১১:২৬ অপরাহ্ন

বৃহস্পতিবার, ৯ মে , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : জুলাই ২৬, ২০২২ ৮:০৮ পূর্বাহ্ন
জেলের জালে ধরা পড়ল দু`টি বাদুড় মাছ
মৎস্য

পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকত-সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে এক জেলের জালে দুটি ‘বাদুড়’ মাছ ধরা পড়েছে।স্থানীয় জেলেদের কাছে মাছটি ‘বাদুড় মাছ’ নামে পরিচিত। তবে সামুদ্রিক প্রাণী বিশেষজ্ঞের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, মাছ দুটি সামুদ্রিক ‘রে গোত্রীয়’। এর বৈজ্ঞানিক নাম Rhinoptera Javanica। ইংরেজিতে এটিকে Bat Ray বা Eagle Ray বলা হয়।

রোববার বিকেলে সমুদ্রসৈকতের কাছাকাছি চর বিজয় এলাকায় স্থানীয় জেলে জাকির হোসেন প্যাদার জালে মাছ দুটি ধরা পড়ে।

জেলে জাকির হোসেন প্যাদা জানান, ৬৫ দিনের অবরোধ শেষে গত শনিবার রাত থেকেই উপকূলের জেলেরা সাগরে মাছ শিকারে যান। অন্য জেলেদের মতো তিনিও মাছ শিকারের জন্য সাগরে নামেন। রোববার দুপুরে কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকতের কাছাকাছি চর বিজয় এলাকায় ইলিশ ধরার জন্য তিনি জাল ফেলেন। বিকেলে জাল টেনে তুলে বিরল এই মাছ দুটি পান। এ ছাড়া বেশ কিছু ইলিশও ধরা পড়ে।

জাকির হোসেন প্যাদা বলেন, সোমবার দুপুরে মহিপুর মৎস্য বন্দরে হানিফ পাহলান নামের এক জেলের কাছে মাত্র পাঁচ হাজার টাকায় মাছ দুটি বিক্রি করেন। মাছ দুটির দৈর্ঘ্য এক ফুট ও প্রস্থও এক ফুট। তবে মাছের লেজ প্রায় ২ ফুটের মতো লম্বা। এক-একটি মাছের ওজন ১০ কেজি।
ক্রেতা হানিফ পাহলান বলেন, উপকূলের আড়তে বা ঘাটে সচরাচর এই মাছ চোখে পড়ে না। সমুদ্রে জেলেদের জালেও খুব একটা ধরা পড়ে না। মাছ দুটি তিনি আগ্রহ নিয়েই কিনেছেন। কেনার পরপরই বরফ দিয়ে বিকেলেই ঢাকার মোকামে পাঠিয়ে দিয়েছেন।

কেউ যদি পছন্দ করে কেনেন তাহলে ভালো, অন্যথায় টাকাগুলো গচ্চা যাবে।

সামুদ্রিক প্রাণী বিশেষজ্ঞ মো. কামরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, এই ধরনের মাছ সাধারণত ইন্দো–প্যাসিফিক ও ফিলিপাইন সাগরে বিচরণ করে। বঙ্গোপসাগরে বা ভারত মহাসাগরেও এদের দেখা মেলে। আকৃতি বা চেহারায় সাদা পেটের সঙ্গে কালো বা বাদামি পিঠ, একটি লম্বা-পাতলা লেজ আছে।

পানির মধ্যে চলাচলের জন্য একটি স্বতন্ত্র প্রসারিত মাথা ও বাদুড়ের ডানার মতো দুটি ডানা আছে। এদের স্ত্রী প্রজাতি ৬ ফুট পর্যন্ত বড় হতে পারে এবং ওজনে ৯০ কেজি পর্যন্ত হয়। পুরুষ প্রজাতি আকারে ছোট হয়।

প্রকাশ : জুলাই ২, ২০২২ ১০:২৬ অপরাহ্ন
বরগুনায় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মাছ শিকার, আটক ৬
মৎস্য

নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সাগর থেকে মাছ শিকার করায় একটি ট্রলারসহ ৬ জেলেকে আটক ও ২৭৬ কেজি ইলিশ ও সামুদ্রিক মাছ জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড পাথরঘাটা স্টেশন।

শনিবার দুপুরে কোস্ট গার্ড দক্ষিণ জোনের মিডিয়া কর্মকর্তা লে. বিএন কে এম সফিউল কিঞ্জল স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, শুক্রবার রাতে বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলাধীন চরদুয়ানী বাজার সংলগ্ন খালের সেতু এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড পাথরঘাটা স্টেশন। এ সময় ওই এলাকা থেকে এফবি আব্দুল্লাহ নামে একটি ইঞ্জিন চালিত কাঠের ট্রলার এবং সমুদ্র থেকে ধরা ২৭৬ কেজি ইলিশ ও সামুদ্রিক মাছ জব্দসহ ৬ জেলেকে আটক করা হয়।

এ প্রসঙ্গে কোস্ট গার্ড দক্ষিণ জোনের মিডিয়া কর্মকর্তা লে. কে এম শাফিউল কিঞ্জল জানান, সাগরে মাছ ধরার ওপর ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড দক্ষিণ জোন প্রতিনিয়ত অভিযান পরিচালনা করছে।

প্রকাশ : মে ১৬, ২০২২ ৪:৩৩ অপরাহ্ন
জেলেদের জন্য ১৬ হাজার ৭৫২ টন ভিজিএফ বরাদ্দ
মৎস্য

দেশের সামুদ্রিক জলসীমায় ৬৫দিন (২০ মে-২৩ জুলাই) মাছ ধরা নিষিদ্ধকালে মৎস্য আহরণে বিরত থাকা জেলেদের জন্য ২০২১-২২ অর্থবছরে সরকারের মানবিক খাদ্য সহায়তা কর্মসূচির আওতায় ১৬ হাজার ৭৫১ দশমিক ৫৬ মেট্রিক টন ভিজিএফ চাল বরাদ্দ করা হয়েছে।

উপকূলীয় ১৪ জেলার ৬৭ উপজেলা ও চট্টগ্রাম মহানগরীর ২ লক্ষ ৯৯ হাজার ১৩৫ টি জেলে পরিবারের জন্য এ বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে। এর আওতায় নিবন্ধিত প্রতিটি জেলে পরিবারকে ১ম ধাপে প্রতি মাসে ৪০ কেজি করে ৪২ দিনে (২০ মে-৩০ জুন) মোট ৫৬ কেজি চাল প্রদান করা হবে।

গত ১২ মে (বৃহস্পতিবার) সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকদের অনুকূলে এ সংক্রান্ত মঞ্জুরী আদেশ জারী করেছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। ভিজিএফের চাল ১০ জুন ২০২২ তারিখের মধ্যে উত্তোলন ও মৎস্যজীবীদের মাঝে বিতরণ সম্পন্ন করার নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। কার্ডধারী জেলে ব্যতীত এ ভিজিএফ প্রদান না করা এবং মৃত কিংবা পেশা পরিবর্তনের কারনে জেলে সংখ্যার পরিবর্তন হলে তা পর্যালোচনা করে নীতিমালা অনুযায়ী ভিজিএফ বিতরণের জন্য মঞ্জুরীপত্রে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

বরাদ্দপ্রাপ্ত উপজেলাগুলো হলো খুলনা জেলার বটিয়াঘাটা, দাকোপ, পাইকগাছা, কয়রা, ডুমুরিয়া, দিঘলিয়া ও রূপসা, বাগেরহাট জেলার মোংলা, মোড়েলগঞ্জ ও শরণখোলা, সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনি ও শ্যামনগর, চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালী, আনোয়ারা, মিরসরাই, সন্দ্বীপ, কর্ণফুলী, সীতাকুন্ড ও চট্টগ্রাম মহানগর, কক্সবাজার জেলার সদর, চকরিয়া, মহেশখালী, উখিয়া, পেকুয়া, কুতুবদিয়া, টেকনাফ ও রামু, নোয়াখালী জেলার হাতিয়া, সদর, সুবর্ণচর ও কোম্পানীগঞ্জ, ফেনী জেলার সোনাগাজী, লক্ষ্মীপুর জেলার রামগতি, সদর, কমলনগর ও রায়পুর, বরিশাল জেলার মেহেন্দিগঞ্জ, বাকেরগঞ্জ, হিজলা, সদর ও উজিরপুর, ঝালকাঠি জেলার রাজাপুর, বরগুনা জেলার সদর, পাথরঘাটা, আমতলী ও তালতলী, পিরোজপুর জেলার সদর, মঠবাড়িয়া, ভান্ডারিয়া, নাজিরপুর, নেছারাবাদ, কাউখালি ও ইন্দুরকানি, পটুয়াখালী জেলার সদর, কলাপাড়া, বাউফল, দুমকি, মির্জাগঞ্জ, গলাচিপা, রাঙ্গাবালি ও দশমিনা এবং ভোলা জেলার সদর, বোরহানউদ্দিন, চরফ্যাশন, দৌলতখান, লালমোহন, তজুমুদ্দিন ও মনপুরা।

উল্লেখ্য সামুদ্রিক মৎস্য আইন ২০২০ এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে বাংলাদেশের সামুদ্রিক জলসীমায় মাছের সুষ্ঠু প্রজনন, উৎপাদন, সামুদ্রিক মৎস্যসম্পদ সংরক্ষণ এবং টেকসই মৎস্য আহরণের জন্য চলতি বছর ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত মোট ৬৫ দিন সকল প্রকার মৎস্য নৌযান কর্তৃক যে কোন প্রজাতির মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করে গত ২৪ এপ্রিল প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।

প্রকাশ : মে ৫, ২০২২ ৬:২০ অপরাহ্ন
কাপ্তাই হ্রদে মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধকালে জেলেদের জন্য ভিজিএফ বরাদ্দ
মৎস্য

২০২১-২২ অর্থবছরে কাপ্তাই হ্রদে মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধকালে ২৪ হাজার ৯৫৩ টি জেলা পরিবারের জন্য ৯৯৮ দশমিক ১২ মেট্রিক টন ভিজিএফ চাল বরাদ্দ করেছে সরকার। সরকারের মানবিক খাদ্য সহায়তা কর্মসূচির আওতায় কাপ্তাই হ্রদ তীরবর্তী রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ি জেলার ১০টি উপজেলার জেলেদের জন্য এ বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে। এর আওতায় প্রতিটি জেলে পরিবারকে মাসিক ২০ কেজি হারে মে-জুন দুই মাসের জন্য মোট ৪০ কেজি ভিজিএফের চাল প্রদান করা হবে।

গত ২৮ এপ্রিল (মঙ্গলবার) সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকদের অনুকূলে এ সংক্রান্ত মঞ্জুরী আদেশ জারী করেছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।

ভিজিএফের চাল ১০ জুন ২০২২ তারিখের মধ্যে উত্তোলন ও জেলেদের মাঝে বিতরণ সম্পন্ন করার জন্য জেলা প্রশাসকদের নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। কেবলমাত্র কাপ্তাই হ্রদে মৎস্য আহরণে বিরত থাকা নিবন্ধিত ও কার্ডধারী জেলেদের মধ্যে এ চাল বিতরণের জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

ভিজিএফ বরাদ্দপ্রাপ্ত ১০টি উপজেলা হলো রাঙ্গামাটি জেলার সদর, লংগদু, বাঘাইছড়ি, নানিয়ারচর, কাপ্তাই, বিলাইছড়ি, জুরাছড়ি ও বরকল এবং খাগড়াছড়ি জেলার মহালছড়ি ও দীঘিনালা।

উল্লেখ্য, কার্প ও অন্যান্য দেশীয় প্রজাতির মাছের প্রজনন ও উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রতিবছর মে থেকে জুলাই মাস পর্যন্ত তিন মাস কাপ্তাই হ্রদে সকল ধরণের মাছ ধরা নিষিদ্ধ থাকে। এ বছর ইতোমধ্যে ১ মে থেকে তিন মাসের জন্য এ হ্রদের সকল প্রকার মাছ আহরণ, বাজারজাতকরণ ও পরিবহন নিষিদ্ধ করেছে স্থানীয় জেলা প্রশাসন। মাছ ধরা নিষিদ্ধকালে কাপ্তাই হ্রদে নৌ পুলিশ অভিযান পরিচালনা করবে।

প্রকাশ : এপ্রিল ৩০, ২০২২ ৩:০৯ অপরাহ্ন
মধ্যরাতে শেষ হচ্ছে নিষেধাজ্ঞা, ইলিশ শিকারে প্রস্তুত জেলেরা
মৎস্য

টানা দুই মাস বন্ধ থাকার পর শনিবার (৩০ এপ্রিল) রাত ১২ টা থেকে দেশের ৫টি অভয়াশ্রমে আবারও শুরু হচ্ছে ইলিশ ধরা।

প্রাণচাঞ্চল্য ফিরেছে মৎস্যজীবীদের মাঝে। মধ্যরাতে নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার পরপরই কর্মব্যস্ত হয়ে পড়বেন বেকার জেলেরা। জেলেরা নদীতে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ঘাটের পাড়ে জাল ও নৌকা ঠিক করায় ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা।

এতোদিন যেসব আড়তে ছিল সুনশান নিরবতা সেইসব আড়ত জেলে, মৎস্যজীবী ও আড়তদারদের হাঁকডাকে মুখরিত হয়ে উঠবে। মাছ ধরে বিগত দিনের ধার-দেনা শোধ করে ঘুরে দাঁড়াতে পারবেন বলে আশাবাদী জেলেরা।

মৎস্য বিভাগ জানিয়েছে, এবছর নিষেধাজ্ঞা প্রায় শতভাগ কার্যকর হয়েছে বলে দাবি করেছে। দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা হওয়ায় এবার কাঙ্ক্ষিত টার্গেট ৬ লাখ টন ইলিশ মাছ আহরণ সম্ভব হবে।

জাটকা ইলিশ সংরক্ষণে প্রতিবছর দুই মাস দেশের কয়েকটি এলাকায় মাছ ধরা নিষিদ্ধ করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় এবারো ৫টি অভয়াশ্রমে পহেলা মার্চ থেকে ৩০শে এপ্রিল পর্যন্ত ইলিশসহ সবধরনের মাছ ধরা বন্ধ থাকে। এই সময়ে বন্ধ থাকে ইলিশ মাছ মজুদ এবং বিক্রিও। চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর, পটুয়াখালী, ভোলা, শরীয়তপুর ও বরিশাল জেলায় পদ্মা-মেঘনাসহ কয়েকটি নদীর নির্দিষ্ট এলাকা নিয়ে এই পাঁচটি অভয়াশ্রম।

বরিশাল জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিমল চন্দ্র দাস জানান, রোববার ভোর থেকে ইলিশ আহরণ শুরু হবে, এবার কম সংখ্যক জেলেরাই নদীতে নামবে। ঈদের জন্য অনেকেই এই মুহূর্তে নদীতে নামবে না, তাছাড়া নদীতে মাছের উপস্থিতি অনেক কমে গেছে।

প্রকাশ : ডিসেম্বর ৬, ২০২১ ১:০৬ অপরাহ্ন
চিন্তায় কৃষক, হতাশায় জেলে পরিবার, জাওয়াদে অব্যাহত বর্ষণ
পাঁচমিশালি

অতীতে বাংলাদেশে বয়ে যাওয়া ঘূর্ণিঝড় সিডর, আইলা, মহাসেন, ফনিতে সমুদ্র উপকূলীয় বরগুনার পায়রা (বুড়িশ্বর), বিষখালী ও বলেশ্বর নদীর তীরবর্তী বসবাসকারী মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে। সেই সাথে পশু,পাখিসহ গবাদি পশু ও ফসলের ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতিও হয়েছে। এখন নুতন ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদে আবার উপকূলবাসীর আতঙ্ক বিরাজ করছে। ঝড়টি বাংলাদেশে আঘাত না করলেও এর প্রভাব ঠিকই পড়ছে।

রোববার রাতভর বিরামহীন বর্ষণ ও সোমবারও ভারী বর্ষণে বরগুনা উপকূলের কৃষি ও ধান ক্ষেতে জলাবদ্ধতা হওয়ায় কৃষককূল চিন্তিত হয়ে পড়েছে।সমুদ্র উপকূলীয় বরগুনা, পাথরঘাটা, আমতলী, তালতলী, বামনা ও বেতাগীতে ভারী বর্ষণ ও দিনব্যাপী আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থেকে চারদিক অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে আছে । এতে উপকূলীয় মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

কৃষককূল জানান,তাদের মাঠে এখন রোপণ করা পাকা আমন ধান। এ অবস্থায় ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বৃষ্টি হওয়ায় ধান গাছগুলো হেলে পড়ে অর্ধেক ধান নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

উপকূলীয় বেশ কয়েকটি সূত্র থেকে জানা গেছে, সাগরে প্রচণ্ড ঢেউ ও ঝড়ো হাওয়া বিরাজ করছে। শত শত মাছ ধরার ট্রলার গভীর সমুদ্রে অবস্থান করায় নিরাপদ আশ্রয়ে ফিরে আসতে পারেনি। এতে দুশ্চিন্তায় রয়েছে সমুদ্রে থাকা জেলে পরিবারগুলো।

এ বিষয়ে বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী জানান, বহু ট্রলার এখনো গভীর সমুদ্রে অবস্থান করছে। কোনো ঘাটেই কোনো ট্রলার নেই। আবহাওয়া খারাপ হওয়ায় আমরা যাদের মুঠোফোনে পেয়েছি তাদেরকে নিরাপদ স্থানে আসতে বলেছি। এখন পর্যন্ত কোনো ট্রলার ঘাটে আসতে পারেনি। এতে করে জেলে পরিবারের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

প্রকাশ : অক্টোবর ২৬, ২০২১ ২:৪৯ অপরাহ্ন
যমুনায় মা ইলিশ নিধন, ২২ দিনে ১৫৪ জেলের কারাদণ্ড
মৎস্য

নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলার যমুনা নদী থেকে মা ইলিশ ধরায় গত ২২ দিনে ১৫৪ জেলেকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ ছাড়া ২ লাখ ৩২ হাজার ৮০৩ মিটার কারেন্ট জাল ও ১৩৫.৫০ কেজি ইলিশ জব্দ করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৬ অক্টোবর) সকালে উপজেলা মৎস্য অফিসের সহকারি মোঃ শফিকুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন।

চৌহালী উপজেলা মৎস্য অফিসসূত্রে জানা যায়, ইলিশের উৎপাদন বাড়াতে ৪ অক্টোবর থেকে ইলিশ শিকারে সরকারি নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। চৌহালী উপজেলার উত্তরে সদিয়া চাঁদপুর ইউনিয়নের বোয়ালকান্দি ও দক্ষিণে বাঘুটিয়া ইউনিয়নের পাথরাইল পর্যন্ত প্রায় ২৯ কিলোমিটার এলাকায় ডিমওয়ালা মা ইলিশ শিকারে এক শ্রেণির অসাধু জেলে তৎপর হয়। তবে এ বছর প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরের ২৬ অভিযানে ২০টি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়।

অভিযান পরিচালনা করেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আনিসুর রহমান. উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মাহিদ আল হাসান, উপজেলা মৎস্য অফিসার মোঃ মনোয়ার হোসেন, চৌহালী থানা পুলিশ ও আনসার বাহিনীর সদস্যরা।

এতে গত ২২ দিনে ২৪ জনকে ১৫ দিন, ৩২ জনকে ১০ দিন এবং ৯৮ জনকে সাত দিন করে কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় প্রায় ২৩ লাখ ৭৩ হাজার টাকা মূল্যের ২ লাখ ৩২ হাজার ৮০৩ মিটার কারেন্ট জাল জব্দ করে পুড়িয়ে ফেলা হয়।

এ ছাড়া জব্দ করা ১৩৫.৫০ কেজি মা ইলিশ বিভিন্ন এতিমখানা ও দুস্থদের মধ্যে বিতরণ করা হয়।

উল্লেখ্য, ২৫ অক্টোবর সোমবার মধ্যরাত থেকে অভিযান শেষ হয়েছে। মঙ্গল (২৬ অক্টোবর) সকালে আবারো যমুনায় জেলেদেরকে মা ইলিশ ধরতে দেখা গেছে।

প্রকাশ : অক্টোবর ১৮, ২০২১ ৩:৩৮ অপরাহ্ন
ঝড়ে পদ্মায় নৌকাডুবি, জেলে নিখোঁজ
মৎস্য

রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার পদ্মা নদীতে ঝড়ের কবলে পড়ে নৌকাডুবির ঘটনায় নিখোঁজ রয়েছেন এক জেলে।

রোববার দিনগত রাতে উপজেলার চর বয়ারমারী এলাকার পদ্মা নদীতে এ ঘটনা ঘটে।নিখোঁজ জেলের নাম কামাল হোসেন (২২)। তিনি চর আষাড়িয়াদহ ইউনিয়নের দিয়াড় মানিকচক গ্রামের আব্দুর রশিদের ছেলে।

চরআষাড়িয়াদহ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোহা. সানাউল্লাহ জানান, রোববার দিনগত রাতে কামাল হোসেনসহ তিন জেলে মাছ ধরতে পদ্মায় নৌকা ভাসায়। কিন্তু প্রবল ঝড়ের কবলে পড়ে নৌকাখানী ডুবে যায়। এ সময় দুই জেলে সাঁতরে কূলে উঠতে পারলেও কামালের খোঁজ মেলেনি।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রোববার সন্ধ্যায় জেলে কামাল হোসেনসহ আরও দুজন পদ্মা নদীতে মাছ ধরার উদ্দেশ্যে বের হয়। রাত পৌনে ৮টার দিকে হঠাৎ ঝড়ো হাওয়া শুরু হলে চরবয়ালমারী এলাকায় মাছধরা নৌকাসহ তিনজন ডুবে যায়। এতে দুজন সাঁতরে ঘাটে উঠলেও কামাল নিখোঁজ হন।

স্থানীয়দের ধারণা, কামাল নদীতে ডুবে গেছে। তার খোঁজ চলছে।

গোদাগাড়ীর ওসি কামরুল ইসলাম বলেন, কামাল হোসেন নামে এক জেলে নিখোঁজের খবর পেয়েছি। স্থানীয়রা নদীতে কামাল হোসেনের খোঁজ করছেন।

প্রকাশ : অক্টোবর ১৩, ২০২১ ৪:২৯ অপরাহ্ন
জেলেদের মাঝে চাল বিতরণ
মৎস্য

জেলার তজুমদ্দিন উপজেলায় আজ জেলেদের মাঝে ভিজিএফ’র চাল বিতরণ করা হয়েছে। চলতি অর্থবছরে ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে ইলিশ শিকার থেকে বিরত থাকা ৫ নং শম্ভুপর ইউনিয়নের ১৭’শ ৬৫ জন জেলের মাঝে চাল তুলে দেন স্থানীয় সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন।

বুধবার বেলা ১১ টায় শম্ভুপুর ইউনিয়নের আয়োজনে ৩ নং ওয়ার্ড এলাকার পঞ্চপল্লী মাধ্যমিক ব্যিালয় মাঠে সরকারি এ চাল প্রদান করা হয়।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মরিয়ম বেগমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ফজলুল হক দেওয়ান, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আমির হোসেন, স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রাসেল মিয়া, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রফেসর সাইদুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক কামাল উদ্দিন প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।

এমপি শাওন বলেন, সরকারের সঠিক কর্ম পরিকল্পনা ও রক্ষণাবেক্ষণে দেশে ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে। ইলিশের প্রধান প্রজনন সময় নির্বিঘœ ও মাছ ধরা থেকে জেলেদের বিরত রাখতে সরকার এ মানবিক খাদ্য সহায়তা দিচ্ছে। তাই আমাদের জাতীয় সম্পদ ইলিশ মাছ রক্ষায় সকলকে এেিগয়ে আসার জন্য আহবান জানান তিনি।

পরে এমপি শাওন লালমোহন উপজেলায় আন্তর্যাতিক দুর্যোগ প্রমশন দিবস-২০২১ ও সিপিপির ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন উপলক্ষে র‌্যালী, আলোচনাসভায় যোগ দেন। এছাড়াও তিনি লালমোহন উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের বাস্তবায়নে জাতীয় ইদুঁর নিধন অভিযান-২০২১ এর অনুষ্ঠানমালায় অংশ্রগ্রহণ করেন।

প্রকাশ : অক্টোবর ১০, ২০২১ ৭:০৯ পূর্বাহ্ন
ইলিশ শিকার করায় ৩২ জেলের শাস্তি
মৎস্য

ইলিশ সংরক্ষণ অভিযানে পদ্মায় ইলিশ নিধনের অপরাধে মাদারীপুরের শিবচরে ৩২ জন জেলেকে ১ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমান আদালত।

শনিবার (৯ অক্টোবর) সন্ধ্যায় আটককৃতদের সাজা প্রদান করা হয়। এসময় ইলিশ মাছ ক্রয়ের অপরাধে ৩ নারী ক্রেতাকে আর্থিক জরিমানা করা হয়েছে। শুক্রবার দিবাগত রাত থেকে শনিবার দুপুর পর্যন্ত পদ্মা নদীর শিবচর অংশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয় তাদের।

ভ্রাম্যমান আদালত সূত্রে জানা যায়, ইলিশ সংরক্ষণ অভিযানের অংশ হিসেবে পদ্মা নদীর বিভিন্ন স্থানে শুক্রবার গভীর রাত থেকে শনিবার দুপুর পর্যন্ত অভিযান চালায় মৎস বিভাগ ও পুলিশের একটি টিম। এসময় পদ্মা নদীতে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ শিকার করায় ৩২ জেলেকে নদী থেকে আটক করে পুলিশ।

পরে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে তাদের ১ বছর করে সাজা প্রদান করা হয়। এসময় ইলিশ মাছ ক্রয় করার অপরাধে ৩ নারী ক্রেতাকে আটক করে মোট ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অভিযানকালে জব্দকৃত প্রায় ৩০ হাজার মিটার জাল আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংশ করা হয় ও ২০ কেজি ইলিশ বিভিন্ন এতিমখানায় বিতরণ করা হয়।

ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভূমি) এম রকিবুল হাসান বলেন, মা ইলিশ রক্ষায় পদ্মার বিভিন্ন পয়েন্টে প্রতিনিয়ত আমাদের অভিযান চলছে। ইলিশ মাছ নিধনের অপরাধে ৩২ জেলেকে এক বছর করে জেল দেয়া হয়েছে। মাছ ক্রয়কালে ৩ নারী ক্রেতাকে আর্থিক জরিমানা করা হয়েছে। আমাদের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop