৯:৩৮ অপরাহ্ন

রবিবার, ৫ মে , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : জুন ২৫, ২০২৩ ২:৫৫ অপরাহ্ন
ঢাকায় প্রতি বর্গফুট গরুর চামড়া ৫০-৫৫ টাকা, ঢাকার বাইরে ৪৫-৪৮ টাকা
প্রাণিসম্পদ

ঈদ সামনে রেখে কোরবানির পশুর চামড়া সংগ্রহের দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার; ঢাকায় গরুর চামড়ার দাম গতবারের চেয়ে ৩ টাকা এবং ঢাকার বাইরে ৪ টাকা বেড়েছে।

ট্যানারি ব্যবসায়ীদের এবার ঢাকায় লবণযুক্ত প্রতি বর্গফুট গরুর চামড়া কিনতে হবে ৫০ থেকে ৫৫ টাকায়; গত বছর এই দাম ছিল ৪৭ থেকে ৫২ টাকা।

ঢাকার বাইরে লবণযুক্ত প্রতি বর্গফুট গরুর চামড়ার দাম হবে ৪৫ থেকে ৪৮ টাকা, গতবছর যা ৪০ থেকে ৪৪ টাকা ছিল।

এছাড়া সারা দেশে লবণযুক্ত খাসির চামড়া গত বছরের মতই প্রতি বর্গফুট ১৮ থেকে ২০ টাকা, আর বকরির চামড়া প্রতি বর্গফুট ১২ থেকে ১৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

রোববার সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে চামড়ার মূল্য নির্ধারণ ও সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত সভায় এ মূল্য নির্ধারণ করা হয়। বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে চামড়ার এই দাম ঘোষণা করেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।

বাংলাদেশে সারা বছর যে সংখ্যক পশু জবাই হয়, তার মোটামুটি অর্ধেক হয় এই কোরবানির মৌসুমে। কোরবানি যারা দেন, তাদের কাছ থেকে কাঁচা চামড়া কিনে মৌসুমি ব্যবসায়ীরা বিক্রি করেন পাইকারদের কাছে।

পাইকাররা সেই চামড়ায় লবণ দিয়ে সংরক্ষণের প্রাথমিক কাজটি সেরে বিক্রি করেন ট্যানারিতে। ট্যানারি কেমন দামে চামড়া কিনবে, তা প্রতিবছর নির্ধারণ করে দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুন ২৫, ২০২৩ ১০:১৪ পূর্বাহ্ন
সুস্থ, সবল ও স্টেরয়েড মুক্ত গরু চেনার ৮ টি টিপস…
প্রাণিসম্পদ

ডা. খালিদ হোসাইনঃ গত বছর কুরবানির আগের রাত ১০.৩০ মিনিটে বাসার কলিং বেলের আওয়াজ শুনে দরজা খুলে দেখি এলাকার এক মুরুব্বি, মসজিদে প্রায়ই দেখা হয় কিন্তু সেভাবে কখনো কথা হয় নি । অনেকটা হতাশাভরা কন্ঠে বললেন, আংকেল একটু কষ্ট করে আমার বাসায় চলেন, ছেলে ও তা বন্ধুরা মিলে গতকাল ১ লাখ ৩৫ হাজার টাকা দিয়ে একটা গরু নিয়া আসছে, সেই গরু আজ বিকেল থেকে মাটিতে পরা, উঠতেই পারছে না, অবস্থা খুব খারাপ, মনে হচ্ছে ঔষধ দেওয়া গরু । অনিচ্ছা থাকা সত্ত্বেও প্রায় ১ কি.মি. দূরে সেই গরুটি দেখতে যাই ।

 

প্রতিবছর কুরবানির গরু কেনার সময় একটু সতর্ক থাকা উচিত, সুস্থ, সবল ও স্টেরয়েড মুক্ত গরু কেনার জন্য নিচের কিছু বিষয়ের প্রতি লক্ষ্য রাখা দরকার –

 

১) স্টেরয়েডযুক্ত গরু স্বাস্থ্যবান দেখাবে কিন্তু ঝিমাবে ও নিরব থাকবে, খুব বেশি নাড়াচাড়া করবে না।

২) সুস্থ গরুর চোখ উজ্জ্বল ও তুলনামূলক বড় আকৃতির হবে, অবসরে জাবর কাটবে, লেজ দিয়ে মাছি তাড়াবে। বিরক্ত করলে প্রতিক্রিয়া দেখাবে ।

৩) গরুর চামড়া ধরে টান দিয়ে ছেড়ে দিলে যদি চামড়া আগের অবস্থানে সহজে ফিরে না আসে তাহলে বুঝতে হবে এটি স্টেরয়েড দেওয়া গরু ।

৪) সুস্থ গরুর নাক ভেজা থাকবে, তাপমাত্রা স্বাভাবিক থাকবে ।

৫) সুস্থ গরুর গোবর স্বাভাবিক থাকবে, পাতলা পায়খানার মতো হবে না।

৬) সুস্থ গরুর সামনে খাবার ধরলে জিহ্বা দিয়ে টেনে নিতে চাইবে।

৭) অসুস্থ গরুর উরুতে অতিরিক্ত মাংস থাকবে।

৮) সুস্থ গরুর লেজ ধরে টান দিয়ে পেছনে এনে লেজ ছেড়ে দিলে সে তার পূর্বের অবস্থানে ফেরত যাবে ।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুন ২৫, ২০২৩ ৯:১৪ পূর্বাহ্ন
কোরবানির গরুর দাম এ বছর কেমন হতে পারে?
প্রাণিসম্পদ

আগামী ২৯ জুন বৃহস্পতিবার দেশজুড়ে পালিত হবে ঈদ-উল-আযহা, ইতোমধ্যে দেশের বিভিন্ন স্থানে বসেছে কুরবানির হাট ।  এই বছর সবকিছুর দাম বেড়ে যাওয়ায় পশুপালনের খরচও বেড়েছে, ফলে গতবারের তুলনায় এইবার দাম তুলনামূলক বেশি হবে বলে আশংকা করছেন অনেকেই ।

কুরবানির পশুর চাহিদা কত?

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম জানিয়েছেন, এ বছর কোরবানির জন্য আমাদের চাহিদা ১ কোটি ৩ লাখ ৯৪ হাজার ৭৩৯টি পশু, আর প্রস্তুত রয়েছে ১ কোটি ২৫ লাখ ৩৫ হাজার ৩৩৩ টি পশু, সেই হিসেবে ২১ লাখেরও বেশি পশু প্রস্তুত রয়েছে।

মাঠপর্যায় থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, এবার কোরবানিযোগ্য প্রায় ৪৮ লাখ ৪৪ হাজার গরু-মহিষ, ৭৬ লাখ ৯০ হাজার ছাগল-ভেড়া ও আড়াই হাজার অন্যান্য প্রজাতির পশু প্রস্তুত রয়েছে।

প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের মহাপরিচালক ডা. মো. এমদাদুল হক তালুকদার বলেন, গত বছরের চেয়ে এ বছর বেশি সংখ্যক গবাদি পশু প্রস্তুত রয়েছে। গত বছর প্রায় ১ কোটি পশু কোরবানি হয়েছে। সে অনুযায়ী এ বছর পর্যাপ্ত পশু প্রস্তুত রয়েছে। সংকট হওয়ার সুযোগ নেই। কোরবানি শেষে পশু উদ্বৃত্ত থাকবে বলেও মনে করেন তিনি।

গরুর খামারীদের ভাষ্যঃ

মাদারীপুরের কৃষক লিটন মিয়া। নিজ বাড়িতে ছোট্ট এক খামারে গরু পালেন তিনি। গেলো কোরবানির ঈদে ৬টি গরু থাকলেও এবার তিনি খামারে রেখেছেন ১০ টি গরু। আশা করছেন ১০টি গরুই কোরবানির ঈদে বিক্রি হবে।

তবে দাম কেমন হবে, কতটা লাভ করতে পারবেন তা নিয়ে দু:শ্চিন্তা আছে লিটনের মনে। তিনি বলছিলেন, “দাম তো এইবার বাড়বেই। এখন কেমন বাড়বে সেইটা বুঝতে পারছি না। খরচ যে হারে বাড়ছে, সেইটা উঠাতে পারবো কি-না সন্দেহ আছে।”

লিটন খান জানাচ্ছেন, বাজারে সবকিছুর দাম বাড়তি। ঘাসের উৎপাদন খরচ বেড়েছে, প্রতিটি পশু খাদ্যের দাম বেড়েছে। শ্রমিকদের মজুরিও বেড়েছে। সুতরাং গরুর দাম গতবারের তুলনায় এবার তারা বেশি চাইবেন।

লিটন মিয়ার মতো একই চিত্র মাদারীপুরের অন্য খামারগুলোতেও।

মাদারীপুরের আরেকজন গরুর খামারের উদ্যোক্তা সাদ্দাম হোসেন বলছেন, ভারত-মিয়ানমার থেকে গরু না আসলে এবারও গরুর বাজার চড়া থাকবে। আর বাজার চড়া থাকলে খামারীরা খরচ তুলে লাভ করতে পারবেন। তিনি বলেন, গত বছর মাঝারি সাইজের যেসব গরু তারা ১ লাখ টাকায় বিক্রি করেছেন, এবার সেই একই আকারের গরুর জন্য তারা দাম চাইছেন ১ লাখ পনেরো থেকে বিশ হাজার অর্থাৎ প্রতি গরুতে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা দাম বেশি।

মাদারীপুরের প্রাণীসম্পদ দপ্তর বলছে, এবারের ঈদে জেলাটিতে গরুর চাহিদা ৩৬ হাজার। কিন্তু সরবরাহ আছে প্রায় ৩৯ হাজার, অর্থাৎ তিন হাজার গরু উদ্বৃত্ত আছে।  (বিবিসি বাংলা নিউজ)

গরুর সরবরাহ এবং দাম কেমন?

মাদারীপুরে যে চিত্র, সারাদেশেও সেটা অনেকটা একইরকম। অর্থাৎ গরুর সরবরাহ বেশি কিন্তু দাম কম নেই। বরং দাম গত বছরের তুলনায় বাড়তি। গাবতলী গরুর হাটে কথা হয় তৈয়ব আলী নামে একজন গরু বেপারীর সঙ্গে। তিনি গরু সংগ্রহ করেন কুষ্টিয়া ও পাবনাসহ উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকা থেকে। এবছর তিনি ঢাকায় একশর বেশি গরু হাটে তোলার পরিকল্পনা করেছেন। অর্ধেক গরু ইতোমধ্যে সংগ্রহও করেছেন বিভিন্ন জেলা থেকে।

“দেখলাম খামারীরা দাম বেশি চায়। গরু অনেক আছে। কিন্তু খরচের কারণে দাম বেশি। ধরেন, ১০ রাখ টাকা দামের গরু এবার ১২ লাখ টাকা। আর মাঝারি গরুতে প্রতি পিসে দাম বাড়তি বিশ হাজার থেকে ২৫ হাজার টাকা।” বলছিলেন, তৈয়ব আলী।

তিনি জানাচ্ছেন, এবার ছোট এবং বড় গরুর দাম তুলনামূলক বেশি হবে। কারণ এসব গরুর চাহিদা বেশি।

কিন্তু প্রান্তিকভাবে খামার পর্যায়েই যখন গরুর দাম বাড়তি, তখন শেষ পর্যন্ত সেই দাম মধ্যস্বত্তভোগীদের হাত ঘুরে কোরবানির হাটগুলোতে কোন পর্যায়ে গিয়ে ঠেকে সেটা একটা বড় প্রশ্ন। (বিবিসি বাংলা নিউজ)

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুন ২৪, ২০২৩ ১:৫৬ অপরাহ্ন
কুরবানির গরু কিনে বাসায় আনার পর এর যত্নে ৮ টি করণীয়…
প্রাণিসম্পদ

তাই জেনে নিন কুরবানির গরুর যত্নে করণীয়ঃ

১. গরু কেনার পর থেকেই গরুর পুরো দায়িত্ব আপনার উপরে। তাই কোরবানির হাট থেকে গরুকে হাঁটিয়ে না এনে পিক আপ ভ্যানে করে আনতে পারেন। এতে গরমে গরুর কষ্ট কম হবে আর হেঁটে আনার যে ঝামেলা হয় তারও সম্মুখীন হওয়া লাগবে না।

২. গরুটিকে বাসায় আনার সাথে সাথেই পানি খেতে দিবেন না, কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিতে দিন, পরিবেশ টা বুঝতে দিন, এরপর বিশুদ্ধ পানি দিবেন । পশুর জন্য খড়, কচি ঘাস, কলা পাতা কিংবা বিচালি কিনে রাখুন। পানি দেবার পর খাবার দিতে পারবেন ।

৩. গরুটিকে প্রতিদিন যথেষ্ট পরিমাণ বিশুদ্ধ পানি পান করাবেন । বাসি খাবার না দিয়ে টাটকা খাবার খাওয়ান, অল্প অল্প করে বার বার খাবার দিন। এত খাদ্য অপচয় কমবে এবং খাওয়া বৃদ্ধি পাবে । খৈল, ভুষি, তুষ, কুড়া, লবণ, ভাতের মার পানিতে মিশিয়ে খাওয়াতে পারেন।

৪. গরুর থাকার জন্য একটি অস্থায়ী স্থান তৈরি করুন। জায়গাটি যেন শুষ্ক থাকে কিংবা পানি জমে না থাকে সেদিকে খেয়াল রাখবেন। নিয়মিত পরিষ্কার রাখবেন।

৫. দিনের বেলায় খোলা স্থানে বেঁধে রাখবেন এবং দুপুরে ভালো করে গোসল করাবেন । সম্ভব হলে গরুকে বিকেল বেলা হাটাবেন ।

৬. রাতের বেলা নিরাপদ স্থানে রাখুন। মশার উপদ্রব থেকে বাঁচাতে মশারি কিংবা কয়েল ব্যবহার করুন।

৭. গরুর সাথে যতটা সম্ভব ভালো ব্যবহার করুন। গায়ে হাত বুলিয়ে দিন আর যতটা পারেন সময় দিন। বাচ্চারা যেন গরুকে বিরক্ত না করে সেদিকে লক্ষ্য রাখুন ।

৮. কুরবানির দিন সকাল বেলা গরুকে শুধু পানি পান করাবেন, অন্য কোন খাবার দিবেন না অর্থাৎ যা খাওয়ানোর তা আগের রাতেই খাওয়াবেন ।

আল্লাহ আমাদের সকলের কুরবানি কবুল করুন (আমীন) ।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুন ২৪, ২০২৩ ১০:১৪ পূর্বাহ্ন
ছাগলের কৃমি দমনে করণীয়
প্রাণিসম্পদ

ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগল পালন বাংলাদেশের খামারীদের ভাগ্যবদলের অন্যতম পাথেয়। ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগলের মাংস যেমন সুস্বাদু, চামড়া তেমনি আন্তর্জাতিকভাবে উন্নতমানের বলে স্বীকৃত। তবে ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগলেও নিতে হয় আলাদা যত্ন। বিশেষ করে কৃমি দমনে কার্যকরী পদক্ষেপ খামারীদের জন্য বেশ উপকারী।

ছাগলের বাচ্চার কৃমি দমনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ:

কৃমি দমন : কৃমি ছাগলের মারাত্মক সমস্যা। বয়স্ক ছাগল ও বাচ্চার কৃমি দমনের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। মনে রাখতে হবে, শুধু পর্যাপ্ত খাদ্য সরবরাহ ও উন্নত ব্যবস্থাপনার মাধ্যমেই আশানুরূপ উৎপাদন পাওয়া যায় না।

কৃমির জন্য উৎপাদন মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়। কাজেই কাছের প্রাণিসম্পদ হাসপাতাল থেকে ছাগলের মল পরীক্ষা করে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ছাগলকে নিয়মিত কৃমিনাশক ওষুধ খাওয়াতে হবে।

১-৪ মাস পর্যন্ত বাচ্চা দের কৃমি মুক্ত করার পদ্ধতি:

বাচ্চা ছাগল, ভেড়া, গাড়ল:- বিভিন্ন খামারী এরং ছাগল পালন কারীর সাথে আলোচনা করে এবং নিজে অভিজ্ঞতা থেকে একটি সাধারণ বিষয় লক্ষ্যণীয় হল ছাগলের ক্ষেত্রে বাচ্চা জন্মানোর প্রথম ১ মাস বাচ্চা গুলোর দৈহিক বৃদ্ধি ভাল থাকে এবং দেখতে খুব সুন্দর থাকে কৃমি মুক্ত না করা বাচ্চাগুলো দ্বিতীয় মাস থেকেই আস্তে আস্তে দৈহিক বৃদ্ধি এবং সৈন্দর্য কমতে থাকে, দিন দিন শুকিয়ে যায় আর পেটের সাইজ বড় হতে থাকে,খুবই ঘন ঘন পাতলা পায়খানা হয়, আবার পায়খানার সাথে সাদা সাদা ফিতা কৃমি,হুক কৃমি,চাবুক কৃমি বের হতে থাকে ।

বাচ্চাগুলো খুবই দূর্বল হয়ে ধীরে ধীরে হাড় চামড়ার সাথে ভেসে উঠে কিছু বাচ্চা মারা যায় আবার কিছু বাচ্চা বছর পার হলেও শরির স্বাস্হ্য খারাপ হতেই থাকে । আমারা খামারে সাধারণতঃএই সমস্যার সন্মুখিন হচ্ছি বা হতে পারি। সেজন্য নিচের নিয়মে ছাগল,গাড়লের বাচ্চাদের কৃমি মুক্ত করতে পারলে খামার কে লাভবান করা সম্ভব।

বাচ্চাকে ১ মাস বয়স হলে নিওট্যাক্স,বা এক্সট্রাস মানুষের সিরাপ জেনেরিক নেইম লিভামিসোল প্রতি কেজি দৈহিক ওজনের জন্য ১ এমএল হিসেবে খাওয়াতে হবে । (বিঃদ্রঃ কৃমির প্রভাব দেখা দিলে ১৫দিন বয়স থেকেও দেওয়া যেতে পারে।) দুই মাস বয়স পূর্ন হলে এলটিভেট জেনেরিক নেইম লিভামিসোল + ট্রাইক্লাবেন্ডাজল ৪০ কেজি দৈহিক ওজনের জন্য ১ টি ট্যাবলেট হিসেবে খাওয়াতে হবে ।

তিন মাস বয়স হলে এমেকটিন প্লাস জেনেরিক নেইম আইভারমেকটিন + ক্লোরসুলন ২৫ কেজি হিসেবে ১ এমএল চামড়ার নীচে ইঞ্জেকশন দিতে হবে। চার মাস বয়স হলে প্যারাক্লিয়র ফেনবেন্ডাজল গ্রুপের ট্যাবলেট ১০-২০ কেজির জন্য ১ টি । তার ৭-৮ মাস পূর্ণ হলে বড় ছাগলের রুটিনে কৃমি মুক্ত করতে হবে ।

বাচ্চা গাড়ল, ভেড়া, ছাগলের ক্ষেত্রে যেহেতু ১-২ মাসের অধিক সময় পর্যন্ত মায়ের দুধ পান করে তাই কৃমির ঔষধ খাওয়ানোর পর লিভারটনিক না খাওয়াতে পারলে তেমন কোন সমস্যা হবে না আর ৩-৪ মাসে কৃমির ঔষধের দেওয়ার পর লিভারটনিক খাওয়াতে হবে ।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুন ২৩, ২০২৩ ১:৪৪ অপরাহ্ন
গাভীর ওলান ফোলা রোগ নির্ণয়ে ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার নিয়ে কর্মশালা
প্রাণিসম্পদ

দীন মোহাম্মদ দীনু: দুধ উৎপাদন করার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধকতার মধ্যে অন্যতম ম্যাসটাইটিস বা ওলান ফোলা রোগ। এটি গাভীর নীরব ঘাতক রোগ হিসেবে পরিচিত। মাঠ পর্যায়ে ক্লিনিক্যাল ও সাব ক্লিনিক্যাল এই দুই ধরনের ওলান ফোলা রোগ দেখা যায়। ক্লিনিক্যাল ম্যাসটাইটিস সহজে নির্ণয় করা গেলেও কোন লক্ষণ প্রকাশ না করায় সাব ক্লিনিক্যাল ম্যাসটাইটিস সহজে নির্ণয় করা যায় না। তাছাড়া এই রোগ নির্ণয় করার জন্যে উল্লেখযোগ্য কোন যন্ত্র উদ্ভাবিত না হওয়ায় ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে খামারীরা।


তবে দেশে প্রথমবারের মতো মাঠ পর্যায়ে সাব ক্লিনিক্যাল ম্যাসটাইটিস রোগ নির্ণয়ের জন্য ডিজিটাল যন্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে। এ যন্ত্র দুধের বৈদ্যুতিক পরিবাহিতা, তাপমাত্রা ও দ্রবীভূত কঠিন পদার্থের পরিমাণ নির্ণয়ের মাধ্যমে রোগ নির্ণয় করে। পাশাপাশি যন্ত্রটি ব্যবহারে মাঠ পর্যায়ে কম সময়ে, খুব সহজে ও সুলভ মূল্যে রোগ নির্ণয় সম্ভব।

ড. মো. আবু হাদী বলেন, নিরাপদ দুগ্ধ উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে দেশের পাবনা ও সিরাজগঞ্জ জেলায় এই গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। বাংলাদেশ শিক্ষা, তথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরোর (ব্যানবেইস) অর্থায়নে পরিচালিত গবেষণায় গত দুই বছরে ৩৯টি খামারের মোট ১০০টি গাভীর ওপর ম্যসটাইটিসের জীবাণু শনাক্তকরণ কার্যক্রম পরিচালিত হয়। গবেষণায় দেখা গেছে ২৮ দশমিক ৭৫ শতাংশ গাভীর ওলানের এক চতুর্র্থাংশ সাব ক্লিনিক্যাল ম্যাসটাইটিসে আক্রান্ত।
তিনি আরও বলেন, দুধ দুহানোর আগে ও পরে জীবাণুনাশকের সাহায্যে গাভীর ওলান পরিষ্কার করতে হবে। পরে শুকনো কাপড় দিয়ে ভেজা ওলান মুছে দিতে হবে। গাভীর জন্যে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন খামার ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে হবে। এর মাধ্যমে ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ ম্যাসটাইটিস প্রতিরোধ সম্ভব। তাই এ রোগ প্রতিরোধে খামারিদের উদ্বুদ্ধ করণ খুব জরুরি।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুন ২২, ২০২৩ ১:১২ অপরাহ্ন
দেশি জাতের গরু চেনার উপায়
প্রাণিসম্পদ

দেশে দিন দিন দেশি জাতের গরুর জনপ্রিয়তা বাড়ছে। ফলে দেশি জাত কিভাবে চেনা যায়, সে প্রশ্ন অনেকের।

সাধারণত দেশি জাতের গরুর শরীরে বিদেশি জাত বা শংকর জাতের চেয়ে চর্বি কম থাকে। দেশি গরু আকারও কিছুটা ছোট হয়। মাংসে স্বাদ বেশি হয়, কিন্তু দুধের পরিমাণ বিদেশি গরুর তুলনায় কম হয়।

শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যানিম্যাল নিউট্রিশন, জেনেটিক্স ও ব্রিডিং বিভাগের অধ্যাপক লামইয়া আসাদ গণমাধ্যমকে বলেছেন, দেশি গরু চেনার উপায় হচ্ছে দেশি জাতের গরুর চামড়া শক্ত থাকে। এছাড়া এর কুঁজ থাকে এবং গলার নিচে চামড়ার ভাঁজ কম থাকে।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কৃত্রিম প্রজনন বিভাগের পরিচালক ডা. ভবতোষ কান্তি সরকার গণমাধ্যমকে বলেছেন, দেশি জাতের যেসব গরু বাজারে জনপ্রিয়, তার মধ্যে মুন্সিগঞ্জের মীরকাদিম, চট্টগ্রাম ও এর আশেপাশের এলাকার আরসিসি, পাবনা ক্যাটল, সিরাজগঞ্জের ব্রিড নামে পরিচিত গরুগুলো উল্লেখযোগ্য।

পাবনা ক্যাটল

এটি পাবনা ব্রিড নামেও পরিচিত। এই জাতের গরুর বড় অংশটির রং সাদা বা সাদা মেশানো ছাই রং। এছাড়া লাল, ধূসর বা মিশ্র বর্ণেরও হয় এসব গরু। দেশীয় আবহাওয়া সহনশীল এসব গরু পালনে খাবার কম লাগে।

দেশের জাতীয় তথ্য বাতায়নে পাবনা ক্যাটল সম্পর্কে বলা হয়েছে, পাবনার চলনবিল সংলগ্ন এলাকায় এই গরুর বাস। এটি খর্বকায় মানে বেশি বড় আকৃতির নয়। এদের স্বাস্থ্য সুঠাম, রোগব্যাধি কম হয়। এটি ঘাস খায়, এর বাইরে অন্য ধরনের খাবার কমই দিতে হয়। দেশে দুধের উৎপাদন বাড়াতে ফ্রিজিয়ান গরুর সাথে এর কৃত্রিম প্রজনন করা হচ্ছে গত কয়েক বছর ধরে।

সিরাজগঞ্জ ব্রিড

এই জাতের গরু মূলত পদ্মাপারের কয়েকটি জেলায় হয়ে থাকে। এই জাতের গরুর সঙ্গে পাবনা ক্যাটলের সাদৃশ্য রয়েছে। তবে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বলেছেন, এটি পাবনা ক্যাটলের চেয়ে আকারে কিছুটা বড় হয়। এর কুঁজ উঁচু ও বলিষ্ঠ হয়।

এসব জাত ছাড়াও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে মাংসের চাহিদা মাথায় রেখে শাহীওয়াল এবং ব্রাহমা জাতের গরুর সাথে সংকরায়ন করে আরো কিছু জাতের প্রজনন ঘটানো হয়েছে, যেগুলো কোরবানির পশুর হাটে ক্রেতাদের মন জয় করেছে।

মীরকাদিমের ধবল গাই

এটি আকারে সাধারণ গরুর চেয়ে বড়। এটি সাধারণত সাদা রংয়ের হয়। কখনো এর সঙ্গে তার গায়ে অল্প ছাই রং বা কালোর ছোপ থাকতে পারে। মীরকাদিমের গরুর মাংসে আঁশ কম থাকে, এর হাড় চিকন হয়। ফলে মাংস হয় নরম ও তেলতেলে।

এটি পালন সহজ, মানে খাবারের খরচ কম। খৈল, গম, মসুর ডালের ভুসি এবং ভুট্টা গুঁড়ার মত খাবার দিয়ে পালন করা যায়।

আরসিসি বা রেড চিটাগাং ক্যাটল

এই গরুর গায়ের রং লাল। এর ক্ষুরা মানে পায়ের রংও লাল। এটি আকারে বেশি বড় হয় না। এর কুঁজ ছোট আকারের হবে। এই গরু পালনে খাবার কম লাগে। দেশি আবহাওয়া সহনশীল বলে খামারিদের কাছে বেশ জনপ্রিয় এই গরু। মূলত এই জাত চট্টগ্রাম এবং এর আশেপাশের জেলায় বেশি উৎপাদন হয়।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুন ২১, ২০২৩ ১:৪২ অপরাহ্ন
কোরবানির পশু সুস্থ ও স্টেরয়েড মুক্ত কিনা বুঝবেন যেভাবে
প্রাণিসম্পদ

যিলহজ্ব মাসের চাঁদ দেখা গিয়েছে। যিলহজ্ব মাসের ১০ তারিখ মুসলমানদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদ-উল-আযহা পালিত হয়ে থাকে। সে অনুযায়ী এ বছর জুন মাসের ২৯ তারিখ বাংলাদেশের মানুষ ঈদুল আযহা উদযাপন করবেন। ঈদুল আযহার অন্যতম একটি আনুষ্ঠানিকতা হলো পছন্দের পশুকে কোরবানি করা।

মুসলিমদের এই উৎসবে সামর্থ্যবানরা পছন্দমতো পশু কোরবানি দিয়ে আল্লাহর কাছে তার তাকওয়া প্রদর্শন করে। সামর্থ্যবানদের কোরবানি গরুর মাংসের একটি অংশ থাকে গরিবদের জন্য। আর এই কোরবানির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হল সুস্থ ও সবল পশু নির্বাচন করা। সবাই ভালো গরুটিই পছন্দ করতে চায়, এজন্যে সবার নজর থাকে গরুর স্বাস্থ্যের প্রতি। এই উৎসবকে পুঁজি করে অসাধু কিছু ব্যবসায়ী স্টেরয়েড জাতীয় ঔষধ ব্যবহার করে দ্রুত গরু মোটাতাজাকরণের দিকে ঝুঁকছে। তাই কোরবানির হাটে যাওয়ার আগে অবশ্যই সুস্থ সবল পশু চিহ্নিত করার উপায়সমূহ জেনে নেওয়া উচিত।

কোরবানির গরু সুস্থ ও রোগমুক্ত কিনা তা চেনার উপায়:

১) হরমোন ও স্টেরয়েড ব্যবহার করে মোটাতাজা করেছে কিনা তা জানার উপায়: স্টেরয়েড দিয়ে মোটাতাজা করা গরু স্বাস্থ্যবান দেখাবে কিন্তু এরা তেমন চটপটে হবে না। খুব বেশি নড়াচড়া করতে দেখা যাবে না। গরুর শরীরে আঙ্গুল দিয়ে হালকা চাপ দিলে ঢেবে যাবে। কিন্তু সুস্থ গরুর শরীরে আঙ্গুলের চাপ দিয়ে আঙ্গুল সরিয়ে নিলে তাৎক্ষণিকভাবে পূর্বের অবস্থায় ফেরত আসবে।

২) সুস্থ পশুর চোখ উজ্জ্বল ও তুলনামূলক বড় আকৃতির হবে। অবসরে জাবর কাটবে (পান চিবানোর মতো), কান নাড়াবে, লেজ দিয়ে মাছি তাড়াবে। বিরক্ত করলে প্রতিক্রিয়া দেখাবে, সহজেই রেগে যাবে।

৩) সুস্থ গরুর নাকের সামনের কালো অংশ (Muzzle) ভেজা থাকবে, অসুস্থ গরুর ক্ষেত্রে শুকনো থাকবে। এছাড়া অসুস্থ গরুর শরীরের তাপমাত্রা বেশি থাকে।

৪) সুস্থ গরুর গোবর স্বাভাবিক থাকবে, পাতলা পায়খানার মতো হবে না।

৫) সুস্থ গরুর সামনে খাবার এগিয়ে ধরলে জিহ্বা দিয়ে তাড়াতাড়ি টেনে নিতে চাইবে। অপরদিকে অসুস্থ পশু ভালোমতো খেতে চাইবে না।

৬) অসুস্থ গরু ঝিমায়, নিরব থাকে। খুব বেশি আশেপাশের কোলাহলে সাড়া দেয় না।

কোরবানির জন্য দেশে গরু, মহিষ, ছাগল প্রভৃতি পশু বা প্রাণীর চাহিদা ব্যাপক। পূর্বে প্রতিবেশী দেশ ভারত থেকেও অনেক পশু আমদানি করা হত। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের তথ্যানুযায়ী, এবছর দেশে কোরবানিযোগ্য প্রাণীর সংখ্যা ১ কোটি ২১ লাখ, যা চাহিদার তুলনায় বেশি। এবছর ১ কোটির মতো পশু কোরবানি করা হবে বলে আশা প্রকাশ করা যাচ্ছে। পশু ক্রয় থেকে শুরু করে মাংস ভক্ষণ পর্যন্ত প্রতিটি ধাপে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করা উচিৎ। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার ব্যাপারে গুরুত্ব দিতে হবে সর্বক্ষেত্রে। রোগব্যাধির প্রকোপ বেশি হলে প্রাণী চিকিৎসকদের পরামর্শ নেওয়াই উত্তম।

হাট থেকে পশু কিনে আনার পর পশুর সামনে স্যালাইনযুক্ত পানি দিন। পশুর কোনো অসুস্থতা পরিলক্ষিত হলে ভেটেরিনারি ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা দিন। পশুকে ভাতের মাড় বা কাঠাঁলের চোবড়া বেশি খাওয়াবেন না, এতে করে পশুর পেটে গ্যাস জমা হয়ে পেট ফুলে যেতে পারে।

কোরবানির পশু কেনার পর আমাদের দেশে বেশিরভাগ মানুষই পশুর প্রতি বেশি দরদ দেখাতে গিয়ে জবাইয়ের পূর্বে বেশি করে খাবার খাওয়ায়, যা বিজ্ঞানসম্মত নয়। এতে করে মাংসের গুণগত মান কমে যেতে পারে৷ পশু জবাইয়ের ১২ ঘন্টা পূর্ব থেকে পশুকে কোনো খাবার না দেওয়াই ভালো এবং বেশি করে পানি খাওয়াতে হবে৷ এতে করে চামড়া ছাড়ানো সহজ হবে৷

লেখকঃ
ডাঃ আবদুর রহমান (রাফি)
বি. এস. সি. ভেট সায়েন্স এন্ড এ. এইচ.
এম. এস. (ডেইরি সায়েন্স)
প্রয়োজনে: 01987899651

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুন ২০, ২০২৩ ৮:০৭ অপরাহ্ন
বিএলআরআই’তে প্রকল্প সমাপনী কর্মশালা ও অগ্রগতি পর্যালোচনা কর্মশালা অনুষ্ঠিত
প্রাণিসম্পদ

বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএলআরআই) এ গত ১৮/০৬/২০২৩ খ্রিঃ তারিখে অনুষ্ঠিত হয় ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগলের জাত সংরক্ষণ ও উন্নয়ন গবেষণা প্রকল্পের প্রকল্প সমাপনী কর্মশালা এবং পোল্ট্রি গবেষণা ও উন্নয়ন জোরদারকরণ প্রকল্পের অগ্রগতি পর্যালোচনা ও পরিকল্পনা কর্মশালা-২০২৩।

প্রধান অতিথি হিসেবে কর্মশালা দুটির উদ্বোধন করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সম্মানিত সচিব ড. নাহিদ রশীদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সম্মানিত অতিরিক্ত সচিব (পরিকল্পনা) জনাব মোঃ তোফাজ্জেল হোসেন। অনুষ্ঠানটির সভাপতিত্ব করেন বিএলআরআই এর মহাপরিচালক ড. এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন।

বেলা তিনটায় পবিত্র কুরআন হতে তিলওয়াত এবং পবিত্র গীতা হতে পাঠের মধ্য দিয়ে ইনস্টিটিউটের চতুর্থ তলার সম্মেলন কক্ষে শুরু হয় দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত কর্মশালা দুটির উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানের শুরুতেই আমন্ত্রিত অতিথিদের উদ্দেশ্যে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন ইনস্টিটিউটের পরিচালক (গবেষণা) ড. নাসরিন সুলতানা।

স্বাগত বক্তব্যের পরে ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগলের জাত সংরক্ষণ ও উন্নয়ন গবেষণা প্রকল্পের বাস্তবায়ন অগ্রগতি ও সফলতা তুলে ধরেন প্রকল্পটির প্রকল্প পরিচালক ড. ছাদেক আহমেদ। এর পরে পোল্ট্রি গবেষণা ও উন্নয়ন জোরদারকরণ প্রকল্পের অগ্রগতি ও ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা তুলে ধরেন প্রকল্পটির প্রকল্প পরিচালক ড. সাজেদুল করিম সরকার। বক্তব্য উপস্থাপনের পাশাপাশি এসময় সংশ্লিষ্ট প্রকল্প দুটির উপরে নির্মিত ভিডিও ডুকমেন্টারিও উপস্থাপন করা হয়।

বক্তব্য ও ভিডিও ডুকমেন্টারি উপস্থাপনের পরে অনুষ্ঠিত হয় প্রকল্প দুটির উপরে বিশেষজ্ঞ মতামত প্রদান পর্ব। এসময় ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগলের জাত সংরক্ষণ ও উন্নয়ন গবেষণা প্রকল্পের উপর আলোচনা করেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পশু প্রজনন ও কৌলিবিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর ড. ইয়াহিয়া খন্দকার। পোল্ট্রি গবেষণা ও উন্নয়ন জোরদারকরণ প্রকল্পের উপর আলোচনা করেন কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশনের পরিচালক ও বিএলআরআই এর সাবেক মহাপরিচালক ড. নাথু রাম সরকার এবং বিএলআরআই এর সাবেক মহাপরিচালক ড. কাজী মোঃ এমদাদুল হক।

বিশেষজ্ঞ মতামত প্রদানের পরে শুরু হয় উন্মুক্ত আলোচনা পর্ব। উন্মুক্ত আলোচনা পর্বটি সঞ্চালনা করেন বিএলআরআই এর মহাপরিচালক ড. এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন। এসময় বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আগত আমন্ত্রিত শিক্ষকগণ, বিভিন্ন দপ্তর/সংস্থা ও মন্ত্রণালয় হতে আগত কর্মকর্তাগণসহ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিশেষজ্ঞগণ তাদের মতামত ব্যক্ত করেন ও প্রশ্ন উত্থাপন করেন।

উন্মুক্ত আলোচনা পর্ব সমাপ্তির পর অনুষ্ঠিত হয় আমন্ত্রিত অতিথিদের বক্তব্য প্রদান পর্ব। এসময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সম্মানিত সচিব ড. নাহিদ রশীদ বলেন, প্রকল্প বাস্তবায়নে সফলতার সাথে সাথে ব্যর্থতার দিকসমূহও তুলে ধরতে হবে। প্রকল্প যখন গ্রহণ করা হবে তখন যেনো দেশের স্বার্থ রক্ষার জন্য প্রকল্প গ্রহণ করা হয়, ব্যক্তিগত স্বার্থ রক্ষার জন্য যেনো প্রকল্প গ্রহণ করা না হয়। প্রকল্প সমাপ্তির সাথে সাথে সব শেষ নয়, বরং এর ওয়ে ফরোয়ার্ড থাকতে হবে।

এসময় গবেষণা ও সম্প্রসারণের মধ্যে সমন্বয় স্থাপনের গুরুত্ব তুলে ধরে তিনি আরও বলেন, গবেষণার সাথে সম্প্রসারণের সংযোগ থাকতে হবে। বিএলআরআই এর প্রযুক্তি বা প্রোডাক্ত প্রান্তিক খামারিদের নিকট নিতে হবে। গবেষণা কেনো সম্প্রসারণ হচ্ছে না সেটি খুঁজে বের করতে হবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুন ২০, ২০২৩ ১২:১৬ অপরাহ্ন
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রীর সাথে বাফিটা’র নব-নির্বাচিত কার্য্যনির্বাহী প্রতিনিধিদের সৌজন্য সাক্ষাৎঅনুষ্ঠিত
প্রাণিসম্পদ

বাফিটা’র সভাপতি জনাব সুধীর চৌধুরী এর নেতৃত্বে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ সচিবালয়ে মাননীয় মন্ত্রী মহোদয়ের অফিস কক্ষে গত ১৪ জুন বাফিটা’র নব-নির্বাচিত কার্য্যনির্বাহী প্রতিনিধিদের সৌজন্য সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়। মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় ও উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় শেষে সভায় প্রাণিজসম্পদ বিষয়ক প্রাণবন্ত ও স্বার্থ সংশ্লিষ্ট আলোচনা করা হয়।

বাংলাদেশ এগ্রো ফিড ইনগ্রিডিয়েন্টস ইম্পোর্টার্স এন্ড ট্রেডার্স এসোসিয়েশন এর নব-নির্বাচিত সভাপতি জনাব এ. এম আমিরুল ইসলাম ভূঁইয়া, সহ-সভাপতি জনাব গিয়াসউদ্দিন খান, মহাসচিব জনাব জয়ন্ত কুমার দেব, যুগ্ন-মহাসচিব জনাব মাহবুবুল আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক জনাব আলতাফ হোসেন বিশ্বাস, সমাজকল্যান সম্পাদক জনাব মুহাম্মাদ শাহ আকরাম, ট্রেজারার জনাব খোরশেদ আলম, প্রচার সম্পাদক জনাব আব্দুর রহমান, কার্য্যনির্বাহী সদস্য জনাব ডাঃ রাশেদুল জাকিরসহ এসোসিয়েশনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

 

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop