৩:৫৫ অপরাহ্ন

মঙ্গলবার, ৭ মে , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : মার্চ ৭, ২০২৪ ২:৪৭ অপরাহ্ন
বিএলআরআইতে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উদযাপিত
প্রাণিসম্পদ

বিএলআরআইতে যথাযোগ্য ভাবগাম্ভীর্যের সাথে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ, ২০২৪ উদযাপিত হয়েছে।  সকাল ৯.৩০ ঘটিকার সময় বিএলআরআই-এর প্রশাসনিক ভবনের সামনে স্থাপিত অস্থায়ী বেদিতে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উদযাপনের কর্মসূচির উদ্বোধন করেন ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন ইনস্টিটিউটের অতিরিক্ত পরিচালক, বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধানগণ, প্রকল্প পরিচালকগণসহ ইনস্টিটিউটের সকল স্তরের বিজ্ঞানী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ।

এরপর মহাপরিচালক মহোদয়ের নেতৃত্বে বিএলআরআই-এ অবস্থিত বঙ্গবন্ধু আলোকচিত্র গ্যালারি পরিদর্শন করেন বিজ্ঞানী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ। এসময় মহাপরিচালক ড. এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে এক সময় অনেক বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানো হয়েছে। তবে এখন সময় এসেছে সত্য জানার। আমাদের সকলকেই বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে প্রকৃত তথ্য জানতে হবে, সেগুলো প্রচার করতে হবে। পাশাপাশি তিনি এসময় স্বতঃস্ফূর্তভাবে সকল কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ায় অংশগ্রহণকারী সকলকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

দিনের অন্যান্য কর্মসূচির মধ্যে ছিলো বিএলআরআই-এর প্রধান কার্যালয়য়ের প্রশাসনিক ভবনসহ বিভিন্ন ভবনে আলোকসজ্জাকরণ, বিএলআরআই-এর সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী ও পোষ্যদের জন্য বঙ্গবন্ধু আলোকচিত্র গ্যালারি উন্মুক্তকরণ, সকালে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে জাতীয় পতাকা উত্তোলন প্রভৃতি। এছাড়াও বিএলআরআই-এর আঞ্চলিক কেন্দ্রসমূহ সংশ্লিষ্ট জেলা ও উপজেলা কর্তৃপক্ষের সাথে সমন্বয় করে নিজ নিজ কর্মসূচি পালন করে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মার্চ ৬, ২০২৪ ১:৫৮ অপরাহ্ন
জাত উন্নয়নের অগ্রপথিক শ্লোগানে ব্র্যাক কৃত্রিম প্রজনন এন্টারপ্রাইজের AISP বার্ষিক সম্মেলন ২০২৩ অনুষ্ঠিত
প্রাণিসম্পদ

জাঁকজমকপূর্ণভাবে অত্যন্ত সুন্দর মনোরম পরিবেশে অনুষ্ঠিত হলো ব্র্যাক কৃত্রিম প্রজনন সেবাকর্মীদের বার্ষিক সম্মেলন ২০২৩। ‘জাত উন্নয়নের অগ্রপথিক’- এই স্লোগান কে সামনে নিয়ে গত সোমবার (৪ মার্চ ২০২৪) দিনাজপুর রিজিওনের প্রায় ২০০ জন কৃত্রিম প্রজনন সেবাকর্মীদের নিয়ে দিনাজপুর ব্র্যাক লার্নিং সেন্টারে বার্ষিক সম্মেলন ২০২৩ অনুষ্ঠিত ।

কৃষকের সীমিত সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহার ও উৎপাদন বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে ব্র্যাক ১৯৮৭ সালে কৃত্রিম প্রজননের মাধ্যমে গবাদীপশুর জাত উন্নয়ন কার্যক্রম হাতে নেয় । সে সময়ে দেশি জাতের গবাদীপশু কম ছিল, তাই দুধ উৎপাদন বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে কৃত্রিম প্রজনন সেবাকে খামারীদের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার জন্য ব্র্যাক প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর হতে তরল সিমেন নিয়ে এই কার্যক্রম শুরু করে। তরল সিমেনের মাধ্যমে কৃত্রিম প্রজনন সেবা প্রদান করার ফলে দেশী গরুর জাত উন্নয়ন প্রক্রিয়া কিছুটা গতি লাভ করলেও এই তরল সিমেনের সংরক্ষণ ও গুণগত মান রক্ষা করা কঠিন ছিল। তাই গুণগত মানের কৃত্রিম প্রজনন সেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ২০০০ সালে ব্র্যাক নিজস্ব বুল স্টেশনে হিমায়িত সিমেন উৎপাদন শুরু করে। বর্তমানে ব্র্যাকের ২ টি বুল স্টেশনে ৪ হাজারের অধিক কর্মী দেশের ৬৪ জেলায় নিয়োজিত থেকে প্রতিবছর লাখ লাখ গাভীকে কৃত্রিম প্রজনন সেবা প্রদান করে যাচ্ছে।
উক্ত অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন দিনাজপুর রিজিওনের আরএসএম ডা. মোঃ এরমান আলী । তিনি আগত সকল অতিথিদের ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য প্রদান করেন। এরপর পশ্চিমাঞ্চলের জোনাল ম্যানেজার এম. এ মান্নান AISP দের উদ্দেশ্য সুন্দর দিকনির্দেশনামূলক আলোচনা করেন। এরপর সকল AISP এবং আগত অতিথিদের প্রধান আকর্ষণ অলোংকৃত করেন ব্র্যাক এআই এন্টারপ্রাইজ এর সিনিয়র ডিরেক্টর জনাব আনিসুর রহমান, তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান এজিএম মহোদয়।

আগত সকল অতিথিদের মাঝে AISP দের গত ২ বছরের কাজের মূল্যায়ণস্বরুপ সারা বাংলাদেশের জাতীয় পর্যায়ে সেরা ৯ জন এআই কর্মীদের সাফল্য নিয়ে একটি ভিডিও চিত্র প্রজেক্টরের মাধ্যমে প্রদর্শন করা হয়।

এরপর বক্তব্য রাখেন ব্র্যাক কৃত্রিম প্রজনন এন্টারপ্রাইজ এর সিনিয়র ডিরেক্টর জনাব আনিসুর রহমান, শুরুতেই তিনি সকলের কাছে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন ব্র্যাকের প্রতিষ্ঠাতা স্যার ফজলে হাসান আবেদ আজ থেকে ৪০-৪৫ বছর আগে চিন্তা চেতনা করেছিলেন বাংলাদেশের মানুষের দারিদ্র্য বিমোচন করতে হবে যার ফলে মিলবে তাদের স্বচ্ছলতা। বর্তমানে গবাদি প্রাণির জাত উন্নয়নের ফলে গ্রামীন জনগোষ্ঠীর দারিদ্র্য বিমোচন হয়েছে। আর এই ব্যাক্তি বা খামারী পর্যায়ে যে উন্নয়ন হচ্ছে এবং গ্রামের দরিদ্র মানুষদেরকে দারিদ্র থেকে বের হয়ে এসে স্বাবলম্বী হতে ব্র্যাকের কৃত্রিম প্রজনন সেবাকর্মীরা প্রধান নিয়ামক হিসেবে কাজ করছে। তিনি আরো বলেন ব্র্যাকের এআই কর্মীদের প্রতিবছর নাম্বার ডাটা এনালাইসিস করে রিফ্রেশার প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করবে ব্র্যাক কৃত্রিম প্রজনন এন্টারপ্রাইজ। যেখানে তাদের জ্ঞান ও দক্ষতার ঘাটতি আছে সেই জায়গাগুলো রিকোভার করতে হবে। ব্র্যাকের এআই কর্মীদের উদ্দেশ্য করে বলেন আপনারা অবশ্যই ট্রেইনিং এর বিষয়টা সিরিয়াসলি দেখবেন এবং যারা এই কর্মী হিসেবে যে এলাকায় কাজ করছেন সেই এলাকায় একটা ভালো পরিচিতি তৈরি করবেন যোগাযোগ ব্যবস্থা তরান্নিত করবেন এবং কাজে সততা ও নিষ্ঠার পরিচয় দেওয়ার আহ্বান জানান। তিনি আরো যোগ করেন দেশে প্রায় প্রতিবছর ৩ হাজার কোটি টাকার গুড়ো দুধ আমদানি করতে হয় এতে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রার অপচয় হচ্ছে। এমতাবস্থায় গবাদি প্রাণির জাত উন্নয়নের মাধ্যমেই দেশে দুধ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন সম্ভব।

এরপর ব্র্যাক কৃত্রিম প্রজনন এন্টারপ্রাইজ এর এজিএম ডা. মোঃ শওকত আলী, শুরুতেই তিনি সকল এআই কর্মীদের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও কৃতজ্ঞতা জানান।


তিনি অনুষ্ঠানে ব্র্যাকের কৃত্রিম প্রজনন কার্যক্রমকে ত্বরান্বিত করা এবং গুণগত মানের সেবা কিভাবে খামারির কাছে সহজে পৌছানো যায় সেই বিষয়ে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সুন্দর তথ্যবহুল যুগোপযোগী আলোচনা করেন। এসময় তিনি বলেন, Brac AI Enterprise বর্তমানে দেশের ৬৪ জেলার ৪৮০ টি উপজেলার শহর থেকে প্রান্তিক পর্যায়ে খামারিদের ব্র্যাকের উন্নত জাতের গুনগতমান সম্পন্ন সিমেন দিয়ে কৃত্রিম প্রজনন সেবা নিশ্চিত করছে। এর ফলে দেশের দুধ ও মাংসে স্বয়ংসম্পূর্ণ অর্জনে ব্র্যাক সাফল্যের অনন্য দাবিদার। এছাড়া ব্র্যাকের উদ্যোগেই প্রথম দেশে নারী কৃত্রিম প্রজনন কর্মী কাজ শুরু করে। বর্তমানে ৫২ জন নারী ব্র্যাকের কৃত্রিম প্রজনন সেবা খামারিদের দিয়ে যাচ্ছে। যার ফলে দুগ্ধ শিল্পে নতুন মাত্রার গতি সঞ্চার হয়েছে। তিনি বলেন ভারতের শ্বেত বিপ্লবের কারিগর ভার্গিস কুরিয়ানের ন্যায় ব্র্যাকের প্রতিষ্ঠাতা স্যার ফজলে হাসান আবেদ কে সহজেই তুলনা করা যায় বাংলাদেশের দুগ্ধ শিল্পের বিকাশে অন্যতম কারিগর হিসেবে। তিনি বাংলাদেশের দুগ্ধ শিল্পের বিকাশের জন্য ১৯৮৭ সালে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রথম কৃত্রিম প্রজনন সেবা চালু করেন যা বর্তমানে ৩৭ বছর পেরিয়ে খামারীদের নিকট সততা ও নিষ্ঠার সাথে উন্নত গুনগতমান সম্পন্ন কৃত্রিম প্রজনন সেবা দিয়ে যাচ্ছে। যার ফলে বাংলাদেশ এখন অনেকটা দুধ ও মাংসে স্বয়ংসম্পূর্ণ। আগামীর স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানে দরকার Smart AISP সে লক্ষ্যে ১১ টি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে বিভিন্ন প্রশিক্ষণের মাধ্যমে জ্ঞান ও দক্ষ কর্মী তৈরিতে নিরলসভাবে কাজ করছে ব্র্যাক। বর্তমানে ব্র্যাক বাংলাদেশে কৃত্রিম প্রজননে সর্ববৃহৎ প্রতিষ্ঠান এবং সবচেয়ে বেশি প্রায় ১০ লাখের অধিক খামারিদের প্রজনন সেবা প্রদান করে আসেছে। যার ফলে দেশে প্রতিবছর ২৩ লাখের অধিক উন্নত জাতের বাছুর উৎপাদন করছে ব্র্যাক এবং তৈরি হচ্ছে অধিক উৎদপাদনশীল গাভী ফলে বৃদ্ধি পাচ্ছে দুধ ও মাংসের উৎপাদন। তিনি আরো বলেন, ব্র্যাক কৃত্রিম প্রজনন সেবা অত্যন্ত সফল। ব্র্যাকের কৃত্রিম প্রজনন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কর্মীরা প্রকৃতপক্ষে কৃষকদের গাভী প্রজননের জন্য সরাসরি কৃষকের বাড়িতে আসেন এবং ব্র্যাকের সিমেনের গর্ভধারণের হার গড়ে ৭০ শতাংশেরও বেশি।

ডা. শওকত আলী আরো যোগ করেন ব্র্যাক আগামীতে আরো উন্নত সেবা প্রদানের লক্ষ্যে বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহন করেছে। ব্র্যাক তার নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় আধুনিক ২ টি বুল স্টেশনের মাধ্যমে বাংলাদেশের ৬৪ জেলায় ৪৯৫ টি উপজেলার সকল খামারীকে কৃত্রিম প্রজননের আওতায় নিয়ে আসবে এবং সেই সাথে বাংলাদেশের মোট কৃত্রিম প্রজননের ৮০ ভাগ খামারীকে ব্র্যাকের সিমেন ব্যবহার নিশ্চিত করবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন। এআই কর্মীদের জন্য ব্র্যাক যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহন করেছে। বাংলাদেশে প্রথমবারের মত কৃত্রিম প্রজনন সেবা কর্মীদের জন্য সাহসী পদক্ষেপ যৌথ সঞ্চয় তহবিল প্রেনশন এর ব্যবস্থা করেছে যাতে কর্মীদের অবসর জীবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। ব্র্যাক নিজস্ব বুল এন্ড বাক মাদার হার্ড চালু করেছে। এআই এন্টারপ্রাইজ সম্পূর্ণ ডিজিটাল করা হচ্ছে। কর্মীদের জন্য এপস তৈরির কাজ চলছে। নিজস্ব নাইট্রোজেন সংরক্ষণ সেন্টার করা হয়েছে। ২ টি আধুনিক বুল স্টেশনে বার্ষিক ৯৫ লাখ সিমেন উৎপাদন সক্ষমতা অর্জন করেছে। ব্র্যাক সিমেনের গুনগত মানের জন্য বাংলাদেশে প্রথম ISO সনদ লাভ করেছে। গত তিন বছরে ১ লাখ ২০ হাজার খামারিদের প্রশিক্ষণ প্রদান করেছে । গত তিন বছরে ১২৫ জন রোগে আক্রান্ত ও দুর্ঘটনায় আহত এবং ৩২ জন নিহত কর্মীদের পরিবারকে আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করেছে ব্র্যাক। এই সম্মেলনের উদ্দেশ্য কর্মীদের গত ২ বছরের কাজের মূল্যায়ন স্বরুপ কর্মীদের পুরুষ্কৃত করা, খেলাধুলা, মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং আগামী দিনে আরো অধিক উন্নত সেবা প্রদান, খামারী পর্যায়ে পৌঁছে দেওয়ার বিষয়ে উদ্বুদ্ধ করা হয়।

অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন দিনাজপুর জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ডা. মোঃ সরোয়ার হাসান, দিনাজপুর সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোঃ গোলাম কিবরিয়া, দিনাজপুর জেলা ভেটেরিনারি হাসপাতালের, জেলা ভেটেরিনারি অফিসার, ড. আশিকা আকবর তৃষা, হাজী দানেস বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি এন্ড এনিমেল সায়েন্স অনুষদের ডীন, প্রফেসর ড. উম্মে সালমা, হাবিপ্রবি এর মেডিসিন সার্জারী এন্ড অবস্ বিভাগের ভেটেরিনারি এন্ড এনিমেল সায়েন্স অনুষদের প্রফেসর ড. বেগম ফাতেমা জোহরা। এসময় অতিথিরা দিনাজপুর রিজিওনের সেরা সেবাকর্মীদের পুরষ্কার প্রদান করেন এবং তারা কর্মীদের জন্য ব্র্যাকের এই ধরণের উদ্যোগকে স্বাগত ও ধন্যবাদ জানান। তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেন ২০৪১ সালে উন্নত বাংলাদেশ তথা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে প্রাণিসম্পদ এবং ব্র্যাক যৌথভাবে কাজ করবে। অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য ব্র্যাককে ধন্যবাদ জানান। অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেন ব্র্যাক এআই এন্টারপ্রাইজ এর রংপুর রিজিওনের ভিএস ডা. দেবদ্রুত।

এছাড়াও অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন ব্র্যাক দিনাজপুর বিএলসি অপারেশন ম্যানাজার জাহাঙ্গীর আলম, দিনাজপুর বিডিসি, সহ এরিয়া সেলস ম্যানেজার মোঃ জাহিদ হোসেন, মোঃ আমিনুল ইসলাম, আবু সায়েম, আবু জাফর, সিমা আক্তার প্রমুখ । উক্ত অনুষ্ঠানে সারাদিন ব্যাপি কর্মীদের জন্য ছিল ব্যবসায়িক আলোচনা, খেলাধুলা, পুরুষ্কার বিতরণ, রাফেল ড্র। শেষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সফল বার্ষিক সম্মেলন সমাপ্ত হয়।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মার্চ ৩, ২০২৪ ১০:১৮ অপরাহ্ন
জাত উন্নয়নের অগ্রপথিক শ্লোগানে ব্র্যাক কৃত্রিম প্রজনন এন্টারপ্রাইজের AISP বার্ষিক সম্মেলন ২০২৩ অনুষ্ঠিত
প্রাণিসম্পদ

জাঁকজমকপূর্ণভাবে চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত হলো ব্র্যাক কৃত্রিম প্রজনন সেবাকর্মীদের বার্ষিক সম্মেলন ২০২৩। ‘জাত উন্নয়নের অগ্রপথিক’- এই স্লোগান কে সামনে নিয়ে গত সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪) চ্ট্টগ্রাম রিজিওনের প্রায় ২৩০ জন কৃত্রিম প্রজনন সেবাকর্মীদের নিয়ে চট্টগ্রামের ভাটিয়ারী ক্যান্টনমেন্টের হিলভিউ পার্ক এন্ড ক্যাফেতে আনুষ্ঠানিকভাবে বার্ষিক সম্মেলন ২০২৩ এর উদ্বোধনী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

কৃষকের সীমিত সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহার ও উৎপাদন বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে ব্র্যাক ১৯৮৭ সালে কৃত্রিম প্রজননের মাধ্যমে গবাদীপশুর জাত উন্নয়ন কার্যক্রম হাতে নেয় । সে সময়ে দেশি জাতের গবাদীপশু কম ছিল, তাই দুধ উৎপাদন বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে কৃত্রিম প্রজনন সেবাকে খামারীদের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার জন্য ব্র্যাক প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর হতে তরল সিমেন নিয়ে এই কার্যক্রম শুরু করে। তরল সিমেনের মাধ্যমে কৃত্রিম প্রজনন সেবা প্রদান করার ফলে দেশী গরুর জাত উন্নয়ন প্রক্রিয়া কিছুটা গতি লাভ করলেও এই তরল সিমেনের সংরক্ষণ ও গুণগত মান রক্ষা করা কঠিন ছিল। তাই গুণগত মানের কৃত্রিম প্রজনন সেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ২০০০ সালে ব্র্যাক নিজস্ব বুল স্টেশনে হিমায়িত সিমেন উৎপাদন শুরু করে। বর্তমানে ব্র্যাকের ২ টি বুল স্টেশনে ৪ হাজারের অধিক কর্মী দেশের ৬৪ জেলায় নিয়োজিত থেকে প্রতিবছর লাখ লাখ গাভীকে কৃত্রিম প্রজনন সেবা প্রদান করে যাচ্ছে।


উক্ত অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম রিজিওনের আরএসএম মোঃ মোহসিন আলী খান। তিনি আগত সকল অতিথিদের ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য প্রদান করেন। এরপর পূর্বাঞ্চলের জোনাল ম্যানেজার এ.এফ.এম মানজুরুর রহমান AISP দের উদ্দেশ্য সুন্দর দিকনির্দেশনামূলক আলোচনা করেন।
আগত সকল অতিথিদের মাঝে AISP দের গত ২ বছরের কাজের মূল্যায়ণস্বরুপ সারা বাংলাদেশের জাতীয় পর্যায়ে সেরা ৯ জন এআই কর্মীদের সাফল্য নিয়ে একটি ভিডিও চিত্র প্রজেক্টরের মাধ্যমে প্রদর্শন করা হয়।


এরপর সকলের প্রধান আকর্ষণ ব্র্যাক কৃত্রিম প্রজনন এন্টারপ্রাইজ এর এজিএম ডা. মোঃ শওকত আলী সকল এআই কর্মীদের মাঝে প্রবেশ করেন। শুরুতেই তিনি সকল এআই কর্মীদের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও কৃতজ্ঞতা জানান।
তিনি অনুষ্ঠানে ব্র্যাকের কৃত্রিম প্রজনন কার্যক্রমকে ত্বরান্বিত করা এবং গুণগত মানের সেবা কিভাবে খামারির কাছে সহজে পৌছানো যায় সেই বিষয়ে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সুন্দর তথ্যবহুল যুগোপযোগী আলোচনা করেন। এসময় তিনি বলেন, Brac AI Enterprise বর্তমানে দেশের ৬৪ জেলার ৪৮০ টি উপজেলার শহর থেকে প্রান্তিক পর্যায়ে খামারিদের ব্র্যাকের উন্নত জাতের গুনগতমান সম্পন্ন সিমেন দিয়ে কৃত্রিম প্রজনন সেবা নিশ্চিত করছে। এর ফলে দেশের দুধ ও মাংসে স্বয়ংসম্পূর্ণ অর্জনে ব্র্যাক সাফল্যের অনন্য দাবিদার। এছাড়া ব্র্যাকের উদ্যোগেই প্রথম দেশে নারী কৃত্রিম প্রজনন কর্মী কাজ শুরু করে। বর্তমানে ৫২ জন নারী ব্র্যাকের কৃত্রিম প্রজনন সেবা খামারিদের দিয়ে যাচ্ছে। যার ফলে দুগ্ধ শিল্পে নতুন মাত্রার গতি সঞ্চার হয়েছে। তিনি বলেন ভারতের শ্বেত বিপ্লবের কারিগর ভার্গিস কুরিয়ানের ন্যায় ব্র্যাকের প্রতিষ্ঠাতা স্যার ফজলে হাসান আবেদ কে সহজেই তুলনা করা যায় বাংলাদেশের দুগ্ধ শিল্পের বিকাশে অন্যতম কারিগর হিসেবে। তিনি বাংলাদেশের দুগ্ধ শিল্পের বিকাশের জন্য ১৯৮৭ সালে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রথম কৃত্রিম প্রজনন সেবা চালু করেন যা বর্তমানে ৩৭ বছর পেরিয়ে খামারীদের নিকট সততা ও নিষ্ঠার সাথে উন্নত গুনগতমান সম্পন্ন কৃত্রিম প্রজনন সেবা দিয়ে যাচ্ছে। যার ফলে বাংলাদেশ এখন অনেকটা দুধ ও মাংসে স্বয়ংসম্পূর্ণ। আগামীর স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানে দরকার Smart AISP সে লক্ষ্যে ১১ টি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে বিভিন্ন প্রশিক্ষণের মাধ্যমে জ্ঞান ও দক্ষ কর্মী তৈরিতে নিরলসভাবে কাজ করছে ব্র্যাক। বর্তমানে ব্র্যাক বাংলাদেশে কৃত্রিম প্রজননে সর্ববৃহৎ প্রতিষ্ঠান এবং সবচেয়ে বেশি প্রায় ১০ লাখের অধিক খামারিদের প্রজনন সেবা প্রদান করে আসেছে। যার ফলে দেশে প্রতিবছর ২৩ লাখের অধিক উন্নত জাতের বাছুর উৎপাদন করছে ব্র্যাক এবং তৈরি হচ্ছে অধিক উৎদপাদনশীল গাভী ফলে বৃদ্ধি পাচ্ছে দুধ ও মাংসের উৎপাদন। তিনি আরো বলেন, ব্র্যাক কৃত্রিম প্রজনন সেবা অত্যন্ত সফল। ব্র্যাকের কৃত্রিম প্রজনন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কর্মীরা প্রকৃতপক্ষে কৃষকদের গাভী প্রজননের জন্য সরাসরি কৃষকের বাড়িতে আসেন এবং ব্র্যাকের সিমেনের গর্ভধারণের হার গড়ে ৭০ শতাংশেরও বেশি।

ডা. শওকত আলী আরো যোগ করেন ব্র্যাক আগামীতে আরো উন্নত সেবা প্রদানের লক্ষ্যে বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহন করেছে। ব্র্যাক তার নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় আধুনিক ২ টি বুল স্টেশনের মাধ্যমে বাংলাদেশের ৬৪ জেলায় ৪৯৫ টি উপজেলার সকল খামারীকে কৃত্রিম প্রজননের আওতায় নিয়ে আসবে এবং সেই সাথে বাংলাদেশের মোট কৃত্রিম প্রজননের ৮০ ভাগ খামারীকে ব্র্যাকের সিমেন ব্যবহার নিশ্চিত করবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন। এআই কর্মীদের জন্য ব্র্যাক যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহন করেছে। বাংলাদেশে প্রথমবারের মত কৃত্রিম প্রজনন সেবা কর্মীদের জন্য সাহসী পদক্ষেপ যৌথ সঞ্চয় তহবিল প্রেনশন এর ব্যবস্থা করেছে যাতে কর্মীদের অবসর জীবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। ব্র্যাক নিজস্ব বুল এন্ড বাক মাদার হার্ড চালু করেছে। এআই এন্টারপ্রাইজ সম্পূর্ণ ডিজিটাল করা হচ্ছে। কর্মীদের জন্য এপস তৈরির কাজ চলছে। নিজস্ব নাইট্রোজেন সংরক্ষণ সেন্টার করা হয়েছে। ২ টি আধুনিক বুল স্টেশনে বার্ষিক ৯৫ লাখ সিমেন উৎপাদন সক্ষমতা অর্জন করেছে। ব্র্যাক সিমেনের গুনগত মানের জন্য বাংলাদেশে প্রথম ISO সনদ লাভ করেছে। গত তিন বছরে ১ লাখ ২০ হাজার খামারিদের প্রশিক্ষণ প্রদান করেছে । গত তিন বছরে ১২৫ জন রোগে আক্রান্ত ও দুর্ঘটনায় আহত এবং ৩২ জন নিহত কর্মীদের পরিবারকে আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করেছে ব্র্যাক। এই সম্মেলনের উদ্দেশ্য কর্মীদের গত ২ বছরের কাজের মূল্যায়ন স্বরুপ কর্মীদের পুরুষ্কৃত করা, খেলাধুলা, মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং আগামী দিনে আরো অধিক উন্নত সেবা প্রদান, খামারী পর্যায়ে পৌঁছে দেওয়ার বিষয়ে উদ্বুদ্ধ করা হয়।


অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন চট্রগাম জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. নজরুল ইসলাম, চট্রগ্রাম জেলা কৃত্রিম প্রজনন কেন্দ্রের উপপরিচালক ডা. সৈয়দ মো. ওয়ারেস কামাল, চট্টগ্রাম জেলা কৃত্রিম প্রজনন কেন্দ্রের থেরিওজেনোলজিস্ট ড. ওমর ফারুক। এসময় অতিথিরা চ্ট্টগ্রাম রিজিওনের সেরা ২৭ জন সেবাকর্মীদের পুরষ্কার প্রদান করেন এবং তারা কর্মীদের জন্য ব্র্যাকের এই ধরণের উদ্যোগকে স্বাগত ও ধন্যবাদ জানান। তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেন ২০৪১ সালে উন্নত বাংলাদেশ তথা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে প্রাণিসম্পদ এবং ব্র্যাক যৌথভাবে কাজ করবে। অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য ব্র্যাককে ধন্যবাদ জানান। অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেন ব্র্যাক এআই এন্টারপ্রাইজ এর চট্টগ্রাম রিজিওনের ভিএস ডা. মেরিনা ঘোষ।

এছাড়াও অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন ব্র্যাক চট্টগ্রাম রিজিওনের বিডিসি এনামুর রহমান,জেজাডি এর আরএম হামিদুর হক সহ এরিয়া সেলস ম্যানেজারবৃন্দ। উক্ত অনুষ্ঠানে সারাদিন ব্যাপি কর্মীদের জন্য ছিল ব্যবসায়িক আলোচনা, খেলাধুলা, পুরুষ্কার বিতরণ, রাফেল ড্র। শেষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সফল বার্ষিক সম্মেলন সমাপ্ত হয়।

উল্লেখ্য, চট্রগ্রামের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর সারাদেশে ব্র্যাকের বিভিন্ন কৃত্রিম প্রজনন সেন্টারের মাধ্যমে আরো ২০টি স্থানে ৪০০০ কৃত্রিম প্রজনন কর্মীদের মধ্যে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ২৯, ২০২৪ ৯:৪৩ পূর্বাহ্ন
প্রতিদিন প্রোটিন খাই, শক্তি ও পুষ্টি পাই স্লোগানে পালিত হলো প্রোটিন দিবস
প্রাণিসম্পদ

প্রোটিনের গুরুত্ব ও উপকারিতা তুলে ধরার মাধ্যমে জনসচেতনতা বৃদ্ধি এবং স্বাস্থ্যবান ও মেধাবি জাতি গঠনে সরকারকে সহযোগিতা করার লক্ষ্য নিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মত বাংলাদেশেও গতকাল উদযাপিত হলো-  ‘প্রোটিন দিবস”। বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ডাষ্ট্রিজ সেন্ট্র্রাল কাউন্সিল (বিপিআইসিসি) এবং ইউ.এস. সয়াবিন এক্সপোর্ট কাউন্সিল (ইউ.এস.এস.ই.সি) যৌথভাবে এ দিবসটি উদযাপন করে। এ উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) ও সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে সেমিনার, র‌্যালি ও রচনা প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়; পোষ্টার ও স্মরণিকা প্রকাশ করা হয়। আগামী সপ্তাহে পটুয়াখালি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়েও অনুরূপ কর্মসূচী পালিত হবে।

দিবসটির উদযাপন উপলক্ষ্যে এক বার্তায় বিপিআইসিসি’র সভাপতি শামসুল আরেফিন খালেদ বলেন, বিগত বছরগুলোতে আমাদের দেশে প্রোটিন, বিশেষ করে প্রাণিজ প্রোটিন গ্রহণের পরিমাণ বেড়েছে তবে সচেতনতার অভাবে কাঙ্খিত অগ্রগতি অর্জন সম্ভব হয়নি। তিনি বলেন, বেঁচে থাকার জন্য আমরা খাদ্য গ্রহণ করি কিন্তু যতটুকু প্রোটিন খাওয়া দরকার তা কি খাচ্ছি? আমরা কি জানি কোন্ খাবারে কতটুকু প্রোটিন আছে? অল্প বয়সী শিশুটি, গর্ভবতী মা, যুবক-যুবতী কিংবা বয়স্ক মানুষের জন্য কতটুকু প্রোটিন দরকার?

ইউ.এস সয়াবিন এক্সপোর্ট কাউন্সিলের টীম লিড-বাংলাদেশ, খাবিবুর রহমান (কাঞ্চন) বলেন, প্রতি ৩জন বাংলাদেশীর মধ্যে ১জন মনে করে যে, প্রোটিনের ঘাটতি তাঁদের শরীরে তেমন একটা প্রভাব ফেলে না। ইউ.এস.এস.ই.সি কর্তৃক সম্পাদিত প্রোটিন পারসেপশন স্ট্যাডিতে অংশ নেয়া ৪৪ শতাংশ বাংলাদেশি মনে করেন যে, প্রোটিনের চেয়ে ভিটামিন এবং মিনারেল ঢের বেশি দরকারি। তাছাড়া বেশিরভাগ বাংলাদেশীই জানেন না প্রতিদিন কতটুক প্রোটিন গ্রহণ করা দরকার।

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত সেমিনারে উপস্থিত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাকৃবি উপাচার্য্য অধ্যাপক ড. এমদাদুল হক চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশের মানুষ নির্ধারিত মাত্রার চেয়েও ৪০ শতাংশ বেশি কার্বহাইড্রেট গ্রহণ করে থাকে। এ কারণে দেশের মোট কৃষি জমির বেশিরভাগ অংশ ধান চাষ করতেই অকুপায় হয়ে যাচ্ছে অথচ পরিকল্পিতভাবে চাষাবাদ করলে উদ্ভিজ্জ ও প্রাণিজ প্রোটিনের উৎপাদন বাড়ানো যেত। গবাদিপশুর চারণভূমি কিংবা গোখাদ্যের জন্য ঘাস চাষ করার মত জমি পাওয়া যেত।  ড. এমদাদুল হক বলেন, ভাতের চেয়ে ডিম অনেক বেশি পুষ্টিগুণসম্পন্ন খাদ্য। একজন মানুষ যদি অন্যকিছু না খেয়ে প্রতিদিন ৪-৫ টি ডিমও হয় তবে তার আর অন্যকিছুর প্রয়োজন হবে না। শুধু ডিম নয়, সুস্বাস্থ্যের অধিকারি হতে হলে অন্যান্য প্রোটিন জাতীয় খাদ্য যেমন- দুধ, মাছ ও মাংস গ্রহণ করাও অত্যন্ত জরুরি। তিনি বলেন- মেধাবি জাতি গঠন করতে হলে প্রোটিনের কোনো বিকল্প নেই।

বারডেম হাসপাতালের প্রধান পুষ্টিবিদ শামসুন্নাহার নাহিদ মহুয়া বলেন, প্রোটিন আমাদের অধিকার। ইট যেমন একটি পর একটি সাজিয়ে বিল্ডিং তৈরি হয় তেমনিই মানবদেহের বিল্ডিং ব্লক হচ্ছে প্রোটিন। আমাদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশ প্রোটিনের উপর নির্ভরশীল। ভেগান ও ভেজিটেরিয়ানদের ক্ষেত্রে প্রোটিন ঘাটতির ঝুঁকি অনেক বেশি। মহুয়া বলেন, প্রোটিন দেহের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বৃদ্ধি করে। প্রোটিনের অভাবে পেশি দুর্বলতা হয়, গর্ভধারণজনিত সমস্যা, এনিমিয়া, আলঝেইমারসহ নানাবিধ অসুস্থতা দেখা দিতে পারে। মহুয়ার মতে, ডিম হচ্ছে স্বল্প মূল্যের ফার্ষ্টক্লাশ প্রোটিন। ডিমের উপাদান- কোলিন আমাদের মস্তিষ্ক বিকাশের জন্য প্রয়োজন। এতে আরও রয়েছে ওমেগা৩ ফ্যাটি এসিড। তিনি বলেন- সয়া প্রোটিন দামে অত্যন্ত সস্তা। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে সয়া প্রোটিনের বহুল ব্যবহার থাকলেও আমাদের দেশে এর ব্যবহার কম।  সয়াতে প্রাকৃতিক ইস্ট্রোজেন হরমোনের পরিমাণ বেশি থাকে।  তাই নারীদের সয়া জাতীয় খাদ্য গ্রহণ করা উচিত।

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) অনুষ্ঠিত সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন পোলট্রি বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. ইলিয়াস হোসেন। আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, পশুপালন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. ছাজেদা আখতার, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম সরদার, পশুপুষ্টি বিভাগের অধ্যাপক ড. খান মো. সাইফুল ইসলাম, ফুড টেকনোলজি ও গ্রামীণ শিল্প বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল আলীম, ফিজিওলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহা. ইলিয়াছুর রহমান ভূঁইয়া এবং বিপিআইসিসি’র যোগাযোগ ও মিডিয়া উপদেষ্টা মো. সাজ্জাদ হোসেন।

সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য্য প্রফেসর ড. মো. জামাল উদ্দিন ভূঞা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভেটিরিনারি, এনিমেল ও বায়োমেডিক্যাল সায়েন্সেস অনুষদের ডীন প্রফেসর ড. মো. সিদ্দিকুল ইসলাম ও সিলেট বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পরিচালক ডা. মো. মারুফ হাসান। সভাপতিত্ব করেন পোল্ট্রি বিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি প্রফেসর ড. এ. এস. এম. মাহাবুব। অন্যান্যের মাঝে উপস্থিত ছিলেন বিপিআইসিসি’র সেক্রেটারি দেবাশিস নাগ।

প্রোটিন দিবসের রচনা প্রতিযোগিতায় পোল্ট্রি, মৎস্য ও ডেইরি ক্যাটাগরিতে বাকৃবি থেকে ৩জন এবং সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ৩জন- মোট ৬জন শিক্ষার্থীকে ক্রেষ্ট প্রদান করা হয়।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ২৮, ২০২৪ ১০:৪৪ পূর্বাহ্ন
সিকৃবিতে প্রোটিন দিবস পালিত
প্রাণিসম্পদ

স্বাস্থ্যবান জাতিগঠনে প্রোটিনের ভূমিকা অনস্বীকার্য। অথচ আমাদের দেশের শতকরা ৫০ ভাগ মানুষ প্রতিদিন প্রয়োজনের তুলনায় কম পরিমান প্রোটিন গ্রহণ করছে, পাশাপাশি শতকরা ৭০ভাগ প্রয়োজনের তুলনায় অধিক কার্বোহাইড্রেট গ্রহণ করছে। একজন মানুষের সুষ্ঠুভাবে জীবনধারণের জন্য বছরে কমপক্ষে ১০৪টি ডিম খাওয়া উচিত। অধিকাংশ ক্ষেত্রে প্রোটিন ও ভিটামিন কম এবং কার্বোহাইড্রেট বেশি গ্রহণের ফলে হার্টের সমস্যা, ডায়বেটিসের সমস্যাসহ নানাবিধ রোগে মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে। এর থেকে পরিত্রাণের একমাত্র উপায় হচ্ছে মানুষের সঠিক খাদ্যাভ্যাস গড়ে তোলা। মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রæয়ারি) সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিকৃবি) পোল্ট্রি বিজ্ঞান বিভাগের ব্যবস্থাপনায় এবং বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিল (বিপিআইসিসি) ও ইউএসএসসি এর যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন। “প্রতিদিন প্রোটিন খাই, শক্তি ও পুষ্টি পাই” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় প্রোটিন দিবস পালিত হয়েছে।

২৭ ফেব্রæয়ারি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আনন্দ শোভাযাত্রার মাধ্যমে প্রোটিন দিবসের অনুষ্ঠান শুরু হয়। শোভাযাত্রাটির নেতৃত্ব দিয়েছেন ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ডাঃ মোঃ জামাল উদ্দিন ভূঞা। পরবর্তীতে ভেটেরিনারি, এনিম্যাল ও বায়োমেডিক্যাল সায়েন্সেস অনুষদের সম্মেলন কক্ষে পোল্ট্রি বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এ. এস. এম. মাহবুবের সভাপতিত্বে একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন প্রফেসর ডাঃ মোঃ জামাল উদ্দিন ভূঞা। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ভেটেরিনারি, এনিম্যাল ও বায়োমেডিক্যাল সায়েন্সেস অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোঃ ছিদ্দিকুল ইসলাম, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পরিচালক ডাঃ মোঃ মারুফ হাসান, বিপিআইসিসি এর সচিব দেবাশীষ নাগ, প্রোটিন দিবস উদযাপন কমিটির কো-অর্ডিনেটর প্রফেসর ড. এম রাশেদ হাসনাত প্রমুখ।

প্রাণী পুষ্টি বিভাগের সহকারী প্রফেসর ডাঃ জান্নাতুল মাওয়া মুমুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন পোল্ট্রি বিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ইউসূফ এবং মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রাণী পুষ্টি বিভাগের প্রফেসর ড. মোঃ জসিম উদ্দিন।

 

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ২৭, ২০২৪ ৩:৪২ অপরাহ্ন
বাকৃবিতে প্রথমবার প্রোটিন দিবস পালিত
প্রাণিসম্পদ

দীন মোহাম্মদ দীনুঃ বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) ,ইউএস সয়াবিন এক্সপোর্ট কাউন্সিল এবং বাংলাদেশ প্লোট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিল এর আয়োজনে ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ সকাল ১০:০০ টায় সৈয়দ নজরুল ইসলাম সম্মেলন কক্ষে প্রোটিন দিবস উপলক্ষে আলোচনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠনের শুরুতে একটি বর্নাঢ্য র‌্যালীর মাধ্যমে প্রথমবারেরমতো প্রোটিন দিবস পালন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাকৃবি ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এমদাদুল হক চৌধুরী। তিনি বলেন, একজন মানুষের দৈনিক গড়ে ৫০ শতাংশ প্রোটিন প্রয়োজন, তাই ভাত কম খেয়ে প্রোটিন সম্মৃদ্ধ খাবার খাওয়ার আহবান জানান তিনি ।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ইউএস সয়াবিন এক্সপোর্ট কাউন্সিল বাংলাদেশের টিম লিডার মি. খাবিবুর রহমান এবং মূখ্য আলোচক হিসাবে প্রোটিনের গুরুত্ব সম্পর্কে আলোচনা করেন বারডেম হাসপাতাল, ঢাকা এর ডায়েট এন্ড নিউট্রিশন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান শামছুন্নাহার নাহিদ (মহুয়া) ।

পোল্ট্রি সায়েন্স বিভাগের প্রফেসর ড. ইলিয়াস হোসেন এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডিন কাউন্সিলের আহবায়ক প্রফেসর ড. ছাজেদা আক্তার।
জান্নআতুন নাঈম ঐশী এবং মোঃ মোহাইমেন হোসেন এর সঞ্চালনায় আলোচক হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন ফিজিওলজি বিভাগের প্রধান প্রফেসর ড. মোঃ ইলিয়াছুর রহমান ভুঁইয়া, ফুড টেকনোলজি ও গ্রামীণ শিল্প বিভাগের প্রফেসর ড. মোঃ আব্দল আলীম, পশুপুষ্টি বিভাগের প্রফেসর ড. খান মোঃ সাইফুল ইসলাম এবং বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. মোঃ রফিকুল ইসলাম সরদার।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মোঃ হারুন-অর-রশিদ সহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ও ছাত্রছাত্রী উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ২২, ২০২৪ ৮:২৫ অপরাহ্ন
রংপুরে “বিজ্ঞান ভিত্তিক মহিষ পালন এবং খামার ব্যবস্থাপনা” শীর্ষক খামারী প্রশিক্ষণ
প্রাণিসম্পদ

রংপুর জেলার গংগাচড়া উপজেলায় “বিজ্ঞান ভিত্তিক মহিষ পালন ও খামার ব্যবস্থাপনা” শীর্ষক তিন দিনব্যাপী খামারী প্রশিক্ষণের উদ্বোধন করা হয়েছে। ২২ ই ফেব্রুয়ারী, ২০২৪ খ্রিঃ তারিখ বুধবার সকালে বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইন্সটিটিউট এর বাস্তবায়নে ও উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর, গংগাচড়ার সহযোগীতায় উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরে সুফলভোগী নির্বাচিত ৫০ জন মহিষ খামারীদের নিয়ে তিন দিনব্যাপী প্রশিক্ষণের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব জনাব এ.টি.এম. মোস্তফা কামাল। আরো উপস্থিত ছিলেন ডাঃ আনন্দ কুমার অধিকারী, পরিচালক (কৃত্রিম প্রজনন), প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর; ডাঃ মোঃ এনামুল হক, জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা. রংপুর; মহিষ গবেষণা ও উন্নয়ন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ড. গৌতম কুমার দেব, বিএলআরআই, সাভার, ঢাকা। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ সাখাওয়াৎ হোসেন।

তিন দিনব্যাপী এই প্রশিক্ষণ কর্মশালার মাধ্যমে গংগাচড়া উপজেলার মহিষ খামারীগণ লাভজনক পদ্ধতিতে খামারে মহিষ লালন পালন, বয়সভিত্তিক বিভিন্ন মহিষের খাদ্য ব্যাবস্থাপনা, কাঁচা ঘাস প্রক্রিয়াজাতকরণ ও ভেজা খড় সংরক্ষণের আধুনিক প্রযুক্তি, গর্ববতী, প্রসূতী, দুগ্ধবতী ও বাছুরের স্বাস্থ্য ব্যাবস্থাপনা, প্রজনন স্বাস্থ্য ব্যাবস্থাপনা, মহিষের রোগ প্রতিরোধে করণীয়, টিকা প্রদান ও কৃমি মুক্ত করার প্রয়োজনীয়তা ও নিয়মাবলী, কৃমি প্রতিরোধে খামারীদের করনীয় সম্পর্কে জানতে পারবেন। বাংলাদেশে প্রাপ্ত মহিষের জাতসমূহ, দুধালো গাভী মহিষ, আদর্শ প্রজনন উপযোগি ষাঁড় মহিষ নির্বাচন সম্পর্কে খামারীরা সুনিপুণ ধারণা অর্জন করবেন। এছাড়াও খামারীদেরকে সুষম দানাদার খাবার মিশ্রণ প্রক্রিয়া, ইউএমএস, সাইলেজ বানানোর পদ্ধতি হাতে কলমে শেখানো ও ডেমোনেস্ট্রেশন মাধ্যমে জ্ঞান অর্জন করবেন।

এই প্রশিক্ষণ কর্মশালার কোর্স কো-অর্ডিনেটরের দায়িত্বে আছেন বিএলআরআই-এর মহিষ গবেষণা ও উন্নয়ন প্রকল্পের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মোঃ কামরুল হাসান মজুমদার।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ২১, ২০২৪ ১০:৫০ পূর্বাহ্ন
বিএলআরআই তে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ২০২৪ পালিত
প্রাণিসম্পদ

যথাযথ ভাবগাম্ভীর্য ও বিনম্র শ্রদ্ধার সাথে বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএলআরআই) কর্তৃক ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ খ্রিঃ তারিখে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস এবং ভাষা শহিদ দিবস উদযাপিত হয়েছে।

একুশের প্রথম প্রহরে রাত ১২.০১ ঘটিকায় সাভার উপজেলায় অবস্থিত স্বাধীনতা চত্ত্বরের শহীদ মিনারে ভাষা শহিদদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে দিনব্যাপী কর্মসূচি শুরু হয়। বিএলআরআই এর মহাপরিচালক ড. এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন মহোদয়ের নেতৃত্বে এসময় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন ইনস্টিটিউটের বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধানগণ, প্রকল্প পরিচালকগণসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন বিজ্ঞানী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ।

এরপর সকালে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং অর্ধনমিত করা হয়। বাদ জোহর বিএলআরআই এর জামে মসজিদে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে।

এছাড়াও বিএলআরআই এর আঞ্চলিক কেন্দ্রগুলো স্ব স্ব উপজেলা পরিষদের সাথে সমন্বয় করে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ২০, ২০২৪ ৯:৩৬ পূর্বাহ্ন
বাছুরের ডায়রিয়া দেখা দিলে খামারির করণীয়
প্রাণিসম্পদ

আমাদের দেশের গ্রামাঞ্চল থেকে শুরু করে এখন শহরেও দেখা মিলে অনেক গরুর খামার। আর গরু পালন করতে গিয়ে খামারিরা নানাবিধ সমস্যায় পড়ছেন। অনেক সময় বাছুরের ডায়রিয়া রোগ দেখা দিয়ে থাকে। আর তখন একজন খামারিকে কি করতে হবে সেটা জানা উচিত।

 

বাছুরের তীব্র ডায়রিয়ার কারণ:
বাছুরকে অতিরিক্ত ফ্যাটযুক্ত দুধ খাওয়ানো, অতিরিক্ত দুধ খাওয়ানো বা খেয়ে ফেলা, খাবারের পাত্র এবং ফিডার নোংরা বা ময়লা হলে, বাছুর কৃমিতে আক্রান্ত হলে, শাল দুধের গুণাগুণ ভাল না হলে, বাছুরের থাকার জায়গাটা নোংরা, স্যাঁতসেঁতে হলে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ হলে।

বাছুরের এই তীব্র ডায়রিয়ায় খামারি যা করবে:
ডায়রিয়া দেখার সাথে সাথে আলাদা করে শুকনা পরিষ্কার জায়গায় রাখতে হবে বাছুরকে।খাবারের পাত্র এবং ফিডার বোতল পরিষ্কার করে খাওয়াতে হবে। বাছুরকে তার বড়ি ওয়েটের ১০% দুধ খাওয়াবেন অর্থাৎ ৪০ কেজি ওজনের বাচ্ছাকে দুধ খাওয়াবেন ৪ লিটার। শালদুধের গুণাগুণ পরিমাপ করে দেখতে হবে। ডায়রিয়া দেখার সাথে সাথেই স্যালাইন খাওয়াতে হবে দিনে ৩ বার ২৫০ মিলি করে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ৪, ২০২৪ ২:০৯ অপরাহ্ন
বাংলাদেশে নারীদের জলবায়ু সহনশীল জলজ খাদ্য ব্যবস্থাপনা শীর্ষক কর্মশালা ঢাকায় অনুষ্ঠিত
কৃষি বিভাগ

দীন মোহাম্মদ দীনুঃ বাংলাদেশে কম বয়সী নারী ও বালিকাদের স্বাস্থ্যকর জীবনের জন্য জলবায়ু-সহনশীল জলজ খাদ্য ব্যবস্থা’ (অ্যাকোয়াফুড) শীর্ষক প্রকল্পের স্টেকহোল্ডার মত বিনিময় এবং উদ্বোধনী কর্মশালা রবিবার ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়েছে। ঢাকার গুলশানে অবস্থিত হোটেল লেক ক্যাসেলে
এই স্টেকহোল্ডার উদ্বোধনী কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী জনাব মোঃ আব্দুর রহমান এমপি।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিরেক্টর ফর নিউট্রিশন, সিজিআইএআর ড. শকুন্তলা থিলস্টেড। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এমদাদুল হক চৌধুরী, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ দিদার-উল-আলম।


কর্মশালায় বিদেশী অতিথি, ড. নান্না রুস, অ্যাকুয়াফুড প্রকল্পের প্রধান গবেষক এবং সমন্বয়কারী, প্রফেসর ড. ডেভিড লিটিল, ইউনিভার্সিটি অফ স্টার্লিং, যুক্তরাজ্য, প্রফেসর ড. বাউকি ডি রুস, ইউনিভার্সিটি অফ অ্যাবারডিন, যুক্তরাজ্য; বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকবৃন্দ, বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের গবেষকবৃন্দ, বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার উন্নয়ন বিশেষজ্ঞগণ, উদ্যোক্তাবৃন্দ, অন্যান্য সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন ।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের একোয়াকালচার বিভাগের শিক্ষক এবং একোয়াফুড প্রজেক্ট এর বাকৃবি পার্টের পিআই প্রফেসর ড. মুহাম্মদ মাহফুজুল হক ।বক্তব্য রাখেন একোয়াফুড প্রজেক্ট এর বাকৃবি একোয়াকালচার বিভাগের কো-পিআই প্রফেসর ড. এম. এ. সালাম, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় পার্টের পিআই প্রফেসর ড. আব্দুল্লাহ-আল মামুন, আইসিডিডিআরবির পার্টের পিআই ড. গুলশান আরা।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী জনাব মোঃ আব্দুর রহমান এমপি বলেন , জলজ খাবার বাংলাদেশের মানুষের খাদ্যাভ্যাস এবং অর্থনীতি উভয় ক্ষেত্রেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। বাংলাদেশ ২০১৮ সালে অভ্যন্তরীণ মৎস্য উৎপাদনে তৃতীয় স্থানে, একোয়াকালচারে ৫ম এবং সামুদ্রিক মৎস্য উৎপাদনে ১১তম স্থান অর্জন করেছে। এ কারণে আমরা মৎস্য খাতকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ খাত হিসেবে আমরা গুরুত্ব দিয়ে আসছি।বাকৃবি ভিসি বলেন ,প্রকল্পের মাধ্যমে ইন্টারডিসিপ্লিনারি গবেষণার মাধ্যমে তথ্য ও জ্ঞানের ঘাটতিগুলো পূরণ করবে। স্টেকহোল্ডার এবং নীতিনির্ধারকদের অবগত করার জন্য আরও নতুন জ্ঞান তৈরি করবে। চিংড়ি এবং চিংড়ির মতো মূল্যবান প্রজাতিগুলি মূলত রপ্তানির জন্য উপকূলীয় অঞ্চলে ঘেরে চাষ করা হয়। মজার বিষয় হল, এই উচ্চ-মূল্যের সীফুড আইটেমগুলো অভ্যন্তরীণ বাজার এবং স্থানীয় ব্যবহারের জন্য মাছের মিশ্রচাষ পদ্ধতির মাধ্যমে উৎপাদিত হচ্ছে।
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের একোয়াকালচার বিভাগের শিক্ষক এবং একোয়াফুড প্রজেক্ট এর বাকৃবি পার্টের পিআই প্রফেসর ড. মুহাম্মদ মাহফুজুল হক বলেন , বাংলাদেশে মৎস্য খাতে তিনটি মূল উপাদান রয়েছে, যেমন: অভ্যন্তরীণ ক্যাপচার ফিশারিজ, একোয়াকালচার এবং সামুদ্রিক ক্যাপচার ফিশারিজ। ২০২১-২২ অর্থবছরে সমগ্র মৎস্য খাত থেকে মোট মাছের উৎপাদন ৪.৭৫ মিলিয়ন মেট্রিক টন ছুঁয়েছে, যা সরকার কর্তৃক নির্ধারিত ৪.৫৫ মিলিয়ন মেট্রিক টন উৎপাদনের ভিশন ২০২১ লক্ষ্যকে অতিক্রম করেছে। অধিকন্তু, একাধিক উন্নয়ন উদ্যোগ চলমান রয়েছে, যার লক্ষ্য ২০৩১ সালের মধ্যে ৬.৫ মিলিয়ন মেট্রিক টন এবং ২০৪১ সালের মধ্যে ৮.৫ মিলিয়ন মেট্রিক টন মাছ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা। মৎস্য খাত জাতীয় জিডিপিতে ২.০৮% এবং কৃষি জিডিপিতে প্রায় ২১.৮৩% অবদান রাখে। গত এক দশকে গড় বৃদ্ধির হার ৫.৪৩%।

একোয়াফুড প্রকল্প যে বিষয়টিকে গুরুত্ত্ব দিয়েছে তা হলো জলজ খাবার বাংলাদেশের মানুষের খাদ্যাভ্যাস এবং অর্থনীতি উভয় ক্ষেত্রেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। দেশের সমৃদ্ধ উপকূলীয় এবং নদীমাতৃক ইকোসিস্টেম ঐতিহ্যগতভাবে মৎস্য আহরণের ব্যাপক সূযোগ করে দিয়েছে, এবং মৎস্য চাষকে দ্রুত সম্প্রসারনের ভিত্তি হিসেবে কাজ করছে।।তিনি আরও বলেন, দারিদ্র্য, সামাজিক পক্ষপাত, বাল্যবিবাহ এবং কম বয়সে গর্ভাবস্থার সম্মুখীন কিশোরী ও যুবতীরা বিশেষভাবে ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। কার্যকর স্থানীয় পদক্ষেপ এবং নীতি বাস্তবায়নের অনুপস্থিতিতে বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তন ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। জলজ খাদ্য উৎপাদন, পুষ্টি এবং জনস্বাস্থ্যের মধ্যে খাতগত বৈষম্য সমন্বিত নীতিমালাগুলো বাস্তবায়নে আরও বাধা দেয়, যা জলবায়ু পরিবর্তনের সামগ্রিক ব্যবস্থাপনাকে সীমিত করে তোলে।

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, এবং আইসিডিডিআরবির যৌথভাবে এ কর্মশালার আয়োজন করে এবং আন্তর্জাতিক সংস্থা ড্যানিডা অর্থায়ন করেছে।

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop