৮:৩৬ পূর্বাহ্ন

বৃহস্পতিবার, ৯ মে , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : নভেম্বর ১০, ২০২২ ৬:৪৮ অপরাহ্ন
ছাগল পালনে নতুন খামারিরা যা করবেন
প্রাণিসম্পদ

ছাগল পালনে অল্পতে অধিক লাভ হওয়াতে এরদিকে ঝুঁকছেন এখন অনেকেই। এতে লাভজনক হওয়ায় দিন দিন আমাদের দেশে ছাগল পালন বেড়েই চলেছে। অনেকেই আবার বাণিজ্যিক ভিত্তিতে ছাগলের খামার গড়ে তুলছেন। তবে ছাগল পালনে নবীন খামারিদের বেশ কিছু কাজ করতে হয়।

নতুন করে ছাগলের খামার শুরু করতে খামারিদের বেশ কিছু কাজ করতে হয়। নিচে এসব কাজ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হল-

ভালো জাতের ছাগল নির্বাচন করবেন যেভাবে:
ছাগলের খামার করে লাভবান হওয়ার জন্য সবার আগে ভালো ও উন্নত জাতের ছাগল নির্বাচন করতে হবে। নতুন খামার শুরু করার আগে ছাগলছানা বা ছাগলের বাচ্চা কিনবেন নাকি পূর্ণবয়স্ক ছাগল কিনবেন তা বিবেচনা করতে হবে। খামার করার লক্ষ্য অনুযায়ী ছাগল কিনে আনতে হবে।

ছাগলের ঘর:
ছাগল পালন করার জন্য ছাগলের ঘর একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ঠাণ্ডা থেকে এবং রোদের তাপ থেকে বাঁচাতে এগুলোরর জন্য ছাউনি দরকার হবে। এদের আবাসস্থলের চারপাশে বেড়া দেয়ারও প্রয়োজন হবে। ছাগলকে যদি ঘের দিয়ে পরিবেষ্টিত না রাখা হয় তবে অনেক সময় এরা চরে বেড়াতে গিয়ে পথ ভুলে হারিয়ে যেতে পারে। যে জায়গায় এদের আবাসস্থল তৈরী করা হবে সে জায়গায় খাদ্য এবং স্বাদু পানির ব্যবস্থা রাখতে হবে।

ছাগলের প্রতিপালন:
ছাগল পালনে শুধু ঘাস খাইয়ে রাখা ঠিক হবে না। শুধু ঘাস দিয়ে এদের পুষ্টির অভাব পূরণ হবে না। সেইসঙ্গে এদেরকে খড় এবং ভূষি খাওয়াতে হবে। কোনো কোনো অঞ্চলে এদের স্বাভাবিক খাবারে নির্দিষ্ট কিছু খনিজ লবণ থাকে না, সেজন্য পশুচিকিৎসকের পরমর্শে পরিপূরক ঔষধ খাওয়াতে হবে।

প্রকাশ : নভেম্বর ৩, ২০২২ ৯:০৪ অপরাহ্ন
মাচা পদ্ধতিতে ছাগল পালনের সুবিধা
প্রাণিসম্পদ

আমাদের দেশে ছাগল পালন দিন দিন বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। বিশেষ করে বেকার যুবকদের অনেকেই ছাগল পালন করে বেকারত্ব দূর করছেন। কেউ কেউ লেখাপড়ার পাশাপাশি এটি পালন করে বেশ লাভবান হচ্ছেন।

উন্মুক্ত জায়গা বা মাঠ না থাকলেও মাচা পদ্ধতিতে ছাগল পালন করা যায়। এতে লাভবান হওয়া যায় খুব সহজে। মাচা পদ্ধতিতে ছাগল পালনে অনেক সুবিধা রয়েছে।

এ পদ্ধতিতে ছাগল পালন করতে তেমন খরচ নেই। এছাড়া চিকিৎসা ব্যয়ও অনেকাংশ কম।

অন্যদিকে মাচা পদ্ধতিতে ছাগল পালন করলে ছাগলের সর্দি-কাশি, নিউমোনিয়া রোগ হবে না। কৃমি, উকুন, চর্মরোগ কম হবে। প্রস্রাব, গোবর সঙ্গে সঙ্গে নিচে পড়ে যায়। ফলে শরীর পরিষ্কার থাকে।

এ ছাড়া মাচা পদ্ধতিতে ছাগল পালন করলে শীতকালে ঠান্ডা কম লাগে। মাচার ওপর ও নিচ দিয়ে বাতাস চলাচল করে বিধায় মাচা শুকনো থাকে, যা ছাগলের জন্য আরামদায়ক। অন্যদিকে ছাগলের স্বাস্থ্য ভালো থাকে ও উৎপাদন বৃদ্ধি পায়। ফলে ছাগল পালন করে বেশ লাভবান হওয়া যায়।

প্রকাশ : অক্টোবর ২০, ২০২২ ৪:২০ অপরাহ্ন
সখিপুরে গোয়াল ঘরে আগুন, ২গরু ও তিন ছাগলের প্রাণহানি!
প্রাণিসম্পদ

টাঙ্গাইলের সখিপুর উপজেলার কালিয়া ঘোনারচালা পূর্ব পাড়া এলাকার কৃষক আনোয়ার বাদশার গোয়াল ঘরে আগুন লেগে পুড়ে দু’টি গরু ও পাঁচটি ছাগলের মৃত্যু হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) ভোর ৩ টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। আগুন নেভানোর আগেই গরু ও ছাগলগুলো পুড়ে মারা যায়।

জানা যায়, কৃষক আনোয়ার বাদশা মশার উপদ্রব থেকে রক্ষা পেতে প্রতিদিনের মতো গোয়াল ঘরের পাশে লাকড়ির মধ্যে কয়েলে আগুন দেন তিনি। ধারণা করা হচ্ছে এ থেকেই আগুনের সূত্রপাত হয়েছে।তিনি আরো জানান, আগুন লেগে দুটি গরু, পাঁচটি ছাগলসহ টিনের গোয়ালঘরটিও পুড়ে গেছে। সবমিলে অন্তত ২ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

এছাড়াও বিভিন্ন ব্যাংক ও এনজিওতে দেড় লক্ষ টাকা ঋণ রয়েছে বলেও জানান তিনি।

আনোয়ার বাদশা বলেন, কৃষি জমি চাষাবাদ করে ৬ সদস্যের পরিবার নিয়ে অভাবের সংসার আমার। গরু ও ছাগলগুলো মারা যাওয়ায় আমি একদম নিঃস্ব হয়ে গেলাম।
সকালে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান এসএম কামরুল হাসান দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এসময় তিনি জানান, কৃষক আনোয়ার বাদশার গরুগুলো পুড়ে মারা যাওয়ায় বড় ক্ষতি হয়ে গেল। এ অবস্থায় তার সহযোগিতা প্রয়োজন।

প্রকাশ : অক্টোবর ১০, ২০২২ ১০:১৮ অপরাহ্ন
উন্নত জাতের ছাগল পালনের ক্ষেত্রে খামারীর করণীয়
প্রাণিসম্পদ

উন্নত জাতের ছাগল পালন ও পরিচর্যায় যা করতে হবে সে বিষয়ে আমাদের দেশের অনেক ছাগল পালনকারীরাই জানেন না। ছাগল পালন লাভজনক হওয়ার কারণে দিন দিন আমাদের দেশে ছাগল বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে উন্নত জাতের ছাগল পালন করে সহজেই লাভবান হওয়া যায়।

উন্নত জাতের ছাগল পালন ও পরিচর্যায় যা করতে হবে:
উন্নত জাতের ছাগলগুলোর মধ্যে রাম ছাগল অন্যতম। উন্নত জাতের ছাগল পালন ও পরিচর্যা নিয়ে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হল-

ছাগলের বাসস্থান বা ঘর:
ছাগল সাধারণত পরিষ্কার, শুষ্ক, দুর্গন্ধমুক্ত, উষ্ণ, পর্যাপ্ত আলো ও বায়ূ চলাচলকারী পরিবেশ পছন্দ করে। গোবরযুক্ত, স্যাঁত স্যাঁতে, বদ্ধ, অন্ধকার ও পুতিগন্ধময় পরিবেশে ছাগলের রোগবালাই যেমন: নিউমোনিয়া, একথাইমা, চর্মরোগ, ডায়রিয়া ইত্যাদি বিভিন্ন জাতীয় সংক্রামক ও পরজীবীয় রোগ হতে পারে। সেই সাথে ওজন বৃদ্ধির হার, দুধের পরিমাণ এবং প্রজনন দক্ষতা কমে যায়।

ঘর নির্মাণের স্থান:
পূর্ব পশ্চিমে লম্বালম্বী, দক্ষিণ দিক খোলাস্থানে ঘর নির্মাণ করা উচিৎ। খামারের তিন দিকে ঘেরা পরিবেশ বিশেষ করে উত্তর দিকে গাছপালা লাগাতে হবে। ছাগল খামারে স্থান নির্বাচনে অবশ্যই অপেক্ষাকৃত উঁচু এবং উত্তম পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা থাকতে হবে।

প্রতিটি পূর্ণ বয়স্ক ছাগলের জন্য গড়ে ৮-১০ বর্গ ফুট জায়গা প্রয়োজন। প্রতিটি বাড়ন্ত বাচ্চার জন্য গড়ে ৫ বর্গফুট জায়গা প্রয়োজন। ছাগলের ঘর ছন, গোল পাতা, খড়, টিন বা ইটের তৈরী হতে পারে। তবে যে ধরণের ঘরই হউক না কেন ঘরের ভিতর বাঁশ বা কাঠের মাচা তৈরী করে তার উপর ছাগল রাখতে হবে।

মাচার উচ্চতা ১.৫ মিটার (৫ ফুট) এবং মাচা থেকে ছাদের উচ্চতা ১.৮-২.৪ মিটার (৬-৮ ফুট) হবে। গোবর ও প্রগ্রাব পড়ার সুবিধার্থে বাঁশের চটা বা কাঠকে ১ সেঃ মিঃ (২.৫৪ ইঞ্চি) ফাঁকা রাখতে হবে।

মাচার নিচ থেকে সহজে গোবর সরানোর জন্য ঘরের মেঝে মাঝ বরাবর উঁচু করে দুই পার্শ্বে ঢালু (২%) রাখতে হবে। মেঝে মাটির হলে সেখানে পর্যাপ্ত বালি মাটি দিতে হবে। ছাগলের ঘরের দেয়াল, মাচার নিচের অংশ ফাঁকা এবং মাচার উপরের অংশ এম.এম. ফ্ল্যাক্সিবল নেট হতে পারে। বৃষ্টি যেন সরাসরি না ঢুকে সে জন্য ছাগলের ঘরের চালা ১-১.৫ মিঃ (৩.২৮-৩.৭৭ ফুট) ঝুলিয়ে দেয়া প্রয়োজন।

শীতকালে রাতের বেলায় মাচার উপর দেয়ালকে চট দিয়ে ঢেকে দিতে হবে। শীতের সময় মাচার উপর ১০-১২ সেঃ মিঃ (৪-৫ ইঞ্চি) পুরু খড়ের বেডিং বিছিয়ে দিতে হবে। বয়সের এবং জাত ভেদে বিভিন্ন ধরণের ছাগলকে আলাদা ঘরে রাখা উচিৎ।

পাঁঠাকে সব সময় ছাগী থেকে পৃক করে রাখা উচিৎ। দুগ্ধবতী, গর্ভবতী ও শুষ্ক ছাগীকে একসাথে রাখা যেতে পারে। তবে তাদের পৃক খাওয়ানোর ব্যবস্থা থাকতে হবে। শীতকালে বাচ্চাকে রাতের বেলা মায়ের সাথে ব্রম্নডিং পেনে রাখতে হবে। ব্রম্নডিং পেন একটি খাঁচা বিশেষ যা কাঠের বা বাঁশের তৈরী হতে পারে। এর চারপার্শ্বে চটের ব্যবস্থা দিয়ে ঢাকা থাকে।

খাদ্য ব্যবস্থাপনা:
ছাগলের খাদ্য ব্যবস্থাপনাই খামারের অন্যতম প্রধান বিষয়। ইন্টেনসিভ এবং সেমি-ইন্টেনসিভ পদ্ধতিতে ছাগলের খাদ্যের পরিমাণ ও গুনগত মান নির্ভর করে চারণ ভূমিতে প্রাপ্ত ঘাসের পরিমাণ ও গুনগত মানের উপর। ছাগলের বাচ্চাকে কলষ্ট্রাম (শাল দুধ) খাওয়ানোঃ সাধারণত ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগলের বাচ্চার ওজন ০.৮-১.৫ কেজি (গড়ে ১.০০ কেজি) ওজন হয়।

বাচ্চা জন্মের পরপরই পরিস্কার করে আধা ঘন্টার মধ্যেই মায়ের শাল দুধ খেতে দিতে হবে। ছাগলের বাচ্চার প্রতি কেজি ওজনের জন্য ১৫০ থেকে ২০০ গ্রাম শাল দুধ খাওয়ানো প্রয়োজন। এই পরিমাণ দুধ দিনে ৮-১০ বারে খাওয়াতে হবে। শাল দুধ বাচ্চার শরীরে এন্টিবডি তৈরী কওে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বৃদ্ধি করে। দুই বা ততোধিক বাচ্চা হলে প্রত্যেকেই যেন শাল দুধ পায় তা নিশ্চিত করতে হবে। ছাগলের বাচ্চার দানাদার খাদ্য মিশ্রণ কম আঁশ, উচ্চ প্রোটিন, উচ্চ বিপাকীয় শক্তি সম্পন্ন হতে হয়।

ছাগলের বাচ্চাকে দানাদার খাদ্য খাওয়ানো:
ছাগল ছানা প্রথমে মায়ের সাথেই দানাদার খাবার খেতে অভ্যস্থ হয়। ছাগলের বাচচাকে জন্মের প্রথমে সপ্তাহ থেকে ঘাসের সাথে পরিচিত করে তুলতে হবে। সাধারণত শুরুতে মায়ের সাথেই বাচ্চা ঘাস খেতে শিখে। অভ্যস্থ করলে সাধারণত দুই সপ্তাহ থেকেই বাচচা অল্প অল্প ঘাস খায়।

এ সময়ে বাচ্চাকে কচি ঘাস যেমন: দুর্বা, স্পেনডিডা, রোজী, পিকাটুলাম, সেন্টোসোমা, এন্ড্রোপোগন প্রভৃতি ঘাস খাওয়ানো যেতে পারে। তাছাড়া, ইপিল ইপিল, কাঁঠাল পাতা, ধইনচা ইত্যাদি পাতা খাওয়ানো যেতে পারে।

বাড়ন্ত ছাগলের খাদ্য ব্যবস্থাপনাঃ

ছাগলের ৩-১২ মাস সময়কালকে মূল বাড়ন্ত সময় বলা যায়। এ সময়ে যেসব ছাগল প্রজনন বা মাংস উৎপাদনের কাজে ব্যবহৃত হবে তাদের খাদ্য পুষ্টি চাহিদা যথাযথভাবে পূরণ করতে হবে। দুধ ছাড়ানোর পর থেকে পাঁচ মাস পর্যন- সময়ে ছাগলের পুষ্টি সরবরাহ অত্যন্ত নাজুক পর্যায়ে থাকে।

এ সময়ে একদিকে ছাগল দুধ থেকে প্রাপ্ত প্রোটিন ও বিপাকীয় শক্তি থেকে যেমন বঞ্চিত হয় তেমনি মাইক্রোবিয়াল ফার্মেন্টেশন থেকে প্রাপ্ত পুষ্টি সরবরাহও কম থাকে।

প্রকাশ : অক্টোবর ৯, ২০২২ ১২:৩৫ অপরাহ্ন
মুরগির খামারে লস হলেও ঘুরে দাঁড়ালেন ছাগলের খামার করে!
প্রাণিসম্পদ

লাভের আশায় বন্ধুদের সঙ্গে লেয়ার মুরগির খামার গড়ে তুলেছিলেন মো. জাকারিয়া। কিন্তু করোনা মহামারিতে হারিয়ে যায় বিনিয়োগের পাঁচ লাখ টাকা। তবুও নিরাশ হননি। ঘুরে দাঁড়িয়েছেন ব্ল্যাক বেঙ্গল জাতের ছাগলের খামারে।

মো. জাকারিয়ার গ্রামের বাড়ি সিরাজগঞ্জ। একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে রাজশাহীতে কর্মরত রয়েছেন তিনি। সেই সুবাদে রাজশাহীর পবা উপজেলার হরিয়ান ইউনিয়নের কালিয়াপাড়া এলাকায় ৬ বিঘা জায়গায় গড়ে তুলেছেন ওয়াফা এগ্রো ফার্ম।

খামারি জানান, তার এক বন্ধু দীর্ঘ দিন ধরে মুরগির খামারি। লাভের আশায় সেই বন্ধুর সঙ্গে আমিও মুরগির খামারে বিনিয়োগ করি। ৪ হাজার লেয়ার মুরগির খামার গড়ে তুলি। কিন্তু করোনা মহামারিতে ডিম বিক্রি করতে পারিনি। ফলে পুঁজি হারিয়ে যায়।

তিনি আরও জানান, ছাগলের খামারের এই জায়গা মুরগির খামারের জন্য লিজ নিয়েছিলাম। লোকসানের কারণে ওই পথে আর হাঁটিনি। শেষে অনেক ভেবে-চিন্তে ছাগলের খামার গড়ে তুলি।

প্রথমে অর্ধেক জায়গায় ঘাস চাষ করি। বাকি অর্ধেক জাগায়গায় শেড এবং ছাগলের বিচরণ ক্ষেত্র তৈরি করি। অল্প কিছু ছাগল নিয়ে খামারের যাত্রা শুরু করি। এখন খামারে সব মিলিয়ে দুই শতাধিক ছাগল রয়েছে।

সব মিলিয়ে এখন পর্যন্ত খামারে বিনিয়োগ করা হয়েছে ৩০ লাখ টাকা। দেড় বছরের মধ্যে বিনিয়োগ উঠে এসেছে। সামনে বছর থেকে লাভের আশা করছি। সুষ্ঠু পরিকল্পনা মাফিক ছাগলের খামার করলে লোকসানের ঝুঁকি নেই বলে জানান তিনি।

এই খামারির ভাষ্য, তারা ছাগলকে প্রাকৃতিক খাবার দেন। নিয়মিত ভ্যাকসিনও দেন। বাজারে এমন ছাগলের চাহিদা ভালো। গত কোরবানিতে কিছু খাসি বাজারে তুলেছিলেন, সাড়াও পেয়েছেন। আসছে কোরবানিতে উৎকৃষ্টমানের খাসি সরবরাহ করতে পারবেন তারা।

ওয়াফা এগ্রো ফার্মে চারজন কর্মী কাজ করেন। এদেরই একজন মো. পলাশ মণ্ডল। নওগাঁর নিয়ামতপুরের শিবপুর এলাকার বাসিন্দা পলাশ পেশায় কৃষি শ্রমিক ছিলেন। বাড়িতে গরু-ছাগল রয়েছে তার। সেই অভিজ্ঞতা থেকে ছাগলের খামারে কাজ করছেন।

পলাশ মণ্ডল বলেন, তারা চারজন কর্মী রয়েছেন। একেকজন একেক কাজ করেন। তিনি ছাগলের খাবার দেওয়া থেকে দেখাশোনা করেন। তার হাতে অনেক ছাগলের বাচ্চা প্রসব হয়েছে। নিজের সন্তানের মতো এগুলো লালনপালন করে বড় করছেন।

খামারের আরেক কর্মী রমজান আলী। তিনি ছাগলের রোগ-বালাইয়ের বিষয়টি খেয়াল রাখেন। রমজান জানান, এই জাতের ছাগলের তেমন রোগ-বালাই নেই। ঠান্ডা এবং পাতলা পায়খানা হয়।

কোনো ছাগল আক্রান্ত হলে তার তথ্য রেজিস্টারে সংরক্ষণ করি। চিকিৎসকের পরামর্শ মতো ওষুধ দেওয়া হয়। নিয়মিত ভ্যাকসিনও দেওয়া হয়। ছাগলের ঠান্ডা ঠিক না হলে নিউমোনিয়া হয়। এটিই সবচেয়ে মারাত্মক। ফলে এ নিয়ে খুব সতর্ক থাকতে হয়।

তবে ছাগলের খামারে লাভবান হতে খামার শুরুর আগে ন্যূনতম বেসিক ট্রেনিং নেওয়ার তাগিদ দিয়েছেন রাজশাহীর ছাগল উন্নয়ন খামারের উপপরিচালক সিরাজুল ইসলাম।

তিনি বলেন, আমাদের দেশে মূলত ছাগল পালন হয় গতানুগতিক পদ্ধতিতে। কিন্তু খামার করতে গেলে সবার আগে খাবারের সংস্থান করতে হবে। ৭০ শতাংশ ঘাস এবং ৩০ শতাংশ দানাদার খাবার দেওয়া গেলে ভালবান হওয়া যায়।

ঢাকা পোস্ট

প্রকাশ : অক্টোবর ৭, ২০২২ ৯:১১ পূর্বাহ্ন
হরিপুরে গোয়াল ঘরে আগুন লেগে গরু-ছাগল পুড়ে ছাই
প্রাণিসম্পদ

ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলায় এক গোয়াল ঘরে আগুন লেগে তিনটি গাভী ও তিনটি ছাগল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।

বুধবার দিবাগত রাত ১২টার উপজেলার ভাতুরিয়া ইউনিয়নের ভাতুরিয়া রামপুর গ্রামে রুবেল রানার গোয়ালে আগুন লাগে।

রুবেল ভাতুরিয়া রামপুর গ্রামের ইয়াজউদ্দিনের ছেলে।

তিনি  জানান, বুধবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে হঠাৎ করে গরুর ডাক শুনে ঘুম ভেঙে যায়। তখন উঠে দেখি গোয়ালে ঘরে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছে। স্থানীয়দের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। কিন্তু এরই মধ্যে গোয়ালে থাকা তিনটি গাভী ও তিনটি ছাগল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। আগুনে প্রায় পাঁচ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি।

হরিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তাজুল ইসলাম জানান, অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়।

প্রকাশ : জুলাই ২৫, ২০২২ ১০:৩৪ পূর্বাহ্ন
ছাগলের কৃমি দমনে করণীয়
প্রাণিসম্পদ

ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগল পালন বাংলাদেশের খামারীদের ভাগ্যবদলের অন্যতম পাথেয়। ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগলের মাংস যেমন সুস্বাদু, চামড়া তেমনি আন্তর্জাতিকভাবে উন্নতমানের বলে স্বীকৃত। তবে ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগলেও নিতে হয় আলাদা যত্ন। বিশেষ করে কৃমি দমনে কার্যকরী পদক্ষেপ খামারীদের জন্য বেশ উপকারী।

ছাগলের বাচ্চার কৃমি দমনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ:

কৃমি দমন : কৃমি ছাগলের মারাত্মক সমস্যা। বয়স্ক ছাগল ও বাচ্চার কৃমি দমনের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। মনে রাখতে হবে, শুধু পর্যাপ্ত খাদ্য সরবরাহ ও উন্নত ব্যবস্থাপনার মাধ্যমেই আশানুরূপ উৎপাদন পাওয়া যায় না।

কৃমির জন্য উৎপাদন মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়। কাজেই কাছের প্রাণিসম্পদ হাসপাতাল থেকে ছাগলের মল পরীক্ষা করে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ছাগলকে নিয়মিত কৃমিনাশক ওষুধ খাওয়াতে হবে।

১-৪ মাস পর্যন্ত বাচ্চা দের কৃমি মুক্ত করার পদ্ধতি:

বাচ্চা ছাগল, ভেড়া, গাড়ল:- বিভিন্ন খামারী এরং ছাগল পালন কারীর সাথে আলোচনা করে এবং নিজে অভিজ্ঞতা থেকে একটি সাধারণ বিষয় লক্ষ্যণীয় হল ছাগলের ক্ষেত্রে বাচ্চা জন্মানোর প্রথম ১ মাস বাচ্চা গুলোর দৈহিক বৃদ্ধি ভাল থাকে এবং দেখতে খুব সুন্দর থাকে কৃমি মুক্ত না করা বাচ্চাগুলো দ্বিতীয় মাস থেকেই আস্তে আস্তে দৈহিক বৃদ্ধি এবং সৈন্দর্য কমতে থাকে, দিন দিন শুকিয়ে যায় আর পেটের সাইজ বড় হতে থাকে,খুবই ঘন ঘন পাতলা পায়খানা হয়, আবার পায়খানার সাথে সাদা সাদা ফিতা কৃমি,হুক কৃমি,চাবুক কৃমি বের হতে থাকে ।

বাচ্চাগুলো খুবই দূর্বল হয়ে ধীরে ধীরে হাড় চামড়ার সাথে ভেসে উঠে কিছু বাচ্চা মারা যায় আবার কিছু বাচ্চা বছর পার হলেও শরির স্বাস্হ্য খারাপ হতেই থাকে । আমারা খামারে সাধারণতঃএই সমস্যার সন্মুখিন হচ্ছি বা হতে পারি। সেজন্য নিচের নিয়মে ছাগল,গাড়লের বাচ্চাদের কৃমি মুক্ত করতে পারলে খামার কে লাভবান করা সম্ভব।

বাচ্চাকে ১ মাস বয়স হলে নিওট্যাক্স,বা এক্সট্রাস মানুষের সিরাপ জেনেরিক নেইম লিভামিসোল প্রতি কেজি দৈহিক ওজনের জন্য ১ এমএল হিসেবে খাওয়াতে হবে । (বিঃদ্রঃ কৃমির প্রভাব দেখা দিলে ১৫দিন বয়স থেকেও দেওয়া যেতে পারে।) দুই মাস বয়স পূর্ন হলে এলটিভেট জেনেরিক নেইম লিভামিসোল + ট্রাইক্লাবেন্ডাজল ৪০ কেজি দৈহিক ওজনের জন্য ১ টি ট্যাবলেট হিসেবে খাওয়াতে হবে ।

তিন মাস বয়স হলে এমেকটিন প্লাস জেনেরিক নেইম আইভারমেকটিন + ক্লোরসুলন ২৫ কেজি হিসেবে ১ এমএল চামড়ার নীচে ইঞ্জেকশন দিতে হবে। চার মাস বয়স হলে প্যারাক্লিয়র ফেনবেন্ডাজল গ্রুপের ট্যাবলেট ১০-২০ কেজির জন্য ১ টি । তার ৭-৮ মাস পূর্ণ হলে বড় ছাগলের রুটিনে কৃমি মুক্ত করতে হবে ।

বাচ্চা গাড়ল, ভেড়া, ছাগলের ক্ষেত্রে যেহেতু ১-২ মাসের অধিক সময় পর্যন্ত মায়ের দুধ পান করে তাই কৃমির ঔষধ খাওয়ানোর পর লিভারটনিক না খাওয়াতে পারলে তেমন কোন সমস্যা হবে না আর ৩-৪ মাসে কৃমির ঔষধের দেওয়ার পর লিভারটনিক খাওয়াতে হবে ।

প্রকাশ : জুলাই ২৩, ২০২২ ৬:৩৬ অপরাহ্ন
প্রাণিসম্পদ দফতরের জনবল সংকটে বিপাকে খামারিরা
প্রাণিসম্পদ

যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলা প্রাণিসম্পদ দফতর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালে দীর্ঘদিন ধরে জনবল সংকট রয়েছে। যার ফলে, প্রাণিসম্পদ স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন খামারি-উদ্যোক্তারা। নানাবিধ সমস্যায় পড়তে হচ্ছে তাদের। সমস্যা দেখা দিলে পাচ্ছেন না দ্রুত কোন সমাধান।

তথ্যানুযায়ী, ১১টি পদের মধ্যে ৬টি পদ দীর্ঘদিন ধরে শূন্য রয়েছে। শূন্যপদ গুলো যথাক্রমে- ভেটেরিনারি সার্জন (ভিএস) একজন, উপজেলা লাইভ-ষ্টক অফিসার (ইউএলএ) একজন, কৃত্রিম প্রজনন সহকারী (ভিএফএ) দুইজন, কম্পাউন্ডার একজন, এমএলএসএস একজন। এ দিকে গবাদিপশুর প্রাণঘাতী রোগের প্রতিষেধক (পিপিআর) ভ্যাকসিন না থাকায় ঝুঁকির আশংকা করছেন খামারিরা।

কর্তৃপক্ষের দাবি, চাহিদাপত্র পাঠালেও এখনো বরাদ্দ পাওয়া যায়নি। তবে, অন্যান্য ঔষধ ও প্রতিষেধক ভ্যাকসিনের মজুদ ও চিকিৎসা সেবা প্রদান স্বাভাবিক রয়েছে। অপর দিকে খামারিদের অভিযোগ, তারা প্রত্যাশিত চিকিৎসা সেবা ও ঔষধ পাচ্ছে না। সময় মতো ডাক্তার না থাকায় পরামর্শ ও চিকিৎসা পাওয়া যায় না।

এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার ডা. জি. এম. আব্দুল কুদ্দুস জানান, আন্তরিকতা থাকা স্বত্বেও জনবল, ঔষধ ও প্রতিষেধক প্রয়োজনের তুলনায় প্রাপ্তি অপ্রতুল হওয়ায় সেবা প্রত্যাশী খামারি ও গৃহস্থলী গবাদিপশু পালনকারী সবাইকে খুশি করা সম্ভব হয়ে ওঠে না। উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী উপজেলা গবাদি পশু গরুর সংখ্যা ৯৮ হাজার পাঁচশ বিশটি। এর মধ্যে দেশিগরু ৫৫ হাজার ৩৩০টি ও সংকর জাতের গরু ৪৩ হাজার ১শ’ ৯০টি। গাভী ৪০ হাজার ৬ ৪০টি। এর মধ্যে দেশি গাভী ২৬ হাজার ৪শ ৬০টি ও সংকর জাতের গাভী ১৪ হাজার২২০টি। সক্ষম গাভী ৩৬ হাজার ৫১০টি। এর মধ্যে দেশি ২৩ হাজার ৭২০টি ও সংকর জাতের ১২ হাজার ৭৯৮টি।

ছাগলের সংখ্যা এক লাখ ৩০ হাজারটি। আর ভেড়া ১০৪টি। খামারির সংখ্যা গাভী ৬২টি, হৃষ্টপুষ্ট করণ ১২০টি, ছাগল ১৫৭টি ও ভেড়া ১টি। পোল্ট্রি খামারির সংখ্যা লেয়ার ২০টি, ব্রয়লার ৫৫, হাঁস ২২, কবুতর ১০ ও কোয়ের ৫টি।

প্রকাশ : জুলাই ৪, ২০২২ ৮:২৭ পূর্বাহ্ন
কোরবানির জন্য সুস্থ গরু চিনবেন যেভাবে
প্রাণিসম্পদ

আসছে পবিত্র ঈদুল আজহা তথা কোরবানি ঈদ। এই ঈদে মুসলমানরা আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য ত্যাগের মহিমা তথা পশু কোরবানি দিয়ে থাকে। আর শরিয়াহ মোতবেক এই পশু হতে একেবারে সুস্থ সবল। এক্ষেত্রে ক্রেতাদের অবশ্যই নজর রাখতে হবে পশুটিকে স্টেরয়েড ব্যবহার করে মোটাতাজা করানো হয়েছে কিনা? পশুটি রোগাক্রান্ত কিনা? আর একটু সচেতন হলেই এসব সহজে বুঝা সম্ভব।

এ বিষেয়ে মুফতি সাহেবরা বলেন,‘আল্লাহর সন্তুষ্টি ও নৈকট্য অর্জনের জন্য কোরবানির পশু হতে হবে প্রিয় ও পছন্দনীয় এবং সুস্থ-সবল। চতুষ্পদ পশু অর্থাৎ উট, গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়া, দুম্বা কোরবানি দেওয়ার বিধান আছে। তবে হরিণ, খরগোশ দিয়ে কোরবানি করার বিধান নেই। এছাড়া কোরবানির জন্য পশুর বয়সও নির্ধারিত রয়েছে।’‘উট ও গরু-মহিষে সাত জনে মিলে সাত ভাগে কোরবানি দেওয়া যায়। সেক্ষেত্রে উটের বয়স কমপক্ষে ৫ বছর, গরু-মহিষ বয়স ২ বছর এবং ছাগল, ভেড়া, দুম্বার বয়স এক বছর হতে হবে।’

মুফতি আনছারুল হক ইমরান জানান, ‘কোরবানির জন্য শিং যুক্ত হৃষ্টপুষ্ট, অধিক গোশত সম্পন্ন, নিখুঁত, দেখতে সুন্দর এমন পশু নির্বাচন করা উচিত। তবে দু’চোখ বা এক চোখের এক তৃতীয়াংশের বেশি অন্ধ, তিন পায়ে চলে বা চার পায়ে ভর দিতে পারে না এমন পশু, পশুর কান বা লেজের এক তৃতীয়াংশের বেশি কাটা থাকলে, হাড্ডিসার পশু, শিং ওঠেনি অথবা মূল থেকে শিং ভাঙা পশু, যে পশুর একটিও দাঁত নেই, বন্ধ্যা পশু, চর্মরোগের কারণে গোশত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এমন পশু, গর্ভবতী পশু বা বাচ্চা প্রসবের সময় অত্যাসন্ন পশু কোরবানি করা যাবে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘হাদিসের বিবরণে রয়েছে, কোরবানির পশুকে হাশরের ময়দানে শিং, কান, চোখ, লেজ ইত্যাদিসহ হাজির করা হবে। তবে কেনার পর পশু মারামারি করে শিং ভেঙ্গে গেলে, পা ভেঙ্গে গেলে বা অন্য কোনও উপায়ে আহত হলে সামর্থ থাকলে পুনরায় উত্তম পশু কিনতে পারলে উত্তম। তবে কেনা না গেলে সেই পশু দিয়ে কোরবানি দেওয়া যাবে। তবে পশুর পা একেবারেই ভাঙা থাকলে, শিং ভেঙ্গে মস্তিষ্ক আহত হলে, অবহেলা বা অযত্নে যদি পশুটি দোষযুক্ত হয় বা পশু চুরি হয়ে গেলে আগের চেয়ে ভালো পশু কিনে কোরবানি দেওয়া উত্তম।’

সুস্থ-সবল পশু চেনার উপায় বর্ণনা করতে গিয়ে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যানিম্যাল সাইন্স অ্যান্ড ভেটেরিনারি মেডিসিন অনুষদের সাবেক ডিন অধ্যাপক ড. মো. মোফাজ্জল হোসাইন জানান, ‘সুস্থ পশুর বৈশিষ্ট্য হলো- লেজ দিয়ে মাছি তাড়াবে, কান নাড়াবে, অবসরে জাবর কাটবে, নাকের নিচের কালো অংশ ভেজা থাকবে যাতে মনে হয় ঘাম বা শিশির জমেছে, চোখ বড় ও উজ্জ্বল থাকবে, নাক দিয়ে পানি বা সর্দি পড়বে না, ষাড় গরুকে বিরক্ত করলে সহজে রেগে যাবে ও গোবর স্বাভাবিক থাকবে।’

পশুর বয়স কিভাবে নিশ্চিত হওয়া নিয়ে তিনি জানান, ‘কোরবানির গরুর বয়স দুই বছর হতে হবে এবং ছাগলের বয়স এক বছর হতে হবে। দাঁত দেখে এ বয়স নির্ণয় করা যায়। পশুরু জন্মের পর যখন দাঁত উঠে তখন তাকে দুধ দাঁত বলা হয়। দুধ দাঁত আকারে খুব ছোট থাকে। গরুর দুই থেকে আড়াই বছর বয়সে প্রথম এক জোড়া দুধ দাঁত (মাঝখানের) পড়ে যায় এবং সে স্থানে বড় আকৃতির এক জোড়া স্থায়ী কর্তন দাঁত উঠে। যার আকার দুধ দাঁতের প্রায় দুই থেকে তিন গুণ। যা দেখলে সহজেই গরুর বয়স বোঝা যায়। এভাবে গরুর বয়স বাড়তে থাকে এবং স্থায়ী দাঁতের সংখ্যাও বাড়তে থাকে। আর ছাগলের ১২ মাস থেকে ১৫ মাস বয়সে প্রথম এক জোড়া কর্তন দুধ দাঁত (মাঝখানের) পড়ে যায় এবং সে স্থানে বড় আকৃতির এক জোড়া স্থায়ী কর্তন দাঁত উঠে। যার আকার দুধ দাঁতের প্রায় তিন গুণ বড়। যা দেখে ছাগলের বয়স নির্ণয় করা হয়।’

পশুকে স্টেরয়েড খাওয়ানোর বিষয়ে অধ্যাপক ড. মো. মোফাজ্জল হোসাইন বলেন, ‘স্টেরয়েড ব্যবহারে অল্প সময়ে পশুর শরীরে পানি জমে ফুলে উঠে। খাবার কম খেয়ে পানির প্রতি আগ্রহ দেখায়। গরু খুবই শান্ত বা নির্জীব প্রকৃতির হয়। শরীরের মাংসালো অংশে জোরে চাপ দিলে দেবে যায়। মাছি তাড়ানোর জন্য ঘন ঘন লেজ নাড়াবে না।’

প্রকাশ : জুন ২৮, ২০২২ ৪:৩১ অপরাহ্ন
কাঁঠালিয়ায় ছাগলের ঘর, খাদ্য ও ওষুধ বিতরণ
প্রাণিসম্পদ

ঝালকাঠির কাঁঠালিয়ায় ‘দেশীয় মাছ রক্ষা করি, বিকল্প পেশায় আয় করি’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে জেলেদের মধ্যে বৈধ জাল এবং বিকল্প কর্মসংস্থানের জন্য ছাগল, ছাগলের ঘর, খাদ্য ও ছাগলের ওষুধ বিতরণ করা হয়েছে।

সোমবার উপজেলা পরিষদ চত্বরে উপজেলা মৎস্য বিভাগের আয়োজনে দেশীয় প্রজাতির মাছ এবং শামুক সংরক্ষণ ও উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় সুফলভোগী ১৫ জনের মধ্যে ৩০টি ছাগল বিতরণ করা হয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুফল চন্দ্র গোলদারের সভাপতিত্বে বিতরণ সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. এমাদুল হক মনির।

বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা মৎস্য অফিসার রিপন কান্তি ঘোষ ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. হাবিবুর রহমান উজির সিকদার, উপজেলা সমাজ সেবা অফিসার এসএম দেলোয়ার হোসেন।

বক্তব্য রাখেন ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদুল হক নাহিদ সিকদার, উপজেলা নির্বাচন অফিসার রুবায়েত হোসেন, আইসিটি অফিসার অতনু কিশোর দাস মুন, প্রেস ক্লাবের সভাপতি সিকদার মো. কাজল ও সিনিয়র সহসভাপতি ফারুক হোসেন খান প্রমুখ।

 

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop