৩:৫১ পূর্বাহ্ন

বৃহস্পতিবার, ৯ মে , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : জুলাই ৬, ২০২২ ২:০১ অপরাহ্ন
দাম বেশি হলেও ক্রেতাদের পছন্দ ছোট গরু
প্রাণিসম্পদ

আর মাত্র কয়েকদিন পরেই পবিত্র ঈদুল আজহা। এরই মধ্যে জমে উঠেছে গরুর হাট। চলছে বেচা-কেনা। হাটে উঠছে বিভিন্ন সাইজের গরু। তবে এবার দাম একটু বেশি হলেও ক্রেতাদের পছন্দের তালিকায় রয়েছে ছোট গরু।

জামালপুরের সদর ও সরিষাবাড়ী উপজেলার বিভিন্ন হাটে দেখা যায় এমন চিত্র। হাটে জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছোটবড় নানা জাতের পশুর সমাহার। ক্রেতারা আসছেন, দেখছেন। কেউ আবার কিনেও নিয়ে যাচ্ছেন।

বিক্রেতারা বলছেন, এখনো ঈদের কয়েকদিন বাকি। তাই বেচাকেনা সেভাবে জমে ওঠেনি। ৫০-৯০ হাজারের মধ্যে দেশি জাতের ছোট গরুর বিক্রি বেশি হচ্ছে।
গরু কিনতে আসা ফজর আলী বলেন, ‘হাটে আজকেই প্রথম এলাম। ছোট গরুর দাম একটু বেশি। বড় গরুর দাম গতবারের তুলনায় অনেক কম।’আব্দুর রহিম নামের এক বিক্রেতা বলেন, ‘শখ করে বেশ কয়েকটি গরু লালন-পালন করেছি। কিছুটা লাভের আশায় গরুগুলো হাটে নিয়ে এসেছি। কিন্তু দাম বেশির কথা বলে কেউ নিতে চাচ্ছেন না।’

আওনা ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য হোসাইন আহমেদ বলেন, এ কয়েকদিন তিনি জেলার বিভিন্ন গরুর হাট ঘুরেছেন। মাঝারি গরুর দাম মোটামুটি ঠিক থাকলেও, ছোট গরুর চাহিদা বেশি থাকায় দাম বেশি। আজকের হাটে তিনি নিজেও ৮ থেকে ১০টি গরু দেখেছেন। সেখানে ছোট গরুর চাহিদাই একটু বেশি।

প্রকাশ : জুলাই ৬, ২০২২ ১২:৫৪ অপরাহ্ন
আসছে কোরবানির ঈদ, গরুর বয়স নির্ণয় করবেন যেভাবে
প্রাণিসম্পদ

আসছে কোরবানির ঈদ। ঈদকে ঘিরে পশু কোরবানির জন্য পছন্দের জায়গা হলো গরু। আর সেই গরু দিয়ে কোরবানি দিতে রয়েছে বয়সের কিছু সীমাবদ্ধতা। আজকের লেখায় আলোচনা করা হল গরুর বয়স নির্ণয় করা নিয়ে।

গরুর বয়স নির্ণয় করবেন যেভাবে-

১। গরুর জন্ম তারিখ রেজিষ্টার করা থাকলে নিবন্ধিত জন্ম তারিখ থেকে গরুর বয়স নির্ণয় করা যায়।

২। গরুর ২টি স্থায়ী দাঁত উঠলে গরুর বয়স ১৯ থেকে ২৪ মাসের মধ্যে অর্থাৎ ২ বছর হয়ে থাকে।

৩। গরুর জন্ম থেকে ১ মাস বয়সের মাঝে অস্থায়ী দাঁত উঠতে শুরু করে। এক মাসের মধ্যে নিচের পাটির সামনের ৮টি অস্থায়ী দাঁত উঠে যায়।

৪। গরু ১ বছর বয়সে সামনের সারির মাঝের দুটো অস্থায়ী দাঁত পড়ে যায় ও সেখানে স্থায়ী দুটো দাঁত ওঠে। ২ বছর বয়সের মাঝে এই দুটো দাঁত বেশ বড় আকার ধারণ করে।

৫। গরুর বয়স দুই থেকে আড়াই বছরের মাঝে সামনের স্থায়ী দাঁতের সংখ্যা হয় চারটা। তিন বছরের মাঝে এই পাশের দুটো দাঁত সম্পূর্ণ আকার ধারণ করে।

৬। গরুর বয়স ৩ বছরের মাঝামাঝি হলে পাশে আরও ২টি দাঁত ওঠে ফলে সামনে স্থায়ী দাঁতের সংখ্যা হয় ৬টি। সাড়ে তিন বছরের মাঝে এই দুটা দাত পূর্ণ আকার ধারণ করে থাকে।

৭। গরুর বয়স যখন ৪-৫ বছরের মাঝামাঝি হয় তখন গরুর সামনে ৮টি দাত স্থায়ীভাবে  উঠে।

৮। গরুর বয়স ৫-৬ বছর হলে সামনের দুটো দাঁত ক্ষয় হয়ে সমান হয়ে যায় এবং পাশের বাকি দাঁতগুলোতে ক্ষয়ের চিহ্ন লক্ষ্য করা যায়।

৯। গরুর বয়স ৭-১০ বছর হলে সামনের দাঁতগুলোর ক্ষয়ের পরিমাণ খুব বেশি লক্ষ্য করা যায় এবং তা দেখতে অনেকটা ভাঙ্গা ভাঙ্গা দেখায়।

১০। গরুর বয়স ১০-১২ বছরের মাঝামাঝি হলে দাঁতগুলো ক্ষয় হয়ে অনেকটা তিনকোণা আকৃতি ধারণ করে এবং এক দাঁত থেকে অন্য দাঁতের দূরত্ব তৈরি হয়।

প্রকাশ : জুলাই ৫, ২০২২ ৮:৩৫ অপরাহ্ন
কোরবানির পশুর চামড়ার মূল্য নির্ধারণ করেছে সরকার
প্রাণিসম্পদ

আসন্ন ঈদুল আজহায় কোরবানির পশুর চামড়ার মূল্য নির্ধারণ করেছে সরকার।

গত বছরের চেয়ে ৭ টাকা বাড়িয়ে এ বছর ঢাকায় প্রতি বর্গফুট লবণযুক্ত গরুর চামড়ার দাম ৪৭ থেকে ৫২ টাকা, খাসির চামড়া গতবারের চেয়ে তিন টাকা বাড়িয়ে ১৮ থেকে ২১ টাকা এবং বকরির চামড়া ১২ থেকে ১৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

কোরবানির পশুর চামড়ার দাম নির্ধারণে মঙ্গলবার (৫ জুলাই) সকালে সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষের সভাপতিত্বে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশিসহ সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন তথ্যসচিব, শিল্প সচিবসহ চামড়া ব্যবসার সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা।

এ সময় বাণিজ্যমন্ত্রী গতবারের চেয়ে কিছুটা দাম বাড়িয়ে চামড়ার মূল্য নির্ধারণের ঘোষণা দেন। ঢাকার বাইরে গরুর চামড়া প্রতি বর্গফুট ৪০ থেকে ৪৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এ বছর পশু জবাইয়ের তিন থেকে চার ঘণ্টার মধ্যে চামড়ায় লবণ দিতে হবে বলেও জানানো হয়। লবণ ছাড়া চামড়া সংগ্রহ করা যাবে না বলে সভায় সিদ্ধান্ত হয়।

পরে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব সাংবাদিকদের কাছে ঢাকা ও ঢাকার বাইরে গরু, খাসি এবং বকরি/ছাগলের কাঁচা চামড়ার মূল্য তুলে ধরেন।

তিনি জানান, ঢাকায় লবণযুক্ত গরুর চামড়ার দাম প্রতি বর্গফুট ৪৭ থেকে ৫২ টাকা। গত বছর যা ছিল ৪০ থেকে ৪৫ টাকা। একই চামড়া ঢাকার বাইরে প্রতি বর্গফুট ৪০ থেকে ৪৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। গত বছর যা ছিল ৩৩ থেকে ৩৭ টাকা।

এ ছাড়া সারা দেশে খাসির চামড়া প্রতি বর্গফুট ১৮ থেকে ২০ টাকা, গত বছর যা ছিল ১৫ থেকে ১৭ টাকা। তবে বকরির চামড়ার দাম অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। প্রতি বর্গফুট বকরির চামড়ার দাম ১২ থেকে ১৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

প্রকাশ : জুলাই ৫, ২০২২ ২:১৫ অপরাহ্ন
পদ্মার ওজন ২৫ আর সেতুর ওজন ১৫ মণ!
প্রাণিসম্পদ

আর মাত্র কয়েকদিন পর পবিত্র ঈদুল আজহা। এই ঈদকে সামনে রেখে রাজধানীর বিভিন্ন হাটে জমে উঠতে শুরু করেছে কোরবানির পশুর হাট।

রাজধানীর দনিয়া কলেজ মাঠে পশুর হাটে ফরিদপুরের ভাঙার মালিগ্রাম থেকে ১৫টি গরু নিয়ে এসেছেন ব্যবসায়ী জাকির মাতুব্বর। এর মধ্যে বড় সাইজের দু’টি গরু রয়েছে। শখ করে একটি গরুর নাম রেখেছেন ‘পদ্মা’, আরেকটির নাম ‘সেতু’। নাম শুনে মানুষের আগ্রহও বাড়ছে আরও বেশি।  হাটে সাড়া ফেলেছে এই পশু দুটি।

মালিক জাকির মাতুব্বর বলেন, ‘রোববার ১৫টি গরু নিয়ে এসেছি। আশা করছি ভালো দাম পাবো।’

গরু দুটির নাম ‘পদ্মা’ ও ‘সেতু’ রাখার কারণ জানতে চাইলে জাকির মাতুব্বর বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদ্মা সেতু বর্তমানে সবচেয়ে বেশি আলোচিত। আমার গরু দুইটাও বিশাল বড়। তাই নাম রেখেছি ‘পদ্মা’ ও ‘সেতু।

তিনি বলেন, ‘গরু দুটির বয়স সাড়ে ৪ থেকে ৫ বছর। এক বছর আগে কিনে লালন-পালন করি। সাদাটা ফিজিয়ান এবং লালটা শাহিয়ান জাতের। প্রতিদিন ওদের একটার পেছনে খরচ হয়েছে ৭০০/৮০০ টাকা। পদ্মার ওজন ২৫ মণ। ওর দাম চাচ্ছি ১৬ লাখ। আর সেতুর ওজন ১৫ মণ। ওটার দাম চাচ্ছি ১২ লাখ। লোকজন এসে দেখছেন, দাম জিজ্ঞাসা করছেন।’

প্রকাশ : জুলাই ৪, ২০২২ ১২:৫৩ অপরাহ্ন
বিভিন্ন জায়গা থেকে আসছে গরু, জমে উঠছে গাবতলীর কোরবানির হাট
প্রাণিসম্পদ

আসছে আগামী ১০ জুলাই মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসবের মধ্যে অন্যতম কোরবানির ঈদ। আর ঈদকে কেন্দ্র করে রাজধানীসহ সারাদেশে পশু বেচা-কেনার জন্য নেয়া হয়েছে নানান প্রস্তুতি। এরমধ্যে রাজধানীর অন্যতম বড় পশুর হাট গাবতলীতেও সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ব্যবাসায়ীরা নিয়ে আসছেন গরু। ক্রেতা সমাগম এখনও তেমন চোখে না পড়লেও ধীরে ধীরে বাড়তে শুরু করছে।

ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, আজ কয়েক দিন গুটি গুটি বৃষ্টির কারণে পশু নিয়ে বিপাকে পড়তে হচ্ছে তাদের। আবহাওয়া খারাপের কারণে ক্রেতা সমাগম কম। আগামী দুই তিন দিন পর বেচা-কেনা জমে উঠবে।

গাবতলী পশুর হাটে ব্যবসায়ী হাসান আলীর জানান,তিনি ৩৪টি গরু নিয়ে এসেছে। তার প্রতিটি গরুই মাঝারি আকারের। দেড় থেকে তিন লাখ টাকা পর্যন্ত একেকটি গরুর দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। এখানে আসার পর ২ টি গরু বিক্রি হয়ে গেছে।

মেহেরপুর থেকে আসা ব্যবসায়ী মিজান হোসেন জানান, তার নিজের ঘরে পালিত একটি গরু নিয়ে এসেছি। নাম ‘গরিবের আশা’। দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১৬ লাখ। তবে অনলাইনে একজন দাম বলেছে সাড়ে ১০ লাখ। আমি এতো কম দামে বিক্রি করবো না। আরও দাম বাড়বে বলে আশা করছি।

গাবতলী স্থায়ী পশুর হাটের ইজারা কর্মকর্তা সানাউল হক জানান, আমাদের এখানে ব্যবসায়ীদের জন্য খুপড়ি ঘর, গরু রাখার স্থান তৈরি করা হয়েছে। পাশাপাশি বৃষ্টি বাগড়ায় যেন রাখাল ও পশু না ভিজে সে জন্য শেড টাঙানো হয়েছে। অনেকে নিজ উদ্যোগে প্লাস্টিকের ত্রিপল লাগিয়েছেন।

প্রকাশ : জুলাই ৪, ২০২২ ৮:২৭ পূর্বাহ্ন
কোরবানির জন্য সুস্থ গরু চিনবেন যেভাবে
প্রাণিসম্পদ

আসছে পবিত্র ঈদুল আজহা তথা কোরবানি ঈদ। এই ঈদে মুসলমানরা আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য ত্যাগের মহিমা তথা পশু কোরবানি দিয়ে থাকে। আর শরিয়াহ মোতবেক এই পশু হতে একেবারে সুস্থ সবল। এক্ষেত্রে ক্রেতাদের অবশ্যই নজর রাখতে হবে পশুটিকে স্টেরয়েড ব্যবহার করে মোটাতাজা করানো হয়েছে কিনা? পশুটি রোগাক্রান্ত কিনা? আর একটু সচেতন হলেই এসব সহজে বুঝা সম্ভব।

এ বিষেয়ে মুফতি সাহেবরা বলেন,‘আল্লাহর সন্তুষ্টি ও নৈকট্য অর্জনের জন্য কোরবানির পশু হতে হবে প্রিয় ও পছন্দনীয় এবং সুস্থ-সবল। চতুষ্পদ পশু অর্থাৎ উট, গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়া, দুম্বা কোরবানি দেওয়ার বিধান আছে। তবে হরিণ, খরগোশ দিয়ে কোরবানি করার বিধান নেই। এছাড়া কোরবানির জন্য পশুর বয়সও নির্ধারিত রয়েছে।’‘উট ও গরু-মহিষে সাত জনে মিলে সাত ভাগে কোরবানি দেওয়া যায়। সেক্ষেত্রে উটের বয়স কমপক্ষে ৫ বছর, গরু-মহিষ বয়স ২ বছর এবং ছাগল, ভেড়া, দুম্বার বয়স এক বছর হতে হবে।’

মুফতি আনছারুল হক ইমরান জানান, ‘কোরবানির জন্য শিং যুক্ত হৃষ্টপুষ্ট, অধিক গোশত সম্পন্ন, নিখুঁত, দেখতে সুন্দর এমন পশু নির্বাচন করা উচিত। তবে দু’চোখ বা এক চোখের এক তৃতীয়াংশের বেশি অন্ধ, তিন পায়ে চলে বা চার পায়ে ভর দিতে পারে না এমন পশু, পশুর কান বা লেজের এক তৃতীয়াংশের বেশি কাটা থাকলে, হাড্ডিসার পশু, শিং ওঠেনি অথবা মূল থেকে শিং ভাঙা পশু, যে পশুর একটিও দাঁত নেই, বন্ধ্যা পশু, চর্মরোগের কারণে গোশত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এমন পশু, গর্ভবতী পশু বা বাচ্চা প্রসবের সময় অত্যাসন্ন পশু কোরবানি করা যাবে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘হাদিসের বিবরণে রয়েছে, কোরবানির পশুকে হাশরের ময়দানে শিং, কান, চোখ, লেজ ইত্যাদিসহ হাজির করা হবে। তবে কেনার পর পশু মারামারি করে শিং ভেঙ্গে গেলে, পা ভেঙ্গে গেলে বা অন্য কোনও উপায়ে আহত হলে সামর্থ থাকলে পুনরায় উত্তম পশু কিনতে পারলে উত্তম। তবে কেনা না গেলে সেই পশু দিয়ে কোরবানি দেওয়া যাবে। তবে পশুর পা একেবারেই ভাঙা থাকলে, শিং ভেঙ্গে মস্তিষ্ক আহত হলে, অবহেলা বা অযত্নে যদি পশুটি দোষযুক্ত হয় বা পশু চুরি হয়ে গেলে আগের চেয়ে ভালো পশু কিনে কোরবানি দেওয়া উত্তম।’

সুস্থ-সবল পশু চেনার উপায় বর্ণনা করতে গিয়ে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যানিম্যাল সাইন্স অ্যান্ড ভেটেরিনারি মেডিসিন অনুষদের সাবেক ডিন অধ্যাপক ড. মো. মোফাজ্জল হোসাইন জানান, ‘সুস্থ পশুর বৈশিষ্ট্য হলো- লেজ দিয়ে মাছি তাড়াবে, কান নাড়াবে, অবসরে জাবর কাটবে, নাকের নিচের কালো অংশ ভেজা থাকবে যাতে মনে হয় ঘাম বা শিশির জমেছে, চোখ বড় ও উজ্জ্বল থাকবে, নাক দিয়ে পানি বা সর্দি পড়বে না, ষাড় গরুকে বিরক্ত করলে সহজে রেগে যাবে ও গোবর স্বাভাবিক থাকবে।’

পশুর বয়স কিভাবে নিশ্চিত হওয়া নিয়ে তিনি জানান, ‘কোরবানির গরুর বয়স দুই বছর হতে হবে এবং ছাগলের বয়স এক বছর হতে হবে। দাঁত দেখে এ বয়স নির্ণয় করা যায়। পশুরু জন্মের পর যখন দাঁত উঠে তখন তাকে দুধ দাঁত বলা হয়। দুধ দাঁত আকারে খুব ছোট থাকে। গরুর দুই থেকে আড়াই বছর বয়সে প্রথম এক জোড়া দুধ দাঁত (মাঝখানের) পড়ে যায় এবং সে স্থানে বড় আকৃতির এক জোড়া স্থায়ী কর্তন দাঁত উঠে। যার আকার দুধ দাঁতের প্রায় দুই থেকে তিন গুণ। যা দেখলে সহজেই গরুর বয়স বোঝা যায়। এভাবে গরুর বয়স বাড়তে থাকে এবং স্থায়ী দাঁতের সংখ্যাও বাড়তে থাকে। আর ছাগলের ১২ মাস থেকে ১৫ মাস বয়সে প্রথম এক জোড়া কর্তন দুধ দাঁত (মাঝখানের) পড়ে যায় এবং সে স্থানে বড় আকৃতির এক জোড়া স্থায়ী কর্তন দাঁত উঠে। যার আকার দুধ দাঁতের প্রায় তিন গুণ বড়। যা দেখে ছাগলের বয়স নির্ণয় করা হয়।’

পশুকে স্টেরয়েড খাওয়ানোর বিষয়ে অধ্যাপক ড. মো. মোফাজ্জল হোসাইন বলেন, ‘স্টেরয়েড ব্যবহারে অল্প সময়ে পশুর শরীরে পানি জমে ফুলে উঠে। খাবার কম খেয়ে পানির প্রতি আগ্রহ দেখায়। গরু খুবই শান্ত বা নির্জীব প্রকৃতির হয়। শরীরের মাংসালো অংশে জোরে চাপ দিলে দেবে যায়। মাছি তাড়ানোর জন্য ঘন ঘন লেজ নাড়াবে না।’

প্রকাশ : জুলাই ৪, ২০২২ ৮:০১ পূর্বাহ্ন
ডিজিটাল হাটের কেনা গরু অপছন্দ হলে দেওয়া যাবে ফেরত
প্রাণিসম্পদ

গত কয়েক বছরের ধারাবাহিকতায় কোরবানির ঈদ সামনে রেখে এবারও চালু হল ‘ডিজিটাল হাট’, যেখানে পছন্দ না হলে অনলাইনে কেনা কোরবানির পশু ফেরত দেওয়ারও ব্যবস্থা থাকছে।

পাশাপাশি ক্রেতা-বিক্রেতার হিসাব সমস্যার সমাধানের ভার্চুয়াল ক্যালকুলেটরও সংযোজন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

রোববার ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ‘ডিজিটাল হাট ২০২২’ এর উদ্বোধন করে তিনি বলেন, “অনলাইনে গবাদি পশু কেনাবেচার ক্ষেত্রে যাতে কেউ প্রতারণার শিকার না হয়, সে দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।”

ডিজিটাল হাটের সাথে সম্পৃক্ত এটুআই, একশপ, ই-ক্যাব সহ অন্যান্য ফোরামকে সম্মিলিতভাবে বিষয়টি নিশ্চিত করার তাগিদ দিয়ে তিনি বলেন, মানুষের আস্থা বাড়াতেই এটা করা প্রয়োজন।

“যদি কেউ প্রতারিত হয়, তারা আগামী বছর এ প্রক্রিয়ার সাথে যুক্ত হতে আগ্রহী থাকবে না।”

মন্ত্রী বলেন, “অনলাইনে কেনা গবাদিপশু পছন্দ না হলে ফেরত দেওয়ার ব্যবস্থা অব্যাহত থাকবে, যাতে এটা সবার কল্যাণে কাজে লাগে এবং কেউ যেন কোনোভাবে প্রতারণার শিকার না হয়।

“এ বছর ভার্চুয়াল ক্যালকুলেটর নতুন সংযোজন করা হয়েছে। এটি ক্রেতা-বিক্রেতা সবাইকে অনাহুত সমস্যা থেকে মুক্ত রাখবে এবং তাদের দুশ্চিন্তা দূর করবে।”

এবারের কোরবানিতে পশুর সংকট হবে না জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, মন্ত্রণালয়ের জরিপ অনুযায়ী এবার ৯৭ লাখ ৭৫ হাজার পশুর চাহিদা রয়েছে । তার বিপরীতে দেশে কোরবানি যোগ্য গবাদিপশু প্রস্তুত রয়েছে ১ কোটি ২১ লক্ষ ২৪ হাজার ৩৮৯টি।

প্রকাশ : জুলাই ২, ২০২২ ১১:৫৫ পূর্বাহ্ন
আসছে কোরবানির ঈদ, প্রস্তুত পশুর হাট!
Uncategorized

বুড়িগঙ্গা ও শীতলক্ষ্যা নদী পথে আসতে শুরু করেছে কোরবানির গরু। নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন পশুর হাটে সিরাজগঞ্জ, পাবনা, কুষ্টিয়াসহ বিভিন্ন জেলা থেকে ব্যাপারিরা আসছেন গরু নিয়ে। ইতোমধ্যে প্রস্তুত হচ্ছে কোরবানির পশুর হাট।

নারায়ণগঞ্জে আসন্ন ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে বসতে শুরু করেছে কোরবানির পশুর হাট। এসব হাটে ইতোমধ্যে বাঁশের খুঁটি বসানো হয়েছে। চলছে ত্রিপল, কাউন্টারসহ অন্যান্য আনুসাঙ্গিক কার্যক্রম।

গতকাল শুক্রবার ফতুল্লা ডিআইটি মাঠ ও বন্দরের নবীগঞ্জ পশুর হাট ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

হাটে হাটে ইতোমধ্যে বসেছে পুলিশের বিশেষ নজরদারি দলের পাহারা। নদীপথেও গরুর ট্রলারে ডাকাতি, চাঁদাবাজি রোধে সক্রিয় রয়েছে নৌপুলিশ।

সিরাজগঞ্জের ব্যাপারী আজগর আলী মুন্সী জানান, আমি আটটি এবং আমাদের সাথের কয়েকজনের একাধিক করে গরু নিয়ে এসেছি হাটে। এখনো হাট বসেছি, খুঁটি বসানো হয়েছে।

এবার গো খাদ্যের দাম বেশি গেছে। বন্যায়ও আমাদের অনেক সমস্যা হয়েছে। গরুর দাম এবার বেশি। এবার লাভ করতে পারবো বলে আশা রাখি। তবে হয়তো তেমন ভালো লাভ নাও হতে পারে।

ফতুল্লা হাটে পাবনা থেকে গরু নিয়ে এসেছেন বশির মিয়া । তিনি জানান, এবার গরুর দাম বেশি হবে । কারণ বন্যার কারণে আমরা অনেক ক্ষতিগ্রস্ত। কষ্ট করে কোরবানির জন্য গরু লালন-পালন করতে হয়েছে।

এছাড়া গো-খাদ্যের দাম বেশি। সব মিলেয়ে একটা ন্যায্য দাম পাওয়ার আশা করি।

এদিকে ঈদুল আযহা উপলক্ষে নৌপথে প্রতি বছরই গরু সন্ত্রাসীদের তৎপরতা বেড়ে যায়। ট্রলার থেকে গরু ছিনিয়ে নিয়ে নিজ নিজ হাটে তোলার অপতৎপরতা শুরু হয়ে। টানাটানি করতে গিয়ে গরুবোঝাই ট্রলারডুবির ঘটনাও আগে অনেকে ঘটেছে। তবে গরু সন্ত্রাসীদের রোধে তৎপর পুলিশ।

জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ জায়েদুল আলম জানান, এবার হাটগুলোকে কেন্দ্র করে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। ছিনতাই, চাঁদাবাজি রোধ, জাল টাকার বিষয়ে বাড়তি সতর্কতা থাকবে। পথে পথে গরু আসতে কোনো ধরনের বাধার সৃষ্টি যেন না হয় সেদিকেও বিশেষভাবে বলা হয়েছে নজর রাখতে। কোনো ধরনের অভিযোগ পাওয়া মাত্রই ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এছাড়া কেউ যেকোনো ধরনের নাশকতার চেষ্টা করতে না পারে সেদিকেও আমরা সাদা পোশাকে বিশেষ গোয়েন্দা নজরদারি করছি।

নারায়ণগঞ্জ নৌপুলিশের এসপি মীনা মাহমুদা জানান, একজন ব্যাপারি অনেক কষ্ট করে তার পশু পালন করে বিক্রির জন্য নিয়ে আসেন। তার গরুর রশি ধরে টান দেয়া হবে, তা হবে না। সে যে হাটে ইচ্ছা সেই হাটেই যাবে। তাকে জোর করে কোথাও নামানো যাবেনা।

নৌ পথে ছিনতাই, ডাকাতি, চাঁদাবাজি রোধে বাড়তি টহল ও নিরাপত্তা জোরদার করেছি। আলাদা বিশেষ বোট ভাড়া করা হয়েছে, বাড়তি তেল দেয়া হচ্ছে। বাড়তি ফোর্স থাকছে নৌ পথে। আশা করি, কোথাও কোনো অভিযোগ থাকবে না, যদি কোনো অভিযোগ পাওয়া যায় বিন্দুমাত্র ছাড় দেয়া হবে না।

প্রকাশ : জুলাই ১, ২০২২ ৫:০৮ অপরাহ্ন
পদ্মা সেতু কোরবানির আয়োজনে অভাবনীয় সুযোগ তৈরি করেছে: প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
প্রাণিসম্পদ

পদ্মা সেতু কোরবানির আয়োজনে অভাবনীয় সুযোগ তৈরি করেছে এবং কোরবানিকেন্দ্রিক অর্থনীতিতে ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন।

শুক্রবার (১ জুলাই) রাজধানীতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে পদ্মা সেতুর সম্ভাবনা: দেশীয় পশুতে কোরবানি, খামারিদের সমস্যা ও করণীয়’ বিষয়ক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা জানান।

এ সময় তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টি, আত্মবিশ্বাস,সততা, দৃঢ়তা ও দেশপ্রেমের অকল্পনীয় সিদ্ধান্তে পদ্মা সেতু নির্মাণ হয়েছে। অর্থনৈতিক উন্নয়নের একটা নতুন দিগন্ত উন্মোচন করে দিয়েছে পদ্মা সেতু। এ সেতু আমাদের বিশাল সম্ভাবনা তৈরি করেছে। কোরবানির পশু নিয়ে এক সময় ঘাটে এসে দুই-তিনদিনও অপেক্ষা করতে হতো। পদ্মা সেতু দিয়ে যারা ঢাকা ও দেশের অন্যান্য জায়গায় কোরবানির পশু নিয়ে আসবেন তাদের জন্য পশু পরিবহনের ক্ষেত্রে অভাবনীয় সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। এতে একদিকে যেমন কোরবানির জন্য সম্প্রসারিত জায়গা হচ্ছে, অপরদিকে রাস্তা-ঘাটে ভয়ঙ্কর অবস্থা তৈরি হচ্ছে না। দেশের প্রান্তিক পর্যায় থেকে ঢাকা বা ঢাকা থেকে অন্যত্র পশু পারাপারে এখন ফেরি পার না হলেও চলে। ফলে ফেরিঘাটকেন্দ্রিক খামারিদের বিড়ম্বনা এখন নেই। পদ্মা সেতুর কারণে কোরবানির পশু পারাপার সহজ হয়েছে। পথে অনেক সময় পশু ক্লান্ত হয়ে অসুস্থ হয়ে যেত, অনেক সময় মারাও যেত, সে অবস্থা থেকে পরিত্রাণ হয়েছে। এটা খামারি, বিপণনকারী ও ভোক্তাদের জন্য সুযোগ সৃষ্টি করেছে। এভাবে পদ্মা সেতু কোরবানির আয়োজনে অকল্পনীয় সুযোগ করে দিয়েছে। কোরবানির অর্থনীতিতেও এর ব্যাপক প্রভাব পড়েছে।

তিনি আরও বলেন, এ বছর আমরা নিয়ম করে দিয়েছি, যিনি কোরবানির পশু নিয়ে আসবেন তিনি পশু ঢাকায় না সিলেটে কোথায় বিক্রি করবেন সেটা তার ব্যাপার। পথে কোন বাজারে তাকে পশু নামাতে জোর করা যাবে না। খামারিদের আরেকটি সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে, বাড়িতে বা রাস্তায় পশু বিক্রি করলে তাদের কোন হাসিল দিতে হবে না। কেউ খামারিদের বাজারে এনে পশু বিক্রিতে বাধ্য করতে পারবে না। কোরবানির পশু বাড়িতে বিক্রি করলে নিকটবর্তী বাজার ইজারাদার চাঁদা আদায়ের কথা বলতে পারবে না।

শ ম রেজাউল করিম আরও যোগ করেন, রাস্তাঘাট অথবা যেখানে যান চলাচলে বিব্রতকর অবস্থা সৃষ্টি হয় সেখানে কোন পশুর হাট বসতে পারবে না। নির্ধারিত জায়গায় হাট বসবে। প্রতিটি স্বীকৃত হাটে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ভেটেরিনারি মেডিকেল ব্যবস্থাপনা থাকবে, যাতে অস্বাস্থ্যকর ও রোগগ্রস্ত পশু কেউ যেন সামনে নিয়ে না আসে অথবা সেটা বিক্রি যেন না হয়। হাটে বিনামূল্যে পশু পরীক্ষার ব্যবস্থা থাকবে। এছাড়াও এবারের ঢ় ঘাস ক হাটে আর্থিক লেনদেনের জন্য স্মার্ট ব্যাংকিং ব্যবস্থা থাকবে। এভাবে ক্রেতা-বিক্রেতা ও ভোক্তার জন্য একটি নিরাপদ ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত হবে।

ক্রান্তিকালে খামারিরা যাতে টিকে থাকতে পারে সেজন্য রাষ্ট্র পদক্ষেপ নিয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী এ সময় বলেন, করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত খামারিদের সরকারের পক্ষ থেকে প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে। এবার বৃহত্তর সিলেট ও ঢাকার একটি অংশে প্রাণিসম্পদ খাতে যে বড় ধরনের ক্ষতি হয়েছে, সেটা নিয়ে সরকারের উচ্চ পর্যায়ে যোগাযোগ করা হয়েছে। প্রণোদনা দিয়ে খামারিরা যাতে ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারে এবং এ খাত যাতে ঘুরে দাঁড়াতে পারে সে জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে। বৃহত্তর সিলেটে স্মরণাতীতকালের বন্যা ও জলোচ্ছ্বাস হলেও পশু মৃত্যুর সংখ্যা বিশাল নয়। তারপরও ঐই অঞ্চলের ক্ষতির বিষয়টি মাথায় রেখে বরিশালসহ দেশের অন্যান্য এলাকার উদ্বৃত্ত পশু এ সব ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় বিপণনের জন্য উৎপাদকদের নিয়ে মেতে হবে। পশু পরিবহনে পথে কোন বাধা থাকবে না। যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের কারণে দ্রুততার সাথে এক অঞ্চলের পশু অন্য অঞ্চলে নিয়ে যাওয়া এখন সহজ। এক্ষেত্রে খামারিদের এগিয়ে আসতে হবে।

গবাদিপশুর খাদ্য নিয়ে মন্ত্রী বলেন, পশু খাদ্য তৈরির অন্যতম উপাদান প্রোটিন বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। এ আমদানিতে উৎসে করসহ অন্যান্য কর সরকার শিথিল করে দিয়েছে। দেশে পশু খাদ্য উৎপাদনের জন্য সরকার এ কর অব্যাহতি দিয়েছে। গুড়া দুধ উৎপাদনে দেশে খামারিরা কারখানা স্থাপন করলে বিদেশ থেকে যন্ত্রপাতিসহ অন্যান্য আমদানিতে কর মওকুফের ব্যবস্থা সরকার করবে।

ক্ষতিগ্রস্ত খামারিদের সমস্যা মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করছে বলেও এ সময় জানান মন্ত্রী। এ সমস্যা সমাধানের উপায় বের করতে সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে যাওয়ার বিষয়টিও আশ্বস্ত করেন তিনি।

ফিশারিজ অ্যান্ড লাইভস্টক জার্নালিস্ট ফোরামের সভাপতি এম এ জলিল মুন্না রায়হানের সভাপতিত্বে সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্য প্রদান করেন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মনজুর মোহাম্মদ শাহজাদা ও বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন। অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় ভেটেরিনারি হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. শফিউল আহাদ ও বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মারস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোহাম্মদ ইমরান হোসেন। স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন ফিশারিজ অ্যান্ড লাইভস্টক জার্নালিস্ট ফোরামের সাধারণ সম্পাদক তরিকুল ইসলাম সুমন।

প্রকাশ : জুলাই ১, ২০২২ ২:১০ অপরাহ্ন
কোরবানির জন্য ৪ লাখ গরু প্রস্তুত করছেন সিরাজগঞ্জের খামারিরা
প্রাণিসম্পদ

ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে সিরাজগঞ্জের ৯টি উপজেলার ১৫ হাজার খামারে চলছে গবাদিপশু মোটাতাজা করণের কাজ।

করোনার প্রভাবে গত দুই বছর আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হলেও এ বছর ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার স্বপ্ন দেখছেন তারা। জেলায় প্রায় ৪ লাখ গরু কোরবানির জন্য প্রস্তুত করেছেন স্থানীয় খামারিরা।

জেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, জেলায় ১৫ হাজার বাণিজ্যিক খামার ও ব্যক্তিগতভাবে এই গবাদিপশুগুলো প্রস্তুুত করা হয়েছে। সেই সঙ্গে বাড়তি লাভের আশায় অনেকেই কোরবানির ৫ থেকে ৬ মাস আগেই গরু লালন-পালন শুরু করেন। কোরবানি উপলক্ষে জেলায় ৩ লাখ ৯১ হাজার গবাদিপশু প্রস্তুত রয়েছে।

এবছর জেলায় প্রায় আড়াই লাখ গবাদিপশুর চাহিদা রয়েছে। বাকি পশু ঢাকা, চট্টগ্রাম, নারায়নগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় বিক্রির জন্য পাঠানো হবে বলে খামারিদের সূত্রে জানা গেছে।

সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, জেলায় খামারি আছেন ১৫ হাজার। এই খামারগুলোতে দেশি, শাহিওয়াল ও ফ্রিজিয়ানসহ বিভিন্ন জাতের গরু লালন-পালন করা হচ্ছে। গত দুই বছর করোনা মহামারির কারণে প্রত্যেক খামারি কয়েক লাখ টাকা করে লোকসান গুনেছেন। এবার করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় সেই লোকসান কিছুটা পুষিয়ে নেওয়ার চিন্তা করছেন খামারিরা। তবে গো-খাদ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন তারা। এতে গবাদি পশু পালনে খরচ বেড়েছে।

খামারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ৩ মাস আগে ৪০ কেজি ভুষির মূল্য ছিল ১৩শ থেকে ১৪শ টাকা। এখন সেই ভুষি কিনতে হচ্ছে ১ হাজার ৭৫০ থেকে ১ হাজার ৮০০ টাকায়। আর খৈলের ৪০ কেজি বস্তার বাজারদর আগে ছিল ১৪শ থেকে ১৫শ টাকা। এখন খৈলের বস্তার দাম ২ হাজার টাকা।

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop