১:০৭ অপরাহ্ন

বৃহস্পতিবার, ৯ মে , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : জুলাই ২৩, ২০২২ ৬:৩৯ পূর্বাহ্ন
লালমাই পাহাড়ে সবজি চাষ করে ভাগ্য পরিবর্তন করেছে স্থানীয় বাসিন্দারা
এগ্রিবিজনেস

কুমিল্লা জেলার লালমাই পাহাড়ে সবজি চাষ করে ভাগ্য পরিবর্তন করেছে স্থানীয় বাসিন্দারা। পাহাড়ি মাটির সবজি সুস্বাদু হওয়ায় চাহিদাও বেশী। এখানকার সবজি স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে সরবরাহ হয় ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে।

এদিকে চাষ বাড়াতে নানা উদ্যোগের কথা জানায় কৃষি অধিদপ্তর।

লালমাই পাহাড়ের লাল মাটিতে স্বপ্ন বুনে স্বাবলম্বী হচ্ছেন স্থানীয় কৃষকরা। বছর জুড়েই চিচিঙ্গা, ঢেড়স, লাউ, কচু, কচুমুখি, কলা, বরবটিসহ নানা রকম সবজি চাষ করছেন তারা।

স্থানীয় কৃষক মিজানুর রহমান জানান, বর্ষাকালে জেলার অন্য স্থানে তেমন সবজি চাষ না হলেও ব্যতিক্রম পাহাড়ি এলাকা। বর্ষাজুড়েই সবজি আবাদ হয় লালমাই পাহাড়ে। আর পাহাড়ের মাটি উর্বর হওয়ায় ফলনও হয় ভালো। পাহাড়ের এসব সবজি খেতে সু-স্বাদু। তাই এর চাহিদাও অনেক।

কৃষক সেলিম মিয়া জানান, পুরো বর্ষাকাল সবজি চাষ করেই চলে তাদের সংসার। এ বিষয়ে কুমিল্লা কৃষি সম্প্রাসরণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মিজানুর রহমান বাসসকে বলেন, দেশের এক ইঞ্চি জায়গাও অনাবাদি থাকবে না, প্রধানমন্ত্রীর এ ঘোষণা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে লালমাই পাহাড়কে সবজি চাষের আওতায় আনা হয়েছে ।

প্রকাশ : জুলাই ১৫, ২০২২ ৯:২২ পূর্বাহ্ন
কুমিল্লায় পাটের বাম্পার ফলন, কৃষকের মুখে হাসি
এগ্রিবিজনেস

পাট বাংলাদেশের অর্থ উপার্জনের অন্যতম মাধ্যম। পাট ছাড়া কারও জীবন একদিনের জন্য অতিবাহিত হওয়া সম্ভব না। এটি একটি বর্ষাকালীন ফসল। আর পাটকে বলা হয় বাংলাদেশের সোনালী আঁশ। পাট পরিবেশ বান্ধব, বহুমুখী ব্যবহারযোগ্য আঁশ ।
আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার কুমিল্লায় সোনালী আঁশ পাটের বাম্পার ফলন হয়েছে। পূর্ব লক্ষ্যমাত্রা থেকে এবার ৫শত হেক্টর বেশি জমিতে পাট চাষ হয়েছে। এবছর ভালো বৃষ্টিপাত ও সারের সঙ্কট না থাকায় বাম্পার ফলন হয়েছে বলে কৃষকরা মনে করেন।

কৃষক মোতালেব জানান, তিনি এবছর ২ বিঘা জমিতে পাট চাষ করেন। প্রতি বিঘাতে প্রায় ৮ হাজার টাকার মতো খরচ হয়েছে। গতবারের তুলনায় এবার বাম্পার ফলন হয়েছে। এখন পাটের আঁশ ছাড়াতে ব্যস্ত সময় পার করছেন।

জেলা কৃষি অফিস থেকে জানা যায়, এবছর জেলার প্রায় ১০ হাজার হেক্টর জমিতে পাট চাষ হয়েছে। এতে দেশি ও তোষা জাতের পাট রয়েছে। পাটের মূল্য নাগালেই থাকায় ধীরে ধীরে বাড়ছে পাটের চাষ।

কুমিল্লার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মিজানুর রহমান বলেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবং কৃষি বিভাগের সহযোগীতায় এবার পাটের বাম্পার ফলন হয়েছে। কৃষি বিভাগ চাষিদের সব ধরনের সহযোগীতা করবে বলে তিনি আশ্বাস রাখেন।

প্রকাশ : মে ৫, ২০২২ ৩:২৯ অপরাহ্ন
কুমিল্লায় সাথী ফসলের চাষে লাভবান হচ্ছেন কৃষক
কৃষি বিভাগ

কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি, তিতাস, চান্দিনা, দেবীদ্বারসহ কয়েকটি উপজেলার কৃষকেরা তাদের জমিতে তিন সাথী ফসলের (ভুট্টা, ধনেপাতা, আলু) আগাম চাষ করে লাভবান হচ্ছেন। তারা ভুট্টা চাষের পাশাপাশি প্রতিটি জমিতে ধনেপাতা ও আলুর চাষ করে রীতিমতো কৃষি অঙ্গনে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন।

এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ভুট্টার বাম্পার ফলনের পাশাপাশি জমিতে আলু ও ধনেপাতার চাষও বেশ ভালো হয়েছে। এতে ধনেপাতা ও আলু বিক্রি থেকেই কৃষকের ভুট্টা চাষের খরচ উঠে আসে। তিন সাথী ফসলে লাভবান হওয়ায় কৃষকের মুখে আনন্দের হাসি ফুটে উঠেছে। জেলার দাউদকান্দি, তিতাস, চান্দিনা, দেবীদ্বারসহ কয়েকটি উপজেলা এলাকা ঘুরে কৃষকের সঙ্গে কথা বলে তাদের সাফল্যের এসব বিষয় জানা গেছে।

সরেজমিন জেলার দাউদকান্দি উপজেলা এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ঐ উপজেলার পাঁচগাছিয়া, দৌলতপুর, জিংলাতলী, মারুকা, মালিগাঁও, বারপাড়া, সুন্দলপুর, হরিপুর, ঢাকারগাঁও, গোয়ালমারী, রাঙ্গাশিমুলিয়া, ডাকখোলাসহ বিভিন্ন গ্রামের মাঠ জুড়ে ভুট্টা আর ভুট্টা। এখন ভুট্টা সংগ্রহের উৎসব চলছে। প্রতিটি বাড়ির উঠানে, ঘরের চালায়, ভবনের ছাদে, স্থানীয় স্কুল-মাদ্রাসা ও মক্তবের মাঠে কিষাণ-কিষাণীরা  ভুট্টা নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। কেউবা ফসলের মাঠে গিয়ে ভুট্টা সংগ্রহ করছেন। কেউ জ্বালানির জন্য ভুট্টার মোচা, ভুট্টার ছোবড়া ও ভুট্টাগাছ সংগ্রহ করছেন। আবার বসতবাড়িগুলোর উঠানে উঠানে কেউ ভুট্টা শুকাচ্ছেন। দেখা গেছে, ভুট্টা চাষের পাশাপাশি প্রতিটি জমিতে আলু ও ধনেপাতার চাষও করেছেন কৃষকেরা।

মনির হোসেন, কবির উদ্দিন, রমিজ হোসেন, জাকির হোসেনসহ অন্তত ১০ জন কৃষকের সঙ্গে কথা হলে তারা জানান, বীজ, চাষ, সার, কৃষিশ্রমিক ও পরিচর্যাসহ একই খরচে জমিতে ভুট্টার পাশাপাশি ধনেপাতা ও আলুর চাষ করা যায়। এতে ভুট্টা চাষের খরচ ধনেপাতা ও আলু বিক্রি থেকে উঠে আসে। এভাবে ভুট্টার আয়ের পুরোটাই তাদের লাভ হয়।

গোয়ালমারী গ্রামের কৃষক সোহেল মিয়া বলেন, তিনি সাড়ে ১২ বিঘা জমিতে অগ্রহায়ণ মাসের শেষ সপ্তাহে প্রথমে ধনেপাতা বপন করেন। একই জমিতে পৌষ মাসের প্রথম সপ্তাহে বপন করেন ভুট্টা। ধনেপাতা বিক্রির পর একই জমিতে মাঘ মাসের শেষ সপ্তাহে ভুট্টার সঙ্গে আলু চাষ করেন। আলু তোলার পর বৈশাখ মাসের প্রথম সপ্তাহে ভুট্টা সংগ্রহ করেন।

তিনি আরো বলেন, আবাদকৃত জমি থেকে ৮৫ হাজার টাকার ধনেপাতা এবং ৬৫ হাজার টাকার আলু বিক্রি করেন। সেখানে ১৫ হাজার টাকা লাভ হয়েছে। আর বাজারে প্রতি মণ ভুট্টার দাম ৭৮০ টাকা। ভুট্টা বিক্রিতে এবার প্রায় আড়াই লাখ টাকা লাভ হবে। প্রতি বিঘা জমির ভুট্টাগাছ ১২ হাজার টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কুমিল্লার উপপরিচালক মো. মিজানুর রহমান বলেন, চলতি বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় তিন সাথী ফসল (ভুট্টা, ধনেপাতা, আলু) আবাদে সংশ্লিষ্ট এলাকার প্রায় সব কৃষকই শতভাগ লাভবান হয়েছেন। ভুট্টা আগাম চাষ করা গেলে এবং ব্যবস্থাপনা ভালো হলে উচ্চ ফলন পাওয়া সম্ভব। এ ব্যাপারে আমরা কৃষকদের পরামর্শসহ নানাভাবে সহায়তা দিয়ে যাচ্ছি।

 

 

সূত্রঃ বাসস

প্রকাশ : এপ্রিল ২, ২০২২ ১২:৫০ অপরাহ্ন
কুমিল্লা জেলা জনকল্যাণ সমিতির উদ্যোগে বৃক্ষরোপন
প্রাণ ও প্রকৃতি

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আহবানে সাড়া দিয়ে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলা ও পরিবেশ রক্ষায় কুমিল্লা জেলা জনকল্যাণ সমিতির উদ্যোগে পালিত হয়েছে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি। পহেলা এপ্রিল এই কর্মসূচিটি পালিত হয়।

গতকাল বেলা ৩ টায় সিলেট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ ক্যাম্পাসে ফলজ, ঔষধি ও বনজ গাছের চারা রোপন করা হয়। পরে সিলেটের বালুচর এলাকায় অসহায় ও হত-দরিদ্রের মাঝে পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে ইফতার সামগ্রী বিতরণ করা হয়

উক্ত অনুষ্টানে উপস্থিত ছিলেন সিলেট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের প্রিন্সিপাল জনাব আবদুর রউপ, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কুমিল্লা জেলা জনকল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. মোজাম্মেল হক, সাংগঠনিক সম্পাদক ইয়াছিন আহমেদ সুমন, যুগ্মসম্পাদক ও আজীবন সদস্য কে.এম আলমগীর হোসাইন, সহসম্পাদক ও উত্তরা ব্যাংক কর্মকর্তা মোস্তফা নয়ন, সমিতির আজীবন সদস্য ও সিলেট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের সহকারী অধ্যাপক বেলাল আহমদ, সহসম্পাদক ও এবি ব্যাংক কর্মকর্তা মোঃ রাফি মিলন এবং আজীবন সদস্য মোঃ রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।

কর্মসূচির বিষয়ে কুমিল্লা জেলা জনকল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের এগ্রোনমি ও হাওর এগ্রিকালচার বিভাগের শিক্ষক প্রফেসর ড. মোজাম্মেল হক জানান, “মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সবাইকে ৩ টি করে গাছ লাগানোর জন্য আহ্বান জানিয়েছেন। গাছ আমাদের পরম বন্ধু। জলোচ্ছ্বাস, ঘূর্ণিঝড় ইত্যাদি বিভিন্ন প্রাকৃতিক দূর্যোগে বিপদের হাত থেকে গাছ আমাদের রক্ষা করে। এছাড়াও পরিবেশ রক্ষায় যতগুলো কর্মসূচি রয়েছে তার মধ্যে সবচেয়ে টেকসই কর্মসূচি হচ্ছে বৃক্ষরোপণ।

তিনি আরো বলেন সরকারের পাশাপাশি সমাজের বিত্তবান মানুষদেরও অসহায় দরিদ্র মানুষের জন্যে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়া উচিত।”

প্রকাশ : মার্চ ২৫, ২০২২ ২:৪৬ অপরাহ্ন
কুমিল্লায় আলুর বাম্পার ফলনে খুশি চাষিরা
কৃষি বিভাগ

কুমিল্লা জেলায় এবার চলতি মৌসুমে আলুর বাম্পার ফলন হওয়ায় খুশি চাষিরা। জানা গেছে, চলতি মৌসুমে প্রায় ১৭ হাজার হেক্টর জমিতে ১২ জাতের আলুর আবাদ করেছে চাষীরা। উন্নত জাতের আলু চাষ করে বিঘা প্রতি ২০ থেকে ২৫ মণ আলুর বেশি ফলন পেয়েছেন কৃষকেরা। এবার লক্ষ্যমাত্রার থেকেও ২৭ হাজার মেট্রিক টন বেশি আলু উৎপাদন হয়েছে কুমিল্লা জেলার ১৭ টি উপজেলায়।এতে খুশিতে আত্মহারা আলু চাষীরা।

কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ক্ষেত থেকে আলু তোলা শুরু হলেও এখনো মাটি থেকে লাখ লাখ টন আলু তোলা বাকি। ইতোমধ্যে প্রায় আড়াই হাজার মেট্রিকটন আলু তোলা হয়েছে। কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই কুমিল্লা জেলার ১৭টি উপজেলায় একযোগে আলু তোলার উৎসব শুরু হবে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় লক্ষ্যমাত্রার থেকেও বেশি  আলুর ফলন হয়েছে। জেলায় আলু আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ১৫ হাজার ৯৩৪ হেক্টর জমিতে নির্ধারণ করা হলেও আলুর আবাদ হয়েছে  ১৭ হাজার হেক্টর জমিতে। যা লক্ষ্যমাত্রা থেকেও ১০৬৬ হেক্টর বেশি। হেক্টরপ্রতি গড় উৎপাদন ২৫ টনের বেশি হওয়ায়, সেই হিসেবে ৪ লক্ষ টন আলু উৎপাদন হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।

কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি, চান্দিনা, বুড়িচং, মুরাদনগর, আদর্শ সদর ও দেবিদ্বারের উপজেলার কয়েকটি গ্রাম ঘুরে আলু চাষিদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, এবারের আলু মৌসুমে চাষিরা ১২ প্রজাতির আলু চাষ করেছেন। ডায়মন্ড, কার্ডিনাল, গ্র্যানোলা, মালটা, হীরা, অরিগো, কোস্টারিকা, পেট্রোনিজ, বেলেনী, এস্টারিক্স, সাগিতা ও রোজগোল্ড জাতের আলুর আবাদ করেছে। তবে হোয়াইট ডায়মন্ড ও কার্ডিনাল জাতের আলুর ব্যাপক ফলন হয়েছে। এছাড়াও অনেকে অন্যান্য জাতের আলুও আবাদ করেছে।

আলু চাষিরা জানান, অনুকূল আবহাওয়া ও কৃষি উপকরণ সুলভমূল্যের কারণে এবার ফলন ভালো হয়েছে এবং ন্যায্যমূল্য পেলে ভালো লাভ করা যাবে।

কুমিল্লা জেলা কৃষি সম্প্রারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মিজানুর রহমান বলেন, কুমিল্লার সবক’টি উপজেলার মাটি আলু চাষের জন্য খুবই উপযোগী। এবারে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অনেক বেশি আলু আবাদ হয়েছে। ক্ষেতে আলু ভাল রাখতে প্রতিষেধক হিসেবে ছত্রাকনাশক প্রয়োগ করে সুফল পেয়েছেন আলু চাষিরা। আমাদের কর্মকর্তাসহ মাঠকর্মীরা সার, কীটনাশক প্রয়োগের ব্যাপারে কৃষকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়েছেন। যার ফলে এবার বাম্পার ফলন হয়েছে।

প্রকাশ : নভেম্বর ১৯, ২০২১ ৭:৩৮ অপরাহ্ন
কুমিল্লার মাছের আঁশ যাচ্ছে চীন-জাপান
মৎস্য

কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার ঝাকুনিপাড়া এলাকা। ঝাকুনিপাড়া অতিক্রম করতে নাকে লাগবে মাছের গন্ধ। অনেকটা শুঁটকি খোলায় করতে মাছ শুকাতে দেয়ার গন্ধের মতো। তিরপলে রোদে শুকানো হচ্ছে সাদা রঙের কিছু। কাছে গেলে ভুল ভাঙবে। এতো মাছের আঁশ। ছয় জন যুবক এখানে কাজ করছেন। কেউ মাছের আঁশ পরিষ্কা করছেন, কেউ সেই আঁশ রোদে উল্টে দিচ্ছেন। যে মাছের আঁশ উচ্ছিষ্ট হিসেবে ফেলে দেয়া হতো, সেই উচ্ছিষ্ট চীন-জাপান রপ্তানি করা হয়।

জানা গেছে, মাছের আঁশ দিয়ে ঘরের শো-পিস, ক্যাপসুলের বাহ্যিক অংশ ও গহনা তৈরি করা হয়। মাছের আঁশে সচ্ছলতা এসেছে অনেক পরিবারে। এখানে মাছের আঁশ শুকানোর উদ্যোক্তা মো. মাহবুব আলম। তার বাড়ি পাশের কুমিল্লা নগরীর সংরাইশ এলাকায়। মাহবুবের মতো নগরীর আরো দুই ব্যক্তি মাছের আঁশ সংগ্রহ করেন।

আঁশ শুকানো শ্রমিকদের একজন বিল্লাল হোসেন। তিনি বলেন, আমরা ৬ জন আঁশ শুকানোর কাজ করি। সবার বাড়ি মুরাদনগরের নহল চৌমুহনী। মাছের আঁশ শুকানো দেখতে অনেক মানুষ আসে। জানতে চায় এগুলো দিয়ে কি হয়। ফোন পেয়ে আঁশ শুকানোর স্থানে আসেন মাহবুব আলম। নদীর পাড়ে মোটরসাইকেল রেখে নিচে আঁশ শুকানোর স্থানে নামেন। গায়ে সাদা রঙের সুতির দামি পাঞ্জাবি। চোখে দামি সানগ্লাস।

মাহবুব আলম বলেন, অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়েছি। জীবনে অনেক পরিশ্রম করেছি। নগরীর রাজগঞ্জ মাছ বাজারে নানার বাড়ি সূত্রে একটি ঘর পেয়েছেন। সেখানে তিনিসহ কয়েকজন মাছ কাটেন। বছর দশেক আগে তার কাছে নারায়ণগঞ্জ সাইনবোর্ড এলাকার এছহাক বেপারী নামের একজন লোক আসেন। তিনি মাছের আঁশ কেনার আগ্রহ প্রকাশ করেন। তিনি শুকানো ১০ কেজি মাছের আঁশ বিক্রি করে পান ৪০০ টাকা। সেই থেকে শুরু।

তিনি রাজগঞ্জ মাছ বাজারের ১৮টি দোকান থেকে মাছের আঁশ সংগ্রহ করেন। এছাড়া নগরীর বাদশা মিয়া বাজার, টমসমব্রিজ, কোটবাড়ি, পদুয়ার বাজার, চৌয়ারা, মগবাড়ী ও সেনানিবাসসহ বেশ কয়েকটি বাজার থেকে মাছের আঁশ সংগ্রহ করেন। প্রতিদিন গড়ে ১০০ কেজি আঁশ সংগ্রহ করেন। মাসে প্রায় ৩ টন। রোদে শুকানোর পর প্রতিকেজি আঁশ ৪০ টাকা দরে বিক্রি করেন। আঁশ শুকানোর তার ছয়জন কর্মচারী রয়েছে। প্রতিজনকে থাকা খাওয়াসহ মাস শেষে ১০ হাজার টাকা করে বেতন দেন। সব খরচ বাদে প্রতিমাসে এখন তার ১৫ হাজার টাকার মতো লাভ হয়।

মাহবুব জানান, ঢাকা থেকে যারা তার কাছ থেকে শুকনো আঁশগুলো কিনেন তারা চীন, জাপানে, ইন্দোনেশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়াতে এইগুলো রপ্তানি করেন।

মাছের আঁশ দিয়ে ঘরের শো-পিস, ওষুধ, ক্যাপসুলের বাহ্যিক অংশ ও গহনা তৈরি করা হয়। তিনি বলেন, ১০ বছর আগে যে আঁশ কেজি ৪০ টাকা ছিলো তা মাঝে কমে যায়। এখন তা আবার ৪০ টাকা হয়েছে। দাম বাড়লে আমরা ভালো লাভ করতে পারতাম।

মাহবুব জানান, প্রথম প্রথম এ কাজে অনেকেই নাক সিটকাতো। দুর্গন্ধ বলে দূরে থাকতো। তবে আমি কাজ চালিয়ে যেতাম। কোন কাজই ছোট নয়। কাজকে ভালোবাসলে মানুষের সম্মান বৃদ্ধি বাড়ে। বিদেশে এসব কাজের অনেক মূল্য। স্নাতক পাস দেবিদ্বারের এক ছেলে এসে কাজ শিখেছে। সে বিদেশে গিয়ে এখন মাসে বাড়িতে লাখ টাকা পাঠায়। যারা এই কাজে নাক সিটকাতো তারা এখন দেখতে আসে। এইসব কাজে তার পরিবারে সচ্ছলতা এসেছে। মাছ কাটা ও আঁশ শুকানোর মাধ্যমে কিছু মানুষের কাজের সুযোগ করে দিতে পেরে ভালো লাগছে। ভবিষ্যতে আরো বেশি মানুষের কাজের সুযোগ সৃষ্টি করতে চাই।

ব্যবসায়ী নেতা শাহ মোহাম্মদ আলমগীর খান বলেন, মাহবুব আলমের মাছের আঁশ সংগ্রহ ও বিক্রি ব্যবসায় নতুন সংযোজন। তার দেখাদেখি এই ব্যবসায় আরো অনেক তরুণ এগিয়ে আসছে। তাদের এগিয়ে দিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানাচ্ছি।

বিসিক কুমিল্লার ডিজিএম মিরাজ শফিক বলেন, ফেলনা উচ্ছিষ্টকে যারা সম্পদে পরিণত করছেন তারাই প্রকৃত উদ্যোক্তা। মাহবুব আলমের ব্যতিক্রমী উদ্যোগ অনেকের জন্য অনুকরণীয় হতে পারে। আমরা তাকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করবো।

প্রকাশ : নভেম্বর ৫, ২০২১ ৯:১৬ পূর্বাহ্ন
আমন ধানের দামে তুষ্ট কৃষকরা
কৃষি বিভাগ

কুমিল্লা জেলার হাটে উঠতে শুরু করেছে আগাম জাতের আমন ধান। হাটগুলোতে বেড়েছে সরবরাহ। সপ্তাহের ব্যবধানে এসব হাটে মণপ্রতি ৫০ থেকে ৬০ টাকা বেড়েছে দর। ধানের বাড়তি দরে কৃষকরা খুশি। কুমিল্লায় ভোরের আলো ফুটতেই মাঠ থেকে কেটে তোলা ধান বিক্রির জন্য জেলার দোল্লাই নওয়াবপুর হাটে নিয়ে আসেন চাষিরা। এতে কেনাবেচাও হয়ে ওঠে জমজমাট। এবার মৌসুমের শুরুতেই ব্যবসায়ীরা বেশ চড়া দামে ধান সংগ্রহ করছেন এবং ভালো দর পেয়ে খুশি চাষিরাও।

কৃষকরা বলেছেন, এক হাজার ৪০০ টাকায় বিক্রি করেছি। ধানের ফলনও ভালো। এ রকম থাকলে, আমরা বেশ লাভবান হব। তবে যখন আমদানি বেশি হয়ে যায়, তখন ব্যবসায়ীরা দাম কমিয়ে দেন। এক্ষেত্রে সরকারের তদারকি দরকার, যেন দাম না কমে। বাজারে আগাম জাতের ধানের দর কিছুটা বাড়লেও আতপের দর কমতির দিকে। কুমিল্লার এ হাটে প্রতি মণ কাটারিভোগ ১ হাজার ৩২০ টাকা, মিনিকেট ১ হাজার ৩০০ টাকা, লম্বা জিরা ১ হাজার ৩২০ টাকা, গোল্ডেন আতপ ১ হাজার ৩৫০ টাকা, চিনি আতপ ১ হাজার ৬২০ টাকা এবং আগাম আমন ৯২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, মিল পর্যায়ে ধানের মজুত নিশ্চিত করতে চড়া দামে কিনতে হচ্ছে তাদের। কংশনগর হেলাল অটোমেটিক রাইস মিলের মো. ফারুক আহমেদ বলেছেন, নতুন ধানের সরবারহ ধীরে ধীরে বাড়ছে। মোটামুটি দাম ভালো পাচ্ছেন কৃষকরা। আগামীতে দাম আরও বাড়বে। প্রাথমিক পর্যায়ে দাম বেশি উল্লেখ করে ধান ব্যবসায়ী তমিজ উদ্দিন বলেছেন, ১ হাজার ৩০০ টাকার ধান ১ হাজার ৪০০ টাকা দিয়ে কিনতে হয়েছে। ১০০ টাকা বেড়ে গেছে। তবে সার্বিক অনুপাতে দাম ভালোই রয়েছে। এবার প্রাকৃতিক দুর্যোগসহ নানা সমস্যা কম থাকায় ধানের ভালো ফলনের আশা করছে কৃষি বিভাগ।

কুমিল্লা কৃষি সম্প্রাসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক মিজানুর রহমান বলেন, বিগত বছরের তুলনায় এবার আবহাওয়া ভালো ছিল। আবহাওয়া অনুকূলে থাকার কারণে এবার ফলন ভালো হয়েছে। কৃষকরা লাভবান হবে।

প্রকাশ : নভেম্বর ৫, ২০২১ ৯:০৪ পূর্বাহ্ন
কুমিল্লায় আলুর দামে ধস; প্রতিকেজি ৮ টাকা!
কৃষি বিভাগ

কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলায় পাইকারী বাজারে আলুর দামে নেমেছে ধস। গত বছর এই সময় প্রতি কেজি আলু খুচরায় ৫০ টাকা ও পাইকারিতে ২০ টাকা দরে বিক্রি হলেও চলতি বছর পাইকারীতে প্রতিকেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৭-৮ টাকা দরে।

আলুর দাম না পেয়ে হতাশ হয়ে পড়েছেন হিমাগারে আলু মজুত করা কৃষক ও ব্যবসায়ীরা

উপজেলার কাদিয়ারভাঙা গ্রামের বাসিন্দা ব্যবসায়ী নাছির উদ্দিন জানান, চলতি বছর তিনি মাল্টা ও ডায়মন্ড জাতের ৫৫ কেজির ৫০ হাজার বস্তা আলু নৈয়ার সরকার আইস অ্যান্ড কোল্ড স্টোরেজে রেখেছেন। ৫৫ কেজির প্রতি বস্তা আলু হিমাগারের ভাড়াসহ রাখতে খরচ হয়েছে ৯৯০ টাকা। বর্তমান বাজারে বিক্রি করতে পারছেন ৩৮৫ থেকে ৪০০ টাকা। প্রতি ৫৫ কেজির বস্তায় লোকসান হচ্ছে ৫৯০ থেকে ৬০৫ টাকা।

কৃষক ও ব্যবসায়ীরা বলছেন, চাহিদার তুলনায় বেশি আলু হিমাগারে সংরক্ষণ করায় ও করোনাকালে বিধিনিষেধে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, কওমি মাদরাসার লিল্লাহ বোর্ডিং, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর হল ও হোটেল-রেস্তোরাঁ বন্ধ থাকায় এবং বিদেশে রপ্তানি করতে না পারায় হিমাগারে সংরক্ষিত আলু বিক্রি করা সম্ভব হয়নি। এতে ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।

প্রকাশ : নভেম্বর ৪, ২০২১ ৮:৩৮ পূর্বাহ্ন
কুমিল্লায় কৃষকদের মাঝে সার বীজ ও কৃষি যন্ত্রপাতি বিতরণ
কৃষি বিভাগ

কুমিল্লা জেলার বুড়িচংয়ে কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে সার বীজ ও কৃষি যন্ত্রপাতি বিতরণ করা হয়েছে।

উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে বুধবার সকাল ১০টায় উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্যোগে ২০২১-২২ অর্থ বছরের আওতায় রবি মৌসুমে কৃষকদের মাঝে এ সব বিতরণ করেন কুমিল্লা-৫ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট আবুল হাসেম খাঁন এমপি।

এ সময়ে ২০২১-২২ অর্থ বছরের সমন্বিত ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে কৃষি যান্ত্রিকীকরণ প্রকল্পের আওতায় উন্নয়ন সহায়তায় বিনামূল্যে কৃষি যন্ত্রপাতিও বিতরণ করা হয়।

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোছা. আফরিনা আক্তার বলেন, শীত কালীন মৌসুমে গম, সরিষা, সূর্যমুখী, চিনাবাদাম, পেঁয়াজ, মসুরও খেসারি ফসলের আবাদ এবং উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্য ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক প্রায় শতাধিক কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে সার বীজ এবং আধুনিক প্রযুক্তির কম্বাইন হার ভেস্টার ও রাইস টান্স প্লান্টার বিতরণ করে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ আখলাক হায়দার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোসাম্মৎ সাবিনা ইয়াসমিন, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোছা. আফরিনা আক্তার, বুড়িচং থানার ওসি মোঃ আলমগীর হোসেন, উপজেলা সহকারী কমিশনার শারমীন আরা, বুড়িচং উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা মোঃ মীর হোসেন মিঠু প্রমুখ।

প্রকাশ : নভেম্বর ৩, ২০২১ ১১:২৬ পূর্বাহ্ন
কৃষকের আয় বাড়িয়েছে বিনা ধান-১৬ ও ১৭
কৃষি বিভাগ

কুমিল্লা জেলায় কৃষকের আয় বাড়িয়েছে বিনা ধান ১৬ ও ১৭। মাত্র একশত পাঁচ দিনে ফলন পেয়ে, হাসি ফুটেছে কৃষকের মুখে। কম সময়ে পাওয়া এ জাতের ধানের ফলন ও অন্যান্য জাতের ধানের মতই।

কৃষি অধিদপ্তর জানায়, এ ফসল আবাদ করলে, কৃষকের পাশাপাশি জাতীয় আয়ও বৃদ্ধি পাবে। আর চাষিরা করতে পারবে বছরে ৪ বার ফসলে উৎপাদন।

বাংলাদেশ পরোমাণু কৃষি গবেষনা ইনস্টিটিউট বিনার উদ্ভাবন, বিনা ১৬ ও ১৭ জাতের ধান ব্যাপক সাড়া ফেলেছে, কুমিল্লার কৃষকদের মাঝে। উচ্চ ফলনশীল এ ধান উদ্ভাবন করে, মাঠ পার্যায়ে কাজ করছেন বিজ্ঞানীরা। বিনা ধান ১৬ এর জীবনকাল মাত্র ৯৫ থেকে ১০০ দিন। আর বিনা ১৭ এর জীবনকাল ১১৫ থেকে ১১৭ দিন। গড় ফলন প্রতি হেক্টরে সাড়ে ৬ টন, অথবা প্রতি বিঘায় ২৭ মণ।

পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট, কুমিল্লা উপকেন্দ্রের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ আশিকুর রহমান বাসসকে বলেন, একজন কৃষক যেন বছরজুড়ে ফলন পায় সে লক্ষ্যে, এ জাতটির উদ্ভাবন করা হয়েছে। এ ধানের ফলন পেয়ে খুশি কৃষকরা। আগামীতেও এ ফসলই চাষ করবে বলে জানায় তারা।

এ ধান চাষে কৃষকের পাশাপাশি জাতীয় আয়ও বাড়বে। ইতোমধ্যে কৃষকরা এ ধান চাষে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। কৃষকদের সকল ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে। বিনা ১৬ ও ১৭ উদ্ভাবনের মাধ্যমে, দেশের কৃষিতে ব্যাপক পরিবর্তন আসবে বলে মনে করছেন কৃষি বিভাগ।

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop