১১:৩০ পূর্বাহ্ন

বুধবার, ৮ মে , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ২৫, ২০২৩ ৮:৩৭ অপরাহ্ন
আজ থেকে শুরু প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী
প্রাণিসম্পদ

প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উপলক্ষে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের পুরাতন বাণিজ্যমেলা মাঠে শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) থেকে শুরু হলো দুই দিনব্যাপী প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী। ‘স্মার্ট লাইভস্টক, স্মার্ট বাংলাদেশ’ এ শিরোনামে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় ও প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের উদ্যোগে ঢাকাসহ সারা দেশে এ সপ্তাহ শেষ হবে আগামী ১ মার্চ।

আকর্ষণীয় এ প্রদর্শনীর সার্বিক ব্যবস্থাপনায় রয়েছে প্রাণিসম্পদ অধিদফতর। আর সার্বিক সহযোগিতায় রয়েছে বাংলাদেশ ডেইরি ফারমার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিডিএফএ) ও বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিল (বিপিআইসিসি)

জানা গেছে, দর্শনার্থীরা বিনা ফিতে প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত এ প্রদর্শনীতে অংশ নিতে পারবেন। দেশের বিভিন্ন উন্নত জাতের গরু, মহিষ, ছাগল-ভেড়া, দুম্বা, ঘোড়া, কবুতর, খরগোশ, কুকুর, বিড়াল, হাঁস-মুরগিসহ গৃহপালিত নানা ধরনের প্রাণির দেখা মিলবে এ প্রদর্শনীতে। প্রদর্শনীতে বরাবরের মতোই দেশের সবচেয়ে সুন্দর ও বড় সাইজের গরু-মহিষ, ছাগল-ভেড়ার র‌্যাম্প শো থাকছে দর্শনার্থীদের উপভোগ্য। এছাড়া প্রদর্শনী চত্ত্বরে থাকছে নানা রকম সুস্বাদু মাংস এবং দুগ্ধজাত পণ্য ও খাবার।

শনিবার সকালে প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। রোববার সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানেও প্রধান অতিথি হিসেবেও থাকার কথা মন্ত্রীর। এছাড়া আগামী ১ মার্চ কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (কেআইবি) মিলনায়তনে প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহের সমাপনী অনুষ্ঠানেও প্রধান অতিথি থাকবেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী।

আরও পড়ুন : প্রাণিসম্পদের বিস্তৃতির মাধ্যমে সুস্বাদু মাংস বিদেশে রপ্তানির পরিকল্পনা রয়েছে: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী

এ বিষয়ে বাংলাদেশ ডেইরি ফারমার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিডিএফএ) সভাপতি মো. ইমরান হোসেন জানান, সারা দেশের বড় বড় গরু, ছাগল, মহিষ, হাস-মুরগি এবং পোষা প্রাণির প্রায় ২৫০ জন খামারি অংশ নিচ্ছেন এ প্রদর্শনীতে। এতে স্টল থাকছে ৩০০টি। খামারিরা তাদের খামারের সবচেয়ে আকর্ষণীয় ও বড় সাইজের ষাড় গরু নিয়ে অংশ নেবেন এ প্রদর্শনীতে। দেশের সবচেয়ে বড় দুধের গাভী, যেগুলো ৪০-৫৫ লিটার পর্যন্ত দিনে দুধ দেয়-এসব গাভী-বাছুরও থাকবে প্রদর্শনীতে।

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ২৫, ২০২৩ ৩:২৭ অপরাহ্ন
প্রাণিসম্পদের বিস্তৃতির মাধ্যমে সুস্বাদু মাংস বিদেশে রপ্তানির পরিকল্পনা রয়েছে: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
প্রাণিসম্পদ

সারাদেশে প্রাণিসম্পদের বিস্তৃতির মাধ্যমে সুস্বাদু মাংস বিদেশে রপ্তানির পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

আজ শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র সংলগ্ন পুরাতন বাণিজ্য মেলা মাঠে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে আয়োজিত প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী ২০২৩ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা জানান।

এ সময় মন্ত্রী বলেন, বর্তমানে বিদেশে বাংলাদেশের মাংসের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। আমাদের পরিকল্পনা রয়েছে সারাদেশে প্রাণিসম্পদকে বিস্তৃত করে সুস্বাদু মাংস আমরা বিদেশে রপ্তানি করবো। এ জন্য প্রস্তুতি হিসাবে রোগমুক্ত গবাদিপশু উৎপাদনে জোর দেওয়া হচ্ছে। প্রাণিসম্পদের উন্নয়নে প্রতিটি উপজেলায় ভ্রাম্যমান ক্লিনিক করে দেওয়া হয়েছে। প্রাণীর কাছে হাসপাতাল পৌঁছে যাবে, প্রাণীকে হাসপাতালে আসতে হবে না।

দেশে উৎপাদিত মাংস নিরাপদ উল্লেখ করে এসময় মন্ত্রী বলেন, হঠাৎ করে কিছু লোক বলল ফার্মের মুরগি ক্ষতিকর। এগুলো খাওয়া যাবে না। কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক মানের ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা করে দেখা গেছে ব্রয়লার মুরগি কোনভাবেই মানব দেহের জন্য ক্ষতিকর নয়। গবেষণা মাধ্যমে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সুবর্ণ মুরগি উদ্ভাবন করেছে, যার স্বাদ, গন্ধ, রং দেশি মুরগির মতো। দেশে উৎপাদিত দুধ, ডিম, মাংস ক্ষতিকর কিনা তা পরীক্ষার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় আন্তর্জাতিক মানের ল্যাবরেটরি স্থাপন করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, প্রাণিসম্পদ খাত বিকশিত হওয়ায় বেকারত্ব লাঘব হয়েছে। পাশাপাশি উদ্যোক্তা তৈরি হয়েছে। এছাড়া গ্রামীণ অর্থনীতি সচল হয়েছে। এ খাতে বিনিয়োগকারীরা উদ্যোক্তা হয়ে গর্বের সাথে বলেন, আমি বেকার না, আমি উদ্যোক্তা, আমার খামার আছে। এভাবে আমরা পোল্ট্রি, ডেইরি তথা লাইভস্টক খাতকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। যার সূচনা করেছিলেন বঙ্গবন্ধু। তার নেতৃত্বেই সর্বপ্রথম উন্নত প্রজাতির গবাদিপশু দেশে আনা হয়।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আরও বলেন , একটা সময় কোরবানির আগে দুশ্চিন্তায় থাকতে হতো, ভারত-মিয়ানমার থেকে গবাদিপশু না আসলে কোরবানি করা সম্ভব হবে না। রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় এবং প্রধানত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরাসরি নির্দেশনায় এবং তার সরকারের পরিকল্পনা, সহযোগিতা ও পৃষ্ঠপোষকতায় প্রাণিসম্পদ খাত আজ বিকশিত হয়েছে। এখন আর বিদেশ নির্ভর নয় বরং কোরবানির সময় বাজারে এক দশমাংশ পশু অবিক্রিত থাকে। এ সাফল্য হঠাৎ করে আসেনি। এক্ষেত্রে বেসরকারি উদ্যোক্তাদের উদ্বুদ্ধ করা, অনুপ্রাণিত করা ও সহায়তা করায় রাষ্ট্রের ভূমিকা ছিল।

মানুষের মৌলিক চাহিদার একটা অংশ খাবারের নিশ্চয়তা প্রাণিসম্পদ খাত থেকে আসছে। করোনা পরিস্থিতিতে সরকার মানুষের খাবারের চাহিদা মিটিয়েছে, উৎপাদনকারীদের সহায়তা করেছে, বিপণন প্রক্রিয়ায় সহায়তা করেছে। করোনার মধ্যে ভ্রাম্যমান বিক্রয়ে অভাবনীয় সাফল্য ছিল। মানুষের দোরগোড়ায় দুধ, ডিম, মাছ, মাংস বিক্রয় করা হয়েছে। রমজানে সুলভ মূল্যে দুধ, ডিম, মাংস ব্যবস্থা বিক্রির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে- জানান মন্ত্রী।

তিনি আরো জানান পোল্ট্রি ফিড, অ্যানিমেল ফিডসহ এ খাতে যারা অন্য কারখানা করতে চায়, বিদেশ থেকে তাদের যে উপাদান আনতে হয় তার উপর কর রেয়াত দেওয়া হয়েছে। প্রাণিসম্পদ খাতে যারা দেশে কারখানা স্থাপন করতে চায় তাদের মেশিনারিজ আমদানির উপর শুল্ক ছাড় দেওয়া হয়েছে। স্বল্প সুদে ও দ্রুততম সময়ের মধ্যে খামারিদের কৃষি ঋণের ব্যবস্থা করে দেওয়া হচ্ছে। এ খাতে যেখানে যে সহযোগিতা দরকার, শেখ হাসিনা সরকার পাশে রয়েছে।

সরকারি-বেসরকারি খাত সম্মিলিতভাবে কাজ করছে উল্লেখ করে মন্ত্রী এ সময় আরো বলেন, সরকার প্রাণিসম্পদ খাতের খামারি ও উদ্যোক্তাদের পাশে আছে।
প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী ঘুরলে বোঝা যাবে এ খাতে কত বিস্ময়কর বিপ্লব হয়েছে।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. এমদাদুল হক তালুকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. নাহিদ রশীদ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এ টি এম মোস্তফা কামাল। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য প্রদান করেন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আব্দুল কাইয়ূম, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খ. মাহবুবুল হক, পরিপ্রেক্ষিতের নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ বোরহান কবীর, বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মারস অ্যাসোসিয়শনের সভাপতি মোহাম্মদ ইমরান হোসেন প্রমুখ।

এর আগে মন্ত্রী বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে ঢাকায় আয়োজিত দুই দিনব্যাপী প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী ২০২৩ এর উদ্বোধন করেন।

উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষে মন্ত্রী প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী ঘুরে দেখেন এবং খামারিদের সাথে মতবিনিময় করেন।

প্রকাশ : জানুয়ারী ১৯, ২০২৩ ১১:০৫ পূর্বাহ্ন
বগুড়ায় অজ্ঞাত রোগে মারা গেছে অর্ধশতাধিক গরু
প্রাণিসম্পদ

বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলায় সপ্তাহের ব্যবধানে অজ্ঞাত রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে অর্ধশতাধিক গরু। আতঙ্কে নামমাত্র দামে আয়ের একমাত্র উৎস গবাদি পশু বিক্রি করে দিশেহারা ক্ষুদ্র খামারি ও নিম্নবিত্ত কৃষিজীবী পরিবার।

তবে এ নিয়ে প্রাণিসম্পদ বিভাগের কাছে নেই সুস্পষ্ট কোনো তথ্য। আক্রান্ত গরুর রক্ত পরীক্ষার জন্য ল্যাবে পাঠিয়েছেন প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তারা।

উপার্জনের একমাত্র সম্বল হারিয়ে দিশেহারা নিম্নবিত্ত পরিবারগুলো। সংসারের খরচ আর সমিতির কিস্তির টাকা শোধ কীভাবে হবে জানে না নিম্ন আয়ের এ পরিবারগুলো। আলাইপুর গ্রামের বাসিন্দা মোহিনী দাস দুটি গাভি হারিয়ে শোকে পাথর হয়ে আছেন। তিনি বলেন, ‘গরুর দুধ বেচেই ছেলের লেখাপড়ার খরচ দিতাম। মানুষের বিভিন্ন জায়গা থেকে টাকা আসে। কিন্তু আমার তো একমাত্র সম্বল ছিল এইটা। গরু দুইটা মারা যাওয়ার পর থেকে কী করব, কিছুই বুঝতেছি না।’

গ্রামের আরেক ক্ষুদ্র খামারি সন্তোষ চন্দ্র জানান, এ গ্রামেই প্রায় ১০-১২টি গরু মারা গেছে। এ ছাড়াও আশপাশের গ্রামেও গরু মারা গেছে। কম করে হলেও ৫০-৬০টি গরু মারা গেছে এলাকায়।

স্বাভাবিকের চেয়ে অতিরিক্ত লালা ঝরা, এরপর খাওয়া বন্ধ। ধীরে ধীরে নিস্তেজ হয়ে প্রাণ হারানো। পশু চিকিৎসক ডেকে কেবল খরচই বেড়েছে। বাঁচানো যায়নি সন্তানের মতোই প্রিয় গবাদি পশুকে। আতঙ্কিত হয়ে লোকসান সত্ত্বেও পানির দামে গরু বিক্রি করে দিচ্ছেন অনেক ক্ষুদ্র খামারি। গরু মারা না গেলেও কান্নায় ভেঙে পড়েন হাটুয়া গ্রামের এক খামারি। ভাগ্যবদলের আশায় ঋণ করে চারটি গরু কিনেছিলেন। তবে রোগের আতঙ্কে বিক্রি করেছেন লোকসান গুনে। তিনি বলেন, ‘২ লাখ টাকার গরু ৭০ হাজার টাকায় বেচে দিছি। এখন লোনের টাকা কেমনে শোধ হবি বুঝতিছি না।’

দরিদ্র এসব পরিবারকে আর্থিক সহায়তার আশ্বাস স্থানীয় জনপ্রতিনিধির। নন্দীগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য হরিসচন্দ্র মন্ডল বলেন, ‘এ ব্যাপারে ইউএনওর সঙ্গে আমরা আলাপ করব। তাদের কিছু আর্থিক সহায়তা দেয়া হলে তারা ঘুরে দাঁড়াতে পারবে।’

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. শরিফুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে রোগ নির্ণয়ের জন্য আক্রান্ত গরুর রক্ত ও মাংস পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। তবে সেখান থেকে এখনও রিপোর্ট আসেনি। তবে কিছু ওষুধ ও টিকা দেয়া হয়েছে। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে।

এর আগে গত বছর সেপ্টেম্বরে উপজেলায় গরুর ‘ল্যাম্পি স্কিন’ রোগের প্রাদুর্ভাবে আর্থিকভাবে অনেক খামারি ক্ষতিগ্রস্ত হন।

প্রকাশ : ডিসেম্বর ২৯, ২০২২ ৯:২৯ অপরাহ্ন
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর এর নতুন মহাপরিচালক ডাঃ মোঃ এমদাদুল হক তালুকদার
প্রাণিসম্পদ

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের নতুন মহাপরিচালকে(চলতি দ্বায়িত) দ্বায়িত্ব পেলেন ডা. মো. এমদাদুল হক তালুকদার।

বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রাণিসম্পদ-১ অধিশাখার যুগ্ম সচিব শাহিনা ফেরদৌসী স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানা যায়। এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়।

এ পদে নিয়োগের পূর্বে ডা. মো. এমদাদুল হক তালুকদারএকই অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) পদে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তাঁর আগে তিনি জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা, ঢাকা হিসেবে কর্মরত ছিলেন তিনি।

তাঁর মত একজন বিচক্ষণ ব্যক্তির এ পদে নিয়োগের ফলে দেশের প্রাণীসম্পদের উন্নয়ন অব্যাহত থাকবে বলে আশাবাদী সংশ্লিষ্টরা।

প্রকাশ : ডিসেম্বর ১৩, ২০২২ ৫:৫৫ অপরাহ্ন
প্রাণিসম্পদের উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি গুণগত পরিপূর্ণতা আনা সরকারের লক্ষ্য: প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
প্রাণিসম্পদ

প্রাণিসম্পদের উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি গুণগত পরিপূর্ণতা আনা সরকারের লক্ষ্য বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) সাভারে বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএলআরআই) মিলনায়তনে ইনস্টিটিউটের বার্ষিক গবেষণা পর্যালোচনা কর্মশালা ও প্রযুক্তি হস্তান্তর ২০২২ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা জানান।

এ সময় মন্ত্রী আরও বলেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় ও আওতাধীন দপ্তর-সংস্থার বিশাল ভূমিকা রয়েছে। দুধে কিছুটা পিছিয়ে থাকলেও দেশে মাছ, মাংস ও ডিমে স্বয়ংসম্পূর্ণতাই শুধু না কোন কোন ক্ষেত্রে উদ্বৃত্ত উৎপাদন হচ্ছে। এক সময় আমাদের লক্ষ্য ছিল উন্নয়ন বৃদ্ধি করা, এখন আমাদের লক্ষ্য শুধু উন্নয়ন নয়, টেকসই উন্নয়ন। মাংস,ডিম, মাছ, দুধ উৎপাদন বৃদ্ধিই শুধু নয়, এ খাতে গুণগত পরিপূর্ণতা আনা আমাদের লক্ষ্য। যেটা টেকসই উন্নয়নের একটা অংশে পরিণত হবে।

তিনি আরও বলেন, প্রাণিজ আমিষের চাহিদা মেটানো, খাবারের চাহিদা পূরণ, অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতা আনয়ন, বেকারত্ব দূর করা ও উদ্যেক্তা তৈরিতে প্রাণিসম্পদ খাতের বিশাল ভূমিকা রয়েছে। বর্তমানে কৃষিজ জিডিপিতে এ খাতের অবদান ১৬ দশমিক ৫২ শতাংশ। ১৯৭২ সালে দেশে জনপ্রতি দুধের প্রাপ্যতা ছিল ১৭ মিলিলিটার, বর্তমানে জনপ্রতি প্রাপ্যতা প্রায় ২০৮ দশমিক ৬১ মিলিলিটার। জনপ্রতি মাংসের প্রাপ্যতা ছিল ৪ দশমিক ৯৭ গ্রাম, যা বর্তমানে বেড়ে হয়েছে ১৪৭ দশমিক ৮৪ গ্রাম। জনপ্রতি বছরে ডিমের প্রাপ্যতা ছিল মাত্র ৪ টি, বর্তমানে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩৬ দশমিক ১ টিতে। এভাবে এ খাতে অভাবনীয় উন্নয়ন হয়েছে। এ উন্নয়নে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ গবেষণাধর্মী কাজ। এর মাধ্যমে এ খাতের পরিসর বৃদ্ধি সম্ভব হয়েছে।

প্রধান অতিথি আরও যোগ করেন, প্রাণিসম্পদ খাতের বিকাশে গবেষণা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ জন্য প্রাণিসম্পদ গবেষণা প্রতিষ্ঠান ও এ প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞানী ও গবেষকরা এক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন। গবেষণার ফল প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মাধ্যম সারাদেশে ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। এভাবেই বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। তাই এ খাতের গবেষণা আরও গতিময় করতে হবে, গবেষণার গভীরে যেতে হবে। গতানুগতিক গবেষণা পরিহার করে গবেষণার সৃষ্টি যত দ্রুত সামনে আনা যায়, সেটা নিয়ে কাজ করতে হবে। গবেষণার মাধ্যমে দেশে ও দেশের বাইরে আমাদের প্রতিভাবান মানুষদের প্রতিভার উন্মোচন করতে হবে।

যে গবেষণার সৃষ্টি মানুষের কাজে লাগবে সে গবেষণায় প্রাধান্য দিতে হবে উল্লেখ করে মন্ত্রী এসময় আরও বলেন, সময়োপযোগী ও প্রয়োজনের নিরিখে গবেষণা করতে হবে। যে গবেষণা মানুষের কোন কাজে আসবে না তার দরকার নেই। গবেষণা হতে হবে বাস্তবমুখী। গবেষণার মাধ্যমে যেন রাষ্ট্র উপকৃত হয়, জাতি সমৃদ্ধ হয় সেটা লক্ষ্য রাখতে হবে।

বিএলআরআই উদ্ভাবিত বিএলআরআই মিট চিকেন-১ সুবর্ণ এবং লবণসহিষ্ণু বিএলআরআই ঘাস-৫ প্রযুক্তি দুটি সম্পর্কে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, দেশে মাংসের চাহিদা অভাবনীয়ভাবে বেড়েছে। এ জন্য আমরা গবেষণাগার গুরুত্ব দিচ্ছি। বিএলআরআই মিট চিকেন-১ সুবর্ণ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের নতুন সৃষ্টি। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে এটি আমাদের বড় ধরনের সাফল্য। এ জাত দ্রুত বর্ধনশীল ও দেখতে অনেকটাই দেশি মুরগির মতো বিভিন্ন রংয়ের। এটি দেশি আবহাওয়ায় পালন উপযোগী ও অধিক মাংস উৎপাদনশীল একটি জাত। এর মাংস অত্যন্ত সুস্বাদু। এ জাত সারাদেশে ছড়িয়ে দেওয়া হবে। এটি দেশীয় মুরগির চাহিদা মেটাতে পারবে। অপরদিকে লবণাক্ত ও উপকূলীয় অঞ্চলে লবণসহিষ্ণু বিএলআরআই ঘাস-৫ চাষের মাধ্যমে এসব অঞ্চলের প্রাণিসম্পদের জন্য খাদ্যের যোগান সহজ হবে।

বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. এস এম জাহাঙ্গীর হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. নাহিদ রশীদ। সম্মানীয় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এ টি এম মোস্তফা কামাল ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মনজুর মোহাম্মদ শাহজাদা। স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন বিএলআরআই-এর পরিচালক (গবেষণা) ড. নাসরিন সুলতানা।

অনুষ্ঠানে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব বলেন, ২০৪১ সালের উন্নত দেশে দক্ষতা অর্জন করতে মাছ, মাংস, দুধ, ডিমের বিকল্প নেই। দেশীয় জাত সংরক্ষণে বিএলআরআইকে অধিক গুরুত্ব দিতে হবে। পাশাপাশি নিজস্ব অভিজ্ঞতা ও জ্ঞান কাজে লাগিয়ে নতুন নতুন উদ্ভাবন করতে হবে।

দুই দিনব্যাপী এ কর্মশালায় ২০২১-২২ অর্থবছরে বিএলআরআই এর মোট ৭৩ টি গবেষণা কার্যক্রম পর্যালোচনা করা হবে। এছাড়া অনুষ্ঠানে বিএলআরআই উদ্ভাবিত দেশি আবহাওয়ায় পালন উপযোগী ও অধিক মাংস উৎপাদনশীল বিএলআরআই মিট চিকেন-১ (সুবর্ণ) এবং লবণসহিষ্ণু বিএলআরআই ঘাস-৫ জাত দুটি প্রযুক্তি আকারে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের নিকট আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করা হয়।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, বিএলআরআই-এর সাবেক মহাপরিচালকগণ, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ, প্রাণিসম্পদ খাতে সম্পৃক্ত বিশেষজ্ঞ ও বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিবৃন্দ এবং বিএলআরআই-এর বিভিন্ন পর্যায়ের বিজ্ঞানী ও কর্মকর্তাবৃন্দ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

প্রকাশ : নভেম্বর ২৯, ২০২২ ৬:৩০ অপরাহ্ন
মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ ধ্বংসে নেমেছে বিএনপি-জামায়াত ও তাদের প্রতিনিধিরা: প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
প্রাণিসম্পদ

প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ ধ্বংস নেমেছে স্বাধীনতাবিরোধী ও প্রতিক্রিয়াশীল বিএনপি-জামায়াত এবং দেশের বাইরে তাদের অর্থায়নকৃত প্রতিনিধিরা। এমন সময়ে আরও দৃঢ়তার সঙ্গে ও দৃপ্ত প্রত্যয়ে অনলাইন গণমাধ্যমকে ভূমিকা রাখতে হবে। তাহলে স্বাধীনতাবিরোধী ও প্রতিক্রিয়াশীলরা মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ ধ্বংস করতে পারবে না।

মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে অনলাইন নিউজ পোর্টাল ভিশন নিউজ ২৪ এর অষ্টম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিত ‘রাজনৈতিক অপসংস্কৃতি প্রতিরোধে অনলাইন গণমাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান আলোচকের বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

এ সময় মন্ত্রী আরও বলেন, শেখ হাসিনা বিহীন বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ থাকবে না। শেখ হাসিনা না আসলে রণাঙ্গনের ধ্বনি জয় বাংলা উচ্চারণ করা যেত না। শেখ হাসিনা না আসলে লাল-সবুজের পতাকা থাকত কিনা সন্দেহ।

শ ম রেজাউল করিম আরও বলেন, নতুন প্রজন্মকে জানাতে হবে, আজকের বাংলাদেশ হঠাৎ করে হয়নি। কোন এক মেজরের বাঁশির হুইসেলে বাংলাদেশ হয়নি। এ বাংলাদেশ অর্জন করতে অনেক কষ্ট করতে হয়েছে। জাতির জনককে হত্যার পর আবার মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ ২১ বছর পর ফিরিয়ে আনতে কত কষ্ট করতে হয়েছে, কীভাবে বঙ্গবন্ধু কন্যাকে অন্তত ১৯ বার মৃত্যুর মুখোমুখি হতে হয়েছে, কীভাবে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগকে নেতৃত্ব শূন্য করার অপচেষ্টা হয়েছে, ইতিহাসের পাতায় এ অধ্যায়গুলো ধারণ করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, স্বাধীনতাবিরোধীরা এখনও শেষ হয়ে যায়নি। তাদের উত্তরসূরীরা এখনও বেঁচে আছে। অনলাইন নিউজ পোর্টালসহ অন্যান্য ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে তাদের অপপ্রচারের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। তা করতে না পারলে স্বাধীনতাবিরোধীরা ডিজিটাল প্লাটফর্ম ব্যবহার করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধ্বংস করে ফেলতে পারে। মানুষকে বিভ্রান্ত করতে পারে। এ জন্য নিউজ পোর্টালের পাশাপাশি প্রত্যেকের নিজস্ব ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে অপসংস্কৃতির বিরুদ্ধে, অপরাজনীতির বিরুদ্ধে এবং যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা পরিপন্থী কথা বলে তাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।

ভিশন নিউজ ২৪ এর সম্পাদক সুজন হালদারের সভাপতিত্বে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠানের উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া। এ সময় আরও বক্তব্য প্রদান করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, শিল্পোদ্যোক্তা প্রকৌশলী আবু নোমান হাওলাদার, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাবেক দপ্তর সম্পাদক গোলাম রব্বানী বাবলু, বাংলাদেশ কৃষক লীগের সহসভাপতি শেখ মো. জাহাঙ্গীর আলম, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার রানা প্রমুখ। শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করেন ভিশন নিউজ ২৪ এর নির্বাহী সম্পাদক জান্নাতুল ফেরদৌস।

প্রকাশ : নভেম্বর ১৮, ২০২২ ৯:১৬ পূর্বাহ্ন
কৃষি-প্রাণিসম্পদ খাতের জন্য ৫ হাজার কোটি টাকার পুনঃঅর্থায়ন স্কিম গঠন
কৃষি বিভাগ

দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে কৃষি ও প্রাণিসম্পদ খাতের জন্য ৫ হাজার কোটি টাকার পুনঃঅর্থায়ন স্কিম গঠন করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। জামানতবিহীন সর্বোচ্চ ২ লাখ টাকা ঋণ ৪ শতাংশ সুদে দেয়া হবে। ব্যাংকগুলো ২০২৪ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত এ ঋণ বিতরণ করবে।

এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

এতে বলা হয়েছে, দেশের খাদ্য নিরপত্তা নিশ্চিতে কৃষি উৎপাদন বাড়ানোর জন্য কৃষি খাতে বাংলাদেশ ব্যাংক ৫ হাজার কোটি টাকার একটি পুনঃঅর্থায়ন স্কিম গঠন করেছে। এ স্কিমের আওতায় ধান চাষ, মৎস্য চাষ, কৃষি ও পল্লি ঋণ নীতিমালা ও কর্মসূচিতে শাক-সবজি, ফল ও ফুল চাষ, প্রাণিসম্পদ খাতের আওতায় পোল্ট্রি ও দুগ্ধ উৎপাতন খাতে কৃষক পর্যায়ে ৪ শতাংশ সুদহারে ঋণ বিতরণ করা হবে।

এছাড়া ব্যাংকগুলো শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ হার সুদে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে পুনঃঅর্থায়ন ঋণ পাবে। ব্যাংকগুলো নিজস্ব নেটওয়ার্কের মাধ্যমে কৃষক বা গ্রাহক পর্যায়ে ঋণ বিতরণ করবে। ক্ষুদ্র, প্রান্তিক ও বর্গাচাষিদের অনুকূলে শস্য ও ফসল (ধান, শাক-সবজি, ফল ও ফুল) চাষের জন্য শুধুমাত্র দায়বন্ধনের বিপরীতে জামানতবিহীন সর্বোচ্চ ২ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ বিতরণ করা হবে।

স্কিমে অংশ নেয়া ব্যাংকগুলো ২০২৪ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত ঋণ বিতরণ করবে।

এ কর্মসূচির ফলে কৃষি ও প্রাণিসম্পদ খাতে উৎপাদন বাড়বে বলে মনে করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

প্রকাশ : নভেম্বর ৭, ২০২২ ৮:৩০ পূর্বাহ্ন
খামার করে যেভাবে লাখপতি হলেন তিন নারী
প্রাণিসম্পদ

লালমনিরহাটের নারীরা ঘুরে দাঁড়াচ্ছেন। ঘরের কোণ থেকে এখন উদ্যোক্তা। খামার করছেন, হ্যান্ডিক্রাফট করছেন। খামারে উৎপাদিত দুধ-ডিমসহ সব কিছুরই বাইপ্রডাক্ট তৈরি করছেন। এতে জেলাব্যাপী সাড়া পড়ে গেছে। এমনই তিনজন সফল নারী হলেন ফাতেমা বেগম, রিনা আক্তার এবং উত্তমা রায় রত্না।

আদিতমারী উপজেলার বাসিন্দা ফাতেমা বেগম। মনে করা হয় উপজেলার প্রথম মুরগির খামারি তিনি। তখনও ব্রয়লার মুরগি আসেনি। ২০০ লেয়ার মুরগি দিয়ে শুরু। পরে নানা জটিলতায় সব বন্ধ হয়ে যায়। ৪ বছর আগে ১ লাখ ৩০ হাজার টাকায় একটি গাভী কেনেন। এখন তার গোয়ালে একটি গাভী থেকে ৪টি। গোয়ালে ৬ লাখ টাকার গরু আছে।

একই উপজেলার সারপুকুর ইউনিয়নের বাসিন্দা রিনা বেগম। তার খামারে ৩০টি গরু আছে। দুধ দিচ্ছে ১০টি গাভী। তার স্বামীও খামার পরিচালনা করছেন। প্রথম দিকে সাফল্য আসেনি। এখন আর পেছন ফিরে তাকাতে হচ্ছে না। খামার থেকে বছরে ২০ লাখ টাকার বেশি আয় করছেন। বায়োগ্যাস প্লান্টে রান্নাও করেন। এতে গরু থেকে বছরে আয় বেড়েছে।

প্রতীক ডেইরি খামার। উত্তমা রায় রত্নার নিজ হাতে গড়া। তার খামারে ৪০টি গাভি, ১০০টি বিভিন্ন জাতের ছাগল, ৫০০০ মুরগি, ১০০ জোড়া উন্নত জাতের কবুতর, মাছের খামার রয়েছে। শুরু একটি গরু দিয়ে। এখন তার গরুর সংখ্যা ৬০টি। দুধ দিচ্ছে ২০টি গরু। দুধের তৈরি বাইপ্রডাক্ট তৈরি করছেন নিজেই। তার খামারে কাজ করছেন ১০ জন কর্মচারি। তাদের বেতন দিচ্ছেন। শহরের রেল বাজারে একটি শোরুম করেছেন।সেখানেই তার খামারের উৎপাদিত দুধ দিয়ে তৈরি মিষ্টি, ছানা, ঘিসহ নানা বাইপ্রডাক্ট বিক্রি করছেন। এবারের পুলিশ নারী কল্যাণ সংস্থার শিল্প মেলায় একটি স্টল দিয়েছেন। রত্নার খামারে এখন প্রায় ১০ কোটি টাকার গরু, ছাগল, মুরগি রয়েছে।

খামারে কাজ করা সবিতা রানী জানান, ‘আমি সাড়ে ৪ হাজার টাকা বেতনে কাজ করি। গত ১০ বছর ধরে রত্না আপার খামারে আছি। আগের চেয়ে আমার সংসার ভালো চলছে।’

প্রতীক ডেইরির সেলার ফাতেমা জানান, ‘আমাদের ফার্ম বেশ সাড়া ফেলছে। এখানকার তৈরি খাবার বিক্রি হচ্ছে। মাঝখানে করোনা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে চিন্তায় ছিলাম। পাশে একটি মেলা হচ্ছে, আর কয়েকদিন মেলা চললে, আমাদের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে।’

রত্না জানান, ‘বর্তমানে সব খাবারের দাম বেশি। এখন দুধ বেঁচে পোষাচ্ছে না। বাধ্য হয়ে দুধের বাইপ্রডাক্ট তৈরি করতে হচ্ছে। তার পরও লাভ করা মুশকিল। আমার ৭৫টি গাভির মধ্যে এখন ৪০টি আছে। বাকিগুলো বিক্রি করে দিয়েছি। খাবারের দাম এভাবে বাড়তে থাকলে গাভিসহ সব খামার করা কঠিন হয়ে যাবে।’

উপসহকারী প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা স্বপন কুমার বলেন, ‘প্রতীক ডেইরি খামার আমাদের লালমনিরহাটের একটি মডেল খামার। প্রথম থেকেই এই খামার দেখাশোনা করছি। আমাদের প্রাণিসম্পদ ডিএলও ও ইউএলও স্যারেরা আন্তরিক। আমরা চাই এরকম নারী খামারি তৈরি হোক।’

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. জাহাঙ্গীর অলম জানান, ‘সরকার ঘোষিত নারীর ক্ষমতায়নের দিকে আমরা নজর দিচ্ছি। এখন নারীরা খামার করছেন। সেখান থেকে তারা নিজেরাই গড়ে তুলছেন নিজেদের ভবিষ্যৎ।এতে তাদের সামনে অনাকাঙ্ক্ষিত বিপদ-আপদ থেকেও রক্ষা পাচ্ছেন সহজেই। নারীদের উৎসাহিত করতে ট্রেইনিং, সভা, সমাবেসে খামারের কথা বলছি। সমবায় বা যৌথ খামার ব্যবস্থা আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে বলেও জানান তিনি।’

প্রকাশ : নভেম্বর ২, ২০২২ ৪:৫১ অপরাহ্ন
বৈশ্বিক সংকটেও প্রাণিসম্পদ খাতের উৎপাদন অব্যাহত রাখতে হবে: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
প্রাণিসম্পদ

চলমান বৈশ্বিক সংকটেও প্রাণিসম্পদ খাতের উৎপাদন অব্যাহত রাখার আহ্বান জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

বুধবার (২ নভেম্বর) রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ মিলনায়তনে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন (এলডিডিপি) প্রকল্পের আওতায় প্রডিউসার গ্রুপ সক্রিয়করণ ও প্রাণিসম্পদ কৃষক মাঠ স্কুল পরিচালনা বিষয়ক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রাণিসম্পদ খাত সংশ্লিষ্টদের উদ্দেশে মন্ত্রী এ আহ্বান জানান।

এ সময় মন্ত্রী বলেন, করোনার ভয়াবহ সংকট এবং তার পরবর্তী ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে সারা বিশ্বে যে স্থবিরতা সৃষ্টি হয়েছে তা যেন বাংলাদেশের অদম্য সাহসী অগ্রযাত্রা ব্যাহত করতে না পারে। বৈশ্বিক সংকটে প্রাণিসম্পদ খাতের উৎপাদন কোনভাবেই ব্যাহত করা যাবে না। উৎপাদনে কোথাও যাতে গাফিলতি না হয় সেটা মনে রাখতে হবে। বাংলাদেশে প্রাকৃতিক সম্পদের সব ধরণের যোগান থাকা সত্ত্বেও যাতে কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে না হয় সেটা মনে রাখতে হবে। প্রাণিসম্পদ খাতের বৈপ্লবিক পরিবর্তন ধরে রেখে এ খাতকে উত্তরোত্তর সমৃদ্ধ করতে হবে। পাশাপাশি গুণগত মানেও এ খাতকে উন্নত করতে হবে। এ খাতের টেকসই উন্নয়নে কাজ করতে হবে।

তিনি আরও জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে বড় খাত প্রাণিসম্পদ। এ খাত থেকে দুধ, ডিম ও মাংস উৎপাদনের সাথে এলডিডিপি প্রকল্প সম্পৃক্ত। দুধ, ডিম ও মাংস উৎপাদনে সমৃদ্ধ হতে না পারলে খাবারের বড় একটি অংশের সংকট হতে পারতো। আমিষের সংকটে আমরা বিপন্ন হয়ে পড়তাম। প্রাণিসম্পদ খাতের উৎপাদন বৃদ্ধির কারণে প্রান্তিক মানুষদের অর্থনৈতিক সক্ষমতা বাড়ছে। তারা উদ্যোক্তা হয়ে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হচ্ছেন। নারী, বিধবা, দরিদ্র, অসহায়, বেকার সবাই মিলে সংযুক্ত হয়ে এলডিডিপি প্রকল্পের প্রডিউসার গ্রুপ তৈরি হয়েছে। ফলে আর্থিকভাবে গ্রামীণ জীবনের আমূল পরিবর্তন আসছে।

এ সময় মন্ত্রী আরও বলেন, মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় প্রাণিসম্পদ খাতে বড় সাফল্য এসেছে। তারাই প্রাণিসম্পদ খাতে সব পরিকল্পনা বাস্তবায়ন ও সাফল্যের চাবিকাঠি। প্রকল্পের অর্থ যেন অপব্যবহার না হয় সে বিষয়ে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সতর্ক থাকতে হবে। প্রাণিসম্পদ খাতকে আরও সমৃদ্ধ করার লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। এ খাতে সম্পৃক্তদের সার্বক্ষণিকভাবে সর্বোচ্চ সেবা নিশ্চিত করতে হবে।

মন্ত্রী আরও বলেন, আজ বাংলাদেশ মাংস ও ডিমে স্বয়ংসম্পূর্ণ। দুধেও আমরা স্বয়ংসম্পূর্ণতার কাছাকাছি। এ অর্জন করতে না পারলে কোরবানির সময় ভারত-মিয়ানমার থেকে গবাদিপশু না আসা পর্যন্ত কোরবানির চাহিদা পূরণ করা যেত না। আজ আমরা প্রাণিসম্পদ খাতের বৈপ্লবিক পরিবর্তন বিশ্বকে দেখাতে পারি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ খাতের উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণে সব সময় উৎসাহিত করেন।

তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক পরিসরে বাংলাদেশের মাংসের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। বিশ্বের অনেক দেশ থেকে মাংসের চাহিদা আমাদের দেশে আসছে। এ বিষয় বিবেচনায় নিয়ে জীবনামুক্ত মাংস সরবরাহের জন্য রোগমুক্ত প্রাণিসম্পদ অঞ্চল তৈরি করা হচ্ছে। দেশে আন্তর্জাতিক মানের মান নিয়ন্ত্রণ পরিক্ষাগার তৈরি করা হয়েছে। যাতে মাংস রপ্তানির ক্ষেত্রে কোনরকম ক্ষতিকর অবস্থার মুখোমুখি আমরা না হই।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মনজুর মোহাম্মদ শাহজাদার সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. নাহিদ রশীদ। সম্মানীয় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ব ব্যাংকের সিনিয়র এগ্রিকালচার ইকনোমিস্ট ও এলডিডিপি প্রকল্পের টাস্ক টিম লিডার আমাদো বা। স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন এলডিডিপি প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মো. আব্দুর রহিম। এলডিডিপি প্রকল্প নিয়ে উপস্থাপন করেন প্রকল্পের প্রধান কারিগরি সমন্বয়ক ড. মো. গোলাম রব্বানী।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব বলেন, প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্প প্রাণিসম্পদ খাতের কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন সাধন করবে। এ খাতের ইতিবাচক রূপান্তরের জন্যই এ প্রকল্প নেয়া হয়েছে।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন ও মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাগণ কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য দেশের ৬১ জেলার ৪৬৬ উপজেলায় প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।

প্রকাশ : অক্টোবর ২৯, ২০২২ ৩:৪০ অপরাহ্ন
সামুদ্রিক মৎস্যসম্পদ আহরণে যুক্তরাষ্ট্রের অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে চাই : প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
প্রাণিসম্পদ

সামুদ্রিক মৎস্যসম্পদ আহরণে যুক্তরাষ্ট্রের অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে চান বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

শনিবার (২৯ অক্টোবর) রাজধানীর একটি হোটেলে বাংলাদেশের চিংড়ি খাতের রুপান্তরে যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিভাগের সহায়তায় উইনরক ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ কর্তৃক বাস্তবায়নকৃত সেইফ অ্যাকুয়া ফার্মিং ফর ইকনোমিক অ্যান্ড ট্রেড ইমপ্রুভমেন্ট (সেফটি) প্রকল্পের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা জানান।

এ বিষয়ে মন্ত্রী আরও জানান, যে সমুদ্র এলাকায় আমরা সার্বভৌমত্ব পেয়েছি সেখানে বিপুলসংখ্যক মাছ রয়েছে। রয়েছে অপ্রচলিত মৎস্য সম্পদ। সে ক্ষেত্রে আমাদের কর্মযজ্ঞ সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ একশ বছর মেয়াদী ডেল্টা প্ল্যান করেছে। সে ডেল্টা প্ল্যানের বড় একটি অংশ জুড়ে রয়েছে মৎস্য খাত, সমুদ্র ও জলাশয়। সে জায়গায়ও আমাদের কাজ করতে হবে। যুক্তরাষ্ট্র এক্ষেত্রে অনেক এগিয়ে এবং তাদের অভিজ্ঞতা সমৃদ্ধ। সে অভিজ্ঞতা তারা যেন সম্প্রসারণ করে। বাংলাদেশের মৎস্য খাতে যুক্তরাষ্ট্রের অভিজ্ঞতা আমরা কাজে লাগাতে চাই। আমরা পারস্পরিক অভিজ্ঞতা ও মতামত বিনিময় করতে চাই। যাতে আমরা একসাথে উন্নয়ন করতে পারি।

তিনি আরও জানান, সেফটি প্রকল্পের কার্যক্রম বাংলাদেশের চিংড়ি খাতে ব্যাপক সহযোগিতা দিয়েছে। প্রশিক্ষণ ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতা কাজে লাগিয়ে মাঠ পর্যায়ের উদ্যোক্তাদের উৎপাদন দ্বিগুণেরও বেশি হচ্ছে। সেফটি প্রকল্পের সহযোগিতার উপর ভর করে আরও সামনে এগিয়ে যেতে হবে।

এ সময় মন্ত্রী আরও বলেন, বিশ্ব এখন গ্লোবাল ভিলেজে পরিণত হয়েছে। কাউকে পেছনে রেখে উন্নয়ন সম্ভব নয়। তাই যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের পারস্পরিক সহযোগিতা একের পর এক সম্প্রসারণ হবে বলে প্রত্যাশা থাকবে। আমাদের একসাথে কাজ করতে হবে। বাংলাদেশের কৃষি ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিভাগের সহযোগিতা অবশ্যই প্রশংসনীয়। এ জন্য বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট বিভাগকে ধন্যবাদ জানাচ্ছে। এক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের সহযোগিতা সম্প্রসারণ আরও প্রয়োজন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগের সুন্দর ও বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশ রয়েছে। আমাদের মানবসম্পদ অন্য অনেক দেশের তুলনায় ভালো। আমাদের মৎস্য খাতের নির্ধারিত লক্ষ্য পূরণে যুক্তরাষ্ট্রের এ ধরনের সহযোগিতা সম্প্রসারণ অব্যাহত রাখার আহ্বান জানাচ্ছি।

প্রধান অতিথি আরও যোগ করেন, মানুষের খাদ্য ও পুষ্টি চাহিদা মেটাতে মৎস্য খাত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করতে এ খাতের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে এ খাতে বড় সুযোগ রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, বিশ্বের ৫০টির অধিক দেশে বাংলাদেশের মাছ এখন রপ্তানি হচ্ছে। এসব দেশে বাংলাদেশের রপ্তানিকৃত মাছের স্বাদ ও গুণগতমান ভীষণ প্রশংসা অর্জন করছে। মৎস্য খাতে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি উদ্যোক্তা, বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক ও গবেষক, দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থা ও বিভিন্ন সংগঠন একসাথে কাজ করায় এ কৃতিত্ব অর্জন সম্ভব হয়েছে। এ ধারা অব্যাহত রাখতে আমাদের আন্তরিক ও সচেষ্ট হতে হবে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের অভিষ্ট ও লক্ষ্যে পৌঁছাতে হবে। এ জন্য সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে। পৃথিবীতে নানা দুর্যোগ আসছে। সাম্প্রতিক সময়ের প্রাকৃতিক দুর্যোগে আমাদের মৎস্য খ্যাত বিভিন্নভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। করোনা কালেও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ সময় মৎস্য খাদ্য উৎপাদন-পরিবহন ও বিদেশে রপ্তানি নানা প্রতিকূলতায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তারপরও দেশের মানুষ অফুরান প্রাণশক্তি দিয়ে কাজ করেছে বিধায় এফএও’ র জরিপে করোনাকালে যে তিনটি রাষ্ট্র মৎস্য উৎপাদনে ভালো করতে পেরেছে তার মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। মৎস্য উৎপাদনের এ ধারা আমরা অব্যাহত রাখতে চাই।

সম্মিলিতভাবে একটি সুন্দর বিশ্ব নির্মাণ করতে হবে। এ পৃথিবী যত সুন্দর হবে, যত আধুনিক হবে, যত উন্নত হবে সে উন্নয়নের ছোঁয়া সর্বত্র পৌঁছাতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বাস করেন শান্তির বিশ্ব গড়তে হলে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে। শান্তির বিশ্ব ছাড়া অশান্তির বিশ্বে কখনও সমৃদ্ধি আসতে পারে না। আজকের প্রজন্মকে পরবর্তী প্রজন্মের জন্য শান্তি ও সমৃদ্ধির বিশ্ব রেখে যেতে হবে। সে জন্য একসাথে কাজ করতে হবে- যোগ করেন মন্ত্রী।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. নাহিদ রশীদ, বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খ. মাহবুবুল হক এবং যুক্তরাষ্ট্র কৃষি বিভাগ (ইউএসডিএ)-এর আন্তর্জাতিক কর্মসূচি বিশেষজ্ঞ ভিক্টোরিয়া বেকার। স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন উইনরক ইন্টারন্যাশনাল এর বাংলাদেশ প্রতিনিধি মেসবাহুল আলম। সেফটি প্রকল্প নিয়ে উপস্থাপন করেন প্রকল্পের প্রধান এস এম শাহীন আনোয়ার।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় ও মৎস্য অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ, ইউএসডিএ এর যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশে নিযুক্ত কর্মকর্তাগণ, সেফটি প্রকল্পের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ও গবেষক, বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধি এবং চিংড়ি খাতের অংশীজনরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop