁধে টেনে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে অথচ যাদের কাছে হাজার হাজার কোটি টাকা পাওনা তাদের কিছু করতে পারছেন না। ঋণ আদায়ে ব্যাংকের চেক প্রতারণার মামলায় নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হাইকোর্টের এক রায় স্থগিতে করা আবেদনের শুনানিতে সোমবার (২৮ নভেম্বর) এমন মন্তব্য করেন চেম্বার জজ আদালত।

গত ২৩ নভেম্বর এক রায়ে হাইকোর্ট বলেছেন, ঋণ আদায়ে কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে চেক প্রতারণার মামলা করতে পারবে না। এতে আরও বলা হয়, ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান ঋণ আদায়ের জন্য শুধু ২০০৩ সালের অর্থঋণ আইনের বিধান অনুযায়ী অর্থঋণ আদালতে মামলা করতে পারবে।

চেক প্রতারণার অভিযোগে ব্র্যাক ব্যাংকের করা এক মামলায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী মোহাম্মদ আলীর দণ্ড বাতিলও করেন হাইকোর্ট। এই রায় স্থগিতে ব্র্যাক ব্যাংকের পক্ষে চেম্বার আদালতে শুনানি করেন আবু মোহাম্মদ (এ এম) আমিন উদ্দিন। বাদীপক্ষে ছিলেন আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল বাকী।

শুনানির শুরুতে ব্র্যাক ব্যাংকের আইনজীবীকে এ এম আমিন উদ্দিন আদালতকে বলেন, এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। হাইকোর্ট রায় দিয়ে বলেছেন, কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান ব্যক্তির বিরুদ্ধে চেক ডিজঅনার মামলা করতে পারবে না। নিম্ন আদালতে এ সংক্রান্ত বিচারাধীন সব মামলার রায় স্থগিতাদেশ দিয়েছেন।

তখন চেম্বার বিচারপতি বলেন, পূর্ণাঙ্গ রায় না দেখে এ বিষয়ে আপাতত কিছু বলা যাবে না। আদালত এ সময় ব্র্যাক ব্যাংকের আইনজীবীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ২৫ হাজার টাকার জন্য সাধারণ কৃষকের কোমড়ে দড়ি বেঁধে টেনে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। অথচ যাদের কাছে লক্ষ-কোটি টাকা পাওনা তাদের কিছু হয় না।

আদালত আরও বলেন, যেখানে বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলার আছে চেক নেওয়াই যাবে না, সেখানে আপনারা (ব্যাংকাররা) ব্ল্যাঙ্ক চেক সই নিয়ে মামলা করেন। এসব চেকে কে টাকার অংক লেখে আর কে কলাম পূরণ করে তার কোনো হদিস থাকে না।

ঋণ দেওয়ার সময় গ্রাহকের কাছ থেকে নেওয়া চেক সম্পর্কে বিচারক বলেন, এই চেকে কে সই করে, কে টাকার অংক বসায়, কে কলাম পূরণ করে তার কোনো হদিস নেই। এই চেক নেওয়া যাবে না বলে বাংলাদেশ ব্যাংক পর্যন্ত বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে, তার পরও ব্যাংকগুলো কেন মানছে না? পরে আবেদনটি আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে আগামী ১ ডিসেম্বর শুনানির জন্য পাঠিয়ে দেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : নভেম্বর ২৮, ২০২২ ৯:১৪ অপরাহ্ন
যমুনার চরের চাষিরা আগ্রহী হচ্ছে বাদাম চাষে
কৃষি বিভাগ

যে যমুনা নদীর চরের জমিগুলো প্রায় অনাবাদি পড়ে থাকতো। বালু মাটিতে তেমন কোনো ফসলের চাষ হতো না। তাই সেদিকে নজরও ছিল না কারো। কিন্তু সেই জমিতেই এখন ফলছে বাদাম। কয়েক বছর ধরে বগুড়ার ধুনট উপজেলায় যমুনার চরে বালিয়াড়িতে পুরোদমে চলছে বাদামের চাষ।

স্থানীয়রা জানান, যুগ যুগ ধরে যমুনা নদীর ভাঙনে বসতভিটা ও আবাদি জমি বিলীন হয়ে যায়। ফলে পথে বসেন হাজার হাজার সমৃদ্ধ কৃষক। যমুনার বুকে জেগে উঠছে নতুন নতুন চর। এসব চর প্রথম দিকে কৃষকদের কোনো কাজেই আসতো না। কিন্তু প্রায় ১০ বছর আগে কয়েক জন চাষি চরের জমিতে স্বল্প পরিসরে বাদামের আবাদ শুরু করেন।

চরের কয়েক জন কৃষক জানান, জেগে ওঠা চরের উপরিভাগে বেশি পরিমাণ বালু থাকায় সেসব জমিতে অন্য কোনো ফসল হয় না। এ কারণে কার্তিক ও অগ্রহায়ণ মাসে সেসব জমিতে বাদাম রোপণ করা হয়। কাঁচা বাদাম কেনার পর তার ছাল ছড়িয়ে ভেতরের কোয়া (বীজ) রোপণ করা হয়।

তবে এজন্য জমিতে বাড়তি কোনো খরচের প্রয়োজন পড়ে না। শুধু জমিতে লাঙল দিয়ে লাইন টেনে তার ভেতর এক ফুট দূরত্বে বাদামের বীজ ফেলে বালু মাটি দিয়ে ঢেকে দিতে হয়। এরপর আর কোনো কাজ নেই। আপনাতেই চারা গজিয়ে সেখানে বাদাম ফলে।

প্রতি বিঘা জমিতে বাদাম চাষে তাদের খরচ হয় সর্বোচ্চ ৪ হাজার টাকা। আর সেখানে ফলন পাওয়া যায় প্রায় ৭ মণ। গতবছর প্রতিমণ বাদাম বিক্রি হয়েছে ৬ হাজার টাকা দরে।

সরেজমিন দেখা যায়, বৈশাখি, রাধানগর, নিউসারিয়াকান্দি, বতুয়ারভিটা ও পুকুরিয়া চরে প্রায় দুই হাজার হেক্টর বালুর আস্তরণ পড়া জমিতে কোনো ফসল হয়নি। এসব জমি বাদাম চাষের আওতায় আনা গেলে চরের হতদরিদ্র কৃষকদের মুখে হাসি ফোটানো সম্ভব। এ কাজে স্থানীয় কৃষি বিভাগকেই প্রথমে এগিয়ে আসতে হবে। এমনই প্রত্যাশা ওই জনপদের কৃষকদের।

ধুনট উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান জানান, বেলে-দোআঁশ মাটিতে বাদাম চাষ ভালো হয়। চরের মাটি এ ফসলের জন্য উপযোগী। চরে স্থানীয় জাতের বাদাম চাষ হয়ে থাকে। চলতি মৌসুমে প্রায় ৭০০ বিঘা জমিতে বাদাম চাষ হয়েছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : নভেম্বর ২৮, ২০২২ ৪:৪২ অপরাহ্ন
ময়মনসিংহে বোরো ধানের উৎপাদন বৃদ্ধিতে কর্মশালা অনুষ্ঠিত
কৃষি বিভাগ

কৃষিবিদ দীন মোহাম্মদ দীনু: ময়মনসিংহে বোরো ধানের উৎপাদন বৃদ্ধিতে অধিক ফলনশীল জাত ও প্রযুক্তি সমূহের বিস্তার ও ফসলের নিবিড়তা বৃদ্ধিতে করণীয়’ শীর্ষক অবহিতকরণ কর্মশালা ও কৃষক পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার (২৮ নভেম্বর) সকাল ১০টায়বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের ফসলের নিবিড়তা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্প এর আওতায় ‘বোরো ধানের উৎপাদন বৃদ্ধিতে অধিক ফলনশীল জাত ও প্রযুক্তি সমূহের বিস্তার ও ফসলের নিবিড়তা বৃদ্ধিতে করণীয়’ শীর্ষক কর্মশালাটি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ নজরুল ইসলাম সম্মেলন কেন্দ্রে এটি অনুষ্ঠিত হয়।

এর আয়োজন করেন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, ময়মনসিংহ অঞ্চল এবং বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের ফসলের নিবিড়তা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্প, ডিএই।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ময়মনসিংহ বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার জনাব মোঃ শফিকুর রেজা বিশ্বাস। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এর অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ মোঃ আশরাফ উদ্দিন এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর টাংগাইল এর উপ-পরিচালক কৃষিবিদ আহসানুল বাশার এবং উপ-পরিচালক, ময়মনসিংহ কৃষিবিদ মতিউজ্জামান।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রকল্প পরিচালক কৃষিবিদ মোহাম্মদ জিয়াউর রহমান।

অনুষ্ঠানে বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের বিভিন্ন পর্যায়ের কৃষি কর্মকর্তাবৃন্দসহ আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য অবহিতকরণ কর্মশালাটিতে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর,ময়মনসিংহ অঞ্চল, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, খামারবাড়ি, ময়মনসিংহ জেলা এবং কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, নালিতাবাড়ি, শেরপুর ‘বোরো ধানের উৎপাদন বৃদ্ধিতে অধিক ফলনশীল জাত ও প্রযুক্তি সমূহের বিস্তার ও ফসলের নিবিড়তা বৃদ্ধিতে করণীয়’ বিষয়ক আলাদা আলাদা প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। পরে কৃষিতে অনবদ্য অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ কৃষকের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়েছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : নভেম্বর ২৭, ২০২২ ৫:১৯ অপরাহ্ন
কৃষি জমি ও সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে : স্থানীয় সরকার মন্ত্রী
কৃষি বিভাগ

বর্তমান পরিস্থিতিতে আমাদের জমি ও সম্পদকে অধিক উৎপাদনশীল কাজে ব্যবহার করতে হবে। কৃষি জমিতে ফসল উৎপাদনে সকলকে আরো মনোযোগী এবং সমবায় সমিতিসমূহের সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে৷
আজ রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে ‘বাংলাদেশ জাতীয় পল্লী উন্নয়ন সমবায় ফেডারেশনের ৩৫তম বার্ষিক সাধারণ সভা ও ড. আখতার হামিদ খান পল্লী ও সমবায় উন্নয়ন পদক প্রদান’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম এসব কথা বলেন৷

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সমবায়ের মাধ্যমে ক্ষুধা, দারিদ্র, শোষণ ও দূর্নীতিমুক্ত সোনার বাংলা গড়তে চেয়েছিলেন৷ এখন জাতির পিতার স্বপ্ন পূরণের জন্য সমবায় সমিতিসমূহকে কাজ করে যেতে হবে৷ সকলের অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে সমবায় সমিতিকে ভূমিকা রাখতে হবে বলে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী উল্লেখ করেন৷

মন্ত্রী আরো বলেন উপজেলা কেন্দ্রীয় সমবায় সমিতি (ইউসিসিএ)-এর সমবায়ীদের সচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে৷ সচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বিদ্যমান থাকলে সমবায় সমিতিগুলো অধিক কার্যকরী করে গ্রামীণ অর্থনীতিতে বড় ধরণের পরিবর্তন আনা সম্ভব।

প্রধান অতিথি বাংলাদেশ জাতীয় পল্লী উন্নয়ন সমবায় ফেডারেশনের পুরস্কার প্রাপ্ত সদস্যদের মধ্যে ‘ড. আখতার হামিদ খান পল্লী ও সমবায় উন্নয়ন পুরস্কার ও পদক’ প্রদান করেন৷

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য এবং সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ জাতীয় পল্লী উন্নয়ন সমবায় ফেডারেশনের সভাপতি খন্দকার বিপ্লব মাহমুদ উজ্জল৷

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop