৯:১৬ পূর্বাহ্ন

বৃহস্পতিবার, ৯ মে , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : সেপ্টেম্বর ৭, ২০২২ ১১:৪৫ পূর্বাহ্ন
হত্যার জেরে পুকুরে বিষ,খামারে আগুন!
পোলট্রি

ছাগলে ক্ষেত খাওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে পাবনার সুজানগরে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ ও গুলিতে একজন নিহতের ঘটনায় বিক্ষুদ্ধরা প্রতিপক্ষের মাছের পুকুরে বিষ প্রয়োগ, পোল্ট্রি ফার্মে ও গরুর খামারে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। এতে প্রায় অর্ধকোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে অভিযোগ।

জানা যায়, গত রোববার (৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে উপজেলার ভায়না ইউনিয়নের চরবিশ্বনাথপুর গ্রামে পূর্ববিরোধ ও ছাগলে ক্ষেতের ফসল খাওয়াকে কেন্দ্র করে আক্কাস আলী বিশ্বাস গোষ্ঠীর সঙ্গে মোকাই শেখ গোষ্ঠীর মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়। বিষয়টি উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে রূপ নেয়। এ সময় মোয়াজ্জেম হোসেন শেখের ছেলে এরশাদ শেখ (৩২) গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়।

এ ঘটনায় সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নিহতের বাবা বাদী হয়ে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ এ ঘটনায় উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আজম আলী বিশ্বাসসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে।

এ সময় একটি লাইসেন্সকৃত দোনালা বন্দুক ও ৪৯টি কার্তুজ জব্দ করে পুলিশ।

সুজানগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল হানান জানান, ঘটনার দিন পোল্ট্রি ফার্ম ও গরুর খামারে আগুন ধরিয়ে দিয়েছিল। পরেরদিন পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে বিষ প্রতিরোধক ওষুধ প্রয়োগ করে মাছ রক্ষার চেষ্টা করা হয়েছে।

তিনি বলেন, এ ঘটনায় কেউ অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত পদক্ষেপ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

প্রকাশ : সেপ্টেম্বর ৫, ২০২২ ৯:১৬ পূর্বাহ্ন
রাণীনগরে বিধবার পুকুরে দুর্বৃত্তের বিষে লক্ষাধিক টাকার মাছ নিধন
মৎস্য

নওগাঁর রাণীনগরে এক বিধবার লিজকৃত পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে লক্ষাধিক টাকার মাছ নিধন করেছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় রোববার দুপুরে রাণীনগর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

শনিবার রাতে উপজেলার সরিয়া পশ্চিমপাড়া গ্রামে বিধবা রোকেয়া বেওয়ার পুকুরে এ ঘটনাটি ঘটে।

বিধবা রোকেয়া বেওয়া জানান, বাড়ির পাশে একটি পুকুর টাকা দিয়ে লিজ নিয়ে প্রায় দেড় বছর ধরে মাছ চাষ করে আসছি। পুকুরে গুলশা, পোনা, দেশীয় মাগুর ও রুই মৃগেল, কাতলা মাছ ছিল।

শনিবার রাতে কোনো এক সময় কে বা কাহারা আমার লিজকৃত পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে। রোববার সকালে পুকুরে খাবার দিতে গিয়ে দেখি পুকুরের সব মাছ মরে ভেসে উঠেছে। এতে করে পুকুরে থাকা লক্ষাধিক টাকার মাছ নিধন করেছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় আমি বাদি হয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি বলে জানান ওই বিধবা নারী।

তিনি আরও জানান, এর আগেও প্রায় ১ মাস আগে কে বা কাহারা ওই পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার টাকার মাছ মেরে ফেলেছিল। তার দাবি, গ্রামের কয়েকজনের সঙ্গে জমি নিয়ে বিরোধ চলছে। হয়তো প্রতিপক্ষরাই বার বার পুকুরে বিষ দিয়ে মাছ নিধন করেছে। এ ঘটনার সুষ্ট বিচারের দাবি জানিয়েছেন তিনি।

এ ব্যাপারে রাণীনগর থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ বলেন, পুকুরের মাছ নিধনের ঘটনায় এক বিধবা থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

প্রকাশ : অগাস্ট ৯, ২০২২ ২:৩০ অপরাহ্ন
জেনে নিন পুকুরে মাছ মারা যাওয়ার আগে ভেসে ওঠার কারণ
মৎস্য

মাছ চাষ করে দ্রুত আয় করা যায়। তবে এটি চাষ করতে বেশ কিছু সমস্যায় পড়তে হয় মাছ চাষিদের। যেমন, অনেক সময় পুকুরে মাছ ভেসে ওঠে। মাছ মারা যাওয়ার আগে মাছ পুকুরে ভেসে ওঠার মতো কিছু লক্ষণ প্রকাশ পায়।

পুকুরে মাছ ভাসার বেশ কয়েকটি কারণ আছে। এসব কারণগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে অক্সিজেন স্বল্পতা। মাছ অক্সিজেন গ্রহণ করে পানির ভেতর থেকে। আবার পুকুরের অন্যান্য অণুজীব ছাড়াও ফাইটোপ্লাঙ্কটন, জুপ্লাঙ্কটন অক্সিজেন গ্রহণ করে থাকে। এসবের পরিমাণ বেড়ে গেলে পুকুরে অক্সিজেনের ঘাটতি হয়।

মাছ পানির উপর স্তরে এসে খাবি খায় তখন সহজেই বোঝা যায় দ্রবীভূত অক্সিজেনের পরিমাণ কমে গেছে। এসময় অ্যারেটর যন্ত্র ব্যবহার করলে এবং হররা টানলে উপকার পাওয়া যায়। বেশি সমস্যা হলে অক্সিজেন পাউডার অথবা অক্সিজেন ট্যাবলেট ব্যবহার করতে হবে।

খাবার বেশি দিলে এবং খাবার হজমে সমস্যা হলে মাছ ভেসে উঠে। আবহাওয়ার পরিস্থিতি বুঝে খাবার দিতে হবে। পারতপক্ষে ভাসমান খাবার দিতে হবে। তাই বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নিতে হবে, জানতে হবে মাছ ভাসার কারণ কি, প্রতিকার কি হতে পারে এবং কি পরিচর্চা নিলে অক্সিজেনের কমতি হবে না ।

এই সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পেতে হলে মাছের ঘনত্ব কমাতে হবে। পরিমিত জায়গার চাইতে বেশি পরিমাণ মাছ পুকুরে রাখলে মাছের অক্সিজেন ঘাটতি হয় এবং মাছ ভেসে ওঠে। সেই সঙ্গে মাছ মারা যায়।

মাছের খাবার হিসেবে ডুবন্ত খাবার ব্যবহার না করাই ভালো। ভাসমান খাবার ব্যবহার করলে মাছ কতটুকু খায় সে বিষয়ে জানা যায়। এক্ষেত্রে ভাসমান খাবার দিতে হবে। ফলে অতিরিক্ত খাবার পুকুরের তলায় পঁচে কোনো সমস্যা হওয়ার ভয় থাকে না।

বাড়িতে বা পুকুরের স্টোর রুমে অক্সিজেন ট্যাবলেট বা পাউডার রাখা দরকার। মাছ ভাসলে কিংবা অক্সিজেনের পরিমাণ খুবই কম মনে হলে সঙ্গে সঙ্গে পদক্ষেপ নিতে হবে। মাছ সকালবেলা ভাসলে চুন দিয়ে দিতে হবে। যদি দুপুরে ভাসে তাহলে লবণ দিয়ে দিতে হবে। শতক প্রতি ২০০ গ্রাম কিংবা পরিমাণ অনুযায়ী।

প্রকাশ : জুলাই ১৭, ২০২২ ৭:৪২ পূর্বাহ্ন
মনোহরদীতে বিষ ঢেলে মাছ নিধন
মৎস্য

নরসিংদীর মনোহরদীতে বিষ ঢেলে পুকুরের মাছ মেরে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা। এতে প্রায় ছয় লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেন মৎস্য চাষি মোক্তার হোসেন।

শুক্রবার রাতে কাচিকাটা ইউনিয়নের উত্তর কাচিকাটা গ্রামে পুকুরে বিষ ঢালার এ ঘটনা ঘটে।

ক্ষতিগ্রস্ত মৎস্য চাষি মোক্তার হোসেন জানান, বাড়ির পাশে দেড় বিঘা জমির একটি পুকুর লিজ নিয়ে তিনি মাছ চাষ করে আসছেন। পুকুরে আট মাস আগে বিভিন্ন জাতের মাছের পোনা ছাড়েন।

এ বিষয়ে মনোহরদী থানার ওসি ফরিদ উদ্দিন জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। ক্ষতিগ্রস্ত মৎস্যচাষি লিখিত অভিযোগ দিলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

প্রকাশ : জুলাই ১৪, ২০২২ ৯:২৯ পূর্বাহ্ন
হাওরে মাছ ধরতে গিয়ে মাদ্রাসা শিক্ষকের মৃত্যু
মৎস্য

সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে হাওরে মাছ ধরার সময় ঝড়ো বাতাসে নৌকা ডুবিতে মুফতি বদরুল আলম (৪৫) নামের এক মাদ্রাসা শিক্ষকের মৃত্যু হয়েছে। তিনি পাটলি মাদ্রাসার শিক্ষক ছিলেন।

নিহতের চাচাতো ভাই তাজ উদ্দিন জানান, বুধবার রাতে মুফতি বদরুল আলম ও তার চাচাতো ভাই মুফতি রশিদ আহমদ জগন্নাথপুর উপজেলার পাটলি ইউনিয়নের চানপুরচক গ্রামের বিলেরচক হাওরে মাছ ধরতে যান। রাত সাড়ে ৮ টার দিকে প্রচণ্ড ঝড়ো বাতাসে তাদের নৌকাটি ডুবে যায়।

এ সময় মুফতি রশিদ আহমদ সাতার কেটে তীরে ওঠতে পারলেও হাওরের পানিতে ওই মাদ্রাসা শিক্ষক ডুবে মারা যান। পরে এলাকাবাসী তার মরদেহ উদ্ধার করে বাড়ি নিয়ে আসেন।

সুনামগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক নিউটন দাশ জানান, হাওরে মাছ ধরতে গিয়ে নৌকা ডুবিতে তার মৃত্যু হয়। এলাকাবাসী ও স্বজনরা রাতে হাওর থেকে মরদেহ উদ্ধার করে বাড়ি নিয়ে আসেন।

প্রকাশ : জুন ২২, ২০২২ ২:১০ অপরাহ্ন
নদীতে নয়, পুকুরেই ধরা পড়ল ইলিশ!
মৎস্য

নদীতে নয়, এবার পুকুরে জেলেদের জালে ধরা পড়েছে ইলিশ মাছ। বেতাগী উপজেলার মোকামিয়া ইউনিয়নের ছোট মোকামিয়া গ্রামের একটি পুকুরে সাতটি ইলিশ মাছ পাওয়ায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। প্রতিটি ইলিশের গড় ওজন ৪০০ থেকে ৫০০ গ্রাম।

জানা যায়, বরগুনা জেলার বেতাগী উপজেলার স্থানীয় সাবেক নারী ইউপি সদস্য রিজিয়া বেগমের পুকুরে সোমবার বেলা ১১টায় জেলেরা মাছ ধরতে নামলে তাদের জালে একেক করে ৭টি তাজা ইলিশ মাছ ধরা পড়ে। এ খবর চারদিকে ছড়িয়ে পড়লে তাজা ইলিশ দেখতে স্থানীয়রা ভিড় জমান।

রিজিয়ার ছেলে মঈনুল ইসলাম বলেন, পুকুরে ইলিশ পাওয়ায় আমরা আনন্দিত। এর আগে আমরা কখনো পুকুরে ইলিশ মাছ দেখিনি। তবে বিষয়টি অবাক করার মতো। পুকুরে কীভাবে ইলিশ এলো তা আমাদের জানা নেই। আমরা কেউ ইলিশ মাছ পুকুরে চাষ করিনি।

স্থানীয় প্রবীণ জেলে আবদুর রব সিকদার বলেন, নদীর সঙ্গে ওই পুকুরের কোনো সংযোগ নেই। তারপরও ইলিশ পাওয়া গেল। হয়ত বৃষ্টির সঙ্গে নদীর পানিতে থাকা ইলিশের রেণু কোনো না কোনোভাবে পুকুরে প্রবেশ করেছে।

বেতাগী উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আবদুল গফফার বলেন, পুকুরে ইলিশ হয় বিষয়টি এমন নয়। জোয়ারের পানি পুকুরে প্রবেশ করলে তখন নোনা পানির সঙ্গে ইলিশও প্রবেশ করতে পারে। তবে এখন দেশে পুকুরে ইলিশ চাষ নিয়ে গবেষণা চলছে।

প্রকাশ : জুন ১২, ২০২২ ৩:১২ অপরাহ্ন
গুরুদাসপুরে পুকুরে বিষাক্ত ট্যাবলেট,১২ লাখ টাকার মাছ নিধন
পাঁচমিশালি

নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের বৃগড়িলা গ্রামে মো. মনতাজ আলীর পুকুরে রাতের আঁধারে বিষাক্ত গ্যাস ট্যাবলেট দিয়ে প্রায় ১২ লাখ টাকার মাছ নিধন করেছে দুর্বৃত্তরা।

শনিবার ভোররাতে ওই গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।

ক্ষতিগ্রস্ত মাছ ব্যবসায়ী মো. মনতাজ আলী উপজেলার মহারাজপুর গ্রামের আজিম উদ্দিনের ছেলে। তিনি গত ৫ বছরের বেশি সময় ধরে পুকুরে মাছ চাষ করে মাছের ব্যবসা করেন।

মনতাজ আলী বলেন, বৃগড়িলা গ্রামের আব্দুর রশিদের কাছ থেকে সাড়ে ৪ বিঘা জমি লিজ নিয়ে মাছ চাষ শুরু করেন। মাছগুলো বেশ বড় হয়েছিল। বিক্রির জন্য কথাবার্তা হচ্ছিল। শনিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে পুকুরে এসে দেখি সব মাছ মরে পানির ওপরে ভেসে আছে। পুকুর পাড়ে ও পুকুরে বিষের ট্যাবলেট পেপার পাওয়া যায়। এ অবস্থায় এলাকার লোকজন ছুটে এসে জাল দিয়ে পুকুর থেকে কিছু মাছ তুলে বাজারে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। দুর্বৃত্তরা পুকুরে বিষাক্ত ট্যাবলেট দিয়ে সব মিলিয়ে প্রায় ১২ লক্ষাধিক টাকার মাছ নিধন করে আমাকে নিঃস্ব করেছে। তিনি এ বিষয়ে আইনের আশ্রয় নিবেন বলেও জানান।

গুরুদাসপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আব্দুল মতিন বলেন, বিষয়টি শুনে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 

প্রকাশ : মে ৭, ২০২২ ২:১৪ অপরাহ্ন
সাতক্ষীরায় পুকুরে মিললো ৮ কেজি ওজনের চিতল
মৎস্য

সাতক্ষীরার তালা সদরের শিবপুরে পুকুরে পাওয়া গেছে ৮ কেজি ওজনের একটি চিতল মাছ। শুক্রবার (৬ মে) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তালা ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান নজরুল ইসলামের পুকুরে এই মাছটি ধরা পড়ে। 

গ্রামের আনার সরদার জানান, এই পুকুরটিতে এই অঞ্চলের মানুষ গোসল করেন। গত এক মাস ধরে পুকুরে গোসলে নামলেই তাকে কামড়াচ্ছিলো মাছটি। মাছটি কামড়ে অনেকের পায়ের মাংস তুলে নিয়েছিলো। ভয় পেয়ে অনেকেই ওই পুকুরে গোসল করা বন্ধ করেছিলো। তবে পরবর্তীতে একজনের পায়ে মাছটি কামড় দিলে তখন তার হাতে মাছের মত কিছু অনুভব হয়।

তিনি আরও বলেন, পরে মাছ কামড়াচ্ছে বলে চারিদিকে জানাজানি হয়ে যায়। এলাকার শিশুরা ভয়ে পুকুরে নামতে পারছিলো না।

স্থানীয় বৈশাখী আক্তার জানান, আমি গোসলের সময় পায়ে কামড়ে ধরে মাংস তুলে নেয়। দাঁত বসানো সেই ক্ষত এখনো রয়েছে।

পুকুরের মালিক নজরুল ইসলাম বলেন, মাছটির জন্য এলাকার মানুষ আতংকে ছিল। অবশেষে আজ পুকুরে জাল ফেলে ৮ কেজি ওজনের চিতল মাছটি ধরা পড়ে। তবে এটি বিক্রি করবো না, বাড়িতে রান্না হবে।’

প্রকাশ : এপ্রিল ৩, ২০২২ ১:৫৮ অপরাহ্ন
ছোট জলাশয়ে কৈ মাছ চাষ করবেন যেভাবে
মৎস্য

বর্তমানে বাজারে কৈ মাছের রয়েছে ব্যাপক চাহিদা। এছাড়াও অনেক উদ্যোক্তা কৈ মাছের বাণিজ্যিক চাষাবাদ শুরু করেছেন। এই মাছ ছোট কোন জলাশয়েও ব্যাপক চাষ করা যায়। জেনে নিন ছোট জলাশয়ে কৈ মাছের চাষ পদ্ধতি।

কই মাছ চাষের পুকুর নির্বাচন:
কৈ মাছ যেকোন ভাবেই চাষ করা যায় । এটি সাধারণত খাল এবং বিলে পাওয়া যায়।
খ) তবে বর্তমানে আমাদের দেশে এই মাছকে পুকুর কিংবা ছোটখাট জলাশয়ে চাষ করা হচ্ছে। কৈ মাছ চাষ করার জন্য আপনাকে প্রথমে উপযুক্ত পুকুর নির্বাচন করতে হবে।
খেয়াল রাখতে হবে পুকুরের পাড় যেন সর্বদা মজবুত ও বন্যামুক্ত থাকে। এছাড়াও পুকুরে পর্যাপ্ত সূর্যের আলো পড়ে ও পুকুরটি যেন জলজ আগাছামুক্ত থাকে সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে।

কৈ মাছ চাষ করার সঠিক সময়/মৌসুম:
বাড়িতে কৈ মাছ চাষ করার জন্য আপনি বছরের যেকোন সময় নির্বাচন করতে পারেন। তবে খেয়াল রাখবেন কৈ মাছ বছরে একবার প্রজনন করে। প্রজনন কাল মে থেকে সেপ্টেম্বর মাস। এই সময়ে কৈ মাছের চাষ করা উত্তম। যে পুকুরে কিংবা যেকোন ধরণের ছোটখাট জলাশয়ে কৈ মাছের পোনা ছাড়ার ক্ষেত্রে আপনাকে সকাল অথবা সন্ধ্যা এই দুই সময়ের যেকোন একটি নির্বাচন করতে হবে। কারণ এসময় তাপমাত্রা সহনীয় অবস্থায় থাকে । তা না হলে মাছ মরে যেতে পারে।

যেভাবে কই মাছের পোনার যত্ন নিতে হবে:
কই মাছ যেহেতু মিঠা পানির মাছ সেহেতু এই মাছ চাষ করার আগে পোনা সংগ্রহ করতে হবে।্মাছ সংগ্রহের জন্য বিভিন্ন হ্যাচারীতে যোগাযোগ করতে পারেন আজকাল বাণিজ্যিকভাবে অনেক হ্যাচারি মাছের পোনা উৎপাদন করে থাকে।এখন বর্তমানে কৈ মাছের পোনা পলিব্যাগে কিনতে পাওয়া যায় । আপনি সেখান থেকেও পোনা আহরন করতে পারেন ।
তবে পোনা ছাড়ার পর আপনাকে পোনার সঠিক নিয়মে যত্ন নিতে হবে ।

সঠিক নিয়মে কৈ মাছের চাষাবাদ পদ্ধতি/কৌশল:
পুকুরে কৈ মাছ চাষ করার জন্য আপনাকে সঠিক নিয়ম অবলম্বন করতে হবে । পুকুরে পোনা ছাড়ার ক্ষেত্রে প্রথমে অক্সিজেন ব্যাগে পরিবহন কৃত পোনা ব্যাগ সহ পানিতে ভাসিয়ে রাখতে হবে । এরপর পরিবহনকৃত ব্যাগের পানি ও পুকুরের পানির তাপমাত্রা একই মাত্রায় আনতে হবে । তারপর ব্যাগের মুখ খুলে পুকুরের পানি অল্প অল্প করে ব্যাগে দিতে হবে এবং ব্যাগের পানি অল্প অল্প করে পুকুরে ফেলতে হবে । ৪০-৫০ মিনিট সময় ধরে এরূপভাবে পোনাকে পুকুরের পানির সঙ্গে খাপ খাওয়াতে হবে ।

কৈ মাছের খাবারের পরিমাণ ও সঠিক নিয়মে খাবার প্রয়োগ:
কৈ মাছ চাষ করা অত্ত্যন্ত সহজ কেননা এই মাছ চাষ করতে বেশি পরিমাণে খাবারের প্রয়োজন পড়েনা।ভাল ফলন পেতে চাইলে বিভিন্ন ধরনের খাদ্য দিতে হবে সেটা হতে পারে খৈল, ফিশমিল সহ অন্যান্য খাদ্য।এতে মাছের ভাল ফলন পাওয়া যায় ।

কৈ রোগ বালাই ও তাঁর প্রতিকার:
কৈ মাছের মূলত তেমন কোন রোগ বালাই হয় না। তবে মাঝে মধ্যে মাছের গায়ে সাদা ফুসকুড়ি দেখা যায়।এটা দেখা গেলে সাথে সাথে পানিতে উপযুক্ত ওষুধ প্রয়োগ করতে হবে। তবে শীত মৌসুমে থাই কৈ মাছ ক্ষত রোগে আক্রান্ত হতে পারে।তাই শীত আসার পূর্বেই পুকুরে যথাসময়ে চুন প্রয়োগের পাশাপাশি পুকুরের পানি ও মাছের স্বাস্থ্য সতর্কতার সাথে পর্যবেক্ষণ করা উচিত।

কৈ মাছ চাষে সার প্রয়োগ:
কৈ মাছ চাষ করার জন্য আপনাকে পুকুরে বা জলাশয়ে সঠিক নিয়মে সার প্রয়োগ করতে হবে । মাঝেমধ্যে ইউরিয়া এবং অন্যান্য সার প্রয়োগ করতে হবে ।এতে পানির গুণাগুণ বজায় থাকে এবং মাছের কোন ক্ষতি হয় না। বরং এতে মাছের বৃদ্ধি অনেক ভাল হয় ।

কৈ মাছ চাষে রাক্ষুসে মাছ দূরীকরণ:
বাড়িতে পুকুর কিংবা যেকোন ধরণের ছোটখাট জলাশয়ে কৈ মাছ চাষ করার জন্য আপনাকে প্রথমে পুকুরের রাক্ষুসী মাছ দূর করতে হবে ।যেমন শোল, টাকি, গজার, বোয়াল, ইত্যাদি হল রাক্ষুসে মাছ । এই মাছ কৈ মাছের পোনা খেয়ে ফেলে ।
যার ফলে মাছের ভাল ফলন পাওয়া যায় না । তাই সর্বপ্রথম রাসায়নিক সারের মাধ্যেমে এই সকল মাছ দূরীভূত করতে হবে ।
রাক্ষুসে মাছ নিধন করার জন্য সবথেকে ভাল পদ্ধতি হল পুকুর একেবারে শুকিয়ে ফেলা।

কিভাবে কৈ মাছের যত্ন নিবেন:
বাড়িতে কই মাছ চাষ করার জন্য সব সময় মাছের খাদ্য ও পুকুরেরে পানির গুণাগুণ বজায় রাখার দিকে মনযোগ দিতে হবে।
পুকুরের পানি যাতে রোদে গরম হয়ে না যায় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। পুকুরের পানি বেশি গরম হলে মাছ মারা যেতে পারে।
তাই কৈ মাছ যেন পুকুর থেকে উঠে যেতে না পারে সে জন্য বাঁশের তৈরী বেড়া বা নাইলনের নেট দিয়ে পুকুরের চার দিকে বেড়া দিতে হবে ।

ছাড়াও যদি পানির কোন সমস্যা হয় তাহলে পানি পরিবর্তনের ব্যবস্থা করতে হবে। তা না হলে পানিতে প্রয়োজনীয় সার প্রয়োগ করে পানির সঠিক মান ফিরিয়ে আনতে হবে।এছাড়াও পুকুরের বা জলাশয়ের তলদেশ সবসময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্নন রাখতে হবে। মাছের যত্ন নিতে হবে।
পুকুরে অতিরিক্ত কাদা থাকলে তা উঠিয়ে ফেলতে হবে কারণ অতিরিক্ত কাদা পুকুরে গ্যাস সৃষ্টি করে।

কৈ মাছের খাদ্য গুণাগুণ:
কৈ মাছের মধ্যে অনেক ধরনের খাদ্য গুনাগুন রয়েছে। এই মাছটি খেতে অনেক সুস্বাদু।
পুষ্টির দিক দিয়ে এই মাছে প্রচুর ভিটামিন রয়েছে।

কখন কৈ মাছ সংগ্রহ করবেন:বাড়িতে পুকুরে কিংবা যেকোন ধরণের ছোটখাট জলাশয়ে কৈ মাছের চাষ করার পর তা বেশ তাড়াতাড়ি বেড়ে ওঠে।
কৈ মাছ সঠিক অনুপাতে বড় হলে আপনি কৈ মাছ সংগ্রহ করতে পারেন।

কি পরিমাণে কৈ মাছ পাবেন:
বাড়িতে পুকুর কিংবা যেকোন ধরণের ছোটখাট জলাশয়ে সঠিক নিয়মে কৈ মাছ চাষ করলে সেখান থেকে আপনি প্রচুর পরিমাণে কৈ মাছ পেতে পারেন। যা আপনার পারিবারিক চাহিদা মিটিয়ে আপনি ইচ্ছা করলে এই মাছ বাজারে বিক্রিও করতে পারেন।

প্রকাশ : এপ্রিল ২, ২০২২ ১১:৩২ পূর্বাহ্ন
পুকুরে “মলা মাছ” চাষের পদ্ধতি
মৎস্য

আমাদের দেশের খাল-বিল কমে যাওয়ায় প্রাকৃতিকভাবে এখন মলা মাছ তেমন একটা পাওয়া যায় না। কৃত্রিম প্রজনন পদ্ধতি আবিষ্কার হওয়ার ফলে মলা মাছ এখন বড় পরিসরে চাষাবাদ শুরু হওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। এই মাছ স্বাদে যেমন অনন্য ঠিক,পুষ্টিতেও ভরপুর।

মলা মাছের একক চাষ পদ্ধতি:
মলা মাছের পোনা পরিবহন করা একটা জটিল পদ্ধতি এবং রেনু পরিবহন করা অত্যন্ত সহজ তাই রেনু নিয়ে নিজে পোনা তৈরি করে চাষাবাদ করাই উত্তম। এতে খরচ ও ঝুঁকি দুটোই কম। যারা অল্প খরচে মলা মাছ চাষ করতে চান তারা নিচের পদ্ধতি ভালোভাবে জেনে নিন।

মাছ ছাড়ার আগে পুকুর প্রস্তুতকরণ
প্রথম দিন হতে ৭ থেকে ৮ দিন পর রেনু ছাড়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করে প্রথমে পুকুরে বিষটোপ ব্যবহার করে সব রাক্ষুসে মাছ মেরে ফেলতে হবে। তারপর পুকুরের সব পানি সেচ দিয়ে ফেলে দিতে হবে। যদি পুকুর আকৃতিতে বড় হয় তাহলে সব পানি অপসারণ করা কষ্টসাধ্য ব্যাপার হয়ে দাঁড়াতে পারে। এক্ষেত্রে অর্ধেক পানি ফেলে দিয়ে পরিস্কার পানি দিয়ে ভরে দিতে হবে। যদি কোনো পানি পরিবর্তন করার সুযোগ না থাকে তাহলেও চলবে, সেক্ষেত্রে চুনের পরিমাণ বাড়িয়ে দিতে হবে। বিষটোপ প্রয়োগের দ্বিতীয় দিন শতাংশ প্রতি আধা কেজি চুন পানিতে গুলে ছিটিয়ে দিতে হবে। সূত্র:জাগো নিউজ

যদি পুকুর বেশি পুরাতন হয় এবং পানি পরিবর্তন করার সুযোগ না থাকে সেক্ষেত্রে শতাংশ প্রতি ১ কেজি পরিমাণ চুন দেয়া ভালো। বিষটোপ প্রয়োগের ষষ্ঠ দিনে হাসপোকা মারার জন্য সুমিথিয়ন ব্যবহার করতে হবে পুকুরে। ০.৩ পিপিএম মাত্রায় সুমিথিয়ন ব্যবহার করতে হবে। অনেকেই হাসপোকার মারার জন্য অন্য ঔষধ ব্যবহারের জন্য পরামর্শ দিয়ে থাকেন। মলা মাছের ক্ষেত্রে সুমিথিয়ন ভালো। সুমিথিয়ন সন্ধ্যা বেলায় প্রয়োগ করতে হবে। এর দুদিন পর পুকুরে রেনু ছাড়তে হবে।

পুকুরে রেনু ছাড়ার পদ্ধতি
প্রথমে পানি ভর্তি রেনুর ব্যাগ পুকুরের পানিতে আধাঘণ্টা ভাসিয়ে রাখতে হবে পুকুরের পানির তাপমাত্রা সামঞ্জস্য হওয়ার জন্য। আধাঘণ্টা পর ব্যাগের মুখ খুলে ব্যাগের পানির ভিতর হাত ঢুকিয়ে এবং পরে পুকুরের পানিতে হাত ঢুকিয়ে ব্যাগ ও পুকুরের পানির তাপমাত্রা একই মনে হবে তখন পুকুরের পানি দিয়ে অল্প অল্প করে ব্যাগে ঢুকিয়ে আবার বের করে এভাবে রেনু ধীরে ধীরে ছাড়তে হবে। এভাবেই রেনু ছাড়ার কাজ শেষ করতে হবে।

রেনুর উপর খাবার প্রয়োগ পদ্ধতি
রেনু ছাড়ার ২ ঘণ্টা পর খাবার দিতে হবে। দিনে দুইবার খাবার দিতে হবে। সকাল ১০টার দিকে এবং বিকাল ৫টার সময়। খাবার হিসেবে প্রথম ২ দিন ডিম ( সাদা অংশসহ) খেতে দিতে হবে। এ জন্য প্রথমে হাঁসের ডিম সিদ্ধ করে ব্লেন্ডার দিয়ে ভালো করে ব্লেন্ড করে পলেস্টার কাপড় দিয়ে ছেঁকে মিহি মতো করে পানির সাথে মিশিয়ে পুকুরে ছিটিয়ে দিতে হবে।

প্রতি ৫ শতাংশে একটি করে ডিম দিতে হবে। তৃতীয়দিন থেকে নার্সারি পাউডার ৩-৬ ঘণ্টা পানিতে ভিজিয়ে রেখে পুকুরে ছিটিয়ে দিতে হবে। প্রতি ১০ শতাংশে ১ কেজি খাবার দিতে হবে দিনে দুইবার ভাগ করে। ১০ দিন পর খাবার প্রতি ১০ শতাংশে ১.৫ কেজি খাবার দিতে হবে। এভাবে চলবে ২০ থেকে ২৫ দিন পর্যন্ত। এরপর খাদ্য প্রয়োগের কৌশল বদলাতে হবে।

পরিবর্তিত খাদ্য প্রয়োগ পদ্ধতি ২৫ দিন পর থেকে এক সপ্তাহের খাবার এক সাথে পুকুরে ভিজিয়ে রেখে খাওয়াতে হবে। যেহেতু মলা মাছ ফাইটোপ্লাংকটন ভোজী তাই একটু ভিন্নভাবে খাবার দেয়া দরকার। ধরা যাক ১ সপ্তাহের জন্য ১০০ কেজি খাবার প্রয়োজন।

এখন আর নার্সারি পাউডারের মতো দামি খাবার খাওয়াবেন না। তাই ১০০ কেজি সরিষার খৈলকে সাতটা বস্তায় সমান ভাগ করে প্রতি বস্তায় ৪ কেজি ইউরিয়া সার খৈলের সাথে মিশিয়ে পানিতে খুঁটিতে বেঁধে রাখলে তিনদিন পর এই খৈলের বস্তা পানিতে ভেসে উঠবে।

তারপর এক এক বস্তার খৈল প্রতিদিন দুই বেলা দিতে হবে। এতে প্লাংকটনের বৃদ্ধির পাশাপাশি মাছের খাবার ভালো মানের হবে। এভাবে সাড়ে তিন মাস থেকে ৪ মাসেই বাজারজাত করা যায় মলা মাছ।

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop