৫:৫৭ অপরাহ্ন

মঙ্গলবার, ৭ মে , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : অক্টোবর ১৫, ২০২২ ১১:০৪ পূর্বাহ্ন
একটি দিয়ে শুরু করে শতাধিক খামারের মালিক!
প্রাণিসম্পদ

বুরামপুর গ্রামের কৃষক পরিবারের সন্তান আমিরুল ইসলাম। স্বপ্ন ছিল লেখাপড়া করে চাকরি করে কৃষক পরিবারে সমৃদ্ধি বয়ে আনার।

কিন্তু ১৯৯০ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর আকস্মিক বাবার মৃত্যুর পর সংসারের হাল ধরতে হয় তাকে।

বাবার জমি থাকলেও চাষাবাদ করে সফল হতে পারেননি। এক পর্যায়ে নিজেদের গবাদি পশুগুলোও বিক্রি করে দিতে হয়। চরের জমিতে সবজি আবাদ করে আশানুরূপ লাভ করতে পারছিলেন না। কিন্তু পিছিয়ে আসার সুযোগও ছিল না আমিরুলের।

১৯৯৪ সালে ১৪ হাজার টাকা দিয়ে এক আত্মীয়ের কাছ থেকে একটি শংকর জাতের গরু কেনেন আমিরুল। ফেলে দেওয়া সবজি দিয়েই গরুর খাদ্যের যোগান দিতে পারায় অতিরিক্ত খরচ করতে হয়নি তাকে। গরুটি ৩টি বাছুর জন্ম দেয়। এর মধ্যে ২টি ছিল গাভী। একইভাবে খাদ্যের জন্য অতিরিক্ত খরচ না করেই বাড়িতে গরু পালন করতে থাকেন তিনি।

এভাবে প্রায় ১০ বছরের মধ্যে কয়েক ডজন গরুর মালিক হন আমিরুল। লাভজনক হওয়ায় তিনি খামারের দিকে মনোযোগ বাড়াতে থাকেন। গবাদি পশুর ওপর বিভিন্ন প্রশিক্ষণ নেন তিনি। ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে তার খামার। বর্তমানে তার খামারে শতাধিক গবাদি পশু আছে। এর মধ্যে ৬৫-৭০টি গরু থেকে প্রতিদিন ৪০০-৫০০ লিটার দুধ সংগ্রহ করছেন তিনি।

তার আবাদকৃত প্রায় ৩০-৩৫ বিঘা সবজির খেতে এখন শুধু গরুর জন্য ঘাস চাষ করা হয়। পদ্মার চরের দুর্গম গ্রামে খামারি আমিরুলের বিশাল গরুর খামার থেকে দুধের প্রাপ্যতা নিশ্চিত হওয়ায় মিল্কভিটা ঈশ্বরদী অঞ্চলে একটি চিলিং সেন্টার গড়ে তুলেছে।

এদিকে আমিরুলের এ সফলতা দেখে তার নিজের গ্রাম এবং আশেপাশের গ্রামে এখন আরও প্রায় শতাধিক গবাদি পশুর খামার গড়ে উঠেছে। আমিরুলের মতো এত বড় পরিসরে না হলেও, এসব খামার থেকে প্রতিদিন প্রায় ১ হাজার ৫০০ থেকে ২ হাজার লিটার পর্যন্ত দুধ উৎপাদন হচ্ছে।

পদ্মার তীরবর্তী দুর্গম চরাঞ্চল লখিকুন্দা ইউনিয়ন এখন জেলার অন্যতম দুগ্ধ সমৃদ্ধ অঞ্চল হিসেবে গড়ে উঠেছে।

গবাদি পশু পালনে এমন নিরলস পরিশ্রম ও সাধনার ফলে একটি এলাকার জনজীবনের আর্থ সামাজিক উন্নয়ন করায় এ বছর বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পদক প্রদান অনুষ্ঠানে আমিরুলকে পশুপালনে সফলতার জন্য স্বর্ণপদক দেওয়া হয়।

আমিরুল জানান, ‘পরিকল্পিতভাবে গবাদি পশু পালন করতে পারলে সেটি অনেক লাভজনক হতে পারে।’

নিজের জীবনের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে আমিরুল বলেন, ‘প্রথমে একটি গরু থেকে যখন ৩টি বাছুরের জন্ম হয়, তখন ২টি গাভী রেখে বাকি এঁড়ে বাছুর বিক্রি করে দেই। এভাবে প্রতিবছর নতুন বাছুরের জন্ম হওয়ার পর বেশিরভাগ এঁড়ে বাছুর মাংসের জন্য বিক্রি করি, আর কিছু পালন করি।’

আর এভাবেই একটি গরু থেকেই প্রতি বছর বাড়তে বাড়তে এখন তার খামারে রয়েছে প্রায় ১১০টি গবাদি পশু।

আমিরুল জানান, কয়েক মাস আগেও তার খামারে প্রায় ১৫০টি গরু ছিল। সম্প্রতি ৪০টি গরু বিক্রি করা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, প্রতিবছর তার খামার থেকে ৪০-৫০টি গরু ও বাছুর বিক্রি করা হয়, যা থেকে প্রায় ২০-২৫ লাখ টাকা আয় হয়। এ ছাড়া, প্রতিদিন ২০-২৫ হাজার টাকার দুধ বিক্রি করা হচ্ছে।

আমিরুল বলেন, ‘গো-খাদ্যের দাম বাড়ায় এবং গবাদি পশুর পালনের খরচ বৃদ্ধি পাওয়ায় গবাদি পশুপালনে আগের মতো লাভবান হতে না পারলেও, প্রতি বছর খামার থেকে সব খরচ বাদ দিয়ে ২০-২৫ লাখ টাকা আয় হচ্ছে।’

স্থানীয়রা জানান, কঠোর নিষ্ঠা, পরিশ্রম, একাগ্রতা আর বাণিজ্যিক দিক পর্যালোচনা করে গবাদি পশু পালন করায় প্রায় ৩ দশকের মধ্যে আমিরুল সফল খামারি হতে পেরেছেন এবং এলাকাকে গবাদি পশু সমৃদ্ধ করে তুলেছেন।

জানতে চাইলে পাবনা জেলা প্রানিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আল মামুন জানান, ‘ডেইরি খামারি আমিরুল সারাদেশের মধ্যে বাণিজ্যিকভাবে খামার পরিচালনা করে সফল হওয়ার একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। পাশাপাশি তিনি একটি এলাকাকে গবাদি পশু সমৃদ্ধ করে তুলতে পেরেছেন। তার এমন অর্জনে প্রানিসম্পদ মন্ত্রণালয় ২০২১ সালে তাকে দেশের “ডেইরি আইকন” পদকে ভূষিত করে। এ বছর তিনি বঙ্গবন্ধু কৃষি স্বর্ণপদক (ডেইরি) অর্জন করেন।’

আমিরুল বলেন, ‘একসময় চর এলাকায় গরু পালন করতে গেলে অনেকেই হাসাহাসি করেছে। কিন্তু একাগ্রতা আর নিষ্ঠার সঙ্গে খামার করে আমি সফল হয়েছি, মানুষকে সফল হতে সহায়তা করেছি। গবাদি পশু পালন করে নিজেকে গর্বিত মনে করি।’

ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা

গবাদি পশু পালন করে সফল খামারি আমিরুল জানান, ‘একসময় শুধু দুধ ও মাংসের জন্য খামার পরিচালনা করা হলেও পরিকল্পিত উপায়ে খামারকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারলে একটি গরুর খামার থেকে আরও অনেক দূর যাওয়া সম্ভব।’

তিনি জানান, বর্তমানে খাদ্যের দাম বৃদ্ধি, দুধের দাম কম, পশুপালন খরচ বেশিসহ বিভিন্ন কারণে খামার করতে অনেকেই অনাগ্রহী হয়ে পড়ছেন। তবে নিয়মিত দুধ ও মাংস উৎপাদনের পাশাপাশি তিনি খামার থেকে বায়োগ্যাস প্লান্ট স্থাপন করে নিজের পরিবারের জ্বালানি খরচ যোগান দিচ্ছেন এবং গবাদি পশুর পয়ঃবর্জ্য থেকে জৈব সার উৎপাদন করে নিজের জমিতে ব্যবহার করছেন।

তিনি জানান, ব্যক্তিপর্যায়ে স্বল্প পরিসরে এ কাজ করলেও, তার খামারের বিপুল পরিমাণ পয়ঃবর্জ্য ফেলে দিতে হচ্ছে।

সরকারি সহায়তা পেলে তার নিজের খামারের এবং আশেপাশের খামারের বিপুল পরিমাণ বর্জ্য দিয়ে তিনি বড় পরিসরে বায়োগ্যাস প্লান্ট ও একটি গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র গড়ে তোলার পরিকল্পনার কথা তিনি জানান।

পাশাপাশি জৈব সার উৎপাদন করে বাণিজ্যিকভাবে তা বাজারজাত করার পরিকল্পনাও আছে তার।

এভাবে পরিকল্পিতভাবে বায়োগ্যাস প্লান্ট, বিদ্যুৎ প্লান্ট এবং জৈব সার উৎপাদন করে পুরো এলাকায় তা বাণিজ্যিকভাবে সরবরাহ করতে পারলে এসব খামারকে আরও অনেক লাভজনক করে গড়ে তোলা সম্ভব হবে বলে মনে করছেন তিনি।

তবে এজন্য সরকারের আর্থিক ও কারিগরি সহায়তা প্রয়োজন বলেও জানান তিনি।

সূত্র: ডেইলি স্টার

প্রকাশ : অক্টোবর ১২, ২০২২ ৭:৫০ অপরাহ্ন
বঙ্গবন্ধু কৃষি পুরস্কার পেয়েছেন ৪৪ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান
কৃষি বিভাগ

দেশের কৃষিতে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের জন্য ১৪২৫ ও ১৪২৬ বঙ্গাব্দের জন্য বুধবার মোট ৪৪ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার পেয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যোগ দেন।

প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে কৃষিমন্ত্রী ড. মুহাম্মদ আবদুর রাজ্জাক পুরস্কার তুলে দেন।

বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার ট্রাস্ট আইন, ২০১৬-এর আওতায় পুরস্কারপ্রাপ্তদের মধ্যে ১৪২৫ বঙ্গাব্দের জন্য ১৫ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান ও ১৪২৬ বঙ্গাব্দের জন্য ২৯ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান এ পুরস্কার পেয়েছেন।

পুরস্কারের মধ্যে তিনটি স্বর্ণ, ১৬টি রৌপ্য ও ২৫টি ব্রোঞ্জ পদক রয়েছে। এছাড়া বিজয়ীদের সনদপত্র, পদক ও নগদ টাকা দেয়া হয়েছে।

স্বর্ণপদকপ্রাপ্তরা এক লাখ টাকা, রৌপ্যপদ প্রাপ্তরা ৫০ হাজার টাকা ও ব্রোঞ্জপ্রাপ্তরা ২৫ হাজার টাকা নগদ পেয়েছেন।

১৯৭৩ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নতুন দেশের কৃষিভিত্তিক অর্থনীতিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য এই পুরস্কার প্রবর্তন করেন।

১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর পরবর্তী সরকারগুলো পুরস্কার স্থগিত করে।

২০০৯ সালে ক্ষমতা গ্রহণের পর আওয়ামী লীগ সরকার ‘বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার তাহবিল আইন-২০০৯’ প্রণয়ন করে বঙ্গবন্ধু কর্তৃক প্রবর্তিত পুরস্কারটিকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেয়।

কার্যক্রমকে আরো গতিশীল করতে বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার ট্রাস্ট আইন, ২০১৬ প্রণয়ন করা হয়েছে।

সূত্র : ইউএনবি

প্রকাশ : অক্টোবর ১১, ২০২২ ৪:৩২ অপরাহ্ন
‘বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার পাচ্ছেন ৪৪জন’
কৃষি বিভাগ

কৃষি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে দেশের কৃষিখাতে অনবদ্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ এ বছর ৪৪জন ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠানকে ‘বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার ১৪২৫ ও ১৪২৬’ প্রদান করা হচ্ছে। ১৪২৫ বঙ্গাব্দের জন্য ১৫ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান বঙ্গবন্ধু কৃষি পুরস্কার পাবেন। আর ১৪২৬ বঙ্গাব্দের জন্য ২৯ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান এ পুরস্কার পাবেন।

আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ‘বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার ১৪২৫ ও ১৪২৬’ প্রদান উপলক্ষে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে এ তথ্য জানান কৃষিমন্ত্রী ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক এমপি। এসময় কৃষিসচিব মো: সায়েদুল ইসলাম, অতিরিক্ত সচিব বলাই কৃষ্ণ হাজরা এবং মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

মন্ত্রী জানান, পুরস্কারপ্রাপ্তদের মধ্যে ৩টি স্বর্ণ, ১৬টি রৌপ্য ও ২৫টি ব্রোঞ্জ পদক দেয়া হবে। এছাড়া বিজয়ীদের সনদপত্র, পদক ও নগদ টাকা দেয়া হবে। স্বর্ণপদকপ্রাপ্তরা ১ লাখ টাকা, রৌপ্যপদ প্রাপ্তরা ৫০ হাজার টাকা ও ব্রোঞ্জপ্রাপ্তরা ২৫ হাজার টাকা নগদ পাবেন।

মন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এদেশের চিরবঞ্চিত, অবহেলিত ও চিরশোষিত কৃষকের উন্নয়নে স্বাধীনতার পরপরই যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন। কৃষি গবেষণায় মেধাবীদের আকৃষ্ট করতে বঙ্গবন্ধু সরকারি চাকুরিতে কৃষি গ্র্যাজুয়েটদের প্রথম শ্রেণির মর্যাদা প্রদান করে কৃষির আধুনিকায়নে এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন। তাছাড়া, কৃষি এবং কৃষকদের উৎসাহিত করার জন্য বঙ্গবন্ধু ১৯৭৩ সালে ‘বঙ্গবন্ধু পুরস্কার তহবিল’ গঠন করেন। বঙ্গবন্ধুর মতোই বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কৃষি ও কৃষকবান্ধব। তাই তিনি, কৃষির সাফল্যের অন্যতম কারিগর কৃষক, কৃষি বিজ্ঞানীসহ কৃষির সাথে সম্পৃক্তদেরকে সম্মাননা জানাতে ও তাদেরকে উৎসাহিত করতে কৃষিক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (এআইপি) সম্মাননা প্রবর্তন করেছেন। এর মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকার কৃষিকে সম্মানজনক পেশায় পরিণত করেছে।

মন্ত্রী বলেন, কৃষিখাতের প্রতি বঙ্গবন্ধুর কৃষকদরদী নীতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর চির অবারিত হাত কৃষিকে করেছে আরও সুসংহত। ‘বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার’ প্রবর্তনের মাধ্যমে কৃষিতে আগ্রহী জনশক্তি বৃদ্ধি পাচ্ছে। কৃষি উদ্যোক্তা সৃষ্টি হচ্ছে। বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার বিজয়ী সকল ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান কৃষি ক্ষেত্রে নানাভাবে অবদান রেখে চলেছেন। একইসাথে, কৃষিক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (এআইপি) সম্মাননা দেয়ার ফলে কৃষি পেশার মর্যাদা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে।

আগামীকাল ১২ অক্টোবর ২০২২ তারিখে সকাল ১০.০০টায় ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আনুষ্ঠানিকভাবে বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার ১৪২৫ ও ১৪২৬ প্রদান করা হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসাবে ভার্চুয়ালি এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন বলে ব্রিফিংয়ে জানান হয়।

প্রকাশ : অক্টোবর ১১, ২০২২ ১০:২৭ পূর্বাহ্ন
গোপালগঞ্জে বাড়ির আঙ্গিনার ৫৮৫ একর পতিত জমিতে সবজি চাষ
কৃষি বিভাগ

জেলায় বাড়ির আঙ্গিনার ৫৮৫ একর পতিত জমি সবজি চাষের আওতায় এসেছে। এসব জমিতে সারাবছর প্রান্তিক নারী ও কৃষক সবজি উৎপাদন করছে।
এসব শাক সবজি তারা পরিবারের চাহিদা মিটিয়ে বাজারে বিক্রি করছে। এতে তাদের পুষ্টির চাহিদা পুরণ হচ্ছে। সেই সাথে বাজারে শাক সবজি বিক্রি করে অর্থ উপার্জন করছেন।

সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. সেকেন্দার শেখ বলেন, সারা বিশ্বে করোনা মহামারী শুরু হলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন এক ইঞ্চি জমিও আনাবাদী থাকবে না। সরকার কৃষককে সার, বীজসহ সবধরণের উপকরণ দিয়ে বসত বাড়ির আঙ্গিনার দেড় শতাংশ পতিত জমিতে পাবিরাবিক পুষ্টি বাগান করে দেয়ার প্রকল্প গ্রহণ করে।

প্রান্তিক নারীদের প্রাধান্য দিয়ে আমরা গোপালগঞ্জ সদর উপজেলায় ৩৯০টি পারিবারিক পুষ্টি বাগান সৃজন করে দিয়েছি। এতে ৫৮৫ একর জমি শাক সবজি চাষের আওতায় এসেছে। এখানে সারাবছর প্রান্তিক নারী ও কৃষক লাল শাক, ডাটা শাক , পুই শাক, পালং শাক, ঘি কাঞ্চন শাক, বাটি শাক, গিমা কলমী শাক, ধনেপাতা, বরবটি, সিম, লাউ, কুমড়া, চালকুমড়া, বেগুন, টমেটো, মরিচ, ঢ্যাঁড়শ, চিচিঙ্গা, শসা, ধুন্ধল, বিটকপি, ফুলকপি, বাঁধাকপি, পেঁপে, মুলা উৎপাদন করছেন।

ওই কর্মকর্তা বলেন, কালিকাপুর মডেলে মাত্র দেড় শতাংশ জমিতে পাবিরারিক পুষ্টি বাগানে ৫টি বেড করা হয়। বাগানের ২ সাইডে মাচা ও অপর ২ সাইডে বেড়া দেয়া হয়। বেডে পাতা জাতীয় সবজির চাষাবাদ করা হয়। মাচায় লতা জাতীয় সবজির আবাদ হয়। আর বেড়ায় বরবটি ও সিমের চাষাবাদ হয়। কৃষক সারাবছর এখানে ২৫ থেকে ৩০ রকমের শাক সবজি উৎপাদন করতে পারেন। এই শাক সবজি দিয়ে প্রান্তিক নারী ও  কৃষক পারিবারিক পুষ্টির চাহিদা পুরণ করছেন। পাশাপাশি বাড়তি সবজি বাজারে বিক্রি করে টাকা কামাচ্ছেন। এতে প্রান্তিক নারী ও কৃষক সাবলম্বী হচ্ছেন।

সদর উপজেলার গোবরা ইউনিয়নের ঘোনাপাড়া গ্রামের প্রান্তিক নারী রূপা বিশ্বাস  বলেন, উপজেলা কৃষি অফিস ১৮ প্রকার শাক সবজির বীজ, ৬ কেজি ইউরিয়া, ১১ কেজি ডিএপি, ৫ কেজি এমওপি ৩ দশমিক ৮ কেজি জীপসাম সার, ১টি নেট, ১টি বীজ পাত্র, ১টি পানি দেয়ার ঝর্না বিনামূল্যে দিয়েছে।

এগুলো পেয়ে আমরা গোবরা ইউনিয়নের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা পার্বতী বৈরাগীর পরামর্শে বাড়ির আঙ্গিনায় পতিত দেড় শতাংশ জমিতে পারিবারিক পুষ্টি বাগান করেছি। এখানে সারাবছর শাক-সবজি উৎপাদন করছি। এগুলো আমরা খাচ্ছি। প্রতিবেশী ও স্বজনদের দিচ্ছি। বাড়তি সবজি বাজারে বিক্রি করে টাকা আয় করছি। এতে সংসারের আয় বাড়ছে। আমরা সাবলম্বী হচ্ছি। ছোট এক খন্ড জমিতে পুষ্টি বাগান করছি। কিন্তু এর প্রভাব ব্যাপক। এমন বাগানের চিন্তা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে এসেছে। এই বাগান করে আমরা ভাল আছি। প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই।

একই ইউনিয়নের চরগোবরা গ্রামের অনিমা বিশ্বাস বলেন, শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে শাক-সবজি। এছাড়া পুষ্টি দেয়। এগুলো সদর উপজেলা কৃষি অফিস আমাদের জানিয়েছে। তাদের সব ধরণের সহযোগিতা ও উৎসাহে আমি পারিবারিক পুষ্টি বাগান করেছি। করোনার সময় নিজের বাগানে উৎপাদিত শাক-সবজি খেয়ে করোনাকে পরাস্ত করেছি। এই শাক-সবজি আমাদের পরিবারের সারা বছরের পুষ্টির চাহিদা পুরণ করে চলেছে। তাই এই প্রযুক্তিকে আমি গ্রহণ করেছি। সরকার পারিবারিক পুষ্টি বাগানে বীজ, সার সহায়তা বন্ধ করে দিলেও আমি পারিবারিক, সামাজিক ও রাষ্ট্রের প্রয়োজনে এই বাগান টিকিয়ে রাখব।

গোপালগঞ্জ ২৫০ বেড জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. অসিত কুমার মল্লিক বলেন, মেধাবী জাতি গঠনে পুষ্টির কোন বিকল্প নেই। শাক-সবজি আমাদের পুষ্টির চাহিদা অনেকাংশে পুরণ করে। এটি আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। শাক-সবজির পুষ্টি গুন মেধাবী প্রজন্ম গড়তে সহায়তা করে। তাই আমাদের বেশি-বেশি করে শাক-সবজি খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।

সদর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা জিএম পলিউল ইসলাম বলেন, আমরা চলতি অর্থ বছরে সরকারি সহায়তায় বাড়ির আঙ্গিনার পতিত আরো ৬০০ একর জমি সবজি চাষের আওতায় নিয়ে আসব। এতে করে উপজেলায় ১ হাজার ১৮৫ একর পতিত জমি শাক-সবজি চাষের আওতায় আসবে। এভাবে প্রতিবছর আমরা বসত বাড়ির আঙ্গিনার পতিত জমি চাষাবাদের আওতায় এনে শাক-সবজি উৎপাদন বৃদ্ধি করব।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ বাস্তবায়ন করব।  গোপালগঞ্জে এক ইঞ্চি জমিও আনাবাদী থাকবে না

প্রকাশ : সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২২ ১১:৩৮ পূর্বাহ্ন
বস্তা পদ্ধতিতে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে মাদারীপুরে সবজি চাষ
কৃষি বিভাগ

সরকারি প্রণোদনা, অনুকূল আবহাওয়া ও কৃষকদের উদ্বুদ্ধকরণের মধ্য দিয়ে দিন দিন মাদারীপুরে বস্তা পদ্ধতিতে সবজি চাষ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।

জলাবদ্ধ ও পতিত জমিতে কম খরচে বেশি মুনাফা পাওয়ায় কৃষকরা ঝুঁকছেন বস্তা পদ্ধতিতে সবজি চাষে। বাণিজ্যিকভাবে এ পদ্ধতিতে সবজি চাষ করে লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা। ভালো ফলন ও বাজারে এসব সবজির ব্যাপক চাহিদা থাকায় কৃষকরা দিন দিন অনুপ্রাণিত হচ্ছেন সবজি চাষে।

এখন বস্তা পদ্ধতিতে উৎপাদিত বিভিন্ন সবজি বাজারজাতকরণে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। আর এ পদ্ধতিতে সবজি চাষে অপার সম্ভাবনা দেখছেন কৃষি সংশ্লিষ্টরা।

কৃষক মনতোষ বিশ্বাস বলেন, আমার পতিত জমিতে এ পদ্ধতিতে সবজি চাষ করে আমি লাভবান হয়েছি। উপজেলা কৃষি অধিদপ্তরের সহায়তা নিয়ে ৩৫টি বস্তা ও ৭টি ডিপি পদ্ধতিতে সবজি চাষে ৭ থেকে ৮ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। ইতোমধ্যে ১৫-১৬ হাজার টাকার সবজি বিক্রি হয়েছে। আরও ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকার সবজি বিক্রি হবে বলে আশা করছি।

চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে তিনি জানান, বস্তা পদ্ধতির চাষের শুরুতে ৩০ কেজি মাটির সঙ্গে পরিমাণমতো জৈব সার, খৈল ও রাসায়নিক সারের মিশ্রণ বস্তায় ভরে প্রায় তিন ফুট উঁচু করা হয়। কয়েক দিন পর তাতে লাউ, চিচিঙ্গা, উচ্ছে, করলা, ঝিঙে, পুঁইশাক, মরিচ, আদা, বরবটি, মিষ্টি কুমড়া, রসুন ও পেঁপেসহ বিভিন্ন প্রকার সবজির বীজ বপন অথবা চারা রোপণ করা হয়।

বস্তা ও ডিপির ৪ থেকে ৬ ফুট উঁচুতে তৈরি করা হয় বাঁশের চালি বা মাচা। সে চালির ওপর দড়ি দিয়ে বোনা জালের ওপর বাড়তে থাকে বিভিন্ন সবজির লতা পাতা আর সেখানে ঝুঁলতে থাকে বিভিন্ন প্রকারের সবজি।

উপজেলা কৃষি অফিসার মিল্টন বিশ্বাস জানান, বৃহত্তর বরিশালসহ সাত জেলার কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় প্রয়োজনীয় উপকরণ বিতরণসহ সব কলাকৌশল ও উদ্বুদ্ধকরণের মধ্য দিয়ে বস্তা পদ্ধতিতে সবজি চাষ শুরু করা হয়েছে। এতে কৃষকরা সফল হয়েছেন।

প্রকাশ : সেপ্টেম্বর ১২, ২০২২ ৯:৪৫ পূর্বাহ্ন
কৃষি বিভাগের উদ্যোগে বাড়ির আঙ্গিনায় মিষ্টি কুমড়ার চাষ
কৃষি বিভাগ

কৃষি বিভাগের উদ্যোগে বাড়ির আঙ্গিনায় আর মাঠে মিষ্টি কুমড়ার চাষে বাম্পার ফলন হয়েছে। ভালো দাম ও চাহিদা থাকায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। হাসি ফুটেছে ছোট-বড় পরিবারগুলো বাড়ির আঙ্গিনা থেকে চালে ছড়িয়ে পড়া ডগায়-ডগায় কুমড়া দেখে।

কৃষি নির্র্ভর ও সবজি চাষ খ্যাত এই জেলায় বারো মাস মিষ্টি কুমড়ার চাষ হয়। আগে গৃহবধূরা বসতবাড়ির আঙিনায় মিষ্টি কুমড়া লাগিয়ে পারিবারিক চাহিদা মেটাতেন। বর্তমানে আধুনিক কৃষি পদ্ধতিতে সাথী ফসল হিসেবে মিষ্টি কুমড়ার চাষ করছে কৃষকরা।

বর্তমানে জেলায় কলা, আলু, আখ, বিভিন্ন ফলজ বাগানে সাথী ফসল হিসেবে মিষ্টি কুমড়ার চাষ বেড়েছে। কম খরচে এবং তিন মাসের মধ্যেই এই উৎপাদন করা যায় বলে দিন-দিন জেলায় মিষ্টি কুমড়ার চাষ বৃদ্ধি পাচ্ছে।

কৃষকরা জানিয়েছেন, বিরুপ আবহাওয়ার জন্য গতবছর মিষ্টি কুমড়া চাষে ফলন কম হওয়ায় কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলেন। চাষের সময় পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হওয়ায় ফল ছোট ও বিকৃত হয়ে যায়। এবার আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় বাড়তি সার ও কীটনাশক ছাড়াই মিষ্টি কুমড়ার উৎপাদন ভালো হয়েছে। একই জমিতে অন্য ফসলের পাশাপাশি সাথী ফসল হিসেবে মিষ্টি কুমড়ার চাষে ফলন কিছুটা কম হলেও এক জমিতে একই সাথে দুটি ফসল পাওয়ায় লাভবান কৃষকরা। আবার অনেক কৃষক এগুলো এককভাবে চাষ করেন। এক্ষেত্রে অবশ্য ফলনও বেশি পাওয়া যায়।

কৃষি বিভাগের হিসেবে জেলায় প্রায় ৪০০ বিঘা জমিতে কুমড়ার চাষ হয়েছে।
সরেজমিনে মেহেরপুর জেলার বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, সড়কের পাশে স্তূপ করে রাখা মিষ্টি কুমড়া তোলা হচ্ছে ট্রাকে। নিজ জেলার চাহিদা মিটিয়ে ঢাকাসহ সারাদেশে যাচ্ছে সুস্বাদু এই সবজি।

সদর উপজেলার উজ্জলপুর গ্রামের কুমড়া চাষি কামরুল হাসান বলেন, মাঠে প্রতিনিয়ত কুমড়ার চাষ বাড়ছে। গতবছর ১ বিঘা জমিতে মিষ্টি কুমড়ার চাষ করে ১০ হাজার টাকার কুমড়া বিক্রি করেছিলাম। এ বছর ১ বিঘা ১০ কাঠা জমিতে কুমড়ার চাষ করে ২০ হাজার টাকার কুমড়া বিক্রি করেছি। এখনও ২৫-৩০ হাজার টাকার কুমড়া বিক্রি করতে পারব। আশা করি গত বছরের লোকসান কাটিতে লাভবান হতে পারব।
গাংনী উপজেলার ভোমরদহ গ্রামের কুমড়া চাষি আব্দুর রহমান জানান- তিনি মরিচের পাশাপাশি সাথী ফসল হিসেবে ২ বিঘা জমিতে মিষ্টি কুমড়া চাষ করেছেন। ফলন অনেক ভালো হয়েছে। এবার এতো দাম পাবো আশা করিনি।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর উপ-পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) সামসুল আলম জানান, কুমড়া চাষ লাভজনক। অল্প ব্যয়ে ফলন বেশি পাওয়া যায়। এই ফসল চাষের সুবিধাজনক দিক হল, এটি সাথী ফসল হিসেবে চাষ করা যায়। এতে অন্য ফসলও হয় আবার বাড়তি হিসেবে কুমড়াও হয়। তিনি আরো জানান- কুষি বিভাগ থেকে নিয়মিত কৃষকদের পরামর্শ দেয়া হয়। ক্ষতিকারক বালাইনাশক ব্যবহার করলে অনেক উপকারী পোকা মারা যায়। তাই কৃষকদের জৈব বালাইনাশক ব্যবহার করাতে কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে পরামর্শ দেয়া হয়ে থাকে।

প্রকাশ : অগাস্ট ২৩, ২০২২ ৫:৪০ অপরাহ্ন
বাকৃবিতে বঙ্গবন্ধুর কৃষি দর্শন ও কৃষি বান্ধব বর্তমান সরকার শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠিত
কৃষি বিভাগ

 

কৃষিবিদ দীন মোহাম্মদ দীনু: বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) শিক্ষক সমিতির আয়োজনে জাতীয় শোক দিবস ২০২২ উপলক্ষে ‘বঙ্গবন্ধুর কৃষি দর্শন ও কৃষি বান্ধব বর্তমান সরকার’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার (২২ আগস্ট ) ভার্চুয়াল এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বাকৃবি শিক্ষক সমিতির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. মোহা: রেজাউল করিম এর সঞ্চালনায় এবং শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড.মো: আব্দুস সালাম এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা মন্ত্রণালযের প্রতিমন্ত্রী প্রফেসর ড. শামসুল আলম এবং প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড.লুৎফুল হাসান।

পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক ড. শামসুল আলম বলেছেন, বঙ্গবন্ধু ছিলেন একজন দূরদর্শী নেতা। তিনি ১৯৭২ সালে ফিরে আসার পর দেশে দুর্বার গতিতে উন্নয়ন শুরু হয়। যার ফলে এই দেশ এগিয়ে গেছে অনেক দূর, যা অন্য কোন দেশের নেতার পক্ষেই সম্ভব ছিলো না।

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড.গোলাম ফারুক মানিক, নীল দলের আহ্বায়ক প্রফেসর ড. সৈয়দ মোহাম্মদ এহসানুর রহমান, ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা প্রফেসর ড. খান মো. সাইফুল ইসলাম, প্রোক্টর প্রফেসর ড. মুহাম্মদ মহির উদ্দিন, অফিসার পরিষদ সভাপতি খাইরুল আলম নান্নুসহ গণতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরামের নেতৃবৃন্দসহ সিনিয়র শিক্ষকবৃন্দ বক্তব্য প্রদান করেছেন।

প্রকাশ : অগাস্ট ১৮, ২০২২ ৮:১২ পূর্বাহ্ন
সেপ্টেম্বরে কৃষি গুচ্ছ পরীক্ষা,আসন প্রতি লড়বেন ২৩ শিক্ষার্থী
কৃষি বিভাগ

কৃষিবিজ্ঞান বিষয়ে ডিগ্রি প্রদানকারী ৮টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা হবে আগামী ১০ সেপ্টেম্বর।

ইতোমধ্যেই আবেদন প্রক্রিয়া শেষ করেছে গুচ্ছ কৃষি ভর্তি কমিটি। মোট আসন সংখ্যা ৩৫৩৯ টির বিপরীতে মোট আবেদন করেছে ৭৯ হাজার একশত ৪৭ জন শিক্ষার্থী। সে হিসাবে কৃষি গুচ্ছের ১টি আসনের জন্যে লড়বেন প্রায় ২৩ জন পরিক্ষার্থী। 

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কৃষি গুচ্ছ ভর্তি কমিটির দায়িত্বে থাকা শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শহীদুর রশীদ ভূঁইয়া।

আবেদনের ক্ষেত্রে বিগত বছরগুলোতে আসন সংখ্যার ১০ গুণ ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী পরীক্ষায় বসার সুযোগ পেতেন। তবে এবার এ সিলেকশন পদ্ধতি বাতিল করেছে কর্তৃপক্ষ।

এবছর আবেদনের যোগ্যতা সর্বমোট ন্যূনতম ৮.৫ করা হয়েছিল। এ যোগ্যতার মধ্যে প্রত্যেক ভর্তিচ্ছুক পরীক্ষার জন্য আবেদন করতে পেরেছে।

এবছর ভর্তি পরীক্ষায় আসন সংখ্যা আগের মতোই রয়েছে। তবে এ গুচ্ছের সঙ্গে নতুন ‍যুক্ত হওয়া হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯০টি আসন যোগ হয়েছে।

এ ছাড়াও বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১ হাজার ১১৬টি, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩৩০টি, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৭০৪টি, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪৩১টি, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪৪৩টি, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৪৫টি, খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৫০টি আসন রয়েছে।

প্রকাশ : অগাস্ট ১৩, ২০২২ ৯:৩৫ পূর্বাহ্ন
মেহেরপুরে গ্রাফটিং পদ্ধতিতে টমেটো চাষের দিকে ঝুঁকছেন চাষিরা
কৃষি গবেষনা

বেগুনগাছে গ্রাফটিং পদ্ধতিতে গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষ করে সফল হয়েছেন, জেলা সদর উপজেলার হিজুলী গ্রামের কৃষক ফারুক হোসেন। কৃষি বিভাগের সার্বিক সহায়তায় পরীক্ষামলূক ভাবে গ্রাফটিং পদ্ধতিতে টমেটো চাষে অভাবনীয় সফলতা পেয়েছেন এ কৃষক। এতে করে গ্রাফটিং পদ্ধতিতে টমেটো চাষে আশার আলো দেখছেন এ জেলার কৃষকরা।

কৃষি বিভাগ সূত্র জানায়- সদর উপজেলার আমঝুপি ইউনিয়নের হিজুলী গ্রামের ফারুক হোসেন ৫ কাঠা জমিতে বারি হাইব্রিড ৮ জাতের টমেটো চাষ করেছেন গ্রাফটিং পদ্ধতিতে। এখন কাঁচা-পাকা টমেটোয় ভরে গেছে গাছ। ইতোমধ্যে প্রায় ৩০ হাজার টাকার টমেটো বিক্রিও করেছেন তিনি। আরও ৪০ হাজার টাকার বিক্রির আশা করছেন।

মেহেরপুর সদর উপজেলার গ্রাফটিং পদ্ধতিতে টমেটো চাষ করা ফারুক হোসেন বলেন- উপজেলা কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় প্রথমে পরীক্ষামূলক ভাবে ৫ কাঠা জমিতে গ্রাফটিং করেছি। ফলন ও পর্যাপ্ত দাম পাচ্ছি। আগামীতে আরও ১ বিঘা লাগানোর পরিকল্পনা করছি।

সদর উপজেলা কৃষি বিভাগের উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা আশরাফুল ইসলাম বলেন- বেগুন চারার গোড়ার দিকের অংশের সঙ্গে টমেটোর চারার ওপরের দিকের অংশ জোড়া দিয়ে করা হয় গ্রাফটিং। এভাবে লাগানো টমেটোর চারা বড় হয়ে ঢলে পড়ে না, রোগ বালাইও তেমন হয় না। উপরন্ত ফলন মেলে প্রচুর। সাধারণ একটি গাছে ৫ থেকে ১০ কেজি টমেটো পাওয়া যায়। কিন্তু গ্রাফটিং পদ্ধতিতে চাষ করা প্রতিটি গাছে মেলে ১৫ থেকে ২০ কেজি টমেটো। গ্রাফটিং করা টমেটো গাছ পানি সহনীয়। ফলে ভারি বৃষ্টিতেও এই টমেটো গাছ নষ্ট হয় না।

গ্রাফটিং পদ্ধতিতে টমেটো চাষ দেখতে আসছেন স্থানীয় কৃষকরা। অসময়ে টমেটো। বাজারে চাহিদাও বেশ। অনেক কৃষক ইতোমধ্যে গ্রাফটিং পদ্ধতিতে টমেটো চাষ করতে আগ্রহী হয়েছেন। স্থানীয় কৃষক রবিউল ইসলাম দেখতে এসেছিলেন টমেটোর গ্রাফটিং। তিনি বলেন- গ্রাফটিং পদ্ধতিতে এতো বেশি ফলন দেয় আমার জানা ছিল না। সেই সঙ্গে একই গাছে বেগুনও ধরেছে। আমি নিজেও এই পদ্ধতিতে চাষ করবো বলে প্রস্তুতি নিচ্ছি।

সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নাসরিন পারভীন বলেন- আমাদের পক্ষ থেকে কৃষকদের সার্বিক পরামর্শ ও প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। কৃষি বিভাগের পরামর্শ গ্রহণ করে গ্রাফটিং পদ্ধতিতে টমেটো জাত বারি-৮ চাষ করে সফলতার মুখ দেখেছেন কয়েকজন কৃষক। সদর উপজেলায় ১৫ কাঠা জমিতে ৩ জন চাষি গ্রাফটিং পদ্ধতিতে টমেটোর চাষ করছেন। কৃষকরা লাভবান হচ্ছেন। মেহেরপুরে এ জাতের টমেটোর চাষ ছিল না। বর্তমানে কৃষকরা গ্রাফটিং পদ্ধতিতে টমেটো চাষে উৎসাহিত হচ্ছেন।

প্রকাশ : অগাস্ট ১২, ২০২২ ১০:০৯ পূর্বাহ্ন
প্রিমিয়ার ব্যাংকের অর্থায়নে কৃষকের কৃষি ও পল্লী ঋণ বিতরণ
কৃষি বিভাগ

দি প্রিমিয়ার ব্যাংক লিমিটেড এর অর্থায়নে সিও (সোসিও ইকোনোমিক হেল্থ এডুকেশন অর্গানাইজেশন) এর পরিচালনায় সম্প্রতি এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের মাধ্যমে কৃষকদের মাঝে প্রকাশ্যে কৃষি ও পল্লী ঋণ বিতরণ কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়।

ঝিনাইদহ শহরের জোহান ড্রীম ভ্যালি পার্ক মিলনায়তনে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মনিরা বেগম, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের এসইভিপি ও প্রধান কর্মকর্তা, এসএমই এবং কৃষি ঋণ বিভাগ মোহাম্মদ ইমতিয়াজ উদ্দিন, ব্যাংকের গুলশান গ্লাস হাউজ শাখার ব্যবস্থাপক মো. হাসিবুল আসাদ, সিও এর প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক মো. সামছুল আলম ও ২৩৯ জন কৃষাণ-কৃষাণী।

অনুষ্ঠানে দশজন কৃষককে চেক প্রদানের মাধ্যমে প্রকাশ্যে কৃষি ঋণ প্রদান করা হয়। প্রধান অতিথি মনিরা বেগম বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষুধা ও দারিদ্র মুক্ত সমৃদ্ধ দেশ গড়তে কাজ করে যাচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় দেশের অর্থনীতির অন্যতম চালিকা শক্তি কৃষি খাতকে অগ্রাধিকার দিয়ে কৃষি উৎপাদন বাড়াতে ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে উৎপাদনমুখী কাজে সম্পৃক্ত করতে দেশব্যাপি কৃষকদের মাঝে কৃষি ঋণ বিতরণে প্রিমিয়ার ব্যাংকের এই উদ্যোগ সত্যিই প্রশংসনীয়।’

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop