৪:২২ অপরাহ্ন

বৃহস্পতিবার, ৯ মে , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : অগাস্ট ১৫, ২০২২ ২:১৭ অপরাহ্ন
জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বাকৃবিতে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা
ক্যাম্পাস

দীন মোহাম্মদ দীনু: যথাযথ মর্যাদা এবং ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) জাতীয় দিবস উদযাপন কমিটির আয়োজনে জাতীয় শোক দিবস পালিত হয়েছে।

দিবটি পালন উপলক্ষে সোমবার (১৫ আগস্ট) সূর্যোদয়ের সাথে সাথে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত ও কালো পতাকা উত্তোলন করা হয়। এরপর সকাল ৮টায় বাকৃবি জাতীয় দিবস উদযাপন কমিটির সভাপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. খান মোঃ সাইফুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি চত্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. লুৎফুল হাসান।

এসময় ১৫ আগস্টে নিহত সকল শহিদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করা হয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বিষয়ক বিভাগ, শিক্ষক সমিতি, প্রক্টর অফিস, অফিসার পরিষদ, গনতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরাম, নীলদল, ছাত্রলীগ, কর্মচরী সংগঠন এবং বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক, পেশাজীবী ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের পক্ষ থেকে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকতা, কর্মচারীরা পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

এসময় উপাচার্য অধ্যাপক ড. লুৎফুল হাসান বলেন, বঙ্গবন্ধু সোনার বাংলা গড়তে এগিয়ে যাচ্ছিলেন কিন্তু ১৯৭৫ এর ১৫ই আগস্ট কাল রাতে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার মধ্য দিয়ে তার ব্যত্যয় ঘটে।

অনেক বাধা-বিপত্তি পেরিয়ে কৃষক, মজুর, চাকরীজীবি, ব্যবসায়ী সকলের সমন্বয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা সেই সোনার বাংলা গড়ার কাজে নিজেকে আত্মনিয়োগ করছেন। আমাদের সকলকে শিক্ষার্থীবান্ধব হতে হবে।

অগ্রাধীকারভিত্তিতে শিক্ষার্থীদেও সমস্যা সমাধানে ভূমিকা রাখতে হবে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে শিক্ষার্থীদের শিক্ষার সুন্দর পরিবেশ তৈরী করে দেয়া সকলের দায়িত্ব।
তিনি আরোও বলেন, আজকের এই বেদনা শুধুমাত্র মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নয় বরং সমগ্র বাঙালি জাতির। এই শোককে শক্তিতে রূপান্তরিত করে সকলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সকল ষড়যন্ত্র নষ্ট করে বাংলাদেশকে বিশ্ব দরবারে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা হিসেবে পরিচয় করিয়ে দিতে হবে।

এছাড়া জাতীয় শোক দিবস পালন উপলক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সংগঠন কর্তৃক দোয়া ও মিলাদ মাহফিল, দুস্থদের মাঝে খাবার বিতরণ এবং বিতর্ক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।

প্রকাশ : অগাস্ট ৫, ২০২২ ৮:১৬ অপরাহ্ন
বঙ্গবন্ধুর পরিবারের বিরুদ্ধে অপপ্রচার রুখে দিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে: প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
প্রাণিসম্পদ

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধবিরোধী ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচার এবং বঙ্গবন্ধু পরিবারের বিরুদ্ধে দেশে ও বিদেশে বানোয়াট গল্প তৈরি করে যে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে তা রুখে দিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ এবং শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আধুনিক বাংলাদেশ না থাকলে আমরা এরকম সমৃদ্ধির অবস্থায় থাকতাম না। তাই নিজেদের স্বার্থে, ত্রিশ লক্ষ শহীদের স্বপ্ন বাস্তবায়নের স্বার্থে, বঙ্গবন্ধুর আরাধ্য সাধনা বাস্তবায়নের স্বার্থে শেখ হাসিনার অভীষ্ট ও লক্ষ্য পরিপূর্ণভাবে সফল করার জন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে হতে হবে।

শুক্রবার (৫ আগস্ট) বিকালে রাজধানীতে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ পুত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের ৭৩তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে যুক্তরাজ্যের লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা বলেন।

মন্ত্রী আরও বলেন, শেখ কামাল তারুণ্যের অহংকারই শুধু নয় এক সম্ভাবনাময় প্রতিভা ছিলেন। সে প্রতিভা অকালে বিনাশ করে দেওয়া হয়েছে সুপরিকল্পিতভাবে, যাতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাংলাদেশ বিনির্মাণে বঙ্গবন্ধু পরিবারের একজন দক্ষ সংগঠক টিকে থাকতে না পারে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে একজন ব্যক্তি মুজিবকে হত্যার টার্গেট ছিল তা নয়, টার্গেট ছিল বঙ্গবন্ধু পরিবার ও মুক্তিযুদ্ধের সব কিছু নিঃশেষ করে দেওয়া। সেদিন বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা বেঁচে থাকায় বাংলাদেশকে আবার মুক্তিযুদ্ধের চেতনার মূল ধারায় নিয়ে আসা সম্ভব হয়েছে। বিধ্বস্ত-বিপর্যস্ত বাংলাদেশকে উন্নয়নের রোল মডেলের পরিণত করা সম্ভব হয়েছে।

তিনি আরও যোগ করেন, ‘৭৫ এ একটি মহল চরম অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছিল। তারা বঙ্গবন্ধু, বঙ্গবন্ধুর পরিবার ও আওয়ামী লীগকে ঘিরে জঘন্যতম মিথ্যা অপপ্রচার চালাত। সে সময় শেখ কামালকে যারা বিতর্কিত করতে চেয়েছিল তারা সফল হয়নি। শেখ কামাল বিনম্র প্রকৃতির মানুষ ছিলেন। তিনি আধুনিক সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠা করতে চাইতেন। তিনি ক্রীড়াঙ্গনকে সক্রিয় করে তুলেছিলেন। তিনি ছাত্র রাজনীতিকে পরিশীলিত ও পরিমার্জিত করে দেশের গোটা যুব সমাজকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সংগঠকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন।

বঙ্গবন্ধু পরিবারকে ১৯৭৫ সালে বিতর্কিত করার অপচেষ্টাকারীরা আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে উল্লেখ করে শ ম রেজাউল করিম আরও বলেন, বর্তমান প্রেক্ষাপটে দেশে ও দেশের বাইরে ‘৭৫ এর মতো সমালোচনা, অপপ্রচার, মিথ্যাচার ও নেতিবাচক প্রচারণা শুরু হয়েছে। অপপ্রচারকারীদের লক্ষ্য বঙ্গবন্ধু পরিবারকে বিতর্কিত করা। বর্তমানে বিদেশে বসে ইউটিউবে, ফেসবুকে এবং দেশের ভেতরে ভয়াবহ অপপ্রচার শুরু হয়েছে। শেখ কামালের জন্মদিনে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়ে মিথ্যাচার ও অপপ্রচারকারীদের ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করতে হবে। মনে রাখতে হবে বঙ্গবন্ধু পরিবার ভালো থাকলে বাংলাদেশ ভালো থাকবে।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শ্যামল চন্দ্র কর্মকারের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. তৌফিকুল আরিফ, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ তথ্য দপ্তরের উপপরিচালক শেফাউল করিম, বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. মনজুর হাসান ভুঁইয়াসহ মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় ও আওতাধীন দপ্তর-সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

এদিন সকালে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আবাহনী মাঠে বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের প্রতিকৃতিতে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শ্যামল চন্দ্র কর্মকারের নেতৃত্বে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় ও আওতাধীন দপ্তর-সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ।

প্রকাশ : জুলাই ২৭, ২০২২ ৬:৩৬ অপরাহ্ন
বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে সিকৃবি বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের পুষ্পস্তবক অর্পণ
কৃষি গবেষনা

অর্ঘ্য চন্দ, সিকৃবি প্রতিনিধিঃ সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে স্থাপিত জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করছে নবগঠিত বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (সিকৃবি) শাখা।

বুধবার(২৭ জুলাই) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু কৃষি চত্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন তারা। সংগঠনের সভাপতি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মোঃ বদরুল ইসলাম শোয়েব এবং সাধারণ সম্পাদক সহকারি অধ্যাপক আমিনুর রশীদসহ বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নেতৃবৃন্দ এসময় উপস্থিত ছিলেন।

নবগঠিত বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের সভাপতি মোঃ বদরুল ইসলাম শোয়েব জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ ধারণ করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নত বাংলাদেশ গড়ার কাজে বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের সকল সদস্যকে নিয়ে নিয়োজিত থাকার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

উল্লেখ্য, শুক্রবার বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের সভাপতি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম ঠান্ডু ও প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট ড. মশিউর মালেক সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নতুন কমিটির অনুমোদন দেন।
কমিটিতে আরও আছেন- ৫ জন সহ-সভাপতি, ১ জন যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক, ২ জন সহ-সাধারণ সম্পাদক, ৩ জন সাংগঠনিক, ১ জন কোষাধ্যক্ষ, ১১ জন সম্পাদক, ১১ সহ-সম্পাদক ও ৫২ জন কার্যনির্বাহী সদস্য।

প্রকাশ : মার্চ ২৭, ২০২২ ২:২১ অপরাহ্ন
স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধুকে শুধু উচ্চারণে নয়, মনেপ্রাণে ধারণ করতে হবে – মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
প্রাণিসম্পদ

বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে শুধু উচ্চারণে নয়, মনেপ্রাণে ধারণের আহ্বান জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার (২৬ মার্চ) যুক্তরাজ্যের লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশনের বাংলাদেশ হাউজ প্রাঙ্গণে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫১তম বার্ষিকী ও জাতীয় দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ হাইকমিশন, লন্ডন আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ আহ্বান জানান।

জাতীয় পতাকা আনুষ্ঠানিকভাবে উত্তোলন ও বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের মধ্য দিয়ে এ অনুষ্ঠানের কার্যক্রম শুরু করা হয়।

যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম, যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সভাপতি সুলতান মাহমুদ শরীফ, যুক্তরাজ্য প্রবাসী মুক্তিযোদ্ধাগণ এবং লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশনের কর্মকর্তাগণ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় মন্ত্রী আরো বলেন, “স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে বঙ্গবন্ধুকে স্মরণ করতে হবে মনেপ্রাণে, শুধু উচ্চারণে নয়। মনেপ্রাণে তাঁকে স্মরণ করতে হবে এভাবে, তিনি কী চেয়েছিলেন, তাঁর মধ্যে কতটা সততা ছিল, তিনি কতটা আত্মপ্রত্যয়ী ছিলেন, কতটা দেশপ্রেমিক ছিলেন, কতটা দূরদর্শী ছিলেন। লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য তিনি কতটা মেধার ব্যপ্তি ব্যবহার করেছিলেন”।

তিনি আরো যোগ করেন, “মুক্তির সংগ্রামের প্রেক্ষাপট আমাদের নতুন প্রজন্মকে জানাতে হবে। অনেকেই মনে করে মুক্তিযুদ্ধ মানে নয় মাসের একটি যুদ্ধ মাত্র। মনে করে সহজেই বাংলাদেশ স্বাধীন হয়ে গেছে। এর জন্য ১৯৪৮ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে একটি জাতিকে সুসংঘটিত করে তাদের মুক্তির চেতনায়, স্বাধিকার আন্দোলনে ও স্বপ্নের স্বাধীনতা অর্জনে কীভাবে প্রস্তুত করতে হয়েছিল, সে কথা মানুষকে জানাতে হবে। স্বাধীনতা সংগ্রামে কত প্রতিকূলতা গেছে, সে প্রতিকূলতার কথা মানুষকে জানাতে হবে”।

বঙ্গবন্ধুর দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবন ও সংগ্রামের গৌরবোজ্জ্বল দিক তুলে ধরে বঙ্গবন্ধু কীভাবে একটি জাতিকে স্বাধীকার ও স্বাধীনতা সংগ্রামের জন্য প্রস্তুত করেছিলেন, সে ইতিহাস এ সময় তুলে ধরেন মন্ত্রী।

শ ম রেজাউল করিম এ সময় আরো যোগ করেন, “বাংলাদেশ ও বঙ্গবন্ধু অবিচ্ছেদ্য সত্তা। বাংলাদেশ ও বঙ্গবন্ধু পরিপূরক শব্দ। বাংলাদেশকে ভাবতে গেলে লাল-সবুজের পতাকায় আমরা বঙ্গবন্ধুর প্রতিচ্ছবি দেখতে পাই। বঙ্গবন্ধুকে ভাবলে তাঁর আজন্ম সাধনা লক্ষ্য করে দেখা যায়, তিনি বাংলাদেশ নামক এ ভূখণ্ডে ও বিশ্বব্রহ্মাণ্ডে সর্বত্র বিচরণ করছেন, তিনি অমর হয়ে আছেন। বঙ্গবন্ধু কীর্তিমান এক অবিনাশী সত্তা। বঙ্গবন্ধু একটি বিশ্বাস, একটি আদর্শ, একটি দর্শন, একটি প্রত্যয়। তিনি অভীষ্টে পৌঁছানোর একটি প্রেরণা। চূড়ান্তভাবে তিনি আমাদের সমস্ত গন্তব্যে পৌঁছে যাওয়ার পাথেয়। এমন একজন বঙ্গবন্ধুকে ঘিরে আমরা বাংলাদেশ পেয়েছি”।

তিনি আরো বলেন, “বর্তমানে স্বাধীনতাবিরোধীরা দেশে ও দেশের বাইরে নানাভাবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এবং অন্যান্যদের সহায়তায় ষড়যন্ত্র করছে। দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি ও উন্নয়ন অগ্রযাত্রা ব্যাহত করার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এদের বিরুদ্ধে প্রবাসীদের ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে”।

অনুষ্ঠানের শেষে স্বাধীনতা সংগ্রামে আত্মোৎসর্গকারী বীর শহিদদের স্মরণে, বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের স্মরণে এবং বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ কন্যা শেখ হাসিনা ও কনিষ্ঠ কন্যা শেখ রেহানার শান্তি ও নিরাপত্তা কামনায় বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।

প্রকাশ : মার্চ ১৮, ২০২২ ৪:০৩ অপরাহ্ন
বঙ্গবন্ধু একটি অবিনাশী সত্তা- শ ম রেজাউল করিম
প্রাণিসম্পদ

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, “বঙ্গবন্ধু একটি অবিনাশী সত্তা। বঙ্গবন্ধু একটি বিশ্বাস, একটি আদর্শ, একটি দর্শন। বঙ্গবন্ধুর মতো কীর্তিমানের কখনো মৃত্য হয় না। তিনি মৃত্যঞ্জয়ী হয়ে বেঁচে থাকবেন। তিনি ছিলেন একজন দূরদর্শী নেতা। তিনি কখনোই পরাভব মানেন নি। মানুষ হিসেবে সীমিত পরিচয়ের গন্ডি পার হয়ে বঙ্গবন্ধু অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে গেছেন। তিনি ছিলেন অসাম্প্রদায়িক, শ্রেষ্ঠ দেশপ্রেমিক, আর একজন পরিপূর্ণ বাঙালি। সকলকে সঙ্গে নিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছানোর দৃপ্ত প্রত্যয় ও দৃঢ়চেতা মানসিকতায় ‍সিঞ্চিত ছিল বঙ্গবন্ধুর অভিজ্ঞতালব্ধ জীবন। তিনি কখনো ক্ষমতায় আকৃষ্ট ছিলেন না”।

স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (১৭ মার্চ) যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে বাংলাদেশ দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০২তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস ২০২২ উদযাপন উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ দূতাবাস আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

এ সময় বাংলাদেশ দূতাবাসের চার্জ দ্যা অ্যাফেয়ার্স ফেরদৌসি শাহরিয়ার, বাংলাদেশের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শ্যামল চন্দ্র কর্মকার, যুগ্ম সচিব ড. আবু নঈম মুহাম্মদ আবদুছ ছবুর, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খ. মাহবুবুল হক, বাংলাদেশ দূতাবাসের মিনিস্টিার (ইকোনমিক) মো. মেহেদী হাসান, মিনিস্টার (কনস্যুলার) মো. হাবিবুর রহমান, ডিফেন্স অ্যাটাচে বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মো. শাহেদুল ইসলাম, মিনিস্টার (পলিটিক্যাল) দেওয়ান আলী আশরাফ, মিনিস্টার (পলিটিক্যাল) মো. রাশেদুজ্জামান, কাউন্সেলর মো. শাহ আলম খোকন, কাউন্সেলর মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান, কাউন্সেলর ও হেড অব চ্যান্সারি মো. মাহমুদুল ইসলাম, কাউন্সেলর আরিফা রহমান রুমা প্রমুখ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় মন্ত্রী আরো বলেন, “বঙ্গবন্ধু সমকালীন ইতিহাসের কালজয়ী মহামানব। যার পুরো জীবন ছিল মানুষের মুক্তির দর্শনসম্বলিত। পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে একটি জাতিকে মুক্ত করা এবং বাংলা ভাষাভাষী সব মানুষকে জাতীয়তা বোধে উজ্জীবিত করে বাঙালি জাতীয়তাবাদকে জাগ্রত করে তোলা ছিল তাঁর ঝীবনের লক্ষ্য। এ ধারাবাহিকতায় তিনি বাঙালি জাতির জনক হয়েছেন”।

শ ম রেজাউল করিম যোগ করেন, “নতুন প্রজন্মকে বঙ্গবন্ধুর সত্তা ও আদর্শের শিক্ষা দিতে হবে। তাদের জানাতে হবে বঙ্গবন্ধুর মানসিকতা কী ছিল, তাঁর দেশপ্রেম কেমন ছিল, তাঁর অসাম্প্রদায়িকতা কেমন ছিল। বঙ্গবন্ধুকে ধারণ করে আমাদের অস্তিত্বের শেকড়ে ফিরে যেতে হবে। একজন বঙ্গবন্ধু মানে বিশ্বের বিস্ময়। একজন বঙ্গবন্ধু মানে আমাদের সকল পথ-পন্থার নির্দেশক। একজন বঙ্গবন্ধু আমাদের চলার পথের পাথেয়। বঙ্গবন্ধুর জন্মতিথিতে তাই মানুষের কল্যাণে আত্মোৎসর্গের জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হতে হবে। এ প্রতিজ্ঞায় সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে, স্বাধীনতাবিরোধীদের রুখে দিতে হবে, বহির্বিশ্বে বাঙালির স্বতন্ত্র সত্তার পরিচয় তুলে ধরতে হবে”।

তিনি আরো যোগ করেন, “বঙ্গবন্ধুর আদর্শ উত্তরসূরি শেখ হাসিনার মাঝে তাঁর রাজনৈতিক দর্শন যথাযথভাবে প্রতিফলিত হয়েছে। একারনেই আমরা বঙ্গবন্ধুর প্রতিচ্ছবি দেখি শেখ হাসিনার মাঝে। বঙ্গবন্ধু চেয়েছিলেন সব মানুষের জন্য একটি সুখী-সমৃদ্ধ একটি রাষ্ট্র ব্যবস্থা হবে। বঙ্গবন্ধুর লক্ষ্য ছিল স্বাধীন সার্বভৌম দেশে ধনী-দরিদ্রের ব্যবধান থাকবে না। সবার জন্য সমান ব্যবস্থা নিশ্চিত করার জন্য তিনি দ্বিতীয় বিপ্লবের কর্মসূচি হাতে নিয়েছিলেন। স্বাধীন বাংলাদেশ এমন কোন জায়গা ছিল না, যেখানে উন্নয়নের সূচনা বঙ্গবন্ধু করেন নি। বঙ্গবন্ধুর রেখে যাওয়া পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিশ্বপরিমন্ডলে বঙ্গবন্ধু ছিলেন শোষিতের কন্ঠস্বর, আর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আজ বলা হয় দুর্গতদের কন্ঠস্বর। একজন জাতিকে মুক্ত করে স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্র দিয়েছেন, আর তাঁর উত্তরসূরি শেখ হাসিনা উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ দিয়ে যাচ্ছেন”।

এর আগে মন্ত্রী ওয়াশিংটন ডিসির বাংলাদেশ দূতাবাসে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

প্রকাশ : মার্চ ১৭, ২০২২ ৬:২৫ অপরাহ্ন
বিএলআরআই-এ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস ২০২২ পালিত
প্রাণিসম্পদ

বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএলআরআই)-এ যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস ২০২২ পালিত হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার দিবসটি উদযাপনের লক্ষ্যে বিএলআরআই এর পক্ষ থেকে দিনব্যাপী কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। সকাল ৬.০০ ঘটিকায় জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে দিনের কর্মসূচি উদ্বোধন করেন ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন।

এসময় মহাপরিচালক সাথে আরও উপস্থিত ছিলেন বিভাগীয় প্রধানগণ, প্রকল্প পরিচালকগণসহ ইনস্টিটিউটের বিভিন্ন স্তরের বিজ্ঞানী কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ।

জাতীয় পতাকা উত্তোলনের পর সকাল ০৯.৩০ ঘটিকায় মহাপরিচালক ও অন্যান্য কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ বিএলআরআই এর প্রশাসনিক ভবনের সামনে অস্থায়ী বেদিতে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। সকাল ১০.০০ টায় ইনস্টিটিউটের চতুর্থ তলার সম্মেলন কক্ষে শুরু হয় বাচ্চাদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা। প্রতিযোগিতায় মোট দুইটি গ্রপে শূন্য থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত অধ্যয়নরত শিশুরা অংশগ্রহণ করে।

বেলা ১১.০০ ঘটিকায় চতুর্থ তলার সম্মেলন কক্ষে শুরু হয় আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল। আলোচনায় স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন ইনস্টিটিউটের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও ফার্মিং সিস্টেম রিসার্চ বিভাগের বিভাগীয় প্রদান ড. রেজিয়া খাতুন। আলোচনা সভায় বঙ্গবন্ধুর জীবন ও জাতীয় শিশু দিবসের গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করেন প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও পোল্ট্রি গবেষণা ও উন্নয়ন জোরদারকরণ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ড. সাজেদুল করিম সরকার এবং শিশুর স্বাস্থ্য সচেতনতা, পুষ্টি ও খাদ্য সম্পর্কে আলোচনা করেন মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা (রু: দা:) ও প্রাণী উৎপাদন গবেষণা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. বিপ্লব কুমার রায়।

এছাড়াও আলোচনা বিশেষ অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ইনস্টিটিউটের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও পরিচালক (গবেষণা) ড. নাসরিন সুলতানা।

প্রধান অতিথি হিসেবে আলোচনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন। জাতির পিতার শৈশব ও জীবনের নানা ইতিহাস তুলে ধরার পশাপাশি প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি বলেন, শৈশব থেকেই বঙ্গবন্ধু ছিলেন একজন স্বভাবজাত নেতা, নেতৃত্বের গুণ তাঁর মধ্যে বিকশিত হয়েছিল খুব ছোট থেকেই। একই সাথে অধিকার আদায়েও তিনি ছিলেন সবার আগে। বঙ্গবন্ধুর হৃদয়ে শিশুদের প্রতি ছিলো অপরিসীম প্রেম। শিশুদের কল্যাণেও তাঁর ভূমিকা অনস্বীকার্য। আর তাই তো তাঁর জন্মদিনেই পালন করা হয়ে থাকে জাতীয় শিশু দিবস, যাতে করে এদেশের সকল শিশু তাঁর আদর্শ ধারণ করে বড় হয়ে উঠতে পারে। একই সাথে তিনি খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়ে ওঠার গুরুত্ব ও পুষ্টি চাহিদা পূরণের গুরুত্ব অনুধাবন করতে পেরেছিলেন। তাই তিনি কৃষি ও প্রাণিসম্পদ খাতের উন্নয়নে সব সময় সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছেন।

এর আগে প্রধান অতিথির বক্তব্য প্রদানের পূর্বে মহাপরিচালক চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের হাতে পুরষ্কার তুলে দেন। আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে আয়োজন করা হয় দোয়া মাহফিল। মাহফিলে বাংলাদেশের সর্বাঙ্গীন উন্নতি কামনার পাশাপাশি দেশের সকল শিশুর উজ্জ্বল, নিরাপদ ও সুখী-সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ কামনা করা হয়।

দিনের অন্যান্য কর্মসূচির মধ্যে ছিলো বিএলআরআই এর প্রধান ও আঞ্চলিক কেন্দ্রগুলোতে আলোকসজ্জাকরণ এবং বিএলআরআই এর প্রধান কার্যালয়ের সামনে অবস্থিত ডিজিটাল ডিসপ্লে বোর্ডে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ ও মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।

উল্লেখ্য দেশব্যাপী করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় সীমিত পরিসরে ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিএলআরআই জাতির পিতার জন্মদিন ও শিশু দিবসের কর্মসূচি পালন করে।

প্রকাশ : মার্চ ১৭, ২০২২ ৪:১৩ অপরাহ্ন
বঙ্গবন্ধুর জন্ম ও স্বাধীন বাংলাদেশের জন্ম পারস্পরিক- মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
প্রাণিসম্পদ

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, “বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ অবিচ্ছেদ্য সত্তা। বঙ্গবন্ধুর দীর্ঘ রাজনৈতিক সংগ্রামের পথ পরিক্রমায় আজকের মুক্ত স্বাধীন স্বদেশ। তাঁর জীবনালেখ্য বাংলাদেশকে মুক্ত করার আন্দোলন-সংগ্রামের জীবনালেখ্যর সঙ্গে সম্পৃক্ত। বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক জীবন বাংলাদেশের আন্দোলন-সংগ্রামের জীবন। বঙ্গবন্ধুর লক্ষ্য বাঙালি জাতির স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্য। বঙ্গবন্ধুর লক্ষ্য ছিল খেটে খাওয়া মানুষ, কৃষক, শ্রমিক, মেহনতি মানুষ সবাইকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে একটি রাজনৈতিক সমাজব্যবস্থা বিনির্মাণ। বঙ্গবন্ধুর জন্ম ও স্বাধীন বাংলাদেশের জন্ম পারস্পরিক সম্পর্কে যুক্ত”।

বৃহস্পতিবার (১৭ মার্চ) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০২তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস ২০২২ উপলক্ষ্যে পিরোজপুর জেলা প্রশাসন আয়োজিত আলোচনা সভায় যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসি থেকে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

পিরোজপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহেদুর রহমানের সভাপতিত্বে পিরোজপুর জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রেবেকা খান, সরকারি সোহরাওয়ার্দী কলেজের অধ্যক্ষ আলী আজম, সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ তৌহিদুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক চৌধুরী রওশন ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোল্লা আজাদ হোসেন, জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার যুগ্ম পরিচালক আব্দুল কাদের, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আখতারুজ্জামান ফুলু, সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউল আহসান গাজী, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক গৌতম নারায়ণ রায় চৌধুরী, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি রাসেল পারভেজ ও সাধারণ সম্পাদক সুমন শিকদার, জেলা মৎস্যজীবী লীগের আহ্বায়ক শিকদার চান, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোপাল বসু, জেলা ছাত্রলীগের প্রাক্তন সভাপতি মাকসুদুল ইসলাম লিটন, স্থানীয় বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

মন্ত্রী আরো বলেন, “আত্মপ্রত্যয়ে দৃঢ়চেতা বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে ন্যায়সঙ্গত অধিকার প্রতিষ্ঠার জায়গায় নিয়ে এসেছিলেন। আমাদের স্বাধীকার থেকে স্বাধীনতা অর্জনের পথে বঙ্গবন্ধু দৃঢ় অবস্থান নিয়েছিলেন। ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের মাধ্যমে গোটা জাতিকে স্বাধীনতার জন্য প্রস্তুতির সব নির্দেশনা দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু। বাঙালি জাতি সেদিন বঙ্গবন্ধুর অঙ্গুলি হেলনে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল মহান মুক্তিযুদ্ধে। স্বাধীন বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা বঙ্গবন্ধুকে দেশে ও দেশের বাইরে অনেকে মেনে নিতে পারে নি। তাই স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু যখন স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ বিনির্মাণে আত্মনিয়োগ করেছিলেন তখন ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট তাঁকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশকে আবার সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রে পরিণত করা হয়, স্বাধীনতাবিরোধীদের পুনর্বাসন করা হয়। রাজাকারদের সরকারের মন্ত্রী করে নিকৃষ্ট ঘটনার জন্ম দেওয়া হয়। এভাবে বাংলাদেশের ইতিহাসও পাল্টে দেওয়া হয়”।

শ ম রেজাউল করিম যোগ করেন, “বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচার হলেও এ হত্যাকান্ডের নেপথ্যের কুশীলবদের বিরুদ্ধে আমরা এখনো ব্যবস্থা নিতে পারি নি। নেপথ্যের কুশীলবদের খুঁজে বের করা অনিবার্যভাবে ইতিহাসের দায়। জনকের হত্যার ষড়যন্ত্রকারী এবং হত্যাকারী ও ষড়যন্ত্রীকারীরা যাদের প্রশ্রয় পেয়েছিল তাদের বিচার এখন সময়ের দাবী। তা না হলে ইতিহাসের দায়মুক্তি হবে না”।

“লাল-সবুজের পতাকা যদি থাকে বঙ্গবন্ধু সেখানে থাকবেন। লাল-সবুজের পতাকা থাকলে ত্রিশ লক্ষ শহিদ আর দুই লক্ষ নির্যাতিত মা-বোনকে আমরা খুঁজে পাবো। তাই বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে প্রতিজ্ঞা হোক মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাংলাদেশ ‍বিনির্মাণ। মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশেকে নিয়ে আবার ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। দেশে ও দেশের বাইরে ষড়যন্ত্রকারীরা আবার সোচ্চার হয়ে উঠেছে। তাদের রুখে দিতে আমাদের ঐক্যের কোন বিকল্প নেই। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা রক্ষা করতে হলে, বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে হলে তাঁর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে হবে”-যোগ করেন মন্ত্রী।

এদিকে আজ সকালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০২তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরীর নেতৃত্বে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে মন্ত্রণালয় ও এর আওতাধীন দপ্তর-সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এ সময় মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সুবোল বোস মনি, মো. তৌফিকুল আরিফ ও এস এম ফেরদৌস আলম, বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান মো. হেমায়েৎ হুসেন, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মনজুর মোহাম্মদ শাহজাদা, মৎস্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মোহা. আতিয়ার রহমানসহ মন্ত্রণালয় ও আওতাধীন দপ্তর সংস্থার কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন। পরে রাজধানীর মৎস্য ভবনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০২তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষ্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

প্রকাশ : মার্চ ১৪, ২০২২ ৩:০৪ অপরাহ্ন
বঙ্গবন্ধু শুধু একজন রাজনীতিক নন, তিনি ইতিহাসের মহামানব- শ ম রেজাউল করিম
প্রাণিসম্পদ

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, “জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালি জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ স্বাধীন করেছেন। ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত-সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়ে তোলা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল। এ জন্য তিনি স্বাধীনতার পরপরই স্বল্প সময়ের মধ্যে গোটা দেশকে গড়ে তোলার জন্য সবধরনের পরিকল্পনা নিয়েছিলেন। সাম্যের ভিত্তিতে সমাজ বিনির্মাণের জন্য বঙ্গবন্ধু দ্বিতীয় বিপ্লবের কর্মসূচি নিয়েছিলেন। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে আইন প্রণয়ন, ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র স্থাপন, স্থল সীমানা বিরোধ নিষ্পত্তির উদ্যোগ, সমুদ্রসীমা সংক্রান্ত আইন প্রণয়নসহ অনেকগুলি বিষয় তিনি কাজ শুরু করেছিলেন। বঙ্গবন্ধু ইতিহাসের অন্যতম শ্রেষ্ঠ রাজনীতিবিদ, শ্রেষ্ঠ জাতীয়তাবাদী নেতা ও শ্রেষ্ঠ রাষ্ট্রনায়ক। তিনি শুধু একজন রাজনীতিক নন, ইতিহাসের মহামানব”।

গতকাল রবিবার (১৩ মার্চ) যুক্তরাষ্ট্রের বস্টনে নিউ ইংল্যান্ড আওয়ামী লীগ আয়োজিত ‘অগ্নিঝরা মার্চ’ বিষয়ক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

নিউ ইংল্যান্ড আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি মোহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাকের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শ্যামল চন্দ্র কর্মকার, নিউইয়র্কে বাংলাদেশের কনস্যুলেট জেনারেল মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম, নিউ ইংল্যান্ড আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা মোস্তাফিজুর রহমান ও মো. নূর হোসেন, সহসভাপতি মো. মঞ্জুর আলম, আবু মনসুর ও সেলিম জাহাঙ্গীর, সহসাধারণ সম্পাদক মিন্টু কামরুজ্জামান ও জিয়াউল হাসান, ধর্মবিষয়ক সম্পাদক মো. মিয়াজি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় মন্ত্রী আরো বলেন, “বঙ্গবন্ধুর গৃহিত পদক্ষেপের ধারাবাহিকতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দীর্ঘদিনের অমিমাংসিত ছিটমহল সমস্যার সমাধান করেছেন, বাংলাদেশের প্রায় সমআয়তন সমুদ্রসীমায় আমাদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছেন। রাষ্ট্রকে সক্ষম স্থানে নিয়ে আসছেন। দেশের অবকাঠামো খাতে অকল্পনীয় উন্নয়ন করেছেন। বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কার্য সম্পাদনে তাঁর সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি উন্নত ও আধুনিক বাংলাদেশ বিনির্মাণ করছেন। আধুনিক বাংলাদেশের  প্রতিচ্ছবি শেখ হাসিনা। তাঁর সময়ে দেশে কোন মানুষ না খেয়ে থাকে না। বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকে বাংলাদেশকে তিনি বের করে এনেছেন। বঙ্গবন্ধুর খুনি ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করেছেন। করোনাকালে সব মানুষের অধিকার নিশ্চিত করেছেন, ভ্যাকসিন নিশ্চিত করেছেন। তাঁর নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল। শেখ হাসিনা সমকালীন বিশ্বের অন্যতম সফল রাজনীতিক। ঐতিহাসিক মার্চ মাসে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বাস্তবায়নের শপথ নিতে হবে”।

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ২২, ২০২২ ১:০৮ অপরাহ্ন
বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে প্রাণী মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত প্রতিবেদন জমা
প্রাণ ও প্রকৃতি

গাজীপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে গত এক মাসে ১১টি জেব্রা, একটি বাঘ এবং একটি সিংহের মৃত্যুর ঘটনা তদন্তে গঠিত কমিটি ১৮ পৃষ্ঠার প্রতিবেদন জমা দিয়েছে।

মঙ্গলবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তদন্ত কমিটির প্রধান বন পরিবশে ও জলবায়ু মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সঞ্জয় কুমার ভৌমিক।

তদন্ত কমিটির প্রধান সঞ্জয় কুমার ভৌমিক জানান, গত রবিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) ছিল তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার শেষ দিন। ওইদিনই প্রতিবেদনটি জমা দেওয়া হয়েছে।

তদন্তের বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, বর্ধিত সময়ের মধ্যে আমরা তদন্ত প্রতিবেদন মন্ত্রণালয়ে জমা দিয়েছি। কমিটি সম্মিলিতভাবে ১৮ পৃষ্ঠার মূল প্রতিবেদন তৈরি করেছে। এতে নানা পরামর্শ হিসেবে আরও পাতা যুক্ত করা হয়েছে।

তদন্তে কী পাওয়া গেছে এ বিষয় তিনি কিছু জানাননি। তিনি বলেন, এটি মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হবে।

উল্লেখ্য, গত ২৬ জানুয়ারি পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিবকে আহ্বায়ক এবং পরিবেশ-২ শাখার উপসচিব মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াদুদ চৌধুরীকে সদস্য-সচিব করে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়। পরে আবেদনের ভিত্তিতে কর্তৃপক্ষ আরও ১০ দিন সময় বাড়িয়ে দেন এবং তদন্ত কমিটিতে তিন জনকে যুক্ত করা হয়। এ ছাড়াও পরামর্শক হিসেবে প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের আরও তিন জনকে যুক্ত করা হয়।

তদন্ত কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন– জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মনিরুল হাসান খান, বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ অঞ্চল ঢাকার বন সংরক্ষক এবং কেন্দ্রীয় পশু হাসপাতালের প্রাক্তন চিফ ভেটেরিনারি অফিসার ডা. এ বি এম শহীদুল্লাহ। পরে যুক্ত হন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যাথলজি অনুষদের অধ্যাপক মো. আবু হাদী নূর আলী খান, কেন্দ্রীয় রোগ অনুসন্ধান গবেষণাগারের (সিডিআইএল) প্রধান মো. আজম চৌধুরী ও জেলা প্রশাসনের প্রতিনিধি হিসেবে একজন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক।

অন্যদিকে পরামর্শক হিসেবে প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের তিন জন কর্মকর্তা ছিলেন। তারা হলেন– কেন্দ্রীয় ভেটেরিনারি হাসপাতালের পরিচালক ডা. শফিউল আহাদ সরকার, ঢাকার কেন্দ্রীয় রোগ অনুসন্ধান গবেষণাগারে কর্মরত উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা সুকেশ চন্দ্র বৈদ্য ও বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানায় কর্মরত উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা নাজমুল হুদা।

গত জানুয়ারি মাসে পার্কে ১১টি জেব্রা, একটি বাঘ ও ৩ ফেব্রুয়ারি একটি সিংহী মারা যায়। ওইসব প্রাণীর মৃত্যু ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন এবং তদন্তের স্বার্থে পার্কের শীর্ষ পর্যায়ের তিন কর্মকর্তাকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। তদন্ত কমিটিকে জেব্রাগুলোর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ উদ্ঘাটন, মৃত্যুর ঘটনায় সাফারি পার্কে দায়িত্বরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের গাফিলতি চিহ্নিত করা এবং এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে প্রয়োজনীয় সুপারিশগুলো নিয়ে নির্ধারিত ২০ কার্যদিবসের প্রতিবেদন দিতে বলা হয়।

প্রকাশ : নভেম্বর ১৩, ২০২১ ১২:১৫ অপরাহ্ন
বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে নতুন অতিথি
প্রাণ ও প্রকৃতি

গাজীপুরের শ্রীপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে নায়ালা পরিবারে নতুন অতিথির আগমন ঘটেছে। সাফারি পার্ক প্রতিষ্ঠালগ্নে দুইটি নায়ালা আনা হয়েছিল। সম্প্রতি পার্কে একটি নায়ালা শাবকের জন্ম হয়। লুকিয়ে থাকায় জন্মের বেশ কিছু দিন পর দেখা মেলে এই শাবকের। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সাফারি পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তবিবুর রহমান

সাফারি পার্ক কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্য মতে, নায়ালা দক্ষিণ- পূর্ব আফ্রিকার সাভানা অঞ্চলের প্রাণী। একে সর্পিল শিংযুক্ত হরিণ বলেও অভিহিত করা হয়। লাজুক প্রকৃতির হওয়ায় সচরাচর এ প্রাণীটির দেখা মেলে না। ঘন বনজঙ্গল ও ঝোপঝাড়ের ভিতর নির্জনে অবস্থান করা এদের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য। তবে আহারের জন্য নিস্তব্ধ সময়ই এরা বেছে নেয়। সাফারি পার্কের প্রাকৃতিক পরিবেশে নায়ালার বিচরণ।
এই পার্কে ইতোপূর্বে আরেকটি শাবকের জন্ম হয়েছিল। তবে সে সময় শিয়ালে সেটি খেয়ে ফেলে। এদিকে বয়স্কজনিত কারণে একটি পুরুষ নায়ালা সম্প্রতি মারা যায়। সম্প্রতি পার্কে একটি নায়ালা শাবকের জন্ম হলেও প্রথম দিকে তার দেখা মেলেনি।

সম্প্রতি পার্কেও জেব্রা বেষ্টনীর সঙ্গে এ শাবক ও তার মাকে দেখা যায়। কাছে যেতে না পারায় এখনো জন্ম নেওয়া শাবকের লিঙ্গ নির্ধারণ করা যায়নি। ঘন বন ও ঝোপঝাড়ে থাকার কারণে চরম নিরাপত্তাহীনতা তৈরি হয় এ প্রাণীর শাবক জন্মের পর। শিয়াল ও অন্যান্য হিংস্র প্রাণীর আক্রমণে মারা যাওয়ার সম্ভাবনার মধ্যেও বেঁচে থাকে এ প্রাণী।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তবিবুর রহমান বলেন, দেশি ও বিদেশি নানা প্রাণীর সমাহার এখন আমাদের সাফারি পার্কে। দর্শনার্থীদের বিনোদন ও অজানা প্রাণীর সঙ্গে পরিচয়ের এক দ্বার খুলে দিয়েছে এই পার্ক। বিদেশি প্রাণী নায়ালা থেকে ইতোপূর্বে একটি শাবকের জন্ম হলেও শিয়ালের আক্রমণে সে মারা যায়। এবার জন্ম নেওয়া এ প্রাণীটি নিজস্ব নিরাপত্তায় বড় হচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop