৪:৪২ পূর্বাহ্ন

রবিবার, ১৯ মে , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ২, ২০২৩ ১০:৪০ অপরাহ্ন
বাকৃবিতে মাছের খামারে প্রযুক্তির ব্যবহার শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত
ক্যাম্পাস

দীন মোহাম্মদ দীনু: বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অর্থনীতি এবং গ্রামীণ সমাজবিজ্ঞান অনুষদের সভাকক্ষে “স্ট্র্যাটেজিস ফর ইনক্লুসিভ একুয়াকালচার ভেল্যুচেইন ইন বাংলাদেশ” প্রকল্পের উদ্যোগে গত বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি)দিনব্যাপি মৎস্য চাষিদের নিয়ে “টেকনোলজি এডাপশন ইন একোয়াকালচার ফার্মস” শীর্ষক এক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

প্রকল্পটির পরিচালিত হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস স্টেট ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এবং পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালইয়-এর যৌথ উদ্যোগে। প্রকল্পের অর্থায়ন করেছে ইউএসএআইডি’র অঙ্গ সংগঠন ফিড দ্য ফিউচার ইনোভেশন ল্যাব ফর ফিশ।

উক্ত প্রশিক্ষণটির সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অর্থসংস্থান ও ব্যাংকিং বিভাগের অধ্যাপক এবং প্রকল্পের বাংলাদেশ অংশের পরিচালক ড. মোঃ আক্তারুজ্জামান খান।

এ আয়োজনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. লুৎফুল হাসান। এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে অনলাইনে জুম অ্যাপের মাধ্যমে সংযুক্ত ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এবং প্রকল্প পরিচালক ড. মদন মোহন দে। বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন ফিড দ্যা ফিউচার ইনোভেশন ল্যাব ফর ফিস-এর এশিয়া রিজিওনাল কো-অর্ডিনেটর ড. এম গোলাম হোসাইন এবং কৃষি অর্থনীতি এবং গ্রামীণ সমাজবিজ্ঞান অনুষদের সম্মানিত ডিন প্রফেসর ড. খন্দকার মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন কৃষি অর্থসংস্থান ও ব্যাংকিং বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোঃ আক্তারুজ্জামান খান। সঞ্চালনার দায়িত্ব পালন করেন কৃষি অর্থনীতি বিভাগের মার্স্টাস অধ্যায়নরত শীক্ষার্থী নাজিফা জাহিন অহনা। প্রকল্পের গবেষণা সহযোগী মোঃ ইমরান হোসাইন অনুষ্ঠানটির সার্বিক তত্ত্বাবধায়ন করেন।No description available.

প্রশিক্ষকদের মধ্যে একোয়াকালচার বিভাগের প্রফেসর, ড. এম মাহফুজুল হক রিপন, “একোয়াকালচার সিস্টেম এবং ইন্সট্রুমেন্টেশন: মাছের উৎপাদন বৃদ্ধির কৌশল” বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করেছেন। এ পর্বে কিভাবে নতুন প্রযুক্তি মাছ চাষে ব্যবহার করা যায় এবং বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে মাছ উৎপাদন বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া NAAFCO এগ্রোভেট লিমিটেডের ন্যাশনাল সেলস ম্যানেজার কৃষিবিদ লিটন চৌধুরী নিরাপদ মাছ উৎপাদনের জন্য অ্যাকুয়াকালচারে প্রোবায়োটিক্সের সম্ভাবনা-এর আলোকে বিস্তর বিষয়ে আলোচনা করেন। তিনি দেখান, যথাযথ প্রোবায়োটিক্সের ব্যবহারের মাধ্যমে সফলভাবে মাছ চাষ করে বেশি লাভবান হওয়া সম্ভব।

প্রশিক্ষণ শেষে ৪০ জন মৎস্য চাষি প্রশিক্ষন সনদ প্রদান করা হয় এবং তারা তাদের মতামত ও অভিজ্ঞতা ব্যক্ত করেন। উক্ত প্রশিক্ষনে ৪ জন মহিলা মৎস্য চাষি সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহন করেন এবং তাদের অনুভূতি ব্যক্ত করেন।

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ২, ২০২৩ ৭:০০ অপরাহ্ন
খাঁচায় ভাসমান পদ্ধতিতে মাছ চাষে স্বাবলম্বী কুমিল্লার হানিফ তালুকদার
মৎস্য

জেলার দাউদকান্দি উপজেলার সৈয়দ খারকান্দি গ্রামে ড্রাম, বাঁশ, নেট এবং জিআই পাইপ দিয়ে তৈরি জালের বুননে নদীতে খাঁচায় মাছ চাষ করছেন হানিফ তালুকদার। নদীতে ভাসমান মাছ চাষ করে তিনি জীবনে নিয়ে এসেছেন স্বাবলম্বী হওয়ার নবদিগন্ত।

বেকার যুবকদের জীবনে আশার আলো-স্বপ্নদ্রষ্টা হয়ে আর্বিভূত হয়েছে দাউদকান্দি উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয়। বেকার যুবকদের আত্মনির্ভরশীল করে গড়ে তোলার আতুঁড়ঘর হিসেবে কাজ করছে এই অফিসটি। মৎস্য অফিস নদীতে খাঁচায় মাছ চাষের যথাযথ প্রশিক্ষণ দিয়ে স্বাবলম্বী হতে উৎসাহ তৈরি করছে বেকার যুবকদের।

হানিফ তালুকদার তাদেরই একজন নতুন পথের অগ্রপথিক। বিগত তিনবছর শ্রম মেধা ও অধ্যবসায়ের চর্চায় সফলতা অর্জন করেছেন নদীতে ভাসমান পদ্ধতিতে মাছ চাষ করে।

মেঘনা, শীতলক্ষা ও ধনাগোদা নদীর ত্রি-মোহনা এবং মুন্সিগঞ্জ-চাঁদপুর ও কুমিল্লা জেলার প্রান্ত এলাকায় নদীতে ভাসমান পদ্বতির খাঁচায় মাছ চাষ প্রকল্প হানিফ তালুকদারের। এখানেই জল-মাটি আর প্রকৃতির অপরুপ এক মোহনীয় মায়ার মাঝেই তার জন্ম ও বেড়ে ওঠা। নদীর সঙ্গে তার আজন্ম সখ্যতাই তাকে নদীমুখী মাছ চাষে উদ্যোগী করে তুলেছে। তিনমাস প্রশিক্ষণের পর হানিফ তালুকদারকে প্রথমে ১০টি খাঁচা সরবরাহ করে দাউদকান্দি উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয়। পরবর্তীতে দেয়া হয় আরো ১০টি খাঁচা। মাছ চাষে সফলতা দেখে হানিফ তালুকদার নিজ অর্থায়নে যোগ করেন আরো ২০টি খাঁচা। বর্তমানে তিনি ৪০টি খাঁচায় নদীতে ভাসমান পদ্ধতিতে মাছ চাষ করছেন।

হানিফ তালুকদার জানান, প্রতিবছরে তিনি দুইবার প্রায় ২০ থেকে ২২ লাখ টাকার মাছ বিক্রি করেন। সামান্য পুঁজি দিয়েই শুরু করা সম্ভব এই ব্যবসা। এর জন্য প্রয়োজন হয় না নিজস্ব জলাশয়ের। নিজ বাড়ির পাশে বহমান ধনাগোদা নদীতেই তিনি শুরু করেন খাঁচায় মাছ চাষ। তিন বছর আগে মাত্র ১০টি খাঁচায় যে স্বপ্নযাত্রার শুরু হয়েছে। আজ তা বর্ধিত হয়ে ৪০টি খাঁচা পরিণত হয়েছে। তিনি বলেন, প্রতিটি খাঁচা ১২ বাই ২২ ফুট। চট্টগ্রাম থেকে সংগ্রহ করেন মাছের রেনু পোনা। এরপর পাশবর্তী পুকুরে করেন পরিচর্যা। পরিচর্যার পর ছাড়া হয় খাঁচায়। প্রতি খাঁচায় ৫ শত পোনা মাছ ৫ মাস পর উপযোগী হয় বিক্রির। তখন প্রতিটি তেলাপিয়া মাছের ওজন দাঁড়ায় প্রায় ৭ শত গ্রাম।

নদীতে ভাসমান খাঁচায় মাছ চাষ প্রসঙ্গে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সাবিনা ইয়াসমিন বাসসকে জানান, মানুষ যেন কর্মমুখী হয়ে সচ্ছল জীবন যাপন করতে পারে, তাই আমরা আগ্রহীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ করি। প্রশিক্ষণ শেষে তাদের অনুদান দেয়া হয়। তিনি আরো বলেন, অনেকেরই নেই নিজস্ব পুকুর। তাই নদীতে ভাসমান খাঁচায় মাছ করে একজন বেকার যুবক যেমন নিজে সমৃদ্ধ হবে, ঠিক তেমনি দেশেও মাছ উৎপাদনে বিশেষ ভূমিকা রাখবে।

প্রকাশ : জানুয়ারী ২৬, ২০২৩ ৬:০০ অপরাহ্ন
“জাটকা ও মা মাছ নিধন বন্ধে আরও বেশি মোবাইল কোর্ট পরিচালনার করতে হবে”
প্রাণিসম্পদ

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রম বাস্তবায়নে জেলাপ্রশাসকরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন উল্লেখ করে জাটকা ও মা মাছ নিধন বন্ধে আরও বেশি মোবাইল কোর্ট পরিচালনার জন্য জেলাপ্রশাসকদের আহ্বান জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

আজ বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) বিকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলাপ্রশাসক সম্মেলন ২০২৩ এ মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত অধিবেশনে এ আহ্বান জানান মন্ত্রী।

এ সময় মন্ত্রী বলেন, দেশের মৎস্যসম্পদে একটা বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে। পৃথিবীর প্রায় ৫১টি দেশে মাছ রপ্তানি করে আমরা বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করছি। এখন দেশে এতো গবাদিপশু উৎপাদন হচ্ছে যে, ভারত-মিয়ানমার থেকে আমদানি ছাড়াই কোরবানির পশুর চাহিদা মিটানো সম্ভব হচ্ছে। শেখ হাসিনার পৃষ্ঠপোষকতায় এ খাত এতটা এগিয়েছে।

তিনি আরো বলেন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাত বেকারত্ব দূর করছে, উদ্যোক্তা তৈরি করছে। মাছ, মাংস, দুধ, ডিম উৎপাদনের ফলে খাদ্যের একটি বড় অংশের যোগান দেওয়া সম্ভব হচ্ছে। প্রাণিজ মানুষের চাহিদা পূরণ হচ্ছে এ খাত থেকে। রপ্তানির মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে দেশের উন্নয়নের ভূমিকা রাখছে এ খাত। পাশাপাশি এ খাত গ্রামীণ অর্থনীতিও সচল করছে। দেশের মোট জিডিপিতে ৪ দশমিক ৪১ শতাংশ এবং কৃষিজ জিডিপিতে ৩৮ দশমিক ৩৫ শতাংশ অবদান রাখছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাত। ১ কোটি ৯৫ লাখ মানুষ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে এ খাতে সম্পৃক্ত।

জেলাপ্রশাসকদের উত্থাপিত বিভিন্ন বিষয়ের প্রেক্ষিতে এ সময় মন্ত্রী আরো বলেন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে বিদ্যুৎ বিল বাণিজ্যিক হারের পরিবর্তে কৃষিজ হারে নির্ধারণের বিষয়টি আশা করি সমাধান হবে। ২২ দিন মৎস্য আহরণ বন্ধ থাকাকালে রেজিস্টার্ড মৎস্যজীবীদের প্রণোদনার বিষয়টি আমাদের পরিকল্পনায় রয়েছে। চরাঞ্চলে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন প্রকল্প চলমান আছে। জেলাপ্রশাসকদের সুপারিশের আলোকে প্রয়োজনে আরো প্রকল্প গ্রহণ করা হবে।

করোনাকালে ভ্রাম্যমাণ বিক্রয়সহ মাছ, মাংস, দুধ, ডিম উৎপাদন, সংগ্রহ, পরিবহন ও বিপণনে সহযোগিতার জন্য জেলাপ্রশাসকদের এ সময় ধন্যবাদ জানান মন্ত্রী।

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ঈপ্সিত লক্ষ্য পূরণে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় কাজ করছে উল্লেখ করে এ মন্ত্রণালয়ের সকল কাজ বাস্তবায়নে মাঠ পর্যায়ে জেলাপ্রশাসকরা দেখভাল,পরামর্শ প্রদান এবং কর্মকর্তাদের সহায়তা করবেন বলে এসময় আশাবাদ ব্যক্ত করেন মন্ত্রী।

মাঠ পর্যায়ে সরকারের উন্নয়ন পরিকল্পনা, কর্মযজ্ঞ ও সাফল্য জেলাপ্রশাসকদের উপর নির্ভর করে বলেও এ সময় মন্তব্য করেন মন্ত্রী।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন, জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খান, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. নাহিদ রশীদ, সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব মো. আবদুল্লাহ আল মাসুদ চৌধুরী, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন দপ্তর-সংস্থা প্রধানগণ, বিভাগীয় কমিশনারবৃন্দ এবং জেলাপ্রশাসকগণ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

প্রকাশ : জানুয়ারী ২৪, ২০২৩ ২:৫৬ অপরাহ্ন
পুকুরে মলা মাছের সাথে তেলাপিয়া মাছের চাষ
মৎস্য

পুকুরে মলা মাছের সাথে তেলাপিয়া মাছের চাষ করার উপায় আমাদের দেশের অনেক মৎস্য চাষিরাই জানেন না। নদী-নালায় মাছ কমে যাওয়ায় এখন অনেকেই তাদের পুকুরে মাছ চাষ করছেন। পুকুরে চাষ হওয়া মাছগুলোর মধ্যে তেলাপিয়া মাছ অন্যতম। আজকে জেনে নিব পুকুরে মলা মাছের সাথে তেলাপিয়া মাছের চাষ সম্পর্কে-

পুকুরে মলা মাছের সাথে তেলাপিয়া মাছের চাষঃ
আমাদের দেশে মাছ চাষ নিয়ে প্রতিনিয়ত গবেষণা ও বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা চালানো হচ্ছে। তেমনই হচ্ছে মলা মাছের সাথে তেলাপিয়া চাষ পদ্ধতি। এই চাষ পদ্ধতিতে মাছ চাষ করে দারুণ সফল হচ্ছেন চাষিরা। এ ধরনের মাছ চাষের জন্য প্রথমে পুকুরে মলা মাছ ছাড়তে হবে তারপর তেলাপিয়া। মাছ বড় হলে আগে মলা মাছ ধরতে হবে। কারণ বাজারে এর চাহিদা অনেক। মলা মাছ বড় হতে কম সময় লাগে। মলা মাছে লাভের পরিমাণও অনেক বেশি।

প্রথমেই পুকুরে বিষ দিয়ে অবাঞ্ছিত মাছ দূর করে তার পরদিন পুকুরের তলদেশের অবস্থা বুঝে শতাংশপ্রতি আধা কেজি থেকে এক কেজি চুন দিয়ে এর ছয়-সাতদিন পর শতাংশপ্রতি শূন্য দশমিক ৩ মিলি পিপিএম হারে সুমিথিয়ন প্রয়োগ করতে হবে।

একদিন পর পুকুরে মলা মাছের রেণু ছাড়তে হবে। আমাদের বর্তমান চাষ পদ্ধতি অনুযায়ী প্রতি ৫০ শতাংশের পুকুরে এক হাপা মলা মাছের রেণু দিতে হবে। তারপর এ মলা মাছের ওপর তেলাপিয়ার মনোসেক্স পোনা ছাড়তে হবে।

মাছের বয়স যখন ৯০ দিন পূর্ণ হবে সেদিন মলা মাছ বাজারজাত করার পরিকল্পনা করতে হবে। তেলাপিয়া বাজারজাত হবে আরও পরে। সঠিকভাবে মাছের যত্ন নিলে ৯০ দিন পর মলা মাছ ২০০ থেকে ৩০০ পিসে কেজি হবে।

এভাবে মাছের বয়স ৯০ দিন হলে আনুমানিক ৯০ শতাংশ মলা মাছ বিক্রি করে ১০ শতাংশ মলা মাছ তেলাপিয়ার সাথে রেখে দিতে হবে। তারপর তেলাপিয়া সাইজ হওয়ার আগ পর্যন্ত চাষে রেখে দিতে হবে ৫০ কেজি উৎপাদন হওয়ার আগ পর্যন্ত।

প্রকাশ : জানুয়ারী ১৭, ২০২৩ ৭:৫২ পূর্বাহ্ন
বাড়ির ছাদে মুরগি পালনে যা করবেন
পোলট্রি

সাধারণত বাড়ির ছাদে সবজি ও ফল চাষ করা হয়। বর্তমানে বাড়ির ছাদে মাছও চাষ করা হচ্ছে। তবে বাড়ির ছাদে সবচেয়ে সহজ হলো মুরগি পালন করা। গ্রামে বা শহরের বাড়ির ছাদে মুরগি পালন করা যায়।

বাড়ির ছাদে পালন করার জন্য সবচেয়ে উপযোগী হলো মুরগি বা জাপানি কোয়েল পাখি। তবে কবুতর ও তিতির চাষ করা যেতে পারে। বিশেষ করে ছাদে মুরগি পালন করতে হলে ডিম উৎপাদনের জন্য লেয়ার মুরগি পালন করা ভালো। আমাদের দেশে লেয়ার মুরগির বিভিন্ন জাত রয়েছে। ছাদে পালনের উপযোগি কিছু হাইব্রিড জাত হলো লোহম্যান ব্রাউন, হাই-লাইন ব্রাউন, ব্যাবোলনা টেট্রা এস এল, নিক চিক ব্রাউন, বোভানস গোল্ড লাইন, বি. ভি. -৩০০, ইসা ব্রাউন ইত্যাদি।

হাইব্রিড জাতের মুরগি সাড়ে ৪ মাসে ডিম দেওয়া শুরু করে। তা প্রায় দেড় বছর পর্যন্ত দিয়ে থাকে। এতে জাত ভেদে প্রতিটি মুরগি বছরে প্রায় ২৮০-৩৩০টি পর্যন্ত ডিম দিয়ে থাকে।

দুটি ভাগে মুরগি পালন করা যায়। প্রথমে বাচ্চা মুরগি পালন, তারপর বয়স্ক মুরগি পালন। মুরগি পালনের অনেক গুলি পদ্ধতির মধ্যে ছাদে পালনের উপযোগি পদ্ধতি হল ব্যাটারি বা খাঁচা পদ্ধতি। বিশেষভাবে তৈরি খাঁচার ভিতর মুরগি পালন করা হয়। এ খাঁচা মুরগির সংখ্যার উপর নির্ভর করে এক তলা বা বহু তল তৈরি করা হয়। খাঁচা পদ্ধতিতে তুলনামূলক জায়গা কম লাগে এবং পদ্ধতিতে মুরগির রোগজীবাণুর আক্রমণ ও কম হয়। ডিম পাড়া মুরগির জন্য এটি একটি আর্দশ পদ্ধতি।

এই পদ্ধতিতে মুরগি পালন করলে তুলনা মুলক খাদ্য খরচ কম হয় এবং ডিম উৎপাদন বেশি হয়। খাচা তৈরিতে প্রাথমিক খরচ কিছুটা বেশি হয়। তবে একই খাঁচা বার বার ব্যবহার করা যায়।

৩ ফুট লম্বা, ১ ফুট চওড়া, ১.২ ফুট উচ্চতার একটি খাচায় ৬ টা মুরগি পালন করা যায়। এমন তিনটি খাচা একত্র করে একটি তিন তলা বিশিষ্ট খাচা তৈরি করা যায়। যেখানে মোট ১৮ টা মুরগি পালন করা যায়।

নিয়মিত পরিচর্যা এবং রোগবালাই দমন করতে হবে। নিয়মিত মল পরিস্কার করতে হবে, অতিরিক্ত খাবার না দেয়া সদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে, কোন রোগ বালাই বা চাল চলনে সমস্যা আছে কিনা লক্ষ্য রাখা, মুরগির মল তরল এবং চুনার মত কিনা সেদিকে লক্ষ্য রাখা, কোন রোগ বালাই বা সন্দেহজনক কিছু লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত ভেট ডক্টরের পরামর্শ নেয়া।

প্রকাশ : জানুয়ারী ১০, ২০২৩ ১:৫৪ অপরাহ্ন
ভাসমান খাঁচায় মাছ চাষে সিরাজগঞ্জের চাষিদের ভাগ্যবদল!
মৎস্য

অল্প পুঁজিতে বেশি লাভজনক হওয়ায় দিন দিন জনপ্রিয়তা পাচ্ছে নদীতে খাঁচায় মাছ চাষ পদ্ধতি। এই পদ্ধতিতে মাছ চাষে পুকুরে চাষকৃত মাছের চেয়ে খাঁচায় চাষকৃত মাছ বেশি সুস্বাদু হয়। আর প্রবাহমান পানিতে চাষ করলে মাছ বাড়েও তাড়াতাড়ি। তাই সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জের চাষিরা খাঁচা পদ্ধতিতে মাছ চাষ করে নিজের ভাগ্য পরিবর্তন করছেন।

জানা যায়, সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে ফুলজোর নদীতে দিন দিন জনপ্রিয় হচ্ছে খাঁচায় মাছ চাষ। অল্প পুঁজি নিয়ে বেশি লাভবান হওয়া যায় বলে এই পদ্ধতিতে মাছ চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন স্থানীয় মৎস্যজীবী ও বেকার যুবকরা। ফলে দূর হচ্ছে বেকারত্ব।

জানা যায়, সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার ফুলজোর নদীতে বকুলতলা, তিননান্দীনা, নলছিয়া, সাহেবগঞ্জ, ফরিদপুর, রামপুর, ঘুড়কা, বিষ্ণুপুর, ধানগড়া, জয়ানপু, চান্দাইকোনা। এ সব এলাকাজুড়ে বড় বড় খাঁচায় ভাসমান পদ্ধতিতে মাছ চাষ হচ্ছে। নদীর পানি প্রবাহমান থাকার কারণে পানি দূষিত হতে পারে না। আর খাঁচার মাছের উচ্ছিষ্ট খেয়ে নদীর মাছেরও প্রবৃদ্ধি হয়। আর নদীর প্রবাহমান পানিতে মাছ বাড়ে তাড়াতাড়ি তাই বাজারে এর চাহিদাও প্রচুর। পুকুরের মাছ থেকে ভাসমান খাঁচার মাছের স্বাদ ভালো হওয়ায় এই মাছ বিক্রি করে লাভবান মৎস্যচাষিরা।

উপজেলা মৎস অফিস সূত্র মতে, এই উপজেলায় প্রায় ৫১ জন মৎস্যচাষি মোট ১ হাজার ৮০০টি খাঁচায় মাছ চাষ করছেন।

ফরিদপুর গ্রামের মাছচাষী আব্দুস সালাম জানান, পানির গভীরতা ৬ ফুট প্রস্থ ১৫ ফুট ও দৈর্ঘ্য ২০ ফুট থাকে এমন ভাবে বাঁশ, লোহা, ড্রাম ও জাল দিয়ে খাঁচা তৈরি করতে হয়। একেকটি খাঁচা তৈরীতে প্রায় ১০ হাজার টাকা খরচ হয়। প্রতিটি খাঁচায় ৭০০-৮০০ পিস মাছ দেওয়া যায়। মাছ ছাড়ার ৫-৬ মাস পর তা বিক্রির উপযুক্ত হয়। ১ কেজি মাছে উৎপাদন খরচ ১১০ টাকা আর বিক্রি হয় ১৫০ টাকায়। সব খরচ বাদ দিয়ে প্রতিটি খাঁচায় লাভ ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা হয়।

রায়গঞ্জ উপজেলার মৎস্য কর্মকর্তা ড. হাফিজুর রহমান জানান, উপজেলায় নদীর প্রবাহমান পানিতে ভাসমান খাঁচা পদ্ধতিতে মাছ চাষ করে অনেকেই স্বাবলম্বী হয়েছেন। আমরা ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের প্রশিক্ষণ ও সহযোগিতা করে যাচ্ছি। আগামীতে এই পদ্ধতিতে মাছ চাষ ছড়িয়ে দিতে আমরা কাজ করছি।

প্রকাশ : ডিসেম্বর ২৮, ২০২২ ১২:২৮ অপরাহ্ন
সোনাগাজীতে জেলেদের জালে ধরা পড়লো ১০ মণ ওজনের শাপলাপাতা
মৎস্য

ফেনীর সোনাগাজীতে জেলেদের জালে ধরা পড়েছে ১০ মণ ওজনের একটি শাপলাপাতা মাছ।

মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) দুপুরের দিকে ফেনী নদীতে মাছটি ধরা পড়ে। এ সময় উৎসুক মানুষ মাছটি দেখতে সেখানে ভিড় জমান।

জেলে হিরেন্দ্র জল দাস জানান, মঙ্গলবার সকালে তিনিসহ আরও দুজন গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে যান। দুপুরের দিকে তাদের জালে বিশাল আকারের শাপলাপাতা মাছটি আটকা পড়ে। পরে ওজন করে দেখা যায় এর ওজন ১০ মণ।

বিকেলে মাছটি স্থানীয় আড়তে নিয়ে এলে শংকর নামের এক ক্রেতা প্রতি মণ ৮ হাজার টাকা দরে ৮০ হাজার টাকায় কিনে নেন।

প্রকাশ : ডিসেম্বর ২২, ২০২২ ২:২৫ অপরাহ্ন
রৌমারীতে পুকুরের মাছ লুট!
মৎস্য

কুড়িগ্রাম রৌমারীতে একটি পুকুর থেকে মাছ লুট করে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর) উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের ধনারচর সরকারপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কোর্টে ও থানায় ১৪৪ ধারা ও ১০৭ ধারায় মামলা দিয়েও পুকুরের মাছ রক্ষা করতে পারেনি অসহায় পরিবারটি।

পুকুরের মালিক জয়নাল অভিযোগ করে বলেন, আমার ফসলি জমিটি নিচু। সেখানে বছরের ছয় মাস পানি জমে থাকে। বর্ষার মৌসুমে আমি সেখানে মাছ চাষ করি। পৌষ মাসে পানি কমে গেলে মাছ ধরে ইরি-বোরো লাগাই। পুকুরের পানি কমে যাওয়ায় এবার হঠাৎ সঙ্ঘবদ্ধ হয়ে জহুরুল, জাহিদুল, দুদু মিয়া, রুবেল মিয়া, ধলু, গোলে রানী, জহুরা, ওলেদা, আরিফাসহ ৩০/৩৫ জনের একটি দল আমার পুকুরের মাছ লুট করে নিয়ে যায়।

তিনি আরো বলেন, আমি উপায়ান্তর না দেখে রৌমারী থানা পুলিশের সহযোগিতা চাই। পুলিশ এসে তাদের তাড়িয়ে দেয়। কিন্তু যাওয়ার সময় তারা শিকার করা মাছগুলো নিয়ে যায়। প্রায় এক ঘণ্টা মাছ ধরার কারণে পুকুর প্রায় মাছশূন্য হয়ে পড়েছে।

জয়নাল আরো বলেন, ১৯৮২ সালে বদিউজ্জানের কাছ থেকে মোট ২৯ শতক জমি ক্রয় করি। এর খারিজ খাজনা পরিশোধিত। ওই জমি থেকে ভুলক্রমে জহুরার বিক্রিত ১৫ শতক জমি বদিউজ্জানের নামে নথিভুক্ত হয়। এ ভুল সংশোধনের জন্য কুড়িগ্রাম কোর্টে সিভিল করেছেন বলেও জানান তিনি। ওই মামলা চলমান আছে। এ ভুল নথির কারণে বিবাদী জাহিদুল ইসলাম গং দফায় দফায় বিক্রিত জমির ফসল, মাছ ও জমির ভোগ দখলে মরিয়া হয়ে উঠেছে।

প্রকাশ : ডিসেম্বর ২২, ২০২২ ১০:৩৭ পূর্বাহ্ন
ফুলজোর নদীতে জনপ্রিয় হচ্ছে খাঁচায় মাছ চাষ
মৎস্য

সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে ফুলজোর নদীতে দিন দিন জনপ্রিয় হচ্ছে খাঁচায় মাছ চাষ পদ্ধতি। অল্প পুঁজিতে বেশি লাভজনক হওয়ায় নতুন এই পদ্ধতিতে মাছ চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন স্থানীয় মৎস্যজীবী ও বেকার যুবকরা। যার ফলে দেখা দিয়েছে নতুন কর্মসংস্থানের। এই পদ্ধতিতে মাছ চাষ করে ভাগ্য পরিবর্তন হয়েছে অনেকেরই।

উপজেলা মৎস অফিস সূত্রে জানা যায়, মোট এক হাজার ৮০০টি খাঁচায় মাছ চাষ হয়। খামারীর সংখ্যা ৫১ জন।

জানা যায়, উপজেলার ফুলজোর নদীতে বকুলতলা, তিননান্দীনা, নলছিয়া, সাহেবগঞ্জ, ফরিদপুর, রামপুর, ঘুড়কা, বিষ্ণুপুর, ধানগড়া, জয়ানপু, চান্দাইকোনা। এ সব এলাকাজুড়ে বড় বড় খাঁচায় ভাসমান পদ্ধতিতে মাছ চাষ করছেন। খাঁচায় মাছ চাষ করলে মাছের বর্জ্য প্রবাহমান পানির সাথে অপসারিত হয় বিধায় পানিকে দূষিত করতে পারেনা। মাছের উচ্ছিষ্ট খাদ্য খেয়ে নদীর প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজাতির প্রাচুর্য বৃদ্ধি পায়। প্রবাহমান পানি থাকায় খাঁচার অভ্যন্তরের পরিবর্তন হতে থাকে ফলে পুকুরের চেয়ে অধিক ঘনত্বে মাছ চাষ করা যায়। পুকুরে চাষকৃত মাছের চেয়ে খাঁচায় চাষকৃত মাছ বেশি সুস্বাদু হয়।

ফরিদপুর গ্রামের মাছচাষী আব্দুস সালাম জানান বাঁশ, লোহা, ড্রাম ও জাল দিয়ে খাঁচা তৈরি করতে হয়। পানির গভীরতা ৬ ফুট প্রস্থ ১৫ ফুট ও দৈর্ঘ্য ২০ ফুট এমন খাঁচা তৈরি করেন অধিকাংশরাই। প্রতিটি খাঁচা তৈরিতে খরচ ১০ হাজার টাকা। প্রতিটি খাঁচায় মাছ দেয়া হয় সাত শ’ থেকে আট শ’ পিছ। পাঁচ থেকে ছয় মাস পর মাছ বিক্রি করা হয়। এক কেজি মাছে উৎপাদন খরচ একশ ১০ টাকা আর বিক্রি হয় একশ ৫০ টাকা। সব খরচ বাদ দিয়ে প্রতিটি খাঁচায় লাভ ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা হয়। এই পদ্ধতিতে মাছ চাষ করে স্বাবলম্বী হচ্ছেন স্থানীয় বেকার যুবকরা।

রায়গঞ্জ উপজেলার মৎস্য কর্মকর্তা ড. হাফিজুর রহমান জানান, উপজেলার নদী-খালবিল সকল উন্মুক্ত জলাশয়ে মনোসেক্স তেলাপিয়া মাছ চাষ পদ্ধতি ছড়িয়ে দিতে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের প্রশিক্ষণ ও সহযোগিতা করে যাচ্ছি। আশা করছি আগামী বছরে খাঁচায় মাছ চাষ আরো বৃদ্ধি পাবে।

প্রকাশ : ডিসেম্বর ২০, ২০২২ ৩:৫৬ অপরাহ্ন
ঘরের আঙ্গিনায় মাছ চাষ
মৎস্য

কুড়িগ্রামের রাজারহাটে বসত ঘরের আঙ্গিনায় ‘বায়োফ্লক’মাছ চাষ করে সাড়া ফেলেছেন এক মাদ্রাসা শিক্ষক আব্দুল মমিন। শিক্ষকতার পাশাপাশি অবসর সময়ে সখের বশে আঙ্গিনায় মাছ চাষের পরিকল্পনা করেন। যেমন ভাবনা তেমন কাজ শুরু করেন। 

রাজারহাট সদর ইউনিয়নের খালিসা (কৈলাশ কুটি) গ্রামের শিক্ষক আব্দুল মমিন (৪৫) ২০২১ সালে আঙ্গিনা এক শতাংশ জমিতে মাছ চাষ করে সফলতার মুখ দেখেন। পরবর্তীতে আরও প্রায় তিন শতাংশ বাহির আঙ্গিনায় তিনি এই পদ্ধতিতে মাছ চাষ শুরু করেন।

শিক্ষক আব্দুল মমিন বলেন, মূলত তিনি থাই কই এবং টেংরা মাছ চাষ করেছেন। প্রজেক্টে তার তিন থেকে সাড়ে তিন লাখ টাকা খরচ হয়েছে। পর্যায়ক্রমে তিনি লাভ করতে থাকেন। তার এই প্রজেক্ট দেখতে প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ বিশেষ করে তরুণরা ভিড় করতেছেন। তার দেখাদেখি এলাকার অনেক বেকার যুবক এই ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।এছাড়া তার একটি ব্রয়লার খামার রয়েছে।

উপজেলা মৎস কর্মকর্তা মো. আরিফুল আলম বলেন, উপজেলার সদর ইউনিয়নের খালিসা (কৈলাশ কুটি) গ্রামের বাড়ির আঙ্গিনায় ‘বায়োফ্লক’ পদ্ধতিতে মাছ চাষ করছেন তা আমি দেখেছি এবং নিয়মিত খোঁজ খবর ও কারিগরি পরামর্শ দিতেছি। এটা এলাকার বেকার যুবকদের জন্য অনুকরণীয় হতে পারে। সরকার থেকে কোনো ধরনের প্রনোদনা আসলে তার সহায়তার ব্যাপারে সব ধরনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop