২:৫৭ অপরাহ্ন

সোমবার, ২০ মে , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : এপ্রিল ৪, ২০২২ ৪:৪০ অপরাহ্ন
জাটকা সংরক্ষণের মাধ্যমে অতিরিক্ত ৬ লক্ষ মেট্রিক টন ইলিশ আহরণ সম্ভব- মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
মৎস্য

জাটকা যথাযথভাবে সংরক্ষণ করতে পারলে অতিরিক্ত ৬ লক্ষ মেট্রিক টন ইলিশ আহরণ সম্ভব বলে মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

সোমবার (৪ এপ্রিল) রাজধানীর ফার্মগেটে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল মিলনায়তনে জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ ২০২২ উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএফআরআই) আয়োজিত ‘ইলিশ সম্পদ উন্নয়নে সহনশীল আহরণ ও জাটকা সংরক্ষণ ব্যবস্থাপনা’ শীর্ষক কর্মশালায় বেইলি রোডের সরকারি বাসভবন থেকে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।

কর্মশালায় মন্ত্রী আরো বলেন, “ইলিশ আন্তর্জাতিক পরিসরে জিআই সনদপ্রাপ্ত আমাদের অত্যন্ত সুস্বাদু মাছ। বিশ্বের সর্বোচ্চ ইলিশ উৎপাদনকারী দেশ বাংলাদেশ। শুধু জাটকা সংরক্ষণ করা হলে আরও ৬ লক্ষ মেট্রিক টন ইলিশ আহরণের সুযোগ আমরা দিতে পারবো। এ জন্য জাটকা রক্ষায় আমাদের সবাইকে যত্নশীল হতে হবে”।

মন্ত্রী আরো জানান, “২০০৮-০৯ অর্থবছরে ইলিশের উৎপাদন ছিল ২ লক্ষ ৯৮ হাজার মেট্রিক টন। সরকার গৃহীত ব্যবস্থাপনা কৌশল সঠিকভাবে বাস্তবায়নের ফলে ২০২০-২০২১ অর্থবছরে তা বৃদ্ধি পেয়ে ৫ লক্ষ ৬৫ হাজার মেট্রিক টনে উন্নীত হয়েছে। বর্তমান সরকারের আমলে জাটকা ও প্রজননক্ষম ইলিশ সংরক্ষণ এবং অভয়াশ্রম প্রতিষ্ঠার ফলে ইলিশের আকার অনেক সুষম হয়েছে। বাজারে বিভিন্ন আকারের ইলিশ মাছ প্রায় সব সময়ই পাওয়া যাচ্ছে। অতীতে পাওয়া না গেলেও এখন শীতকালেও ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে। সরকারের পক্ষ থেকে সময়োপযোগী ও বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে বিপুল পরিমাণ ইলিশ উৎপাদন এমনকি শীত মৌসুমেও ইলিশ প্রাপ্তির সুযোগ আমাদের হয়েছে”।

দেশের মৎস্য খাতকে সমৃদ্ধ করার জন্য সরকার সব পদক্ষেপ নিয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী আরো বলেন, “দেশের প্রায় ৬ লক্ষ লোক ইলিশ আহরণ সরাসরি সম্পৃক্ত। প্রায় ২০-২৫ লক্ষ মৎস্যজীবি ও তাদের পরিবার-পরিজনের জীবন-জীবিকা ইলিশ আহরণ ও বিপণনের ওপর নির্ভরশীল। দেশের ইলিশ সম্পদ রক্ষায় জাটকা আহরণ নিষিদ্ধ সময়ে জেলেদের জন্য ভিজিএফ খাদ্য সহায়তা ও বিকল্প কর্মসংস্থানের জন্য যতপ্রকার সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে হয়, সরকার সেটা করছে। এতে একদিকে মৎস্যজীবীদের খাদ্য সহায়তা দেয়া হচ্ছে, অপরদিকে বিকল্প কর্মসংস্থানের জন্যও নানাভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। এই পর্যন্ত প্রায় ৫২ হাজার জেলেকে চাহিদা অনুযায়ী নানা উপকরণ সরবরাহ করা হয়েছে। বিকল্প কর্মসংস্থান নিশ্চিত করা না হলে জাটকা আহরণ বন্ধ থাকাকালে জেলেরা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে, সেটাও সরকার গুরুত্বের সাথে বিবেচনায় রেখেছে।”

কিছু দুষ্টু প্রকৃতির লোক কোন না কোনভাবে জাটকা নিধনে সম্পৃক্ত হয়ে পড়ে উল্লেখ করে মন্ত্রী এসময় বলেন, “জাটকা আহরণে বিরত থাকতে তাদের উদ্বুদ্ধ করা, সামাজিকভাবে তাদের বোঝানো এবং অসহায় ও দরিদ্র জেলেদের যাতে তারা ব্যবহার করতে না পারে সেজন্য আমরা বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছি। জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহের এবারের প্রতিপাদ্য ‘ইলিশ আমাদের জাতীয় মাছ, জাটকা ধরলে সর্বনাশ’-এ মন্ত্রে আমরা সাধারণ মানুষকে বোঝানো ও উদ্বুদ্ধ করার চেষ্টা করছি”।

শ ম রেজাউল করিম আরো যোগ করেন, “ইলিশের ৬টি অভয়াশ্রম সংশ্লিষ্ট সব কার্যক্রম ও এর যথাযথ ব্যবস্থাপনা নিশ্চতের বিষয়গুলো সরকার গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করছে। মৎস্যসম্পদের উন্নয়নে সরকার নতুন নতুন আইন প্রণয়ন করেছে। ইলিশ সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনা এবং ইলিশ গবেষণার বিষয়ে সরকার গুরুত্ব দিয়ে ব্যাপক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে । জাটকা সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনা, ইলিশের সহনীয় আহরণসহ অপরাপর কার্যক্রমের মাধ্যমে আগামীতে ইলিশের উৎপাদন আরো বৃদ্ধি করা হবে”।

বিএআরআই এর মহাপরিচালক ড. ইয়াহিয়া মাহমুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী। অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খ. মাহবুবুল হক। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিএফআরআই ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ আশরাফুল আলম। প্রবন্ধের উপর আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. নিয়ামুল নাসের ও মৎস্য অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোহা. আতাউর রহমান খাঁন।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শ্যামল চন্দ্র কর্মকার, বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান মো. হেমায়েত হুসেনসহ মন্ত্রণালয়, মৎস্য অধিদপ্তর ও বিএফআরআই এর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

প্রকাশ : মার্চ ৩০, ২০২২ ৪:০১ অপরাহ্ন
উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে ইলিশ মানুষের সাধ্যের মধ্যে আনা সরকারের লক্ষ্য- মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
প্রাণিসম্পদ

উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে ইলিশ দেশের সব মানুষের সাধ্যের মধ্যে নিয়ে আসা সরকারের লক্ষ্য বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

বুধবার (৩০ মার্চ) সচিবালয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ ২০২২ উপলক্ষ্যে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে মন্ত্রী এ কথা জানান।

এ সময় মন্ত্রী বলেন, “মৎস্যজীবী, ইলিশ ব্যবসায়ী, আড়তদার, ভোক্তাসহ সকল শ্রেণির জনগণের মাঝে জাটকা রক্ষার গুরুত্ব তুলে ধরা এবং এ বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে এ বছরও ৩১ মার্চ হতে ০৬ এপ্রিল পর্যন্ত জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ, ২০২২ উদ্‌যাপন করা হচ্ছে। এবছর জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ হয়েছে ‘ইলিশ আমাদের জাতীয় মাছ, জাটকা ধরলে সর্বনাশ’। এবছর দেশের ইলিশ সম্পৃক্ত ২০টি জেলায় জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ, ২০২২ এর কাযর্ক্রম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে”।

তিনি আরো বলেন, “বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার পর পরই বাংলাদেশকে উন্নত-সমৃদ্ধ ও বিশ্বের বুকে মাথা তুলে দাঁড়াবার একটি রাষ্ট্রে পরিণত করার যে পরিকল্পনা নিয়েছিলেন তারঅন্যতম হিসেবে তিনি মৎস্য খাতকে সমৃদ্ধ ও বিকশিত করতে চেয়েছিলেন। এ খাতকে গুরুত্ব দিয়ে তিনি বলেছিলেন মাছ হবে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের দ্বিতীয় প্রধান গুরুত্বপূর্ণ খাত। এজন্য সমুদ্র সীমা আইন প্রণয়ন, বিদেশ থেকে মাছ আহরণে ট্রলার আনাসহ বিভিন্ন পরিকল্পনা তিনি করেছিলেন। এ ধারাবাহিকতায় দেশের মৎস্য খাত একটি বিকশিত স্থানে পৌঁছেছে”।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী, অতিরিক্ত সচিব শ্যামল চন্দ্র কর্মকার, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. ইয়াহিয়া মাহমুদ, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খ. মাহবুবুল হক, মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব হাফছা বেগমসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ এসময় উপস্থিত ছিলেন।

মন্ত্রী আরো বলেন, “জনসাধারণের পুষ্টি চাহিদা পূরণ, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, গ্রামীণ অর্থনীতিকে সচল রাখা এবং দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ইলিশ মাছের গুরুত্ব অপরিসীম। বিশ্বের মোট উৎপাদিত ইলিশের প্রায় ৮০ শতাংশের বেশী আহরিত হয় এদেশের নদ-নদী, মোহনা ও সাগর থেকে। এ কারণে বাংলাদেশের ইলিশ দেশের জি আই পণ্যের মর্যাদা পেয়েছে। দেশের প্রায় ৬ লক্ষ লোক ইলিশ আহরণে সরাসরি নিয়োজিত এবং ২০-২৫ লক্ষ লোক ইলিশ পরিবহণ, বিক্রয়, জাল ও নৌকা তৈরী, বরফ উৎপাদনসহ বিভিন্ন কাজে জড়িত। ইলিশের সাথে দেশের বৃহত্তর একটি জনগোষ্ঠীর সম্পৃক্ত”।

ইলিশ সম্পদ বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকার নানা কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, “জাটকা ও মা ইলিশ রক্ষায় সর্বস্তরের জনগণকে সম্পৃক্ত করা, জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ উদযাপন, বিজ্ঞানভিত্তিক প্রজনন সময় বিবেচনা করে ইলিশ আহরণ নিষিদ্ধের সময় ২২ দিন করা, ইলিশ সম্পৃক্ত নদ-নদী, অববাহিকায় ৬টি অভয়াশ্রম স্থাপন ও নির্ধারিত সময়ে অভয়াশ্রম মাছ আহরণ বন্ধ রাখা, মাছ ধরা নিষিদ্ধকালে মৎস্যজীবীদের জন্য খাদ্য সহায়তা প্রদান ও তাদের বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা গ্রহণ, জেলে ও মৎস্যজীবীদের জীবনমান উন্নয়নে সাসটেইনেবল কোস্টাল এন্ড মেরিন ফিশারিজ প্রকল্প বাস্তবায়ন, ইলিশ সম্পদ ব্যবস্থাপনা ও উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন, জাটকা আহরণ নিষিদ্ধ সময় নভেম্বর হতে জুন পর্যন্ত ৮ মাস করা, জাটকার দৈর্ঘ্য ২৫ সেন্টিমিটার করাসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। ২০০৮-০৯ অর্থবছরে ইলিশের উৎপাদন ছিল ২ লক্ষ ৯৮ হাজার মেট্রিক টন, ২০২০-২১ অর্থবছরে তা ৫ লক্ষ ৬৫ হাজার মেট্রিক টনে পৌঁছেছে। এসবই সম্ভব হয়েছে সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা, মৎস্যজীবীদের সহায়তা এবং সময়োপযোগী বিভিন্ন পদক্ষেপের কারণে”।

ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধির অন্যতম প্রতিকূলতা কারেন্ট জাল, বেহুন্দি জালসহ অন্যান্য অবৈধ জাল দিয়ে নির্বিচারে জাটকা নিধন উল্লেখ করে মন্ত্রী আরো বলেন, “মৎস্যসম্পদ ধ্বংসকারী অবৈধ জাল নির্মূলে ২০২২ সালের জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে দেশের ১৭টি জেলায় বিভিন্ন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থার সহায়তায় ‘বিশেষ কম্বিং অপারেশন-২০২২’ পরিচালনা করা হয়েছে। এ সময় ৩০ দিনে মোট ৮৮৪ টি মোবাইল কোর্ট ও ৩৫৪৬ টি অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে”।

তিনি আরো বলেন, “বর্তমান সরকার জাটকা আহরণ নিষিদ্ধ সময়ে জেলেদের জন্য ভিজিএফ খাদ্য সহায়তার পরিমাণ ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি করেছে। ২০২০-২১ অর্থবছরে জাটকা আহরণে বিরত ৩ লক্ষ ৭৩ হাজার ৯৯৬ টি জেলে পরিবারকে মাসিক ৪০ কেজি হারে ৪ মাসে ৫৬ হাজার ২২৫ মেট্রিক টন ভিজিএফ বিতরণ করা হয়েছে যা বিগত বছর হতে প্রায় ১০ হাজার মেট্রিক টন বেশি। এবছর ১ম ধাপে মার্চ-এপ্রিল মাসের জন্য ৩ লক্ষ ৯০ হাজার ৭০০টি জেলে পরিবারের জন্য ৪০ কেজি হারে মোট ৩১ হাজার ২৫৬ মে.টন চাল বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে যা বিগত বছরের চেয়ে বেশি”।

মন্ত্রী আরো যোগ করেন, “ইলিশের পর্যাপ্ত উৎপাদনের মাধ্যমে দেশের সবাই যখন ইলিশের স্বাদ নিতে পারবে, তারপর বাণিজ্যিক ভিত্তিতে ইলিশ রপ্তানির চিন্তা-ভাবনা আমাদের রয়েছে। দেশের ইলিশ সম্পদ তথা মৎস্যসম্পদ বৃদ্ধির জন্য সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে”।

উল্লেখ্য, দেশের আপামর জনসাধারণের কাছে ইলিশ তথা মৎস্য সম্পদের উন্নয়নে অবৈধ জাল ব্যবহারের ক্ষতিকর দিক ও জাটকা রক্ষার গুরুত্ব তুলে ধরতে ২০০৭ সাল থেকে প্রতিবছর জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ উদযাপন হয়ে আসছে।

প্রকাশ : মার্চ ২০, ২০২২ ৮:৪৫ অপরাহ্ন
৩১ মার্চ থেকে ৬ এপ্রিল পর্যন্ত উদযাপন হবে জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ-২০২২
প্রাণিসম্পদ

দেশের ইলিশ সম্পদ উন্নয়নে জাটকা রক্ষায় জনসচেতনতা সৃষ্টি ও জেলেদের জাটকা আহরণে নিরুৎসাহিত করতে আগামী ৩১ মার্চ থেকে ৬ এপ্রিল পর্যন্ত জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ ২০২২ উদযাপন করা হবে।

রবিবার (২০ মার্চ) রাজধানীর মৎস্য ভবনে মৎস্য অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন সংক্রান্ত জাতীয় টাস্কফোর্সের সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

সভায় সভাপতিত্ব করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের মো. তৌফিকুল আরিফ ও এস এম ফেরদৌস আলম , বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান মো. হেমায়েৎ হুসেন, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. ইয়াহিয়া মাহমুদ, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ তথ্য দপ্তরের উপপরিচালক মো. শেফাউল করিম, মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব হাফছা বেগম, মৎস্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মোহা. আতিয়ার রহমান, মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন সংশ্লিষ্ট দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও গবেষকবৃন্দ, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, সশস্ত্রবাহিনী বিভাগ, জননিরাপত্তা বিভাগ, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, নৌপরিবহন অধিদপ্তর, বিআইডব্লিউটিএ, বিআইডব্লিউটিসি, বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপি, র‌্যাব, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ, নৌপুলিশ, বাংলাদেশ নৌবাহিনী, বাংলাদেশ বিমান বাহিনী, বাংলাদেশ কোস্টগার্ড, বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতার, বাংলাদেশ ট্রাক-কাভার্ড ভ্যান মালিক সমিতি, জাতীয় মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি ও বাংলাদেশ ফিশিং বোট মালিক সমিতিসহ ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন সংক্রান্ত জাতীয় টাস্কফোর্সের অন্যান্য সদস্যরা সভায় উপস্থিত ছিলেন।

সভায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব বলেন, “দেশের ইলিশ সম্পদ রক্ষায় জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ উদযাপনের গুরুত্ব অপরিসীম। জাটকা সংরক্ষণের জন্য দেশের আপামণ জনসাধারণকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে”।

সভায় জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহে কেন্দ্রীয়ভাবে ও জেলা-উপজেলা পর্যায়ে নানা কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়। এসব কর্মসূচির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, সংবাদ সম্মেলন, উদ্বোধনী সমাবেশ, নৌর‌্যালি ও আলোচনা অনুষ্ঠান আয়োজন, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় জাটকা রক্ষার গুরুত্ব বিষয়ে টকশো, টিভিসি ও স্ক্রল প্রচার, পোস্টার-লিফলেট বিতরণ, জেলে-মৎস্যজীবীদের নিয়ে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও আলোচনা সভা আয়োজন, জাটকা রক্ষায় ভ্রাম্যমান আদালত ও অভিযান পরিচালনা, ইলিশ বিষয়ে সেমিনার আয়োজন প্রভৃতি।

উল্লেখ্য, দেশের আপামর জনসাধারণের কাছে ইলিশ তথা মৎস্য সম্পদের উন্নয়নে অবৈধ জাল ব্যবহারের ক্ষতিকর দিক ও জাটকা রক্ষার গুরুত্ব তুলে ধরতে ২০০৭ সাল থেকে প্রতিবছর জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ উদযাপন হয়ে আসছে।

প্রকাশ : ডিসেম্বর ২, ২০২১ ৪:০৬ অপরাহ্ন
মাদারীপুরে ইলিশ সম্পদ রক্ষায় অবহিতকরণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত
মৎস্য

মাদারীপুরে ইলিশ সম্পদ রক্ষায় অবহিতকরণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে জেলা শিল্পকলা একাডেমির হলরুমে দিনব্যাপী এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

জেলা মৎস্য অফিসের আয়োজনে এতে ৫টি উপজেলার কয়েকশ’ মৎস্য চাষি, পেশাজীবী, বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দদের পাশাপাশি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা অংশ নেন।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বাবুল কৃষ্ণ ওঝার সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার লিমন রায়, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট ওবায়দুর রহমান খান, সদর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা তপন কুমার মজুমদারসহ অনেকেই।

কর্মশালায় ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও এর ব্যবস্থাপনা নিয়ে আলোচনা করা হয়। পাশাপাশি ইলিশ সম্পদ রক্ষায় সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। এছাড়া মা ইলিশ রক্ষায় সরকারি নির্দেশনা মেনে নদীতে জাল ফেলার জন্য জেলেদের প্রতি আহবান জানান বক্তারা।

প্রকাশ : নভেম্বর ২০, ২০২১ ২:০১ অপরাহ্ন
নদীতে ভরা মৌসুমেও ইলিশ নেই
মৎস্য

চলছে ইলিশের মৌসুম। কিন্তু নদীতে দেখা মিলছে না কাঙ্ক্ষিত রূপালি ঝিলিকের। লোকসানের ভয়ে জাল গুটিয়ে রেখেছেন বহু জেলে। ভোলার মেঘনা-তেঁতুলিয়ার তীরে অলস বসে আছে মাছ ধরার নৌকাগুলো। কোনোভাবেই ভাগ্যের পরিবর্তন হচ্ছে না এই এলাকার জেলেদের। চরম কষ্টে পরিবার-পরিজন নিয়ে দিন পার করছেন জেলেরা। দুঃশ্চিন্তা বাড়িয়েছে এনজিও আর মহাজনের কাছ থেকে নেয়া চড়া সুদের ঋণ।

জেলে ও মৎস্য কর্মকর্তারা বলছেন, নাব্য সংকটের কারণে নদীতে ইলিশ কম মিলছে।

জেলেরা বলছেন, হাতেগোনা যে ইলিশ মিলছে তাও আকারে ছোট। লাভ তো দূরের কথা খরচও তুলতে পারছেন না তারা। মৎস্যঘাটগুলোতেও নেই আগের মতো হাকডাক।

তবে নদীতে না মিললেও গভীর সাগরে ইলিশ মিলছে প্রচুর। জেলে ও মৎস্য ব্যবসায়ীরা বলছেন, পলি জমে দিন দিন নাব্য সংকট তীব্র হচ্ছে নদীতে। তাই ক্রমেই ইলিশ ধরা পড়ার পরিমাণও কমছে।

জেলে ও মৎস্য ব্যবসায়ীদের সাথে একমত মৎস্য কর্মকর্তারাও। ভোলা জেলা সিনিয়র উপজেলা মৎস্য অফিসার মাহফুজুল হাসনাইন বলছেন, নদীতে কাঙ্ক্ষিত ইলিশ না মেলার জন্য চর জেগে ওঠাসহ আরও বেশকিছু কারণই দায়ী।

প্রতি বছর ভোলায় মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীতে কী পরিমাণ ইলিশ ধরা পড়ে সে ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য নেই মৎস্য অফিসের কাছে। তথ্য পাওয়া গেলে এখনকার সংকটের মাত্রা ও সমাধান নির্ণয় করা সহজ হতো বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

প্রকাশ : নভেম্বর ১৬, ২০২১ ৩:৪৮ অপরাহ্ন
ইলিশ উৎপাদন বৃদ্ধিতে ২৪৬ কোটি টাকার প্রকল্প
মৎস্য

এক লাখ টন ইলিশ মাছের উৎপাদ বৃদ্ধি করতে সরকার ২৪৬ কোটি ২৭ লাখ টাকার একটি প্রকল্প গ্রহণ করেছে।

এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে চলতি বছরের উৎপাদন সাড়ে পাঁচ লাখ মেট্রিক টন থেকে বৃদ্ধি পেয়ে সাড়ে ছয় লাখ মেট্রিক টনে উন্নীত হবে। এমনটি জানালেন ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের পরিচালক মো. জিয়া হায়দার চৌধুরী।

মঙ্গলবার দুপুরে মানিকগঞ্জ জেলা পরিষদ মিলনায়তনে ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্পএর আওতায় জেলা পযায়ে অবহিতকরণ কর্মশালায় সভায় তিনি এই তথ্য প্রদান করেছেন।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো.সাইফুর রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মো. আব্দুল লতিফ। এসময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ছানোয়ারুল হক, মৎস্য অধিদপ্তরের ঢাকা বিভাগের উপ-পরিচালক জিল্লুর রহমান, সিনিয়র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(ডিএসবি) নাসির উদ্দিন মল্লিক, সদরের সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. জহিরুল ইসলাম আকন্দ। অনুষ্ঠানের মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন শিরিন শীলা।

ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের ওই অবহিতকরণ সভায় বক্তারা জানিয়েছেন, সারা বিশ্বে যত ইলিশ পাওয়া যায় তার ৮০ ভাগই বাংলাদেশে উৎপাদন হয়ে থাকে।

বিশ্বের বাংলাদেশের অন্যতম পরিচয় বহন করে ইলিশের দেশ হিসেবে। সরকার এই ইলিশ মাছ উপহার স্বরূপ ভারতসহ বিভিন্ন দেশে পাঠিয়ে থাকেন।

প্রকল্প পরিচালক জিয়া হায়দার চৌধুরী তার বক্তব্যে বলেছেন, মা ইলিশ ও জাটকা সংরক্ষণে মৎস্য আইন বাস্তবায়ন এবং ইলিশ জেলেদের বিপল্প কর্মস্থানের সুযোগ সৃষ্টির মাধ্যমে ইলশের উৎপাদন বৃদ্ধি করতে হবে। সেইসঙ্গে অভয়াশ্রম ব্যবস্থাপনার মাধ্যমেও ইলশের উৎপাদন বৃদ্ধি করতে হবে।

জাটকা ও মা ইলিশ আহরণকারী ৩০ হাজার জেলে পরিবারকে বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে বলেও ওই কর্মশালায় অবহিত করা হয়।

এদিকে অবহিতকরণ সভায় অংশগ্রহনকারীরা বলেছেন, কারেন্ট জাল উৎপাদন ও বিপণন বন্ধ না করতে পারলে সরকারের কাঙ্খিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব নয়।

প্রকাশ : নভেম্বর ১৬, ২০২১ ১:১৫ অপরাহ্ন
বিপুল পরিমাণ জাটকা ইলিশ জব্দ
মৎস্য

ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের গৌরনদী উপজেলার আশোকাঠী ফিলিং স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় চেকপোষ্ট বসিয়ে বিভিন্ন পরিবহন ও মিনি ট্রাকে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ জাটকা জব্দ করা হয়েছে। 

সোমবার রাতে উপজেলা প্রশাসন, মৎস্য অফিস ও হাইওয়ে থানা পুলিশ এ অভিযান পরিচালনা করে।

এসময় জাটকা পরিবহনের দায়ে একটি মিনি ট্রাকের চালককে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট আরিফুল ইসলাম প্রিন্স।

পরে জব্দকৃত জাটকাগুলো বিভিন্ন এতিমখানায় বিতরণ করা হয়েছে।

প্রকাশ : নভেম্বর ১৩, ২০২১ ১:২৫ অপরাহ্ন
১২০ কেজি জাটকা ইলিশ গেলো এতিমখানা ও মাদ্রাসায়
মৎস্য

পটুয়াখালীতে অভিযান চালিয়ে ১২০ কেজি জাটকা ইলিশ জব্দ করেছে র‌্যাব-০৮ এর সদস্যরা। শুক্রবার (১২ নভেম্বর) রাতে সদর উপজেলার মরিচবুনিয়া ইউনিয়নের পাটুখালী বাসস্ট্যান্ড থেকে এসব জাটকা জব্দ করা হয়।

তবে এ সময় কোনও অসাধু ব্যবসায়ী কিংবা জেলেকে আটক করতে পারেনি র‌্যাব। পরে এসব জাটকা বিভিন্ন এতিমখানা ও মাদ্রাসার ছাত্রদের মধ্যে বিতরণ করা হয়।

পটুয়াখালী র‌্যাব-০৮ এর ভারপ্রাপ্ত কোম্পানি কমান্ডার শহিদুল ইসলাম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে এসব জাটকা জব্দ করা হয়েছে। র‌্যাবের জাটকাবিরোধী অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।

প্রকাশ : নভেম্বর ৫, ২০২১ ১০:৪৫ পূর্বাহ্ন
চট্টগ্রামে ফিশারিঘাটে ভরা মৌসুমে দেখা মিলছে না ইলিশের
মৎস্য

সাগরে মাছ ধরা শুরু হলেও চট্টগ্রামের ফিশারিঘাটে আগের সেই সেই হাঁক ডাক নেই। জালে কাঙ্খিত পরিমাণ ইলিশ ধরা না পড়ায় হতাশ মৎস্যজীবীরা। ইলিশের সরবরাহ স্বল্পতার নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে চট্টগ্রামের বাজারেও। অন্যান্য সময় দিনভর সরগরম থাকা চট্টগ্রামের ফিশারিঘাট এখন অনেকটাই ফাঁকা। অল্প যা কিছু ইলিশ তার বেচাকেনা বেলা দশটা এগারোটার আগেই শেষ হয়ে যায়।

আগে সাগরে এক সপ্তাহ কাটালেই মিলতো প্রচুর ইলিশ কিন্তু এখনকার চিত্র ভিন্ন বলছেন মৎস্যজীবীরা। চাহিদা থাকায় দূর দূরান্ত থেকে পাইকাররা চট্টগ্রামের ফিশারিঘাটে আসলেও সরবরাহ কম থাকায় ইলিশের দাম কিছুটা চড়া। আকারভেদে বিক্রি হচ্ছে মন প্রতি ২৫ হাজার থেকে ৩৫ হাজার টাকায়।

আগে ভরা মৌসুমে ফিশারিঘাটে দিনে বেচাকেনা হতো অন্তত ২ হাজার মণ ইলিশ এখন তা নেমেছে প্রায় ২শ মণে। তবে শীত মৌসুম শেষে আবারও ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ মিলবে বলে আশা করছেন স্থানীয় আড়তদার মোহাম্মদ আলী।

ফিশারিঘাটে বিভিন্ন ধরনের মাছের শতাধিক আড়তে দৈনিক বেচাকেনার পরিমাণ ৩০০ কোটি টাকার বেশি।

প্রকাশ : অক্টোবর ২৮, ২০২১ ৭:২৮ অপরাহ্ন
ভারতে আবারও শুরু হলো ইলিশ রফতানি
মৎস্য

২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে আবারও যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে ইলিশ রফতানি শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৮ অক্টোবর) বিকালে কাস্টমস ও বন্দরের আনুষ্ঠানিকতা শেষে ২২ মেট্রিক টন ইলিশ ভারতে রফতানি হয়।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ইলিশ রফতানির সময়সীমা ১০ দিন বাড়িয়ে ৫ নভেম্বর পর্যন্ত নির্ধারণ করায় ইলিশ রফতানি শুরু হয় ভারতে।

এর আগে, ইলিশের প্রজনন রক্ষায় ২২ দিনের জন্য ইলিশ শিকার, পরিবহন ও বিক্রয় বন্ধের নির্দেশনায় ৪ অক্টোবর থেকে ২৬ অক্টোবর পর্যন্ত বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারতে ইলিশ রফতানি বন্ধ ছিল।

জানা যায়, উৎপাদন সংকটের জন্য দেশের বাইরে ইলিশ রফতানি বন্ধ থাকলেও সরকার ভারতে হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় অনুষ্ঠান দুর্গাপূজা উপলক্ষে এবছর ৪ হাজার ৬৫০ মেট্রিক টন ইলিশ রফতানির অনুমতি দেয়। নির্দেশনা ছিল চলতি মাসের ১০ অক্টোবরের মধ্যে রফতানি শেষ করতে হবে। কিন্তু ইলিশের প্রজনন রক্ষায় ইলিশ ধরা বন্ধের নির্দেশনায় হঠাৎ করে ভারতে ইলিশ রফতানি বন্ধ হয়ে যায়।

বেনাপোল মৎস্য পরিদর্শন ও মান নিয়ন্ত্রণ অফিসের পরিদর্শক আসওয়াদুল ইসলাম জানান, ইলিশ রফতানির নির্দেশনাপত্র তারা হাতে পেয়েছেন। অবশিষ্ট ইলিশ রফতানি শুরু হয়েছে। এ পর্যন্ত ভারতে ইলিশ রফতানি হয়েছে সর্বমোট ১ হাজার ১৩০ মেট্রিক টন। এখনো ইলিশ রফতানি বাকি রয়েছে ৩ হাজার ৫২২ মেট্রিক টন। ৫ নভেম্বরের মধ্যে অবশিষ্ট ইলিশ ভারতে রফতানি শেষ করতে হবে।

শার্শা উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আবুল হাসান জানান, দুর্গাপূজায় এ বছর ১১৫ রফতানিকারক প্রতিষ্ঠানকে ভারতে ৪৬৫০ টন ইলিশ রফতানির অনুমতি দিয়েছিল বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। প্রতি কেজি ইলিশের রফতানি মূল্য ১০ মার্কিন ডলার ধরা হয়েছে। ভারত ও বাংলাদেশ দুই দেশের কাস্টমস থেকে শুল্কমুক্ত সুবিধায় ইলিশের এসব চালান রফতানি করা হচ্ছে ভারতে।

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop