১০:৩৬ অপরাহ্ন

শনিবার, ৪ মে , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২৩ ৬:২৬ অপরাহ্ন
উপকারী সবজি হিসেবে কদর বেড়েছে কলার মোচার
কৃষি বিভাগ

উপকারী সবজি হিসেবে বেশ কদর রয়েছে কলার মোচার। অনেকের পছন্দের খাবার তালিকায় আয়রণ সমৃদ্ধ সবজি হিসেবে উল্লেখযোগ্য এটি। উৎপাদিত কলাবাগান ছাড়াও দেশের উত্তর জনপদসমূহের প্রায় বাসা বাড়ির পাশে আনাচে কানাচে কলাগাছ চোখে পড়ে।

কলাগাছ বেড়ে ওঠার ৮ থেকে ১০ মাসের মধ্যে গাছের আগায় মোচার বাদাড় দেখা দেয়। মোচা ধীরে ধীরে বেড়ে উঠার সাথে সাথে এর চারপাশ ঘিরে কলা গজাতে থাকে। এসময় কলার পিড় পরিপুর্ণ হওয়ার আগে মোচা খাওয়ার উপযোগী হয়ে উঠে।

বিশেষ করে সাগর কলা, কাচা কলা ও মালভোগ কলাগাছ থেকে মোচার ফলন খুব ভাল। স্থান ভেদে প্রায় সব ঋতুতেই কলার মোচা পাওয়া যায়।

গ্রাম কিংবা শহরের হাট বাজারগুলোতেও অন্যান্য সবজির পাশাপাশি স্বল্প দামে কলার মোচা বিক্রি হতে দেখা যায়। স্বাস্থ্য বিভাগের মতে, রোগ প্রতিরোধসহ কলার মোচার রয়েছে নানাবিধ পুষ্টিগুণ।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : সেপ্টেম্বর ১০, ২০২৩ ৫:১০ অপরাহ্ন
ময়মনসিংহে রোপা আমন ও সরিষার আবাদ বৃদ্ধিতে করণীয় শীর্ষক ’ শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত
কৃষি বিভাগ

কৃষিবিদ দীন মোহাম্মদ দীনু: ময়মনসিংহ জেলার রোপা আমন ও সরিষার আবাদ বৃদ্ধিতে করণীয় শীর্ষক ’ শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রোববার (১০ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টায় বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের ফসলের নিবিড়তা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্প এর আওতায় কর্মশালাটি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ নজরুল ইসলাম সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয়।এর আয়োজন করেন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, ময়মনসিংহ অঞ্চল এবং বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের ফসলের নিবিড়তা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্প, ডিএই। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কৃষিবিদ মো আশরাফ উদ্দিন অতিরিক্ত পরিচালক মনিটরিং ও বাস্তবায়ন, সরেজমিন উইং ,কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ,খামারবাড়ি ,ঢাকা । কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এর অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ সুশান্ত কুমার প্রামানিক এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ময়মনসিংহ এর উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মতিউজ্জামান এবং বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের ফসলের নিবিড়তা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্প ,কৃষিবিদ মোহাম্মদ জিয়াউর রহমান ।
অনুষ্ঠানে নারস ভূক্ত বিভিন্ন গবেষণা ইনস্টিটিউট এর প্রতিনিধি ও বাকৃবির শিক্ষকসহ বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের বিভিন্ন পর্যায়ের কৃষি কর্মকর্তাবৃন্দসহ কৃষক ও আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।


কর্মশালায় রোপা আমন ও সরিষা চাষে লক্ষমাত্রা অর্জনের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হয় এবং বিশেষ দিক নির্দেশনা প্রদান করা হয়। এছাড়া কৃষকদের বিভিন্ন ধরনের প্রনোদনার শতভাগ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

এছাড়া কর্মশালায় আগত কৃষকগণ এই প্রকল্পের মাধ্যমে তাদের এলাকার কৃষির আমুল পরিবর্তন ও আধুনিকতার ছোয়া লেগেছে বলেও মতামত দেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : সেপ্টেম্বর ৪, ২০২৩ ৯:৩১ অপরাহ্ন
স্মার্ট কৃষির বাস্তবায়নে বঙ্গবন্ধু কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে IoT’র সফল প্রয়োগ
কৃষি বিভাগ

কৃষিতে চতুর্থ শিল্পবিপ্লব তথা ডিজিটাল প্রযুক্তির ছোঁয়া লেগেছে বেশ আগেই। এসব প্রযুক্তিগত সুফল সম্প্রতি কৃষিতে জাগরণ সৃষ্টি করেছে। ধীরে ধীরে এটা আরও বিস্তৃত হচ্ছে। বর্তমানে বহু অনলাইন পরিষেবা বাড়ছে। এসবের প্রভাবে কৃষি অর্থনীতিতে ব্যাপক পরিবর্তন আসতে শুরু করেছে। অনেক তরুণ শিক্ষিত যুবকরাও যুক্ত হয়েছে আধুনিক কৃষির সঙ্গে উদ্যোক্তা হয়ে। আর তাই ডিজিটাল কৃষির বাস্তবায়নে ও চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের লক্ষ্য ‍পূরণেঅন্যতম একটি অনুষঙ্গ হয়ে উঠেছে ইন্টারনেট অব থিংস (IoT) সেন্সর ও ক্লাউড বেজড অটোমেটেড এগ্রিকালচারাল সিস্টেম  ।

আর তাই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেমুরকৃবি) বাংলাদেশ সরকারের প্রতিশ্রুত স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে ইন্টারনেট অব থিংস (IoT) প্রয়োগ করে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার অন্যতম ভিত্তি স্মার্ট কৃষির বাস্তবায়ন শুরু হওয়া ব্যাপারটি অত্যন্ত উল্লেখযোগ্য। ইউনাইটেড নেশনস এর ডিজিটাল স্প্রিংস প্রোজেক্টের মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকার নগর, গ্রাম ও কৃষিতেপ্রযুক্তি অবলম্বন করে স্মার্ট সেবাগুলি প্রদানের লক্ষ্য সেট করেছে। এটি মূলত জনগণের জীবনযাত্রার উন্নতিতে একটি মৌলিক ভূমিকা পালন করতে উদ্যোগ নেয়।

‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার অন্যতম ভিত্তি স্মার্ট কৃষির বাস্তবায়নের ধারাবাহিকতায় IoT সেন্সর ব্যবহার করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেমুরকৃবি) এই এগ্রিকালচারাল গ্রোথ মনিটরিং সম্পর্কিত নতুন উদ্ভাবন কৃষি সেক্টরে ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে মানুষের পক্ষে করা অনেক জটিল ও সময় সাপেক্ষ বিষয়গুলি মাঠের তথ্য নিয়ে কাজ করে ফসল ব্যবস্থাপনাকে অনেক সহজ করে দেবে। এই তথ্য-প্রযুক্তিনির্ভর স্মার্ট কৃষি প্রযুক্তির মাধ্যমে কৃষকরা উন্নত পরিচর্যা প্রদান করতে সক্ষম হবে এবং উন্নত উৎপাদনত্ব সহায়ক তথ্য পাবে। যেমন: স্মার্ট কৃষি ব্যবস্থাপনায় মাটির তথ্য তথা মাটির আদ্রতা, তাপমাত্রা, পিএইচ লেভেল, ইসি, পুষ্টিগুণ (নাইট্রোজেন, পটাশিয়াম, ফসফরাস) পরিমাপ ও বিশ্লেষনের মাধ্যমে ফসলের স্বাস্থ্য নির্ণয় পর্যবেক্ষণ করা সম্ভব হবে। ব্যবহৃত সেন্সরের মাধ্যমে মাটির স্বাস্থ্য এবং পুষ্টির তথ্য সংগ্রহ করে উন্নত কৃষি প্রযুক্তি সাহায্যে মাটির থেকে প্রাপ্ত তথ্যের উপর ভিত্তি করে, উপযুক্ত পুষ্টি প্রদান করার জন্য পরামর্শ প্রদান করা সম্ভব হবে যাতে উচ্চ ফলনশীল উৎপাদন সম্ভব হবে।IoT সেন্সর এবং স্মার্ট সেন্সর বেজড ক্যামেরা ব্যবহার করে এটি ভূমি-সম্পর্কিত তথ্য ব্যবহারের মাধ্যমে স্মার্ট পানি ব্যবস্থাপনা সিস্টেম ব্যবহার করে কৃষকরা সঠিক সময়ে প্রয়োজন অনুসারে পানি প্রবাহন এবং ব্যবস্থাপনা করতে সক্ষম হবে যা প্রথাগত ম্যানুয়াল সিস্টেমকে স্বয়ংক্রিয় করবে । এসব ব্যবস্থায় কৃষকরা তাদের খামারের প্রক্রিয়াগুলো নিরীক্ষণ করতে এবং দূর থেকে কৌশলগত সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।

স্মার্ট কৃষির এই উদ্ভাবন জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সী (জাইকা) বাংলাদেশ অফিসের চীফ রিপ্রেজেন্টেটিভ মি. ইচিগুচি তমোহিদ এর নেতৃত্বে চার সদস্য বিশিষ্ট একটি প্রতিনিধি দল  ১৬ আগস্ট ২০২৩ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বশেমুরকৃবি) পরিদর্শন করেন । বশেমুরকৃবি’র মাননীয় ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড.মোঃ গিয়াসউদ্দীন মিয়ার প্রতিনিধি দলকে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইনফরমেশন টেকনোলজি বিভাগে চলমান ইন্টারনেট অব থিংস (IOT) প্রয়োগের মাধ্যমে স্মার্ট কৃষির বাস্তবায়ন শীর্ষক প্রকল্পসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা সমূহ পরিদর্শন করেন। এ সময় উক্ত উদ্ভাবন তথা গৃহিত গবেষনা প্রকল্পের টেকনিক্যাল কার্যক্রম ও ফাংশন ব্যাখ্যা করেন গবেষকদলের মূখ্য গবেষক কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইনফরমেশন টেকনোলজি বিভাগের প্রধান ড. গনেশ চন্দ্র সাহা অংকন । তিনি বলেন ‘বর্তমানে আমি এবং বশেমুরকৃবি একাডেমিয়া, ইন্ডাস্ট্রি ও সরকারের মধ্যে সক্রিয় যোগসূত্র স্থাপন করার মাধ্যমে স্মার্ট কৃষির স্বপ্ন বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছি। বর্তমানে আধুনিক প্রযুক্তির একটি শক্তিশালী অংশ হিসেবে আইওটি (ইন্টারনেট অব থিংস) বিভিন্ন সেক্টরে ব্যবহৃত হচ্ছে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, শিল্প ইত্যাদি সেক্টরে আইওটি একে অপরের সাথে সংযোগ করে সুস্থ এবং স্মার্ট সমাজ তৈরি করতে সাহায্য করে। কৃষি সেক্টরেও আইওটি ব্যবহার একটি আদর্শ উদাহরণ। এই সেক্টরে, আইওটি সেন্সর ও ডিভাইস ব্যবহার করে কৃষকদের সাথে কৃষি প্রক্রিয়াগুলি সহায়ক তথ্য সরবরাহ করে। এটি বিভিন্ন উদ্দেশ্যে ব্যবহার হয়, যেমন মাটির প্রস্তুতির জন্য সেন্সর, আবহাওয়া পূর্বানুমান এবং বৃষ্টির পরিমাণের উপর ভিত্তি করে সি ভিটার কন্ট্রোল, পুরোনো প্রযুক্তিগত উপকরণ এবং কীটপত্তি নিয়ন্ত্রণের জন্য স্মার্ট উপায়ে সেবা প্রদান করা’।

তারই ধারাবাহিকতায় বিশ্ববিদ্যালয় ও ইউজিসির অর্থায়নে এবং যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ’সেন্টার ফর স্মার্ট ভিলেজ এন্ড স্মার্ট সিটি স্টাডিজের’ কারিগরি সহায়তায় এই প্রকল্প তথ্য-প্রযুক্তি নির্ভর কৃষির একটি সফল উদাহরণ । এটি ইন্ডাস্ট্রি ও একাডেমিয়া গবেষণা সহযোগিতা, কৃষিতে নতুন স্টার্টআপ দক্ষ মানব সম্পদ ও উদ্ভাবনী জাতি গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। প্রতিনিধি দল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক পরিচালিত  এ গবেষণা উদ্ভাবনে সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং ভবিষ্যতে প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদানের আশ্বাস প্রদান করেন ।

কৃষি সেক্টর উন্নত করার সাথে সাথে দেশের আরও বিভিন্ন সেক্টর উন্নত হচ্ছে, যা একটি সমৃদ্ধ এবং সাশ্রয়ী সমাজ তৈরি করতে সাহায্য করছে। সফলতার ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ এখন একটি মধ্যম আয়ের উন্নয়নশীল দেশ। পৃথিবীর অন্যান্য উন্নত কৃষিপ্রধান দেশের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগোতে চেষ্টা করছে জোর গতিতে। কৃষিপ্রধান চীন এখন কৃষি প্রযুক্তিতে পরিপূর্ণ। আমরাও এগোতে শুরু করেছি একটু একটু করে। বহুমুখী কৃষিপণ্য উৎপাদন ও কৃষির সাফল্যের জন্য বহির্বিশ্বের কাছে বাংলাদেশ একটি রোল মডেল। উল্লেখযোগ্য বৈচিত্র্যময় কৃষিপণ্য উৎপাদন ও রপ্তানির জন্য বাংলাদেশ বহির্বিশ্বের জন্য একটি হাব হয়ে উঠতে পারে। এর জন্য দরকার স্মার্ট কৃষির সফল বাস্তবায়ন।

উল্লেখ্য ২০০৮ সালের ১২ ডিসেম্বর বাংলাদেশের জন্য দিনবদলের উপাখ্যান ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’-এর স্বপ্ন উপস্থাপন করেছিলেন বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা। সেই স্বপ্ন এখন আর স্বপ্ন নয়, দেশের সব মানুষের কাছে ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন বাস্তব হয়ে ধরা দিয়েছে। ইন্টারনেট পৌঁছেছে সাড়ে ৩ হাজারেরও বেশি ইউনিয়নে । বর্তমানে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে সাড়ে ১২ কোটি। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, বাণিজ্য প্রভৃতি ক্ষেত্রে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার ব্যাপক হারে বেড়েছে, প্রযুক্তিনির্ভর হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ। প্রত্যেকের হাতে এখন অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোন, এ সময়ে মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেড়েছে চার গুণের বেশি। দুনিয়ার সব প্রান্তের খবর মুহূর্তেই এসে যাচ্ছে হাতের মুঠোয়। শতভাগ বিদ্যুতায়নের মাইলফলকে বাংলাদেশ; নতুন আলোর পথে যাত্রা শুরু করেছে দেশ। 

গবেষণা সংস্থা বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের মতে, বৈদ্যুতিক অবকাঠামো উন্নয়নের সাথে  গ্রামীণ ও কৃষি অর্থনীতিতে বড় ধরনের ইতিবাচক প্রভাব দৃশ্যমান। কৃষি উৎপাদনে বেড়েছে আধুনিক যন্ত্রপাতির ব্যবহার। বর্তমান অবকাঠামো ও প্রযুক্তিগত সক্ষমতায় বাংলাদেশকে সুখী, সমৃদ্ধ, সোনার বাংলা করতে হলে, প্রয়োজন শস্যের গুণগত মান এবং পরিমাণ বৃদ্ধি করা এবং ব্যবহৃত কৃষি-শ্রমিক কে প্রশিক্ষিত করে চতুর্থ শিল্প প্রযুক্তির  ব্যবহার সহজ প্রাপ্য করা। বর্তমান বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পের মত ইন্টারনেট অব থিংস (IoT) প্রয়োগ করে তাবৎ কৃষি তথ্য-উপাত্তের মানোন্নয়ন এবং একটি সম্পূর্ণ স্মার্ট কৃষিব্যবস্থা (স্মার্ট ফার্মিংয়ের) প্রবর্তনের মাধ্যমে যা অর্জন করা সম্ভব।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : সেপ্টেম্বর ৪, ২০২৩ ৯:০০ অপরাহ্ন
তরকারি হিসেবে বাড়ছে শাপলার কদর, যা বলছে পুষ্টিবিজ্ঞানীরা
কৃষি বিভাগ

জলের শাপলা এখন শহুরে বাসিন্দাদের জনপ্রিয় তরকারি। ব্যাপক পুষ্টিগুণ আর স্বাদের কারণে রাজধানীতে দিন দিন বাড়ছে সবজি হিসেবে শাপলার কদর। বেচা-বিক্রিও বেশ ভালো বলে জানালেন বিক্রেতারা।

মুন্সিগঞ্জের আড়িয়াল বিলের শাপলা সংগ্রহ করে পাঠানো হয় রাজধানীতে। এতেই রুটি-রুজির জোগান আসে এখানকার কৃষকদের।
তারা বলেন, ৬ মাস আমদের কোনো কাজ থাকে না। বর্ষার এই ৬ মাস আমরা শুধু শাপলা তুলে তা বিক্রি করেই সংসার চালাই। ৫০ থেকে ৬০ জন কৃষক শাপলা তুলে প্রতিদিন ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা আয় করে।

ঢাকার বাজারে এই ফুল নাম লেখায় সবজির খাতায়। পুষ্টি আর স্বাদের কারণে তরকারি হিসেবে শাপলার জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ছে বলে দাবি বিক্রেতাদের।

বিক্রেতেরা বলেন, শাপলা প্রতিদিনই চলছে। যেহেতু এখন ইলিশ মাছের সিজন চলে আর শাপলা দিয়ে ইলিশ মোটামুটি জনপ্রিয় তাই এই সময়ে শাপলা ভালোই চলছে। ভোজন রসিকদের কাছে জাতীয় ফুল এখন সৌখিন আর নিরাপদ খাবার।

ক্রেতার বলেন, যেহেতু শাপলা ফ্রেস ফরমালিনমুক্ত তাই প্রায় শাপলা কেনা হয়। তাদের মতে শাপলা কেনার আরেকটি কারণ হলো শাপলা সারাবছর পাওয়া যায় না তাই এই সময়টাতে শাপলার যোগানের সঙ্গে সঙ্গে চাহিদাও বাড়তে থাকে।

শাপলায় আলুর চেয়ে সাত গুণ বেশি ক্যালসিয়াম আছে। এ ছাড়া ডায়াবেটিস এবং ক্যানসার প্রতিরোধেও উপকারী ভূমিকা রাখে বলে জানালেন পুষ্টিবিজ্ঞানীরা।

পুষ্টিবিজ্ঞানী ড. মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, প্রতি ১০০ গ্রাম শাওলায় প্রায় ৭৬ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম পাওয়া যায়। কাজেই যাদের ক্যালসিয়ামের ঘাটতি আছে তারা শাপলা খেয়ে ঘাটতি মেটাতে পারেন। এ ছাড়া শাপলাতে প্রোটিন ও কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণও যথেষ্ট পরিমাণ রয়েছে যা শারীরিক সক্ষমতা বা শক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।

শাপলা বাণিজ্য আরও সম্প্রসারিত করা গেলে দেশের অর্থনীতির নতুন খাত তৈরি হবে বলে, মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : সেপ্টেম্বর ২, ২০২৩ ৭:১৭ অপরাহ্ন
ধান ভাঙার মেশিনে চুল আটকে নারীর মৃত্যু
কৃষি বিভাগ

নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় ধান ভাঙানোর মেশিনের ফিতায় চুল আটকে এক নারীর করুন মৃত্যু হয়েছে।

শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার মাইজকান্দি গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে।

মৃত খোদেজা আক্তার (৪৮) একই গ্রামের লাল মিয়ার স্ত্রী।

স্বামী লাল মিয়া জানান, শনিবার সকালে তিন মণ ধান গ্রামের বকুল মেম্বারের ধান ভাঙানোর মেশিনে ভাঙাতে নিয়ে যাই। এ সময় আমাকে সহযোগিতা করতে আমার স্ত্রীও আমার স আসে। ধান ভাঙানোর শেষ পর্যায়ে মেশিনের নিচ থেকে ধানের কুড়া সরিয়ে আনার চেষ্টা করে আমার স্ত্রী। তখন অসাবধানতাবশত মেশিনের ফিতায় তার মাথার চুল আটকে যায়। একপর্যায়ে তার মাথার খুলির ওপরের অংশ ছুটে যায়। এ অবস্থায় তাকে দ্রুত কেন্দুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

কেন্দুয়া ওসি মো. আলী হোসেন জানান, কোনো অভিযোগ না থাকায় লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : সেপ্টেম্বর ২, ২০২৩ ৬:৪৩ অপরাহ্ন
সয়াবিন চাষ করে লাভ ঘরে তুলতে পারেন কৃষকরা
কৃষি বিভাগ

সয়াবিনের চাষ (Soybean Cultivation) করে চাষিরা ভালো আর্থিক লাভ পেতে পারেন। কারণ, বাজারে সয়াবিনের চাহিদা বছরের সবসময়ই থাকে। সেইসঙ্গে ভালো দামেই বিক্রি হয়। দামের খুব একটা হেরফের হয় না।সে কারণে কৃষি বিশেষজ্ঞদের মতে, এই চাষে লাভের পরিমান ভালোই এবং কৃষকদেরও পকেট ভরবে | সর্বোপরি, এই চাষে খরচ অন্যান্য চাষের তুলনায় অনেকটাই কম |

 

সাধারণত, সয়াবিনকে বলা হয় হলুদ স্বর্ণ। কৃষকরা বিশ্বাস করেন যে, সয়াবিন চাষ নিশ্চিতভাবে তাদের পক্ষে লাভজনক, কারণ এতে ক্ষতির সম্ভবনা কম।  বিশ্বের ৬০% সয়াবিন আমেরিকাতে উৎপাদিত  হয়, এছাড়াও মধ্য প্রদেশ ভারতের সয়াবিনের বৃহত্তম উৎপাদক । সয়াবিনের বৈজ্ঞানিক নাম ‘গ্লাইসিন ম্যাক্স’। এতে প্রোটিন বেশি থাকে, নিরামিষ হলেও এর থেকে মানুষ মাংসের মতো প্রোটিন পান। প্রধান উপাদানগুলি হ’ল প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট এবং ফ্যাট। সয়াবিনে ৩৮-৪০ শতাংশ প্রোটিন, ২২ শতাংশ অয়েল, ২১ শতাংশ কার্বোহাইড্রেট, ১২ শতাংশ ময়েশ্চার এবং ৫ শতাংশ কনসাম্পশন রয়েছে। সয়াবিন একটি ডাল ফসল, এটিতে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন রয়েছে।

 

সঠিক জাত নির্বাচন:

ভালো উৎপাদন পেতে হলে উন্নতমানের জাতের সয়াবিন চাষ করতে হবে। সবচেয়ে ভালো জাতগুলি হল সয়া ম্যাক্স, পিকে-৪৭২, জেএস-৮০, ২১, জেএস-৩৩৫, বিরসা সয়াবিন-১ প্রভৃতি।

মাটি (Soil):

সয়াবিন দোআঁশ, বেলে দোআঁশ ও এটেল দোআঁশ মাটিতে চাষের জন্য উপযোগী। খরিফ বা বর্ষা মৌসুমে জমি অবশ্যই উঁচু ও জল নিকাশ সম্পন্ন হতে হবে। রবি মৌসুমে মাঝারি নিচু জমিতেও চাষ করা যায়।

চাষের উপযুক্ত সময়:

জুলাই মাসে খরিফ ফসলের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে, সয়াবিন জমিতে এই সময় বপনের জন্য প্রস্তুত। এটি সয়াবিন চাষের আদর্শ সময়, তাই এখন সয়াবিনের ফসল বেশি পরিমাণে বপন করা হচ্ছে। সয়াবিন বপনের সময় ভাল অঙ্কুরোদগমের জন্য জমিতে ৮-১০ সেমি আর্দ্রতা প্রয়োজন। যদি জমির প্রস্তুতিতে বিলম্ব হয় তবে বীজ ৫-১০ শতাংশ বৃদ্ধি করুন। প্রতি হেক্টরে ৮০/৮৫ কেজি বীজ ব্যবহার করা উচিত।

জমি তৈরী:

মটির প্রকারভেদে জমিতে ৪-৫ টি আড়াআড়ি চাষ ও মই দিয়ে মাটি ভালভাবে ঝুরঝুরে ও অগাছা মুক্ত করে বীজ বপন করেত হবে।

 

 

বপণ পদ্ধতি:

সারিতে বুনলে খারিফ মৌসুমে দেড় ফুট বাই ১ ফুট দূরত্বে এবং রবি মরশুমে বুনলে ১ ফুট বাই ৬ ইঞ্চি দূরত্বে বীজ ফেলতে হবে।

সার প্রয়োগ:

একর প্রতি মূল সার ৮ কেজি নাইট্রোজেন, ২৪ কেজি ফসফেট এবং ২৪ কেজি পটাশ। কোনও চাপানসার লাগবে না। এজন্য বিঘা প্রতি ৬ কেজি ইউরিয়া, ৫০ কেজি সিঙ্গল সুপার ফসফেট ১৩.৫ কেজি মিউরিয়েট অব পটাশ মূল সার হিসেবে প্রয়োগ করতে হবে।

অণুবীজ সার প্রয়োগঃ

এক কেজি বীজের মধ্যে ৬৫-৭০ গ্রাম অণুবীজ সার ছিটিয়ে দিতে হবে। এই বীজ সাথে সাথে বপন করতে হবে। অণূবীজের সার ব্যবহার করলে সাধারণত ইউরিয়া সার প্রয়োগ করতে হয় না।

পরিচর্যা:

প্রয়োজন অনুযায়ী জমিতে অনুখাদ্য দেওয়া দরকার। ঠিকমতো পরিচর্যা করতে হবে। ফুল আসার পর জমির টানের উপর নির্ভর করে কমপক্ষে ২টি সেচ অবশ্যই দিতে হবে। ফুল আসার পর থেকে ১০ দিন অন্তর সেচ দেওয়া লাভজনক। এছাড়া গাছের প্রাথমিক বাড়ন্ত অবস্থায় একটি সেচ দেওয়ার সুযোগ থাকলে ভালো হয়।তবে জমিতে জল নিকাশির ব্যবস্থা করতে হবে। অতিরিক্ত জল জমি থেকে বের করে দেওয়া দরকার। নিড়ানি দিয়ে আগাছা পরিষ্কার করে নিতে হবে। কোনওভাবেই আগাছা থাকা চলবে না।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : সেপ্টেম্বর ১, ২০২৩ ১০:২৬ অপরাহ্ন
শেখ হাসিনাকে জনগণ আবারও ক্ষমতায় দেখতে চায়: কৃষিমন্ত্রী
কৃষি বিভাগ

শেখ হাসিনাকে জনগণ আবারও ক্ষমতায় দেখতে চায় মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আবদুর রাজ্জাক বলেছেন, জনগণ ভোট দিয়ে শেখ হাসিনাকে আরেকবার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত করবে। আর জনগণ যদি আমাদের প্রত্যাখ্যান করে, ভালো, আমরা স্যালুট দিয়ে ক্ষমতা ছেড়ে চলে যাব। এর ব্যত্যয় হবে না।

রাজধানীর গাবতলীতে শুক্রবার ফুলের পাইকারি বাজার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

বিএনপির উদ্দেশে তিনি বলেন, নির্বাচনে আসতে হবে। নির্বাচনে অংশ নিতে হবে। জনগণ নির্ধারণ করবে— কে আগামীতে ক্ষমতায় আসবে। ভোট ছাড়া ক্ষমতা পরিবর্তনের সুযোগ নেই।

আওয়ামী লীগের পতন ঘটানো সম্ভব নয় মন্তব্য করে কৃষিমন্ত্রী বলেন, আন্দোলন করে, সন্ত্রাস করে, অবরোধ করে সরকারের পতন ঘটানো যাবে না। এই সরকারের ভিত্তি জনগণ। আওয়ামী লীগের শিকড় অনেক গভীরে, তৃণমূলে। মাটির অনেক গভীরে। ইচ্ছা করলেই সন্ত্রাস করে, ভয় দেখিয়ে, গাড়ি পুড়িয়ে, মানুষকে হত্যা করে আওয়ামী লীগের পতন ঘটানো যাবে না।

তিনি আরও বলেন, আমরা উন্নয়নের মহাসড়কে আছি। উন্নয়নের মহাসড়কে আমাদের গতি আরও ত্বরান্বিত করতে হবে। তার জন্য দেশে রাজনৈতিক স্থীতিশীলতা প্রয়োজন।

 

শেয়ার করুন

প্রকাশ : সেপ্টেম্বর ১, ২০২৩ ১০:১৮ অপরাহ্ন
সবজির বাজার চড়া, স্বস্তি নেই পেঁয়াজ-আলুতেও
এগ্রিবিজনেস

নিত্যপণ্যের বাজারে স্বস্তি নেই দীর্ঘদিন ধরেই। মাছ-মাংসের বাজার, কাঁচাবাজার, এমনকি মসলাজাত পণ্যের বাজারেও অস্বস্তি বেড়েছে। বিভিন্ন সময় নানা পণ্যের দাম কিছুটা ওঠানামা করলেও বাজার ছুটছে ঊর্ধ্বমুখী। সপ্তাহজুড়ে ঝাঁজ বেড়েছে পেঁয়াজের বাজারে। ভালো মানের দেশি পেঁয়াজের কেজি গত সপ্তাহে ৬০ থেকে ৭০ টাকার মধ্যে থাকলেও এ সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়। মাঝারি মানের দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭৫ টাকা কেজি।

রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে দেখা যায়, ন্যূনতম ৫০-৬০ টাকার কমে কোনো সবজি মিলছে না। কেজিতে টমেটো বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৪০ টাকা, আলু ৪০ থেকে ৫০ টাকা, বড় আকারের কালো লম্বা বেগুন ১১০, গোল বেগুন ৯০-১০০ টাকা, ফুলকপি ৫০-৬০ টাকা পিস, কাঁকরোল ৮০ টাকা ও কাঁচা পেঁপে ৫০-৬০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া বাজারভেদে পটল, ঝিঙা, বরবটি, শসা, কচুর মুখী ও করলার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০-৯০ টাকায়।

এছাড়া শসা ৬০-৭০ টাকা, মূলা ৬০ টাকা, ধুন্দল ৮০ টাকা, ঢেঁড়স ৮০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, আকারভেদে লাউয়ের পিস ৮০ টাকা ও চালকুমড়া ৭০-৮০ টাকা পিস বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে চলতি সপ্তাহে খুচরা পর্যায়ে সব ধরনের মসুর ডালের দাম কেজিতে বেড়েছে ৫ থেকে ১০ টাকা। প্রতি কেজি মোটা মসুর ডালের কেজি এখন ৯৫ থেকে ১০৫ টাকা, যা গত সপ্তাহেও প্রতি কেজি মোটা মসুর ডাল ৯০ থেকে ৯৫ টাকায় বিক্রি হয়েছিল। মাঝারি আকারের মসুর ডালের কেজি ৫ টাকা বেড়ে ১১৫ থেকে ১২০ টাকায় উঠেছে। আর ভালো মানের, অর্থাৎ সরু দানার মসুর ডালের কেজি পড়ছে এখন ১৩৫ থেকে ১৪৫ টাকা। গত সপ্তাহে এই ডালের খুচরা দাম ছিল ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকা কেজি।

অপরদিকে সম্প্রতি ডিমের দাম হঠাৎ করে বেড়ে যায়। ডজনে দাম হয়ে গিয়েছিল ১৮৫ টাকা। তবে বর্তমানে প্রতি কেজিতে ফার্মের মুরগির ডিম হালিতে বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা। এছাড়া হাসের ডিমের হালি ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

মাছের বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, স্থানভেদে ২২০ থেকে ২৫০ টাকা কেজি দরে পাঙ্গাস বিক্রি হচ্ছে। বড় ও মাঝারি তেলাপিয়া ২৩০ টাকা থেকে ২৮০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। এক কেজির রুই-কাতলার ফাম হাঁকানো হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৩৬০ টাকা কেজি। দুই থেকে আড়াই কেজি ওজনের রুই-কাতলার মাছের দাম প্রতি কেজি ৩৭৫ থেকে ৪৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। শোল মাছ প্রতি কেজি ৬০০-৬৫০ টাকা। শিং মাছ, বাইলা মাছ প্রতি কেজি প্রকারভেদে ৬০০-৬৭০ টাকা।

এদিকে মাংসের বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, ব্রয়লার মুরগি ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা। সোনালী মুরগি ৩০০ থেকে ৩২০ টাকা। দেশি মুরগি কিনতে কেজিতে খরচ ৫৫০ থেকে ৭০০ টাকা। গরুর মাংস ৮০০ টাকা, খাসির মাংস ১১০০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। স্থানভেদে কম-বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।

 

শেয়ার করুন

প্রকাশ : সেপ্টেম্বর ১, ২০২৩ ৯:৫৯ পূর্বাহ্ন
কলা চাষ করে ভাগ্য বদলে যাচ্ছে জয়পুরহাট চাষিদের
কৃষি বিভাগ

কলা রুয়ে না কেটো পাত, তাতেই কাপড় তাতেই ভাত’। খনার ওই বচনটি কাজে লাগিয়ে ব্যাপক কলা চাষ করে ভাগ্য বদল করছেন জয়পুরহাটের কলা চাষিরা। রাজধানী ঢাকা, চট্রগ্রাম, সিলেট, কুমিল্লা, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ভৈরবসহ দেশের ৩৫ জেলায় যাচ্ছে জয়পুরহাটের কলা।

কলা চাষিদের পরিবারে কেবল ভাত কাপড়ের ব্যবস্থাই নয়। পরিবারের অন্যান্য ব্যয়ের সংস্থানও হয়েছে কলা চাষ করে। আর্থিক ভাবে লাভবান হওয়ায় জেলায় বর্তমানে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে কলার চাষ। জয়পুরহাট জেলার প্রধান অর্থকরী ফসল হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ এ কলা।

জেলায় বিশেষ করে জামালগঞ্জ ও ভাদসা এলাকার অনেক পরিবার কেবল কলা চাষ করেই স্বাবলম্বী হয়েছেন। কৃষকদের সাথে আলাপ করে জানান যায়, অন্য যে কোন ফসলের চেয়ে অনেক বেশী লাভ হয় কলা চাষে।

বিশেষ করে যমুনা সেতু চালু হওয়ার পর থেকে জয়পুরহাট জেলার জামালগঞ্জে ও ভাদসা ইউপি ভবনের সামনে দূর্গাদহ বাজার এলাকায় কলার বিস্ময়কর বাজার সৃষ্টি হয়েছে। অন্যান্য ফসলের পাশাপাশি এখন কলার চাষও বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে জয়পুরহাটে। ২/৩ ফুট লম্বা কলা গাছের চারা লাগানোর অল্প দিনেই ফল পাওয়া যায়।

সাধারনত বৈশাখ মাসে কলার চারা রোপণ করলে অগ্রহায়ণ মাস থেকে কলা পাওয়া শুরু হয়। যেসব জমিতে বর্ষার পানি সাধারনত এক সপ্তাহের বেশি থাকে না সে সকল জমিতে কলার চাষ ভালো হয়। কৃষকরা জানান, একবিঘা জমিতে কলার জাত ভেদে ৩শ থেকে সাড়ে ৩শ কলার চারা রোপণ করা হয়ে থাকে।

যত্ন সহকারে কলা চাষ করলে একটি গাছ থেকে ২ থেকে আড়াই মন কলা পাওয়া যায়। এক বিঘা জমিতে কলা চাষ করতে ১৫/২০ হাজার টাকা খরচ পড়লেও প্রতি বিঘা জমি থেকে কলা বিক্রি হয় এক লাখ থেকে দেড় লাখ টাকা। যা অন্য কোন ফসলে সম্ভব নয়। কলার জমিতে তেমন লেবার প্রয়োজন হয়না। ফলে উৎপাদন খরচ খুবই কম।

স্থানীয় কৃষি বিভাগ জানায়, জয়পুরহাট জেলায় এবার ৮শ ৫০ হেক্টর জমিতে এবার কলার চাষ হয়েছে। এতে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৪০ হাজার মেট্রিক টন।

জামালগঞ্জ এলাকার মাতাপুর গ্রামের কলা চাষী আশরাফুল ইসলাম বলেন, তিনি এবার ৫ বিঘা জমিতে কলার চাষ করেছেন। খরচ বাদে প্রতি বিঘায় ৯০ হাজার থেকে এক লাখ টাকা পর্যন্ত লাভ হয়েছে বলে জানান তিনি। নুনুজ গ্রামের কলা চাষি নূর আলম বলেন কলা বিক্রিতে কোন ঝামেলা হয় না। পাইকাররা জমি থেকেই কলা কেটে নিয়ে যায়।

এ ছাড়াও জামালগঞ্জে ও ভাদসা ইউপি ভবনের সামনে দূর্গাদহ বাজারে কলার বিশাল হাট বসে প্রত্যেক দিন সকালে ৬০/৬৫ জন আড়ৎদার কলা কিনে ট্রাকে লোড দেন। প্রতি কাইন ( স্থানীয় নাম ঘাউর) বিক্রি হচ্ছে চাপা কলা ২৫০-৩৫০ টাকা, সবরি কলা ৫০০-৬০০ টাকা, সাগর ও রঙ্গিন মেহের সাগর কলা প্রতি কাইন বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা।

প্রায় ৫ শতাধিক লোক প্রতিদিন কলা কেনা-বেচার সঙ্গে জড়িত থাকেন। প্রতিদিন কোটি টাকার কলা কেনা বেচা হয়ে থাকে বলে জানান স্থানীয় কলা ব্যবসায়ীরা। জেলা শহরের গুলশান চৌ মোড়ে ছোট আকারে পাইকারী কলার হাট বসে।

জয়পুরহাটের কলা উন্নত মানের হওয়ায় দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করে থাকেন ব্যবসায়ীরা। বিশেষ করে ঢাকা, সিলেট ও চট্রগ্রাম, কুমিল্লা, ভৈরব, নোয়াখালী, চাঁদপুরসহ ৩৫ জেলায় জয়পুরহাটের কলার বড় মার্কেট বলে জানান ব্যবসায়ী শফিকুল ইসলাম, বাবু, তাব্বা ও মিজানুর রহমান।

বর্তমানে অফ সিজন তার পরেও জয়পুরহাট থেকে প্রতিদিন গড়ে বর্তমানে ৬/৭ ট্রাক কলা দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হচ্ছে বলে জানান এস এ ট্রেডার্সের মালিক ও কলা ব্যবসায়ী শফিকুল ইসলাম।

জয়পুরহাটে উৎপাদিত কলার মধ্যে রয়েছে ওষুধী কলা হিসেবে চিহ্নিত চাম্পা কলা, সবরি কলা, রঙ্গিন মেহের সাগর ও সাগর কলা। বর্তমানে জয়পুরহাটের হাটবাজারে প্রকার ভেদে বা সাইজ অনুযায়ী সবরি কলা ৩৫ থেকে ৪০ টাকা হালি এবং চাম্পা ও সাগর কলা ১৫ থেকে ২০ টাকা হালি বিক্রি হচ্ছে।

কলা চাষ বেশ লাভজনক ফসল। জেলার প্রায় ২০ হাজার পরিবার কলা চাষের সঙ্গে জড়িত। কলা চাষ করে লাভবান হওয়ার পাশাপাশি ভাগ্য বদল করছেন জয়পুরহাটের কলা চাষিরা। কলা চাষে কৃষকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদান করা হয়ে থাকে বলে জানান, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ রাহেলা পারভীন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অগাস্ট ২৫, ২০২৩ ১১:৩০ অপরাহ্ন
রোপা-আমন ক্ষেত পরিচর্যায় ব্যস্ত আত্রাইয়ে কৃষকরা
কৃষি বিভাগ

উত্তর জনপদের শস্য ভান্ডার খ্যাত নওগাঁর আত্রাইয়ে চলতি আমন মৌসুমে সবুজ নীলিমায় একাকার বিস্তীর্ণ প্রতিটি ফসলের মাঠ। দিগন্তজুড়ে যেদিকে তাকাই শুধু সবুজ আর সবুজ। উপজেলার আটটি ইউনিয়নের প্রতিটি মাঠে এখন রোপা-আমন ধান পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষক ও শ্রমিকরা। বোরো কর্তন শেষে রোপা-আমন চাষে কোমর বেঁধে মাঠে নামছেন তারা। বর্তমানে ধান গাছের পরিচর্যায় যেন দম ফেলার সময় নেই তাদের।

সরজমিনে উপজেলার বিভিন্ন মাঠে গিয়ে দেখা যায়, কেউ ধান গাছের আগাছা পরিষ্কার করছেন। আবার কেউ সার ও কীটনাশক প্রয়োগ করছেন। সবুজ পাতায় বাতাসে দুলছে কৃষকের স্বপ্ন।। রোপা-আমন ধানের বাম্পার ফলনের আশায় কৃষকের মুখে এখন হাসির ঝিলিক।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে ৬ হাজার ৯০০ হেক্টর জমিতে রোপা-আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তারপরও কার্তিক-অগ্রহায়ণ মাস পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে আশাবাদী কৃষি দপ্তরের সংশ্লিষ্টরা।

উপজেলার ভবানীপুর গ্রামের কৃষক আজম প্রামাণিক বলেন, এবার আমার মনে হচ্ছে বন্যার আশঙ্কা নেই, তাই অন্যান্য বারের তুলনায় এবার আমরা অধিকহারে আমন ধান চাষ করেছি। আশা করছি, এবার আমন ধানে বাম্পার ফলন হবে।

উপজেলার শলিয়া গ্রামের কৃষক রফিকুল ইসলাম জানান, ধান গাছে সময়মতো পানি পাওয়ায় এখন গাছ সবুজ বর্ণ ধারণ করেছে। চারিদিকে যেন সবুজের সমারোহ। যেদিকে তাকাই দৃষ্টি যেন জুড়িয়ে যায়। এবার বড় ধরনের বন্যা না হলে আমন ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। এতে করে আমরা অনেক উপকৃত হব এবং বিগত দিনের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারব বলে মনে করছি।

উপজেলার তারাটিয়া ছোটডাঙ্গা গ্রামের কৃষক ছামাদ প্রামাণিক বলেন, এবার স্বর্ণা-৫, গুটি স্বর্ণা, চিনি আতপ জিরাশাল ও ব্রি-৭৫.৯০ জাতের ধান রোপণ করা হয়েছে। এরমধ্যে বেশির ভাগ জমিতে সুমন স্বর্ণা ও জিরাশাল চাষ করছি। তবে যেসব জমিতে আগাম জাতের আলু রোপণ করা হবে, কেবল ওই জমিতে জিরাশাল ধান রোপণ হয়েছে।

উপজেলার তারাটিয়া ব্লকের উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা মো. জাহিদ হাসান বলেন, রোপা-আমন ধান চাষে কৃষকরা যাতে লাভবান হতে পারেন এবং কৃষকরা যেন আমন চাষে কোনো প্রকার সমস্যায় না পড়েন এ জন্য আমরা সার্বক্ষণিক নজর রাখছি। যেখানেই সমস্যা সেখানেই আমাদের উপস্থিতি এবং সমস্যা সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ তাপশ কুমার রায় বলেন, অধিক ফলনের জন্য পরিমিত সার ব্যবহার, পানি সাশ্রয় এবং সার্বিক পরিচর্যায় কৃষকদের সচেষ্ট হতে আমরা সব সময়ই পরামর্শ দিয়ে আসছি। এবার এ উপজেলার কোথাও কোন পোকা-মাকরের আক্রমণ নেই। ফলে আমরা আশা করছি, এবার রেকর্ড পরিমাণ জমিতে রোপা-আমন ধানের বাম্পার ফলন হবে।

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop