৪:৫৯ অপরাহ্ন

বৃহস্পতিবার, ৯ মে , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : অক্টোবর ৫, ২০২২ ৭:৫৫ অপরাহ্ন
শুক্রবার থেকে ২২ দিন বন্ধ থাকবে ইলিশ আহরণ
মৎস্য

উৎপাদন বাড়াতে ও ডিম ছাড়ার সুযোগ দিতে আগামী ৭ অক্টোবর (শুক্রবার) থেকে ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত ২২ দিন সারাদেশে ইলিশ আহরণ বন্ধ থাকবে।

এসময় দেশব্যাপী ইলিশ আহরণ, বিপণন, ক্রয়-বিক্রয়, পরিবহন, মজুত ও বিনিময় নিষিদ্ধ থাকবে। ইলিশ আহরণে বিরত থাকা জেলেদের খাদ্য সহায়তা দেবে ভিজিএফ।

গত ১৫ সেপ্টেম্বর রাজধানীর মৎস্য ভবনে মৎস্য অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন সংক্রান্ত জাতীয় টাস্কফোর্স কমিটির সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

বাংলাদেশে ২০০৩-০৪ সাল থেকেই জাটকা রক্ষার কর্মসূচি শুরু করা হয়। তখন থেকেই ধীরে ধীরে ইলিশের উৎপাদন বাড়ছে। ২০০৮ সাল থেকে প্রথম আশ্বিন মাসে পূর্ণিমার আগে ও পরে মিলিয়ে ১১ দিন মা-ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। তখন থেকেই এর সুফল দেখতে শুরু করেন বিজ্ঞানীরা। তখন তারা গবেষণায় দেখতে পান, শুধু পূর্ণিমায় নয়, এ সময়ের অমাবস্যাতেও ইলিশ ডিম ছাড়ে।

ইলিশ সম্পদ সংরক্ষণে ‘প্রটেকশন অ্যান্ড কনজারভেশন অব ফিশ অ্যাক্ট, ১৯৫০’ এর অধীন প্রণীত ‘প্রটেকশন অ্যান্ড কনজারভেশন অব ফিশ রুলস, ১৯৮৫’ অনুযায়ী এই ২২ দিন সারাদেশে ইলিশ মাছ আহরণ, পরিবহন, মজুত, বাজারজাতকরণ, ক্রয়-বিক্রয় ও বিনিময় নিষিদ্ধ করেছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।

এই ২২ দিন সারাদেশে ইলিশ আহরণ, পরিবহন, মজুত, বাজারজাতকরণ, ক্রয়-বিক্রয় ও বিনিময় দণ্ডনীয় অপরাধ। আইন অমান্যকারী কমপক্ষে এক থেকে সর্বোচ্চ দুই বছর সশ্রম কারাদণ্ড অথবা পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবে।

এ বিষয়ে মৎস ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেন, নিষিদ্ধ সময়ে যারা মাছ ধরতে নামে তারা সবাই মৎস্যজীবী নয়। তাদের নেপথ্যে অনেক ধনী ও ক্ষমতাবান ব্যক্তি থাকেন। ইলিশ সম্পদ রক্ষায় অতীতের মতো এবারও এসব অসাধু ব্যক্তিদের ছাড় দেওয়া হবে না। ইলিশ সম্পদ ধ্বংসকারী দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দিনে অভিযানের পাশাপাশি এবার রাতেও অভিযান জোরদার করা হবে।

তিনি বলেন, সংশ্লিষ্ট জেলা-উপজেলায় বরফ কল বন্ধে স্থানীয় প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে। গত বছরের ন্যায় এবারও অবৈধ জাল উৎপাদনস্থলে অভিযান পরিচালনা করা হবে। অবৈধ পথে ইলিশ পাচার রোধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইলিশ সম্পৃক্ত জেলা-উপজেলায় নদীতে ড্রেজিং বন্ধে স্থানীয় প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে। ইলিশের নিরাপদ প্রজননের মাধ্যমে ইলিশ সম্পদ উন্নয়নে যা যা করা দরকার তা করতে হবে।

প্রকাশ : অক্টোবর ২, ২০২২ ৮:৪৮ পূর্বাহ্ন
হালদায় মিলল ইলিশ!
মৎস্য

দেশের অন্যতম মিঠাপানির কার্প জাতীয় মা-মাছের প্রাকৃতিক প্রজনন কেন্দ্র বঙ্গবন্ধু মৎস্য হেরিটেজ চট্টগ্রামের হালদা নদীতে মিলল ছোট্ট একটি ইলিশ মাছ। এটির দৈর্ঘ্য প্রায় ১১.৫ ইঞ্চি, প্রস্থ ২ ইঞ্চি এবং ওজন ২৬৫ গ্রামের মতো।

গতকাল বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে হালদা নদী মোহনার নিকটবর্তী চাঁদগাঁও অংশে অবৈধভাবে পাতানো একটি জালে আটকা পড়ে ইলিশ মাছটি।

পরে মাছটিকে জীবিত উদ্ধার করে ফের নদীতে অবমুক্ত করেন বলে জানান হাটহাজারীর সিনিয়র উপজেলা মৎস্য অফিসার নাজমুল হুদা।

তিনি আরও জানান, বিকালে হালদা নদীর হাটহাজারী অংশের গড়দুয়ারা নয়াহাট থেকে মোহনা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে অবৈধভাবে পাতানো অবস্থায় দুটি কারেন্ট জাল ও একটি চর ঘেরা জাল এবং মাছ ধরার ৫টি বড়শিও জব্দ করা হয়। জব্দকৃত এসব জালের দৈর্ঘ্য প্রায় ২ হাজার ৫০০ মিটার।

এছাড়া অভিযান পরিচালনাকালে নদীর মোহনার নিকটবর্তী চাঁদগাও অংশে অবৈধভাবে পাতানো একটি কারেন্ট জালে একটি ছোট্ট ইলিশ মাছ আটকা পড়েছিল। পরে মাছটি জীবিত উদ্ধার করে নদীতে অবমুক্ত করা হয়েছে।

প্রকাশ : সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২২ ১:৫৭ অপরাহ্ন
হাতিয়ায় ট্রলারে ধরা পড়ল ৫৯ মণ ইলিশ
মৎস্য

নোয়াখালীর বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে গিয়ে তিন দিনে ৫৯ মণ মাছ ধরেছেন ভোলার মনপুরার জেলেরা।

বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ৯টার দিকে হাতিয়ার চেয়ারম্যানঘাটে নিলামে বিক্রি হয়েছে ১৩ লাখ ৩ হাজার ৯০০ টাকায়। মাত্র তিন দিনে বিপুল পরিমাণ মাছ ধরা পড়ায় বোটের মালিক, সারেংসহ জেলেরা মহাখুশি। এসব মাছ কিনেন মেঘনা ফিশিং এজেন্সি।

ট্রলারের মালিক উৎফুল জানান, ‘তিন দিন আগে ১২ জেলে ভোলার মনপুরা থেকে মাছ ধরতে সাগরে যাই। বিভিন্ন সাইজের ৫৯ মণ ইলিশ পেয়েছি। এর মধ্যে বড় সাইজের মাছের সংখ্যা বেশি। মেঘনা ফিশিংয়ে মাছ গুলো বিক্রি হয়েছে। নিলামে শেষ পর্যন্ত ২২ হাজার ১০০ টাকা করে ৫৯ মণ ইলিশের দাম হয়েছে ১৩ লাখ তিন হাজার ৯০০ টাকা।’

হাতিয়া চেয়ারম্যান ঘাটের মেঘনা শিফিং এজেন্সির ম্যানেজার মো: হাবিব ভূঁইয়া জানান, মনপুরা উজ্জল মাঝির একটি মাছধরা ট্রলারে ছোট বড় ও মাঝারি সাইজের ৫৯ মণ ইলিশ ধরা পড়ার কথা নিশ্চিত করে বলেন মাছ গুলোর মধ্যে বেশির ভাগ বড় সাইজের মাছ ছিল।
চেয়ারম্যান ঘাটের একাধিক জেলের সাথে কথা বলে জানা গেছে, আগামী কিছুদিন সাগরে জেলেদের জালে বেশি পরিমাণ ইলিশ মাছ ধরা পড়বে। এখন নদীতেও মাছ মিলছে।

নিষেধাজ্ঞা শুরু হবে ৭ অক্টোবর থেকে। এর আগে, গত ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত ৬৫ দিন গভীর সমুদ্রে মাছ ধরা নিষিদ্ধ ছিল। এর সুফল হিসেবে এখন সাগরে মাছ ধরতে গিয়ে জেলেরা বেশি পরিমাণ মাছ ধরতে পারছেন। সরকারি নিষেধাজ্ঞা মেনে চললে ভবিষ্যতে জেলেদের জালে আরো বেশি বেশি ইলিশসহ বিভিন্ন মাছ ধরা পড়বে বলে আশা করছেন জেলেরা।

প্রকাশ : সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২২ ৯:২৪ পূর্বাহ্ন
সারাদেশে ইলিশ আহরণের উপর ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা
মৎস্য

প্রধান প্রজনন মৌসুমে ইলিশের নিরাপদ প্রজননের লক্ষ্যে আগামী ৭ থেকে ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত মোট ২২ দিন সারাদেশে ইলিশ আহরণ নিষিদ্ধ থাকবে।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর মৎস্য ভবনে মৎস্য অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এক সভায় এটি জানান।

সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক, ইলিশ আহরণ নিষিদ্ধকালে দেশব্যাপী ইলিশ পরিবহণ, ক্রয়-বিক্রয়, মজুদ ও বিনিময়ও নিষিদ্ধ থাকবে। নিষিদ্ধকালে মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান বাস্তবায়ন করা হবে। এ সময় ইলিশ আহরণে বিরত থাকা জেলেদের সরকার ভিজিএফ খাদ্য সহায়তা দেবে।

মন্ত্রী সভাপতির বক্তব্যে বলেন, নিষিদ্ধ সময়ে যারা মাছ ধরতে নামে তারা সবাই মৎস্যজীবী নয়। তাদের নেপথ্যে অনেক ধনী ব্যক্তি থাকে, ক্ষমতাবান ব্যক্তি থাকে। ইলিশ সম্পদ রক্ষায় অতীতের মত এবারও এসব অসাধু ব্যক্তিদের ছাড় দেয়া হবে না। ইলিশ সম্পদ ধ্বংসকারী দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার কথাও বলেন মন্ত্রী।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আরও বলেন, জেলা-উপজেলায় বরফ কল বন্ধে স্থানীয় প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে। গত বছরের ন্যায় এবারও অবৈধ জাল উৎপাদনস্থলে অভিযান পরিচালনা করা হবে। অবৈধ পথে ইলিশ পাচার রোধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ইলিশ সম্পৃক্ত জেলা উপজেলায় নদীতে ড্রেজিং বন্ধে স্থানীয় প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে।

অতীতে এত ইলিশ উৎপাদন হয়নি উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, সরকারের নানাবিধ উদ্যোগে ইলিশ উৎপাদন বৃদ্ধির ফলে গ্রাম-গঞ্জে এখন ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে। দেশের মানুষ ইলিশ খেতে পারছে। ইলিশ রপ্তানিও করা যাচ্ছে।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী, অতিরিক্ত সচিব শ্যামল চন্দ্র কর্মকার, মো. তৌফিকুল আরিফ, এ টি এম মোস্তফা কামাল ও মো. আব্দূল কাইয়ূম, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খ. মাহবুবুল হক, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. ইয়াহিয়া মাহমুদ, বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের পরিচালক মো. মনজুর হাসান ভুঁইয়াসহ সংশ্লিষ্টরা সভায় উপস্থিত ছিলেন।

প্রকাশ : সেপ্টেম্বর ২, ২০২২ ১২:১৪ অপরাহ্ন
ইলিশ বিক্রেতাদের হাঁকডাকে সরগরম চাঁদপুর
মৎস্য

ইলিশের মৌসুম বিক্রেতাদের হাঁকডাকে সরগরম চাঁদপুরের বড়স্টেশন বাজার। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ইলিশের পাইকারি এই বাজারে ক্রেতার ভিড় বাড়তে থাকে।

মিলছে চাঁদপুরের পদ্মা ও মেঘনার ইলিশ। পুরো উপকূলীয় অঞ্চলেই এখন ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে। সবচেয়ে বেশি ইলিশ ধরা পড়ছে সাগরে। গত মাসে শুরু হওয়া ইলিশের এই মৌসুম শেষ হবে ডিসেম্বরে।

গত অর্থবছরে দেশে ইলিশ উৎপন্ন হয়েছে প্রায় ছয় লাখ টন। এ বছরের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা এখনো ঠিক হয়নি। ভোক্তা পর্যায়ে এখন প্রতি কেজি ইলিশের বাজারমূল্য গড়ে ৬০০ টাকা ধরলে ছয় লাখ টন ইলিশের বাজারমূল্য দাঁড়ায় ৩৬ হাজার কোটি টাকা।

শুধু ইলিশ ধরার পেশায় নিয়োজিত আছেন প্রায় পাঁচ লাখ জেলে। পরিবহন, বাজারজাত মিলে ধরলে আরো কয়েক লাখ মানুষ এর সঙ্গে যুক্ত।

বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিএফআরআই) হিসাবে, একক প্রাকৃতিক পণ্য হিসেবে দেশের অর্থনীতিতে সবচেয়ে বড় অবদান ইলিশের। জাতীয় অর্থনীতিতে বা জিডিপিতে মাছটির অবদান ১ শতাংশের মতো।

২০২০-২১ অর্থবছরে দেশে মাছের মোট উৎপাদন ছিল ৪৬ লাখ ২১ হাজার টন। এর ১২.২৩ শতাংশ ছিল ইলিশ। বিশ্বের উৎপন্ন ইলিশের প্রায় ৭৫ শতাংশই বাংলাদেশে হচ্ছে। মিয়ানমারে ১৫ শতাংশ, ভারতে ৫ এবং অন্যান্য দেশে ৫ শতাংশ ইলিশ মাছ উৎপন্ন হচ্ছে।

প্রকাশ : অগাস্ট ২২, ২০২২ ১২:৫৪ অপরাহ্ন
সাগরে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ,নদীতে নেই!
মৎস্য

সাগরে ধরা পড়ছে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ।  বেশ সরগরম হয়ে উঠেছে মাছের আড়তগুলো। তবে একেবারে ভিন্ন চিত্র ভোলার মেঘনা-তেঁতুলিয়া নদীতে। মেঘনা নদীতে কিছু ইলিশ পেলেও তেঁতুলিয়ায় ইলিশ নেই বললেই চলে।

মেঘনার বড় আড়তদার ও শেল্টার বাজারের মাছ ব্যবসায়ী আবুল কালাম, হাকিমুদ্দিন মির্জাখীল ঘাটের ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর মাঝি, তেঁতুলিয়া নদীর নয়নের খালের জুয়েল মেম্বার, কালাম বদ্দার জানান, দাদনের লাখ লাখ টাকা নদীর জলে। নদীতে মাছ নেই। মহাসংকটে আমরা। তারা বলেন, এই অবস্হা চলতে থাকলে কমপক্ষে ৩০ শতাংশ জেলে পেশা পরিবর্তন করবে। জেলে জামাল ও শহিদুল, জাহাঙ্গীর, নেজামাল বলেন, এ বছর ভরা মৌসুমেও মেঘনায় তেঁতুলিয়ায় ইলিশের দেখা মেলেনি। তবুও আমরা অপেক্ষায় ছিলাম। নদীতে মাছ ধরা পড়ার। কই ? এখনো তো মিলছে না ইলিশ। তেঁতুলিয়া নদীর অবস্হা আরো করুণ।

জানা যায়, খুব কম পরিমাণ মাছ কেনাবেচা হচ্ছে। মাছ বিক্রি করে যে টাকা পাচ্ছে তা দিয়ে জেলেদের খরচপাতি চালানো মুশকিল।

বোরহানউদ্দিন উপজেলার সিনিয়র মত্স্য কর্মকর্তা মো. আলি আহমেদ আকন্দ জানান, ইলিশ সাগরের মাছ। ডিম পাড়ার সময় মিঠা পানির খোঁজে তারা নদীতে আসে। বর্তমানে নদীর পানিতে লবণাক্ততা বেশি। তাই সাগরে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ থাকলেও নদীতে ইলিশ নেই। তবে সেপ্টেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে নদীতেও মাছ মিলবে বলে আমরা আশাবাদী বলে জানান তিনি।

প্রকাশ : অগাস্ট ১৬, ২০২২ ৫:৪৫ অপরাহ্ন
ডিমওয়ালা ইলিশ চিনার উপায়
মৎস্য

ইলিশ পছন্দ করেন না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়াও দুষ্কর। স্বাদে, গন্ধে এমনকি পুষ্টির দিক দিয়েও ইলিশ মাছ। বছরের অন্যান্য সময়ের তুলনায় বর্ষায় বাড়ে ইলিশ মাছের চাহিদা।

ইলিশ মাছ কিনতে গেলে কমবেশি সবাই দুশ্চিন্তায় পড়ে যান। কোনটি নদীর আর কোনটি সমুদ্রের, কোন মাছটি সুস্বাদু কিংবা কোনটিতে ডিম আছে তা বুঝে উঠতে পারেন না অনেকেই।

অনকেরই ধারণা আছে, নদী আর সাগরের ইলিশের মধ্যে স্বাদে অনেক পার্থক্য আছে। তবে সব ইলিশই কিন্তু সুস্বাদু হয়। বিশেষ করে ইলিশ আকারে যত বড় হবে, তার স্বাদ তত বেশি হয়।

বড় ইলিশকে পাকা ইলিশও বলা হয়। আবার বর্ষাকালে যেসব ইলিশ বাজারে পাওয়া যায় সেগুলো বেশি সুস্বাদু হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, ডিম ছাড়ার আগ পর্যন্ত ইলিশের স্বাদ সবচেয়ে বেশি থাকে।

ডিমওয়ালা ইলিশের স্বাদ তুলনামূলক কম। তবে ডিমওয়ালা মাছের চাহিদা বেশি। অনেকেই বাজার ঘুরে ডিমওয়ালা মাছ খোঁজেন। কীভাবে চিনবেন ডিমওয়ালা ইলিশ?

ডিমওয়ালা মাছ পাওয়ার সবচেয়ে সম্ভাব্য সময় হলো অগাস্ট মাসের পর থেকে। তখন শুরু হয় ইলিশের ডিম ছাড়ার মৌসুম। একটানা তা চলে অক্টোবর পর্যন্ত। যদিও বর্তমানে বাজারে বছরজুড়েই ইলিশ পাওয়া যায়।
সাধারণত ডিমওয়ালা ইলিশের পেট কিছুটা মোটা অর্থাৎ উঁচু থাকে। আকৃতি অনেকটা চ্যাপ্টা দেখায়। এছাড়া ডিমওয়ালা ইলিশের পেট টিপলেই পায়ুর ছিদ্র দিয়ে ডিম বেরিয়ে আসবে। এভাবে যাচাই করে সহজেই কিনতে পারবেন ডিমওয়ালা ইলিশ মাছ।

ইলিশ মাছের মতোই এর ডিমেও আছে নানা পুষ্টি উপাদান। ভিটামিন এ, ডি থেকে শুরু করে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড সবই পাবেন মাছের ডিমে। এমনকি রক্তের হিমোগ্লোবিন বাড়াতেও সাহায্য করে মাছের ডিম।

প্রকাশ : অগাস্ট ১৩, ২০২২ ৯:৫০ পূর্বাহ্ন
এক ট্রলারেই ধরা পড়ল ৬০ মণ ইলিশ!
মৎস্য

বঙ্গোপসাগরে বিদ্যমান লঘুচাপ ও দক্ষিণাঞ্চলের ওপর সক্রিয় মৌসুমী বায়ুর কারণে তীরে ফিরতে পারেনি ‘বিসমিল্লাহ ফিশিং বোট’। বিপদ সংকেতে সমুদ্রে বৈরী আবহাওয়ার সঙ্গে লড়াই করে ৭ দিন পর ঘাটে ফিরতে সক্ষম হয় বোটটি। সেই বোটেই মিলল ৬০ মণ ইলিশ, যা নিলামে বিক্রি হয়েছে ১৩ লাখ ৫০ হাজার টাকায়।

শুক্রবার (১২ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে হাতিয়ার চেয়ারম্যান ঘাটের মেঘনা ফিশিংয়ে এসব ইলিশ বিক্রি করা হয়।

বিসমিল্লাহ ফিশিং বোটের মালিক ও বোটটির প্রধান মাঝি গোলাম কিবরিয়া জানান, আমরা সমুদ্র সংকেতের মধ্যে পড়ে যাওয়ায় তীরে আসতে পারি নাই। অনেক টাকা দেনা করে সমুদ্রে মাছ ধরতে গিয়েছি, কিন্তু কূলে ফিরলে ঋণী হয়ে যাব। তাই যুদ্ধ করে সাগরে রয়ে গেছি। আলহামদুলিল্লাহ অনেক মাছ পেয়েছি। আমরা ২৩ জন মাঝি ৭ দিন সমুদ্রে মাছ ধরেছি। এত মাছ হবে কল্পনাও করি নাই। আমাদের জীবন সংগ্রামী জীবন। এই নদীই আমাদের জীবন। যা মাছ পেয়েছি সব মেঘনা ফিশং এ বিক্রি করেছি। ভালো দাম পাওয়ায় আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করেন তিনি।

মেঘনা ফিশিংয়ের ম্যানেজার মো. হাবিব ভূঁইয়া জানান, নৌকাটির মালিক গোলাম কিবরিয়া মাঝি হাতিয়া উপজেলার সোনাদিয়া ইউনিয়নের চরচেঙা গ্রামের বাসিন্দা। সকালে বোটটি চেয়ারম্যান ঘাটে এসেছে। বিভিন্ন সাইজের মাছ ছিল। তবে বড় সাইজের ইলিশ মাছ বেশি ছিল। নিলামে দাম তুলতে তুলতে শেষ পর্যন্ত ২২ হাজার ৫০০ টাকা করে ৬০ মণ ইলিশের দাম হয়েছে ১৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা।

প্রকাশ : জুন ২২, ২০২২ ২:১০ অপরাহ্ন
নদীতে নয়, পুকুরেই ধরা পড়ল ইলিশ!
মৎস্য

নদীতে নয়, এবার পুকুরে জেলেদের জালে ধরা পড়েছে ইলিশ মাছ। বেতাগী উপজেলার মোকামিয়া ইউনিয়নের ছোট মোকামিয়া গ্রামের একটি পুকুরে সাতটি ইলিশ মাছ পাওয়ায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। প্রতিটি ইলিশের গড় ওজন ৪০০ থেকে ৫০০ গ্রাম।

জানা যায়, বরগুনা জেলার বেতাগী উপজেলার স্থানীয় সাবেক নারী ইউপি সদস্য রিজিয়া বেগমের পুকুরে সোমবার বেলা ১১টায় জেলেরা মাছ ধরতে নামলে তাদের জালে একেক করে ৭টি তাজা ইলিশ মাছ ধরা পড়ে। এ খবর চারদিকে ছড়িয়ে পড়লে তাজা ইলিশ দেখতে স্থানীয়রা ভিড় জমান।

রিজিয়ার ছেলে মঈনুল ইসলাম বলেন, পুকুরে ইলিশ পাওয়ায় আমরা আনন্দিত। এর আগে আমরা কখনো পুকুরে ইলিশ মাছ দেখিনি। তবে বিষয়টি অবাক করার মতো। পুকুরে কীভাবে ইলিশ এলো তা আমাদের জানা নেই। আমরা কেউ ইলিশ মাছ পুকুরে চাষ করিনি।

স্থানীয় প্রবীণ জেলে আবদুর রব সিকদার বলেন, নদীর সঙ্গে ওই পুকুরের কোনো সংযোগ নেই। তারপরও ইলিশ পাওয়া গেল। হয়ত বৃষ্টির সঙ্গে নদীর পানিতে থাকা ইলিশের রেণু কোনো না কোনোভাবে পুকুরে প্রবেশ করেছে।

বেতাগী উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আবদুল গফফার বলেন, পুকুরে ইলিশ হয় বিষয়টি এমন নয়। জোয়ারের পানি পুকুরে প্রবেশ করলে তখন নোনা পানির সঙ্গে ইলিশও প্রবেশ করতে পারে। তবে এখন দেশে পুকুরে ইলিশ চাষ নিয়ে গবেষণা চলছে।

প্রকাশ : এপ্রিল ৩০, ২০২২ ৩:০৯ অপরাহ্ন
মধ্যরাতে শেষ হচ্ছে নিষেধাজ্ঞা, ইলিশ শিকারে প্রস্তুত জেলেরা
মৎস্য

টানা দুই মাস বন্ধ থাকার পর শনিবার (৩০ এপ্রিল) রাত ১২ টা থেকে দেশের ৫টি অভয়াশ্রমে আবারও শুরু হচ্ছে ইলিশ ধরা।

প্রাণচাঞ্চল্য ফিরেছে মৎস্যজীবীদের মাঝে। মধ্যরাতে নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার পরপরই কর্মব্যস্ত হয়ে পড়বেন বেকার জেলেরা। জেলেরা নদীতে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ঘাটের পাড়ে জাল ও নৌকা ঠিক করায় ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা।

এতোদিন যেসব আড়তে ছিল সুনশান নিরবতা সেইসব আড়ত জেলে, মৎস্যজীবী ও আড়তদারদের হাঁকডাকে মুখরিত হয়ে উঠবে। মাছ ধরে বিগত দিনের ধার-দেনা শোধ করে ঘুরে দাঁড়াতে পারবেন বলে আশাবাদী জেলেরা।

মৎস্য বিভাগ জানিয়েছে, এবছর নিষেধাজ্ঞা প্রায় শতভাগ কার্যকর হয়েছে বলে দাবি করেছে। দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা হওয়ায় এবার কাঙ্ক্ষিত টার্গেট ৬ লাখ টন ইলিশ মাছ আহরণ সম্ভব হবে।

জাটকা ইলিশ সংরক্ষণে প্রতিবছর দুই মাস দেশের কয়েকটি এলাকায় মাছ ধরা নিষিদ্ধ করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় এবারো ৫টি অভয়াশ্রমে পহেলা মার্চ থেকে ৩০শে এপ্রিল পর্যন্ত ইলিশসহ সবধরনের মাছ ধরা বন্ধ থাকে। এই সময়ে বন্ধ থাকে ইলিশ মাছ মজুদ এবং বিক্রিও। চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর, পটুয়াখালী, ভোলা, শরীয়তপুর ও বরিশাল জেলায় পদ্মা-মেঘনাসহ কয়েকটি নদীর নির্দিষ্ট এলাকা নিয়ে এই পাঁচটি অভয়াশ্রম।

বরিশাল জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিমল চন্দ্র দাস জানান, রোববার ভোর থেকে ইলিশ আহরণ শুরু হবে, এবার কম সংখ্যক জেলেরাই নদীতে নামবে। ঈদের জন্য অনেকেই এই মুহূর্তে নদীতে নামবে না, তাছাড়া নদীতে মাছের উপস্থিতি অনেক কমে গেছে।

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop