২:২০ অপরাহ্ন

সোমবার, ২০ মে , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ৬, ২০২৩ ১১:৫২ পূর্বাহ্ন
পোল্ট্রি খামারে সহজে লাভের মুখ দেখতে যা করবেন
পোলট্রি

অতীত কাল থেকে গ্রাম অঞ্চলের মানুষ হাঁস – মুরগি পালন করে তাদের সংসারের আর্থিক স্বাচ্ছন্দ্য এনেছেন । গ্রাম অঞ্চলের মানুষ কোনো রকম খরচ ছাড়া নিজের বাড়িতে ছোট্ট একটা ঘর করে মুরগি পালন করেন । মুরগি পালন করে যেমন ডিম মাংসের চিহিদা পূরণ করা যায় তেমন অর্থনৈতিক ভাবে কিছু উন্নতি লাভ করা যায় । তাই গ্রাম অঞ্চলের মানুষ এখন মুরগি পালনে উদ্যোগী হচ্ছে ।

বর্তমানে ডিম ও মাংসের ব্যাপক চাহিদা থাকায় পোল্ট্রি পালন এখন লাভজনক পেশায় পরিণত হয়েছে। অনেক বেকার যুবক এই পেশাকে এখন নিজের প্রধান জীবিকা হিসাবে নিয়েছে। এই পোল্ট্রি পালন করতে হলে কিভাবে করতে হবে আর জন্য কী কী পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে , কিভাবে পরিচর্যা করতে হবে , এবং এই পেশায় কেমন লাভ করা যায় ইত্যাদি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।

ডিপ – লিটার পদ্ধতিতে পোল্ট্রি পালন :
পোল্ট্রি পালন মূলত ডিপ – লিটার পদ্ধতিতে হয়ে থাকে। আলো বাতাসযুক্ত সাধারণ ঘরে বা কাঠের প্ল্যাটফর্মের ওপর খাঁচার মতো করে ঘর তৈরি করে নিতে হয় তারপর মেঝেতে চুম ও ব্লিচিং দিয়ে পরিষ্কার করে কাঠের গুঁড়ো , ধানের তুষ ইত্যাদি ছড়িয়ে ১০ থেকে ১৫ সেন্টিমিটার পুরু করে লিটার তৈরি করা হয়।

জল ও খাদ্য পাত্র: পোল্টি ফার্মের জন্য জল ও খাদ্য পাত্রের বিশেষভাবে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হয়।

পাত্রগুলো যাতে উল্টে না যায় তার জন্য বিশেষ ভাবে সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়। এর জন্য স্বয়ংক্রিয় খাবারের পাত্র এবং জলের পাত্র রাখতে হয়।
কিভাবে ডিপ – লিটারের পরিচর্যা নিতে হয় :
ডিপ – লিটারের বিশেষ ভাবে পরিচর্যা করতে হয় কারণ মুরগির বেড়ে উঠার অধিকাংশই নির্ভর করে এই লিটারের উপর।
১ লিটার সবসময় শুস্ক রাখা আবশ্যক।
২ লিটারের গভীরতা ঠিক রাখতে হয়
৩ বছরে অন্তত একবার লিটার পরিষ্কার করতে করতে হয়
৪ পোকামাকড়ের উপদ্রব থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য ঘরের দেওয়ালে উউঞ দিয়ে স্প্রে করতে হয়।
মুরগির খাদ্য দ্রব্য:
মুরগির সঠিক ভাবে বেড়ে উঠার জন্য প্রোটিন যুক্ত খাদ্য সরবরাহ করতে হয়। মুরগির খাদ্য মূলত গম , ভুট্টা ,চালের গুঁড়ো ,শুকটি মাছ ইত্যাদি দিয়ে তৈরি হয়। আবার উপযুক্ত পরিমানে ভিটামিন অ ,ই ২,উ ৩ খাদ্যে মিশিয়ে দিতে হয়।
পোল্ট্রি পালন কতটা লাভজনক :
পোল্ট্রি পালন অনেকটাই লাভজনক। পুষ্টির গুণমানের জন্য এর চাহিদা দিন দিন বেড়ে চলেছে। ৩১ থেকে ৩৫ দিনের মুরগির গড় ওজন দেড় থেকে পৌনে দুই কেজি হয়ে থাকে। একটি ১০০০ পোল্ট্রি মুরগির ফার্ম তৈরি করতে খরচ হয় মোট ৮০ হাজার টাকা।
৪০ দিনের মাথায় মুরগি বাজারজাত করলে সমস্ত খরচ বাদ দিয়ে ইনকাম থাকে ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা।পোল্ট্রি মুরগির রোগ প্রতিরোধ করার জন্য বিশেষভাবে যত্নবান হতে হয় সঠিক সময় মত ভ্যাকসিন প্রয়োগ করতে হয় ।

প্রকাশ : জানুয়ারী ৩০, ২০২৩ ৯:৪৩ অপরাহ্ন
ব্রয়লার খামারে মুরগির শারীরিক বৃদ্ধি ঠিক রাখতে যা করবেন
পোলট্রি

ব্রয়লার খামারে মুরগির শারীরিক বৃদ্ধি ঠিক রাখতে করণীয় যে কাজগুলো রয়েছে সেগুলো ব্রয়লার পালনকারীদের সঠিকভাবে জানতে হবে। দেশে মাংসের চাহিদা পূরণ করতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে ব্রয়লার মুরগি। ব্রয়লার মুরগির খামার করে অনেকেই হচ্ছেন স্বাবলম্বী। খামারে ব্রয়লার মুরগি পালনে লাভবান হতে মুরগির শারীরিক বৃদ্ধি ঠিক রাখা দরকার।

ব্রয়লার খামারে মুরগির শারীরিক বৃদ্ধি ঠিক রাখতে করণীয়:
ব্রয়লার মুরগির খামার স্থাপনের সময় স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশে খামার স্থাপন করতে হবে। খামারে যাতে আলো ও বাতাস ঠিকমতো চলাচল করতে পারে সেদিকেও লক্ষ্য রাখতে হবে।

খামারে পালন করা ব্রয়লারকে খাদ্য প্রদানের সময় ভালোভাবে খেয়াল করতে হবে খাদ্যে যেন কোন প্রকার ময়লা কিংবা রোগের জীবাণু না থাকে। আর খাদ্য প্রদানের পাত্র নিয়মিতভাবে পরিষ্কার করতে হবে। খামারে ব্রয়লার মুরগির জন্য যেসব খাদ্য উপকরণ ব্যবহার করা হবে সেগুলো যেন মুরগির পরিপাকে কোন বাঁধার সৃষ্টি না করে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। এমন সমস্যায় মুরগির শারীরিক বৃদ্ধি বাঁধাগ্রস্ত হতে পারে।

ব্রয়লার মুরগির খাদ্য প্রদানের সময় খাদ্যের সাথে নিম্নমান সম্পন্ন কেমিক্যাল কিংবা কোন রাসায়নিক উপাদান দেওয়া যাবে না। প্রয়োজনে খাদ্য কেনার সময় তা ভালোভাবে পরীক্ষা করাতে হবে। ব্রয়লার মুরগির খামারকে নিয়মিত জীবাণুমুক্ত ও পরিষ্কার রাখতে হবে। এতে করে খামারের মুরগিগুলো সহজেই কোন রোগের দ্বারা আক্রান্ত হতে পারবে না। ফলে শারীরিক বৃদ্ধি স্বাভাবিক হবে।

ব্রয়লার মুরগির খামারের জন্য যে ওষুধ ব্যবহার করা হবে সেই ওষুধের গুণগত মান পরীক্ষা করাতে হবে। তার পরেই সেই ওষুধকে ব্রয়লার মুরগির খামারে ব্যবহার করতে হবে।

প্রকাশ : জানুয়ারী ২৯, ২০২৩ ৪:৫৭ অপরাহ্ন
তিন গরুর দিয়ে শুরু করে কোটি টাকার মালিক খামারী নাসরিন
প্রাণিসম্পদ

স্বচ্ছল পরিবারে বিয়ে হলেও বাড়ির অন্যান্য কাজের পর অলস সময় কাজে লাগাতে খামার শুরু করে তিনি এই সফলতা অর্জন করেছেন। বর্তমানে তিনি গবাদিপশু ও বিক্রি দুধ বিক্রি করে মাসে প্রায় লাখ টাকা আয় করেন। পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় গবাদিপশু পালনে সফল হয়েছেন নারী উদ্যোক্তা নাসরিন জাহান।

নারী উদ্যোক্তা নাসরিন জাহান পটুয়াখালীর কলাপাড়া পৌর শহরের মুসলিমপাড়ার বাসিন্দা। বিয়ের পরবর্তী সময়ে পরিবারের কাজ সম্পন্ন করার পর অলস সময় কাটাতেন। তিনি চাইলেই শুয়ে বসে আয়েশি জীবন কাটাতে পারতেন।

তা না করে স্বামীর সাথে পরামর্শ করে ২০০৮ সালে ভালো জাতের ৩টি গরু কিনে খামার শুরু করেন। তার খামারের নাম ‘নাসরিন ডেইরি ফার্ম’ রাখেন। তারপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি।

গবাদিপশু পালন করে বিক্রি করেন পাশাপাশি স্থানীয় বাজারে পাইকারি দরে দুধও বিক্রি করেন। বর্তমানে তার খামারে ছোট-বড় মিলিয়ে ৪৫টি গরু আছে। মূলধন দেড় কোটি টাকা।

নারী উদ্যোক্তা নাসরিন বলেন, সংসারের কাজ কাজ শেষ করার পর অলস সময় কাটাতাম। সেই অলস সময়কে কাজে লাগানোর জন্য কিছু করার কথা ভাবছিলাম।

তারপর স্বামীর সাথে পরামর্শ করে ভালো জাতের ৩টি গরু কিনে বাড়ির এক পাশে গবাদিপশু পালনের জন্য একটা খামার গড়ে তুলি। বাড়ির ভেতরে প্রচুর জায়গা থাকায় সেখানে ডেইরি ফার্ম করার চিন্তা মাথায় আসে।

তিনি আরও বলেন, সেই ৩টি থেকে শুরু করে বর্তমানে আমার খামারে ছোট-বড় মিলিয়ে ৪৫টি গরু আছে। আর আমার মূলধন প্রায় দেড় কোটি টাকা। গবাদিপশুর পাশাপাশি স্থানীয় বাজারে পাইকারি দরে দুধও বিক্রি করি।

আমার ফার্মে প্রতিদিন প্রায় ২০০ লিটার দুখ উৎপাদিত হয়। মাঝে মাঝে সেটা ৩০০-৪০০ লিটারে পৌছায়। এইগুলা স্থানীয় কৃষকদের বিনামূল্যে বিতরন করি পাশাপাশি আমাদের জমিতেও প্রয়োগ করে বিষমূক্ত ফসল উৎপাদন করি। দুধ সংগ্রহ থেকে বিক্রি পর্যন্ত পুরোটাই আমি তদারকি করি। আর আমার খামারে মাসে প্রায় ৭-৮ টন গোবর পাওয়া যায়।

নাসরিন আরও বলেন, খামার পরিচালনায় আমার দুইজন কর্মচারী রয়েছে। তারা সব সময় খামারের দেখাশোনা করেন। তাঁদের বেতনসহ সব মিলিয়ে প্রতি মাসে তাঁর খরচ প্রায় আড়াই লাখ টাকা।

নাসরিন জাহানের ফার্মে উৎপাদিত ২০০-৪০০ লিটার দুধ সম্পূর্নটা স্থানীয় বাজারে বিক্রি করা কঠিন। তিনি কাছের মানুষদের বিনা মূল্যে দেওয়ার পরেও অনেক দুধ নষ্ট হয়ে যেত। তখন একটি মিষ্টির দোকান দেওয়ার পরিকল্পনা করেন।

কলাপাড়া শহরে মিষ্টির দোকান খোলেন। যেখানে রসগোল্লা, কাঁচাগোল্লা, কালোজাম, রসমালাই, ক্ষীরমালাই, বেবি সুইট, লাল চমচম, সাদা চমচম, তাসনি চপ, পাটিসাপটা ও ছানা পাওয়া যায়। এ ছাড়া মেলে দই আর ঘি।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা (ইউএলও) গাজী মো. শাহআলম বলেন, খামার করে দারুন সফলতা অর্জন করেছেন নারী উদ্যোক্তা নাসরিন জাহান। তার এই অদম্য সাহসিকতা ও সফলতায় অনেকেই অনুপ্রাণীত হয়েছেন। বরগুনা, পটুয়াখালী, কলাপাড়া ও মহিপুর এলাকার ১০-২০টি ডেইরি ফার্ম তাঁর পৃষ্ঠপোষকতা ও পরিকল্পনায় গড়ে উঠেছে। আশে পাশের অনেকেই খামার করে স্বাবলম্বী হয়েছেন।

প্রকাশ : জানুয়ারী ২৩, ২০২৩ ৮:৩৩ পূর্বাহ্ন
খামার করে বছরে ১০ লাখ টাকার বেশি আয় করেন মজিদ!
পোলট্রি

দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার পৌরসভাধীন ৩নং ওয়ার্ডের কৃষ্ণপুর গ্রামের সাবেক পৌর কাউন্সিলর মৃত গোলাম মোস্তফার ছেলে আব্দুল মজিদ মণ্ডল। বয়স ৩৪ বছর। মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান আব্দুল মজিদ মণ্ডল পড়াশোনা শেষ করে উদ্যোক্তা তৈরির প্রশিক্ষণ নিয়ে একইসঙ্গে মাছ, মুরগি ও গাভী পালনের জন্য প্রকল্প গ্রহণ করেন। এতে নিজে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়ার পাশাপাশি এলাকার বেকার ছেলেমেয়েদের কর্মসংস্থার সৃষ্টির মাধ্যমে বেকারত্ব দূর করার স্বপ্ন দেখেন আব্দুল মজিদ মণ্ডল।

জানা যায়, আব্দুল মজিদ মণ্ডল তার পিতা মৃত গোলাম মোস্তফার রেখে যাওয়া কৃষি জমির সঙ্গে রাস্তার দু’পাশের অপেক্ষাকৃত উঁচু জমিতে একইসঙ্গে মাছের খামার, মুরগি খামার ও গাভীর খামারসহ বায়োগ্যাস প্লান্ট গড়ে তুলেছেন। কৃষি কাজে সেচ সুবিধার জন্য ব্যক্তি উদ্যোগে একটি সেচ পাম্প স্থাপন করেছেন। তার প্রকল্প দেখে মনে হয়েছে এ যেন একের ভেতর অনেক কিছু বিদ্যমান। শুরুতে ৭০ হাজার টাকার পুঁজি বিনিয়োগ করে প্রকল্প বাস্তবায়নে কাজ করলেও এখন সেই প্রকল্প থেকে বছরে আয় ১০ লাখ টাকারও বেশি। আব্দুল মজিদের সাফল্য দেখে একই পদ্ধতিতে একই জমিতে মাছ, মুরগি খামার করেছেন এলাকার মকলেছুর রহমান নবাব।

কৃষ্ণপুর গ্রামের পাশে পাঁচ একর জমিতে আব্দুল মজিদ মণ্ডল গড়ে তুলেছেন মাইশা ডেইরি ফার্ম ও সিজান পোল্ট্রি ফার্ম নামের আলাদা দুইটি খামার। একই খামারে রয়েছে দুইটি পুকুর, সেচ ব্যবস্থার জন্য একটি গভীর নলকূপ। খামারের কর্মচারি ও শ্রমিকদের খাবার রান্নার জন্য গরুর গোবর দিয়ে নির্মাণ করেছেন একটি বায়োগ্যাস প্লান্ট। খামারের চার পাশ দিয়ে চাষাবাদ করা হয়েছে নানা ধরনের শীতকালীন শাক-সবজি। আবার কিছু জমিতে ধান আর কিছু জমিতে ভুট্টা চাষ করা হয়েছে। গরুর খামারে রয়েছে ৫০ টি উন্নত জাতের গরু এবং মুরগির খামারে রয়েছে ১০ হাজার লেয়ার জাতের মুরগি।

সফল উদ্যোক্তা আব্দুল মজিদ মণ্ডল জানান, লেখাপড়া শেষ করে নারায়ণগঞ্জে শক্তি ফাউন্ডেশন নামের একটি এনজিও’তে চাকরি নেন। সেখানে দেখতে পান নানাভাবে উদ্যোক্তা হওয়ার মাধ্যমে স্বাবলম্বী হওয়া যায়। উদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্ন থেকে এনজিও’র চাকরি ছেড়ে যুব উন্নয়ন থেকে পশু পালনের ওপর প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। এরপর ঋণের জন্য বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন নিবেদন করেও ঋণ না পেয়ে চাকরিকালীন জমাকৃত ৭০ হাজার টাকা দিয়ে ছোট্ট কলেবরে শুরু করেন মুরগি খামার। এরপর আর তাকে পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। এরপর পর্যায়ক্রমে গরু খামার, মৎস্য খামার ও মুরগির খাদ্য ব্যবসাসহ আব্দুল মজিদ মণ্ডল পুরোপুরি হয়ে ওঠেছেন একজন সফল উদ্যোক্তা খামারি, ব্যবসায়ি ও আদর্শ কৃষক। প্রতি বছর তার খামার, ব্যবসা ও কৃষি থেকে সব খরচ বাদ দিয়ে আয় হচ্ছে ৮ থেকে ১০ লাখ টাকা। একই সঙ্গে তার সব প্রতিষ্ঠান মিলিয়ে ২০ জন কর্মচারি কর্মরত থেকে কর্মসংস্থানের সুযোগ পেয়েছে।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ড. রবিউল ইসলাম জানান, খামার একটি লাভজনক ব্যবসা। আব্দুল মজিদের মতো অনেকেই খামার করে স্বাবলম্বী হয়ে হয়েছেন। বেকার যুবকদের কর্মসংস্থার সৃষ্টির লক্ষ্যে প্রাণিসম্পদ পালন করে উদ্যোক্তা তৈরিতে প্রাণিসম্পদ বিভাগ থেকে সার্বিক সহযোগিতা দেওয়া হয়ে থাকছে।

প্রকাশ : জানুয়ারী ১৬, ২০২৩ ১০:২৮ পূর্বাহ্ন
পোল্ট্রি খামারে সহজে লাভের মুখ দেখার উপায়
পোলট্রি

অতীত কাল থেকে গ্রাম অঞ্চলের মানুষ হাঁস – মুরগি পালন করে তাদের সংসারের আর্থিক স্বাচ্ছন্দ্য এনেছেন । গ্রাম অঞ্চলের মানুষ কোনো রকম খরচ ছাড়া নিজের বাড়িতে ছোট্ট একটা ঘর করে মুরগি পালন করেন । মুরগি পালন করে যেমন ডিম মাংসের চিহিদা পূরণ করা যায় তেমন অর্থনৈতিক ভাবে কিছু উন্নতি লাভ করা যায় । তাই গ্রাম অঞ্চলের মানুষ এখন মুরগি পালনে উদ্যোগী হচ্ছে ।

বর্তমানে ডিম ও মাংসের ব্যাপক চাহিদা থাকায় পোল্ট্রি পালন এখন লাভজনক পেশায় পরিণত হয়েছে। অনেক বেকার যুবক এই পেশাকে এখন নিজের প্রধান জীবিকা হিসাবে নিয়েছে। এই পোল্ট্রি পালন করতে হলে কিভাবে করতে হবে আর জন্য কী কী পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে , কিভাবে পরিচর্যা করতে হবে , এবং এই পেশায় কেমন লাভ করা যায় ইত্যাদি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।

ডিপ – লিটার পদ্ধতিতে পোল্ট্রি পালন :
পোল্ট্রি পালন মূলত ডিপ – লিটার পদ্ধতিতে হয়ে থাকে। আলো বাতাসযুক্ত সাধারণ ঘরে বা কাঠের প্ল্যাটফর্মের ওপর খাঁচার মতো করে ঘর তৈরি করে নিতে হয় তারপর মেঝেতে চুম ও ব্লিচিং দিয়ে পরিষ্কার করে কাঠের গুঁড়ো , ধানের তুষ ইত্যাদি ছড়িয়ে ১০ থেকে ১৫ সেন্টিমিটার পুরু করে লিটার তৈরি করা হয়।

জল ও খাদ্য পাত্র: পোল্টি ফার্মের জন্য জল ও খাদ্য পাত্রের বিশেষভাবে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হয়।

পাত্রগুলো যাতে উল্টে না যায় তার জন্য বিশেষ ভাবে সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়। এর জন্য স্বয়ংক্রিয় খাবারের পাত্র এবং জলের পাত্র রাখতে হয়।
কিভাবে ডিপ – লিটারের পরিচর্যা নিতে হয় :
ডিপ – লিটারের বিশেষ ভাবে পরিচর্যা করতে হয় কারণ মুরগির বেড়ে উঠার অধিকাংশই নির্ভর করে এই লিটারের উপর।
১ লিটার সবসময় শুস্ক রাখা আবশ্যক।
২ লিটারের গভীরতা ঠিক রাখতে হয়
৩ বছরে অন্তত একবার লিটার পরিষ্কার করতে করতে হয়
৪ পোকামাকড়ের উপদ্রব থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য ঘরের দেওয়ালে উউঞ দিয়ে স্প্রে করতে হয়।
মুরগির খাদ্য দ্রব্য:
মুরগির সঠিক ভাবে বেড়ে উঠার জন্য প্রোটিন যুক্ত খাদ্য সরবরাহ করতে হয়। মুরগির খাদ্য মূলত গম , ভুট্টা ,চালের গুঁড়ো ,শুকটি মাছ ইত্যাদি দিয়ে তৈরি হয়। আবার উপযুক্ত পরিমানে ভিটামিন অ ,ই ২,উ ৩ খাদ্যে মিশিয়ে দিতে হয়।
পোল্ট্রি পালন কতটা লাভজনক :
পোল্ট্রি পালন অনেকটাই লাভজনক। পুষ্টির গুণমানের জন্য এর চাহিদা দিন দিন বেড়ে চলেছে। ৩১ থেকে ৩৫ দিনের মুরগির গড় ওজন দেড় থেকে পৌনে দুই কেজি হয়ে থাকে। একটি ১০০০ পোল্ট্রি মুরগির ফার্ম তৈরি করতে খরচ হয় মোট ৮০ হাজার টাকা।
৪০ দিনের মাথায় মুরগি বাজারজাত করলে সমস্ত খরচ বাদ দিয়ে ইনকাম থাকে ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা।পোল্ট্রি মুরগির রোগ প্রতিরোধ করার জন্য বিশেষভাবে যত্নবান হতে হয় সঠিক সময় মত ভ্যাকসিন প্রয়োগ করতে হয় ।

প্রকাশ : জানুয়ারী ১৪, ২০২৩ ৮:১৬ অপরাহ্ন
যে পদ্ধতিতে হাঁস পালন করবেন
প্রাণিসম্পদ

যেসব পদ্ধতিতে হাঁস পালন করা যায় তা আমাদের দেশের অনেক খামারিরাই জানেন না। হাঁস পালনে মাংসের পাশাপাশি ডিম উৎপাদনের মাধ্যমে সহজেই লাভবান হওয়া যায়। বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে লাভের আশায় অনেকেই হাঁসের খামার করে থাকেন। চলুন আজকে আমরা জানবো যেসব পদ্ধতিতে হাঁস পালন করা যায় সেই সম্পর্কে-

যেসব পদ্ধতিতে হাঁস পালন করা যায়”
আবদ্ধ পদ্ধতি:
এই পদ্ধতিতে পুরোপুরি হাঁসগুলোকে ঘরের মধ্যে রেখে লালন পালন করা হয়। হাঁসের বাচ্চা ৪ থেকে ৬ সপ্তাহ পর্যন্ত লালন পালন করা সুবিধাজনক। এই পদ্ধতি ৩ প্রকার যথা মেঝেতে লালন পালন, খাঁচায় লালন পালন এবং তারের জালের ফ্লোর।

ক) ফ্লোরে লালন পালন:
এই পদ্ধতিতে মেঝেতে লিটার দ্রব্য দিয়ে হাঁস রাখা হয়। সমস্ত মেঝের ৪ ভাগের এক ভাগ খাবার দেবার জন্য অর্থাৎ খাবারের এবং পানির পাত্র রাখা হয়। পানি বের করে দেবার জন্য ছোট আকারের নিস্কাশন থাকে

খ) খাঁচায় লালন পালন:
এই পদ্ধতিতে খাঁচাগুলো একটির পর একটি স্তরে স্তরে সাজানো থাকে। ২-৩ সপ্তাহের বাচ্চার জন্য উপযুক্ত। প্রতিটি খাঁচায় ২০-২৫ টি বাচ্চা রাখা যায়। প্রতিটি বাচ্চার জন্য ১x১১.৫ বর্গফুট জায়গায় প্রয়োজন।

গ) তারের জালের ফ্লোর:
এ পদ্ধতিতে ঘরের ফ্লোর হতে উচু করে তারের জাল দেয়া হয় এবং খাঁচাগুলি ১/২ বর্গ ইঞ্চি, ছিদ্রের হলে ভাল। মাচার চারপাশে ১-২ফুট বেড়া দিতে হবে যেন বাচ্চা পড়ে না যায়। ফ্লোরের তুলনায় ১/৩-১/২ পরিমান কম জায়গা লাগে।

অর্ধ আবদ্ধ পদ্ধতি:
এই পদ্ধতিতে হাঁসগুলো রাতে ঘরে আবদ্ধ থাকে এবং দিনের বেলায় ঘরের সামনে চারণ (১০-১২ বর্গফুট) এ ঘুরে বেড়ায়। খাদ্য ঘরের ভিতরে অথবা চারণে দেয়া যেতে পারে। তবে সুবিধাজনক হবে চারণে দেয়া। ঘরের সাথে একটি পানির চৌবাচ্চা দেয়া যেতে পারে।

প্রকাশ : জানুয়ারী ৯, ২০২৩ ৮:৫৬ পূর্বাহ্ন
পোল্ট্রি খামারে খাবার প্রয়োগে খামারি যা করবেন
পোলট্রি

ব্রয়লার মুরগির বাণিজ্যিক খামারে খাদ্য প্রয়োগের নিয়ম খামারিদের জেনে রাখা দরকার। আমাদের দেশে ডিম ও মাংসের চাহিদা পূরণ করতে বর্তমানে ব্যাপকহারে মুরগি পালন করা হচ্ছে। অনেকেই ব্রয়লার মুরগি পালন করে লাভবান হচ্ছেন। তবে বাণিজ্যিকভাবে ব্রয়লার মুরগি পালনে বেশ কিছু সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়।

ব্রয়লার মুরগির বাণিজ্যিক খামারে খাদ্য প্রয়োগে বিবেচ্যঃ

১। সুষম খাদ্যে অতিরিক্ত চর্বি জাতীয় জিনিস খাওয়ালে অতিরিক্ত দাম পাওয়া যায় না। কিন্তু গরম আবহাওয়া বা অতিরিক্ত তাপের দিনে অতিরিক্ত চর্বি বা তেল জাতীয় খাদ্য উপাদান প্রদান করতে হবে।

৩। ব্রয়লার মুরগি তার সুষম খাবারের ৬৪% আমিষ দেহের কাজে লাগাতে পারে। ব্রয়লারের প্রয়োজনীয় আমিষ তিন ভাগে ভাগ করা যেতে পারে-(ক) কলা বৃদ্ধির জন্য ব্রয়লার মুরগির শরীরে ১৮% আমিষ আছে।

৪। পালক গঠনের জন্য ব্রয়লার মুরগির পালকে ৮২% আমিষ আছে এবং গড়ে পালকেরওজন সমস্ত দেহের ৭০%। গরমকালে ব্রয়লার সুষম খাদ্যে বেশি আমিষ দরকার শীতকালের তুলনায়। কারণটা হল মুরগি গরমকালে কম খায়। ঠিক যতটুকু অ্যামাইনো অ্যাসিড দরকার ঠিক ততটুকুই ব্রয়লার মুরগিকে দিতে হবে।

৫। যেহেতু বেশি পরিমাণে অপরিহার্য অ্যামাইনো অ্যাসিড দেহের ক্ষতি করে। কম অ্যামইনো অ্যাসিড আবারদেহের বৃদ্ধিকে রোধ করে দেবে। মাদি ব্রয়লার মুরগির চেয়ে মদ্দা ব্রয়লারমুরগি তাড়াতাড়ি বাড়ে। সুতরাং খামারের ভালর জন্য মাদি মদ্দা একসঙ্গে না পালন করে আলাদা আলাদা করা লাভজনক।

৬। প্রথম চার সপ্তাহ মদ্দা ও মাদি ব্রয়লার মুরগির আমিষের প্রয়োজন একই রকম। ৪ সপ্তাহ পরে মদ্দা ব্রয়লার মাদির চেয়ে ২% থেকে ৪ %বেশি আমিষের দরকার হয়। মাদিকে বেশি আমিষ দিলে সেটা খুব একটা কাজে আসেনা।

৭। ব্রয়লার মুরগির জন্য খনিজ এবং ভিটামিন খুবই দরকারি। এছাড়াও ক্যালসিয়াম এবং ফসফরাসের ব্রয়লারের জন্য খুবই উপকারি। খাবারের সমস্ত ক্যালসিয়াম যেন ১% গন্ডি কখনো না পেরিয়ে যায়। ভিটামিন খাদ্য বিপাকক্রিয়ায় সহায়তা করে থাকে।

প্রকাশ : জানুয়ারী ৬, ২০২৩ ৩:৫১ অপরাহ্ন
চাকরি ছেড়ে গরুর খামার করে কোটিপতি গিয়াস
প্রাণিসম্পদ

ছিলেন ব্যাংকার। তবে অন্যের অধীনে চাকরি তার ভালো লাগেনি। সিদ্ধান্ত নেন উদ্যোক্তা হবেন। যেমন ভাবা তেমন কাজ। নেমে পড়লেন নিজের সিদ্ধান্ত বায়স্তবায়নে। গড়ে তোলেন গরুর খামার। যে খামার ঘুরে দিয়েছে তার ভাগ্যের চাকা। এখন তিনি কোটি টাকার সম্পত্তির মালিক।

বলা হচ্ছে গোপালঞ্জ জেলার কাশিয়ানী উপজেলার হোগলাকান্দি গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক মোল্লার ছেলে মো. গিয়াস উদ্দিনের (৩৩) কথা।

গিয়াস উদ্দিন অগ্র ডেইরি ফার্মের সত্ত্বাধিকারী। ফার্মের দুধ প্রসেস করে গড়ে তুলেছেন অগ্র সুইটস ভিলেজ নামে ৩টি মিষ্টির দোকান। ডেইরি ফার্ম ও মিষ্টির দোকানে তিনি ১৫ জনের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছেন। তার ফার্মে গরুর সংখ্যা এখন ৯০টি। তিনি ১০ লাখ টাকা নিয়ে ডেইরি ফার্ম শুরু করেন। এখানে তিনি এ পর্যন্ত ৫০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেছেন। বর্তমানে স্থায়ী, আবাসনসহ তার সম্পদের পরিমান প্রায় ৩ কোটি টাকা।

মো. গিয়াস উদ্দিন গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী উপজেলার হোগলাকান্দি গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন। তিনি গ্রামের স্কুল হোগলাকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষা জীবন শুরু করেন। সেখান থেকে ৫ম শ্রেণি পাস করেন। এরপর বাড়ির পাশের জয়নগর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি হন। এ বিদ্যালয় থেকে তিনি ২০০৩ সালে এসএসসি পাস করেন। ২০০৫ সালে খুলনার হাজী মোহাম্মদ মহসিন কলেজ থেকে তিনি এইচএসসি পাস করেন।

আবুল হোসেন কলেজ থেকে বিবিএস ও নিউ মডেল ইউনিভার্সসিটি কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করেন। ২০১৪ সালে গিয়াস উদ্দিন একটি বেসরকারি ব্যাংকে জুনিয়র অফিসার হিসেবে কর্ম জীবন শুরু করেন। ব্যাংকে চাকরি তার ভালো লাগেনি। তাই তিনি চাকরি ছেড়ে দিয়ে উদ্যোক্তা হয়ে মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টির পরিকল্পনা করেন।

২০১৫ সালের শেষের দিকে তিনি চাকরি ছেড়ে দেন। এরপর তিনি গ্রামের বাড়িতে চলে আসেন। ২০১৮ সালের ১০ লাখ টাকা পুঁজি নিয়ে ১৮ এপ্রিল তিনি ৪টি উন্নত জাতের গাভী দিয়ে হোগলাকান্দি গ্রামেই ডেইরি ফার্ম শুরু করেন। তারপর আর তকে পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। পরম মমতায় তিনি তিলতিল করে গড়ে তোলেন ডেইরি ফার্ম। ৪টি থেকে এখন তার ডেইরি ফার্মে গরুর সংখ্যা ৯০টি।

গিয়াস উদ্দিন তরুণদের উদ্দেশে বলেন, উদ্যোক্তা হয়ে ডেইরি ফার্ম করা যেতে পারে। এটি লাভজনক ব্যবসা। আত্মপ্রত্যয়ী হলেই এই ব্যবসা থেকে লাভ করা যায়। মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়। এটি করে জাতিকে দুধ, মাংসের যোগান দেয়া সম্ভব। মেধাবী জাতি গঠনে ভূমিকা রাখা যায়। এটি খুবই পূণ্যের কাজ।

জয়নগর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক  মোহাম্মাদ সালাহউদ্দীন বলেন, শহরের অভিজাত এলাকার মিষ্টির মতো মানসম্পন্ন মিষ্টি পাওয়া যায় অগ্র সুইটস ভিলেজে। মিষ্টি খুবই মজাদার। দামও নাগালের মধ্যে। গিয়াস উদ্দিন তার ফার্মের গরুর খাঁটি দুধ দিয়ে এ মিষ্টি তৈরি করেন। এ মিষ্টিতে কোনো ভেজাল নেই। খাঁটি মানের নিশ্চয়তার এ মিষ্টি আমরা গ্রামে বসে খেতে পারছি।

সূত্র: বাসস

প্রকাশ : জানুয়ারী ৫, ২০২৩ ১০:৩১ পূর্বাহ্ন
অল্প পুঁজিতে ব্রয়লার পালনে স্বাবলম্ভী হবেন যেভাবে
পোলট্রি

অতীত কাল থেকে গ্রাম অঞ্চলের মানুষ হাঁস – মুরগি পালন করে তাদের সংসারের আর্থিক স্বাচ্ছন্দ্য এনেছেন । গ্রাম অঞ্চলের মানুষ কোনো রকম খরচ ছাড়া নিজের বাড়িতে ছোট্ট একটা ঘর করে মুরগি পালন করেন । মুরগি পালন করে যেমন ডিম মাংসের চিহিদা পূরণ করা যায় তেমন অর্থনৈতিক ভাবে কিছু উন্নতি লাভ করা যায় । তাই গ্রাম অঞ্চলের মানুষ এখন মুরগি পালনে উদ্যোগী হচ্ছে ।

বর্তমানে ডিম ও মাংসের ব্যাপক চাহিদা থাকায় পোল্ট্রি পালন এখন লাভজনক পেশায় পরিণত হয়েছে। অনেক বেকার যুবক এই পেশাকে এখন নিজের প্রধান জীবিকা হিসাবে নিয়েছে। এই পোল্ট্রি পালন করতে হলে কিভাবে করতে হবে আর জন্য কী কী পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে , কিভাবে পরিচর্যা করতে হবে , এবং এই পেশায় কেমন লাভ করা যায় ইত্যাদি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।

ডিপ – লিটার পদ্ধতিতে পোল্ট্রি পালন :
পোল্ট্রি পালন মূলত ডিপ – লিটার পদ্ধতিতে হয়ে থাকে। আলো বাতাসযুক্ত সাধারণ ঘরে বা কাঠের প্ল্যাটফর্মের ওপর খাঁচার মতো করে ঘর তৈরি করে নিতে হয় তারপর মেঝেতে চুম ও ব্লিচিং দিয়ে পরিষ্কার করে কাঠের গুঁড়ো , ধানের তুষ ইত্যাদি ছড়িয়ে ১০ থেকে ১৫ সেন্টিমিটার পুরু করে লিটার তৈরি করা হয়।

জল ও খাদ্য পাত্র: পোল্টি ফার্মের জন্য জল ও খাদ্য পাত্রের বিশেষভাবে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হয়।

পাত্রগুলো যাতে উল্টে না যায় তার জন্য বিশেষ ভাবে সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়। এর জন্য স্বয়ংক্রিয় খাবারের পাত্র এবং জলের পাত্র রাখতে হয়।
কিভাবে ডিপ – লিটারের পরিচর্যা নিতে হয় :
ডিপ – লিটারের বিশেষ ভাবে পরিচর্যা করতে হয় কারণ মুরগির বেড়ে উঠার অধিকাংশই নির্ভর করে এই লিটারের উপর।
১ লিটার সবসময় শুস্ক রাখা আবশ্যক।
২ লিটারের গভীরতা ঠিক রাখতে হয়
৩ বছরে অন্তত একবার লিটার পরিষ্কার করতে করতে হয়
৪ পোকামাকড়ের উপদ্রব থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য ঘরের দেওয়ালে উউঞ দিয়ে স্প্রে করতে হয়।
মুরগির খাদ্য দ্রব্য:
মুরগির সঠিক ভাবে বেড়ে উঠার জন্য প্রোটিন যুক্ত খাদ্য সরবরাহ করতে হয়। মুরগির খাদ্য মূলত গম , ভুট্টা ,চালের গুঁড়ো ,শুকটি মাছ ইত্যাদি দিয়ে তৈরি হয়। আবার উপযুক্ত পরিমানে ভিটামিন অ ,ই ২,উ ৩ খাদ্যে মিশিয়ে দিতে হয়।
পোল্ট্রি পালন কতটা লাভজনক :
পোল্ট্রি পালন অনেকটাই লাভজনক। পুষ্টির গুণমানের জন্য এর চাহিদা দিন দিন বেড়ে চলেছে। ৩১ থেকে ৩৫ দিনের মুরগির গড় ওজন দেড় থেকে পৌনে দুই কেজি হয়ে থাকে। একটি ১০০০ পোল্ট্রি মুরগির ফার্ম তৈরি করতে খরচ হয় মোট ৮০ হাজার টাকা।
৪০ দিনের মাথায় মুরগি বাজারজাত করলে সমস্ত খরচ বাদ দিয়ে ইনকাম থাকে ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা।পোল্ট্রি মুরগির রোগ প্রতিরোধ করার জন্য বিশেষভাবে যত্নবান হতে হয় সঠিক সময় মত ভ্যাকসিন প্রয়োগ করতে হয় ।

প্রকাশ : জানুয়ারী ৫, ২০২৩ ১০:২১ পূর্বাহ্ন
১টি দিয়ে শুরু, এখন ১৩৭টি গরুর মালিক আমিরুল
প্রাণিসম্পদ

ঈশ্বরদী উপজেলার লক্ষ্মীকুন্ডা ইউনিয়নের বহরমপুর গ্রামের আমিরুল ইসলাম প্রমাণিক গরু পালনে নিজের ভাগ্যের ‍পরিবর্তন করলেন। বর্তমানে তার খামারে গরুর সংখ্যা ১৩৭টি।

জানা যায়, ১৯৯৪ সালে ১৪ হাজার ৬০০ টাকায় একটি শংকর জাতের গাভী কিনে লালন পালন শুরু করেন।সময়ের পরিক্রমায় আজ তিনি একজন সফল খামারি। বর্তমানে তার খামারে ৭০ টি গাভী রয়েছে। যা থেকে প্রতিদিন প্রায় ৫০০ লিটার দুধ পাচ্ছেন। স্থানীয় বাজারে যা বিক্রি করে ২৫ হাজার টাকা আয় করার পাশাপাশি বছরে প্রায় ৫০ লাখ টাকা আয় করছেন।

আমিরুল ইসলাম বলেন, আমার বাবা মৃত্যুর পর সংসারের সব দায়িত্ব এসে পরে আমার উপরে। আমার স্বপ্ন পূরণ করতে সবজি বিক্রি করে টাকা জমাতাম । আমার মায়ের জমানো টাকা এবং আমার সবজি বিক্রির জমানো টাকা দিয়ে একটি শংকর জাতের গাভী কিনি। প্রথমে একটি গাভী থেকে ৩টা বাচ্চা হয়। একটি ষাঁড় বাচ্চা বিক্রি করে গরুর ঘর তৈরি করি আর দুইটি বকনা বাচ্ছা থেকেই আমার সফলতার শুরু। বর্তমানে আমার খামারে মোট ১৩৭টি গরু আছে এর মধ্য ৭০টি গাভী থেকে প্রতিদিন ৫০০ লিটার দুধ হয়। বর্তমান প্রতি বছর খামার থেকে প্রায় ৫০ লাখ টাকা আয় হয়।

ঈশ্বরদী উপজেলার লক্ষ্মীকুন্ডা ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান আনিসুর রহমান শরীফ জানান, লক্ষ্মীকুন্ডা ইউনিয়নে এখন যে পরিমাণ দুধ উৎপাদন হয়, সে পরিমাণ দুধ বিক্রির জায়গা নেই। তাই এই অঞ্চলে একটি দুগ্ধ শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা যায় এর পরিকল্পনা করা হচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop