৪:১০ পূর্বাহ্ন

বৃহস্পতিবার, ৯ মে , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : এপ্রিল ২, ২০২২ ৬:১১ অপরাহ্ন
ঢাকায় ভ্রাম্যমাণ গাড়িতে সুলভ মূল্যে দুধ, ডিম, ও মাংস বিক্রয়ের উদ্যোগ নিয়েছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়
প্রাণিসম্পদ

রমজান মাস উপলক্ষ্যে আগামীকাল (০৩ এপ্রিল) থেকে রাজধানীতে সুলভ মূল্যে দুধ, ডিম ও মাংস ভ্রাম্যমাণ বিক্রয়ের উদ্যোগ নিয়েছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।

গরুর মাংস, খাসির মাংস, দুধ ও ডিমের সরবরাহ বৃদ্ধি ও সাপ্লাই চেইন সচল রেখে মূল্য স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে রমজান মাসে জনসাধারণ যেন সহজেই প্রাণিজ আমিষ ও পুষ্টির চাহিদা মেটাতে পারে সে লক্ষ্যে ব্যবসায়ী, উৎপাদনকারী ও সাপ্লাই চেইন সংশ্লিষ্ট সকলকে সাথে নিয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর এ ভ্রাম্যমাণ বিপণন ব্যবস্থা বাস্তবায়ন করছে।

আগামীকাল রবিবার (৩ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর কৃষি খামার সড়কের প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর প্রাঙ্গণে এক অনুষ্ঠানে এ কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

Continue reading “ঢাকায় ভ্রাম্যমাণ গাড়িতে সুলভ মূল্যে দুধ, ডিম, ও মাংস বিক্রয়ের উদ্যোগ নিয়েছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়”

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ১৯, ২০২২ ২:৫৫ অপরাহ্ন
সাতক্ষীরার কলারোয়ায় গাভীর দুধ খাচ্ছে ছাগল ছানা!
প্রাণিসম্পদ

গাভীর দুধ খেয়ে বেড়ে উঠছে ছাগলের একটি বাচ্চা তাও আবার বাছুরের সঙ্গেই। এই ব্যতিক্রমী ঘটনাটি ঘটেছে সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার দেয়াড়া ইউনিয়নের উলুডাঙ্গা গ্রামের দিদার হোসেন বাড়িতে।

এতে এলাকায় চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এমন বিরল দৃশ্য একনজর দেখতে দিদার হোসেনের বাড়িতে প্রতিদিনই বাড়ছে উৎসুক জনতার ভিড়।

কলারোয়া উপজেলা থেকে ১২ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে উলুডাঙ্গা গ্রামে ঢুকতে মাঠের ভিতরে রাস্তার পাশেই দিদারের হোসেনের বাড়ি।

তিনি জানান, গত কয়েকদিন আগে বাড়ির একটি গাভী গরু বাছুর জন্ম দেয়। কিছুদিন পর একটি ছাগলও এক সাথে ২টি বাচ্চার জন্ম দেয়। ২টি বাচ্চার মধ্যে একটি মায়ের দুধ খাওয়ার সুযোগ না পেয়ে দুর্বল হয়ে পড়ে। পরে সেটিকে গাভীর দুধ খাওয়ানো শুরু করার পর এখন নিজে থেকেই খাচ্ছে।

দিদার হোসেন জানান, গাভীর দুধ ছাগলের বাচ্চা খাচ্ছে এমন বিরল দৃশ্য দেখতে প্রতিদিনই তার বাড়িতে উৎসুক জনতার ভিড় বাড়ছে।

উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ড.অমল বিশ্বাস বলেন, ‘প্রাণিকূলে এমনটি হতে পারে। তবে সচরাচর দেখা যায় না। মায়ের শরীর থেকে প্রয়োজনীয় দুধ বা পুষ্টি না পেয়ে ছাগলের বাচ্চাটি গাভীর দুধ খাচ্ছে।’

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ১৭, ২০২২ ৪:১৪ অপরাহ্ন
খামারে গাভীর যত্ন ও দুধ উৎপাদনে যা করবেন
প্রাণিসম্পদ

বর্তমান সময়ে দুধ উৎপাদনের জন্য অনেকেই গাভী পালন করে থাকেন। আবার কেউ কেউ গাভীর খামার গড়ে লাভবান হচ্ছেন। খামারে গাভী পালনে সঠিক যত্ন ও দুধ উৎপাদন বাড়াতে বেশ কিছু কাজ করতে হয়।

খামারে গাভীর যত্ন ও দুধ উৎপাদন বৃদ্ধিতে যা করবেন:
খামারে গাভীর যত্নে গাভীর থাকার জায়গা ও ঘর নিয়মিত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। গাভীর খামারে সব সময় আলো ও বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা করতে হবে। খামারের পরিবেশ ঠিক থাকলে গাভীর স্বাস্থ্য ঠিক থাকবে ও খামারে দুধের উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে।খামারের গাভীকে পর্যাপ্ত পরিমাণে সবুজ ঘাস, খড় ও সুষম দানাদার খাদ্য সরবরাহ করতে হবে এবং রাতে গাভীর সামনে পরিষ্কার পানি দিয়ে রাখতে হবে। এতে গাভীর দুধ উৎপাদন বৃদ্ধি পায়।

খামারে পালন করা গাভীকে প্রত্যেক দিন সঠিক নিয়ম মেনে গোসল করিয়ে দিতে হবে। নিয়মিত গাভীকে গোসল করালে গাভীর শরীর সতেজ থাকবে ও দুধ উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে।প্রত্যেক দিন গাভীকে ব্রাস দিয়ে কিছু সময় আঁচড়ে দিতে হবে। এর ফলে গাভী আরাম বোধ করে এবং গাভীর দুধ উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে।

প্রত্যেক দিন একই সময়ে দুধ দোহান করতে হবে। এজন্য অভিজ্ঞ ব্যক্তি বা মেশিন ব্যবহার করে দুধ দোহান করতে হবে।

খামারে গাভীর বাছুরকে দুধ খেতে দিতে হবে এবং গাভীর নিকটবর্তী দুরত্বে বাছুর রাখতে পারলে ভালো হবে। বাছুরকে পর্যাপ্ত দুধ খাওয়াতে গাভীর দুধ উৎপাদন ভালো হয়। তাই গাভীকে বাছুরের সাথে কিছু সময় অতিবাহিত করার সুযোগ করে দিতে হবে।গাভীর থাকার জায়গা আরামদায়ক করার ব্যবস্থা করে দিতে হবে। থাকার স্থানে গাভীকে কোনভাবেই বিরক্ত করা যাবে না।

প্রকাশ : নভেম্বর ১, ২০২১ ৭:৪২ অপরাহ্ন
মাংস ও দুধের চাহিদা পূরণে হরিয়ানা থেকে আসছে মহিষ
প্রাণিসম্পদ

দেশের মাংস ও দুধের চাহিদা পূরণে ভারতের হরিয়ানা রাজ্য থেকে মুররাহ প্রজাতির ১৬০টি মহিষ আনছে প্রাণিসম্পদ অধিদফতর। চলতি মাসেই একটি কারিগরি কমিটি প্রাক-জাহাজীকরণ পরিদর্শনে (পিএসআই) ভারত যাবেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

প্রকল্প সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, আমাদের দেশে বর্তমানে যে মহিষের জাত রয়েছে তা বছরে বাচ্চা প্রসবের পরে প্রায় ৩০০ দিনে ৪০০-৫০০ লিটার দুধ দিয়ে থাকে আর হরিয়ানা রাজ্যের মুররাহ জাতের মহিষ ৩০০ দিনে প্রায় ২০০০-২৫০০ ক্ষেত্র বিশেষে ৩০০০ লিটার পর্যন্ত দুধ দিয়ে থাকে।

এ বিষয়ে প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের মহাপরিচালক ডা. মনজুর মোহাম্মদ শাহজাদা বলেন, বর্তমান সরকার দেশে মাংস ও দুধ উৎপাদনে জোর দিয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় দুধ ও মাংসের যোগান নিশ্চিত করার জন্য ভারত থেকে ভালো জাতের মহিষ সংগ্রহ করা হচ্ছে। আশাকরি আগামী মার্চ-এপ্রিলের মধ্যে আমরা এসব মহিষ হাতে পাবো।করোনার কারণে আমরা কিছুটা পিছিয়ে পড়লেও এখন পুরোদমে কাজ চলছে। চলতি মাসের যে কোনো সময়ে আমাদের একটা টিম পশু দেখতে যাওয়ার কথা রয়েছে।

এ বিষয়ে প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ও প্রকল্প পরিচালক ডা. মো.মুহসীন তরফদার রাজু বলেন, মহিষ উন্নয়ন প্রকল্পের (২য় পর্যায়)’ মাধ্যমে সরকারি মহিষ খামারসহ (সাভার, ঢাকা, সন্তোষ, টাঙ্গাইল এবং বাগেরহাট) দেশের মোট ২০০টি উপজেলায় বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। পাশাপাশি ভালো জাতের (মুররাহ) মহিষ ভারত থেকে সংগ্রহ করা হবে। ইতিমধ্যে সকল কাজ সম্পন্ন করা হলেও করোনার কারণে আমদানি করা সম্ভব হয়নি। এখন নতুন করে সকল কাজ সম্পন্ন করা হচ্ছে আশাকরি মার্চ-এপ্রিলের মধ্যে মহিষ দেশে আসবে।

তিনি আরও বলেন, মুররাহ জাতের এ মহিষ বছরে ৩০০ দিন পর্যন্ত দুধ দিতে অভ্যস্ত। গড়ে এরা প্রতিদিন ১০ থেকে ১২ কেজি দুধ দেয়। আমরা ভারত থেকে ১০টি পুরুষ এবং ১৫০টি স্ত্রী মহিষ আনবো। তবে আমাদের আমদানি বিষয়ক কার্যাদেশে আরও বলা হয়েছে, প্রতিটি স্ত্রী মহিষের সঙ্গে একটি করে বাচ্চাও থাকতে হবে। সেক্ষেত্রে ভারত থেকে আসছে ৩১০টি মহিষ।

প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী, দেশে উৎপাদিত দুধের ৯০ শতাংশ দুধ আসে গরু থেকে, আট শতাংশ আসে ছাগল থেকে এবং দুই শতাংশ আসে মহিষ থেকে। ২০০৯-১০ অর্থবছরে দুধের উৎপাদন ছিল ২৩.৭০ লাখ টন, যা ২০১৯-২০ অর্থবছরে উন্নীত হয়েছে ১০৬.৮০ লাখ টনে। বর্তমানে দেশে মোট দুগ্ধ উৎপাদনকারী গরু ৮.৬ মিলিয়ন, যার মধ্যে দেশীয় ৪.৫৬ মিলিয়ন (৫৩ শতাংশ) এবং সংকর জাতের ৪.০৪ মিলিয়ন (৪৭ শতাংশ)।

বর্তমানে মাথাপিছু দৈনিক ২৫০ মিলিলিটার দুধের চাহিদার বিপরীতে উৎপাদন হচ্ছে ১৭৫ মিলিলিটার। দেশে বছরে ১৫২ লাখ টন দুধের চাহিদার বিপরীতে উৎপাদন হচ্ছে ১০৬.৮ লাখ টন। ২০১৯-২০ অর্থবছরে ১৫২.০২ লাখ টন চাহিদার বিপরীতে দুধ উৎপাদন হয় ১০৬.৮০ লাখ টন। এ চাহিদা অনুযায়ী সরকার আরও ৪০.২২ লাখ টন দুধ উৎপাদন বাড়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে।

প্রকল্প পরিচালক আরও বলেন, মহিষের মাংস ও দুধে কোলেস্টেরলের মাত্রা অন্য প্রাণীর মাংস ও দুধ অপেক্ষা কম, যা স্বাস্থ্যসম্মত। মহিষের দুধে আমিষের পরিমাণ ৪.৫ শতাংশ ও চর্বির পরিমাণ ৭.৫ শতাংশ। মহিষের দুধে অন্য প্রাণির দুধের চেয়ে ৪৩ শতাংশ কোলেস্টেরল কম থাকে। ভিটামিনের পরিমাণও মহিষের দুধে বেশি থাকে। বাণিজ্যিকভাবে মহিষের দুধ ব্যবহার করে দুগ্ধজাত পণ্য তৈরি অনেক লাভজনক, মহিষের দুধে মোট সলিড বেশি থাকায় দুগ্ধজাত দ্রব্যাদি (দই, ছানা, পনির ইত্যাদি) তৈরিতে গরুর দুধের চেয়ে কম পরিমাণ মহিষের দুধ লাগে।

প্রকাশ : অগাস্ট ২২, ২০২১ ৫:১৯ অপরাহ্ন
স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে গরুর দুধ উৎপাদনে করণীয়
প্রাণিসম্পদ

গবাদিপশু দিয়ে লাভবান হওয়ার আশায় অনেকে খামার গড়ে তুলেছেন। গবাদিপশু তথা গরু পালনে লাভবান হওয়ার ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে দুধ উৎপাদন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে গরুর দুধ উৎপাদনে যা জানা জরুরী তা আমাদের অনেকেরই জানা নেই।

স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে গরুর দুধ উৎপাদন করবেন যেভাবে:
যথাসম্ভব কম লোক দিয়ে খামারের সকল গরুর দুধ দোহন করতে হবে। খামারের প্রবেশদ্বারে জীবানু নাশক সহ ফুটবাথ রাখতে হবে।
দুধ দোহনের পরে গাভীকে খাবার দিতে হবে, ফলে ওলান ফুলা রোগ বা ম্যাসটাইটিস হবার সম্ভবনা থাকবে না।

ম্যাসটাইটিস প্রতিরোধে নিয়মিত সিএমটি পরীক্ষা করা ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। চিকিৎসা ও কৃত্রিম প্রজনন গুরুত্ব দেয়ার সাথে সাথে খামার ব্যবস্থাপনায় অধিক গুরুত্ব দিতে হবে।

বছরে ২-৩ বার সঠিক পরিমানে কৃমি নাশক ওষুধ খাওয়াতে হবে। রোগ প্রতিরোধে নিয়মিত সঠিক মাত্রায় টিকা প্রদান করতে হবে।

প্রকাশ : অগাস্ট ৭, ২০২১ ১১:২১ পূর্বাহ্ন
কুকুরের দুধ খেয়ে বেড়ে উঠছে বিড়ালের বাচ্চা!
প্রাণিসম্পদ

দু‘টো বাচ্চা প্রসব করার পর মারা যায় মা বিড়ালটি। মা মারা যাওয়ায় দুধের অভাবে মারা যায় একটি বিড়াল ছানা। বেঁচে থাকা অন্য বিড়ালটিকে বাঁচাতে ছুটে আসে একটি কুকুর।সেই কুকুরটি শুরু থেকেই বিড়াল বাচ্চাটিকে দুধ খাওয়াচ্ছে। এভাবে ধীরে ধীরে বেড়ে উঠছে মা হারা বিড়াল বাচ্চাটি।

টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার কাকড়াজান ইউনিয়নের দুর্গাপুর গ্রামে পল্লী চিকিৎসক শ্রী আশিষ চন্দ বর্মণের বাড়ির উঠানে এমন চিত্র দেখা গেছে। দেখা যায়, মা হারা একটি বিড়াল বাচ্চাকে দুধ খাওয়াচ্ছে একটি কুকুর। যেন মাতৃস্নেহ-মমতা সব কিছু দিয়েই আঁকড়ে ধরে রেখেছে কুকুরটি। বিড়াল বাচ্চাটিও পরম আগ্রহে কুকুরের দুধ পান করছে অনায়াসে।

আশিষ চন্দ্র জানান, ‘মমতাময়ী কুকুরটা অনেক দিন যাবৎ এভাবেই বিড়াল বাচ্চাটাকে বুকের দুধ পান করিয়ে আসছে। এতে ধীরে ধীরে বেড়ে উঠছে বিড়াল বাচ্চাটি।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আব্দুল জলিল জানান, এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই। এটি শুধু এক প্রাণির সঙ্গে অন্য প্রাণির ভালোবাসা।

স্থানীয় ইউপি সদস্য দেলোয়ার হোসেন জানান, ঘটনাটি প্রথমে বিরল মনে হয়। পরে আমি নিজে ওই বাড়িতে গিয়ে দেখি বিড়ালের বাচ্চাটি কুকুরের দুধ খাচ্ছে। এ যেনো কুকুর-বিড়ালের অন্যরকম মমতা ও ভালোবাসা।

প্রকাশ : জুলাই ৩১, ২০২১ ১২:১৬ অপরাহ্ন
স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে গরুর দুধ উৎপাদন করবেন যেভাবে
প্রাণিসম্পদ

গবাদিপশু দিয়ে লাভবান হওয়ার আশায় অনেকে খামার গড়ে তুলেছেন। গবাদিপশু তথা গরু পালনে লাভবান হওয়ার ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে দুধ উৎপাদন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে গরুর দুধ উৎপাদনে যা জানা জরুরী তা আমাদের অনেকেরই জানা নেই।

স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে গরুর দুধ উৎপাদন করবেন যেভাবে:
যথাসম্ভব কম লোক দিয়ে খামারের সকল গরুর দুধ দোহন করতে হবে। খামারের প্রবেশদ্বারে জীবানু নাশক সহ ফুটবাথ রাখতে হবে।
দুধ দোহনের পরে গাভীকে খাবার দিতে হবে, ফলে ওলান ফুলা রোগ বা ম্যাসটাইটিস হবার সম্ভবনা থাকবে না।

ম্যাসটাইটিস প্রতিরোধে নিয়মিত সিএমটি পরীক্ষা করা ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। চিকিৎসা ও কৃত্রিম প্রজনন গুরুত্ব দেয়ার সাথে সাথে খামার ব্যবস্থাপনায় অধিক গুরুত্ব দিতে হবে।

বছরে ২-৩ বার সঠিক পরিমানে কৃমি নাশক ওষুধ খাওয়াতে হবে। রোগ প্রতিরোধে নিয়মিত সঠিক মাত্রায় টিকা প্রদান করতে হবে।

প্রকাশ : জুলাই ২৯, ২০২১ ১০:৪৩ পূর্বাহ্ন
বাছুর ছাড়াই প্রতিদিন ৪ লিটার দুধ দিচ্ছে বকনা গরু
প্রাণিসম্পদ

নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলার খলিশাউড়া ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর গ্রামের কৃষক হায়দার আলীর দুই বছর বয়সী বকনা গরু বাছুর জন্ম না দিয়েই প্রতিদিন সকালে দুই লিটার বিকালে দুই লিটার করে দুধ দিচ্ছে ।

জানা যায়, কৃষক হায়দার আলী কয়েক বছর আগে সংসারের অভাব দূর করার জন্য একটি গাভি কেনেন। কিছুদিন পর গাভিটি একটি বাছুর জন্ম দেয়। বাছুর বড় না হতেই নিজের কাছে রেখে গাভিটি বিক্রি করে দেন হায়দার। দুই বছর না যেতেই বাছুরের শরীরে অস্বাভাবিক পরিবর্তন দেখতে পান হায়দার আলী। ওলান বড় দেখে দুই মাস আগে দুধ নেওয়ার চেষ্টা করেন তার স্ত্রী। প্রথমে এক লিটার পরে দুই লিটার- এখন দিনে চার লিটার করে দুধ পাচ্ছেন।

আর্থিক অবস্থা খারাপ হওয়ায় গরুকে ভালো খাবার দিতে পারছেন না বলে জানান হায়দার আলীর স্ত্রী। পুষ্টিকর খাবার খাওয়ানো গেলে ১০-১২ লিটার দুধ পাওয়া যেতো বলে জানান তিনি।

হায়দার আলী জানান, এই গরুর দুধের অনেক চাহিদা। নেত্রকোনা ছাড়াও আশপাশের জেলার লোকজন এসে দুধ নিয়ে যাচ্ছেন। এই গরুর দুধ খেয়ে মানুষ উপকার পাচ্ছে বলেও জানিয়েছেন।

প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের ময়মনসিংহ বিভাগীয় পরিচালক ডা. সুশান্ত কুমার পাল বাংলা জানান, বডিতে হরমোনাল ইমব্যালেন্স হওয়ার মতো ঘটনা ঘটলে বাছুর জন্ম না দিয়েই গরু দুধ দিতে পারে, এটা সম্পূর্ণ বিজ্ঞানসম্মত। গরুটিকে পুষ্টিকর খাবার দেওয়া হলে ছয় মাসের মতো এভাবেই দুধ দেবে। তবে পর্যাপ্ত খাবার না পেলে দুধ কমে যাবে। এটি কোনও আশ্চর্যজনক ঘটনা নয়।

প্রকাশ : জুন ১৯, ২০২১ ৭:২৩ অপরাহ্ন
মাত্র সাত মাস বয়সী গরুর বাছুরে দিচ্ছে দুধ!
প্রাণিসম্পদ

মাত্র সাত মাস বয়সী একটি গরুর বাছুরে প্রতিদিন দুধ দিচ্ছে ৩ থেকে সাড়ে তিন লিটার। ঘটনাটি অবিশ্বাস্য হলেও এমনি ঘটনা ঘটেছে পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার টিয়াখালী ইউনিয়নের পশ্চিম রজপাড়া গ্রামের নুরুল ইসলাম হাওলাদারের গরুর খামারে।হরমোন জনিত কারণে এমন ঘটনা ঘটতে পারে বলে ধারণা প্রাণীসম্পদ বিভাগের।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ১ যুগেরও বেশি সময় ধরে নুরুল ইসলাম হাওলাদার গরু পালন করছেন। এলাকায় ছোট খামারী হিসেবে তার বেশ পরিচিতি। দুইটি দেশি গরু নিয়ে পালন শুরু করলেও বর্তমানে তার খামারে রয়েছে দেশি বিদেশি বিভিন্ন প্রজাতির অন্তত ১৩ টি গরু।

নুরুল ইসলাম হাওলাদার জানান, প্রায় ১০ মাস আগে ফ্রিজিয়ান জাতের একটি গাভী বাছুর জন্ম নেয় তার খামারে। ৫ মাস যেতে না যেতেই বাছুরের (স্থানীয় ভাষায়) স্তন অস্বাভাবিক আকার দেখতে পান। পরে বাছুরটির স্তন থেকে দুধ বের হলে অবাক হয়ে যান তিনি। প্রথমে চমকে গেলেও বাছুরটি সকালে দুই লিটার এবং বিকালে এক থেকে দের লিটার করে দুধ দিচ্ছে।

কলাপাড়া উপজেলা প্রানিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. হাবিবুর রহমান জানান, সাধারণত গাভীন হওয়ার পরেই গরু দুধ দিয়ে থাকে এটাই স্বাভাবিক। আমি এধরণের ঘটনা শুনেছি, নিজ চোখে দেখিনি। এটা হরমোন জনিত কারণে হয়ে থাকতে পারে। তবে এটা একটি বিরল ঘটনা। বাছুরটির খোঁজ নিতে খামারির বাড়িতে যাবেন বলে তিনি জানিয়েছেন।’

প্রকাশ : জুন ১৮, ২০২১ ১১:৩৫ পূর্বাহ্ন
বাছুর জন্মানোর আগেই দিনে ৬ লিটার দুধ দিচ্ছে গরু!
প্রাণিসম্পদ

টাঙ্গাইলের কাকড়াজান ইউনিয়নের বাঘেরবাড়ি গ্রামে ব্যবসায়ী কিসমত আলীর ৮ মাসের প্রথম গর্ভবতী এক বকনা বাছুর দিনে ৬ লিটার করে দুধ দিচ্ছে। এর আগে একই গ্রামের ১০ মাস বয়সী এক বকনা বাছুর দিনে ৩ লিটার দুধ দেওয়ার ঘটনাটি সারাদেশে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়। প্রাণিসম্পদ বিভাগ জানায় এমন ঘটনা আরো ঘটছে তবে, এই দুধ স্বাস্থ্যসম্মত।

জানা যায় গতকাল বৃহস্পতিবার (১৭ জুন) কিসমত আলীর ছেলে আনোয়ার হোসেন ৮ মাসের গর্ভবতী বকনা গরুর ওলান থেকে দুধ সংগ্রহ করছেন। প্রায় ২০-২৫ দিন ধরে তিনি দিনে ৬-৭ লিটার করে দুধ সংগ্রহ করছেন।

কিসমত আলী জানান, বেশ কিছুদিন আগে ৩৫ হাজার টাকায় ১৩ মাস বয়সী ফিজিয়াম জাতের বকনা বাছুরটি তিনি কিনেছেন। এর কিছুদিন পর বকনা বাছুরটির দেহে প্রথম জোয়ার আসে (তাপ)। পরে কৃত্রিম ভাবে প্রজনন দেওয়া হয়। বর্তমানে বকনাটি ৮ মাসের গর্ভবতী। কিছুদিন আগে বকনাটির কাছে গেলে ওলান ফোলা দেখে দুধ জমেছে বুঝতে পারি। তাৎক্ষণিক ওলান থেকে দুধ সংগ্রহ করি। আমরা এই দুধ পান করি এবং বাকি অংশ স্থানীয় একটি মিষ্টির দোকানে ৬০ টাকা লিটারে বিক্রি করে দেই।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আবদুল জলিল জানান, এর আগেও উপজেলার গড়গোবিন্দপুর গ্রামের কৃষক খোরশেদ আলম তার ১০ মাস বয়সী এক বকনা বাছুর থেকে দিনে ৩ লিটার করে দুধ সংগ্রহ করছে। এমন ঘটনায় বিস্মিত হওয়ার কিছুই নেই। হরমোনজনিত কারণে এমনটা হয়। তবে এই দুধ স্বাস্থ্যসম্মত বলে জানিয়েছেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop