১:৫৭ পূর্বাহ্ন

শুক্রবার, ১০ মে , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : অগাস্ট ২৩, ২০২২ ৭:২০ অপরাহ্ন
পোলট্রি শিল্পকে রক্ষায় ডিমের দাম বেধে দেয়ার দাবি খামারিদের
পোলট্রি

একটি চক্র সিন্ডিকেট করে ডিমের দাম বাড়িয়েছে। অথচ প্রান্তিক খামারিরা ডিমের ন্যায্যমূল্য পান না। তারা বছরের পর বছর লোকসান দেন দাবি খামারিদের। তাদের দাবি,সিন্ডিকেটের হাত থেকে পোলট্রি শিল্পকে রক্ষায় ডিমের দাম বেধে দিতে হবে।

সোমবার রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে পোলট্রি শিল্পের বর্তমান সংকট শীর্ষক আলোচনাসভায় তারা এসব কথা বলেন। প্রান্তিক খামারিদের সংগঠন বাংলাদেশ পোলট্রি খামার রক্ষা জাতীয় পরিষদ এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

খামারিরা বলেন, ডিমের দাম বাড়ার কারণে প্রান্তিক খামারিদের জরিমানা করা হচ্ছে। অথচ আগের দিন বাজারে ডিমের ডজন ১২০ টাকা হলে পরের দিনই কীভাবে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা হয়? প্রশ্ন প্রান্তিক খামারিদের।

পরিষদের ঢাকা বিভাগের সভাপতি কামালউদ্দিন নান্নুর সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন,প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক ডা. মোসাদ্দেক হোসেন, দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা খামারি আব্দুর রহিম গাজী, শহিদুল হক, এমরান হোসেন, মাহবুব আলম, ফয়েজ আহমেদসহ আরও অনেক।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন পরিষদের সাধারন সম্পাদক খন্দকার মো. মোহসিন।

ডা. মোসাদ্দেক হোসেন বলেন, প্রান্তিক খামারিরা অসহায়। বর্তমানে পোলট্রি খাদ্যের দাম অনেক বেড়ে গেছে। একটি ডিমের উৎপাদন খরচ পড়ছে সাড়ে ৯ টাকার বেশি। কিন্তু একজন প্রান্তিক খামারি কত টাকায় তার ডিম বিক্রি করছেন। এ খবর কয় জন রাখেন?

বরিশাল থেকে আসা প্রবীণ খামারি আব্দুর রহিম গাজী বলেন, ডিমের দাম বাড়ার কারণে প্রান্তিক খামারিদের জরিমানা করা হচ্ছে। কিন্তু আমরা তো দাম বাড়ানোর সঙ্গে জড়িত না। বর্তমানে অবস্থা এমন হয়েছে যে, আমরা পরিবারের কাছে কোনো সম্মান পাচ্ছি না।

প্রকাশ : অগাস্ট ২০, ২০২২ ৩:৫২ অপরাহ্ন
খামারিদের জিম্মি করে ১৫ দিনে ৬১৮ কোটি টাকা লুটে নিয়েছে ডিম-মুরগি সিন্ডিকেট
পোলট্রি

গত ১৫ দিনে ডিম ও মুরগির বাজারে অস্থিরতা সৃষ্টি করে পোল্ট্রি খাতের সঙ্গে জড়িত কয়েকটি কোম্পানি অতিরিক্ত ৬১৮ কোটি ৫০ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

শনিবার (২০ আগস্ট) রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর রুনি মিলনায়তনে বাংলাদেশ পোল্ট্রি এসোসিয়েশন আয়োজিত ‘অস্থির ডিম, মুরগির বাজার, তবুও ভালো নেই খামারি’ শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ তুলে ধরেন বাংলাদেশ পোল্ট্রি এসোসিয়েশনের নেতারা।

তারা বলেন, প্রান্তিক পোল্ট্রি খামারিদের জিম্মি করে, তাদের ওপর সব দোষ চাপিয়ে দিয়ে দেশের হাতে গোনা ১০-১২টি পোল্ট্রি শিল্পের সঙ্গে জড়িত কোম্পানি নিজেরা সিন্ডিকেট করে প্রতিটি ডিমে আড়াই থেকে তিন টাকা বাড়িয়ে গত ১৫ দিনে অতিরিক্ত মুনাফা করেছে ১১২ কোটি ৫০ লাখ টাকা।

মুরগির বাচ্চাতে ২৩৪ কোটি টাকা এবং ব্রয়লার মুরগিতে বাজার থেকে তুলে নিয়েছে ২৭২ কোটি টাকা।

বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সুমন হাওলাদার বলেন, প্রান্তিক খামারিরা ন্যায্য মূল্য না পাওয়ায়, ফিড ও অন্যান্য জিনিসের দাম বাড়ায়, উৎপাদনের সঙ্গে বিক্রয় মূল্যের সমন্বয় না হওয়ায় অনেকে খামারি তাদের খামার বন্ধ করে দিয়েছেন।

তিনি বলেন,গত ১৫ দিনে দেশের পোল্ট্রি শিল্পের সঙ্গে জড়িত কয়েকটা কোম্পানি ২-৩ দিন ডিম মজুদ করে রেখে বাজারে না ছেড়ে প্রতিটি ডিমে আড়াই থেকে তিন টাকা অতিরিক্ত মুনাফা করেছে। সারা দেশে প্রতিদিন ডিমের চাহিদা চার কোটি ৩০ লাখেরও বেশি। যার মধ্যে আড়াই কোটি ডিম উৎপাদন করে এসব কোম্পানিগুলো। যার ফলে তাদের খেয়াল খুশি মতো তারা দাম নিয়ন্ত্রণ করে।

তিনি আরও বলেন, যেসব খামারি এসব কোম্পানির সঙ্গে যৌথভাবে ব্যবসা করে, তাদের কথা শোনে- সেসব খামারিরা ৫০ কেজির এক বস্তা ফিড কিনতে পারেন ২ হাজার ৫০০ টাকায়। অন্যদের একই ফিড কিনতে হয় ৩ হাজার ৩০০ টাকায়। এই ফিডও ওইসব কোম্পানিরা আমদানি করে থাকে। এসব ফিড বাধ্য হয়ে খামারিদের কিনতে হয়। এগুলোর মান দেখার কেই নেই।

পরিসংখ্যান তুলে ধরে সুমন হাওলাদার বলেন, একটি ব্রয়লার মুরগির বাচ্চার দাম সাধারণত ২২ থেকে ২৫ টাকা। অথচ এইসব কোম্পানিগুলো একজোট হয়ে প্রান্তিক খামারিদের কাছে একটা বাচ্চা বিক্রি করেন ৪০ টাকা পর্যন্ত। এসব বাচ্চা উৎপাদনের জন্য যেসব মেশিনারিজ দরকার, তা নেই প্রান্তিক খামারিদের। এর জন্য কোনো ব্যাংক ঋণ দেওয়া হয় না পোল্ট্রি খামারিদের। অথচ কোম্পানিগুলো ব্যাংক থেকে হাজার কোটি টাকা ঋণ সুবিধা পাচ্ছে। যার কারণে তারা পুরো পোল্ট্রি শিল্পকে নিয়ে খেলছে। সিন্ডিকেট করে খেয়াল খুশি মতো দাম বাড়াচ্ছে। কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।

এসব সিন্ডিকেট থেকে পরিত্রাণের জন্য তিনি কয়েকটি সুপারিশ করেন। যার মধ‌্যে রয়েছে প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের তদারকি, পোল্টি শিল্পের সঙ্গে জড়িত সবার ট্রেড লাইসেন্স বাধ্যতামূলক করা, সবাইকে এই ব্যবসার ব্যাপারে ট্রেনিং করে আসা, প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের নিবন্ধন, যখন তখন যাতে মূল্য বাড়াতে না পারে সেজন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর জোরালো ভূমিকা।

প্রকাশ : অগাস্ট ২০, ২০২২ ১২:৪৩ অপরাহ্ন
প্রচণ্ড গরম,তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে খামারিরা যা করবেন
পোলট্রি

আমাদের দেশে মাংসের চাহিদা পূরণে রয়েছে বহু ব্রয়লার খামার। আর এই খামারকে আরো উন্নত করতে খামারিদের জানতে হবে বিভিন্ন উপায়।বিশেষ করে এই গরমে নিতে হবে খামারের আরো বেশি যত্ন।

গরমে ব্রয়লার খামারের তাপমাত্রা যেভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখবেন:

১। খামারে কিছু সময় খাদ্য দেয়া বন্ধ করে দিয়ে ঘরের ছাদ যদি টিন বা টালির হয় সেক্ষেত্রে ছাদে মোটা চটের থলি বিছিয়ে দিয়ে তার উপর কিছুক্ষণ পর পর পানি ছিটিয়ে দিতে হবে।

২। অতিরিক্ত গরমে মুরগির শরীরে হাল্কাভাবে পিচকারির সাহায্যে পানি ছিটিয়ে দিতে হবে। এতে মুরগির শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করবে। তবে এ সময় মুরগির খাদ্য প্রদান বন্ধ রাখতে হবে।

৩। ব্রয়লারের খামারের ছাদে চটের বস্তার ব্যবস্থা করা না গেলে তাল বা নারিকেলের সবুজ পাতা কেটে সেগুলো ছাদে বিছিয়ে পানি ছিটিয়ে দিতে হবে। এর ফলে ব্রয়লার খামারের ছাদ ঠাণ্ডা থাকবে ও খামারের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকবে।

৪। গরমের সময়ে মুরগির খামারের ভেতরে পানির পাত্রের সংখ্যা বাড়িয়ে দিতে হবে। পাত্রের পানি শেষ হওয়ার সাথে সাথে আবার পানি প্রদান করতে হবে।

৫। প্রচণ্ড গরমের সময়ে খামারের পর্দা তুলে রাখতে হবে। খামারে যাতে সবসময় বাতাস চলাচল করতে পারে সেই ব্যবস্থা করতে হবে। আর সম্ভব হলে ফ্যানের সাহায্যে বাতাসের ব্যবস্থা করতে হবে।

প্রকাশ : অগাস্ট ১৭, ২০২২ ২:০৫ অপরাহ্ন
মুরগির বাচ্চার আচরণ দেখে তাপমাত্রা নির্ণয় করার পদ্ধতি
পোলট্রি

্মুরগির বাচ্চার যত্ন যত ভালো হবে, মুরগিতে খামারিদের তত লাভ হবে। এ জন্য দরকার আধুনিক ও বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে মুরগির বাচ্চার যত বেশি যত্ন নেওয়া। মুরগির বাচ্চা সুস্থ রাখার জন্য বাচ্চার ঘরের তাপমাত্রা সঠিক নিয়মে রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই মুরগির বাচ্চার আচরণ দেখে তাপমাত্রা পরিমাপের কৌশল সম্পর্কে জানতে হবে।

মুরগির বাচ্চার তাপমাত্রা কম বেশি হলে ঠান্ডা গরমজনিতসহ বিভিন্ন ধরনের রোগ বালাই হতে পারে। এ ছাড়া অনেক সময়ে মুরগির বাচ্চার ওজনও সঠিকভাবে বৃদ্ধি পায় না। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাচ্চা মুরগির শরীরের তাপমাত্রা ১০৩ ডিগ্রি ফারেনহাট ও বয়স্ক মুরগির শরীরের তাপমাত্রা ১০৭ ডিগ্রি ফারেনহাট থাকা উচিত। মুরগির তাপমাত্রা মাপার জন্যে সব সময়ই খামারে একটা থার্মোমিটার রাখা উচিত।

এছাড়া মুরগির শরীরের ও ঘরের তাপমাত্রা নিয়ে কোনো সন্দেহ হলে বা জানার থাকলে পাশের উপজেলা প্রাণি সম্পদ অফিসে গিয়ে যোগাযোগ করতে হবে। মনে রাখতে হবে প্রতিটি উপজেলা পর্যায়ে খামারিদের পরামর্শ দেওয়ার জন্যে প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা নিয়োজিত রয়েছেন। তাপমাত্রা কম হলে মুরগির বাচ্চাগুলো ব্রুডারের নিচে গাদাগাদি হয়ে থাকবে এবং কিচিরমিচির করবে। তাপমাত্রা বেশি হলে বাচ্চাগুলো চিকগার্ডের গা ঘেঁষে জমা হয়ে থাকবে মুখ হা করে নিশ্বাস নেবে এবং মাথা ও ডানা ঝুলে পড়বে।

তাপমাত্রা সঠিক থাকলে বাচ্চাগুলো ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকবে। চঞ্চল মনে হবে। মৃদু শ্বাস করবে এবং স্বাভাবিভাবে খাদ্য ও পানি গ্রহণ করবে। মুরগির বাচ্চা স্বাচ্ছন্দ্যে চলাফেরা করছে কিনা এ বিষয়টা খুবই গুরুত্বসহকারে খামারিদের খেয়াল করতে হবে।

বাচ্চার বয়স প্রথম সপ্তাহে স্বাভাবিক তাপমাত্রা ৯৫ ডিগ্রি ফারেনহাট অথবা ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাচ্চার বয়স দ্বিতীয় সপ্তাহে ৯০ ডিগ্রি ফারেনহাট অথবা ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকে। বাচ্চার বয়স তৃতীয় সপ্তাহে স্বাভাবিক তাপমাত্রা ৮৫ ডিগ্রি ফারেনহাট অথবা ২৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাচ্চার বয়স চতুর্থ সপ্তাহে ৮০ ডিগ্রি ফারেনহাট অথবা ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকে।

প্রকাশ : অগাস্ট ১৪, ২০২২ ১১:৪৮ পূর্বাহ্ন
পাঁচ বছরেই কোটিপতি ডিপ্লোমা পাস খামারি আদনান
প্রাণিসম্পদ

গরুর খামার দিয়ে পাঁচ বছরে কোটিপতি হয়েছেন ময়মনসিংহের ত্রিশালের বালি পাড়ার শাহাদাত উল্লাহ আদনান (৩০)।

আদনান ত্রিশালের বালিপাড়ার বাসিন্দা। ডিপ্লোমা পাস করে ২০১৭ সালে ২০ লাখ টাকা নিয়ে পারিবারিক জমিতে ডেইরি ফার্ম শুরু করেন।

প্রতিষ্ঠানের নাম দেন ‘আদনান এগ্রো ফার্ম’। এরপর খামারে গরু মোটাতাজাকরণের কাজ শুরু করেন। সেই সঙ্গে প্রতি বছরই বাড়তে থাকে খামারের কার্যক্রম।

এবার কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে গরু ২০টি ষাঁড় লালন-পালন করেছেন। এর মধ্যে মাঝারি ও বড় আকারের গরুও রয়েছে। এ পর্যন্ত মাঝারি ১২টি গরু বিক্রি করেছেন, যার মূল্য ৩০ লাখ টাকা। বড় আরও আটটি গরু রয়েছে খামারে। এসব গরুর দাম তিন থেকে ৫ লাখ টাকার মধ্যে।

খামার মালিক শাহাদাত উল্লাহ আদনান বলেন, ‘শখের বসে ডেইরি ফার্ম শুরু করেছিলাম। ফার্ম লাভজনক হওয়ায় পরের বছর থেকেই কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে গরু মোটাতাজাকরণ প্রক্রিয়ার কাজ শুরু করি। প্রতি বছরই গরু বিক্রি করে লাভের মুখ দেখতে থাকি। সেই থেকে আগ্রহ বেড়ে যায় এবং গরুর সংখ্যা বাড়াতে থাকি। তবে করোনা সংক্রমণের কারণে গত দুই বছর লাভ হয়নি। এছাড়া গো-খাদ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় বর্তমানে লাভের অংক খুবই কম। এরপরও খামার ধরে রাখার জন্য কাজ করে যাচ্ছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘এবারের কোরবানিতে বড় গরুর চেয়ে ছোট এবং মাঝারি আকারের গরুর চাহিদা ক্রেতাদের কাছে বেশি। এ কারণে বড় গরু মোটাতাজা করে খুব একটা লাভের মুখ দেখা যায় না। বর্তমানে খামারে কোটি টাকার ওপরে মূলধন রয়েছে আমার। খামার দিয়ে আমি সফলতা পেয়েছি।’

বালিপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ বাদল বলেন, ‘আদনানের ডেইরি ফার্ম দেখে স্থানীয় যুব সমাজ উদ্বুদ্ধ হচ্ছে। আশপাশের অনেক বেকার যুবক গরু লালনপালন করে স্বাবলম্বী হয়েছে। খামার দিয়ে খুব কম সময়ে কম খরচে স্বাবলম্বী হওয়া যায়।’

সূত্র: বাংলা ট্রিবিউন

প্রকাশ : অগাস্ট ১০, ২০২২ ৬:২১ অপরাহ্ন
নানা সংকটে ব্রয়লার খামারিরা, দিন দিন হারাচ্ছেন আগ্রহ
পোলট্রি

বাংলাদেশে প্রাণিজ প্রোটিনের অনেকাংশ আসে ডিম-মুরগি থেকে। বর্তমানে নানা সংকটের কারণে স্বল্প সময়ে অধিক মাংস উৎপাদনকারী ব্রয়লার মুরগি পালনে আগ্রহ হারাচ্ছেন পোলট্রি খামারিরা। এর পরিবর্তে বেশি লাভের আশায় ঝুঁকছেন দেশি মুরগির মতো দেখতে সোনালি জাতের মুরগি পালনে।

রাজশাহী হরিপুর এলাকার মুস্তাকিম বিল্লাহ দীর্ঘদিন ধরে ব্রয়লার মুরগি পালন করেছেন। গত ছয় মাস ধরে পালন করছেন সোনালি মুরগি। তার খামারে কোরবানির ঈদের আগে তৈরি হয় মুরগি। ঈদের একদিন পর বিক্রি করেন তিনি। ৭০০ থেকে ৮০০ গ্রাম গড় ওজনের মুরগি বিক্রি করেন ভালো দামে। ১ হাজার মুরগিতে তার লাভ হয় ২০ হাজার টাকার মতো। অথচ ব্রয়লার মুরগি পালন করে তুলনামূলক কম মুনাফা পান তিনি। তাই ব্রয়লার আর পালন করবেন না বলে জানান তিনি।

ব্রয়লার স্বল্প সময়ে অর্থাৎ ১ মাসেই বিক্রি করা গেলেও কেন তিনি সোনালি পালন করতে চানÑএমন প্রশ্নে এই খামারি বলেন, ব্রয়লার মুরগির বাচ্চা কিনতে হয় ৪০ টাকা পিস। এরপর ৫০ কেজির এক বস্তা খাদ্যের বর্তমান দাম তিন হাজার ২০০ টাকা। এর পাশাপাশি ভ্যাকসিন ও পরিশ্রম তো আছেই। ব্রয়লার মুরগি প্রতি কেজি বিক্রি হয় ১০০ থেকে ১১০ টাকায়। হিসাব করে দেখা যায়, ১০ হাজার টাকা ঘাটতি। ২ মাসের মধ্যে যখন একবার লাভ হয় তখন আরেকবার ঘাটতি পড়ে। তাই আর ব্রয়লার পালনের ইচ্ছা নেই।

সোনালি মুরগিতে লাভের সম্ভাবনা কতটুকুÑজানতে চাইলে তিনি বলেন, সোনালি মুরগির খাবারের দাম বস্তায় ব্রয়লারের তুলনায় ২০০ থেকে আড়াইশ টাকা কম। ১ হাজার সোনালি মুরগি পালন করতে খুব বেশি খাবার দরকার হবে না। মুরগি ৭০০ থেকে ৮০০ গ্রাম ওজন হওয়া পর্যন্ত সর্বোচ্চ ৪০ বস্তা খাবার খায়। বর্তমান সোনালি মুরগি ২২০ থেকে ২৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এই দামে বিক্রি করলে কমপক্ষে ২০ হাজার টাকা লাভ আসবে। তাহলে কেন সোনালি পালন করব না?

সোনালিতে কোনো ঝুঁকি আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, সোনালি বলেন আর ব্রয়লার বলেন পোলট্রি খাতে ঝুঁকি থাকবেই। যদি ১০০ মুরগি মারা যায় তাহলে আপনি ২০ হাজার টাকা লাভ করতে পারবেন না। যদি সব মুরগি গড়ে ভালো ওজন আনতে পারেন তাহলে লাভ হবে আশা করা যায়।

জানতে চাইলে রাজশাহী পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এনামুল হক বলেন, আমাদের এখানে ব্রয়লার মুরগির পাশাপাশি সোনালি মুরগি পালন বেশি হয়। পবা উপজেলার বেশিরভাগ খামার লেয়ার মুরগির। সদরের আশপাশের খামারে সোনালি মুরগি বেশি। শহরের উপকণ্ঠে আমচত্বর, কাশিয়াডাঙ্গা এলাকার বেশিরভাগ খামারে এখন সোনালি মুরগি পালন হচ্ছে।

কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ব্রয়লার মুরগির দাম ওঠানামা করে বেশি। আর সোনালি মুরগির দাম বেশি কমলেও লোকসান ততটা হয় না। আরও একটা সুবিধা হলো, সোনালি মুরগি ১০ দিন বেশি খামারে রাখা সম্ভব হয়। কিন্তু ব্রয়লার মুরগি ৫-৭ দিন খামারে রাখা সম্ভব হয় না। তাই সোনালি মুরগিতে বেশি আগ্রহ।

পাইকারি মুরগি বিক্রেতা শফিকুল ইসলাম বলেন, দাম কেজিতে ৫ টাকা বাড়ছে আবার কমছে। ব্রয়লারের কেজি সর্বনি¤œ ১৬০ টাকা রাখা দরকার। তাহলে আমাদের দেশের খামারিরা লাভবান হতে পারবেন। ব্রয়লার মুরগির দাম সবচেয়ে বেশি ওঠানামা হয়েছে। এর আগে সচরাচর ব্রয়লারের কেজিতে ১০ টাকা বাড়লে আবার ১০ টাকা কমে যায়। বাজারে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১৫০ টাকা, সোনালি ২৮০ টাকা, লাল লেয়ার ২৫০ টাকা, সাদা লেয়ার ২৪০ টাকা, দেশি মুরগি ৪৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি।

ডিম ব্যবসায়ী শামীম হোসেন বলেন, মাসখানেক ধরেই ডিমের দাম কিছুটা বেড়েছে। প্রতি হালি লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ৩৮ টাকায়। প্রতি ১০০ লাল ডিম ৯৫০ টাকা, সাদা ডিম ৮৫০ টাকা ও হাঁসের ডিম ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ২৫০ টাকা শ হিসেবে বিক্রি করছি। সামনে দাম আরও বাড়তে পারে।

শেয়ার বিজ

প্রকাশ : অগাস্ট ২, ২০২২ ৬:০৪ অপরাহ্ন
ইউটিউব দেখে সফল খামারি কলেজছাত্রী দিলরুবা
পোলট্রি

কখনো কোদাল নিয়ে ক্ষেতে লাঙ্গলের ফলা ধরে মাটিচাষ, কখনো আবার হাঁস-মুরগির খাবার ও পানি দেয়াসহ নানান কাজে পারদর্শী অদম্য এক কলেজছাত্রীর নাম দিলরুবা। ইউটিউব দেখে নিজ বাড়ির আঙ্গিনায় গড়ে তোলেন ক্ষুদ্র হাঁস-মুরগির খামার।

তার বাড়ি কিশোরগঞ্জ জেলার হোসেনপুর উপজেলার সিদলা ইউনিয়নের রামেশ্বরপুর গ্রামে। পিতার নাম হেলাল উদ্দিন।

দিলরুবার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় অভাব অনটনের সংসারে গড়ে তুলেছেন একটি ব্রয়লার মুরগির খামার। নিজে মুরগির ঘর তৈরিসহ যাবতীয় কাজ করেছেন দিলরুবা। এরই ধারাবাহিকতায় গত বছর খামারের পরিধি বাড়িয়ে এক হাজার ব্রয়লার মুরগি ও ২০০ হাঁসের বাচ্চা নিয়ে গড়ে তোলেন আরেকটি হাঁস-মুরগির খামার। পোল্ট্রি খামার দেখাশোনা ও ঔষধপত্র দেয়া সবই নিজ হাতে করেন তিনি।

অন্যদিকে লেখাপড়াতেও পিছিয়ে নেই দিলরুবা। কাজের ফাঁকে একটু সময় পেলেই টেবিলে বই নিয়ে পড়তে বসেন। সামনে এইচএসসি পরীক্ষা। তাই পড়ার চাপ কিছুটা বেশি। তবুও থেমে নেই তার পথচলা। লেখাপড়ার পাশাপাশি মেধা ও পরিশ্রম দিয়ে তিলে তিলে গড়ে তুলেছেন এই হাঁস-মুরগির খামার।

বর্তমানে তার হাঁসগুলো ডিম দিতে শুরু করেছে। খামারের ব্যয় মিটিয়েও বাড়তি উপার্জনের আশা তার। দিলরুবা জানান, হাঁস-মুরগি পালনের কাজে তার বাবা হেলালউদ্দিন সাহায্য ও অনুপ্রেরণা জুগিয়ে যাচ্ছেন শুরু থেকেই।

দিলরুবা জানান, কৃষি কাজ ও হাঁস-মুরগি পালন করা তার কাছে ছোটবেলা থেকেই অত্যন্ত ভালো লাগতো। তাই মহামারী করোনায় দীর্ঘ সময় কলেজ বন্ধ থাকা অবস্থায় প্রথমে মুরগির খামার গড়ে তোলেন। তার উন্নতি দেখে এলাকার অনেক বেকার যুবক হাঁস-মুরগি ও গবাদিপশুর খামার করে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হয়েছেন।

দিলরুবার প্রত্যাশা সহজ শর্তে শিক্ষার্থীদের জন্য এসব খাতে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান যদি ঋণ প্রদান করতো তবে আগামীতে আরো একটি হ্যাচারি ও একটি গবাদিপশুর খামার স্থাপন করে সফল উদ্যোক্তার কাতারে নাম লেখাতে পারতেন তিনি।

স্থানীয় লোকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, কলেজছাত্রী দিলরুবা একজন কঠোর পরিশ্রমী ও সফল নারী উদ্যোক্তা। তার পরামর্শ ও সহযোগিতায় এলাকার অনেক বেকার যুবতী হাঁস-মুরগি পালনের সাথে জড়িত থেকে আর্থিকভাবে অনেক লাভবান হয়েছেন।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা: আব্দুল মান্নান জানান, কলেজছাত্রী দিলরুবা লেখাপড়ার পাশাপাশি হাঁস-মুরগির খামার করে একজন আদর্শ খামারি হিসেবে এলাকায় পরিচিতি লাভের পাশাপাশি মাংস ও ডিমের চাহিদা পূরণ করে জাতীয় পর্যায়েও অবদান রেখে চলছেন। তিনি হাঁস-মুরগি পালন অব্যাহত রাখলে আগামীতে আরো উন্নতি লাভ করতে পারবেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

প্রকাশ : জুলাই ২৮, ২০২২ ৯:৩৩ পূর্বাহ্ন
তিন খামারির ৩০ লাখ টাকার গরু চুরি!
প্রাণিসম্পদ

বৃষ্টি হওয়া সুযোগে রংপুর মাহিঞ্জে একরাতে ৩ খামারির প্রায় ৩০ লাখ টাকার গরু চুরির ঘটনা ঘটেছে। বড় একটি গাড়িতে করে নিয়ে যায় গরু। এতটাকার গরু হারিয়ে অসহায় পড়েছেন সেই খামারিরা।

সম্প্রতি জেলার ক্ষতিগ্রস্ত খামারিদের বাড়িতে দিবাগত রাতে এ গরু চুরির ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা, পুলিশ প্রশাসন ও খামারীদের নেতৃবৃন্দ।

খামারির সুত্রে জানা যায়, রোববার দিবাগত রাতে বৃষ্টি হওয়ার সুযোগ নিয়ে গরু গুলো চুরি করা হয়েছে। রাত আনুমানিক ৩-৪ টার মধ্যে এ ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। গরুগুলো বড় হওয়ায় হেটে নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। বড়গাড়িতে করে নিয়ে গেছে বলে মনে করেন খামারীরা। তবে এর সাথে স্থানীয় কোন চক্রের জোগসাজস থাকতে পারে বলে ধারণা করছেন খামারীরা। এটি সংঘবদ্ধ কোন চোর সিন্ডিকেটের কাজ।

স্খানীয় মাহিগঞ্জের খামারি গৌতম বোসের ২ টি গরু, হাসান আলী’র ২ টি এবং আনোয়ার হোসেন ৩ টি গরুচুরি করে নিয়ে যায় চোর চক্র। ৭টি গরুর বর্তমান বাজারমুল্য প্রায় ৩০ লাখ টাকা বলে জানিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত খামারিরা।

ক্ষতিগ্রস্থ খামারি গৌতম বোস জানান, রাত ৪ টার দিকে গরু চিৎকারে ঘুম ভেঙ্গে যায়। গরুর গোয়ালে গিয়ে দেখি দরজা খোলা, ৩ টি গরু নাই। পরে বাহিরে খোঁজা খুজির পর একটি গরু পাওয়া যায়। এ বিষয়ে জিডি করা হয়েছে। জেলা ডেইরি ফার্মাস এসোসিয়েশন রংপুর সাধারণ সম্পাদক এস এম আসিফুর ইসলাম জানান, হঠাৎ করে খামার থেকে গরু চুরি বিষয়টা খুবই চিন্তার।

জেলা ডেইরি ফার্মাস এসোসিয়েশন রংপুর সভাপতি লতিফুর রহমান মিলন জানান, বিষয়টি গরুত্ব সহকারে নিয়ে প্রশাসনকে অবহিত করা হয়েছে।

মেট্রোপলিটন মাহিগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তাফিজার রহমান জানান, এই সড়কের গুরুত্বপূর্ণ অনেক স্থানে সিসিক্যামেরা রয়েছে, সেগুলো পর্যালোচনা করে যতদ্রুত সম্ভব অপরাধীদের সনাক্ত করা এবং হারিয়ে যাওয়া গরুগুলো উদ্ধার করা।

রংপুর জেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডাক্তার সিরাজুল ইসলাম জানান, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ক্ষতিগ্রস্থ খামারিদের সাথে কথা বলে তালিকা করা হয়েছে।

প্রকাশ : জুলাই ২১, ২০২২ ৭:১১ পূর্বাহ্ন
মুরগির বসন্ত রোগ দেখা দিলে যা করবেন
পোলট্রি

মুরগির বসন্ত রোগে করণীয় সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানি না। আমাদের দেশে বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই মুরগি পালন করা হয়ে থাকে। আবার খামারে বাণিজ্যিকভাবে অনেকেই মুরগি পালন করে থাকেন।

মুরগি পালনে অনেক সময় বিভিন্ন সমস্যায় পড়তে হয়। এগুলোর মধ্যে অন্যতম হল মুরগির বিভিন্ন প্রকার রোগ। মুরগির জটিল রোগগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে মুরগির বসন্ত রোগ। আসুন জেনে নেই মুরগির বসন্ত রোগে করণীয় সম্পর্কে-

মুরগির বসন্ত রোগের কারণঃ
এক সাথে বিভিন্ন বয়সের মুরগী রাখলে এই রোগটি হতে পারে। খামারের মেঝে ভেজা বা চার পাশে পানি থাকলে।খামারে অতিরিক্ত মশা থাকলে মশার কামড়ে হতে পারে।আক্রান্ত মুরগির নিশ্বাসের মাধ্যমে ভাইরাস ছড়াতে পারে। মুরগী ঠুকরা ঠুকরি করে খত সৃষ্টি করলেও হতে পারে।

মুরগির বসন্ত রোগের লক্ষণঃ
আক্রান্ত মুরগির বাচ্চা ঝিমাবে। অন্য মুরগির বাচ্চা গুলি থেকে আলাদা হয়ে কোনায় বসে থাকবে।মুরগির নাকের চারপাশে এবং ঠোঁটের রং পরিবর্তন হবে।বাচ্চা বার বার নাক বা চোখের কাছে পা দিয়ে চুলকাবে।মুরগির শরীরে জ্বর থাকবে যার ফলে বাচ্চা ঠিক মত খাবে না।মুরগির ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে এক সময় মারা যাবে।

মুরগির বসন্ত রোগে করনীয়ঃ
মুরগির এই রোগ গ্রীস্মে এবং শীতে বেশি হয়ে থাকে তাই গরমে পর্যাপ্ত পরিমান আলো বাতাসের ব্যাবস্থা করতে হবে এবং শীতে তাপের ব্যাবস্থা করতে হবে।বসন্তের টিকা সময় (৩৫ দিন বয়সে) মত দিতে হবে।স্প্রে ব্যবহার করতে হবে। আক্রান্ত বাচ্চাটিকে আলাদা করতে হবে।

মুরগির বসন্ত রোগের চিকিৎসাঃ
এই রোগে মুরগির জ্বর শরীরে লেগেই থাকে তাই কোন এন্টিবায়টিক অথবা ভিটামিন সি এবং ভিটামিন ডি খাওয়াতে হবে।
যদি কম সংখ্যক বাচ্চা আক্রান্ত হয় তাহলে পটাশ বা জীবাণু নাশক তুলার সাথে লাগিয়ে আক্রান্ত স্থানে মুছে দিতে হবে দিনে দুই তিন বার করে। এর সাথে ফাইমক্সিল বা এমোক্সিসিলিন সিরাপ ৫ থেকে ৬ দিন পর্যন্ত দিনে দুই তিন বার করে খাওয়াতে হবে।

প্রকাশ : জুলাই ১৯, ২০২২ ৯:২০ পূর্বাহ্ন
ঈদে অবিক্রিত বড় গরু নিয়ে বিপাকে খামারিরা
প্রাণিসম্পদ

বড় গরু নিয়ে বেশি লাভের আশা থাকলেও গেল ঈদে তেমন বিক্রিও হয়নি। ক্রেতাদের আগ্রহ ছিল ছোট ও মাঝারি গরুর দিকে। এখন অনেক বিপাকে এবং হতাশায়ও ভুগছেন খামারিরা

গত ঈদে টাঙ্গাইলের ছোট ও মাঝারি আকারের গরুতে খামারিরা লাভবান হয়েছেন অনেকেই। তবে বড় গরু নিয়ে হতাশায় পড়েছেন তারা। এছাড়াও ঈদের আগে ‘লাম্পি স্কিন’ রোগের সংক্রমণের হার বেড়ে যাওয়ায় অনেক খামারি গরু বিক্রি করতে না পারায় বিপাকে পড়েছেন।

দেলদুয়ার উপজেলার লাউহাটি ইউনিয়নের ভেঙ্গুলিয়া গ্রামের কৃষক আব্দুল হামিদের মেয়ে কলেজছাত্রী হামিদা আক্তার তার খামারে লালন পালন করা ৪৫ মণ ওজনের ‘মানিক’ বিক্রি করতে পারেননি। ঈদের আগে গাবতলী হাটে তোলা হলেও ষাড়টি দেখে ক্রেতা আকৃষ্ট হয়নি। গত বছর গাবতলীর কোরবানির হাটে মানিকের দাম ৫ লাখ টাকা হলেও এবার কেউ দামই করেননি। তবে তার মাঝারি আকারের ষাড়টি বিক্রি করেছেন।

কালিহাতী উপজেলার মীর হামজানী গ্রামের আল আমীন ঈদকে কেন্দ্র করে ৩২ মণ ওজনের ষাড় প্রস্তুত করেন। নাম রাখেন প্রিয় ফুটবলারের নামে ‘মেসি’। কিন্তু ঈদে সেই মেসির ক্রেতা পাওয়া যায়নি।

টাঙ্গাইল পৌরসভার কাগমারা এলাকার তরুণ খামারি রাকিব মিয়া জানান, ‘ঈদকে কেন্দ্র করে তিনটি ষাড় প্রস্তুত করেছিলাম। কিন্তু খামারে থাকা পাঁচটি গরুই ‘লাম্পি স্কিন’ রোগে আক্রান্ত হয়। তাই ঈদে প্রস্তুত করা ষাড়গুলো বিক্রি করতে পারিনি।’

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. রানা মিয়া জানান, ঈদে টাঙ্গাইলে পশুর ঘাটতি ছিল না। ১ লাখ ৭৩ হাজার পশু কোরবানি হয়েছে। এর বেশির ভাগই ছিল ছাগল। এ বছর ছোট ও মাঝারি গরুর চাহিদা বেশিই ছিল। বিশেষ ব্যক্তি ছাড়া ১০/১২ লাখ টাকা দিয়ে কেউ কোরবানি দেয় না। রোগাক্রান্ত গরুগুলো বিক্রি করতে পারেনি খামারিরা।

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop