৮:২৮ পূর্বাহ্ন

বৃহস্পতিবার, ৯ মে , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : অক্টোবর ২৭, ২০২২ ১২:০৭ অপরাহ্ন
ধলাই নদীতে বিষ ঢেলে চলে নিয়মিত মাছ শিকার!
মৎস্য

ধলাই নদীতে বিষ ঢেলে মাছ শিকার নিয়মিত ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। গত রবিবার এই নদীতে আবারও বিষ ঢেলে মাছ শিকার করা হয়। এভাবে মাছ শিকারের ফলে সব ধরনের জলজ প্রাণী মারা যাচ্ছে।

শুষ্ক মৌসুমে নদীতে বিষ ঢেলে কিংবা পাম্প দিয়ে পানি শুকিয়ে মাছ ধরা হয়। বর্ষা মৌসুমে নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল, বাঁশের খাটি (আড়াআড়ি বেড়া) ও কুচা দিয়ে মাছসহ জলজ প্রাণীর বংশ বিনাশ করা হচ্ছে।

জানা যায়, মাছ শিকারের জন্য রবিবার ধলাই নদীর উজানে দুষ্কৃতকারীরা বিষ ঢেলে দেয়। বিষ গড়িয়ে যেতে যেতে নদীতে ছোটবড় নানা প্রজাতির মাছ মরে ভেসে উঠতে থাকে। উপজেলার উত্তর আলেপুর, কুমড়াকাপন গ্রাম এলাকায় শিশু-কিশোর ও স্থানীয়রা মাছ ধরতে নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়ে। মৃগেল, পোটা মাছসহ ছোটবড় নানা প্রজাতির মাছ ভেসে ওঠে। ইতিপূর্বে ধলাই ও লাঘাটা নদীতে কয়েক দফা বিষ ঢেলে মাছ শিকার করা হয়েছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ রয়েছে।

কমলগঞ্জের হাওর ও নদীরক্ষা আঞ্চলিক কমিটির সদস্য সচিব ও পতনউষার ইউপি সদস্য তোয়াবুর রহমান তবারক, প্রাক্তন ইউপি সদস্য আব্দুল করিম, কৃষক মানিক মিয়া, শিক্ষক ফেরদৌস খান, শমশেরনগরের কৃষক মোবাশ্বির আলীসহ স্থানীয় সচেতন মহল জানান, ধলাই, লাঘাটা নদী ও পলক নদে ঘনঘন বিষ ঢেলে মাছ শিকার করা হচ্ছে।

মাছ শিকারের জন্য বাঁশের বেড়া (খাটি),  কারেন্ট জাল ও নানা অপরিকল্পিত কার্যক্রমে ধ্বংসপ্রাপ্ত হচ্ছে মাছ, ব্যাং, সাপ, কুচিয়াসহ জলজ প্রাণী। এতে জলজ জীববৈচিত্র্যসহ পরিবেশেরও মারাত্মক ক্ষতি বয়ে আনছে। এসব বিষয়ে প্রশাসনের যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ প্রয়োজন বলে তারা মনে করেন।

জানা যায়, উজানের পাহাড়ি এলাকা থেকে আসা পলক নদ, দেওছড়া, সুনছড়া, জপলাছড়া, লাউয়াছড়া, ডালুয়াছড়াসহ অসংখ্য ছড়া ও খাল রয়েছে। কেওলার হাওর, ছাইয়াখালী হাওর, মকাবিলসহ বেশ কয়েকটি বিল, জলাশয় থাকলেও সময়ের পরিক্রমায় এবং বৃষ্টিপাতের ফলে উজানের পাহাড়ি ঢল নেমে পলিবালি জমে নদী, খাল, ছড়া, বিল ও হাওরের তলদেশ ভরাট হয়ে পড়ছে। হ্রাস পাচ্ছে নদী ও খালের প্রশস্ততাও। অসাধু মাছ শিকারিদের কারণে এসব নদী, খাল ও জলাশয়ে দেশীয় মাছের প্রজনন বিনষ্ট হচ্ছে এবং মাছের আকাল দেখা দিচ্ছে।

পতনউষার ইউপি চেয়ারম্যান অলি আহমদ খান জানান, লাঘাটা নদী, পলক নদ, খিন্নিছড়াসহ একাধিক নদীখাল, ছড়ায় একটি মহল মাছ শিকারের জন্য বাঁশের খাটি (বেড়া), বাঁধ দিয়ে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা না গেলে নদী ও জলাশয় থেকে মাছের অস্তিত্ব বিনষ্ট হয়ে পড়বে। কমলগঞ্জ উপজেলা মত্স্য কর্মকর্তা মো. শহিদুর রহমান বলেন, ধলাই নদীতে কে বা কারা বিষ ঢেলে মাছ শিকার করছে। সেখানে আমাদের একার পক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা সম্ভব নয়। তাছাড়া নদী, খাল, বিলে বিষ প্রয়োগ, বাঁশের খাটি ও কারেন্ট জালের বিষয়ে অভিযান চালাতে ভ্রাম্যমাণ আদালত ছাড়া কোনো শাস্তি দেওয়া সম্ভব হয় না। কাজের ঝামেলায় সব সময় ভ্রাম্যমাণ আদালত নিয়ে যাওয়াও সম্ভব হয় না। তবে এসব বিষয়ে সবাইকে সচেতন হয়ে কাজ করতে হবে। এ ব্যাপারে কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিফাত উদ্দীন বলেন, এসব অপরাধের সঙ্গে কারা সম্পৃক্ত তার সন্ধান বের করতে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। যদি কোনোভাবে কেউ তথ্য জানাতে পারেন তাহলে গোপনীয়তা বজায় রেখে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

প্রকাশ : অক্টোবর ২৫, ২০২২ ১০:৪০ পূর্বাহ্ন
কমলগঞ্জে পুকুরে বিষ ঢেলে ২ লক্ষাধিক টাকার মাছ নিধন
মৎস্য

্কমলগঞ্জ উপজেলার পতনউষার ইউনিয়নের গোপীনগর গ্রামের প্রাক্তন ইউপি সদস্য আব্দুল হান্নানের পুকুরে দুষ্কৃতকারীরা বিষ ঢেলে বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় দু’লক্ষাধিক টাকার মাছ নিধন করেছে।

পুকুরে মাছ মরে ভেসে উঠায় ক্ষতিগ্রস্ত খামারি হতাশ হয়ে পড়ছেন। ২২ অক্টোবর শনিবার ভোরে বিষ ঢেলে মাছ নিধন করার অভিযোগ উঠেছে।

জানা যায়, গোপীনগর গ্রামের আব্দুল হান্নানের একটি মাঝারি পুকুরে দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ চাষাবাদ করে আসছেন।

শনিবার ভোর রাতে দুষ্কৃতকারীরা পুকুরে বিষ ঢেলে রুই, কাতলা, মৃগেল, ঘাসকার্প, কার্পসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ নিধন করে।

খামারির মালিক আব্দুল হান্নান জানান, আমি গত বছর ৪০ হাজার টাকার মাছের পোনা পুকুরে ছেড়ে নিয়মিত খাবার দিয়ে আসছি। এক একটি মাছ দেড় কেজি, দুই কেজি হয়েছে। আরো কিছুটা বড় হওয়ার পর মাছ বিক্রি করার কথা। এরই মধ্যে আমার পুকুরে বিষ ঢেলে দুই লক্ষাধিক টাকার মাছ নিধন করা হয়েছে। তবে পাশের বাড়ির সাথে পূর্ব বিরোধের জেরে এই ক্ষতি করেছে বলে তিনি দাবি করেন।

এব্যাপারে কমলগঞ্জ থানায় তিনি লিখিত অভিযোগ দাখিল করবেন বলে জানান।

এ ব্যাপারে শমশেরনগর পুলিশ ফাঁড়ির এস আই আব্দুর রহমান গাজী জানান, আব্দুল হান্নানের মৌখিক অভিযোগ পেয়ে সরেজমিনে দেখে আসছি। বিষ ঢেলে প্রায় দু’লক্ষাধিক টাকার মাছ নিধন হয়েছে। থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়ার পর যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

প্রকাশ : অক্টোবর ২২, ২০২২ ৪:৩৯ অপরাহ্ন
পুকুরে বিষ দিয়ে ৬ লাখ টাকার মাছ নিধন
মৎস্য

জয়পুরহাটের কালাইয়ে শত্রুতার জেরে এক মৎসচাষীর লীজ নেওয়া পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে প্রায় ৬ লাখ টাকার মাছ মেরে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা। শুক্রবার রাতের কোনো এক সময়ে দুর্বৃত্তরা বিষ প্রয়োগ করলে শনিবার সকালে ওই পুকুরে মাছগুলো ভেসে ওঠে।

উপজেলার মাত্রাই ইউনিয়নের পার্বতীপুর গ্রামের লিজানি পুকুরে এই ঘটনা ঘটেছে। এ ব্যাপারে মৎসচাষী সাজেদুল ইসলাম শহিদুল কালাই থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার মাত্রাই ইউনিয়নের বিয়ালা গ্রামের মৎসচাষী সাজেদুল ইসলাম শহিদুল এক বছর আগে পার্বতীপুর গ্রামের আশরাফুল ইসলামের কাছ থেকে প্রায় ৬ বিঘা জলকর পুকুরটি তিন বছরের জন্য লিজ নেন। সেই পুকুরে তিনি বিভিন্ন জাতের মাছ চাষ করে আসছেন। ইতোমধ্যে মাছগুলো দেড় কেজি থেকে দুই কেজি ওজনের হয়েছে। এরই মধ্যে শুক্রবার রাতের কোনো এক সময়ে কে বা কারা ওই পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে। ফলে পুকুরের মাছগুলো মরে গিয়ে শনিবার সকালে ভেসে ওঠে।

মৎস চাষী সাজেদুল ইসলাম শহিদুল জানান, সকালে পুকুরে এসে দেখি স্থানীয়রা ভেসে ওঠা মরা মাছগুলো পাড়ে তুলছেন। মরা মাছগুলো ওজন করে দেখি প্রায় ১০০ মন হয়েছে। মাছগুলো আগামী সপ্তাহে বিক্রি করতাম। তা আর হলো না। এখন কি করবো তা ভেবে পাচ্ছিনা।

একই গ্রামের বাসিন্দা অনিল চন্দ্র জানান, বর্তমান পাইকারি বাজার দর অনুযায়ী প্রতি কেজি মাছ দেড়’শ থেকে ২০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। সে হিসাবে প্রায় ১০০ মন মাছের মূল্য আনুমানিক প্রায় ৬ লাখ টাকা হবে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য নূরনবী মন্ডল বলেন, মানুষের সাথে মানুষর শত্রুতা থাকতেই পারে। তাই বলে কি পুকুরে বিষ দিয়ে মাছ নিধন করে এক অসহায় মৎসচাষীকে বিপদে ফেলতে হবে ? আমরা এর বিচারসহ দোষীদের খুঁজে বের করে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি। পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত মৎসচাষীর উপযুক্ত ক্ষতিপূরণের দাবি জানাচ্ছি।

কালাই থানার ওসি এসএম মঈনুদ্দীন বলেন, অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

প্রকাশ : অক্টোবর ২১, ২০২২ ১:২৮ অপরাহ্ন
পুকুরে বিষ প্রয়োগ,মারা গেল ১৫ লাখ টাকার মাছ!
মৎস্য

পাবনার সুজানগর উপজেলার সাতবাড়িয়ায় ইউনিয়নের একটি পুকুরে বিষ ও গ্যাস ট্যাবলেট প্রয়োগ করে প্রায় ১৫ লাখ টাকার মাছ নিধনের অভিযোগ উঠেছে।

গত বুধবার ভোরে ইউনিয়নের মোমরাজপুর এলাকার দিপংকর হালদারের পুকুরে এ ঘটনা ঘটে। বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, প্রতিবেশী রঘুনাথ হালদারের সঙ্গে দিপংকরের বাবা দিলিপ হালদারের জমি ও পুকুরে মাছ চাষসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিরোধ ছিল। এরই জেরে বুধবার ভোরে দিপংকরের বাড়ি সংলগ্ন পুকুরে বিষ ও গ্যাস ট্যাবলেট ঢেলে দেওয়া হয়। এতে পুকুরের মাছগুলো মরে ভেসে উঠে। পুকুরে পাঙ্গাশ, রুই, কাতল, তেলাপিয়া, বাটাসহ বিভিন্ন জাতের ২০০ মণ মাছ ছিল। সব মাছ মারা গেছে।

দিলিপ হালদার অভিযোগ করে বলেন, ‘রঘুনাথ হালদার ওই পুকুর আগে মাছ চাষ করতো। কয়েক বছর ধরে আমরা চাষ করছি। এই নিয়ে বিরোধ ছিল। ওই পুকুরের একাংশ জমি আমরা কিনে নিয়েছি, আরেক অংশ ইজারা নিয়েছি। ওই পুকুরের জমি কেনা নিয়ে রঘুনাথের সঙ্গে আমাদের ঝামেলা হয়। কয়েকদিন আগে রঘুনাথ আমাদের হুমকি দিয়ে বলেন, ‘ওই পুকুরে কি করে আমরা মাছ চাষ করি’। এই কথা বলার দুই দিন পরেই এ ঘটনা ঘটল।’

দিপংকর হালদার বলেন, ‘আমি চারটা পুকুরে মাছ চাষ করি। বন্যার সময় হওয়ায় নদী সংলগ্ন তিনটি পুকুর থেকে মাছ তুলে বাড়ির কাছে এই পুকুরে রেখেছিলাম। আশা করেছিলাম, মাছগুলো বিক্রি করে ঋণ শোধ করবো। আমার প্রায় ১০ লাখ টাকা ঋণ আছে। এখন আমি পথে বসে গেলাম। কোনো বিবেকবান মানুষ এই ধরনের কাজ করতে পারে না।’

তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন রঘুনাথ হালদার। তিনি বলেন, ‘ওরা কি অভিযোগ করেছে আমি জানি না। কিন্তু আমার কথা, অন্যায় যে করেছে সে সাজা পাবে, আইন তার বিচার করবে। আমি এসব করি নাই।’

সুজানগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল হান্নান বলেন, ‘অভিযোগ পেয়েছি। আমরা বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করছি। তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে সকল আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

প্রকাশ : অক্টোবর ১৪, ২০২২ ৯:২৯ পূর্বাহ্ন
সুন্দরবনে বিষপ্রয়োগে চলছে মাছ শিকার
মৎস্য

সুন্দরবনের মধ্য দিয়ে প্রবহমান ছোট-বড় ৪৫০টি নদ-নদী ও খাল আছে। প্রায় ৪০০ প্রজাতির মাছ ও জলজ প্রাণীর বসবাস এখানে। সাপই আছে ২৫ প্রজাতির। ২১৫ প্রজাতির পাখির ডাকে মুখরিত হয় সুন্দরবন।

অনেক দিন ধরেই একদল মানুষ নানাভাবে সুন্দরবনের ক্ষতি করে আসছে। এর মধ্যে অত্যন্ত ভয়াবহ একটি হলো সুন্দরবনের মধ্য দিয়ে প্রবহমান ছোট-বড় নদ-নদী-খালে বিষ প্রয়োগে মাছ শিকার।

বিষ প্রয়োগে মাছই শুধু মরে না, অন্যান্য প্রাণীও সেই মাছ খেয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছে। সম্প্রতি বনের চাঁদপাই রেঞ্জের শুয়ারমারা ও কাটাখালী খালে বিভিন্ন প্রজাতির মরা মাছ ভেসে ওঠার দৃশ্য দেখা গেছে। এটা যে এবারই প্রথম তা নয়। বিভিন্ন সময় বিষ প্রয়োগের খবর সংবাদপত্রে ছাপা হয়, যা অত্যন্ত দুঃখজনক।

যেকোনো মূল্যে এই সর্বনাশা তৎপরতা বন্ধ করা দরকার। অল্পসংখ্যক দুর্বৃত্ত এই বিষ প্রয়োগের সঙ্গে জড়িত। বিষ প্রয়োগে মাছ শিকার গোটা সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্যকে হুমকির মুখে ফেলেছে। এ বিষয়ে বন বিভাগের দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ প্রত্যাশা করছি।

প্রকাশ : অক্টোবর ১, ২০২২ ৩:২৭ অপরাহ্ন
কুমিল্লায় দুর্বৃত্তের দেওয়া বিষে মারা গেলো ১২ লাখ টাকার মাছ
মৎস্য

কুমিল্লা জেলার বুড়িচং উপজেলার রাজাপুর পশ্চিমপাড়ার একটি ফিশারিতে বিষ প্রয়োগ করে ১২ লাখ টাকার মাছ মেরে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা। শুক্রবার দিবাগত রাতে মাছচাষি মো. জুয়েল রানার ফিশারিতে এ ঘটনা ঘটে।

বুড়িচং পূর্বপাড়ার মরহুম সহিদ মিয়ার ছেলে মাছচাষী মো. জুয়েল মিয়া জানান, রাজাপুর পশ্চিমপাড়া ৩২০ শতক ফিশারিতে প্রায় ১২ লাখ টাকার বিভিন্ন জাতের দেশীয় মাছ রাতের আঁধারে বিষ প্রয়োগ করে মেরে ফেলেছে। বিষ প্রয়োগের ফলে মাছগুলো মরে ভেসে উঠেছে। কিছু দিনের মধ্যেই মাছগুলো বাজারে বিক্রির উপযোগী হয়ে উঠত। এর আগেই দুর্বৃত্তরা মাছগুলো মেরে ফেলেছে। মাছচাষি জুয়েল রানা এখন সর্বস্বান্ত হয়ে পড়েছেন। তিনি প্রশাসনের কাছে সুষ্ঠু বিচার চান।

এ বিষয়ে বুড়িচং থানার ওসি মো. মারুফ রহমান জানান, ঘটনাটি আমি শুনেছি এবং থানার পুলিশ ফোর্স পরিদর্শন করে এসেছে। অভিযোগ পরিপ্রেক্ষিতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

প্রকাশ : সেপ্টেম্বর ২১, ২০২২ ১০:৪৪ পূর্বাহ্ন
ময়মনসিংহে নারী খামারির খামারে বিষ, ৪০ হাজার পাঙ্গাস নিধন!
মৎস্য

ময়মনসিংহ সদর উপজেলায় এক নারী মৎস্য খামারির পুকুরে বিষ দিয়ে মাছ নিধন করা হয়েছে।

উপজেলার ঘাগড়া ইউনিয়নের পাড়াইল মোড়ে হ্যাপী মৎস্য খামারের তিনটি পুকুরে মঙ্গলবার ভোরে পাঙ্গাস ও দেশীয় মাছ মরে ভাসতে থাকে বলে ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার এসআই আনোয়ার হোসেন জানান।

ভুক্তভোগি হ্যাপী কাউসার জানান,বিষপ্রয়োগে ৪০ হাজার পাঙ্গাস মাছ মরে ভেসে উঠেছে। প্রতিটা মাছ এক কেজির মতো ওজন ছিলো। এছাড়া এক লাখের উপরে দেশি মাছ মারা গেছে।

স্থানীয় মাহবুবুর রহমানের সঙ্গে তাদের দ্বন্দ্ব রয়েছে। গত ১০ সেপ্টেম্বর সে পুকুর থেকে মাছ চুরি করে। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ করা হয়।

এ কারণে সে পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে থাকতে পারে বলে ধারণা হ্যাপির।

তিনি বলেন, “সহায় সম্পত্তি বিক্রি করে ও লোন তুলে তিনটি পুকুরে মাছ ছেড়েছি। এক কোটি টাকার উপরে আমার ক্ষতি হয়ে গেলো। আজ আমি নিঃস্ব হয়ে গেলাম। মাহবুবু ছাড়া আমাদের অন্য কারো সঙ্গে কোনো বিরোধ নেই, আমার এতো বড় ক্ষতি কেনো করলো? আমি তার বিচার চাই।”

ময়মনসিংহ সদর উপজেলার সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা নাহিদা পারভিন জানান, “তিনটি পুকুরেই মাছ মরে ভেসে উঠেছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, কোনো বিষক্রিয়ায় মাছগুলো মারা গেছে। তবে পরীক্ষা করা ছাড়া কারণ বলা যাবে না। বিষপ্রয়োগে মাছগুলো মারা হলে সেগুলো না খাওয়াই ভালো।”

এসআই আনোয়ার বলেন, “পুকুরগুলোতে সাদা হয়ে মাছ মরে রয়েছে। ধারণা করছি, বিষপ্রয়োগে সেগুলো মারা হয়েছে। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। অভিযোগের প্রেক্ষিতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

প্রকাশ : সেপ্টেম্বর ৭, ২০২২ ১১:৪৫ পূর্বাহ্ন
হত্যার জেরে পুকুরে বিষ,খামারে আগুন!
পোলট্রি

ছাগলে ক্ষেত খাওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে পাবনার সুজানগরে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ ও গুলিতে একজন নিহতের ঘটনায় বিক্ষুদ্ধরা প্রতিপক্ষের মাছের পুকুরে বিষ প্রয়োগ, পোল্ট্রি ফার্মে ও গরুর খামারে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। এতে প্রায় অর্ধকোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে অভিযোগ।

জানা যায়, গত রোববার (৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে উপজেলার ভায়না ইউনিয়নের চরবিশ্বনাথপুর গ্রামে পূর্ববিরোধ ও ছাগলে ক্ষেতের ফসল খাওয়াকে কেন্দ্র করে আক্কাস আলী বিশ্বাস গোষ্ঠীর সঙ্গে মোকাই শেখ গোষ্ঠীর মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়। বিষয়টি উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে রূপ নেয়। এ সময় মোয়াজ্জেম হোসেন শেখের ছেলে এরশাদ শেখ (৩২) গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়।

এ ঘটনায় সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নিহতের বাবা বাদী হয়ে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ এ ঘটনায় উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আজম আলী বিশ্বাসসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে।

এ সময় একটি লাইসেন্সকৃত দোনালা বন্দুক ও ৪৯টি কার্তুজ জব্দ করে পুলিশ।

সুজানগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল হানান জানান, ঘটনার দিন পোল্ট্রি ফার্ম ও গরুর খামারে আগুন ধরিয়ে দিয়েছিল। পরেরদিন পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে বিষ প্রতিরোধক ওষুধ প্রয়োগ করে মাছ রক্ষার চেষ্টা করা হয়েছে।

তিনি বলেন, এ ঘটনায় কেউ অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত পদক্ষেপ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

প্রকাশ : সেপ্টেম্বর ৫, ২০২২ ৯:১৬ পূর্বাহ্ন
রাণীনগরে বিধবার পুকুরে দুর্বৃত্তের বিষে লক্ষাধিক টাকার মাছ নিধন
মৎস্য

নওগাঁর রাণীনগরে এক বিধবার লিজকৃত পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে লক্ষাধিক টাকার মাছ নিধন করেছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় রোববার দুপুরে রাণীনগর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

শনিবার রাতে উপজেলার সরিয়া পশ্চিমপাড়া গ্রামে বিধবা রোকেয়া বেওয়ার পুকুরে এ ঘটনাটি ঘটে।

বিধবা রোকেয়া বেওয়া জানান, বাড়ির পাশে একটি পুকুর টাকা দিয়ে লিজ নিয়ে প্রায় দেড় বছর ধরে মাছ চাষ করে আসছি। পুকুরে গুলশা, পোনা, দেশীয় মাগুর ও রুই মৃগেল, কাতলা মাছ ছিল।

শনিবার রাতে কোনো এক সময় কে বা কাহারা আমার লিজকৃত পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে। রোববার সকালে পুকুরে খাবার দিতে গিয়ে দেখি পুকুরের সব মাছ মরে ভেসে উঠেছে। এতে করে পুকুরে থাকা লক্ষাধিক টাকার মাছ নিধন করেছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় আমি বাদি হয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি বলে জানান ওই বিধবা নারী।

তিনি আরও জানান, এর আগেও প্রায় ১ মাস আগে কে বা কাহারা ওই পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার টাকার মাছ মেরে ফেলেছিল। তার দাবি, গ্রামের কয়েকজনের সঙ্গে জমি নিয়ে বিরোধ চলছে। হয়তো প্রতিপক্ষরাই বার বার পুকুরে বিষ দিয়ে মাছ নিধন করেছে। এ ঘটনার সুষ্ট বিচারের দাবি জানিয়েছেন তিনি।

এ ব্যাপারে রাণীনগর থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ বলেন, পুকুরের মাছ নিধনের ঘটনায় এক বিধবা থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

প্রকাশ : অগাস্ট ১৪, ২০২২ ১১:১৯ পূর্বাহ্ন
বিষমুক্ত সবজি চাষে সাড়া জাগিয়েছেন জিহাদ
কৃষি বিভাগ

কোন প্রকার রাসায়নিক ব্যবহার ছাড়া বাগেরহাটে বিষমুক্ত নিরাপদ সবজি চাষ করে সাড়া জাগিয়েছেন শেখ জিহাদ হোসেন (৫০) নামের এক কৃষক।

কৃষক শেখ জিহাদ হোসেন বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আমি সবজি চাষ করি। সবজি চাষ করতে আমাদের প্রচুর পরিমাণ রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহার করতে হতো। সব সময় একটি বিষয় চিন্তা করতাম কিভাবে রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ছাড়া সবজি চাষ করা যায়। ভাবতে ভাবতে কৃষি বিভাগের কর্মকর্তাসহ কৃষি বিষয়ে অভিজ্ঞ লোকজনদের সঙ্গে কথা বলে জানলাম সমন্বিত বালাই ব্যবস্থাপনা পদ্বতিতে নিরাপদ সবজি চাষ করা যায়।

বিষয়টি নিয়ে অনেক চিন্তাভাবনা ও জেনে শুনে গেল বছর কোন রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহার ছাড়াই সবজি চাষের পরিকল্পনা করি। দেড় বিঘা (৭৮ শতক) জমিতে সমন্বিত বালাই ব্যবস্থাপনা পদ্বতিতে হাইব্রিড সুপার সুমি জাতের ঢেঁড়স চাষ করি। এবার ফলনও ভাল হয়েছে। দেড় বিঘা জমিতে ১৫ মেট্রিকটন ঢেঁড়স উৎপাদনের আশা তার। প্রতিদিন ১২০ থেকে ১৩০ কেজি ঢেঁড়স বিক্রি করছেন তিনি। ৫৫ হাজার টাকা ব্যয়ের এই জমি থেকে দুই লাখ টাকার ঢেড়স বিক্রির আশা করছেন তিনি।

এর বাইরে গতানুগতিক পদ্ধতিতে কিছু জমিতে বেগুন, কাকরোল, ডাটাশাক, লালশাকসহ নানা সবজি উৎপাদন করেছি। আশা করি আগামী বছর সব জমিতে সমন্বিত বালাই ব্যবস্থাপনা পদ্বতিতে নিরাপদ সবজি চাষ করতে পারব। সমন্বিত বালাই ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি সম্পর্কে জিহাদ বলেন, এই পদ্ধতিতে পোকা-মাকড় তাড়ানোর জন্য কোন বিষ ব্যবহার করা হয় না। এর জন্য আলোর ফাঁদ, ডালপোতা ফাঁদ, হলুদ পেপার, সাদা পেপার ফাঁদ পাতা হয় সবজি ক্ষেতে। এছাড়া নিমপাতা, বেলপাতা ও মেগনির নির্জাস দিয়ে সবজি খেতকে পোকামাকড় মুক্ত করা হয়।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর, বাগেরহাটের প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা মোতাহার হোসেন বলেন, আমরা বিভিন্ন সময় বিষমুক্ত সবজি চাষে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করি। জিহাদ বিষমুক্ত ঢেঁড়স চাষের আগ্রহ পোষণ করলে, আমরা তাকে সার্বিক সহযোগিতা করেছি। তার বিষমুক্ত ঢেঁড়স সরাসরি ভোক্তা পর্যায়ে পৌঁছে দেওয়ার জন্যও আমরা উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের নির্দেশনা নিয়েছি। অন্যান্য এলাকার কৃষকরাও যাতে বিষমুক্ত সবজি চাষে উদ্বুদ্ধ হন এজন্য আমরা কাজ করছি।

২০০৬ সালে পোশাক কারখানা থেকে চাকরি ছেড়ে বাড়ির পাশে অন্যের জমি লিজ নিয়ে সবজি ও ফল চাষ শুরু করেন শেখ জিহাদ হোসেন। সফলতাও পেয়েছেন তিনি। ২০০৮ সালে শেখ জিহাদ হোসেন সবজি চাষে অবদান রাখায় সফল চাষী হিসেবে জেলা প্রশাসন থেকে পুরস্কার পান তিনি।

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop