৩:৩০ পূর্বাহ্ন

বৃহস্পতিবার, ৯ মে , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : জুলাই ১৫, ২০২১ ৭:২২ অপরাহ্ন
১৩ দিনে দুই লাখের বেশি পশু বিক্রি অনলাইনে!
প্রাণিসম্পদ

করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় কঠোর বিধিনিষেধের মাঝে চলছে অনলাইনে ক্রয়-বিক্রয়। দেশে এ বছর কোরবানির পশু রয়েছে ১ কোটি ১৯ লাখ ১৬ হাজার ৭৬৫টি। গত ২ জুলাই থেকে ১৪ জুলাই পর্যন্ত ১৩ দিনে দুই লাখের বেশি পশু বিক্রি হয়েছে অনলাইনে। যার বাজার মূল্য প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকারও বেশি। বিভিন্ন অনলাইন বাজারে কোরবানির পশুর ছবি আপলোড হয়েছে ১৪ লাখ ৫৫ হাজার ৬৬০টি। প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের কোরবানিযোগ্য পশু বিক্রয় কার্যক্রম অগ্রগতির সর্বশেষ প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।

সূত্র জানায়, বুধবার একদিনেই ২৯ হাজার ৯৭টি পশু বিক্রি হয়েছে ১৮৩ কোটি আট লাখ ৪৬ হাজার ২৮৬ টাকায়। আর গত ১৩ দিনে মোট ২ লাখ ১৩ হাজার ৯৯৩টি পশু বিক্রি হয়েছে, যার বাজারমূল্য এক হাজার ৫১১ কোটি ৭৭ লাখ ৯৫ হাজার ৮২২ টাকা। মোট বাজারের সংখ্যা এক হাজার ৭৭৮টি।

প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের দেওয়া তথ্য থেকৈ জানা যায়, অনলাইনে পশু বিক্রিতে সবচেয়ে বেশি এগিয়ে চট্টগ্রাম বিভাগ। এ বিভাগে মোট এক লাখ ২৬ হাজার ৪৬৫টি পশু বিক্রি হয়েছে, যার বাজারদর ৮৯৪ কোটি ৪৩ লাখ ১৪ হাজার ৯৪৮ টাকা।

পরের স্থানে রয়েছে ঢাকা বিভাগ। এ বিভাগে এখন পর্যন্ত ২৫ হাজার ৮৫১টি পশু বিক্রি হয়েছে ২৬১ কোটি ৪২ লাখ ৪৮ হাজার ১৪৭ টাকায়।

রাজশাহী বিভাগে ২৯ হাজার ৩০০ গবাদি পশু বিক্রি হয়েছে ১৬২ কোটি ২১ লাখ ৬৬ হাজার ৯৯ টাকায়। খুলনা বিভাগে আট হাজার ১৪৮টি কোরবানির পশু বিক্রি হয়েছে ৫৩ কোটি ৫৪ লাখ এক হাজার ২০০ টাকায়। বরিশাল বিভাগে এক হাজার ৩৮৭টি গবাদি পশু বিক্রি হয়েছে নয় কোটি ৮৭ লাখ ৭২ হাজার ৪০০ টাকায়।

সিলেট বিভাগে দুই হাজার ২৫২টি কোরবানির পশু বিক্রি হয়েছে ১৩ কোটি ৪২ লাখ ৭৩ হাজার ৫২৮ টাকায়। রংপুর বিভাগে ১৯ হাজার ৯২৫টি পশু বিক্রি হয়েছে ১১১ কোটি আট লাখ ৮২ হাজার ৮৫০ টাকায়। ময়মনসিংহ বিভাগে ৬৬৫টি পশু বিক্রি হয়েছে পাঁচ কোটি ৭৭ লাখ ৩৫ হাজার ৭৫০ টাকায়।

মোট দুই লাখ ১৩ হাজার ৯৯৩টি পশু বিক্রি হয়েছে। এর মধ্যে গবাদিপশুর সংখ্যা এক লাখ ৬৭ হাজার ৭২৯টি এবং ছাগল ও ভেড়া রয়েছে ৪৬ হাজার ২৬৪টি। সবমিলিয়ে কোরবানির মোট বাজারমূল্য এক হাজার ৫১১ কোটি ৭৭ লাখ ৯৫ হাজার ৮২২ টাকা।

প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের সম্প্রসারণ শাখার পরিচালক ডা. দেবাশীষ দাশ জানান, সারাদেশে ৪৯৫টি উপজেলায় আমাদের প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তারা অনলাইনে পশু বিক্রির কার্যক্রমে খামারিদের সহায়তা করছেন। কোনো খামারি চাইলে স্থানীয় প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করে তাদের পশু অনলাইনে বিক্রি করতে পারেন।

প্রকাশ : জুলাই ১৫, ২০২১ ১১:০২ পূর্বাহ্ন
মহামারী থেকে মুরগির খামার রক্ষায় করণীয়
পোলট্রি

আমাদের দেশের অনেকেই এখন অধিক লাভের আশায় মুরগির খামারের দিকে আগ্রহী হয়ে উঠছেন। তবে মহামারীর কারণে অনেকেই খামারে লোকসান করে থাকেন। মহামারী থেকে মুরগির খামারকে রক্ষা করতে করণীয়গুলো জানা থাকলে আর এই লসের কাতারে পড়তে হবে না খামারীদের।

মহামারী থেকে মুরগির খামার রক্ষায় করণীয়:

মুরগির খামারের জন্য ভাল মানের বাচ্চা ও খাদ্য নির্ভরযোগ্য উৎস্য থেকে সংগ্রহ করতে হবে। প্রয়োজনে রুটিন অনুযায়ী খাদ্য পরিক্ষা করতে হবে। খামারে বহিরাগতদের প্রবেশ ১০০% নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করুন। খামারের ভিতরে ব্যবহারের জন্য আলাদা পোষাক রাখুন। বহিরাগতদের জন্য আলাদা পোষাক রাখুন।

মুরগির খামারটি অবশ্যই লোকালয় এর বাহিরে গড়ে তুলুন। লোকালয় এর ভিতরে বা বাহিরে হলেও চারিদিকে অবশ্যই বেস্টনি দেন। মুরগির খামারে প্রবেশের জন্য অবশ্যই আলাদা সেন্ডল ব্যবহার করুন। আলাদা আলাদা সেডে অবশ্যই আলাদা সেন্ডেল রাখুন। মনে রাখবেন রোগজীবাণুর ৭০% সেন্ডেলের মাধ্যমে প্রবেশ করে। অতএব বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

মরা মুরগি গর্ত করে ২ মিটার মাটির নিচে পুতে রাখুন। কোন অবস্থায় বাহিরে ফেলবেন না। একটা এলাকায় কোনো রোগের মহামারী আকার ধারণ করার এটাই সবচেয়ে বড় কারণ। মার্কেট থেকে আগত ডিমের ট্রে সেডে প্রবেশ করানো ১০০% নিষেধ। খামারে স্টোর রুমে প্রবেশ করানো যাবে তবে অবশ্যই জীবানুনাশক ও সাবান দিয়ে ধুয়ার পর।

খামারে ব্যবহার্য জিনিসপত্র ডিমের ট্রে,খাদ্যের পাত্র, পানির পাত্র, ইত্যাদি জীবানুনাশক দিয়ে ধুয়ে খামারে প্রবেশ করান। খামারের প্রবেশপথে অবশ্যই জীবাণুনাশক স্প্রে ব্যবহার করতে হবে।

প্রকাশ : জুলাই ১১, ২০২১ ১২:৪৩ অপরাহ্ন
যুবলীগনেতার উদ্যোগে অসহায়দের সবজি বিতরণ
কৃষি বিভাগ

করোনা সংক্রমণে থমকে গেছে পুরো দেশ। এর সংক্রমণ ক্রমান্বয়ে বেড়ে যাওয়াতে চলছে কঠোর লকডাউন। আর এই লকডাউনে কর্মহীন অভাবগ্রস্থ মানুষের পাশে এসে দাড়িঁয়েছেন চট্টগ্রাম যুবলীগ নেতা দেবাশিষ পাল দেবু। নগরের ফিরেঙ্গী বাজার এলাকায় ৩০০ অসহায় মানুষের মধ্যে সবজি বিতরণ করেছেন তিনি।

শনিবার (১০ জুলাই) বিকেলে ফিরেঙ্গী বাজারের জাকির হোসেন হোমিওপ্যাথি কলেজ মাঠে নগরীর ৩০, ৩১, ৩৩, ৩৪ ওয়ার্ডের অসহায় দরিদ্র মানুষের মধ্যে এ মৌসুমী সবজি বিতরণ করা হয়।

এসময় দেবাশীষ পাল দেবু বলেন, প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানে যুবলীগ চেয়ারম্যান ও সাধারণ সম্পাদকের নির্দেশনায় করোনায় কর্মহীন হয়ে পড়া মানুষের মধ্যে মৌসুমি সবজি বিতরণ করা হয়েছে। করোনা শুরু থেকে চট্টলার মানুষের পাশে আছি। যুবসমাজকে সঙ্গে নিয়ে এমন কার্যক্রমে সবসময় মানুষের পাশে থাকবো।

এসময় উপস্থিত ছিলেন বন্দর সিবিএর ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মো. নায়েবুল ইসলাম ফটিক, মহানগর যুবলীগ নেতা আনিফুর রহমান লিটু, সাজ্জাদ চৌধুরী পাবেল, রায়হান নেওয়াজ সজিব, মারুফ আহমেদ সিদ্দিকী, ইমতিয়াজ বাবলা, মো. ইকবাল হোসেন, মো. ইসমাইল, মো. আমিনুল ইসলাম, মিজানুর রহমান, আবু নাছের জুয়েল, মো. সোয়েব, বিভূ দেবনাথ, মো. রাসেল খান প্রমুখ।

এগ্রিভিউ/এসএমএ

প্রকাশ : জুলাই ৭, ২০২১ ১:১২ অপরাহ্ন
করোনায় লোকসানের শঙ্কা
প্রাণিসম্পদ

একদিকে হাটে গেলে জনসমাগমের মধ্যে করোনায় সংক্রমিত হওয়ার ভয়, অন্যদিকে এবারও বছরজুড়ে লালন–পালন করা গরু অথবা ছাগলটি বিক্রি করতে না পারলে লোকসানের শঙ্কা। কোরবানির পশুহাটে কেনাবেচা নিয়ে এমন উভয় সংকটে পড়ার কথা জানিয়েছেন খামারি ও ব্যবসায়ীরা।

এর মধ্যেই গতকাল মঙ্গলবার পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার করমজা হাটে জনসমাগমের যে চিত্র দেখা গেছে, তাতে হাটে যাওয়া ব্যক্তি ও তাঁদের মাধ্যমে অন্যদেরও করোনায় সংক্রমিত হওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে। যদিও দেশে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের জন্য জারি করা হয়েছে কঠোর বিধিনিষেধ। তবে কোরবানির পশুহাটে সে বিধিনিষেধের আওতায় থাকা স্বাস্থ্যবিধি ছিল উপেক্ষিত।

করমজা পশুহাটে গতকাল ভিড় ছিল উপচে পড়া। হাট কমিটির পক্ষ থেকে করোনার স্বাস্থ্যবিধি মানার জন্য নানা পদক্ষেপ নেওয়া হলেও তা খুব একটা কাজে লাগাতে দেখা যায়নি। এই পশুহাট উত্তরাঞ্চলের বড় হাটগুলোর মধ্যে অন্যতম। হাট ঘুরে অনেক কোরবানির পশু আমদানি দেখা গেলেও বেচাকেনা ছিল কম।

হাটে সাঁথিয়া উপজেলার শহীদনগর গ্রামের রইজউদ্দিন জানান, এক বছর ধরে তিনি বাড়িতে দুটি ষাঁড় লালন-পালন করেছেন। সকালে হাটে নিয়ে এলেও বেলা ১টা পর্যন্ত ২টির দাম ওঠে মাত্র ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা। অথচ সপ্তাহখানেক আগে ব্যাপারীরা বাড়িতে গিয়ে ২ লাখ টাকা পর্যন্ত দাম বলেছিলেন।

সাঁথিয়ার ইউএনও এস এম জামাল আহমেদ বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরিচালনার জন্য হাট কমিটিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এদিকে গাইবান্ধা জেলায় সাড়ে ১২ হাজারের বেশি খামারি এবার গরু বিক্রি নিয়ে বিপাকে পড়েছেন। জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, জেলার ৭টি উপজেলায় ১২ হাজার ৬৭৭টি বাণিজ্যিক পশুখামার আছে। এসব খামারে ৯০ হাজার গরু আছে। এসব গরু লালন-পালন করে কোরবানির ঈদে বিক্রির জন্য প্রস্তুত করা হয়। এর মধ্যে বড় খামারে ৩৮ হাজার এবং ছোট খামারে ৫২ হাজার গরু প্রস্তুত আছে।

সূত্রঃ প্রথম আলো

প্রকাশ : জুলাই ১, ২০২১ ৬:৪৮ অপরাহ্ন
অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকায় করোনা আক্রান্ত-মৃত্যুঝুঁকি কমে: সিভাসু’র গবেষণা
ক্যাম্পাস

চট্টগ্রাম ও চাঁদপুর অঞ্চলে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ টিকা গ্রহণকারী ও অগ্রহণকারী কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের তুলনামূলক স্বাস্থ্যঝুঁকির মূল্যায়ন নিয়ে চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিভাসু) উপাচার্য প্রফেসর ড. গৌতম বুদ্ধ দাশের নেতৃত্বে একদল গবেষকরা দীর্ঘ দুমাস ধরে গবেষণা করেন।

আজ বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) গবেষণাটির ফল উল্লেখপূর্বক প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়।

গবেষণা দলের অন্য সদস্যরা হলেন প্রফেসর ড. শারমিন চৌধুরী, ডাঃ মোহাম্মদ খালেদ মোশাররফ হোসেন, ডাঃ ইফতেখার আহমেদ রানা, ডাঃ ত্রিদীপ দাশ, ডাঃ প্রনেশ দত্ত, ডাঃ মোঃ সিরাজুল ইসলাম, ডাঃ তানভীর আহমদ নিজামী।

গবেষণার নেতৃত্বে থাকা উপাচার্য প্রফেসর ড. গৌতম বুদ্ধ দাশ বলেন, সিভাসু ও চাঁদপুর কোভিড-১৯ শনাক্তকরণ ল্যাবে গত ২২ এপ্রিল থেকে ২২ জুন পর্যন্ত মোট ১২ হাজার ৯৩৬ ব্যক্তির নমুনা পরীক্ষা করা হয়। যার মধ্যে দুই হাজার ১৩৭ (১৬.৫২%) জনের শরীরে সার্স-কোভ-২ বা করোনাভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত হয়। কন্টাক্ট ট্রেসিং এর মাধ্যমে মোট ১ হাজার ৯৫ জনের স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্ট সমস্ত তথ্য ও উপাত্ত সম্পূর্ণরূপে পর্যবেক্ষণ করে গবেষণায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

তিনি আরও বলেন, গবেষণায় দেখা গেছে, আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে ৯৬৮ জন করোনাভাইরাসের টিকা গ্রহণ করেননি। অন্যদিকে, ৬৩ জন এমন ব্যক্তি পাওয়া যায়, যারা বিভিন্ন সময়ের মধ্যে নির্ধারিত স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিশিল্ডের শুধুমাত্র প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছেন। এছাড়া ৬৪ জন প্রথম ও দ্বিতীয়- উভয় ডোজ টিকা গ্রহণ করেছিলেন। যারা প্রথম ডোজ নিয়েছেন তাদের আক্রান্ত হওয়ার হার দশমিক ৪৮ শতাংশ। আর যারা দুই ডোজ নিয়েছেন তাদের আক্রান্ত হওয়ার হার দশমিক ৪৯ শতাংশ।

গবেষণার ফলে দেখা যায়, করোনাভাইরাসের টিকা না নেওয়া রোগীদের মধ্যে ১৩৭ জনের হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার প্রয়োজন হয়েছে। যেখানে প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ টিকা গ্রহণকারীদের মধ্যে যথাক্রমে সাত ও তিনজন রোগীকে হাসপাতালে যেতে হয়েছে। টিকা গ্রহণ করেননি হাসপাতালে ভর্তিকৃত এমন রোগীদের ৮৩ জনের মধ্যে শ্বাসকষ্ট লক্ষ্য করা গেছে এবং তাদের মধ্যে ৭৯ জনের অতিরিক্ত অক্সিজেন সাপোর্টের প্রয়োজন হয়েছিল। শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে অক্সিজেন স্যাচুরেশনের মাত্রা সর্বনিম্ন ৭০ শতাংশ পরিলক্ষিত হয়েছে।

অপরদিকে টিকা গ্রহণকারী রোগীদের অক্সিজেন স্যাচুরেশন স্বাভাবিক (৯৬ দশমিক ৭ শতাংশ) পাওয়া যায়। এছাড়া, টিকা নেননি হাসপাতালে ভর্তিকৃত এমন রোগীদের মধ্যে সাতজনের আইসিইউ সেবার প্রয়োজন হয়েছে, অপরদিকে টিকা গ্রহণকারী রোগীদের আইসিইউ সেবার প্রয়োজন হয়নি। টিকা নেননি এমন রোগীদের মধ্যে শ্বাসকষ্টের সময়কাল সর্বোচ্চ ২০ দিন পর্যন্ত দীর্ঘায়িত হয়েছে।

গবেষণা নমুনায় যে সর্বমোট ১০ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন, তারা কেউই প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ টিকা নেননি। আক্রান্তদের মধ্যে যারা টিকা নেননি, তারা বিভিন্ন শারীরিক জটিলতায় (কো-মরবিডিটি) ভুগছিলেন। তাদের মধ্যে করোনার সংক্রমণের হার ছিল ৭৬ দশমিক সাত শতাংশ। এক্ষেত্রে যারা টিকা নিয়েছেন তাদের মধ্যে এ হার ছিল ১২ শতাংশ।

উপাচার্য প্রফেসর ড. গৌতম বুদ্ধ দাশ বলেন, গবেষণার ফল থেকে জনসাধারণের নিকট এ ইতিবাচক বার্তা উপস্থাপন করা যায় যে, সরকার বিনামূল্যে যে টিকা দিচ্ছে, সে টিকা নিলে পুনরায় করোনা আক্রান্তের হার কম। যারা টিকা নিয়েছেন, তাদের মৃত্যুঝুঁকি কম।

তিনি আরও বলেন, টিকা না নিয়ে যারা হাসপাতালে ভর্তি হয়ে মারা গেছেন, তাদের অধিকাংশেরই বয়স পঞ্চাশ বছরের বেশি ছিল। তাই দেশের জ্যেষ্ঠ নাগরিকদের (সিনিয়র সিটিজেন) প্রাথমিকভাবে টিকার আওতায় আনা গেলে করোনার স্বাস্থ্য এবং মৃত্যুঝুঁকি অনেংকাংশে কমে আসবে।

প্রকাশ : জুন ৩০, ২০২১ ২:১৪ অপরাহ্ন
দুধ বিক্রি বন্ধ হওয়ায় বিপাকে মাগুরার ৪৯৯ খামারি
প্রাণিসম্পদ

করোনা সংক্রমণ রোধে সারাদেশে চলছে লকডাউন। আর এই লকডাউনে বিক্রি নিয়ে বিপাকে পড়ছেন মাগুরা জেলার ৪৯৯ খামারি। বিক্রি করতে না পেরে অনেক খামারিই দুধ ফেলে দিতে বাধ্য হচ্ছেন। এদিকে খামারিদের উৎপাদিত দুধ বহনকারী কোনো যানবাহন শহরে ঢুকতে না পারায় মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা হয়েছে। এতে আর্থিক সংকটের কারণে অনেক খামার বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে। অনেকে খামারের শ্রমিকদের পাওনা বেতন ও ঋণের টাকা পরিশোধ করতে গরু পর্যন্ত বিক্রি করছেন খামার মালিকরা।

জানা যায়, মাত্র ৩ বছর আগে ৪টি ফ্রিজিয়ান গরু নিয়ে সদরের বেলনগর গ্রামে নিজের বাড়িতে খামার গড়েছিলেন শামীমা সুলতানা। শুরুতে নিজে ও পরিবারের সদস্যদের পরিশ্রমে খামারটির গরুগুলো লালিত পালিত হতো। বর্তমানে নিজের পরিশ্রম ও সার্বিক চেষ্টায় খামারটির আয়তন বাড়ছে। এখন তার খামারে গরুর বাছুরসহ মোট ২০টি গরু হয়েছে। তার মধ্যে ১১টি গরু দুধ দেয়।

প্রতিদিন খামারটিতে ১৩০ কেজি দুধ পায় শামীমা। যা শহরের বিভিন্ন হোটেল ও আইসক্রিম ফ্যাক্টরি সংশ্লিষ্টরা সংগ্রহ করতো। খামারি শামীমা সুলতানা জানান, প্রতিদিন আমার ১১টি গরুর দুধ বিক্রি করে প্রায় ৬ হাজার টাকা পেতাম। যা দিয়ে শ্রমিক ও খামারের বিভিন্ন খরচ মেটানো হতো। বর্তমানে চলমান লকডাউনে খামারের উৎপাদিত দুধ বিক্রি করতে না পেরে ফেলে দিতে হচ্ছে। দুধ পরিবহন গাড়ি শহরে প্রবেশ করতে পারছে না। হোটেল ও আইসক্রিম ফ্যাক্টরিগুলো বন্ধ থাকায় তারাও আর যোগাযোগ করছে না। আমার উৎপাদন খরচ না উঠায় প্রতি মাসে ভর্তুকি নিয়ে চালাতে হচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে খামার বন্ধ হয়ে যাবে।

একই গ্রামের অপর খামারি হাজেরা খাতুন জানান, লকডাউনে খামার বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। তার খামারে ৮টি গরু রয়েছে। প্রতিদিন খরচ বাদে ৩/৪ হাজার টাকার দুধ বিক্রি হতো। লকডাউনে দুধ বিক্রি না হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন তিনি। এদিকে দুধ বাছুরগুলোকে খাওয়ালে তারাও অসুস্থ হয়ে যাচ্ছে বলেও জানান তিনি। তাই বাধ্য হয়ে দুধ ফেলে দিতে হচ্ছে।

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. হাদিউজ্জামান জানান, বর্তমানে আমরা একটি কঠিন সময় পার করছি। লকডাউনের এ সময়ে ক্ষতিগ্রস্ত খামারিদের সরকারি প্রণোদনা দেয়ার জন্য সরকার কাজ করছে। পাশাপাশি জেলার খামারিদের ঐক্যবদ্ধ করে ভ্রাম্যমাণ পরিবহনের মাধ্যমে দুধ বিক্রি করার ব্যবস্থার জন্য কাজ করছি বলেও জানান তিনি।

প্রকাশ : জুন ২৮, ২০২১ ১১:২৯ অপরাহ্ন
দ্বিতীয় ধাপে প্রণোদনা পেলেন ১৭৯২১ ক্ষতিগ্রস্ত খামারি 
পোলট্রি

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত আরও ১ লাখ ৭৯ হাজার ২১ জন খামারিকে দ্বিতীয় ধাপে ২১৬ কোটি ৮৬ লাখ ৩০ হাজার টাকা নগদ প্রণোদনা দিয়েছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।

রোববার (২৭ জুন) রাজধানীর ফার্মগেটে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সম্মেলনকক্ষে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এ প্রণোদনা দেওয়ার কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

অনুষ্ঠানে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের খামারিদের অতীতে কখনোই আমরা প্রণোদনা দিতে পারিনি। এর একটা শুভসূচনা এ বছর আমরা করলাম, যার পুরো কৃতিত্ব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। তিনি নির্দেশনা দিয়েছেন, আমাদের অনুপ্রাণিত করেছেন। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতকে টিকিয়ে রাখার জন্য সরকার বিভিন্ন রকম উদ্যোগ নিয়েছে। এ দু’টি খাতকে কীভাবে সম্প্রসারিত করা যায়, সেজন্য সরকার ব্যবস্থা নিয়েছে।

আরও বলেন, করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত খামারিরা যাতে ঘুরে দাঁড়াতে পারে সেজন্য আমরা প্রণোদনা কার্যক্রম হাতে নিয়েছি। ৬ লাখ ৯৮ হাজার ৭৪ জন খামারিকে ৮৪৬ কোটি টাকা প্রণোদনার সংস্থান রাখা হয়েছে। এর মধ্যে প্রথম ধাপে ৪ লাখ ৭৬ হাজার ৮১ জন খামারিকে ৫৫৭ কোটি ৩৮ লাখ ২০ হাজার ৭৪ টাকা নগদ প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে। দ্বিতীয় ধাপে ১ লাখ ৭৯ হাজার ২১ জন খামারিকে ২১৬ কোটি ৮৬ লাখ ৩০ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। এরপরও যাচাই-বাছাই করে করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত অবশিষ্ট খামারিদের প্রণোদনা দেওয়া হবে। লক্ষ্য একটাই মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাত যাতে কোনোভাবেই হয়ে না যায়। ভেঙে না পড়ে। আশা করি, এ প্রণোদনা দিয়ে খামারিরা ঘুরে দাঁড়াতে পারবে। শেখ হাসিনা সরকার খামারিদের পাশে আছে।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব রওনক মাহমুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. শেখ আজিজুর রহমান। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কাজী শামস্ আফরোজ। মন্ত্রণালয় এবং মৎস্য অধিদপ্তর ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ও মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

প্রকাশ : জুন ২৬, ২০২১ ১১:৫৬ অপরাহ্ন
করোনাকালেও দেশের মানুষের খাদ্য সংকট হয়নি: কৃষিমন্ত্রী
কৃষি বিভাগ

দারিদ্র্য বিমোচন ও খাদ্য নিরাপত্তায় বর্তমান সরকার অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে।সরকার দরিদ্র, গরিব ও দুস্থ মানুষকে সামাজিক নিরাপত্তা বেস্টনিতে আনতে ৬৫টিরও বেশি কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে বলে মন্তব্য করেছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।

শনিবার (২৬ জুন) রাজধানীর বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশনে ( এফডিসি) ‘প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর সামাজিক সুরক্ষায় প্রস্তাবিত বাজেট’ নিয়ে ছায়া সংসদে এসব কথা বলেন মন্ত্রী। ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি এ বিতর্ক প্রতিযোগিতার আয়োজন করে।

তিনি বলেন, সরকার ৫০ লাখ পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দিচ্ছে। ফলে করোনাকালেও দেশের মানুষের খাদ্য সংকট হয়নি। বর্তমানে কোথাও খাদ্যের জন্য হাহাকার নেই বরং জনগণের ক্রয়ক্ষমতা বেড়েছে।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের বর্তমান প্রবৃদ্ধিকে ধরতে পাকিস্তানের আরও কমপক্ষে ১২ বছর সময় লাগবে। এছাড়া, শিক্ষা, মাতৃমৃত্যু হ্রাস, স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও খাদ্য নিরাপত্তায় বাংলাদেশ ভারত থেকে এগিয়ে রয়েছে। দারিদ্র্যমোচন ও উন্নয়নে বাংলাদেশের এ সাফল্য সারা পৃথিবীতেই প্রশংসিত হচ্ছে। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমেও এর প্রশংসা হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, প্রস্তাবিত বাজেট খুবই যৌক্তিক ও বাস্তবসম্মত। এবারের বাজেটে করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে ভ্যাকসিন প্রদানে নিশ্চিয়তাসহ স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও কৃষি খাতকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। এছাড়া সরকার ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের বিকাশকে অগ্রাধিকার দিয়েছে, যাতে স্থানীয় পর্যায়ে উদ্যোক্তা তৈরি হয় এবং গ্রামীণ মানুষের কর্মসংস্থান করা যায়।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ। বিতর্ক প্রতিযোগিতায় সরকারি দল হিসেবে ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ ও বিরোধী দল হিসেবে প্রাইমএশিয়া ইউনিভার্সিটির বিতার্কিকরা অংশ নেন। প্রতিযোগিতায় ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশকে পরাজিত করে প্রাইমএশিয়া ইউনিভার্সিটি চ্যাম্পিয়ন হয়।

প্রকাশ : জুন ১২, ২০২১ ১১:৫১ অপরাহ্ন
করোনা আমাদের জন্য ‘অপরচুনিটি’ হয়ে এসেছে
প্রাণিসম্পদ

প্রতিটি চ্যালেঞ্জই একেকটি ‘অপরচুনিটি’। করোনা চ্যালেঞ্জও আমাদের জন্য ‘অপরচুনিটি’ হয়ে এসেছে। করোনাকালে মন্ত্রণালয় বিভিন্ন উদ্যোগের মাধ্যমে দেশের মানুষের জন্য ভূমিকা রেখেছে। মানুষ কখনো ভাবেনি যে সরকারি কর্মকর্তারা ঘুরে ঘুরে দুধ-ডিম-মাংস বিক্রি করবে। করোনা আমাদের সেই সুযোগ করে দিয়েছে। এতে করে সাধারণ মানুষের কাছে আমাদের গ্রহণযোগ্যতা বেড়েছে, তাদের সাথে আমাদের সম্পৃক্ততা বেড়েছে, আত্মিক সম্পর্ক স্থাপিত হয়েছে। সরকারি কর্মকর্তাদের দায়িত্ব হচ্ছে সম্পদে সবার ‘একসেস’ তৈরি করে দেওয়া।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের মাননীয় সচিব জনাব রওনক মাহমুদ অদ্য ১২/০৬/২০২১ খ্রিঃ তারিখে প্রধান অতিথি হিসেবে বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএলআরআই)-তে “প্রশাসনিক ও আর্থিক ব্যবস্থপনা” শীর্ষক ১২ দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মসূচি এবং “পিপিআর ও ক্ষুরারোগের মলিকুলার ডায়াগনোসিস (পিসিআর)” শীর্ষক ১৪ দিনব্যাপী উচ্চতর প্রশিক্ষণ কর্মসূচির উদ্বোধন ঘোষণাকালে এ কথা বলেন।

 

এসময় তিনি আরও বলেন, প্রাণিসম্পদ খাতে কাজ করার মত প্রচুর স্থান রয়েছে। গবেষণার মাধ্যমে জাত উন্নয়ন, জাত সংরক্ষণ, জাত বিশুদ্ধকরণ, অধিক উৎপাদনশীল জাত তৈরি, নিরাপদ প্রাণিজ আমিষের জাত তৈরি প্রভৃতি প্রযুক্তি উদ্ভাবন করতে হবে। একদিকে যেমন উৎপাদনের পরিমাণ বাড়াতে হবে, অন্যদিকে তেমনই পুষ্টিগত গুণ-মানও বৃদ্ধি করতে হবে। একই সাথে তিনি বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট এবং প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মধ্যে সমন্বয়ের মাধ্যমে গবেষণা লব্ধ জাতসমূহ খামারি পর্যায়ে পৌঁছে দেওয়ার জন্য উভয় সংগঠনকে দিক-নির্দেশনা প্রদান করেন এবং মাঠ পর্যায়ে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে মতবিনিময়ের মাধ্যমে বিদ্যমান সমস্যসমূহ চিহ্নিত করে তা দূরীকরণের নির্দেশ দেন।

 

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রাণিসম্পদ-২) শাহ্ মোঃ ইমদাদুল হক, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহপরিচালক ডাঃ শেখ আজিজুর রহমান। অনু্ষ্ঠানটির সভাপতি হিসেবে ছিলেন বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএলআরআই)-এর মহাপরিচালক ড. মোঃ আবদুল জলিল। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের প্রতিনিধিবৃন্দ এবং বিএলআরআই-এর উর্দ্ধতন কর্মকর্তাবৃন্দ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন পোল্ট্রি গবেষণা ও উন্নয়ন জোরদারকরণ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ড. মোঃ সাজেদুল করিম সরকার এবং পিপিআর রোগ নির্মূল এবং ক্ষুরারোগ নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ডাঃ মোহাম্মদ ফজলে রাব্বী মন্ডল।

সভাপতি ও বিএলআরআই’র মহাপরিচালক ড. মোঃ আবদুল জলিল তাঁর বক্তব্যে সচিব মহোদয় ও অন্যান্য অতিথিবৃন্দের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, রমজানে প্রয়োজনীয় দ্রব্যসমূহের মূল্য নিয়ন্ত্রণ এবং বড় পরিসরে দুগ্ধ সপ্তাহ আয়োজনের মত কাজ মন্ত্রণালয়ের ভাবমূর্তি বৃদ্ধি করেছে। দেশের প্রাণিসম্পদ খাতের উন্নয়নের জন্য প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর ও বিএলআরআইকে সহযোগিতামূলক মনোভাব নিয়ে যৌথভাবে কাজ করতে হবে। এক্ষেত্রে মন্ত্রণালয়কেই প্রধান সমন্বয়কারী ও দিক-নির্দেশকের ভূমিকা পালন করতে হবে।

 

বিএলআরআইতে কর্মরত বিজ্ঞানীবৃন্দের প্রশাসনিক দক্ষতা বৃদ্ধিকল্পে এবং অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনার নানা দিক সম্পর্কে ব্যবহারিক অভিজ্ঞতা অর্জনের লক্ষ্যে “প্রশাসনিক ও আর্থিক ব্যবস্থপনা” শীর্ষক প্রশিক্ষণটি পরিচালিত হচ্ছে। প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করেন বিএলআরআই-এর ২০ জন উর্দ্ধতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করছেন। বিএলআরআই কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন পোল্ট্রি গবেষণা ও উন্নয়ন জোরদারকরণ প্রকল্পের আয়োজনে এই প্রশিক্ষণটি পরিচালিত হচ্ছে।

 

অন্যদিকে পিপিআর রোগ নির্মূল এবং ক্ষুরারোগ নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের আয়োজনে বিএলআরআইতে “পিপিআর ও ক্ষুরারোগের মলিকুলার ডায়াগনোসিস (পিসিআর)” শীর্ষক প্রশিক্ষণটি পরিচালিত হচ্ছে। আবাসিক এই প্রশিক্ষণটিতে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের বিভিন্ন স্তরের ১০ জন বিজ্ঞানী অংশগ্রহণ করছেন যারা পরীক্ষাগারে অনুশীলনের মাধ্যমে হাতে কলমে পিপিআর ও ক্ষুরারোগ নিয়ন্ত্রণের কলাকৌশল আয়ত্ব করবেন। বাংলাদেশ সরকারের ঘোষিত লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ২০২৬ সালের মধ্যে দেশ থেকে পিপিআর রোগ নির্মূল এবং ক্ষুরারোগ নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে পিপিআর রোগ নির্মূল এবং ক্ষুরারোগ নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হচ্ছে।

প্রকাশ : জুন ৪, ২০২১ ৬:২৫ অপরাহ্ন
গাড়ি গাড়ি আম, নেই শুধু ক্রেতা!
প্রাণ ও প্রকৃতি

প্রতিদিন শত কোটি টাকার আমের বাণিজ্য হয়ে থাকে রাজশাহীর সবচেয়ে বড় আমের হাট বানেশ্বরে। আর এই সিজনে সেখানকার আম চাষীদের মাঝে বিরাজ করছে হতাশা। সেখানে গাড়ি গাড়ি আম থাকলেও নেই কোন ক্রেতা।

কাটাখালী এলাকার সুজন আলী নামের স্থানীয় এক আমচাষি জানান, ‘আমাদের এখানে ক্রেতা অনেক কম। সাধারণ ক্রেতা নাই বললেই চলে। ঢাকাসহ অন্যান্য জেলার যেসব বাইরের ব্যাপারিরা আছেন তারা আবার স্থানীয় ব্যাপারিদের সঙ্গে করে নিয়ে আসেন। হাটে যখন দেখে আম অনেক বেশি তখন তারা দাম দিতে চাই না। আবার ৫২ কেজি আমে মণ হিসেব করে। এতে ১২ কেজিই পুরাই লস, এটা আমাদের চাষিদের জন্য বিশাল সমস্যা।’

বানেশ্বর বাজারের আবু সুফিয়ান নামের এক ব্যাপারি জানান, ‘বাইরের পার্টিরা ৪৫ কেজিতে মণ নেয়। কম দিলে নিতে চাই না। আবার ৪৫ কেজি আম পাঠালে সেটা পেকে গেলে ওজন কমে ৪৩ কেজি কমে যায়। তখন তারা আবার আপত্তি জানায়। তাই আমাদেরও এখানে চাষিদের কাছে থেকে মণপ্রতি বেশি নিতে হয়। তবে ৪৮ থেকে ৫২ কেজিতে মণ ধরার বিষয়টি সত্য নয়।’

জানায় যায়, রাজশাহীর হাইওয়েগুলোতে একের পর এক আমের ক্যারেট ভর্তি ভ্যান। তাদের গন্তব্য বানেশ্বর আমের হাট। রাজশাহী থেকে পুঠিয়ার বানেশ্বর হাটে যাওয়ার পথে হাইওয়ের বেশ কিছু জায়গাতে কিছু কিছু আমের দোকান চোখে পড়ে। আবার অনেকে রাস্তার পাশে ক্যারেটে এমনকি ভ্যানের ওপর ক্যারেভর্তি আম নিয়ে বিক্রি করছেন। অনেকেই গাড়ি থামিয়ে কিনছেনও তাদের আম।

পুঠিয়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নুরুল হাই মোহাম্মদ আনাস জানান, গতবারের তুলনায় এবারে আমের জোগান অনেক বেশি। তবে সেই তুলনায় ক্রেতা নেই। করোনার কারণে বর্তমানে অনেক আমচাষি ও উদ্যোক্তার সৃষ্টি হয়েছে। এটি একদিক দিয়ে ভালো হলেও চাষিদের জন্য সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ, এবার অনেক ব্যবসায়ীই অনলাইনে অর্ডার দিয়ে আম কিনছেন। অন্যদিকে, যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হওয়ায় এবং ম্যাংগো স্পেশাল ট্রেন চালু হওয়ায় অনেকেই অনলাইনে অর্ডার করে কুরিয়ার অথবা ট্রেনযোগে সংগ্রহ করছেন।

তিনি জানান, গতবছর প্রতিদিন বানেশ্বর থেকেই প্রায় ৩০০টি আমভর্তি ট্রাক ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় যেত। কিন্তু এবছর মাত্র ৩০ থেকে ৪০টি ট্রাক প্রতিদিন বানেশ্বর বাজার থেকে রাজশাহীর বাইরে যাচ্ছে। এখনো বাগানে প্রচুর আম রয়েছে। আবার হাটেও প্রচুর আম, কিন্তু সেই তুলনায় ক্রেতা নেই।

সম্প্রতি করোনার ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও রাজশাহীতে করোনার আক্রান্তের হার অনেক বেশি হওয়ায় বাইরের অনেক ব্যাপারিরা রাজশাহীতে আসতে ভয় পাচ্ছেন বলেও জানান ইউএনও।

ঢলন বা সোলা প্রথার উচ্ছেদের কথা থাকলেও তা মানছে না আড়তদার বা ব্যাপারিরা। এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঢলন প্রথার উচ্ছেদ করে মেট্রিক পদ্ধতিতে আম ব্যবসা পরিচালনার কথা বলা হয়েছে। এ নিয়ে বাজার মনিটরিং করা হচ্ছে। এ নিয়ে আমাদেরকে কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop