৭:২৫ অপরাহ্ন

মঙ্গলবার, ৭ মে , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : জানুয়ারী ২৫, ২০২৪ ৭:০৮ অপরাহ্ন
রমজান মাসে কম লাভে পণ্য বিক্রয়ের আহ্বান মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রীর
প্রাণিসম্পদ

রমজান মাসে কম লাভে পণ্য বিক্রয় করতে ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ও মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান।

বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে বাংলাদেশে প্রাণিসম্পদ খাত: সমস্যা ও সম্ভাবনা বিষয়ক কর্মশালায় উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ আহ্বান জানান।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় পরিপ্রেক্ষিত এ কর্মশালায় আয়োজন করে।

এ সময় মন্ত্রী আরও বলেন, রমজান মাসে ন্যায্যমূল্যে দুধ, ডিম, মাছ, মাংস সরবরাহের জন্য ইতোমধ্যে অংশীজনদের সাথে সভা করা হয়েছে। রমজানকে সামনে রেখে প্রান্তিক জনগোষ্ঠী ও স্বল্প আয়ের মানুষের জন্য সুলভ মূল্যে মাছ, মাংস, দুধ, ডিম ভ্রাম্যমাণ পদ্ধতিতে বিক্রির ব্যবস্থা করা হবে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের উৎপাদন আছে, বাজারে মাছ আছে, ডিম আছে, মুরগি আছে, সব আছে, কিন্তু দাম অনেক সময় ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে। যেমন মাছ উৎপাদন বাড়ছে, মুরগি উৎপাদন বাড়ছে, ডেইরি খাতে উৎপাদন বাড়ছে, দুগ্ধজাত দ্রব্যের উন্নয়ন হচ্ছে। এর সাথে সাথে আমাদের দেশের মানুষের নৈতিক অধঃপতন বাড়ছে।

মন্ত্রী বলেন, উদ্যোক্তা যারা উৎপাদনের সাথে জড়িত তাদের ন্যায্যমূল্য পাওয়ার অধিকার নিশ্চয়ই আছে। আবার ভোক্তাদেরও সামর্থ্য ও ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে পণ্য হাতে পাওয়ার অধিকার আছে। উৎপাদক ও ভোক্তার মাঝে মধ্যস্বত্বভোগীরা আছে। তারা গ্রাম থেকে অল্প দামে পণ্য ক্রয় করে শহরে এনে অত্যধিক মূল্যে বিক্রয় করছে। গণমাধ্যমে এ বিষয়টি তুলে ধরতে হবে। মধ্যস্বত্ত্বভোগীদের অতি লোভের আকাঙ্ক্ষার রাশ টেনে ধরতে হবে।

প্রাণিসম্পদ খাতে ব্যবহৃত খাদ্য উপকরণ আমদানির ক্ষেত্রে শুল্ক কমিয়ে উৎপাদন বৃদ্ধির বিষয়টি বিবেচনা করা হবে বলেও এসময় জানান মন্ত্রী।

আব্দুর রহমান আরও যোগ করেন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়, উৎপাদনের সাথে সম্পৃক্ত উৎপাদক-খামারি ও গণমাধ্যমের সাংবাদিকরা সম্মিলিতভাবে কাজ করে এগোলে দুধ, ডিম, মাংস ও মাছে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ার পাশাপাশি এসব পণ্য ন্যায্যমূল্যে সবার কাছে পৌঁছানো সম্ভব হবে।

তিনি বলেন, কোন জাতি কখনোই তার উন্নয়নের শিখরে পৌঁছতে পারবে না যতক্ষণ পর্যন্ত তার রাজনৈতিক অঙ্গীকার না থাকে। এ কারণে বঙ্গবন্ধুর সূচিত পথ ধরে তাঁর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছেন। এ জাতি থেমে থাকতে পারেনা। কিন্তু আমাদের লোভ-লালসা এবং আমাদের আরও বেশি চাই, এই জায়গা শক্ত হাতে ধরতে হবে। আমাদের সামাজিক ক্যাম্পেইন এবং রাজনৈতিক অঙ্গীকারের জায়গা জাতির কাছে নিয়ে আসতে হবে।

এ সময় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব বলেন, প্রাণিসম্পদের খাদ্য উপকরণ কম মূল্যে দেওয়া সম্ভব হলে উৎপাদন খরচ কমে যাবে। রমজান মাসে মাছ মাংস দুধ ডিমের মূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখার জন্য মন্ত্রণালয় বিশেষ কর্মসূচি গ্রহণ করছে।

পরে প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের সর্বশেষ অগ্রগতি প্রতিবেদনের মোড়ক উন্মোচন করেন মন্ত্রী।

পরিপ্রেক্ষিতের নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ বোরহান কবীরের সঞ্চালনায় এবং প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মো. এমদাদুল হক তালুকদারের সভাপতিত্বে কর্মশালার উদ্বোধনী পর্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য প্রদান করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাং সেলিম উদ্দিন। শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করেন বাংলাদেশ প্রতিদিনের সম্পাদক নঈম নিজাম, গ্লোবাল টেলিভিশনের সিইও সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা এবং ডিবিসি টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক প্রণব সাহা। স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন পরিচালক মো. আব্দুর রহিম। ‘বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ খাত: চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা’ বিষয় নিয়ে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রকল্পের প্রধান কারিগরী সমন্বয়ক ড. মো. গোলাম রব্বানী।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর এবং প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

 

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জানুয়ারী ২৩, ২০২৪ ১১:৫০ পূর্বাহ্ন
খামারে গরুকে সুস্থ রাখতে যা করবেন
প্রাণিসম্পদ

গরু পালন লাভজনক হওয়ায় অনেকেই এখন গরুর খামার গড়ে তুলছেন। বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে ব্যাপকহারে গরু পালন করা হচ্ছে। তবে গরুর খামার করে অনেকেই লোকসানে পড়ছেন। এর প্রধান কারণ হল গরুর নানা জটিল রোগে আক্রান্ত হওয়া। খামারের গরুকে সুস্থ রাখতে যেসব কাজ করতে হবে সেগুলো খামারিদের অবশ্যই জেনে খামার পরিচালনা করতে হবে।

খামারের গরুকে সুস্থ রাখতে যেসব কাজ করতে হবে:
খামারের গরুগুলোকে প্রতিদিন নির্দিষ্ট হারে সুষম খাদ্য প্রদান করতে হবে। নিয়মিত গরুগুলোকে সুষম খাদ্য প্রদান করলে গরুগুলো দ্রুত বৃদ্ধি পাবে ও রোগের দ্বারা কম আক্রান্ত হবে। খামারের প্রত্যেকটি গরুর জন্য আলাদাভাবে খাদ্য প্রদানের ব্যবস্থা রাখতে হবে এবং একটি নির্দিষ্ট সময় পর পর খাদ্য প্রদান করতে হবে। খামারের গরুগুলোকে সুস্থ ও কর্মক্ষম রাখার জন্য খামারের চারপাশের খোলামেলা পরিবেশের ব্যবস্থা রাখতে হবে। বাইরের বাতাস ও আলো যাতে ভালোভাবে চলাচল করতে পারে সেদিকেও বিশেষ নজর দিতে হবে। আলো ও বাতাসের ব্যবস্থা রাখলে গরু সুস্থ থাকবে ও রোগের দ্বারা কম আক্রান্ত হবে।

গরুগুলোকে নিয়মিত স্বাস্থ্য পরিক্ষা করাতে হবে। কোন গরু অসুস্থ হয়ে গেলে রোগের ধরণ অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।পালন করা গরুগুলোকে একটি নির্দিষ্ট সময় পর পর কৃমিনাশক ওষুধ খাওয়াতে হবে। গরুকে নিয়মিত কৃমির ওষুধ খাওয়ালে গরুর শরীর সুস্থ থাকে ও গরু স্বাস্থ্যবান হয়।

খামারের গরুগুলোকে বাইরে বের করে খামার ভালোকরে ধুয়ে মুছে পরিষ্কার করতে হবে। প্রয়োজনে জীবাণুনাশক ছিটিয়ে দিয়ে জীবাণু ধ্বংস করতে হবে। তবে খেয়াল রাখতে হবে যাতে কোন ভাবেই খামার পরিষ্কার করার পানি যাতে জমে না থাকে।

খামারের গরুগুলোকে নিয়মিত গোসল করানোর ব্যবস্থা করতে হবে। নিয়মিত গরুগুলোকে গোসল করালে গরুর শরীর পরিষ্কার থাকে ও রোগ-জীবাণুর আক্রমণ কম হয়। এছাড়াও নিয়মিত গোসল করালে গরুর ত্বক মসৃণ ও চকচকে থাকে।খামারে কোনভাবেই যাতে বাইরের কোন ব্যক্তি না প্রাণী অবাধে প্রবেশ করতে না পারে সেদিকেও লক্ষ্য রাখতে হবে। যদি প্রবেশ করাতেই হয় তাহলে প্রবেশের আগে জীবাণুমুক্ত করাতে হবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জানুয়ারী ২২, ২০২৪ ১১:২০ পূর্বাহ্ন
গবাদি পশুর খামার যেভাবে মাছিমুক্ত রাখবেন
প্রাণিসম্পদ

মাছির যন্ত্রণায় কেবল মানুষ বিরক্ত এমনটি নয়। বরং মাছির যন্ত্রণায় সবচেয়ে বেশি বিরক্ত এবং রোগাক্রান্ত হচ্ছে গবাদিপশু। কারণ এই মাছির মাধ্যমে খামারে বিভিন্ন রোগ জীবাণু ছড়িয়ে পড়ে। যা গবাদিপশুর অত্যন্ত ক্ষতিকর। এই জন্য প্রতিটা গবাদিপশু খামারিকে খামার থেকে মাছি দূর করার উপায় সম্পর্কে জানা খুবই দরকার। কারণ মাছি তাড়াতে না পারলে আপনার স্বপ্নের খামার থেকে প্রত্যাশিত আয় করতে পারবেন না।

খামার থেকে মাছি দূর করার উপায়:

মাছি তাড়ানোর সবচেয়ে ভালো কৌশল হলো খামারের আশে-পাশে গাছ লাগানো। বাতাসে গাছের নড়া-ছড়াতে খামারে মাছি আসবে কম। এছাড়া খামারে আশে-পাশে কিছু সবুজ বৃক্ষাদি থাকলে পরিবেশের জন্যও ভালো।

গবাদিপশুর মল-মূত্র নিয়মতি ও দ্রুত সেসব পরিষ্কার করতে হবে। কারণ এগুলো জমা হলেই মাছি এসে জমাট বাঁধে। আর এটাই হলো মাছিদের ডিম পাড়ার উপযুক্ত জায়গা। একবারে ৭৫–১৫০টি ডিম পাড়ে এরা। ডিম ফুটে বাচ্চা বেরোতে সময় লাগে মাত্র ২৪ ঘণ্টা।

লেবু টুকরো টুকরো করে ভেতরের অংশে অনেকগুলো লবঙ্গ গেঁথে দিন। লেবুর মধ্যে লবঙ্গের পুরোটা ঢুকাবেন শুধুমাত্র লবঙ্গের মাথার দিকের অংশ বাইরে থাকবে। এরপর লেবুর টুকরাগুলো একটি প্লেটে করে খামারের কোণায় রেখে দিন। এই পদ্ধতিতে মশা-মাছি, পোকামাকড় একেবারেই দূর হয়ে যাবে।

ব্যবহৃত চা-পাতা ফেলে না দিয়ে ভালো করে রোদে শুকিয়ে নিন। এইভাবে ওই চা পাতা ধুনোর বদলে ব্যবহার করুন। শুকনো চা পাতা পোড়ানো ধোঁয়ায় সমস্ত মশা, মাছি পালিয়ে যাবে।

রসুন বেটে পানিতে মিশিয়ে তরল করে পুরো খামারে স্প্রে করতে পারেন। এটা মশা তাড়াতে খুবই কার্যকরী প্রাকৃতিক উপায়। খামারের মাছি তাড়াতে এর যেকোনো একটি উপায় প্রয়োগ করুন।

গরুর গায়ে স্প্রে করার জন্য ২ মিলি তারপিন তেল (অয়েল তারপিন, স্পিরিট তারপিন বা থিনার না), ২ গ্রাম কর্পুর (ন্যাপথালিন গুঁড়াও অনেকে দেন) এ দুইটা জিনিস ১ লিটার পানিতে মিশিয়ে গরুর গায়ে স্প্রে করলে মাছি বসবে না।

মশা-মাছি কর্পুরের গন্ধ একেবারেই সহ্য করতে পারে না। একটি ৫০ গ্রামের কর্পুরের ট্যাবলেট একটি ছোট বাটিতে রেখে বাটিটি পানি দিয়ে পূর্ণ করুন। এরপর এটি খামারের কোনায় রেখে দিন।

তাৎক্ষণিকভাবেই মশা- মাছি গায়েব হয়ে যাবে। দুই দিন পর পানি পরিবর্তন করে নিন। আগের পানিটুকু ফেলে না দিয়ে ফার্মে ছিটিয়ে দিলে পোকামাকড় ও পিঁপড়ের যন্ত্রণা থেকেও মুক্তি পাবেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জানুয়ারী ২০, ২০২৪ ৬:৩৮ অপরাহ্ন
বাংলার মানুষের মুখে হাসি ফোটাবার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন শেখ হাসিনা – মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
প্রাণিসম্পদ

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ও মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান বলেছেন, বাংলার মানুষ বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে টানা চারবারসহ পঞ্চমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী করেছেন। তিনি বাংলার মানুষের মুখে হাসি ফোটাবার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন। আমাদের প্রয়োজন তাঁর হাতকে শক্তিশালী করা। তাঁর হাতকে শক্তিশালী করতে পারলে এই দেশ নিশ্চয়ই বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ হবে। এই দেশ সত্যিকার অর্থে স্মার্ট বাংলাদেশ হবে।

শনিবার (২০ জানুয়ারি) বিকেলে ফরিদপুরের আলীপুরে ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামীম হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য প্রদান করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ মো. ইশতিয়াক আরিফ এবং ফরিদপুর পৌরসভার মেয়র অমিতাভ বোস অনুষ্ঠানে বক্তব্য প্রদান করেন।

এ সময় মন্ত্রী আরও বলেন, আজকের বিশ্ব শেখ হাসিনার উন্নয়নে ঈর্ষান্বিত। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা এক বড় চ্যালেঞ্জ হাতে নিয়ে পুনরায় দেশ পরিচালনার ভার নিয়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধে চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র আছে। ঐক্যবদ্ধভাবে সামনের এই দৃশ্যমান দুঃসময় মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত হতে হবে।

তিনি আরও জানান, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নির্বাচনী ইশতেহার পূর্ণাঙ্গভাবে বাস্তবায়ন করবে। ক্ষুধামুক্ত দারিদ্র্যমুক্ত, সন্ত্রাসমুক্ত, জঙ্গিবাদমুক্ত বাংলাদেশ আমরা গড়ে তুলতে চাই।

মো. আব্দুর রহমান বলেন, নির্বাচনে বিজয়ী হবার পর আমি গর্বিত না, অহংকারী না, আমি আরও বেশি বিনয়ী হয়েছি। সারা জীবনের রাজপথের একজন কর্মী হিসেবে, সারা জীবন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সংকট-সম্ভাবনায় সেই চিরপরিচিত মিছিলের সামনে দাঁড়িয়ে এই কন্ঠে জয় বাংলা স্লোগান ধ্বনিত করেছি, জয় বঙ্গবন্ধুর কথা বলেছি। সেই আব্দুর রহমান এর কাছে তার সংবর্ধনার মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় সম্বোধন বেমানান মনে হয়। আওয়ামী লীগের হাজার হাজার নেতাকর্মীর কাছে আমি রহমান ভাই হিসেবে বেঁচে থাকতে চাই, এর বাইরের কোন পরিচয় আমার কাছে স্বচ্ছন্দের পরিচয় না।

আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীদের এ সময় সৎভাবে ব্যবসা-বাণিজ্য করে জীবিকা নির্বাহের আহ্বান জানান মন্ত্রী।

অনুষ্ঠানের শুরুতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের ফরিদপুর জেলা শাখার নেতৃবৃন্দ মন্ত্রীকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।

 

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জানুয়ারী ১৭, ২০২৪ ৪:৩৪ অপরাহ্ন
রমজানে ন্যায্যমূল্যে মাছ, মাংস, দুধ, ডিম বিক্রির পরিকল্পনা রয়েছে – মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
প্রাণিসম্পদ

আসন্ন রমজান মাসে প্রান্তিক মানুষের জন্য ন্যায্যমূল্যে মাছ, মাংস, দুধ, ডিম বিক্রির পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান।

বুধবার (১৭ জানুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দপ্তর কক্ষে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাত নিয়ে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে মন্ত্রী এ কথা জানান।

এ সময় তিনি বলেন, উৎপাদন ও মজুদ থাকার পরও তুনামূলক বিচারে কিছু কিছু ক্ষেত্রে দ্রব্যমূল্য মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। এর কারণগুলো প্রধানমন্ত্রী নিজেই খতিয়ে দেখছেন এবং সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের নিয়েও তিনি মতবিনিময় করবেন। দেশে পর্যাপ্ত ডিমের উৎপাদন আছে, মাছের উৎপাদনও যথেষ্ট আছে, সুতরাং এগুলো ঠিক কি কারণে মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে পৌঁছানো যাচ্ছে না সেটি খতিয়ে দেখার বিয়ষটি মন্ত্রণালয়ের বিবেচনায় রয়েছে। এ থেকে উত্তরণে আগামী রমজানকে সামনে রেখে ট্রাকে করে বিভিন্ন জায়গায় ন্যায্যমূল্যে চাল-ডাল-তেল দেওয়ার মতো করে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় মাছ, মাংস, দুধ, ডিম প্রান্তিক জনগোষ্ঠী বিশেষত বস্তিনির্ভর এলাকা, দরিদ্রতর মানুষের বসবাসের জায়গায় ভ্রাম্যমাণ পদ্ধতিতে বিক্রয়ের পরিকল্পনা করেছে। বাজারের চেয়ে কমমূল্যে এসব জায়গায় মাছ, মাংস, দুধ, ডিম পাওয়া যাবে। তবে আমাদের সামর্থ্যের দিকেও খেয়াল রাখতে হবে। সব মানুষকেই ন্যায্যমূল্যে মাছ, মাংস আর ডিম দেওয়া সম্ভব হবে না। যাদের ক্রয়ক্ষমতা আছে তাদের এভাবে দেওয়ার পরিকল্পনা নেই।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের উন্নয়নে কিছু পরিকল্পনা তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সাধারণ মানুষের জীবন ও জীবীকার সাথে সম্পৃক্ত, দৈনন্দিন খাদ্য ও পুষ্টির সাথে সম্পৃক্ত। মাছ উৎপাদনে বাংলাদেশ সারাবিশ্বে ৩য় অবস্থানে রয়েছে। এর চেয়ে বেশি দূরে যাওয়া আমাদের লক্ষ্য। আমাদের অবস্থান আরও উন্নততর জায়গায় পৌঁছে দেওয়ার সুযোগ রয়েছে। দুধে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ার জন্য ডেইরি খাতে আরও কিছু কাজ করা প্রয়োজন। এ বিষয়টিও আমাদের বিবেচনায় আছে। মা ইলিশ এবং বাচ্চা ইলিশ (জাটকা) ধরার প্রবণতা বন্ধে একটা নির্দিষ্ট সময় মাছ ধরা নিষেধ থাকে, যার ফলে আমরা সুফল পাই, এটি চলমান রাখা হবে। জেলেদের প্রণোদনা দেওয়ার বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর সাথে আলোচনা করে এর পরিমাণ বৃদ্ধির চেষ্টা করা হবে।

মন্ত্রী আরও বলেন, আজ আমরা মাছে স্বয়ংসম্পূর্ণ, গবাদিপশুতে স্বয়ংসম্পূর্ণ। প্রতি বছর কোরবানিতে প্রায় ১ কোটি পশু কোরবানি হয়। এক্ষেত্রে বাইরে থেকে আমদানি নির্ভরতা একেবারেই নেই।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে বিদেশ থেকে যেসব সহায়ক কাঁচামাল, ঔষধ, ফিড আমদানি করতে হয়, সেসবের মূল্য বৃদ্ধি কেন হয়, দামের তারতম্য কি হয়, সে বিষয়গুলো আমাদের বিবেচনায় রয়েছে। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাত যেহেতু মানুষের জীবন-জীবিকার সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত, তাই এ খাতে কাঁচামালসহ অন্যান্য কিছু আমদানিকে যাতে আলাদা বিবেচনা করা যায় সে বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টিতে আনা হবে।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের পণ্যের মূল্য বৃদ্ধিতে জড়িত সিন্ডিকেট বন্ধ করা সংক্রান্ত সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, সিন্ডিকেটকে কোন ধরণের ছাড় দেওয়ার সুযোগ নেই। আইনগত কাঠামোর মধ্যে এদের একটা ব্যবস্থায় নিয়ে আসতে হবে। পাশাপাশি এদের বিরুদ্ধে একটা সামাজিক ক্যাম্পেইনও তৈরি করতে হবে। সিন্ডিকেটের ব্যাপারে আমাদের জিরো টলারেন্স। এটি কোন জায়গায় কিভাবে হয় সেটি চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জানুয়ারী ১৬, ২০২৪ ১১:১৫ পূর্বাহ্ন
গরু মোটাতাজা করতে খামারিরা যা করবেন
প্রাণিসম্পদ

গরু পালন লাভজনক হওয়াতে এখন আমাদের দেশের অনেকেই গরুর খামার করার প্রতি ঝুঁকছেন। তবে, এই গরু যদি হয় আরেকটু মোটাতাজা তাহলে আর কথা ই নাই। আর এর জন্য দরকার গরুর সুষম খাদ্য। আর সুষম খাদ্য প্রয়োগে আপনি আরো লাভবান হতে পারেন গরু পালনে।

খামারে গরু মোটাতাজাকরণে যেসকল আমিষ খাবার আপনার গরুকে খাওয়াবেন:

শুকনা খড়: ২ বছর বয়সের গরুর জন্য দৈহিক ওজনের শতকরা ৩ ভাগ এবং এর অধিক বয়সের গরুর জন্য শতকরা ২ ভাগ শুকনা খড় ২ থেকে ৩ ইঞ্চি করে কেটে এক রাত লালীগুড়-চিটাগুড় মিশ্রিত পানিতে ভিজিয়ে সরবরাহ করতে হবে।

কাঁচা ঘাস: গরুকে প্রতিদিন ৬ থেকে ৮ কেজি কাঁচা ঘাস বা শস্য জাতীয় তাজা উদ্ভিদের উপজাত দ্রব্য যেমন- নেপিয়ার, পারা, জার্মান, দেশজ মাটি কলাই, খেসারি, দুর্বা ইত্যাদি খাওয়াতে হবে।

দানাদার খাদ্য: গরুকে প্রত্যেক দিন কমপক্ষে ১ থেকে ২ কেজি দানাদার খাদ্য সরবরাহ করতে হবে। নিচে ১০০ কেজি দানাদার খাদ্যের তালিকা দেয়া হলো- গম ভাঙা-গমের ভুসি ৪০ কেজি চালের কুঁড়া ২৩.৫ কেজি খেসারি বা যে কোনো ডালের ভুসি ১৫ কেজি তিলের খৈল-সরিষার খৈল ২০ কেজি লবণ ১.৫ কেজি। উল্লিখিত তালিকা ছাড়াও বাজারে প্রাপ্ত ভিটামিন মিনারেল মিশ্রণ ১% হারে খাওয়াতে হবে।

১৫০ কেজি ওজনের গবাদিপশুর খাদ্য তালিকা: খড় = ৩ কেজি কাঁচা ঘাস = ৫-৬ কেজি দানাদার খাদ্যের মিশ্রন = ১.৫-২ কেজি চিটাগুড় = ৫০০ গ্রাম ইউরিয়া = ৪৫ গ্রাম (নিয়মানুয়ায়ী) লবন = ৩৫ গ্রাম।

১০০ কেজি দৈহিক ওজনের গবাদিপশুর খাদ্য তালিকা: ধানের খড় = ২ কেজি সবুজ ঘাস = ২ কেজি (ঘাস না থাকলে খড় ব্যবহার করতে হবে দানদার খাদ্যে মিশ্রন = ১.২-২.৫ কেজি ইউরিয়া = ৩৫ গ্রাম (নিয়মানুযায়ী) চিটাগুড়া = ২০০-৪০০ গ্রাম লবণ = ২৫ গ্রাম দানাদার খাদ্যের সাথে লবন, ইউরিয়া, চিটাগুড় এক সাথে মিশিয়ে দিনে ২ বার দিতে হবে। ধানের খড় এবং কাঁচা ঘাস ছোট ছোট করে কেটে এক সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়ালে ভালো ফল পাওয়া যায়।

কৃমিমুক্তকরণ ও টিকা প্রদান: গরুকে ডাক্তারের নির্দেশনা মত কৃমির ওষুধ খাওয়াতে হবে। নতুন গরু সংগ্রহের পর পরই পালের সব গরুকে একসঙ্গে কৃমিমুক্ত করা উচিত। এক্ষেত্রে প্রতি ৭৫ কেজি দৈহিক ওজনের জন্য ১ টি করে এনডেক্স বা এন্টিওয়ার্ম ট্যাবলেট ব্যবহার করা যেতে পারে।

পূর্ব থেকে টিকা না দেয়া থাকলে খামারে আনার পর পরই সব গরুকে তড়কা, বাদলা ও ক্ষুরা রোগের টিকা দিতে হবে। এ ব্যাপারে নিকটস্থ পশু হাসপাতালে যোগাযোগ করতে হবে।

ঘর তৈরি ও আবাসন ব্যবস্থাপনা: আমদের দেশের অধিকাংশ খামারী ২/৩ টি পশু মোটাতাজা করে থাকে, যার জন্য সাধারণত আধুনিক শেড করার প্রয়োজন পড়ে না। তবে যে ধরনের ঘরেই গরু রাখা হোক, ঘরের মধ্যে পর্যন্ত আলো ও বায়ু চলাচলের ব্যবস্থা থাকতে হবে। ঘরের মল- মূত্র ও অন্যান্য আবর্জনা যাতে সহজেই পরিষ্কার করা যায়, সে দিকে খেয়াল রেখে ঘরে তৈরি করতে হবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জানুয়ারী ১৫, ২০২৪ ১১:২১ পূর্বাহ্ন
হাঁসের ভ্যাকসিন শিডিউল
প্রাণিসম্পদ

অল্প পুঁজি ও কম রোগাক্রান্ত হওয়ার কারনে দিন দিন আমাদের দেশে হাঁস পালন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। হাঁসের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশ ভাল হলেও বেশ কিছু ভাইরাসজনিত সংক্রামক রোগে হাঁস মারা যেতে পারে। তাই হাঁস পালনের জন্য টিকা প্রদান বা হাঁসের ভ্যাকসিন সিডিউল খুব জরুরী।

হাঁস বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হতে পারে। তবে আমাদের দেশে ডাক প্লেগ ও ডাক কলেরার কারনে হাঁসের মৃত্যুর রেকর্ড সবথেকে বেশী। তাই মূলত এই দুটি রোগের টিকা প্রদানের জন্য সরকারি ভাবে বলা হয়ে থাকে।

হাঁসের টিকা প্রদান কর্মসূচি নিচে দেওয়া হলোঃ

বয়স (দিন) টিকার নাম রোগের নাম টিকার ডোজ টিকা প্রাদানের স্থান
২০-২২ ডাক প্লেগ ডাক প্লেগ ১ মিলি বুকের চামড়ার নীচে
৪০-৪২ ডাক প্লেগ ডাক প্লেগ ১ মিলি বুকের চামড়ার নীচে
৭০ ডাক কলেরা ডাক কলেরা ১ মিলি বুকের চামড়ার নীচে
৯০ ডাক কলেরা ডাক কলেরা ১ মিলি বুকের চামড়ার নীচে
১০০ ডাক প্লেগ ডাক প্লেগ ১ মিলি বুকের বা রানের মাংসে

*এরপর প্রতি চার মাস অন্তর ডাক প্লেগ টিকা এবং ৬ মাস অন্তর ডাক কলেরা টিকা প্রদান করাতে হবে।

*উল্ল্যেখ্য বার্ড ফ্লুর প্রভাব বেশী থাকলে চার মাসে বার্ড ফ্লু টিকা দিতে হবে।

হাঁসের ভ্যাকসিন দেওয়ার নিয়ম:

ডাক প্লেগ ১০০ ডোজের ভ্যাকসিন ১০০ মিলি পরিস্কার পানির সাথে ভালোভাবে মিশিয়ে ভ্যাকসিন গান অথবা ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে প্রইয়োগ করা হয়। ডাক কলেরার ভ্যাকসিন লাইভ হলে একই নিয়মে দিতে হবে। কিল্ড হলে সরাসরি প্রয়োগ করা যায়।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জানুয়ারী ১৪, ২০২৪ ৫:৩৮ অপরাহ্ন
সমুদ্র থেকে মৎস্য আহরণ বৃদ্ধি করে রপ্তানি বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে -মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
প্রাণিসম্পদ

সমুদ্র থেকে মৎস্য আহরণ বৃদ্ধি করে সেটি বিদেশে রপ্তানির মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে নবযোগদানকৃত মন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান।

রবিবার (১৪ জানুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দপ্তর কক্ষে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে এ পরিকল্পনার কথা জানান তিনি ।

তিনি আরও বলেন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় দেশের মানুষের আমিষের চাহিদা পূরণের পাশাপাশি সুন্দর জীবনযাপনে বড় সহায়ক ভূমিকা পালন করে। এ মন্ত্রণালয় এখন যেখানে আছে তার থেকে ভালো অবস্থানে উত্তরণ ঘটানো এবং এখান থেকে দেশের ১৮ কোটি মানুষ যাতে সুবিধা পায়, সেটি নিশ্চিত করার দিকে দৃষ্টি থাকবে।

এসময় সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালনের অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন মন্ত্রী।

বৈশ্বিক সংকট মোকাবিলায় উৎপাদনের ওপর জোর দেওয়া এবং দেশের মানুষের কাছে আমিষের সহজলভ্যতা প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, দেশের মানুষের কাছে আমিষ সহজলভ্য করার উপর গুরুত্বারোপ করার পরিকল্পনা রয়েছে। বিশেষ করে রমজান সামনে রেখে মাছ, মাংস, দুধ, ডিম ন্যায্যমূল্যে ভ্রাম্যমাণ বিক্রির প্রাথমিক পরিকল্পনা রয়েছে মন্ত্রণালয়ের। যাতে এসব পণ্য সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে থাকে এবং এসব পণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে থাকে।

সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে রপ্তানি পণ্য হিসেবে চিংড়ির মানোন্নয়নে তড়িৎ ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানান মন্ত্রী।

সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী মন্ত্রণালয় ও আওতাধীন দপ্তর-সংস্থাকে আরও উন্নততর জায়গা নিয়ে যাওয়া এবং স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।

এর আগে মন্ত্রণালয়ে যোগ দিয়ে মন্ত্রণালয় ও আওতাধীন দপ্তর-সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় করেন মন্ত্রী। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাং সেলিম উদ্দিনসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ মন্ত্রীকে স্বাগত জানান এবং ফুল দিয়ে অভ্যর্থনা জানান।

গত ১০ জানুয়ারি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ৫৬ অনুচ্ছেদের (২) দফা অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ফরিদপুর-১ (বোয়ালমারী-মধুখালী-আলফাডাঙ্গা) আসনের নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য মো. আব্দুর রহমানকে মন্ত্রী হিসাবে নিয়োগ দান করেন। একইদিন এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। পরে গত ১১ জানুয়ারি বাংলাদেশ সরকারের মন্ত্রী হিসাবে শপথ নেবার পর বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মো. আব্দুর রহমানকে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব প্রদান করেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জানুয়ারী ১৪, ২০২৪ ১২:৪৬ অপরাহ্ন
ছাগলের কৃমি দমনে যা করবেন
প্রাণিসম্পদ

ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগল পালন বাংলাদেশের খামারীদের ভাগ্যবদলের অন্যতম পাথেয়। ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগলের মাংস যেমন সুস্বাদু, চামড়া তেমনি আন্তর্জাতিকভাবে উন্নতমানের বলে স্বীকৃত। তবে ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগলেও নিতে হয় আলাদা যত্ন। বিশেষ করে কৃমি দমনে কার্যকরী পদক্ষেপ খামারীদের জন্য বেশ উপকারী।

ছাগলের বাচ্চার কৃমি দমনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ:

কৃমি দমন : কৃমি ছাগলের মারাত্মক সমস্যা। বয়স্ক ছাগল ও বাচ্চার কৃমি দমনের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। মনে রাখতে হবে, শুধু পর্যাপ্ত খাদ্য সরবরাহ ও উন্নত ব্যবস্থাপনার মাধ্যমেই আশানুরূপ উৎপাদন পাওয়া যায় না।

কৃমির জন্য উৎপাদন মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়। কাজেই কাছের প্রাণিসম্পদ হাসপাতাল থেকে ছাগলের মল পরীক্ষা করে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ছাগলকে নিয়মিত কৃমিনাশক ওষুধ খাওয়াতে হবে।

১-৪ মাস পর্যন্ত বাচ্চা দের কৃমি মুক্ত করার পদ্ধতি:

বাচ্চা ছাগল, ভেড়া, গাড়ল:- বিভিন্ন খামারী এরং ছাগল পালন কারীর সাথে আলোচনা করে এবং নিজে অভিজ্ঞতা থেকে একটি সাধারণ বিষয় লক্ষ্যণীয় হল ছাগলের ক্ষেত্রে বাচ্চা জন্মানোর প্রথম ১ মাস বাচ্চা গুলোর দৈহিক বৃদ্ধি ভাল থাকে এবং দেখতে খুব সুন্দর থাকে কৃমি মুক্ত না করা বাচ্চাগুলো দ্বিতীয় মাস থেকেই আস্তে আস্তে দৈহিক বৃদ্ধি এবং সৈন্দর্য কমতে থাকে, দিন দিন শুকিয়ে যায় আর পেটের সাইজ বড় হতে থাকে,খুবই ঘন ঘন পাতলা পায়খানা হয়, আবার পায়খানার সাথে সাদা সাদা ফিতা কৃমি,হুক কৃমি,চাবুক কৃমি বের হতে থাকে ।

বাচ্চাগুলো খুবই দূর্বল হয়ে ধীরে ধীরে হাড় চামড়ার সাথে ভেসে উঠে কিছু বাচ্চা মারা যায় আবার কিছু বাচ্চা বছর পার হলেও শরির স্বাস্হ্য খারাপ হতেই থাকে । আমারা খামারে সাধারণতঃএই সমস্যার সন্মুখিন হচ্ছি বা হতে পারি। সেজন্য নিচের নিয়মে ছাগল,গাড়লের বাচ্চাদের কৃমি মুক্ত করতে পারলে খামার কে লাভবান করা সম্ভব।

বাচ্চাকে ১ মাস বয়স হলে নিওট্যাক্স,বা এক্সট্রাস মানুষের সিরাপ জেনেরিক নেইম লিভামিসোল প্রতি কেজি দৈহিক ওজনের জন্য ১ এমএল হিসেবে খাওয়াতে হবে । (বিঃদ্রঃ কৃমির প্রভাব দেখা দিলে ১৫দিন বয়স থেকেও দেওয়া যেতে পারে।) দুই মাস বয়স পূর্ন হলে এলটিভেট জেনেরিক নেইম লিভামিসোল + ট্রাইক্লাবেন্ডাজল ৪০ কেজি দৈহিক ওজনের জন্য ১ টি ট্যাবলেট হিসেবে খাওয়াতে হবে ।

তিন মাস বয়স হলে এমেকটিন প্লাস জেনেরিক নেইম আইভারমেকটিন + ক্লোরসুলন ২৫ কেজি হিসেবে ১ এমএল চামড়ার নীচে ইঞ্জেকশন দিতে হবে। চার মাস বয়স হলে প্যারাক্লিয়র ফেনবেন্ডাজল গ্রুপের ট্যাবলেট ১০-২০ কেজির জন্য ১ টি । তার ৭-৮ মাস পূর্ণ হলে বড় ছাগলের রুটিনে কৃমি মুক্ত করতে হবে ।

বাচ্চা গাড়ল, ভেড়া, ছাগলের ক্ষেত্রে যেহেতু ১-২ মাসের অধিক সময় পর্যন্ত মায়ের দুধ পান করে তাই কৃমির ঔষধ খাওয়ানোর পর লিভারটনিক না খাওয়াতে পারলে তেমন কোন সমস্যা হবে না আর ৩-৪ মাসে কৃমির ঔষধের দেওয়ার পর লিভারটনিক খাওয়াতে হবে ।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জানুয়ারী ১৪, ২০২৪ ১২:৪৫ অপরাহ্ন
গবাদিপশুর দানাদার খাদ্য ব্যবহারে যা করবেন
প্রাণিসম্পদ

আমরা গবাদিপশুর পুষ্টি চাহিদা মেটানোর জন্য দানাদার খাবারের সাথে বিভিন্ন প্রকার ভিটামিন ও মিনারেল ফুড সাপ্লিমেন্ট হিসেবে দিয়ে থাকি। এই গবাদিপশুর খাদ্য হিসেবে দানাদার খাদ্যের প্রচলন আমাদের দেশে ব্যাপক। তবে শুধুই দানাদার খাদ্য গবাদিপশুর প্রকৃত খাবার নয়।

দানাদার খাদ্য ব্যবহারের কৌশল:

শুরুতেই যে বীজগুলো(যেমন- গম, ভুট্টা ইত্যাদি) অঙ্কুরিত করবেন সেগুলো ভালভাবে পানিতে ধুয়ে নিন। এরপর একটি পাত্রে পরিস্কার পানিতে বীজ গুলোকে গমের ক্ষেত্রে ৮-১২ঘণ্টা এবং ভুট্টার ক্ষেত্রে ২০-২৪ ঘন্টা ভিজিয়ে রাখতে হবে।

এভাবে ভিজিয়ে রাখার পর বীজগুলোকে পুনরায় পানিতে কয়েকবার করে ধুয়ে নিন এবং শষ্যদানা থেকে পানি ছেঁকে নিন।
এবারে একটি পরিষ্কার কাপড় ভিজিয়ে নিন এবং এটি দিয়ে বীজসমৃদ্ধ পাত্রটি ঢেকে ফেলুন অথবা ভেজা কাপড় দিয়ে শষ্যদান পুটলি বেধে ছায়াযুক্ত এমন একটি স্থানে রেখে দিন যেখানে তাপমাত্রা খুব বেশি নয়।

এভাবে ২৪ ঘন্টার মধ্যেই আপনার শষ্যদানা অঙ্কুরিত হবে।এবার অঙ্কুরিত শস্যদানা ধুয়ে নিয়ে গবাদীপশুকে পরিবেশন করুন।

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop