১১:৪৪ পূর্বাহ্ন

রবিবার, ১৭ নভেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : এপ্রিল ১৪, ২০২১ ৪:৫১ পূর্বাহ্ন
পার্বত্য আদিবাসীদের নববর্ষ উদযাপন
পাঁচমিশালি

সুলতান মাহমুদ আরিফ: প্রকৃতি নির্ভর আদিবাসী বলতেই উৎসব প্রিয় এক জনগোষ্ঠীকে বুঝানো হয়। বলা চলে,আদিবাসীরা জন্ম থেকেই বিভিন্ন উৎসবে মেতে থাকে সারা জীবন। এমনকি আদিবাসীরা শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগের পরও মৃত দেহ নিয়ে মেতে উঠে উৎসবে। যার নাম অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া। মধ্যকথা আদিবাসীরা সামাজিক কালচার এবং ধর্মীয় মনোভাব এই দু‘টোর সংমিশ্রণে সারাজীবন উৎসবমুখর থাকে।

বর্তমানে পার্বত্য চট্টগ্রামে ১২টি আদিবাসীদের বসবাস। তাদেরমধ্যে কেউ বৌদ্ধ, হিন্দু, খৃস্টান আবার কেউবা জড়-উপাসক। আর এরা সবাই তাদের নিজ নিজ ধর্ম আর সংস্কৃতির ধারা মোতাবেক তাদের স্ব স্ব উৎসবগুলো পালন করে থাকে।

উপজাতীয় উৎসবগুলো বেশির ভাগ ঋতুর সাথে সম্পর্কিত। ঋতু পরিবর্তনের সাথে সাথে তাদের উৎসবের মহড়া বেজে উঠে। আদিবাসীদের দেহ মনে ঋতু পরিবর্তনে এক আনন্দের বার্তা জেগে উঠে। বিশেষ করে পুরাতন বছরের বিদায় এবং নতুন বছরকে বরণ করে নেয়া যেন তাদের রক্তের সাথে মিশে থাকা এক মহানান্দ। কেবল পার্বত্য আদিবাসী না, পৃথিবীর বহু জাত এবং আদিবাসীরা পুরাতন বছরের বিদায়ের দিনক্ষণ এবং নতুন বছরের শুভ পদার্পনের দিনটিকে বেশ আনন্দময় করে পালন করে থাকে।

বাংলাদেশেও চৈত্র-সংক্রান্তি ও নববর্ষ একটি প্রাচিনতম ঐতিহাসিক ঋতুধর্মী উৎসব। বাংলাদেশে এই নববর্ষ তথা বাংলা নতুন বছরের আগমণে নানা রকম উৎসব হয়ে থাকে।  উৎসবগুলোর মাঝে অন্যতম হলো, হালখাতা, গরুর লড়াই, বলি খেলাসহ নানাবিদ আয়োজনের পাশাপাশি পার্বত্য চট্টগ্রামের আদিবাসীরা এই দিবসকে পালন করে আরো ভিন্ন আঙ্গিকে আর ভিন্ন পরিক্রমায়।

তাদের উলেখযোগ্য কয়েকটা গুরুত্ববহ উৎসব হল:
মারামা আদিবাসীরা পালন করেন‘সাংগ্রাই’, চাকমা এবং তঞ্চঙ্গ্যা উপজাতির রয়েছে ‘বিজু’, ত্রিপুরা ও উসুই আদিবাসীরা পালন করেন ‘বৈসুক’। এছাড়াও ম্রো ও খুমীরা পালন করেন ‘ক্লুবং প্রাং’ উৎসব।

বাংলাদেশের পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্রগুলোতেও এসব উৎসব একইভাবে পালন করে সেই সকল উপজাতীয় জনগোষ্ঠীরা। তবে বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে অহমীয়া বাঙ্গালি আর পার্বত্য চট্টগ্রামের মাঝে যেন এক মিলবন্ধনের দৃশ্যপট অবলোকন করা যায়।

নিম্নে বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রামে পালিত হওয়া উপরে উল্লেখিত ৪টি উৎসব নিয়ে আলোকপাত করা হল।

১.মারামা আদিবাসীদের সাংগ্রাই’ উৎসব
মারমা আদিবাসীদের নববর্ষকে ঘিরে অন্যতম উৎসব হলো “সাংগ্রাই উৎসব”। পুরাতন বছরকে বিদায় আর নতুন বছরকে বরণে তারা এই উৎসব পালন করে থাকে। এই উৎসব তারা প্রধানত ৪ দিনব্যাপী পালন করে থাকে। পুরাতন বছরের শেষ তিনদিন আর নতুন বছরের প্রথম দিন।

আর এই চার দিনকে মারমা‘রা তাদের ভাষায় নামকরণ করছেন, যথাক্রমে: সাংগ্রাই আকিয়ানিহ, সাংগ্রাই আক্রানিহ, সাংগ্রাই আতানিহ এবং লাছাইংতারা।

পুরাতন বছরের শেষের তিন দিনের প্রথম দিনকে মারমা ভাষায় বলা হয় ‘সাংগ্রাই আকানিয়াহ’। এই দিনে মারমা আদিবাসীদের পরিস্কার পরিচ্ছন্ন পোষাক পরে মিছিল করতে করতে তাদের বৌদ্ধমূর্তিকে নদীর ঘাটে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে তারা বৌদ্ধ মূর্তিকে চন্দন পানি অথবা দুধ দিয়ে গোসল করায়। তারপর আবার মূর্তিগুলোকে বাড়ি কিংবা মন্দিরে নিয়ে রাখে।

পুরাতন বছরের শেষ ২দিনকে বলা হয় যথাক্রমে-‘সাংগ্রাই আক্রাইনিহ এবং সাংগ্রাই আতানিহ’। এই দু‘দিনে মারমাদের মাঝে যেন নেমে আসে আনন্দের বন্যা। এই দু‘দিন তাদের পাড়ায় পাড়ায় চলে ‘পানি খেলা’ উৎসব আনন্দ। এই দু‘দিনে তারা একেঅপরকে পানি দিয়ে ভিজানোর মাধ্যমে পুরাতন বছরের সকল ব্যর্থতা আর নতুন বছরকে স্বচ্চতার অবয়বে বরণ করে নিতে চাই। এরপর আসে নতুন বছরের প্রথম দিন ‘লাছাইতারা’। এই দিনকেও তারা খুব আনন্দে গ্রহণ করে নেয়। তবে মারমাদের এই দিনে কোন পানি উৎসব হয় না।

সাংগ্রাই উৎসব যেন মারমাদের মনের মাঝে এক অন্যরকম আনন্দের ঢেউ খেলে যায়। মারমা আদিবাসী মেয়েরা এই ৪দিনের সাংগ্রাই উৎসব শুরুতে আগে বৌদ্ধমন্দিরগুলো পানি দিয়ে ধুয়ে মুছে পরিস্কার করে নেয়। নিজেদের ঘরবাড়িগুলো পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করে রাখে। মারমা আদিবাসী সাংগ্রাই উৎসবে যেভাবে আনন্দ আর সাজ গোঁজ করে, বছরের আর কোন দিনে তাদের এমন সাজ দেখা যায় না।

এই সাংগ্রাই উৎসব কেবল পার্বত্য চট্টগ্রাম না, প্রতিবেশি রাষ্ট্র মায়ানমারসহ ভিবিন্নদেশে পালিত হয়।

২.চাকমা আদিবাসীদের ‘বিঝু’ উৎসব
নববর্ষকে বরণ করে নিতে চাকমারা পালন করে ‘বিঝু’ উৎসব। এই বিঝু উৎসব চলে তিনদিন ধরে বিভিন্ন আনন্দের মধ্য দিয়ে। প্রতি বছর এই সময় চাকমা জনপদে বি-ঝু-বি-ঝু এক ধরণের পাখির কলকাকলির মত আওযাজ স্মরণ করিয়ে দেয় নতুন বছরের আগমনী বার্তা। ঘরে ঘরে সাড়া পড়ে যায় আনন্দের সমারোহ। সবাই মাতোয়ারা থাকে তিনদিন ব্যাপি বিঝু উৎসব পালনে।

চাকমারা পর্যায়ক্রমে তিনদিন এই উৎসব পালন করে থাকে। মারমাদের মত চাকমাদেরও এই তিনদিনের রয়েছে নিজস্ব নাম। চাকমাদের এই উৎসবের প্রথম দিনকে বলা হয় ‘ফুল বিঝু’ আর দ্বিতীয় দিনকে বলা হয় ‘মূল বিঝু’ এবং তৃতীয় দিন অর্থাৎ পহেলা বৈশাখের দিনকে বলা হয় ‘গোজ্যাই পোজ্যা’।

নিম্নে চাকমাদের এই তিনদিন উৎসবের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দেয়া হল-
ফুল বিঝু: চাকমাদের ভাষায় চৈত্রের শেষ দু‘দিনের প্রথম দিনকে বলা হয় ‘ফুল বিঝু’। এই দিনটাকে ফুল বিঝু বলার রহস্য উম্মোচনে কেউ কেউ বলেন, এই দিনে চাকমারা নদীর ঘাটে গিয়া জলদেবী গংগার উদ্দেশ্যে ফুল দিয়ে পূজা করে বিধায় এই দিনকে বলা হয় চাকমাদের ভাষায় ‘ফুল বিঝু’। এই দিনটা চাকমাদের কাছে খুবই পবিত্র একটা দিন। এই দিনে চাকমা যুবক-যুবতীরা নদী থেকে পানি এনে বুড়া-বুড়িদের গোসল করিয়ে তাদের কাছ থেকে আশীর্বাদ নিয়ে থাকে। পবিত্র মন নিয়ে সবাই বৌদ্ধ মন্দিরে গিয়ে রাতে পূজা আর্চনা করে থাকে। রাতে তারা আবার প্রদীপ পূজাও করে থাকে। এছাড়াও আরো বিভিন্ন আনন্দ উৎসবে তারা এই দিনটাকে পালন করে থাকে।

মূল বিঝু: পুরাতন বছরের তথা চৈত্রের শেষ দিনকে চাকমারা বলে ‘মূল বিঝু’। চাকমারা এই দিনে প্রায় পাঁচ পদের তরকারী দিয়ে বানায় পাচন তরকারী উৎসব। এই দিনে চাকমারা বিভিন্ন ধরণের পিঠা তৈরী করে। সকাল থেকেই প্রতিটা ঘরে চলে তাদের ভোজন উৎসব। চাকমাদের এই দিনে কেউ কাউকে নিমন্ত্রণ করে না। সবাই সবার মত করে বাড়ি বাড়ি ঘুরে খাওয়া উৎসবে যোগদান করে আনন্দ করে। এই দিনে তারা মদ পরিবেশন করে থাকে। মেয়েরা তাদরে কোমরে বোনা রাঙা খাদি জড়িয়ে এদিক সেদিক ঘুরে বেড়ায়। বলা চলে অনেক আনন্দ আর উৎসবের মধ্য দিয়ে তারা এই দিনটা তথা পুরাতন বছরকে বিদায় জানায়। এদিন কেবল আনন্দ করা ছাড়া তারা আর কোন কাজ করে না।

গোজ্যাই পোজ্যা দিন: নতুন বছরের প্রথম তথা পহেলা বৈশাখকে চাকমারা বলে গোজ্যাই পোজ্যা দিন। চাকমাদের ভাষায় গোজ্যা পোজ্যা অর্থ গড়াগড়ি করা। অতীতে এই দিনে চাকমারা প্রচুর মদ পান করতো। এই দিনের ধারণা ছিলো এটি বছরের প্রথম দিন, তাই এই দিনে যদি ভালো খাওয়া হয়, বছরের প্রতিটা দিন ভালো খাওয়া হবে। তাই তারা এই দিনে প্রচুর ভোজনের আয়োজন করে। তারপর বিছানায় গড়াগড়ি করে থাকে। এই দিনে তারা হাসি তামাশায় কাটিয়ে দেই। অনেকে আবার বৌদ্ধমন্দিরে গিয়ে এই দিনে ধর্মকর্মে ব্যস্ত থাকে।

৩.ত্রিপুরা আদিবাসীদের ‘বৈইসুক/বৈইসু’ উৎসব
পার্বত্য চট্টগ্রামের ত্রিপুরা আদিবাসী সমাজে পুরাতন বছরকে বিদায় আর নতুন বছরকে স্বাগতম জানানোর উৎসবকে বলা হয় ‘বৈইসুক/বৈইসু’। এই উৎসব তারা তিনদিন পর্যন্ত পালন করে থাকে। এই দিনে তারা হাসি আর আনন্দের পাশাপাশি শিবের আশীর্বাদ কামনা করে থাকে। তাদের ধারাবাহিক তিনদিনকে তাদের ভাষায় বলা হয় ‘হারি বৈইসুক, বিসুমা এবং বিসিকাতল’।

হারি বৈসুক: চৈত্র-সংক্রান্তির পূর্বের দিনকে তারা ‘হারি বৈইসুক’ হিসাবে পালন করে। এই দিনে তারা তাদের সকল গবাদি পশুদের গোসল করায়। আবার অনেকে বিভিন্ন রকমের ফুলের মালা দিয়ে তাদের গবাদি পশুদের সাজিয়ে রাখে। খুব ভোরে নদীর ঘাটে গিয়ে তারা দেবতার উদ্দেশ্যে ফুল দিয়ে আসে এই দিনে।

বিসুমা: চৈত্র-সংক্রান্তির দিনকে ত্রিপুরা আদিবাসীরা ‘বিসুমা’ দিবস হিসাবে পালন করে থাকে। এই দিনে খুব প্রত্যুষে তারা তাদের বাড়ি-ঘর এক ধরণের কচুই পানি দিয়ে পরিশুদ্ধ করে থাকে। প্রত্যেক বাড়িতে বাড়িতে তারা বিভিন্ন ধরণে পিঠা উৎসব করে থাকে। এই দিনে বিশেষ মুখরোচক খাদ্য হল ‘পচন’ (হাঙ্গর মাছের শুটকিসহ পাঁচ পদের তরকারি দিয়ে এই পচন রান্না করা হয়)। তারা এই দিনে ঘরে ঘরে মদও তৈরী করে থাকে। অতিথিদের এসব পিঠা, পচন আর মদ দিয়ে আপ্যায়ন করা হয়। এই দিনে তারা সবাই রাগ-অভিমান ভুলে গিয়ে আন্তরিকতার মায়াজালে আবদ্ধ হয়ে পড়ে।

বিসিতকাল: নববর্ষের প্রথম দিনকে ত্রিপুরা আদিবাসীরা ‘বিসিতকাল’ নামে পালন করে থাকে। এ দিনে সকাল থেকে তাদের ঘরে ঘরে আনন্দ উৎসবে মেতে উঠে সবাই। প্রত্যুষে নব দম্পতিরা কিংবা ত্রিপুরা যুবক-যুবতিরা নদীর ঘাট থেকে পানি এনে তাদের গুরুজনদের গোসল করানোর মাধ্যমে আশীর্বাদ নিয়ে নতুন বছরকে বরণ করে নেয়।

উপরোক্ত এই তিন আদিবাসী উৎসব যদিও ভিন্ন ভিন্ন। তথাপি পুরো পার্বত্য জেলায় এই তিনটা উৎসব তথা মারমাদের ‘সাংগ্রাই’ চাকমাদের ‘বিঝু’ আর ত্রিপুরাদের ‘বৈইসুক‘কে এক সাথে বলা হয় ‘বৈসাবি’। বিশ্লেষণে দেখা যায়, এখানে ‘বৈ’ এসেছে ত্রিপুরা আদিবাসী ‘বৈইসুক’ থেকে, ‘সা’ এসেছে মারাম আদিবাসী ‘সাংগ্রাই’ থেকে আর ‘বি’ এসেছে চাকমা আদিবাসী ‘বিঝু’ থেকে।

বছরের শেষ দু‘দিন আর নতুন বছরের প্রথম দিনই মূলত তাদের বর্ষবরণ উৎসব ‘বৈসাবি’ পালন করা হয়। আর এই বৈসাবি উৎসবে বান্দরবান, রাঙ্গামাটি এবং খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলায় নেমে আসে আনন্দের মহড়া। এই তিন আদিবাসী উৎসবকে ঘিরেই মূলত পালিত হয় নববর্ষ উদযাপনের চিত্র।

এছাড়াও নতুন বছরকে বরণ আর পুরাতন বছরকে বিদায়ে আরো একটি আদিবাসী উৎসবমুখর আয়োজন করে থাকে। তারা হলেন ‘ম্রো ও খুমী’ আদিবাসীরা। তারা এই দিনে ‘ক্লুবং প্লাই’ নামক উৎসব পালন করে। চৈত্র মাসের শেষ দিন তারা ফুল-পূজা করে। বনের নানা রঙের ফুল এনে তারা তাদের বাড়ি ঘরসহ নিজেরাও সাজে। ১লা বৈশাখে তারা বুড়ো-বুড়ীদের স্নান করায়। তারপর তারা পচন রান্না করে। এই দিনে তারা নৃত্যগীত অনুষ্ঠানের আয়োজন করে থাকে। যুবতীরা এই দিনে দাঁতে প্রাকৃতিক রঙ লাগিয়ে নৃত্যগীত অনুষ্ঠানে অংশ নেয়। আর যুবকরা তাদের ‘প্লু’ তথা বাঁশী বাজিয়ে আনন্দে মেতে উঠে।

সুলতান মাহমুদ আরিফ
শিক্ষার্থী এবং গণমাধ্যমকর্মী।
[email protected]

শেয়ার করুন

প্রকাশ : এপ্রিল ১৩, ২০২১ ৯:২১ অপরাহ্ন
কালীগঞ্জে ২৫ বিঘা পানবরজ পুড়ে ছাই
পাঁচমিশালি

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার দুলাল মুন্দিয়া গ্রামের মাঠে আগুনে ১৬ কৃষকের প্রায় ২৫ বিঘা জমির পানবরজ পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। মঙ্গলবার দুপুর ১২ টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকেরা হলেন- খোর্দ্দ রায়গ্রাম এলাকার রতন সেন, পীযুষ সেন, সুধীর সেন, রবীন সেন, অনুপ সেন, আনন্দ সেন, কৃষ্ণ সেন, বাবলু সেন, রতন দত্ত, তাপস সেন, চঞ্চল সেন, বেজহরী ভাস্কর, রামপদ সেন, অসোক দে, হারান সেন ও অমল সেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, মঙ্গলবার দুপুর ১২ টার দিকে দুলাল মুন্দিয়া গ্রামের মাঠে হঠাৎ পানের বরজে আগুন দেখতে পেয়ে মানুষজন চিৎকার শুরু করে। এ সময় খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছে স্থানীয়দের সহযোগিতায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার কাজ শুরু করে। প্রায় দেড়ঘন্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়। ততক্ষণে ১৬ কৃষকের প্রায় ২৫ বিঘা জমির পানবরজ পুড়ে ছাই হয়ে যায়।

কালীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার শেখ মামুনুর রশিদ জানান, স্থানীয়দের মাধ্যমে পানের বরজে আগুন লাগার খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করা হয়। এ সময় প্রায় ২৫ বিঘা জমির পানবরজ পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। তবে কি কারণে আগুনের সুত্রপাত তা তিনি বলতে পারেননি।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : এপ্রিল ১৩, ২০২১ ৭:২১ অপরাহ্ন
দেখা গেছে চাঁদ, কাল থেকে রোজা
পাঁচমিশালি

রমজানে চাঁদ দেখা গিয়েছে। সেই সুবাদে বুধবার (১৪ এপ্রিল) থেকে রমজান মাসের গণনা শুরু হবে, অর্থাৎ প্রথম রোজা শুরু কাল থেকেই।

মঙ্গলবার (১৩ এপ্রিল) সন্ধ্যায় বাংলাদেশের আকাশে ১৪৪২ হিজরি সনের পবিত্র রমজানের চাঁদ দেখা গেছে।তাই আগামীকাল বুধবার (১৪ এপ্রিল) থেকে শুরু হচ্ছে মুসলমানদের সিয়াম সাধনার মাস।

মঙ্গলবার (১৩ এপ্রিল) বাদ মাগরিব ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বায়তুল মোকাররম সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।

আগামী ৯ মে রোববার দিবাগত রাতে পবিত্র লাইলাতুল কদর পালিত হবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : এপ্রিল ৯, ২০২১ ৬:১৬ অপরাহ্ন
সিরাজগঞ্জে দুধ-ডিম-মাংসের ভ্রাম্যমাণ বিক্রয় কেন্দ্রের উদ্বোধন
পাঁচমিশালি

সিরাজগঞ্জে ‘মুজিববর্ষের অঙ্গীকার, নিরাপদ প্রাণিজ পুষ্টি হবে সবার’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে জনসাধারণের প্রাণিজ পুষ্টি নিশ্চিতকল্পে ​করোনা পরিস্থিতিতে ন্যায্যমূল্যে ভ্রাম্যমাণ দুধ, ডিম ও সোনালী মুরগীর মাংস বিক্রয় কেন্দ্রের উদ্বোধন করা হয়েছে।

আজ শুক্রবার (৯ এপ্রিল) বেলা ১১টায় সিরাজগঞ্জ শহরের বাজার স্টেশন এলাকার স্বাধীনতা স্কয়ারে এই বিক্রয় কেন্দ্রের উদ্বোধন করেন প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের মহাপরিচালক ডা. শেখ মো. আজিজুর রহমান।

সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসন ও জেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগের আয়োজনে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন পরিচালক (বাজেট) ডা. মোহাম্মাদ আলী, জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. আক্তারুজ্জামান ভুইঁয়া, সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. হারুন অর রশিদ, প্রাণি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ডা. মৌসুমী খাতুন, তাড়াশ উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. সোহেল আহমেদ, কামারখন্দ উপজেলার প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আবু সাঈদ প্রমুখ।

উদ্বোধনের আগে মহাপরিচালককে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান জেলা প্রাণি সেবা কল্যাণ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মাহমুদুল হাসান মুন্না ও সাধারণ সম্পাদক মো. ইউসুফ আলী।

বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মারস অ্যাসোসিয়েশন (বিডিএফএ) ও বাংলাদেশ পোল্ট্রি ফার্মারস অ্যাসোসিয়েশনের (বিপিএফএ) বাস্তবায়নে এবং প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্প (এলডিডিপি), প্রাণিসম্পদ অধিদফতর, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় সারাদেশের ন্যায় সিরাজগঞ্জ জেলা ও উপজেলা সদরগুলোতে ১০ দিনব্যাপী মোট ৪৪টি ন্যায্যমূল্যের ভ্রাম্যমাণ বিক্রয় কেন্দ্র চালু করা হয়েছে।

এ কেন্দ্রগুলোতে ফার্মের মুরগির ডিম ২৬ টাকা হালি, ফার্মের গরুর দুধ ৫০ টাকা প্রতি কেজি ও সোনালী মুরগির মাংস প্রতি কেজি ২৫০ টাকা মূল্যে বিক্রি করবে বলে ‍জানা যায়।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : এপ্রিল ৮, ২০২১ ৪:৩৭ অপরাহ্ন
মেহেরপুরে দুই ছাগল চোরকে গণপিটুনি দিয়েছে জনতা
পাঁচমিশালি

মেহেরপুরের গাংনীর সাহারবাটি গ্রামে দুই ছাগল চোরকে ধরে গণপিটুনি দিয়েছে সাধারণ জনগণ। পরে তারা পুলিশে সোপর্দ করেছেন ওই দুই ছাগল চোরকে।

বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। আটকরা হলেন, মেহেরপুর শহরের মল্লিকপাড়ার ইকবাল আলীর ছেলে আকাশ (২২) ও শাহাদত হোসেনের ছেলে শামীম (২০)।

অভিযোগের ভিত্তিতে দুজনের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেন জানান গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)।

গাংনী থানার ওসি (তদন্ত) সাজেদুল ইসলাম জানান, গাংনীর সাহারবাটি গ্রামের মুক্তি নামে এক নারীর বাড়ির পাশ থেকে তার দুটি বড় খাসি ছাগল চুরি করে আকাশ ও শামীম একটি ইজিবাইকযোগে পালিয়ে আসছিলেন। স্থানীয় লোকজন তাদের দু’জনকে ধরে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশকে জানায়।

সংবাদ পেয়ে পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের উদ্ধার করে গাংনী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করে। এছাড়া চুরি যাওয়া ছাগলসহ ইজিবাইকটি জব্দ করে থানায় নিয়ে আসে।

গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বজলুর রহমান জানান, চোর এবং ছাগল থানায় আনা হয়েছে। ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করলে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : এপ্রিল ৭, ২০২১ ১২:৪৮ অপরাহ্ন
কেজিতে ২০ টাকা কমেছে মুরগি, স্থিতিশীল সবজি
এগ্রিবিজনেস

করোনা সংক্রমণের মাত্রা বাড়ার কারণে সারাদেশে চলছে সাতদিনের লকডাউন। লকডাউনে মুরগির মাংসের দাম প্রতি কেজিতে ২০ টাকা কমলেও পেঁয়াজ, আলু, গরুর মাংসসহ বেশিরভাগ পণ্যের দাম রয়েছে স্থিতিশীল।

বুধবার (৭ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর বিভিন্ন কাঁচা বাজারে এমন চিত্র দেখা যায়।

ফার্মগেটে একজন ক্রেতা জানান, লকডাউনে কাঁচা বাজারের দাম স্থিতিশীল রয়েছে। লকডাউনের আগে আলু ২০, পেঁয়াজ ৪০, গরুর মাংস ৬০০, কাঁচা মরিচ ১০০ টাকা কেজি দরে কিনেছি আজকেও এই দামেই বাজার করলাম। তবে মুরগির মাংসের দাম একটু কমেছে ব্রয়লার মুরগি লকডাউনের আগে ছিল ১৮০ টাকা, এখন ১৫০-১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে বলে তিনি জানান।

আমাদের কেনা দিয়ে বেচা, যেদিন যে দামে কিনি তারচেয়ে কিছু টাকা লাভ করে বিক্রি করি। দেশী মুরগি কয়দিন আগে ৩০০ টাকার উপরে ছিলো এখন ২৮০-৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ব্রয়লার মুরগি ১৮০ টাকা ছিলো এখন ১৫০-১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে বলে জানান একজন মুরগি ব্যাবসায়ী।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : এপ্রিল ৬, ২০২১ ১০:৫২ পূর্বাহ্ন
সবজির দাম কমলেও ক্রেতার উপস্থিতি না থাকায় বিপাকে বিক্রেতা
এগ্রিবিজনেস

করোনা সংক্রমন প্রতিরোধে সরকারের দেয়া লকডাউনে নীলফামারীতে কমেছে সবজি ও চালের দাম। দাম কমলেও ক্রেতার উপস্থিতি কম থাকায় সবজি নিয়ে চরম বিপদে পড়েছেন খুচরা ও পাইকারী বিক্রেতারা। ম কমেছে বলে ব্যবসায়ীরা জানিয়েছে।

জানা যায় গতকাল সোমবার সকাল থেকে নীলফামারী শহরের আড়ৎ থেকে খুচরা বাজারে প্রচুর সবজি আমদানি হয়েছে। তবে লকডাউনের কারণে হাট-বাজার গুলোতে ক্রেতার উপস্থিতি অন্যান্য দিনের তুলনায় অনেক কম। পাইকারী ও খুচরা দোকান গুলোতে সারি সারি করে সবজি সাজিয়ে বসে রয়েছেন বিক্রিতারা। কিন্তু ক্রেতার অভাবে তা বিক্রি করতে পারছেন না তারা।

নীলফামারীর বড় বাজারের একজন খুচরা সবজি ব্যবসায়ী জানান, লকডাউনের কারণে সবধরণের সবজিতে কেজি প্রতি দাম কমেছে ৫ টাকা করে। কিন্তু ক্রেতার উপস্থিতি অন্যান্য দিনের তুলনায় অনেক কম। সকাল থেকে দোকানে সারি সারি করে সবজি সাজিয়ে রেখেছি ক্রেতার জন্য। অথচ ক্রেতা নেই। যে সব সবজিস দোকানে রয়েছে তা সবই পচনশীল। বিক্রি না হলে সব নষ্ট হয়ে যাবে। এতে অনেক অর্থের ক্ষতি হবে আমার।

তিনি বলেন, প্রতি কেজি আলু কারেজ ৮ টাকা, দেশী আলু ১০ টাকা, জলপাই আলু ১৬ টাকা, পটোল ৩৫ টাকা, করলা ২০ টাকা, চিচিঙ্গা ২০ টাকা, বেগুন ১০টাকা, শসা ১০ টাকা, বড়বটি ৪০ টাকা, সজনা ৩৫ টাকা, টমেটো ১০ টাকা ও গাজর ১৫ টাকা।

রবিবার প্রতিকেজি আলু কারেজ আলু ১০টাকা, দেশী আলু ১২টাকা, জলপাই আলু ২৫টাকা, পটোল ৪০ টাকা, করলা ২৫ টাকা, চিচিঙ্গা ২৫ টাকা, বেগুন ১০টাকা, শসা ১৫ টাকা, বড়বটি ৫০ টাকা, সজনা ৪০ টাকা, টমেটো ১৫ টাকা, গাজর ২০টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছিল।

খুচরা পিয়াঁজ ব্যবসায়ী ইলিয়াস আলী জানান, সবজি ও চাল কম দামে বিক্রি হলেও বেড়েছে পিঁয়াজের দাম। গতকাল রবিবার প্রতি কেজি দেশী পিঁয়াজ ২৮ টাকা দরে বিক্রি হলেও সোমবার ৫টাকা বেড়ে ৩৩টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে চাল আড়ৎ ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেন বাবলু জানান, চালের দাম বস্তা প্রতি ১৫০ থেকে ২০০ টাকা করে কমেছে। ব্রি-২৮ চাল ৫০ কেজির বস্তা বিক্রি হচ্ছে ২৪০০ টাকা, পাইজাম ২৮৫০ টাকা, মিনিকেট ২৮০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। গতকাল রবিবার প্রতি বস্তা ব্রি-২৮ চাল ২৬০০ টাকা, পাইজাম ২৯৫০ টাকা, মিনিকেট ৩০৫০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছিল।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : এপ্রিল ৫, ২০২১ ১২:১৬ অপরাহ্ন
লকডাউন: আমতলীতে আলু ও পিয়াজ উধাও!
পাঁচমিশালি

রবিবার লকডাউন ঘোষণার সাথে সাথে এক ধরনের অসাধু ব্যবসায়ী কৃত্রিম সংঙ্কট তৈরি করতে আমতলী বাজার থেকে নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী পিয়াজ ও আলু গুদামজাত করার অভিযোগ উঠেছে।

তবে ব্যবসায়ীরা বলেন, লকডাউনের ঘোষণার পরপরই ক্রেতারা ধুমছে আলু ও পিয়াজ কিনে নিয়েছে, তাই সংঙ্কট তৈরি হয়েছে।

জানাগেছে, করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ রক্ষায় রবিবার সরকার দেশব্যাপী লকডাউন ঘোষণা করেছেন। লকডাউন ঘোষণার পরপরই নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী আলু ও পিয়াজ আমতলী উপজেলার বাজার থেকে উধাও হয়ে গেছে। মানুষ বিভিন্ন দোকানে গিয়ে এ সকল পন্য খুজে পাচ্ছেন না। এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী গুদামজাত করে কৃত্রিম সঙ্কট তৈরি করে বেশী দামে বিক্রি করছেন বলে অভিযোগ ক্রেতাদের। এদিকে কিছু ভারতীয় পিয়াজ বাজারে পাওয়া গেলেও দেশীয় পিয়াজ নেই।

আরো জানা যায়, রবিবার সন্ধ্যায় আমতলী বাঁধঘাট চৌরাস্তায় পাইকারী দোকানে আলু ও পিয়াজ খুঁজে পাওয়া যায়নি। অনেক ক্রেতা এসে আলু ও পিয়াজ না পেয়ে ফিরে গেছেন।

ক্রেতারা জানান, লকডাউনের ঘোষণার সাথে সাথে আমতলী বিভিন্ন দোকান থেকে আলু ও পিয়াজ উধাও হয়ে গেছে। বাঁধঘাট চৌরাস্তার ৫-৭ টি দোকান ঘুরেও আলু ও পিয়াজ পেলাম না। দু’একটি দোকানে পেলেও তা বেশী দামে বিক্রি হচ্ছে। তারা আরো বলেন, ১৫ টাকার আলু ১৮ টাকা এবং ৩০ টাকার পিয়াজ ৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

লকডাউনকে পুঁজি করে কোন ব্যবসায়ী নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের কৃত্রিম সংঙ্কট তৈরি করে দাম বৃদ্ধি করে থাকেন তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান আমতলীর ইউএনও আসাদুজ্জামান।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : এপ্রিল ৪, ২০২১ ৫:৪১ অপরাহ্ন
গাজীপুরে গরু চোর সন্দেহে যুবককে পিটিয়ে হত্যা
পাঁচমিশালি

গরু চোর সন্দেহে গাজীপুরে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। নিহত নজরুল ইসলাম নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও থানার বুলুবেড় কান্দাপাড়া এলাকার আব্দুল বাতেনের ছেলে।

শনিবার রাতে কাপাসিয়ার চাঁদপুর এলাকার বড়কুশিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়দের বরাত দিয়ে কাপাসিয়া থানার ওসি মো. আলম চাঁদ জানান, রাত দুইটার দিকে একদল চোর উপজেলার চাঁদপুর বড়কুশিয়া এলাকায় বাচ্চু মোড়লের বাড়িতে গরু চুরি করতে যায়।

বাড়ির মালিক বিষয়টি টের পেয়ে ডাকাডাকি করতে থাকেন। পরে এলাকাবাসী ধাওয়া দিয়ে নজরুল ইসলামকে ধরে পিটুনি দেয়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নেয়ার পথে নজরুল ইসলাম মারা যান।

এ সময় তার সঙ্গে থাকা অপর চোরেরা পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় পুলিশ তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানান।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : এপ্রিল ২, ২০২১ ২:৩৮ অপরাহ্ন
মুরগি-ডিমের দাম কমলেও বেড়েছে সবজির দাম
এগ্রিবিজনেস

কয়েকদিন আগে ২০ থেকে ৩০ টাকার মধ্যে সবজি পাওয়ায় যেত। কিন্তু এখন বাজারে দেখা যায় তার ভিন্ন চিত্র। মুরগি-ডিমের দাম কমলেও সবজি বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে। তেল, মুরগি, পিঁয়াজসহ প্রায় ধরনের ফলের দামও বেড়েছে।

রাজধানীর বাজারে দেখা যায়, প্রতিকেজি গাজর ২০ থেকে ৩০ টাকা, শিম ৪০ থেকে ৫০ টাকা, বেগুন ৪০ থেকে ৫০ টাকা, করলা ৪০ থেকে ৬০ টাকা, মূলা ৩০ টাকা, ঢেঁড়স ৩০ থেকে ৪০ টাকা, টমেটো ২০ থেকে ৩০ টাকা, বরবটি ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

প্রতি পিস লাউ আকারভেদে বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকায়, বাঁধাকপি ২০ থেকে ২৫ টাকা। এদিকে ছয় কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়। প্রতিকেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩৫ টাকায়।

কাঁচা কলা প্রতি হালি বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ২৫ টাকায়। কাঁচা মরিচ প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৬০ টাকা। প্রতিকেজি পেঁপে ৩০ টাকা, ক্ষীরা ৪০ টাকা, শসা ৪০ থেকে ৫০ টাকা, মটরশুঁটি ৪০ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর প্রতি হালি লেবু ৩০ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

কেজিতে ৩০ টাকা দাম কমে প্রতিকেজি সোনালি (কক) মুরগি ২৯০ থেকে ৩০০ টাকা ও ব্রয়লার মুরগি প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়। আর লেয়ার মুরগি প্রতিকেজি ১৯০ থেকে ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এসব বাজারে অপরিবর্তিত আছে গরু ও খাসির মাংস ও মসলাসহ অন্যান্য পণ্যের দাম। বাজারে প্রতিকেজি খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা, বকরির মাংস ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা, গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৫৮০ টাকা।

বাজারে প্রতিকেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায়। প্রতিকেজি বিআর-২৮ চাল বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৪৮ টাকা, মিনিকেট ৬৫ টাকা, নাজির ৬৫ থেকে ৭০ টাকা, স্বর্ণা চাল ৪৮ থেকে ৫০ টাকা ও পোলাওয়ের চাল ৯০ থেকে ১০০ টাকা। খোলা ভোজ্যতেল প্রতি লিটার বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ টাকা।

এছাড়া রুই বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ৩০০-৩৫০ টাকা, বড় কাতল ৩৫০-৪০০ টাকা, চিংড়ি বড় ১০০০ টাকা, মাঝারি ৬০০ টাকা। তেলাপিয়া ১৩-১৪- টাকা, বাতাসি মাছ প্রতি কেজি ৩০০ টাকা।

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop