১১:৩৪ অপরাহ্ন

বুধবার, ৮ মে , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ৫, ২০২৩ ৯:৪৬ পূর্বাহ্ন
বাকৃবির ৮ম সমাবর্তনের অনুষ্ঠানসূচিতে ‘ভুলে ভরা’
ক্যাম্পাস

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) ৮ম সমাবর্তন আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে। এই সমাবর্তনের ভুলে ভরা একটি অনুষ্ঠানসূচি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। বাকৃবি শাখা ছাত্রলীগের এক নেতা এটি প্রকাশ করেছেন।

জানা গেছে, শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি খন্দকার তায়েফুর রহমান রিয়াদ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনের ‘ভুলে ভরা’ অনুষ্ঠানসূচির ছবি ফেসবুকে প্রকাশ করলে তা মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে। যদিও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বলছে, ‘এটা চূড়ান্ত সূচি নয়’। টাইপিংয়ে ভুল ছিলো। সংশোধনের কাজ শুরু হয়েছে।

‘ভুলে ভরা’ ভাইরাল অনুষ্ঠানসূচিতে দেখা গেছে, বাকৃবির ৮ম সমাবর্তনের কার্যক্রম রাত ১২টা থেকে রাত ১টা ১০মিনিট পর্যন্ত এবং সকাল ১১টা থেকে ১১টা ৫৫ মিনিট পর্যন্ত চলবে। সমাবর্তনের বক্তা হিসেবে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি রাত সাড়ে ১২টায় বক্তব্য দেবেন।

অনুষ্ঠানসূচি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশ সমালোচনা শুরু হয়েছে। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো বিশ্ববিদ্যালয় কী করে এত বড় ভুল করল, প্রশ্ন তুলেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

জানতে চাইলে সমাবর্তন বাস্তবায়ন কমিটির সদস্যসচিব ও বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. ছাইফুল ইসলাম জানান, ‘এটি প্রিন্টিং মিসটেক। ভুলে তারা টাইপ করে ফেলেছে। এটি সংশোধনীর জন্য প্রেসে আবার পাঠানো হয়েছে। তবে এটি এখনও অফিশিয়ালি কাউকে পাঠানো হয়নি। কে বা কারা আমার অনুমতিতে ব্যতীত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করেছে তা আমার জানা নেই।’

তবে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি খন্দকার তায়েফুর রহমান রিয়াদ গণমাধ্যমকে জানান, ‘আমি রেজিস্ট্রারের অনুমতি নিয়েই প্রকাশ করেছি।’
সূত্র: দ্য ডেইলি ক্যাম্পাস

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ৩, ২০২৩ ৭:৪১ অপরাহ্ন
রাষ্ট্রপতির উপস্থিতিতে সমাবর্তন চান বাকৃবির শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা
ক্যাম্পাস

রাষ্ট্রপতির উপস্থিতিতে সমাবর্তন চান বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার বেলা দুইটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে তাঁরা এই দাবি জানান।

মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী কৃষিবিদ দেবেশ সরকার বলেন, ‘১৯৭৩ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি বঙ্গবন্ধু কৃষিবিদদের প্রথম শ্রেণীর মর্যাদা দিয়েছিলেন। কিন্তু দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ এই বিশ্ববিদ্যালয়ে রাষ্ট্রপতি ছাড়া সমাবর্তনের আয়োজন করে সেই মর্যাদা ক্ষুন্ন করা হচ্ছে। আমরা এই সমাবর্তন চাই না।’

বাকৃবির অধ্যাপক ড. জাকির হোসেন বলেন, ‘সমাবর্তনের প্রাণ চ্যান্সেলর। কিন্তু এ ক্ষেত্রে প্রশাসন ব্যর্থ হয়েছে। এতে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্য ও সুনাম ক্ষুন্ন করা হচ্ছে।’

বাকৃবির অধ্যাপক ড. মনিরুজ্জামান বলেন, ‘আমরা কারও বিরুদ্ধে না। প্রয়োজনে সমাবর্তনের সময় পিছিয়ে হলেও রাষ্ট্রপতির উপস্থিতিতে সমাবর্তন চাই।’

বাকৃবির সমাবর্তনে দিনের কর্মসূচিতে রাতের সময়সূচি বাকৃবির সমাবর্তনে দিনের কর্মসূচিতে রাতের সময়সূচি
এ সময় উপস্থিত শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘বিগত ৬১ বছরে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে মাত্র আটটি সমাবর্তনের আয়োজন করা হয়েছে। কিন্তু রাষ্ট্রপতির উপস্থিতি ছাড়া আমরা অষ্টম সমাবর্তন চাই না। কারণ, ময়মনসিংহ রাষ্ট্রপতির এলাকা এবং এই বিশ্ববিদ্যালয় তাঁর নিজের বলে আমরা মনে করি। ইতিমধ্যে তিনি যেহেতু দেশের প্রায় সব বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে অংশ নিয়েছেন। সেহেতু সময় নিয়ে হলেও রাষ্ট্রপতির উপস্থিতিতে আমরা সমাবর্তন চাই।’

এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এম এইচ সরকার রিফাতের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে আরও বক্তব্য দেন অধ্যাপক ড. নাসরিন সুলতানা জুয়েনা, শিক্ষার্থী রুহুল কবীর রিয়াদ, ফজলে রাব্বি, তারিক জামান জয়, আব্দুল্লাহ আল বাকি প্রমুখ। মানববন্ধনে বিপুলসংখ্যক শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রা র মো. সাইফুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মানববন্ধন করলেও কিছু করার নেই। নির্ধারিত তারিখেই সমাবর্তন হবে এবং তা মহামান্য রাষ্ট্রপতির অনুশাসনেই হচ্ছে।’

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ২, ২০২৩ ১০:৪০ অপরাহ্ন
বাকৃবিতে মাছের খামারে প্রযুক্তির ব্যবহার শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত
ক্যাম্পাস

দীন মোহাম্মদ দীনু: বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অর্থনীতি এবং গ্রামীণ সমাজবিজ্ঞান অনুষদের সভাকক্ষে “স্ট্র্যাটেজিস ফর ইনক্লুসিভ একুয়াকালচার ভেল্যুচেইন ইন বাংলাদেশ” প্রকল্পের উদ্যোগে গত বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি)দিনব্যাপি মৎস্য চাষিদের নিয়ে “টেকনোলজি এডাপশন ইন একোয়াকালচার ফার্মস” শীর্ষক এক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

প্রকল্পটির পরিচালিত হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস স্টেট ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এবং পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালইয়-এর যৌথ উদ্যোগে। প্রকল্পের অর্থায়ন করেছে ইউএসএআইডি’র অঙ্গ সংগঠন ফিড দ্য ফিউচার ইনোভেশন ল্যাব ফর ফিশ।

উক্ত প্রশিক্ষণটির সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অর্থসংস্থান ও ব্যাংকিং বিভাগের অধ্যাপক এবং প্রকল্পের বাংলাদেশ অংশের পরিচালক ড. মোঃ আক্তারুজ্জামান খান।

এ আয়োজনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. লুৎফুল হাসান। এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে অনলাইনে জুম অ্যাপের মাধ্যমে সংযুক্ত ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এবং প্রকল্প পরিচালক ড. মদন মোহন দে। বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন ফিড দ্যা ফিউচার ইনোভেশন ল্যাব ফর ফিস-এর এশিয়া রিজিওনাল কো-অর্ডিনেটর ড. এম গোলাম হোসাইন এবং কৃষি অর্থনীতি এবং গ্রামীণ সমাজবিজ্ঞান অনুষদের সম্মানিত ডিন প্রফেসর ড. খন্দকার মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন কৃষি অর্থসংস্থান ও ব্যাংকিং বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোঃ আক্তারুজ্জামান খান। সঞ্চালনার দায়িত্ব পালন করেন কৃষি অর্থনীতি বিভাগের মার্স্টাস অধ্যায়নরত শীক্ষার্থী নাজিফা জাহিন অহনা। প্রকল্পের গবেষণা সহযোগী মোঃ ইমরান হোসাইন অনুষ্ঠানটির সার্বিক তত্ত্বাবধায়ন করেন।No description available.

প্রশিক্ষকদের মধ্যে একোয়াকালচার বিভাগের প্রফেসর, ড. এম মাহফুজুল হক রিপন, “একোয়াকালচার সিস্টেম এবং ইন্সট্রুমেন্টেশন: মাছের উৎপাদন বৃদ্ধির কৌশল” বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করেছেন। এ পর্বে কিভাবে নতুন প্রযুক্তি মাছ চাষে ব্যবহার করা যায় এবং বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে মাছ উৎপাদন বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া NAAFCO এগ্রোভেট লিমিটেডের ন্যাশনাল সেলস ম্যানেজার কৃষিবিদ লিটন চৌধুরী নিরাপদ মাছ উৎপাদনের জন্য অ্যাকুয়াকালচারে প্রোবায়োটিক্সের সম্ভাবনা-এর আলোকে বিস্তর বিষয়ে আলোচনা করেন। তিনি দেখান, যথাযথ প্রোবায়োটিক্সের ব্যবহারের মাধ্যমে সফলভাবে মাছ চাষ করে বেশি লাভবান হওয়া সম্ভব।

প্রশিক্ষণ শেষে ৪০ জন মৎস্য চাষি প্রশিক্ষন সনদ প্রদান করা হয় এবং তারা তাদের মতামত ও অভিজ্ঞতা ব্যক্ত করেন। উক্ত প্রশিক্ষনে ৪ জন মহিলা মৎস্য চাষি সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহন করেন এবং তাদের অনুভূতি ব্যক্ত করেন।

প্রকাশ : জানুয়ারী ১১, ২০২৩ ১০:৪৯ অপরাহ্ন
বাকৃবিতে শিক্ষক লাঞ্ছিতের প্রতিবাদে মানববন্ধন
ক্যাম্পাস

সম্প্রতি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি খন্দকার তায়েফুর রহমান রিয়াদের বিরুদ্ধে শিক্ষকদের লাঞ্ছনা এবং এক শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে গণতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরামের একাংশ।

বুধবার (১১ জানুয়ারি) দুপুর ১২ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনের করিডোরে ওই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।এসময় তারা তিনটি দাবি উপস্থাপন করেন। এদিকে তিন কার্যদিবসের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দাবিগুলো বাস্থবায়নে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে কঠোর আন্দোলনের হুশিয়ারি দেন মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারী শিক্ষকরা।

দাবি তিনটি হলো, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের পদত্যাগ, দোষীদের শাস্তির আওতায় নেয়া এবং ঘটনার কোনো সুরাহা না হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ প্রশাসনের পদত্যাগ।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, খুবই লজ্জাজনক ঘটনা যে শিক্ষককে ছাত্রের দ্বারা লাঞ্ছনার শিকার হতে হয়েছে। একজন শিক্ষকের রুমে একজন ছাত্রনেতা ও তার অনুসারীরা বিনা অনুমতিতে প্রবেশ করে। পরে শিক্ষকের উপস্থিতিতে একজন ছাত্রকে মারধর করা হয়। শিক্ষকরা বাধা দিতে গেলে শিক্ষকদের উপরও হাত তোলা হয়। এমন ঘটনা বাকৃবির ইতিহাসে আগে ঘটে নাই। এমন ঘটনা জানার পরেও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি নিরবতা বজায় রেখেছে। আমরা মনে করি প্রক্টরিয়াল বডি তার দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ। দোষীদের বিচারের আওতায় এনে শাস্তি দিতে না পারলে তার পদত্যাগ করা উচিত। ছাত্রলীগকে বিতর্ক করার গোপন ষড়যন্ত্র চলছে। নির্বাচনের আগে এ সকল ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। শিক্ষকদের সাথে ঘটে যাওয়া এমন ঘটনায় শিক্ষক সমিতি এখনো নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করে চলেছে। এখন পর্যন্ত কোনো প্রতিবাদ লিপিও তারা দেয়নি। এমন সমিতি থাকার চেয়ে না থাকা ভালো। শিক্ষক লাঞ্ছনা এবং মারধরের ঘটনার সুষ্ঠু বিচার করতে না পারলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ প্রশাসন পদত্যাগ করুক।

এসময় তারা, আজ (বুধবার) শিক্ষক সমিতির অভিষেক ও বাজেট সভা অনুষ্ঠান বর্জনের ঘোষণা দেন। এবং সকল শিক্ষককে ওই অনুষ্ঠানে না যাওয়ার আহবান করে পাশে থাকার অনুরোধ করেন।

মানববন্ধনে গণতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরামের একাংশের সভাপতি অধ্যাপক ড. এম. এ এম ইয়াহিয়া খন্দকার, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. পূর্বা ইসলাম, সাংগাঠনিক সম্পাদক ড. তানভীর রহমান, সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান, উপদেষ্টা কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. সাইদুর রহমান এবং প্রচার সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. হামিদুল ইসলামসহ প্রায় অর্ধশতাধিক শিক্ষক এ মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেন।

জানা যায়,অনুমতি ছাড়া জোরপূর্বক শিক্ষকের কক্ষে প্রবেশ করে ড. পূর্বা এবং সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক ড. আফরিনা মুস্তারিকে লাঞ্ছিত করা হয়। একই সাথে ভেটেরিনারি অনুষদের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী আফতাব দূর্বারকে মারধর করা হয়। পরে ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থীকে চিকিৎসার জন্যে ময়মনসিংহ মেডিকেলে ভর্তি করা হয়।

প্রকাশ : জানুয়ারী ৬, ২০২৩ ১০:০০ পূর্বাহ্ন
বাকৃবিতে প্রাণিসম্পদ ও দুগ্ধ উন্নয়ন প্রকল্পের (এলডিডিপি) উদ্বোধন
ক্যাম্পাস

কৃষিবিদ দীন মোহাম্মদ দীনু:  দুগ্ধ ও মাংসের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকারের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীনে প্রাণিসম্পদ ও দুগ্ধ উন্নয়ন প্রকল্পের (এলডিডিপি) অধীনে থাকা ১৬টি গবেষণা উপ-প্রকল্পের ১৫টিই পেয়েছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি)।

প্রকল্পসমূহ অত্যান্ত যাচাই, বাছাই প্রক্রিয়া অনুসরন করে অনুমোদন করা হয়েছে বলে গতকাল শুক্রবার (৬ জানুয়ারি) জানিয়েছেন বাকৃবি ভেটেরিনারি অনুষদের ডীন প্রফেসর ডঃ মোঃ আবদুল আউয়াল।
তিনি আরও জানান প্রাপ্ত প্রকল্পসমূহের মধ্যে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি অনুষদ ৮টি গবেষণা প্রকল্প বাস্তবায়ন করার জন্য অনুমোদন লাভ করেছে।

জানা যায়, প্রস্তাবিত ও অনুমোদন পাওয়া প্রকল্পগুলো কিভাবে বাস্তবায়িত হবেন এবং প্রকল্প বাস্তবায়নের নানা দিক, কি ভাবে মানুষ এর থেকে উপকৃত হবে সে বিষয়গুলো বিবেচনায় নিয়ে
চার দিন ব্যাপি প্রতিদিন ২টি করে ইনসেপ্সন ওয়ার্কশপ অনুষ্ঠিত হয়। ভেটেরিনারি অনুষদের ডীন প্রফেসর ডঃ মোঃ আবদুল আউয়াল ওয়ার্কশপ সমুহের প্রধান অতিথি হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

এসব ওয়ার্কসপে অনুষদীয় সন্মানিত সদস্যগণ এবং ডাইরেক্টর অব লাইভ স্টক সার্ভিসের সন্মানিত এক্সপার্ট গন তাঁদের মূল্যবান মতামত ব্যক্ত করেন ও নানাবিধ উপদেশ প্রদান করেন। ডক্টর মো. আবদুল আউয়াল গবেষণা প্রকল্পগুলো সুষ্ঠুভাবে সমাপ্ত হলে এদেশের প্রাণী সম্পদের ব্যাপক উন্নতি হবে, মাংশ, দুধ,ডিম উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে প্রান্তিক খামারি তথা এদেশের জনগনের যথাযথ পুষ্টির যোগানের মাধ্যমে স্বাস্হ্য সেবার উন্নয়ন ঘটবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

উল্লখ্য সোমবার (২ জানুয়ারি ) বাকৃবির সৈয়দ নজরুল ইসলাম সম্মেলন কক্ষে প্রকল্পের ইনসেপশন ওয়ার্কশপ অনুষ্ঠিত হয়। বাউরেস পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. জয়নাল আবেদিনের সভাপতিত্বে এবং অধ্যাপক ড. সুকুমার সাহার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাকৃবি উপাচার্য ড. লুৎফুল হাসান।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভেটেরিনারি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আব্দুল আওয়াল, পশুপালন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. ছাজেদা আক্তার, প্রাণিসম্পদ ও দুগ্ধ উন্নয়ন প্রকল্প (এলডিডিপি) পরিচালক মো. আব্দুর রহিম। এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন এলডিডিপি প্রকল্পের পশুপুষ্টি বিশেষজ্ঞ হিসেবে নিযুক্ত থাকা বাকৃবির পশুপুষ্টি বিজ্ঞান অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আল মামুন। কর্মশালাটি আয়োজন করে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় রিসার্চ সিস্টেম (বাউরেস)।

বাকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. লুৎফুল হাসান বলেন, ‌‘এলডিডিপি প্রকল্পের প্রতিটি গবেষণা উপ-প্রকল্প মানুষের পুষ্টিকর খাদ্যের চাহিদা পূরণ করবে। অনেক জায়গায় সনির্ভরতা এসেছে। দুগ্ধ শিল্পকে এগিয়ে নিয়ে যাবে এলডিডিপি প্রকল্প।

বাউরেস পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. জয়নাল আবেদিন বলেন, ‘এলডিডিপি প্রকল্প বাস্তবায়নে দেশে গবেষক সৃষ্টি হবে। গবেষকদের গবেষণা সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়বে। গবেষণা প্রকল্প সম্পন্ন হলে দেশের মানুষ উপকৃত হবে।।

প্রকাশ : ডিসেম্বর ৩০, ২০২২ ১২:৪৫ অপরাহ্ন
বাকৃবি শিক্ষক সমিতির নির্বাচন, আওয়ামীপন্থী ফোরামের নিরঙ্কুশ জয়
ক্যাম্পাস

কৃষিবিদ দীন মোহাম্মদ দীনু: বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) শিক্ষক সমিতির নির্বাচনে নিরঙ্কুশভাবে সকল পদে জয় লাভ করেছে আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন গণতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরাম। নির্বাচনে সভাপতি পদে এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স বিভাগের প্রফেসর ড. মোঃ আসলাম আলী এবং সাধারণ সম্পাদক পদে প্যারাসাইটোলজি বিভাগের প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম নির্বাচিত হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক কমপ্লেক্স ভবনে সকাল ৮টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ চলে। এবারের নির্বাচনে ভোটার সংখ্যা মোট ৫৬৯ জন। এতে ভোটার উপস্থিতি ছিল ৮১ দশমিক ৭২ শতাংশ। ব্যাপক উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে নির্বাচন সম্পন্ন হওয়ার পর রাত সাড়ে ১১টায় নির্বাচনী ফলাফল ঘোষণা করা হয়।

নির্বাচিত অন্যান্য সদস্যরা হলেন সহ-সভাপতি পদে কৃষি ও ফলিত পরিসংখ্যান বিভাগের প্রফেসর ড. মোঃ আমিরুল ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ পদে উদ্যানতত্ত¡ বিভাগের প্রফেসর ড. মোঃ মোক্তার হোসেন, যুগ্ম সম্পাদক-১ পদে কৃষি রসায়ন বিভাগের প্রফেসর ড. বিপ্লব কুমার সাহা, যুগ্ম সম্পাদক-২ পদে পশুপুষ্টি বিভাগের ড. মোঃ শফিকুর রহমান শিশির, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে ফিশারিজ টেকনোলজি বিভাগের জনাব মোঃ মোবারক হোসেন, তথ্য-প্রযুক্তি ও প্রচার সম্পাদক পদে কম্পিউটার সায়েন্স এ্যান্ড ম্যাথমেটিক্স বিভাগের জনাব জয়ন্ত কর্মকার, সমাজকল্যাণ সম্পাদক পদে পোল্ট্রি বিজ্ঞান বিভাগের জনাব আনজুয়ারা খাতুন।

এছাড়া সদস্য পদে ফিশারিজ টেকনোলজি বিভাগের প্রফেসর ড. ফাতেমা হক শিখা, কৃষিতত্ত¡ বিভাগের প্রফেসর ড. মোঃ হারুন অর রশীদ, মেডিসিন বিভাগের প্রফেসর ড. মোঃ আমিনুল ইসলাম, ফার্ম স্ট্রাকচার এন্ড এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রফেসর ড. মোহাম্মদ রায়হানুল ইসলাম, পশুপুষ্টি বিভাগের প্রফেসর ড. মোহাম্মদ মহি উদ্দিন এবং কৃষি অর্থনীতি বিভাগের প্রফেসর ড. মাহবুব হোসেন নির্বাচিত হয়েছেন।

উল্লেখ্য, গণতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরামের অন্য একটি প্যানেলের সভাপতি পদপ্রার্থী ড. এম. এ. ইয়াহিয়া খন্দকার ও সোনালী দল প্যানেলের সভাপতি পদপ্রার্থী ড. শহিদুল হক সমান সংখ্যক ১৩১টি ভোট পেয়ে নিকটতম প্রতিদ›দ্বী হিসেবে প্রফেসর ড. মোঃ আসলাম আলীর কাছে পরাজিত হন। প্রফেসর ড. মোঃ আসলাম আলী ২০২টি ভোট পান।

আবার সাধারণ সম্পাদক পদে ২১২টি ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম। তার নিকটতম প্রতিদ›দ্বী সোনালী দল প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী ড. মোঃ আরিফুল ইসলাম পান ১৪৮টি ভোট। এছাড়াও গণতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরামের অন্য একটি প্যানেল থেকে একই পদপ্রার্থী ড. মোঃ জাকির হোসেন ৯৯ টি ভোট পান।

প্রকাশ : ডিসেম্বর ২৫, ২০২২ ১১:৪৭ পূর্বাহ্ন
বাকৃবি’তে গ্লোবাল প্লাটফর্ম টেডএক্স কর্মশালা অনুষ্ঠিত
ক্যাম্পাস

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) ক্যারিয়ার ক্লাবের আয়োজনে গ্লোবাল প্লাটফর্ম টেডএক্স কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

কর্মশালায় তরুণ সমাজকে উদ্বুদ্ধকরনে আত্ম উন্নয়ন, অভিব্যক্তি, বাস্তবমুখী গল্প, আবহাওয়া ও জলবায়ুসহ মোটিভেশনমূলক কথা বলেন স্পিকাররা।

শনিবার (২৪ডিসেম্বর) সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেমিনার কক্ষে কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়। সকাল সাড়ে নয়টা থেকে বিকেলে ৪টা পর্যন্ত অনুষ্ঠানটি চলে।

টেডএক্স হলো স্পিকারের একটি প্রদর্শনী। এখানে আমণন্ত্রিত বক্তারা তাদের জীবনের বাস্তবমুখী অভিজ্ঞতা শুনান। শ্রেতাদের মাঝে সবকিছু নতুন দৃষ্টিকোণে ভাবতে শেখায়। কর্মশালা গুলো একাডেমিক ও কর্মক্ষেত্রে উভয় ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলে।

তরুণ সমাজকে নতুন ধারণা এবং উল্লেখযোগ্য বক্তৃতা প্রদানের মাধ্যমে উৎসাহয়িত করেন উপস্থিত সাত জন বক্তা। তারা হলেন বাকৃবির কৃষি শক্তি ও যন্ত্র বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মঞ্জুরুল আলম, চলচ্চিত্র নির্মাতা অমিতাভ রেজা চৌধুরী, লেখক ও ডিজিটাল মিডিয়া কৌশলবিদ সাদমান সাদিক, বিজ্ঞানী ও অধ্যাপক ড. মো. মাহমুদুল হাসান সিকদার, বসুন্ধরা গ্রুপের জনসংযোগের (শাখা এ) প্রধান ইঞ্জিনিয়ার জাকারিয়া জালাল, জলবায়ু নীতি অ্যাডভোকেট ও ইউএন এনভায়রনমেন্ট প্রোগ্রামের গ্লোবাল ফ্যাসিলিটেটর জুহাইর আহমেদ কৌশিক, অ্যানিমেটর ও কার্টুনিস্ট মাহাথির মাহমুদ অন্তিক।

ক্যারিয়ার ক্লাবের উপদেষ্টা কৃষি অর্থসংস্থান ও ব্যাংকিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আক্তারুজ্জামান খানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ স্বপ্নিল আহমেদ জাহিনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. লুৎফুল হাসান। কর্মশালা সমন্বয়ক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অনসূয়া চক্রবর্তী ও শাহেদ জাকির অপি।

অনুষ্ঠানটি উদ্বোধন করেন ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. খান মো. সাইফুল ইসলাম। আরও উপস্থিত ছিলেন ক্যরিয়ার ক্লাবের উপদেষ্টা কৃষি শক্তি ও যন্ত্র বিভাগের অধ্যাপক ড. চয়ন কুমার সাহা ও কৃষি সম্প্রসারণ শিক্ষা বিভাগের ড. মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন।

প্রকাশ : ডিসেম্বর ২৩, ২০২২ ৮:৪৫ পূর্বাহ্ন
স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে বাকৃবি
ক্যাম্পাস

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কাজ করে যাচ্ছে। বাকৃবির উদ্দেশ্যই হলো গবেষণার ফলাফল গ্রামীণ পর্যায়ে পৌঁছে দেওয়া। সফলতা আসলে সত্যিকার অর্থে উপকৃত হবে প্রান্তিক কৃষকরা। এজন্য মানুষের দোরগোড়ায় প্রযুক্তি পৌঁছে দিতে হবে বলে মন্তব্য করেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. লুৎফুল হাসান।

বৃহস্পতিবার (২২ ডিসেম্বর) বিকেলে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত সাংবাদিকদের জন্য আয়োজিত এক প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

বাকৃবির ইন্টারডিসিপ্লিনারি ইনস্টিটিউট ফর ফুড সিকিউরিটির (আইআইএফএস) প্রশিক্ষণ কক্ষে আট দিনব্যাপী ওই প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হয়।

‘বিশ্বব্যাপী আর্থিক সংকট এবং পরিবেশবিষয়ক সাংবাদিকতা’ শীর্ষক কর্মশালায় বাকৃবিতে কর্মরত বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক ও অনলাইন নিউজ পোর্টালের ১৭ জন সাংবাদিক এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ বিভাগের ২ জন কর্মকর্তা অংশ নিচ্ছেন।

উপাচার্য আরও বলেন, প্রশিক্ষণের বিষয়টি বর্তমান প্রেক্ষাপটের সঙ্গে যথাযথ হয়েছে। নতুন উদ্ভাবিত পণ্য তাদের কাছে পৌঁছানোর মাধ্যম হলো মিডিয়া। কৃষি সাংবাদিকতা বাংলাদেশকে কতদূর এগিয়ে নিয়ে যাবে সে বিষয়ে সাংবাদিকদের কাজ করতে হবে।

আইআইএফএসের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. এনামুল হকের সভাপতিত্বে এবং আইআইএফএসের সহযোগী পরিচালক ড. রাখী চক্রবর্ত্তীর সঞ্চালনায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিএফআরআই) মহাপরিচালক ড. ইয়াহিয়া মাহমুদ, বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিনা) মহাপরিচালক ড. মির্জা মোফাজ্জল ইসলাম (ভার্চুয়ালি), আইআইএফএসের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ড. ফারিদা ইয়াসমিন বারি প্রমুখ।

প্রকাশ : ডিসেম্বর ১৭, ২০২২ ১:৫৯ অপরাহ্ন
মাছের তথ্য জানাচ্ছে বাকৃবির জাদুঘর
বিজ্ঞান ও গবেষণা

দেশের প্রথম মৎস্য জাদুঘর বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে (বাকৃবি) মৎস্য জাদুঘর। এতে প্রায় ২৩৫ প্রজাতির দেশীয় মাছ ও বিভিন্ন জলজ প্রাণীর এক বিশাল সংগ্রহশালা।

মূলত এটি ‘ফিশ মিউজিয়াম অ্যান্ড জার্মপ্লাজম সেন্টার’ যা বাকৃবির মৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের আওতাধীন একটি সংগ্রহশালা। 

সহজেই মাছের সঙ্গে পরিচিত হতে পারা, বিলুপ্ত এবং বিলুপ্তপ্রায় সব স্বাদু পানি ও সামুদ্রিক মাছ এবং জলজ প্রাণী সংরক্ষণের মাধ্যমে ভবিষ্যৎ গবেষণা কার্যক্রম এগিয়ে নেওয়ার উদ্দেশ্যে ২০০৯ সালে প্রতিষ্ঠা করা হয় এই জাদুঘরটি। এটি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং বাংলাদেশের প্রথম ও সর্ববৃহৎ মৎস্য জাদুঘর।

জানা যায়, মাছের নমুনাগুলো বিভিন্ন আকারের কাঁচের জারে ফরমালিনে ডুবিয়ে রাখা হয়েছে। প্রতিটি মাছের জার বরাবর ওপরে দেয়ালে সাঁটা পোস্টারে প্রদর্শন করা হয়েছে ঐ মাছেরই পরিপক্ব বয়সের আলোকচিত্রসহ প্রচলিত ও বৈজ্ঞানিক নাম এবং গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। গবেষণা কাজে সহায়তার জন্য বড় এবং ছোট দেশি প্রজাতির মাছের জন্য এ্যাকোরিয়াম, ক্রায়োজেনিক মাছের একটি জিন ব্যাংক এবং ডিএনএ সংগ্রহশালা করার পরিকল্পনা রয়েছে। একটি কক্ষে দর্শনার্থীদের জন্য রয়েছে থ্রিডি অডিও-ভিজুয়াল-সুবিধা। কক্ষটিতে প্রাগৈতিহাসিক যুগের বিলুপ্ত মাছ ও অন্যান্য জলজ প্রাণীর জীবাশ্মের প্রতিলিপি প্রদর্শনীর জন্য রাখা হয়েছে। রয়েছে কোটি কোটি বছর আগে বিলুপ্ত প্রাণীর কঙ্কাল।

জাদুঘর সূত্রে জানা গেছে, ১০ বছর ধরে গবেষণার কাজে এবং শখের বশে দেশীয় বিভিন্ন প্রজাতির মাছের নমুনা সংগ্রহ করেন বাকৃবির মৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের ফিশারিজ বায়োলজি এবং জেনেটিক্স বিভাগের অধ্যাপক ড. মোস্তফা আলী রেজা হোসেন। অক্লান্ত পরিশ্রমের মাধ্যমে ড. মোস্তফা আলী রেজা হোসেন নিজ উদ্যোগে বাকৃবির নয়নাভিরাম সবুজ চত্বরে স্থাপন করেন ‘ফিশ মিউজিয়াম অ্যান্ড জার্মপ্লাজম সেন্টার’। পরে ২০১০ সাল থেকে এটিকে সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয় এবং ২০১৮ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের তত্ত্বাবধান নেওয়া হয়। জাদুঘরটি মোট পাঁচটি কক্ষ নিয়ে সাজানো।

এই জাদুঘরটির প্রথম কক্ষটির শিরোনাম ফ্রেশওয়াটার ডলফিন অ্যান্ড ফিশ (মিঠাপানির ডলফিন ও মাছ), দ্বিতীয়টির এনসিয়েন্ট অ্যান্ড মিডিয়া, তৃতীয়টির সিলোরিফরমিস বা বিড়াল জাতীয় মাছ, চতুর্থটির সিপ্রিনিফরমিস বা কার্প জাতীয় মাছ এবং পঞ্চমটির শিরোনাম পার্সিফরমিস বা কই জাতের মাছ। এছাড়াও জাদুঘরের করিডোরে আছে আবহমানকাল ধরে এ দেশের জেলেদের ব্যবহার্য বিভিন্ন ধরনের মাছ ধরার উপকরণ আর দেশের মৎস্য ঐতিহ্যের ইতিহাস ও নিদর্শন।

এছাড়াও জাদুঘরে প্রায় ৪০টি জীবাশ্ম ও কঙ্কাল সংগৃহীত আছে। এর মধ্যে হাঙরের চামড়া, ৫৪০ মিলিয়ন বছর আগে বিলুপ্ত হওয়া দুই দাঁতবিশিষ্ট বাঘের কঙ্কাল, ৫৪ মিলিয়ন বছর আগে বিলুপ্ত জলজ প্রাণী গারপাইক, হর্সগ্রাস, স্টিংরের প্রতিলিপি, ১৫ মিলিয়ন বছর আগে বিলুপ্ত হাঙরের চোয়াল ও দাঁত, ৩৫ কোটি বছর আগে বিলুপ্ত কোরালের প্রতিলিপি অন্যতম। এই মৎস্য জাদুঘরে স্বাদু পানির প্রায় ২৩০ প্রজাতিসহ রয়েছে হাজার বছরের বিলুপ্ত প্রজাতির ফসিল যা চারটি সুপরিসর গ্যালারিতে সাজানো হয়েছে।

ফরমালিনের দ্রবণে বড় বড় কাচের সিলিন্ডারে এই সমস্ত মাছ সংরক্ষিত আছে। প্রতিটি মাছের ওপরে দেওয়ালের সঙ্গে টাঙানো আছে নয়নাভিরাম আলোকসজ্জা। আলোকসজ্জার সঙ্গে বৈজ্ঞানিক নামসহ মাছের যাবতীয় বর্ণনা দেওয়া আছে যাতে করে শিক্ষার্থীরা এখান থেকে পরিপূর্ণ জ্ঞান নিতে পারে।

প্রকাশ : ডিসেম্বর ১৩, ২০২২ ১০:২৮ অপরাহ্ন
বাকৃবি-অর্থায়নকৃত প্রকল্প অনুমোদন পত্র বিতরণ ২০২২ অনুষ্ঠিত
ক্যাম্পাস

কৃষিবিদ দীন মোহাম্বাংমদ দীনু; বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় রিসার্চ সিস্টেম (বাউরেস) এর আয়োজনে অনুষ্ঠিত হল বাকৃবি-অর্থায়নকৃত প্রকল্প অনুমোদন পত্র বিতরণ।

মঙ্গলবার(১৩ ডিসেম্বর) বিকেল ৩ টায় বাকৃবি সৈয়দ নজরুল কনফারেন্স হলে বাকৃবি-অর্থায়নকৃত প্রকল্প অনুমোদন পত্র বিতরণ অনুষ্ঠান-২০২২ অনুষ্ঠিত হয় যেখানে মোট ৫২টি প্রকল্পের মাধ্যমে মোট ৩ কোটি ৮৪ লক্ষ টাকা অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

বাউরেস এর পরিচালক প্রফেসর ড. মোঃ জয়নাল আবেদীন এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাকৃবি ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. লুৎফুল হাসান।

অনুষ্ঠানে বাউরেসের সহযোগী পরিচালক প্রফেসর ড. এ. কে. এম. মমিনুল ইসলাম এর সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাউরেসের সাবেক পরিচালক প্রফেসর ড. মোঃ আবু হাদী নূর আলী খান, শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. এম. এ. সালাম, কোষাধ্যক্ষ জনাব মোঃ রাকিব উদ্দিন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রফেসর ড. লুৎফুল হাসান বলেন, বাকৃবি পিএইচডি রিসার্চ সারাবিশ্বে মুল্যায়িত হচ্ছে। পৃথিবীর অনেক দেশ এ ব্যাপারে আমাদেরকে অনুকরণ করছে। সারা বিশ্ব বাংলাদেশ থেকে কৃষি বিশেষজ্ঞ নিতে আগ্রহ দেখায়।
এ সময় তিনি প্রতিটি প্রকল্প প্রিন্সিপাল ইনভেস্টিকেটরকে তাগিদ দেন যেন তারা জুনিয়র শিক্ষার্থীদের এ কাজে সম্পৃক্ত করেন। যাতে জুনিয়র শিক্ষার্থীরা গবেষণায় আগ্রহী ও দক্ষ হয়ে উঠতে পারে। এছাড়াও তিনি গবেষণা কাজে এগিয়ে আসার জন্য বাকৃবি শিক্ষকদেরকে সাধুবাদ জানান।

অনুষ্ঠানে প্রকল্প প্রিন্সিপাল ইনভেস্টিগেটর, কো- প্রিন্সিপাল ইনভেস্টিগেটরসহ অনেক শিক্ষক-শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop