৯:৪০ অপরাহ্ন

সোমবার, ১৮ নভেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : অক্টোবর ৩০, ২০২১ ১১:৩০ পূর্বাহ্ন
টাংগন নদীতে শুরু হয়েছে মাছ ধরা উৎসব
মৎস্য

ঠাকুরগাঁও পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতাধীন টাংগন ব্যারেজের গেট খুলে দেওয়ায় শুরু হয়েছে মাছ ধরা উৎসব। বিভিন্ন জেলা হতে আগত হাজার হাজার মাছ শিকারি এসেছেন কেউবা মাছ ধরতে আর কেউবা এসেছেন নদীর মাছ কিনে নিয়ে যেতে।ঠাকুরগাঁও শহর থেকে ২০ কিলোমিটার উত্তরে সদর উপজেলার রুহিয়া থানাধীন ১৪নং রাজাগাঁও ইউনিয়নের চাপাতি গ্রামে অবস্থিত টাংগন ব্যারেজ।

এটি মূলতঃ শুস্ক মওসুমে জমিতে সেচ প্রদানের সুবিধার্থে পানি উন্নয়ন বোর্ড নির্মাণ করে। প্রতি বছর ভরা মওসুমে মৎস্য বিভাগের আওতায় এখানকার প্লাবন ভূমিতে সরকারিভাবে মাছ অবমুক্ত করা হয়। ৩ মাস পর মাছ বড় হলে ব্যারেজের গেট খুলে দেওয়া হয়। তারপর হতে শুরু হয় মাছ ধরা উৎসব।

এদিকে বুধবার (২৮ অক্টোবর) রাতে প্রতি বছরের ন্যায় টাঙ্গন ব্যারেজের গেট খুলে দেওয়া হয় এবং সর্ব সাধারণের জন্য মাছ ধরার জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।

টাংগন ব্যারেজের গেট খুলে দেওয়ায় সদর উপজেলার চাপাতি, আটোয়ারী উপজেলার সাতপাখি গ্রামের বিস্তির্ণ এলাকার পানি নেমে গেলে কম পানিতে চলে মাছ শিকারের মহোৎসব।

ঠাকুরগাঁও পঞ্চগড় দিনাজপুরসহ নীলফামারী জেলার মাছ শিকারিরা এখানে এসে তাবু গেঁড়ে করছে মাছ শিকার। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত শিকারিরা দেশীয় তৈরি ফিকা ও লাফি জাল সহ বিভিন্ন বাহারী জাতের জাল দিয়ে করছে মাছ শিকার । এজন্য কেউবা কলাগাছের ভেলা তৈরি করে বিস্তির্ন এলাকায় মাছ শিকার করছে। মাছ ধরা উৎসবে প্রতিদিন এখানে হাজার হাজার মানুষের সমাগম হচ্ছে। এ সমাগম চলবে আগামী রবিবার পর্যন্ত।

এদিকে শহরের চাইতে এখানকার মাছের দাম বেশি বলে জানালেন বেশিরভাগ ক্রেতা। তারা জানান, এখানে প্রতি কেজি টেংরা,গচি ,শিং ,টনা মাছ প্রতি কেজি ৩/৪শ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আর শোল ও রুই কাতল মাছ চাওয়া হচ্ছে ৪/৫শ টাকা।প্রতিকেজি পুটি মাছ ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা কেজি দরে।

একাধিক মাছ শিকারিরা জানান, এ বছর মাছের পরিমান কম। গতকাল বিকেল থেকে এখন পর্যন্ত মাছ ধরেছি মাত্র ২ কেজি। তাও বড় আকারের মাছ ধরতে পারিনি। স্থানীয়রা কারেন্ট জাল ব্যবহার করে আগেই সব মাছ ধরে খেয়ে ফেলেছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অক্টোবর ৩০, ২০২১ ৯:৪০ পূর্বাহ্ন
দশমিনায় পুকুরে বিষ ঢেলে প্রতিপক্ষের মাছ নিধন
মৎস্য

পটুয়াখালীর দশমিনায় উপজেলায় এক মাছ ব্যবসায়ীর পুকুরে বিষ দিয়ে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ নিধন করে প্রায় লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি করেছে। এই ঘটনায় এলাকার মো. ফারুক মৃধা ও মামুন মৃধার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার বহরমপুর ইউনিয়নের বগুড়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। বিষ প্রয়োগের ফলে পুকুরের প্রায় ২ লাখ টাকার মাছ মরে ভেসে উঠতে থাকে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বহরমপুর ইউনিয়নের বগুড়া গ্রামের মো. এছাহাক মৃধার নিজ পুকুরে বিষ প্রয়োগের ফলে মাছ মরে ভেসে উঠতে শুরু করে। দিন দুপুরে পুকুরের বিষ দিয়ে এ মাছ মারছে দুর্বৃত্তরা। মাছ নিধন করেছে এমন ডাক চিৎকার শুনে পুকুর পারে গিয়ে দেখতে পাই প্রায় ৯০ হাজার টাকার দেশি প্রজাতির মাছ মরে ভেসে আছে।

ভুক্তভোগী মো. এছাহাক মৃধার স্ত্রী মোসা. পারভিন বেগম বলেন, আমার নিজের চোখে দেখেছি শুক্রবার দুপুরে মো. ফারুক মৃধা ও মামুন মৃধা পুকুর পারে বিষের বোতল নিয়ে হাঁটে আর আমারে দেখে পুকুরের মধ্যে ম্যালা মারে। তার কিছুক্ষণ পর হইতে পুকুরের মাছ মরে ভাইসা উঠতে থাকে।

ভুক্তভোগী মো. এছাহাক মৃধা বলেন, পারিবারিক বিরোধের কারনে প্রকাশ্য দিবালোকে মো. ফারুক মৃধা ও মামুন মৃধারা আমার চাষের পুকুরে বিষ দিয়ে বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় ২ লাখ টাকার মাছ মারছে। এমন কি তারা এর পূর্বেও দুইবার আমার চাষের অন্য পুকুরে বিষ দিয়ে প্রায় সাড়ে তিন থেকে চার লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি করেছে। আমাকে ও আমার পরিবারের সদস্যদের বিভিন্নভাবে তারা এলাকা ছাড়তে হুমকিও দিয়ে আসছে। আমি দীর্ঘদিন যাবৎ দেশি প্রজাতির মাছের রেনু পোনার ব্যবসা করে আসছি। আমার ইউনিয়ন পরিষদের ট্রেড লাইসেন্স রয়েছে। আমি বাংলাদেশ সরকারের কাছে বিচারের দাবি জানাই।

এই বিষয়ে ফারুক মৃধা জানান, আমাদের সঙ্গে তাদের দীর্ঘদিন থেকে বিরোধ চলে আসছে। আমাদের ফাঁসাতে মাছ মারার অভিযোগ করেছে।

দশমিনা থানা ওসি মেহেদী হাসান বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থানে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তবে ভুক্তভোগী পরিবার সঠিকভাবে কে বা কারা পুকুরে বিষ দিয়েছে তা বলতে পারেনি। তবে তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের চিহ্নিত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অক্টোবর ২৮, ২০২১ ৯:৩২ অপরাহ্ন
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব হলেন ড. মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী
প্রাণিসম্পদ

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব হলেন ড. মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী। এর আগে তিনি পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব এবিএম ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকার স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।
তিনি ১৯৬৩ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সদর উপজেলার একটি সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগ থেকে যথাক্রমে ১৯৮৫ এবং ১৯৮৬ সালে অনার্স এবং স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। মোহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিষয়ে আরেকটি স্নাতকোত্তর (এমপিএ) ডিগ্রি অর্জন করেছেন। ড. চৌধুরী প্রাণিবিদ্যা বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা থেকে Ph. D অর্জন করেন।
শেয়ার করুন

প্রকাশ : অক্টোবর ২৮, ২০২১ ৭:২৮ অপরাহ্ন
ভারতে আবারও শুরু হলো ইলিশ রফতানি
মৎস্য

২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে আবারও যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে ইলিশ রফতানি শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৮ অক্টোবর) বিকালে কাস্টমস ও বন্দরের আনুষ্ঠানিকতা শেষে ২২ মেট্রিক টন ইলিশ ভারতে রফতানি হয়।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ইলিশ রফতানির সময়সীমা ১০ দিন বাড়িয়ে ৫ নভেম্বর পর্যন্ত নির্ধারণ করায় ইলিশ রফতানি শুরু হয় ভারতে।

এর আগে, ইলিশের প্রজনন রক্ষায় ২২ দিনের জন্য ইলিশ শিকার, পরিবহন ও বিক্রয় বন্ধের নির্দেশনায় ৪ অক্টোবর থেকে ২৬ অক্টোবর পর্যন্ত বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারতে ইলিশ রফতানি বন্ধ ছিল।

জানা যায়, উৎপাদন সংকটের জন্য দেশের বাইরে ইলিশ রফতানি বন্ধ থাকলেও সরকার ভারতে হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় অনুষ্ঠান দুর্গাপূজা উপলক্ষে এবছর ৪ হাজার ৬৫০ মেট্রিক টন ইলিশ রফতানির অনুমতি দেয়। নির্দেশনা ছিল চলতি মাসের ১০ অক্টোবরের মধ্যে রফতানি শেষ করতে হবে। কিন্তু ইলিশের প্রজনন রক্ষায় ইলিশ ধরা বন্ধের নির্দেশনায় হঠাৎ করে ভারতে ইলিশ রফতানি বন্ধ হয়ে যায়।

বেনাপোল মৎস্য পরিদর্শন ও মান নিয়ন্ত্রণ অফিসের পরিদর্শক আসওয়াদুল ইসলাম জানান, ইলিশ রফতানির নির্দেশনাপত্র তারা হাতে পেয়েছেন। অবশিষ্ট ইলিশ রফতানি শুরু হয়েছে। এ পর্যন্ত ভারতে ইলিশ রফতানি হয়েছে সর্বমোট ১ হাজার ১৩০ মেট্রিক টন। এখনো ইলিশ রফতানি বাকি রয়েছে ৩ হাজার ৫২২ মেট্রিক টন। ৫ নভেম্বরের মধ্যে অবশিষ্ট ইলিশ ভারতে রফতানি শেষ করতে হবে।

শার্শা উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আবুল হাসান জানান, দুর্গাপূজায় এ বছর ১১৫ রফতানিকারক প্রতিষ্ঠানকে ভারতে ৪৬৫০ টন ইলিশ রফতানির অনুমতি দিয়েছিল বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। প্রতি কেজি ইলিশের রফতানি মূল্য ১০ মার্কিন ডলার ধরা হয়েছে। ভারত ও বাংলাদেশ দুই দেশের কাস্টমস থেকে শুল্কমুক্ত সুবিধায় ইলিশের এসব চালান রফতানি করা হচ্ছে ভারতে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অক্টোবর ২৬, ২০২১ ২:৪৯ অপরাহ্ন
যমুনায় মা ইলিশ নিধন, ২২ দিনে ১৫৪ জেলের কারাদণ্ড
মৎস্য

নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলার যমুনা নদী থেকে মা ইলিশ ধরায় গত ২২ দিনে ১৫৪ জেলেকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ ছাড়া ২ লাখ ৩২ হাজার ৮০৩ মিটার কারেন্ট জাল ও ১৩৫.৫০ কেজি ইলিশ জব্দ করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৬ অক্টোবর) সকালে উপজেলা মৎস্য অফিসের সহকারি মোঃ শফিকুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন।

চৌহালী উপজেলা মৎস্য অফিসসূত্রে জানা যায়, ইলিশের উৎপাদন বাড়াতে ৪ অক্টোবর থেকে ইলিশ শিকারে সরকারি নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। চৌহালী উপজেলার উত্তরে সদিয়া চাঁদপুর ইউনিয়নের বোয়ালকান্দি ও দক্ষিণে বাঘুটিয়া ইউনিয়নের পাথরাইল পর্যন্ত প্রায় ২৯ কিলোমিটার এলাকায় ডিমওয়ালা মা ইলিশ শিকারে এক শ্রেণির অসাধু জেলে তৎপর হয়। তবে এ বছর প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরের ২৬ অভিযানে ২০টি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়।

অভিযান পরিচালনা করেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আনিসুর রহমান. উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মাহিদ আল হাসান, উপজেলা মৎস্য অফিসার মোঃ মনোয়ার হোসেন, চৌহালী থানা পুলিশ ও আনসার বাহিনীর সদস্যরা।

এতে গত ২২ দিনে ২৪ জনকে ১৫ দিন, ৩২ জনকে ১০ দিন এবং ৯৮ জনকে সাত দিন করে কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় প্রায় ২৩ লাখ ৭৩ হাজার টাকা মূল্যের ২ লাখ ৩২ হাজার ৮০৩ মিটার কারেন্ট জাল জব্দ করে পুড়িয়ে ফেলা হয়।

এ ছাড়া জব্দ করা ১৩৫.৫০ কেজি মা ইলিশ বিভিন্ন এতিমখানা ও দুস্থদের মধ্যে বিতরণ করা হয়।

উল্লেখ্য, ২৫ অক্টোবর সোমবার মধ্যরাত থেকে অভিযান শেষ হয়েছে। মঙ্গল (২৬ অক্টোবর) সকালে আবারো যমুনায় জেলেদেরকে মা ইলিশ ধরতে দেখা গেছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অক্টোবর ২৬, ২০২১ ১:৩৪ অপরাহ্ন
ইলিশ শিকারে যাচ্ছেন জেলেরা
মৎস্য

গতরাত ১২টায় শেষ হয়েছে সাগর ও নদ-নদীতে ইলিশ মাছ ধরার ২২ দিনের সরকারি নিষেধাজ্ঞা। আজ মঙ্গলবারের শুরুতে গভীর রাত থেকেই জেলেরা ট্রলার নিয়ে ছুেটছেন সাগরে। নেমেছেন নদীতে।

২২ দিন অলস সময় কাটানোর পর বরগুনার জেলেপাড়াগুলোতে আবারও প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে। জেলে-পাইকার-আড়তদারের পদচারণা হাঁকডাকে মুখর হয়ে উঠবে বরগুনা উপকূলের মৎস্যবন্দরের আড়তগুলো।

নিষেধাজ্ঞার শেষ দিনগুলোতে কাজে ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন জেলেরা। দীর্ঘদিন বঙ্গোপসাগর ও নদ-নদীতে মাছ আহরণ বন্ধ থাকায় এখন বেশি মাছ পাবেন বলে আশাবাদী জেলেরা।

অনেক জেলেই মঙ্গলবার দুপুরে সাগরে যাত্রা শুরু করবেন। তারা জানান সরকারের আইনের প্রতি সম্মান রেখে ইলিশ শিকারে যাইনি। এ বিরতিতে আমরা অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। তবে নিষেধাজ্ঞার সময়ে সরকারের দেওয়া ২০ কেজি চাল পাওয়া গেছে। আজ থেকে আবার মাছ ধরতে পারব ভেবে খুব ভালো লাগছে।

বরগুনা জেলা মৎস্য কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুম উপলক্ষে ৩ অক্টোবর থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত বঙ্গোপসাগর ও নদ-নদীতে ইলিশ মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল সরকার। নিষেধাজ্ঞাকালে জেলার ৩৪ হাজার ৭৪ জন নিবন্ধিত জেলেদের ৬শ মেট্রিক টন চাল বিতরণ করা হয়।

বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী জানান, মধ্যরাতে নিষেধাজ্ঞা শেষ হলে জেলেরা সাগরে যাওয়া শুরু করেছেন।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কুমার জানিয়েছেন, সাগরে ইলিশ ধরার নিষেধাজ্ঞা সফলভাবে পালন করা হয়েছে। স্থানীয় বরফকলগুলো বন্ধ রাখায় হয়েছিল। নিষেধাজ্ঞাকালে জেলেদের সরকারিভাবে খাদ্যসহায়তা দেওয়া হয়েছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অক্টোবর ২৬, ২০২১ ১০:০৯ পূর্বাহ্ন
নদীর গতিপথ পরিবর্তনে কমছে ইলিশ উৎপাদন
মৎস্য

বাংলাদেশের জাতীয় মাছ ইলিশ ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্য হিসাবে স্বীকৃতি পেয়েছে। নদীর গতিপথ পরিবর্তনের কারণে ইলিশের মোট উৎপাদন ধরে রাখা চ্যালেঞ্জ বলে আশঙ্কা করেছেন গবেষকরা। গত ৫০ বছরের পদ্মা নদীর গতি পরিবর্তন ও সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য বিশ্লেষণের ভিত্তিতে ‘আমেরিকান জার্নাল অব ক্লাইমেট চেঞ্জ’ জার্নালে প্রকাশিত ‘ক্লাইমেট চেঞ্জ অ্যান্ড অ্যানথ্রোপজেনিক ইন্টারফিয়ারেন্স ফর দ্য মরফোলজিক্যাল চেঞ্জেস অব দ্য পদ্মা রিভার ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি), বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএফআরআই) ও বাংলাদেশ রাইস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (বিরি) ৬ জন গবেষক যৌথভাবে গবেষণাটি পরিচালনা করেন।

গবেষণাটির প্রধান গবেষক হিসাবে ছিলেন বাকৃবির অধ্যাপক ড. মো. আজহারুল ইসলাম, সহযোগী গবেষক হিসাবে বাকৃবির অধ্যাপক ড. কাইজার আহমেদ সুমন, বিএফআরআইয়ের মহাপরিচালক ড. ইয়াহিয়া মাহমুদ, বিএফআরআইয়ের ইলিশ জোরদারকরণ প্রকল্পের প্রধান মো. আবুল বাশার, বিরি’র ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ কামরুজ্জামান মিলন ও বাকৃবির স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থী সিরাজুম মুনীর।

গত ৫০ বছরে অতিবৃষ্টি, উষ্ণায়ন, পলি পড়ার মাত্রা বৃদ্ধি ও দখল-দূষণসহ নানাবিধ কারণে পদ্মা নদী তার চিরচেনা চেহারা প্রায় হারিয়ে ফেলছে। নদীতে মাছের পরিমাণ কমে যাওয়ার বেশকিছু কারণ চিহ্নিত করেছেন গবেষকরা। গবেষকদের ভাষ্যমতে, নদী গতিপরিবর্তনের সঙ্গে তাপমাত্রার পরিবর্তন, বৃষ্টিপাতের পরিমাণ হ্রাস-বৃদ্ধি ও পলি জমে যাওয়ার কারণে পদ্মায় এখন আগের মতো মাছ পাওয়া যায় না। মাছের বংশ বিস্তারে তাপমাত্রা একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ। তাপমাত্রার ওপর নির্ভর করে মাছের ডিম ছাড়ার সময়। এর মধ্যে সামান্যতম তারতম্য হলে তা মাছের বংশ বিস্তারে ব্যাপক প্রভাব ফেলে বলেও জানান তারা।

প্রকাশিত গবেষণা প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, মানবসৃষ্ট বিভিন্ন কারণ বিশেষ করে নানা অবকাঠামোগত প্রকল্প এবং দখল-দূষণ নদীটিকে পরিবেশগতভাবে ধ্বংসের মুখে নিয়ে গেছে। সাম্প্রতিককালে পদ্মা নদীতে ভাঙনের মাত্রা বেড়েছে, যা নদী তীরবর্তী জীবনযাত্রায় মারাত্মক প্রভাব ফেলেছে। স্থানে স্থানে নদী সংকুচিত হয়ে পড়ায় মাছের পরিমাণ ক্রমেই কমছে। বিশেষ করে ইলিশের উৎপাদন যে হারে বাড়ার কথা ছিল, সে হারে তো বাড়েনি বরং কমেছে। স্যাটেলাইট থেকে তোলা ছবিতেও দেখা যাচ্ছে এ নদীর চ্যানেল অস্বাভাবিক হারে পরিবর্তিত হয়েছে। গবেষকরা আশঙ্কা করেছেন যে হারে পদ্মা নদী পরিবর্তিত হচ্ছে, তা চলতে থাকলে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে ইলিশ উৎপাদনের ওপর ব্যাপকহারে প্রভাব ফেলবে। আর এ কারণে গবেষকরাও নতুন করে পদ্মা নদী থেকে শুরু থেকে ইলিশ উৎপাদনের সঙ্গে জড়িত নদীগুলোকে বাঁচানোর তাগিদ দিয়েছেন।

গবেষক দলের প্রধান বাকৃবির অধ্যাপক ড. মো. আজহারুল ইসলাম বলেন, পদ্মা মূলত সর্পিল নদী, এঁকেবেঁকে চলাই এর প্রধান কাজ। কিন্তু আবহাওয়া এবং নদীর ক্ষয় ও পলি জমার কারণে এটি অনেকটা চুলের বিনুনির আকার ধারণ করেছে। অর্থাৎ অনেক শাখানদী সৃষ্টি হয়েছে। বর্তমানে শুষ্ক মৌসুমে নদীতে জোয়ারের উচ্চতা থাকে বেশি।

উজান থেকে নিচের দিকে পানির প্রবাহও বেশি থাকে। সামনের দিনগুলোয় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বৃদ্ধি, বন্যার পানির তীব্রতা ও উচ্চ তাপমাত্রার পরিবর্তনের কারণে উজানের পানিপ্রবাহেও পরিবর্তন দেখা দিতে পারে। পলি জমা ও পাড় ক্ষয়ের কারণে বন্যার পরিমাণ আরও বাড়তে পারে। আমরা এ নদীকে ঘিরে মানুষের জীবনযাত্রার নানা বৈশিষ্ট্যও খুঁজে দেখেছি। এ নদীর অন্যতম প্রধান মাছ ইলিশের আবাসস্থল ও মাছকে কেন্দ্র করে স্থানীয়দের জীবনযাত্রার স্বরূপও বিশ্লেষণ করেছি। গবেষণার তথ্যগুলো ব্যবহার করে সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে ইলিশ উৎপাদন বাড়াতে পারবে বলে আশা রাখছি।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অক্টোবর ২৫, ২০২১ ১:৪৫ অপরাহ্ন
এক মাছের দাম ৩৬ লাখ!
মৎস্য

সুন্দরবনের কপূরা নদীতে মাছ ধরতে গিয়েছিলেন ভারতীয় জেলেরা। তাদের জালেই ধরা পড়ে বিশাল আকারের তেলেভোলা মাছ। যার ওজন ৭৮ কেজি ২০০ গ্রাম।গত শুক্রবার জেলেরা নদীতে মাছ ধরতে গেলে তাদের জালে মাছটি ধরা পড়ে। সেই মাছ ঘাড়ে করে মাছ বাজারের আড়তে নিয়ে আসে তারা।

শনিবার রাতে মাছটির দাম ওঠে কেজি প্রতি ৪৯ হাজার ৩০০ রুপি। শেষ পর্যন্ত মাছটি বিক্রি হয় ৩৬ লাখ ৪৮ হাজার ২০০ রুপিতে। মাছটি কিনেছে কলকাতার কেএমপি নামের একটি প্রতিষ্ঠান। মাছটির পেটে মূল্যবান কিছু সম্পদ রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

মৎস্যজীবী বিকাশ বর্মন দীর্ঘদিন ধরে সুন্দরবনের নদীতে মাছ ধরেন। বৃহস্পতিবার সকালেও গোসাবা ব্লকের দুলকির সোনাগাঁও গ্রাম থেকে বিকাশ বর্মন, রাহুল বর্মন, সৈকত বর্মন, কমলেশ বর্মন ও কালিপদ বর নামে পাঁচজন মৎস্যজীবী সুন্দরবনে মাছ ধরার উদ্দেশে রওনা দেন। মাছ ধরতে ধরতে শুক্রবার সন্ধ্যায় তাদের জালে ধরা পড়ে প্রায় সাত ফুট লম্বা এ তেলেভোলা মাছ।

জানা গেছে, এ মাছের পেটে রয়েছে মহামূল্যবান কিছু সম্পদ, যার কারণে এ মাছটির দাম উঠেছিল অনেক। তবে এ মূল্যবান সম্পদ কোনো টাকা পয়সা কিংবা সোনা গহনা নয়, তা হলো এ মাছের পেটে থাকা পটকা। যা দিয়ে তৈরি করা হবে বিভিন্ন ধরনের ওষুধ, জিনিসপত্র। আর সেগুলো ব্যবহৃত হবে অস্ত্রোপচারের পর সেলাইয়ের কাজে। সেই কারণেই এ মাছের এত দাম হয়েছে।

মৎস্যজীবী বিকাশ বর্মন জানান, বহুদিন ধরেই মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করছেন তিনি। তবে প্রতি বছর ভোলা মাছ ধরতে গেলেও এবারই তার জালে এত বড় মাছ ধরা পড়ল বলে জানান তিনি।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অক্টোবর ২৫, ২০২১ ৯:৪৬ পূর্বাহ্ন
মধ্যরাত থেকে ইলিশ ধরা শুরু
মৎস্য

ইলিশ ধরায় ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষ হবে আজ সোমবার (২৫ অক্টোবর) মধ্যরাতে। রাত ১২টা ১ মিনিট থেকে পুনরায় ইলিশ ধরা শুরু করবেন জেলেরা।

ইলিশ সম্পদ সংরক্ষণে ‘প্রটেকশন অ্যান্ড কনজারভেশন অব ফিশ অ্যাক্ট, ১৯৫০’ এর অধীন প্রণীত ‘প্রটেকশন অ্যান্ড কনজারভেশন অব ফিশ রুলস, ১৯৮৫’ অনুযায়ী চলতি বছর ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে ৪ থেকে ২৫ অক্টোবর মধ্যরাত পর্যন্ত মোট ২২ দিন সারাদেশে ইলিশ মাছ আহরণ, পরিবহন, মজুত, বাজারজাতকরণ, ক্রয়-বিক্রয় ও বিনিময় নিষিদ্ধ করে গত ২৬ সেপ্টেম্বর প্রজ্ঞাপন জারি করে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. ইফতেখার হোসেন জানান, ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে গত ৪ অক্টোবর থেকে ২৫ অক্টোবর মধ্যরাত পর্যন্ত সারাদেশে ইলিশ মাছ আহরণ, পরিবহন, মজুত, বাজারজাতকরণ, ক্রয়-বিক্রয় ও বিনিময় নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। আজ মধ্যরাতে সেই নিষেধাজ্ঞা শেষ হচ্ছে। এরপর ইলিশ ধরায় কোনো বাধা থাকবে না।

চলতি বছর ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে ইলিশ আহরণ নিষিদ্ধকালে জেলেদের জন্য ১১ হাজার ১১৮ দশমিক ৮৮ মেট্রিক টন ভিজিএফ চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়।

২০২১-২২ অর্থবছরে সরকারের মানবিক খাদ্য সহায়তা কর্মসূচির আওতায় ৩৭ জেলার ১৫১টি উপজেলায় মা ইলিশ আহরণে বিরত থাকা ৫ লাখ ৫৫ হাজার ৯৪৪টি জেলে পরিবারের জন্য এ বরাদ্দ দেওয়া হয়। গত বছরের চেয়ে বেশি ২৭ হাজার ৬০২টি জেলে পরিবারকে এবার বরাদ্দের আওতায় আনা হয়েছে। এর আওতায় প্রতিটি জেলে পরিবার ২০ কেজি করে চাল দেওয়া হয়েছে। ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শুরুর আগেই এ বছর ভিজিএফের চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অক্টোবর ২৪, ২০২১ ১:৫৮ অপরাহ্ন
পুকুরে বিষ দিয়ে মাছ নিধন, লাখ টাকার ক্ষতি
মৎস্য

পটুয়াখালীর দশমিনায় এক মাছ ব্যবসায়ীর পুকুরে বিষ দিয়ে বিভিন্ন প্রজাতের মাছ নিধন করে প্রায় লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি করেছে বলে মো: ফারুক মৃধা ও মামুন মৃধার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে।

উপজেলার বহরমপুর ইউনিয়নের বগুড়া গ্রামে শুক্রবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে। বিষ প্রয়োগের ফলে পুকুরের প্রায় ১ লাখ টাকার মাছ মরে ভেসে উঠতে থাকে শনিবার পর্যন্ত।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বহরমপুর ইউনিয়নের বগুড়া গ্রামের মো: এছাহাক মৃধার নিজ পুকুরে বিষ প্রয়োগের ফলে মাছ মরে ভেসে উঠতে শুরু করে। দিন দুপুরে পুকুরের বিষ দিয়ে এ মাছ মারছে দুর্বৃত্তরা। মাছ নিধন করেছে এমন চিৎকার শুনে পুকুর পাড়ে গিয়ে দেখতে পাই প্রায় ৯০ হাজার টাকার দেশী প্রজাতের মাছ মরে ভেসে আছে।

ভুক্তভোগী মো: এছাহাক মৃধার স্ত্রী পারভিন বেগম বলেন, ‘আমার নিজের চোখে দেখেছি শুক্রবার দুপুরে মো: ফারুক মৃধা ও মামুন মৃধা পুকুর পাড়ে বিষের বোতল নিয়ে হাঁটে আর আমারে দেখে পুকুরের মধ্যে ম্যালা মারে। তার কিছুক্ষণ পর থেকে পুকুরের মাছ মরে ভাইসা উঠতে থাকে। আমরা এখন কি খাবো, কি করবো আর কই যাবো। আমাগো না খাইয়া মরতে হবে।’

ভুক্তভোগী মো: এছাহাক মৃধা বলেন, পারিবারিক বিরোধের কারণে প্রকাশ্য দিবালোকে মো: ফারুক মৃধা ও মামুন মৃধারা আমার চাষের পুকুরে বিষ দিয়ে বিভিন্ন প্রজাতের প্রায় ১ লাখ টাকার মাছ মারছে। এমন কি তারা এর আগেও দুইবার আমার চাষের অন্য পুকুরে বিষ দিয়ে প্রায় সাড়ে তিন থেকে চার লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি করেছে। আমাকে ও আমার পরিবারের সদস্যদের বিভিন্নভাবে তারা এলাকা ছাড়তে হুমকিও দিয়ে আসছে। আমি দীর্ঘ দিন ধরে দেশী প্রজাতীর মাছের রেনু পোনার ব্যবসা করে আসছি। আমার ইউনিয়ন পরিষদেও ট্রেডলাইন্সে রয়েছে। আমি বাংলাদেশ সরকারের কাছে বিচারের দাবি জানাই।’

ফারুক মৃধা জানান, আমাদের সাথে তাদের দীর্ঘ দিন থেকে বিরোধ চলে আসছে। আমাদের ফাঁসাতে মাছ মারার অভিযোগ করেছে।

দশমিনা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মেহেদী হাসান বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তবে ভুক্তভোগী পরিবার সঠিকভাবে কে বা কারা পুকুরে বিষ দিয়েছে তা বলতে পারেনি। তবে তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের চিহ্নিত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop