১:১৬ পূর্বাহ্ন

শুক্রবার, ১০ মে , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : অক্টোবর ৯, ২০২২ ১২:৩৫ অপরাহ্ন
মুরগির খামারে লস হলেও ঘুরে দাঁড়ালেন ছাগলের খামার করে!
প্রাণিসম্পদ

লাভের আশায় বন্ধুদের সঙ্গে লেয়ার মুরগির খামার গড়ে তুলেছিলেন মো. জাকারিয়া। কিন্তু করোনা মহামারিতে হারিয়ে যায় বিনিয়োগের পাঁচ লাখ টাকা। তবুও নিরাশ হননি। ঘুরে দাঁড়িয়েছেন ব্ল্যাক বেঙ্গল জাতের ছাগলের খামারে।

মো. জাকারিয়ার গ্রামের বাড়ি সিরাজগঞ্জ। একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে রাজশাহীতে কর্মরত রয়েছেন তিনি। সেই সুবাদে রাজশাহীর পবা উপজেলার হরিয়ান ইউনিয়নের কালিয়াপাড়া এলাকায় ৬ বিঘা জায়গায় গড়ে তুলেছেন ওয়াফা এগ্রো ফার্ম।

খামারি জানান, তার এক বন্ধু দীর্ঘ দিন ধরে মুরগির খামারি। লাভের আশায় সেই বন্ধুর সঙ্গে আমিও মুরগির খামারে বিনিয়োগ করি। ৪ হাজার লেয়ার মুরগির খামার গড়ে তুলি। কিন্তু করোনা মহামারিতে ডিম বিক্রি করতে পারিনি। ফলে পুঁজি হারিয়ে যায়।

তিনি আরও জানান, ছাগলের খামারের এই জায়গা মুরগির খামারের জন্য লিজ নিয়েছিলাম। লোকসানের কারণে ওই পথে আর হাঁটিনি। শেষে অনেক ভেবে-চিন্তে ছাগলের খামার গড়ে তুলি।

প্রথমে অর্ধেক জায়গায় ঘাস চাষ করি। বাকি অর্ধেক জাগায়গায় শেড এবং ছাগলের বিচরণ ক্ষেত্র তৈরি করি। অল্প কিছু ছাগল নিয়ে খামারের যাত্রা শুরু করি। এখন খামারে সব মিলিয়ে দুই শতাধিক ছাগল রয়েছে।

সব মিলিয়ে এখন পর্যন্ত খামারে বিনিয়োগ করা হয়েছে ৩০ লাখ টাকা। দেড় বছরের মধ্যে বিনিয়োগ উঠে এসেছে। সামনে বছর থেকে লাভের আশা করছি। সুষ্ঠু পরিকল্পনা মাফিক ছাগলের খামার করলে লোকসানের ঝুঁকি নেই বলে জানান তিনি।

এই খামারির ভাষ্য, তারা ছাগলকে প্রাকৃতিক খাবার দেন। নিয়মিত ভ্যাকসিনও দেন। বাজারে এমন ছাগলের চাহিদা ভালো। গত কোরবানিতে কিছু খাসি বাজারে তুলেছিলেন, সাড়াও পেয়েছেন। আসছে কোরবানিতে উৎকৃষ্টমানের খাসি সরবরাহ করতে পারবেন তারা।

ওয়াফা এগ্রো ফার্মে চারজন কর্মী কাজ করেন। এদেরই একজন মো. পলাশ মণ্ডল। নওগাঁর নিয়ামতপুরের শিবপুর এলাকার বাসিন্দা পলাশ পেশায় কৃষি শ্রমিক ছিলেন। বাড়িতে গরু-ছাগল রয়েছে তার। সেই অভিজ্ঞতা থেকে ছাগলের খামারে কাজ করছেন।

পলাশ মণ্ডল বলেন, তারা চারজন কর্মী রয়েছেন। একেকজন একেক কাজ করেন। তিনি ছাগলের খাবার দেওয়া থেকে দেখাশোনা করেন। তার হাতে অনেক ছাগলের বাচ্চা প্রসব হয়েছে। নিজের সন্তানের মতো এগুলো লালনপালন করে বড় করছেন।

খামারের আরেক কর্মী রমজান আলী। তিনি ছাগলের রোগ-বালাইয়ের বিষয়টি খেয়াল রাখেন। রমজান জানান, এই জাতের ছাগলের তেমন রোগ-বালাই নেই। ঠান্ডা এবং পাতলা পায়খানা হয়।

কোনো ছাগল আক্রান্ত হলে তার তথ্য রেজিস্টারে সংরক্ষণ করি। চিকিৎসকের পরামর্শ মতো ওষুধ দেওয়া হয়। নিয়মিত ভ্যাকসিনও দেওয়া হয়। ছাগলের ঠান্ডা ঠিক না হলে নিউমোনিয়া হয়। এটিই সবচেয়ে মারাত্মক। ফলে এ নিয়ে খুব সতর্ক থাকতে হয়।

তবে ছাগলের খামারে লাভবান হতে খামার শুরুর আগে ন্যূনতম বেসিক ট্রেনিং নেওয়ার তাগিদ দিয়েছেন রাজশাহীর ছাগল উন্নয়ন খামারের উপপরিচালক সিরাজুল ইসলাম।

তিনি বলেন, আমাদের দেশে মূলত ছাগল পালন হয় গতানুগতিক পদ্ধতিতে। কিন্তু খামার করতে গেলে সবার আগে খাবারের সংস্থান করতে হবে। ৭০ শতাংশ ঘাস এবং ৩০ শতাংশ দানাদার খাবার দেওয়া গেলে ভালবান হওয়া যায়।

ঢাকা পোস্ট

প্রকাশ : সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২২ ৯:১৫ অপরাহ্ন
সিভাসু’তে গবাদিপশুর নমুনা সমূহ সংগ্রহ, সংরক্ষণ বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত
ক্যাম্পাস

গবাদিপশুর বিভিন্ন নমুনা সমূহ সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও পরিবহনের উপর খামারী প্রশিক্ষণ এর আয়োজন করে চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিজিওলজি, বায়োকেমিস্ট্রি ও ফার্মাকোলজি বিভাগ।

বৃহস্পতিবার(২৯ সেপ্টেম্বর) প্রতিষ্ঠানের মূল ক্যাম্পাসে অর্ধদিবস ব্যাপী এই কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।

চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকা থেকে আমন্ত্রিত খামারীদের জন্য “ বিভিন্ন তাপমাত্রায় রক্তের জলীয় অংশ (প্লাজমা ও সেরাম) এর দৃঢ়তা নির্ণয়” – শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় এই প্রশিক্ষণ এর আয়োজন করা হয়।

প্রশিক্ষণে মুখ্য আলোচক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন অত্র বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. রিদুয়ান পাশা। প্রশিক্ষণে খামারীদের বিভিন্ন নমুনা সমূহ সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও পরিবহনের উপর ব্যবহারিক শিক্ষা প্রদান করা হয়।

প্রশিক্ষণের কর্মসূচির শেষে আয়োজিত সনদপত্র বিতরণ ও সমাপণী অনুষ্ঠানে খামারীদের জন্য স্বাগত বক্তব্য রাখেন উক্ত প্রকল্পের পরিচালক ও অত্র বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. সোহেল আল ফারুক। তিনি নমুনা সমূহ পরিক্ষণ ও সঠিক ফলাফল পাওয়ার ক্ষেত্রে এর সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও পরিবহন পদ্ধতিসমূহের উপর গুরুত্বারোপ করেন।

অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, ওই বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. রাশেদুল আলম, অধ্যাপক ড. মো. বেলায়েত হোসেন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা ও সম্প্রসারণ বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক ড. এ.এস.এম. লুত্ফুল আহসান।

অনূষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভেটেরিনারি মেডিসিন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. আলমগীর হোসেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি নমুনা সমূহ সংরক্ষনের গুরুত্ব সমূহ তুলে ধরেন।

ফিজিওলজি, বায়োকেমিস্ট্রি ও ফার্মাকোলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান, অধ্যাপক ড. এস.কে.এম. আজিজুল ইসলাম এর সমাপনী বক্তব্যের মাধ্যমে উক্ত অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।

প্রশিক্ষণে আগত সকল খামারীর স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ এই কর্মসূচির সফলতার পরিচায়ক। খামারীবৃন্দ এই প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণের ফলে নমুনা স্ংগ্রহ, সংরক্ষণ ও পরিবহন এর সঠিক উপায় সম্পর্কিত সাবধানতা অবলম্বনের বিষয়ে অবগত হয়েছেন বলে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন এবং পরবর্তীতে পুনরায় এই ধরনের প্রশিক্ষণের আয়োজন তাদের জন্য অত্যন্ত ফলপ্রসু হবে বলে আশা ব্যক্ত করেছেন।

প্রকাশ : অগাস্ট ১১, ২০২২ ৯:৫৫ পূর্বাহ্ন
ব্রয়লার পালনে একজন খামারী যা করবেন
পোলট্রি

বর্তমানে আমাদের দেশে মাংসের চাহিদা পূরনে গড়ে উঠেছে অসংখ্য ব্রয়লার মুরগির খামার। আর ক্রেতার কাছেও ব্রয়লারের রয়েছে ব্যাপক চাহিদা। এর মাধ্যমে খামারিরাও হচ্ছেন অর্থনৈতিকভাবে লাভবান। তবে অধিকাংশ খামারিরা অন্যের দেখাদেখি খামার গড়ে তোলাতে খামারের মূল অনেক বিষয় সম্পর্কে জ্ঞাত না। যার কারণে খামারে চাহিদা মোতাবেক উন্নতি করতে না পেরে হতাশ হয়ে যাচ্ছেন।

ব্রয়লার মুরগি পালনে খামারিদের যা করতে হবে:
প্রথম খামারে প্রতিদিন নিয়ম মোতাবেক খাবার দিতে হবে। আকষ্মিক খাবার কম- বেশি দেয়া যাবে না। তাতে করে মুরগির সমস্যা দেখা দিতে পারে। এছাড়া নিয়মিত মুরগির ওজন মাপতে হবে। যদি ওজনের কোন তারতম্য চোখে পড়ে সাথে সাথে প্রয়োজনী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

দ্বিতীয়ত, খামারে কোনক্রমেই মিশ্র মুরগি পালন করা যাবে না। একটি খামারে একই জাতরে মুরগি পালন করতে হবে। এক খামারে বহুজাতের মুরগি পালন করলে বহুরক সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে।

তৃতীয়ত, খামারে মুরগির পুষ্টিগুণ ধরে রাখার জন্য নিয়মিত এবং সঠিক পরিমাপে খাবার পরিবেশন করতে হবে। খাদ্য প্রদানের পূর্বে অবশ্যই খাদ্যের পাত্র যাতে পরিষ্কার ও জীবাণুমুক্ত থাকে সেটি খেয়াল রাখতে হবে। ব্রয়লার মুরগির খামারে প্রয়োজনীয় আলোর ব্যবস্থা করে দিতে। ব্রয়লারের খামারে কোনভাবেই আলোর সংকট রাখা যাবে না। এতে মুরগির শারীরিক বৃদ্ধিসহ নানাবিধ সমস্যা দেখা দিতে পারে।

এছাড়া, ব্রয়লার মুরগির খামারে প্রতিদিনের আয় ও ব্যয়ের হিসাব লিখে রাখতে হবে। কোন কারণে ব্যয় বেড়ে গেলে তা কমিয়ে আনা যাবে। এছাড়াও খামারকে লাভজনক করাও সহজ হয়ে যাবে।

প্রকাশ : অগাস্ট ১০, ২০২২ ১০:৫৩ পূর্বাহ্ন
টার্কি মুরগি ডিম কম দিলে খামারী যা করবেন
পোলট্রি

দেশে এখন অনেকেই বাণিজ্যিকভাবে টার্কি মুরগি পালন করছেন। বেশ লাভজনক হওয়ায় দিন দিন এটির পালন বৃদ্ধি পাচ্ছে।

বর্তমানে টার্কি খামারিরা যেসব সমস্যায় পড়ছেন এর মধ্যে অন্যতম হলো টার্কি মুরগির অল্প পরিমাণে ডিম দেওয়া। অনেকেই ডিম অল্প দেওয়ার কারণ খুঁজে পাচ্ছেন না।

টার্কি মুরগির ডিম কম দেওয়ার প্রধান কারণ হলো, পরিমাণ মতো খাবার না দেওয়া। এর পাশাপাশি ডিম পাড়ার পরিবেশ, জৈব নিরপত্তা নিশ্চিত না করা, মাসিক, সাপ্তাহিক কিছু ওষুধ প্রয়োগ না করা, ক্যালসিয়াম, ফসফরাসের ঘাটতি এসব কারণেও ডিম কম দিতে পারে টার্কি মুরগি।

সর্বপ্রথম পরিমাণ মতো একটা পূর্ণ বয়স্ক টার্কি মুরগির সুষম ও পুষ্টিকর খাবার সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে। পূর্ণ বয়স্ক স্ত্রী টার্কির জন্য প্রতিদিন ১৩০ থেকে ১৫০ গ্রাম খাবার দিতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে ক্যালসিয়াম, ফসফরাস যেন কোনোভাবেই কম না হয়।

এর মধ্যে প্রোটিনযুক্ত খাবার ১৬ থেকে ১৭ গ্রাম, এনার্জি ২৮০০ কিলো ক্যালোরি (প্রতি কেজি খাদ্যে) থাকতে হবে। পুরুষ টার্কির জন্য ১৮০ থেকে ১৯০ গ্রাম সুষম ও পুষ্টিকর খাবার সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে।

সাধারণত টার্কি মুরগি শুরুর দিকে একটু কম ডিম দেয়, ১৩ থেকে ১৪ মাস বয়সে বেশি ডিম দিয়ে থাকে। মাসিক, সাপ্তাহিক কিছু ওষুধ আছে সেগুলোও নিয়মিতভাবে ব্যবহার করতে হবে। সর্বপরি পরিচর্যার মধ্যে রাখতে হবে।

টার্কি মুরগি সাধারণত বছরে ১৩০ থেকে ১৪০টি আর সিজনে ৩০ থেকে ৩৫টি ডিম দেয়। এমন হলে মনে করতে হবে সঠিকভাবে ডিম দিচ্ছে টার্কি মুরগি। চিন্তিত হওয়ার কোনো কারণ নেই।

প্রকাশ : জুন ১০, ২০২২ ৪:৪২ অপরাহ্ন
খামারে খাদ্য অপচয়ে খামারীর করণীয়
পোলট্রি

পোল্ট্রি খামারের দিকে বর্তমানে অধিক লাভ আর মাংসের চাহিদা পূরণে অনেকেই ঝুঁকছেন। তবে এই খাতে যদি খাবারসহ আরো নানাবিধ অপচয় কমানো যায় তাহলে এই খাতে আরো লাভবান হওয়া সম্ভব। সুতরাং প্রত্যেক খামারিদের খামারে খাদ্য অপচয় রোধ সম্পর্কে জানা একান্ত দরকার।

খামারে খাদ্যের অপচয় রোধে করণীয়: পোলট্রি খামারে প্রয়োজনের তুলনায় কম সংখ্যক খাবার ও পানির পাত্র দিলে মুরগি অনেক সময় খাদ্য নষ্ট করে ফেলে। তাই খামারে মুরগির সংখ্যা অনুযায়ী খাদ্য ও পানির পাত্র দিতে হবে। পোলট্রি খামারে জায়গার তুলনায় বেশী পরিমাণ খাদ্য প্রদান করা হলে মুরগি খাদ্য নষ্ট করতে পারে। এজন্য খামারে জায়গা অনুপাতে খাদ্য প্রদান করতে হবে।

খাদ্যের পাত্র পূর্ন করে খাবার দিলে খাবার নষ্ট করে ফেলতে পারে। সেজন্য খাদ্যের পাত্র কিছুটা খালি রেখে খাদ্য প্রদান করতে হবে। খাবারের পাত্র সঠিক উচ্চতায় স্থাপন না করলে মুরগি খাবার নষ্ট করে ফেলতে পারে। খাদ্যের পাত্র খুব বেশি উচ্চতায় রাখা যাবে না।

পোলট্রি খামারে কৃমির সংক্রমণ বিশেষ করে সোনালী বা কক মুরগীতে গোলকৃমির কারণে খাবার নষ্ট করতে পারে। এজন্য সময়মতো কৃমিনাশক ওষুধ দিতে হবে।মুরগির খাদ্য হঠাৎ পরিবর্তন করলে মুরগি খাদ্য নষ্ট করতে পারে। সেজন্য খাদ্য পরিবর্তন করলে অল্প অল্প করে খাদ্য পরিবর্তন করতে হবে।

প্রকাশ : জুন ১০, ২০২২ ৪:৩৬ অপরাহ্ন
গরু মোটাতাজা করতে খামারিদের করণীয়
কৃষি বিভাগ

গরু পালন লাভজনক হওয়াতে এখন আমাদের দেশের অনেকেই গরুর খামার করার প্রতি ঝুঁকছেন। তবে, এই গরু যদি হয় আরেকটু মোটাতাজা তাহলে আর কথা ই নাই। আর এর জন্য দরকার গরুর সুষম খাদ্য। আর সুষম খাদ্য প্রয়োগে আপনি আরো লাভবান হতে পারেন গরু পালনে।

খামারে গরু মোটাতাজাকরণে যেসকল আমিষ খাবার আপনার গরুকে খাওয়াবেন:

শুকনা খড়: ২ বছর বয়সের গরুর জন্য দৈহিক ওজনের শতকরা ৩ ভাগ এবং এর অধিক বয়সের গরুর জন্য শতকরা ২ ভাগ শুকনা খড় ২ থেকে ৩ ইঞ্চি করে কেটে এক রাত লালীগুড়-চিটাগুড় মিশ্রিত পানিতে ভিজিয়ে সরবরাহ করতে হবে।

কাঁচা ঘাস: গরুকে প্রতিদিন ৬ থেকে ৮ কেজি কাঁচা ঘাস বা শস্য জাতীয় তাজা উদ্ভিদের উপজাত দ্রব্য যেমন- নেপিয়ার, পারা, জার্মান, দেশজ মাটি কলাই, খেসারি, দুর্বা ইত্যাদি খাওয়াতে হবে।

দানাদার খাদ্য: গরুকে প্রত্যেক দিন কমপক্ষে ১ থেকে ২ কেজি দানাদার খাদ্য সরবরাহ করতে হবে। নিচে ১০০ কেজি দানাদার খাদ্যের তালিকা দেয়া হলো- গম ভাঙা-গমের ভুসি ৪০ কেজি চালের কুঁড়া ২৩.৫ কেজি খেসারি বা যে কোনো ডালের ভুসি ১৫ কেজি তিলের খৈল-সরিষার খৈল ২০ কেজি লবণ ১.৫ কেজি। উল্লিখিত তালিকা ছাড়াও বাজারে প্রাপ্ত ভিটামিন মিনারেল মিশ্রণ ১% হারে খাওয়াতে হবে।

১৫০ কেজি ওজনের গবাদিপশুর খাদ্য তালিকা: খড় = ৩ কেজি কাঁচা ঘাস = ৫-৬ কেজি দানাদার খাদ্যের মিশ্রন = ১.৫-২ কেজি চিটাগুড় = ৫০০ গ্রাম ইউরিয়া = ৪৫ গ্রাম (নিয়মানুয়ায়ী) লবন = ৩৫ গ্রাম।

১০০ কেজি দৈহিক ওজনের গবাদিপশুর খাদ্য তালিকা: ধানের খড় = ২ কেজি সবুজ ঘাস = ২ কেজি (ঘাস না থাকলে খড় ব্যবহার করতে হবে দানদার খাদ্যে মিশ্রন = ১.২-২.৫ কেজি ইউরিয়া = ৩৫ গ্রাম (নিয়মানুযায়ী) চিটাগুড়া = ২০০-৪০০ গ্রাম লবণ = ২৫ গ্রাম দানাদার খাদ্যের সাথে লবন, ইউরিয়া, চিটাগুড় এক সাথে মিশিয়ে দিনে ২ বার দিতে হবে। ধানের খড় এবং কাঁচা ঘাস ছোট ছোট করে কেটে এক সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়ালে ভালো ফল পাওয়া যায়।

কৃমিমুক্তকরণ ও টিকা প্রদান: গরুকে ডাক্তারের নির্দেশনা মত কৃমির ওষুধ খাওয়াতে হবে। নতুন গরু সংগ্রহের পর পরই পালের সব গরুকে একসঙ্গে কৃমিমুক্ত করা উচিত। এক্ষেত্রে প্রতি ৭৫ কেজি দৈহিক ওজনের জন্য ১ টি করে এনডেক্স বা এন্টিওয়ার্ম ট্যাবলেট ব্যবহার করা যেতে পারে।

পূর্ব থেকে টিকা না দেয়া থাকলে খামারে আনার পর পরই সব গরুকে তড়কা, বাদলা ও ক্ষুরা রোগের টিকা দিতে হবে। এ ব্যাপারে নিকটস্থ পশু হাসপাতালে যোগাযোগ করতে হবে।

ঘর তৈরি ও আবাসন ব্যবস্থাপনা: আমদের দেশের অধিকাংশ খামারী ২/৩ টি পশু মোটাতাজা করে থাকে, যার জন্য সাধারণত আধুনিক শেড করার প্রয়োজন পড়ে না। তবে যে ধরনের ঘরেই গরু রাখা হোক, ঘরের মধ্যে পর্যন্ত আলো ও বায়ু চলাচলের ব্যবস্থা থাকতে হবে। ঘরের মল- মূত্র ও অন্যান্য আবর্জনা যাতে সহজেই পরিষ্কার করা যায়, সে দিকে খেয়াল রেখে ঘরে তৈরি করতে হবে।

প্রকাশ : মে ৫, ২০২২ ২:২৩ অপরাহ্ন
মুরগির খামারে খাদ্য অপচয়ে খামারী যা করবে
পোলট্রি

পোল্ট্রি খামারের দিকে বর্তমানে অধিক লাভ আর মাংসের চাহিদা পূরণে অনেকেই ঝুঁকছেন। তবে এই খাতে যদি খাবারসহ আরো নানাবিধ অপচয় কমানো যায় তাহলে এই খাতে আরো লাভবান হওয়া সম্ভব। সুতরাং প্রত্যেক খামারিদের খামারে খাদ্য অপচয় রোধ সম্পর্কে জানা একান্ত দরকার।

খামারে খাদ্যের অপচয় রোধে করণীয়:
পোলট্রি খামারে প্রয়োজনের তুলনায় কম সংখ্যক খাবার ও পানির পাত্র দিলে মুরগি অনেক সময় খাদ্য নষ্ট করে ফেলে। তাই খামারে মুরগির সংখ্যা অনুযায়ী খাদ্য ও পানির পাত্র দিতে হবে। পোলট্রি খামারে জায়গার তুলনায় বেশী পরিমাণ খাদ্য প্রদান করা হলে মুরগি খাদ্য নষ্ট করতে পারে। এজন্য খামারে জায়গা অনুপাতে খাদ্য প্রদান করতে হবে।

খাদ্যের পাত্র পূর্ন করে খাবার দিলে খাবার নষ্ট করে ফেলতে পারে। সেজন্য খাদ্যের পাত্র কিছুটা খালি রেখে খাদ্য প্রদান করতে হবে। খাবারের পাত্র সঠিক উচ্চতায় স্থাপন না করলে মুরগি খাবার নষ্ট করে ফেলতে পারে। খাদ্যের পাত্র খুব বেশি উচ্চতায় রাখা যাবে না।

পোলট্রি খামারে কৃমির সংক্রমণ বিশেষ করে সোনালী বা কক মুরগীতে গোলকৃমির কারণে খাবার নষ্ট করতে পারে। এজন্য সময়মতো কৃমিনাশক ওষুধ দিতে হবে।মুরগির খাদ্য হঠাৎ পরিবর্তন করলে মুরগি খাদ্য নষ্ট করতে পারে। সেজন্য খাদ্য পরিবর্তন করলে অল্প অল্প করে খাদ্য পরিবর্তন করতে হবে।

প্রকাশ : মার্চ ২, ২০২২ ১২:৫৬ অপরাহ্ন
মুরগির খামারে খাদ্য অপচয় প্রতিরোধে খামারী যা করবে
পোলট্রি

পোল্ট্রি খামারের দিকে বর্তমানে অধিক লাভ আর মাংসের চাহিদা পূরণে অনেকেই ঝুঁকছেন। তবে এই খাতে যদি খাবারসহ আরো নানাবিধ অপচয় কমানো যায় তাহলে এই খাতে আরো লাভবান হওয়া সম্ভব। সুতরাং প্রত্যেক খামারিদের খামারে খাদ্য অপচয় রোধ সম্পর্কে জানা একান্ত দরকার।

খামারে খাদ্যের অপচয় রোধে করণীয়: পোলট্রি খামারে প্রয়োজনের তুলনায় কম সংখ্যক খাবার ও পানির পাত্র দিলে মুরগি অনেক সময় খাদ্য নষ্ট করে ফেলে। তাই খামারে মুরগির সংখ্যা অনুযায়ী খাদ্য ও পানির পাত্র দিতে হবে। পোলট্রি খামারে জায়গার তুলনায় বেশী পরিমাণ খাদ্য প্রদান করা হলে মুরগি খাদ্য নষ্ট করতে পারে। এজন্য খামারে জায়গা অনুপাতে খাদ্য প্রদান করতে হবে।

খাদ্যের পাত্র পূর্ন করে খাবার দিলে খাবার নষ্ট করে ফেলতে পারে। সেজন্য খাদ্যের পাত্র কিছুটা খালি রেখে খাদ্য প্রদান করতে হবে। খাবারের পাত্র সঠিক উচ্চতায় স্থাপন না করলে মুরগি খাবার নষ্ট করে ফেলতে পারে। খাদ্যের পাত্র খুব বেশি উচ্চতায় রাখা যাবে না।

পোলট্রি খামারে কৃমির সংক্রমণ বিশেষ করে সোনালী বা কক মুরগীতে গোলকৃমির কারণে খাবার নষ্ট করতে পারে। এজন্য সময়মতো কৃমিনাশক ওষুধ দিতে হবে।মুরগির খাদ্য হঠাৎ পরিবর্তন করলে মুরগি খাদ্য নষ্ট করতে পারে। সেজন্য খাদ্য পরিবর্তন করলে অল্প অল্প করে খাদ্য পরিবর্তন করতে হবে।

প্রকাশ : নভেম্বর ২, ২০২১ ৬:০১ অপরাহ্ন
৬ দফা দাবিতে পোল্ট্রি খামারিদের মানববন্ধন
পোলট্রি

ব্রয়লার , লেয়ার মুরগির বাচ্চা ও খাদ্যে দাম কমানো এবং বাচ্চার মান বাড়ানোর দাবিতে ৬ দফা দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে বাংলাদেশ প্রান্তিক পোল্ট্রি শিল্প সংগঠন।

আজ মঙ্গলবার (২ নভেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এই মানববন্ধন এবং বিক্ষোভ সমাবেশ করেন সংগঠনটি।

বাংলাদেশ প্রান্তিক পোল্ট্রিশিল্প সংগঠনের চেয়ারম্যান মো. মফিজুল ইসলাম মল্লিক বলেন, আমাদের দাবি আগামী ১০ নভেম্বরের ভিতরে মানতে হবে। যদি আমাদের দাবি ১০ তারিখের ভিতরে না মানা হয় তাহলে আপনারা আর কোন মুরগি তুলবেন না এবং কোন মুরগি বিক্রিও করবেন না।

তিনি বলেন, আমাদের এই আন্দোলন কোন সরকার বিরোধী আন্দোলন না। আমাদের এই আন্দোলন বাংলাদেশের খাদ্য ও বাচ্চা উৎপাদিত খামারিদের রক্তচোষা কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে।

তিনি আরও বলেন, ১১ নভেম্বর থেকে খামারীরা ব্রয়লার পাইকারী বিক্রি করবেন ১৩৫ টাকা করে, সোনালী বিক্রি করবেন ২২০ টাকা করে এবং খুচরা বাজারে ব্রয়লার ১৫০ ও সোনালী বিক্রি করবেন ২৪০ টাকা। এর উপরে কেউ যেন বিক্রি করতে না পারে সেদিকে খেয়াল রাখার অনুরোধ করেন তিনি।

তিনি ৬৪ জেলার ডিলারদের উদ্দেশ্যে বলেন,আপনারা কেউ কোম্পানিগুলোর কাছ থেকে খাদ্য বাচ্চা কিনে খামারীদের কাছে বিক্রি করবেন না। আপনারা যারা খামারীদের কাছ থেকে টাকা পাবেন আপনাদের সব পাওনা টাকা পরিশোধের ব্যবস্থা করা হবে।

এসময় ছয় দফা দাবি তুলে ধরেন সংগঠনের মহাসচিব মো. মামুনুর রহমান ।

বিক্ষোভ সমাবেশের বক্তব্য এখানে- ৬ দফা দাবি আদায়ে পোল্ট্রি খামারিদের বিক্ষোভ

দাবিগুলো হলো-ব্রয়লার মুরগির ৫০ কেজির খাদ্য বস্তা ২০০০ থেকে ২১০০ টাকার মধ্যে আনতে হবে। ব্রয়লার ও লেয়ার মুরগির বাচ্চার দাম ২০-২৫ টাকার মধ্যে আনতে হবে এবং বাচ্চার মান বাড়াতে হবে। কোম্পানিগুলো নিজেরা বাচ্চা উ-পাদন করে বিক্রি করতে হবে, রেডি বাচ্চা বিক্রি বন্ধ করতে হবে।কোনো প্রণোদনা নয়, প্রতিটি উপজেলায় ৩০০ জন নিবন্ধিত খামারিকে যারা কমপক্ষে এক হাজার মুরগি পালন করে তাদের স্বল্প সুদে সহজ শর্তে কমপক্ষে দুই লাখ টাকা ঋণ দিতে হবে। একজন খামারী দশ হাজারের উপরে কোন প্রকার রেডি মুরগি উ-পাদন করতে পারবে না। প্রান্তিক খামারীদের জোর দাবি প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণলয় কর্তৃক আমাদের সংগঠনের রেজিস্ট্রেশন নাম্বার দিতে হবে আর এটা আমাদের জোর দাবি।

উক্ত সমাবেশে এসময় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের চেয়ারম্যান মো. মফিজুল ইসলাম(মল্লিক)সহ আরও অনেক নেতৃবৃন্দ।

প্রকাশ : অক্টোবর ২৭, ২০২১ ১১:৫৩ পূর্বাহ্ন
পশু খাদ্যের দাম বাড়ায় বিপাকে প্রান্তিক খামারিরা
প্রাণিসম্পদ

পশু খাদ্যের দাম কয়েক গুণ বেড়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন প্রান্তিক খামারিরা। বেড়েছে খামার রক্ষণাবেক্ষণের খরচও। এসব কারণে লোকসান বেড়ে যাওয়ায় শ্রীপুরের গরুর খামারিরা বিপাকে পড়েছেন। পশুখাদ্যের দাম না কমালে আরও বেশ কিছু খামার বন্ধ হয়ে যাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

কিছুদিন আগেও চালের খুদ কেজি প্রতি বিক্রি হত ২০ টাকা এখন বিক্রি হচ্ছে ৩৫-৪০ টাকায়। একইভাবে ২৪ টাকার ভুট্টা ৩২ টাকা, ৩৮ টাকার অ্যাংকর ডাল ৬৫ টাকা, ৩১ টাকার মসুর ডালের গুঁড়া ৫২ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া এক বস্তা (৫০ কেজি) ফিডের দাম আগে ৭৫০ টাকা থাকলেও এখন ১ হাজার ১০০ টাকা হয়ে গেছে। তাছাড়া আইকন ভুষি আগে ১০৫০ টাকা থাকলেও এখন ১৫০০ হয়ে গেছে।

শ্রীপুর উপজেলা পানিসম্পদ অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় ছোট–বড় মিলে প্রায় ৭৬০ টি গরুর খামার রয়েছে। এ ছাড়া গৃহপালিত প্রায় ৩৭ হাজার ৪ শ ৫টি গরু কৃষকদের ঘরে আছে। সব মিলিয়ে মোট গরুর সংখ্যা ১ লক্ষ ৫৮ হাজার ২শ ২০টি। এসব গরুকে খড়ের পাশাপাশি গমের ভুসি, ফিড ও বুটের খোসা খাওয়ানো হয়। কিন্তু গত ১০ দিনের ব্যবধানে ফিড, ভুসি ও বুটের খোসায় বস্তাপ্রতি ২০০ থেকে ২৫০ টাকা দাম বাড়ায় বিপাকে পড়েছেন কৃষক ও খামারিরা।

তেলিহাটি ইউনিয়নের গরুর খামারি হিরন সরকার জানান, করোনাকালে পশুখাদ্যের দাম বেড়েছে কয়েক গুণ। গত বছরের শুরুতে এ অঞ্চলের খামারগুলোতে দেখা দেয় লাম্পিং রোগ। এ সময় বেশ কিছু গরু মারা যায়। এর ওপর মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা হয়ে উঠেছে পশুখাদ্যের দাম। পশুখাদ্যের দাম বাড়ায় লোকসানের মুখে অনেকেই খামার বন্ধ করে দিচ্ছেন।

এমসি বাজারে অবস্থিত ভাই ভাই ডেইরি এন্ড এগ্রো র্ফামের মালিক আবু সাইদ জানান, ‘আমার খামারে প্রাকৃতিক উপায়ে গরু হৃষ্টপুষ্ট করা হয়। খামারে সব সময় ১০০ থেকে ১৫০টি গরু থাকে। কিন্তু পশুখাদ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় আর কুলাতে পারছি না। ফলে কমিয়ে দিয়েছি পশুপালন।

শ্রীপুর উপজেলা পানিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ রুকুনুজ্জামান জানান, খাদ্য উপাদানের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় পশুখাদ্যের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় খামারিরা পশু পালন করতে হিমশিম খাচ্ছে। করোনাকালে খামারিদের সরকারিভাবে প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop