১২:২৫ পূর্বাহ্ন

শুক্রবার, ১০ মে , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : নভেম্বর ২৬, ২০২১ ১১:৩৪ পূর্বাহ্ন
সিলেটের কানাইঘাটে তরমুজ চাষে সফল মাদ্রাসাছাত্র আশিক
কৃষি বিভাগ

কানাইঘাটে মালচিং পদ্ধতিতে তরমুজ চাষ করে সাফল্য পেয়েছেন মাদ্রাসাছাত্র আশিকুর রহমান। তরমুজ চাষে তাঁর সফলতার খবর এখন এলাকার সবার মুখে।

স্থানীয়রা জানান, মালচিং পদ্ধতিতে ব্ল্যাক সুইট তরমুজ চাষের খবর এর আগে এলাকার কেউ জানতেন না। আশিকুর ইউটিউব দেখে বাড়ির পাশে প্রায় ২৪ শতক জায়গা বর্গা নিয়ে মালচিং পদ্ধতিতে ব্ল্যাক সুইট তরমুজ চাষ শুরু করেন।

কানাইঘাট উপজেলার দক্ষিণ বাণীগ্রাম ইউনিয়নের বাউরভাগ পশ্চিম গ্রামে কৃষক ইলিয়াছ আলীর ছেলে আশিকুর। গাছবাড়ি জামিউল উলুম কামিল মাদ্রাসার ফাজিল ১ম বর্ষের ছাত্র তিনি। লেখাপড়ার পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষ করেন এ তরুণ। সম্প্রতি মালচিং পদ্ধতিতে ব্ল্যাক সুইট তরমুজ ও কিরা চাষ করে ব্যাপক সাফল্য পেয়েছেন। এলাকার লোকজনের কাছে আশিক এখন সফল ও স্বাবলম্বী।

আশিকুর রহমান বলেন, আমি কৃষক পরিবারের সন্তান। লেখাপড়ার পাশাপাশি বাড়িতে না বসে বাবাকে কৃষি কাজে সহযোগিতা করতাম। করোনাকালে হঠাৎ ইউটিউবে মালচিং পদ্ধতিতে তরমুজ চাষের ভিডিও দেখে চাষে আগ্রহী হই। এরপর বগুড়া থেকে কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে বীজ সংগ্রহ করে চাষ শুরু করি। এখন আমার তরমুজ চাষ দেখতে প্রতিদিন বিভিন্ন গ্রাম থেকে লোকজন আসছে।

আশিকের বাবা ইলিয়াছ আলী বলেন, প্রথমে ছেলের এই কাজ পছন্দ করিনি। এখন তাঁর এই চাষ পদ্ধতিতে তরমুজের ফলন দেখে আমি খুবই খুশি। কারণ মালচিং পদ্ধতিতে তরমুজ চাষে ফলন খুবই ভালো হয়েছে।

এলাকার বাসিন্দা আরিফুর রহমান বলেন, আমি প্রথমে বিশ্বাস করতে পারিনি। মালচিং পদ্ধতিতে ব্ল্যাক সুইট তরমুজের ফলন এত ভালো হবে। আমরা এবার আশিকের চাষ পদ্ধতি অনুসরণ করছি। ভবিষ্যতে আমরা এভাবে মালচিং পদ্ধতিতে তরমুজ চাষ করব।

এ বিষয়ে কানাইঘাট উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. এমদাদুল হক বলেন, মালচিং পদ্ধতিতে ব্ল্যাক সুইট তরমুজ ও কিরা চাষে আশিকের সফলতার খবর শুনেছি। এ পদ্ধতি কানাইঘাটের জন্য নতুন একটি বিষয়। আমরা তাঁকে যতটুকু পারি সহযোগিতা করব। পাশাপাশি অন্যান্যে এ চাষ পদ্ধতিতে উৎসাহী করব।

প্রকাশ : অক্টোবর ১১, ২০২১ ২:৩৫ অপরাহ্ন
তরমুজের গুড উৎপাদনে সাড়া জাগিয়েছেন মৃত্যুঞ্জয়
কৃষি বিভাগ

খুলনা জেলার ডুমুরিয়া উপজেলার ছোটবন্ড গ্রামের কৃষক মৃত্যুঞ্জয় মন্ডল কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় প্রথমবারের মত তরমুজের গুড় তোগুড় উৎপাদন করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন।

তিনি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মোছাদ্দেক হোসেনের সহযোগিতায় ২০১৯ সালে প্রথমবারের মত তরমুজ লাগিয়েছিলেন এবং পরপর তিন বছর তরমুজ চাষ করে এলাকায় সফল তরমুজ চাষী হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।

বরাবরই তরমুজ উচ্চ মূল্যের ফসল, তবে কিছু কিছু তরমুজ সাইজে কিছুটা ছোট হয় বা আকার আকৃতিতে কিছুটা কম থাকে, ফলে গ্রেডিং এ টেকে না, যা ক্যাট নামে পরিচিত। এগুলো বিক্রি হয়না এবং অনেক সময় মাঠেই থেকে যায়। কোন কোন সময় বৃষ্টিতে পঁচে এগুলোর দুর্গন্ধ সৃষ্টি হয়। মৃত্যুঞ্জয় ঐ সমস্ত ক্যাট নিয়ে কোন রকম মেশিন ছাড়া একেবারে দেশীয় প্রযুক্তি ব্যবহার করে তরমুজ কেটে এর লাল অংশ বের করে, নেট দিয়ে ছেঁকে জুস বের করে চুলায় জালিয়ে তোগুড় তৈরি করছেন। প্রাকৃতিক উপায়ে তৈরি এ গুড় অত্যন্ত সুস্বাদু এবং অনেক দিন সংরক্ষণ করা যায়।

মৃত্যুঞ্জয় জানান, তরমুজের রস মিষ্টি এবং পাতলা, এজন্য আমার মনে হয়েছিল এর থেকে গুড় করা সম্ভব এবং আমি শুরু করে সফল হয়েছি। আমি প্রায় তিন কেজি গুড় তৈরি করে আমি নিজে, পাড়া প্রতিবেশী, উপজেলা কৃষি অফিসার স্যারসহ অনেককেই খায়য়েছি। সকলে প্রশংসা করেছে। অনেকেই ৩০০ টাকা কেজি দরে কিনতে চেয়েছে। আগামীতে এর উৎপাদন আরও বৃদ্ধি করব।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মোছাদ্দেক হোসেন জানান, এটি কৃষিতে এক দারুণ অর্জন। আমাদের দেশের গুড় শিল্প দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে। একদিকে তাল, খেজুর গাছের সংখ্যা অপরদিকে গাছির সংখ্যা কমে যাচ্ছে। ফলে অদূর ভবিষ্যতে গুড় শিল্প হুমকির দিকে চলে যাচ্ছে।

প্রকাশ : অক্টোবর ১০, ২০২১ ৮:২৬ পূর্বাহ্ন
মরুর ফল চাষে লাখপতি স্কুল শিক্ষক
কৃষি বিভাগ

টানা দেড় বছর দাপ্তরিক প্রয়োজনীয় কাজ ছাড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল। এ সময় বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার আন্ধারমানিক ইউনিয়নের আজিমপুর গ্রামের স্কুলশিক্ষক হাসান মাহমুদ সাইদ (৪৫) চাষাবাদ করেছেন গ্রীষ্ফ্মকালীন ও মরুভূমির ফল তরমুজ ও বাঙ্গির।

দেখা যায়, সাইদ হাসান গত বছর ২৪ শতাংশ জমিতে মরুভূমির ফল আবাদ করে বিক্রির পর আড়াই লাখ টাকা লাভ করেছেন। এ বছর এক একর জমিতে আবাদ করে ১০ লাখ টাকা লাভের আশা করছেন তিনি। এসব ফলের বীজ বপনের ১৫ দিনের মধ্যেই ফুল ধরে এবং তিন মাসের মধ্যে ফলগুলো বিক্রয়যোগ্য হয়ে ওঠে। ১২ মাসই আবাদ করা যায় এসব ফলের।

এ ছাড়া তার খামারে আবাদ করা হয় বিদেশি জাতের ব্রোকলি (ফুলকপি), মিষ্টি মরিচ, লেটুস পাতা, রেডবিট (শালগম জাতীয়), টমেটো, আলুবোখারা, লবঙ্গ, ডুরিয়ান (মালয়েশিয়ান ফল) সাদা জাম, কমলাসহ দুষ্প্রাপ্য বিভিন্ন জাতের বিদেশি ফলের চারা। পাঁচটি মাছের ঘেরে আছে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ।

হাসান মাহমুদ জানান, ১৯৯০ সালে এসএসসি পাসের পর কৃষি ব্যাংক থেকে ২৫ হাজার টাকা ঋণ নিয়ে তিনি মাছের ঘের করেন। এরপর আর পেছনের দিকে ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। এরই মধ্যে খামারের পরিধি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ একরে। ২০১০ সালে পাঁচটি ঘেরের চারপাশে কৃষিকাজ শুরু করেন। এ সব কাজের পাশাপাশি দর্শনে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৯৬ সালে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক পদে যোগ দিয়ে পদোন্নতি পেয়ে প্রধান শিক্ষক হয়েছেন তিনি।

হাসান মাহমুদ সাইদ বলেন, গত বছর বরিশাল নগরীর একটি বীজ বিক্রির দোকানে তার পরিচয় হয় থাইল্যান্ডের চিয়াত তাই কোম্পানির (বীজ বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠান) এক বিক্রয়কর্মীর সঙ্গে। তার পরামর্শ ও বিনামূল্যে দেওয়া বীজে আরব দেশের সুস্বাদু ফল আবাদে আকৃষ্ট হন তিনি।

আন্ধারমানিক ইউনিয়নের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মামুন সরদার জানন, হাসান মাহমুদের খামারে কৃষি অধিদপ্তরের উদ্যোগে বিভিন্ন ধরনের ফল ও আখ এবং নানা প্রকার সবজির প্রদর্শনী করা হচ্ছে। আগ্রহী তরুণদের নিয়ে সেখানে প্রশিক্ষণ কর্মশালা করা হয়। এরই মধ্যে আন্ধারমানিক ইউনিয়নের দুই যুবক প্রশিক্ষণ নিয়ে নিজ নিজ বাড়িতে খামার গড়েছেন।

মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হারুন অর রশিদ জানান, অধিদপ্তরের বিভাগীয় ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা হাসান মাহমুদের খামার পরিদর্শন করেছেন। তার উদ্যোগ সর্ব মহলে প্রশংসিত হচ্ছে বলে জানান তিনি।

প্রকাশ : অক্টোবর ৯, ২০২১ ১১:২০ অপরাহ্ন
তরমুজ চাষে লাখ টাকা আয়ের স্বপ্ন দেখছেন শিক্ষার্থী ছামিউল্লাহ
কৃষি বিভাগ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার প্যারামেডিকেলের এক শিক্ষার্থী করোনাকালীন সময়ে পতিত জমিতে বিভিন্ন জাতের তরমুজ চাষ করে লাখ টাকা আয়ের স্বপ্ন দেখছেন ।

জানা গেছে, করোনা মহামারিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দীর্ঘদিন বন্ধ ইউটিউবে কুমিল্লার এক তরমুজ চাষির গল্প শুনেন তিনি। পরে ওই চাষির সাথে যোগাযোগ করে তরমুজ চাষের পরামর্শ নেন তিনি। পরামর্শ অনুযায়ী চার জাতের তরমুজের চারা রোপণ করেন। এর মধ্যে ব্ল্যাক বেবি, গোল্ডেন ক্রাউন এবং বাংলাদেশি জাত মধুমালা এবং সুপার কিং অন্যতম। ফলন ভালো হওয়ায় লাখ টাকা আয়ের স্বপ্ন দেখছেন এই শিক্ষার্থী।

মো. ছামিউল্লাহ জানান, আমি প্রথমে ইউটিউবে কুমিল্লার এক তরমুজ চাষির গল্প দেখি। পরে ওনার সাথে যোগাযোগ করে কোথায় থেকে বীজ নিতে হবে সেটি জানলাম। পরে আমি ফোন করে বীজ এনেছি। আমি এখানে চার জাতের তরমুজ ব্ল্যাক বেবি, গোল্ডেন ক্রাউন এবং বাংলাদেশি জাত মধুমালা এবং সুপার কিং চাষ শুরু করি। আমার এই গাছগুলো সম্পূর্ণভাবে ফলন দিয়েছে। এখনও আমি বিক্রি শুরু করেনি। আশা করছি আগামী কয়েকদিনের মধ্যে বিক্রি শুরু করতে পারব।

তিনি জানান, প্রথমে যখন আমি চাষ করি তখন আমাকে অনেকেই না করেছিল কিন্তু বর্তমানে সবাই এসে আমার ফলন দেখছেন, পরামর্শ চাচ্ছেন। সবাই এখন অনেক খুশি। মাত্র ২৫ শতাংশ জমিতে তরমুজ আবাদ করেছি। আশা করছি প্রায় ১ লাখ টাকার ফল বিক্রি করতে পারব, বলেন তিনি।

কসবা উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. আমিনুল ইসলাম জানান, এই এলাকায় প্রথমবার তরমুজ চাষ করেছে ছামিউল্লাহ। আমরা তাকে বলেছি তার এই চাষাবাদ অব্যাহত রাখার জন্য। এতে করে কুটি এলাকায় অন্য কৃষকরা উৎসাহিত হবে। কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে আমরা বলেছি যখন যে পরামর্শ প্রয়োজন আমরা তাদেরকে দিয়ে যাব। কারণ পোকা মাকড়ের আক্রমণ সম্পর্কে তাদের কোনো ধারণা নেই। সে জন্য আমরা এসে তাদেরকে পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি।

প্রকাশ : অক্টোবর ৮, ২০২১ ২:৩৯ অপরাহ্ন
অসময়ে তরমুজ চাষে খরচের দ্বিগুণ লাভ করছেন চাষিরা
কৃষি বিভাগ

অসময়ে তরমুজ চাষ করে সফল হয়েছেন মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জের আদমপুর গ্রামের কৃষক আব্দুল মতিন। পাত্রখোলা চা বাগানের প্রায় দুই বিঘা জমিতে প্রথমবারের মতো উচ্চ ফলনশীল তিন জাতের তরমুজ চাষ করেন তিনি। এখন মৌসুম না হলেও তার জমিজুড়ে শোভা পাচ্ছে হলুদ, কালো ও সবুজ ডোরাকাটা তরমুজ। তরমুজের ফলন ও দাম ভালো হওয়ায় বেশ লাভবান এই কৃষক।

আব্দুল মতিন জানান, তরমুজের তিন জাত ব্ল্যাক বেরি, মধুমালা এবং বাংলালিংক জাতের। ফলন খুবই ভালো হয়েছে। আর ফলন দেখে আমরা সবাই খুশি।

গবেষণায় সফলতার পর এবার মাঠ পর্যায়ে বাম্পার ফলন হয়েছে নতুন উদ্ভাবিত বারি-১ ও ২ জাতের তরমুজের। আধুনিক পদ্ধতি ব্যবহার করে বারোমাসী এ তরমুজ চাষে স্বাবলম্বী পটুয়াখালী কলাপাড়ার তিন কৃষক।

কৃষকরা জানান, এই তরমুজ আমরা এ পর্যন্ত তিনবার বিক্রি করেছি। এতে আমাদের যা খরচ হয়েছে তার চেয়ে দ্বিগুণ লাভ হয়েছে। তবে এখন যে পরিমাণ চাহিদা সে পরিমাণ দিতে পারছি না, জানালেন আরেক কৃষক।

২০১৫ সালে গবেষণা শুরু করে পাঁচ বছর পর দেশীয় এই নতুন জাত উদ্ভাবনে সফল হন কৃষি গবেষণা ইনিস্টিটিউটের পটুয়াখালীর লেবুখালী আঞ্চলিক উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্রের গবেষকরা।

এমন সফলতায় তরমুজ চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন অনেক কৃষক। আর চাষীদের পরামর্শ ও সহযোগিতা দেয়ার কথা জানিয়েছে কৃষি বিভাগ।

প্রকাশ : অক্টোবর ৪, ২০২১ ১০:১৬ পূর্বাহ্ন
ঘেরের বেড়িতে গ্রীষ্মকালীন তরমুজের ফলন
কৃষি বিভাগ

জেলার কেশবপুর উপজেলার বিল খুকশিয়ায় মাছের ঘেরের বেড়িতে গ্রীষ্মকালীন তরমুজের ভালো ফলনে কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে।চাষিরা গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষ করে সফলতা পেয়েছেন।এখানে গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষে ভাগ্য বদল হয়েছে অনেক কৃষকের।মাছ চাষের পাশাপাশি তরমুজ চাষ করে অর্থনৈতিকভাবে অনেক চাষি লাভবান হয়েছেন বলে জানান কৃষি কর্মকর্তা।

কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, প্রথমবারের মত মাছের ঘেরের বেড়িতে গ্রীষ্মকালীন তরমুজের আবাদে ভালো ফলন পেয়ে বেশ লাভবান হচ্ছেন চাষিরা। এলাকার চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন এলাকায় পৌঁছে যাচ্ছে গ্রীষ্মকালীন এ তরমুজ।

গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষে লাভবান হওয়ায় অনেক কৃষক নতুন করে এ আবাদে ঝুঁকছেন। কৃষি কর্মকর্তারা তরমুজ আবাদ পরিদর্শন করে চাষিদের এ আবাদে উদ্বুদ্ধ করছেন।কেশবপুর উপজেলা সদর থেকে প্রায় ১৪ কিলোমিটার দূরে শ্রীহরি নদীর তীরে অবস্থিত বিল খুকশিয়া। এ বিলের ৬ হাজার ৩৭৫ বিঘা ফসলি জমি দীর্ঘ প্রায় ২০ বছর যাবত জলাবদ্ধ থাকায় কৃষকেরা ঠিকমত ফসল ফলাতে পারতেন না। বিলের জলাবদ্ধতা নিরসন করে ফসল উৎপাদনের লক্ষ্যে ২০০৫ সালে পানি উন্নয়ন বোর্ড শ্রীহরি নদীতে নাব্যতা ফিরিয়ে আনতে এবং বিল খুকশিয়ার তলদেশ উঁচু করার জন্য জোয়ার-আঁধার টিআরএম প্রকল্প গ্রহণ করে। কৃষকরা বিলটিতে মাছের ঘের তৈরি করেন এবং মাছের ঘেরের বেড়িতে গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষ শুরু করেন।চলতি গ্রীষ্ম মৌসুমে তরমুজ চাষ করে কৃষকরা ব্যাপক সফলতা পেয়েছেন।

সূত্রে জানা গেছে, বিল খুকশিয়ায় বেশির ভাগ ঘেরের বেড়িতে তরমুজ চাষ করা হয়েছে।এ বিলে তরমুজ চাষ করা কৃষক আব্দুল কুদ্দুস জানান, তিনি ৭বিঘা জমির ঘেরের পাড়ে মান্দা তৈরি করে গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষ করে ভালো ফলন পেয়েছেন।

চাষি মহসিন উদ্দিন বলেন, তিনি ১৩ বিঘা মাছের ঘেরের বেড়িতে ১ হাজার ৪০০টি তরমুজের মান্দা তৈরি করে ইতোমধ্যে ফলন পেয়েছেন ২৭৫ মণ।তিনি প্রতি মণ তরমুজ ১ হাজার ২০০ টাকা করে বিক্রি করছেন। সর্বোচ্চ ১২ কেজি ওজনের তরমুজ পেয়েছেন তিনি। কাকবাঁধাল গ্রামের আব্দুল হালিম বলেন, তিনি ১২০টি মান্দা তৈরি করে তরমুজের চাষ করেছেন।উৎপাদিত তরমুজ ট্রাকে করে নিয়ে সাভারের আশুলিয়ায় পাইকারি বিক্রি করে থাকি।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ঋতুরাজ সরকার বলেন, বিল খুকশিয়ায় মাছের ঘেরের বেড়িতে তরমুজ চাষ এ এলাকার কৃষকদের অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করছে।কানাইডাঙ্গা,কাকবাঁধাল ও ডহুরী গ্রামের এ বিলে এবছর প্রায় ২শ’ চাষি তরমুজ চাষ করেছেন।এখানে সর্বোচ্চ ১৪ কেজি ওজনের তরমুজ উৎপাদিত হয়েছে।তরমুজ চাষিদের তরমুজ ন্যায্যমূল্যে বিক্রির জন্য সভারের আশুলিয়ায় মার্কেটিংয়ের ব্যাপারে কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে সহযোগিতা করা হয়েছে। এশিয়ান-১, পাকিজা সুপার, ব্লাক কিং, ব্লাক কুইং জাতের তরমুজ এখানে বেশি আবাদ করা হয়েছে। তরমুজ চাষে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করতে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে বলে তিনি জানান।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর যশোরের উপ-পরিচালক বাদল চন্দ্র বিশ্বাস জানান, কেশবপুরের বিল খুকশিয়ায় মাছের ঘেরের বেড়িতে গ্রীষ্মকালীন তরমুজের দৃষ্টি নন্দন চাষ হচ্ছে।এখানকার তরমুজ চাষিরা বর্তমান সময়ে ভালো দাম পেয়ে খুশি।উৎপাদিত গ্রীষ্মকালীন তরমুজ স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে যশোর জেলা শহরসহ আশপাশের বিভিন্ন জেলায় পাইকারি বিক্রি হচ্ছে।

প্রকাশ : সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২১ ৩:৪৩ অপরাহ্ন
তরমুজ চাষে আগ্রহ বাড়ছে খুলনার চাষিদের
কৃষি বিভাগ

ঘেরের আইলে উৎপাদিত শসার চেয়ে মৌসুম ছাড়া উৎপাদিত তরমুজ চাষ বেশি লাভজনক হওয়ায় শসা ছেড়ে এখন তরমুজ চাষে ঝুঁকছেন খুলনার কৃষকরা।স্থানীয় কৃষি অফিস থেকেও তরমুজ চাষে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। ফলে গত বছরের তুলনায় এ বছর প্রায় দশগুণ বেশি জমিতে তরমুজ উৎপাদন হচ্ছে।

খুলনার কৃষি অধিদপ্তরের সূত্র অনুযায়ী, খুলনার শষ্যভান্ডার হিসেবে ডুমুরিয়া উপজেলার ব্যাপক পরিচিতি থাকলেও শসা উৎপাদনে সব সময় এগিয়ে রয়েছে জেলার তেরখাদা উপজেলা। এখানকার শসা দেশের সীমানা পেরিয়ে বিদেশেও রপ্তানি হচ্ছে। কিন্তু দিনকে দিন দাম কমে যাওয়ায় কৃষকরা শষা উৎপাদনে আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন। এ ছাড়া শসা উৎপাদনে বেশি পরিমাণে সার ও কীটনাশক ব্যবহার করতে হয়। ফলে মাটির উর্বরা শক্তি কমে যায়। পানির ক্ষতি হওয়ায় মাছের উৎপাদনও কমে যায়।

তেরখাদা কৃষি অফিস সূত্র অনুযায়ী, গত বছর তেরখাদা উপজেলায় মাত্র দেড় একর জমিতে (ঘেরের ভেড়িতে) তরমুজ উৎপাদন হয়। ওই বছরই ভালো দাম পান কৃষকরা। ফলে এবার উপজেলার আজুগড়া, শ্রীপুর, কাটেঙ্গা, নেবুদিয়া, পারেরখালি এলাকায় তিন হেক্টর জমিতে মৌসুম ছাড়া তরমুজ উৎপাদন হচ্ছে।

তেরখাদা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, মৌসুম ছাড়া তরমুজ চাষ করে কৃষকরা ভালো ফলন পাচ্ছেন। যা শসার তুলনায় অনেক বেশি। এমনও হয়েছে যে, এক সপ্তাহ আগে যে শসা ১৫ থেকে ১৬ শত টাকা মণ বিক্রি হয়েছে, এক সপ্তাহ পরে গিয়ে সেই শসা ৩ শত টাকায় নেমে এসেছে। এতে কৃষক ভীষণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। ফলে শসা ছেড়ে এবার কৃষকরা মৌসুম ছাড়া তরমুজ চাষে বেশি আগ্রহী হয়েছেন।

প্রকাশ : সেপ্টেম্বর ৪, ২০২১ ২:৩৬ অপরাহ্ন
তরমুজ আবাদে ঝুঁকছে কৃষক
কৃষি বিভাগ

ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলায় অফ সিজনেও তরমুজের বাম্পার ফলন। উপজেলার বড় জোড়া গ্রামে আবাদ হয়েছে ১০ একর জমিতে সুপার কুইন জাতের তরমুজ। ফেব্রুয়ারি-মে মাস পর্যন্ত গরমকালে সুস্বাদু তরমুজ বাজারে পাওয়া যায়। তবে এখন আর মৌসুমি ফল নয় এটি। ডিসেম্বর ও জানুয়ারি (বেশি শীত) মাস বাদে বছরের বাকি ১০ মাসই চাষ হচ্ছে অফ সিজনের তরমুজ।

উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সোহেল রানা জানান, সারা বছর জল ও স্থলে পতিত জায়গায় মাটি কেটে বেড তৈরি করে মালচিং পদ্ধতিতে তরমুজের চারা রোপণ করা হয়। চারাগুলো বেড়ে ওঠার জন্য বেডের পাশে পানির উপর মাচা তৈরি করে দেওয়া হয়। চারা রোপণের ৩০ দিনের মধ্যে ফুল ও ফল ধারণ করে এবং ৪৫ থেকে ৫০ দিন পর ফল পরিপক্ব হয়।

তরমুজ চাষী আমানুল্লাহ জানান, জমিতে ধান পাট চাষ করতে যে খরচ হয় তরমুজ চাষে খরচ হয় তার অর্ধেক মুনাফা হয় বেশি। তাই তিনি ৪৫ শতক জমিতে তরমুজ চাষ করেছেন। তাকে অনুসরণ করে একই গ্রামের কৃষক শাহ জাহান ১০শতক, শফিকুল ইসলাম ৩৩ শতক, নজরুল ইসলাম ১০ শতক ও শান্ত মিয়া ৪০ শতক জমিতে তরমুজ চাষ করেছেন।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাধন কুমার গুহ মজুমদার জানান, তরমুজ একটি অর্থকরী ফসল। এ ফল ভিটামিন ও খনিজ উপাদানে সমৃদ্ধ। অর্থনৈতিক ভাবে বেকার যুবক ও কৃষককে স্বাবলম্বী করে তুলতে অফ সিজনে তরমুজ চাষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।

প্রকাশ : অগাস্ট ৩০, ২০২১ ৩:৫৮ অপরাহ্ন
হলুদ তরমুজ চাষে কৃষক মিস্টু’র চমক
কৃষি বিভাগ

নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় এই প্রথম হলুদ তরমুজের চাষ করা হয়েছে। হাতিয়ার তমরদ্দি ইউনিয়নের জোড়খালী গ্রামে কৃষক মো. মিস্টু হলুদ রঙের তরমুজ চাষ করে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছেন। নিজের বাড়ির সামনে প্রায় ৫০ শতক জমিতে কৃষক মিস্টু হলুদ তরমুজের চাষ করে ভালো ফলন পেয়েছেন। উপরে হলুদ ভিতরে লাল খেতে সুস্বাদু তরমুজগুলোর বাজার চাহিদা অনেক বেশী হওয়ায় চাষ করে লাভবান হচ্ছেন তিনি।

এক সময়ের পাওয়ার টিলার চালক মিস্টু জানান, চালক থাকা অবস্থায় তাকে অনেকবার যশোর যেতে হয়েছে। সেখানে সে দেখে এসেছে হলুদ রঙের (গ্রীণ ডায়মন্ড) এই তরমুজ চাষ। এরপর যশোর থেকে চারা এনে চলতি মৌসুমে হাতিয়ায় প্রথম এই হলুদ তরমুজের চাষ শুরু করেন। তার দেখাদেখি এখন পাশর্^বর্তী অনেক কৃষক উদ্বুদ্ধ হয়েছেন এই তরমুজ চাষে। আগামীতে এক একর জমিতে এই তরমুজ চাষ করার ইচ্ছা রযেছে কৃষক মিস্টু’র।
জোড়খালী গ্রামের ক্ষেতের পাশে বাড়ির দরজার উপর হলুদ তরমুজের স্তুপ সামনে রেখে দাঁড়িয়ে আছেন অনেকে।

এদের মধ্যে কয়েকজন তরমুজ ব্যাপারী হলেও অন্যরা এসেছেন দেখতে। কেউ-কেউ বাহারি ধরনের এই তরমুজ হাতে নিয়ে তুলছেন ছবি। ছড়িয়ে দিচ্ছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে।

অন্যান্য রঙের তরমুজের চেয়েও হলুদ রঙের তরমুজগুলো দেখতে সুন্দর, খেতে সুস্বাদু হওয়ায় এর বাজার মূল্যও বেশী। দুই কেজি ওজনের একটি তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়। ব্যাপারীরা ক্ষেত থেকে পরিমাপ করে নিয়ে যাচ্ছেন তরমুজ। বাজারে নেয়ার পরপরই হুমড়ি খেয়ে নিয়ে যাচ্ছেন ক্রেতারা।

উপজেলা উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা কৃষিবিদ জসিম উদ্দন জানান, স্থানীয় কৃষক মিস্টু হলুদ তরমুজ চাষে এই অঞ্চলে নতুন গল্পের সূচনা করলেন। আমরা তার সঙ্গে আছি। এ ব্যাপারে তাকে উপজেলা কৃষি অফিসের মাধ্যমে সকল ধরনের সহযোগিতা করা হবে। আমাদের কর্মীরা প্রতিনিয়ত তার সাথে যোগাযোগ রাখছেন।

প্রকাশ : অগাস্ট ২৮, ২০২১ ৬:১৪ অপরাহ্ন
লকডাউনে সফল কৃষি উদ্যোক্তা হয়ে উঠলেন সামসুল হক
Uncategorized

করোনার মহামারীর কারনে ব্যবসা বাণিজ্য প্রায় সবারই বন্ধ। এই সময়টাতে ইউটিউব দেখে বারোমাসী তরমুজ, কেনিয়া আর সাম্মাম চাষ করার উদ্যোগ নেন সামসুল হক। ৩৫ শতক জমি বন্ধক নিয়ে ঢাকা থেকে বীজ ও মালচিং পেপার সংগ্রহ করে কৃষিবিভাগ থেকে পরামর্শ নিয়ে বারোমাসী হলুদ তরমুজ নিয়ে কাজ শুরু করেন তিনি । তিনি কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার ধামঘর ইউনিয়নের ভূবনঘর গ্রামের মৃত সোনা মিয়ার ছেলে।

জানা যায়, মালচিং পদ্ধতিতে বারোমাসী তরমুজ ও সাম্মাম চাষ হচ্ছে। মাচায় ঝুলছে হলুদ রং এর তরমুজ। সাথে রয়েছে সাম্মাম। ঝুলন্ত হলুদ রঙ-এর বাহারি তরমুজ দেখে মনে হচ্ছে, হলুদের আভায় ছেয়ে গেছে সবুজ প্রকৃতি। তাইওয়ানের গোল্ডেন ক্রাউন জাতের হলুদ রংয়ের বারোমাসী তরমুজ ও সাম্মাম চাষ করে এরই মধ্যে সাড়া ফেলে দিয়েছেন কৃষি উদ্যোক্তা সামসুল হক। নতুন জাতের এই বারোমাসী তরমুজ ও সাম্মাম এক নজর দেখতে প্রতিদিন শত-শত মানুষ ভীঁড় করছেন সামসুল হকের ক্ষেতে। বাজারে ভালো দাম, চাহিদা ও লাভজনক হওয়ায় নতুন জাতের এই বারোমাসী তরমুজ ও সাম্মাম চাষে এখন আগ্রহ দেখাচ্ছেন অনেক কৃষক।

মুরাদনগর সদর হতে গোমতী নদীর ব্রিজ পার হয়ে বেঁড়িবাধের পাশে ভূবনঘর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। তার অদূরেই ৩৫ শতক জমিতে সামসুল হকের তরমুজ ক্ষেত। ৫০ দিন আগে ঢাকা থেকে বীজ সংগ্রহ করে এনে বপন করেন তিনি। এ পর্যন্ত জমি প্রস্তুত, সার, বীজ, মাচা, সুতা ও জাল বাবদ তার খরচ হয়েছে ৬০ হাজার টাকা। কয়েকদিন পরই তরমুজ খাওয়ার উপযোগী হবে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মাইনুদ্দিন আহমেদ সোহাগ জানান, বারোমাসী হলুদ তরমুজ ও সাম্মাম পুষ্টিগুণ অনেক বেশি, খেতেও মিষ্টি। সারাবছর চাষ করা যায়। এগুলো এতোদিন বিদেশে চাষ হতো। সম্প্রতি বাংলাদেশের কিছু কৃষি উদ্যোক্তা এ বারোমাসী তরমুজ চাষ করছেন। সামসুল হক একজন কৃষি উদ্যোক্তা। এর আগেও নতুন জাতের সবজি স্কোয়াশ ও ব্র্রোকলি চাষ করে ভালো সফলতা পেয়েছেন এবং স্কোয়াশ চাষে কৃষকদেরকে আগ্রহী করে তোলেছেন। তার আগ্রহ থেকেই মুরাদনগরে এই প্রথমবারের মতো চাষ হয়েছে হলুদ তরমুজ ও সাম্মাম। আশা করছি, সামসুল হক আর কয়েকদিন পর এই অঞ্চলে নতুন সফলতার গল্পের সূচনা করবেন। আমরা তার সঙ্গে আছি। যেসব কৃষক এই জাতের তরমুজ চাষে আগ্রহী হয়ে আমাদের কাছে আসবেন আমরা তাদের কারিগরি সবধরনের সহযোগিতা দিয়ে যাব।

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop