১:০৬ পূর্বাহ্ন

শুক্রবার, ৩০ মে , ২০২৫
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : জানুয়ারী ৯, ২০২৩ ৯:০৮ পূর্বাহ্ন
বিষমুক্ত টমেটো চাষে লাভের স্বপ্ন দেখছেন ফেনীর চাষিরা
কৃষি বিভাগ

ফেনীর দাগনভূঞায় শীতকালীন বিষমুক্ত টমেটো চাষে লাভের স্বপ্ন দেখছেন কৃষক। কম পুঁজিতে লাভজনক টমেটো চাষে কৃষকের আগ্রহ বাড়ছে। তাই শীত মৌসুমের মধ্যকালীন আগাম শাক-সবজির পাশাপাশি উন্নত জাতের টমেটোর চাষ বাড়ছে। উপজেলার পূর্ব চন্দ্রপুর এলাকায় অনেকেই ৮০-৯০ দিনের টমেটো চাষে বেশি লাভের স্বপ্ন দেখছেন।

উপজেলার পূর্ব ইউনিয়নের পূর্ব চন্দ্রপুর, জগৎপুর, চাঁদপুর ও নয়ানপুর গ্রামের বিভিন্ন জমিতে দেখা যায় বিষমুক্ত টমেটোর আবাদ। ক্ষেতজুড়ে সারি সারি গাছে থোকায় থোকায় ছোট-বড় টমেটোর সমারোহ। অসংখ্য টমেটো পরিপক্ক হচ্ছে। কিছু দিনের মধ্যেই ক্ষেতে সুস্বাদু এসব টমেটো পাইকারি ও খুচরা বাজারে বিক্রি শুরু হবে।

উপ-সহকারী কৃষি ককর্মকর্তা মো. আবদুল্লাহ আল মারুফ বলেন, ‘শীতকালীন আগাম টমেটো চাষ করেছেন অনেক কৃষক। ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারির মাঝামাঝি সময়ের তথা শীতের প্রথমদিকের বাজারকে টার্গেট করেই মূলত এ উৎপাদন করছেন তারা। গাছে গাছে ফলনও সন্তোষজনক। তাই টমেটো বিক্রি করে ভালো আয়ের আশা করছেন কৃষকরা।’

দাগনভূঞা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. মহিউদ্দিন বলেন, ‘গত কয়েক বছরে টমেটোর বাজার সন্তোষজনক হওয়ায় চাষ বাড়ছে। আমন ধান ওঠার পর পরই শীতের আগাম জাতের টমেটো উৎপাদন করা যায়। স্থানীয় বাজারে প্রথম দফায়ই বেশি দাম পেয়ে বেশ লাভবান হন কৃষকরা। লাভের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে চাষিদের উচ্চ ফলনশীল (হাইব্রিড) জাতের টমেটো চাষের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।’

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জানুয়ারী ৮, ২০২৩ ৭:৫৭ অপরাহ্ন
আমের মুকুল রক্ষায় যা করবেন
কৃষি বিভাগ

সারাদেশেই আম গাছে মুকুল এসেছে। বিভিন্ন কারণে সেসব মুকুল ঝরেও যায়। রোগ ও পোকা-মাকড়ের আক্রমণে ক্ষতিগ্রস্ত হয় আম বাগান। সঠিক সময়ে রোগ ও পোকা-মাকড় দমনে ব্যর্থ হলে ফলন মারাত্মকভাবে কমে যেতে পারে। তাই আমের মুকুল ঝরা রোধে কিছু করণীয় পরামর্শ দিয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয় ও মন্ত্রণালয়ের অধীন কৃষি তথ্য সার্ভিসের (এআইএস)।

আসুন জেনে নেওয়া যাক আমের মুকুল রক্ষার পরামর্শগুলো- আমের মুকুলে পোকা এবং রোগ দমনে কমপক্ষে দুইবার স্প্রে করতে হয়। প্রথমবার স্প্রে গাছে মুকুল ৪-৬ ইঞ্চি হলে, কিন্তু ফুল ফোটার আগে। অর্থাৎ মুকুল ফুলে পরিণত হওয়ার আগে। আর আমের গুটি মসুর দানার মতো বড় হলে দ্বিতীয়বার স্প্রে করতে হবে। সেসময় সব গাছ ভিজিয়ে স্প্রে করতে হবে। মনে রাখতে হবে, ফুল ফোটা অবস্থায় কোনো ধরনের স্প্রে করা যাবে না।

স্প্রে প্রস্তুতকরণ
এক লিটার পানিতে ইমিডাক্লোপ্রিড গ্রুপের কীটনাশক তরল শূন্য দশমিক ৫০ মিলি অথবা দানাদার শূন্য দশমিক ২ গ্রাম এবং ম্যানকোজেব জাতীয় ছত্রাকনাশক স্প্রে দুই গ্রাম মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে।

অন্যদিকে, মুকুল আসার আগেই ঘন কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়া বিরাজ করলে জানুয়ারি মাসের মাঝামাঝি সময়ে সাইপারমেথ্রিন বা ইমিডাক্লোপ্রিড গ্রুপের কিটনাশক এবং সালফারঘটিত ছত্রাকনাশক স্প্রে করতে হবে। এগি করা ভালো।

 

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জানুয়ারী ৬, ২০২৩ ১০:৪৪ অপরাহ্ন
বোরো ধানের পরিচর্যায় সার ব্যবহারে যে তথ্য জানালো কৃষি তথ্য সার্ভিস
কৃষি বিভাগ

বোরো মৌসুমে স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি উভয় ধানের জাত চাষ করে চাষিরা। সেক্ষেত্রে ধানের সঠিক সার ব্যবস্থাপনা সম্পর্কিত তথ্য জানিয়েছে কৃষি তথ্য সার্ভিস। দীর্ঘমেয়াদি জাত যার জীবনকাল ১৫০ দিনের বেশি তাতে বিঘাপ্রতি (৩৩ শতক) সারের মাত্রা-

এ ধরনের জমিতে ইউরিয়া ৪০ কেজি, টিএসপি বা ডিএপি ১৩ কেজি, এমওপি ২২ কেজি, জিপসাম ১৫ কেজি ও দস্তা (মনোহাইড্রেট) ১.৫ কেজি প্রয়োগ করতে হবে।

দীর্ঘমেয়াদি জাতের ক্ষেত্রে টিএসপি, এমওপি, জিপসাম ও দস্তা সারের পুরোটাই শেষ চাষের সময় মাটিতে প্রয়োগ করতে হবে। সতর্ক থাকতে হবে দস্তা ও টিএসপি একসঙ্গে না মিশিয়ে পৃথকভাবে প্রয়োগ করতে হবে।

অন্যদিকে ইউরিয়া সারকে সমান তিন ভাগে ভাগ করে প্রয়োগ করতে হবে। প্রথম কিস্তি শেষ চাষের সময়, দ্বিতীয় কিস্তি চারা রোপণের ২০-২৫ দিন পর অর্থাৎ গোছায় কুশি দেখা দিলে এবং শেষ কিস্তি কাইচথোড় আসার ৫-৭ দিন আগে।

স্বল্পমেয়াদি জাত যার জীবনকাল ১৫০ দিনের কম তাতে বিঘাপ্রতি সারের মাত্রা-ইউরিয়া ৩৫ কেজি, টিএসপি ১২ কেজি, এমওপি ২০ কেজি, জিপসাম বা গন্ধক ১৫ কেজি, দস্তা ১.৫ কেজি।

স্বল্পমেয়াদি জাতের ক্ষেত্রে টিএসপি, এমওপি, জিপসাম ও দস্তা সারের পুরোটাই শেষ চাষের সময় মাটিতে প্রয়োগ করতে হবে। সতর্ক থাকতে হবে দস্তা ও টিএসপি একসঙ্গে না মিশিয়ে পৃথকভাবে প্রয়োগ করতে হবে।

স্বল্পমেয়াদি জাতের ক্ষেত্রে ইউরিয়া সারকে সমান তিন ভাগে ভাগ করে প্রয়োগ করতে হবে। প্রথম কিস্তি চারা রোপণের ১৫-২০ দিন পর দ্বিতীয় কিস্তি চারা রোপণের ৩০-৩৫ দিন পর এবং শেষ কিস্তি কাইচথোড় আসার ৫-৭ দিন আগে।

এদিকে, সংস্থাটি বলছে, ডিএপি সার প্রয়োগ করলে তিন ভাগের একভাগ ইউরিয়া সার জমিতে কম দিতে হয়। ডিএপি সার ব্যবহার লাভজনক ও পরিবেশবান্ধব।

অন্যদিকে ধান কাটার সময় গাছের গোড়া থেকে ১০-১২ ইঞ্চি ওপরে কেটে নাড়া মাটিতে মিশিয়ে দিলে পটাশ সারের পরিমাণ তিন ভাগের এক ভাগ কম লাগে।

জৈব সারের সঙ্গে রাসায়নিক সার সমন্বয় করে ব্যবহার করলে রাসায়নিক সারের কার্যকারিতা বৃদ্ধি পায় ও ভালো ফলন হয়। জমিতে বছরে একবার হলেও বিঘাপ্রতি ৭০০-৮০০ কেজি জৈব সার প্রয়োগ করতে হবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জানুয়ারী ৪, ২০২৩ ৫:১৭ অপরাহ্ন
কুড়িগ্রামে ৫‘শ হেক্টর জমিতে আগাম আলু চাষ
কৃষি বিভাগ

কুড়িগ্রামের চরাঞ্চলে রবি শস্যের পাশাপাশি আগাম আলু চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষিরা। ধরলা নদীর বিস্তীর্ণ বালুচরে স্যালো মেশিনে পানি তুলে আলুর চাষ করছেন কৃষকরা। চরের বুকে আলু পাতার সবুজ সমারোহ যেন এক সমৃদ্ধির হাতছানি। এ বছর ডিজেল, সার, কীটনাশক ও মজুরির দাম বেশি হওয়ার খরচ দ্বিগুণ বেড়েছে। তবে বাজারে আলুর দাম ও ফলন ভালো হওয়ায় খুশি চাষিরা।

কুড়িগ্রাম জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, এ বছর জেলার ৯টি উপজেলায় ৫০০ হেক্টর জমিতে আগাম আলুর চাষ হচ্ছে। আলুর দাম ও ফলন ভালো দেখা যাচ্ছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে কৃষকরা লাভবান হবে।

সদর উপজেলার হলোখানা ইউনিয়নের কৃষক আব্দুল হামিদ বলেন, ‘ধরলা নদীর বুকে পতিত জমিতে সেভেন জাতের আলুর চাষ করেছি। এটি আগাম জাতের আলু। আলুর বীজ রোপণের পর ৫৫ থেকে ৬০ দিনের মধ্যে এ আগাম আলু তোলা যায়। এক বিঘা জমিতে ২০-২৫ মণ আলু হয়। বর্তমান বাজারে ৮০ থেকে ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।’

কাঁঠাল বাড়ি ইউনিয়নের আলু চাষি মো. মোখলেছুর রহমান বলেন, ‘আমি ১ বিঘা জমিতে আগাম সেভেন জাতের আলু চাষ করেছি। আলুর ফলন ভালো দেখা যাচ্ছে। আশা করি বিঘাপ্রতি ২৫ মণ আলু পাওয়া যাবে। গত বছর বিঘাপ্রতি ৬৫-৭০ হাজার টাকা খরচ পড়েছে। এ বছর তেল, সার ও কীটনাশকের দাম বেড়ে যাওয়ায় বিঘাপ্রতি ১ লাখ টাকা খরচ হবে।’

কুড়িগ্রাম জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক বিপ্লব কুমার মোহন্ত বলেন, ‘অন্য ফসলের পাশাপাশি চরগুলোয় এ বছর আগাম আলু চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষিরা। জেলায় ৭ হাজার হেক্টর জমিতে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ পর্যন্ত ৫০০ হেক্টর জমিতে আগাম আলু চাষ হচ্ছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ মৌসুমে কৃষকরা লাভবান হবেন।’

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জানুয়ারী ৪, ২০২৩ ৫:০২ অপরাহ্ন
বোরো চাষে সার প্রয়োগ করতে হবে সঠিক মাত্রায়
কৃষি বিভাগ

বোরো ধান ফসলের জন্য কৃষকদের করণীয় জানিয়েছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। সংস্থাটি বলছে, বোরো রোপণের জমিতে প্রয়োজনীয় সার সঠিক মাত্রায় প্রয়োগ করতে হবে। কৃষকরা ধানের চারা লাইন করে রোপণ করবেন। চারা রোপণের সময় বেশি ঘন করে রোপণ না করে আট ইঞ্চি X ছয় ইঞ্চি দূরত্বে চারা রোপণ করবেন।

জমির আগাছা (ঘাস) মারার জন্য কমিট বা সুপারহিট ক্রিয়ার বা রিফিট-৫০০ইসি এর যে কোনো একটি আগাছানাশক বিঘাপ্রতি ১৩৪ এমএল হারে চারা রোপণের ছয়দিনের মধ্যে ব্যবহার করতে হবে।

সারের মাত্রা: বোরোর জন্য বিঘাপ্রতি সারের প্রয়োজন ৩০-৩৫ কেজি। এছাড়া ডিএপি ১২-১৪ কেজি, এমওপি (পটাশ) ১৫-২০ কেজি, জিপসাম আট কেজি ও জিংক সালফেট এক কেজি।

কৃষি সংস্থাটি বলছে, জমিতে ইউরিয়া সার বেশি দিলে গাছের বাড়-বাড়তি বেশি হয়। গাছ হেলে পড়ে। রোগবালাই ও পোকামাকড়ের আক্রমণ বেশি হয়। এছাড়া ফলন কমে যায়। এজন্য বিয়ার সার ব্যবহার করতে হবে।

চারা রোপণ থেকে ফসল তোলা পর্যন্ত করণীয়

১. চারা রোপণের ৪০-৫০ দিন পর্যন্ত জমি আগাছা মুক্ত রাখার ব্যবস্থা করুন।

২. চারা রোপণেরে এক সপ্তাহের মধ্যেই বিঘা প্রতি চার থেকে পাঁচটি ভালো কঞ্চি পুঁতে দিন।

৩. নিয়মিত ক্ষেতে হেঁটে হেঁটে পোকামাকড়ের ও রোগবালাইয়ের আক্রমণের তীব্রতা লক্ষ্য রাখবেন।

৪. থোড় আসার সময় থেকেই আলোক ফাঁদের সাহায্যে কারেন্ট পোকার উপস্থিতি বোঝার জন্য উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তার সহায়তা নিন।

৫. পোকামাকড়ের প্রতিরোধ ব্যবস্থার জন্য চারা রোপণের ৩০-৩৫ দিন বয়সে একবার ও ধানের ফুল ফোটার পরপরই দুইবার সিস্টেমিক জাতীয় কীটনাশক স্প্রে করবেন।

৬. রোগবালাই শনাক্তকরণের জন্য উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তার সহায়তা নিন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জানুয়ারী ৩, ২০২৩ ৩:৪৩ অপরাহ্ন
বিষমুক্ত সবজি চাষের দিকে ঝুঁকছেন ভোলার কৃষকরা
কৃষি বিভাগ

ভোলায় এবার প্রথমবারের মতো বিষমুক্ত সবজি চাষ করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন কৃষকরা। রোগ ও পোকামাকড়ের আক্রমণ তেমন না থাকায় কম খরচে বেশি ফসল পাচ্ছেন তারা। বিষমুক্ত সবজির ভালো চাহিদা থাকায় বেশি দামও পাওয়া যাচ্ছে।

জানা যায়, ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার চর মাদ্রাজ ইউনিয়নে প্রথমবারের মতো ১০০ একর জমিতে ৫ শতাধিক কৃষক পরিবেশবান্ধব নিরাপদ সবজি উৎপাদন প্রকল্পের আওতায় বিষমুক্ত ফুলকপি, বাঁধাকপি, শিম, করলা, টমেটো, বেগুনসহ বিভিন্ন শীতকালীন সবজি চাষ করেছেন। বর্তমানে কৃষকরা ক্ষেতের ফলন কেটে বাজারে বিক্রি শুরু করেছেন।

কৃষক মো. ইউসুফ ও বেল্লাল হোসেন বলেন, ‘আমাদের এ সবজি বিষমুক্ত হওয়ায় ক্রেতাদের কাছে চাহিদা অনেক বেশি। বাজারে অন্য সবজির চেয়ে এর দামও ভালো পেয়ে থাকি। এতে আমরা অনেক লাভবান। এ ছাড়াও এ সবজি কিনতে পাইকাররা সরাসরি ক্ষেতে চলে আসেন। ভালো দাম দিয়ে কিনে দেশের বিভিন্ন জেলায় পাঠান।’

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা বিকাশ দাস জানান, তিনি প্রতিদিনই সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত চর মাদ্রাজের সব এলাকার মাঠ পরিদর্শন করেন। এ ছাড়াও কৃষককে ভালো ফলনের জন্য সব সময়ই পরামর্শ দিয়ে আসছেন।

চরফ্যাশন উপজেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিপ্তরের কর্মকর্তা মো. ওমর ফারুক জানান, তারা কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে চর মাদ্রাজ ইউনিয়নকে আইপিএম মডেল ইউনিয়ন করার জন্য ৫ শতাধিক কৃষককে প্রশিক্ষণ ও কারিগরি সহযোগিতা দিয়েছেন। ফলে কৃষকরা বিষমুক্ত সবজি চাষ করেছেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জানুয়ারী ৩, ২০২৩ ১১:০৬ পূর্বাহ্ন
শুরু হয়েছে জয়পুরহাটে সরিষার ফুল থেকে মধু সংগ্রহ
কৃষি বিভাগ

সরিষার জমির পাশে মৌবক্স স্থাপনের মাধ্যমে মধু সংগ্রহ শুরু করেছেন বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা মৌয়ালরা। জেলায় স্থাপনকৃত ৭৫০ টি মৌবক্স থেকে ৩০ মেট্রিক টন মধু সংগ্রহের আশা করছেন কৃষি বিভাগ।

মধু সেবন মানব দেহের জন্য বেশ উপকারী ও ঔষধী গুনাগুণ সমৃদ্ধ হওয়ায় বাজারে এর ব্যাপক চাহিদা থাকে। তারমধ্যে নির্ভেজাল মধু প্রেমীর সংখ্যা আরো বেশি। এ ছাড়াও সরিষার পরাগায়নের জন্য মৌমাছি বড় ধরনের নিয়ামক হিসাবে কাজ করে। মৌমাছির মধু সংগ্রহের মাধ্যমে শতকরা ২০-৩০ ভাগ পর্যন্ত পরাগায়ন বৃদ্ধি পায় এবং সরিষার ফলনও ভালো হয়।

স্থানীয় কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ বিশেষ কার্যক্রমের আওতায় মৌচাষের সঙ্গে সম্পৃক্ত মৌয়ালীদের সার্বিক সহায়তা প্রদান করছে। কৃষকদের জমির পাশে মৌবক্স স্থাপন ও নিরাপত্তা প্রদানে কাজ করছে কৃষি বিভাগ। সদর উপজেলার পুরানাপৈল ইউনিয়নের দস্তপুর গ্রামের চাষি সাদেক আলীর সরিষা জমির পাশে ১৫০ টি মৌবক্স স্থাপন ও মধু সংগ্রহ কার্যক্রম চলছে।

এ ছাড়াও সদর উপজেলায় ৩শ টি মৌবক্স সহ জেলার বিভিন্ন স্থানে সরিষার জমির পাশে মোট ৭৫০ টি মৌবক্স স্থাপনের মাধ্যমে মধু সংগ্রহ করছেন দুই মৌচাষী জালাল ও আপেল মাহমুদ। একটি মৌমাছি ৩-৪ কিলোমিটার পর্যন্ত গিয়ে মধু সংগ্রহ করে থাকে।

জয়পুরহাটে মৌবক্স স্থাপনের মাধ্যমে সরিষার ফুল থেকে আগামী ২০ দিনের মধ্যে প্রায় ৩০ মেট্রিক টন মধু সংগ্রহ করা সম্ভব হবে বলে জানান, মৌচাষী জালাল ও আপেল মাহমুদ।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক কৃষিবিদ রাহেলা পারভীন বলেন, শুধু মধু সংগ্রহ নয়, মধু সংগ্রহের পাশাপাশি মৌমাছি পরাগায়নে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। এতে করে সরিষার ফলনও বৃদ্ধি পায়। স্থানীয় ভাবে সংগৃহিত এই নির্ভেজাল মধু ৩০০-৪০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। জেলায় চলতি মৌসুমে ১৪ হাজার ৬ শ ৬০ হেক্টর জমিতে সরিষার চাষ হয়েছে বলেও জানান তিনি। বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুঠির শিল্প কর্পোরেশন (বিসিক) জয়পুরহাটের উপব্যবস্থাপক লিটন চন্দ্র ঘোষ বলেন, জেলার ১শ জন কৃষককে এবার মৌ চাষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। যাতে সরিষা ক্ষেতে মৌ বক্স স্থাপনের মাধ্যমে মধু সংগ্রহ করে আর্থিক ভাবে লাভবান হতে পারেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জানুয়ারী ২, ২০২৩ ৫:৩৫ অপরাহ্ন
পর্যাপ্ত সার থাকায় বিভ্রান্ত না হওয়ার পরামর্শ ঝিকরগাছা কৃষি কর্মকর্তার
কৃষি বিভাগ

মিঠুন সরকার, ঝিকরগাছা (যশোর) প্রতিনিধি: বাংলাদেশ আধুনিক কৃষির যুগে প্রবেশ করলেও কিছু অসাধু ব্যবসায়ীর দৌরাত্ম্যে বার বার ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কৃষক, থমকে যাচ্ছে উৎপাদন ব্যবস্থা। বিভিন্ন সময়ে সার, বীজ ও অন্যান্য কৃষি উপকরণের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টির চেষ্টা করে অধিক মুনাফা লাভের চেষ্টা করা হচ্ছে। এতে একদিকে যেমন কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে অন্যদিকে উদ্ভূত পরিস্থিতি সামাল দিতে নাজেহাল অবস্থা হচ্ছে কৃষি বিভাগের।

ঝিকরগাছা উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্য মতে, চলতি বোরো মৌসুমে বীজতলা হয়েছে ৯৫০ হেক্টর জমিতে এবং উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১৯৩৭৫ হেক্টর ।

জানুয়ারি মাসের সার বরাদ্দ আছে যথাক্রমে ইউরিয়া ১৭৪৪ ,টিএসপি ৩২৯, ডিএপি ১০৬৫ এবিং এমওপি ৫৪৬ মেট্রিক টন।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাসুদ হোসেন পলাশ বলেন, ‘ওয়ার্ড ভিত্তিক সার সরবরাহ করা হয়েছে। কৃষকের চাহিদার বেশি সার মজুদ করা হয়েছে। উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা সার্বক্ষনিক সার প্রাপ্তি ও ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করতে কাজ করছে। আমরা প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ডিলারের নথি চেক করছি যেন সারের দাম না বাড়াতে পারে। এর পরেও যদি সারের ব্যাপারে কৃষক প্রতারিত হয় তাহলে আমরা তার ডিলারশীপ বাতিল সহ তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। চাহিদার অনেক বেশি পরিমাণ সার মজুদ আছে এবং সার সংকটের কোন সুযোগ নেই।’ একই সাথে তিনি সার নিয়ে বিভিন্ন গুজবে কান না দিতে সকলকে পরামর্শ দিয়েছেন।

উপজেলা নির্বাহী কররমকর্তা ও উপজেলা সার ও বীজ মনিটরিং কমিটির সভাপতি মাহবুবুল হক বলেন, ‘আমরা সার্বক্ষণিক মনিটরিং এ রাখছি। সার সংকট তৈরি হওয়ার মতো কোন পরিস্থিতি আমরা দেখছি না। যদি কেউ সার সংকটের চেষ্টা করে তাহলে আমরা তাৎক্ষণিক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।”

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জানুয়ারী ২, ২০২৩ ১১:১৪ পূর্বাহ্ন
সিরাজগঞ্জে বাড়ির আঙিনায় বাড়ছে সবজি চাষ
কৃষি বিভাগ

সিরাজগঞ্জে বাড়ির আঙিনায় সবজি বাগান করে সাবলম্বী হচ্ছেন ১ হাজার ১৫৮ জন নারী-পুরুষ। বাড়ির আঙিনায় সরকারি প্রকল্পের আওতায় এসব পতিত জমিতে মাটি ফেলে সবজি চাষ করে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হচ্ছেন তারা।

এসব বাগান স্বামীর পাশাপাশি শখের বসে নিয়মিত দেখাশোনা করেন স্ত্রী-সন্তানরা। এতে পরিবারের চাহিদা মিটিয়ে প্রতিবেশী ও আত্মীয়-স্বজনদেরও সবজি জোগান দিয়ে থাকেন। প্রায় ২০ প্রকারের সবজি চাষ করছেন এসব উদ্যোগী কৃষক।

এ বছর কামারখন্দ উপজেলা কৃষি অফিসের সহযোগিতায় অনাবাদি পতিত জমি ও বসত বাড়ির আঙিনায় ৫৪টি প্রদর্শনী স্থাপন করেছে পারিবারিক পুষ্টি বাগান প্রকল্প। গত ২৫ ডিসেম্বর দিনভর প্রকল্প পরিচালক ড. মো. আকরাম হোসেন চৌধুরী এসব পরিদর্শন করেন।

জেলার কামারখন্দ কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা তাহসীন তাবাসসুম জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমরা সার্বক্ষণিক কৃষকদের সহযোগিতা করছি বাড়ির উঠানে বিষমুক্ত সবজি চাষ করতে।’

জানা যায়, কামারখন্দ উপজেলার ভদ্রঘাট মুগবেলাই গ্রামের সোনাউল্লাহ সেখের ছেলে আসাদুল্লাহ বাড়ির আঙিনায় বিষমুক্ত সবজি বাগান গড়ে তুলেছেন। সবজির পাশাপাশি আছে বিভিন্ন ফল ও মসলা জাতীয় ফসল। সবজির মধ্যে আছে বাঁধাকপি, ফুলকপি, টমোটো, পেঁপে, লালশাক, পুইশাক, বেগুন, পালংশাক, বরবটি, ঢেঁড়শ।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, সরকারের পক্ষ থেকে পুরো জেলায় এ বছর ১ হাজার ১৫৮ জনের বাড়ির আঙিনায় সবজি বাগান করে দেওয়া হবে। যা গত বছর ছিল মাত্র ৩৩৬ জনের বাড়ির আঙিনায়।

এতে বাঁশ, খুঁটি সবই বিনা মূল্যে দেওয়া হয়। সেইসঙ্গে বিভিন্ন সবজির বীজ, সার দেওয়া হয়। নিয়মিত কৃষি অফিসার এবং উপ-সহকারী কৃষি অফিসাররা তদারকি করে থাকেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জানুয়ারী ১, ২০২৩ ৭:০১ অপরাহ্ন
‘কৃষি বাণিজ্য মেলা’ আয়োজন করবে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন
কৃষি বিভাগ

কৃষিখাতের সাথে জড়িত সকল ভ্যালু চেইন পার্টনারদের অংশগ্রহণে নিরাপদ খাদ্য, খাদ্য নিরাপত্তা ও সুষ্ঠু বাজার ব্যবস্থাপনা প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করতে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) উদ্যোগে রাজধানীর আমিনবাজারে নবনির্মিত ‘ডিএনসিসি পাইকারি কাঁচাবাজার’ প্রাঙ্গণে আগামী ৩-৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ তিনদিন ব্যাপী ‘কৃষি বাণিজ্য মেলা-২০২৩’ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।

ডিএনসিসি’র তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশের কৃষি ভ্যালুচেইন-এর সকল অংশীদারদের অংশগ্রহণে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিতব্য এই কৃষি বাণিজ্য মেলা’র আয়োজনটি বাস্তবায়ন করবে এগ্রি-টেক স্টার্টআপ দেশীফার্মার লিমিটেড।

সম্প্রতি (২১ ডিসেম্বর) গুলশান-২ এ ডিএনসিসির প্রধান কার্যালয় নগর ভবনে মেয়র মোঃ আতিকুল ইসলাম এবং দেশীফার্মার লিমিটেড এর চেয়ারম্যান সুমাইয়াহ মৌসিনিন এক বৈঠকে তিনদিন ব্যাপী কৃষি বাণিজ্য মেলা আয়োজনের সিদ্বান্ত নেন।

বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মেলায় অংশগ্রহণকারী ও দর্শনার্থীরা কৃষি পণ্যের বাজার দরে স্থিতিশীলতা, নিরাপদ খাদ্য, খাদ্য নিরাপত্তা এবং স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে কৃষিপণ্য প্রক্রিয়া ও নিরাপদে সংরক্ষণের প্রক্রিয়া ও সকল সুযোগ সুবিধা সম্পর্কে সম্মক ধারণা পাবেন। কৃষি খাতের সংশ্লিষ্ট সকল অংশীজনদের এক ছাদের তলায় নিয়ে আসতেই এই মেলার আয়োজন।

কৃষি বাণিজ্য মেলা আয়োজন সম্পর্কে ডিএনসিসি মেয়র মোঃ আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘ভোক্তাদের নিরাপদ খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয় অবকাঠামো ও সুষ্ঠু বাজার ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে সময়োপযোগী বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করে চলেছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন। এরই ধারাবাহিকতায় নিরাপদ খাদ্য বাজারজাত।

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop