১২:৫৯ পূর্বাহ্ন

শুক্রবার, ১০ মে , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : মার্চ ৪, ২০২৩ ৭:৫৯ অপরাহ্ন
শনিবার (৪ মার্চ) পোল্ট্রি ও ডিমের সর্বশেষ পাইকারী বাজার দর
পোলট্রি

পোল্ট্রি পণ্য (ডিম ও মুরগীর) আজকের খামারীদের প্রাপ্ত মূল্য(টাকা) নিন্মরুপ:-
তারিখ:০৪/০৩/২০২৩ ইং
★এখানে বর্ণিত পোল্ট্রি পণ্যের মূল্য মূলত : পোল্ট্রি খামারিদের প্রাপ্ত মূল্য।
ইউনাইটেড এগ(সেল পয়েন্ট)
লাল ডিম=১০.২০ (খুচরা)
সাদা ডিম=১০.০০ (খুচরা)
ডাম্পিং মার্কেট-
লাল(বাদামী) ডিম=৯.৫০
সাদা ডিম=৯.১০
গাজীপুর:-
লাল(বাদামী)ডিম=৯.৪৫
সাদা ডিম=৮.৮৫
ব্রয়লার মুরগী=২০০/কেজি
কালবার্ড লাল=২৩২/কেজি
কালবার্ড সাদা=২০৫/কেজি
সোনালী মুরগী=২৬০/ কেজি
বাচ্চার দর:-
লেয়ার লাল=৪০-৪৫
লেয়ার সাদা=
ব্রয়লার=৫৭-৫৮
ডায়মন্ডঃ-
লাল(বাদামী) বড়
ডিম=
লাল(বাদামী) মাঝারি ডিম=
চট্টগ্রাম:-
লাল(বাদামী) ডিম=৯.৭০
সাদা ডিম=
ব্রয়লার মুরগী=/কেজি
কালবার্ড লাল=২৬০/কেজি
সোনালী মুরগী=২৮০/কেজি
বাচ্চার দর:-
লেয়ার লাল=৪০-৪৪
লেয়ার সাদা=৩৮-৪২
ব্রয়লার=৫৫-৫৭
রাজশাহী:-
লাল(বাদামী) ডিম=৯.৩০
সাদা ডিম=৮.৮০
ব্রয়লার মুরগী =/কেজি
সোনালী =/কেজি
খুলনা:-
লাল(বাদামী) ডিম=১০.৫০
সাদা ডিম=
বরিশাল:-
লাল(বাদামী) ডিম=৯.৭০
ব্রয়লার মুরগী=১৯০/কেজি
কালবার্ড লাল=২৪০/কেজি
সোনালী মুরগী=২৬০/কেজি বাচ্চার দর:-
লেয়ার লাল =৪৬
ব্রয়লার=৫৫-৫৬
ময়মনসিংহ:-
লাল(বাদামী) ডিম=৯.৫০
ব্রয়লার মুরগী=২১২/ কেজি
সোনালী মুরগী=২৬৫/ কেজি
সিলেট=
লাল(বাদামী)ডিম=১০.৫০
সাদা ডিম=১০.৪০
ব্রয়লার মুরগী=২০৫/কেজি
সোনালী মুরগী=৩০০/কেজি
বাচ্চার দর:-
লেয়ার লাল =৩৫-৪০
লেয়ার সাদা =
ব্রয়লার =৫৫-৬০
[ খাদ্যের দাম কমানোর দাবি করছি]
রংপুর:-
লাল(বাদামী) ডিম=৯.৪০
কাজী(রংপুর):-
লাল(বাদামী) ডিম=৯.৭৫
বাচ্চার দর:-
লেয়ার লাল=
ব্রয়লার=
হাইব্রিড সুপার=৪৪
সোনালী হাইব্রিড=৪০
বগুড়া :
লাল(বাদামী)ডিম=৯.৫৫
ব্রয়লার মুরগী=২০৫/কেজি
সোনালী মুরগী =২৯০/কেজি
কাজী(বগুড়া):-
লাল(বাদামী) ডিম=৯.৫৩
বাচ্চার দর:-
লেয়ার লাল=
ব্রয়লার=
হাইব্রিড সুপার=৪৪
সোনালী হাইব্রিড =৪০
টাংগাইল :–
লাল(বাদামী) ডিম=৯.৪৫
সাদা ডিম=৯.০০
ব্রয়লার মুরগী=২১৫/কেজি
সোনালী মুরগী=/কেজি
কিশোরগঞ্জ:-
লাল(বাদামী) ডিম=৯.৪০
ব্রয়লার মুরগী=/কেজি
নরসিংদী :-
লাল(বাদামী) ডিম=৯.৫০
সিরাজগঞ্জ :-
লাল(বাদামী) ডিম=
ব্রয়লার মুরগী=/কেজি
কালবার্ড লাল=/কেজি
সোনালী মুরগী=/কেজি
ফরিদপুর :-
লাল(বাদামী) ডিম=৯.৬০
কাজী(ফরিদপুর) :-
লাল(বাদামী) ডিম=৯.৮১
ব্রয়লার মুরগী=১৯৫/কেজি
লেয়ার মুরগী=২৩৫/কেজি
সোনালী মুরগী=২৬০/কেজি
বাচ্চার দর:-
লেয়ার লাল=
ব্রয়লার=
হাইব্রিড সুপার=৪৪
সোনালী হাইব্রিড =৪০
পাবনা :-
লাল(বাদামী)ডিম=৯.৫০
সাদা ডিম=৯.২০
নোয়াখালী:-
লাল(বাদামী)ডিম=৯.৪০
ব্রয়লার মুরগী=২২২/কেজি
কালবার্ড লাল=২৫০/কেজি
সোনালী মুরগী=২৭০/কেজি
বাচ্চার দর:-
লেয়ার লাল =৪৪
লেয়ার সাদা =
ব্রয়লার =৫৫
পিরোজপুর (স্বরুপকাঠী:-
লাল(বাদামী) ডিম=৯.৫০
সাদা ডিম=৯.২০
ব্রয়লার মুরগী =/কেজি
যশোর :-
লাল(বাদামী) ডিম=১০.৮০
চুয়াডাঙ্গা:-
লাল(বাদামী ডিম)=৯.৯০
কুমিল্লা:-
লাল (বাদামী) ডিম=৯.৪০
সাদা ডিম=৯.০০
ব্রয়লার মুরগী=/ কেজি
কালবার্ড লাল=/কেজি
সোনালী মুরগী=/কেজি
লক্ষীপুর:-
লাল(বাদামী)ডিম=৯.৯০
ব্রয়লার মুরগী=/কেজি
কালবার্ড লাল=/কেজি
সোনালী মুরগী=/কেজি
বাচ্চার দর:-
লেয়ার লাল =
লেয়ার সাদা =
ব্রয়লার =
কক্সবাজার :-
লাল (বাদামী) ডিম=৯.৭০
সাদা ডিম=৯.৫০
ব্রয়লার মুরগী =/কেজি
সোনালী মুরগী =/কেজি
একটি যৌথ উদ্যোগ: বাংলাদেশ পোল্ট্রি খামার রক্ষা জাতীয় পরিষদ (বি.পি.কে.আর.জে.পি) এবং পোল্ট্রি প্রফেশনাল’স বাংলাদেশ(পিপিবি)।
ধন্যবাদান্তে
মো:শিমুল হক রানা
যোগাযোগ:০১৮৫৫৯৪৪২৭০

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ২৫, ২০২৩ ৭:৫৯ অপরাহ্ন
খামার মালিক কলেজছাত্রী দিলরুবা
পোলট্রি

দিলরুবার বাড়ি কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলার সিদলা ইউনিয়নের রামেশ্বরপুর গ্রামে। পিতা হেলাল উদ্দিন পেশায় একজন কৃষক। গৃহিণী মা ও দুই বোন এক ভাইকে নিয়ে দিলরুবাদের সংসার। নিজে কাঁধে মাটি তুলে টিন সেট ঘরে মাটি ভরাট করেন। নির্মাণ ও মুরগির সেট তৈরিসহ যাবতীয় কাজে মিস্ত্রিদের সহযোগিতা করেছেন। লেখাপড়ার পাশাপাশি মেধা ও পরিশ্রম দিয়ে তিল তিল করে করে গড়ে তুলেছেন হাঁস ও মুরগির খামার।

২০২১ সালের শুরুর দিকে এক হাজার ব্রয়লার মুরগি নিয়ে খামারের যাত্রা করেন দিলরুবা। এরই পাশাপাশি ২০০ হাঁস পালন শুরু করেন। খামারে হাঁস-মুরগির দেখাশোনা, খাওয়ানো, ওষুধপত্র সবই নিজ হাতে করেন। আবার লেখাপড়ায়ও পিছিয়ে নেই দিলরুবা। ২০২০ সালে হোসেনপুর উপজেলার মেছেড়া উচ্চবিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে মানবিক বিভাগে জিপিএ ৩.১৫ পেয়ে উর্ত্তীণ হয়েছেন। এখন হোসেনপুর সরকারি মডেল পাইলট স্কুল অ্যান্ড কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী। এ বছর উচ্চমাধ্যমিক (এইচএসসি) পরীক্ষা দেবেন তিনি। তাই পড়ার চাপ বেশি। তবু থেমে নেই তার পথচলা।

দিলরুবা জানান, প্রথমে এক দিন বয়সি পোলট্রি মুরগির বাচ্চা ২৫-৩০ টাকায় কিনে শেডে তুলি। পোলট্রিতে ৪৫ গ্রামের এক দিন বয়সি একটি বাচ্চাকে প্রতিদিন ১৫ গ্রাম খাবার খাওয়াতে হয়। তিন থেকে পাঁচ ও বিশ থেকে বাইশ দিনের বাচ্চাকে রানীক্ষেত ও ব্রংকাইটিস এবং সাত থেকে দশ ও চৌদ্দ থেকে সতেরো দিনের ভেতরের গাম্বুরু ভ্যাকসিন দিতে হয়। এই কাজগুলো আমি নিজেই করি। মুরগিকে বিক্রির উপযোগী করতে প্রতিদিন খাবারের পরিমাণ বাড়াতে হয়। ত্রিশ থেকে পঁয়ত্রিশ দিন মুরগির ১৮০ গ্রাম খাবারের প্রয়োজন হয় এবং ওজন হয় ২ কেজির মতো। তখন মুরগিগুলোকে ওজন করে ডিলারের কাছে পাইকারি বিক্রি করে দেই।

দিলরুবাা জানান, এক হাজার মুরগিকে বিক্রির জন্য প্রস্তুত করতে খাবার, ওষুধ, তুস, বিদুৎ বিলসহ বর্তমান বাজারদর অনুযায়ী মোট খরচ হয় ২ লাখ ২০ হাজার টাকা। আর ১ হাজার মুরগির বর্তমান বাজারদরে বিক্রি করতে পারলে আমার ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা লাভ হবে বলে আশা করছি। এখন প্রতি মাসের আনুষঙ্গিক ব্যয় মিটিয়েও বাড়তি উপার্জন হচ্ছে। এ দিয়ে সংসার খরচ, আমার ও ভাইবোনদের লেখাপড়ার খরচ চালিয়ে যাচ্ছি।

দিলরুবা জানান, মহামারি করোনায় কলেজ বন্ধ থাকা অবস্থায় ইউটিউব দেখে মুরগির খামার গড়ে তোলার ইচ্ছা পোষণ করি। কৃষিকাজ ও হাঁস-মুরগি পালন করা আমার ভালো লাগে। এত কাজের চাপেও আমার লেখাপড়ার কোনো ক্ষতি হচ্ছে না। আমার আর্থিক অবস্থা এবং পোলট্রি খামার দেখে এলাকার অনেক বেকার ছেলে পোলট্রি ও গবাদিপশুর খামার করছেন। তিনি বলেন, সহজ শর্তে কোনো ব্যাংক-বিমা কিংবা সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ঋণ প্রদান করলে আগামীতে একটি বড়মাপের গবাদিপশুর খামার স্থাপন এবং মুরগির খামারটি আরো বেশি প্রসারিত করার ইচ্ছে আছে। একই সঙ্গে এলাকার বেকার ছেলেদের আত্মকর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করারও ইচ্ছে রয়েছে। চাকরি নামের সোনার হরিণের পেছনে না ঘুরে একটু বুদ্ধি খাটালে স্বাবলম্বী হওয়া সম্ভব। এতে বেকারত্ব ঘুচবে এবং আর্থিকভাবে লাভবানও হওয়া যায়।

দিলরুবা একজন নারী উদ্যোক্তা হিসেবে এলাকাতে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। লেখাপড়ার পাশাপাশি নিজেকে স্বাবলম্বী করে গড়ে তুলতে তিনি যে অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন, তার জন্য এলাকায় তার সুনাম ও সুখ্যাতি ছড়িয়ে পড়েছে।

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ২২, ২০২৩ ১১:২৭ পূর্বাহ্ন
মুরগীর খামার গড়তে আদর্শ স্থান নির্বাচনের উপায়
পোলট্রি

যারা নতুন করে মুরগীর খামার গড়তে চাচ্ছেন তাদের খামার শুরু করার পূর্বে প্রথমেই মাথায় রাখতে হবে একটি আদর্শ স্থান নির্বাচন করা। কারন একটি খামার গড়ার পূর্ব সর্ত হোল ভাল একটি স্থান নির্বাচন করা।

মুরগির খামার স্থাপনের ক্ষেত্রে স্থান নির্বাচনের বিবেচ্য বিষয়সমুহঃ-
মুরগি খামার তৈরির জন্য নির্বাচিত স্থান বড় রাস্তা থেকে একটু দূরে হতে হবে।
লোকালয় বা আবাসিক ঘন বসতি এলাকা হতে দূরে।
অন্য মুরগি খামার বা প্রানীর ঘর থেকে নিরাপদ দূরত্বে হতে হবে।
পর্যাপ্ত আলো-বাতাসযুক্ত খোলামেলা পরিবেশ হতে হবে।
শব্দ সৃষ্টিকারী ও দুষিত গ্যাস বা বর্জ্য নির্গমনকারী শিল্প প্রতিষ্ঠান থেকে দূরে হতে হবে।
বন্যামুক্ত উঁচু জায়গায় যার আশেপাশে পানি থাকে না এমন স্থান।
বসতবাড়ি, গোয়ালঘর ও আবর্জনার স্তুপ থেকে দূরে।
ঝোপঝাড় নেই কিন্তু বড় গাছপালা আছে এমন স্থানে।
যাতায়াতের সুবিধা থাকতে হবে।
যেখানে বিদ্যুৎ সরবরাহের ব্যবস্থা থাকতে হবে।
বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের ব্যবস্থা থাকতে হবে।
বাজারজাতকরনের সুবিধা থাকতে হবে।
মুরগির বাচ্চা ও মুরগী পালনের কাঁচামালের সহজ লভ্যতা থাকতে হবে।

মুরগি পালন পদ্ধতিঃ-
মুরগি আবদ্ধ অবস্থায় তিন পদ্ধতিতে পালন করা যায়। যথাঃ-

ক) লিটার পদ্ধতি
খ) মাচা পদ্ধতি
গ) খাঁচা পদ্ধতি

লিটারে মুরগি পালন পদ্ধতিঃ-
লিটার পদ্ধতিতে মুরগির ঘরের মেঝেতে লিটার বিছিয়ে পালন করা হয়।
কাঠের গুড়া বা ধানের তুষ দিয়ে বা এ দু’টো এক সাথে মিশিয়ে লিটার হিসেবে, ব্যবহার করা হয়।

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ২২, ২০২৩ ১১:১৬ পূর্বাহ্ন
পোল্ট্রি খামার পরিষ্কার ও জীবাণুমুক্ত রাখার কৌশল
পোলট্রি

পোল্ট্রি খামার পরিষ্কার ও জীবাণুমুক্ত রাখার সহজ কৌশল আমরা অনেকেই জানি না। আমাদের দেশে পোল্ট্রি তথা হাঁস–মুরগির খামার একটি লাভজনক পেশা। পোল্ট্রি খামার গড়ে তোলার মাধ্যমে অনেকেই তাদের বেকারত্ব দূর করে স্বাবলম্বী হচ্ছেন। পোল্ট্রি খামার অনেক সময় মারাত্মক রোগের দ্বারা আক্রান্ত হয়ে থাকে। খামারে রোগের অন্যতম কারণ হল ময়লা ও বিভিন্ন ধরণের জীবাণু।

নিচে খামার পরিষ্কার ও জীবানুমুক্ত করার ধাপগুলো দেওয়া হলো-

প্রথম ধাপ:
খামার ভাল করে ঝাড়ু দিতে হবে। মাকড়সার জাল সহ খামারে লেগে থাকা ময়লাগুলো ঘষে ঘষে তুলতেহবে। এবং ময়লা গুলো দুরে গর্ত করে পুতে ফেলতে হবে।

দ্বিতীয় ধাপ:
এরপর প্রথমে সাদা পানি দিয়ে খামারটি ভিজিয়ে দিতে হবে। তারপর ডিটারজেন্ট পানিতে মিশিয়ে সেই পানি দিয়ে পুরা ঘর ভিজিয়ে ৬ ঘন্টা রেখে দিতে হবে। ৬ ঘন্টা পর পুনরায় ডিটারজেন্ট দিয়ে ঘষে খামার পরিষ্কার করতে হবে। এরপর লবন ছিটিয়ে রেখে আধা ঘন্টা পর পানি দিয়ে ধুয়ে দিতে হবে।

তৃতীয় ধাপ:
খামার ডিটারজেন্ট পানি দিয়ে পরিষ্কার করার পর পানিগুলো যেই মাটিতে পড়বে সেই মাটি কোদাল দিয়ে ১ থেকে ২ ইঞ্চি তুলে খামার থেকে দূরে ফেলে দিতে হবে। পরে অন্য স্থান থেকে মাটি এনে খামারের নিচে ভরাট করে দিতে হবে। এক্ষেত্রে খামার যদি মাচাতে হয় তবে খামারের নিচে সিমেন্ট আর মাটি দিয়ে প্রলেপ দিতে হবে।

চতুর্থ ধাপ:
এরপর ডিজইনফেক্টেন্ট দিয়ে পুরো খামার স্প্রে করতে হবে এবং স্প্রের পানি খামারে ২৪ ঘন্টা রেখে দিয়ে শুকাতে হবে। ইলেকট্রিক যন্ত্রপাতি গুলো পভিডন আয়োডিন দিয়ে পরিস্কার করতে হবে।

পঞ্চম ধাপ:
২৪ ঘণ্টা পর একটা লাঠির সামনের অংশে মোটা করে সুতির কাপড় পেঁচিয়ে তাতে কেরোসিন দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে ঘরের মেঝে, তারের নেট ইত্যাদিতে আগুনের ছোঁয়া দিয়ে যেতে হবে। এক্ষেত্রে খুব সাবধান হতে হবে যেন আগুন লেগে না যায়।

ষষ্ঠ ধাপ:
এরপর চুন পানিতে গুলিয়ে মেঝেতে প্রলেপ দিতে হবে এবং মাচার নিচে দিয়ে একটা নেট দিতে হবে যাতে মুরগীর লিটার মাটিতে না পড়ে।

সপ্তম ধাপ:
খামার পুরোপুরি পরিষ্কার হয়ে গেলে কমপক্ষে ৭ দিন রেখে দিতে হবে। তারপর খামারে বাচ্চা তুলতে হবে। এক্ষেত্রে ৭ দিনের মাঝেই খামার পরিষ্কার করা শেষ করতে হবে। আর এক সপ্তাহ পরিষ্কার করে রেখে দিতে হবে। মোট ১৫ দিন পর বাচ্চা খামারে তুলতে হবে।

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ২২, ২০২৩ ১১:০৮ পূর্বাহ্ন
পোল্ট্রি খামার করে লাভের মুখ দেখার উপায়
পোলট্রি

অতীত কাল থেকে গ্রাম অঞ্চলের মানুষ হাঁস – মুরগি পালন করে তাদের সংসারের আর্থিক স্বাচ্ছন্দ্য এনেছেন । গ্রাম অঞ্চলের মানুষ কোনো রকম খরচ ছাড়া নিজের বাড়িতে ছোট্ট একটা ঘর করে মুরগি পালন করেন । মুরগি পালন করে যেমন ডিম মাংসের চিহিদা পূরণ করা যায় তেমন অর্থনৈতিক ভাবে কিছু উন্নতি লাভ করা যায় । তাই গ্রাম অঞ্চলের মানুষ এখন মুরগি পালনে উদ্যোগী হচ্ছে ।

বর্তমানে ডিম ও মাংসের ব্যাপক চাহিদা থাকায় পোল্ট্রি পালন এখন লাভজনক পেশায় পরিণত হয়েছে। অনেক বেকার যুবক এই পেশাকে এখন নিজের প্রধান জীবিকা হিসাবে নিয়েছে। এই পোল্ট্রি পালন করতে হলে কিভাবে করতে হবে আর জন্য কী কী পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে , কিভাবে পরিচর্যা করতে হবে , এবং এই পেশায় কেমন লাভ করা যায় ইত্যাদি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।

ডিপ – লিটার পদ্ধতিতে পোল্ট্রি পালন :
পোল্ট্রি পালন মূলত ডিপ – লিটার পদ্ধতিতে হয়ে থাকে। আলো বাতাসযুক্ত সাধারণ ঘরে বা কাঠের প্ল্যাটফর্মের ওপর খাঁচার মতো করে ঘর তৈরি করে নিতে হয় তারপর মেঝেতে চুম ও ব্লিচিং দিয়ে পরিষ্কার করে কাঠের গুঁড়ো , ধানের তুষ ইত্যাদি ছড়িয়ে ১০ থেকে ১৫ সেন্টিমিটার পুরু করে লিটার তৈরি করা হয়।

জল ও খাদ্য পাত্র: পোল্টি ফার্মের জন্য জল ও খাদ্য পাত্রের বিশেষভাবে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হয়।

পাত্রগুলো যাতে উল্টে না যায় তার জন্য বিশেষ ভাবে সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়। এর জন্য স্বয়ংক্রিয় খাবারের পাত্র এবং জলের পাত্র রাখতে হয়।
কিভাবে ডিপ – লিটারের পরিচর্যা নিতে হয় :
ডিপ – লিটারের বিশেষ ভাবে পরিচর্যা করতে হয় কারণ মুরগির বেড়ে উঠার অধিকাংশই নির্ভর করে এই লিটারের উপর।
১ লিটার সবসময় শুস্ক রাখা আবশ্যক।
২ লিটারের গভীরতা ঠিক রাখতে হয়
৩ বছরে অন্তত একবার লিটার পরিষ্কার করতে করতে হয়
৪ পোকামাকড়ের উপদ্রব থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য ঘরের দেওয়ালে উউঞ দিয়ে স্প্রে করতে হয়।
মুরগির খাদ্য দ্রব্য:
মুরগির সঠিক ভাবে বেড়ে উঠার জন্য প্রোটিন যুক্ত খাদ্য সরবরাহ করতে হয়। মুরগির খাদ্য মূলত গম , ভুট্টা ,চালের গুঁড়ো ,শুকটি মাছ ইত্যাদি দিয়ে তৈরি হয়। আবার উপযুক্ত পরিমানে ভিটামিন অ ,ই ২,উ ৩ খাদ্যে মিশিয়ে দিতে হয়।
পোল্ট্রি পালন কতটা লাভজনক :
পোল্ট্রি পালন অনেকটাই লাভজনক। পুষ্টির গুণমানের জন্য এর চাহিদা দিন দিন বেড়ে চলেছে। ৩১ থেকে ৩৫ দিনের মুরগির গড় ওজন দেড় থেকে পৌনে দুই কেজি হয়ে থাকে। একটি ১০০০ পোল্ট্রি মুরগির ফার্ম তৈরি করতে খরচ হয় মোট ৮০ হাজার টাকা।
৪০ দিনের মাথায় মুরগি বাজারজাত করলে সমস্ত খরচ বাদ দিয়ে ইনকাম থাকে ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা।পোল্ট্রি মুরগির রোগ প্রতিরোধ করার জন্য বিশেষভাবে যত্নবান হতে হয় সঠিক সময় মত ভ্যাকসিন প্রয়োগ করতে হয় ।

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ২১, ২০২৩ ১:১১ অপরাহ্ন
ব্রয়লারের দৈহিক ওজন বৃদ্ধিতে খামারী যা করবেন
পোলট্রি

ব্রয়লারের দৈহিক ওজন বৃদ্ধিতে খামারিদের করণীয় যেসব কাজ রয়েছে সেগুলো ভালোভাবে জেনেই খামার শুরু করতে হবে। ব্রয়লার খামারগুলো আমাদের দেশে মাংসের চাহিদা পূরণে বিশেষ ভূমিকা পালন করছে। লাভের আশায় অনেকেই খামারে ব্রয়লার মুরগি পালন করছেন।

ব্রয়লারের দৈহিক ওজন বৃদ্ধিতে খামারিদের করণীয়:
ব্রয়লার খামারে বাচ্চা আনার আগ থেকে শুরু করে নিয়মিত খামার পরিষ্কার ও জীবাণুমুক্ত করতে হবে। এতে খামারে রোগের প্রকোপ কমে যাবে এবং মুরগির দৈহিক বৃদ্ধি দ্রুত হবে।যেখানে ব্রয়লার মুরগি পালন করা হবে সেখানে যাতে সব সময় আলো ও বাতাস চলাচল করতে পারে সেই ব্যবস্থা রাখতে হবে। তা না হলে খামারের মুরগি সহজেই রোগে আক্রান্ত হবে ও খামারি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।

ব্রয়লার মুরগির বাচ্চাকে শারীরিকভাবে সুস্থ থাকতে হবে। কোনভাবেই দুর্বল ও রোগা বাচ্চা খামারের জন্য নির্বাচন করা যাবে না। ব্রুডিং এ তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ রাখতে হবে এবং দুই ব্যাচের মধ্যে ১৫ দিন বিরতি দিতে হবে। ব্রুডিং এর সময় তাপমাত্রা যাতে খুব কম বা বেশি না হয় সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

ব্রয়লার খামারের লিটার সবসময় শুকনো রাখতে হবে। খামারের লিটার ভালো হলে মুরগি ভালো থাকবে। এজন্য নিয়মিত মুরগির লিটার পর্যবেক্ষণ করতে হবে। প্রয়োজন হলে লিটার পরিবর্তন করে নতুন লিটার দিতে হবে। ব্রয়লার মুরগিকে যথাসময়ে ভ্যাকসিন প্রয়োগ করতে হবে। যে কোনো ঔষধ ব্যবহারকালে সেই ওষুধের মেয়াদ আছে কিনা তা ভালোভাবে দেখে নিতে হবে। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ১৫, ২০২৩ ৭:২৬ অপরাহ্ন
পোল্ট্রি খামার করে লাভের মুখ দেখতে খামারীদের করণীয়
পোলট্রি

অতীত কাল থেকে গ্রাম অঞ্চলের মানুষ হাঁস – মুরগি পালন করে তাদের সংসারের আর্থিক স্বাচ্ছন্দ্য এনেছেন । গ্রাম অঞ্চলের মানুষ কোনো রকম খরচ ছাড়া নিজের বাড়িতে ছোট্ট একটা ঘর করে মুরগি পালন করেন । মুরগি পালন করে যেমন ডিম মাংসের চিহিদা পূরণ করা যায় তেমন অর্থনৈতিক ভাবে কিছু উন্নতি লাভ করা যায় । তাই গ্রাম অঞ্চলের মানুষ এখন মুরগি পালনে উদ্যোগী হচ্ছে ।

বর্তমানে ডিম ও মাংসের ব্যাপক চাহিদা থাকায় পোল্ট্রি পালন এখন লাভজনক পেশায় পরিণত হয়েছে। অনেক বেকার যুবক এই পেশাকে এখন নিজের প্রধান জীবিকা হিসাবে নিয়েছে। এই পোল্ট্রি পালন করতে হলে কিভাবে করতে হবে আর জন্য কী কী পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে , কিভাবে পরিচর্যা করতে হবে , এবং এই পেশায় কেমন লাভ করা যায় ইত্যাদি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।

ডিপ – লিটার পদ্ধতিতে পোল্ট্রি পালন :
পোল্ট্রি পালন মূলত ডিপ – লিটার পদ্ধতিতে হয়ে থাকে। আলো বাতাসযুক্ত সাধারণ ঘরে বা কাঠের প্ল্যাটফর্মের ওপর খাঁচার মতো করে ঘর তৈরি করে নিতে হয় তারপর মেঝেতে চুম ও ব্লিচিং দিয়ে পরিষ্কার করে কাঠের গুঁড়ো , ধানের তুষ ইত্যাদি ছড়িয়ে ১০ থেকে ১৫ সেন্টিমিটার পুরু করে লিটার তৈরি করা হয়।

জল ও খাদ্য পাত্র: পোল্টি ফার্মের জন্য জল ও খাদ্য পাত্রের বিশেষভাবে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হয়।

পাত্রগুলো যাতে উল্টে না যায় তার জন্য বিশেষ ভাবে সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়। এর জন্য স্বয়ংক্রিয় খাবারের পাত্র এবং জলের পাত্র রাখতে হয়।
কিভাবে ডিপ – লিটারের পরিচর্যা নিতে হয় :
ডিপ – লিটারের বিশেষ ভাবে পরিচর্যা করতে হয় কারণ মুরগির বেড়ে উঠার অধিকাংশই নির্ভর করে এই লিটারের উপর।
১ লিটার সবসময় শুস্ক রাখা আবশ্যক।
২ লিটারের গভীরতা ঠিক রাখতে হয়
৩ বছরে অন্তত একবার লিটার পরিষ্কার করতে করতে হয়
৪ পোকামাকড়ের উপদ্রব থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য ঘরের দেওয়ালে উউঞ দিয়ে স্প্রে করতে হয়।
মুরগির খাদ্য দ্রব্য:
মুরগির সঠিক ভাবে বেড়ে উঠার জন্য প্রোটিন যুক্ত খাদ্য সরবরাহ করতে হয়। মুরগির খাদ্য মূলত গম , ভুট্টা ,চালের গুঁড়ো ,শুকটি মাছ ইত্যাদি দিয়ে তৈরি হয়। আবার উপযুক্ত পরিমানে ভিটামিন অ ,ই ২,উ ৩ খাদ্যে মিশিয়ে দিতে হয়।
পোল্ট্রি পালন কতটা লাভজনক :
পোল্ট্রি পালন অনেকটাই লাভজনক। পুষ্টির গুণমানের জন্য এর চাহিদা দিন দিন বেড়ে চলেছে। ৩১ থেকে ৩৫ দিনের মুরগির গড় ওজন দেড় থেকে পৌনে দুই কেজি হয়ে থাকে। একটি ১০০০ পোল্ট্রি মুরগির ফার্ম তৈরি করতে খরচ হয় মোট ৮০ হাজার টাকা।
৪০ দিনের মাথায় মুরগি বাজারজাত করলে সমস্ত খরচ বাদ দিয়ে ইনকাম থাকে ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা।পোল্ট্রি মুরগির রোগ প্রতিরোধ করার জন্য বিশেষভাবে যত্নবান হতে হয় সঠিক সময় মত ভ্যাকসিন প্রয়োগ করতে হয় ।

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ১৪, ২০২৩ ১০:২০ পূর্বাহ্ন
ছোট আকারের ছাগলের খামার থেকে লাভ করার উপায়
প্রাণিসম্পদ

ছোট আকারের ছাগলের খামার হওয়ার কারণে দিন দিন আমাদের দেশে ছাগল পালনকারীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। কেউ কেউ ছাগলের খামার গড়ে তুলছেন।

ছোট আকারের ছাগলের খামার থেকে লাভবান হওয়ার উপায়:
সঠিক পদ্ধতি জেনে ছাগল পালন করলে ছোট খামার থেকেও সহজেই লাভবান হওয়ার যায়। নিচে এ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হল-

ছাগলের খামার থেকে লাভবান হওয়ার জন্য প্রথমেই উচ্চমানের ও ভালো জাতের ছাগল নির্বাচন করতে হবে। এজন্য খামারের ছাগল কেনার সময় জাত সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে হবে। ছোট খামারে ছাগল পালন করা হলে প্রত্যেকটি খরচের হিসাব রাখতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে খামারে আয়ের তুলনায় যাতে ব্যয় বেশি না হয়। খামারে কোন কারণে ব্যয় বৃদ্ধি পেলে খরচ কমিয়ে আনতে হবে। খামারে ছাগল পালন করে লাভবান হওয়ার জন্য ভালো খাদ্য ব্যবস্থাপনার দিকে নজর দিতে হবে। ছাগলকে দৈনন্দিন সুষম ও পুষ্টিকর খাদ্য প্রদান করতে হবে। প্রয়োজনে খামারের আশপাশে পতিত জমিতে ঘাসের চাষ করতে হবে।

ছাগলের খামার ছোট হলেও নিয়মিত খামারকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। পালন করা ছাগলকে রোগমুক্ত রাখতে হবে প্রয়োজনে খামারে জীবাণুনাশক দিয়ে স্প্রে করে দিতে হবে। লাভবান হওয়ার জন্য ছাগলের বাজার দর সম্পর্কে খোঁজ-খবর নিতে। দাম কমার সময়ে ছাগল কিনতে হবে আর দাম বৃদ্ধি পেলে ছাগল বিক্রি করতে হবে।

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ১১, ২০২৩ ১০:৩৫ পূর্বাহ্ন
ফিডের দাম বৃদ্ধিতে বন্ধ হচ্ছে খামার
পোলট্রি

আন্তর্জাতিক বাজারে পোল্ট্রি খাদ্যের কাঁচামালের দাম বেড়ে যাওয়ায় এর প্রভাব পড়েছে দেশে্র পোল্ট্রি সেক্টরে। এতে করে পোল্ট্রি খাদ্যের দামও বৃদ্ধি পেয়েছে ফলে খামারিদের পোল্ট্রি পণ্যের উৎপাদন ব্যয় বেড়েছে। কিন্তু যে হারে খরচ বৃদ্ধি পেয়েছে সে হারে বাড়েনি ব্রয়লার মুরগি ও ডিমের দাম। এছাড়াও ফিডের কাঁচামালের দাম বাড়ায় অনেক ফিড উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ফিড উৎপাদন কমিয়ে দিয়েছে। এতে করে বাজারে ফিড সংকটের পাশাপাশি দাম বেশি হওয়ায় খামার বন্ধ করে দিতে বাধ্য হচ্ছেন খামারিরা। পোল্ট্রি পণ্য উৎপাদনের ব্যয়ের সাথে আয়ের ভারসাম্য না হওয়ায় লোকসানে পড়ছেন প্রান্তিক খামারিরা।

গত বছর প্রতি কেজি পোলট্রি ফিডের দাম ১২-১৮ টাকা বাড়লেও সেভাবে বাড়েনি মুরগির দাম। বর্তমানে রাজধানীসহ সারাদেশে পাইকারী বাজারে ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১১৫ থেকে ১২৫ টাকা। সোনালি মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০০-২২০ টাকা। তবে খুচরা বাজারে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৫৫ টাকা ও লেয়ার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৫০-২৬০ টাকায়।

বাংলাদেশ পোলট্রি খামার রক্ষা জাতীয় পরিষদের তথ্য অনুযায়ী, দেশে ৯৮ হাজারের বেশি পোলট্রি খামারি ছিলেন। ইতোমধ্যে ফিডের দাম বাড়ায় মুরগির সরবরাহ-সংকটের মুখে খুচরা বাজার। এ অবস্থায় পশুখাদ্য প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানগুলো বলছে, তারাও নিরুপায়। কারণ পোল্ট্রি ফিডের জন্য প্রয়োজনীয় কাঁচামালের সিংহভাগই আমদানি নির্ভর। চড়া আন্তর্জাতিক বাজারের প্রভাবে দেশেও বাড়ছে দাম। সয়াবিন মিলের দাম বেড়েছে ৮৮ শতাংশ আর অন্যান্য কাঁচামালের বেড়েছে ১২৩ শতাংশ পর্যন্ত।

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ১০, ২০২৩ ৬:১৬ অপরাহ্ন
সোনালী মুরগির অধিক ডিম পেতে যা করবেন
পোলট্রি

আমাদের দেশে মুরগির মাংস এবং ডিমের চাহিদা ব্যাপক। এই মুরগির মাংস এবং ডিমের চাহিদা পূরণে গড়ে উঠেছে নানান মুরগির খামার। আর এসব খামারের মধ্যে অন্যতম হলো সোনালি মুরগির খামার। যা অনেক আগ থেকেই আমাদের দেশে গ্রামাঞ্চলে পালন করা হচ্ছে। এরমধ্যে অনেকে কেবল ডিমের চাহিদা পূরণেও এই সোনালি মুরগির খামার করে থাকেন।

ডিম উৎপাদনের জন্য সোনালী মুরগি পালনে যা করা জরুরীঃ

সোনালি মুরগি পালনের ক্ষেত্রে শুরুতেই মনে রাখতে হবে এটি একটি ব্যবসা। আর ব্যবসাকে হেলার চোখে দেখার কিছু নেই। সোনালী মুরগি পালনে উদাসীনতা দেখালে মুরগি পালনে লোকসান দেখা দিতে পারে। সেজন্য সোনালি মুরগি পালনের প্রতিটি পদক্ষেপ গুরুত্বের সাথে নিতে হবে। সোনালীর ক্ষেত্রে ব্রূডিং এর সময় “এস্পারজিলোসিস” হবার অনেক সম্ভবনা থাকে। সেজন্য মুরগির ব্রূডিং কালে লিটারে তুঁতের পানি ছিটিয়ে ব্রূডিং করাতে হবে। এতে ঝুঁকি অনেকটাই কমে যায়।

সোনালি মুরগি পালনের ক্ষেত্রে অনেক খামারিরা ভ্যাকসিন প্রদান নিয়ে অনেকটা উদাসীনতা দেখায়। সময়মতো মুরগিকে ভ্যাকসিন দিনে না পারলে অনেক সময় খামারিদের লোকসানে পড়তে হয়। আর সেজন্য ভ্যাকসিনসূচী অনুযায়ী ভ্যাকসিন প্রদান করতে হবে।সোনালি মুরগি পালনের ক্ষেত্রে লেয়ার মুরগির মতোই আলোকসূচি মেনে চলতে হবে। লেয়ার মুরগির মতোই সোনালি মুরগিতে আলোক নিয়ম মানলে সবচেয়ে ভাল হয়।

সোনালি মুরগি পালনের ক্ষেত্রে মুরগির বয়স ৮ থেকে ১০ সপ্তাহ হলে পুরুষ ও স্ত্রী সোনালী মুরগীগুলোকে পৃথক করতে হবে। সাধারনত মুরগী গুলোর ঝুটি ও পালক দেখেই পুরুষ ও স্ত্রী সোনালী মুরগী চেনা যায়। যেহেতু আপনার উদ্দেশ্য ডিম উৎপাদন তাই পুরুষ গুলো রাখার কোন প্রয়োজন নেই।সোনালী মুরগি সাধারনত দিনে ৮০ থেকে ১০০ গ্রাম খাবার গ্রহন করে। অতিরিক্ত বা কম খাবার দেয়া কোনটিই ঠিক না। এক্ষেত্রে মোট খাদ্যের ৬০% সকালে দিয়ে দিতে হবে। আর বাকি ৪০% খাবার ২০% -২০% করে দুপুরে ও বিকেলে দিতে হবে।

খামারের মুরগিগুলোর বয়স ১৪ থেকে ১৬ সপ্তাহ হলে মুরগীগুলোকে খাঁচায় তুলতে হবে। মেঝেতে মুরগিগুলোকে না রেখে খাঁচায় রাখলে বিভিন্ন সুবিধা পাওয়া যায়।

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop