৬:১০ অপরাহ্ন

সোমবার, ২০ মে , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২১ ৪:৪৬ অপরাহ্ন
জেলেদের জন্য ১১,১১৯ মেট্রিক টন ভিজিএফ চাল বরাদ্দ
প্রাণিসম্পদ

ইলিশ আহরণ নিষিদ্ধকালে জেলেদের জন্য ১১ হাজার ১১৮ দশমিক ৮৮ মেট্রিক টন ভালনারেবল গ্রুপ ফিডিং (ভিজিএফ) চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ২০২১-২২ অর্থবছরে সরকারের মানবিক খাদ্য সহায়তা কর্মসূচির আওতায় ৩৭ জেলার ১৫১টি উপজেলায় মা ইলিশ আহরণে বিরত থাকা ৫ লাখ ৫৫ হাজার ৯৪৪টি জেলে পরিবারের জন্য এ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

গত বছরের চেয়ে বেশি ২৭ হাজার ৬০২টি জেলে পরিবারকে এবার এ বরাদ্দের আওতায় আনা হয়েছে। এর আওতায় প্রতিটি জেলে পরিবার ২০ কেজি করে চাল পাবে। ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শুরুর পূর্বেই এ বছর ভিজিএফ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকদের অনুকূলে এ সংক্রান্ত মঞ্জুরি জ্ঞাপন করেছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। একই সঙ্গে ভিজিএফ চাল পরিবহন ব্যয়ও সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকদের অনুকূলে মঞ্জুরি জ্ঞাপন করা

এ বছর ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে ৪ থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত ২২ দিন ইলিশ আহরণ বন্ধ থাকবে।
ভিজিএফ চাল ২৫ অক্টোবর ২০২১ তারিখের মধ্যে উত্তোলন ও সংশ্লিষ্টদের মাঝে বিতরণ সম্পন্ন করার জন্য জেলা প্রশাসকদের নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ আহরণে বিরত থাকা নিবন্ধিত ও প্রকৃত জেলেদের মধ্যে এ ভিজিএফ বিতরণ নিশ্চিত করার জন্য বরাদ্দপত্রে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, ইলিশ সম্পদ সংরক্ষণে‘প্রটেকশন অ্যান্ড কনজারভেশন অব ফিশ অ্যাক্ট, ১৯৫০’ এর অধীন প্রণীত ‘প্রটেকশন অ্যান্ড কনজারভেশন অব ফিশ রুলস, ১৯৮৫ ‘অনুযায়ী এ বছর ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে ৪ থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত মোট ২২ দিন সারাদেশে ইলিশ মাছ আহরণ, পরিবহণ, মজুদ, বাজারজাতকরণ, ক্রয়-বিক্রয় ও বিনিময় নিষিদ্ধ করে গত ২৬ সেপ্টেম্বর প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।

প্রকাশ : সেপ্টেম্বর ৩, ২০২১ ১:০৫ পূর্বাহ্ন
সাগর ও নদীতে ইলিশের সংকটে দিশেহারা জেলেরা
মৎস্য

ঋণের টাকা কিভাবে শোধ করবেন সে চিন্তায় এখন দিশেহারা মৎস্যজীবীরা। কারণ, দেশের পশ্চিম উপকূলের সাগর ও নদীতে ইলিশ সংকটের কারণে লোকসানের মুখে পড়েছেন জেলে ও ব্যবসায়ীরা।

পিরোজপুরের মৎস্য বন্দর পাড়েরহাটের মৎস্য আড়ৎদার ইকবাল হোসেন জানান, সাগর থেকে জেলেরা কিছু জাটকা নিয়ে ফিরে আসছে। একেবারেই ইলিশ পাচ্ছেনা তারা। লাখ লাখ টাকা লোকসানের কারণে জেলে-ব্যবসায়ীরা এখন চোখের জল ফেলছে।

শরণখোলার মা-বাবার দোয়া, এফবি কালাম ও এফবি খায়রুল ইসলাম ফিসিংবোটের মালিক কবির আড়ৎদার জানান, সাগরে জাল ফেলে জেলেরা ইলিশ পাচ্ছেনা। প্রতিবার জাল ফেললে মাত্র চার থেকে পাঁচটি জাটকা উঠে আসছে। ত্রিশ বছরের অভিজ্ঞতায় এবারের মতো লোকসানের মুখে পড়েননি কখনো।

সাগরে মাছ না পাওয়ার কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ৬৫ দিনের অবরোধ চলাকালীন ভারতীয় জেলেরা পশ্চিম বঙ্গোপসাগরের বাংলাদেশ জলসীমায় অবাধে ইলিশ শিকার করেছে। এছাড়াও পূবালী বাতাস না থাকায় ইলিশ কক্সবাজার-মিয়ানমার অঞ্চল থেকে পশ্চিম সাগরে আসছেনা।

বাংলাদেশ ফিসিং ট্রলার মালিক সমিতির কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি এম সাইফুল ইসলাম খোকন জানান, সাগরে ইলিশ সংকটে জেলে ও মৎস্যজীবিরা এ বছর ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। মহাজনের দাদন ও ব্যাংক ঋণ কিভাবে শোধ করবেন সে চিন্তায় মৎস্যজীবীরা দিশেহারা। এমনকি অনেক ফিসিংবোট মালিক ব্যবসা ছেড়ে দেওয়ার চিন্তা করছেন।

বাগেরহাট জেলা মৎস্য অফিসার এ এস এম রাসেল জানান, ইলিশ না পাওয়ার পেছনে সাগরে বিপুল পরিমাণ বাধা ও বেহুন্দি জাল পাতা, নাব্যতা সংকট এবং সুন্দরবনে কীটনাশক দিয়ে মাছ ধরাসহ বিভিন্ন কারণ রয়েছে। তবে কীটনাশক বা বিষ মিশ্রিত পানি সাগরে পড়ায় ইলিশ পশ্চিম উপকূলে না এসে পূর্ব সাগরে চলে যাচ্ছে বলে তিনি মনে করেন।

প্রকাশ : অগাস্ট ৪, ২০২১ ১:২৭ অপরাহ্ন
বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরা শুরু করলো জেলেরা
মৎস্য

২৩ জুলাই (শুক্রবার) মধ্যরাতে সাগরে মাছ ধরার ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষ হয়। কিন্তু এ সময় ভারী বর্ষণ এবং সাগরে সিগন্যাল থাকাতে মাছ ধরতে যেতে পারেনি বেশিরভাগ ট্রলার। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে প্রায় আড়াই মাস বন্ধ থাকার পর অবশেষে বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরা শুরু হয়েছে।

জেলা ফিশিং বোট মালিক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক মাস্টার মোস্তাক আহমদ জানান, প্রতি বছর নিষেধাজ্ঞা অতিবাহিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই জেলেরা সাগরে মাছ ধরতে যেতেন। এ কারণে রাত ১২টার পর থেকেই সাগর মোহনার নদনদীগুলোতে দেখা যেত সাগরমুখী ট্রলারের সারি। কিন্তু দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে সাগর প্রচণ্ড উত্তাল থাকায় আরো এক সপ্তাহের বেশি সময় জেলেরা সাগরে মাছ ধরতে যেতে পারেনি। তবে তীব্র ও প্রায় টানা বর্ষণ সত্ত্বেও গত দুইদিন ধরে সাগরের আবহাওয়া শান্ত থাকায় কক্সবাজারের জেলেরা ট্রলার নিয়ে সাগরে মাছ ধরতে যাচ্ছে।

তিনি জানান, মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত কক্সবাজারের প্রায় ৬০ শতাংশ ট্রলার সাগরে মাছ ধরতে গেছে। বৃষ্টি কমে এলে বাকি ট্রলারগুলোও সাগরে মাছ ধরতে যাবে বলে আশা করেন তিনি।

জেলা ফিশিং বোট মালিক সমিতির মতে, কক্সবাজারে ছোট বড় প্রায় ৭ হাজার যান্ত্রিক নৌযান সাগরে মাছ ধরে। এরমধ্যে বড় নৌকায় ৩০ থেকে ৪০ জন এবং ছোট নৌকায় ৫ থেকে ১৭ জন জেলে থাকে। আবার কক্সবাজার শহরতলীর দরিয়ানগর ঘাটের ইঞ্জিনবিহীন ককশিটের বোটে থাকে মাত্র ২ জন জেলে।

ট্রলারগুলোর মধ্যে ইলিশ জালের বোটগুলো গভীর বঙ্গোপসাগরে এবং বিহিন্দি জালের বোটগুলো উপকূলের কাছাকাছি মাছ ধরে থাকে। যে কারণে ইলিশ জালের বোটগুলো পক্ষকালের রসদ নিয়ে এবং বিহিন্দি জালের বোটগুলো সাগর মাত্র একদিনের রসদ নিয়ে সাগরে মাছ ধরতে যায়। বিহিন্দি জালে ইলিশ ব্যতীত ছোট আকারের প্রায় পাঁচ প্রজাতির মাছ ধরা পড়ে, যাকে স্থানীয় ভাষায় ‘পাঁচকাড়া’ (পাঁচ প্রকারের) মাছ বলা হয়। কক্সবাজার জেলার লক্ষাধিক জেলে ও মৎস্য ব্যবসায়ী প্রত্যক্ষভাবে সাগরে মাছ ধরা পেশার ওপর নির্ভরশীল।

এদিকে সাগরে মাছ ধরা শুরু হওয়ায় কক্সবাজারের বরফকলগুলোও আড়াই মাস পর পুনরায় চালু হয়েছে। তবে, সাগর থেকে মাছ ধরে ট্রলারগুলো ঘাটে ফেরার পরই শহরের ফিশারীঘাটস্থ প্রধান মৎস্য অবতরণকেন্দ্রে মাছের বিকিকিনি শুরু হবে বলে জানান ফিশারীঘাটস্থ মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির পরিচালক জুলফিকার আলী।

তিনি জানান, মাছ ধরার ওপর ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞার কারণে মৎস্য অবতরণকেন্দ্র প্রতিবছর আড়াই মাসের কাছাকাছি বন্ধ থাকে। কারণ সাগরে মাছ ধরা শুরু হওয়ার এক সপ্তাহ থেকে পক্ষকাল পরই ট্রলারগুলো মাছ ধরে মৎস্য অবতরণকেন্দ্রে আসে। আর এবার মাছ ধরা শুরু হয়েছে নিষেধাজ্ঞা অতিবাহিত হওয়ারও ৮/১০ দিন পর। তার মানে এবার প্রায় ৩ মাসের কাছাকাছি মাছের বিকিকিনি বন্ধ থাকছে। আবার অক্টোবরের বন্ধে আরো এক মাস মিলে প্রতি বছর ৪ মাস সময় বন্ধ থাকছে মৎস্য ব্যবসা।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এস এম খালেকুজ্জামান বলেন, ইলিশসহ অন্যান্য সামুদ্রিক মাছের প্রজননকাল উপলক্ষে বঙ্গোপসাগর ও নদী মোহনায় মাছ ধরার ওপর ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা গত ২০ মে (বুধবার) মধ্যরাত ১২টা থেকে শুরু হয় এবং গত ২৩ জুলাই শুক্রবার মধ্যরাতে শেষ হয়।

প্রকাশ : জুলাই ২৬, ২০২১ ৭:৪৩ অপরাহ্ন
৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে ট্রলারভর্তি মাছে জেলেরা
মৎস্য

কক্সবাজারের উপকূলীয় অঞ্চলের জেলেরা ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে মাছ শিকারে নেমেছেন। বড় বড় ট্রলারগুলো দীর্ঘ সময়ের জন্য মাছ শিকারে গেলেও প্রতিদিন ছোট ট্রলারগুলোতে করে কাঙ্ক্ষিত মাছ নিয়ে তীরে ফিরেছেন জেলেরা। মাছ কিনতে ভিড় করছেন ব্যবসায়ীরা।

শনিবার (২৩ জুলাই) মধ্যরাত থেকে বঙ্গোপসাগরে মাছ শিকারের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হলেও ওই দিন ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত ও আবহাওয়া খারাপ থাকায় অধিকাংশ ট্রলার মাছ শিকারে যেতে পারেনি। পরে বড় ট্রলারগুলো সপ্তাহ কিংবা ১ মাসের জন্য সমুদ্রে গেলেও ছোট ট্রলারগুলো ভোরে গিয়ে দুপুরে মাছ শিকার করে ফিরে আসছে। ট্রলারভর্তি মাছ নিয়ে হাসিমুখে তীরে ফিরছেন জেলেরা।

জেলেরা জানান, ‘মাছের প্রজননের জন্য গত ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই মধ্যরাত পর্যন্ত উপকূলীয় এলাকায় মাছ ধরাতে নিষেধাজ্ঞা ছিল। নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ার পর শনিবার থেকে আমরা মাছ শিকারে নামি। অনেকদিন পর সাগরে জাল ফেলায় আমাদের জালে প্রচুর পরিমাণে নানা রকম মাছ ধরা পড়ছে। এতদিন অপেক্ষার পর আমাদের জালে ঝাঁকে ঝাঁকে মাছ ধরা পড়ায় আমরা খুশি।’

এদিকে, নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ার পর সাগরে মাছ শিকারে নামতে পারায় কক্সবাজার উপকূলীয় জেলে পল্লীগুলোতে আনন্দের জোয়ার বইছে, হাসি ফুটেছে জেলেদের মুখে।

স্থানীয় জেলে শাহাব উদ্দিন মাঝি বলেন, ‘ভোর ৫টার সময় আমরা ৫ জন জেলে একসঙ্গে সাগরে মাছ শিকারে যাই। প্রথম প্রথম ভালোই মাছ পাচ্ছি।’

বাহারছড়া নৌকা মালিক সমিতির সভাপতি বেলাল উদ্দিন জানান, ‘৬৫ দিন সাগরে মাছ শিকারে যেতে না পারায় জেলে এবং মালিকপক্ষ উভয়কে অর্থনৈতিক সমস্যায় পড়তে হয়েছিল। এমনকি নিষেধাজ্ঞা শেষে নৌকা প্রস্তুত করে সাগরে মাছ ধরতে পাঠানোরও সামর্থ্য ছিল না অনেক মালিকের। তারপরও কষ্ট করে যারা নৌকা সাগরে পাঠিয়েছে তারা নিরাশ হয়নি। মাছ পড়েছে জালে। জেলেরা খুশি। মালিকদের মাঝেও স্বস্তি ফিরেছে।’

কক্সবাজার জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এসএম খালেকুজ্জামান জানান, ‘এখনও সাগরের অবস্থা ভালো না। বৃষ্টি ও বৈরী আবহাওয়ার কারণে সাগর কিছুটা উত্তাল। এ কারণে অনেক ট্রলারকে আমরা এখন মাছ ধরতে না যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছি। তারপরও কিছু কিছু ট্রলার সাগরে গিয়ে মাছ পাচ্ছে। কয়েকদিন পর গেলে প্রচুর মাছ পাবে জেলেরা।’ সূত্র:রাইজিংবিডি

প্রকাশ : জুলাই ২৬, ২০২১ ২:০১ অপরাহ্ন
জালে আটকে প্রাণ গেল জেলের
মৎস্য

কক্সবাজারের পেকুয়ায় মাছ ধরার জালে আটকা পড়ে মৃত শাহাব উদ্দিন (৪৭) নামের এক জেলের মৃত্যু হয়েছে। তিনি উপজেলার বারবাকিয়া ইউনিয়নের বুধামাঝির ঘোনা এলাকার বাসিন্দা।

রোববার (২৫ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলার বারবাকিয়া ইউনিয়নের বুধামাঝির ঘোনাস্থ ভোলা খালে এ ঘটনা ঘটে।

বারবাকিয়া ইউপির চেয়ারম্যান মওলানা বদিউল আলম জেলের মৃত্যুর ঘটনা নিশ্চিত করেছেন।

স্থানীয়দের বরাত দিয়ে চেয়ারম্যান জানান, ‘পেকুয়ায় ভোলা খালে জাল বসিয়ে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করে আসছিল শাহাব উদ্দিন। প্রতিদিনের মতো সেদিন বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে মাছ ধরার জন্য খালে জাল বসায় সে।

এক পর্যায়ে পানির স্রোতে জালের ভেতর আটকা পড়ে শাহাব উদ্দিন। অন্যান্য জেলেরা দ্রুত জালটি উঠিয়ে তাকে উদ্ধার করে মুমূর্ষু অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) কানন সরকার জানান, ‘মাছ ধরতে গিয়ে এক জেলে মারা গেছেন বলে জেনেছি। ঘটনাটি খুবই মর্মান্তিক।’

প্রকাশ : জুন ১১, ২০২১ ১১:৫০ অপরাহ্ন
এক কাতলের ওজন ২২কেজি, বিক্রি ৩৪ হাজার টাকা!
মৎস্য

রাজবাড়ীর দৌলতদিয়ায় পদ্মা নদীতে জেলেদের জালে ২২ কেজি ওজনের বিশাল এক কাতল মাছ ধরা পড়েছে। মাছটি বিক্রি হয়েছে ১ হাজার ৫০০ টাকা কেজি দরে ৩৩ হাজার ৭৫০ টাকা।

বৃহস্পতিবার বিকেলে পদ্মা ও যমুনার মোহনায় জেলে মুক্তার হোসেনের জালে মাছটি ধরা পড়ে।

জেলে কাদের জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে তিনি ও তার সহযোগীরা মিলে পদ্মা নদীতে মাছ ধরতে যান। তারা দুবার জাল ফেলেও কিছু পাননি। পরে দুপুর ২টার দিকে তৃতীয়বার জাল তোলার সময় বড় ঝাঁকি দিলে বুঝতে পারেন, জালে বড় কোনো মাছ ধরা পড়েছে। জাল টেনে নৌকার কাছে আনার পর সবাই দেখতে পান, বড় একটি কাতল মাছ ধরা পড়েছে।

পরে তারা মাছটি দৌলতদিয়া ৫ নং ফেরিঘাটে নিয়ে আসেন। সেখানে এসে মাছটি ওজন দিয়ে দেখতে পান ২২ কেজি ৫০০ গ্রাম। এ সময় মাছটি নিলামে তুললে সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে মৎস্য ব্যবসায়ী মো. চান্দু মোল্লা ১ হাজার ৪০০ টাকা কেজি দরে মাছটি কিনে নেন। মাছটি কিনেই তিনি ৫ নম্বর ফেরিঘাটের পন্টুনের সঙ্গে বেঁধে রাখেন।

দৌলতদিয়ার ৫ নম্বর ফেরিঘাটের চাঁদনী-আরিফা মৎস্য আড়তের স্বত্বাধিকারি চান্দু মোল্লা জানান, পদ্মা নদীর বাইরের চর দৌলতদিয়া এলাকায় জেলে কাদের চালাকের জালে বড় একটি কাতল মাছ ধরা পড়ে। মাছটি ফেরিঘাটে নিয়ে এলে উন্মুক্ত নিলামে অংশ নিয়ে ১ হাজার ৪০০ টাকা কেজি দরে ৩১ হাজার ৫০০ টাকায় কিনি। পরে মুঠোফোনে ঢাকার ব্যবসায়ীদের সঙ্গে যোগাযোগ করে ১ হাজার ৫০০ টাকা কেজি দরে ৩৩ হাজার ৭৫০ টাকা বিক্রি করি।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা জয়দেব পাল জানান, এ বছর নদীতে ইলিশ রক্ষা অভিযান সফল হওয়ায় এবং পদ্মা নদীর পানি কমে যাওয়ায় প্রচুর পরিমাণে বড় বড় আকৃতির মাছ ধরা পড়ছে। এটা জেলেদের জন্য সুখের বার্তা।

প্রকাশ : মে ১৭, ২০২১ ৪:২৩ অপরাহ্ন
২০ মে থেকে শুরু হচ্ছে মাছ ধরায় ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা
মৎস্য

সাগরে মাছ বৃদ্ধি এবং সুষ্ঠু প্রজননের জন্য ৬৫ দিন মাছ ধরার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ হতে যাচ্ছে। আগামী ২০ মে থেকে শুরু হয়ে ২৩ জুলাই পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা থাকবে। বাংলাদেশ সরকার এ নিষেধাজ্ঞা চলাকালীন জেলেদের সহায়তা প্রদান করে আসছে।

মেরিন ফিশারিজ অর্ডিন্যান্স অনুযায়ী, বঙ্গোপসাগরে প্রতিবছর ৬৫ দিন মাছ ধরা নিষিদ্ধ। ২০১৫ সালে সব ধরনের নৌযানকে এই নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছিল। সে অনুযায়ী আগামী ২০ মে থেকে বন্ধ থাকবে মাছ ধরা।

ইতোমধ্যে জেলেদের জন্য বাংলাদেশ সরকার ১৬ হাজার ৭২১ মেট্রিক টন ভিজিএফের চাল বরাদ্দ দিয়েছে। এর আওতায় উপকূলের ১৪টি জেলার ৬৬টি উপজেলায় ২ লাখ ৯৮ হাজার ৫৯৫টি জেলে পরিবার ৫৬ কেজি করে চাল পাবে।

করোনা মহামারীতে জেলেদের ও আয় কমে গেছে। তার মধ্যে আবার মাছ ধরায় ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা। এখন কিভাবে তাদের পরিবার চলবে, এ নিয়ে উদ্বেগের মধ্যে আছেন সব জেলেরা ।

প্রকাশ : মে ৫, ২০২১ ৩:৪৩ অপরাহ্ন
মাছ ধরতে গিয়ে ট্রাকের ধাক্কায় লালমনিরহাটে ২ জেলের মৃত্যু
মৎস্য

লালমনিরহাটের পাটগ্রামে ভ্যান যোগে মাছ ধরতে যাওয়ার পথে ট্রাকের ধাক্কায় দুই জেলে আকবর আলী (৫৫) ও যাদু ইসলাম (৩৭) নামে দুই ব্যক্তি নিহত হয়েছে। এ সময় আরও তিনজন গুরুত্বর আহত হয়।

বুধবার (৫ মে) সকালে ওই উপজেলার বুড়িমারী-লালমনিরহাট আঞ্চলিক মহা সড়কের বুড়িমারী ঘুন্টি নামক এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। পাটগ্রাম থানার ওসি সুমন কুমার মোহন্ত এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

নিহত আকবর আলী ওই উপজেলার উফারমারা গ্রামের রহমতপাড়ার মফিজ উদ্দিনের পুত্র ও যাদু ইসলাম একই এলাকার নজরুল ইসলামের পুত্র বলে জানা গেছে।

স্থানীয়রা জানান, আকবর আলী ও যাদু ইসলাম দুই জনে ভ্যান যোগে মাছ ধরতে যাচ্ছিলেন। এ সময় ওই এলাকায় বুড়িমারী-লালমনিরহাট আঞ্চলিক মহাসড়কে একটি ট্রাকের ধাক্কায় ঘটনাস্থলে আকবর আলীর মৃত্যু হয়। স্থানীয়রা এ সময় যাদু ইসলামসহ আরো দুই জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে যাদু ইসলামের মৃত্যু ঘটে।

আহত অপরজনকে প্রথমে পাটগ্রাম হাসপাতালে পরে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

পাটগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুমন কুমার মোহন্ত বলেন, অভিযুক্ত চালক ও সহকারী চালক পালিয়ে গিয়েছে। তবে ট্রাকটি আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।

প্রকাশ : মে ৪, ২০২১ ৬:০৭ অপরাহ্ন
ইলিশ ধরা বন্ধ,পটুয়াখালীর দরিদ্র জেলেদের মাঝে গরু বিতরণ
প্রাণিসম্পদ

ইলিশ ধরা বন্ধ থাকাকালে বিকল্প কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে পটুয়াখালীর বাউফলের ১০ জেলেকে গাভী বিতরণ করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৪ মে) দুপুর ১২টার দিকে সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয়ের সহযোগিতায় উপজেলা পরিষদ মাঠে এসব গাভী দেয়া হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- মৎস্য অধিদফতরের বরিশাল বিভাগীয় উপ-পরিচালক আনিছুর রহমান, বাউফল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকির হোসেন ও সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মাহবুব আলম ঝান্টা।

সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মাহবুব আলম ঝান্টা জানান, ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থা প্রকল্পের আওতায় সুফলভোগীদের কর্মসংস্থানের সৃষ্টিতে জেলেদের মাঝে এসব গাভী বিতরণ করা হয়েছে। আগামী সপ্তাহের মঙ্গলবার আরও ১০ জেলেকে গাভী দেয়া হবে বলে জানান তিনি।

প্রকাশ : মে ৪, ২০২১ ১০:২৫ পূর্বাহ্ন
সুন্দরবনে বিষ দিয়ে মাছ ধরায় নিষিদ্ধ জালসহ ৩ জেলে আটক
মৎস্য

সুন্দরবনে বিষ দিয়ে মাছ ধরার অভিযোগে নিষিদ্ধ জাল ও বিষের বোতলসহ ৩ জেলেকে আটক করেছে বনবিভাগ।

সোমবার (৩ মে) ভোর ৫টায় পশ্চিম সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জের তেরকাটি এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।

আটকরা হলেন- সাতক্ষীরার শ্যামনগরের মুন্সীগঞ্জ ইউনিয়নের মৌখালী গ্রামের রাশিদুলের ছেলে ইসমাইল হোসেন (২৪) ও ইস্রাফিল (২২) এবং ওই গ্রামের আব্দুল হাকিমের ছেলে হুসাইন (২২)।

বনবিভাগের বুড়িগোয়ালীনি স্টেশন কর্মকর্তা সুলতান আহম্মেদ জানান, সোমবার ভোর ৫টার দিকে সুন্দরবনের তেরকাটি এলাকায় অভিযান চালিয়ে বিষের বোতল, নিষিদ্ধ জাল ও বিষ দিয়ে শিকারকৃত মাছসহ তাদের আটক করা হয়। বন আইনে মামলা দায়ের করে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি।

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop