৩:২৯ অপরাহ্ন

রবিবার, ১৯ মে , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : এপ্রিল ৯, ২০২৩ ১১:৫৫ অপরাহ্ন
বিদেশী ফল মালবেরী চাষে লাখপতি নওগাঁ’র সোহেল
কৃষি বিভাগ

জেলার বরেন্দ্র অধ্যুষিত এলাকায় বিদেশী জনপ্রিয় ফল মালবেরী উৎপাদনের উজ্জল সম্ভাবনা প্রতিফলিত হয়েছে। ঠা ঠা বরেন্দ্র বলে খ্যাত সাপাহার উপজেলায় কৃষি উদ্যোক্তা সোহেল রানা তার সমন্বিত বরেন্দ্র এগ্রো খামারে মালবেরী চাষ করে সফলতা পেয়েছেন। তার এ সফলতা দেখতে প্রতিদিন আগ্রহী উদ্যোক্তারা খামারে আসছেন এবং নিজেরাও মালবেরী চাষে আগ্রহ প্রকাশ করছেন।

মালবেরী প্রধানত পাহাড়ী এবং শীত প্রধান দেশের একটি জনপ্রিয় ফল। বিশেষ করে অষ্ট্রেলিয়া, আমেরিকা, থাইল্যান্ড, তাইওয়ান এসব দেশে মালবেরী চাষ হয়ে থাকে। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের কিছু কিছু এলাকায় মালবেরী চাষ হচ্ছে। সোহেল রানা তার ধারাবাহিক অনুসন্ধানী উদ্যোগের অংশ হিসেবে এখন থেকে চার বছর আগে তার এগ্রো খামারে অন্যান্য অনেক ফলের সাথে প্রায় ৫০টি মালবেরী গাছের চারা রোপণ করেন।

থাইলান্ড থেকে সরাসরি এবং ঢাকা থেকে বিভিন্ন প্রজাতির মালবেরী চারা সংগ্রহ করেন। তিনি তার এ খামারে ৮ প্রজাতির মালবেরী চারা রোপণ করেন। রোপণের এক বছর পর থেকেই ফল ধরতে শুরু করেছে। তারই ধারাবাহিকতায় চলতি বছর সবচেয়ে বেশী মালবেরী উৎপাদিত হয়েছে। এ বছর প্রতিটি গাছে প্রচুর পরিমাণ ফল ধরেছে। চলতি বছর মূল সিজনে প্রতিটি গাছে গড়ে কমপক্ষে ১০ কেজি করে মোট ৫০০ কেজি মালবেরী উৎপাদনের প্রত্যাশা করছেন তিনি। বর্তমানে বাজারে তিনি প্রতি কেজি ৪০০ টাকা দরে বিক্রি করছেন। সেই হিসেবে এ বছর মূল সিজনে ২ লক্ষ টাকার মালবেরী বিক্রি করবেন।

এ ছাড়াও গাছ গুলোতে বছরে আরও একবার মালবেরী উৎপাদিত হবে। সেখান থেকেও আসবে অতিরিক্ত আয়। অথচ খরচ তেমন নাই বললেই চলে। ব্যবহার করেন কেবলমাত্র জৈবসার। রোগবালাই কিংবা পোকা মাকড়ের কোন আক্রমণ নাই। নিরাপদেই চাষ করেন তিনি।

সোহেলরানার এ এগ্রো খামারের সফলতার কাহিনী লোকের মুখে মুখে। তার উপর বিদেশী ফল মালবেরী চাষ ও লাভের কথা শুনে প্রতিদিন প্রচুর আগ্রহী লোকজন দেখতে তার খামারে ভিড় করছেন। নিজেরাও মালবেরী চাষ করতে আগ্রহ প্রকাশ করছেন। প্রয়োজনীয় পরামর্শ নিচ্ছেন সোহেল রানার কাছ থেকে।

মালবেরী চাষের অপরা সম্ভাবনার কথা জানিয়ে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর নওগাঁর উপ-পরিচালক আবুল কালাম আজাদ বলেছেন এ ফল উচ্চমানের পুষ্টিগুন সম্পন্ন। বিশেষ করে হৃদরোগ ও ডায়াবেটিস রোগাক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য মালবেরী খুবই উপকারী। সাপাহারের সোহেল রানার মত যদি কেউ মালবেরী চাষে এগিয়ে আসেন কৃষি বিভাগ সবরকমের পরামর্শসহ সব ধরনের সহযোগিতা প্রদান করবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : এপ্রিল ৮, ২০২৩ ১২:০৯ অপরাহ্ন
বরিশালে পতিত জমিতে মিষ্টি কুমড়া চাষে ঝুঁকছেন কৃষকরা
কৃষি বিভাগ

বরিশালে পতিত জমিতে মিষ্টি কুমড়া চাষে কৃষকরা আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন। সাধারণত এই অঞ্চলের কৃষকরা ইরি ও বোরো ধানের চাষাবাদ করে থাকেন। তবে গত কয়েকবছর যাবত তারা পতিত জমিতে এই সবজির চাষ করে অধিক ফলন পাচ্ছেন। আর বাজারদর ভালো থাকায় মিষ্টি কুমড়া বিক্রি করে লাভবান হচ্ছেন।

জানা যায়, বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নের প্রতিটিতেই ইউনিয়নেই মিষ্টি কুমড়ার চাষ হয়েছে। কৃষকরা বেশ কয়েক বছর ধরে ইরি ও বোরো ধান চাষাবাদের সঙ্গে জমির পতিত জায়গায় এই সবজির চাষ করছেন। বর্তমানে এই সবজির চাষ করে অনেকেই স্বাবলম্বী হয়েছেন। আর এখানকার উৎপাদিত কুমড়া স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে চলে যাচ্ছে।

উপজেলা কৃষি অফিসের সূত্র মতে, চলতি বছর আগৈলঝাড়ায় ১৫ হেক্টর জমিতে বারোমাসী, বারি, মনিকাসহ স্থানীয় জাতের কুমড়া উৎপাদিত হয়েছে। এই অঞ্চলের মাটি ও আবহাওয়া ভালো থাকায় কৃষকরা অধিক ফলন পেয়েছেন। কৃষকরা শুধু কুমড়া নয়, এর ডাটা ও পাতা বিক্রি করে ভালো আয় করতে পারছেন।

আগৈলঝাড়ার বাহাদুরপুর গ্রামের অনিতা ভদ্র জানান, আমি ১০ বছর যাবত ইরি ও বোরো ধানের পাশে পতিত জমিতে কুমড়ার চাষ করছি। এর চাষে বেশি খরচ হয় না। একটু যত্ন নিলেই ভালো ফলন পাওয়া যায়। গত বছর জমি থেকেই ৫০ হাজার টাকার কুমড়া বিক্রি করেছিলাম। আশা করছি এবছর আরো বেশি টাকার বিক্রি করতে পারবো।

কৃষকরা জানায়, মিষ্টি কুমড়া চাষে খরচ কম। আর এর ফলন অধিক পাওয়া যায়। প্রতিটি কুমড়া ৩-৮ কেজি ওজনের হয়। বর্তমানে প্রতিমণ হাইব্রিড মিষ্টি কুমড়া ৮০০ টাকা দরে বিক্রি করছি।

আগৈলঝাড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দোলন চন্দ্র রায় জানান, কম খরচে চাষ করে বেশি লাভ করা যায় বলে কৃষকর মিষ্টি কুমড়া চাষে ঝুঁকছেন। এই অঞ্চলের কৃষকরা তাদের পতিত জমিতে বারোমাসী, বারি, মনিকাসহ স্থানীয় জাতের কুমড়ার চাষ করছেন। চলতি বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় কৃষকর মিষ্টি কুমড়ার ব্যাপক ফলন পেয়েছেন। আমরা কৃষকদের সবসময় সহযোগিতা করে আসছি।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : এপ্রিল ৮, ২০২৩ ১২:০০ অপরাহ্ন
সজিনা চাষে স্বাবলম্বী জয়পুরহাটের চাষিরা
কৃষি বিভাগ

জয়পুরহাট জেলায় কৃষকরা অনাবাদি ও পতিত জমি গুলোতে সজিনার চাষ করছেন। গ্রাম অঞ্চলের বাড়ির পাশে রাস্তার দুপাশে সজিনার গাছ লাগিয়ে কৃষকরা চাষ করছেন। এবার আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে বাম্পার ফলনের আশা করছেন চাষিরা। কম খরচে বেশি ফলন পাওয়ায় চাষিরা এই সবজি চাষে দিন দিন ঝুঁকে পড়ছেন।

সূত্রে জানা যায়, জেলায় এবার ২ হাজার ১০০ হেক্টর জমিতে সজিনা চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও চাষ হয়েছে ২ হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে। এতে সজিনার উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১০ হাজার ৭০০ মেট্রিক টন। সদর উপজেলার মোহাম্মাদাবাদ, বম্বু, ভাদসা, দোগাছী, জামালপুর, দোগাছী, চকবরকত, ধলাহার ও পাঁচবিবি উপজেলার আয়মারসুলপুর, মোহাম্মদপুর, আওলাই ও কুসুম্বা ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায় বাড়ির পাশের অনাবাদি ও পতিত জমিতে বারোমাসি সজিনার চাষ করছেন কৃষকরা। রাস্তার দু’পাশে পতিত জমিতে পুষ্ঠিগুণে ভরপুর সবজি সজিনার সারি সারি গাছ গুলো এখন সজিনার ভারে দোল খাচ্ছে । জেলায় পুষ্টিগুণে ভরা সজিনা চাষ দিন দিন বেড়েই যাচ্ছে ।

সদর উপজেলার ধলাহার এলাকার সজিনা চাষি মো: রফিকুল ইসলাম জানান, গত বছর আমার বাড়ির রাস্তার দুপাশে ১০টি সজিনার গাছ লাগিয়েছিলাম। সেখান থেকে প্রায় ৮ মণ সজিনা বিক্রি করেছি। এবার সজিনার বাম্পার ফলন পাবো বলে আশা করছি। বর্তমানে সজিনা ৮০-১০০ টাকা কেজি দরে বাজারে বিক্রি হচ্ছে। সজিনা বিক্রি করে লাভবান হতে পারবো বলে আশা করছি।

জয়পুরহাটের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা: মনিরুজ্জামান মানিক জানান, সজিনা পুষ্ঠিগুণে ভরপুর সবজি। সজিনার মধ্যে ভিটামিন-এ ও সি আছে। এটি মানব দেহের কোলেষ্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। সজিনা উচ্চরক্ত চাপের রোগীদের অনেক উপকারী।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক কৃষিবিদ রাহেলা পারভীন জানান, সজিনা বসতবাড়ির আশপাশের অনাবাদি ও পতিত জমিতে চাষ করা যায়। এটি একটি পরিবেশবান্ধব ও অর্থকরি আশঁজাতিয় সবজি। সজিনা চাষে খরচ কম। বাজারে দামও ভালো পাওয়া যায়। সজিনা গাছের তেমন কোন রোগ-বালাই নেই বললেই চলে ।হে

শেয়ার করুন

প্রকাশ : এপ্রিল ৭, ২০২৩ ৭:৪৪ অপরাহ্ন
জনপ্রিয়তা পাচ্ছে রাজশাহীর পান চাষ!
কৃষি বিভাগ

বর্তমানে অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে পান চাষিরা ব্যাপক ভূমিকা পালন করছে। রাজশাহী অঞ্চলের অনেক গ্রামের অধিকাংশ কৃষকের জীবন-জীবিকার প্রধান উৎস হয়ে উঠেছে এই পান চাষ। রাজশাহীতে জনপ্রিয়তা পাচ্ছে পান চাষ।

জানা যায়, রাজশাহীর মোহনপুর, বাগমারা, দুর্গাপুর, পুঠিয়া ও পবার মতো কয়েকটি উপজেলায় পান ও সুপারি চাষ হচ্ছে। অন্যান্য ফসলের তুলনায় এর চাষ বেশি লাভজনক হওয়ায় কৃষকরা পানের বরজ তৈরী করে চাষ করছেন। এতে স্থানীয় বাজারে বিক্রির পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন জেলা উপজেলার পাইকারদের কাছে জমি থেকেই সরাসরি বিক্রি করে থাকেন।

দুর্গাপুর উপজেলার বখতিয়ারপুর গ্রামের কৃষক মুক্তার হোসেন বলেন, আমাদের এখানে মিষ্টি ও সাঁচি এই দুই ধরনের পান বেশি চাষ করা হয়। আর স্থানীয় ও আশেপাশের কয়েকটি উপজেলায় এখানাকার পানের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।

মোহনপুর উপজেলার আরেক কৃষক মকবুল হোসেন বলেন, আমি ২১ বছর যাবত পানের চাষ করছি। অন্যান্য ফসলের তুলনায় এর চাষে লাভ বেশি। আর একবার পানের বরজ তৈরী করলে তা থেকে অনেক বছর পানপাতা সংগ্রহ করা যায়। পানের চাষ করে আমি স্বাবলম্বী হতে পেরেছি।

বাগমারা উপজেলার চান্দাপুর গ্রামের কৃষক আমিনুল ইসলাম বলেন, আগে আমাদের মাত্র একটি বাগান ছিল। এখন ১২ বিঘা জমিতে পানের চাষ করছি। কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে ও পান গাছের যত্ন করে এমন সফলতা পেয়েছি।

কৃষক আবদুল হামিদ বলেন, আমাদের উৎপাতিদ পানের পাতা স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে বগুড়া, রংপুর, দিনাজপুরসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরবরাহ হয়ে থাকে। এছাড়াও এখানকার পানপাতা মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশেও রপ্তানি করা হয়। বিশেষ করে সৌদি আরবে বেশি চাহিদা রয়েছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের (ডিএই) উপ-পরিচালক মোজদার হোসেন বলেন, রাজশাহী জেলার মাটি ও আবহাওয়া পান ও সুপারি চাষের খুবই উপযোগী। এই জেলার বিভিন্ন উপজেলাগুলো মধ্যে সবচেয়ে বেশি পানের উৎপাদন হয় মোহনপুরে। চলতি বছর ৪ হাজার ৪৯৬ হেক্টর জমিতে পান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়। এতে প্রায় ৩৮ হাজার ৯০০ কৃষক জড়িত। গত বছর ৭৩ হাজার ৭৭১ টন ফলন পাওয়া গেছে। এবছর ৭৬ হাজার ৬৭৮ মেট্রিক টন ফলনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে যার বর্তমানে বাজার মূল্য ৬২৩.৮২ কোটি টাকা।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : এপ্রিল ৪, ২০২৩ ৯:৩৬ অপরাহ্ন
কানাইঘাটে কৃষক সমাবেশ এবং আউশ প্রণোদনার সার ও বীজ বিতরণ অনুষ্ঠান
কৃষি বিভাগ

সিলেট জেলার কানাইঘাটে  উপজেলা প্রশাসন ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের যৌথ উদ্যোগে ৪ এপ্রিল দুপুর ১২ ঘটিকায় উপজেলা পরিষদ হল রুমে কৃষক সমাবেশ এবং  আউশ প্রণোদনার সার ও বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিলেট জেলা প্রশাসক মোঃ মজিবর রহমান।
এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিলেট  কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক মোহাম্মদ খয়ের উদ্দিন মোল্লা, কানাইঘাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল মোমিন চৌধুরী।
কানাইঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুমন্ত ব্যানার্জীর সভাপতিত্বে ও উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃআবুল হারিছ এর পরিচালনায় এ সময়  আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃএমদাদুল হক, কানাইঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ গোলাম দস্তগীর, ভাইস চেয়ারম্যান খাদিজা বেগম,বীর মুক্তিযোদ্ধা সুবেদার আফতাব উদ্দিন , দিঘির পার পূর্ব ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবদুল মোমিন চৌধুরী মুহিন, সাতবাঁক ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু তাইয়ীব শামিম, দক্ষিণ বাণী গ্রাম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান লোকমান উদ্দিন,  সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আফসর আহমদ চৌধুরী, কানাইঘাট প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দীন প্রমুখ।
শেয়ার করুন

প্রকাশ : এপ্রিল ৩, ২০২৩ ৩:২৫ অপরাহ্ন
পাঁচবিবিতে গমের বাম্পার ফলন
কৃষি বিভাগ

জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলায় গমের বাম্পার ফলন হয়েছে। এবার গম চাষাবাদ বেশি হওয়ায় লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে বলে জানিয়েছে কৃষি বিভাগ। এরই মধ্যে মাঠ থেকে গম কাটা ও মাড়াইয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। এবার শুরু থেকেই গমের বাম্পার ফলন ও বাজারে ভালো দাম পাওয়ায় লাভের স্বপ্ন দেখছেন উপজেলার কৃষকরা।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, এবার পাঁচবিবি উপজেলায় ১ হাজার ৪৪০ হেক্টর জমিতে গমের আবাদ হয়েছে। যা গত বছর ছিল ১ হাজার ৪৩৫ হেক্টর জমিতে। এবার ৫ হেক্টর বেশি চাষাবাদ হয়েছে। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৪ হাজার ৮৪৫ মেট্রিক টন।

উপজেলায় এবার চাষ করা গমের বেশিরভাগই সরকারি প্রণোদনার আওতাভুক্ত। চলতি মৌসুমে উপজেলার ১ হাজার ৩০০ জন কৃষকের মাঝে প্রণোদনার বীজ ও সার বিতরণ করা হয়েছে। পাশাপাশি উপজেলায় সরকারিভাবে ১৫ জন কৃষকের মাঝে প্রদর্শনীও দেওয়া হয়েছে বলে জানায় কৃষি বিভাগ।

উপজেলার ধরঞ্জী গ্রামের কৃষক নুরুল ইসলাম জানান, ‘সরকারিভাবে পাওয়া প্রণোদনার বীজ ও বাজার থেকে কেনা বীজ দিয়ে দেড় বিঘা জমিতে গম চাষ করেছি। মোটামুটি ভালো ফলন হয়েছে। এরই মধ্যে কিছু গম বিক্রিও করেছি। দাম ভালোই পেয়েছি।’

রতনপুর হিন্দুপাড়া গ্রামের কৃষক প্রসাদ চন্দ্র মন্ডল, রতন কুমারসহ কয়েকজন জানান, ‘এরআগে গম মাড়াই সমস্যার কারণে চাষাবাদে অনীহা এসেছিল। কিন্তু বর্তমানে বিভিন্ন মাড়াই যন্ত্র আসার কারণে গম চাষে আগ্রহী হয়ে ১ বিঘা জমিতে গম চাষ করেছি। অন্য ফসলের তুলনায় গম চাষে খরচ কম হয়। আবার গম মাড়াই করে গমের কাষ্টি জ্বালানি হিসাবেও ব্যবহার করা যায়।’

রতনপুর বাজারের গম ব্যবসায়ীরা বলেন, ‘চলতি মৌসুমে শুরুতেই প্রতি মণ গমের বাজারদর ছিল ২ হাজার থেকে ২ হাজার ২০০ টাকা। পরে বাজার কিছুটা কমে যায়।’ বাজার ঘুরে দেখা যায়, বর্তমানে প্রতি মণ গম ১৭০০ টাকা থেকে ১৮০০ টাকা পর্যন্ত বেচাকেনা হচ্ছে। তবে গমের বাজার আরও বাড়তে পারে বলে জানান ব্যবসায়ীরা।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ লুৎফর রহমান বলেন, ‘বারি-৩২, বারি-৩৩ জাতের গম উচ্চ ফলনশীল ও রোগ প্রতিরোধী হওয়ায় কৃষকদের ব্যাপক সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। এর ফলন ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি। এমনকি খরা সহিষ্ণু। যে কারণে গমের চাষাবাদ বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমরা কৃষকদের প্রশিক্ষণসহ সার্বিক পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি।’

শেয়ার করুন

প্রকাশ : এপ্রিল ৩, ২০২৩ ৩:১৫ অপরাহ্ন
কুমিল্লার চান্দিনায় টমেটো চাষে স্বচ্ছলতা
কৃষি বিভাগ

কৃষিকাজ করেও যে নিজের ভাগ্য পরিবর্তন করা যায়, তারই উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার রাসেল আহমেদ। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের ইতিহাস বিভাগ থেকে স্নাতক সম্মান লাভ করে রাসেল কয়েক বছর ধরে চাকরির জন্য ঘুরতে ঘুরতে যখন ক্লান্ত, ঠিক তখনি নিজ এলাকার এক বড় ভাইয়ের অনুপ্রেরণায় ৪০ শতক জমি বর্গা নিয়ে টমেটো চাষ করে সফলতা পেয়ে স্বচ্ছলতা এসেছে রাসেলের পরিবারে। পরিবারের চার বোন ও দুই ভাইয়ের মাঝে সবার বড় তিনি।

জেলার চান্দিনা উপজেলার মাইজখার ইউনিয়নের পানিপাড়া গ্রামে মাঠজুড়ে দৃষ্টিনন্দন টমেটো ক্ষেত তার। সারিবদ্ধ টমেটো গাছের গোড়া থেকে আগা পর্যন্ত থোকা থোকা টমেটো ধরে আছে। অনেকেই আবার তার টমেটো ক্ষেত দেখতে আসছেন। ক্ষেতে দাঁড়িয়ে কথা হয় টমেটো চাষি রাসেল আহমেদের সঙ্গে।

তিনি জানান, আমার কোনো আবাদি জমি নেই। করোনাকালীন সময় মায়ের দেওয়া ৪০ হাজার টাকা নিয়ে ৪০ শতক জমি বর্গা নিয়ে প্রথম টমেটো চাষ শুরু করি। প্রথম বছর ১ লক্ষ টাকা বিক্রি করে লাভ হয় ৬০ হাজার টাকা। পরের বছর ২০২২ সালে দ্বিগুণ লাভ করেন। চলতি বছরে তিনগুণ লাভের মুখ দেখেন রাসেল। এ বছর তিনি ৫০ একর জমিতে আগাম জাতের টমেটো চাষ করেছেন। আড়ৎদারদের কাছে প্রতি কেজি টমেটো এখন গড়ে ২৫/৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেন। এবছর খরচ হয়েছে ৪০ হাজার টাকা। এরই মধ্যে বাজারজাতকরণ শুরু করেছেন। এখন পর্যন্ত ৮০ হাজার টাকার টমেটো বিক্রি করেছেন।

তিনি আশা করছেন, এখন দাম কিছুটা কম হলেও জমিতে যে পরিমাণ টমেটো আছে, তাতে বাজার মূল্য ঠিক থাকলে আরও দেড় লাখ টাকা পাওয়া যাবে। রাসেল আহমেদ জানান, এক বড় ভাইয়ের অনুপ্রেরণায় ও মায়ের সহযোগিতায় টমেটো চাষে আমার পরিবারের ভাগ্য পরিবর্তন হয়েছে।

কুমিল্লা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোঃ মিজানুর রহমান বলেন, পরিশ্রম দিয়ে যে কেউ নিজের ভাগ্য বদলাতে পারে রাসেল তারই প্রমাণ। চাষিরা যাতে আগাম সবজি চাষ করে লাভবান হতে পারেন সেজন্য উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাদের মাধ্যমে মাঠ পর্যায়ে প্রচারণা চালানো হয়।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : এপ্রিল ২, ২০২৩ ১১:৩৪ পূর্বাহ্ন
হবিগঞ্জে বোরো ধানের বাম্পার ফলন
কৃষি বিভাগ

হবিগঞ্জ জেলায় ১ লাখ ২২ হাজার ৫৭৫ হেক্টর জমিতে এ বছর বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। এ জমি থেকে ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ৬ লাখ ৩৭ হাজার ৩৯০ মেট্রিক টন।

কৃষি বিভাগ জানায়, আগামী ১০ এপ্রিলের পর থেকে হাওরে ধান কাটা শুরু হবে। ব্রি-২৮ ও হাইব্রিড জাতের ধান প্রথম পর্যায়ে কাটা হবে।

সরেজমিনে দেখা যায়, হাওরে জমির পরিচর্যায় কৃষকরা ব্যস্ত সময় পার করছেন। বেশিরভাগ জমিতে সার ও কীটনাশক দেওয়া শেষ।

কোথাও ব্লাস্ট রোগ দেখা দিলে শুধুমাত্র সেই জমিগুলোতে চলছে শেষ দফার কীটনাশক ছেটানোর কাজ।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী জেলার ৯ উপজেলায় ১ লাখ ২২ হাজার ৫৭৫ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে। প্রতি হেক্টর জমিতে ৫ দশমিক ২ মেট্রিক টন হিসেবে এবার ৬ লাখ ৩৭ হাজার ৩৯০ মেট্রিক টন ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। প্রতি কেজি বোরো ধানের বাজার দর ৩০ টাকা হলে এবার জেলায় ১ হাজার ৯১২ কোটি টাকার ধান উৎপাদনের সম্ভাবনা আছে।

হবিগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক নূরে আলম সিদ্দিকী বাংলানিউজকে জানান, গত বছর বোরো ধানের বাজার মূল্য কেজি প্রতি ৩০ টাকা ছিল। এবার কেজিতে কমপক্ষে দু’টাকা বাড়বে।

তিনি আরও জানান, গত বছর বোরোর আবাদ প্রায় দুই সপ্তাহ পিছিয়ে যাওয়ায় উৎপাদন কমে গেছে। এবার সেই সমস্যা হয়নি। ফলে ধানের ফলন ১০ শতাংশ বাড়তে পারে। অল্প পরিমাণ জমিতে ব্লাস্ট রোগ দেখা দেওয়ার পর সেটি কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হয়েছে। বোরোতে এবার আর কোনো সমস্যা নেই।

ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানান তিনি।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : এপ্রিল ১, ২০২৩ ৪:২৭ অপরাহ্ন
নামের শেষে ‘সরকার’ থাকায় জমি চলে গেল সরকারি মালিকানায়!
কৃষি বিভাগ

নামের শেষে ‘সরকার’ থাকায় জমির মালিকানা সরকারি খাতায় চলে গেছে। দক্ষিণ ভারতের কর্নাটক রাজ্যে বাংলাদেশ (তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান) থেকে পালিয়ে কর্নাটকে গিয়ে স্থায়ী হওয়া ৭২৭ হিন্দু শরণার্থীর ক্ষেত্রে এমন ঘটনা ঘটেছে।

শুক্রবার (৩১ এপ্রিল) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া’র এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়।

প্রতিবেদনে বল হয়, কয়েক দশক ধরে মালিকানায় থাকা জমি হঠাৎ করে সরকারি সম্পত্তি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। পরে জানা যায়, কর্মকর্তারা জমির দলিলে মালিকের নামের সঙ্গে সরকার দেখে এটিকে সরকারি সম্পত্তি হিসেবে ধরে নেন।

৬৫ বছর বয়সী কৃষক বিভূতি সরকার তাদেরই একজন, কর্নাটকের রায়চুর জেলার সিন্ধানুর তালুকে থাকা বিভূতির পাঁচ একর জমি বেহাত হয়ে যায়। এক বছরের বীমা না পরিশোধ করায় বিভূতির জমি সরকারি খাতে চলে যায়।

বিভূতি সরকারের অভিযোগের ভিত্তিতে স্বাধীন তদন্তে বেরিয়ে আসে অদ্ভুত তথ্য। তাদের নামের একটি অংশ সরকার দেখে ভুলে সরকারি খাতায় জমি নিয়ে নেওয়া হয়।

১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় পূর্ব পাকিস্তান ছেড়ে হাজার হাজার হিন্দু ভারতে আশ্রয় নেয়। তৎকালীন ভারত সরকার কর্নাটকসহ পাঁচ রাজ্যে বিশেষ ক্যাম্পে থাকতে দেয় শরণার্থীদের। একই সঙ্গে নতুন করে জীবন শুরু করতে প্রত্যেককে পাঁচ একর করে জমি দেওয়া হয়।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : এপ্রিল ১, ২০২৩ ৪:১৮ অপরাহ্ন
হাত পেতে নয়, বাঁচতে চাই আত্মসম্মান নিয়ে: চাষাবাদে তৃতীয়লিঙ্গের সাফল্য
কৃষি বিভাগ

গাজীপুরের কোনাবাড়ির বাইমাইল বিলের, উঁচু একটি মাঠে একসময় ছিলো ইটভাটা। বছর পাঁচেক আগে বন্ধ হয়ে যায় সেটির কার্যক্রম। পড়ে থাকা জমি বর্গা নিয়ে পরম যত্নে চাষ উপযোগী করা হয়েছে। ১৩ বিঘার ধান কাটা হবে এ মাসেই।

তবে সচরাচর যাদের চাষাবাদে দেখা যায় তারা নয়, এ ফসল তৃতীয় লিঙ্গের একদল মানুষের শ্রমে-ঘামে। সমাজে যাদের পরিচয় হিজড়া।

ধানের পাশাপাশি আরও প্রায় তিন বিঘা জমিতে চাষ করেছেন টমেটো, করলা, লালশাক, লাউসহ নানা জাতের সবজি। কদিন আগেই খেত থেকে তোলা হয়েছে পেঁয়াজ।

গরু-ছাগল-হাঁস-মুরগি-কবুতরের খামারও করেছেন তারা। আয়ও হচ্ছে বেশ। তাদের আশা আরও বড় পরিসরে কাজ করবেন তারা।
৫০ জনের দলটির নেতৃত্বে থাকা কালু জানালেন, প্রতিনিয়ত নানা প্রতিকূলতা মোকাবিলা করেই চলতে হয় তাদের। একটু ভালো থাকার আশায়, মাস পাঁচেক হলো কৃষিকাজ শুরু করেছেন। তিনি আরও বলেন, হাত পেতে নয়, আত্মসম্মান নিয়ে বাঁচতে চাই। কৃষি উদ্যোগ নিয়েছি কারণ এটি জনগণের জন্যেও ভালো আমাদের জন্যেও ভালো। আর জনগণও দেখলো আমরাও কিছু করতে পারি।

শুরুতে ছিলো নানা আলোচনা-সমালোচনা। কাজের মাধ্যমেই সেসবের জবাব দিয়েছেন কালু। বলেন, লোকজন বলেছে ওরা হিজড়া, ওরা কি করবে, কেমনে ফসল ফলাবে, কেমনে কৃষি কাজ করবে। ওরা পারবে না, শুধু শুধুই টাকা-পয়সা নষ্ট করতেছে। কিন্তু আমাদের কাছে পরিশ্রম করে খেলে সেটাই সম্মানের।

এ চাষিদের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। প্রয়োজনে বিশেষ বিবেচনারও আশ্বাস তাদের। জেলা প্রশিক্ষণ অফিসার মো. রফিকুল ইসলাম খান বলেন, ওনাদেরকে প্রযুক্তিগত, কারিগরি সবধরনের সহযোগিতা থেকে বীজ-সারে আর্থিক সহায়তা করতে চেষ্টা করবো। এছাড়া সরকারি প্রণোদনা যদি দিয়ে থাকে প্রতি বছর তবে সেই খাত থেকে আমরা চেষ্টা করবো ওনাদের সহযোগিতা করতে।

এ কর্মকর্তা জানান, আসছে আমন মৌসুমেই এ সহায়তা দেয়া সম্ভব।

সৎপথে যেকোনো উপার্জনই সম্মান ও গৌরবের। সেই চিন্তা থেকেই কৃষি কাজের এই উদ্যোগ বলে জানান তৃতীয় লিঙ্গের এই মানুষগুলো। তারা বলছেন, সুযোগ ও সহযোগিতা পেলে দেশ ও সমাজ গঠনে তারাও রাখতে পারেন ভূমিকা।

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop