৮:০৬ অপরাহ্ন

সোমবার, ২০ মে , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : জুলাই ৩, ২০২২ ১০:৫৭ অপরাহ্ন
দেশীয় গরুতে কোরবানির জন্য শতভাগ প্রস্তুত প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়
প্রাণিসম্পদ

আগামী ১০ ই জিলহজ পালিত হবে মুসলিমদের বড় দুটি ধর্মীয় উৎসবের মাঝে অন্যতম উৎসব ঈদুল আযহা বা কোরবানির ঈদ। এই ঈদের অন্যতম মহত্ব হলো পশু কোরবানি দেওয়া। আর এবারের ঈদে শতভাগ দেশীয় পশু দিয়ে কোরবানি উদযাপন করার জন্য প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছেন প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।

জানা যায়, এ বছর ১ কোটি ২১ লাখ ২৪ হাজার ৩৮৯টি কোরবানিযোগ্য পশু প্রস্তুত রয়েছে দেশের খামারি ও গৃহস্থদের কাছে। আর কোরবানির সম্ভাব্য চাহিদা ধরা হয়েছে ৯৭ লাখ ৭৫ হাজার ২৩৫টি। গত বছর তথা ২০২১ সালে কোরবানি করা হয়েছে ৯০ লাখ ৯৩ হাজার ২৪২টি পশু। সে তুলনায় এবার ৬ লাখ ৯১ হাজার ৯৯৩টি পশু বেশি রয়েছে।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম জানান, এবার দেশে কোরবানির পশুর চেয়েও অতিরিক্ত পশু রয়েছে। যা চাহিদার চেয়ে অনেক বেশি। কোরবানি দেওয়ার পরও পর্যাপ্ত পশু থেকে যাবে বলে জানান তিনি।

তিনি বলেন, পদ্মা সেতু নির্মাণ হওয়ায় অর্থনৈতিক উন্নয়নে নতুন দিগন্ত উন্মোচন হয়েছে। যার ইতিবাচক প্রভাব এবার কোরবানিতে পড়বে। এক সময় কোরবানির পশু নিয়ে ফেরিঘাটে এসে দুই-তিনদিনও অপেক্ষা করতে হতো। পদ্মা সেতু দিয়ে যারা ঢাকা ও দেশের অন্যান্য জায়গায় কোরবানির পশু নিয়ে আসবেন তাদের জন্য পশু পরিবহনের ক্ষেত্রে অভাবনীয় সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। দেশের প্রান্তিক পর্যায় থেকে ঢাকা বা ঢাকা থেকে অন্যত্র পশু পারাপারে এখন ফেরি পার না হলেও চলে।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম আরও বলেন, পদ্মা সেতুর কারণে কোরবানির পশু পারাপার সহজ হয়েছে। পথে অনেক সময় পশু ক্লান্ত হয়ে অসুস্থ হয়ে যেত, অনেক সময় মারাও যেত, সে অবস্থা থেকে পরিত্রাণ হয়েছে। এটা খামারি, বিপণনকারী ও ভোক্তাদের জন্য সুযোগ সৃষ্টি করেছে। এভাবে পদ্মা সেতু কোরবানির আয়োজনে অকল্পনীয় সুযোগ করে দিয়েছে।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে গত কয়েক বছর দেশের কোরবানির চাহিদা অনেকটা কমে গিয়েছে। বিশেষ করে ২০২০ এবং ২০২১ সালে কোরবানি গত কয়েক বছরের তুলনায় অনেকটা কম হয়েছে। ২০২০ সালে দেশে কোরবানি হয় মাত্র ৯৪ লাখ ৫০ হাজার ২৬৩টি পশু। ২০২১ সালে তা আরও কমে কোরবানি হওয়া পশুর সংখ্যা কমে ৯০ লাখ ৯২ হাজার ২৪২টি নেমে আসে।

প্রকাশ : জুলাই ১, ২০২২ ২:১০ অপরাহ্ন
কোরবানির জন্য ৪ লাখ গরু প্রস্তুত করছেন সিরাজগঞ্জের খামারিরা
প্রাণিসম্পদ

ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে সিরাজগঞ্জের ৯টি উপজেলার ১৫ হাজার খামারে চলছে গবাদিপশু মোটাতাজা করণের কাজ।

করোনার প্রভাবে গত দুই বছর আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হলেও এ বছর ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার স্বপ্ন দেখছেন তারা। জেলায় প্রায় ৪ লাখ গরু কোরবানির জন্য প্রস্তুত করেছেন স্থানীয় খামারিরা।

জেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, জেলায় ১৫ হাজার বাণিজ্যিক খামার ও ব্যক্তিগতভাবে এই গবাদিপশুগুলো প্রস্তুুত করা হয়েছে। সেই সঙ্গে বাড়তি লাভের আশায় অনেকেই কোরবানির ৫ থেকে ৬ মাস আগেই গরু লালন-পালন শুরু করেন। কোরবানি উপলক্ষে জেলায় ৩ লাখ ৯১ হাজার গবাদিপশু প্রস্তুত রয়েছে।

এবছর জেলায় প্রায় আড়াই লাখ গবাদিপশুর চাহিদা রয়েছে। বাকি পশু ঢাকা, চট্টগ্রাম, নারায়নগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় বিক্রির জন্য পাঠানো হবে বলে খামারিদের সূত্রে জানা গেছে।

সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, জেলায় খামারি আছেন ১৫ হাজার। এই খামারগুলোতে দেশি, শাহিওয়াল ও ফ্রিজিয়ানসহ বিভিন্ন জাতের গরু লালন-পালন করা হচ্ছে। গত দুই বছর করোনা মহামারির কারণে প্রত্যেক খামারি কয়েক লাখ টাকা করে লোকসান গুনেছেন। এবার করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় সেই লোকসান কিছুটা পুষিয়ে নেওয়ার চিন্তা করছেন খামারিরা। তবে গো-খাদ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন তারা। এতে গবাদি পশু পালনে খরচ বেড়েছে।

খামারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ৩ মাস আগে ৪০ কেজি ভুষির মূল্য ছিল ১৩শ থেকে ১৪শ টাকা। এখন সেই ভুষি কিনতে হচ্ছে ১ হাজার ৭৫০ থেকে ১ হাজার ৮০০ টাকায়। আর খৈলের ৪০ কেজি বস্তার বাজারদর আগে ছিল ১৪শ থেকে ১৫শ টাকা। এখন খৈলের বস্তার দাম ২ হাজার টাকা।

প্রকাশ : মে ২৩, ২০২২ ১১:৪০ পূর্বাহ্ন
গরু মোটাতাজা করতে খামারিরা যা করবেন
প্রাণিসম্পদ

গরু পালন লাভজনক হওয়াতে এখন আমাদের দেশের অনেকেই গরুর খামার করার প্রতি ঝুঁকছেন। তবে, এই গরু যদি হয় আরেকটু মোটাতাজা তাহলে আর কথা ই নাই। আর এর জন্য দরকার গরুর সুষম খাদ্য। আর সুষম খাদ্য প্রয়োগে আপনি আরো লাভবান হতে পারেন গরু পালনে।

খামারে গরু মোটাতাজাকরণে যেসকল আমিষ খাবার আপনার গরুকে খাওয়াবেন:

শুকনা খড়: ২ বছর বয়সের গরুর জন্য দৈহিক ওজনের শতকরা ৩ ভাগ এবং এর অধিক বয়সের গরুর জন্য শতকরা ২ ভাগ শুকনা খড় ২ থেকে ৩ ইঞ্চি করে কেটে এক রাত লালীগুড়-চিটাগুড় মিশ্রিত পানিতে ভিজিয়ে সরবরাহ করতে হবে।

কাঁচা ঘাস: গরুকে প্রতিদিন ৬ থেকে ৮ কেজি কাঁচা ঘাস বা শস্য জাতীয় তাজা উদ্ভিদের উপজাত দ্রব্য যেমন- নেপিয়ার, পারা, জার্মান, দেশজ মাটি কলাই, খেসারি, দুর্বা ইত্যাদি খাওয়াতে হবে।

দানাদার খাদ্য: গরুকে প্রত্যেক দিন কমপক্ষে ১ থেকে ২ কেজি দানাদার খাদ্য সরবরাহ করতে হবে। নিচে ১০০ কেজি দানাদার খাদ্যের তালিকা দেয়া হলো- গম ভাঙা-গমের ভুসি ৪০ কেজি চালের কুঁড়া ২৩.৫ কেজি খেসারি বা যে কোনো ডালের ভুসি ১৫ কেজি তিলের খৈল-সরিষার খৈল ২০ কেজি লবণ ১.৫ কেজি। উল্লিখিত তালিকা ছাড়াও বাজারে প্রাপ্ত ভিটামিন মিনারেল মিশ্রণ ১% হারে খাওয়াতে হবে।

১৫০ কেজি ওজনের গবাদিপশুর খাদ্য তালিকা: খড় = ৩ কেজি কাঁচা ঘাস = ৫-৬ কেজি দানাদার খাদ্যের মিশ্রন = ১.৫-২ কেজি চিটাগুড় = ৫০০ গ্রাম ইউরিয়া = ৪৫ গ্রাম (নিয়মানুয়ায়ী) লবন = ৩৫ গ্রাম।

১০০ কেজি দৈহিক ওজনের গবাদিপশুর খাদ্য তালিকা: ধানের খড় = ২ কেজি সবুজ ঘাস = ২ কেজি (ঘাস না থাকলে খড় ব্যবহার করতে হবে দানদার খাদ্যে মিশ্রন = ১.২-২.৫ কেজি ইউরিয়া = ৩৫ গ্রাম (নিয়মানুযায়ী) চিটাগুড়া = ২০০-৪০০ গ্রাম লবণ = ২৫ গ্রাম দানাদার খাদ্যের সাথে লবন, ইউরিয়া, চিটাগুড় এক সাথে মিশিয়ে দিনে ২ বার দিতে হবে। ধানের খড় এবং কাঁচা ঘাস ছোট ছোট করে কেটে এক সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়ালে ভালো ফল পাওয়া যায়।

কৃমিমুক্তকরণ ও টিকা প্রদান: গরুকে ডাক্তারের নির্দেশনা মত কৃমির ওষুধ খাওয়াতে হবে। নতুন গরু সংগ্রহের পর পরই পালের সব গরুকে একসঙ্গে কৃমিমুক্ত করা উচিত। এক্ষেত্রে প্রতি ৭৫ কেজি দৈহিক ওজনের জন্য ১ টি করে এনডেক্স বা এন্টিওয়ার্ম ট্যাবলেট ব্যবহার করা যেতে পারে।

পূর্ব থেকে টিকা না দেয়া থাকলে খামারে আনার পর পরই সব গরুকে তড়কা, বাদলা ও ক্ষুরা রোগের টিকা দিতে হবে। এ ব্যাপারে নিকটস্থ পশু হাসপাতালে যোগাযোগ করতে হবে।

ঘর তৈরি ও আবাসন ব্যবস্থাপনা: আমদের দেশের অধিকাংশ খামারী ২/৩ টি পশু মোটাতাজা করে থাকে, যার জন্য সাধারণত আধুনিক শেড করার প্রয়োজন পড়ে না। তবে যে ধরনের ঘরেই গরু রাখা হোক, ঘরের মধ্যে পর্যন্ত আলো ও বায়ু চলাচলের ব্যবস্থা থাকতে হবে। ঘরের মল- মূত্র ও অন্যান্য আবর্জনা যাতে সহজেই পরিষ্কার করা যায়, সে দিকে খেয়াল রেখে ঘরে তৈরি করতে হবে।

প্রকাশ : মে ১৮, ২০২২ ১০:৫৫ অপরাহ্ন
গো খাদ্যের দাম বাড়ায় গরুর খাবার কমাতে বাধ্য হচ্ছেন চাষিরা
প্রাণিসম্পদ

‘যেভাবে গো-খাদ্যের দাম বাড়ছে তাতে আর গরু পালন করা সম্ভব হবে না হয়ত। খামারের গরুগুলোকে এক মাস আগে যে খাবার দিয়েছি এখন তার অর্ধেক পরিমাণে দিচ্ছি। এতে গরু কাহিল হলেও আমার আর কিছুই করার নেই।’ কথাগুলো আক্ষেপ করে বলছিলেন পাবনার ফরিদুপর উপজেলার রতনপুর গ্রামের খামারি হযরত আলী।

তিনি বলেন, ১৫ দিন আগে ৩৫ কেজি ওজনের গমের ছালের দাম ছিল এক হাজার ১১শ’ টাকা সে ছালের দাম হয়েছে ১৯শ’ টাকা।

গো-খাদ্যের দাম লাগামহীনভাবে বেড়ে চলায় তার মতো উদ্বিগ্ন বহু খামারি বা ছোট কৃষক পরিবার। গরু-মহিষের খাদ্য চাহিদা মেটাতে পানিতে ভাসমান কচুরিপানার ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ছেন অনেকেই। তারা আসন্ন বাজেটে গো-খাদ্যের দাম কম রাখতে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।

চাষিরা জানান, ছয়মাস আগে একবস্তা ভালোমানের গমের ছাল বিক্রি হয়েছে ১২০০-১২৫০ টাকায়। যা এক বছর আগে ছিল ৯৫০-১০০০ টাকা। একইভাবে ছয় মাস আগে মাসকলাইয়ের ভুসির বস্তা বিক্রি হচ্ছে ১৪০০-১৪৫০ টাকায়। এক বছর আগে ছিল ১১০০-১২০০ টাকা। এক বছর আগে এক বস্তা খৈল বিক্রি হয়েছে ২৫০০-২৬০০ টাকায়। এখন দাম বেড়ে হয়েছে ৩৩শ’-৩৪শ’ টাকা। ছয়মাস আগে ডালের ভুসির বস্তা (৩৫ কেজি) ছিল ১২শ’ টাকা, অ্যাংকর ডালের ভুসি ৮শ’ টাকা মণ দরে বিক্রি হয়েছে। এরপরও ধীরে ধীরে গো-খাদ্যের দাম বাড়ছিল। কিন্তু গত ১৫ দিনে দাম বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে।

খামারি হযরত আলী জানান, খামারের পাশাপাশি গো-খাদ্যের ব্যবসা করি। মিল মালিকদের কাছ থেকে যে দরে খাবার কিনে আনি সে দর চাইতেই ভয় বা লজ্জা লাগে।

তিনি জানান, ছোট চাষিরা গো-খাদ্য কিনতেই পারছেন না। অনেক গো-খাদ্য বাজারে পাওয়া যাচ্ছে না। তার মতো অনেকেই গরুকে ঠিকমতো খাবার দিতে পারছেন না। বাধ্য হয়ে কচুরিপানা অথবা খুদের (ভাঙা চাল) ভাত খাওয়াচ্ছেন।

হযরত আলী জানান, ধানের খড়ের দামও বেশি। ছয়শ টাকা মণ দরে খড় কিনতে হচ্ছে। খড়ের মণ হয় ৩০ কেজিতে। প্রতি শতাংশ জমির জাম্বু ঘাস কিনতে হচ্ছে ৩০০ টাকা দরে, প্রতি শতাংশ জমির নেপিয়ার ঘাস ৪০০শ’ টাকা দরে কিনতে হচ্ছে। গো-খাদ্যের দাম কমানো না হলে কিংবা খামারিদের ভর্তুকি মূল্যে গো-খাদ্য না দিলে খামার রাখা অসম্ভব হয়ে উঠবে বলে জানান।

বাংলাদেশ দুগ্ধ উৎপাদনকারী সমবায় ইউনিয়নের (মিল্কভিটা) সাবেক সভাপতি হাসিব খাঁন তরুণ জানান, বৃহত্তর পাবনা জেলায় সমিতিভুক্ত মোট সদস্যের সংখ্যা ৫০ হাজার। তারা গাভী পালন করেন। গো খাদ্যের দাম বাড়ায় তারাসহ অন্য খামারি ও চাষিরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।

অনেক খামারি বলছেন, এখন একটু নিচুমানের বা মোটা চালের চেয়ে ভুসি ও খৈলের দাম বেশি। তাই খরচ বাঁচানোর জন্য বাধ্য হয়ে গরুকে ভাত খাওয়াতে হচ্ছে। এরকম গো-খাদ্যের দাম বাড়তে থাকলে বাধ্য হয়ে গরু বিক্রি করে দিতে হবে।

গো-খাদ্যের সংকটের কারণে স্থানীয় খড় ব্যবসায়ীরা বোরো ধানের খড় রাজশাহী, যশোর, কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহসহ দেশের উঁচু এলাকার জেলাগুলো থেকে কিনে সড়ক ও নৌ পথে এনে খড়ের আড়তদার, কৃষক ও খামারিদের কাছে বেশি দামে বিক্রি করছেন। বর্তমানে এ অঞ্চলে প্রতি মণ বোরো ধানের খড় প্রায় ৬শ’ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

অপরদিকে ভাটি এলাকার মহাজনরা এই এলাকা থেকে উচ্চ দামে গো-খাদ্য কিনে ভাটি এলাকায় নিয়ে গিয়ে আরও বেশি দামে বিক্রি করছেন। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন খামার ও গবাদি পশুর মালিকরা।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে পাবনা জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. আল- মামুন হোসেন জানান, পাবনায় কাচা ঘাসের প্রাচুর্য রয়েছে। এজন্য সংকট প্রকট আকার ধারণ করবে না। চাষিদের দানাদার খাদ্যের চেয়ে এখন কাঁচা ঘাস খাওয়ানোর পরামর্শ দেন তিনি।

প্রকাশ : মে ৪, ২০২২ ২:৩২ অপরাহ্ন
বাছুরের ডায়রিয়া দেখা দিলে খামারির করণীয়
প্রাণিসম্পদ

আমাদের দেশের গ্রামাঞ্চল থেকে শুরু করে এখন শহরেও দেখা মিলে অনেক গরুর খামার। আর গরু পালন করতে গিয়ে খামারিরা নানাবিধ সমস্যায় পড়ছেন। অনেক সময় বাছুরের ডায়রিয়া রোগ দেখা দিয়ে থাকে। আর তখন একজন খামারিকে কি করতে হবে সেটা জানা উচিত।

বাছুরের ডায়রিয়া সমস্যায় খামারিদের করণীয়ঃ

বাছুরের তীব্র ডায়রিয়ার কারণ:
বাছুরকে অতিরিক্ত ফ্যাটযুক্ত দুধ খাওয়ানো, অতিরিক্ত দুধ খাওয়ানো বা খেয়ে ফেলা, খাবারের পাত্র এবং ফিডার নোংরা বা ময়লা হলে, বাছুর কৃমিতে আক্রান্ত হলে, শাল দুধের গুণাগুণ ভাল না হলে, বাছুরের থাকার জায়গাটা নোংরা, স্যাঁতসেঁতে হলে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ হলে।

বাছুরের এই তীব্র ডায়রিয়ায় খামারি যা করবে:
ডায়রিয়া দেখার সাথে সাথে আলাদা করে শুকনা পরিষ্কার জায়গায় রাখতে হবে বাছুরকে।খাবারের পাত্র এবং ফিডার বোতল পরিষ্কার করে খাওয়াতে হবে। বাছুরকে তার বড়ি ওয়েটের ১০% দুধ খাওয়াবেন অর্থাৎ ৪০ কেজি ওজনের বাচ্ছাকে দুধ খাওয়াবেন ৪ লিটার। শালদুধের গুণাগুণ পরিমাপ করে দেখতে হবে। ডায়রিয়া দেখার সাথে সাথেই স্যালাইন খাওয়াতে হবে দিনে ৩ বার ২৫০ মিলি করে।

প্রকাশ : এপ্রিল ২৯, ২০২২ ১১:৩২ পূর্বাহ্ন
১টি বাদামী ডিমে খামারিদের লাভ লোকসানের হিসাব
পোলট্রি

ডিম একটি সহজলভ্য ও উন্নতমানের আমিষজাতীয় খাদ্য; যাতে রয়েছে প্রাকৃতিক ভিটামিন, যা দেহগঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সব ধরনের ডিমে রয়েছে অতি মূল্যবান ওমেগা-৩, যা হৃৎপিণ্ডকে কার্যকর রাখতে সাহায্য করে। তাই সুস্থ থাকতে হলে একজন মানুষকে নিয়মিত ১ টি করে ডিম খাওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। কিন্তু সেই ১টি মুরগির ডিম উৎপাদনের জন্য একজন খামারিকে প্রচুর অর্থ ব্যয় করতে হয়। সাধারণ জনগণ মনে করেন মুরগির ডিম উৎপাদন করে খামারিরা প্রচুর লাভ করে থাকেন। বর্তমান বাজারমূল্যে আসলেই কি মুরগির ডিম উৎপাদন করে একজন খামারি লাভ করতে পারেন? চলুন দেখে নেয়া যাক-

বর্তমানে ১টি বাদামী ডিমে খামারিদের লাভ লোকসানের হিসাব

হিসাব মিলিয়ে নিন প্রতি ডিমে (বাদামি) খরচ:


১) প্রতি ডিমে খাদ্য বাবত খরচ= ৫.৬৪ টাকা
২) প্রতি ডিমে পুলেট বাবত প্রতি ডিমে খরচ= ১.৯২
৩)প্রতি ডিমে দৈনিক অন্যান্য খরচ = ০.৪২ টাকা
৪) প্রতি ডিমে পরিবহন,ডিম নষ্ট/বাতিল/ভাঙা= ০.১২ টাকা
৫)প্রতি ডিমে খাঁচা বাবত (ডিপ্রিসিয়েশন) = ০.০৭ টাকা
৬) প্রতি ডিমে ঘর বাবত ( ডিপ্রিসিয়েশন) = ০.১৮ টাকা

=================================

বর্তমানে প্রতি বাদামি ডিমে উৎপাদন খরচ = ৮.৩৫ টাকা

১টি বাদামী ডিমের খামারিদের বিক্রয় মূল্য- ৬.৮০ টাকা


বিস্তারিত বিশ্লেষণ –

১ টি ডিম উৎপাদনে মুরগী প্রতি খাবার লাগে ১১৫ গ্রাম
১ কেজি খাবারের বর্তমান দাম ৪৯ টাকা
১ টা ডিম উৎপাদনে খাবার বাবত খরচ = ৫.৬৪ টাকা

প্রতিটি ডিম উৎপাদনে ( ভিটামিন মেডিসিন বিদ্যুৎ কর্মচারী বেতন ইত্যাদি বাবত) খরচ ০.৪২ টাকা

★★★ রোগ বালাই মৃত্যুহার বেশি, ডিমের পার্সেন্টেজ কম হলে খরচ আরো বেশি হবে।

ডিম পাড়ার আগে পর্যন্ত একটি পুলেট রেডি হতে বর্তমান বাজারে ৫৩০ টাকা খরচ হয়। এই টাকা/খরচ যদি প্রতি ডিমে ধরা হয় ( প্রতি মুরগী কাল করার আগ পর্যন্ত যদি ২৮০টি ডিম দেয়) পুলেট বাবত প্রতি ডিমে খরচ হয় ১.৯০ টাকা। পরিবহন, ডিম নষ্ট /বাতিল/ভাঙা ইত্যাদি হিসাব করলে প্রতি ডিমে খরচ ০.১২ টাকা যোগ হয়

খাঁচা বাবত প্রতি মুরগী তে ২০০ টাকা খরচ। যদি হিসাব করা হয় এই খাঁচার মেয়াদ ১০ বছর, তাহলে প্রতিবছর ২০ টাকা ( ডিপ্রিসিয়েশন), যদি বছরে ২৮০ ডিম পাড়ে একটি মুরগী তাহলে প্রতি ডিমে খাঁচার জন্য খরচ ০.০৭ টাকা ১০০০ মুরগির ঘর বানাতে যদি ৫০০০০০ টাকা খরচ হয় ( ঘরের মেয়াদ যদি ১০ বছর ধরা হয়) তাহলে প্রতি ডিমে ঘরের জন্য খরচ ০.১৮ টাকা।

এবার সরাসরি হিসাব মিলাই:


বিঃ দ্রঃ মৃত্যুহার, রোগবালাই এর জন্য চিকিৎসা ও খাদ্যের দাম যদি আরো বাড়ে, ডিম উৎপাদনের হার যদি কাংখিত % না পাওয়া যায় তাহলে উৎপাদন খরচ আরো বাড়বে। এবার একজন খামারি ভাবুন কত দামে একটি বাদামি ডিম বিক্রি করলে আপনি লাভ করতে পারবেন?

বর্তমানে পৃথিবীর সব দেশে ডিমের দাম অনেক বেশি কিন্তু আমাদের দেশে ফিডের দাম বাড়ে আর মুরগী পালনের জন্য দরকারী সব কিছুর দামে বাড়ে, ডিমের দাম বাড়ে না। খামার আর কয় দিন খামারী চালু রাখতে পারবে? কারো উত্তর জানা আছে??

 

লেখকঃ অঞ্জন মজুমদার
সমন্বয়ক, পোল্ট্রি প্রফেশনালস বাংলাদেশ (পিপিবি)

প্রকাশ : এপ্রিল ১১, ২০২২ ২:৩৩ অপরাহ্ন
১টি বাদামী ডিমে খামারিদের লাভ লোকসানের হিসাব
পোলট্রি

ডিম একটি সহজলভ্য ও উন্নতমানের আমিষজাতীয় খাদ্য; যাতে রয়েছে প্রাকৃতিক ভিটামিন, যা দেহগঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সব ধরনের ডিমে রয়েছে অতি মূল্যবান ওমেগা-৩, যা হৃৎপিণ্ডকে কার্যকর রাখতে সাহায্য করে। তাই সুস্থ থাকতে হলে একজন মানুষকে নিয়মিত ১ টি করে ডিম খাওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। কিন্তু সেই ১টি মুরগির ডিম উৎপাদনের জন্য একজন খামারিকে প্রচুর অর্থ ব্যয় করতে হয়। সাধারণ জনগণ মনে করেন মুরগির ডিম উৎপাদন করে খামারিরা প্রচুর লাভ করে থাকেন। বর্তমান বাজারমূল্যে আসলেই কি মুরগির ডিম উৎপাদন করে একজন খামারি লাভ করতে পারেন? চলুন দেখে নেয়া যাক-

বর্তমানে ১টি বাদামী ডিমে খামারিদের লাভ লোকসানের হিসাব

হিসাব মিলিয়ে নিন প্রতি ডিমে (বাদামি) খরচ:


১) প্রতি ডিমে খাদ্য বাবত খরচ= ৫.৬৪ টাকা
২) প্রতি ডিমে পুলেট বাবত প্রতি ডিমে খরচ= ১.৯২
৩)প্রতি ডিমে দৈনিক অন্যান্য খরচ = ০.৪২ টাকা
৪) প্রতি ডিমে পরিবহন,ডিম নষ্ট/বাতিল/ভাঙা= ০.১২ টাকা
৫)প্রতি ডিমে খাঁচা বাবত (ডিপ্রিসিয়েশন) = ০.০৭ টাকা
৬) প্রতি ডিমে ঘর বাবত ( ডিপ্রিসিয়েশন) = ০.১৮ টাকা

=================================

বর্তমানে প্রতি বাদামি ডিমে উৎপাদন খরচ = ৮.৩৫ টাকা

১টি বাদামী ডিমের খামারিদের বিক্রয় মূল্য- ৬.৮০ টাকা


বিস্তারিত বিশ্লেষণ –

১ টি ডিম উৎপাদনে মুরগী প্রতি খাবার লাগে ১১৫ গ্রাম
১ কেজি খাবারের বর্তমান দাম ৪৯ টাকা
১ টা ডিম উৎপাদনে খাবার বাবত খরচ = ৫.৬৪ টাকা

প্রতিটি ডিম উৎপাদনে ( ভিটামিন মেডিসিন বিদ্যুৎ কর্মচারী বেতন ইত্যাদি বাবত) খরচ ০.৪২ টাকা

★★★ রোগ বালাই মৃত্যুহার বেশি, ডিমের পার্সেন্টেজ কম হলে খরচ আরো বেশি হবে।

ডিম পাড়ার আগে পর্যন্ত একটি পুলেট রেডি হতে বর্তমান বাজারে ৫৩০ টাকা খরচ হয়। এই টাকা/খরচ যদি প্রতি ডিমে ধরা হয় ( প্রতি মুরগী কাল করার আগ পর্যন্ত যদি ২৮০টি ডিম দেয়) পুলেট বাবত প্রতি ডিমে খরচ হয় ১.৯০ টাকা। পরিবহন, ডিম নষ্ট /বাতিল/ভাঙা ইত্যাদি হিসাব করলে প্রতি ডিমে খরচ ০.১২ টাকা যোগ হয়

খাঁচা বাবত প্রতি মুরগী তে ২০০ টাকা খরচ। যদি হিসাব করা হয় এই খাঁচার মেয়াদ ১০ বছর, তাহলে প্রতিবছর ২০ টাকা ( ডিপ্রিসিয়েশন), যদি বছরে ২৮০ ডিম পাড়ে একটি মুরগী তাহলে প্রতি ডিমে খাঁচার জন্য খরচ ০.০৭ টাকা ১০০০ মুরগির ঘর বানাতে যদি ৫০০০০০ টাকা খরচ হয় ( ঘরের মেয়াদ যদি ১০ বছর ধরা হয়) তাহলে প্রতি ডিমে ঘরের জন্য খরচ ০.১৮ টাকা।

এবার সরাসরি হিসাব মিলাই:


বিঃ দ্রঃ মৃত্যুহার, রোগবালাই এর জন্য চিকিৎসা ও খাদ্যের দাম যদি আরো বাড়ে, ডিম উৎপাদনের হার যদি কাংখিত % না পাওয়া যায় তাহলে উৎপাদন খরচ আরো বাড়বে। এবার একজন খামারি ভাবুন কত দামে একটি বাদামি ডিম বিক্রি করলে আপনি লাভ করতে পারবেন?

বর্তমানে পৃথিবীর সব দেশে ডিমের দাম অনেক বেশি কিন্তু আমাদের দেশে ফিডের দাম বাড়ে আর মুরগী পালনের জন্য দরকারী সব কিছুর দামে বাড়ে, ডিমের দাম বাড়ে না। খামার আর কয় দিন খামারী চালু রাখতে পারবে? কারো উত্তর জানা আছে??

লেখকঃ অঞ্জন মজুমদার
সমন্বয়ক, পোল্ট্রি প্রফেশনালস বাংলাদেশ (পিপিবি)

প্রকাশ : এপ্রিল ১, ২০২২ ৩:৪১ অপরাহ্ন
গরু মোটাতাজা করতে খামারিরা যা করবেন
ডেইরী

গরু পালন লাভজনক হওয়াতে এখন আমাদের দেশের অনেকেই গরুর খামার করার প্রতি ঝুঁকছেন। তবে, এই গরু যদি হয় আরেকটু মোটাতাজা তাহলে আর কথা ই নাই। আর এর জন্য দরকার গরুর সুষম খাদ্য। আর সুষম খাদ্য প্রয়োগে আপনি আরো লাভবান হতে পারেন গরু পালনে।

খামারে গরু মোটাতাজাকরণে যেসকল আমিষ খাবার আপনার গরুকে খাওয়াবেন:

শুকনা খড়: ২ বছর বয়সের গরুর জন্য দৈহিক ওজনের শতকরা ৩ ভাগ এবং এর অধিক বয়সের গরুর জন্য শতকরা ২ ভাগ শুকনা খড় ২ থেকে ৩ ইঞ্চি করে কেটে এক রাত লালীগুড়-চিটাগুড় মিশ্রিত পানিতে ভিজিয়ে সরবরাহ করতে হবে।

কাঁচা ঘাস: গরুকে প্রতিদিন ৬ থেকে ৮ কেজি কাঁচা ঘাস বা শস্য জাতীয় তাজা উদ্ভিদের উপজাত দ্রব্য যেমন- নেপিয়ার, পারা, জার্মান, দেশজ মাটি কলাই, খেসারি, দুর্বা ইত্যাদি খাওয়াতে হবে।

দানাদার খাদ্য: গরুকে প্রত্যেক দিন কমপক্ষে ১ থেকে ২ কেজি দানাদার খাদ্য সরবরাহ করতে হবে। নিচে ১০০ কেজি দানাদার খাদ্যের তালিকা দেয়া হলো- গম ভাঙা-গমের ভুসি ৪০ কেজি চালের কুঁড়া ২৩.৫ কেজি খেসারি বা যে কোনো ডালের ভুসি ১৫ কেজি তিলের খৈল-সরিষার খৈল ২০ কেজি লবণ ১.৫ কেজি। উল্লিখিত তালিকা ছাড়াও বাজারে প্রাপ্ত ভিটামিন মিনারেল মিশ্রণ ১% হারে খাওয়াতে হবে।

১৫০ কেজি ওজনের গবাদিপশুর খাদ্য তালিকা: খড় = ৩ কেজি কাঁচা ঘাস = ৫-৬ কেজি দানাদার খাদ্যের মিশ্রন = ১.৫-২ কেজি চিটাগুড় = ৫০০ গ্রাম ইউরিয়া = ৪৫ গ্রাম (নিয়মানুয়ায়ী) লবন = ৩৫ গ্রাম।

১০০ কেজি দৈহিক ওজনের গবাদিপশুর খাদ্য তালিকা: ধানের খড় = ২ কেজি সবুজ ঘাস = ২ কেজি (ঘাস না থাকলে খড় ব্যবহার করতে হবে দানদার খাদ্যে মিশ্রন = ১.২-২.৫ কেজি ইউরিয়া = ৩৫ গ্রাম (নিয়মানুযায়ী) চিটাগুড়া = ২০০-৪০০ গ্রাম লবণ = ২৫ গ্রাম দানাদার খাদ্যের সাথে লবন, ইউরিয়া, চিটাগুড় এক সাথে মিশিয়ে দিনে ২ বার দিতে হবে। ধানের খড় এবং কাঁচা ঘাস ছোট ছোট করে কেটে এক সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়ালে ভালো ফল পাওয়া যায়।

কৃমিমুক্তকরণ ও টিকা প্রদান: গরুকে ডাক্তারের নির্দেশনা মত কৃমির ওষুধ খাওয়াতে হবে। নতুন গরু সংগ্রহের পর পরই পালের সব গরুকে একসঙ্গে কৃমিমুক্ত করা উচিত। এক্ষেত্রে প্রতি ৭৫ কেজি দৈহিক ওজনের জন্য ১ টি করে এনডেক্স বা এন্টিওয়ার্ম ট্যাবলেট ব্যবহার করা যেতে পারে।

পূর্ব থেকে টিকা না দেয়া থাকলে খামারে আনার পর পরই সব গরুকে তড়কা, বাদলা ও ক্ষুরা রোগের টিকা দিতে হবে। এ ব্যাপারে নিকটস্থ পশু হাসপাতালে যোগাযোগ করতে হবে।

ঘর তৈরি ও আবাসন ব্যবস্থাপনা: আমদের দেশের অধিকাংশ খামারী ২/৩ টি পশু মোটাতাজা করে থাকে, যার জন্য সাধারণত আধুনিক শেড করার প্রয়োজন পড়ে না। তবে যে ধরনের ঘরেই গরু রাখা হোক, ঘরের মধ্যে পর্যন্ত আলো ও বায়ু চলাচলের ব্যবস্থা থাকতে হবে। ঘরের মল- মূত্র ও অন্যান্য আবর্জনা যাতে সহজেই পরিষ্কার করা যায়, সে দিকে খেয়াল রেখে ঘরে তৈরি করতে হবে।

প্রকাশ : মার্চ ২২, ২০২২ ৪:২৫ অপরাহ্ন
বাছুরের ডায়রিয়া দেখা দিলে খামারির করণীয়
প্রাণিসম্পদ

আমাদের দেশের গ্রামাঞ্চল থেকে শুরু করে এখন শহরেও দেখা মিলে অনেক গরুর খামার। আর গরু পালন করতে গিয়ে খামারিরা নানাবিধ সমস্যায় পড়ছেন। অনেক সময় বাছুরের ডায়রিয়া রোগ দেখা দিয়ে থাকে। আর তখন একজন খামারিকে কি করতে হবে সেটা জানা উচিত।

বাছুরের ডায়রিয়া সমস্যায় খামারিদের করণীয়ঃ

বাছুরের তীব্র ডায়রিয়ার কারণ:
বাছুরকে অতিরিক্ত ফ্যাটযুক্ত দুধ খাওয়ানো, অতিরিক্ত দুধ খাওয়ানো বা খেয়ে ফেলা, খাবারের পাত্র এবং ফিডার নোংরা বা ময়লা হলে, বাছুর কৃমিতে আক্রান্ত হলে, শাল দুধের গুণাগুণ ভাল না হলে, বাছুরের থাকার জায়গাটা নোংরা, স্যাঁতসেঁতে হলে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ হলে।

বাছুরের এই তীব্র ডায়রিয়ায় খামারি যা করবে:
ডায়রিয়া দেখার সাথে সাথে আলাদা করে শুকনা পরিষ্কার জায়গায় রাখতে হবে বাছুরকে।খাবারের পাত্র এবং ফিডার বোতল পরিষ্কার করে খাওয়াতে হবে। বাছুরকে তার বড়ি ওয়েটের ১০% দুধ খাওয়াবেন অর্থাৎ ৪০ কেজি ওজনের বাচ্ছাকে দুধ খাওয়াবেন ৪ লিটার। শালদুধের গুণাগুণ পরিমাপ করে দেখতে হবে। ডায়রিয়া দেখার সাথে সাথেই স্যালাইন খাওয়াতে হবে দিনে ৩ বার ২৫০ মিলি করে।

প্রকাশ : মার্চ ১৭, ২০২২ ১১:৩২ পূর্বাহ্ন
ব্রয়লার মুরগির ওজন বাড়াতে খামারিদের করণীয়
পোলট্রি

দেশে মাংসের চাহিদা পূরণে ব্রয়লারের ভূমিকা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এটি একদিকে যেমন মাংসের চাহিদা পূরণ করছে অন্যদিকে কমাচ্ছে বেকারত্ব।অনেকেই এখন খামার করে হয়েছেন স্বাবলম্বী। তবে এই মুরগির ওজন যত বেশি হয় তত তার চাহিদা থাকে বেশি। তাই ব্রয়লারের ওজন বাড়াতে খামারিদের জানতে হবে কিছু কৌশল।

ব্রয়লার মুরগির ওজন বাড়ানোর কিছু কৌশল:
খামার পরিষ্কার রাখা ব্রয়লারের ওজন বাড়ানোর প্রথম কৌশল।এতে খামারে রোগের প্রকোপ কমে যাবে এবং মুরগির দৈহিক বৃদ্ধি দ্রুত হবে। মুরগির খামারে বাচ্চা আসার ৪৫ মিনিট পূর্বে চিকগার্ডের ভেতরে প্রবা‌য়োটিক স্প্রে করে দিতে হবে। বাচ্চা ব্রুডারে ছাড়ার ৩০ মিনিট আগে পানির ড্রিকার দিয়ে দিতে হবে।

খামারে ব্রয়লার পালনের জন্য ১ দিনের বাচ্চার বয়স ৩৬ গ্রাম হতে হবে। বাচ্চা শারীরিকভাবে সুস্থ থাকতে হবে।ব্রয়লার খামারে যাতে সবসময়ই আলো প্রবেশ ও বায়ু চলাচল করতে পারে সেই ব্যবস্থা করতে হবে।

১৫ দিন বয়সের মধ্যে মুরগি গ্রাডিং শেষ করতে হবে। ১৮ দিন বয়সে গ্রথ আসার জন্য গুরের পানি খাওয়াতে হবে। ২০ দিন অতিবাহিত হলে মুরগি ফ্লাসিং করতে হবে। ২৫ দিন পর হইতে মাদি এবং ছোট মুরগি বিক্রি করতে হবে।ব্রুডিং এ তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ রাখতে হবে এবং দুই ব্যাচের মধ্যে ১৫ দিন বিরতি দিতে হবে। খামারের মুরগিগুলোকে যথাসময়ে ভ্যাকসিন প্রয়োগ করতে হবে। যে কোনো ঔষধ ব্যবহারকালে সেই ওষুধের মেয়াদ আছে কিনা তা ভালোভাবে দেখে নিতে হবে।

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop