৩:২৯ অপরাহ্ন

রবিবার, ১৯ মে , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : জুন ১১, ২০২৩ ৩:৩০ অপরাহ্ন
পুষ্টি ও খাদ্য নিরাপত্তা জোরদারকরণ প্রকল্পের অবহিতকরণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত
কৃষি বিভাগ

দেশের পিছিয়ে থাকা জনগোষ্ঠীর খাদ্য ও পুষ্টি চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে ‘কৃষি উন্নয়নের মাধ্যমে পুষ্টি ও খাদ্য নিরাপত্তা জেরদারকরণ প্রকল্প’ এর অবহিতকরণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

১০ জুন রাজধানীর খামরাবাড়ির আ.কা.মু. গিয়াস উদ্দীন মিলকী অডিটরিয়ামে এ কর্মশালার আয়োজন করে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।

কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন কৃষি সচিব ওয়াহিদা আক্তার। তিনি বলেন, আমাদের এখন প্রায় ১৭ কোটি মানুষ। দিন দিন আবাদি জমির পরিমান কমে যাচ্ছে। বর্তমানে ৮০-৮৫ লাখ হেক্টর আবাদি জমি রয়েছে। এ জমির সর্বোচ্চ ব্যবহার আমাদের করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উক্তি ‘দেশে এক ইঞ্চি জমি অনাবাদি থাকবে না’। এ কথাটার অনেক গভীরতা আছে। আমাদেরকে বিভিন্ন আধুনিক প্রযক্তির মাধ্যমে উৎপাদনশীলতা বাড়িয়ে খাদ্য নিরাপত্তার পাশাপাশি পুষ্টির বিষয়ে সচেতন হতে হবে। এজন্য যার যার অবস্থান থেকে সুচারুভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বাদল চন্দ্র বিশ্বাসের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ফলিত পুষ্টি গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট (বারটান) এর নির্বাহী পরিচালক মো. আবদুল ওয়াদুদ, ডিএই’র পরিকল্পনা, প্রকল্প বাস্তবায়ন ও আইসিটি উইংয়ের পরিচালক মো. রেজাউল করিম, প্রশাসন ও অর্থ উইংয়ের পরিচালক মো. জয়নাল আবেদিন, কৃষি তথ্য সার্ভিসের পরিচালক ড. সুরজিত সাহা রায়। প্রকল্পের কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত করেন প্রকল্প পরিচালক মো. বনি আমিন।

কর্মশালায় জানানো হয়, দেশের ৪৯ জেলার ১৫৫ উপজেলায় প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ব্যয় হবে ১৪৮ কোটি ৮০ লাখ টাকা ৭২ হাজার টাকা। ২০২৭ সালের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে লীড এজেন্সী হিসেবে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। সহযোগী সংস্থা হিসেবে থাকবে বাংলাদেশ ফলিত পুষ্টি গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট (বারটান)।

প্রকল্পের কার্যক্রম উপস্থাপনায় বলা হয়েছে, বিদ্যমান শস্য বিন্যাস পরিবর্তন ও আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি সম্প্রসারণের মাধ্যমে কৃষির উৎপাদনশীলতা বর্তমান অবস্থা থেকে ৮-১০% বৃদ্ধি করা, ১৩ হাজার ৭১৮টি বিভিন্ন ফসলের প্রদর্শনী স্থাপন, ১৫৫টি পুষ্টিসমৃদ্ধ নিরাপদ ফসল গ্রাম সৃজন, ৩ লাখ ৮ হাজার ৬১৮টি কৃষক পরিবারের পুষ্টি ও খাদ্য নিরাপত্তা অর্জন, ৩৭ হাজার ২০০ জন কৃষক-কৃষাণির আয়বর্ধন কাজে সম্পৃক্তকরণ, ৬ হাজার ৩৬০ ব্যাচ কৃষক, কর্মকর্তা প্রশিক্ষণ ও বারটানের আঞ্চলিক কার্যালয়ে ৭টি মিনি নিউট্রিশন ল্যাব স্থাপন করা হবে। এছাড়াও প্রকল্পের পটভূমিতে বলা হয়েছে, দেশের চর, হাওর, আদিবাসি অধ্যুষিত এলাকার খাদ্য ও পুষ্টি চাহিদা মেটানো, ডাইভারসিফাইড শস্য উৎপাদন, উন্নত কৃষি প্রযুক্তি সম্প্রসারণ প্রভৃতি কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হবে।

প্রকল্পের এ অবহিতকরণ কর্মশালায় কৃষি মন্ত্রণালয়, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ও বারটানের বিভিন্ন পর্যায়ের প্রায় ২শতাধিক কর্মকর্তা অংশগ্রহন করেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুন ১০, ২০২৩ ৭:৩৮ অপরাহ্ন
ময়মনসিংহে আউশ আবাদে সমস্যা ও উৎপাদন বৃদ্ধিতে করণীয় ‘শীর্ষক আঞ্চলিক কর্মশালা ও কৃষক পুরষ্কার প্রদান অনুষ্ঠিত
কৃষি বিভাগ

কৃষিবিদ দীন মোহাম্মদ দীনু: বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের নিবিড়তা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্পের আওতাভুক্ত জেলাসমূহ ‘আউশ আবাদে সমস্যা ও উৎপাদন বৃদ্ধিতে করণীয় ‘শীর্ষক আঞ্চলিক কর্মশালা ও কৃষক পুরষ্কার প্রদান অনুষ্ঠান শনিবার ১০ জুন ২০২৩ বাংলাদেশ পরমানু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা ) অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়েছে ।
দিনব্যাপী এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব রবীন্দ্রশ্রী বড়ুয়া। ডিএই এর পরিচালক সরেজমিন উইং এর পরিচালক কৃষিবিদ মো:তাজুল ইসলাম পাটোয়ারী এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রকল্প পরিচালক কৃষিবিদ মোহাম্মদ জিয়াউর রহমান। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পরমানু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট এর মহাপরিচালক কৃষিবিদ ড.মির্জা মোফাজ্জল ইসলাম এবং ডিএই এর অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ সুশান্ত কুমার প্রামানিক, অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ মো আশরাফ উদ্দিন ।অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাকৃবির কৃষিতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড.মো: রমিজ উদ্দিন। কর্মশালায় অতিথিগণ মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের বক্তব্য দেয়ার সুযোগ দেন এবং মাঠের প্রকৃত অবস্থা জানার চেষ্টা করেন। আউশ ধান এর ব্যাপক বিস্তারে নানাবিধ প্রস্তাবনা জানতে চান। কর্মশালার দ্বিতীয় পর্বে কৃষক পুরষ্কার প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রকল্প এলাকার কর্মকর্তাগণ কর্মশালায় যোগ দেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মে ২০, ২০২৩ ২:১৫ অপরাহ্ন
জিসিএসবি আয়োজিত জেরিয়াট্রিক কেয়ার ইন বাংলাদেশ : এন ওভারভিউ” শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠি
কৃষি বিভাগ

কৃষিবিদ দীন মোহাম্মদ দীনু: নবীনদের কাছে প্রবীনদের গুরুত্ব তুলে ধরা, বার্ধক্যকালীন সময়ে প্রবীনদের সম্মানিত করার উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন এবং নবীনের হাত ধরে প্রবীণের নিরাপদ বার্ধক্য’ এই স্লোগানকে ধারণ করে জেরিয়াট্রিক কেয়ার সাপোর্ট বাংলাদেশ (জিসিএসবি)-এর আয়োজনে ‘জেরিয়াট্রিক কেয়ার ইন বাংলাদেশ : এন ওভারভিউ ” শীর্ষক সেমিনার ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ শনিবার (২০ মে ২০২৩ ) সকাল ১০টায় জিসিএসবি’র সভাপতি ডাঃ কাজী মোঃ ইস্রাফীলের সভাপতিত্বে বারডেম হাসপাতাল অডিটোরিয়ামে (৩য় তলা) অনুষ্ঠিত সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মেডিক্যাল নিউট্রিশন কাউন্সিল এর মহাপরিচালক ডা. হাসান শাহরিয়ার কবির।বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বারডেম জেনারেল হসপিটাল এর মহাপরিচালক প্রফেসর ডা এমকেআই কাইয়ুম চৌধুরী,ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হসপিটাল এর সিইও প্রফেসর ডা.এমএ রশীদ । সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা.অরুপ রতন চৌধুরী।


জিসিএসবি এর দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা বিষয়ক আলোচনা করেন জিসিএসটির উপদেষ্টা অধ্যাপক ডাঃ অনুপম হোসাইন।তিনি তার বক্তব্যে বলেন জিসিএসবি স্বপ্ন দেখে বাংলাদেশ শীঘ্রই প্রবীণ নাগরিক বান্ধব দেশ হিসাবে বিশ্বে পরিচিত হবে। সে লক্ষ্য নিয়েই আমরা কাজ করে যাচ্ছি। বিয়য়ভিত্তিক আলোচনা করেন কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ এর সহকারী অধ্যাপক ডা.আরীফ মোরশেদ খান। নিপসমের সহযোগী অধ্যাপক ডাঃ নাসরিন সুলতানা। বক্তব্য রাখেন জিসিএসবি সাধারণ সম্পাদক শাহনাজ শাম্মি, সেমিনার আয়োজক কমিটির সদস্য-সচিব সিএম সাইফুল ইসলাম।
সেমিনারে মুক্ত আলোচনা ও প্রশ্নোত্তর পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। 
বক্তারা বলেন, এ উদ্যোগের মাধ্যমে নবীনরা প্রবীণদের সম্মান করার ক্ ক্ষেত্রে তাদের মানসিক পরিবর্তনের পাথেয় খুঁজে পাবে। জেরিয়াট্রিক কেয়ার সাপোর্ট টিমের এমন ব্যতিক্রমী
এবং সময়োপযোগী কর্মকান্ড অব্যাহত রাখার জন্য আহবান জানান।
সেমিনারে প্রায় ২০০ জন জিসিএসবি সদস্য ও আমন্ত্রিত অতিথিগণ অংশগ্রহণ করেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মে ১৪, ২০২৩ ৫:০৫ অপরাহ্ন
ক্ষুদ্র এবং মাঝারি উদ্যোক্তাদের জন্যে বাকৃবিতে খাদ্য প্রযুক্তি প্রদর্শনী
কৃষি বিভাগ

মাইক্রো, ছোট, মাঝারি উদ্যোক্তরা ফুড বেভারেজের ৯৮ দশমিক ৭৫ শতাংশ সরবরাহ করে থাকে। একটা বয়সের পর শরীরে ডায়বেটিস, উচ্চ রক্তচাপসহ বিভিন্ন রোগ দেখা দেয় । যার মূল কারণ শরীরে সঠিকভাবে পুষ্টি গ্রহণ না করা। কথাগুলো বলেছেন প্রফেসর ড.লুৎফুল হাসান উপাচার্য বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ।

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) স্বাস্থ্যকর খাদ্য পণ্য নিশ্চিত করণে ক্ষুদ্র এবং মাঝারি (এমএসএমই) উদ্যোক্তাদের জন্য আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় খাদ্য প্রযুক্তি প্রদর্শনী ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেছেন।

তিনি আরও বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট লক্ষ্য অর্জনের জন্য এই প্রদশর্নী গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করবে। এমএসএমইকে সঠিকভাবেভাবে পরিচালনা করতে পারলে একটি বৃহৎগোষ্ঠী উপকৃত হবে।

রোববার (১৪ মে) সকাল ১০ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন অফিসের সম্মেলন কক্ষে ওই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। বাকৃবির ফুড টেকনোলজি এবং গ্রামীণ শিল্প বিভাগ এবং গ্লোবাল এলায়েন্স ফোর ইমপ্রুভড নিউট্রিশন (গেইন) ওই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

আলোচনা সভায় ফুড টেকনোলজি ও গ্রামীণ শিল্প বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ গোলজারুল আজিজের সভাপতিত্বে এবং সহযোগী অধ্যাপক ড. আফজাল রহমানের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন (ভার্চুয়ালি) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. লুৎফুল হাসান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. নজরুল ইসলাম, বাংলাদেশ খাদ্য নিরাপদ কর্তৃপক্ষের সদস্য অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল আলিম, বাংলাদেশের ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের জাতীয় সমিতির( নাসিবের) সভাপতি মো নুরুল গনি।

এছাড়া নাসিবের ময়মনসিংহ ও জাতীয় পর্যায়ের সদস্যবৃন্দ এবং ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনা সভা শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীন মিলনায়তনের সামনের মুক্তমঞ্চে একটি খাদ্য প্রযুক্তি প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। এখানে ৭ টি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিভিন্ন খাদ্য পণ্য প্রদর্শন করা হয়। যেগুলো প্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রক্রিয়াকরণ করে তৈরি করা হয়েছে।

প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন কৃষি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. নজরুল ইসলাম।
এ সময় প্রকল্প প্রধান ড. মোহাম্মদ গোলজারুল আজিজ বলেন, শিল্প কারখানাগুলোর খাদ্য পণ্য তৈরির ক্ষেত্রে যথেষ্ট জ্ঞানের অভাব আছে। তাই ইন্ডাস্ট্রি এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সম্পর্কের উন্নয়ন করতে আমরা এই প্রোগ্রামের আয়োজন করেছি। এতে জ্ঞান ভাগাভাগির মাধ্যমে নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্য মানুষের কাছে পৌঁছানো সম্ভব হবে। গেইনের সাথে বাকৃবির প্রজেক্ট চলছে । এর একটি উদ্দেশ্য হলো মার্কেটে প্রচলিত কম খরচের খাদ্য পণ্যগুলো শনাক্তকরণ, যা খাদ্য নিরাপত্তায় ভূমিকা রাখবে। প্রযুক্তিগত সহায়তার মাধ্যমে খাদ্য প্রযুক্তি প্রদর্শনী ক্ষুদ্র এবং মাঝারি উদ্যোগক্তাদের শক্তিশালী করে পুষ্টিকর ও নিরাপদ খাদ্য প্রক্রিয়াকরণের সক্ষমতা অর্জনই আমাদের প্রধান উদ্দেশ্য।বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ড. আব্দুল আলিম বলেন, এমএসএমই চাইলেই সম্পূর্ণ স্বাস্থ্যবিধি মেনে খাবার প্রধান করতে পারে না। পণ্য উৎপাদনের জন্য তাদের ক্ষুদ্র অর্থ প্রদান করা হয়, যার জন্য চাইলেও স্বাস্থ্যকর খাবার প্রদান করতে পারে না। কারণ ভোক্তারা স্বাস্থ্যকর খাবার থেকেও বেশি তারা দাম কমের দিকে নজর বেশি দেয়। সরকার এখন বিভিন্ন প্রোগ্রামের মাধ্যমে এমএসএমইকে সমর্থন করে থাকে কারণ তা না হলে বড় কোম্পানিগুলো এইসব পণ্য সরবরাহের মাধ্যমে অনেক সুবিধা ভোগ করবে। তাই প্রত্যেক জেলার এমএসএমএইকে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে খাবার গুণগত মান উন্নয়ন করণে প্রদর্শন ও প্রোগ্রামের আয়োজন করা হচ্ছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মে ১৪, ২০২৩ ১:৩৯ অপরাহ্ন
মোখা আতঙ্কে ধান ঘরে তুলতে ব্যস্ত বরিশালের কৃষকরা
কৃষি বিভাগ

চলতি মৌসুমে ধানে ভালো ফলন হওয়ায় খুশি দক্ষিণাঞ্চলের কৃষকরা। এরই মধ্যে ঘূর্ণিঝড় মোখা তাদের চিন্তিত করে তুলেছে। আর তাই এখন পুরোদমে চলছে মাঠে থাকা পাকা ধান কেটে ঘরে তোলার চেষ্টা। যদিও শ্রমিক সঙ্কটে কিছুটা হতাশা রয়েছে, তারপরও কঠোর পরিশ্রমের মধ্য দিয়ে জমিতে থাকা প্রায় ৯০ ভাগ ধান ইতোমধ্যে কাটা হয়ে গেছে বলে দাবি করেছেন কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা।

ঘূর্ণিঝড় মোখা মোকাবিলায় জমিতে থাকা বাকি ধান কেটে দ্রুত ঘরে তোলার আহ্বান জানিয়েছে কৃষি বিভাগ। কৃষি বিভাগ ও আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, যদি প্রবল শক্তি নিয়ে ভয়াবহ রূপ ধারণ করে ঘূর্ণিঝড় মোখা, তাহলে উপকূলের নিচু এলাকা প্লাবিত হবে। সেই সাথে ভারী বর্ষণ ও ঝড়ো বাতাসে পাকা ধান গাছের ক্ষতি হতে পারে। তাই ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানার আগেই উপকূলীয় এলাকায় ধান পেকে যাওয়ায় তা কেটে তোলার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।

বরিশাল বিভাগীয় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে বিভাগের ছয় জেলায় বোরো আবাদের ল্যমাত্রা ছিল এক লাখ ৯৩ হাজার ৪৬০ হেক্টর জমিতে। আর আবাদ হয়েছে এক লাখ ৯৪ হাজার ২৩৩ হেক্টর জমিতে।

এ দিকে ঘূর্ণিঝড় মোখা সম্পর্কে আগেভাগেই সতর্ক ছিল বরিশাল কৃষি বিভাগ। বিরূপ আবহাওয়ায় ফসলের যাতে ক্ষতি না হয় সে লক্ষ্যে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা কৃষকদের সচেতন করার পাশাপাশি বিভিন্ন পরামর্শ দিয়েছেন। যার ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বিভাগের ছয় জেলায় প্রায় ৯০ ভাগ ধান কাটা শেষ হয়েছে। আর ধান কাটতে গত তিন দিন ধরে ব্যস্ত সময় পার করেছেন বরিশাল, পটুয়াখালী, ভোলা, বরগুনা, ঝালকাঠি ও পিরোজপুরের কৃষকরা। এর মধ্যে যারা শ্রমিক পাচ্ছেন না- সেসব কৃষক পরিবারের পুরুষদের পাশাপাশি নারীরাও এগিয়ে এসেছেন ধান কাটায় সাহায্য করতে।

বরিশাল সদর উপজেলার চরবাড়িয়া ইউনিয়নের উলাল বাটনার ধানের জমির মালিকরা জানান, ঘূর্ণিঝড় মোখা তাদের দুশ্চিন্তায় ফেলেছে। অতিরিক্ত টাকা দিয়েও শ্রমিক পাচ্ছেন না ধান কাটার।

এ দিকে বরিশাল সদর উপজেলার কৃষক শুক্কুর মিয়া জানিয়েছেন, সারের মূল্য বৃদ্ধিতে উৎপাদন ব্যয় বাড়লেও আবহাওয়ার কারণে বোরো ধানের ফলন এবার ভালো হয়েছে। ধান পেকে যাওয়ায় কেটেও ফেলেছেন অনেকে। এখন ন্যায্য দাম পাওয়ার অপেক্ষা। তবে ভালো দাম না পেলে ব্যয় ওঠা নিয়ে শঙ্কা রয়েছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর বরিশালের উপ-পরিচালক মুরাদুল হাসান জানান, বরিশাল জেলায় ৬১ হাজার ১৪০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে ৮০ ভাগ ধান কাটা হয়েছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর বরিশাল বিভাগীয় কার্যালয়ের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ শওকত ওসমান বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে উদ্ভূত সমস্যা মোকাবেলা এবং ফসল রার জন্য আগেভাগেই মাঠ পর্যায়ের কৃষি কর্মকর্তাদের মাধ্যমে কৃষকদের সচেতন করা হয়েছে। ফলে এখন পর্যন্ত প্রায় ৯০ ভাগ ধান কাটা সম্ভব হয়েছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মে ১১, ২০২৩ ১০:০০ পূর্বাহ্ন
গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষে মুখে হাসি জয়পুরহাটের চাষিদের!
কৃষি বিভাগ

জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষে লাভবান চাষিরা। আশেপাশের জমিতে ধান দোল খাচ্ছে। এর পাশেই মাচায় দোল খাচ্ছে হলুদ-সবুজ তরমুজ। উপরে হলুদ হলেও ভেতরে টকটকে লাল। আবার অনেক তরমুজের উপরে সবুজ ভেতরে হলুদ। এখন প্রচন্ড গরমে এই পানি জাতিয় ফলটির বাজারে বেশ চাহিদা সৃষ্টি হয়েছে। কৃষকরা এই জাতের তরমুজ চাষ করে লাভবান হচ্ছেন।

জানা যায়, জয়পুরহাট জেলার পাঁচবিবি উপজেলার আওলাই ইউনিয়নের ভূতগাড়ি, ভারাহুত, শিরট্টি, গোড়নাসহ আশপাশের কয়েকটি এলাকায় গ্রীষ্মকালীন এই তরমুজের চাষ হচ্ছে। এই ফল চাষে খরচ কম ও গরমে এর বাজারদর ভাল থাকায় কৃষকরা লাভবান হতে পারেন। এই অঞ্চলে গ্রীষ্মকালীন তরমুজের চাষ দিন দিন বাড়ছে। এখানকার উৎপাদিত তরমুজ স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলা উপজেলায় সরবরাহ করা হচ্ছে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সূত্র মতে, চলতি বছর জয়পুরহাট জেলার ৫ উপজেলায় ৪৫ হেক্টর জমিতে তরমুজের চাষ করা হয়েছে। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ৯, পাঁচবিবিতে ২২, আক্কেলপুরে ২, ক্ষেতলালে ৫ ও কালাই উপজেলায় ৭ হেক্টর জমিতে মাচায় তরমুজ চাষ করেছেন চাষিরা।

কৃষক জয়নুল হক বলেন, আমি গত কয়েকবছর গ্রীষ্মকালীন তরমুজের চাষ করছি। চলতি বছর ৩ বিঘা ৭ শতক জমিতে কয়েক জাতের তরমুজের আবাদ করেছি। তারমধ্যে মধুমালা, সুগারকিং ও টাইগার ক্রাউন জাতের তরমুজ চাষ করেছি। এই জমিতে বছরে ৯ মাস ধরে এই তরমুজ চাষ করা যায়। আর বাকি ৩ মাস শীত মৌসুমে আলু চাষ করি। অন্যান্য ফসলের তুলনায় তরমুজে অধিক লাভ হয়। অসময়ে ও অল্প সময়ে এর চাষে লাভবান হওয়া যায় বলে অন্যান্য কৃষকরাও এর চাষে ঝুঁকছেন।

তিনি আরো বলেন, গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষে জমিতে জৈব সার, কীটনাশক, ইউরিয়া, ফসফেট, ডিএপি পটাশসহ যাবতীয় সার দিতে হয়। এছাড়াও বিঘাপ্রতি শ্রমিক মজুরি সহ ৪৫-৫০ হাজার টাকা খরচ হয়। বাজারদর ভাল থাকে বলে লাভবান হওয়া যায়।

ভারাহুত গ্রামের কৃষক মুসা মণ্ডল বলেন, চলতি বছর আমি সাড়ে ৩ বিঘা জমি ৩০ হাজার টাকায় বর্গা নিয়ে তরমুজ চাষ করেছি। এর চাষে বিঘাপ্রতি ৪০-৫০ হাজার টাকা খরচ হয়। ৮০-১০০ মণেরও বেশি ফলন পাওয়া যায়। বাজারদর ভালো থাকলে এক থেকে দেড় লক্ষ টাকার তরমুজ বিক্রি করা যায়। অনেকেই ২ লাখ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করতে পারেন। বর্তমানে প্রতি মণ তরমুজ ১২০০-১৮০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এর চাষ লাভজনক হওয়ায় ফসল তরমুজ চাষে এই এলাকার অনেকেই স্বাবলম্বী হচ্ছেন।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক (শস্য) কৃষিবিদ মো. মজিবুর রহমান বলেন, স্থানীয় কৃষকরা ব্ল্যাক বেবি, মধুবালা, গোল্ডেন ক্রাউন, ইয়েলো কিংসহ কয়েক জাতের তরমুজ চাষ করছেন। অনেকে একই জমিতে ২-৩ বার তরমুজ চাষ করছেন। আমরা কৃষকদের সব ধরনের সহযোগিতা করছি।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মে ১১, ২০২৩ ৯:৪২ পূর্বাহ্ন
প্রচন্ড দাবদাহে লোকসানে ঝালকাঠির লেবু চাষিরা!
কৃষি বিভাগ

লেবু চাষে লোকসান গুনছেন ঝালকাঠির চাষিরা। গত কয়েক বছরে এখানকার লেবু বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করলেও প্রচন্ড গরমের কারণে লেবুতে রসের পরিমান কমে গেছে। ফলে বাজারে লেবুর ভাল দাম পাওয়া যাচ্ছে না। অনেক চাষিরা হতাশ হয়ে এর চাষ না করার সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন।

জানা যায়, ঝালকাঠি জেলায় পেয়ারা আমড়ার পর লেবু ব্যাপক সাড়া ফেলেছিল। এই জেলার ভিমরুলি, কাফুরকাঠি, শতদশকাঠি, বাউকাঠিসহ ২২টি গ্রামের কৃষকরা লেবু চাষে স্বাবলম্বী হয়েছেন। তবে এবছর প্রচন্ড গরমের কারণে লেবুতে রসের পরিমান কমে যায়। এছাড়াও তাপের কারণে ফলের আকারও অনেকটা ছোট হয়ে যায়। ফলে লেবুর বাম্পার ফলন হলেও বাজারে ভাল দামে বিক্রি করতে পারছেন না কৃষকরা। এতে তাদের লোকসান গুনতে হচ্ছে।

কৃষি বিভাগের তথ্য মতে, চলতি বছর জেলায় ৩৩৬ হেক্টর জমিতে লেবুর চাষ হয়েছে।

এক চাষি বলেন, বৃষ্টি না হওয়ার ফলে মাটিতে প্রয়োজনীয় রস ছিল না। আর প্রচন্ড তাপের কারণে ফলের আকারও ছোট হয়ে যায়। লেবুর ভেতরে রসের পরিমানও কম। তাই বাজারে ভাল দামে বিক্রি করতে পারছি না। এতে চাষের খরচও উঠাতে পারবো বলে মনে হচ্ছে না।

অন্যান্য আরো চাষিরা জানায়, বর্তমান বাজারে ৮০টি লেবু ৮০-১৫০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করা যাচ্ছে। এতে লাভ হচ্ছেনা। উৎপাদন খরচও উঠা নিয়ে শঙ্কা রয়েছে।

ঝালকাঠি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, গত বছরে লাভবান হতে পারায় চলতি বছর এই জেলার চাষিরা লেবু চাষে বেশি আগ্রহী হন। তবে এবছর প্রচন্ড দাবদাহের কারণে লেবুর আকার ছোট হয়ে যায়। আর লেবুতে রসের পরিমান কমে যায়। তাই কৃষকরা বাজারে তুলনামূলক কম দামে বিক্রি করছেন। চাষিদের সকল সমস্যা সমাধানে আমরা এগিয়ে আসছি। তাদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মে ৮, ২০২৩ ১২:২৫ অপরাহ্ন
বোরোর বাম্পার ফলনে খুশি নওগাঁর চাষিরা!
কৃষি বিভাগ

নওগাঁর নিয়ামতপুরে ধানের ব্যাপক ফলন হয়েছে। কৃষকরা আগাম জাতের ইরি-বোরো চাষ করে ভাল ফলন পেয়েছেন। এই অঞ্চলের মাটিতে ধানসহ অন্যান্য ফসলের বেশি উৎপাদন হয়।

জানা যায়, চলতি বছর নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের ফলে কৃষকরা সময় মতো সেচ দিতে পেরেছেন। পাশাপাশি কৃষি অফিসের কর্মকর্তারা নিয়মিত খোজ খবর নিয়েছেন। এবছর আবহাওয়া ভাল থাকায় ও জমির সঠিক পরিচর্যা করতে পারায় কৃষকরা বাম্পার ফলন পেয়েছেন। এখানকার কৃষকরা ইস্পাহানী-৮, বেবিলন, হীরা, মেটাল সীড হাইব্রিড, আর ব্রি ধান ২৮,৬৩, ৭৪, ৮১, ৮৪, ৮৬, ৮৮, ৮৯, ৯০, ৯২, বঙ্গবন্ধু ধান ১০০, জিরাশাইল কাটারী উফশী জাতের ২২,৩৬৫ হেক্টর বোরো ধানে আবাদ করেছেন। বর্তমানে কৃষকরা ধান কেটে বাড়ি নিয়ে যাচ্ছেন। সেখানে মাড়াই করে শুকিয়ে ঘরে তোলার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন।

উপজেলা কৃষি অফিসের সূত্র মতে, চলতি মৌসুমে নিয়ামতপুরের ৮ ইউনিয়নে ২০ হাজার ৯৯৫ হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে। আর ২২ হাজার ৬৮৫ হেক্টর জমিতে আবাদ হয়েছে।

উপজেলার ভাবিচা ইউনিয়নের আমইল গ্রামের কৃষক হোসেন আলী বলেন, এবছর আবহাওয়া ভাল থাকায় ও জমিতে সঠিক পরিচর্যা করাতে বেশি ফলন হয়েছে। আমি বিঘায় ২৪-২৮ মণ ফলন পেয়েছি। বাজারদর ভালো থাকলে আশা করি লাভবনা হতে পারবো।

বাহাদুরপুর ইউনিয়নের গোকুলপুর গ্রামের কৃষক আব্দুল আজিজ বলেন, আমি এই মৌসুমে ৫ বিঘা জমিতে বোরো ধানের আবাদ করেছি। জমিতে সময় মতো সার, সেচ দিতে পেরেছি। এছাড়াও আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় গাছের রোগবালাই কম হয়েছে। ফলন বেশি হয়েছে। ইতোমধ্যে আমার ২ বিঘা জমির ধান কেটেছি। এতে বিঘাপ্রতি ২৫ মণ করে ফলন পেয়েছি। বর্তমান বাজারে ১২০০-১৫০০ টাকা মণ দরে বিক্রি হচ্ছে।

নিয়ামতপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কামরুল হাসান বলেন, কৃষকদের আগাম ধান চাষের জন্য উৎসাহিত করতে কৃষি বিভাগ থেকৈ সার, বীজ বিনামূল্যে দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও মাঠ পর্যায়ে আমাদের কর্মীরা কৃষকদের পরামর্শ দিয়েছে। এখন পর্যন্ত এই উপজেলার ৪০ শতাংশ জমির ধান কাটা হয়েছে। কৃষকরা বর্তমানে ধান কাটার উৎসবে মেতেছেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মে ৮, ২০২৩ ১০:০৬ পূর্বাহ্ন
ঠাকুরগাঁওয়ে সবজি চালে বিপ্লব
কৃষি বিভাগ

গত কয়েক বছর ধ‌রে লাভের মুখ দেখায় সবজি চাষে ঝুঁকেছেন ঠাকুরগাঁও‌য়ের কৃষকরা। এর মধ্যে সদর উপ‌জেলার গ‌ড়েয়া ইউ‌নিয়‌নের ৬‌টি গ্রা‌মে সব‌জি চাষ ক‌রে বিপ্লব ঘ‌টি‌য়ে‌ছেন কৃষকরা। এখানকার উৎপা‌দিত সব‌জি বিক্রি হচ্ছে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায়।

সরেজমিনে সদর উপ‌জেলার গ‌ড়েয়া ইউনিয়‌নের মিলনপুর, খামার, চখহল‌দি, সিংপাড়া ও মাঝ‌দিসহ বি‌ভিন্ন এলাকায় গি‌য়ে দেখা যায়, মিষ্টিকুমড়া, চালকুমড়া, ধন্দুল ও কাঁকরোলসহ নানা ধর‌নের সব‌জি চাষ কর‌ছেন চা‌ষিরা। উৎপা‌দিত এসব সব‌জি বি‌ক্রি করছেন ওই ইউনিয়‌নের বা‌গেরহাট আড়‌তে। আড়তে বি‌ক্রির ফ‌লে উৎপাদিত সব‌জির দাম ভা‌লো পা‌চ্ছেন তারা। অন‌্যদি‌কে আড়তে ১০০ ‌থে‌কে ১৫০ জন মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। ত‌বে সার ও ডিজেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় একদি‌কে যেমন দু‌শ্চিন্তা অন্যদিকে কাঙ্ক্ষিত ফলন না পেয়ে হতাশ তারা।

কৃষক জাহাঙ্গীর আলম জানান, আড়‌তে সব‌জি বি‌ক্রি কর‌তে আস‌ছি। ত‌বে সব‌জির দাম খুব কম। বৈরী আবহাওয়ার কার‌ণে ফলনও কম হ‌য়ে‌ছে। ৮০০ টাকার সার ১ হাজার ৬০০ টাকায় কিন‌তে হ‌চ্ছে। এতে সব‌জিতে লাভ তো দূ‌রের কথা, আসল টাকাই উঠ‌ছে না। সব‌জির বি‌ভিন্ন প্রকা‌রের রো‌গের প্রাদুর্ভারের পাশাপাশি সব‌জির দাম কম হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন অনেক কৃষক। এ কৃষ‌কের দা‌বি, তিন বিঘা জ‌মি‌তে সব‌জি চা‌ষে ১ লাখ ৩ হাজার টাকা খরচ হ‌লেও আসল টাকাই উঠ‌বে না তার।

ঠাকুরগাঁও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক সিরাজুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, ঠাকুরগাঁও জেলার জমি অনেক উচু এবং উর্বর, তার পাশাপাশি কৃষক যারা রয়েছেন তারা নিবিড় পরিচর্যার মাধ্যমে ব্যাপক উৎপাদন করছেন। এর ফলে ঠাকুরগাঁওয়ে সবজির বিপ্লব ঘটেছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মে ৬, ২০২৩ ৮:০০ অপরাহ্ন
রাজশাহীর ‘ম্যাঙ্গো ক্যালেন্ডার’ নিয়ে বিতর্ক, যা বলছে প্রশাসন
কৃষি বিভাগ

রাজশাহী অঞ্চল আমের জন্য বিখ্যাত। স্থানীয় এই সুনাম ধরে রাখতে এবং বাজারে মানসম্মত আমের সরবরাহ নিশ্চিত করতে ম্যাঙ্গো ক্যালেন্ডার প্রকাশ করে জেলা প্রশাসন।

ঘোষিত ম্যাঙ্গো ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার দশ দিন আগে থেকেই আম পাড়ার তারিখ নির্ধারণ করার পর এনিয়ে তৈরি হয়েছে বিতর্ক।

সমালোচনাকারীরা বলছেন, এমন সিদ্ধান্তের কারণে আম চাষীরা ক্ষতির মুখে পড়তে পারে। কারণ ৪ মে থেকে গুটি আম পাড়া শুরুর কথা বলা হলেও এখনো অনেক আম পরিপক্ক হয়নি। তবে জেলা প্রশাসন বলছে যে, বাজারে মানসম্মত আম নিশ্চিত করতেই চাষীদের স্বার্থের দিক বিবেচনা করে এই ক্যালেন্ডার তৈরি করা হয়েছে।

এবারের প্রকাশিত ম্যাঙ্গো ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, ৪ মে থেকে গুটি আম পাড়া যাবে। এছাড়া ১৫ মে থেকে গোপালভোগ, ২০ মে থেকে রানীপছন্দ, লক্ষণভোগ বা লখনা, ২৫ মে থেকে হিমসাগর বা খিরসাপাত, ৬ জুন থেকে ল্যাংড়া, ১০ জুন থেকে আম্রপালি, ১৫ জুন থেকে ফজলি, ১ জুলাই থেকে আশ্বিনা, বামি আম-৪, গৌড়মতি এবং ২০ অগাস্ট থেকে ইলামতি আম পাড়া যাবে।

এবিষয়ে রাজশাহীর জেলার প্রশাসক শামীম আহমেদ বলেন, জেলায় উৎপাদিত বিভিন্ন জাতের আম কোন সময় থেকে বিক্রির জন্য পাড়া শুরু করা যাবে তার সময় সীমা উল্লেখ করে তালিকা প্রকাশ করা হয়। স্থানীয়ভাবে এই তালিকাকে বলা হচ্ছে ‘ম্যাঙ্গো ক্যালেন্ডার’।

তিনি বলেন, এবার যেহেতু বেশি খরা ছিল সেজন্য আম পাড়ার তারিখ কিছুটা এগিয়ে আনা হয়েছে। এমন আবহাওয়ার কারণে বাঘা উপজেলার কিছু বাগানে গুটি আম পাকতে শুরু করায় তারিখ এগিয়ে আনার বিষয়টিতে জোর দেয়া হয়েছে। কিছু বাগানে বিচ্ছিন্নভাবে কিছু আম পাকছে যেগুলো কৃষকরা বাজারজাত করতে চায়। এই কৃষককে যদি আরো ১০দিন পর্যন্ত ওয়েট করতে হয় তাহলে কিন্তু তার আমগুলো নষ্ট হলে সে বাজারমূল্য থেকে বঞ্চিত হবে।

আম পাড়ার সময়সীমা এগিয়ে আনার বিষয়ে জেলা প্রশাসক বলেন, ৪ মে থেকে আম পাড়া শুরু করার কথা বলা হয়েছে। যাদের আম পাকেনি তারা আম পাকার জন্য অপেক্ষা করতে পারবে। এতে কোন বাঁধা নেই।

তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে এই দিন থেকে তারা আম নামাতে পারবে। তার মানে এই নয় যে, সব আম নামিয়ে ফেলতে হবে।

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop