১২:০১ পূর্বাহ্ন

বৃহস্পতিবার, ৯ মে , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : মার্চ ১৫, ২০২৩ ৩:৪০ অপরাহ্ন
জামালপুরে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে তুলা চাষ
কৃষি বিভাগ

জামালপুরে জেগে ওঠা ব্রহ্মপুত্র নদের বিস্তীর্ণ চরাঞ্চলে দিন দিন বেড়েই চলেছে তুলা চাষ। একসময়ের অনাবাদি ও পতিত জমিতে কোনো কিছু আবাদ না হলেও তুলা চাষ করে লাভের মুখ দেখছেন কৃষকরা। অন্য ফসলের তুলনায় লাভ বেশি হওয়ায় দিন দিন আগ্রহ বাড়ছে তাদের।

তুলা উন্নয়ন বোর্ড জানায়, জেলা সদরের পিয়ারপুর, গোপালপুর, ঘোড়াধাপ, পাথালিয়াচর, নাউভাঙ্গাচর, গুয়াবাড়িয়া, জঙ্গলদীচরসহ মেলান্দহ ও ইসলামপুর উপজেলার বনাঞ্চল-চরাঞ্চলে ৩শ হেক্টর জমিতে সিবি-১২, সিবি-১৪, সিবি-১৫, রুপালি-১, ডিএম-৪, শুভ্র-৩, হোয়াইট গোল্ডসহ উচ্চ ফলনশীল জাতের তুলা চাষ করা হয়েছে।

যা গতবারের তুলনায় ২৫ হেক্টর বেশি। বিঘাপ্রতি ১০-১২ হাজার টাকা খরচ করে ১২-১৫ মণ ফলনের আশা করা হচ্ছে। বর্তমানে ১ মণ তুলার বাজারমূল্য ৩৫০০-৩৮০০ টাকা। এখন তুলা সংগ্রহের মৌসুম। আবহাওয়া অনূকূলে থাকলে তুলার বাম্পার ফলন হবে এ বছর।

পাথালিয়াচর এলাকার বাসিন্দা ওয়াহেজ মিয়া (৭০) অল্প কিছুদিন হলো তুলা চাষ করছেন। অনেকেই ১৫-১৬ বছর ধরে চাষ করছেন। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, ‘২২ শতক জমিতে তুলা চাষ করেছি। খরচ হয়েছে ৯ হাজার টাকা। গত বছর একই জমিতে খরচ হয়েছিল ৭ হাজার টাকা। বর্তমানে এক মণ তুলার দাম ৩৮ হাজার টাকা। এক বিঘা জমিতে ১০-১২ মণ তুলা পাওয়া যায়। সমস্যা হলো তুলার একটা মৌসুম উঠতে সময় লাগে প্রায় ৯ মাস। এজন্য অনেকে চাষ করতে চান না। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় তুলা চাষে আগ্রহ বাড়ছে অনেকের।’

তিনি বলেন, ‘আগের তুলনায় তুলা চাষ বেড়েছে। একসময় ২৮ জন কৃষক তুলা চাষ করলেও এখন তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২০ জনে। উন্নত জাতের তুলার বীজসহ কারিগরি সহায়তা পেলে মানুষ তুলা চাষে আগ্রহী হবে।’

তবে গত বছরের তুলনায় সার ও কীটনাশকের দাম বেশি হওয়ায় লোকসানের আশঙ্কাও করছেন অনেক কৃষক। তারা জানান, শ্রমিক খরচ বাড়তি, সারের দাম বাড়তি। কিন্তু বাজারে তুলার দাম বাড়েনি। তাই ন্যায্য মূল্যের দাবি জানান তারা।

জামালপুর তুলা উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. সালাহউদ্দিন জাগো নিউজকে বলেন, ‘কৃষকদের সার, বীজ ও কীটনাশক ফ্রিতে সরবরাহ করা হয়েছে। প্রতিবছর বীজ বপন থেকে শুরু করে মার্কেটিং পর্যন্ত কৃষকদের কারিগরি পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে।’

তিনি বলেন, ‘তুলা উৎপাদন বাড়ানো গেলে আমদানি নির্ভরতা কমবে। বাঁচবে বৈদেশিক মুদ্রা। এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় জেলায় তুলার বাম্পার ফলন হবে বলে আশা করছি।’

প্রকাশ : মার্চ ১৫, ২০২৩ ৩:৩৩ অপরাহ্ন
পেঁয়াজের বীজে লাভবান রাজশাহীর চাষিরা
কৃষি বিভাগ

প্রতি বছরই রাজশাহীতে নির্ধারিত একটি সময়ে পেঁয়াজের দাম বেড়ে যায়। অস্বাভাবিক পর্যায়ে চলে যায় এই দাম। এ অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে এবং পেঁয়াজের দাম স্বাভাবিক রাখতে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষের উদ্যোগ নিয়েছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।

মৌসুম ছাড়াও অমৌসুমে পেঁয়াজ চাষে আগ্রহী করতে কাজ করে কৃষি বিভাগ। এর প্রভাবেই বাজারে এবছর পেঁয়াজের দাম রয়েছে ক্রেতাদের নাগালের ভেতরেই। তবে পেঁয়াজ চাষ বেড়ে যাওয়ায় বেড়েছে পেঁয়াজের বীজের চাহিদাও। চাহিদা বেড়ে যাওয়া এবং ভালো দাম পাওয়ায় রাজশাহীতে পেঁয়াজের বীজ চাষে ঝুঁকছেন চাষিরা।

রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, জেলায় এবার ২৫৮ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজের বীজ চাষ করা হয়েছে। এ থেকে ২১০ মেট্রিক টন বীজ উৎপাদন হবে বলে আশা করছেন তারা। এসব বীজ জেলার চাহিদা মিটিয়ে অন্য জেলায়ও সরবরাহ করা যাবে বলে জানিয়েছে কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ।

রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার চাষি মোহাম্মদ নাজিম। গত বছর চাষ করেছিলেন পেঁয়াজের বীজ। এক বিঘা জমিতে চাষ করে ভালো লাভবান হয়েছিলেন। ফলে এবার জমি লিজ নিয়ে ৩ বিঘা জমিতে পেঁয়াজের বীজ চাষ করেছেন। তিনি বলেন, ‘গতবার বীজ চাষ করে ১ লাখ টাকার মতো লাভ হয়েছে। তাই এবার বেশি করে চাষ করেছি। আশা করছি ফলন ভালো হবে। গতবারের মতো দাম পেলে ভালো লাভ হবে।’

রাজশাহীর গোদাগাড়ী এলাকার চাষি আব্দুর রহিম এক বিঘা জমিতে বীজ চাষ করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমি প্রথমবার চাষ করছি। শুরুতে বুঝতে সমস্যা হয়েছে। তা ছাড়া পেঁয়াজের ফুল এক মাস ধরে ফোটে। এক সঙ্গে এত মৌমাছিও পাওয়া যায় না। পরে শ্রমিক দিয়ে হস্ত পরাগায়ন করেছি। আগামী ২-৩ সপ্তাহের মধ্যেই বীজ তুলে ফেলতে পারবো।’

তিনি বলেন, ‘নিজের জমিতে চাষ করেছি। এক বিঘা জমিতে সব মিলিয়ে খরচ পড়েছে ৫৮ হাজার টাকা। যা ফলন দেখছি, তাতে সব মিলিয়ে আমার ৮০-৯০ হাজার টাকা লাভ হতে পারে।’

রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক উম্মে ছালমা বলেন, ‘গত বছর বেশ ভালো দাম পাওয়ায় এবার বীজ চাষ কিছুটা বেড়েছে। এবার যে বীজ উৎপাদন হবে, তা দিয়ে জেলার চাহিদা মিটিয়ে অন্য জেলায়ও সরবরাহ করা যাবে।’

তিনি বলেন, ‘পেঁয়াজের বীজ চাষে মৌমাছি নিয়ে সমস্যা হয়। বীজের পরাগায়নে সমস্যা হয়। তবে আমরা কৃষকদের হস্ত পরাগায়নের পরামর্শ দিয়েছি। এছাড়াও সাদা কাপড়ের মাধ্যমে পরাগান ঘটানোর কথা বলেছি। এতে বীজ ভালো মানের ও বেশি ফসল উৎপাদন হবে।’

প্রকাশ : মার্চ ৬, ২০২৩ ২:১০ অপরাহ্ন
পান চাষে সাতক্ষীরার চাষিদের মুখে হাসি!
কৃষি বিভাগ

সাতক্ষীরায় পান চাষে কৃষকের আগ্রহ বাড়ছে। স্বল্প খরচে ও অল্প সময়ে বেশি লাভবান হওয়ায় বলে কৃষকরা লক্ষ্যমাত্রা থেকে বেশি পান চাষ করেছেন। এখানকার উৎপাদিত পান স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে ঢাকা, খুলনাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হয়।

জানা যায়, আগে শুধু বারুই সম্প্রদায়ের মানুষরা পান চাষ ও এর ব্যবসার সাথে জড়িত থাকতো। পানের চাষ লাভজনক হওয়ায় বর্তমানে অনেক কৃষকরা পান চাষের চাষে সম্পৃক্ত রয়েছেন। ফলে সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটার কুমিরা, শাকদাহ, রাঢ়ীপাড়া, খলিষখালী, মাগুরা, বড়বিলা ও কুমিরার বারুইপাড়া এলাকায় ব্যাপক পরিমানে পানের চাষ হচ্ছে। কম খরচে পান উৎপাদন করে বেশি দামে বিক্রি করে লাভবান হচ্ছেন চাষিরা।

জানা যায়, সাতক্ষীরার শাকদাহ, রাঢ়ীপাড়া, পাটকেলঘাটার কুমিরা, কুমিরার বারুইপাড়ার চাষিরা পান চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন। কেউ কেউ পানের বরজের সংস্কারের কাজ করছেন।

কুমিরা গ্রামের পানচাষি গোপাল চন্দ্র বলেন, আমি দীর্ঘদিন যাবত পানের চাষ করে আসছি। পানপাতার বেশি ফলন পেতে হলে বরজ সব সময় পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হয়। ভেতরে মাটি কেটে লম্বা খ- লাইন তৈরি করে রোপন করতে হয়। অতিরিক্ত রোদ ও বরজে যেন পানি না জমে থাকে সেই ব্যবস্থা করতে হয়।

পাটকেলঘাটার কুমিরা রাঢ়ীপাড়ার পানচাষি বাবলু বিট বলেন, পান চাষে খরচ কম কিন্তু বেশি পরিশ্রম ও সময় দিতে হয়। যা সবাই পারে না। প্রতিবিঘা পানের বরজ তৈরী করতে ৮০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকার মতো খরচ হয়। আর এর থেকে সারাবছর পানপাতা তোলা যায়।

তালা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাজিরা বেগম জানান, গত বছর কৃষকরা পান বিক্রি করে লাভবান হতে পেরেছেন। তাই এবছর লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও দ্বিগুণ জমিতে পান চাষ হচ্ছে। তালা উপজেলার উৎপাদিত পান দেশের বিভিন্ন প্রান্তে চলে যাচ্ছে। আশা করি কৃষকরা এবছরও লাভবান হতে পারবেন।

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ২৭, ২০২৩ ৮:৫৭ পূর্বাহ্ন
আমনের জমিতে আলু চাষ
কৃষি বিভাগ

অতিরিক্ত আয় করতে আমন ধান কাটার পর একই জমিতে আলু চাষ করে বাম্পার ফলন পেয়েছেন জয়পুরহাটের পাঁচবিবির কৃষকরা। এতে চাষের খরচ পুষিয়ে নেয়ার পাশাপাশি একই জমিতে তিন ফসল উৎপাদন করছেন তারা।

জানা যায়, পাঁচবিবির প্রধান অর্থকরি ফসল হলো ধান। এখন চাষিরা ধান চাষের পাশাপাশি সবজির আবাদও করছেন। চলতি মৌসুমে কৃষকরা আমন ধান কাটার পর অতিরিক্ত লাভের আশায় আলু চাষ করেছেন। বর্তমানে কৃষকরা জমি থেকে আলু উত্তোলন করছেন।

কৃষি অধিদপ্তরের মতে, কৃষকরা আমন ধান ঘরে তোলার পর সেই জমিতে পাকরি, রোমানা, কার্ডিনাল (লাল), গ্রানোলা, বিনেলা, ক্যারেজ এবং ডায়ামন্ড জাতের আলুর চাষ করেছেন। কয়েক দফা বৃষ্টিতেও আলুর ক্ষতি হয়নি। ফলে এ বছর পাঁচবিবিতে আলুর বাম্পার ফলন হয়েছে। কৃষকরা জমি থেকে পরিপক্ক আলু উঠিয়ে বিক্রি শুরু করেছেন।

বাগজানা ইউনিয়নের খোর্দ্দা গ্রামের কৃষক হাজেরা বিবি ও প্রদীপ চন্দ্র বলেন, আমরা ধান কাটার পর জমি খালি ফেলে না রেখে আলু চাষ করেছি। আলুর বীজ রোপনের ৬৫ দিনের মধ্যে পরিপক্ক হয়েছে। আলু চাষে আমার খরচ হয়েছে ৩০ হাজার টাকা। এখন পাইকাররা আমরা ১ একর জমি ৭৫ হাজার টাকা কিনে নিয়েছে। এই অল্প সময়েই আমার ৪৫ হাজার টাকা আয় হয়েছে।

কৃষক হবিবর বলেন, আমি ১৫ কাঠা জমিতে আলুর চাষ করেছি। বিঘাপ্রতি ৪৫-৫০ মণ আলুর ফলন পাওয়া যায়। এতে বিঘাপ্রতি আলু চাষে ১০-১২ হাজার টাকা খরচ হয়। প্রতিমণ আলু ৭০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আলু চাষ করে লাভবান হয়েছি।

পাঁচবিবি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা লুৎফর রহমান বলেন, চলতি বছর উপজেলায় ৫ হাজার ১০০ হেক্টর জমিতে আগাম জাতের আলু চাষ হয়েছে। লাভের আশায় কৃষকরা আগাম জাতের আলু চাষে নেমে পড়েছেন। আলুর ভালো ফলন হয়েছে। আশা করছি কৃষকরা লাভবান হবেন।

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ২৭, ২০২৩ ৮:৪৩ পূর্বাহ্ন
তেলাপিয়া চাষে নার্সিং পুকুরে মাছ ছাড়ার নিয়ম
মৎস্য

তেলাপিয়া চাষে নার্সিং পুকুরে মাছ ছাড়ার নিয়ম মৎস্য চাষিদের ভালোভাবে জেনে রাখা দরকার। লাভজনক হওয়ার কারণে বর্তমান সময়ে আমাদের দেশের পুকুরে মাছ চাষ বৃদ্ধি পেয়েছে। সঠিক নিয়ম মেনে চাষ করলে সহজেই লাভবান হওয়া যায়। আজকে আমরা জানবো তেলাপিয়া চাষে নার্সিং পুকুরে মাছ ছাড়ার নিয়ম সম্পর্কে-

তেলাপিয়া চাষে নার্সিং পুকুরে মাছ ছাড়ার নিয়ম:
সার প্রয়োগের অন্তত ৭ থেকে ১০ দিন পরে ২১-২৮ দিন বয়সের মাছ ছাড়তে হবে। প্রতি ৩০ শতকে ৭০-৯০ হাজার তেলাপিয়া মাছের পোনা ছাড়া যাবে। এখানে এগুলিকে ৩০-৫০ দিন অবধি রাখাতে হবে। এই সময় এদের খাদ্যের চাহিদা বেশি থাকে। তাই প্রাকৃতিক খাবারের সঙ্গে সঙ্গে পরিপূরক খাবারও দিতে হয় যথেষ্ট পরিমাণে।

মাছের গড় ওজনের ১০-১৫ ভাগ খাবার দিতে হবে। এই খাবার সারা দিনে ৩ থেকে ৪ বারে দিলে খাবারের ভালো ব্যবহার হয়। যেহেতু এরা আমিষভোজী এই খাবার আমিষসমৃদ্ধ হওয়া উচিত অর্থাৎ খাবারে অন্তত ৩০%-৩৫% প্রোটিন থাকতে হবে। এখানে এদের ওজন ১৫ – ৩০ গ্রাম হলে চাষের পুকুরে চালান করে দিতে হবে।

মাছ এর চাষ পদ্ধতি খুব সহজ।কার্প মাছের সাথে এ মাছ চাষ করা যায়। তবে অধিক ফলনের জন্য বর্তমানে তেলাপিয়া চাষ পদ্ধতিতে ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। বাংলাদেশে কিছু নতুন কোম্পানী হয়েছে যারা মাছের খাবার উৎপন্ন করেন। এসব খাবার বা মৎস ফিড দিয়ে এ মাছ চাষ করলে চার মাসে মাছের ওজন ৫০০-৮০০ গ্রাম পর্যন্ত হতে পারে। এতে নিয়মিত খাবার প্রয়োগ ও চিকিৎসক দ্বারা মাছের যত্ন নিতে হয়। তেলাপিয়া গোত্রের নতুন সংযোজন মনোসেক্স যা অধিক ফলনশীল।

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ২৫, ২০২৩ ৮:৪৯ অপরাহ্ন
কয়রায় লবণসহিষ্ণু বোরো ধানের আবাদ বেড়েছে
কৃষি বিভাগ

খুলনার উপকূলীয় উপজেলা কয়রায় দিন দিন বাড়ছে লবণসহিষ্ণু বোরো ধানের আবাদ। এ ছাড়া নতুন নতুন এলাকায় লবণপানির চিংড়ি চাষের পরিবর্তে লবণসহিষ্ণু বিভিন্ন জাতের বোরো ধানের চাষও বেড়েছে। কৃষি বিভাগ বলছে, এ বছর উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে।

বর্তমানে কৃষকরা বোরো রোপণ-পরবর্তী পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। বোরো আবাদ চাষ ব্যয়বহুল হলেও ধানের বাজার ও (গোখাদ্য) খড়কুটার দাম বাড়ায় লাভজনক মনে করছেন কৃষকরা।

কয়রা উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে ৩৬ হাজার বিঘা জমিতে বোরো চাষ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে, যা গত বছরের তুলনায় দুই গুণেরও বেশি। প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে প্রায় ২৭ হাজার মেট্রিক টন ধান উৎপাদন হতে পারে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা (অতিরিক্ত) অসীম কুমার দাস বলেন, উৎপাদন ভালো হওয়ায় এ উপজেলায় লবণসহিষ্ণু বোরোর আবাদ বৃদ্ধি পাচ্ছে। চলতি বোরো মৌসুমে এ উপজেলায় তিন হাজার কৃষকের মধ্যে বিনা মূল্যে বীজ ও সার বিতরণ করা হয়েছে। এর মধ্যে এক হাজার কৃষককে ২০ কেজি সার ও পাঁচ কেজি উফশী জাতের এবং দুই হাজার কৃষককে দুই কেজি করে হাইব্রিড এসএলএইটএইচ জাতের ধান দেয়া হয়েছে।

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ২৫, ২০২৩ ৮:২২ অপরাহ্ন
লেবু চাষে ঝুঁকছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চাষিরা!
কৃষি বিভাগ

লেবু চাষে ঝুঁকছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া চাষিরা। ফলনের পাশাপাশি বাজারদর ভালো পাওয়ায় দিন দিন এই জেলায় লেবুর চাষ বাড়ছে। এতে অধিক দামে বাজারে বিক্রি করে খুশি চাষিরা। জানা যায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় সাধারণত পাঁচ জাতের লেবুর চাষ হয়ে থাকে। এর মধ্যে কাগজি, পাতি, এলাচি, বাতাবি ও নতুন জাতের হাইব্রিড সিডলেস লেবু রয়েছে। কাগজি লেবুর চাহিদাও ভালো। এছাড়া অন্যান্য লেবুরও ভালো চাহিদা রয়েছে। এর চাষে তুলনা মূলক পানি সেচ তেমন একটা লাগে না। সার, পরিচর্যা ও শ্রমিক খরচ খুবই কম হওয়ায় দিন দিন বাড়ছে লেবুর চাষ। উৎপাদিত লেবুর ভালো দামও পাচ্ছেন কৃষকরা।

আখাউড়ার চাষি আতাউর রহমান বলেন, আমি ১ বিঘা জমিতে সিডলেস ও দেশীয় জাতের লেবু আবাদ করেছি। এখান থেকে প্রায় সারা বছরই বিক্রি করতে পারি। বাজারে দাম ভালো থাকায় এখন দৈনিক ৪ হাজার টাকার লেবু বিক্রি করতে পারছি। বলেন, বাজারে নিতে হয় না। বিভিন্ন জায়গার পাইকাররা বাগান থেকেই কিনে নিয়ে যান। এবার লেবুর ভালো দাম পাওয়ায় আমি খুবই খুশি।

এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ সুশান্ত সাহা বলেন বলেন, লেবুতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ সাইট্রিক অ্যাসিড, অ্যাসকরবিক অ্যাসিড, ভিটামিন ‘সি’। এছাড়া লেবুর পানি দেহে প্রয়োজনীয় এনজাইম তৈরি করে। আমরা কৃষকদের লেবু চাষের কলাকৌশল সম্পর্কে হাতে কলমে প্রশিক্ষণ দিচ্ছি ও সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করছি।

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ২৩, ২০২৩ ৭:৪১ অপরাহ্ন
সূর্যমুখী চাষে লাভের আশা কুড়িগ্রামের চাষিদের
কৃষি বিভাগ

কুড়িগ্রামের চরাঞ্চলে সূর্যমুখী চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। সার, কীটনাশক ও ডিজেলের দাম বেশি হওয়ায় কৃষকদের মুখে হতাশার ছাপ থাকলেও দর্শনার্থীদের সমাগম চোখে পড়ার মতো। সূর্যমুখী ফুলের বাগানের মনোরম দৃশ্য দেখতে এবং ছবি তুলতে বিভিন্ন এলাকা থেকে আসছেন দর্শনার্থীরা।

কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, জেলায় এবার ৩৫ হেক্টর জমিতে সূর্যমুখী ফুলের চাষ হচ্ছে।আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবং কৃষকদের দেওয়া পরামর্শগুলোর সঠিক বাস্তবায়ন হলে লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা আছে।

সরেজমিনে জানা যায়, সদর উপজেলার ঘোগাদহ ইউনিয়নের মহিষের চর গ্রামে ১২ একর জমিতে বারি-২ জাতের সূর্যমুখী চাষ করেছেন মো. আবু বক্কর সিদ্দিক। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, ‘গত বছরের তুলনায় এবারের সূর্যমুখী চাষে ব্যয় একটু বেশি। প্রতিদিন জমিতে পানি দিতে হচ্ছে। ডিজেল, সার ও কীটনাশকের দাম বেশি। কয়েকদিন আগে বাগান নিয়ে হতাশ ছিলাম। সূযমুখী ফুল ফুটবে কি না! এখন ফুলের গঠন ভালো হচ্ছে। আশা করছি লাভবান হবো।’

তিনি বলেন, ‘সূর্যমুখী চাষ করে এ বছর একটু অর্থনৈতিক সংকটে পড়েছি। তবে ব্যাংকগুলো ঋণের ব্যাপারে সহনশীল হলে খুব উপকার হতো। এ ব্যাপারে কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বিভিন্ন ভাবে সহযোগিতা করছে।’

সূর্যমুখী ফুলের চাষ দেখতে আসা মো. ইয়াকুব আলী বলেন, ‘সূর্যমুখী চাষ দেখে খুবই ভালো লাগলো। শুনলাম সূর্যমুখী চাষ নাকি লাভজনক। আমার ইচ্ছা আছে, আগামীতে সূর্যমুখী ফুলের চাষ করবো।’

মো. সুরুজ আলী বলেন, ‘আমি ঘোগাদহে আত্মীয়ের বাসায় বেড়াতে এসেছি। সূর্যমুখী বাগানের কথা শুনে দেখতে এলাম। দেখে খুব ভালো লাগলো। পরে বন্ধু-বান্ধবসহ সূর্যমুখী বাগান দেখার জন্য আসবো।’

মহিষের চর গ্রামের মো. ইমরান আলী বলেন, ‘আমাদের এই চরে আগে কখনো সূর্যমুখীর চাষ দেখিনি। এ বছর প্রথম আমাদের এলাকায় সূর্যমুখী চাষ হচ্ছে। দেখে ভালো লাগছে।’

কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিপ্লব কুমার মোহন্ত বলেন, ‘৩৫ হেক্টর জমিতে সূর্যমুখী ফুলের চাষ হচ্ছে। কৃষকদের মাঝে সার ও বীজসহ বিভিন্ন সহযোগিতা করা হচ্ছে। মাঠ পর্যায়ে যদি তেল উৎপাদনের ব্যবস্থা করা যেত, তাহলে আরও বেশি লাভ করতে পারতেন চাষিরা। তারপরও আশা করছি, কৃষকরা সূর্যমুখী চাষে লাভবান হবেন।’

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ২৩, ২০২৩ ৭:৩৩ অপরাহ্ন
জনপ্রিয়তা পাচ্ছে নেদারল্যান্ডসের আলুর জাত
এগ্রিবিজনেস

নেদারল্যান্ডসের আলুর জাত ‘ভ্যালেনসিয়া’। যার বীজ ওই দেশের স্কেপ হল্যান্ড কোম্পানি থেকে আমদানি করে সারাদেশে বাজারজাত করেছে এসিআই। চলতি মৌসুমে জাতটি বাম্পার ফলন দিচ্ছে বলে জানানো হয়েছে।

জয়পুরহাট, রংপুর, রাজশাহী, মুন্সিগঞ্জ, কুমিল্লা, দিনাজপুরসহ কয়েক জেলার আলু চাষিদের আশাবাদী করে তুলেছে এ ‘ভ্যালেনসিয়া’।

এদিকে আলুর উৎপাদন দেখতে স্কেপ হল্যান্ড কোম্পানির ইন্টারন্যাশনাল একাউন্ট ম্যানেজার লিওন হানস্ট্রা বাংলাদেশ সফরে এসেছেন। তিনি কুমিল্লা ও মুন্সিগঞ্জের বিভিন্ন প্রত্যন্ত অঞ্চলে আলুর মাঠ পরিদর্শন করেন।

এসময় তিনি কৃষক, বীজ ডিলার, রিটেইলারদের সঙ্গে এর ফলন নিয়ে কথা বলেন।

এসিআই জানায়, এ আলু হেক্টরপ্রতি প্রায় ৪০ টন ফলন দিচ্ছে, যা সমজাতীয় জাতগুলো থেকে প্রায় ৩৭ ভাগ বেশি। জাতটি ৫৫-৬০ দিনের মধ্যে বিক্রি উপযোগী হয়। চাইলে সর্বোচ্চ ৮৫ দিন পর্যন্ত জমিতে রাখা যায়।

তবে ৬০ দিনের মধ্যে এর হেক্টরপ্রতি ফলন ৩১ টন পর্যন্ত হচ্ছে। ফলে আগাম উত্তোলন করে চাষিরা অধিক মুনাফা পাচ্ছেন। জাতটি স্বাভাবিক তাপমাত্রায় প্রায় ৯০ দিন পর্যন্ত সংরক্ষণ করা যায়।

ভ্যালেনসিয়ার শুষ্ক পদার্থের পরিমাণ প্রায় ২২ দশমিক ৫ শতাংশের ওপরে এবং তেল শোষণ ক্ষমতা প্রায় ৩ শতাংশের নিচে হওয়ায় এটি সুস্বাদু। এটি ফ্রেন্স ফ্রাইয়ের জন্য উপযোগী একটি জাত। এছাড়া ভ্যালেনসিয়া জাতটি স্কেব রোগ সহনশীল।

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ২০, ২০২৩ ৩:৩৩ অপরাহ্ন
টমেটো চাষে ব্যস্ত দিনাজপুরের কৃষক
কৃষি বিভাগ

দিনাজপুরের চাষিরা আলু ও সরিষার পর এখন টমেটো ক্ষেত পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। আবহাওয়া অনুকূলে এবং সার-কীটনাশকের সংকট না থাকায় এবার গ্রীষ্মকালীন টমেটোর বাম্পার ফলনের স্বপ্ন দেখছেন তারা। আগাম আলু উঠিয়ে তারা টমেটোর চারা রোপণ করেছিলেন। এখন টমেটো ক্ষেতে বাঁশের বাতা ও সুতা দিয়ে গাছ যাতে ঝড়-বৃষ্টি এবং ভারে নুয়ে না পড়ে সে জন্য ব্যবস্থা নিচ্ছেন।

কৃষক এবং কৃষি বিভাগ বলছে, কোনো প্রকার প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে জেলায় এবার গ্রীষ্মকালীন টমেটোর বাম্পার ফলন হবে। সেইসঙ্গে যোগাযোগব্যবস্থা ভালো হওয়ায় দেশের যে কোনো প্রান্তে টমেটো সহজে পাঠাতে পারবেন। এতে কৃষক ও ব্যবসায়ী লাভবান হবেন। ব্যবসায়ীরা এখনই টমেটো চাষিদের খোঁজ-খবর নিতে শুরু করেছেন।

দিনাজপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, জেলায় ১ হাজার ১৪২ হেক্টর জমিতে গ্রীষ্মকালীন টমেটোর চারা রোপণ হয়েছে। এখনো চারা রোপণ চলছে। এবার টমেটো চাষ আরও বাড়তে পারে। দিনাজপুরে টমেটো চাষ শুরু হয়েছে মাঘ মাসের ১৫ তারিখ থেকে। ফলন পাওয়া যায় চৈত্র মাসের ১৫ তারিখ থেকে। তবে অনেকে স্বল্প পরিসরে আগাম টমেটো চাষ করে থাকেন। জেলা সদর, চিরিরবন্দর, বিরলসহ বিভিন্ন উপজেলায় ব্যাপকহারে গ্রীষ্মকালীন ভিকোমা, প্রভেনশিপ, রানি, রাজা কুমার ও বিপুল প্লাস টমেটোর চাষ হয়ে থাকে। তবে এবার সবচেয়ে বেশি চাষ হচ্ছে বিপুল প্লাস জাতের টমেটো।

চিরিরবন্দর উপজেলার মাদারগঞ্জ আরজিগলাহার গ্রামের কৃষক মধুসূদন রায় (৪০) জানান, তিনি এক বিঘা (৩৩ শতাংশ) জমিতে বিপুল প্লাস জাতের টমেটোর চারা রোপণ করেছেন। গাছে ফুল আসতে শুরু করেছে। তিনি এখন টমেটো গাছের পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন।

তিনি বলেন, ‘জমিতে টমেটো চাষ করতে সব মিলিয়ে খরচ হবে ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা। ফলন ভালো হলে ৪০০ মণ টমেটো হবে। টমেটো যদি ১০ টাকা কেজি দরেও বিক্রি করতে পারেন, তাহলে ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা বিক্রি করতে পারবেন। এতে তার লাভ হবে ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা। এর চেয়ে কম দামে বিক্রি করলে লাভ কিছুটা কম হবে। টমেটো চাষে সাধারণত লোকসান গুনতে হয় না। যতি কোনো দুর্যোগ না হয়।’

একই কথা বলেন সদর উপজেলার চক দেওতৈড় গ্রামের কৃষক সালাউদ্দিন। তিনি বলেন, ‘৬০ শতাংশ জমিতে বিপুল প্লাস টমেটোর চাষ করেছি। এখন পর্যন্ত টমেটো গাছ খুবই সুন্দর হয়েছে। কিছু গাছে ফুল আসতে শুরু করেছে। যদি ফলন ভালো হয় এবং দাম ভালো পাই, তাহলে বেশ লাভবান হবো। দাম পেলে সোনায় সোহাগা হয়ে যাবে।’

দিনাজপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক নুরুজ্জামান বলেন, ‘আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারে টমেটোর উৎপাদন বেড়েছে। টমেটো চাষ করে যাতে কৃষকরা কোনো সমস্যার মধ্যে না পড়েন; সেজন্য সব সময় মনিটরিং করা হচ্ছে। কৃষক ধান, আলু ও সরিষার ভালো দাম পেয়েছেন। আশা করছি টমেটোয়ও এবার দাম ভালো পাবেন।’

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop