২:৩১ পূর্বাহ্ন

সোমবার, ২০ মে , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : মার্চ ১৫, ২০২২ ৩:৫৪ অপরাহ্ন
গুণগতমানের মৎস্য রপ্তানির পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার- মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
প্রাণিসম্পদ

আন্তর্জাতিক বাজারের চাহিদা অনুযায়ী গুণগতমানের মৎস্য রপ্তানির লক্ষ্যে সরকার নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

গতকাল সোমবার (১৪ মার্চ) যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টনে গ্লোবাল সি ফুড অ্যালায়েন্স আয়োজিত সি ফুড এক্সপো নর্থ আমেরিকা (SENA) এর অন্যতম ইভেন্ট ‘রিভাইটালাইজিং ব্ল্যাক টাইগার শ্রিম্প’ শীর্ষক উপস্থাপনা ও আলোচনা সভায় অংশ নিয়ে মন্ত্রী এ কথা জানান।

বাংলাদেশের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শ্যামল চন্দ্র কর্মকার, নিউইয়র্কে বাংলাদেশের কনস্যুলেট জেনারেল মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম, গ্লোবাল সি ফুড অ্যালায়েন্সের সভাপতি জর্জ চেম্বারলিন, বাংলাদেশ চিংড়ি ও মৎস্য ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ মাহমুদুল হক প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় মন্ত্রী আরো বলেন, “বাংলাদেশে মৎস্যসম্পদের অধিক উৎপাদন ও গুণগতমান নিশ্চিতের জন্য সরকারের উদ্যোগে অবকাঠামো উন্নয়ন, রোগমুক্ত পোনা সরবরাহ, আন্তর্জাতিক মানের মাননিয়ন্ত্রণ ল্যাবরেটরি স্থাপন ও পরিচালনা, প্রয়োজনীয় আইন প্রণয়ন ও প্রয়োগ করা হচ্ছে। মৎস্য ও মৎস্য পণ্য (পরিদর্শন ও মাননিয়ন্ত্রণ) আইন ২০২০ শিরোনামে সরকার নতুন আইন প্রণয়ন করেছে। বাগদা চিংড়ির গুণগতমান নিশ্চিতের জন্য রোগমুক্ত চিংড়ি পোনা উৎপাদন ও সরবরাহ, বিজ্ঞানসম্মত উত্তম মৎস্যচাষ পদ্ধতি অনুসরণ ও আইনের কঠোর প্রয়োগসহ নানা কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। চিংড়ি চাষ ও প্রক্রিয়াকরণে ‘ফিশ এন্ড ফিশারি প্রোডাক্টস অফিসিয়াল কন্ট্রোল প্রটোকল’ ও ‘অ্যাকুয়াকালচার মেডিসিনাল প্রোডাক্টস নিয়ন্ত্রণ নির্দেশিকা’ প্রণয়ন ও অনুসরণ করা হচ্ছে। এছাড়া চিংড়ি চাষিদের উৎপাদন সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় সহায়তা এবং চিংড়ি চাষে গুচ্ছ চাষ পদ্ধতির উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে”।

এ সময় মন্ত্রী আন্তর্জাতিক বাজারে বাংলাদেশের বাগদা চিংড়ির উচ্চমূল্য প্রাপ্তির লক্ষ্যে চিংড়ির থার্ড পার্টি সার্টিফিকেশন প্রবর্তনের জন্য গ্লোবাল সি ফুড অ্যালায়েন্সসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্যদের সহযোগিতা কামনা করেন।

আলোচনা পর্বে অংশগ্রহণের জন্য বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা বাংলাদেশের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রীকে অভিনন্দন জানান।

পরে মন্ত্রী ‘রিভাইটালাইজেশন অব ব্ল্যাক টাইগার শ্রিম্প কমিউনিটি’ নামক একটি ওয়েব পোর্টালের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।

প্রকাশ : মার্চ ৫, ২০২২ ১১:২০ পূর্বাহ্ন
মাছ, মাংস ও ডিমের উৎপাদন রপ্তানির পর্যায়ে পৌঁছেছে- মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
প্রাণিসম্পদ

মাছ, মাংস ও ডিমের উৎপাদন বিদেশে রপ্তানির পর্যায়ে পৌঁছেছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

শুক্রবার (০৪ মার্চ) বিকেলে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে দীপ্ত টেলিভিশনের স্টুডিওতে এসিআই দীপ্ত কৃষি অ্যাওয়ার্ড ২০২১ প্রদান অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা জানান।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক। বাংলাদেশ নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি, বাংলাদেশে নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মুস্তাফা ওসমান তুরান, সংসদ সদস্য মমতাজ বেগম, দীপ্ত টিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী জাহেদুল হাসান, এসিআই এগ্রিবিজনেসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. এফ এইচ আনসারী প্রমুখ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় মন্ত্রী আরো বলেন, “কৃষি বাঙালির প্রাণ। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলেছিলেন, বাংলাদেশকে বাঁচাতে হলে কৃষককে বাঁচাতে হবে। আর কৃষকের প্রাণ হচ্ছে কৃষি। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ কৃষির একটি বড় খাত। এ খাতে আমরা অনন্য উচ্চতায় পৌঁছেছি। মাছ, মাংস ও ডিম উৎপাদনে শুধু স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনই নয়, আমরা এখন বিদেশে রপ্তানির পর্যায়ে পৌঁছেছি”।

তিনি আরো বলেন, “পুষ্টি ও আমিষের চাহিদা মেটানো, বেকারত্ব দূর করা, কর্মোদ্যোক্তা তৈরি করা এবং নতুন আঙ্গিকে গ্রামীণ অর্থনীতি সচল রাখার ক্ষেত্রে কৃষি, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাত ব্যাপক ভুমিকা পালন করছে। সে ভূমিকার সফল ও সার্থক ক্যাপ্টেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অনন্য উচ্চতায় বাংলাদেশের অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রায় শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার জন্য সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে”।

অনুষ্ঠানে সেরা মাঠ ফসল উৎপাদনকারী কৃষক, সেরা গবাদিপশুর খামারি, সেরা ফল বাগানি, সেরা সমবায় কৃষি, সেরা সবজি চাষি, সেরা পোল্ট্রি খামারি, সেরা মৎস্য চাষি, সেরা কৃষি উদ্ভাবক, সেরা কৃষি উদ্যোক্তা নারী ও সেরা কৃষি উদ্যোক্তা পুরুষসহ মোট ১০টি শ্রেণিতে কৃষি উদ্যোক্তা, খামারি ও উদ্ভাবকদের পুরস্কৃত করা হয়।

প্রকাশ : মার্চ ৩, ২০২২ ৪:২৬ অপরাহ্ন
গবেষণায় বিএলআরআইকে আধুনিক ও উন্নত পদ্ধতি সন্নিবেশ করতে হবে- মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
প্রাণিসম্পদ

গবেষণায় বিএলআরআইকে সনাতনী পদ্ধতি বদলে ফেলে আধুনিক ও উন্নত পদ্ধতি সন্নিবেশ করতে হবে বলে আহ্বান জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

বৃহস্পতিবার (৩ মার্চ) দুপুরে সচিবালয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএলআরআই) এর পরিচালনা বোর্ডের ৪৪ তম সভায় সভাপতির বক্তব্য মন্ত্রী এ আহ্বান জানান।

এসময় তিনি আরো বলেন, “আমাদের গবেষণালবদ্ধ ফলাফলের মাধ্যমে উৎপাদিত সামগ্রী গবেষণা প্রতিষ্ঠানের নামের সাথে সংযুক্ত করে নামকরণ করতে হবে। তা না হলে গবেষণার ফলাফল, কৃতিত্ব কিছুই আমাদের নামে থাকবে না”।

মার্চ বাঙালি জাতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি মাস উল্লেখ করে মন্ত্রী আরো যোগ করেন, “জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ মুক্তির সংগ্রামের জন্য ডাক দেন। কার্যত এ দিন থেকেই বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতিকে স্বাধীনতার মন্ত্রে উদ্বুদ্ধ করেন। পরবর্তীতে ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে আনুষ্ঠানিকভাবে বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। অন্যদিকে ১৭ মার্চ আমাদের জাতির পিতার জন্ম দিবস। এ মাসে লক্ষ্য থাকবে বিএলআরআইসহ আমাদের সব প্রতিষ্ঠানকে আধুনিক, উন্নত, সমৃদ্ধ ও বিকশিত প্রতিষ্ঠানে পরিণত করা। এসব প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ, পদোন্নতি ও ক্রয় প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার বিষয়ে গুরুত্ব দিতে হবে”।


বিএলআরআই এর বিজ্ঞানী ও গবেষকদের উদ্দেশে এ সময় মন্ত্রী বলেন, “গতানুগতিক গবেষণা নয়, গবেষণা হতে হবে নতুনত্ব সামনে নিয়ে আসার জন্য। গবেষণার গতি স্তিমিত হতে পারবে না। দেশের উন্নয়নের গতি বজায় রাখতে বিএলআরআই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান। এ প্রতিষ্ঠানের গবেষণায় সনাতনী পদ্ধতি বদলে ফেলে আধুনিক ও উন্নত পদ্ধতি সন্নিবেশ করতে হবে। গবেষণার নতুন নতুন দ্বার উন্মোচন করতে হবে”।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ও বিএলআরআই এর পরিচালনা বোর্ডের সদস্য মোছাঃ শামীমা আক্তার খানম এমপি, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ও বোর্ডের ভাইসচেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী, পরিকল্পনা কমিশনের কৃষি, পানিসম্পদ ও পল্লী প্রতিষ্ঠান বিভাগের সদস্য ও বোর্ড সদস্য শরিফা খান, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও বোর্ড সদস্য ড. লুৎফুল হাসান, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান ও বোর্ড সদস্য ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও বোর্ড সদস্য ডা. মনজুর মোহাম্মদ শাহজাদা, বিএলআরআই এর প্রাক্তন মহাপরিচালক ও বোর্ড সদস্য ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম, প্যারাগণ গ্রুপ লিমিটেডের পরিচালক ও বোর্ড সদস্য ইয়াসমিন রহমান, বিএলআরআই এর প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও বোর্ড সদস্য ড. মো. জিল্লুর রহমান এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণারয়ের অতিরিক্ত সচিব সুবোল বোস মনি ও এস এম ফেরদৌস আলম সভায় যোগদান করেন।

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ২৮, ২০২২ ৪:৪১ অপরাহ্ন
দক্ষ জনশক্তি তৈরির শিক্ষা বিস্তারে কাজ করছে সরকার- শ ম রেজাউল করিম
প্রাণিসম্পদ

শুধু সার্টিফিকেট নির্ভর শিক্ষা নয় বরং দক্ষ জনশক্তি তৈরির শিক্ষা বিস্তারের লক্ষ্য নিয়ে সরকার কাজ করে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম এমপি।

সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলার শ্রীরামকাঠী ইউনিয়নে শ্রীরামকাঠী মহাবিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন উপলক্ষ্যে আয়োজিত সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা জানান।

শ্রীরামকাঠী মহাবিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি এস এম রোকনুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে নাজিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ আব্দুল্লাহ সাদীদ, নাজিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির, শ্রীরামকাঠী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলতাফ বেপারী, পিরোজপুর জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার ও জেলা আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক গৌতম নারায়ণ রায় চৌধুরী, জেলা যুবলীগের সহসভাপতি জাহিদ হোসেন পিরু, জেলা কৃষকলীগের সভাপতি চান মিয়া মাঝি, জেলা আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগের আহ্বায়ক শিকদার চান, স্থানীয় অন্যান্য ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানগণ এবং আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় মন্ত্রী বলেন, “উন্নয়নের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে হলে শিক্ষা বিস্তারের কোন বিকল্প নেই। শেখ হাসিনা শিক্ষাবান্ধব সরকারের প্রধানমন্ত্রী। তাঁর নেতৃত্বে বাংলাদেশে প্রথম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন হয়েছে। তাঁর নেতৃত্বাধীন সরকারের উদ্যোগে দেশের বিভিন্ন বিভাগে ও জেলায় মেডিকেল কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিটি জেলায় মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা রয়েছে। প্রতিটি বিভাগে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের পরিকল্পনাও রয়েছে তাঁর। তিনি প্রতি জেলায় সরকারি পর্যায়ে আধুনিক মডেল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান করে দেবেন”।

তিনি আরো বলেন, “শিক্ষা বিস্তারে এতো অর্থ বরাদ্দ দেশের ইতিহাসে অতীতের কোন সরকার দেয়নি। যেটা শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার দিয়েছে। শেখ হাসিনা শিক্ষকদের মর্যাদা দিয়েছেন। তিনি মনে করেন শিক্ষকরা জাতি গড়ার কারিগর। তাদের পেছনে রেখে একটি জাতি সামনে এগিয়ে যেতে পারে না”।

শ ম রেজাউল করিম আরো বলেন, “আমরা শিক্ষানির্ভর, আধুনিক ও বিজ্ঞানমনস্ক জাতি গঠন করতে চাই। শুধু সার্টিফিকেট নির্ভর শিক্ষা নয় বরং শিক্ষার মাধ্যমে দক্ষ জনশক্তি তৈরি করতে হবে। যে শিক্ষা একজন ব্যক্তিকে কারিগরিভাবে সক্ষম করে তুলবে, স্বাবলম্বী করে তুলবে, কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে। সে লক্ষ্য নিয়ে সরকার কাজ করছে”।

এর আগে মন্ত্রী পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলায় শ্রীরামকাঠী ইউপি-কালীবাড়ি হাট সড়ক কার্পেটিং দ্বারা উন্নয়ন কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন, শ্রীরামকাঠী ইউনিয়ন পরিষদের সন্নিকটে বক্স কালভার্ট নির্মাণ কাজের উদ্বোধন এবং শ্রীরামকাঠী মহাবিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ২৭, ২০২২ ৪:৩৬ অপরাহ্ন
উন্নয়ন অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে শেখ হাসিনার পাশে থাকতে হবে- শ ম রেজাউল করিম
প্রাণিসম্পদ

দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে শেখ হাসিনার পাশে থাকার আহ্বান জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম এমপি।

রবিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) পিরোজপুর সদর উপজেলার শিকদারমল্লিক ইউনিয়নের দক্ষিণ গাবতলা মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত উন্নয়ন সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ আহ্বান জানান।

পিরোজপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক চৌধুরী রওশন ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে পিরোজপুরের স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আব্দুস সাত্তার হাওলাদার, পিরোজপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাসুদুজ্জামান, পিরোজপুর জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার ও জেলা আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক গৌতম নারায়ণ রায় চৌধুরী, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য কামরুজ্জামান খান শামীম, পিরোজপুর সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান এস এম বায়েজীদ হোসেন, জেলা যুবলীগের সহসভাপতি জাহিদ হোসেন পিরু, জেলা কৃষকলীগের সভাপতি চান মিয়া মাঝি, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক গোপাল বসু, জেলা আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগের আহ্বায়ক শিকদার চানসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

মন্ত্রী আরো বলেন, “বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার জন্য দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে উন্নয়ন হচ্ছে। তিনি না থাকলে পদ্মা সেতু তৈরি হতো না, রাস্তা-ঘাট, ব্রিজ-কালভার্ট, স্কুল ভবন নির্মাণ হতো না। তিনি না থাকলে দক্ষিণাঞ্চলসহ উন্নয়নবঞ্চিত অঞ্চলের উন্নয়ন হতো না”।

কেন শেখ হাসিনার সাথে থাকবেন না এই প্রশ্ন রেখে এ সময় মন্ত্রী আরো বলেন, “শেখ হাসিনা করোনার সময় ত্রাণ পৌঁছে দিয়েছেন, বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষকে নগদ প্রণোদনা দিয়েছেন, ভ্যাকসিন পৌঁছে দিয়েছেন। তিনি বাড়ি বাড়ি বিদ্যুৎ পৌঁছে দিচ্ছেন, রাস্তাঘাট, ব্রিজ-কালভার্ট করে দিচ্ছেন। মসজিদ-মন্দিরের উন্নয়নে ভূমিকা রাখছেন। তিনি শিক্ষার্থীদের বিনা বেতনে পড়াচ্ছেন, বিনামূল্যে বই সরবরাহ করছেন। তিনি নারীর ক্ষমতায়নে কাজ করে যাচ্ছেন। অতীতে খালেদা জিয়াও প্রধানমন্ত্রী ছিলেন অনেকবার। তিনি এ ধরনের কর্মসূচি নেননি। যিনি উন্নয়ন করেছেন তার সাথেই থাকতে হবে, যার কাছে নিরাপদ আশ্রয় তাকেই ভালবাসতে হবে”।

শ ম রেজাউল করিম আরো বলেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন দেশে একজন লোকও গৃহহীন থাকবে না। এ সাহস অনেক দেশের মানুষই দেখাতে পারেনি, বাংলাদেশেও ৫০ বছরে কেউ দেখাতে পারেনি যেটা শেখ হাসিনা দেখিয়েছেন। দেশ স্বাধীন না হলে এটা সম্ভব হতো না। স্বাধীনতার জন্য যে বীর মুক্তিযোদ্ধারা ত্যাগ স্বীকার করেছেন একসময় তারা অবহেলায় ছিলেন। শেখ হাসিনা করোনার মধ্যেও মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা বাড়িয়েছেন। অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বীর নিবাস করে দিচ্ছেন”।

তিনি আরো যোগ করেন, “বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর দেশে স্বাধীনতাবিরোধী, রাজাকারদের প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করে দেখিয়েছেন বাংলাদেশে রাজাকারদের ঠাঁই হবে না। তবে মনে রাখতে হবে আবার স্বাধীনতাবিরোধীরা যেন মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে। শেখ হাসিনা দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের জন্য পদ্মা সেতু দিয়েছেন। যিনি আমাদের ভালোবাসেন, সুখ-দুঃখ বুঝেন, তার উপরই নির্ভর করা যায়। শেখ হাসিনা থাকলে আমাদের সব ঠিক থাকবে। আর তিনি না থাকলে আবার তাসের ঘরের মতো উন্নয়নের অগ্রযাত্রা নষ্ট হয়ে যাবে। শেখ হাসিনা বাঙালি জাতির জন্য আশীর্বাদ”।

এর আগে মন্ত্রী পিরোজপুর সদর উপজেলার শিকদারমল্লিক ইউনিয়নে পাঁচপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, গণকপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও দক্ষিণ গাবতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নবনির্মিত ভবন এবং দক্ষিণ জয়পুর রাস্তায় খালের উপর নির্মিত আরসিসি গার্ডার ব্রিজ উদ্বোধন করেন।

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ২৩, ২০২২ ৪:৩০ অপরাহ্ন
দেশীয় প্রজাতির মাছ সংরক্ষণে সরকার কাজ করছে- মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
প্রাণিসম্পদ

দেশীয় প্রজাতির মাছ সংরক্ষণে সরকার কাজ করছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

বুধবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) পিরোজপুর সদর উপজেলা পরিষদের শহীদ ওমর ফারুক মিলনায়তনে মৎস্য অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন দেশীয় প্রজাতির মাছ এবং শামুক সংরক্ষণ ও উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় আয়োজিত উদ্বুদ্ধকরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

এসময় মন্ত্রী বলেন, “দেশি মাছ সংরক্ষণের সরকার কাজ করছে। দেশে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ হারিয়ে যাচ্ছিল। এ মাছ সংরক্ষণের সরকার উদ্যোগ নিয়েছে। বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানীরা হারিয়ে যাওয়া ৩১ প্রজাতির মাছ গবেষণার মাধ্যমে নতুন করে ফিরিয়ে এনেছে। দেশীয় মাছ সংরক্ষণে লাইভ জিন ব্যাংক করা হয়েছে। দেশের কোন প্রান্তে দেশীয় মাছের সংকট দেখা দিলে জিন ব্যাংক থেকে মাছের পোনা এনে সংকটাপন্ন এলাকায় অবমুক্ত করা হবে। এতে কোনঅঞ্চলে হারিয়ে যাওয়া মাছ আবার ফিরে আসবে। এটা সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সুপরিকল্পিতভাবে মৎস্যসম্পদকে সামনে এগিয়ে নিয়ে আসার কারণে।

তিনি আরো বলেন, “মৎস্যজীবীদের উদ্দেশ্যে বলবো পোনা মাছ যেন কেউ আহরণ না করে। সবাইকে খেয়াল রাখতে হবে ছোট মাছ যেন নষ্ট না হয়ে যায়। মৎস্য খাতকে সবাই মিলে যত্নের সাথে লালন করতে হবে। দেশীয় মাছ ও শামুক যেন কোনভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে”।

অনুষ্ঠানে মন্ত্রী আরো বলেন, “একটা মা ইলিশ পাঁচ থেকে ছয় লক্ষ ডিম দেয়। সরকারের উদ্যোগে মা ইলিশ ও জাটকা নিধন বন্ধ করার কারণে এখন সারাদেশে বড় বড় ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে। শীত মৌসুমেও ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে। সরকারের উদ্যোগে মৎস্য আহরণ বন্ধ থাকাকালে মৎস্যজীবী ও  জেলেদের  মাছ ধরা থেকে বিরত থাকতে হবে”।

পিরোজপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বশির আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পিরোজপুরের পুলিশ সুপার  মোহাম্মদ সাঈদুর রহমান ও বরিশাল বিভাগীয় মৎস্য দপ্তরের উপপরিচালক মো. আনিছুর রহমান তালুকদার। মৎস্য ও  প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব ড. আবু নঈম মুহাম্মদ আবদুছ ছবুর, পিরোজপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. হুমায়ুন কবীর, মৎস্য অধিদপ্তরের ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের পরিচালক মো. জিয়া হায়দার চৌধুরী, দেশীয় প্রজাতির মাছ এবং শামুক সংরক্ষণ ও উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালক এস এম আশিকুর রহমান, পিরোজপুর জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার গৌতম নারায়ণ রায় চৌধুরীসহ স্থানীয় রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

পরে মন্ত্রী পিরোজপুর সদর উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে মৎস্য অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের আওতায় জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থানের মাধ্যমে স্বাবলম্বী করতে গাভী বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন। এরপর তিনি সদর উপজেলা পরিষদের শহীদ ওমর ফারুক মিলনায়তনে ৪৩তম জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত বিজ্ঞান মেলা, ষষ্ঠ জাতীয় বিজ্ঞান অলিম্পিয়াড এবং বিজ্ঞান বিষয়ক অনলাইন কুইজ প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন।

 

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ২১, ২০২২ ৩:৪৬ অপরাহ্ন
বাংলা ভাষার বিজয় না হলে বাঙালি জাতীয়তাবাদ সৃষ্টি হতো না- শ ম রেজাউল করিম
প্রাণিসম্পদ

বাংলা ভাষার বিজয় না হলে বাঙালি জাতীয়তাবাদ সৃষ্টি হতো না বলে মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

সোমবার (২১ ফেব্রুয়ারি) মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ২০২২ উপলক্ষ্যে পিরোজপুর জেলা প্রশাসন আয়োজিত আলোচনা সভায় রাজধানীর বেইলি রোডের সরকারি বাসভবন থেকে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।

পিরোজপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহেদুর রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পিরোজপুরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাঈদুর রহমান ও পিরোজপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ হাকিম হাওলাদার। পিরোজপুরের সিভিল সার্জন ডা. হাসনাত ইউসুফ জাকি, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রেবেকা খান, পিরোজপুর জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার গৌতম নারায়ণ রায় চৌধুরী, পিরোজপুর জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক গোপাল বসুসহ জেলার বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তাগণ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

মন্ত্রী আরো যোগ করেন, “যারা আমাদের ভাষা কেড়ে নিতে চেয়েছিল, আমাদের পরাধীনতার শৃঙ্খলে আবদ্ধ রাখতে চেয়েছিল, যারা শাসনের নামে শোষণ করেছিল সেই পাকিস্তানীদের প্রেতাত্মা এখনো বিভিন্ন সময়ে দেশে মাথাচাড়া দিয়ে উঠে। কখনো জামায়াত ইসলামের নামে, কখনো হেফাজতের নামে, কখনো জঙ্গী হিসেবে তাদের উত্থান হয়। তারা বলে দেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ থাকতে পারবে না, তারা ইসলামের অপব্যাখ্যা করে, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করার জন্য ঘৃণ্য ষড়যন্ত্র করে। এরা দেশে ও দেশের বাইরে এখনো ষড়যন্ত্র করছে। যে বাংলা ভাষার ভিত্তিতে বাঙালি জাতীয়তাবাদ সৃষ্টি হয়েছে, যে বাঙালি জাতীয়তাবাদ ঘিরে বাংলাদেশে স্বাধিকার আন্দোলন এবং পরিণতিতে জনগণের রায় নিয়ে স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ সৃষ্টি হয়েছে, সে বাংলাদেশ যেন আবার স্বাধীনতার পরাজিত শত্রুদের খপ্পরে না পড়ে সে জন্য মাতৃভাষা দিবসের প্রতিজ্ঞা নিতে হবে”।

আলোচনা সভায় মন্ত্রী আরো বলেন, “বাংলা ভাষার বিজয় না হলে বাঙালি জাতীয়তাবাদ সৃষ্টি হতো না। আমাদের জাতীয়তাবাদ সৃষ্টি হয়েছিল বাংলা ভাষার ভিত্তিতে। সে জাতীয়তাবাদ ঘিরেই আমাদের দীর্ঘদিনের সংগ্রাম। যে সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ পৃথিবীর বুকে স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। আপাদমস্তক বাঙালিত্ব ধারণ করা বঙ্গবন্ধু বাঙালিদের জাতীয়তাবাদে উদ্বুদ্ধ করে অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য একক ব্যক্তিত্বে পরিণত হয়েছিলেন”।

তিনি আরো বলেন, “জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ভাষা আন্দোলনের সূচনা সময়ে সম্পৃক্ত হয়ে বারবার গ্রেফতার হন ও কারাবরণ করেন। তিনি মাতৃভাষা বাংলা রক্ষার জন্য ভাষা সংগ্রামীদের সাথে নিয়ে অসীম সাহসী ভূমিকা রেখেছিলেন। ভাষা সংগ্রামীদের লক্ষ্য ছিল মাতৃভাষা রক্ষার মাধ্যমে বাঙালির নিজস্ব পরিচয়, সংস্কৃতি, কৃষ্টি, ইতিহাস, ঐতিহ্য ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করা। পাকিস্তানিরা চেয়েছিল রাষ্ট্রভাষা হবে উর্দু। তাদের সাথে এ দেশীয় কিছু দোসরও সেদিন মায়ের ভাষা ধ্বংস করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছিল”।

প্রধান অতিথি আরো বলেন, “বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য উত্তরসূরি শেখ হাসিনার প্রচেষ্টায় একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে পরিণত হয়েছে। আজ বাংলা ভাষাকে জাতিসংঘের অন্যতম দাপ্তরিক ভাষা করার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হচ্ছে। বাংলা ভাষায় পৃথিবীর অনেক স্থান ও দপ্তরের নামকরণ করা হয়েছে। বাঙালি জাতি বিশ্বে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস সৃষ্টির পাথেয় হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর ধারাবাহিকতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘে বাংলায় ভাষণ প্রদান অব্যাহত রেখেছেন। আমাদের বাংলা ভাষা আজ বিদেশীরা শিখছে ও চর্চা করছে। বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডে ছড়িয়ে পড়ছে বাংলা ভাষা”।

“রাষ্ট্রপ্রধান শেখ হাসিনা বলেন আদালত-দপ্তরসহ সর্বত্র বাংলা ভাষার ব্যবহার পরিপূর্ণভাবে করতে হবে। আমাদের আঞ্চলিক ভাষাসমূহ সংরক্ষণ করতে হবে, টিকিয়ে রাখতে হবে”-যোগ করেন মন্ত্রী।

শ ম রেজাউল করিম আরো বলেন, “শুদ্ধ বাংলা উচ্চারণ আমাদের অনিবার্য প্রয়োজন। অর্ধেক বাংলা, অর্ধেক ইংরেজি অথবা বাংলাকে ব্যঙ্গ বিদ্রুপ করে উচ্চারণ বন্ধ করতে হবে। সন্তানদের পরিমার্জিত ও পরিশীলিত বাংলা শেখাতে হবে। আমাদের বাঙালিত্ব, ঐতিহ্য ও কৃষ্টি ধরে রাখতে হবে। তবেই আমাদের ভাষা শহিদদের ত্যাগ স্বীকার ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন সার্থক হবে”।

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ১৬, ২০২২ ৪:২৩ অপরাহ্ন
প্রাণিসম্পদ খাত হবে দেশের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের অন্যতম খাত- মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
প্রাণিসম্পদ

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, “প্রাণিসম্পদ খাত হবে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের অন্যতম বৃহত্তর খাত। এ খাত হবে দেশের অর্থনীতি শক্তিশালী জায়গায় নিয়ে যাওয়ার একটি খাত। এ খাত হবে দেশের মানুষের খাবারের চাহিদা মেটানোর সবচেয়ে বড় একটি খাত। এ লক্ষ্য নিয়ে সরকার কাজ করছে”।

বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর শের-ই-বাংলা নগরস্থ পুরাতন বাণিজ্য মেলা মাঠে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় আয়োজিত ‘প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী, ২০২২’ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মনজুর মোহাম্মদ শাহজাদার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী। স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালক মো. আব্দুর রহিম। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ প্রতিনিধি ক্রিশ্চিয়ান বার্জার, এসিআই এগ্রিবিজনেসের প্রধান নিবার্হী কর্মকর্তা ড. এফ এইচ আনসারী, বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিলের সভাপতি মো. মশিউর রহমান ও বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মারস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোঃ ইমরান হোসেন বক্তব্য প্রদান করেন।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর ও মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন অন্যান্য দপ্তর-সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, প্রাণিসম্পদ খাতের বিজ্ঞানী-গবেষক, উদ্যোক্তা,রং ও খামারিগণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে মন্ত্রী আরো বলেন, “রাষ্ট্র প্রাণিসম্পদ খাতকে উদারভাবে পৃষ্ঠপোষকতা দিচ্ছে। করোনায় যখন এ খাত নুয়ে পড়ছিল, তখন সরকারের উদ্যোগে বিদেশ থেকে পোল্ট্রি ফিড, ফিশ ফিড ও এনিমেল ফিড আনার জন্য সরাসরি বিভিন্ন দেশের হাইকমিশন ও বন্দরে যোগাযোগ করা হয়েছে, পরিবহন সহজ ও উন্মুক্ত করাসহ সর্বত্র ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। পোল্ট্রি ও ডেইরি খাতে যারা শিল্প স্থাপন করতে চায় তাদের জন্য উৎসে কর এবং অপ্রয়োজনীয় কর অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে, যাতে এ খাত বিকশিত হতে পারে। শুধু সরকারের পক্ষে একা সব কিছু করা সম্ভব নয়। সরকার পদ্ধতি নির্ধারণ করে দেবে, নীতি- নির্ধারণী সহযোগিতা দেবে। বেসরকারি খাত অথবা সরকারি বেসরকারি যৌথ উদ্যোগ বা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান সবাই মিলে আমাদের সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে। এ বিষয়টি মাথায় রেখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রাণিসম্পদ খাতের জন্য দিগন্ত উন্মোচন করে দিয়েছে।”

মন্ত্রী আরো বলেন, “দেশের প্রাণিসম্পদ খাতে একটা বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে। আজকের বাংলাদেশ বিশ্বের বিস্ময়। আজকের বাংলাদেশকে বলা হয় উন্নয়নের রোল মডেল। এটা সম্ভব হয়েছে আমাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দূরদৃষ্টিসম্পন্ন রাষ্ট্রীয় পরিকল্পনা, নীতিনির্ধারণ ও পৃষ্ঠপোষকতার কারণে”।

প্রধান অতিথি আরো বলেন, “দেশে মাংস উৎপাদন এখন এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যেটা অতীতে কল্পনার বাইরে ছিল। আমরা বিদেশ থেকে মাংস আনব না বরং বিদেশে মাংস রপ্তানি করব-এ প্রত্যয় আমাদের রয়েছে”।

তিনি আরো বলেন, “প্রাণিসম্পদ খাতে এখন আমাদের প্রয়োজন গুণগত ও টেকসই উন্নয়ন। উৎপাদিত মাংস যেন পুষ্টি-আমিষের চাহিদা মেটায়, খাবারের চাহিদা মেটায়। সেটা যেন গুণগত মানে উন্নত থেকে উন্নতর হয়। সে লক্ষ্য নিয়ে আমাদের কাজ করতে হবে। প্রাণিসম্পদ খাতের গুণগত মানোন্নয়নে আমরা দেশে আধুনিক গবেষণাগার স্থাপন করেছি। এ ব্যাপারে বেসরকারি খাত উদ্যোক্তা হয়ে এগিয়ে আসলে তাদের সহায়তা করা হবে”।

প্রাণিসম্পদ খাতের বৈপ্লবিক পরিবর্তন জাতি গঠনে ভূমিকা রাখছে উল্লেখ করে মন্ত্রী আরো যোগ করেন, “আমাদের নতুন প্রজন্ম, মধ্যবর্তী বয়সের মানুষ, বয়োজ্যেষ্ঠ তারা যদি পুষ্টিকর খাবার না পায় তাহলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তাদের মধ্যে সৃষ্টি হবে না। মেধা ও সৃজনশীলতার বিকাশ হবে না। অপরদিকে আমাদের অর্থনীতি মুখ থুবড়ে পড়বে। এ খাতকে বিকশিত করার জন্য সবাই মিলে ভূমিকা রাখতে হবে”।

প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতাভুক্ত ৬১টি জেলার ৪৬৬টি উপজেলায় এ প্রদর্শনী একযোগে অনুষ্ঠিত হয়। ঢাকায় অনুষ্ঠিত কেন্দ্রীয় প্রদর্শনীতে ভিন্ন ভিন্ন ভ্যালু চেইনভিত্তিক ১১০টি স্টল স্থাপন করা হয়। এসব স্টলে উন্নত জাতের এবং অধিক উৎপাদনশীল গবাদিপশুসহ বিভিন্ন প্রাণী তথা গাভী, বাছুর, ষাঁড়, মহিষ, ছাগল, ভেড়া, মুরগী, হাঁস, দুম্বা, কবুতর ইত্যাদি প্রদর্শন করা হয়। এছাড়াও প্রদর্শনীতে প্রাণিসম্পদের উন্নয়নে ব্যবহৃত বিভিন্ন প্রযুক্তি, ঔষধ সামগ্রী, টিকা, প্রাণিজাত পণ্য উৎপাদন ও সংরক্ষণ সরঞ্জাম, মোড়কসহ পণ্য বাজারজাতকরণ প্রযুক্তির স্টলও স্থাপন করা হয়।

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ১২, ২০২২ ১:০২ অপরাহ্ন
মৎস্য প্রক্রিয়াকরণে মৎসীজীবীদের রাষ্ট্র সব ধরনের সহায়তা করবে- মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
মৎস্য

মৎস্য প্রক্রিয়াকরণে মৎসীজীবীদের রাষ্ট্র সব ধরনের সহায়তা করবে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

শনিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সকালে কক্সবাজারে বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের (বিএফডিসি) মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র সংলগ্ন স্থানে বিএফডিসি কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন কক্সবাজার জেলায় শুটকি প্রক্রিয়াকরণ শিল্প স্থাপন প্রকল্পের অফিস ভবন নির্মাণ কাজের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা জানান।

বিএফডিসির চেয়ারম্যান মো. হেমায়েৎ হুসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী। কক্সবাজার-১ আসনের সংসদ সদস্য জাফর আলম, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. তৌফিকুল আরিফ, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. ইয়াহিয়া মাহমুদ, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খ. মাহবুবুল হক, কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ ও কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র মজিবুর রহমান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় মন্ত্রী বলেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের উন্নয়নে কাজ করছেন। মৎস্যজীবী থেকে শুরু করে নিম্নবিত্ত, নিম্নমধ্যবিত্ত, মধ্যবিত্ত সব মানুষ যাতে রাষ্ট্রের সমান সুযোগ-সুবিধা পায়, যারা বিভিন্ন পেশায় আছেন তারা যাতে ভালোভাবে থাকতে পারেন, সে জন্য তিনি কাজ করে যাচ্ছেন”।

কক্সবাজার বাংলাদেশের একটি আইকনিক জেলা উল্লেখ করে মন্ত্রী আরো বলেন, “বর্তমান সরকারের সময়ে কক্সবাজারের ব্যাপক আধুনিকায়ন হচ্ছে। খুরুশকুলে আধুনিক শুটকি পল্লী স্থাপনের বড় প্রকল্পসহ কক্সবাজারে মৎস্য খাতের অন্যান্য উন্নয়ন প্রকল্প সবই শেখ হাসিনার অবদান। কক্সবাজারের উন্নয়নে নতুন নতুন উপহার পেতে একজন রাষ্ট্রনায়কই প্রয়োজন, তিনি শেখ হাসিনা। এখানকার উন্নয়নে যে সব প্রকল্প বর্তমান সময়ে এসেছে অতীতে তা কখনোই আসেনি। শেখ হাসিনা যতদিন থাকবে, ততদিন বাংলাদেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত থাকবে। উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে হলে তাঁর কোন বিকল্প নেই। যদি আমাদের সামনে এগিয়ে যেতে হয় তাহলে শেখ হাসিনার নীতি-আদর্শ ও রাজনৈতিক দর্শনের পাশে থাকবে হবে”।

মন্ত্রী আরো বলেন, “মৎস্য প্রক্রিয়াকরণে মৎসীজীবীদের রাষ্ট্র  সব ধরনের সহায়তা করবে। বিদেশ থেকে মেশিনারি আমদানি করে বা স্থানীয়ভাবে ছোট ছোট মৎস্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্প কেউ স্থাপনে করতে চাইলে কর অব্যাহতিসহ অন্যান্য সুবিধাদি দেওয়ার বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে”।

পরে চকরিয়া উপজেলার রামপুরে মৎস্য অধিদপ্তরের আওতাধীন বিভিন্ন চিংড়ি প্লট সরেজমিনে পরিদর্শন করেন এবং এ সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানে সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা প্রদান করেন মন্ত্রী।

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ১০, ২০২২ ১১:২৯ পূর্বাহ্ন
মোবাইল ভেটেরিনারি ক্লিনিক প্রাণিসম্পদ খাতে নতুন অধ্যায়ের সূচনা- মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
প্রাণিসম্পদ

মোবাইল ভেটেরিনারি ক্লিনিক দেশের প্রাণিসম্পদ খাতে নতুন অধ্যায়ের সূচনা বলে মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

বুধবার (০৯ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর ফার্মগেটে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর প্রাঙ্গণে অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্প (এলডিডিপি) এর আওতায় দেশের প্রান্তিক খামারিদের দোরগোড়ায় আধুনিক ও জরুরি প্রাণিচিকিৎসা সেবা পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে মোবাইল ভেটেরিনারি ক্লিনিক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা জানান।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মনজুর মোহাম্মদ শাহজাদার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী। স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালক মো. আব্দুর রহিম। মোবাইল ভেটেরিনারি ক্লিনিকের সারসংক্ষেপ উপস্থাপন করেন প্রকল্পের চীফ টেকনিক্যাল কোঅর্ডিনেটর ড. মো. গোলাম রব্বানী।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শ্যামল চন্দ্র কর্মকার, মো. তৌফিকুল আরিফ ও এস এম ফেরদৌস আলম, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ তথ্য দপ্তরের উপপরিচালক শেফাউল করিম, বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন, এসিআই এগ্রোবিজনেসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, ড. এফ এইচ আনসারী প্রমুখ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় মন্ত্রী বলেন, “আগে প্রাণীকে নিয়ে যেতে হতো ডাক্তারের কাছে, এখন ডাক্তার চলে যাবে প্রাণীর কাছে। শেখ হাসিনার উপহার, প্রাণীর কাছে ডাক্তার। দেশের ইতিহাসে ইতিহাসে মোবাইল ভেটেরিনারি ক্লিনিক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছে। এটা সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা ও পৃষ্ঠপোষকতায়। তিনি বিশ্বাস করেন সকল জীবের প্রতি রাষ্ট্রের দায়িত্ব রয়েছে।

মন্ত্রী আরো বলেন, “প্রাণীর তাৎক্ষণিক চিকিৎসায় আমরা প্রান্তিক খামারিদের কাছে ভেটেরিনারি ক্লিনিক পৌঁছে দিচ্ছি। প্রথম পর্যায়ে আজ ৬১ টি উপজেলায় ৬১ টি ক্লিনিক বিতরণ করা হচ্ছে। পরবর্তী ধাপে আরও ১৮০টি ভেটেরিনারি ক্লিনিক বিতরণ করা হবে। শেষ ধাপে আরও ১১৯টি ক্লিনিক বিতরণ করা হবে। ৬১টি জেলায় মোট ৩৬০টি মোবাইল ভেটেরিনারি ক্লিনিক বিতরণ করা হবে।পর্যায়ক্রমে যেখানে পশুপাখির চিকিৎসা প্রয়োজন সেখানে আমরা মোবাইল ভেটেরিনারি ক্লিনিক আমরা পৌঁছে দেবো। পশুপাখির চিকিৎসায় সব আধুনিক মেডিকেল সুবিধা এ ভ্রাম্যমাণ ক্লিনিকে থাকবে”।

প্রধান অতিথি আরো বলেন, “প্রাণী স্বাস্থ্যের সাথে মানুষের স্বাস্থ্য সম্পৃক্ত। পশুপাখির অসুস্থতা থেকে জীবাণু আমাদের অজান্তে শরীরে প্রবেশ করতে পারে। সেজন্য ‘ওয়ান হেলথ’ এর কথা ভাবলে পশু-পাখিকে অসুস্থ রেখে আমরা ভালো থাকলে হবে না। আবার পশুপাখিকে ভালো রেখে আমরা খারাপ থাকলেও হবে না। কারণ অনেক পশুপাখিই মানুষের সংস্পর্শে আসে, মানুষের সাথে সম্পৃক্ত থাকে। এজন্য প্রাণীদের ভালো রাখ রাষ্ট্রের দায়িত্ব, সরকারের দায়িত্ব। আমরা চাই নিরাপদ প্রাণিজ আমিষের চাহিদা মেটাতে। সে কারনে আমরা প্রাণী চিকিৎসায় মোবাইল ফোনের ক্লিনিকের উদ্যোগ নিয়েছি। এ উদ্যোগের কারণে প্রাণিসম্পদ খাতে একটা বৈপ্লবিক পরিবর্তন হবে”।

“আমাদের অর্থনীতির চাকা গতিশীল করা,বেকারত্ব দূর করা, উদ্যোক্তা তৈরি করা এবং পুষ্টি-আমিষের চাহিদা মেটানোর ক্ষেত্রে প্রাণিসম্পদ খাত আমূল পরিবর্তন নিয়ে এসেছে। এ গুরুত্বপূর্ণ খাতটি একসময় নানাভাবে অবহেলিত ছিল।  বর্তমান সরকার এ খাতকে গুরুত্ব দিচ্ছে পৃষ্ঠপোষকতা দিচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মনে করেন এ খাতকে এগিয়ে নিতে হবে জাতিকে এগিয়ে নেয়ার সাথে তাল মিলিয়ে”।-যোগ করেন মন্ত্রী।

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop