১:২৭ অপরাহ্ন

বৃহস্পতিবার, ৯ মে , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ২৭, ২০২৩ ৮:৫৭ পূর্বাহ্ন
আমনের জমিতে আলু চাষ
কৃষি বিভাগ

অতিরিক্ত আয় করতে আমন ধান কাটার পর একই জমিতে আলু চাষ করে বাম্পার ফলন পেয়েছেন জয়পুরহাটের পাঁচবিবির কৃষকরা। এতে চাষের খরচ পুষিয়ে নেয়ার পাশাপাশি একই জমিতে তিন ফসল উৎপাদন করছেন তারা।

জানা যায়, পাঁচবিবির প্রধান অর্থকরি ফসল হলো ধান। এখন চাষিরা ধান চাষের পাশাপাশি সবজির আবাদও করছেন। চলতি মৌসুমে কৃষকরা আমন ধান কাটার পর অতিরিক্ত লাভের আশায় আলু চাষ করেছেন। বর্তমানে কৃষকরা জমি থেকে আলু উত্তোলন করছেন।

কৃষি অধিদপ্তরের মতে, কৃষকরা আমন ধান ঘরে তোলার পর সেই জমিতে পাকরি, রোমানা, কার্ডিনাল (লাল), গ্রানোলা, বিনেলা, ক্যারেজ এবং ডায়ামন্ড জাতের আলুর চাষ করেছেন। কয়েক দফা বৃষ্টিতেও আলুর ক্ষতি হয়নি। ফলে এ বছর পাঁচবিবিতে আলুর বাম্পার ফলন হয়েছে। কৃষকরা জমি থেকে পরিপক্ক আলু উঠিয়ে বিক্রি শুরু করেছেন।

বাগজানা ইউনিয়নের খোর্দ্দা গ্রামের কৃষক হাজেরা বিবি ও প্রদীপ চন্দ্র বলেন, আমরা ধান কাটার পর জমি খালি ফেলে না রেখে আলু চাষ করেছি। আলুর বীজ রোপনের ৬৫ দিনের মধ্যে পরিপক্ক হয়েছে। আলু চাষে আমার খরচ হয়েছে ৩০ হাজার টাকা। এখন পাইকাররা আমরা ১ একর জমি ৭৫ হাজার টাকা কিনে নিয়েছে। এই অল্প সময়েই আমার ৪৫ হাজার টাকা আয় হয়েছে।

কৃষক হবিবর বলেন, আমি ১৫ কাঠা জমিতে আলুর চাষ করেছি। বিঘাপ্রতি ৪৫-৫০ মণ আলুর ফলন পাওয়া যায়। এতে বিঘাপ্রতি আলু চাষে ১০-১২ হাজার টাকা খরচ হয়। প্রতিমণ আলু ৭০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আলু চাষ করে লাভবান হয়েছি।

পাঁচবিবি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা লুৎফর রহমান বলেন, চলতি বছর উপজেলায় ৫ হাজার ১০০ হেক্টর জমিতে আগাম জাতের আলু চাষ হয়েছে। লাভের আশায় কৃষকরা আগাম জাতের আলু চাষে নেমে পড়েছেন। আলুর ভালো ফলন হয়েছে। আশা করছি কৃষকরা লাভবান হবেন।

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ২০, ২০২৩ ৩:৩৩ অপরাহ্ন
টমেটো চাষে ব্যস্ত দিনাজপুরের কৃষক
কৃষি বিভাগ

দিনাজপুরের চাষিরা আলু ও সরিষার পর এখন টমেটো ক্ষেত পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। আবহাওয়া অনুকূলে এবং সার-কীটনাশকের সংকট না থাকায় এবার গ্রীষ্মকালীন টমেটোর বাম্পার ফলনের স্বপ্ন দেখছেন তারা। আগাম আলু উঠিয়ে তারা টমেটোর চারা রোপণ করেছিলেন। এখন টমেটো ক্ষেতে বাঁশের বাতা ও সুতা দিয়ে গাছ যাতে ঝড়-বৃষ্টি এবং ভারে নুয়ে না পড়ে সে জন্য ব্যবস্থা নিচ্ছেন।

কৃষক এবং কৃষি বিভাগ বলছে, কোনো প্রকার প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে জেলায় এবার গ্রীষ্মকালীন টমেটোর বাম্পার ফলন হবে। সেইসঙ্গে যোগাযোগব্যবস্থা ভালো হওয়ায় দেশের যে কোনো প্রান্তে টমেটো সহজে পাঠাতে পারবেন। এতে কৃষক ও ব্যবসায়ী লাভবান হবেন। ব্যবসায়ীরা এখনই টমেটো চাষিদের খোঁজ-খবর নিতে শুরু করেছেন।

দিনাজপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, জেলায় ১ হাজার ১৪২ হেক্টর জমিতে গ্রীষ্মকালীন টমেটোর চারা রোপণ হয়েছে। এখনো চারা রোপণ চলছে। এবার টমেটো চাষ আরও বাড়তে পারে। দিনাজপুরে টমেটো চাষ শুরু হয়েছে মাঘ মাসের ১৫ তারিখ থেকে। ফলন পাওয়া যায় চৈত্র মাসের ১৫ তারিখ থেকে। তবে অনেকে স্বল্প পরিসরে আগাম টমেটো চাষ করে থাকেন। জেলা সদর, চিরিরবন্দর, বিরলসহ বিভিন্ন উপজেলায় ব্যাপকহারে গ্রীষ্মকালীন ভিকোমা, প্রভেনশিপ, রানি, রাজা কুমার ও বিপুল প্লাস টমেটোর চাষ হয়ে থাকে। তবে এবার সবচেয়ে বেশি চাষ হচ্ছে বিপুল প্লাস জাতের টমেটো।

চিরিরবন্দর উপজেলার মাদারগঞ্জ আরজিগলাহার গ্রামের কৃষক মধুসূদন রায় (৪০) জানান, তিনি এক বিঘা (৩৩ শতাংশ) জমিতে বিপুল প্লাস জাতের টমেটোর চারা রোপণ করেছেন। গাছে ফুল আসতে শুরু করেছে। তিনি এখন টমেটো গাছের পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন।

তিনি বলেন, ‘জমিতে টমেটো চাষ করতে সব মিলিয়ে খরচ হবে ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা। ফলন ভালো হলে ৪০০ মণ টমেটো হবে। টমেটো যদি ১০ টাকা কেজি দরেও বিক্রি করতে পারেন, তাহলে ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা বিক্রি করতে পারবেন। এতে তার লাভ হবে ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা। এর চেয়ে কম দামে বিক্রি করলে লাভ কিছুটা কম হবে। টমেটো চাষে সাধারণত লোকসান গুনতে হয় না। যতি কোনো দুর্যোগ না হয়।’

একই কথা বলেন সদর উপজেলার চক দেওতৈড় গ্রামের কৃষক সালাউদ্দিন। তিনি বলেন, ‘৬০ শতাংশ জমিতে বিপুল প্লাস টমেটোর চাষ করেছি। এখন পর্যন্ত টমেটো গাছ খুবই সুন্দর হয়েছে। কিছু গাছে ফুল আসতে শুরু করেছে। যদি ফলন ভালো হয় এবং দাম ভালো পাই, তাহলে বেশ লাভবান হবো। দাম পেলে সোনায় সোহাগা হয়ে যাবে।’

দিনাজপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক নুরুজ্জামান বলেন, ‘আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারে টমেটোর উৎপাদন বেড়েছে। টমেটো চাষ করে যাতে কৃষকরা কোনো সমস্যার মধ্যে না পড়েন; সেজন্য সব সময় মনিটরিং করা হচ্ছে। কৃষক ধান, আলু ও সরিষার ভালো দাম পেয়েছেন। আশা করছি টমেটোয়ও এবার দাম ভালো পাবেন।’

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ২০, ২০২৩ ৩:০৯ অপরাহ্ন
ঝিঙ্গা চাষে লাভবান চরাঞ্চলের কৃষকরা!
কৃষি বিভাগ

ভোলার চরাঞ্চলের কৃষকরা ঝিঙ্গা চাষে ব্যাপক ফলন পেয়েছেন। ঝিঙ্গা একটি সুস্বাধু সবজি। বাজারে এর বেশ চাহিদা রয়েছে। এর চাষে খরচ অল্প ও বেশি লাভজনক হওয়ায় চরের চাষিরা বেশি বেশি ঝিঙ্গা চাষ করছেন। এতে কৃষকরা আর্থিকভাবে লাভবানের পাশাপাশি স্বাবলম্বী হতে পারছেন।

জানা যায়, ভোলা সদর উপজেলার ভেদুরিয়া ইউনিয়নের চর চটকি মারার গাগুরিয়া চরে ঝিঙ্গার ব্যাপক চাষ হয়েছে। এখানকার কৃষকরা হাইব্রিড জাতের ঝিঙ্গা চাষ করছেন। চরের মাটি ও আবহাওয়া ভালো থাকায় ঝিঙ্গা সহ সব ধরনের সবজির বাম্পার ফলন হয়। আর বাজারে ঝিঙ্গা ভালো দামে বিক্রি করে কৃষকরা লাভবান হতে পারেন। এখানকার উৎপাদিত ফসল স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে চলে যায়। অল্প খরচে ও সময়ে বেশি লাভবান হওয়া যায় বলে দিন দিন এর চাষ বাড়ছে।

চর চটকি মারার গাগুরিয়া চরের কৃষক হাফিজ চৌকিদার বলেন, আমি অন্যের জমি লিজ নিয়ে কৃষি কাজ করি। গত ২ বছর ধরে প্রথমে ৫ শতক তারপর ১০ ও এখন ২০ শতক জমিতে ঝিঙ্গা করছি।

তিনি আরো বলেন, ২০ শতক জমিতে ৬০০টি ঝাড় তৈরী করেছি। প্রতিটি ঝাড়ে তিনটি করে হাইব্রিট মেটাল সিটের ইউরেকা জতের বীজ বপন করেন। মাত্র দেড় মাসের মাথায় ফল ধরতে শুরু করে। এই সবজি চাষে মোট ৩০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। প্রতি কেজি ৩৫-৪০ টাকা দরে ইতোমধ্যে ৫০ হাজার টাকার বিক্রি করেছি। আশা করছি লক্ষাধিক টাকার বিক্রি করতে পারবো।

এখানকার উৎপাদিত ঝিঙ্গা ভোলার বাজারে আর বাকিগুলো চলে যায় খুলনা, ঢাকা ও যশোরে। চর থেকে নদী পথে এবং পরে বাসে করে নিয়ে যাওয়া হয় এই সবজি। ঝিঙ্গে চাষে পরিশ্রম একটু বেশি হলেও ভালো ফলন, চাহিদা বেশি ও লাভ বেশি হওয়ায় কৃষকরা খুশি।

ভোলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক হাসান ওয়ারেসুল কবির জানান, চলতি বছর ভোলায় ৩২৫ হেক্টর জমিতে জিঙ্গা আবাদ করা হয়েছে। এতে প্রতি হেক্টরে প্রায় ১৮ মণ করে ফলন এসেছে। আমরা মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের বিভিন্ন পরামর্শ ও সহযোগিতা করে আসছি। আশা করছি কৃষকরা ঝিঙ্গার ভালো ফলনের পাশপাশি বেশি দরে বিক্রি করে লাভবান হতে পারবেন।

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ৬, ২০২৩ ১১:৪২ পূর্বাহ্ন
বিষমুক্ত সবজি চাষে সফল গাড়িদহরের কৃষকরা!
কৃষি বিভাগ

পরিবেশবান্ধব জৈব সার ব্যবহার করে সবজি চাষে সফলতা পেয়েছেন শেরপুর উপজেলার গাড়িদহ ইউনিয়নের কৃষকরা। রোগ ও পোকা-মাকড়ের আক্রমণ তেমন না থাকায় কম খরচে অধিক ফসল পাচ্ছেন তারা। বিষমুক্ত সবজি হওয়ায় বাজারেও অধিক দাম পাচ্ছেন কৃষকেরা।

জানা যায়, বগুড়ার শেরপুর উপজেলার গাড়িদহ ইউনিয়নের কৃষকরা বিষমুক্ত সবজি উৎপাদন করে লাভবান হচ্ছেন। একসময় এই এলাকার কৃষকরা বেগুন, ফুলকপি, বাঁধাকপি, করলা, মিষ্টিকুমড়া ও শিম চাষ করতে যেখানে মাত্রাতিরিক্ত রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহার করতেন, এখন তারা এসব সবজি উৎপাদন করছেন কোন প্রকার রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ছাড়াই। মানুষ যেন বিষমুক্ত সবজি বাজার থেকে সহজে কিনতে পারেন, সেজন্য ছোট ফুলবাড়ি বাজারে স্থাপন করা হয়েছে নিরাপদ সবজি কর্ণারও।নিরাপদ সবজি কর্ণারে সবজি নিয়ে যাওয়ার জন্য ২০টি কৃষক গ্রুপের মাঝে বিনামূল্যে ২০টি ভ্যান বিতরণ করা হয়েছে। ১০০ একর জমিতে ফুলকপি, বাঁধাকপি, বেগুন, করলা, মিষ্টিকুমড়া ও শিম চাষ হচ্ছে।

চাষি বাদশা মিয়া বলেন, আমি জমিতে নিরাপদ উপায়ে সবজি চাষ করেছি। সেখানে কোন রাসায়নিক সার বা কীটনাশক স্প্রে করিনি, ফলনও অনেক ভালো হয়েছে। বিষমুক্ত সবজি হওয়ায় বাজারেও অধিক দাম পাচ্ছি।গামীতেও নিরাপদ উপায়ে ফসল উৎপাদন করবো।

উপজেলা কৃষি অফিসার ফারজানা আক্তার বলেন, এ বছর ঊপজেলায় সবজি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছিলো ১৭৮০ হেক্টর জমিতে। ইতিমধ্যে ১৭৩০ হেক্টর জমিতে সবজি চাষ হয়েছে। এখানে সম্পূর্ণ আইপিএম পদ্ধতি ব্যবহার করেই সবজি উৎপাদন করা হচ্ছে। নিরাপদ উপায়ে সবজি চাষের জন্য কৃষক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে বিভিন্ন আধুনিক জৈব প্রযুক্তি সম্পর্কে জানানো হচ্ছে।

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ৫, ২০২৩ ৯:৩০ পূর্বাহ্ন
অধিক লাভের আশায় গম চাষে ঝুঁকছে যশোরের কৃষকরা
কৃষি বিভাগ

যশোর, ঝিনাইদহ, মাগুরা, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুর জেলায় আটার চাহিদা মেটাতে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি পরিমাণ জমিতে গমের আবাদ হয়েছে ।এ অঞ্চলের গ্রামীণ মাঠঘাটে কৃষকরা এখন গম চাষে জমির পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। অধীক চাহিদা এবং দাম ভালো পাওয়ায় গম চাষে ঝুঁকছে যশোরের কৃষকরা।

জানা যায়, যশোরের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ৬ জেলায় ৩৮ হাজার ৪৪৩ হেক্টর জমিতে গমের আবাদ হয়েছে। ৬ জেলায় গম চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৩৪হাজার ৩৩৯ হেক্টর জমিতে। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৪ হাজার ১০৪ হেক্টর বেশি জমিতে গমের আবাদ হয়েছে বলে কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে।

আরও জানা যায়, শুধু কুষ্টিয়া জেলায় ১৩ হাজার ৬৫৪ হেক্টর জমিতে গমের আবাদ হয়েছে। এছাড়া মেহেরপুর জেলায় ১২ হাজার ৭৭৫ হেক্টর জমিতে, মাগুরা জেলায় ৫হাজার ২শ’ ২১০হেক্টর জমিতে, ঝিনাইদহ জেলায় ৫হাজার ১৭৩ হেক্টর জমিতে, চুয়াডাঙ্গা জেলায় ১হাজার ৭ হেক্টর জমিতে এবং যশোর জেলায় ৬শ’২৪ হেক্টর জমিতে গমের আবাদ হয়েছে। ফলন ভালো হওয়ায় খুশি কৃষকরা।

যশোর আঞ্চলিক কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক মো.আমিনুল ইসলাম বলেন, আটার চাহিদা মেটাতে এ অঞ্চলে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে গমের আবাদ করা হয়েছে। গম চাষে কৃষক পর্যায়ে প্রশিক্ষণসহ উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার,সার,সেচ ও উন্নতমানের বীজ সরবরাহ নিশ্চিত করা হয়েছে। সামনে কোন প্রাকৃতিক দূর্যোগ না হলে চলতি মৌসুমে এ অঞ্চলে গমের বাম্পার ফলন হবে।

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ৩, ২০২৩ ৮:১৪ অপরাহ্ন
মালচিং পদ্ধতিতে সবজি চাষে ঝুঁকছেন শিবচরের কৃষকরা!
কৃষি বিভাগ

মাদারীপুরের তরুণদের মাঝে দিন দিন জনপ্রিয়তা পাচ্ছে সবজি চাষ। তরুণরা চাকরি ও ব্যবসার পাশাপাশি আধুনিক পদ্ধতিতে বিভিন্ন জাতের সবজি চাষে আগ্রহী হয়েছেন। বিশেষ করে মালচিং পদ্ধতিতে চাষ করে অনেক তরুণ সফল হয়েছেন। ধীরে ধীরে এই পদ্ধতিতে সবজি চাষ কৃষক সহ তরুনদেরও আকর্ষিত করছে।

জানা যায়, মাদারীপুর জেলার শিবচরের চরাঞ্চলসহ বিভিন্ন এলাকার পতিত জমি এখন চাষের আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে। নিজেদের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি বাণিজ্যিকভাবে সবজি চাষ করেছেন কৃষক সহ তরুন ও যুবকরা। এতে ব্যবহার হচ্ছে আধুনিক মালচিং পদ্ধতি। সম্প্রতি বিভিন্ন জাতের সবজি চাষে মাটি তৈরিতে পলিথিনের ব্যবহার বাড়ছে। এই পদ্ধতিতে উৎপাদন অনেক বেশি বলে জানান একাধিক তরুণ কৃষক। তাই দিন দিন এই পদ্ধতিতে চাষ ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করেছে।

জানা যায়, কৃষকরা আধুনিক পদ্ধতিতে চাষাবাদ করছেন। কৃষকরা ফসল ফলানোর পাশাপাশি বিভিন্ন জাতের শাক-সবজি চাষ করছেন। জৈব সারের প্রয়োগে মাটি তৈরী, সারিবদ্ধভাবে মাটি উঁচু করে পলিথিনের শিট বিছিয়ে দিচ্ছেন এবং নির্দিষ্ট দূরত্বে বীজ বপন করে তাতে টমেটো, ফুলকপি, বাধাকপি, করলা, ঢেঁড়স, স্কোয়াশ, ব্রুকলি, নানা জাতের বেগুন, মরিচ, ক্যাপসিকাম ফলানো হচ্ছে। সবজিকে পোকামাকড় থেকে রক্ষা করতেও ব্যবহার হচ্ছে আধুনিক পদ্ধতি।

উপজেলার রাজারচর এলাকার সবজিচাষী সুমন আহমেদ বলেন, আমি একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করি। তার পাশাপাশি গত ৫ বছর আগে পরিক্ষামূলক সবজি চাষ করেছিলাম। বর্তমানে আধুনিক পদ্ধতি ব্যবহারে বাণিজ্যিকভাবে বড় পরিসরে নানা ধরনের সবজি চাষ করছি।

তিনি আরো বলেন, কৃষির প্রতি টান থেকেই শুরু করেছি। এখন বানিজ্যিকভাবে আধুনিক পদ্ধতি ব্যবহার করে শিবচরে বিদেশি সবজির মধ্যে ব্রুকোলি, স্কোয়াশ, রেড ক্যাভেজ প্রথম চাষ করি। ভালো ফলনও পেয়েছি। এছাড়াও ফুলকপি, বাঁধাকপি, টমেটো, বেগুন, করলার চাষ করছি।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে শিবচর উপজেলায় মালচিং পদ্ধতিতে ৬ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন ধরনের সবজির চাষাবাদ করা হয়েছে। শিবচরে ৪২ জন কৃষক এ পদ্ধতিতে চাষাবাদ করছেন।

স্থানীয় আরো কৃষকরা জানান, আধুনিক পদ্ধতিতে প্রথমেই বেশি খরচ হয়। পরে আর বেশি খরচ করতে হয় না। এই পদ্ধতিতে চাষ করলে গাছে আগাছাও কম হয়। বারবার সার দেওয়া ও পানির সেচের ঝামেলা থাকে না। তাই এই পদ্ধতিতে চাষে ঝুঁকি কম আর লাভবান হওয়া যায়।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম জানান, মালচিং পদ্ধতি চাষাবাদ একটি আধুনিক পদ্ধতি। সবুজ কৃষির জন্য ওই পদ্ধতিগুলো অত্যন্ত কার্যকর। এতে উৎপাদন খরচ কম হয়। আমরা এ পদ্ধতিটি কৃষকের মাঝে ছড়িয়ে দিতে কাজ করছি।

প্রকাশ : জানুয়ারী ৩১, ২০২৩ ২:৫৪ অপরাহ্ন
গরু চুরির আতঙ্কে গাজীপুরের কৃষকরা
প্রাণিসম্পদ

গাজীপুরের শ্রীপুরে কৃষক শাজাহান সরকারের গোয়াল ঘর থেকে পাঁচটি গরু চুরি হয়েছে।

মঙ্গলবার ভোর ৪টার দিকে শ্রীপুর পৌরসভার (৬ নং ওয়ার্ড) উজিলাব (মধ্যপাড়া) এলাকার নিজ বাড়ি থেকে গরু চুরি হয়। খবর পেয়ে শ্রীপুর থানা পুলিশ বেলা ১১টায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।

চুরি হওয়া গরুর মধ্যে একটি লাল রঙের সিন্ধী গাভী, একটি লাল রঙের সিন্ধী বকনা বাছুর, একটি কালো রঙের দেশি ক্রস গাভী, একটি সাদা রঙের দেশি গর্ভবতী বকনা এবং একটি ন্যারা লাল রঙের ষাড় গরু। চুরি হওয়া গরুর মূল্য প্রায় ৪ লাখ টাকা বলে নিশ্চিত করেছেন কৃষক শাজাহান সরকার।

কৃষক শাজাহান সরকার জানান, রাত ১০টার দিকে গোয়াল ঘরে গরু দেখে ঘুমাতে যান। পরে রাত ২টার দিকে বোরো ক্ষেতে পানি দিতে মোটর ছাড়ার জন্য ঘুম থেকে ওঠেন। এসময় গোয়াল ঘরে উঁকি দিয়ে তিনি পাঁচটি গরু দেখেন। পানি ছেড়ে তিনি আবার ঘুমিয়ে পড়েন। সকাল পৌনে ৬টায় ঘুম থেকে উঠে গোয়াল ঘর থেকে গরু বের করতে গেলে দেখেন গরুগুলো নেই। তার চিৎকার শুনে আশেপাশের লোকজন এসে গরু চুরি হয়েছে দেখতে পান। তিনি বলেন, গরুগুলোই আমার শেষ সম্বল ছিল। পাঁচটি গরুর সবগুলো চুরি যাওয়ায় এখন আমি নি:স্ব হয়ে গেছি এবং আমার জীবীকার পথ বন্ধ হয়ে গেছে।

শ্রীপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) হামিদুল ইসলাম জানান, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। কৃষক গরু চুরির ঘটনায় অভিযোগ দিয়েছে। বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে এবং চুরি যাওয়া গরুগুলো উদ্ধারসহ চোরদের ধরার চেষ্টা চলছে। পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

 

প্রকাশ : জানুয়ারী ১৪, ২০২৩ ৮:০১ অপরাহ্ন
গাজর চাষে পাবনার চাষিদের মুখে হাসি
কৃষি বিভাগ

চলতি বছর পাবনায় গাজর চাষে লাভবান চাষিরা। গত কয়েকবছর অন্যান্য ফসলের চেয়ে গাজর ও বিভিন্ন সবজি চাষে লাভের মুখ দেখায় এবছরও চাষিরা ব্যাপকভাবে গাজর চাষ করেছেন। পাবনা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মতে, লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী সবজি আবাদ হলে জেলায় সবজি ব্যবসা ১ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে।

জানা যায়, গত কয়েক বছর যাবত পাবনার কৃষকরা গাজর চাষে ঝুঁকছেন। অন্যান্য ফসলের তুলনায় গাজরের উৎপাদন খরচ কম ও বাজারদর ভালো থাকায় কৃষকরা লাভবান হতে পারেন। তাই কৃষকরা অন্যান্য ফসল চাষ না করে গাজর, টামটোসহ বিভিন্ন সবজি চাষে আগ্রহী হচ্ছেন।

পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার কৃষক রজব আলি জানান, কয়েকবছর আগেও সরিষা, তিল সহ অন্যান্য ফসলের আবাদ করতাম। এইসব ফসল চাষ করে বেশি লাভ করা যায় না। তাই এখন পুরো জমিতে গাজরের চাষ করছি। গাজর চাষে খরচ কম আর প্রতি বিঘা জমি থেকে প্রায় ২৫-৩০ হাজার টাকা লাভ করতে পারছি।

পাবনা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উন্নয়ন শাখার কর্মকর্তা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. ইদ্রিস আলি বলেন, চলতি বছর পাবনায় ২২ হাজার ২৫০ হেক্টর জমিতে সবজি আবাদের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও এখন পর্যন্ত ২১ হাজার হেক্টর জমিতে সবজি আবাদ করা হয়েছে। বাকি জমিতেও আবাদ করা হবে। কৃষকরা অধিক লাভের আশায় গাজরের ব্যাপক আবাদ করেছেন। চাষাবাদে আমরা কৃষকদের সব ধরনের সহযোগিতা করছি।

প্রকাশ : ডিসেম্বর ২৮, ২০২২ ৭:০৮ অপরাহ্ন
গোপালগঞ্জে ভাসমান বেডের নিরাপদ পেঁয়াজ কালিতে মিলছে অর্থ
কৃষি বিভাগ

গোপালগঞ্জে ভাসমান বেডের নিরাপদ পেঁয়াজ কালিতে মিলছে অর্থ। প্রতিটি বেড থেকে ১দিন পর ১ জন কৃষক ২ কেজি করে পেঁয়াজ কালি বিক্রি করছেন। ৮০ টাকা কেজি দরে কৃষক পেঁয়াজ কালি বিক্রি শুরু করেন। এখন তারা প্রতি কেজি কালি ৩০ টাকা দরে বিক্রি করছেন। মানব দেহের জন্য নিরাপদ বিষমুক্ত কালি বিক্রি করে তারা ভালো টাকা পাচ্ছেন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ভাসমান বেডে সবজি ও মসলা চাষ জনপ্রিয় করণ প্রকল্পের আওতায় গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার রঘুনাথপুর ইউনিয়নের নকড়ীরচর গ্রামে ২৫টি ভাসমান বেডে ৫ জন কৃষক এ বছর পেঁয়াজের চাষ করছেন। ১২ মিটার লম্বা ও ১মিটার চওড়া একটি বেড থেকে কৃষক ১দিন পর একদিন ২ কেজি করে পেঁয়াজ কালি তুলছেন। সে হিসেবে ১দিন পর একদিন ২৫টি বেড থেকে ৫০ কেজি পেঁয়াজ কালি বিক্রি করছেন কৃষক।
রঘুনাথপুর ইউনিয়নের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা প্রদীপ হালদার বলেন, ৩ বছর আগে ভাসমান বেডে নকড়ীরচর গ্রামের কৃষক হানিফ মল্লিক প্রথম পেঁয়াজ চাষ করেন। তিনি পেঁয়াজ চাষে সাফল্য অর্জন করেন। গত বছরও তিনি ভাসমান বেডে পেঁয়াজের চাষাবাদ করে লাভবান হন। তার দেখাদেখি এ বছর আরো ৪ জন কৃষক ভাসমান বেডে পেঁয়াজ চাষ করেছেন। হানিফসহ ৫ জন কৃষক ২৫টি বেডে পেঁয়াজ চাষ করেছেন। তারা এখন ভাসমান বেড থেকে পেঁয়াজ কালি তুলে বিক্রি করছেন। এতে তারা ভালো টাকা পাচ্ছেন। বাজারে তাদের কালির ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।
নকড়ীরচর গ্রামের কৃষক হানিফ মল্লিক বলেন, বর্ষাকালে আমরা কচুরিপানা দিয়ে বেড তৈরি করি ।এ বেডে শাক ও সবজির আবাদ করি। বেডের শাক-সবজি বিক্রি অক্টোবরে মাঝামাঝি শেষ হয়। তখন বাওড়ের পানি কমতে থাকে। এরপর বেডে পেঁয়াজ রোপণ করি। নভেম্বরের মাঝামাঝি ভাসমান বেড থেকে পেঁয়াজ কালি বিক্রি শুরু করেছি। একদিন পর একদিন প্রতিটি বেড থেকে ২ কেজি করে কালি তুলছি। প্রথম ৮০ টাকা কেজি দরে কালি বিক্রি করেছি। এখন ৩০ টাকা কেজি দরে কালি বিক্রি করছি। জানুয়ারি মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত এ কালি বিক্রি করব। আমাদের কালি চিকন ও আকারে ছোট। তাই বাজারে এ কালির ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। ক্রেতারা একটু বেশি দামে এ কালি কিনে নিয়ে যাচ্ছে। একটি বেড থেকে ২ মাসে অন্তত ৬০ কেজি কালি বিক্রি করতে পারব। কালিতে পেঁয়াজের থেকে বেশি টাকা পাব ।
গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাফরোজা আক্তার বলেন,ভাসমান বেডে কোন কেমিক্যাল সার ও কীটনাশক ছাড়াই পোঁয়াজ আবাদ করা হয়েছে। এ বেডে এখন প্রচুর পরিমানে পেঁয়াজ কালি ধরেছে । এ পেঁয়াজ কালি মানব দেহের জন্য নিরাপদ। কৃষকরা এখান থেকে পেঁয়াজ কালি তুলে নিজেরাই বাজারে বিক্রি করছেন।
গোপালগঞ্জের পাঁচুড়িয়া বাজারের ক্রেতা সামসুদ্দিন বলেন, সারা বছর হানিফের কাছ থেকে শাক-সবজি ক্রয় করি। তার শাক-সবজি খেতে খুবই সুস্বাদু। তাই তার শাক-সবজি একটু বেশি দামে ক্রয় করে থাকি। এখন শক-সবজির সাথে সে মাঝে মাঝে পেঁয়াজ কালি বাজারে নিয়ে আসছেন। তার পেঁয়াজ কালির মত এত সুন্দর পেঁয়াজ কালি বাজারে আর কেউ আনে না। তাই সবাই আগ্রহ করে বেশি দামে হানিফের পেঁয়াজ কালি সবাই কিনে নিয়ে যায়। তার পেঁয়াজ কালির স্বাদ ভালো।

প্রকাশ : ডিসেম্বর ২৭, ২০২২ ৯:৫২ পূর্বাহ্ন
শিমের বাম্পার ফলনে খুশি জয়পুরহাটের কৃষকরা!
কৃষি বিভাগ

উত্তরবঙ্গের জেলা জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলায় শিমের চাষ বেড়েছে। এই উপজেলার মাটি শিমসহ সব ধরনের সবজি উৎপাদনের জন্য উপযোগী হওয়ায় দিন দিন সবজির চাষাবাদে কৃষকরা আগ্রহী হচ্ছেন। এছাড়া শিম চাষে খরচ কম ও বাজারে ভালো দাম পাওয়া যায় বলে কৃষকরা শিম চাষে ঝুঁকেছেন।

জানা যায়, আগে কৃষকরা তাদের বাড়ির আশেপাশে ও পরিত্যক্ত জায়গায় শিম গাছ লাগতেন। বর্তমানে কৃষকরা বাণিজ্যিকভাবে জমিতে বাঁশের খুটি ও সুতা দিয়ে মাচা বানিয়ে শিম, লাউ, পটল, করলাসহ আরো অনেক সবজির চাষাবাদ করছেন। অন্যান্য ফসলের তুলনায় সবজি চাষে লাভবান হওয়া যায়। তাই কৃষকরা দিন দিন সবজি চাষের দিকে ঝুঁকছেন।

উপজেলার বাগজানা ইউনিয়নের চাম্পাতলীর শিম চাষি আবু বক্কর বলেন, আমি প্রথমে করলা চাষ করেছিলাম। করলার চাষের শেষের দিকে ওই একই জায়গায় শিমের বীজ রোপন করেছি।

তিনি আরো বলেন, বর্তমানে শিমের বাজারদর ভালো। কিছুদিনের মধ্যে শিম তুলে বিক্রি করতে পারবো। আশা করছি লাভবান হতে পারবো।

একই গ্রামের কৃষক উমর আলী বলেন, আমি এবছর ১ বিঘা জমিতে শিমের চাষ করেছি। শিম চাষে আমার ৫ হাজার টাকা খরচ হয়। শুরুতে ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে পারলেও এখন দাম কিছুটা কম। বর্তমানে প্রতি কেজি শিম ৩০-৩৫ টাকা দরে বিক্রি করতে পারছি। তাতে মোটামুটি লাভের আশা করছি। তবে আগের আগের দামে বিক্রি করতে পারলে বেশি লাভ হতো।

পাঁচবিবি উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো. লুৎফর রহমান বলেন, পাঁচবিবি উপজেলায় রয়েছে প্রায় ৫৫০ হেক্টর জমিতে আন্তঃফসল হিসেবে বিভিন্ন ধরনের সবজির চাষ হচ্ছে। কৃষকরা আলুর সঙ্গে ভূট্টা, আলুর সঙ্গে মিষ্টি কুমড়া, বেগুণের সঙ্গে মরিচ আবার একই সঙ্গে লাল শাক, কলমি, পালং শাক, শিম, পেঁয়াজ ইত্যাদি চাষ করে লাভবান হচ্ছেন। বিশেষ করে এই মৌসুমে সবজির মধ্যে শিম চাষে কৃষকরা বেশি লাভবান হতে পারছেন।

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop