২:৪৩ পূর্বাহ্ন

বুধবার, ১ মে , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : জুন ২, ২০২৩ ৭:৫৫ অপরাহ্ন
লাম্পী স্কীন রোগে মারা যাচ্ছে গরু, আতঙ্কে খামারিরা!
প্রাণিসম্পদ

শেরপুর জেলা ( উত্তর )’এ লাম্পী স্কীন রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছে গরু। দ্রুত রোগ ছড়িয়ে পড়ায় আতংকিত হয়ে পড়েছে কৃষক ও খামারিগণ। সম্প্রতি গারো পাহাড়ের ঝিনাইগাতী উপজেলার বিভিন্ন গ্রামেও এ রোগটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে বলে খবর পাওয়া গেছে। এরই মধ্যে উপজেলার সাড়ি কালিনগর গ্রামের কৃষক আলহাজ¦, শরীফ উদ্দিন সরকারের ১টি গাভি ও প্রতাব নগর গ্রামের ডা: আব্দুল বারীর একটি বাছুর গরুসহ বিভিন্ন গ্রামে অনেক গরু মারা গেছে বলে খবর পাওয়া গেছে।

জানা গেছে উপজেলার প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই গরু এ রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। পাহাড়ি এলাকায় ও এ রোগের ব্যাপকতার ও খবর পাওয়া গেছে। একটি বাছুর গরু আক্রান্ত হয়েছে মো: সাদা মিয়া, গ্রাম বন্দভাটপাড়া ( মাটিয়া পাড়া ) এ পর্যন্ত তার কয়েক হাজার টাকা খরচ হয়ে গেছে চিকিৎসা বাবদ। এ ছাড়া চাপা ঝুড়া গ্রামের আজমত আলীর গরু আক্রান্ত হয়েছে। বন্দভাট পাড়ার সোহবার উদ্দিন কাজির গাভি ও বাছুর মারা গেছে। তা ছাড়া সাড়ি কালিনগর গ্রামের সোলায়মানের গরু আক্রান্ত হয়েছে। জানা গেছে পাহাড়ি এলাকাসহ উপজেলার প্রায় বাড়িতেই আক্রান্ত হচ্ছে গরু।

অপর দিকে শেরপুর উত্তরের শ্রীবরদী ও নালিতাবাড়ী উপজেলায় ও ছড়িয়ে পড়েছে এ রোগ। নালিতাবাড়ী উপজেলা থেকে সংবাদ কর্মি আমিরুল ইসলাম এই প্রতিবেদককে জানান, উপজেলার নয়াবিল ইউনিয়নের দাওয়াকুড়া গ্রামের কৃষক আবু সাইদের প্রায় ৩০-৩২ হাজার টাকা মুল্যের একটি বকনা বাছুর মারা গেছে। একই গ্রামের কৃষক আবদুল মতিনের প্রায় ৮০-৮২ হাজার টাকা মুল্যের একটি গাবিন গরু ও আন্ধারুপাড়া গ্রামের কৃষক মনিরুজ্জামান মানিকের প্রায় ৫০-৫২ হাজার টাকা মুল্যের ১টি ষাঁড় বাছুর গরু মারা গেছে। রোগটি নালিতাবাড়ী উপজেলাসহ গোটা শেরপুর ( উত্তর ) ঝিনাইগাতী, নালিতাবাড়ী ও শ্রীবরদী অঞ্চলে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েছে কৃষক ও খামাড়িগণ। রোগ প্রতিরোধে জরুরী ভিত্ততে আক্রান্ত এলাকা শেরপুর ( উত্তর )’র উপজেলাগুলোর গবাদিপশুকে দ্রæত ভ্যাকসিন প্রয়োগের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসি।

জানা গেছে, প্রায় ৩ মাস আগে নালিতাবাড়ী উপজেলার ভোক্তভোগী কৃষকরা তাদের গরুর শরীরে প্রথম লাম্পী স্কীন রোগের উপস্থিতি টের পান। রোগে আক্রান্ত গরুর শরীরে গুটি বের হয়ে শরীর ফুলে যায় পচন ধরে ও রক্ত বের হয়। গরুর শরীর গরম থাকে। খাওয়া দাওয়া ছেড়ে দেয়। সঠিক চিকিৎসা না নিলেই মারা যায়। বর্তমানে এ রোগ আস্তে আস্তে নালিতাবাড়ী উপজেলা ও পাশ্বরবতী ঝিনাইগাতী ও শ্রীবরদী উপজেলায় ছড়িয়ে পড়ায় আতংকে রয়েছেন কৃষক ও খামারিগণ। নালিতাবাড়ী উপজেলার পোড়াগাঁও ইনিয়নের পলাশীকুড়া গ্রামের ক্ষদ্র খামারি কৃষাণী মরিয়ম বেগম ইনকিলাবকে বলেন, তার খামারে ১১টি গরু রয়েছে। এর মধ্যে দেড় বছর বয়সী ১ টি ষাড় বাছুর গরু লাম্পী স্কীন রোগে আক্রান্ত হয়েছে। এ পর্যন্ত তার প্রায় ৬ হাজার টাকা চিকিৎসা বাবদ খরচ হয়েছে। এমতাবস্থায় দুশ্চিন্তায় রয়েছেন তিনি। ক্ষদ্র খামারি কৃষক আন্ধারুপাড়া গ্রামের লালচাঁন মিয়ার ৩টি ষাঁড় গরু আক্রান্ত হলে চিকিৎসায় ১টি সুস্থ হলেও ২ ষাঁড় গরুর চিকিৎসা এখন ও চলছে।

এছাড়া ওই এলাকার কৃষক রুহুল আমীনের ১টি, মুনসুর আলীর ১টি ও পলাশীকুড়া গ্রামের কৃষাণী আম্বিয়া খাতুনের ১টি গরুর চিকিৎসা চলছে। তারা বলেন, লাম্পী স্কীন রোগ যাতে আর না ছড়ায় তার জন্য জরুরি ভিত্তিতে আক্রান্ত এলাকার গবাদিপশুদেরকে ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা দরকার।

ঝিনাইগাতী, শ্রীবরদী ও নালিতাবাড়ী উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তারা বলেন, লাম্পী স্কীন ডিজিস মাছির মাধ্যমে ছড়ায়। তাই এই রোগে আক্রান্ত গবাদিপশুকে আলাদা করে মশারীর ভেতর রাখতে হবে। পাশাপাশি আক্রান্ত হওয়ার আগেই সরকারি ভ্যাকসিন না পেলে নিজ উদ্যোগে বেসরকারি কোম্পানির ভ্যাকসিন প্রয়োগ করতে হবে। এছাড়া অবস্থা বুঝে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দিতে হবে। তাহলে কৃষকের ক্ষতির সম্ভবনা কম।’

’ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ( ইউএনও ) মো: ফারুক আল মাসুদ জানান, আমাদের উপজেলায় ও ইদানিং লাম্পি স্কিন রোগের প্রদুর্ভাবের খবর পাওয়া যাচ্ছে। যেহেতু মাছির মাধ্যমে রোগটি ছড়ায় সেজন্য কৃষক ও খামারিদের আক্রান্ত পশু অবশ্যই মশারির নিচে রাখতে হবে যাতে মাছি বসতে না পারে। তার পর ও পশু সম্পদ বিভাগকে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে বলা হয়েছে।’

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মে ৩১, ২০২৩ ৭:৫৩ অপরাহ্ন
গবাদিপশুকে কৃমি মুক্ত রাখার উপায়
প্রাণিসম্পদ

বর্তমানে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে গবাদিপশু পালন লাভজনক ও বেকার সমস্যা সমাধানের একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হওয়ার ক্ষমতা রাখে। কিন্তু আমাদের খামারিরা গবাদিপশু পালন করতে গিয়ে একটি সমস্যার সম্মুখীন হয়, তা হলো পরজীবী বা কৃমি। কৃমি এক ধরনের পরজীবী যা পশুর ওপর নির্ভর করে জীবন ধারণ করে। তারা পশুর অন্ত্রে, ফুসফুসে, লিভারে, চোখে, চামড়ায় বাস করে ও পশুর হজমকৃত খাবারে ভাগ বসিয়ে পশুর ব্যাপক ক্ষতিসাধন করে। অনেক কৃমি পশুর রক্ত চুষে ও আমিষ খেয়ে পশুকে দুর্বল ও স্বাস্থ্যহীন করে ফেলে।

পরজীবী সাধারণত দুই ধরনের-
১. দেহের ভেতরের পরজীবী
২. দেহের বাইরের পরজীবী।

একটি পরিসংখ্যানে দেখা যায়, দেশের প্রাণিসম্পদ হাসপাতালগুলোতে গত বছর (২০১০) বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত গবাদিপশুর (গরু, ছাগল, ভেড়া) মধ্যে ৫১.৩৬ ভাগ কৃমি বা পরজীবী দ্বারা আক্রান্ত। এর মধ্যে আক্রান্ত গরুর মধ্যে ৬৮.৯২ ভাগ, আক্রান্ত গাভীর মধ্যে ৪৫.১৬ ভাগ, বাছুরের মধ্যে ৫০.০৭ ভাগ, ভেড়ার মধ্যে ৬১.৬৬ ভাগ এবং আক্রান্ত ছাগলের মধ্যে ৩৪.৭৯ ভাগ বিভিন্ন কৃমি বা পরজীবী দ্বারা আক্রান্ত হয়। সুতরাং কৃমি বা পরজীবী আমাদের গবাদিপশু পালনের প্রধান শত্রু। কৃমি বা পরজীবীগুলো হচ্ছে কলিজাকৃমি, পাতাকৃমি, গোলকৃমি, রক্তকৃমি, ফিতাকৃমি, প্রটোজয়া ও বিভিন্ন ধরনের বহিঃপরজীবী উকুন, আঠালী, মাইট ইত্যাদি গবাদিপশুকে আক্রান্ত করে। কৃমির কারণে গাভীর দুগ্ধ উত্পাদন ক্ষমতা কমে যায় অস্বাভাবিকভাবে এবং বাছুরগুলো পেট ফুলে গিয়ে স্বাস্থ্যহীন হয়ে পড়ে। ফলে দুগ্ধ ও মাংস উত্পাদন ক্ষমতা মারাক্তকভাবে ব্যাহত হয়। এর কারণে বিভিন্ন ধরনের ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস, ফাঙ্গাস গবাদিপশুকে আক্রান্ত করার পরিবেশ তৈরি করে।

গবাদিপশুকে কৃমি বা পরজীবী থেকে মুক্ত রাখার উপায়গুলো হচ্ছে-
১) গবাদিপশুর বাসস্থানের জন্য নির্ধারিত স্থানের মাটি শুষ্ক ও আশপাশের জমি থেকে উঁচু হওয়া প্রয়োজন। সম্ভব হলে নদীনালা, খালবিল, হাওর-বাঁওড় থেকে দূরে করতে হবে।
২) গবাদিপশুর খামারের আশপাশে যেন বৃষ্টির পানি এবং অন্যান্য বর্জ্য জমে না থাকে ।
৩) খামারের জন্য নির্ধারিত স্থানের মাটিতে বালির ভাগ বেশি হওয়া প্রয়োজন যেন বর্ষাকালে খামারের মেঝে কর্দমাক্ত না হয় ।
৪) পশুর মলমূত্র ও আবর্জনা অল্প সময় পরপর পরিষ্কার করতে হবে। লক্ষ্য রাখতে হবে যেন ঘরে মলমূত্র ও আবর্জনা জমা না থাকে।
৫) খামারের অনেক দূরে পশুর মলমূত্র ও আবর্জনা পুঁতে রাখতে হবে।
৬) গবাদিপশুর বাসস্থান প্রতিদিন আদর্শ ডিটারজেন্ট দিয়ে ধুয়ে এবং জীবাণুনাশক মেশানো পানি দিয়ে জীবাণুমুক্ত করতে হবে।
৭) তিন মাস অন্তর গবাদিপশুকে কৃমিনাশক ওষুধ খাওয়াতে হবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মে ২৭, ২০২৩ ৬:২০ অপরাহ্ন
রোটার‍্যাক্ট ক্লাব অব ঢাকা মিড সিটি গ্রীনের উদ্যোগে “ফ্রি র‍্যাবিস ভ্যাক্সিনেশন” ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত
প্রাণিসম্পদ

আজ শনিবার রাজধানী ঢাকায় রোটার‍্যাক্ট ক্লাব অব ঢাকা মিড সিটি গ্রীনের উদ্যোগে “ফ্রি র‍্যাবিস ভ্যাক্সিনেশন” ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হয়েছে। খিলগাঁওয়ের বায়োকেয়ার পেট জোন ও ভেটেরিনারি হাসপাতালে Rotaract District 3281 এর “District Disease Prevention and Treatment Committee” এর উদ্যোগে পোষা প্রাণীর “ফ্রি র‍্যাবিস ভ্যাক্সিনেশন” প্রোগ্রামের আয়োজন করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বায়োকেয়ার পেট জোনের চীফ ভেটেরিনারিয়ান রোটারিয়ান ড. মোঃ রফিকুল ইসলাম, ভেটেরিনারিয়ান ডাঃ রোমানা আফরোজ, রোটার‍্যাক্ট ক্লাব অব ঢাকা মিড সিটি গ্রীনের সাবেক প্রেসিডেন্ট রোটার‍্যাক্টর রাহবার করিম চৌধুরী এবং রোটার‍্যাক্টর ভেটেরিনারিয়ান ডাঃ আবদুর রহমান রাফি, বর্তমান প্রেসিডেন্ট রোটার‍্যাক্টর ভেটেরিনারিয়ান ডাঃ মোঃ আরিফুর রহমান, প্রেসিডেন্ট ইলেক্ট রোটার‍্যাক্টর আবুল হাসনাত, সেক্রেটারি ইলেক্ট রোটার‍্যাক্টর তন্ময় দত্ত, রোটার‍্যাক্টর নুরুজ্জামান নুরেক, রোটার‍্যাক্টর অজয় পাল, রোটার‍্যাক্টর শাখী রেজওয়ানা ঐশী, রাসেল ঈশান, সুমাইয়া সুলতানা লাবন্যা এবং রাজমিন বেগম।

এ সময় ফ্রি র‍্যাবিস ভ্যাক্সিনেশনের পাশাপাশি বিভিন্ন পরামর্শ প্রদান করা হয় এবং ভ্যাক্সিনেশন সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়। এ আয়োজনে পোষাপ্রাণী মালিকরা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন এবং ভবিষ্যতে এ আয়োজন অব্যাহত রাখার জন্য অনুরোধ করেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মে ২৫, ২০২৩ ৯:০১ পূর্বাহ্ন
গবাদিপশুর দানাদার খাদ্য ব্যবহারে যা করবেন
প্রাণিসম্পদ

আমরা গবাদিপশুর পুষ্টি চাহিদা মেটানোর জন্য দানাদার খাবারের সাথে বিভিন্ন প্রকার ভিটামিন ও মিনারেল ফুড সাপ্লিমেন্ট হিসেবে দিয়ে থাকি। এই গবাদিপশুর খাদ্য হিসেবে দানাদার খাদ্যের প্রচলন আমাদের দেশে ব্যাপক। তবে শুধুই দানাদার খাদ্য গবাদিপশুর প্রকৃত খাবার নয়।

দানাদার খাদ্য ব্যবহারের কৌশল:

শুরুতেই যে বীজগুলো(যেমন- গম, ভুট্টা ইত্যাদি) অঙ্কুরিত করবেন সেগুলো ভালভাবে পানিতে ধুয়ে নিন। এরপর একটি পাত্রে পরিস্কার পানিতে বীজ গুলোকে গমের ক্ষেত্রে ৮-১২ঘণ্টা এবং ভুট্টার ক্ষেত্রে ২০-২৪ ঘন্টা ভিজিয়ে রাখতে হবে।

এভাবে ভিজিয়ে রাখার পর বীজগুলোকে পুনরায় পানিতে কয়েকবার করে ধুয়ে নিন এবং শষ্যদানা থেকে পানি ছেঁকে নিন।
এবারে একটি পরিষ্কার কাপড় ভিজিয়ে নিন এবং এটি দিয়ে বীজসমৃদ্ধ পাত্রটি ঢেকে ফেলুন অথবা ভেজা কাপড় দিয়ে শষ্যদান পুটলি বেধে ছায়াযুক্ত এমন একটি স্থানে রেখে দিন যেখানে তাপমাত্রা খুব বেশি নয়।

এভাবে ২৪ ঘন্টার মধ্যেই আপনার শষ্যদানা অঙ্কুরিত হবে।এবার অঙ্কুরিত শস্যদানা ধুয়ে নিয়ে গবাদীপশুকে পরিবেশন করুন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মে ২৪, ২০২৩ ১০:১৩ পূর্বাহ্ন
ছাগল পালনে কাঁচা ঘাস খাওয়ানোর উপকারিতা
প্রাণিসম্পদ

গরু-ছাগল পালন এখন একাংশ মানুষ তাদের অর্থনৈতিক চাকা পরিবর্তনের হাতিয়ার হিসাবে নিয়েছেন। বিশেষ করে কম দামে কিনতে পাওয়া যায় ছাগল। যা মোটামুটি গ্রামের প্রতিটা কৃষকের আছে। তারা ছাগল পালনে বড় কিছু করার প্রত্যাশায় এতে শ্রম দিয়ে থাকে। তবে এই শ্রমকে সফল করতে লাগবে অনেকগুলো পদ্ধতি। তম্মধ্যে অন্যতম হলো ছাগলকে খাওয়াতে হবে নিয়মিত কাঁচা ঘাস। কারণ ছাগলকে কাঁচা ঘাস খাওয়ালে ছাগল শারীরিকভাবে সুস্থ থাকে। এছাড়াও ছাগলকে কাঁচা ঘাস খাওয়ালে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে নানা উপকার পাওয়া যায়।

ছাগলকে কাঁচা ঘাস কেন খাওয়ানো প্রয়োজন:

১। মনে রাখবনে কাঁচা ঘাস কিনতে হয় না। এটি তৈরি হয় প্রাকৃতিক উপায়ে। যার কারণে এতে খরচ নেই বললেই চলে। আর তাই অর্থনৈতিক দিক বিবেচেনায় ছাগলকে কাঁচা ঘাস খাওয়ানো উচিত।

২। নিয়মিত ছাগলকে কাঁচা ঘাস খাওয়ালে দুধ উৎপাদন বৃদ্ধি পায় এবং ছাগলের শারীরিক পুষ্টি চাহিদা পূরণ হয় এবং ছাগল বেশি পরিমাণ দুধ প্রদান করতে সক্ষম হয়ে থাকে।

৩। ছাগলকে কাঁচা ঘাস খাওয়ালে ছাগল বাচ্চা জন্ম দেওয়ার সময় বাচ্চা মৃত্যুর হার অনেকগুনে কমে যায়। নিয়মিত কাঁচা ঘাস খাদ্য হিসেবে ছাগলকে খাওয়ালে বাচ্চার মৃত্যু কম হয়।

৪। ছাগলকে কাঁচা ঘাস খাওয়ালে ছাগলের শরীর সঠিক সময়ে প্রজননে সক্ষম হয়। এর ফলে ছাগলের প্রজননের জন্য কৃত্রিম পদ্ধতি প্রয়োগ করে সফল হওয়া যায়।

৫। ছাগলকে কাঁচা ঘাস খাওয়ালে ছাগলকে দানাদার খাদ্য কম দেওয়া লাগে। সেজন্য ছাগলকে দানাদার খাদ্য প্রদান করতে হয় না। তাই ছাগলের জন্য দানাদার খাদ্য কেনার টাকা বেঁচে যায়।

৬। ছাগলকে নিয়মিত কাঁচা ঘাস খাওয়ালে ছাগল যখন বাচ্চা জন্ম দেয় তখন বাচ্চার ওজন সঠিক পাওয়া যায়। বাচ্চা সুস্থ সবল হয়ে জন্ম নেয়।

৭। কাঁচা ঘাস ছাগলকে নিয়মিত খাওয়ালে ছাগলের মৃত্যুর হার অনেকগুনে কমে যায়। কাঁচা ঘাস ছাগলকে নিয়মিত খাওয়ালে ছাগলের জীবনীশক্তি বৃদ্ধি পায়। আর এর ফলে ছাগল অকালে মরা থেকে রক্ষা পায়।

৮। ছাগলকে কাঁচা ঘাস খাওয়ালে ছাগলের চিকিৎসা খরচ অনেকগুনে কমে যায়। কাঁচা ঘাস খাওয়ার ফলে ছাগল জটিল কোন রোগের দ্বারা আক্রান্ত হয়না। এর ফলে ছাগলের চিকিৎসার খরচ বেঁচে যায়।

ঘাস চাষ:
ছাগলের জন্য ইপিল ইপিল, কাঁঠাল পাতা, খেসারি, মাসকলাই, দুর্বা, বাকসা ইত্যাদি দেশি ঘাসগুলো বেশ পুষ্টিকর। এছাড়া উচ্চফলনশীল নেপিয়ার, স্পেনডিডা, এন্ড্রোপোগন, পিকাটউলুম ইত্যাদি ঘাস চাষ করা যায়।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মে ১১, ২০২৩ ৩:৪৮ অপরাহ্ন
নিষিদ্ধকালে সমুদ্রে মৎস্য আহরণ বন্ধে মনিটরিং জোরদার করতে হবে: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
প্রাণিসম্পদ

বাংলাদেশের সামুদ্রিক জলসীমায় নিষিদ্ধকালে মৎস্য আহরণ বন্ধে মনিটরিং জোরদারের নির্দেশনা দিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

বৃহস্পতিবার (১১ মে) সচিবালয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত মোট ৬৫ দিন বাংলাদেশের সামুদ্রিক জলসীমায় সকল প্রকার মৎস্য নৌযান দিয়ে যেকোন প্রজাতির মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধ কার্যক্রম বাস্তবায়ন সংক্রান্ত প্রস্তুতিমূলক সভায় নিষিদ্ধকাল বাস্তবায়নে সম্পৃক্তদের এ নির্দেশনা দেন মন্ত্রী। সভায় মন্ত্রী সভাপতিত্ব করেন।

এ বিষয়ে মন্ত্রী আরো বলেন, সমুদ্রগামী সকল প্রকার মৎস্য নৌযান ট্র্যাকিং এর আওতায় আনা হচ্ছে। নিষিদ্ধকালে আমাদের সমুদ্রসীমায় কোনভাবেই যেন বিদেশি নৌযান প্রবেশ করে মাছ ধরতে না পারে সে বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে হবে। আমাদের নৌবাহিনী ও কোস্ট গার্ডের সক্ষমতা অনেক বেড়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের প্রায় সমপরিমাণ জলসীমা অর্জিত হয়েছে। এ জলসীমায় পূর্বের চেয়ে গতবছর নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড, নৌপুলিশ, র‌্যাবসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্যরা মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধকাল বাস্তবায়নে অনেক সাফল্য দেখিয়েছে। এ সাফল্য এবারও ধরে রাখতে হবে। তবে কখনো কখনো দুর্বৃত্তরা বেপরোয়া হয়ে উঠে, এ বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।

মন্ত্রী আরো বলেন, মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধ কার্যক্রম বাস্তবায়ন এলাকায় বরফকল বন্ধ রাখা গেলে এবং কঠোরভাবে বাজার তদারকি করতে পারলে নিষিদ্ধ সময়ে মৎস্য আহরণ বন্ধ করা যাবে। এ জন্য সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকা, বাজার ও বরফকল কঠোর মনিটরিংয়ের আওতায় আনতে হবে।

তিনি আরো যোগ করেন, সামুদ্রিক জলসীমায় ৬৫ দিন মৎস্য আহরণ বন্ধ রাখলে সামুদ্রিক মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে। সমুদ্রে মাছ বড় হলে মৎস্যজীবীরাই লাভবান হবেন। সমুদ্রগামী জেলেরাই এ মাছ আহরণ করবে। ফলে তাদের স্বার্থেই নিষিদ্ধকালে মৎস্য আহরণে তাদের নিবৃত্ত করতে হবে। মাছের উৎপাদন বাড়লে দেশের মানুষের মাছের চাহিদা মেটাতে পর্যাপ্ত মাছ পাওয়া যাবে। খাবারের একটি বড় যোগান আসবে এ মাছ থেকে। তাই মাছ নিধন করলে খাবারের যোগান নষ্ট হবে। মৎস্য খাতে সম্পৃক্ত জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থান ব্যাহত হবে। এজন্য দেশের মৎস্য খাতকে সম্মিলিতভাবে পরিচর্যা করতে হবে।

শ ম রেজাউল করিম আরো বলেন, নিষিদ্ধকাল বাস্তবায়নে জনপ্রতিনিধিদেরও সম্পৃক্ত করা হবে। তাদের মাধ্যমে এ বিষয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করা হবে। সমুদ্রে মৎস্য আহরণ বন্ধ থাকাকালে সে সব এলাকার মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের শ্রমিকসহ অন্যান্যদের সরকারি সহায়তার আওতায় আনার পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

৬৫ দিন সমুদ্রে মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধকালে মৎস্য অধিদপ্তরের মাঠ পর্যায়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের অন্যান্য সময়ের চেয়ে বেশি তৎপর থাকার জন্য এ সময় নির্দেশনা দেন মন্ত্রী।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. নাহিদ রশীদ, অতিরিক্ত সচিব এ টি এম মোস্তফা কামাল, আব্দুল কাইয়ূম ও মো. তোফাজ্জেল হোসেন, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. ইয়াহিয়া মাহমুদ, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খ. মাহবুবুল হক, মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব (ব্লু ইকোনমি) ড. আবু নঈম মুহাম্মদ আবদুছ ছবুর, চট্টগ্রাম, খুলনা ও বরিশালের বিভাগীয় কমিশনারগণ, সমুদ্র উপকূলীয় ১৪ জেলার জেলা প্রশাসকগণ, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, সশস্ত্রবাহিনী বিভাগ, জননিরাপত্তা বিভাগ, বাংলাদেশ নৌবাহিনী, বাংলাদেশ কোস্টগার্ড, নৌপুলিশ, র‌্যাব, বন বিভাগ এবং মৎস্য অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ, মেরিন ফিশারিজ অ্যাসোসিয়েশন ও মৎস্যজীবী সমিতির প্রতিনিধিগণ সভায় অংশগ্রহণ করেন।

গতবছরের ন্যায় এবারও বাংলাদেশের সামুদ্রিক জলসীমায় মাছের সুষ্ঠু প্রজনন, উৎপাদন, সামুদ্রিক মৎস্যসম্পদ সংরক্ষণ এবং টেকসই মৎস্য আহরণের জন্য ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত মোট ৬৫ দিন সকল প্রকার মৎস্য নৌযান কর্তৃক যে কোন প্রজাতির মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধ থাকবে। গতবছর ২৪ এপ্রিল সামুদ্রিক মৎস্য আইন ২০২০ এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। উপকূলীয় বিভাগ চট্টগ্রাম, বরিশাল ও খুলনার ১৪ টি জেলার ৬৭ টি উপজেলা ও চট্টগ্রাম মহানগরে মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধের এ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হবে। নিষিদ্ধকাল বাস্তবায়নকালে ৩ লাখ ১১ হাজার ৬২ জন সমুদ্রগামী জেলের জন্য ১ম ধাপে ১৭ হাজার ৪১৯ মেট্রিক টন ভিজিএফ চাল ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকদের অনুকূলে বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে। এ সময় ভিজিএফ-এর পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থানের জন্য সরকার উপকরণ সহায়তা প্রদান করবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মে ৮, ২০২৩ ১২:০৪ পূর্বাহ্ন
দৈনিক ৩ লিটার দুধ দিচ্ছে ১০ মাসের বাছুর
প্রাণিসম্পদ

সাধারণত একটি সুস্থ ও স্বাভাবিক গাভী বাচ্চা প্রসবের পর দুধ দিলেও মাত্র ১০ মাসের একটি বকনা বাছুর দৈনিক দুধ দিচ্ছে য়াড়াই থেকে তিন লিটার। এমনি একটি চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার নিকরাইল ইউনিয়নের নলছিয়া গ্রামের আব্দুস সালামের বাড়ীতে। অলৌকিক বাছুরটিকে একনজর দেখতে দিনভর ভিড় করছেন উৎসুক সব বয়সী মানুষজন।

জানা যায়, ৭-৮ মাস আগে ১ লাখ ৩ হাজার টাকায় বাছুরসহ একটি গাভি গরু কিনে লালন-পালন করেন। পরবর্তীতে ১০ মাস বয়সী বাছুরটির ওলান অস্বাভাবিকভাবে ফুলে যাওয়া লক্ষ্য করা যায়। পরবর্তীতে বাছুটির দুধ দোহন করা শুরু করলে দুধ বের হতে থাকে। প্রথম কয়েক দিন আধা লিটার দুধ পেলেও বর্তমানে বাছুরটি প্রতিদিন পায় ৩ লিটার দুধ দিচ্ছে বলে জানিয়েছেন খামারি ।

ভূঞাপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. সুকুমার চন্দ্র দাস বলেন, হরমোনজনিত কারণে এমনটা হতে পারে। এ ধরনের ঘটনা সচরাচর ঘটে না। রঙ-স্বাদ ও গুণগত মান ঠিক থাকলে যে কেউ দুধ পান করতে পারবেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মে ৫, ২০২৩ ১১:১২ অপরাহ্ন
ছাগল পালনে ঝুঁকছেন চরাঞ্চলের নারীরা!
প্রাণিসম্পদ

কুড়িগ্রামে নদীর তীরবর্তী চরাঞ্চলের নারীরা ছাগল পালনে ঝুঁকছেন। বর্তমানে দেশের অনেক নদী পানিশুণ্য হয়ে গেসে। ধীরে ধীরে দেশি মাছও হারিয়ে যাচ্ছে। এরমধ্যে চরাঞ্চলে জনপ্রিয়তা পাচ্ছে ছাগল পালন। চরে বসবাসরত নারীরা ছাগল পালনে আগ্রহী হচ্ছেন। পাশাপাশি এই পশু পালনে অনেকে স্বাবলম্বীও হয়েছেন।

জানা যায়, কুড়িগ্রাম জেলায় ধরলা, তিস্তা, ব্রহ্মপুত্র ও দুধকুমরসহ ছোট বড় মোট ১৬টি নদ-নদী রয়েছে। এইসব নদীর তীরে প্রায় ৫ লক্ষাধিক মানুষের বসবাস। চরে বসবাসরত অধিকাংশ চাষিরা সরকারি ও বেসরকারি সহযোগিতায় চাষাবাদ ও ছাগল পালন করে স্বাবলম্বী হয়েছেন। এতে চরের কৃষক ও তাদের পরিবারের জীবন যাত্রার মান পরিবর্তন হয়েছে।

থেতরাই ইউনিয়নের তিস্তার চরের গৃহবধূ মাজেদা বেগম বলেন, আমি ৪ বছর আগে স্থানীয় একটি উন্নয়ন সংস্থার সহযোগিতায় ৪ হাজার টাকায় একটি ছাগল কিনে পালন শুরু করি। বর্তমানে আমার ১২ টি ছাগল রয়েছে।

তিনি আরো বলেন, ছাগল বছরে ৩ বার বাচ্চা প্রসব করে। প্রতিবারেই ২-৪ টি বাচ্চা দিয়ে থাকে। আর এর লালন পালন খুবই সহজ। চরে জেগে উঠা ঘাস খেয়েই ছাগল বেড়ে উঠে। অতিরিক্ত খরচের প্রয়োজন পড়ে না।

জোসনা বেগম বলেন, আমরা ছাগল পালনের প্রশিক্ষণ নিয়ে বাঁশ দিয়ে উঁচু জায়গা করে সেখানে পালন করছি। চরের ঘাস ও ছাগলের রোগের জন্য সময় মতো চিকিৎসার ব্যবস্থা করি। ভালো যত্ন নিয়ে চাষ করলে ছাগল পালনে লাভবান হওয়া যায়। কারণ একটি ছাগল বছরে ৩ বার ও প্রতিবারে ৩-৪ টি করে বাচ্চা দিয়ে থাকে।

একই চরের শেরিনা বেগমের স্বামী আজাদুর রহমান বলেন, আগে আমরা যখন ছাগল পালন করতাম তখন বন্যার সময় বিভিন্ন রোগের কারণে ছাগল আক্রান্ত হয়ে মারা যেত। তবে এখন আমরা প্রশিক্ষণ নিয়ে বাঁশের তৈরি করে সেখানে ছাগল পালন করছি। বর্তমানে আমাদের ৬টি ছাগল, ৮টি ভেড়া ও ৬টি গরু রয়েছে। এগুলো পালনেই আমাদের সংসার চলে।

চর এলাকার অধিকাংশ মানুষ আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল হওয়ায় তারা অন্যের জমিতে শ্রমিক হিসেবে কাজ করে সংসার চালাতেন। তবে বর্তমানে তারা ছাগলসহ অন্যান্য গৃহপালিত পশু পালনে সফল হয়ে স্বাবলম্বী হয়েছেন।

কুড়িগ্রাম জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ডা. মোহাম্মদ ইউনুস আলী বলেন, চরাঞ্চল ছাড়া বাকি চাষিরা বিভিন্ন ধরনের সবজি ও ফসলের উৎপাদন করে জেলার চাহিদা পূরণ করেন। আর চরের চাষিরা চাষাবাদ কম করতে পারলেও তারা জেলায় দুধ ও মাংসের চাহিদা পূরণ করছেন। এতে চরের চাষিদের সরকারি ও বেসরাকরী ভাবে সহযোগিতা করা হচ্ছে। এছাড়াও পশু পালনে বিভিন্ন পরামর্শ ও চিকিৎসার সুবিধা দেওয়া হচ্ছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : এপ্রিল ৩০, ২০২৩ ৯:০৬ অপরাহ্ন
কোরবানির ঈদকে ঘিরে গরু মোটাতাজাকরণে ব্যস্ত সিরাজগঞ্জের খামারিরা
প্রাণিসম্পদ

কোরবানি সামনে রেখে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে গরু মোটাতাজাকরণে ব্যস্ত সময় পার করছেন সিরাজগঞ্জের প্রান্তিক খামারিরা। প্রতিবছর গরু মোটাতাজাকরণের মাধ্যমে স্বাবলম্বী হচ্ছেন অসংখ্য বেকার যুবক। এছাড়াও গরু মোটাতাজাকরণ লাভজনক হওয়ায় এ পেশায় ঝুঁকছেন এই অঞ্চলের মানুষেরা।

সিরাজগঞ্জ প্রাণিসম্পদ এর তথ্যানুসারে, চলতি বছরে জেলার ৯টি উপজেলার বিভিন্ন স্থানে গরু মোটাতাজা করা হচ্ছে। চলতি বছর প্রাকৃতিক উপায়ে ধানের খড়, সবুজ ঘাস, বিভিন্ন প্রকারের ভুষি, খৈল ও কিছু ভিটামিন খাইয়ে গরু মোটাতাজাকরণ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রাণিসম্পদ সংশ্লিষ্টরা।

গো-খামারিরা জানান, গরু মোটাতাজাকরণে গত বছরের তুলনায় এ বছর খরচ বেড়েছে। গমের ছাল, এ্যাংকর ডালের ভূষি, ধানের খড় নেপিয়ার ঘাস গত বছরের তুলনায় এবছর কয়েকগুণ বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। গো-খাদ্যের দাম কমানো না হলে খামার রাখা অসম্ভব হয়ে উঠবে।

শাহজাদপুর উপজেলার গাড়াদহ ইউনিয়নের গো-খামারি তারেক বলেন, এ বছর ৪০টি ষাঁড় খামারে মোটাতাজা করা হচ্ছে। ছয় মাস আগে কেনা ষাঁড়গুলোকে আমি সন্তানের মতো দেখাশোনা করছি। আমার খামারের বেশকিছু উন্নতমানের ষাঁড় রয়েছে, যেগুলোর দাম ৩ লাখ টাকা হবে বলে আশা করছি।

কামারখন্দ উপজেলার আলোকদিয়ার গ্রামের খামারি হৃদয় সরকার বলেন, কাচামালের দাম বাড়ার অজুহাতে গো-খাদ্যের দাম বাড়ানো হয়েছে। এতে আমাদের ষাঁড় মোটাতাজা করার ব্যয় বেড়ে গেছে। গত বছরের মতো এ বছরেও যদি পশুর হাটে ক্রেতা বা পাইকার আসা-যাওয়ায় কড়াকড়ি আরোপ করা হয় তাহলে ভালো দাম পাওয়া যাবে না। তাতে আমাদের লোকসান হবে

সিরাজগঞ্জ জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ষাঁড় মোটাতাজা করতে খামারিদেরকে বিভিন্ন পরামর্শ দেয়ার পাশাপাশি ক্ষতিকর ওষুধের ব্যবহার বন্ধে পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। ভেজাল খাদ্য যাতে ব্যবহার না হয় তার জন্য মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করছি।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : এপ্রিল ৩০, ২০২৩ ৮:৩৩ অপরাহ্ন
হাতির আক্রমণ হতে মানুষের জানমাল রক্ষায় কাজ করছে সরকার: পরিবেশমন্ত্রী
প্রাণ ও প্রকৃতি

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মোঃ শাহাব উদ্দিন বলেছেন, বন্য হাতির আক্রমণ হতে মানুষের জানমাল রক্ষায় বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণ করছে সরকার। এবিষয়ে বন অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের নির্দেশ প্রদান করে মন্ত্রী বলেন, হাতির গতিবিধি নিয়ন্ত্রণে সোলার ফেন্সিং স্থাপন, সচেতনতা মূলক কর্মসূচি বাস্তবায়নসহ প্রয়োজনীয় অন্যান্য সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। তিনি বলেন, যেকোনো মূল্যেই হোক মানুষের প্রাণ রক্ষা করতে হবে এবং ফসলসহ অন্যান্য ক্ষতি হলে জনগণকে দ্রুততম সময়ে বিধি মোতাবেক ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।

রবিবার পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে পরিবেশমন্ত্রী এ সকল নির্দেশ দেন।

মন্ত্রী এসময় দেশের শব্দদূষণ বন্ধে গণসচেতনতা সৃষ্টির জন্য আরও কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের নির্দেশ প্রদান করেন। তিনি আরও বলেন, বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি রোধে যেকোনো মূল্যেই জলাভূমি সংরক্ষণ করতে হবে এবং হাওর, বাওর, নদী, বিল পুনঃখনন করতে হবে। মন্ত্রী দেশব্যাপী অধিক হারে বৃক্ষরোপণ সহ চলমান উন্নয়ন কার্যক্রম গুণগতমান বজায় রেখে বাস্তবায়ন করার নির্দেশনা প্রদান করেন।

সভায় মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার, সচিব ডক্টর ফারহিনা আহমেদ, অতিরিক্ত সচিব (পরিবেশ ও উন্নয়ন) সঞ্জয় কুমার ভৌমিক, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডক্টর আবদুল হামিদ এবং বন অধিদপ্তরের প্রধান বন সংরক্ষক মোঃ আমীর হোসাইন চৌধুরীসহ বিভিন্ন দপ্তরের প্রধান এবং মন্ত্রণালয়ের উর্ধতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop