৪:২৮ পূর্বাহ্ন

রবিবার, ১৯ মে , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : মে ৪, ২০২২ ৩:১০ অপরাহ্ন
প্রফেসর ড. খান মো. সাইফুল ইসলাম বাকৃবির নতুন ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা নিযুক্ত
ক্যাম্পাস

কৃষিবিদ দীন মোহাম্মদ দীনুঃ  বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) নতুন ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন পশুপুষ্টি বিভাগের প্রফেসর ড. খান মো. সাইফুল ইসলাম।

সোমবার (০২ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার কর্তৃক স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আগামী দুই বছরের জন্য প্রফেসর ড. খান মো. সাইফুল ইসলামকে ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন। প্রফেসর ড. খান মো. সাইফুল ইসলাম ফসল উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর ড. এ. কে. এম. জাকির হোসেন-এর স্থলাভিষিক্ত হবেন। তিনি আগামী ৮ মে আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব গ্রহণ করবেন।

শিক্ষা জীবনে কৃতিত্বের অধিকারী প্রফেসর ড. খান মো. সাইফুল ইসলাম ১৯৯৩ সনে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পশুপালন অনুষদ থেকে কৃতিত্বের সাথে বিএসসি ইন এ্যনিমেল হাসবেন্ডারি-অনার্স এবং ১৯৯৬ সালে এমএসসি ইন এ্যানিমেল নিউট্রিশন ডিগ্রী লাভ করেন। পরবর্তীতে জার্মানীর হোহেনহেইম ইউনিভার্সিটি থেকে ২০০৫ সনে পিএইচ.ডি ডিগ্রী এবং জার্মানীর পোস্টডাম ইউনিভার্সিটি থেকে ২০১২ সনে পোস্ট ডক্টরেট ডিগ্রী লাভ করেন।

প্রফেসর ড. খান মো. সাইফুল ইসলাম ১৯৯৭ সনে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পশুপুষ্টি বিভাগে লেকচারার, ১৯৯৯ সনে সহকারী প্রফেসর, ২০০৬ সনে সহযোগী প্রফেসর হিসেবে এবং পরবর্তীতে ২০১০ সনে প্রফেসর পদে উন্নীত হন। বর্তমানে প্রফেসর ড. খান মো. সাইফুল ইসলাম বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

প্রফেসর ড. খান মো. সাইফুল ইসলাম বহু জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সেমিনার, সিম্পোজিয়াম, ওর্য়াকশপ ও কনফারেন্সে যোগদান করে গবেষণালব্ধ প্রবন্ধ উপস্থাপন করেছেন ।

কর্মজীবনে প্রফেসর ড. খান মো. সাইফুল ইসলাম পশুপুষ্টি বিভাগের প্রধান, বাকৃবি প্রভোস্ট কাউন্সিলের আহবায়ক, বাকৃবি পরিবহন শাখার পরিচালক এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন।

উল্লেখ্য, বাকৃবির ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা ও ফসল উদ্ভিদবিজ্ঞান প্রফেসর ড. এ.কে.এম. জাকির হোসেন কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ভাইস-চ্যন্সেলর হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন। এই কারণে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা পদটি ফাঁকা হয়ে যায়। নতুন নিযুক্ত ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টার মেয়াদ আগামী দুই বছর।

প্রফেসর ড. খান মো. সাইফুল ইসলাম ১৯৮৯ সাল থেকে নাটক লেখা, পরিচালনা, নির্দেশনা ও অভিনয়ের সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন । পরবর্তীতে টেলিভিশনের বিভিন্ন চ্যানেলে অনেক নাটক প্রযোজনা ও পরিচালনা করেন। উনার লেখা ও পরিচালনায় অন্ততপক্ষে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক দুইটি নাটক মঞ্চস্থ করা হয় ও মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চারটি নাটক টেলিভিশনে প্রচারিত হয় । প্রফেসর ড. খান মো. সাইফুল ইসলামের লেখা ১৯৯০ সালে মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক একটি নাটক বাকৃবিতে পিলসুজ সাংস্কৃতিক সংগঠন কতৃক পুরস্কৃত হয়।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : এপ্রিল ২৮, ২০২২ ৩:৫৫ অপরাহ্ন
বাকৃবিতে নতুন উদ্ভাবিত ধানের জাত ‘বাউ ধান-৩’ এর শস্য কর্তন -২০২২ অনুষ্ঠিত
ক্যাম্পাস

কৃষিবিদ দীন মোহাম্মদ দীনুঃ বাউ ধান-৩ বোরো মৌসুমের আগাম জাতের উচ্চফলনশীল ধানের একটি নতুন জাত । এ জাতের ধান পাকা অবস্থায় শীষ থেকে ঝড়ে পড়ে না। জাতটি বোরো মৌসমের জনপ্রিয় ও প্রচলিত ব্রি ধান২৮ এর মত আগাম এবং সমসাময়িক।

বাংলদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কতৃক উদ্ভাবিত বোরো ধানের উচ্চ ফলনশীল জাত ‘বোরো বীজ ধান (বাউ ধান-৩) এর শস্য কর্তন -২০২২’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাউ ধান-৩ এর উদ্ভাবক বাংলদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যায়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. লুৎফুল হাসান এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, এ ধানের ফলন প্রচলিত ব্রি ধান ২৮ এর চেয়ে বেশি । প্রতি হেক্টর এ ফলন ৭-৮ টন । এ ধানটি মোটামুটি প্রধান প্রধান রোগ প্রতিরোধে সক্ষম। ১০০০ টি পুষ্ট ধানের ওজন ২৫ গ্রাম এ জাতের জীবনকাল ১৪০-১৪৫ দিন যা ব্রি ধান২৮ চেয়ে ৩-৫ দিন বেশি।

তিনি আরও বলেন , এ ধানে চিটা কম। সেহেতু এ জাতটি বোরো মৌসুমে প্রচলিত ও জনপ্রিয় জাত ব্রি ধান২৮ এর বিকল্প ও পরিপুরক হিসেবে নির্বাচন করা যাবে। তিনি আরও বলেন বাংলাদেশে ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার চাপ সামলাতে বর্ধিত থাদ্য শস্যোর চাহিদার ফলে ফসলের উপাদন বাড়ানোর কোন বিকল্প নাই।

আজ ২৮ এপ্রিল, ২০২২ দুপুরে বোরো বীজ ধান (বাউ ধান-৩) এর শস্য কর্তন -২০২২’ উপলক্ষে আয়োজিত মাঠ দিবস অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

বাকৃবি খামার ব্যবস্থাপনা শাখার আয়োজনে আজ ২৮এপ্রিল, ২০২২ বৃহস্পতিবার দুপুরে বোরো বীজ ধান (বাউ ধান-৩) এর শস্য কর্তন -২০২২’ অনুষ্ঠানে প্রধান খামার তত্ত্বাবধায়ক প্রফেসর ড. মোঃ রমিজ উদ্দিন এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যায়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. লুৎফুল হাসান।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের নব নিযুক্ত ভাইস-চ্যান্সেলর ও ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা প্রফেসর ড. একেএম জাকির হোসেন, বাউরেস এর পরিচালক প্রফেসর ড. আবু হাদী নূর আলী খান ।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন প্রোক্টর প্রফেসর ড.মুহাম্মদ মহির উদ্দীন,প্রফেসর ড.মো. আবদুস সালাম,উপ-প্রধান খামার তত্ত্বাবধায়ক কৃষিবিদ মো. জিয়াউর রহমান,ক্রীড়া প্রশিক্ষণ বিভাগের পরিচালক ড.আবুল কালাম আজাদ,জনসংযোগ ও প্রকাশনা দফতরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ দীন মোহাম্মদ দীনু প্রমুখ।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : এপ্রিল ২৬, ২০২২ ২:০৯ অপরাহ্ন
কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ম ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ডক্টর একেএম জাকির হোসেন
ক্যাম্পাস

কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ম ভাইস চ্যান্সেলর হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন প্রফেসর ডক্টর একেএম জাকির হোসেন । মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে এই তথ্য জানানো হয় । বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃতি অ্যালামনাই, রংপুরের কৃতি সন্তান প্রফেসর ডক্টর একেএম জাকির হোসেন (সাবেক প্রক্টর, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যাল্‌ ময়মনসিংহ ও ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা, বাকৃবি)।

প্রফেসর ড.এ.কে.এম. জাকির হোসেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কৃষিতে স্নাতক ও ফসল উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এম.এস ডিগ্রী লাভ করেন । পরে তিনি গিফু ইউনিভার্সিটি, জাপান (The Gifu University, Japan) থেকে প্ল্যান্ট ফিজিওলজি এন্ড বায়োকেমিষ্ট্রি বিষয়ে পিএইচ.ডি এবং জাপান ইন্টারন্যাশনাল রিসার্চ সেন্টার ফর এগ্রিকালচারাল সায়েন্স (Japan International Research Center for Agricultural Sciences, Tsukuba, Japan) থেকে পোস্ট ডক্টরাল সম্পন্ন করেন । ১৯৯৭ সনে প্রফেসর ড.এ.কে.এম. জাকির হোসেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফসল উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগে লেকচারার হিসেবে শিক্ষকতা পেশায় নিযুক্ত হন। পরবর্তীতে ২০০০ সনে সহকারী প্রফেসর, ২০০৫ সনে সহযোগী প্রফেসর এবং ২০১০ সনে তিনি প্রফেসর পদে উন্নীত হন।

সফল কর্মজীবনের অধিকারী প্রফেসর ড.এ.কে.এম. জাকির হোসেন, ফসল উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগ ও সীড সায়েন্স এন্ড টেকনোলজী বিভাগীয় প্রধান, বিশ্ববিদ্যালয়ের বোটানিক্যাল গার্ডেনের কিউরেটর, প্রোক্টর, পরিচালক, বিশ্ববিদ্যালয় সিকিউরিটি কাউন্সিল, পরিচালক পরিবহন শাখা, সাধারণ সম্পাদক বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাব, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সংগঠন গণতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির নির্বাচিত যুগ্ম সম্পাদক ও সহ সভাপতি,সিনিয়র সহ-সভাপতি বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন,বাকৃবি এবং শিক্ষা ও গবেষণা কাজের পাশাপাশি বিভিন্ন প্রশাসনিক দায়িত্বসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন।

প্রফেসর ড.এ.কে.এম. জাকির হোসেন বহু জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সেমিনার, সিম্পোজিয়াম, ওর্য়াকশপ ও কনফারেন্সে যোগদান করে গবেষণালব্ধ প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এবং বিভিন্ন টেকনিক্যাল সেশনে চেয়ারপারসনের দায়িত্ব পালন করেছেন। তার লেখা ৫০টি গবেষণামূলক প্রবন্ধ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক জার্ণালে প্রকাশিত হয়েছে।

বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী মোঃ মকবুল হোসেন ও জামিলা খানম এর পুত্র প্রফেসর ড.এ.কে.এম. জাকির হোসেন ১৯৬৯ সনের ২৮ সেপ্টেম্বর রংপুর জেলার বদরগঞ্জ থানার অন্তর্গত উত্তর বাউচান্দি,পাকের মাথা গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন। ব্যক্তিগত জীবনে প্রফেসর ড.এ.কে.এম. জাকির হোসেন খান বিবাহিত, তাঁর স্ত্রী প্রফেসর ড. ফৌজিয়া সুলতানা বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পোল্ট্রি বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক এবং তিনি দুই পুত্র সন্তানের জনক।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : এপ্রিল ২৬, ২০২২ ১২:৪০ অপরাহ্ন
ইন্টিগ্রেশন সেলস ব্রাঞ্চ অফিসার নিয়োগ দিবে সি.পি. বাংলাদেশ
ক্যাম্পাস

জব ডেস্ক: C.P. Bangladesh Co. Ltd. সম্প্রতি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে  Officer – Integration Sales Branch পদে আবেদনের জন্য আহবান জানানো যাচ্ছে।

চাকুরির ধরন :  Full time

শিক্ষাগত যোগ্যতা :  Graduation in Animal Husbandry /DVM

আবেদনের শেষ তারিখ :  ২৫ মে ২০২২

(শুধুমাত্র পুরুষ প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন)

বিস্তারিত বিজ্ঞপ্তিতে

 

আবেদনের নিয়ম: সিভি/রেজ্যুমে এর সাথে সাম্প্রতিক সময়ে তোলা ছবি যুক্ত থাকতে হবে।  আবেদন করতে হলে বিডিজবসে একাউন্ট থাকতে হবে। আবেদন করতে এখানে ভিজিট করুন এবং বিজ্ঞপ্তির নিচে Apply Online নামক বাটনে ক্লিক করুন।

বিজ্ঞপ্তির লিংক 

 

শেয়ার করুন

প্রকাশ : এপ্রিল ২১, ২০২২ ১২:৩০ অপরাহ্ন
সিভাসু’র প্রগতিশীল শিক্ষক ফোরামের নতুন সভাপতি এম. নূরুল আবছার খান, সম্পাদক তাসনিম ইমাম
ক্যাম্পাস

চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ে (সিভাসু) বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষক ফোরাম-এর ২০২১-২০২২ মেয়াদে নতুন কার্যকরী কমিটি গঠিত হয়েছে।

কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন ফিশারিজ অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোহাম্মদ নূরুল আবছার খান, সহ-সভাপতি হয়েছেন ওয়ান হেল্ধসঢ়;থ ইনস্টিটিউটের পরিচালক প্রফেসর ড. শারমীন চৌধুরী এবং সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন প্রক্টর ও অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর তাসনিম ইমাম।

কমিটির অন্যরা হলেন- কোষাধ্যক্ষ ড. সুব্রত কুমার শীল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অভিজিৎ তালুকদার, সাংগঠনিক সম্পাদক আবরার শাকিল, প্রচার সম্পাদক নিলুফা ইয়াসমিন, সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক ডা: তুলি দে।

কার্যকরী সদস্যরা হলেন-প্রফেসর ড. এএসএম লুৎফুল আহসান, প্রফেসর. ড. আশুতোষ দাশ, ড. মো: সাইফুল বারী, মো: ফাহাদ বিন কাদের, মো: আশরাফুল ইসলাম, সুমি আকতার ও ডা: তৌহিদা কামাল।

উপদেষ্টামন্ডলীর  সদস্যরা হলেন-প্রফেসর ড. গৌতম বুদ্ধ দাশ, প্রফেসর ড. পরিতোষ কুমার বিশ্বাস, প্রফেসর ড.মো:মাসুদুজ্জামান, ড.মো:মাসুদুজ্জামান, প্রফেসর ড. মো: রায়হান ফারুক, প্রফেসর গৌতম কুমার দেবনাথ, প্রফেসর ড. মো: আলমগীর হোসেন ও প্রফেসর ড.ওমর ফারুক মিয়াজী।

প্রগতিশীল শিক্ষক ফোরাম-এর নবনির্বাচিত কমিটির সদস্যরা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল এবং চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সাবেক সফল মেয়র ও চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি চট্টলবীর আলহাজ্ব এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : এপ্রিল ১৯, ২০২২ ১২:৩০ অপরাহ্ন
স্কুল কিড প্রোগ্রামে ‘ওয়ান হেলথ’ সম্পর্কে ধারণা দিল জিভিএসএ
ক্যাম্পাস

গবি প্রতিনিধিঃ মানুষ, প্রাণী আর পরিবেশ। এই তিনের স্বাস্থ্যই একে ওপরের সঙ্গে অঙ্গাঅঙ্গিভাবে জড়িত।একটা বাদ দিয়ে সুস্থভাবে বেঁচে থাকা সম্ভব নয়। আর এই তিনের স্বাস্থ্য ‍সুরক্ষায় বিশ্ব স্বীকৃত ‘ওয়ান হেলথ’ এর ধারণাকে কাজে প্রয়োগের জন্য চিকিৎসক, খামারি ও সাধারণ মানুষদের উদ্বুদ্ধ করছে গাজীপুর ভেটেরিনারি স্টুডেন্টস এসোসিয়েশন।

মঙ্গলবার (এপ্রিল ১৮) উপজেলা ভেটেরিনারি হাসপাতাল ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর, গাজীপুর সদর, গাজীপুর এর তত্ত্বাবধানে ; গাজীপুর ভেটেরিনারি স্টুডেন্ট’স এসোসিয়েশন এর সহযোগিতায় আজ ‘জকি স্মৃতি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়’ এর ছাত্রছাত্রীদের সাথে Public Health Awareness বিষয়ক School Kid Program করা হয় । সেখানে rabies সহ zoonotic disease সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের ধারণা দেওয়া হয়, এবং কি করণীয় সে সম্পর্কে জানানো হয়। সুন্দর দেহ গঠন এবং সুস্থ মানসিক স্বাস্থ্য গঠনে দুধ ও ডিমের গুরুত্ব এবং One Health concept সম্পর্কে একটা সহজ ও প্রাথমিক ধারণা শিক্ষার্থীদের মধ্যে দেওয়া হয়।

প্রোগ্রামটিতে স্বশরীরে উপস্থিত থেকে বক্তব্য প্রদান করেছে জিভিএসএ প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান,দ্বিতীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদ্য নির্বাচিত সভাপতি মোঃশাফিনুল ইসলাম এবং কার্যকরী সদস্য রকিবুল ইসলাম।

‘ওয়ান হেলথ’ সম্পর্কে মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, এই ধারণাটি বিশ্ব স্বীকৃত। উন্নত অনেক দেশেই এই ধারণার ওপর কাজ হচ্ছে। যেহেতু জিভিএসএ একটি স্বেচ্ছাসেবামূলক প্রতিষ্ঠান, তাই এই ধারণাটি সবার মাঝে প্রতিষ্ঠিত করতেই এ কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়েছে।

বর্তমান সভাপতি মোঃ শাফিনুল ইসলাম বলেন,২০৩০ সালের ভেতর রেবিসের মত ভয়াবহ জুনোটিক ডিজিজ নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য ব্যাপকভাবে কাজ করছেন বিশ্বের প্রাণী সংস্থাগুলো। তৈরী করছে সচেতনতা। এসবের প্রেক্ষাপট থেকে আমরাও গাজীপুর জেলায় কার্যক্রম নিয়মিত করব। সব স্কুলে এবং কলেজ পর্যায়ে প্রচারণা করব।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : এপ্রিল ১৮, ২০২২ ৫:১২ অপরাহ্ন
বাকৃবিতে নরসিংদী জেলা ছাত্র কল্যান সমিতি গঠন
ক্যাম্পাস

দীন মোহাম্মদ দীনু (বাকৃবি): বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে নরসিংদী জেলা ছাত্রকল্যাণ সমিতির ২০২২-২৩ সালের জন্য কার্যনির্বাহী পরিষদ ও একটি উপদেষ্টা কমিটি গঠন করা হয়েছে। শুক্রবার (১৫ এপ্রিল) বিকাল ৫.৩০ ঘটিকায় বাকৃবি ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত এক সভার মাধ্যমে উক্ত কমিটি গঠন করা হয়।

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে নরসিংদী জেলা ছাত্রকল্যাণ সমিতির ২০২২-২৩ সালের জন্য কার্যনির্বাহী পরিষদে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি ও হাইজিন বিভাগের প্রফেসর ডঃ এস. এম. লুৎফুল কবিরকে সভাপতি এবং ভেটেরিনারি অনুষদের লেভেল-৫ সেমিস্টার-১ এর শিক্ষার্থি ইউসুফ আলীকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত করা হয়েছে। শুক্রবার (১৫ এপ্রিল ২০২২) বর্তমান কমিটির সভাপতি প্রফেসর ড. মােহাম্মদ সামছুল আলম ভূঞা ও সাধারণ সম্পাদক তপু সূত্রধর স্বাক্ষরিত এক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়।

কমিটিতে সহ-সভাপতি প্রফেসর ডঃ মােঃ আনােয়ার হােসেন, কোষাধ্যক্ষ ডঃ আনিসুর রহমান, যুগ্ম সম্পাদক মােঃ ফাহিম আহমেদ ও মােঃ মহিউদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম রাকিব, খালেদ হাসান শান্ত, জান্নাতুল আফরিন এমা, সহ-কোষাধ্যক্ষ পদে আরিফুল পরাণ, দপ্তর সম্পাদক নিশাত জাহান ঊর্মি, প্রচার সম্পাদক সবুর খান, উপ প্রচার সম্পাদক জাহিদ হাসান সানি, সাংস্কৃতিক সম্পাদক সাবরিনা শান্তা, উপ-সাংস্কৃতিক সম্পাদক শৈবাল সাহা, ক্রীড়া সম্পাদক সাদেক খান, উপ ক্রীড়া সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম ও অপূর্ব সাহা (দুর্জয়), ছাত্রকল্যাণ সম্পাদক শিলার আহমেদ, উপ ছাত্রকল্যাণ সম্পাদক আদনান রিওন, ছাত্রী বিষয়ক সম্পাদক রাশিদা আক্তার রাশি, শিক্ষা ও গবেষনা সম্পাদক তামান্না সরকার নরিন, উপ শিক্ষা ও গবেষনা সম্পাদক সুমাইয়া আহমেদ প্রাপ্তি, গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক কুলসুম আক্তার, উপ গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক কানিজ ফাতেমা (হিরামণি) নির্বাচিত হয়েছেন।

কমিটিতে কার্যকরী সদস্য হিসেবে রয়েছেন তপু সূত্রধর, শফিকুল ইসলাম শাহিন, হাফিজ উদ্দিন, মােফাজ্জল হােসেন তুহিন, খুররম সরকার প্রান্ত, আরিফুল মােল্লা, শারমিন সুমা এবং মুক্তা মণি।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : এপ্রিল ১৫, ২০২২ ১২:৫৯ অপরাহ্ন
গাজীপুর ভেটেরিনারি স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের নতুন নেতৃত্বে শাফিনুল-লাবিব
ক্যাম্পাস

নাজমুল হাসান, গবি প্রতিনিধিঃ গাজীপুর ভেটেরিনারি স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের (জিভিএসএ) ২০২২-২৩ বর্ষের কমিটি গঠন করা হয়েছে। এতে সভাপতি হিসেবে মোঃ শাফিনুল ইসলাম এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে মোঃ তাছমীর রাইয়ান লাবিব দায়িত্ব পেয়েছেন।

মোঃ শাফিনুল ইসলাম চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবং মোঃ তাছমীর রাইয়ান লাবিব বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।

সম্প্রতি, জিভিএসএ দ্বিতীয় কার্যনির্বাহী কমিটির দায়িত্ব হস্তান্তর অনুষ্ঠানে ২৯ সদস্যের কমিটি ঘোষণা করেন সংগঠনটির আহ্বায়ক ডা. আমির হাসনাত হাসিব, প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ডাঃ মোহাইমিনুল হক পদ্ম, প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ইন্টার্ন চিকিৎসক মোস্তাফিজুর রহমান।

এসময় যুক্ত ছিলেন কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং বাংলাদেশ ভেটেরিনারি অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব মোহাম্মদ হাবীবুর রহমান মোল্লা, বাংলাদেশ ভেটেরিনারি কাউন্সিলের রেজিস্ট্রার গোপাল চন্দ্র বিশ্বাস, বঙ্গবন্ধু ভেটেরিনারি পরিষদের মহাসচিব সাইফুল বাশার, বাংলাদেশ ভেটেরিনারি স্টুডেন্টস ফেডারেশন এর সভাপতি ইমতিয়াজ আবির ও বাংলাদেশ ভেটেরিনারি স্টুডেন্টস ফেডারেশন এর সাধারণ সম্পাদক রতন রহমান।

উপদেষ্টা হিসেবে জন্মসূত্রে গাজীপুর জেলায় স্থায়ী বাসিন্দা এবং বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান, অধ্যাপক এবং প্রভাষকরা অনুষ্ঠানে যুক্ত হয়ে সংগঠনের উত্তরোত্তর শুভকামনা জানিয়ে বক্তব্য দেন।

নবনির্বাচিত কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন-সহ-সভাপতি মাহমুদুল হাসান সাকিব (বাকৃবি), অপূর্ব তরফদার (হাবিপ্রবি), জুখার দুদায়েভ(বশেমুরকৃবি), মোঃআরিফ হোসাইন (পবিপ্রবি), হাসানুল হক ইমন(বশেমুরকৃবি), ইসরাত জাহান সাদিয়া(জেজেভিসি),

যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাতুল জামান(গবি), হাবিবুর রহমান(শেকৃবি), তোফায়েল আহম্মেদ(বশেমুরবিপ্রবি), মিলন মিয়া (সিভাসু), এহসানুল হক রিমন (বশেমুরকৃবি),

সাংগঠনিক সম্পাদক এস,এম আওয়াবুল্লাহ ইব্রাহিম (শেকৃবি) , শেখ আঞ্জুমান আরা কেয়া (শেকৃবি) , সাব্বির হোসাইন সানি (গবি), মেহেদি হাসান(গবি), হাসিবুল হাসান নাঈম(শেকৃবি),এ,কে,এম তৌসিফুর রহমান (গবি),

দপ্তর সম্পাদক আফসান সারোয়ার(বাকৃবি), উপ দপ্তর সম্পাদক সাজিদ হাসান তানিম(সিকৃবি), জাহিদুল ইসলাম ঢালী(গবি),

কোষাধ্যক্ষ আরেফিন শুভ(গবি), প্রচার সম্পাদক শামিয়া খান লিসা(শেকৃবি), উপ প্রচার সম্পাদক মাহমুদুল হাসান সৌরভ(সিকৃবি), সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক দীপু চন্দ্র দাস(বশেমুরকৃবি), উপ সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক আসিফ হাসান কাফি(হাবিপ্রবি) ,

গ্রন্থনা ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক মোঃ সাজ্জাদ হোসেন শাকিল (পবিপ্রবি), উপ গ্রন্থনা ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক নাসির উদ্দিন(শেকৃবি), পরিকল্পনা ও কর্মসূচি বিষয়ক সম্পাদক আনাস বিন হারুন (বশেমুরকৃবি), উপ পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক সাদমান সাকিব (জেজেভিসি),

ছাত্রী বিষয়ক সম্পাদক ফারজানা আক্তার(শেকৃবি) , উপ ছাত্রী বিষয়ক সম্পাদক তামান্না ইসলাম মাহী(হাবিপ্রবি) , তথ্য ও যোগাযোগ বিষয়ক সম্পাদক সাজিদ আল মামুন(গবি),উপ তথ্য ও যোগাযোগ বিষয়ক রাশেদুজ্জামান নাইম (বশেমুরকৃবি),

সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক মোঃ হাবিব (বশেমুরকৃবি), উপ সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক তারেক মাহমুদ উদয়( বাকৃবি), ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক আশিক মাহমুদ মুক্তা (বাকৃবি) উপ ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক সাফি বিন আমজাদ (বশেমুরকৃবি),

আইন বিষয়ক সম্পাদক মোঃ সাইমুন হাসান নাহিক ( বাকৃবি), উপ আইন বিষয়ক সম্পাদক হোসেন আরা হাসি(বশেমুরকৃবি) , সহ সম্পাদক সামিয়া বিনতে কাশেম (শেকৃবি) , রিফাত ইসলাম (সিকৃবি), মেহেদী হাসান প্রান্ত(রাবি), কার্যকরী সদস্য শিরিন সুলতানা(বশেমুরকৃবি) , ইসরাত ইপ্তি(গবি), রবিউল হাসান আসিফ (গবি)।।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : এপ্রিল ১৩, ২০২২ ৮:৫৫ অপরাহ্ন
প্রাধিকারের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত
ক্যাম্পাস

সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিকৃবি) প্রাণি অধিকার এবং জীববৈচিত্র সংরক্ষণ বিষয়ক সংগঠন “প্রাধিকার” এর আয়োজনে ইফতার মাহফিল ও আলোচনা সভা  অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার  (১৩ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি, এনিম্যাল ও বায়োমেডিকেল সায়েন্সেস অনুষদের ৪র্থ তলার গ্যালারীতে ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

প্রাধিকারের  সাধারণ সম্পাদক  নীলোৎপল দে’র সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন তাজুল ইসলাম মামুন।এ সময় উপস্থিত ছিলেন সার্জারি অ্যান্ড থেরিওজেনোলজি বিভাগের সহযোগী প্রফেসর ড. অনিমেষ চন্দ্র রায়, এনাটমি অ্যান্ড হিস্টোলজি বিভাগের প্রভাষক ড. মোঃ মাসুদ পারভেজ ও প্রাধিকারের সাবেক সহসভাপতি ড. মোঃ জাহিদ হাসান সহ প্রাধিকারের অন্যান্য সদস্যবৃন্দ।

এ সময় উপস্থিত অতিথিগণ বিভিন্ন দিক নির্দেশনামূলক কথা বলেন  এবং প্রাধিকারের  উত্তর উত্তর সাফল্য কামনা করেন।ইফতারের পূর্বে দেশ, জাতি ও , অগ্রগতি ও কল্যাণ কামনা করে বিশেষ দোয়া করা হয়।

উল্লেখ্য, বিশ্বব্যাপী চলমান করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) এর প্রাদুর্ভাবের কারণে বিগত দুই বছর প্রাধিকার এর  ইফতার মাহফিল আয়োজন করা সম্ভব হয়নি। তবে এবছর করোনার প্রকোপ অনেকটা নিয়ন্ত্রণে থাকায় এবারের ইফতার মাহফিল আয়োজন করা হয় এবং ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে সকলের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে ইফতার মাহফিল সফলভাবে সমাপ্ত হয়।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : এপ্রিল ৪, ২০২২ ১০:০০ পূর্বাহ্ন
স্বল্প আলোয় ক্যাপসিকাম চাষে খুবি শিক্ষার্থীর সাফল্য
কৃষি গবেষনা

গবেষণায় স্বল্প আলোয় ক্যাপসিকাম বা মিষ্টি মরিচ চাষে সাফল্য পেয়েছেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) শিক্ষার্থী মো. সোহেল রানা। খুবির এগ্রো-টেকনোলজি ডিসিপ্লিনের অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল মান্নানের তত্ত্বাবধানে জার্মপ্লাজম সেন্টারে এ গবেষণা করা হয়।

এগ্রোটেকনোলজি ডিসিপ্লিনের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী সোহেল গবেষণায় লাল, হলুদ, সবুজ, কমলা, বেগুনি ক্যাপসিকাম নিয়ে কাজ করেছেন। তিনি স্বল্প রৌদ্র-আলোতে মালচিং শিট ব্যবহার করে পরিবেশবান্ধব উপায়ে ক্যাপসিকাম চাষ করেন।

গবেষণায় দেখা যায়, ছায়াযুক্ত স্থানে ক্যাপসিকাম চাষ করা হলেও প্রতিটি গাছে প্রায় ১০-১৫টি ও সর্বোচ্চ ২০টি ক্যাপসিকাম ধরেছে ও প্রতিটি ক্যাপসিকামের ওজন প্রায় ৭০-২০০ গ্রাম। প্রতিটি গাছ থেকে গড়ে ৭০০-৯০০ গ্রাম পাওয়া গেছে।

দেখতে অনেক সাধারণ হলেও ক্যাপসিকামের পুষ্টিগুণ কিন্তু মোটেও সাধারণ নয়। দেখা গেছে প্রতি ১০০ গ্রাম ক্যাপসিকামে রয়েছে- ৮৬০ মিলিগ্রাম প্রোটিন ৪.৬০ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট ১.৭০ মিলিগ্রাম স্নেহ, ৮০ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি এবং ৩৭০ আইইউ ভিটামিন এ। এছাড়াও এতে আছে ভিটামিন ই, ভিটামিন কে, ভিটামিন বি৬, থায়ামিন, লেবোফ্লেবিস ও ফলিক এসিড, ক্যালসিয়াম, আয়রন, পটাশিয়াম, ফসফরাস, জিংক, কপারের মত উপকারি সব উপাদান। যা নানাভাবে আমাদের দেহের জন্য ভীষণ উপকারী।

১। ক্যাপসিকামে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। আর এই ভিটামিন সি আমাদের দেহে নানাভাবে উপকার করে থাকে। ভিটামিন সি আয়রন শোষণে সহায়তা করে।ফলে আয়রনের অভাব দূর হয় এবং রক্তাল্পতার মতো রোগও প্রতিরোধ করে।  এছাড়াও ভিটামিন সি আমাদের ত্বক এবং চুলের জন্য অনেক উপকারী। এটি আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। দাঁত এবং দাঁতের মাড়ির সুরক্ষায় ভিটামিন সি অনেক উপকারী। এর ভিটামিন-এ ফুসফুসের কর্মক্ষমতা বাড়ায়, দৃষ্টিশক্তি সজাগ রাখতে সাহায্য করে।

২। সবুজ ক্যাপসিকামের আছে প্রচুর পরিমাণ পটাশিয়াম । যা আমাদের পেশির সংকোচন-প্রসারণে সাহায্য করে।ক্যাপসিকামের ক্যাপসাইসিন উচ্চ রক্ত চাপের সমস্যা নিয়ন্ত্রনে রাখতে সহায়তা করে । এছাড়াও এতে আছে লাইকোপেন নামক এক প্রকার অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট পিগমেন্ট । যা আমাদের স্তন ও প্রস্টেটের ক্যানসার রুখতে সাহায্য করে। লাল ক্যাপসিকামে থাকা জেক্সানথিন ও লুটেনের সাহায্যে চোখের ছানি প্রতিরোধ হয় এবং এটি পেশির ক্ষয় রুখতে সাহায্য করে।

৩।  ক্যাপসিকাম আমাদের অতিরিক্ত ওজন কমায়। কারণ এতে থাকা অ্যাক্টিভেটিং থার্মোজেনেসিস এবং হজম শক্তি উন্নত করার ক্ষমতা আমাদের তাড়াতাড়ি ওজন কমাতে সাহায্য করে। একই সাথে ক্যাপসিকাম আমাদের দেহের বাড়তি ক্যালরি পূরণ করে। এতে হাই ফ্যাট থেকে ওজন বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা হ্রাস পায় ।ক্যাপসিকাম জুস আমাদের হজম সংক্রান্ত নানা সমস্যা ও পেটের বিভিন্ন রোগ যেমন ডায়রিয়া, গ্যাস, অ্যাসিডিটি দূর করে। গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সমস্যায় ক্যাপসিকাম খুবই উপকারী। এটি পাকস্থলীর আলসার বা ক্ষত সারাতে সাহায্য করে।

৪। ক্যাপসিকামে আছে অ্যালকালোয়েড, ফ্লেবোনয়েড এবং ক্যানিনের মত উপকারী উপাদান। অ্যালকালোয়েড অ্যান্টি-ইনফ্লামেটোরি ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। ক্যানিন বিভিন্ন আন্ত্রিক রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়।এছাড়াও ক্যাপসিকাম আমাদের যেকোনো ব্যথা থেকে মুক্তি দেয়। মাইগ্রেন, সাইনাস, ইনফেকশন, দাঁতে ব্যথা, অস্টিওআর্থ্রাইটিস ইত্যাদি ব্যথা দূর করতে দ্রুত কাজ করে এটি। একই সাথে এটি আমাদের সি সিকনেস বা সমুদ্রে যাওয়ার কারণে  অসুস্থতা, ম্যালেরিয়া, জ্বর ইত্যাদি রোধে  বেশ কার্যকর।

৫। ক্যাপসিকামে রয়েছে লাইকোপেন। যা আমাদের বিভিন্ন কার্ডিওভ্যস্কুলার ডিজিস থেকে দূরে রাখে এবং হৃদপিণ্ড সুস্থ রাখে। এতে থাকা ভিটামিন কে আমাদের দেহের সার্বিক উন্নয়নে কাজ করে। ত্বক পরিষ্কার রাখতে ক্যাপসিকাম বেশ উপকারী। এটি ত্বকের র‍্যাশ ও ব্রণ প্রতিরোধ করে। এছাড়াও এটি বাতের ব্যাথা কমায়। এতে থাকা ভিটামিন-সি আমাদের কোলাজেন বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। যা আমাদের দেহের ত্বক ও হাড়ের সন্ধিকে পরিপোষণ করে।এছাড়াও এটি হাড়কে মজবুত করতে সাহায্য করে এবং কোষের ক্ষয় রোধ করে।

৬। ক্যাপসিকামে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, সি এবং বিটা ক্যারোটিন।  যা আমাদের দৃষ্টিশক্তির বিভিন্ন সমস্যা দূর করে এবং আমাদের দৃষ্টিশক্তি শক্তিশালী  করে। এতে থাকা ভিটামিন-এআমাদের চোখের জন্য বিশেষত রাত্রিকালীন দৃষ্টির জন্য ভাল। এছাড়াও এতে থাকা ক্যারোটেনয়েড বয়স জনিত দৃষ্টিশক্তি হ্রাস বা ম্যাকিউলার ডিজেনারাইজেশনের সম্ভাবনা অনেক কমিয়ে দেয়।

এ গবেষণার উদ্দেশ্যের ব্যাপারে গবেষক জানান, ক্যাপসিকাম বিদেশি সবজি হওয়ায় বড় বড় হোটেল ও রেস্টুরেন্টে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে এবং দাম অন্য সবজির তুলনায় অনেক বেশি। এর বাজার মূল্য প্রতি কেজি ২০০-৩০০ টাকা এবং প্রতিটি গাছে ৩০-৪০ টাকা খরচ করে ১৫০-২০০ টাকা আয় করা সম্ভব। এটি চাষ করলে কৃষকেরা স্বাবলম্বী হবে ও দক্ষিণাঞ্চলের কৃষিতে বিপ্লব ঘটাবে।

ক্যাপসিকাম চাষে সবচেয়ে বড় বাধা হল বিভিন্ন পোকামাকড়ের আক্রমণ, বিশেষ করে এফিড, থ্রিপস, সাদা মাছি। এ জন্য চারা লাগানোর পরের দিনই ইমিডাক্লোরোফিড বা এসিটামপিড গ্রুপের কিটনাশক যেমন বিল্ডার বা তুন্দ্রা ব্যবহার করতে হয়।

জমি তৈরির সময় রাসায়নিক সারের সাথে কার্বফুরান গ্রুপের ফুরাডান ব্যবহার করলে গাছে ব্যাকটেরিয়াল উইল্ট হয় না। ক্যাপসিকামের প্রথম ফুল অবশ্যই ঝরে পড়ে এবং ফুল ঝরে পরা থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য প্লান্ট গ্রোথ রেগুলেটর ব্যবহার করা হয়।

এছাড়া চিলি লিফ কার্ল ভাইরাস ক্যাপসিকামের জন্য খুবই ক্ষতিকর। গাছ ভাইরাস আক্রান্ত হলে তা তুলে জমি থেকে দুরে মাটি চাপা বা আগুনে পুড়িয়ে ফেলতে হয়। এ ভাইরাসের আক্রমণ থেকে রক্ষায় এর ভেক্টর দমন করতে হয়। সাধারণত সাদা মাছি, এফিড বা জাব পোকা, থ্রিপস এই ভাইরাসের ভেক্টর হিসেবে কাজ করে।

এফিড ও থ্রিপস দমনে নিম ওয়েল ও কেওলিন (অরগানিক) ব্যবহার করে ভালো ফল পাওয়া গেছে। কিন্তু বাংলাদেশে ভালো মানের কেওলিন সচরাচর পাওয়া যায় না। সাদা মাছি ও এফিড দমনে ল্যাম্বডা সাইহেলোথ্রিন ও যায়ামেথোক্সেম গ্রুপের কীটনাশক ক্যারেট ও অলটিমো প্লাস বা এসিটামিপ্রিড গ্রুপের তুন্দ্রা ব্যবহার করা হয়। থ্রিপস দমনে স্পিনোসীড গ্রুপের ক্যারেট/ম্যনসার/এবেরন।

মাকড়ের আক্রমণ হলে পাতা নিচের দিকে কুচকে যায় এবং ভাইরাসের আক্রমণে পাতা উপরের দিকে কুচকে যায়। মাকড় দমনে ভার্টিমেক/ইন্ট্রাপিড,অ্যাবেমকটিন কীটনাশক ব্যবহার করা হয়। প্রতিবার কীটনাশক স্প্রে করার সময় ছত্রাকনাশক হিসেবে এন্ট্রাকল বা কার্বেন্ডাজিম, মেনকোজেব গ্রুপের ছত্রাকনাশক দিতে হয়। পোকামাকড় কীটনাশক প্রতিরোধী হওয়ায় স্প্রে করার সময় কীটনাশক পরিবর্তন করতে হয়।

ক্যাপসিকাম চাষে ভালো ফলনের পূর্বশর্ত জাত নির্বাচন। মানসম্মত ক্যাপসিকাম চাষের জন্য উপযুক্ত তাপমাত্রা ১৬-২১° সেলসিয়াস। সাধারণত নভেম্বর মাসে চারা রোপণ করলে ভালো ফলন পাওয়া যায়।

সবুজ ক্যাপসিকাম ৯০-১০০ দিনের মধ্যে তোলার উপযোগী হয় যেখানে লাল, হলুদ, বেগুনী, কমলা ১২৫-১৩৫ দিন সময় লাগে। সাধারণত সারি থেকে সারি এবং চারা থেকে চারার দূরত্ব ৪৫ সে. মি. রাখা হয়। ক্যাপসিকাম বৃষ্টি বা উত্তাপ কোনটাই পছন্দ করে না। সবকিছু ঠিক থাকলে হেক্টর প্রতি ২০-২৫ টন ফলন পাওয়া যায়।

মোঃ আমিনুল খান

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop