৪:২২ অপরাহ্ন

বৃহস্পতিবার, ৯ মে , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : এপ্রিল ১৯, ২০২৩ ৯:০৯ পূর্বাহ্ন
গরুর মাংসের আড়ালে ঘোড়ার মাংস বিক্রি!
প্রাণিসম্পদ

কক্সবাজারের উখিয়ায় অসুস্থ ঘোড়া জবাই করে গরুর মাংসের কথা বলে বিক্রির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় দুইজনকে আটক করা হয়েছে।

সোমবার (১৭ এপ্রিল) রাত ২টার দিকে কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার হলদিয়াপালং ইউনিয়নের মরিচ্যাবাজার লাকড়ির দোকান এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, উখিয়ার মরিচ্যা এলাকার মিউজান ফকিরের ছেলে মাহাবুল আলম রাতে অসুস্থ ঘোড়া জবাই করে গরুর মাংস বলে মানুষকে বিক্রি করছেন বলে অভিযোগ পওয়া যায়। খবর পেয়ে উখিয়া উপজেলা সহকারী ভূমি কমিশনার সালেহ আহমেদের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালতের একটি টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগেই অভিযুক্তরা পালিয়ে যান। তবে ঘোড়ার মাংস জব্দ করা হয়েছে।

উখিয়ার হলদিয়া পালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইমরুল কায়েস চৌধুরী বলেন, রাতের আঁধারে দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ্ ঘোড়া, গরু ও বিভিন্ন পশু জবাই করা বন্ধের বিষয়ে আমি তৎপর হয়। আজ ঘোড়া জবাইয়ের বিষয়টি গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পেরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানাই। জবাই করা ঘোড়ার মাংসসহ ঘটনাস্থল থেকে দুই নারীকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে।

ভূমি কমিশনার সালেহ আহমেদ জানান, আটক নারীদের জিজ্ঞাসাবাদ করে মুচলেকা দিয়ে ছেড়ে দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। মূলহোতার বিরুদ্ধে মামলা হবে।

উখিয়া থানার ওসি শেখ মোহাম্মদ আলী জানান, ভূমি কমিশনারের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থল পৌঁছে ঘোড়ার মাংস জব্দ করে। এ ব্যাপারে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলার প্রক্রিয়া চলছে। ভ্রাম্যমাণ আদালতের অনুমতি পেলে মামলা রেকর্ড করা হবে।

প্রকাশ : এপ্রিল ১৭, ২০২৩ ১১:৫৭ পূর্বাহ্ন
লালমোহনে বাড়ছে মশা-মাছি, লামথি স্কিন রোগে আক্রান্ত গরু
প্রাণিসম্পদ

ভোলার লালমোহনে মশার কামড়ে ‘লামথি স্কিন ডিজিজ’ নামক একটি নতুন ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছে গরু। উপজেলার সবগুলো ইউনিয়নে এই ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব লক্ষ করা যায়। এতে আক্রান্ত গরুর প্রথমে পা ফুলে যায়। এরপর জ্বর হয়ে ২/৩ দিনের মধ্যে গোটা শরীরে বসন্তের মত ফোসকা পড়ে। যা পরবর্তীতে ঘায়ে পরিণত হচ্ছে। স্থানীয় পশু চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ‘লামথি স্কিন ডিজিজ’ একটি নতুন ভাইরাস জনিত রোগ। আগে কখনো দেখা যায়নি। তবে ৯০-এর দশকে আফ্রিকাতে এই রোগের প্রাদুর্ভাব ছিল। মূলত মশা- মাছির কামড় থেকে এ রোগ ছড়ায়। উপজেলার প্রায় গৃহে গরু পালনকারি কৃষক ও খামারীরা এ অবস্থায় তারা গরুকে মশারির মধ্যে রাখছেন। মশারির মধ্যে রাখার পরামর্শ দিয়েছেন স্থানীয় পশু চিকিৎসকরা।

লালমোহন উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস ও স্থানীয় কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলার ৯ ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে ছড়িয়ে পড়েছে মশা-মাছির ব্যাপক উৎপাত। এতে দেখা দিয়েছে গায়ে ফুলা রোগ। সরেজমিনে কয়েকটি এলাকায় দেখা যায়, কৃষকদের হালের বলদ, দুধের গাভি, সদ্যজাত বাছুর-প্রায় গরুই এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। আক্রান্ত গরুগুলোর পা ফুলে গেছে, সারা শরীরে বসন্তের মত গুটিগুটি ফোসকা হয়েছে। পায়ে খুরায় ক্ষত দেখা দিচ্ছে। আক্রান্ত গরুগুলো স্বাভাবিক চলাফেরা করছে না। সারাক্ষণ চুপচাপ থাকছে। খাওয়ারও কোনো আগ্রহ নেই।

উপজেলার রমাগঞ্জ ইউনিয়নের পূর্ব চরউমেদ গ্রামের আহসান উল্যাহ মেম্বার বাড়ির মো. ফিরোজ জানান, তার গোয়ালের মোট ৫টি গরুর অসংখ্য মাছির কামড়ে শরীর ফুলে গায়ে ফোসকা বের হয়েছে। এরমধ্যে একটি বড় গরুর অবস্থা খুবই খারাপ। গায়ের ফোলা স্থানে জখমের আশংখা করেছেন তিনি। এ জন্য প্রায় পাঁচ হাজার টাকা খরচ করেছেন, কিন্ত এখনও সুস্থ করতে পারেননি।

চরমোল্লাজী গ্রামের ফয়েজ আহমেদ বেপারীর ছেলে মফিজ বেপারী জানান, কয়েকদিন আগে তার দু’টি গরুর প্রচ- জ্বর হয়। এর একদিন পরেই সারা শরীরে চাক চাক হয়ে ফুলে উঠে। স্থানীয় পশুচিকিৎসকদের দিয়ে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে, এখন অনেকটা ভালোর দিকে।

আজাহার উদ্দিন রোডের পূর্ব মাথা এলাকার খামারি মফিজ জানান, তার মোট ১৪/১৫টি গরু রয়েছে তার মধ্যে তিনটি দুধের বড় গরু রয়েছে তিনি মশারির মধ্যে রাখেন। তারপরও রোগ বালাই নিয়ে আতঙ্কে আছেন তিনি। ওই এলাকার অজিউল্লা মিয়ার ছেলে কৃষক মো. জামাল উদ্দিনের দুটি বড় গরু এক বছর অন্তর মারা গিয়েছে। সে স্থানীয় চিকিৎসক দেখিয়ে ওষুধ খাওয়ানোর পরও কিন্ত সুস্থ হননি তার দুটি গরুই মারা গিয়েছে। সরকারীভাবে কোন পশু চিকিৎসকের সহযোগিতা পাননি তিনি।

উপজেলার প্রত্যান্ত অঞ্চলের প্রায় গ্রামেই গরু পালনকারীদের স্থানীয় পশু চিকিৎসকের দারস্থ হতে হয়। একাধিক গরু পালনকারী কৃষক ও খামারি জানান, তারা কোন দিন সরকারি পশু চিকিৎসকের পরামর্শ পাননি। কোন পশু চিকিৎসক গ্রামে আসেন না। তাই তারা স্থানীয় হাতুরে চিকিৎসক দিয়ে তাদের গরুর চিকিৎসা করাচ্ছেন।

উপজেলার প্রায় প্রতিটি কৃষক পরিবারেই গরু আছে। গবাদিপশু তারা নিজেদের সন্তানের মত করেই লালন পালন করেন। এগুলো অসুস্থ হলে তারা খুব ভেঙে পড়েন। এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণের জন্য উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের সহযোগিতা আশা করেন তারা। সরেজমিন গিয়ে একাধিক গরুর মালীক ও খামারীদের সাথে আলাপকালে তারা বলেন আমরা শুনেছি সরকারিভাবে পশু ডাক্তার এলাকায় এসে আমাদের গরুর লালন পালনে বিভিন্ন পরামর্শ ও রোগের চিকিৎসা দেন কিন্তু আমরা কোনদিন উপজেলার সরকারি পশু চিকিৎসক দেখিনি কোন পরামর্শ পাইনি। গরুর খামারি ও গৃহেপালনকারীদের প্রানের দাবি অন্তত প্রতি মাসে যেন সরকারিভাবে ডাক্তার এসে গরু পালনে বিভিন্ন পরামর্শ দেয়া হয়।

এ বিষয়ে লালমোহন উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. জয়াধর মূমূ বলেন- খামারিদের ও কৃষকদের গৃহপালিত গরু মশা মাছির আক্তান্ত হলে আমাদের করার কিছু নেই।

প্রকাশ : এপ্রিল ১৬, ২০২৩ ১১:২৭ পূর্বাহ্ন
খামারে আগুন লেগে ১৮ হাজার গরুর মৃত্যু
প্রাণিসম্পদ

খামারে আগুন লেগে ১৮ হাজার গরুর মৃত্যু হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে।

এ ছাড়া বহু গরু আহত হয়েছে, যেগুলোকে এখন মেরে ফেলার কোনো বিকল্প নেই। দেশটির টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের একটি দুধের খামারে এই ঘটনা ঘটে।

আগুনে এক ব্যক্তিও গুরুতর আহত হয়েছেন।পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করেছিল। তবে তার অবস্থা এখন আশঙ্কাজনক।

বিবিসি’র খবরে জানানো হয়, ‘সাউথ ফর্ক ডেইরি’তে একটি বিস্ফোরণ থেকে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। খামারে থাকা যন্ত্রপাতি থেকেই এই আগুন ছড়িয়েছে বলে বিশ্বাস স্থানীয় কর্তৃপক্ষের। গরুর খামারে সাধারণত মিথেন জমে থাকে। ফলে কোনো কিছু থেকে স্পার্ক বা স্ফুলিঙ্গ ছুটলে যে কোনো সময় আগুন ধরে যেতে পারে সেখানে টেক্সাসের ফার্মটির ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রে ২০১৮ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত খামারে বেশ কিছু অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় প্রায় ৩০ লাখ পশুপাখি নিহত হয়েছে। তবে একই ফার্মে এতগুলো প্রাণীর মৃত্যু গত এক দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ। ক্যাস্ট্রো কাউন্টি শেরিফের অফিস থেকে বলা হয়েছে যে, তারা ওই দুধের খামারে এই অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে যান। পুলিশ এবং জরুরি বিভাগের সদস্যরা যখন সেখানে গিয়ে পৌঁছান, তারা দেখতে পান যে ভেতরে এক ব্যক্তি আটকা পড়ে আছেন। পরে তাকে সেখান থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এই অগ্নিকাণ্ডে আসলেই কতো গরু প্রাণ হারিয়েছে তা পরিষ্কার না হলেও শেরিফের অফিস থেকে বিবিসিকে জানানো হয়েছে যে এই ঘটনায় আনুমানিক ১৮,০০০ গরু মারা গেছে। খামারের যে জায়গায় গরুগুলো রাখা হয়েছিল সেখানে আগুন ছড়িয়ে পড়লে বেশির ভাগ গরু মারা যায়। দুধ দোহন করার আগে গরুগুলোকে এই স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়। শেরিফ বলেন, কিছু গরু বেঁচে গেছে, কিছু গরু আহত হয়েছে। তবে আহত গরু এমনভাবে পুড়ে গেছে যে সেগুলোকে মেরে ফেলতে হবে। ওয়াশিংটন ডিসি থেকে প্রাণী কল্যাণ ইনস্টিটিউট বিবিসিকে পাঠানো এক বিবৃতিতে বলেছে, ২০১৩ সালের পর একসঙ্গে এত প্রাণীর মৃত্যুর খবর পাননি তারা। ২০১৩ সালের পর খামারে আগুন লেগে ৬৫ লাখ পশুপাখি মারা গেছে, যার মধ্যে ৬০ লাখেরও বেশি মুরগি এবং ৭ হাজার ৩০০ গরু। তবে এবার এক খামারেই প্রাণ গেল ১৮ হাজার গরুর।

প্রকাশ : এপ্রিল ৮, ২০২৩ ১২:১৬ অপরাহ্ন
গয়না বিক্রি করে গরুর খামার ‍শুরু করে কোটিপতি জেসমিন!
প্রাণিসম্পদ

বিয়ের গয়না বিক্রি করে গরুর খামার শুরু করে কোটিপতি হয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলার জেসমিন আরা। বর্তমানে তার খামারের বয়স ১৮ বছর হয়ে গেছে। তার খামারে ১০০টি গরু রয়েছে। পাশাপাশি গড়েছেন ছাগল ও হাঁসের খামার। পাশেই করছেন মাছ চাষ।

জানা যায়, দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলার জোৎবানী ইউনিয়নের শিবপুর গ্রামে বাসিন্দা জেসমিন আরা। তিনি তার বাড়ির পাশেই গড়ে তুলেছেন ‘জেসমিন ডেইরি ফার্ম’ নামে গরুর খামার। এখন পর্যন্ত উপজেলা ডেইরি বিভাগে তিনবার প্রথম স্থান অর্জন করেছেন। জেসমিনের খামারে রয়েছে শতাধিক বিভিন্ন জাতের গরু। যার মধ্যে ৩০টি গাভি থেকে প্রতিদিন আড়াইশো লিটার দুধ পান। যা বিক্রি করে প্রতিদিন আয় হয় ৭-১০ হাজার টাকা। ছাগল, হাঁস ও মাছের খামার থেকে প্রতি মাসে আয় তিন লাখ টাকা। বর্তমানে তার খামারে ১০ জন যুবক কাজ করছেন।

খামারে কর্মরত শ্রমিক সবুজ হোসেন বলেন, আমি জেসমিন আপার খামারে একজন শ্রমিক হিসেবে কাজ করি। খামারের গরুর গোসল করানো খাবার দেওয়াসহ দেখাশোনার কাজ করি। মাসিক ১০ হাজার টাকা বেতন দেয়। এতে আমার পরিবার নিয়ে ভালোই চলছে।

অপর শ্রমিক সিদ্দিক হোসেন বলেন, জেসমিন আপার খামারে গরু, হাঁস ও ছাগল চারটি পুকুর রয়েছে। যেগুলোতে মাছ চাষ করা হয়। খামারে আমরা ১০ জন শ্রমিক রয়েছি। যারা সব কাজ করে থাকি। এই খামারের মাধ্যমে অনেক কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে।

পাশের গ্রামের বাসিন্দা মাহবুব হোসেন বলেন, জেসমিন আরা গরুর খামার দেখে অবাক হয়েছি। তার খামারে অনেক জাতের গরু রয়েছে। সাথে পুকুরে মাছ চাষ করছে। আবার হাঁস মুরগিও পালন করছে। তার খামার দেখে নিজে খামার গড়ে তুলার ইচ্ছা রয়েছে।

জেসমিন আরা বলেন, আমার স্বামী একজন প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক। দিনে বেশির ভাগ সময় কাজকর্ম থাকতো না। না। আগে থেকেই আমার গরু ছাগল লালনপালনের ইচ্ছে ছিল। পরে নিজের গয়না বিক্রি করে সে টাকা দিয়ে দুটি গাভি কিনে ছোট একটি খামার তৈরি করি। তারপর ধীরে ধীরে সেই দুটি গাভির বাছুর থেকে খামারে গরুর সংখ্যা বাড়তে থাকে। গরু বাড়তে থাকায় বাড়ির পাশে আরও কিছু জাইগা কিনে বড় পরিসরে খামার দেই।

বিরামপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. বিপুল কুমার জানান, আমরা জেসমিনকে সকল ধরনের সাহায্য সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছি। তার সাফল্য দেখে গ্রামের অনেকেই গরুর খামার তৈরিতে আগ্রহী হয়ে উঠছেন। এছাড়া গরু কিনা বিষয় তাদেরকে সকল ধরনের পরামর্শ দিচ্ছি। আমদানি নির্ভরতা কাটিয়ে মাংস ও দুধের চাহিদা মেটাতে তার মতো খামারির সংখ্যা বাড়াতে সব ধরনের সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে উপজেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগ।

প্রকাশ : এপ্রিল ৬, ২০২৩ ১০:৫৫ পূর্বাহ্ন
গোপালপুরে প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের প্রশিক্ষণ
প্রাণিসম্পদ

টাঙ্গাইলের গোপালপুরে প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ‘বিজনেস প্ল্যান প্রিপারেশন’ বিষয়ক দুই দিনব্যাপি প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে।

বুধবার (৫ এপ্রিল) পৌরশহরের হেমনগর রোড়ের খোলা চত্বরে প্রশিক্ষণের উদ্বোধন করেন টাঙ্গাইল জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মো: রানা মিয়া।

বিষয় ভিত্তিক বক্তব্য রাখেন- ভেটেরিনারি অফিসার ডাঃ মো: আব্দুল মান্নান, জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের প্রশিক্ষণ অফিসার ডাঃ মো: শহীদুল আলম, গোপালপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ শরীফ আব্দুল বাসেত, মেডিকেল অফিসার ডাঃ মো: মইনুল হাসান এবং প্রেসক্লাব সভাপতি অধ্যাপক জয়নাল আবেদীন।

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ রানা মিয়া জানান, বিফ ফেটারিং, গোট এন্ড শিপ ভ্যালু চেইন এর পিজি সদস্যদের ‘বিজনেস প্ল্যান প্রিপারেশন’ এর উপর এ প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে।

লাভজনকভাবে ভেড়াপালন, মাংস বাজারজাতকরণ এবং বাণিজ্যিক বা ক্ষুদ্র খামারের মাধ্যমে গ্রামীণ নারীসমাজকে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করাই হলো প্রকল্পের মূল লক্ষ্য। প্রশিক্ষণে প্রায় ৫০ জন খামারি অংশ নেয়।

প্রকাশ : মার্চ ২৮, ২০২৩ ১০:২১ অপরাহ্ন
লাভজনক গরুর খামার শুরু করার কৌশল
প্রাণিসম্পদ

গ্রামের পাশাপাশি এখন শহরের মানুষও গরুর খামারে দিকে ঝুঁকছেন। গরু পালন শুরু করতে যে বিষয়গুলো মাথায় রাখতে হবে তা নতুন খামারির জানা একান্ত গুরুত্বপূর্ণ।

লাভজনক গরুর খামার শুরু করার কৌশল:-
খামার শুরু করার আগে সীমিত খরচে ৩/৬ মাস মেয়াদী যুব উন্নয়ন বা বেসরকারি ভাবে ট্রেনিং নিতে হয়। প্রাণীসেবা হাসপাতালে সাপ্তাহিক ও মাসিক ট্রেনিং গুলোতে যোগ দিতে হবে।তবে একদিনে ট্রেনিং করে সব শিখতে চাইয়েন না।কারণ খামার বিষয়ক তথ্য গুলো একদিনে সব আয়ত্ত করা সম্ভব নয়।

গরুর যত্নে সঠিক সময়ে খাদ্য দেওয়া জরুরী। গরুকে যে খাদ্য খাওয়াতে হবে ২ বেলা কাঁচা ঘাস, খড়, দানাদার, পর্যাপ্ত পরিষ্কার পানি। এর মধ্য রয়েছে বিভিন্ন কোম্পানিরর রেডি ফিড তো ফিড না দিয়ে নিজে খাদ্য তৈরী করতে হবে এতে খরচ কম হবে ও ভালো মানের খাদ্য তৈরী হবে।

গরুকে ঔষুধ খাওয়ানোর নিয়ম জানতে হবে। কারণ এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় কেননা,শ্বাসনালীতে ঔষুধ গেলে গরু মারা যাবার সম্ভবনা বেশির ভাগ। গরুকে ঔষুধ খাওয়ানোর সবচেয়ে নিরাপদ উপায় হলো খাদ্যর সাথে বা পানির সাথে মিশিয়ে খাওয়ানো।

পরিচিত কোন খামারে কিছু দিন সময় দেন খেয়াল করুন তার কাজকর্ম। সে কিভাবে কখন গরুকে খাদ্য দেয়,গোসল করাই,খামার পরিস্কার করে। ডাক্তারদের সাথে ভালো সমর্পক গড়ে তুলুন জেনে নিন কোন কোন রোগে কি কি চিকিৎসা দিতে হয়।

রোগে খামারে গরুর যে সমস্যাগুলো বেশি হয় তা বিষয়ে জানতে হবে ও সমাধানের উপায় জানতে হবে। সাধারণত জ্বর সর্দি, খাবারে খেতে রুচি কম,পেট ফাঁপা,ডায়রিয়া,ব্যাথা পাওয়া, হিটে আসার লক্ষণ, বীজ দেওয়ার সঠিক সময় টুকিটাক বিষয় গুলো জানতে হবে।

খামারে গরু অসুস্থ হলে দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। কিছু দিন পর পর গরুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে হবে। লাভজনক গরুর খামার শুরু করার কৌশল সংবাদের তথ্য কৃষি তথ্য সার্ভিস থেকে নেওয়া হয়েছে।

প্রকাশ : মার্চ ২৮, ২০২৩ ১০:১১ অপরাহ্ন
গরু চরানো নিয়ে সংঘর্ষ, নিহত কৃষক
কৃষি বিভাগ

সুনামগঞ্জের সদর উপজেলায় গরু ঘাস খাওয়াকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের সংঘর্ষে শুকুর আলী (৪৫) নামের এক কৃষক নিহত হয়েছেন।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে সদর উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের মুসলিমপুর গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। নিহত শুকুর আলী সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার মুসলিমপুর গ্রামের বাসিন্দা।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, সকালে মুসলিমপুর গ্রামে শুক্কুর মিয়া তাঁর গুরুকে ঘাস খাওয়ানোর জন্য গ্রামের পাশে ধান খেতে নিয়ে যান। এ সময় নায়েব আলী তাঁকে নিষেধ করেন। একপর্যায়ে দুজনের মধ্যে বাগ্‌বিতণ্ডা হয়। পরে পাশে থাকা নায়েব আলীর চার ছেলে ময়না মিয়া, লিটন মিয়া, আনোয়ার হোসেন ও আইনুল মিয়া শুক্কুরের ওপর হামলা চালান।

খবর পেয়ে শুক্কুর মিয়ার লোকজন ঘটনাস্থলে গেলে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় শুকুর আলীকে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় এলাকায় থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

সুনামগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, দুপক্ষের সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন। বর্তমানে ঘটনাস্থলের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ রয়েছে। অভিযুক্তদের ধরতে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।

প্রকাশ : মার্চ ২৭, ২০২৩ ১:০৯ অপরাহ্ন
জলঢাকায় ভারতীয় গরুসহ আটক ৩
প্রাণিসম্পদ

ভারত থেকে চোরাই পথে আসা সাতটি গরু জব্দ করেছে নীলফামারীর জলঢাকা থানা পুলিশ। এ সময় গরু বহনকারী ট্রলিসহ দুই গরু ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়।

রোববার (২৬ মার্চ) দুপুরে উপজেলার বালাগ্রাম ইউনিয়নের চৌপথী শিপীরডাঙ্গা নামক স্থান থেকে গরুসহ ব্যবসায়ীদের আটক করা হয়েছে।

আটককৃতরা হলেন- জলঢাকা উপজেলার গোলনা কালিগঞ্জ ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য দেলোয়ার রহমান (৫৩) এবং একই এলাকার নকর উদ্দীনের ছেলে হাকিনুর রহমান (৩৮)।

সূত্র মতে, লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম, দহগ্রাম ও বুড়িমারী স্থলবন্দরের বিভিন্ন চোরাই পথে জলঢাকায় নছিমন, করিমন ও ভটভটি যোগে ঢুকছে এসব ভারতীয় চোরাই গরু। ভারতীয় গরু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটটি বাংলাদেশের হাটে দেশি গরুর রশিদ করে।

পরে ক্রয়কৃত গরুগুলো ওই হাটেই বিক্রি করে আগের রশিদ সংরক্ষণে রেখে। এতে করে অবৈধ পন্থায় দেশের বাজারে ঢুকছে বিদেশি গরু। এর প্রভাব পড়ছে দেশি খামারিদের ওপর। একসঙ্গে সরকার হারাচ্ছে রাজস্ব।

গরু আটকের পর শিপারডাঙ্গার স্থানীয় বাসিন্দা আলিয়ার রহমান জানান, এসব ভটভটি গাড়ি গভীর রাত পর্যন্ত এ রাস্তা দিয়ে যায় এবং একসঙ্গে ৩/৪টি গাড়ি লাইন ধরে যায়।

এ বিষয়ে জলঢাকা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ কবির বলেন, এ ঘটনায় সাতটি ভারতীয় গরু জব্দ করা হয়েছে। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে আরেও পাঁচটি গরু সরিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। হাটের ছাড়পত্র পর্যালোচনা করে সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

প্রকাশ : মার্চ ২৬, ২০২৩ ১:১২ অপরাহ্ন
ময়মনসিংহে বসতঘরে আগুন,পুড়ে ছাই হলো ২ গরু
প্রাণিসম্পদ

ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে আগুনে পুড়ে মরলো কৃষকের দুটি গরু। পুড়ে ছাই হলো বসতবাড়ি। শনিবার রাতে উপজেলার চরআলগী ইউনিয়নের চরকামারিয়া ভাটিপাড়া গ্রামের কৃষক বাছির মিয়ার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। এতে কৃষকের সাড়ে ছয় লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শনিবার ভোর রাত ৩টার দিকে চরকামারিয়া গ্রামের কৃষক বছির মিয়ার ঘরের ফ্রিজের মাল্টিপ্লাগ থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। মুহূর্তেই আগুন বসতঘর ও গোয়াল ঘরে ছড়িয়ে পড়ে। আশপাশের লোকজন আগুনের লেলিহান শিখা দেখে ছুটে এসে দুই ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। কিন্তু ততক্ষণে আসবাবপত্র, হাঁস-মুরগি, গোয়াল ঘরের দুটি গরু, টাকা পুড়ে ছাই হয়ে যায়।

স্থানীয়রা ফায়ার সার্ভিসে যোগাযোগ করলেও দীর্ঘ দুই ঘণ্টার মধ্যে দমকল কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছতে পারেনি।
স্থানীয় ইউপি সদস্য রোস্তম আলী ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে না আসতে পারায় দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, তারা আগে উপস্থিত হলে ক্ষয়ক্ষতি কিছু কম হতে পারতো।

ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার রাম প্রাসাদ পাল বলেন, সংবাদ পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি বেরিয়ে পড়ে। কিন্তু বালির রাস্তায় বড় গাড়ি আটকে গিয়ে পথে দেরি হয়। রাস্তায় সংবাদ পাই স্থানীয়রা আগুন নিভিয়ে ফেলেছেন। পরে ঘটনাস্থলে না গিয়ে ফিরে আসি আমরা।

ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক বাছির মিয়া বলেন, আমি আজ নিঃস্ব হয়ে গেছি। বসতঘর, দুটি গরু, ৮৫ হাজার টাকা, আসবাবপত্র সবই পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। আমার প্রায় সাড়ে ৬ লক্ষাধিক টাকা ক্ষতি হয়েছে।

প্রকাশ : মার্চ ১৩, ২০২৩ ৭:৫১ অপরাহ্ন
ভ্যানচালকের গোয়াল থেকে গরু চুরি করে জবাই!
প্রাণিসম্পদ

ময়মনসিংহের তারাকান্দায় গোয়াল থেকে গরু চুরি করে পাশের জঙ্গলে ফেলে জবাই করার অভিযোগ উঠেছে।

গত (১১ মার্চ) শনিবার রাতে উপজেলার নলচাপড়া গ্রামের ভ্যানচালক নুরুল ইসলামের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। চুরি হওয়া গরুটি তিন মাসের গাভিন ছিল বলে জানা যায়।

ভুক্তভোগী কৃষক নুরুল ইসলাম জানান, তিনি ভ্যান চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন। পাশাপাশি কৃষিকাজ করেন। অনেক কষ্ট করে একটি গরু ক্রয় করেন। গাভিটি তিন মাসের গাভিন ছিল। প্রতিদিনের মতো বাজার থেকে বাড়িতে গিয়ে গোয়ালে গিয়ে দেখেন দরজা খোলা গরু নেই।

এ সময় খোঁজাখুঁজির পর চিৎকার শুরু করলে স্থানীয়রা এগিয়ে আসেন। পরে পাশের জঙ্গল থেকে জবাই করা অবস্থায় গরুটি পাওয়া যায়।

তারাকান্দা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জিল্লুর রহমান জানান, বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে। দায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop