৮:৪৯ অপরাহ্ন

রবিবার, ১৯ মে , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : অগাস্ট ৫, ২০২২ ৮:৫৮ পূর্বাহ্ন
খরচ কম আর লাভ বেশি হওয়ায় কচুর মুখি চাষে ঝুঁকছেন চাষিরা
কৃষি বিভাগ

উৎপাদন খরচ কম আর লাভ বেশি হওয়ায় যশোরের চৌগাছায় বাড়ছে কচুর মুখির চাষ। কোনো রকম ঝুঁকি ছাড়াই মুখি চাষ করা যায়। কম খরচে অধিক ফলন করা যায় বলে চাষিরা কচুর মুখি চাষ করে লাভবান হচ্ছেন।

উপজেলার রামকৃষ্ণপুর গ্রামের চাষি ফজলুর রহমান বলেন, ১ বিঘা জমিতে লিজ, সার, কীটণাশক সহ ৩০-৪০ হাজার টাকা খরচ হয়। যাতে প্রায় ৫০-৬০ মণ কচুর মুখি উৎপাদন হয়। ৫০-৬০ মণ কচুর মুখির বর্তমান বাজার মূ্ল্য ১ লাখ টাকার বেশি।

চাষিরা জানায়, ধান চাষ করলে বছরে দুটি ফসল হয়। আর ধান চাষে খরচও বেশি। কচুর মুখি চাষ করলে এক জমিতে ৩ বার ফসল উৎপাদন সম্ভব। এতে লাভও বেশি।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের তুলনায় এবছর ৫০ হেক্টর বেশি জমিতে কচুর মুখি চাষ হয়েছে। ন্যায্য দাম পেলে কচুর মুখি চাষ আরো বৃদ্ধি পাবে বলে জানান তারা।

উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা চাঁদ আলী বলেন, ধান চাষে লাভ কম কিন্তু ঝুঁকি বেশি। তাই চাষিরা কচুর মুখি চাষে বেশি আগ্রহী। ইরি-বোরো ও আগাম মুখি একই সময়ে চাষ হয়ে থাকে। জানুয়ারিতে কচুর কন্দ জমিতে রোপনের পর মে মাসের শুরুতেই তা বাজারজাত করা যায়। তাই ইরি ধানের চাষ কমিয়ে চাষিদের কচুর মুখি চাষের পরামর্শ দিচ্ছে কৃষি বিভাগ।

চৌগাছা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রইচ উদ্দীন বলেন, কচুর মুখি কোনো রকম রাসায়নিক সার ছাড়া শুধু জৈব সার(গোবর) দিয়েই চাষ করা যায়। এতে কম সময়ে কম ঝুঁকিতে কচুর মুখি উৎপাদন করা সম্ভব। তাই চাষিরা কচুর মুখি চাষে ঝুঁকছেন।

প্রকাশ : জুলাই ৩১, ২০২২ ৫:৪৭ অপরাহ্ন
নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সরকার ইলেকট্রনিক ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন
কৃষি বিভাগ

কৃষিবিদ দীন মোহাম্মদ দীনু: নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সরকার ইলেকট্রনিক ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন করেছে যার মাধ্যমে সঠিক গবেষণায় খাদ্যের মান, নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। যেকোন প্রয়োজনে ৩৩৩ নম্বওে ফোন কওে ভোক্তগণ অভিযোগ জানাতে পারবেন।

বাকৃবিতে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ এর আইন বিধি ও প্রবিধিমালার প্রয়োগ শীর্ষক সেমিনারে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ এর চেয়ারম্যান জনাব মোঃ আব্দুল কাইউম সরকার এসব কথা বলেছেন। বাকৃবি গবেষকগণ যেভাবে কৃষি বিপ্লব এনে দিয়েছেন, নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতকরণেও তারা বিভিন্ন গবেষণার মাধ্যমে সরকারের পাশে থাকবেন বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফুড টেকনোলজি ও গ্রামীণ শিল্প বিভাগ এবং খাদ্য মন্ত্রণালয়ের বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ এর যৌথ আয়োজনে রবিবার (৩১ জুলাই) সকাল ১০টায় বাকৃবি শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন মিলনায়তনে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

কৃষি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোঃ নজরুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. লুৎফুল হাসান বলেন, উন্নত ও মেধা শক্তিসম্পন্ন জাতি গঠনে সুষম ও নিরাপদ খাদ্যের বিকল্প নাই। নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক গবেষণালব্ধ ফলাফল সবপর্যায়ে ছড়িয়ে দেওয়া বাকৃবি গবেষকদের দায়িত্ব।
এছাড়াও সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভেটেরিনারি অনুষদেও ডিন প্রফেসর ড. মোঃ মকবুল হোসেন।

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ এর সদস্য প্রফেসর ড. মোঃ আব্দুল আলীম এবং স্বাগত বক্তব্য রাখেন ফুড টেকনোলজি ও গ্রামীণ শিল্প বিভাগের প্রফেসর ড. মোহাম্মদ গোলজারুল আজিজ।

অনুষ্ঠানের মুক্ত আলোচনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষক, আমন্ত্রিত অতিথি বিভিন্ন দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখেন।

অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদীয় ডিন, বিভাগীয় প্রধান, শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

প্রকাশ : জুলাই ৩১, ২০২২ ১০:২৪ পূর্বাহ্ন
কৃষিঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা প্রায় ৩১ হাজার কোটি টাকা
কৃষি বিভাগ

টাকার কৃষি ও পল্লি ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

গত অর্থবছরের চেয়ে যা ৮ দশমিক ৮ শতাংশ বেশি। গত অর্থবছরে এ খাতে মোট ২৮ হাজার ৮৩৪ কোটি টাকা ঋণ বিতরণ করা হয়; যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি।

গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংক এক সার্কুলারের মাধ্যমে চলতি অর্থবছরের কৃষি ও পল্লি ঋণ নীতিমালা ও কর্মসূচি প্রকাশ করে। এতে বলা হয়, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলো ১১ হাজার ৭৫৮ কোটি এবং বেসরকারি ব্যাংকগুলো ১৯ হাজার ১৫৩ কোটি টাকা বিতরণ করবে। তবে কোন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান কত বিতরণ করবে, তার বিস্তারিত আগামী ৩১ আগস্টের মধ্যে জানাতে হবে।

নীতিমালায় বলা হয়েছে, শস্য, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে ঋণ বিতরণে অগ্রাধিকার দিতে হবে। শস্য খাতে বিতরণ করতে হবে মোট লক্ষ্যমাত্রার ৬০ শতাংশ। এ ছাড়া মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে লক্ষ্যমাত্রার কমপক্ষে ১০ শতাংশ করে ঋণ বিতরণ করতে হবে।

বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে নিজস্ব নেটওয়ার্কের মাধ্যমে বিতরণে গুরুত্ব দিতে হবে।

যে এলাকায় যে ফসল ভালো উৎপাদন হয়, সে এলাকায় সেই ফসলে গুরুত্ব দিয়ে বাস্তবভিত্তিক ঋণ বিতরণ করতে হবে। প্রকৃত ক্ষুদ্র, প্রান্তিক কৃষক, ভূমিহীন ও বর্গাচাষিদের সহজ পদ্ধতিতে কৃষিঋণ দিতে বলা হয়েছে নীতিমালায়। কৃষিতে ৪ ও ৮ শতাংশ পর্যন্ত সুদে ঋণ দেওয়া হয়।
অতি খরা বা বৃষ্টির মতো পরিবেশগত কারণে উৎপাদন কমে যাওয়া, করোনা-পরবর্তী বাড়তি চাহিদা, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সরবরাহে জটিলতা দেখা দেওয়ায় বিশ্বব্যাপী কৃষিপণ্যের দাম বেড়েছে।

এ রকম পরিস্থিতিতে অভ্যন্তরীণ উৎপাদন বাড়াতে কৃষিঋণ নীতিমালায় পরিবেশবান্ধব ও টেকসই কৃষি ব্যবস্থা গড়ে তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

শিল্প ও সেবা খাতে সর্বশেষ প্রণোদনা ঋণের বরাদ্দ ৩০ হাজার কোটি টাকা: এদিকে একই দিনে অপর এক সার্কুলারে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে সম্ভাব্য অর্থনৈতিক প্রভাব মোকাবিলায় নেওয়া আর্থিক প্রণোদনার তৃতীয় ও সর্বশেষ প্যাকেজ ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

এ প্যাকেজে শিল্প ও সেবা খাতের (সিএমএসএমই বাদে) প্রতিষ্ঠানের জন্য ২৭ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

এ ছাড়া বেজা, বেপজা, বাংলাদেশ হাই-টেক কর্তৃপক্ষে অবস্থিত এ, বি, সি টাইপ শিল্পপ্রতিষ্ঠান এবং এসব এলাকার বাইরে অবস্থিত শতভাগ বিদেশি বা যৌথ মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের জন্য ৩ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।

প্রকাশ : জুলাই ২৭, ২০২২ ৪:১৪ অপরাহ্ন
বাকৃবিতে “সুনীল অর্থনীতি বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক একটি নতুন দিগন্ত” সেমিনার অনুষ্ঠিত
কৃষি বিভাগ

কৃষিবিদ দীন মোহাম্মদ দীনু: বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালর প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের আয়োজনে “সুনীল অর্থনীতি বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক একটি নতুন দিগন্ত” সেমিনার ২৭ জুলাই ২০২২ বুধবার বেলা ১১.৪৫ মিনিটে প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের কনফারেন্স রুমে অনুষ্ঠিত হয়। প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের প্রধান প্রফেসর ড. চয়ন গোস্বামী এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাকৃবির উচ্চ শিক্ষা ও গবেষণা কমিটির কো-অর্ডিনেটর প্রফেসর ড. মোঃ রফিকুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন পরিকল্পনা ও উন্নয়ন শাখা ভারপ্রাপ্ত পরিচালক, প্রফেসর ড. মোঃ আবু হাদী নূর আলী খান। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইউজিসি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ফেলো ২০২১ প্রফেসর ড. এম আফজাল হোসাইন। আরো বক্তব্য রাখেন মৎস্য বিজ্ঞান অনুষদের ফিশারিজ টেকনোলজি বিভাগের প্রফেসর ড. নওশাদ আলম এবং প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর ড. মোঃ গোলাম মর্তুজা। সেমিনারে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী,আমন্ত্রিত অতিথিগণ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে সঞ্চালনায় ছিলেন সহকারী প্রফেসর শায়লা শারমিন।

প্রকাশ : জুলাই ২৬, ২০২২ ৭:১৬ অপরাহ্ন
কৃষকদের উৎসাহ ও সম্মান জানাতে এআইপি সরকারের অনন্য উদ্যোগ: কৃষিমন্ত্রী
কৃষি বিভাগ

প্রথমবার কৃষিক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (এআইপি) পাচ্ছেন ১৩ জন। কৃষকদের উৎসাহ ও সম্মান জানাতে এআইপি সরকারের অনন্য উদ্যোগ বলে মন্তব্য করেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক।

কৃষি মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রথমবারের মতো ‘কৃষিক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (এআইপি/AIP)’ সম্মাননা প্রদান করা হচ্ছে। ২০১৯ সালে কৃষিক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (এআইপি) নীতিমালা প্রণীত হয়েছে। তার আলোকে প্রথমবার ২০২০ সাল থেকে দেয়া হচ্ছে এ সম্মাননা। ২০২০ সালে এআইপি পাচ্ছেন ১৩জন। এআইপি সম্মাননা প্রাপ্তগণ সিআইপিদের মতো সুযোগসুবিধা পাবেন।

মঙ্গলবার সচিবালয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে কৃষিক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (এআইপি) সম্মাননা প্রদান উপলক্ষে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে এ তথ্য জানান কৃষিমন্ত্রী ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক এমপি।

এসময় কৃষিসচিব মো: সায়েদুল ইসলাম এবং মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

মন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এদেশের চিরবঞ্চিত, অবহেলিত ও চিরশোষিত কৃষকের উন্নয়নে স্বাধীনতার পরপরই যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন।

কৃষি গবেষণায় মেধাবীদের আকৃষ্ট করতে বঙ্গবন্ধু সরকারি চাকুরিতে কৃষি গ্র্যাজুয়েটদের প্রথম শ্রেণির মর্যাদা প্রদান করে কৃষির আধুনিকায়নে এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন। তাছাড়া, কৃষি এবং কৃষকদের উৎসাহিত করার জন্য বঙ্গবন্ধু ১৯৭৩ সালে ‘বঙ্গবন্ধু পুরস্কার তহবিল’ গঠন করেন। বঙ্গবন্ধুর মতোই বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কৃষি ও কৃষকবান্ধব।

তাই তিনি, কৃষির সাফল্যের অন্যতম কারিগর কৃষক, কৃষি বিজ্ঞানী, উদ্যোক্তা, উৎপাদনকারী, খামারিসহ কৃষির সাথে সম্পৃক্তদেরকে প্রতি বৎসর সম্মাননা জানাতে ও তাদেরকে উৎসাহিত করতে কৃষিক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (এআইপি) সম্মাননা প্রদানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন।

মন্ত্রী বলেন, আগামী দিনের কৃষিকে আমরা বাণিজ্যিক ও সম্মানজনক পেশা হিসাবে উন্নীত করতে চাই। কৃষিতে শিক্ষিত, মেধাবী ও সৃজনশীল তরুণদের আকৃষ্ট করতে চাই। সেজন্য, কৃষক, কৃষিবিজ্ঞানী, উদ্যোক্তা, উৎপাদনকারী, বাণিজ্যিক কৃষিখামার স্থাপনকারী, কৃষিপণ্য প্রক্রিয়াজাতকারী ও কৃষি সংগঠকদের উৎসাহ ও সম্মান জানাতে এআইপি সম্মাননা প্রদানের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এই স্বীকৃতির মাধ্যমে টেকসই কৃষির উন্নয়নে কৃষির সাথে সম্পৃক্ত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান উদ্বুদ্ধ হয়ে বাংলাদেশের খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তায় আরও বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে।

‘এআইপি সম্মাননা প্রবর্তন কৃষিখাতে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা’ উল্লেখ করে মন্ত্রী আরও বলেন, এটি একটি মহৎ উদ্যোগ। কৃষকদের সম্মান জানানোর নতুন উদাহরণ।

মন্ত্রী জানান, এআইপি নীতিমালা অনুযায়ী প্রতি বছর মোট ৫টি বিভাগে সর্বোচ্চ ৪৫জনকে এআইপি সম্মাননা প্রদান করা হবে। এর মধ্যে কৃষি উদ্ভাবন বিভাগে (জাত/প্রযুক্তি) সর্বোচ্চ ১০ জন, কৃষি উৎপাদন/বাণিজ্যিক খামার স্থাপন ও কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্প বিভাগে সর্বোচ্চ ১৫ জন, রপ্তানিযোগ্য কৃষিপণ্য উৎপাদন বিভাগে সর্বোচ্চ ১০ জন, স্বীকৃত বা সরকার কর্তৃক রেজিস্ট্রিকৃত কৃষি সংগঠন বিভাগে সর্বোচ্চ ০৫ জন এবং বঙ্গবন্ধু কৃষি পুরস্কারে স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত বিভাগে সর্বোচ্চ ৫ জন।

এআইপি কার্ডের মেয়াদকাল হচ্ছে ০১ বৎসর। এআইপিগণ সিআইপিদের (CIP) মতো সুযোগসুবিধা পাবেন। এর মধ্যে রয়েছে মন্ত্রণালয় হতে একটি প্রশংসাপত্র, বাংলাদেশ সচিবালয়ে প্রবেশের জন্য প্রবেশ পাশ, বিভিন্ন জাতীয় অনুষ্ঠানে নাগরিক সংবর্ধনায় আমন্ত্রণ; বিমান, রেল, সড়ক ও জলপথে ভ্রমণকালীন সরকার পরিচালিত গণপরিবহনে আসন সংরক্ষণ অগ্রাধিকার; ব্যবসা/দাপ্তরিক কাজে বিদেশে ভ্রমণের জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ভিসা প্রাপ্তির নিমিত্ত সংশ্লিষ্ট দূতাবাসকে উদ্দেশ্য করে Letter of Introduction ইস্যু করবে; নিজের ও পরিবারের সদস্যদের চিকিৎসার জন্য সরকারি হাসপাতালের কেবিন সুবিধা প্রাপ্তিতে অগ্রাধিকার পাবেন এবং বিমান বন্দরে ভিআইপি লাউঞ্জ ব্যবহার সুবিধা।

২০২০ সালে কৃষিক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (এআইপি) পাচ্ছেন ১৩জন। এরা হলেন কৃষি উদ্ভাবন বিভাগে (জাত/প্রযুক্তি)বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. লুৎফুল হাসান (বাউধান-৩ এর জাত উদ্ভাবন), এ আর মালিক সিডসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আতাউস সোপান মালিক (২টি বীজ আলুসহ মোট ১০টি সবজির জাত উদ্ভাবন ও বাজারজাতকরণ), ফিউচার অর্গানিক ফার্মের সৈয়দ আব্দুল মতিন (মেহগনি ফলের বীজ থেকে তেল তৈরী যা জৈব বালাইনাশক প্রস্তুত) আলীম ইন্ডাস্ট্রিস লিমিটেডের আলীমুছ ছাদাত চৌধুরী (আলীম পাওয়ার ট্রিলার উদ্ভাবন)

কৃষি উৎপাদন/বাণিজ্যিক খামার স্থাপন ও কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্প বিভাগে ০৬ জন। এরা হলেন মো. সেলিম রেজা, দৃষ্টান্ত এগ্রো ফার্ম এন্ড নার্সারী, ডাল সড়ক, নাটোর সদর, নাটোর। মো.মেহেদী আহসান উল্লাহ চৌধুরী, চামেশ্বরী, চৌধুরীহাট, ঠাকুরগাঁও। মো. মাহফুজুর রহমান, এশা ইন্টিগ্রেটেড এগ্রিকালচার ফার্ম, ঝালকাঠি সদর, ঝালকাঠি। মো.বদরুল হায়দার বেপারী, প্রোপাইটার,জাগো কেঁচো সার উৎপাদন খামার, চৌঠাইমহল, নাজিরপুর, পিরোজপুর। মো. শাহবাজ হোসেন খান, নুর জাহান গার্ডেন, শৌলা কালাইয়া, বাউফল, পটুয়াখালী। মো. সামছুদ্দিন (কালু), বিছমিল্লাহ মৎস বীজ উৎপাদন কেন্দ্র ও খামার, নাঙ্গলকোট রেলস্টেশন সংলগ্ন, নাঙ্গলকোট, কুমিল্লা।

স্বীকৃত বা সরকার কর্তৃক রেজিস্ট্রিকৃত কৃষি কৃষি সংগঠন বিভাগে জাহাঙ্গীর আলম শাহ, শাহ্ কৃষি তথ্য পাঠাগার ও জাদুঘর কালীগ্রাম, মান্দা, নওগাঁ।

বঙ্গবন্ধু কৃষি পুরস্কারে স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত বিভাগে নির্বাচিত হয়েছেন দুই জন। এরা হলেন-মোছা. নুরুন্নাহার বেগম, নুরুন্নাহার কৃষি খামার, ঈশ্বরদী, পাবনা এবং মো. শাহজাহান আলী বাদশা, মা-মণি কৃষি খামার, ঈশ্বরদী, পাবনা।

আগামী ২৭ জুলাই সকাল ১০টায় ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আনুষ্ঠানিকভাবে ২০২০ সালের এআইপি পুরস্কার প্রদান করা হবে। ২০২১ সালের এআইপি নির্বাচনের কাজ চলমান আছে।

প্রকাশ : জুলাই ২৫, ২০২২ ১০:২৯ অপরাহ্ন
কৃষিতে অবদানের জন্য এআইপি সম্মাননা পাচ্ছেন ১৩ জন
কৃষি বিভাগ

কৃষি খাতে অবদানের জন্য প্রথমবারের মত ১৩ জনকে কৃষিক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (এগ্রিকালচারালি ইম্পরটেন্ট পারসন-এআইপি) ঘোষণা করেছে সরকার। রোববার প্রকাশিত গেজেটে পাঁচটি ক্যাটাগরিতে তাদের এ সম্মাননার জন্য নির্বাচিত করা হয়েছে।

সরকার প্রতিবছর বাণিজ্যিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (সিআইপি) ঘোষণা করে। তারা সরকারিভাবে বেশ কিছু সুবিধা ও সম্মান পান। সিআইপিদের আদলে এআইপিরাও বেশ কিছু সুবিধা ও সম্মান পাবেন।

এ সম্মাননা দিতে আগে থেকেই কাজ করছিল সরকার। এজন্য ‘কৃষিক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি নীতিমালা ২০১৯’ তৈরি করে সরকার। তবে কোভিড মহামারীর কারণে এ স্বীকৃতি দেওয়ার প্রক্রিয়া পিছিয়ে যায়।

কৃষি মন্ত্রণালয়ের সম্প্রসারণ অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব বলাই কৃষ্ণ হাজরা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, এবার দেওয়া হচ্ছে ২০২০ সালের পদক। ২৭ জুলাই আনুষ্ঠানিকভাবে সম্মাননা দেওয়া হবে।

এআইপির প্রথম সম্মাননা পাওয়া ব্যক্তিরা হলেন

কৃষি উদ্ভাবন (জাত/প্রযুক্তি) ক্যাটাগরিতে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক্স ও প্ল্যান্ট ব্রিডিং বিভাগের অধ্যাপক লুৎফুল হাসান, দিনাজপুরের এ আর মালিক সিডসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আতাউস সোপান মালিক, বাগেরহাটের ফিউচার অর্গানিক ফার্মের স্বত্ত্বাধিকারী সৈয়দ আব্দুল মতিন ও সিলেটের আলীম ইন্ডাস্ট্রিজের মালিক আলীমুছ ছাদাত চৌধুরী।

কৃষি উৎপাদন, বাণিজ্যিক খামার স্থাপন ও কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্প ক্যাটাগরিতে নাটোরের দৃষ্টান্ত এগ্রো ফার্মের মালিক সেলিম রেজা, ঠাকুরগাঁওয়ের মেহেদী আহসান উল্লাহ চৌধুরী, ঝালকাঠির এশা ইন্টিগ্রেটেড এগ্রিকালচালারাল ফার্মের মালিক মাহফুজুর রহমান, পিরোজপুরের জাগো কেঁচো সার উৎপাদন খামারের মালিক বদরুল হায়দার বেপারি, পটুয়াখালীর শাহবাজ হোসেন খান ও কুমিল্লার বিসমিল্লাহ মৎস্য বীজ উৎপাদন ও খামারের মালিক মো. সামছুদ্দীন কালু।

স্বীকৃত বা সরকার নিবন্ধিত সংগঠন ক্যাটাগরিতে নওগাঁর শাহ কৃষি তথ্য পাঠাগার ও জাদুঘরের উদ্যোক্তা জাহাঙ্গীর আলম শাহ।

এছাড়া বঙ্গবন্ধু কৃষি পুরস্কারে স্বর্ণপদক পাওয়া দুজনকেও এআইপি স্বীকৃতি দেওয়া হবে। তারা হলেন- পাবনার নুরন্নাহার কৃষি খামারের নুরন্নাহার বেগম এবং একই জেলার ঈশ্বরদীর মা-মনি কৃষি খামারের উদ্যোক্তা শাহজাহান আলী বাদশা।

‘কৃষিক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি নীতিমালা- ২০১৯’ অনুযায়ী এআইপি স্বীকৃতির মেয়াদ হবে এক বছর। এই এক বছরের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে তাদের একটি কার্ড দেওয়া হবে।

নির্বাচিত ব্যক্তিরা সচিবালয়ে ঢোকার পাস পাবেন, বিভিন্ন জাতীয় অনুষ্ঠান এবং স্থানীয় সিটি করপোরেশন বা পৌরসভা আয়োজিত অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত হবেন, সরকার পরিচালিত গণপরিবহনে (বিমান, রেল, বাস ও নৌ ভ্রমণে) আসন সংরক্ষণের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবেন।

পাশাপাশি ব্যবসার কাজে এআইপিদের বিদেশ ভ্রমণের ক্ষেত্রে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট দেশের দূতাবাসকে উদ্দেশ্যে করে ‘লেটার অব ইন্ট্রোডাকশন’ ইস্যু করবেন, এআইপি ও তার নিকটাত্মীরা সরকারি হাসপাতালের কেবিনপ্রাপ্তির ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবেন এবং বিমানবন্দরে ভিআইপি লাউঞ্জ-২ ব্যবহারের সুবিধা পাবেন।

এ পুরস্কার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদক্ষেপ উল্লেখ করে অতিরিক্ত সচিব বলাই কৃষ্ণ বলেন, “কোভিডকালে কৃষিতে অবদান রাখার জন্য এনাদেরকে পুরস্কৃত করার কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। যারা সিআইপি, আমরা দেখি শিল্পপতিরা অনেক সুবিধা পান। সেই সিআইপির আদলে আমরা এআইপি দিচ্ছি। এখানে এআইপিরা যথেষ্ট সুযোগ সুবিধা পাবেন।”

এতে শিক্ষিত সমাজ ও তরুণরা উদ্বুদ্ধ হবে জানিয়ে তিনি বলেন, প্রযুক্তিনির্ভর কৃষি আসছে, বাণিজ্যিক কৃষির কথা বলা হচ্ছে। রপ্তানি বাড়ছে। এসব কারণে মেধাবী তরুণরা কৃষিতে আসবে।

প্রকাশ : জুন ২৩, ২০২২ ৫:৪৩ অপরাহ্ন
বরিশালে খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তায় কৃষির ভূমিকা বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত
কৃষি বিভাগ

নাহিদ বিন রফিক (বরিশাল): বরিশালে খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তায় কৃষির ভূমিকায় বারটানের করণীয় বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার(২৩ জুন) শহরতলীর মহাবাজে বাংলাদেশ ফলিত পুষ্টি গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের (বারটান) উদ্যোগে এই সেমিনারের আয়োজন করা হয়।

এ উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বিভাগীয় কমিশনার (অতিরিক্ত সচিব) জনাব মো. আমিন উল আহসান।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আয়োজক প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মো. আব্দুল ওয়াদুদ। মূল প্রবন্ধক ছিলেন বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. আলমগীর হোসেন। প্রধান আলোচক ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (ডিএই) অতিরিক্ত পরিচালক হৃদয়েশ্বর দত্ত। সম্মানিত অতিথি ছিলেন বরিশালের জেলা প্রশাসক মো. জসীম উদ্দীন হায়দার।

বারটানের ঊধর্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. জামাল হোসেনের সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. মাহবুব রব্বানী, ডিএই বরিশালের উপপরিচালক মো. হারুন-অর-রশীদ, আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. গোলাম কিবরিয়া, ডিএই ঝালকাঠির অতিরিক্ত উপপরিচালক মো. অলিউল আলম, বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের ঊধর্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. ছয়েমা খাতুন প্রমুখ।

প্রধান অতিথি মো. আমিন উল আহসান বলেন, স্বাধীনতার আগে এ দেশের ৭ কোটি মানুষের খাবারের অভাব ছিল। এখন ১৮ কোটি হওয়া সত্তে¡ও খাবারের কোনো সংকট নেই। তবে পুষ্টি নিয়ে ভাবনা রয়েছে।

কোন খাবার কতটুকু খেলে চাহিদা পূরণ হবে, এ বিষয়ে বারটানের ভূমিকা গুরুত্বপূুর্ণ। তাই কৃষিসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের সাথে সমন্বের মাধ্যমে পুষ্টির গুণগতমান নিরূপণ করে তা জনগণের কাছে পৌঁেছ দিতে হবে। মানুষ এখন অনেক সচেতন। পুষ্টির পরিমাণ জেনে খাবার খেলে আমাদের পুষ্টির নিরাপত্তা অবশ্যই নিশ্চিত হবে।

সেমিনারে কৃষিসংশ্লিষ্ট সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ৫০ জন কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেন।

প্রকাশ : জুন ১৪, ২০২২ ১০:৩৭ অপরাহ্ন
বরিশালের বাবুগঞ্জে ভেজাল সার সনাক্তকরণ বিষয়ক কৃষক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত
কৃষি বিভাগ

নাহিদ বিন রফিক (বরিশাল): বরিশালের বাবুগঞ্জে সরেজমিনে ভেজাল সার সনাক্তকরণ বিষয়ক কৃষক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ উপজেলার মধ্য রাকুদিয়া কৃষি তথ্য ও যোগাযোগ কেন্দ্রে এসআরডিআই’র বিভাগীয় গবেষণাগারের উদ্যোগে এই প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়। এ উপলক্ষ্যে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের (এসআরডিআই) সদরদপ্তরের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. ছাব্বির হোসেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা কৃষি অফিসার মো. নাসির উদ্দিন। বিশেষ অতিথি ছিলেন আয়োজক প্রতিষ্ঠানের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা একেএম আমিনুল ইসলাম আকন এবং আঞ্চলিক কৃষি তথ্য অফিসার মো. শাহাদাত হোসেন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উধর্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা কাজী আমিনুল ইসলাম, কৃষি তথ্য সার্ভিসের কর্মকর্তা নাহিদ বিন রফিক, সংগঠনের সভাপতি রিতা ব্রহ্ম, কৃষক খোকন হাওলাদার প্রমুখ।

প্রধান অতিথি মো. ছাব্বির হোসেন বলেন, ফসলের আশানুরুপ ফলন পেতে মাটির স্বাস্থ্য ভালো রাখা জরুরি। এ জন্য জমিতে সুষম সার প্রয়োগ করতে হবে। তবে তা যেন হয় ভেজালমুক্ত। মৃত্তিকা গবেষণা ও গবেষণা সুবিধা জোড়দারকরণ প্রকল্পের আওতাধীন এ প্রশিক্ষণে কৃষি উদ্যোক্তা, সার ব্যবসায়ী এবং মাঠ কর্মকর্তাসহ ৩০ জন কৃষক অংশগ্রহণ করেন।

প্রকাশ : জুন ৯, ২০২২ ১১:৪৮ অপরাহ্ন
ঝালকাঠিতে কৃষি আবহাওয়া বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত
কৃষি গবেষনা

নাহিদ বিন রফিক (বরিশাল): ঝালকাঠিতে কৃষি আবহাওয়া তথ্য পদ্ধতি উন্নতকরণ প্রকল্পের রোভিং সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার(৯ জুন) শহরের চড়ইভাতি কমিউনিটি সেন্টারে ডিএই’র উদ্যোগে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এ উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মো. জোহর আলী।

এ উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (ডিএই) উপপরিচালক মো. মনিরুল ইসলাম। মূল প্রবন্ধক হিসেবে ছিলেন পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর মো. মামুন-উর-রশিদ।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার মো. ছায়েব আলী, বরিশাল সদর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান মঈন তালুকদার এবং কাঠালিয়ার উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান মো. বদিউজ্জামান সিকদার।

অতিরিক্ত উপপরিচালক মো. অলিউল আলমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বরিশাল আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বশির আহমেদ হাওলাদার, মৎস্য খামার ব্যবস্থাপনার আব্দুল কুদ্দুস মিয়া, পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারি প্রকৌশলী মো. ওহেদুল ইসলাম, নলছিটির কৃষক রাসেল খান প্রমুখ।
জেলা প্রশাসক মো. জোহর আলী বলেন, কৃষির ওপর আমরা নির্ভরশীল। এর সুরক্ষার কোনো বিকল্প নেই। তাই প্রতিকূলতার হাত থেকে ফসলকে বাঁচাতে সবাইকে সচেষ্ট হতে হবে। এজন্য আবহাওয়াবার্তা অনুসরণ করা জরুরি। এর মাধ্যমে দুর্যোগকে থামাতে পারব না ঠিকই, তবে শস্যের ক্ষতি কমিয়ে আনা সম্ভব হবে।

অনুষ্ঠানে ডিএই, কৃষি তথ্য সার্ভিস, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর, মৎস্য অধিদপ্তর, আবহাওয়া অধিদপ্তর ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা এবং কৃষকসহ ২’শ ৭০ জন অংশগ্রহণকারী উপস্থিত ছিলেন।

 

প্রকাশ : জুন ৯, ২০২২ ৮:২৭ পূর্বাহ্ন
কৃষি উৎপাদন ও খাদ্য নিরাপত্তায় বিশ্ব
কৃষি বিভাগ

গত ১৮ মে জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধাবস্থা দীর্ঘায়িত হলে বিশ্ব দুর্ভিক্ষের কবলে পড়তে পারে। ইউরোপের ‘শস্য ভান্ডার’ বলা হয় ইউক্রেনকে। বিশ্বের খাদ্যশস্যের বড় রপ্তানিকারক রাশিয়া এবং ইউক্রেন। চলমান যুদ্ধের কারণে বৈশ্বিক খাদ্যসংকট তীব্রতর হচ্ছে।

বিশ্ববাজারে গমসহ অনেক খাদ্যশস্যের দাম বেড়ে গেছে। ইতোমধ্যে ভারত গম রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। তাছাড়া বিশ্বের সবচেয়ে বড় সার রপ্তানিকারক দেশ রাশিয়া। যুদ্ধাবস্থা দীর্ঘায়িত হলে বৈশিক বাজারে সারের সংকট দেখা দিতে পারে। বাংলাদেশের মতো জনবহুল দেশকে খাদ্যশস্যের বড় একটা অংশ আমদানি করতে হয়; অন্যদিকে কৃষিতে যে সার দরকার হয়, তার একটি বড় অংশও আমদানির ওপর নির্ভরশীল। কাজেই এ দুটি বিষয় আমাদের কৃষি এবং খাদ্য সরবারহের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে—এটি সহজেই অনুমেয়। তাৎক্ষনিক প্রভাব না পড়লেও সুদূরপ্রসারী নেতিবাচক প্রভাব বিবেচনা করে আমাদের দেশের অভ্যন্তরীণ কৃষি উৎপাদন ব্যবস্থার ওপর জোর দিতে হবে।

প্রথমত, আমরা সার উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ নই। দেশে রাসায়নিক সারের বিপুল চাহিদা থাকায় সার সরবরাহের ক্ষেত্রে আমদানির ওপর নির্ভর করতে হয়। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ আরো কিছুদিন চলতে থাকলে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার ফলে বিশ্ববাজারে সারের দাম বাড়বে। সেজন্য আমাদের অভ্যন্তরীণ সার উৎপাদনের পরিমাণ বাড়াতে হবে। জৈব সারের ব্যবহার বাড়ানোর জন্য কৃষকদের পর্যাপ্ত সহায়তা দিতে হবে। কোনোভাবেই যেন সারের অপচয় না হয়, সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে। তাছাড়া অনেক সময় কৃষকেরা বুঝতে পারেন না কোন জমিতে কতটুকু সার দিতে হয়। তিউনিসিয়া, মরোক্কোসহ যেসব দেশ থেকে আমরা সার আমদানি করে থাকি তাদের সঙ্গে আগে ভাগেই তিন অথবা পাঁচ বছর মেয়াদি চুক্তি করা যেতে পারে, যেন কোনোভাবেই রাসায়নিক সারের সংকটে উৎপাদন ব্যবস্থা ব্যাহত না হয়।

দ্বিতীয়ত, ক্রমেই আমাদের কৃষিজমির পরিমাণ কমছে। আশার কথা হচ্ছে, নতুন নতুন জাতের উদ্ভাবনের ফলে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি পেয়েছে। পূর্বে যে জমিতে ২০ মণ ধান হতো সে জমিতে এখন ৩৫-৪০ মণ ধান হচ্ছে। একই সঙ্গে দুঃখের কথা হচ্ছে, দেশে উদ্ভাবিত উন্নত জাতের ফসলগুলো প্রান্তিক পর্যায়ে কৃষকের কাছে পৌঁছাতে পারেনি। এখনো সনাতন পদ্ধতিতে চাষাবাদ হচ্ছে অনেক জায়গায়। কৃষি জমির পরিমাণ চাইলেই বাড়ানো সম্ভব নয়, তাই উত্পাদনশীলতার ওপর জোর দেওয়া ছাড়া কোনো উপায় নেই। যেহেতু বিশ্বব্যাপী খাদ্যসংকট তীব্রতর হচ্ছে, সেহেতু আমাদের আগে থেকে পদক্ষেপ নিয়ে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনে চেষ্টা করতে হবে। উন্নত জাতের ফসলের বীজ দেশের সর্বস্তরের কৃষকের কাছে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। ২০২১-২২ অর্থবছরে কৃষিখাতে মোট ভর্তুকির পরিমাণ ছিল ৯ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। আসন্ন বাজেটে কৃষি খাতে প্রণোদনা আরো বাড়াতে পারলে ভালো হবে।

মোটকথা, কৃষিসেবা জোরদার করতে হবে। কৃষি প্রণোদনা বাড়াতে হবে। কৃষকের দোর গোড়ায় কৃষিসেবা পৌছাতে হবে। ফসলের ন্যায্য দাম নিশ্চিত করতে হবে। মাঠ পর্যায়ে কৃষি কর্মকর্তারা দায়িত্ব সহকারে কাজ করছেন কি না, তা নিশ্চিত করতে হবে। সেবা পেতে অসুবিধা হলে হট লাইন নম্বরে কল করে অভিযোগ জানানোর সুযোগ রাখতে হবে। ভুলে গেলে চলবে না, জিডিপিতে কৃষি খাতের অবদান কমছে, অথচ দেশের ১৮০ মিলিয়ন লোকের খাদ্য সরবারহ করছে কৃষি। তাই আমাদের কৃষির ওপর জোর দিতে হবে। কোনোভাবেই যেন আমাদের খাদ্যসংকটের মুখোমুখি হতে না হয়। সময়ের এক ফোঁড়, অসময়ে দশ ফোঁড়। কাজেই যা করার এখনই করতে হবে।

মো. শহীদুল ইসলাম
লেখক :শিক্ষার্থী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
সূত্র:ইত্তেফাক

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop