২:০০ অপরাহ্ন

শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : মে ৬, ২০২১ ৭:২৫ অপরাহ্ন
৪% সুদে আম চাষিদের বিশেষ ঋণ ও বিনামূল্যে উন্নতজাতের চারা দেয়া হবে
এগ্রিবিজনেস

আমচাষি ও উদ্যোক্তারদেরকে মাত্র ৪% সুদে বিশেষ ঋণ ও আম বাগান স্থাপনের জন্য বিনামূল্যে উন্নতজাতের চারা প্রদানের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক এমপি। তিনি বলেন, সরকার আমের উৎপাদন বাড়াতে নিরলস কাজ করছে। আমাদের বিজ্ঞানীরা অনেকগুলো উন্নতজাতের আম ও উৎপাদন প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছে। ফলে আমের বাণিজ্যিক উৎপাদন দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে। এখন সরকার আমের রপ্তানি বৃদ্ধির পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। এ লক্ষ্যে রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জসহ আম উৎপাদন এলাকায় ৪টি ভ্যাপার হিট ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে। এতে আমের সংরক্ষণকাল বৃদ্ধি পাবে, রপ্তানি সহজতর হবে এবং প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব হবে
কৃষিমন্ত্রী আজ বৃহস্পতিবার চাঁপাইনবাবগঞ্জে কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বারি) আঞ্চলিক উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্রে ‘আম চাষি ও ব্যবসায়ীদের’ সাথে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।
সভায় আমচাষি ও উদ্যোক্তারা আম চাষ ও রপ্তানির বিভিন্ন সমস্যা তুলে ধরেন। আমের সংরক্ষণ সমস্যা সমাধান, ভাল ফুড ব্যাগ ও সহজ শর্তে বিশেষ কৃষি ঋণের ব্যবস্থার জন্য দাবি জানান।
মন্ত্রী আরও বলেন, যেসব বাগানে আমের ফলন কম, সেসব পুরাতন বাগান কেটে নতুন বাগান স্থাপন করতে চাইলে বিনামূল্যে উন্নতজাতের চারা দেয়া হবে।
পরে মন্ত্রী কৃষকের মাঝে উচ্চফলনশীল বারি আম-৪ ও বারি আম-১১ (বারোমাসি) জাতের আমের চারা বিতরণ করেন।
বারির মহাপরিচালক ড. মো: নাজিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে স্থানীয় সংসদ সদস্য সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুল, সংসদ সদস্য ফেরদৌসী ইসলাম, কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কমলারঞ্জন দাশ, বিএডিসির চেয়ারম্যান ড. অমিতাভ সরকার, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো: আসাদুল্লাহ, সাবেক ডিজি হামিদুর রহমান, ব্রির মহাপরিচালক ড. শাহজাহান কবীর, চাঁপাইনবাবগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো: মঞ্জুরুল হাফিজ, পুলিশ সুপার এএইচএম আবদুর রকিব, কৃষিবিদ বদিউজ্জামান বাদশা, উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্রের পিএসও হরিদাস চন্ত্র মোহন্ত প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
শেয়ার করুন

প্রকাশ : এপ্রিল ২৮, ২০২১ ১:৪৪ অপরাহ্ন
প্রচণ্ড দাবদাহে ঝরে যাচ্ছে আম, শঙ্কায় নওগাঁর চাষিরা!
এগ্রিবিজনেস

সারাদেশে চলছে প্রচণ্ড দাবদাহ। এর মধ্যে আবহাওয়া অধিদফতরের ওয়েবসাইটে দেয়া তথ্যে বলা হয়েছে, ২৬শে এপ্রিল ঢাকায় গত ২৬ বছরের রেকর্ড ভেঙে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪০.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস হয়েছে। ওইদিন রাজশাহীতে তাপমাত্রা ছিল ৪১.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবহাওয়াবিদেরা বলছেন, এই তীব্র তাপমাত্রা চলতি সপ্তাহের শেষ পর্যন্ত চলবে। আর এতে বৃষ্টি শূণ্যতায় ভুগছে নওগাঁ জেলার আম বাগানগুলো। প্রচণ্ড খরায় ঝরে যাচ্ছে গাছের আম। আমের কাঙ্ক্ষিত উৎপাদন নিয়ে শঙ্কায় চাষিরা।

নওগাঁ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক শামছুল ওয়াদুদ বলেন, খরার কারণে কিছুটা আম ঝড়ে পড়ছে। পাশাপাশি প্রতিকুল আবহাওয়ার কারণে উকুন পোকার আক্রমণ দেখা দিয়েছে। এতে করেও গতবারের চেয়ে এবার আমের ফলন ভালো হবে বলে আশা কৃষি বিভাগের।

কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, চলতি বছর নওগাঁ জেলায় ২৫ হাজার ৮৫০ হেক্টর জমিতে আমের চাষ হয়েছে। যেখানে আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩ লাখ ১০ হাজার ২০০ মেট্রিক টন। এছাড়াও গতবারের তুলনায় চলতি মৌসুমে ২৪ হাজার ৭৭৫ হেক্টর জমি বেশি জমি আম চাষের আওতায় এসেছে।

চাষিরা বলছেন, অতিরিক্ত খরায় আমে বোঁটা শুকিয়ে আম ঝরে পড়ছে। আমে হপার ও মাকর পোকার আক্রমণ খুব বেশি। পোকামাকড়ের আক্রমণে আম কালো হয়ে যাচ্ছে। প্রতিষেধক ব্যবহার করা হলেও কিছুদিন আবারও পোকার উপদ্রব দেখা দিচ্ছে। এবার অনাবৃষ্টির কারণে আমের ফলন কম হবে। একমাত্র বৃষ্টি হলে আম রক্ষা পেতে পারে বলে ধারণা করছেন চাষীরা।

পোরশা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাহফুজ আলম জানান, প্রথম দিকে আমে ভাল গুটি এসেছিল। তীব্র দাবদাহে আমের গুটি ঝরে পড়ার প্রবণতা দেখা দিয়েছে। তবে গত কয়েকদিন আগে প্রায় ১৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। মাটিতে রস এসেছে। এ বৃষ্টি আমের ভাল উপকারে এসেছে। আর রোগ বালাইয়ের পরিমাণ খুবই কম।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : এপ্রিল ২৭, ২০২১ ৭:৩০ অপরাহ্ন
কেজি দরে তরমুজ বিক্রি করায় রায়পুরার এক ব্যবসায়ীর জরিমানা
এগ্রিবিজনেস

প্রচণ্ড গরম এবং রমজান মাসকে কাজে লাগিয়ে তরমুজ বিক্রি হচ্ছে কেজি দরে। যা সাধারণ ক্রেতাদের নাগালের বাইরে। আর এভাবে কেজি দরে তরমুজ বিক্রি করার অপরাধে নরসিংদীর রায়পুরার এক ব্যবসায়ীকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে রায়পুরা ও শ্রীরামপুর বাজারে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে এ অর্থদণ্ড দেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদুর রহমান খন্দকার।

এসময় জানা যায়, কিছু অসাধু ব্যবসায়িরা রায়পুরা বাজারে পিসের বদলে কেজি দরে তরমুজ বিক্রি শুরু করেন। এতে ভোক্তারা প্রতারিত হওয়ায় মঙ্গলবার দুপুরে রায়পুরা বাজারে ব্যবসায়ীকে ভ্রাম্যমাণ আদালত পাচ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেয়।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : এপ্রিল ২৭, ২০২১ ১১:৫৮ পূর্বাহ্ন
কুষ্টিয়ায় চাষ হচ্ছে আরবের ফল ‘সাম্মাম’
এগ্রিবিজনেস

করোনাকালে বন্ধ রয়েছে কলেজ। তাই মেস থেকে বাড়ি ফিরে অলস সময় কাটাচ্ছিলেন কুষ্টিয়া সরকারি কলেজের ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অনার্স প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী নাঈম ইসলাম খোকন। বাড়িতে বসে না থেকে আধুনিক কৃষি কাজ করার ইচ্ছা জাগে তার। প্রবাসী বড় ভাইয়ের পরামর্শে সৌদি আরবের ফল “সাম্মাম” চাষ করার উদ্যোগ নেন তিনি। পরে ইন্টারনেট ও কৃষি অফিসের পরামর্শে বাণিজ্যিকভাবে চাষ করেছেন তিনি। প্রথমবার চাষেই বেশ সাফল্য পেয়েছেন।

কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার কচুবাড়ীয়া গ্রামের তরুণ কৃষি উদ্যোগতা নাঈম প্রথম ৩৩ শতাংশ জমি বর্গা নিয়ে এ চাষ করেছেন।

পুষ্টিগুণে ভরপুর বিদেশি এ ফল চাষাবাদের তেমন একটা প্রচলন নেই দেশে। সাম্মাম চাষে ঝুঁকি এবং চাষাবাদ সম্পর্কে প্রচারণার অভাবে চাষ কম হয়। ভিনদেশি রসালো ফল উৎপাদনের খবরে প্রতিদিন তার ক্ষেত দেখতে আসছেন আশপাশের কৃষকরা। কেউ কেউ আগামীতে এ ফল উৎপাদনের জন্য পরামর্শও নিচ্ছেন নাঈমের কাছ থেকে।

রবিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে নাঈমের ক্ষেত্রে গিয়ে দেখা যায়, তিনি তার সাম্মাম ক্ষেত পরিচর্যা করছেন। কুমড়া গাছের মতো লতানো গাছ। গাছের ফাঁকে ফাঁকে ঝুলছে গোল গোল ফল। প্রায় প্রতিটি গাছেই ভরপুর ফল। বাঁশের বাতা আর পলিথিনের জালের ফাঁকে ফাঁকে পুরো ক্ষেত যেনো ফলে ভরে রয়েছে। ছোট কুমড়ার আকারের সাম্মাম ফলের ভেতরটা দেখতে ও খেতে বাঙ্গির মতো।

নাঈম বলে, কলেজ বন্ধ, তাই বাড়িতে অবসর সময় কাটাচ্ছিলাম। বিদেশ থেকে ভাই ফোন দিয়ে এ সাম্মাম চাষ করার সম্পর্কে বললেন। আমি ইউটিউব থেকে এটি কীভাবে চাষ করে সেটা জানলাম। পরে উপজেলা কৃষি অফিস থেকে পরামর্শ নিয়ে বগুড়ার একটি খামার থেকে এ ফলের চারা সংগ্রহ করি। সেই সঙ্গে সেখানে গিয়ে চাষ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিই।

নাঈম আমাদের দেখে নতুন এ ফল সম্পর্কে বলেন, সাম্মাম ফল খুবই পুষ্টি সমৃদ্ধ। বহির্বিশ্বে এ ফলের চাহিদা রয়েছে। বাংলাদেশে এটির প্রচলন এখনো কম। এ ফলকে সৌদিতে সাম্মাম বলে, তবে বিভিন্ন দেশে এটি রক মেলন, সুইট মেলন, মাস্ক মেলন, হানি ডিউ নামেও পরিচিত। সাম্মামের দু’টি জাত রয়েছে। একটি জাতের বাইরের অংশ সবুজ আর ভেতরের অংশ লাল, আরেকটি জাতের বাইরের অংশ হলুদ এবং ভেতরের অংশ লাল। তবে খেতে দুই ধরনের ফলই খুব মিষ্টি ও রসালো।

চাষ সম্পর্কে তিনি বলেন, দোঁআশ মাটিতে সাম্মাম চাষ করা ভালো। মাটি ভালোভাবে চাষ করে বেড এবং নালা করে, মালচিং দিয়ে এ ফলের চাষ করতে হয়। তাহলে বেশ ভালো ফলন পাওয়া যায়। এটি খুবই অল্প সময়ের ফসল। গাছ লাগানোর দেড় মাসের মধ্যেই হয় সাম্মাম ফল।

প্রথমে ভাইয়ের কথা মতো ঝুঁকি নিয়ে এ ফলের চাষ শুরু করার কথা উল্লেখ করে নাঈম বলেন, এক বিঘা জমিতে আমার তিন হাজার সাম্মাম গাছ রয়েছে। প্রতিটি গাছে দুই-তিনটি করে ফল রয়েছে। বেশি ফল রাখলে ফলন কম হয়। একেকটি ফলের ওজন হয় দেড় থেকে দুই কেজি। প্রতিটি গাছেই ফল বেশ ভালো এসেছে। এক বিঘা জমিতে আমার খরচ হয়েছে প্রথমবার হওয়ায় এক লাখ টাকার মতো। আগামীতে খরচ কম হবে। আশা করছি, এ বছর দুই থেকে আড়াই লাখ টাকার মতো লাভ হবে।

তিনি আরো বলেন, যেহেতু এ ফল কাঁচা-পাকা দুই অবস্থাতেই খাওয়া যায়, এজন্য কীটনাশকের পরিবর্তে আমি ফেরামন ফাঁদ, আগাছা যাতে না হয় এজন্য মালচিং দিয়েছি। সেই সঙ্গে বিষমুক্ত উপায়ে চাষ করছি।

নাঈম ইসলাম খোকন জানান, শ্রমিক খরচ বলতে জমি প্রস্তুতের সময় এক বিঘা জমিতে বেড তৈরির জন্য চারজন শ্রমিক লেগেছে। আর মাদা তৈরির জন্য ১০ জন শ্রমিক লেগেছে। এছাড়া একজন শ্রমিক সব সময় কাজ করেন। শ্রমিকের দিন হাজিরা ৩০০ টাকা করে। নিজেই জমিতে কাজ করায় শ্রমিক খরচ কম লাগে।

এখনো ফল পাকেনি। তবে এরই মধ্যে বিভিন্ন এলাকা থেকে দশনার্থীরা এসে ফল কেনার জন্য আগ্রহ দেখাচ্ছেন। এছাড়া ঢাকায় বিক্রির ব্যবস্থা করেছি। পাইকারি দুইশ’ টাকা কেজি দরে বিক্রি করব। যেহেতু নতুন ফল, আশা করছি, স্থানীয় বাজারেও এর চাহিদা ভালো হবে। ১০ থেকে ১৫ দিন পর থেকে ফল সংগ্রহ শুরু করব, যোগ করেন তিনি।

নতুন এ ফল এবং ফলের চাষাবাদ দেখতে অনেক দূরের এলাকা থেকেও লোকজন নাঈমের জমিতে আসছেন। আগতদের এ ফল চাষে উদ্বুদ্ধ করছেন নাঈম।

রবিউল ইসলাম নামের এক কৃষক বলেন, আমি এ গাছ লাগানো থেকে শুরু করে এ জমিতে দৈনিক হাজিরা হিসেবে কাজ করছি। এ জমিতে খুব ভালো ফল এসেছে। আর ফলগুলো খেতেও খুব ভালো। আগামীতে আমার জমিতে আমি এ ফলের চাষ করবো।

নাজিম উদ্দিন নামে আরেক কৃষক বলেন, আমরা মনে করেছিলাম, এ ছেলে পাগলের মতো কি চাষ করছে? কিন্তু এখন তো দেখছি বেশ ভালো গাছ আর ফল ধরেছে। শুনেছি এটি বিদেশি ফল, খেতেও খুব ভালো। এর আগে এ ফল আমাদের এলাকায় হয়নি। দুইশ’ টাকা কেজি করে বিক্রি করছে কিছু কিছু। যদি লাভ হয়, তাহলে আগামীতে অনেকেই এ ফল চাষ করবে।

নাঈমের সাম্মাম ক্ষেত দেখতে আসা মস্তফা কামাল নামে এক শিক্ষক বলেন, সৌদি আরবের ফল এখানে চাষ হয়েছে বলে দেখতে এসেছি। দেখে খুবই ভালো লেগেছে। পরিষ্কার পরিচ্ছন্নভাবে চাষ করা হয়েছে। নতুন এ ফল দেখে দেখে মন ভরে গেছে।

বিদেশি এ ফল অধিক লাভজনক উল্লেখ করে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা সাদ্দাম হোসেন বলেন, আধুনিক কৃষি গতানুগতিক কৃষিকাজের চেয়ে লাভজন। সাম্মাম বিদেশি ফল, তবে আমাদের এখানেও চাষ করা সম্ভব। নাঈম নামে এক তরুণ কৃষককে আমরা চাষে পরামর্শ দিয়ে সার্বক্ষণিক সহায়তা করছি। তিনি বিষমুক্ত আধুনিক উপায়ে চাষ করে বেশ সাফল্য পেয়েছেন। আগামীতে এ চাষ বৃদ্ধি পাবে বলেও আশা করছি।

মিরপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রমেশ চন্দ্র ঘোষ বলেন, রক মেলন বা সাম্মাম বেদেশি ফল হলেও আমাদের দেশে এটি চাষ করা সম্ভব। মিরপুর উপজেলার কচুবাড়ীয়া এলাকার তরুণ নাঈম এক বিঘা (৩৩ শতক) জমিতে এ বছর এ ফল চাষ করেছেন। তিনি খুব ভালো ফলও পাচ্ছেন।

তিনি বলেন, বর্তমানে পুষ্টি সমৃদ্ধ ফলমূল এবং আধুনিক চাষাবাদে তরুণরা এগিয়ে আসছেন। মিরপুর উপজেলা কৃষি কার্যালয়ের পক্ষ থেকে শিক্ষিত তরুণ কৃষকদের অগ্রাধিকার দিয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়ার মাধ্যমে আধুনিক উপায়ে লাভজনক ফসল চাষের জন্য উদ্বুদ্ধ করছি। সূত্র: কালের কণ্ঠ

শেয়ার করুন

প্রকাশ : এপ্রিল ২৭, ২০২১ ১১:৩১ পূর্বাহ্ন
নতুন জাতের মিষ্টি আলু যাবে জাপানে
এগ্রিবিজনেস

মিষ্টি আলুকে একসময় বলা হতো গরিবের ক্ষুদা নিবারণের খাদ্য। তবে এটি এখন কেবল গরিবের ক্ষুদা নিবারণ না, বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন গরিবের খাদ্য মিষ্টি আলু এখন সুদূর জাপানেও রপ্তানি করা হচ্ছে। গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে এরই মধ্যে শুরু হয়েছে নতুন জাতের রপ্তানিযোগ্য মিষ্টি আলু চাষ।

স্থানীয় জাতগুলোর চেয়ে নতুন জাতের এ মিষ্টিআলুর ফলন অনেক বেশি, আকারে বড় এবং খেতেও বেশ সুস্বাদু। রং লাল হওয়ায় দেখতেও বেশ আকর্ষণীয়। উপজেলার বাঙ্গালী নদীর তীরবর্তী রাখালবুরুজ, হরিরামপুর ও তালুককানুপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকার চরের পলিযুক্ত বালিময় মাটিতে দীর্ঘদিন ধরে মিষ্টিআলু চাষ করছেন কৃষকরা। তবে এবার প্রথম বারের মতো বিদেশে রপ্তানিযোগ্য নতুন কোকি ১৪ জিও জাতের মিষ্টিআলু চাষ করেছেন।

রাখালবুরুজ ইউনিয়নের পাড় সোনাইডাঙ্গা গ্রামের বিপুল মিয়া জানান, কোকি ১৪ জিও জাতের মিষ্টিআলু চাষে দেশীয় জাতের মতোই একই সময় লাগে। এ আলু বিঘাপ্রতি ৮০ থেকে ৮৫ মণ ফলন পাওয়া যাচ্ছে। দামও ভালো।

একই এলাকার আব্দুল আজিজ জানান, কোকি ১৪ জিও জাতের আলুর চাষ থেকে শুরু করে বাজারজাত পর্যন্ত উপজেলা কৃষি বিভাগের তদারকি থাকায় কোনো হয়রানি ছাড়াই আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছি। তাছাড়া আমার জমির উৎপাদিত আলু জাপান যাচ্ছে ভাবতেই ভালো লাগছে।

নারিতো জাপান কোম্পানি লিমিটেডের ম্যানেজার মেজবাউল ইসলাম জানান, উৎপাদিত মিষ্টি আলু বিদেশে রপ্তানিযোগ্য করতে সঠিক পদ্ধতি ও কলাকৌশল বাস্তবায়নে উপজেলা কৃষি বিভাগের মাধ্যমে চাষিদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছি। রপ্তানিযোগ্য এই আলু কৃষকের জমি থেকে সাড়ে ৪০০ থেকে সাড়ে ৫০০ টাকা মণ দরে কিনে নেওয়া হচ্ছে।

গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. খালেদুর রহমান জানান, নতুন জাতের এ মিষ্টি আলুর আবাদ সম্প্রসারণে কৃষক পর্যায়ে কাজ করছে কৃষি বিভাগ। কৃষকরা মিষ্টি আলুর হেক্টরপ্রতি ফলন পাচ্ছেন ২০ মেট্রিক টন। এ বছর উপজেলায় ৮৫ হেক্টর জমিতে মিষ্টি আলুর চাষ হয়েছে। সরকারিভাবে এবারই প্রথম কন্দাল ফসল উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ৯ একর জমিতে কোকি ১৪ জিও মিষ্টি আলু চাষ এবং তা জাপানে রপ্তানির উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে বলেও তিনি জানান।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : এপ্রিল ২৭, ২০২১ ১২:০৪ পূর্বাহ্ন
কেজি দরে তরমুজ বিক্রি করায় ১৪ ব্যবসায়ীর অর্থদণ্ড
এগ্রিবিজনেস

প্রচণ্ড গরম আর পবিত্র রমজান মাসে মানুষের তরমুজের চাহিদাকে পুঁজি করে বরিশালে কেজি দরে তরমুজ বিক্রির দায়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত ১৪ ব্যবসায়ীকে দিয়েছে অর্থদণ্ড।

সোমবার (২৬ এপ্রিল) বিকেলে বরিশাল নগরীর বিভিন্নস্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের এই অর্থদণ্ড দেয়া হয়।

অভিযান পরিচালনাকারী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল হাই ও রয়া ত্রিপুরা জানিয়েছেন, কিছু ব্যবসায়ী ক্রেতাদের সঙ্গে প্রতারণা করে কেজি দরে তরমুজ বিক্রি করে আসছিলেন। এ নিয়ে জেলা প্রশাসনে অনেক অভিযোগ পাই। অভিযান চালালে অভিযোগের সত্যতা মেলে।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা জানান, গরমের সুস্বাদু ফল তরমুজ খেটে-খাওয়া মানুষের নাগালের বাইরে বিক্রি করছিল। তরমুজ ব্যবসায়ীরা তরমুজ কম দামে পিস হিসেবে ক্রয় করে সাধারণ মানুষের কাছে খুচরা কেজি দরে বিক্রি করে আসছিল। সিন্ডিকেট করে প্রতি কেজি তরমুজ ৫০/৬০ টাকায় বিক্রি করছিল। এতে একটি তরমুজ ক্রেতাদের কিনতে হয় ৪০০ থেকে ৫০০ টাকায়। যা সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে।

নগরীর ফলপট্টি, জেল খানার মোড়, পোর্ট রোড, নতুন বাজার, চৌমাথা বাজার, নথুল্লাবাদ বাসস্ট্যান্ড, বাংলা বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল হাই ৮ জন ব্যবসায়ীকে ৬ হাজার ৪০০ টাকা জরিমানা ক‌রেন। অপর একটি অভিযানে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রয়া ত্রিপুরা ৬ জন ব্যবসায়ীকে ৩ হাজার ৯০০ টাকা জরিমানা ক‌রেন।

ব্যবসার নামে এমন প্রতারণাকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসন।

আরো পড়ুন: লাল ও মিষ্টি তরমুজ চেনার উপায়

শেয়ার করুন

প্রকাশ : এপ্রিল ২২, ২০২১ ১২:২১ অপরাহ্ন
রংপুরে পর্যাপ্ত হিমাগার না থাকায় অর্ধেক আলুর পঁচন!
এগ্রিবিজনেস

দেশে সবচেয়ে বেশি আলুর উৎপাদন হয় রংপুর অঞ্চলে। সরকারি হিসাবে এখানে ৯৭ হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে এবার উৎপাদিত হয়েছে সাড়ে ২৪ লাখ টন।

কিন্তু সেখানে পর্যাপ্ত হিমাগার না থাকায় আলুর সংরক্ষণ মডেল ঘরেই সমাধান দেখছে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর। তাদের দাবি, এতে ৩-৪ মাস আলু রাখা যাবে। জেলায় যে ৬৭টি হিমাগার রয়েছে তাতে উৎপাদিত আলুর মাত্র ১৫ শতাংশ সংরক্ষণ সম্ভব।

সমাধানে কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের পরামর্শ, আলু সংরক্ষণ মডেল ঘর। যা তৈরি হবে ইট, কাঠ, টিন ও বাঁশ দিয়ে। এটি লম্বায় ২৫ ফুট আর চওড়া হবে ১৫ ফুট। কিন্তু এটি তৈরিতেও যে টাকার দরকার তা নেই কৃষকের কাছে। তবে ঋণ নয়, শুধু প্রশিক্ষণ ও পরামর্শই দিতে পারবে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।

সংরক্ষণের অভাবে দেশে প্রতিবছর ১ কোটি ৫ লাখ টন আলু উৎপাদিত হলেও অর্ধেকই পঁচে যায় ।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : এপ্রিল ২০, ২০২১ ১১:১২ পূর্বাহ্ন
শাক বীজ উৎপাদনে চুয়াডাঙ্গার কৃষকদের ভাগ্য বদল
এগ্রিবিজনেস

চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলায় শাক বীজ উৎপাদনে পাল্টে যাচ্ছে সেখানকার কৃষকদের ভাগ্যের চাকা।একসময় শুধু ইরি-বোরো ও আমন চাষের পাশাপাশি প্রচলিত কিছু শাক-সবজি চাষের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল তাদের কৃষিকাজ। কিন্তু এখন আধুনিক পদ্ধতিতে নানা জাতের লাল শাক আবাদ করে তা থেকে বীজ উৎপাদন করে লাখ লাখ টাকা আয় করছেন কৃষকরা। অল্প সময়ে স্বল্প পুঁজিতে অধিক লাভ করা যায় বলে প্রতিবছরই শাক বীজ উৎপাদনে মেতে উঠছেন এখানকার কৃষকরা।

জানা যায়, এ বছরও উপজেলার আব্দুলবাড়িয়া, দেহাটি, কাশিপুর, অনন্তপুর, নিশ্চিন্তপুর, পুরন্দপুর, বাঁকা ও মুক্তারপুর গ্রামে ১২০ হেক্টর জতিতে উচ্চ ফলনশীল নানা জাতের লাল শাকের আবাদ করা হয়েছে এবং এর থেকে বীজ উৎপাদন করা হবে।

আন্দুলবাড়িয়া গ্রামের সফল শাক বীজ উৎপাদনকারী চাষি শুকুর আলী জানান, আজ থেকে ১৫ বছর আগে এ এলাকায় প্রথম তিনি শাক বীজ উৎপাদন শুরু করেন। ওই বছর তিনি এক বিঘা জমিতে ১ হাজার টাকা খরচ করে উৎপাদিত বীজ প্রায় ১৫ হাজার টাকায় বিক্রি করেন। ফলে অধিক পরিমাণ লাভ হওয়ায় পরের বছর তিনি জমির পরিমাণ আরও বাড়িয়ে দেন। এ বছর তিনি ৫ বিঘা জমিতে শাকের আবাদ করেছেন এবং তা থেকে তিনি বীজ উৎপাদন করবেন। ৫ বিঘা জমিতে উৎপাদিত বীজ তিনি দেড় লাখ টাকায় বিক্রি করতে পারবেন বলে আশা করছেন।

তিনি আরো জানান, অগ্রহায়ণ মাসে ভালোভাবে জমি কর্তন ও সার প্রয়োগের মাধ্যমে জমিকে শাক চাষের উপযোগী করে তোলা হয়। জমিতে বীজ বপনের ১০ থেকে ১৫ দিনের মাথায় চারা গজায়। ৪ মাসের মাথায় জমি থেকে গাছ কেটে বীজ সংগ্রহ করা হয় এবং প্রতিবিঘা জমিতে ৬ থেকে ৮ মণ বীজ উৎপাদিত হয়। জমি তৈরি থেকে বীজ সংগ্রহ পর্যন্ত প্রতিবিঘা জমিতে খরচ হয় ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা। আর উৎপাদিত বীজ বিক্রি হয়ে থাকে ৩০ হাজার টাকা থেকে ৪০ হাজার টাকা পর্যন্ত। যা সমস্ত খরচ বাদ দিয়ে প্রতি বিঘা জমিতে লাভ হয় ২০ হাজার টাকা থেকে ৩০ হাজার টাকা।

ইতোমধ্যেই উপজেলার আব্দুলবাড়িয়া, দেহাটি, কাশিপুর, অনন্তপুর, নিশ্চিন্তপুর, পুরন্দপুর, বাঁকা ও মুক্তারপুর গ্রামের প্রায় সহস্রাধিক কৃষক তার দেখাদেখি সবজি বীজ উৎপাদন করে নিজেদের ভাগ্য বদল করেছেন।

জীবননগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শারমিন আক্তার জানান, উপজেলার আন্দুলবাড়িয়া এলাকার জমিগুলো সবজি চাষের জন্য বেশি উপযোগী। এখানকার চাষিরা সবজি চাষের ব্যাপারে বেশ অভিজ্ঞও। এ কারণে এলাকার চাষিরা উন্নত কৃষি প্রযুক্তির আওতায় সবজি চাষে গ্রামীণ অর্থনীতিতে নতুন স্পন্দন এনেছেন বলে তিনি জানান।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : এপ্রিল ১৯, ২০২১ ৩:৫০ অপরাহ্ন
বিশ্বের দশটি দেশে রফতানি হচ্ছে জয়পুরহাটের আলু
এগ্রিবিজনেস

জয়পুরহাট জেলায় সম্প্রতি আলু উত্তোলন শেষ হয়েছে। বরেন্দ্র অঞ্চল হিসেবে পরিচিত এই জেলায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অধিক পরিমাণ জমিতে আলুর চাষ হয়েছে। দেশের চাহিদা মিটিয়ে বহির্বিশ্বের দশটি দেশ তথা মালেয়শিয়া, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, জাপান, ইন্দোনেশিয়া, সৌদি আরব, কুয়েত, নেপাল, রাশিয়া ও দুবাইয়ে রফতানি করা হচ্ছে জয়পুরহাটের আলু। এই অঞ্চলের আলু অত্যন্ত উন্নত মানের হওয়ায় দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশের মাটিতেও এর চাহিদা অনেক। অন্যান্য বারের তুলনায় এবার আলুর দাম ভালো পাওয়ায় বেশ খুশি কৃষকরাও।

জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার আলু রফতানিকারক বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সূচি এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মো. সুজাউল ইসলাম সুজা জানান, গত ৯ বছর যাবত আমি বহির্বিশ্বের ৮টি দেশে আলু রফতানি করে আসছি। আলু রফতানি করতে প্রথমে আমি জমি নির্বাচন করি, পরে সেই জমিতে স্থানীয় কৃষি বিভাগের তত্ত্বাবধানে আলু রোগ বালাই মুক্ত করে ফলন নিশ্চিত করার পর আলু পরিপক্ক হলে তা তোলা হয়। এক পর্যায়ে বাছাইয়ের পর গ্রেটিং করে ৫কেজি, ১০ কেজি, ২০ কেজি প্যাকেট করে রফতানির জন্য প্রস্তুত করে প্রক্রিয়াজাতের কাজ শেষ হলে তা ঢাকায় রফতানিকারক প্রতিষ্ঠানে পাঠানো হয় সেখান থেকে বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশে রফতানি করা হয়। এই কাজে কৃষি বিভাগের ছাড়পত্র পেতে অনেক ভোগান্তির শিকার হতে হয় ফলে অনেকেই অনুমোদন ছাড়াই অবৈধভাবে বিদেশে আলু রফতানি করছে।

তিনি বলেন আমার কোম্পানিতে বর্তমানে শতাধিক শ্রমিক কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করছে। চলতি ২০২০-২১ মৌসুমে জেলায় ৪১৩১৫ হেক্টর জমিতে আলুর চাষ হয়েছে। আলু উৎপাদন হয়েছে ৯ লাখ ৬০ হাজার মেট্রিক টন। গত মৌসুমে আলু উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৩৮৫০০ হেক্টর জমিতে। আলু উৎপাদন হয়েছিল ৮ লাখ ৩৫ হাজার মেট্রিক টন। আলু উৎপাদনে উদ্বৃত্ত জেলা হিসেবে পরিচিত জয়পুরহাট।

তিনি আরো বলেন, ফলন ভালো হওয়ায় স্থানীয় কৃষকরা গ্যানোলা, মিউজিকা, ডায়মন্ড, এস্টোরিকস, কার্ডিনাল , রোজেটা ও দেশি জাতের আলু বেশি চাষ করে থাকে। জেলার ১৫ টি কোল্ড স্টোরেজে প্রায় ১লাখ ৮৫ হাজার মেট্রিক টন আলু সংরক্ষণ করা হয়েছে।

জয়পুরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক স ম মেফতাহুল বারি জানান, জেলায় আলু চাষ সফল করতে স্থানীয় কৃষকদের মাঠ পর্যায়ে প্রশিক্ষণসহ উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা সার্বক্ষণিক মনিটরিং তদারকি ও কৃষকদের পরামর্শ প্রদান করেছে। বিএডিসি’র পক্ষ থেকে কৃষকদের মাঝে উন্নত জাতের আলু বীজ সরবরাহ করা হয়েছে। দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত অনেক পাইকারী ক্রেতারা জমি থেকেই আলু কিনে নিয়ে গেছে। এবার বাজারেও আলু প্রকার ভেদে ১৫ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত কেজি বিক্রি হওয়ায় কৃষকরা বেশ খুশি।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : এপ্রিল ১২, ২০২১ ৬:১৯ অপরাহ্ন
পবিত্র রমজান উপলক্ষে ছয়টি পণ্যের দাম বেঁধে দিয়েছে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর।
এগ্রিবিজনেস

পবিত্র রমজান উপলক্ষে ছয়টি পণ্যের দাম বেঁধে দিয়েছে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর। দাম বেঁধে দেওয়া ছয়টি পণ্য হলো ছোলা, পেঁয়াজ, ভোজ্যতেল, মসুর ডাল, চিনি ও খেজুর। বেঁধে দেওয়া এই দাম অনুযায়ী পণ্য বিক্রি নিশ্চিত করতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন সংস্থাগুলো কাজ করবে বলে সোমবার এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বাজার পর্যালোচনা, সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী এবং সরকারি-বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে আলোচনা করে পণ্যের চাহিদা নিরূপণ করা হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।

দাম বেঁধে দেওয়া পণ্যগুলো হলো, ছোলা, পেঁয়াজ, ভোজ্যতেল, মসুর ডাল, চিনি ও খেজুর। বেঁধে দেওয়া দাম অনুযায়ী পণ্য বিক্রি নিশ্চিত করতে কাজ করবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন সংস্থাগুলো।

নতুন বেঁধে দেওয়া দাম অনুযায়ী খুচরা বাজারে ছোলা কেজিপ্রতি ৬৩ থেকে ৬৭ টাকা, পেঁয়াজ ৪০ টাকা, ভোজ্যতেলের এক লিটারের বোতল ১৩৯ টাকা, পাঁচ লিটারের বোতল ৬৬০ টাকা, মোটা দানার মসুর ডাল ৬৭-৬৯ টাকা ও সরু দানার ডাল ৯৭ থেকে ১০৩ টাকায় বিক্রি হবে এবং চিনির খুচরা মূল্য কেজিপ্রতি ৬৭ থেকে ৬৮ টাকায় কিনতে পারবেন ক্রেতারা।

সাধারণ মানের খেজুর কেজিপ্রতি ৮০-১০০ ও মধ্যম মানের খেজুর ২০০-২৫০ টাকার বেশি হতে পারবে না।

কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী রমজান মাসে প্রায় ৮০ হাজার মেট্রিক টন ছোলা, তিন লাখ টন পেঁয়াজ, দুই লাখ টন ভোজ্যতেল, ৮০ হাজার টন মসুর ডাল, এক লাখ ৩৬ হাজার টন চিনি ও ৪০ থেকে ৫০ হাজার টন খেজুরের চাহিদা রয়েছে।

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop