১১:৪৫ পূর্বাহ্ন

রবিবার, ৫ মে , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : এপ্রিল ৩০, ২০২৩ ৮:৩৩ অপরাহ্ন
হাতির আক্রমণ হতে মানুষের জানমাল রক্ষায় কাজ করছে সরকার: পরিবেশমন্ত্রী
প্রাণ ও প্রকৃতি

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মোঃ শাহাব উদ্দিন বলেছেন, বন্য হাতির আক্রমণ হতে মানুষের জানমাল রক্ষায় বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণ করছে সরকার। এবিষয়ে বন অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের নির্দেশ প্রদান করে মন্ত্রী বলেন, হাতির গতিবিধি নিয়ন্ত্রণে সোলার ফেন্সিং স্থাপন, সচেতনতা মূলক কর্মসূচি বাস্তবায়নসহ প্রয়োজনীয় অন্যান্য সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। তিনি বলেন, যেকোনো মূল্যেই হোক মানুষের প্রাণ রক্ষা করতে হবে এবং ফসলসহ অন্যান্য ক্ষতি হলে জনগণকে দ্রুততম সময়ে বিধি মোতাবেক ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।

রবিবার পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে পরিবেশমন্ত্রী এ সকল নির্দেশ দেন।

মন্ত্রী এসময় দেশের শব্দদূষণ বন্ধে গণসচেতনতা সৃষ্টির জন্য আরও কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের নির্দেশ প্রদান করেন। তিনি আরও বলেন, বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি রোধে যেকোনো মূল্যেই জলাভূমি সংরক্ষণ করতে হবে এবং হাওর, বাওর, নদী, বিল পুনঃখনন করতে হবে। মন্ত্রী দেশব্যাপী অধিক হারে বৃক্ষরোপণ সহ চলমান উন্নয়ন কার্যক্রম গুণগতমান বজায় রেখে বাস্তবায়ন করার নির্দেশনা প্রদান করেন।

সভায় মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার, সচিব ডক্টর ফারহিনা আহমেদ, অতিরিক্ত সচিব (পরিবেশ ও উন্নয়ন) সঞ্জয় কুমার ভৌমিক, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডক্টর আবদুল হামিদ এবং বন অধিদপ্তরের প্রধান বন সংরক্ষক মোঃ আমীর হোসাইন চৌধুরীসহ বিভিন্ন দপ্তরের প্রধান এবং মন্ত্রণালয়ের উর্ধতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : এপ্রিল ২৯, ২০২৩ ৫:১৩ অপরাহ্ন
দুই মাসে একই গ্রামে ২৫টি গরু চুরি
প্রাণিসম্পদ

নাটোরের ছাতনী গ্রামের আসকান আলী নামের এক কৃষকের বাড়ি থেকে বৃহস্পতিবার রাতে চুরি হয়েছে চারটি গরু। এ নিয়ে গত দুই মাসে একই গ্রামের বিভিন্ন পাড়া থেকে ২৫টি গরু চুরি হয়েছে।

গরু চুরি ঠেকাতে নিজ নিজ বাড়িতে রাত জেগে গরু পাহারা দিচ্ছেন কৃষকরা। তবুও ঠেকানো যাচ্ছে না চুরি। অপরদিকে যে সব লোকের বাড়ি থেকে গরু চুরি হয়েছে সেসব কৃষকেরা চাষাবাদ নিয়ে পড়েছেন মহাবিপাকে।
সদর উপজেলার ছাতনী পালপাড়া এলাকার আসকান আলী বলেন, গরু চুরির ভয়ে রাত জেগে ছিলেন। রাত একটার দিকেও দেখেছেন গরু গোয়ালেই রয়েছে। এরপর রাত তিনটার দিকে ঘুমিয়ে পড়েন তিনি। সকালে উঠে দেখেন গোয়ালে আর গরু নেই। চোরেরা দরজার তালা ভেঙে চারটি গরুই চুরি করে নিয়ে গেছে।

জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ইমরান সোনার বলেছেন, সবার আগে কৃষক। কৃষকদের সমস্যা সমাধানে আমাদের সবাইকে আন্তরিক হতে হবে। যেকোনো মূল্যে এ ধরনের চুরি বন্ধ ও চোরদের আটকের ব্যবস্থা করতে হবে।

নাটোর সদর থানার ওসি নাসিম আহমেদ বলেন, ছাতনী এলাকায় পুলিশি টহল বাড়ানো হয়েছে। পুলিশ গরু চুরির সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের চিহ্নিত করে গ্রেফতারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : এপ্রিল ২৯, ২০২৩ ১২:৩২ অপরাহ্ন
রাজধানীতে “ওয়ার্ল্ড ভেটেরিনারি ডে ২০২৩” উদযাপিত
প্রাণিসম্পদ

আজ ২৯ই এপ্রিল ২০২৩ রোজ শনিবার প্রাণিস¤পদ অধিদপ্তর এর প্রাঙ্গন থেকে বাংলাদেশের সকল স্তরের সাধারণ ভেটেরিনারিয়ান গণকে নিয়ে ওয়ার্ল্ড ভেটেরিনারি ডে ২০২৩ উপলক্ষে এক বর্ণাঢ্য র‌্যালি শুরু করে খামার বাড়ি মোড় প্রদক্ষিণ করে কৃষিবিদ ইন্সটিটিউশন বাংলাদেশ এ এসে শেষ হয়।
র‌্যালি শেষে কৃষিবিদ ইন্সটিটিউশন বাংলাদেশ এর থ্রি-ডি হলে একটি আলোচনা সভা আয়োজিত হয়। উক্ত ওয়ার্ল্ড ভেটেরিনারি দিবস ২০২৩ উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন ডাঃ মোঃ এমদাদুল হক তালুকদার, মহাপরিচালক, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর, বাংলাদেশ।  অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ড. নাহিদ রশিদ, সচিব, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়; কৃষিবিদ প্রফেসর ড. মোঃ শহীদুর রশীদ ভূইয়া, সভাপতি, কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ ও উপাচার্য, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়; কৃষিবিদ প্রফেসর ড. নীতীশ চন্দ্র দেবনাথ, সাবেক উপাচার্য, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এ্যানিম্যাল সাইন্সেস ইউনিভার্সিটি; কৃষিবিদ মোঃ খায়রুল আলম প্রিন্স, মহাসচিব, কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ; কৃষিবিদ ডাঃ মোঃ মনজুর কাদির, সভাপতি, বাংলাদেশ ভেটেরিনারি কাউন্সিল । সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষিবিদ ড. এস এম নজরুল ইসলাম, সভাপতি, বাংলাদেশ ভেটেরিনারি এসোসিয়েশন, কৃষিবিদ ড. মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান মোল্লা, মহাসচিব, বাংলাদেশ ভেটেরিনারি এসোসিয়েশন সহ সারা বাংলাদেশের সাধারণ ভেটেরিনারিয়ানবৃন্দ।

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম তার বক্তব্যে বলেন, ‘‘২০০৯ সালে জনগণের বিপুল রায়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ পুনরায় সরকার গঠন করলে ভেটেরিনারি শিক্ষা ও ভেটেরিনারি পেশার উন্নয়নে নানামুখী কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করে। বিভিন্ন শিক্ষা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানে এবং প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরে গবেষণা, পশুপাখির রোগ নিয়ন্ত্রণ ও উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য আওয়ামী লীগ সরকার অসংখ্য প্রকল্প গ্রহণ করেছে। ভেটেরিনারিয়ানদের দক্ষ ব্যবস্থাপনায় এ সকল প্রকল্প বাস্তবায়নের ফলে দেশে প্রাণিসম্পদের ব্যাপক উন্নয়ন আজ দৃশ্যমান। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দিক নির্দেশনায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় এবং প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর ও সংশ্লিষ্ট বেসরকারি খাতসমূহ নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে যার ফলশ্রুতিতে বাংলাদেশে বিগত এক দশকে প্রাণিসম্পদ খাতে ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। বাংলাদেশ ইতোমধ্যে মাংস ও ডিম উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। চাহিদার তুলনায় দুধ উৎপাদনে কিছুটা পিছিয়ে থাকলেও আশা করা যাচ্ছে ডেইরি সেক্টরে সরকারের গৃহীত নানামুখী পদক্ষেপ ও ডেইরি উদ্যোক্তাদের নিরলস প্রচেষ্টায় স্বল্প সময়ের মধ্যেই বাংলাদেশ দুধ উৎপাদনেও স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করতে সক্ষম হবে। বিগত কয়েক বছর ধরে একটি বিষয় লক্ষণীয় যে, কোরবানীর ঈদের সময় দেশে কোরবানীকৃত পশুর ১০০% চাহিদা দেশে উৎপাদিত প্রাণী দ্বারা পূরণ হয়ে থাকে, এমনকি কিছু পশু উদ্বৃত্ত থেকে যায়। এ বিষয়টি দেশের প্রাণিসম্পদ খাতের ব্যাপক উন্নয়ন নির্দেশ করে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বাংলাদেশ ইতোমধ্যে খাদ্য ঘাটতির দেশ থেকে খাদ্য উদ্বৃত্তের দেশে পরিণত হয়েছে। মাননীয়  প্রধানমন্ত্রীর দিকনির্দেশনায় প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর এখন জনস্বাস্থ্য বিবেচনায় এবং সুস্থ ও মেধাবী জাতি গঠনের জন্য এ দেশের জনগণের নিকট মানসম্পন্ন ও নিরাপদ প্রাণিজাত খাদ্য পৌঁছে দেয়ার জন্য নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। ভেটেরিনারি সার্ভিসকে আরও শক্তিশালি করার জন্য ২০২০ সালে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের অর্গানোগ্রাম পুনর্গঠন করা হয়েছে। নতুন অর্গানোগ্রাম বাস্তবায়নের ফলে অধিক সংখ্যক ভেটেরিনারিয়ানদের ক্যাডার সার্ভিসে প্রবেশের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। তাছাড়া ভেটেরিনারি সার্ভিস জনগণের দোড়গোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার জন্য বাংলাদেশের প্রায় প্রতিটি উপজেলায় মোবাইল ভেটেরিনারি ক্লিনিক প্রদান করা হয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে কৃষিখাতে সর্ববৃহৎ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দিকনির্দেশনায় প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর এখন জনস্বাস্থ্য বিবেচনায় এবং সুস্থ ও মেধাবী জাতি গঠনের জন্য এ দেশের জনগণের নিকট মানসম্পন্ন ও নিরাপদ প্রাণিজাত খাদ্য পৌঁছে দেয়ার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। দেশবাসী লক্ষ্য করেছে যে, করোনাকালীন দেশের প্রাণিসম্পদের উৎপাদনশীলতা ধরে রাখার জন্য ও খামারীদের কথা বিবেচনা করে এবং জনগণের নিকট প্রাণিজ আমিষ পৌঁছে দেওয়ার জন্য ভেটেরিনারিয়ানগন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চিকিৎসা সেবা অব্যাহত রেখেছিল। এসময় এটাও প্রমাণিত হয়েছে যে, ভেটেরিনারি সেবা প্রকৃত অর্থেই জরুরি সেবার অন্তর্ভুক্ত হওয়া উচিত। এ সময় আপনারা ডিম, দুধ ও মাংস বিপণনের কাজ করেছেন। বিষয়টি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে এবংতিনি এ কাজের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। আপনাদের এ কর্মকাণ্ড প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরে একটি বিপণন উইং সৃষ্টির দাবিকে জোরালো করে। ভেটেরিনারি সেবাকে জরুরি ঘোষণা ও প্রাণিসম্পদ বিপণন উইং চালুসহ ভেটেরিনারিয়ানদের পেশাগত ও জাতীয় উন্নয়নে যেকোনো উদ্যোগ গ্রহণ করলে আমি ব্যক্তিগতভাবে এ ব্যাপারে সবসময়ের মতো সর্বোচ্চ সহযোগিতা প্রদানের চেষ্টা করবো।’’

এছাড়া আলোচনা সভায় উপস্থিত অন্যান্য অতিথিবৃন্দ তাদের বক্তব্যে প্রাণিসম্পদে সাধারণ ভেটেরিনারিয়ানবৃন্দের বিভিন্ন অবদান উল্লেখ করেন।বাংলাদেশ ভেটেরিনারি এসোসিয়েশন এর মহাসচিব কৃষিবিদ ড. মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান মোল্লা ভেটেরিনারি সেবাকে জরুরি ঘোষণা ও প্রাণিসম্পদ বিপণন উইং কে চালু করতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনার সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।


ওয়ার্ল্ড ভেটেরিনারি ডে ২০২৩ যৌথভাবে উদযাপিত হয় প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর, বাংলাদেশ ভেটেরিনারি এসোসিয়েশন, দি ভেটএক্সিকিউটিভ, বাংলাদেশ ভেটেরিনারি কাউন্সিল এবং বাংলাদেশ ভেটেরিনারি স্টুডেন্ট’স ফেডারেশন এর উদ্যোগে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : এপ্রিল ২৮, ২০২৩ ৮:৪২ অপরাহ্ন
কোরবানি সামনে রেখে ব্যস্ত সময় পার করছেন রংপুরের খামারিরা
প্রাণিসম্পদ

আসন্ন কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে গরু মোটাতাজাকরণে ব্যস্ত সময় পার করছেন রংপুরের প্রান্তিক খামারিরা। লাভবান হওয়ার আশায় এ জেলার খামারিরা এখন থেকেই গবাদিপশু তথা গরু-ছাগল হৃষ্ট-পুষ্ট করতে শুরু করেছেন।রংপুর প্রাণিসম্পদ বিভাগের তথ্য মতে, রংপুর বিভাগের আট জেলায় গত বছর পশু কোরবানি হয়েছে ১০ লাখের ওপরে। এ বছর এই বিভাগে কোরবানির উপযুক্ত গরু খাসি প্রস্তুত রয়েছে ।

গত বছর কোরবানির পর পরই খামারিরা নতুন করে ষাড়, ছাগল মোটা তাজাকরণ প্রকল্পের কাজ শুরু করেন। যদিও বর্তমান পরিস্থিতিতে ফিডের উচ্চ মূল্যের কারণে যথারীতি খাদ্য সরবরাহ করা সম্ভব হচ্ছেনা। এ ছাড়াও বিভিন্ন কারণে অন্যান্য উপজেলার খামারিরা খুব বেশি বিনিয়োগ করেননি। এছাড়াও এই ঈদে গরু ও ছাগলের দাম নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন তারা।

কাউনিয়ার হারাগাছের মাহামুদুল হাসান ডন, প্রিন্সসহ বেশ কয়েক জন খামারি জানান, তারা কোরবানি উপলক্ষে গরু প্রস্তুত করেছেন। তারা আশা প্রকাশ করেন, ভারতীয় গরু প্রবেশ না করলে ভালো দাম পাবেন।

রংপুর প্রাণিসম্পদ বিভাগীয় উপপরিচালক ডা. সিরাজুল ইসলাম জানান, গত বছরের চেয়ে এবার ৫ শতাংশ বেশি গরু-খাসি রয়েছে। তা এই অঞ্চলের চাহিদা মিটিয়ে দেশের অন্যান্য স্থানে পাঠাতে পারবেন খামারি ও গৃহস্থরা।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : এপ্রিল ২৭, ২০২৩ ১১:১৭ পূর্বাহ্ন
বাংলাদেশের মৎস্য খাতে বিনিয়োগে বিদেশি ব্যবসায়ীদের আহ্বান মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রীর
প্রাণিসম্পদ

বাংলাদেশ থেকে সীফুড আমদানি এবং বাংলাদেশের মৎস্য খাতে বিনিয়োগের জন্য বিদেশি আমদানিকারক ও ব্যবসায়ীদের আহ্বান জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

স্থানীয় সময় বুধবার (২৬ এপ্রিল) বিকালে স্পেনের বার্সেলোনায় গ্লোবাল সীফুড এক্সপো ২০২৩ এ বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নে বিভিন্ন দেশের আমদানিকারক ও ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের সাথে মতবিনিময়কালে মন্ত্রী এ আহ্বান জানান।

এ সময় বাংলাদেশ থেকে মাছ রপ্তানির ক্ষেত্রে বিদেশি বায়ারদের বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে সবধরণের সহযোগিতা প্রদানেরও আশ্বাস দেন মন্ত্রী। বাংলাদেশের মৎস্য খাতে বিনিয়োগ করলে বাংলাদেশ সরকার কর অব্যাহতিসহ নানা সুযোগ-সুবিধা দিতে প্রস্তুত বলেও এ সময় জানান তিনি। পাশাপাশি বাংলাদেশের চিংড়ি ও অন্যান্য মৎস্যসম্পদ রপ্তানির চ্যালেঞ্জ ও সমস্যা উত্তরণে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের কথাও এ সময় তুলে ধরেন মন্ত্রী।

এ সময় মন্ত্রী জানান, চিংড়ি, ফিনফিস, শুটকি মাছ, কাঁকড়াসহ বিভিন্ন মৎস্য ও মৎস্য পণ্য রপ্তানির মাধ্যমে বাংলাদেশের রপ্তানি আয় এ অর্থবছরে ২৬ দশমিক ৯৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। সরকার রোগমুক্ত বাগদা চিংড়ি উৎপাদনে বেসরকারি খাতে ম্যাচিং গ্র্যান্ট প্রদানসহ চিংড়ি উৎপাদন ব্যবস্থাপনায় বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করছে। সনাতনী পদ্ধতির চিংড়ি হ্যাচারিকে এসপিএফ হ্যাচারিতে রূপান্তর, ক্লাস্টারভিত্তিক চিংড়ি চাষ পদ্ধতি প্রচলন, চিংড়ি খামারের উৎপাদন বৃদ্ধি, সাপ্লাই চেইনের মান উন্নয়ন, দেশব্যাপী বিদ্যমান চিংড়ি খামারের ডিজিটাল ডাটাবেজ তৈরি, সমন্বিত ই-ট্রেসিবিলিটি সিস্টেম প্রবর্তন, মৎস্য ও মৎস্যপণ্য মান নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০২০ প্রণয়ন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের নীতির সাথে সমন্বয় রেখে ন্যাশনাল রেসিডিউ কন্ট্রোল প্ল্যান বাস্তবায়ন, মৎস্য ও মৎস্য পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণে দেশে আন্তর্জাতিক মানের ল্যাবরেটরি প্রতিষ্ঠা, নিয়মিত পরিদর্শন ও মনিটরিং, আমদানিকারক দেশের মৎস্য পরিদর্শন এবং মাননিয়ন্ত্রণ বিধি ও চাহিদার সাথে গতি রেখে কমপ্লায়েন্স নিশ্চিত করা সহ নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছে সরকার।

এ সময় মন্ত্রী আরো বলেন, বাংলাদেশের মৎস্যসম্পদে একটা বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে। বিভিন্ন দেশের মৎস্য খাত কিভাবে বিকশিত হয়েছে, মৎস্য খাতে প্রযুক্তির ব্যবহার, মৎস্য প্রক্রিয়াকরণ, সীফুড রপ্তানিসহ বিভিন্ন বিষয় বার্সেলোনায় অনুষ্ঠিত গ্লোবাল সীফুড এক্সপো থেকে বাংলাদেশ অভিজ্ঞতা অর্জন করছে।

এ বছর বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক সীফুড এক্সপো আয়োজন করা হচ্ছে জানিয়ে সীফুড সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দেশের বায়ার ও বিশেষজ্ঞদের এ এক্সপোতে অংশগ্রহণের আমন্ত্রণ জানান মন্ত্রী।

মন্ত্রী আরো যোগ করেন, দেশের সীফুড খাতে সরকারের বিশেষ উদ্যোগ রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ খাতের উন্নয়নে অত্যন্ত আন্তরিক। সারাবিশ্বে সীফুড রপ্তানির প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে বাংলাদেশে এ খাতে বুদ্ধিবৃত্তিকসহ অন্যান্য সম্পদ বিনিয়োগ করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে বিদেশি বায়ার ও বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অগ্রাধিকার দিয়ে বিবেচনা করা হবে। বাংলাদেশের মাছকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করার জন্য সরকার সর্বো গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে।

বাংলাদেশে বিনিয়োগের জন্য অনুকূল পরিবেশ বিদ্যমান উল্লেখ করে এ সময় মন্ত্রী বিদেশী বায়ারদের বাংলাদেশের মৎস্য খাত পরিদর্শনের আমন্ত্রণ জানান।

স্পেনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ সারওয়ার মাহমুদ, বাংলাদেশের মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খ. মাহবুবুল হক, বাংলাদেশের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ব্লু ইকোনমি সেলের প্রধান ও যুগ্মসচিব ড. আবু নঈম মুহাম্মদ আবদুছ ছবুর, বাংলাদেশ দূতাবাস, বার্লিন, জার্মানি-এর মিনিস্টার (কমার্শিয়াল) মো. সাইফুল ইসলাম,বাংলাদেশ দূতাবাস, স্পেন-এর কমার্শিয়াল
কাউন্সেলর মো. রেদোয়ান আহমেদ, সলিডারিডাড নেটওয়ার্ক এশিয়া-এর বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার সেলিম রেজা হাসান, বাংলাদেশের মাছ রপ্তানিকারক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি ও ব্যবসায়ীগণ, নেদারল্যান্ডসের প্রতিষ্ঠান ফিশারম্যান চয়েস এবং সীফুড কানেকশন-এর প্রতিনিধি, জার্মানির প্রতিষ্ঠান এইচ অ্যান্ড এফ, লেংক ফ্রোজেন ফুডস এবং গ্লোবাল গ্যাপ-এর প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন দেশের আমদানিকারক ও ব্যবসায়ী প্রতিনিধিরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

পরে মন্ত্রী বার্সেলোনায় চলমান গ্লোবাল সীফুড এক্সপো ২০২৩ এ বিভিন্ন দেশের সীফুড প্যাভিলিয়ন ঘুরে দেখেন এবং তাদের প্রতিনিধিদের সাথে সীফুড নিয়ে মতবিনিময় করেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : এপ্রিল ২৬, ২০২৩ ৯:১২ পূর্বাহ্ন
গরু মোটাতাজাকরণে খাদ্য মিশ্রণ তৈরির উপায়
প্রাণিসম্পদ

গরু মোটাতাজাকরণে খাদ্য মিশ্রণ তৈরির উপায় খামারিরা অনেকেই জানেন না। আপনার এলাকায় প্রয়োজনীয় উপকরণের সহজ প্রাপ্যতা এবং দামের বিষয়টি বিবেচনা করে আপনি দানাদার খাদ্যের মিশ্রণের উপকরণ পরিবর্তনও করা যাবে।
প্রথম মিশ্রণঃ

উপকরণ পরিমাণ

১। গমের ভূষি ৫.৪ কেজি

২। খেসারীর ভূষি ২.০ কেজি

৩। তিলের খৈল ১.৮ কেজি

৪। শুটকি মাছের গুড়া ৭০০ গ্রাম

৫। লবন ৫০ গ্রাম

৬। ঝিনুকের গুড়া ৫০ গ্রাম

দ্বিতীয় মিশ্রণঃ

উপকরণ পরিমাণ

১। চাল ভাঙ্গা (খুদ) ২.৫ কেজি

২। গমের ভূষি ১.৫ কেজি

৩। চালের কুড়া ২.০ কেজি

৪। মসুরের ভূষি ১.৯ কেজি গ্রাম

৫। তিলের খৈল ১.৫ কেজি

৬। শুটকি মাছের গুড়া ৫০০ গ্রাম

৭। ঝিনুকের গুড়া ৫০ গ্রাম

৮। লবণ ৫০ গ্রাম

তৃতীয় মিশ্রণঃ

উপকরণ পরিমাণ

১। চাল ভাঙ্গা (খুদ) ১.০ কেজি

২। গমের ভূষি ১.৫ কেজি

৩। চালের কুড়া ৪.০ কেজি

৪। খেসারি ভাঙ্গা ১.০ কেজি গ্রাম

৫। সরিষার খৈল ২.০ কেজি

৬। শুটকি মাছের গুড়া ৪০০ গ্রাম

৭। ঝিনুকের গুড়া ৫০ গ্রাম

৮। লবণ ৫০ গ্রাম

চতুর্থ মিশ্রণঃ

উপকরণ পরিমাণ

১। খেসারীর ভূষি ১.৪ কেজি

২। গমের ভূষি ১.০ কেজি

৩। চালের কুড়া ৫.০ কেজি

৪। মসুরের ভূষি ১.০ কেজি গ্রাম

৫। তিলের খৈল ১.৫ কেজি

৬। ঝিনুকের গুড়া ৫০ গ্রাম

৭। লবণ ৫০ গ্রাম

শেয়ার করুন

প্রকাশ : এপ্রিল ১৯, ২০২৩ ৯:০৯ পূর্বাহ্ন
গরুর মাংসের আড়ালে ঘোড়ার মাংস বিক্রি!
প্রাণিসম্পদ

কক্সবাজারের উখিয়ায় অসুস্থ ঘোড়া জবাই করে গরুর মাংসের কথা বলে বিক্রির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় দুইজনকে আটক করা হয়েছে।

সোমবার (১৭ এপ্রিল) রাত ২টার দিকে কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার হলদিয়াপালং ইউনিয়নের মরিচ্যাবাজার লাকড়ির দোকান এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, উখিয়ার মরিচ্যা এলাকার মিউজান ফকিরের ছেলে মাহাবুল আলম রাতে অসুস্থ ঘোড়া জবাই করে গরুর মাংস বলে মানুষকে বিক্রি করছেন বলে অভিযোগ পওয়া যায়। খবর পেয়ে উখিয়া উপজেলা সহকারী ভূমি কমিশনার সালেহ আহমেদের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালতের একটি টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগেই অভিযুক্তরা পালিয়ে যান। তবে ঘোড়ার মাংস জব্দ করা হয়েছে।

উখিয়ার হলদিয়া পালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইমরুল কায়েস চৌধুরী বলেন, রাতের আঁধারে দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ্ ঘোড়া, গরু ও বিভিন্ন পশু জবাই করা বন্ধের বিষয়ে আমি তৎপর হয়। আজ ঘোড়া জবাইয়ের বিষয়টি গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পেরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানাই। জবাই করা ঘোড়ার মাংসসহ ঘটনাস্থল থেকে দুই নারীকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে।

ভূমি কমিশনার সালেহ আহমেদ জানান, আটক নারীদের জিজ্ঞাসাবাদ করে মুচলেকা দিয়ে ছেড়ে দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। মূলহোতার বিরুদ্ধে মামলা হবে।

উখিয়া থানার ওসি শেখ মোহাম্মদ আলী জানান, ভূমি কমিশনারের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থল পৌঁছে ঘোড়ার মাংস জব্দ করে। এ ব্যাপারে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলার প্রক্রিয়া চলছে। ভ্রাম্যমাণ আদালতের অনুমতি পেলে মামলা রেকর্ড করা হবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : এপ্রিল ১৭, ২০২৩ ৬:০৮ অপরাহ্ন
মুজিবনগর দিবসের শপথ রক্ষা করতে শেখ হাসিনার বিকল্প নেই: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
প্রাণিসম্পদ

১৭ এপ্রিল, ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবসের শপথ রক্ষা করতে হলে বাংলাদেশে শেখ হাসিনার বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

সোমবার (১৭ এপ্রিল) বিকালে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষ্যে পিরোজপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের শহীদ আব্দুর রাজ্জাক-সাইফ-মিজান স্মৃতি সভাকক্ষে পিরোজপুর জেলা প্রশাসন আয়োজিত আলোচনা সভায় রাজধানীর বেইলি রোডের সরকারি বাসভবন থেকে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।

এ সময় মন্ত্রী আরো বলেন,বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা প্রতিষ্ঠা করতে গেলে শেখ হাসিনার নিকটবর্তী কেউ নেই। শেখ হাসিনাই বাঙালির সব আশা-আকাঙ্ক্ষার শেষ আশ্রয়স্থল। শেখ হাসিনা দেখিয়েছেন কিভাবে একটি বিপন্ন রাষ্ট্রকে প্রতিষ্ঠিত করতে হয়। তিনি দেখিয়েছেন কিভাবে একটি রাষ্ট্রকে দারিদ্র্যের কষাঘাত থেকে উন্নয়নশীল রাষ্ট্রে পরিণত করতে হয়। তিনি দেখিয়েছেন হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিস্টানের সহাবস্থান থেকে কিভাবে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে হয়। তার নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা যদি আমরা ধরে রাখতে পারি, তাহলে ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল যে স্বাধীন বাংলাদেশ সরকার শপথ গ্রহণ করেছিল, সে সরকারের সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সম্পৃক্তদের স্বপ্ন সার্থক হবে। উন্নয়নের অপ্রতিরোধ্য গতিতে আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যাবো, এটাই হোক ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবসের প্রত্যয়।

শ ম রেজাউল করিম আরো বলেন, ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল স্বাধীন বাংলাদেশ সরকার শপথ গ্রহণ করে আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যক্রম শুরু করেছিল। সেটা ছিল ঐতিহাসিক এক মাহেন্দ্রক্ষণ। সেটা ছিল এক দুঃসাহসী অভিযান। ১৭ এপ্রিল মুজিবনগর সরকার যে সময় শপথ গ্রহণ করে তখন কেউ কল্পনাও করেনি এভাবে অর্থ-সম্পদহীন একটা সরকার গঠন করে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা সম্ভব হবে, বিদেশের স্বীকৃতি আদায় করা যাবে। সবকিছু সম্ভব হয়েছিল বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত, তার ব্যক্তিত্ব ও রাজনৈতিক দূরদর্শিতার কারণে।

এ সময় প্রধান অতিথি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর স্বাধীনতাবিরোধীরা দেশকে পেছনের দিকে নিয়ে গিয়েছে। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা দেশে ফিরে এসে আবার মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করেছেন। তার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার হয়েছে, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হয়েছে। লাল সবুজের পতাকার বাংলাদেশ আজ বিশ্বের কাছে উন্নয়নের রোল মডেল। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী আজ উন্নয়নের ম্যাজিশিয়ান। করোনোর ভয়াবহ অবস্থাও বাংলাদেশকে বিপর্যস্ত করতে পারেনি তার অন্যতম কারণ একজন রাষ্ট্র নায়ক আমরা পেয়েছি যিনি বিশ্বের বিস্ময়। যিনি বিশ্বের সব সরকার প্রধানদের অন্যতম শীর্ষ ব্যক্তিত্ব। সততা, আত্মবিশ্বাস, দৃঢ়তা এবং দেশপ্রেম যার অভীষ্ট। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আজ বাংলাদেশ এখানে পৌঁছেছে।

তিনি আরো যোগ করেন, আবার নতুন করে স্বাধীনতাবিরোধীরা মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে চাইছে বিএনপি-জামায়াতের নেতৃত্বে। এ সময় মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসীদের, দীর্ঘদিনের ঐতিহ্যের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিতে বিশ্বাসীদের সচেতন থাকতে হবে। আবার যেন বিএনপি-জামায়াত, স্বাধীনতাবিরোধীরা রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসতে না পারে। আমাদের একটি জায়গায় ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। সেটা হলো, আমাদের মৌলিক জায়গা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, আদর্শিক জায়গা শেখ মুজিব।

পিরোজপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহেদুর রহমানের সভাপতিত্বে পিরোজপুরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাঈদুর রহমান, সিভিল সার্জন ডা. হাসনাত ইউসুফ জাকী, এনএসআই এর যুগ্ম পরিচালক মোহা. আব্দুল কাদের, পিরোজপুর জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক কানাই লাল বিশ্বাস, পিরোজপুর জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার গৌতম নারায়ণ রায় চৌধুরী ও ফজলুল হক সেন্টু, পিরোজপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মনিরুজ্জামান নাসিম, পিরোজপুর জেলা পূজা পরিষদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোপাল বসু, স্থানীয় অন্যান্য সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা এবং স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : এপ্রিল ১৭, ২০২৩ ১১:৫৭ পূর্বাহ্ন
লালমোহনে বাড়ছে মশা-মাছি, লামথি স্কিন রোগে আক্রান্ত গরু
প্রাণিসম্পদ

ভোলার লালমোহনে মশার কামড়ে ‘লামথি স্কিন ডিজিজ’ নামক একটি নতুন ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছে গরু। উপজেলার সবগুলো ইউনিয়নে এই ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব লক্ষ করা যায়। এতে আক্রান্ত গরুর প্রথমে পা ফুলে যায়। এরপর জ্বর হয়ে ২/৩ দিনের মধ্যে গোটা শরীরে বসন্তের মত ফোসকা পড়ে। যা পরবর্তীতে ঘায়ে পরিণত হচ্ছে। স্থানীয় পশু চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ‘লামথি স্কিন ডিজিজ’ একটি নতুন ভাইরাস জনিত রোগ। আগে কখনো দেখা যায়নি। তবে ৯০-এর দশকে আফ্রিকাতে এই রোগের প্রাদুর্ভাব ছিল। মূলত মশা- মাছির কামড় থেকে এ রোগ ছড়ায়। উপজেলার প্রায় গৃহে গরু পালনকারি কৃষক ও খামারীরা এ অবস্থায় তারা গরুকে মশারির মধ্যে রাখছেন। মশারির মধ্যে রাখার পরামর্শ দিয়েছেন স্থানীয় পশু চিকিৎসকরা।

লালমোহন উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস ও স্থানীয় কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলার ৯ ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে ছড়িয়ে পড়েছে মশা-মাছির ব্যাপক উৎপাত। এতে দেখা দিয়েছে গায়ে ফুলা রোগ। সরেজমিনে কয়েকটি এলাকায় দেখা যায়, কৃষকদের হালের বলদ, দুধের গাভি, সদ্যজাত বাছুর-প্রায় গরুই এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। আক্রান্ত গরুগুলোর পা ফুলে গেছে, সারা শরীরে বসন্তের মত গুটিগুটি ফোসকা হয়েছে। পায়ে খুরায় ক্ষত দেখা দিচ্ছে। আক্রান্ত গরুগুলো স্বাভাবিক চলাফেরা করছে না। সারাক্ষণ চুপচাপ থাকছে। খাওয়ারও কোনো আগ্রহ নেই।

উপজেলার রমাগঞ্জ ইউনিয়নের পূর্ব চরউমেদ গ্রামের আহসান উল্যাহ মেম্বার বাড়ির মো. ফিরোজ জানান, তার গোয়ালের মোট ৫টি গরুর অসংখ্য মাছির কামড়ে শরীর ফুলে গায়ে ফোসকা বের হয়েছে। এরমধ্যে একটি বড় গরুর অবস্থা খুবই খারাপ। গায়ের ফোলা স্থানে জখমের আশংখা করেছেন তিনি। এ জন্য প্রায় পাঁচ হাজার টাকা খরচ করেছেন, কিন্ত এখনও সুস্থ করতে পারেননি।

চরমোল্লাজী গ্রামের ফয়েজ আহমেদ বেপারীর ছেলে মফিজ বেপারী জানান, কয়েকদিন আগে তার দু’টি গরুর প্রচ- জ্বর হয়। এর একদিন পরেই সারা শরীরে চাক চাক হয়ে ফুলে উঠে। স্থানীয় পশুচিকিৎসকদের দিয়ে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে, এখন অনেকটা ভালোর দিকে।

আজাহার উদ্দিন রোডের পূর্ব মাথা এলাকার খামারি মফিজ জানান, তার মোট ১৪/১৫টি গরু রয়েছে তার মধ্যে তিনটি দুধের বড় গরু রয়েছে তিনি মশারির মধ্যে রাখেন। তারপরও রোগ বালাই নিয়ে আতঙ্কে আছেন তিনি। ওই এলাকার অজিউল্লা মিয়ার ছেলে কৃষক মো. জামাল উদ্দিনের দুটি বড় গরু এক বছর অন্তর মারা গিয়েছে। সে স্থানীয় চিকিৎসক দেখিয়ে ওষুধ খাওয়ানোর পরও কিন্ত সুস্থ হননি তার দুটি গরুই মারা গিয়েছে। সরকারীভাবে কোন পশু চিকিৎসকের সহযোগিতা পাননি তিনি।

উপজেলার প্রত্যান্ত অঞ্চলের প্রায় গ্রামেই গরু পালনকারীদের স্থানীয় পশু চিকিৎসকের দারস্থ হতে হয়। একাধিক গরু পালনকারী কৃষক ও খামারি জানান, তারা কোন দিন সরকারি পশু চিকিৎসকের পরামর্শ পাননি। কোন পশু চিকিৎসক গ্রামে আসেন না। তাই তারা স্থানীয় হাতুরে চিকিৎসক দিয়ে তাদের গরুর চিকিৎসা করাচ্ছেন।

উপজেলার প্রায় প্রতিটি কৃষক পরিবারেই গরু আছে। গবাদিপশু তারা নিজেদের সন্তানের মত করেই লালন পালন করেন। এগুলো অসুস্থ হলে তারা খুব ভেঙে পড়েন। এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণের জন্য উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের সহযোগিতা আশা করেন তারা। সরেজমিন গিয়ে একাধিক গরুর মালীক ও খামারীদের সাথে আলাপকালে তারা বলেন আমরা শুনেছি সরকারিভাবে পশু ডাক্তার এলাকায় এসে আমাদের গরুর লালন পালনে বিভিন্ন পরামর্শ ও রোগের চিকিৎসা দেন কিন্তু আমরা কোনদিন উপজেলার সরকারি পশু চিকিৎসক দেখিনি কোন পরামর্শ পাইনি। গরুর খামারি ও গৃহেপালনকারীদের প্রানের দাবি অন্তত প্রতি মাসে যেন সরকারিভাবে ডাক্তার এসে গরু পালনে বিভিন্ন পরামর্শ দেয়া হয়।

এ বিষয়ে লালমোহন উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. জয়াধর মূমূ বলেন- খামারিদের ও কৃষকদের গৃহপালিত গরু মশা মাছির আক্তান্ত হলে আমাদের করার কিছু নেই।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : এপ্রিল ১৬, ২০২৩ ১১:২৭ পূর্বাহ্ন
খামারে আগুন লেগে ১৮ হাজার গরুর মৃত্যু
প্রাণিসম্পদ

খামারে আগুন লেগে ১৮ হাজার গরুর মৃত্যু হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে।

এ ছাড়া বহু গরু আহত হয়েছে, যেগুলোকে এখন মেরে ফেলার কোনো বিকল্প নেই। দেশটির টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের একটি দুধের খামারে এই ঘটনা ঘটে।

আগুনে এক ব্যক্তিও গুরুতর আহত হয়েছেন।পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করেছিল। তবে তার অবস্থা এখন আশঙ্কাজনক।

বিবিসি’র খবরে জানানো হয়, ‘সাউথ ফর্ক ডেইরি’তে একটি বিস্ফোরণ থেকে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। খামারে থাকা যন্ত্রপাতি থেকেই এই আগুন ছড়িয়েছে বলে বিশ্বাস স্থানীয় কর্তৃপক্ষের। গরুর খামারে সাধারণত মিথেন জমে থাকে। ফলে কোনো কিছু থেকে স্পার্ক বা স্ফুলিঙ্গ ছুটলে যে কোনো সময় আগুন ধরে যেতে পারে সেখানে টেক্সাসের ফার্মটির ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রে ২০১৮ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত খামারে বেশ কিছু অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় প্রায় ৩০ লাখ পশুপাখি নিহত হয়েছে। তবে একই ফার্মে এতগুলো প্রাণীর মৃত্যু গত এক দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ। ক্যাস্ট্রো কাউন্টি শেরিফের অফিস থেকে বলা হয়েছে যে, তারা ওই দুধের খামারে এই অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে যান। পুলিশ এবং জরুরি বিভাগের সদস্যরা যখন সেখানে গিয়ে পৌঁছান, তারা দেখতে পান যে ভেতরে এক ব্যক্তি আটকা পড়ে আছেন। পরে তাকে সেখান থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এই অগ্নিকাণ্ডে আসলেই কতো গরু প্রাণ হারিয়েছে তা পরিষ্কার না হলেও শেরিফের অফিস থেকে বিবিসিকে জানানো হয়েছে যে এই ঘটনায় আনুমানিক ১৮,০০০ গরু মারা গেছে। খামারের যে জায়গায় গরুগুলো রাখা হয়েছিল সেখানে আগুন ছড়িয়ে পড়লে বেশির ভাগ গরু মারা যায়। দুধ দোহন করার আগে গরুগুলোকে এই স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়। শেরিফ বলেন, কিছু গরু বেঁচে গেছে, কিছু গরু আহত হয়েছে। তবে আহত গরু এমনভাবে পুড়ে গেছে যে সেগুলোকে মেরে ফেলতে হবে। ওয়াশিংটন ডিসি থেকে প্রাণী কল্যাণ ইনস্টিটিউট বিবিসিকে পাঠানো এক বিবৃতিতে বলেছে, ২০১৩ সালের পর একসঙ্গে এত প্রাণীর মৃত্যুর খবর পাননি তারা। ২০১৩ সালের পর খামারে আগুন লেগে ৬৫ লাখ পশুপাখি মারা গেছে, যার মধ্যে ৬০ লাখেরও বেশি মুরগি এবং ৭ হাজার ৩০০ গরু। তবে এবার এক খামারেই প্রাণ গেল ১৮ হাজার গরুর।

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop