১:০৮ অপরাহ্ন

সোমবার, ২০ মে , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : অগাস্ট ১৮, ২০২১ ৪:১৭ অপরাহ্ন
আম নিতে চায় রাশিয়া, সার চায় বাংলাদেশ
কৃষি বিভাগ

রাশিয়া থেকে জিটুজি ভিত্তিতে ডিএপি ও পটাশিয়াম সার আনতে চায় বাংলাদেশ। এ বিষয়ে রাশিয়ার সঙ্গে একটি ‘সমঝোতা স্মারক’ (এমওইউ) স্বাক্ষরের আগ্রহ ব্যক্ত করেছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আবদুর রাজ্জাক। অন্যদিকে বাংলাদেশ থেকে আম নেওয়ার আগ্রহ ব্যক্ত করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেক্সান্ডার ভি মান্টিটস্কি।

বুধবার কৃষিমন্ত্রীর সঙ্গে ঢাকায় নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশ সচিবালয়ে সাক্ষাৎকালে দুপক্ষ এ আগ্রহের কথা জানায়।

এ সময় বিএডিসির চেয়ারম্যান ড. অমিতাভ সরকার, সদস্য পরিচালক (সার ব্যবস্থাপনা) ড. একেএম মুনিরুল হক, কৃষি মন্ত্রণালয়ের উপসচিব শরীফা আহমেদ, ঢাকায় রাশিয়ান দূতাবাসের অ্যাটাচে খানুভা আমাতুলা উপস্থিত ছিলেন।

সাক্ষাৎকালে কৃষিমন্ত্রী বলেন, দেশে কৃষকদের ডিএপি সার ব্যবহারের জন্য উৎসাহিত করা হচ্ছে। বর্তমান সরকার চার দফা সারের দাম কমিয়েছে। ডিএপির দাম ৯০ টাকা থেকে কমিয়ে কেজিপ্রতি ১৬ টাকা করা হয়েছে। ফলে ডিএপি সারের ব্যবহার দিন দিন বাড়ছে। আমরা রাশিয়া থেকে ডিএপি ও পটাশিয়াম আমদানি করতে চাই এবং এ ব্যাপারে একটি ‘সমঝোতা স্মারক’ (এমওইউ) স্বাক্ষর করতে চাই।

এ ছাড়া বৈঠকে কৃষিমন্ত্রী বাংলাদেশ থেকে রাশিয়াকে আলু আমদানির বিষয়টি পুনর্বিবেচনার অনুরোধ জানান। তিনি বলেন, আলুকে ব্যাকটেরিয়ামুক্ত ও নিরাপদ করতে বাংলাদেশ সরকার অনেক পদক্ষেপ নিয়েছে। দেশে এখন অনেক উন্নতমানের আলু উৎপাদিত হচ্ছে। রাশিয়া আলু আমদানি পুনরায় শুরু করতে পারে।

কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন, রাশিয়া বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধুরাষ্ট্র। স্বাধীনতা সংগ্রামের শুরু থেকেই রাশিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের গভীর সম্পর্ক বিদ্যমান। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি— আমাদের এ সম্পর্ক অটুট থাকবে। ভবিষ্যতে অর্থনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিকসহ সব ক্ষেত্রে সহযোগিতা আরও বৃদ্ধি পাবে।

রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেক্সান্ডার ভি মান্টিটস্কি বলেন, বাংলাদেশের আম অত্যন্ত সুস্বাদু ও উন্নত মানের। রাশিয়াতে এ আম রপ্তানির বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। আম নিতে রাশিয়ার আগ্রহ রয়েছে।

বাংলাদেশে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানেও রাশিয়া প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদান করবে বলে জানান রাষ্ট্রদূত আলেক্সান্ডার ভি মান্টিটস্কি।

প্রকাশ : জুন ২৯, ২০২১ ৩:২৯ অপরাহ্ন
অতিরিক্ত আম খেলে যেসব ভয়ঙ্কর বিপদ
প্রাণ ও প্রকৃতি

আমকে ফলের রাজা বলা হয়। স্বাদ ও সুবাসে আম অন্যান্য ফলের চেয়ে সেরা। ছোট বড় সবাই আম পছন্দ করেন। আমার বেশি সুস্বাদু বলে বেশি পরিমাণে খায়া যাবে না। এবার জেনে নিন বেশি আম খেলে যেসব ভয়ঙ্কর বিপদ হবে।বেশি আম খাওয়া মোটেই স্বাস্থ্যকর নয়। স্বাদে-গন্ধে অতুলনীয় হলেও অতিরিক্ত আম খেয়ে কিন্তু বিপদও ডাকছেন আপনি। ডাক্তারদের মতে শরীরের দিকে খেয়াল না রেখে আম খেলে কিন্তু আপনার জন্য অপেক্ষা করছে নানা ক্ষতি।

ডায়াবেটিস রোগীদের:

আম  ফ্রুকটোজে ভরপুর হওয়ায় রক্তে চিনির মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। তাই যারা ডায়াবিটিসের রোগী, তাদের জন্য আম বিপদ ডেকে আনতে পারে। এজন্য চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া একেবারে আম খাওয়া ঠিক না্। খেলেও নিয়ম মেনে কম খেতে হবে।

কৃত্রিমভাবে পাকানো আম:

আজকাল বহু আমই কৃত্রিম ভাবে পাকানো হয়। ক্যালশিয়াম কার্বাইড ব্যবহার করা হয় আম পাকাতে। এই রাসায়নিকগুলি ব্যবহারের ফলে শরীরে বিভিন্ন ধরনের প্রভাব পড়তে পারে। এর থেকে শরীরে ক্লান্তি, অবশ বোধ করা ইত্যাদি সমস্যা দেখা দিতে পারে। শুধু তা-ই নয়, এই সব রাসায়নিক ব্যবহার করার ফলে ত্বকেরও নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে।

হজমে সমস্যা:

অতিরিক্ত আম খেলে আরও যে বড় সমস্যা হয় সেটি হল হজমের সমস্যা। রোজ বেশি পরিমাণে আম খেলে হজমশক্তির উপর তার প্রভাব পড়ে। শুধু তাই নয়, দিনের পর দিন অতিরিক্ত আম গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা বাড়িয়ে দেয়। তাই হজমকে ঠিক রাখতে হলে ঘন ঘন আম খাওয়া বাদ দিতে হবে।

পুষ্টিগুণ ঠিক রাখতে:

আম অনেকে আম জুস করে খেতে পচ্ছন্দ করেন। কিন্তু আম কেটে খাওয়াই বেশি ভালো। কারণ জুস করে খেলে আমের মধ্যে যে ফাইবার আছে তার গুণাগুণ নষ্ট হয়ে যায়।

ত্বকেরও সমস্যা

আজকাল বহু আমই কৃত্রিম ভাবে পাকানো হয়। ক্যালশিয়াম কার্বাইড ব্যবহার করা হয় আম পাকাতে। এই রাসায়নিকগুলো ব্যবহারের ফলে শরীরে বিভিন্ন ধরনের প্রভাব পড়তে পারে। এর থেকে শরীরে ক্লান্তি, অবশ বোধ করা ইত্যাদি সমস্যা দেখা দিতে পারে। শুধু তা-ই নয়, এই সব রাসায়নিক ব্যবহার করার ফলে ত্বকেরও নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে।

সচেতনতা:

আম খাওয়ার সময় কিছু সচেতনতাও অবলম্বন করতে হয়। খেয়াল রাখুন, আমে লেগে থাকা আঠা যেন কোনও ভাবে মুখে লেগে না যায়। এ থেকে মুখে চুলকানি, জ্বালাপোড়া হতে পারে। বেশ কয়েকদিন এর দাগও থেকে যায়।

অ্যালার্জির সমস্যায়:

যাদের ত্বকে অ্যালার্জির প্রবণতা আছে, তারাও আম খাওয়া নিয়ন্ত্রণ আনুন। কারণ আম থেকে চোখ জ্বালা, হাঁচি, পেটে ব্যথা, ঠান্ডা লেগে যাওয়া ইত্যাদি সমস্যা হতে পারে।

বাতের ব্যাথায়:

আর্থারাইটিস বা বাতের ব্যথায় যারা ভোগেন তারা আম এড়িয়ে চলুন। আম খেলে এই ধরনের ব্যথা বাড়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়।যাদের শারীরিক বিভিন্ন সমস্যা রয়েছে তারা আম খাওয়ার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করে নিন।

 

অনেকে আম চিবিয়ে না খেয়ে আমের জুস করে খান। কিন্তু এতে আমের মধ্যে অবস্থিত ফাইবারগুলো নষ্ট হয়ে যায়। ফলে সেই ফাইবারের গুণাগুণ শরীরে কাজে লাগে না। উল্টে পেটের সমস্যা বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।

প্রকাশ : জুন ২৯, ২০২১ ১১:৪৮ পূর্বাহ্ন
পাহাড়ে মিশ্র ফলের চাষ করে তাক লাগিয়েছেন ৫ হাজার কৃষক
প্রাণ ও প্রকৃতি

পার্বত্য চট্টগ্রামের পরিত্যক্ত পাহাড়ে মিশ্র ফলজ বাগান করে সফলতার মুখ দেখেছে পাহাড়ের প্রায় ৫হাজার কৃষক। এ বছর এ মিশ্র ফল বাগান থেকে আমসহ বিভিন্ন ফল বিক্রি করে কৃষকরা অনেক লাভবান হয়েছে।

পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধানে মিশ্র ফলচাষ প্রকল্পের আওতায় তিন পার্বত্য জেলার পরিত্যক্ত পাহাড়ে মিশ্র ফল বাগান করে পাহাড়ের ৫হাজার কৃষক সফল হয়েছে বলে জানিয়েছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব ও পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান নব বিক্রম কিশোর ত্রিপুরা।

পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান নব বিক্রম কিশোর ত্রিপুরা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রত্যন্ত এলাকায় পরিত্যক্ত পাহাড়গুলোকে মিশ্র ফল চাষ প্রকল্পের আওতায় আনতে ২০১৫ সালে প্রায় ৬৩ কোটি ৫০লক্ষ টাকা ব্যয়ে একটি প্রকল্প নেয়া হয়। এ প্রকল্পের আওতায় তিন পার্বত্য জেলায় প্রায় ৫ হাজার ফলের বাগান করা হয়। তার মধ্যে রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলায় ১৫১০টি, খাগড়াছড়িতে ১৮২৫টি এবং বান্দরবান পার্বত্য জেলায় ১৬৪৫টি বাগান করা হয়।

পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান নব বিক্রম কিশোর ত্রিপুরা আরো জানান, ২০১৩ সালে আমি পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিবের দায়িত্ব পাালনকালীন সময়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালনকালে পরিকল্পনা কমিশন অনুমোদিত বোর্ডের চলমান ১৫টি প্রকল্পের ১ টি ছাড়া বাকি সবই আমার দায়িত্ব পালনকালে অনুমোদিত ও বাস্তবায়িত হয়েছে। তার মধ্যে জনকল্যাণ মূলক গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প ছিলো পাহাড়ে মিশ্র ফলজ বাগান প্রকল্প।

তিনি জানান, এ প্রকল্পের আওতায় তিন পার্বত্য জেলার প্রায় ৫হাজার কৃষকদের মিশ্র ফলের বাগান করতে তাদের সাথে সরাসরি আলাপ করে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে বিভিন্ন ধরনের সহায়তা প্রদান করা হয়।

১.৫ একর আয়তনের বাগানের কৃষককে আম, লিচু, মাল্টা, কুল, জলপাই, আমলকী, কাজুবাদাম, জাম্বুরা, মিস্টি তেঁতুল, পেপে,আনারস, নিম, হরিতকি,বয়রা, সাজনা, লেবু ,লটকন ও কলম্বো লেবুর চারা প্রত্যেক কৃষককে ১৬৭০ টি চারাকলম ও ০.৭৫ একর বাগানের কৃষককে ৮৩৫ টি করে চারা-কলম দেওয়া হয়।

এছাড়া কৃষকদের উদ্যান উন্নয়ন, প্রক্রিয়াজাতকরণ ও ব্যবস্থাপনা বিষয়ে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থার পাশাপাশি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে পানির উৎস তৈরী করে সেখানে সেচেঁর সুবিধা সৃষ্টি করা হয় এবং কৃষকদের মিশ্র বাগান সফল করতে সেখানে সিলভামিক্স-ফোর্ট সার, নেপসেক স্প্রেয়ার,সিকেচার,হাসুয়া ও কোদাল প্রদান করা হয়। মিশ্র ফল বাগানের পাশাপাশি কৃষকরা সেখানে বিভিন্ন প্রজাতির সবজির চাষাবাদ করে লাভবান হয়।

পার্বত্য চট্টগ্রাম কৃষি ক্ষেত্রে অনেক সম্ভাবনাময় অঞ্চল হিসেবে উল্লেখ করে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান নব বিক্রম কিশোর ত্রিপুরা বলেন, বর্তমান সরকার কৃষিকে গুরুত্ব দিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামে ব্যাপক সহায়তা করে যাচ্ছে। সকলে সম্মিলিতভাবে সরকারের দেয়া সহায়তাকে কাজে লাগাতে পারলে পার্বত্য চট্টগ্রাম কৃষি ক্ষেত্রে বিপ্লব ঘটাবে।

পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের সহায়তায় গড়ে উঠা মিশ্র ফল বাগানের ৫হাজার কৃষক এখন সফলতার মুখ দেখছে বলে জানিয়েছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের মিশ্র ফল চাষ প্রকল্পের সহকারী প্রকল্প পরিচালক মোঃ কামরুজ্জামান। এবছর এ মিশ্র ফল বাগান থেকে আমসহ বিভিন্ন রকমের ফল বিক্রি করে কৃষকরা অনেক লাভবান হয়েছে বলে জানান তিনি।

তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী ন্যাড়া পাহাড়কে সবুজ বৃক্ষে সুশোভিত করার প্রত্যয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের মাধ্যমে তিন পার্বত্য অঞ্চলের প্রায় ৫ হাজার চাষিকে আমসহ মিশ্র ফল বাগানের মাধ্যমে স্বাবলম্বী করে তোলার প্রক্রিয়া অনেকটাই সফল হয়েছে। মিশ্র ফল বাগান করে পাহাড়ের কৃষক এখন স্বাবলম্বী বলে জানিয়েছেন এ কর্মকর্তা। ভবিষ্যতে ও পার্বত্য চট্টগ্রামের পরিত্যক্ত পাহাড়ে মিশ্র ফলজ বাগানসহ কৃষি নির্ভর যেকোন উদ্যোগ নিতে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে প্রকল্প নেয়া হবে বলে জানান তিনি।

কৃষি বিভাগের পাশাপাশি তিন পার্বত্য জেলায় পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে মিশ্র ফলজ বাগানের মাধ্যমে ৫হাজার কৃষকের সফলতার ভূয়সী প্রশংসা করেছেন রাঙ্গামাটি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষ্ণ প্রসাদ মল্লিক।
তিনি বলেন, কৃষি বিভাগের পাশাপাশি পাহাড়ের সম্ভাবনাময় কৃষিকে সমৃদ্ধ করতে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে যেসব উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে তার সফলতায় কৃষকরা স্বাবলম্বী হওয়ার পাশাপাশি আমরা আরো একধাপ কৃষি ক্ষেত্রে এগিয়ে গেলাম। তিনি পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়নবোর্ডের মতো অন্যান্য সরকারী বিভিন্ন উন্নয়ন সংস্থাকে কৃষিনির্ভর প্রকল্প গ্রহণের আহবান জানান।

পরিত্যক্ত পাহাড়ে মিশ্র বাগানের সফলতায় খুশি পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রায় ৫হাজার কৃষক। এ ধারা অব্যাহত রেখে নতুন নতুন পরিকল্পনার মাধ্যমে পাহাড়ের অব্যবহৃত কৃষি জমিকে কাজে লাগাতে পারলে পার্বত্য চট্টগ্রাম কৃষিক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা সচেতন মহলের। বাসস

প্রকাশ : জুন ২৭, ২০২১ ১২:৪৬ অপরাহ্ন
ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ‘সুগার ফ্রি’ আম উদ্ভাবন
প্রাণ ও প্রকৃতি

ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ‘সুগার ফ্রি’ আম উদ্ভাবন করেছে পাকিস্তান। দেশটির বাজারে এমন আম বিক্রি করা হচ্ছে

পাকিস্তানের কিংবদন্তি ফল গবেষক এমএইচ পানওয়ারের নাতি গোলাম সারওয়ার এই আম উদ্ভাবন করে রীতিমতো তাক লাগিয়ে দিয়েছেন।

পাকিস্তানের (Pakistan) কিংবদন্তি ফল গবেষক এমএইচ পানওয়ারের নাতি গুলাম সারওয়ার করেছেন এই কাণ্ড। তিনি উদ্ভাবন করেছেন সুগার ফ্রি আমের তিন প্রজাতি। তিন রকমের আমই বাজারে বিকোচ্ছে ভারতীয় মূল্যে ৭০ টাকা কেজি দরে। তাদের নাম সোনারো, গ্লেন ও কেট। পাঁচ বছরের নিরলস গবেষণার পরে এই আম তৈরি করা গিয়েছে। এর মধ্যে কেটের শর্করার পরিমাণ সর্বোচ্চ ৪.৭ শতাংশ। বাকি সোনারো ও গ্লেনের মধ্যে শর্করার পরিমাণ ৫.৬ শতাংশ ও ৬ শতাংশ। পাকিস্তানে সদ্য শেষ হয়েছে সিন্ধ্রি ও চৌসা আমের মরশুম। এই সুগার ফ্রি আম পাওয়া যাবে আগস্টের শেষ পর্যন্ত।

গোলাম সারওয়ার জানান, পাকিস্তান সরকার আমার দাদাকে সিতারা-এ-ইমতিয়াজ উপাধি দিয়েছিলেন আম ও কলা নিয়ে গবেষণার জন্য। তার মৃত্যুর পর আমি কাজ চালিয়ে যাচ্ছি এবং বিভিন্ন বিদেশি আম নিয়ে গবেষণা করছি।

প্রসঙ্গত সিন্ধুপ্রদেশের তান্দো আল্লাহইয়ার শহরে গোলাম সারওয়ারের ৩০০ একর জমির ওপরে একটি খামার রয়েছে। ‘এমএইচ পানওয়ার’ নামের ওই খামারে সব মিলিয়ে ৪৪ রকমের আমের প্রজাতি রয়েছে।

 

প্রকাশ : জুন ২৭, ২০২১ ৯:৩৭ পূর্বাহ্ন
বাগানেই নষ্ট হচ্ছে আম, হতাশায় জ্ঞান হারালেন চাষি!
কৃষি গবেষনা

লকডাউনের কারণে বাজার পড়ে যাওয়া ও যানবাহনের অভাবে ঝিনাইদহে বাগানেই পচে যাচ্ছে আম। পুলিশ ও প্রশাসনের বাধায় করোনার লকডাউনে বাজারে আম তুলতে না পেরে মাথায় হাত পড়েছে সেখানকার চাষিদের।

ঝিনাইদহ কৃষি অফিসে তথ্যমতে এ বছর জেলায় দুই হাজার ২১১ হেক্টর জমিতে আম বাগান রয়েছে। এর মধ্যে সদরে ৫৮০ হেক্টর, কালীগঞ্জে ৩৭০ হেক্টর, কোটচাঁদপুরে ৭১০ হেক্টর, মহেশপুরে ৫০০ হেক্টর, শৈলকূপা ২৫ হেক্টর ও হরিণাকুন্ডুতে ২৬ হেক্টর। এসব বাগানে এ বছর ৩৩ হাজার ৫১১ টন আম উৎপাদন হয়েছে।

ঝিনাইদহ সদর উপজেলার কাশিমনগর গ্রামের সন্টু জোয়ারদার বাগানে আমের ব্যাপক ক্ষতি দেখে শনিবার দুপুরে বাগানেই জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। তিনিও ঋণ নিয়ে আম চাষ করেছিলেন। ওই গ্রামের সাজেজার রহমানের সবচেয়ে বেশি আম বাগান রয়েছে। তিনি কিছু আম বিক্রি করতে পারলেও এখন আর ব্যাপারীরা আম কিনতে আসছে না। কাশিমনগর গ্রামের মোদাচ্ছের, তোফাজ্জল হোসেন ও আলীনুর রহমানও জানালেন তাদের কষ্টের কথা।

সন্টু জোয়ারদার বলেন, ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, খুলনা, ফরিদপুর ও পিরোজপুর জেলার ব্যাপারীদের পদভারে এ সময় আম বাগান মুখরিত থাকতো। এখন আর কেউ আম কিনতে আসছেন না। কিছু ব্যাপারী আসলেও তারা ৬৮০ টাকা মণ আম কিনতে চাচ্ছেন। এ দামে আম বিক্রি করলে তাদের লোকসান হবে।

কোটচাঁদপুরের আড়তদার মোমিনুর রহমান জানান, করোনার কারণে আম বাজারজাত ও পরিবহন করা যাচ্ছে না। শনিবার পর্যন্ত সবচেয়ে ভালে আম বিক্রি হয়েছে এক হাজার ২০০ টাকা মন। আর বেশির ভাগ আম ৪০০ টাকা থেকে ৭০০ টাকা মন বিক্রি হচ্ছে।

ঝিনাইদহ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ পরিচালক মো. আজগর আলী জানান, চাষিদের আম পরিবহন সহজতর করার জন্য জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারকে অবহিত করা হয়েছে। কিন্তু করোনার ভয়াল বিস্তার ও নানা বিধিনিষেধের কারণে চাষিরা আম বিক্রি করতে পারছেন না বলেও জানান তিনি।

প্রকাশ : জুন ২১, ২০২১ ১:৪৩ অপরাহ্ন
যে আমগাছ দিনরাত পাহারা দেয় কুকুর!
প্রাণ ও প্রকৃতি

মিয়াজকি আম।১৯৭০-১৯৮০ সালের মাঝামাঝি জাপানে মিয়াজাকির ফলন শুরু হয়। যা জাপানের একটি প্রজাতি।জাপানে কাউকে দামি উপহার হিসেবে এই আম দেওয়া হয়। টকটকে লাল রং, তাতে হালকা বেগুনি আভা। এই আমের প্রায় ৩৫০ গ্রামের কমে হয় না। দুটি আমে হয় একটি বক্স। যার মূল্য হতে পারে ৩ লক্ষ টাকা প্রায়। বিশেষজ্ঞরা দাবি করছেন এখন পর্যন্ত বিশ্বের সবচেয়ে দামি আম এই মিয়াজাকিই। জাপানে অবশ্য একে আদর করে ‘তাইও-নো-তোমাগো’ অর্থাৎ ‘সূর্য কিরণের ডিম’ বলে ডাকা হয়। আনন্দবাজার পত্রিকায় এমন তথ্য উঠে আসে।

জানা যায়, এপ্রিল থেকে অগস্ট মাসে ফলন হয় এই আমের। এক একটি আম ৮৬০০ টাকা থেকে শুরু। দু’টো আমের বাক্স গত বছর আন্তর্জাতিক বাজারে বিক্রি হয়েছিল ২ লক্ষ ৭০ হাজার টাকায়। ২০১৬ সালে নিলামে দু’টি মিয়াজাকি আম বিক্রি হয়েছিল প্রায় সাড়ে ৪ লক্ষ টাকায়। সম্প্রতির বাংলাদেশের ঢাকাতেও ছাদের বাগানে এই আম ফলিয়েছেন এক ব্যবসায়ী।

হিমসাগর, চৌষা, দশেরী, ল্যাংড়া, আলফানসো আম বিদেশে একচেটিয়া রফতানি করে ভারত। তবে এ দেশেও মিয়াজাকি পাওয়া যায়। মধ্যপ্রদেশের এক দম্পতির বাগানে মিয়াজাকি গাছ রয়েছে। তবে এই গাছ দু’টিই এখন তাঁদের যাবতীয় চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। মাঝে মধ্যেই আম কিনতে চেয়ে প্রস্তাব আসছে তাঁদের কাছে। কেউ কেউ এর জন্য যে কোনও মূল্য দিতেও রাজি।

এক গয়না ব্যবসায়ী এমন প্রস্তাব দিয়েছেন সম্প্রতি। যদিও ওই দম্পতি তাঁর প্রস্তাবে রাজি হননি। তাঁরা জানিয়েছেন, এই আম কাউকে বিক্রি করবেন না তাঁরা। বরং আমের বীজ থেকে গাছের সংখ্যা আরও বাড়ানোর পরিকল্পনা আছে তাঁদের। এমনকি গাছ থেকে যাতে কেউ আম চুরিও না করতে পারে, তার জন্য রক্ষী রেখেছেন মধ্যপ্রদেশের ওই দম্পতি। চার জন সশস্ত্র পাহারাদার এবং ছ’টি কুকুর দিনরাত পাহারা দেয় ওই আমগাছ।

অবশ্য এই আমের নাম যে মিয়াজাকি এবং তা যে বিশ্বের সবচেয়ে দামি আম, সে ব্যাপারে বছর খানেক আগেও কোনও ধারণা ছিল না তাঁদের।

জব্বলপুরের ওই দম্পতি রানি এবং সঙ্কল্প পরিহার এক সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছেন, বেশ কয়েক বছর আগে সাধারণ আম গাছ ভেবেই দু’টি চারা পুঁতেছিলেন বাগানে। চেন্নাইয়ে নিজের বাগানের জন্য গাছের চারা কিনতে গিয়েছিলেন সঙ্কল্প। ট্রেনে তাঁকে গাছ দু’টি দেন এক ব্যক্তি। তাঁর কথায়, ‘‘চারাগাছ দু’টি দিয়ে লোকটি বলেছিল, এদের নিজের সন্তানের মতো যত্ন কোরো।’’

পরে গাছের ফল আর তার অদ্ভুত রং দেখে অবাক হন দু’জনেই। সঙ্কল্পের কথায়, ‘‘আমার চেনা কোনও আমের প্রজাতি যে নয় সেটা বুঝেছিলাম। মায়ের নামে ওই আমের নাম রেখেছিলাম ‘দামিনী’।’’

দামিনী যে জাপানের মিয়াজাকি তা সঙ্কল্পরা জানতে পারেন কিছু দিন পরে। তত দিনে আম

কিনতে চেয়ে, গাছ ভাড়া নিতে চেয়ে একের পর এক প্রস্তাব আসতে শুরু করেছে তাঁদের কাছে। কেউ একটা আমের জন্য ২১ হাজার টাকা পর্যন্ত দিতে চেয়েছেন। কারও আবার দামের পরোয়া নেই, যত চাই তত দিতে প্রস্তুত। বিরল আম! এলাকায় তার খবর ছড়াতে দেরি হয়নি। ফল চুরির চেষ্টাও হয়েছে বেশ কয়েক বার। বাধ্য হয়েই গাছ পাহারার ব্যবস্থা করেন রানি এবং সঙ্কল্প।

পরে মধ্যপ্রদেশের কৃষি দফতরের তরফেও যোগাযোগ করা হয় ওই দম্পতির সঙ্গে। মধ্যপ্রদেশের কৃষি দফতরের যুগ্ম অধিকর্তা আর এস কাটারা সঙ্কল্পদের বাগান ঘুরে গাছ পরীক্ষা করে যান। তবে তাঁর কথায়, ‘‘এই আমের এত দামের কারণ এটির উৎপাদন অত্যন্ত কম বলে।’’ ভারতে এই আমের চাষ বাড়ানোর কথাও বলেছেন কাটারা। তবে তার আগে এই আম সত্যিই মিয়াজাকি কি না তা পরখ করতে দেখতে হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

মধ্যপ্রদেশের কৃষি দফতরের প্রাক্তন অধিকর্তা জি এস কৌশল জানিয়েছেন, এর আগে আফগানিস্তানের নুরজাহান আম শিরোনামে এসেছিল তার দামের জন্য। মিয়াজাকির ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। এই আম তার গুণ বা স্বাদের জন্য নয় দামের জন্য চর্চার কেন্দ্রে। নুরজাহানের এক একটি আমের দাম ছিল ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা। মিয়াজাকির দর অবশ্য তার থেকে অনেকটাই বেশি।

জব্বলপুরের জওহরলাল নেহরু কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ইতোমধ্যেই এই আম নিয়ে গবেষণা শুরু করেছে।তবে বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, মিয়াজাকি আম ফলনের অনুকূল আবহাওয়া ভারতে আছে। তাই এই আম ভারতে হওয়া অস্বাভাবিক নয়।

জাপান ছাড়াও ফিলিপিন্স এবং তাইল্যান্ডে এই আমের চাষ হয়। আম চাষের জন্য দরকার প্রচুর রোদ, উষ্ণ আবহাওয়া আর নির্দিষ্ট পরিমাণ বৃষ্টি।রোদের তাপ যাতে আমের চারপাশে সমান ভাবে পড়ে তার জন্য জাল দিয়ে মুড়ে রাখা হয় আমগুলিকে।

বিটা ক্যারোটিন এবং ফলিক অ্যাসিডে ঠাসা এই আম দৃষ্টিশক্তির জন্যও ভাল। বিশেষজ্ঞদের মতে তা ক্যানসারেরও ঝুঁকি কমায়। কোলেস্টেরল কমায় এমনকি ত্বকের জন্যও উপকারী।

প্রকাশ : জুন ১২, ২০২১ ৭:০২ পূর্বাহ্ন
বিশ্বের সবচেয়ে দামি আম সূর্যডিম‘র ফলন হচ্ছে বাংলাদেশে
প্রাণ ও প্রকৃতি

বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়িতে চাষ হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে দামি আম, যার প্রতি কেজি খুচরা বাজারে ৮০০ থেকে ১০০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এই আম ৫০০০-৬০০০ টাকায় বিক্রি হয়ে থাকে।

যেখানে বাংলাদেশের বাজারে প্রচলিত আমের দাম প্রতি কেজি জাতভেদে ৪০ থেকে ১০০ টাকাতেই পাওয়া যায়।দামি এই আমটি বাংলাদেশের কোন জাত নয়। আমটি জাপানি প্রজাতির বলে জানিয়েছেন কৃষি কর্মকর্তারা। তবে এটি বিভিন্ন দেশে চাষ হচ্ছে।

জাপানি ভাষায় আমটিকে বলা হয় ‘মিয়াজাকি’। বিশ্ববাজারে এটি ‘রেড ম্যাঙ্গো’ বা ‘এগ অব দ্য সান’ নামেও পরিচিত।তবে বাংলায় এই আমটি পরিচিতি পেয়েছে “সূর্যডিম” নামে।

এই আমের গড়ন সাধারণ আমের চাইতে বড় ও লম্বা, স্বাদে মিষ্টি এবং আমের বাইরের আবরণ দেখতে গাঢ় লাল অথবা লাল-বেগুনির মিশ্রণে একটি রঙের।

একেকটি আমের ওজন ৩৫০ থেকে ৪৫০ গ্রামের মতো বলে জানিয়েছেন কৃষি কর্মকর্তারা।সে হিসেবে বাংলাদেশের বাজারে একেকটি আমের দামই পড়ে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা। মূলত চাহিদা মোতাবেক যোগান কম থাকা, মিষ্টা স্বাদ, ভিন্ন রঙ এবং চাষপদ্ধতির কারণে আমটির দাম এতো বেশি।

দামি এই আমটি চাষ করে ইতোমধ্যে সাড়া ফেলেছেন খাগড়াছড়ির কৃষক হ্ল্যাশিংমং চৌধুরী। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করে কৃষিকাজকে নিজের পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন তিনি।

খাগড়াছড়ি জেলা সদর থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে মহলছড়ি উপজেলা। ওই উপজেলার ধুমনিঘাট এলাকায় ১২শ ফুট উঁচুতে ৩৫ একর জায়গাজুড়ে নিজ উদ্যোগে তিনি গড়ে তুলেছেন হরেক রকম ফলের বাগান। নাম দিয়েছেন ‘ক্রা এএ এগ্রো ফার্ম’। সেই বাগানের একটি অংশেই চাষ করছেন ‘সূর্যডিম’ আম।

২০১৭ সালে তিনি প্রথম ভারত থেকে এই আমের ১০/১৫টি চারা কিনে নিজ বাগানে রোপণ করেন। দুই বছরের গাছ বড় হয়ে ওঠে এবং ২০১৯ সাল থেকে তিনি আম তোলা শুরু করেছেন।

তিনি জানান, মা গাছ থেকে চারা রোপণ করে বাগানের পরিধি বাড়িয়েছেন। এখন তার বাগানে সূর্যডিমের ১২০টির মতো গাছ রয়েছে। যেগুলোর উচ্চতা ৬/৭ ফুটের মতো।

চারাগুলো যত্ন করে পালন করায় এরমধ্যে প্রায় ৫০টি গাছে তিন চার বছর ধরে ফলন হচ্ছে, যা থেকে প্রতি বছর ৩শ থেকে ৪শ কেজি আম হয় বলে জানিয়েছেন মি. হ্ল্যাশিংমং। যদিও বিরূপ আবহাওয়া এবং পানি স্বল্পতার কারণে এই আম চাষে তাকে বেশ বেগ পেতে হয় বলে তিনি জানান।

সূর্যডিম আম সাধারণত মে মাসের ২০ থেকে ২৫ তারিখে পাকা শুরু হয় এবং জুনের ১৫ থেকে ২০ তারিখ পর্যন্ত পাওয়া যায়। চলতি বছর একটি লম্বা সময় খরা মৌসুম থাকায় এবার আম চলে এসেছে সময়ের আগেই।

তিনি বলেন, এই আম চাষে নিতে হয় বিশেষ যত্ন। পরিমিত আলো, পানি, ছায়া সরবরাহের পাশাপাশি, প্রতিটি আম প্যাকেট দিয়ে ঢেকে রাখতে হয়।

আম তোলার পর গরমের কারণে সেগুলো বেশিক্ষণ নিজের কাছে রাখতে পারেন না। দ্রুত বিক্রি করে দিতে হয়। এখনও এই আমের ক্রেতা খুব হাতে গোনা কিছু সৌখিন আমপ্রিয় মানুষ বলে জানা গেছে।

মি. হ্ল্যাশিংমং কিছু আম উপহার হিসেবে দিয়ে দেন এবং কিছু আম অনলাইনের বিভিন্ন পেইজে বিক্রি করেন। প্রতি কেজি আম ৩০০ থেকে ৫০০টাকায় বিক্রি করলেও এই আম খুচরা বাজারে গিয়ে দ্বিগুণ হয়ে যায়।

হ্ল্যাশিংমং তার বাগানে প্রায় ৬০ জাতের আম সেইসঙ্গে ড্রাগনফল, রামবুটান, থাইলংগান, মালটাসহ প্রায় ১৫০ জাতের প্রচলিত-অপ্রচলিত-বিলুপ্ত জাতের ফল চাষ করে আসছেন। তবে পাহাড়ে ‘সূর্যডিম’ আমের চাষ এবারই প্রথম।

সরকারিভাবেও পুরষ্কৃত কৃষক মি. হ্ল্যাশিংমং-এর পরিকল্পনা- এই আমের ফলন দেশব্যাপী ছড়িয়ে দিয়ে একে একটি রপ্তানিযোগ্য পণ্যে পরিণত করা।

তিনি বলেন, “আমি চাই এই ফলের আবাদ সারা বাংলাদেশে হোক। আমি কৃষকদের বিনা পয়সায় বা নামমাত্র দামে চারা দিচ্ছি। সবাই যদি চাষ করে এই আমের ফলন বাড়ায়, তাহলেই দেশের চাহিদা মিটিয়ে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা যাবে। এটা আমার একার পক্ষে সম্ভব না।”

তবে তার বাগানে যে আমের ফলন হচ্ছে সেটা বিশ্বমানের কিনা, এর স্বাদ জাপানের উৎপাদিত মিয়াজাকি আমের মতো কিনা, সেটা তিনি বিশেষজ্ঞদের কাছে পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য পাঠিয়েছেন।

সেখান থেকে ফলাফল এলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার কথা তিনি জানান।

পার্বত্য চট্টগ্রামের মাটি ও আবহাওয়া মিয়াজাকির ফলনের জন্য উপযোগী। এই আম আরও কয়েকটি জেলায় পরীক্ষামূলকভাবে ফলানো হচ্ছে।

এই আমের বাণিজ্যিক ফলন হলে কৃষকদের লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা আছে, তবে পাহাড়ি এলাকার প্রচলিত আম আম্রপালির ফলন ও বাণিজ্যিক প্রসারের দিকেই এখন বেশি মনোযোগ দেয়া হচ্ছে বলে জানান উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম। সূত্র: বিবিসি বাংলা

প্রকাশ : জুন ৯, ২০২১ ৩:৪৪ অপরাহ্ন
কুমিল্লার বাগানে ঝুলছে নুতন তিন জাতের আম
প্রাণ ও প্রকৃতি

কুমিল্লার লাঙ্গলকোটের মাইরা গাঁওয়ের ইতালি প্রবাসী মোহাম্মদ বাহাদুরের ইউরো-বাংলা এগ্রো ফার্মে ঝুলছে আমের নতুন তিন জাত। তিনি প্রায় তিন বছর আগে এসব গাছ লাগালে এবার ফল ধরা শুরু করছে। এই তিন জাতের আমের মধ্যে রয়েছে অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে বিখ্যাত কেনসিংটন প্রাইড (Kensington Pride), ইউরোপসহ সারাবিশ্বে খ্যাত গ্লিন ম্যাংগো (Glenn mango) এবং অস্টিন ম্যাংগো (Osteen Mango)।

মোহাম্মদ বাহাদুর জানান, ‘জীবিকার তাগিদে ২০০৪ সালে ইতালি পাড়ি দিয়েছিলাম। গত ১৭ বছর ধরে কাজ করেছি ইতালির বিভিন্ন শহরে। ঘুরেছি ইউরোপের কয়েকটি দেশ। দেখেছি হরেক রকমের ফলের বাগান। একসময় মনে হয়েছে, বিদেশি এই সুস্বাদু ফলমূলের জাত নিয়ে যাব দেশে। সেই চিন্তা থেকেই নতুন নতুন প্রজাতির ফল গাছ নিয়ে এসেছি।’

বাহাদুর জানান, গত চার বছর ধরে দেশে বিভিন্নভাবে পাঠাতে থাকেন বিদেশি হরেক রকমের ফলের নতুন জাত। এর মধ্যে দেশে এসে যোগাযোগ করেছেন উচ্চপর্যায়ের কৃষিবিদদের সঙ্গে। নিয়েছেন বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ। কোন জাত দেশে নেই এবং কোন জাত আনলে দেশের মাটিতে ভালো ফল পাওয়া যাবে, সেই বিষয়েও পরামর্শ নিয়েছেন।

এখন পর্যন্ত ইতালি, অস্ট্রেলিয়া এবং স্পেন থেকে এনেছেন নয়টি বিশ্ববিখ্যাত আমের জাত, ২০৪ প্রজাতির সাইট্রাস, ১৫৭ প্রজাতির ত্বীন (ডুমুর), ২৪ প্রজাতির পার্সিমন, নতুন জাতের আলুবোখারা। এই সব ফলের চাষ শুরু করেছেন নওগাঁর সাপাহারের একটি বাণিজ্যিক ফলের বাগান এবং নিজ গ্রামের ইউরো-বাংলা এগ্রো ফার্মে।

কোনো পরিচিত প্রবাসী শ্রমিক দেশে যাচ্ছেন শুনলেই তার হাতে পাঠিয়েছেন এসব মূল্যবান ফলের জাত। ‘যেসব উদ্ভিদের ফল ভালো পাব, সেই সব জাতের চারা তৈরি করে দেশব্যাপী সম্প্রসারণের ইচ্ছা আছে আমার’, বলেন বাহাদুর।

নতুন জাতের উদ্ভিদ দেশে আনার ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক নিয়ম মানা হয়েছে কিনা? জানতে চাইলে বাহাদুর জানান, ‘যেসব বাগান থেকে চারা বা সায়ন সংগ্রহ করা হয়েছে, সেখানেই অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়ার পানির সঙ্গে মিশিয়ে চারা বা সায়ন বিশুদ্ধ করে দেশে পাঠানো হয়েছে।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ‘বছরব্যাপী ফল উৎপাদনের মাধ্যমে পুষ্টি উন্নয়ন শীর্ষক প্রকল্প’র পরিচালক ড. মো. মেহেদী মাসুদ জানান, ‘বাহাদুর দেশের জন্য অনেক ভালো কাজ করছেন। আমি তার সম্পর্কে ব্যক্তিগতভাবে জানি। গত কয়েক বছরে বিদেশ থেকে তিনি অনেক ধরনের ফলের গাছ দেশে নিয়ে এসেছেন।’

‘যে কাজটা গবেষক, কৃষিবিদদের করার কথা ছিল, সেই কাজ বাহাদুর করছেন। ইতোমধ্যে দেশের কৃষিতে তার অবদান উল্লেখ করার মতো’, বলেন মেহেদী মাসুদ।

তিনি বলেন, ‘নতুন জাতের এই ফলগুলো বিভিন্ন হর্টিকালচার সেন্টারের নানারকম পরীক্ষার মাধ্যমে সম্প্রসারণ করা উচিত।’

কেনসিংটন প্রাইড সম্পর্কে মেহেদী মাসুদ বলেন, ‘এই আমকে সংক্ষেপে কেপি বলা হয়। অস্ট্রেলিয়া এই আম সারাবিশ্বে রপ্তানি করে। ২০১৮ সালে আমি প্রথম অস্ট্রেলিয়া থেকে এই আমের জাত নিয়ে আসি। এখন কাশিয়ানী হর্টিকালচার সেন্টারে এ বছর ১০টি গাছে প্রচুর পরিমাণ ফল ধরেছে। বাহাদুর এই জাত এনেছেন ২০১৯ সালে।’

নতুন জাতের এসব ফলের পুষ্টিগুণ এবং বাণিজ্যিক সম্ভাবনা জানতে চাইলে এই কৃষিবিদ বলেন, ‘এসব আমের পুষ্টিগুণ ভালো এবং বিদেশে রপ্তানিযোগ্য। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর বাণিজ্যিক বাগান তৈরি হলে কৃষকরা অনেক লাভবান হবেন। তবে, স্বাদের দিক থেকে আমাদের দেশিয় হিমসাগর বা ল্যাংড়া আমের সমতুল্য নয়।’ সূত্র: দ্য ডেইলি স্টার

প্রকাশ : জুন ৬, ২০২১ ৯:০৩ পূর্বাহ্ন
আমে ভরা পাহাড়, বিক্রিতে দুশ্চিন্তা চাষিদের!
প্রাণ ও প্রকৃতি

আবহাওয়া ভালো থাকায় খাগড়াছড়ির রামগড়ে আম্রপালি, রুপালি, মল্লিকা, ল্যাংরা, গোপালভোগ, মোহনভোগ প্রভৃতি জাতের থোকায় থোকায় দোল খাচ্ছে। তবে আম বাজারে পৌঁছানো যায় কিনা তা নিয়ে উদ্বেগ উৎকন্ঠায় পাহাড়ের আম চাষিরা। বাগান মালিকদের পাশাপাশি ছোটখাটো চাষিদের মাঝেও এখন দুশ্চিন্তা।

জানা যায়, রামগড়ের তৈছালা, পাতাছড়া, নাকাপা এবং খাগড়াবিল এলাকার পাহাড়ে আমের প্রচুর ফলন হয়। একসময় সনাতন পদ্ধতিতে আম চাষে ফলন বেশি পাওয়া যেত না। পরবর্তীতে সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে বৈজ্ঞানিক উপায়ে চাষাবাদ শুরু হয়। এতে ফলন বেড়ে যায়। কয়েক বছর ধরে পাহাড়ে বৈজ্ঞানিকভাবে আম চাষ হচ্ছে। শত শত হেক্টর জমিতে চলছে আমের উৎপাদন। আমবাগানের পাশাপাশি আনারস, লেবু, লিচুসহ নানা ফলের ভান্ডার হয়ে উঠছে পাহাড়।

কিন্তু এসব ফল বাজারজাতে এবার সংকট তৈরি হতে পারে। করোনা পরিস্থিতিতে আম বিক্রির সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা কতটুকু করা যাবে তা নিয়ে সংশয়ে সংশ্লিষ্টরা। বড় বড় বাগান কিংবা প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধা আছে এমন বাগান মালিক নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় বিশেষ উদ্যোগ নিলেও ছোটখাটো মালিকরা আছেন শঙ্কায়। বর্তমানে তীব্র গরম পড়ছে। পাকা ফল কিভাবে বিক্রি করবেন, ন্যায্য দাম পাওয়া যাবে কিনা তা নিয়ে উদ্বেগে তারা। পরিবেশ ও আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় চলতি মৌসুমে রামগড়ের নানা স্থানে আম্রপালি, রাংগোয়াই (মিয়ানমারের জাত), থাই এবং স্থানীয় জাতের আমের ভালো ফলন হয়েছে।

বাগান মালিকরা জানান, গতবারের চেয়ে ফলন অনেক ভালো হয়েছে। আম ঠিকভাবে বাজারে পৌঁছানোর ওপর তাদের ভাগ্য নির্ভর করছে। তারা বলেন, চট্টগ্রাম থেকে বেপারিরা রামগড় এসে আম কিনে নিয়ে যায়। তবে বিশ্বব্যাপী করোনার যে সংকট দেখা দিয়েছে তাতে তারা উদ্বিগ্ন। করোনা পরিস্থিতি এভাবে চলতে থাকলে শহর থেকে ব্যাপারীরা কিভাবে আম পরিবহন এবং সংরক্ষণ করবেন তা নিয়ে চিন্তিত। এসব বিষয়ের ওপর পাহাড়ের হাজার হাজার মানুষের ভাগ্য নির্ভর করছে।

রামগড় উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ শরীফুল ইসলাম জানান, এবার আমের ভালো ফলন হয়েছে। আমচাষে অল্প সময়ে ফলন পাওয়া যায়। ২/৩ বছর বয়স থেকে আমের ফলন শুরু হয়। দীর্ঘসময় পর্যন্ত টানা ফলন পাওয়া যায়। এ ছাড়া পার্বত্য চট্টগ্রামের মাটি আমচাষের জন্য উপযোগী। বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে নানা জাতের আমের চাষ করায় প্রতিটি বাগান এখন অতীতের তুলনায় সমৃদ্ধ। বিষমুক্ত আমের চাষ হচ্ছে পাহাড়ে-পাহাড়ে।

এখন প্রচুর কাঁচা আম বিক্রি হচ্ছে। চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা বেপারিরা কাঁচা আম কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। যেসব আম ঝড়ে পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে সেসব আম কাঁচা বিক্রি করা হলেও গাছে গাছে থোকায় থোকায় আম ঝুলছে। যেগুলো পাকলে স্থানীয় চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি দেশের নানা স্থানে বিক্রি হয়। দেশের আমের চাহিদার কিছু অংশ পার্বত্য চট্টগ্রাম যোগান দেয়।

প্রকাশ : জুন ৪, ২০২১ ৬:২৫ অপরাহ্ন
গাড়ি গাড়ি আম, নেই শুধু ক্রেতা!
প্রাণ ও প্রকৃতি

প্রতিদিন শত কোটি টাকার আমের বাণিজ্য হয়ে থাকে রাজশাহীর সবচেয়ে বড় আমের হাট বানেশ্বরে। আর এই সিজনে সেখানকার আম চাষীদের মাঝে বিরাজ করছে হতাশা। সেখানে গাড়ি গাড়ি আম থাকলেও নেই কোন ক্রেতা।

কাটাখালী এলাকার সুজন আলী নামের স্থানীয় এক আমচাষি জানান, ‘আমাদের এখানে ক্রেতা অনেক কম। সাধারণ ক্রেতা নাই বললেই চলে। ঢাকাসহ অন্যান্য জেলার যেসব বাইরের ব্যাপারিরা আছেন তারা আবার স্থানীয় ব্যাপারিদের সঙ্গে করে নিয়ে আসেন। হাটে যখন দেখে আম অনেক বেশি তখন তারা দাম দিতে চাই না। আবার ৫২ কেজি আমে মণ হিসেব করে। এতে ১২ কেজিই পুরাই লস, এটা আমাদের চাষিদের জন্য বিশাল সমস্যা।’

বানেশ্বর বাজারের আবু সুফিয়ান নামের এক ব্যাপারি জানান, ‘বাইরের পার্টিরা ৪৫ কেজিতে মণ নেয়। কম দিলে নিতে চাই না। আবার ৪৫ কেজি আম পাঠালে সেটা পেকে গেলে ওজন কমে ৪৩ কেজি কমে যায়। তখন তারা আবার আপত্তি জানায়। তাই আমাদেরও এখানে চাষিদের কাছে থেকে মণপ্রতি বেশি নিতে হয়। তবে ৪৮ থেকে ৫২ কেজিতে মণ ধরার বিষয়টি সত্য নয়।’

জানায় যায়, রাজশাহীর হাইওয়েগুলোতে একের পর এক আমের ক্যারেট ভর্তি ভ্যান। তাদের গন্তব্য বানেশ্বর আমের হাট। রাজশাহী থেকে পুঠিয়ার বানেশ্বর হাটে যাওয়ার পথে হাইওয়ের বেশ কিছু জায়গাতে কিছু কিছু আমের দোকান চোখে পড়ে। আবার অনেকে রাস্তার পাশে ক্যারেটে এমনকি ভ্যানের ওপর ক্যারেভর্তি আম নিয়ে বিক্রি করছেন। অনেকেই গাড়ি থামিয়ে কিনছেনও তাদের আম।

পুঠিয়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নুরুল হাই মোহাম্মদ আনাস জানান, গতবারের তুলনায় এবারে আমের জোগান অনেক বেশি। তবে সেই তুলনায় ক্রেতা নেই। করোনার কারণে বর্তমানে অনেক আমচাষি ও উদ্যোক্তার সৃষ্টি হয়েছে। এটি একদিক দিয়ে ভালো হলেও চাষিদের জন্য সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ, এবার অনেক ব্যবসায়ীই অনলাইনে অর্ডার দিয়ে আম কিনছেন। অন্যদিকে, যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হওয়ায় এবং ম্যাংগো স্পেশাল ট্রেন চালু হওয়ায় অনেকেই অনলাইনে অর্ডার করে কুরিয়ার অথবা ট্রেনযোগে সংগ্রহ করছেন।

তিনি জানান, গতবছর প্রতিদিন বানেশ্বর থেকেই প্রায় ৩০০টি আমভর্তি ট্রাক ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় যেত। কিন্তু এবছর মাত্র ৩০ থেকে ৪০টি ট্রাক প্রতিদিন বানেশ্বর বাজার থেকে রাজশাহীর বাইরে যাচ্ছে। এখনো বাগানে প্রচুর আম রয়েছে। আবার হাটেও প্রচুর আম, কিন্তু সেই তুলনায় ক্রেতা নেই।

সম্প্রতি করোনার ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও রাজশাহীতে করোনার আক্রান্তের হার অনেক বেশি হওয়ায় বাইরের অনেক ব্যাপারিরা রাজশাহীতে আসতে ভয় পাচ্ছেন বলেও জানান ইউএনও।

ঢলন বা সোলা প্রথার উচ্ছেদের কথা থাকলেও তা মানছে না আড়তদার বা ব্যাপারিরা। এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঢলন প্রথার উচ্ছেদ করে মেট্রিক পদ্ধতিতে আম ব্যবসা পরিচালনার কথা বলা হয়েছে। এ নিয়ে বাজার মনিটরিং করা হচ্ছে। এ নিয়ে আমাদেরকে কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop