১১:১০ পূর্বাহ্ন

সোমবার, ২০ মে , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : মার্চ ১৮, ২০২২ ৩:০৯ অপরাহ্ন
পুকুরে পাঙ্গাস মাছ চাষ করবেন যেভাবে
মৎস্য

আবহমানকাল থেকে পাঙ্গাস মাছ এদেশের মানুষের জন্য রসনার উৎস হিসেবে পরিচিত। এই মাছটি প্রাকৃতিক মুক্ত জলাশয়ে বিশেষ করে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের নদীসহ উপকূলীয় অঞ্চলে পাওয়া যায়। এক সময়ে পাঙ্গাস মাছ আভিজাত্যের প্রতীক হিসেবে উচ্চবিত্তের মাছ হিসেবে বিবেচিত ছিল। বর্তমানে পরিবেশগত পরিবর্তনের ফলে নদীর নাব্যতা দিন দিন হ্রাস পাচ্ছে। সাথে সাথে এর প্রাকৃতিক প্রজনন ক্ষেত্রসমূহ ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার ফলে পাঙ্গাস মাছের উৎপাদনও ক্রমশঃ কমে যাচ্ছে। তবে পুকুরে পাঙ্গাস চাষের ব্যাপক সম্ভাবনা থাকায় আশির দশক থেকেই এর ওপর কার্যক্রম অব্যহত রয়েছে।

পাঙ্গাস চাষের পুকুর নির্বাচন:

১.পাঙ্গাস চাষের পুকুর আয়তাকার হলে ভাল হয়। পুকুরের তলা ভালভাবে সমতল করে নিতে হবে। পুকুরের পানির গভীরতা ১.৫ থেকে ২ মিটার পর্যন্ত রাখা দরকার।

২.পাঙ্গাস চাষের জন্য দোআঁশ মাটির পুকুর সবেচেয়ে ভাল। জরুরি প্রয়োজনে যাতে দ্রুত পানি দেয়া যায় সেজন্য পুকুরের কাছেই গভীর বা অগভীর নলকূপের ব্যবস্থা রাখা দরকার।

৩.বর্ষায় বা অতিরিক্ত বৃষ্টিতে যাতে করে পুকুর ভেঙ্গে না যায় সেজন্য আগে থেকেই প্রয়োজনীয় মেরামত সেরে ফেলতে হয়।

৪.সর্বোপরি এমন জায়গায় পুকুরটি বেছে নিতে হবে যেখানে যোগাযোগের সুবিধা ভাল এবং পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে।

পুকুর প্রস্তুতি:

পুকুর নির্বাচন করার পরের কাজটি হলো পুকুরকে ভালভাবে প্রস্তুত করে নেয়া। এবার জেনে নেয়া যাক পুকুর প্রস্তুতি সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।

১.পুকুরে নানা প্রকৃতির ও বৈশিষ্ট্যে জলজ আগাছা থাকলে প্রথমেই সেগুলোকে সরিয়ে ফেলতে হবে।

২.পাঙ্গাস চাষের পুকুরে অপ্রয়োজনীয় ও রাক্ষুসে মাছ যেমন-শোল, বোয়াল, গজার, টাকি, বাইম, মলা, ঢেলা ইত্যাদি মাছকে পাঙ্গাস চাষের আগেই অপসারণ করতে হবে। বিভিন্নভাবেই এদেরকে অপসারণ করা যায়। এসবের মধ্যে রয়েছে-

৩.ঘন ফাঁসের জাল বারবার টেনে সব ধরণের অনাকাক্সিক্ষত মাছ সরিয়ে ফেলতে হবে;

৪.পুকুরের পানি পরিষ্কার করে এবং সম্ভব হলে তলার মাটি লাঙ্গল দিয়ে চাষ করে দিতে হবে;

৫.অনেক সময় বিভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন করলেও অপ্রয়োজনীয় ও রাক্ষুসে মাছদের সম্পূর্ণ ধ্বংস করা সম্ভব হয় না। সেক্ষেত্রে স্থানীয় মৎস্য অফিসের পরামর্শ অনুযায়ী বিভিন্ন ওষুধ ব্যবহার করে এদের দমন করা যেতে পারে।

৬.পুকুরকে মাছ চাষের উপযুক্ত ও টেকসই করতে চুন প্রয়োগ খুব গুরুত্বপূর্ণ। যে সব পুকুরের পানিতে অম্লত্বের সমস্য নেই সেখানে প্রতি হেক্টরের জন্য ২৫০ থেকে ৩০০ কেজি চুন প্রয়োগ করতে হয়। চুন প্রয়োগের আগে গুড়ো করে মিহি করে নিলে এর কার্যকারিতা অনেকগুণ বেড়ে যায়।

৭.পুকুরের প্রাকৃতিক খাবার উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য জৈব এবং রাসায়নিক সার দুটোই ব্যবহার করা হয়ে থাকে। সাধারণত চুন প্রয়োগের ৪/৫ দিন পর সার প্রয়োগ করতে হয়। নতুন পুকুর এবং বেলে মাটির পুকুরে জৈব সার বেশি প্রয়োগ করতে হয়। তবে পুরাতন কাদাযুক্ত পুকুরে রাসায়নিক সার প্রয়োগের হার বেশি হবে। পুকুর প্রস্তুতকালীন সময়ে জৈব সার হিসেবে প্রতি শতকে ৮ থেকে ১০ কেজি গোবর অথবা ৪ থেকে ৫ কেজি মুরগীর বিষ্ঠা ব্যবহার করতে হবে। সারের কার্যকারিতা বাড়ানোর জন্য প্রতি শতকে ১০০ গ্রাম টিএসপি জৈব সারের সাথে ৮ থেকে ১০ ঘন্টা ভিজিয়ে রেখে ব্যবহার করতে হয়। ব্যবহারের আগে প্রতি শতকে ১০০ গ্রাম ইউরিয়া মিশিয়ে মিশ্রনটি সমস্ত পুকুরে ছিটিয়ে দিতে হবে। সার প্রয়োগের ৪ থেকে ৫ দিন পর পুকুরের পানির রঙ সবুজ বা বাদামী হলে সাধারণত পোনা মজুদের উপযোগী হয়।

পোনা সংগ্রহ ও পরিবহন:

পুকুরের প্রস্তুতি শেষ হলে উন্নত গুনাগুন সম্পন্ন পাঙ্গাস মাছের পোনা সংগ্রহ করতে হয়। এ জন্য বিশ্বস্ত কোন হ্যাচারী থেকে পোনা সংগ্রহ করা উচিত। পোনা পরিবহনের সময় বিশেষ সতর্কতা নিতে হবে যাতে করে পরিবহনের সময় পোনার কোন ক্ষতি না হয়। পরিবহনের আগেই চৌবাচ্চায় ৪ থেকে ৫ ঘন্টা পোনাকে উপোস রেখে টেকসই করে নিতে হবে। পরিবহনের সময় পোনাকে বেশি উত্তেজিত করা উচিৎ নয়।

খাদ্য প্রয়োগ:

পাঙ্গাস চাষে পুকুরে যে প্রাকৃতিক খাবার তৈরি হয়, তা মাছের আশানুরূপ ফলনের জন্য যথেষ্ঠ নয়। তাই সুষম খাদ্য প্রয়োগ অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে। মনে রাখতে হবে চাষ পর্যায়ে দৈনিক নির্দিষ্ট পরিমান খাদ্য সরবরাহ না করতে পারলে পাঙ্গাসের উৎপাদন বাধাগ্রস্থ হবে। মাছের খাদ্যের পরিমান মাছের বয়স এবং দেহের ওজনের ওপর নির্ভর করে। ১৫ দিন পর পর নমুনা হিসেবে কয়েকটি মাছের ওজন পরীক্ষা করে দেখতে হবে মাছ ঠিক মতো বাড়ছে কিনা। নির্দিষ্ট পরিমান খাদ্য পুকুরের আয়তন অনুযায়ী নির্ধারিত ৬ থেকে ৮ টি স্থানে প্রদান করা ভাল। দানাদার জাতীয় খাবার ছিটিং এবং সম্পূরক খাবার বল আকারে নির্দিষ্ট জায়গায় সরবরাহ করতে হয়। খাবার একবারে না দিয়ে ২ থেকে ৩ বারে সমানভাবে ভাগ করে প্রয়োগ করলে খাদ্যের কার্যকারীতা অনেক বেড়ে যায়। এ ছাড়া প্রয়োজনমতো চুন এবং সার প্রয়োগ করাটাও জরুরি।

মাছ সংগ্রহ:

বাজারের চাহিদার ওপর ভিত্তি করে মাছ মজুদের ৫-৬ মাস পর যখন পাঙ্গাসের গড় ওজন ৫০০ থেকে ৬০০ গ্রাম হয়, তখনই মজুদকৃত মাছের ৫০% বাজারে বিক্রি করে দিতে হয়। এতে করে অবশিষ্ট মাছ দ্রুত বেড়ে ওঠার সুযোগ পায়।

খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করে পারিপারিক পুষ্টির চাহিদা পূরণে মাছের চাষ একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। সারা দেশের প্রায় আড়াই লক্ষ হেক্টর পুকুর, দীঘি ইত্যাদিসহ প্রায় ৬ থেকে ৭ লক্ষ হেক্টর জলাশয়ে পরিকল্পিতভাবে পাঙ্গাস মাছের চাষ করলে দেশের সামগ্রিক মৎস্য উৎপাদন কয়েকগুন বেড়ে যাবে। কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে এদেশের বিপুল সংখ্যক বেকার যুব ও যুব মহিলাদের। প্রায় হারিয়ে যাওয়া আমাদের ঐতিহ্য ’মাছে ভাতে বাঙ্গালী’-কে পুনরুদ্ধার করতে তাই পাঙ্গাস মাছের চাষ একটি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে পারে।

প্রকাশ : মার্চ ৪, ২০২২ ৩:২৭ অপরাহ্ন
পুকুরে তেলাপিয়া চাষে করণীয়
মৎস্য

অধিক লাভজনক হওয়ার কারণে অনেকেই তেলাপিয়া মাছের চাষের দিকে ঝুঁকছেন। তবে তেলাপিয়া চাষে উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য বেশ কিছু কাজ করতে হয়। পুকুরে তেলাপিয়া চাষে অধিক উৎপাদন পেতে করণীয় যেসব কাজ রয়েছে সেগুলো আমাদের দেশের অনেক মাছ চাষিরাই জানেন না।

পুকুরে তেলাপিয়া চাষে অধিক উৎপাদন পেতে করণীয়:

তেলাপিয়া মাছ চাষে উৎপাদন বাড়ানোর জন্য পুকুরে প্রাকৃতিক খাদ্য তৈরি হওয়ার ব্যবস্থা রাখতে হবে। পুকুরে প্রাকৃতিক খাদ্য তৈরি হলে মাছের বৃদ্ধি যেমন দ্রুত হবে তেমনি মাছের খাদ্য খরচ অনেক কমে যাবে। পুকুরে তেলাপিয়া মাছের বৃদ্ধির জন্য পুকুরের পরিবেশ ঠিক রাখা অতীব জরুরী। পুকুরে এ মাছ বেড়ে ওঠার জন্য পরিবেশগত কোন সমস্যা থাকলে সেগুলো দ্রুত ঠিক করতে হবে। তা না হলে মাছের বৃদ্ধি বাঁধাগ্রস্ত হবে ও মাছ চাষে আশানুরূপ উৎপাদন পাওয়া যাবে না।

তেলাপিয়া চাষে মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি করার জন্য কয়েক দিন পর পর পুকুর থেকে মাছ তুলে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে হবে। মাছের কোন রোগের লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। তেলাপিয়া মাছ চাষের পুকুরে উৎপাদন বৃদ্ধি করার জন্য পুকুরে পানির গুণাগুণ ঠিক রাখতে হবে। কোন কারণে পানির গুণগত মান কমে গেলে দ্রুত পানি পরিবর্তন করতে হবে। এছাড়াও নিয়মিত পানির পিএইচ পরীক্ষা করে দেখতে হবে।

তেলাপিয়া মাছ চাষে উৎপাদন বৃদ্ধি করার জন্য পুকুরে নিয়মিত পুষ্টিকর ও সুষম খাদ্য প্রদান করতে হবে। খাদ্য প্রদানের উপরেই মাছের বৃদ্ধি অনেকটাই নির্ভর করে থাকে। তাই তেলাপিয়া মাছের বৃদ্ধির জন্য মাছের খাদ্য চাহিদা অনুযায়ী নিয়মিত খাদ্য দিতে হবে।

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ২৬, ২০২২ ৪:০০ অপরাহ্ন
দেশি মাগুরের পোনা উৎপাদনে যেভাবে তৈরি করবেন পুকুর
মৎস্য

দেশে মাছ চাষিদের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর মাছ চাষিদের অন্যতম চাহিদার জায়গা হলো মাগুরের চাষ। পুকুরে তৈরি হচ্ছে এই মাগুরের পোনা চাষ। এতে লাভবানও হচ্ছেন তারা। পুকুরে এই মাছ চাষে কতগুলো নিয়ম পালন করলে আরো লাভবান হবেন চাষিরা।

দেশি মাগুরের পোনা উৎপাদনে পুকুর তৈরিতে করণীয়ঃ
দেশি মাগুরের রেনু থেকে পোনা উৎপাদনের জন্য পুকুর তৈরি একটা বড় ভূমিকা পালন করে। পুকুর তৈরিতে কোনো ত্রুটি থাকলে কাক্সিক্ষত ফল পাওয়া যাবে না। পুকুরের তলায় পানি থাকলে প্রথমেই সেচ দিতে হবে।

প্রতি শতকে ১ কেজি হারে চুন পানির সাথে মিশিয়ে সমস্ত পুকুরে ছিটিয়ে দিতে হবে। এরপর মই দিয়ে রোদে শুকিয়ে পুকুরের চারপাশ পরিষ্কার করতে হবে। পুকুরের পাড়ে জাল দিয়ে ভালভাবে বেড়া দিতে হবে। মাটি থেকে এ জালের উচ্চতা হবে কমপক্ষে চার ফুটের মত।

স্যালো মেশিন দিয়ে ১ ফুট থেকে ১.৫ ফুট পরিষ্কার পানিতে পুকুর ভরতে হবে।

মনে রাখতে হবে, অপরিষ্কার পানি কিছুতেই পুকুরে দেয়া যাবে না আবার বেশি পানিও দেয়া যাবে না। অনেক খামারি ২/৩ ফুট পানির মধ্যেই রেনু ছাড়েন বলে দশ ভাগের একভাগ পোনাও উৎপাদন হয় না শুধুমাত্র পানির উচ্চতার কারণে।

চুন প্রয়োগ: পুকুরের তলদেশ শুকিয়ে হালকাভাবে চাষ দিয়ে তলার মাটির অম্ল বা খরতা পরীক্ষা সাপেক্ষে প্রতি শতাংশে ১ থেকে ১.৫ কেজি হারে চুন প্রয়োগ করতে হবে। চুন প্রয়োগের পর পুকুর ১৫ সেন্টিমিটার (৬ ইঞ্চি) পরিমাণ পানি ঢুকিয়ে সপ্তাহখানেক ধরে রাখতে হবে।

জৈব সার প্রয়োগ: চুন প্রয়োগের ৭ থেকে ১৫ দিন পর প্রতি শতাংশে ১০ কেজি হারে গোবর সার অথবা ৫ কেজি হারে মুরগির বিষ্ঠা ছিটিয়ে দিতে হবে।

অজৈব সার প্রয়োগ: জৈব সার প্রয়োগের সাত দিন পর পানির উচ্চতা ৬০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত বজায় থাকা অবস্খায় প্রতি শতাংশে ২০০ গ্রাম ইউরিয়া, ১০০ গ্রাম টিএসপি ও ২০ গ্রাম এমওপি সার ব্যবহার করতে হবে। মনে রাখতে হবে, পানির রঙ বাদামি সবুজ, লালচে বাদামি, হালকা সবুজ, লালচে সবুজ অথবা সবুজ থাকাকালীন অজৈব সার (রাসায়নিক) প্রয়োগের কোনো প্রয়োজন নেই।

পোনা মজুদ: ৫ থেকে ৮ সেন্টিমিটার দৈর্ঘ্যরে সুস্থ্য সবল পোনা প্রতি বর্গমিটারে ৫০ থেকে ৮০টি হারে পুকুরে ছাড়া যেতে পারে। মে থেকে জুন মাস মাগুরের পোনা ছাড়ার যথার্থ সময়।

প্রকাশ : নভেম্বর ১২, ২০২১ ৩:৩৪ অপরাহ্ন
পুকুর দখল করে মাছ চাষ, রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার
মৎস্য

নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার সোহাসা মৌজার বেলগাউড়া খাস পুকুর। নিয়ম অনুযায়ী পুকুরটি জেলেদের পাওয়ার কথা থাকলেও ২০১৮ সালে স্থানীয় মফিজ উদ্দিন নামে এক ব্যক্তি এটি দখল নিতে আদালতে রিট করেন।

আদালত থেকে এর কোনও সমাধান না আসলেও প্রভাব খাটিয়ে পুকুরটি দখলে নেন তিনি। তার মৃত্যুর পর পুকুরটিতে মাছ চাষ করছেন ছোট ভাই তোফাজ্জল হোসেন। এ বিষয়ে তোফাজ্জল হোসেন জানান,ভাইয়ের করা রিটেই পুকুর দখলে রেখেছেন তিনি।

বিষয়টি একাধিকবার লিখিতভাবে প্রশাসনের কাছে জানানো হলে কোনও পদক্ষেপ নেয়নি বলে অভিযোগ জেলেদের। ভুক্তভোগী জেলেরা জানান, ইউএনও স্যারের কাছে বিচার দিয়েছি তারা সঠিক বিচার করে সরকারের আয়ের দিকে নিয়ে আসুক।

ব্যবস্থা না নেয়ার বিষয়ে সদুত্তর দিতে পারেননি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। তবে এমন একটি রিটের কথা স্বীকার করেছে ভূমি অফিস ও ই্‌উএনও।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আলপনা ইয়াসমিন বলেন,তার পক্ষে যদি কোন রায় না থাকে তাহলে তো তার জন্য এনট্রি নিষিদ্ধ।আর রিটটা আমরা দেখবো যদি ভুয়া হয়ে থাকে আমরা সরকারি ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে এটার ব্যবস্থা করব।

প্রকাশ : নভেম্বর ৩, ২০২১ ৮:৪০ পূর্বাহ্ন
তেলাপিয়া মাছ রোগাক্রান্ত হওয়ার লক্ষণ
মৎস্য

আমাদের দেশে এখন তেলাপিয়া খাঁচায় বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে। তবে খাঁচায় চাষ করা তেলাপিয়া মাছ কিছু রোগে আক্রান্ত হয়। জেনে নিন তেলাপিয়া রোগে আক্রান্ত হলে প্রতিকারের জন্য যা করবেন।

জেনে নিন কিছু রোগের লক্ষণ:
মাছের কানকোর কিছু অংশ বিবর্ণ হয়ে যায়, অঙ্কীয়দেশে কিছু দাগ দেখা যায় ও মাছের পিত্তথলী স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা বড় হয়ে যায়। কেবল ১০০ থেকে ৪০০ গ্রামের মাছেই এই রোগ দেখা যায় আক্রান্ত-হওয়ার সাথে সাথে মাছ দ্রুত মারা যায়। মৃত্যুর আগে মাছগুলো কুণ্ডলি আকারে ঘোরাফেরা করে।

যেসব কারণে তেলাপিয়া এসব রোগো আক্রান্ত হয়,- কোনো অনুজীবের যেমন,- ভাইরাস, ব্যকটেরিয়া আক্রমণ করলে রোগে মাছ আক্রান্ত হয়। এছাড়া আশেপাশের এলাকায় অতিরিক্ত পরিমাণ রাসায়নিক সার কিংবা আগাছা নাশকের ব্যবহার ও খাঁচায় মাছের জন্য অতিরিক্ত খাবার সরবরাহ হলে মাছ রোগাক্রান্ত হয়।

অন্যদিকে প্রতিটি খাঁচায় মাছের অধিক ঘনত্ব, খাঁচার ভেতরের পানির পিএইচ মানের এর তারতম্য ও খাঁচায় অক্সিজেন সরবরাহ কম ইত্যাদি কারণেও মাছের রোগ দেখা দেয়।

মাছ রোগাক্রান্ত হলে যা করবেন,-
খাঁচায় বেশি পরিমাণে অক্সিজেন সরবরাহ করতে হবে, খাঁচায় মাছের ঘনত্ব কমাতে হবে এবং খাদ্য সরবরাহ কমাতে হবে। এছাড়া নেট পরিস্কার রাখতে হবে, এন্টিবায়োটিক ডোজ বাড়াতে হবে ও খাঁচাগুলো সারিবদ্ধভাবে না রেখে আঁকাবাঁকা করে রাখা যেতে পারে।

প্রকাশ : অক্টোবর ২৪, ২০২১ ১:৫৮ অপরাহ্ন
পুকুরে বিষ দিয়ে মাছ নিধন, লাখ টাকার ক্ষতি
মৎস্য

পটুয়াখালীর দশমিনায় এক মাছ ব্যবসায়ীর পুকুরে বিষ দিয়ে বিভিন্ন প্রজাতের মাছ নিধন করে প্রায় লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি করেছে বলে মো: ফারুক মৃধা ও মামুন মৃধার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে।

উপজেলার বহরমপুর ইউনিয়নের বগুড়া গ্রামে শুক্রবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে। বিষ প্রয়োগের ফলে পুকুরের প্রায় ১ লাখ টাকার মাছ মরে ভেসে উঠতে থাকে শনিবার পর্যন্ত।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বহরমপুর ইউনিয়নের বগুড়া গ্রামের মো: এছাহাক মৃধার নিজ পুকুরে বিষ প্রয়োগের ফলে মাছ মরে ভেসে উঠতে শুরু করে। দিন দুপুরে পুকুরের বিষ দিয়ে এ মাছ মারছে দুর্বৃত্তরা। মাছ নিধন করেছে এমন চিৎকার শুনে পুকুর পাড়ে গিয়ে দেখতে পাই প্রায় ৯০ হাজার টাকার দেশী প্রজাতের মাছ মরে ভেসে আছে।

ভুক্তভোগী মো: এছাহাক মৃধার স্ত্রী পারভিন বেগম বলেন, ‘আমার নিজের চোখে দেখেছি শুক্রবার দুপুরে মো: ফারুক মৃধা ও মামুন মৃধা পুকুর পাড়ে বিষের বোতল নিয়ে হাঁটে আর আমারে দেখে পুকুরের মধ্যে ম্যালা মারে। তার কিছুক্ষণ পর থেকে পুকুরের মাছ মরে ভাইসা উঠতে থাকে। আমরা এখন কি খাবো, কি করবো আর কই যাবো। আমাগো না খাইয়া মরতে হবে।’

ভুক্তভোগী মো: এছাহাক মৃধা বলেন, পারিবারিক বিরোধের কারণে প্রকাশ্য দিবালোকে মো: ফারুক মৃধা ও মামুন মৃধারা আমার চাষের পুকুরে বিষ দিয়ে বিভিন্ন প্রজাতের প্রায় ১ লাখ টাকার মাছ মারছে। এমন কি তারা এর আগেও দুইবার আমার চাষের অন্য পুকুরে বিষ দিয়ে প্রায় সাড়ে তিন থেকে চার লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি করেছে। আমাকে ও আমার পরিবারের সদস্যদের বিভিন্নভাবে তারা এলাকা ছাড়তে হুমকিও দিয়ে আসছে। আমি দীর্ঘ দিন ধরে দেশী প্রজাতীর মাছের রেনু পোনার ব্যবসা করে আসছি। আমার ইউনিয়ন পরিষদেও ট্রেডলাইন্সে রয়েছে। আমি বাংলাদেশ সরকারের কাছে বিচারের দাবি জানাই।’

ফারুক মৃধা জানান, আমাদের সাথে তাদের দীর্ঘ দিন থেকে বিরোধ চলে আসছে। আমাদের ফাঁসাতে মাছ মারার অভিযোগ করেছে।

দশমিনা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মেহেদী হাসান বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তবে ভুক্তভোগী পরিবার সঠিকভাবে কে বা কারা পুকুরে বিষ দিয়েছে তা বলতে পারেনি। তবে তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের চিহ্নিত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

প্রকাশ : অক্টোবর ১৪, ২০২১ ৫:১৩ অপরাহ্ন
একটি দিয়ে শুরু করে এখন তিনি ১০ পুকুরের মালিক!
মৎস্য

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার সদর উপজেলার ৯ নং রায়পুর ইউনিয়নের মটরা গ্রামের ইফতেখারুল ইসলাম।প্রথমে একটি পুকুর দিয়ে শুরু করলেও আস্তে আস্তে মাছ চাষ বাড়ানোর সাথে কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে এখন তিনি ১০ পুকুরের মালিক।

জানা যায়, ঢাকা তেজগাঁও কলেজে বিবিএ করে ২০১৯ সালে বাসার সামনে প্রথম মাছ চাষ শুরু করেন এই উদ্যোক্তা। প্রথম অবস্থায় প্রায় পাঁচ লাখ টাকা খরচ করে একটি পুকুরে রুই, তেলাপিয়া, মাগুর, পাঙাসসহ বিভিন্ন মাছের চাষ করেন তিনি। কিছুদিনের মধ্যে মাছ বিক্রি করে লাভের মুখ দেখেন ইফতেখারুল। এরপর পর্যায়ক্রমে বাড়তে বাড়তে প্রায় ১০টি পুকুরে করেন মাছের চাষাবাদ।

পুকুর করতে ও মাছের পেছনে যা খরচ হয়েছে, বর্তমানে বাজারে মাছ বিক্রি করে তার দ্বিগুণ লাভ করছেন এই সফল উদ্যোক্তা। তার উৎপাদিত মাছ শুধু নিজ জেলায় নয়, পাশের জেলাগুলোতেও বিক্রি করেন তিনি। এযাবৎ ১০টি পুকুরের মাছ বিক্রি করে প্রায় ২০ লাখ টাকার মতো আয় করেন বলে জানান এই উদ্যোক্তা।

ইফতেখারুল ইসলাম জানান, আমি প্রায় তিন বছর ধরে মাছ চাষের সঙ্গে জড়িত। পড়াশোনা শেষ করে আমি মাছের ব্যবসা ধরেছি। প্রথমে একটি পুকুরে মাছ চাষ শুরু করেছিলাম। এরপর আস্তে আস্তে ১০টি পুকুরে মাছের চাষ শুরু করি। মাছের সুষম খাদ্য বিষয়ে তিনি বলেন, আমার পুকুরে মাছের জন্য প্রতিদিন এক বেলা করে ফিড ও দুই বেলার করে হাতের তৈরি খাবার ব্যবহার করি। এ ছাড়া অ্যাকোয়ামিন পরিমাণমতো রেপিড ব্রো মাছের প্রয়োজন ভেবে দিয়ে থাকি। এ ছাড়া মনে রাখতে হবে পুকুরে পানি যাতে পরিষ্কার থাকে। গ্যাসের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।

প্রকাশ : সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২১ ৯:৪৪ পূর্বাহ্ন
পুকুরে বিষ দিয়ে ৫ লাখ টাকার মাছ নিধনের অভিযোগ
মৎস্য

সাভারের আশুলিয়ায় একটি পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে প্রায় পাঁচ লাখ টাকার মাছ নিধনের খবর পাওয়া গেছে। রাতের বেলায় কেউ পুকুরে বিষ দিয়েছে ফলে মাছগুলো মরে ভেসে উঠেছে বলে অভিযোগ পুকুর মালিকের।

শুক্রবার দুপুরে আশুলিয়ার গাজিরচট দরগার পাড়া এলাকার রাশেদ ভূঁইয়া ও শাহেদ মীরের লিজকৃত পুকুরে গিয়ে এমন চিত্র দেখা গেছে।

জানা গেছে, মাত্র ছয় মাস আগে দেড় বিঘার পুকুরটিতে প্রায় আড়াই লাখ টাকার বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ছাড়া হয়েছিল। রুই, কাতল, সিলভার কাপ, গ্লাস কাপ, কালবাউশ ও তেলাপিয়া মাছ রয়েছে, যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ৫ লাখ টাকা। এই পুকুরটি রাশেদ ভূঁইয়া ও শাহেদ মীর দুজনে লিজ নিয়ে মাছ চাষ করেছেন।

মৎস্যচাষী রাশেদ ভূঁইয়া বলেন, কিছুদিন পরেই মাছগুলো বিক্রি করা যেত। পুকুরে প্রতিদিন খাবার দেওয়া হচ্ছে, পানি টেস্ট করা হচ্ছে, অক্সিজেন টেস্ট করা হচ্ছে। গতকালও মিটার দিয়ে এমনিয়া টেস্ট করেছি। আজ সকালে মাছগুলো মরে ভেসে উঠতে শুরু করে। আমি এসে দেখি মাছ সব ভেসে উঠছে। পানির ওপর বিষের কিছু নমুনাও পাওয়া যাচ্ছে।

মাছগুলোর আরেক মালিক শাহেদ মীর বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমরা থানায় অভিযোগ করব।

সাভার উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো. কামরুল হাসান সরকার ও সম্প্রসারণ কর্মকর্তা এমএম প্রিয়াংকা ফেরদৌসের মুঠোফোন বেশ কয়েকবার গণমাধ্যম যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেনি।

প্রকাশ : সেপ্টেম্বর ২১, ২০২১ ১০:১৩ পূর্বাহ্ন
মাছ চাষে তাক লাগিয়েছেন শাখাওয়াত
মৎস্য

শখের বশে নিজ এলাকায় মাছ চাষ করে এখন সফল্যের পথে হাঁটছেন তরুণ উদ্যোক্তা শাখাওয়াত। বর্তমানে তার ৬ টি পুকুর রয়েছে, যার পরিমাণ ৩০ বিঘা। চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর ইউনিয়নের লক্ষীপুর গ্রামের বাসিন্দা শাখাওয়াত হোসেন।

মাছ চাষ করে স্বাবলম্বী হওয়ার জন্য দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। তার সঙ্গে রয়েছে আরও দুই তরুণ। তিনজনই তারা মাস্টার্স পাস। চাকরি যখন সোনার হরিণ তখন ঘরে বসে না থেকে উদ্যোক্তা হয়ে আয় রোজগার করা তাদের লক্ষ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে।

শাখাওয়াত হোসেন জানান, ২০০৬ সালে এসএসসি পাস করে আমি মাছে চাষ শুরু করি। মাছ চাষ করাটা আমার নেশা। সে সময় আমি ৫ কাঠার একটি পুকুর লিজ নিয়ে মাছ চাষ শুরু করি। এ ছাড়া আমার একটি ফিস ফিডের দোকান রয়েছে। মাছ চাষের পাশাপাশি আমি লেখাপড়ায় জড়িত থাকি।

এক পর্যায়ে আমি মাস্টার্স পাস করি। মাস্টার্স পাশ করার পরে আমি এ ব্যবসায় বেশি মনোনিবেশ করি। এখন এটাকে আমি পেশা হিসেবে গ্রহণ করেছি। যে পুকুরগুলোতে আমি মাছ চাষ করি তাতে আনুমানিক ১৫ লাখ টাকার মাছ ছাড়া হয়েছে, এবং তাতে খরচ হয়েছে ৩০ লাখ টাকা।

উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে প্রায় ৫০ লাখ টাকা। ৬ প্রজাতির মাছ যেমন রুই, কাতলা, মৃগেল, সিলভারকাপ, পাবদা মাছ। সামনে আবার উন্নত প্রযুক্তিতে মাছ চাষ করার ইচ্ছা রয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে গোমস্তাপুর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ড. আবু বক্কর সিদ্দিক জানান, শাখাওয়াতের পুকুরে আমরা প্রায়ই যায়। ইতিমধ্যে তাকে সাধ্যমতো সাহায্য করা হয়েছে। এয়ারেটর মেশিনসহ করোনাকালীন প্রণোদনা দেয়া হয়েছে। এ উপজেলার কর্মরত সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী মাঠ পর্যায়ে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। গৃহীত পদক্ষেপের সুফল হিসেবে ভবিষ্যতে জেলায় মাছ উৎপাদনের পরিমাণ আরো বাড়বে।

প্রকাশ : অগাস্ট ২৮, ২০২১ ৩:৪৯ অপরাহ্ন
পুকুরে মাছের রোগ দমনে যা করবেন
মৎস্য

লাভজনক হওয়ার কারণে বর্তমানে অনেকেই পুকুরে মাছ চাষে ঝুঁকছেন। পুকুরে মাছ চাষ করার সময় বেশ কিছু সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। এর মধ্যে মাছের রোগ অন্যতম। তবে মাছের রোগ সময়মতো দমন করতে পারলে অধিক পরিমাণে লাভবান হওয়া যায়।

পুকুরে মাছ চাষে রোগ দমন করার কার্যকর উপায়:
মাছের রোগ প্রতিরোধ করার জন্য পুকুরে মাছের সুস্থ ও সবল পোনা মজুদ করতে হবে। দুর্বল ও অসুস্থ মাছের পোনা সহজেই রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে। তাই পোনা সংগ্রহ করার সময় শুধুমাত্র সুস্থ ও ভালো মানের পোনা বাছাই করতে হবে। মাছের রোগ প্রতিরোধ করার জন্য পুকুরে মাছের পোনা ছাড়ার আগেই সঠিক উপায়ে পুকুর প্রস্তুত করতে হবে। সঠিক নিয়ম মেনে পুকুর প্রস্তুত করলে মাছের রোগের সম্ভাবনা অনেকটাই কমে যাবে।

মাছ চাষে মাছের রোগ প্রতিরোধ করার জন্য পুকুর প্রস্তুতির সময়ে প্রতি শতকে ১ কেজি হারে চুন প্রয়োগ করতে হবে। এছাড়াও প্রয়োজন অনুযায়ী অন্যান্য উপাদান পুকুরে প্রয়োগ করতে হবে। মাছের রোগ প্রতিরোধ করার জন্য নিয়মিত পুকুরের পানির গুণাগুণ পরীক্ষা করাতে হবে। পুকুরের পানি পরিবর্তন করার প্রয়োজন হলে সেচ দিয়ে পুকুরের পানি পরিবর্তন করতে হবে। আর দরকার হলে পানি নিষ্কাশন করে ফেলতে হবে।

পুকুরে মাছের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে নিয়মিত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। এতে মাছের রোগ সহজেই দমন করা যাবে ও অধিক লাভবান হওয়া যাবে। মাছের রোগ প্রতিরোধ করার জন্য পুকুরের আশপাশ পরিষ্কার ও ছায়ামুক্ত রাখতে হবে। পুকুরে দিনের ৬ থেকে ৭ ঘণ্টা যাতে সূর্যের আলো থাকে সে ব্যবস্থা করতে হবে। পুকুরের চারপাশে বড় কোন গাছ থাকলে তা কেটে ফেলতে হবে।

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop