৭:২৩ পূর্বাহ্ন

সোমবার, ২০ মে , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : ডিসেম্বর ৩, ২০২২ ৭:০৫ অপরাহ্ন
বাকৃবিতে নবান্ন উৎসব ‘নবরূপে নবান্ন’ উদযাপিত
কৃষি বিভাগ

কৃষিবিদ দীন মোহাম্মদ: বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের টিম উৎসবের আয়োজনে নবান্ন উৎসব ‘নবরূপে নবান্ন’ আয়োকন করা হয়েছে।

শনিবার(৩ ডিসেম্বর) বাকৃবি ছাত্রলীগের সার্বিক সহযোগিতায় এটি অনুষ্ঠিত হয়।

বাকৃবি ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. লুৎফুল হাসান সকাল সাড়ে ৯টায় বাকৃবি হেলিপ্যাডে কৃষক র‌্যালি উদ্বোধনের মধ্যদিয়ে দুইদিন ব্যাপী অনুষ্ঠানমালার উদ্বোধন করেন।

ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা প্রফেসর ড. খান মোঃ সাইফুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রফেসর ড. লুৎফুল হাসান বলেন, বিজয়ের মাসে এ উৎসব যুক্ত হয়ে বাঙালির প্রতিটি মানুষকে আরও উৎসবমুখর করে তুলেছে। এ সময় তিনি ‘নবরূপে নবান্ন’ উৎসব আয়োজকদের আন্তরিক ধন্যবাদ ও মোবারকবাদ জানান।

এছাড়াও অনুষ্ঠানসূচিতে বাকৃবি স্টেডিয়ামে আজ দুপুর ১টায় নতুন চালের ভাতে মধ্যাহ্নভোজ, দুপুর ২টায় নবান্ন মেলা, বিকেল ৪টায় বাংলার ঐতিহ্যবাহী বাউল গান, সন্ধ্যা সাড়ে ৫টায় গ্রাম বাংলার প্রাচীন বিনোদনের উৎস ঐতিহ্যবাহী যাত্রাপালার আয়োজন করা হয়। এছাড়াও আগামীকাল ৪ ডিসেম্বর ২০২২ সন্ধ্যা সাড়ে ৫টায় বাকৃবি জয়নুল আবেদীন মিলনায়তনে ছাত্র-ছাত্রীদের আয়োজনে কনসার্টের অনুষ্ঠিত হবে।

প্রকাশ : নভেম্বর ১৬, ২০২২ ১১:২৯ পূর্বাহ্ন
বেগুনে নয়, চাষের মাটিতেই ভারী ধাতু: বাকৃবির গবেষণা
ক্যাম্পাস

বেগুনে ভারী ধাতুর উপস্থিতি তা থেকে ক্যানসারের ঝুঁকি নিয়ে গবেষণা করছিলেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) একদল গবেষক। গবেষণার প্রাথমিক ফলাফলে দেখা গেছে, শুধু বেগুনে নয়, যে মাটিতে ফসল উৎপাদন হচ্ছে তাতেই রয়েছে ক্ষতিকর ভারী ধাতু লেড, ক্যাডমিয়াম ও নিকেলের উপস্থিতি। অন্য সবজি বা ধান-গমেও মিলতে পারে এসব ক্ষতিকর ধাতু।

সম্প্রতি জামালপুরের ইসলামপুর ও মেলান্দহ উপজেলার মাটিতে চাষ হওয়া বেগুন নিয়ে বাকৃবির গবেষকরা একটি গবেষণা করেন। সেখানে দেখা গেছে, বেগুনে ভারী ধাতুর উপস্থিতি সহনীয় মাত্রার চেয়ে বেশি। পরে এর কারণ খুঁজতে ফসলের মাটি পরীক্ষা করা হয়। মাটি পরীক্ষা করে দেখা যায়, মাটিতেও রয়েছে সহনীয় মাত্রার চেয়ে বেশি ক্ষতিকর ভারী ধাতুর (লেড, ক্যাডমিয়াম ও নিকেল) উপস্থিতি।

এই মাটিতে ফলানো অন্য ফসলেও এসব ভারী ধাতুর উপস্থিতি থাকতে পারে। তবে কী কারণে মাটিতে লেড, নিকেল ও ক্যাডমিয়ামের পরিমাণ বাড়ছে তা জানতে এবং এর প্রতিকারে আরও গবেষণা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া দরকার বলে মনে করেন গবেষকরা। কারণ এসব ভারী ধাতু খাবারের সঙ্গে বছরের পর বছর নিয়মিত গ্রহণ করলে ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. জাকির হোসেনের নেতৃত্বে অধ্যাপক ড. কাজী ফরহাদ কাদির, অধ্যাপক ড. হারুনুর রশিদের সমন্বয়ে বেগুন ও মাটির নমুনা নিয়ে গবেষণা করা হয়। জামালপুরের ইসলামপুর ও মেলান্দহ উপজেলার কৃষকদের কাছ থেকে বেগুন ও মাটির নমুনা নিয়ে দুই বছর ধরে গবেষণা করা হয়। সম্প্রতি ওই গবেষণার ফলাফল প্রকাশিত হয় আন্তর্জাতিক জার্নাল ‘সায়েন্টিফিক রিপোর্টে’।

এ বিষয়ে বেগুন চাষি মো. শহিদুল্লাহ বলেন, বেগুন ক্ষেতের পোকা মারতে চার ধরনের বিষ দিতে হয়। এই চার জাতের বিষ একসঙ্গে মিশিয়ে ক্ষেতে দিলে পোকা মরে, না হলে মরে না। আমার এক বিঘা জমিতে ৯ মাসে প্রায় ৩৬ হাজার টাকার বিষ দিতে হয়েছে।

তিনি বলেন, তবে আগামীতে বেগুন ক্ষেতে বিষ না দিয়ে নেট হাউজ তৈরি করে ফেলবো। এতে নিজের ক্ষতি, ফসলের ও মাটির ক্ষতি থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে। আর এসব বিষ স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতির। কারণ, এই বছর বেগুনক্ষেতে দুই প্রকার বিষ দিয়ে পোকা মারলাম। কিন্তু, পরের বছর চার প্রকার বিষ দিয়ে পোকা মারতে হবে, না হলে বেগুন ক্ষেতের পোকা মরবে না। প্রতিবছর এভাবে বেগুন ক্ষেতে বিষ প্রয়োগ বাড়াতে হয়।

বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে বাকৃবির রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক কাজী ফরহাদ কাদির বলেন, গবেষণাটা শুরু হয় ২০২০ সালে বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের একটি ফান্ডে এবং পরবর্তীকালে একই দাতা সংস্থার আরেকটি ফান্ডে মোট দুই বছর আমাদের গবেষণা চলে। গবেষণায় আমরা জামালপুর জেলার ইসলামপুর ও মেলান্দহ উপজেলা থেকে বেগুন এবং যে মাটিতে বেগুন হচ্ছে সেই মাটি সংগ্রহ করে নিয়ে আসি। সেখানে ভারী ধাতুর পাশাপাশি অন্য কিছু পুষ্টি উপাদানের মাত্রা কতখানি আছে তা দেখি।

তিনি বলেন, আমাদের গবেষণার মূল উদ্দেশ্য ছিল, আমরা যে পরিমাণ বেগুন খাই সেখানে যে আয়রন, জিংক আছে তা আমাদের জন্য যথেষ্ট কি না তা দেখা। পাশাপাশি ক্ষতিকর উপাদান ভারী ধাতু আছে কি না তা জানার চেষ্টা করি। ভারী ধাতু লেড, নিকেল, ক্যাডমিয়াম ও কপার কতখানি আছে তা সহনীয় মাত্রার চেয়ে কম না বেশি; সেটা ক্ষতিকর হলে কতখানি ক্ষতি হতে পারে, তাও জানার চেষ্টা করেছি।

কাজী ফরহাদ কাদির বলেন, পাশাপাশি লেড, নিকেল ও ক্যাডমিয়াম পেলাম তা কোথা থেকে এলো। সেজন্য আমাদের মাটির সঙ্গে একটা যোগসূত্র স্থাপন করার চেষ্টা করেছি। সে ক্ষেত্রে গবেষণা করে দেখেছি লেড, নিকেল, ক্যাডমিয়াম ও কপার চারটি ধাতু মাটি থেকেই এসেছে। পরে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখেছি মাটিতে এই চারটি ধাতু সহনীয় মাত্রার চেয়ে বেশি আছে।

বাকৃবির কৃষি রসায়ন বিভাগের আরেক অধ্যাপক জাকির হোসেন বলেন, মাটিতে লেড, ক্যাডমিয়াম, নিকেল ও কপারের উপস্থিতি সহনীয় মাত্রার চেয়ে বেশি। এর কারণে শুধু বেগুন নয়, অন্যান্য সবজি, এমনকী ধান-গমেও আসতে পারে। এটা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য হতে পারে বড় ঝুঁকির কারণ। এসব ধাতু শুধু জামালপুরের ইসলামপুর ও মেলান্দহের মাটিতে বেশি আছে বিষয়টি এমন না। আমরা ভালুকা ও গাজীপুরের মাটিতেও এসব ধাতুর উপস্থিতি পেয়েছি। আমরা যদি মনে করি, গাজীপুর ও ভালুকায় কলকারখানা বেশি এই কারণে এসব জায়গার মাটিতে লেড, ক্যাডমিয়াম, নিকেলের উপস্থিতি বেশি। তা ঠিক নয়, কারণ, জামালপুরে তো কলকারখানা নেই। তাহলে সেখানে এসব ভারী ধাতু এলো কীভাবে?

তিনি আরও বলেন, মাটিতে ভারী ধাতুর যে উপস্থিতি পাওয়া গেছে, এর উৎস কী- রাসায়নিক সার, কীটনাশক, সেচের পানি নাকি অন্য কোনো উপায়ে মাটি নষ্ট হচ্ছে- এ বিষয়ে বিস্তর গবেষণা প্রয়োজন। যে সমস্ত উৎস থেকে ভারী ধাতুগুলো আসছে সেগুলো যদি আমরা বন্ধ করে দিতে পারি, তাহলে মাটিতে ভারী ধাতুর পরিমাণ কমে যাবে এবং খাদ্যে কম অনুপ্রবেশ করতে পারবে। এ বিষয়ে গবেষণার ওপর ভিত্তি করে নেওয়া পদক্ষেপে নিরাপদ ফসল উৎপাদন করা সম্ভব হবে। সূত্র: সিটিনিউজ

প্রকাশ : নভেম্বর ১০, ২০২২ ৫:৪৭ অপরাহ্ন
আসমি এবং ফিলিলের ২ দিন ব্যাপি আন্তর্জাতিক সিম্পোজিয়ামের সমাপ্তি
ক্যাম্পাস

কৃষিবিদ দীন মোহাম্মদ দীনু: ‘বাংলাদেশে কৃষির রূপান্তর: উপযুক্ত পরিমাপে যান্ত্রিকীকরণ ও ফসল কর্তন পরবর্তী ক্ষতি কমানোর উদ্ভাবনসমূহ ’ শীর্ষক দুইদিন ব্যাপি আয়োজিত আন্তর্জাতিক সিম্পোজিয়ামের সমাপনী অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১০ নভেম্বর) সকাল ১০টার দিকে ঢাকার  লেকশোর হোটেলের সম্মেলন কক্ষে এপ্রোপ্রিয়েট স্কেল মেকানাইজেশন ইনোভেশন হাব (আসমি) বাংলাদেশ ও  পোস্ট-হারভেস্ট লস রিডাকশন ইনোভেশন ল্যাব (ফিলিল) বাংলাদেশ ফেজ-২ বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) কৃষি শক্তি ও যন্ত্র বিভাগের আয়োজনে ওই সিম্পোজিয়াম অনুষ্ঠিত হয়।

বাকৃবির কৃষি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. মো. নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে সিম্পোজিয়ামের সমাপনী অনুষ্ঠানে আমেরিকার কানসাস স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিড দি ফিউচার ইনোভেশন ল্যাব ফর দি রিডাকশন অফ পোস্টহারভেস্ট লস প্রোগ্রামের ডিরেক্টর ড. জেগার হার্ভে, ইউনিভার্সিটি অফ ইলিনয়ের এপ্রোপ্রিয়েট স্কেল মেকানাইজেশন কনসোর্টিয়ামের (এএসএমসি) ডিরেক্টর ড. প্রশান্ত কে. কালিতা, ডাচ্ বাংলা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও চীফ এক্সিকিউটিভ অফিসার আবুল কাশেম শিরিণ, সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ সরকারের নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের প্রাক্তন সচিব মো. আব্দুস সামাদ এবং পল্লী উন্নয়ন একাডেমীর প্রাক্তন মহাপরিচালক ড. এম এ মতিন।

“ট্রান্সফর্মেশন ইন এগ্রিকালচার থ্রু পোস্টহারভেস্ট লস রিডাকশন ইনোভেশনস” শীর্ষক টেকনিক্যাল পর্বে আলোচনা করেন আমেরিকার কানসাস স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিড দি ফিউচার ইনোভেশন ল্যাব ফর দি রিডাকশন অফ পোস্টহারভেস্ট লস প্রোগ্রামের পরিচালক ড. জেগার হার্ভে,  ইউনিভার্সিটি অফ ইলিনয়ের এডিএম ইনস্টিটিউটের জেন্ডার ও ইয়োথ কো-অর্ডিনেটর ও সহযোগী পরিচালক মারিয়া জোনস্,  ইউনিভার্সিটি অফ ইলিনয়ের এডুকেশন পলিসি এন্ড লিডারশীপ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. সামান্থা লিন্ডগ্রেন, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহের কৃষি শক্তি ও যন্ত্র বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. রোস্তম আলী, ইফরি-বাংলাদেশের সিনিয়র রিসার্চ কো-অর্ডিনেটর ড. সৌমি মুস্তাফা এবং আমেরিকার টাফস্ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিড দি ফিউচার ইনোভেশন ল্যাব ফর নিউট্রিশনের রিজিয়নাল কো-অর্ডিনেটর ড. রবিন শ্রেষ্ঠ।

এসময় বক্তারা বলেন, বর্তমানে আমরা যথেষ্ট উপাদনে সক্ষমতা অর্জন করেছি। তবে ভোক্তা পর্যন্ত পৌঁছাতে উৎপাদনের বড় একটি অংশ ক্ষতির সম্মুখে পরতে হয়। এই ক্ষতি কমাতে বিভিন্ন প্রযুক্তি ও নারী পুরুষের সর্বোচ্চ অংশগ্রহণ প্রয়োজন। বিশেষ করে আমাদের তরুণদেরকে এ বিষয়ে এগিয়ে আসতে হবে। নারীদের এ ক্ষেত্রে বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা এবং সেগুলো উত্তোরণের প্রযুক্তিগত দিক থেকে বাউ এসটিআর ড্রায়ার, রিসারকুলেটিং ড্রায়ার, সংরক্ষণের জন্য বিভিন্ন আধুনিক সংরক্ষণ ব্যবস্থা যা কর্তন পরবর্র্তী ক্ষতি কমাতে বিশেষ ভ‚মিকা পালন করবে। এ জন্যে সরকার এবং যেসব কোম্পানি যান্ত্রিকীকরণ নিয়ে কাজ করছে তাদের কৃষি যন্ত্র সম্প্রসারণের গুরুত্বও তুলে ধরেন তারা।

আসমি প্রজেক্টের মাঠ পর্যায়ে সম্প্রসারিত প্রযুক্তিগুলো হলো ধান কাটা, মাড়াই ও প্যাকেজিং যন্ত্র কম্বাইন হার্ভেস্টর, ধান কাটার যন্ত্র রাইস রিপার, ধানের বীজ বপন করার যন্ত্র রাইস সিডার, চারা লাগানোর যন্ত্র রাইস ট্রান্সপ্লান্টার। এছাড়া ফসল সংগ্রহের পর ফসলকে নষ্ট হওয়া থেকে বাঁচানোর জন্য বাউ ড্রায়ার, বায়ুরোধী হারমেটিক ব্যাগ ও হারমেটিক কোকুন।

পরে “চ্যালেঞ্জেস এন্ড পলিসি ইস্যুজ ফর সাসটেইনেবল এগ্রিকালচারাল মেকানাইজেশন” শীর্ষক প্যানেল ডিসকাশনে অংশগ্রহণ করেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. দেবাশিস সরকার, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক  ড. শাহজাহান কবীর,  বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের সদস্য পরিচালক (লাইভস্টক) ও মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা (কৃষি প্রকৌশল) ড. নাজমুন নাহার করিম, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) এর সদস্য পরিচালক (বীজ ও উদ্যান) মো. মুস্তাফিজুর রহমান এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের এডিশনাল কমিশনার প্রমিলা সরকার।
সমাপনী পর্বে “এগ্রিকালচারাল ট্রান্সফর্মেশন অফ বাংলাদেশ: ওয়ে ফরওয়ার্ড ইন এপ্রোপ্রিয়েট স্কেল মেকানাইজেশন এন্ড পোস্টহারভেস্ট লস রিডাকশন ইনোভেশনস” বিষয়ে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি শক্তি ও যন্ত্র বিভাগের অধ্যাপক এবং আসমি-বাংলাদেশ ও ফিলিল-বাংলাদেশ ফেজ-২ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ও প্রিন্সিপাল ইনভেস্টিগেটর ড. মো মঞ্জুরুল আলম।
দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মকর্তাবৃন্দ, বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের গবেষকবৃন্দ, কৃষি মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের গবেষক,কর্মকতাবৃন্দ, শিক্ষার্থী , কৃষক, ব্যবসায়ীসহ শতাধিক ব্যক্তি অংশগ্রহণ করেন। এছাড়াও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন দাতাসংস্থা, গবেষণা প্রতিষ্ঠান ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা এবং প্রতিনিধিবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।

প্রকাশ : নভেম্বর ৭, ২০২২ ৯:৫১ অপরাহ্ন
বাকৃবিতে সোলার ইরিগেশন সিস্টেম টেকনোলজি পার্কের উদ্বোধন
ক্যাম্পাস

কৃষিবিদ দীন মোহাম্মদ দীনু: বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) কৃষি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের অভ্যন্তরে ওই সোলার ইরিগেশন সিস্টেম বেইজড টেকনোলজি পার্কের উদ্বোধন করা হয়েছে।

আজ সোমবার (৭ নভেম্বর) বিকেল ৪ টায় ইউনিভার্সিটি অব ইলিনয়-আরবানা শ্যাম্পেইনের অ্যাপ্রোপ্রিয়েট স্কেল মেকানাইজেশন কনসোর্টিয়ামের (এএসএমসি) পরিচালক ডক্টর প্রশান্ত কে. কালিতা এটি উদ্বোধন করেন।

জানা যায়, টেকনোলজি পার্কে আইওটি (বিভিন্ন জিনিসপত্রের সাথে ইন্টারনেটের সংযোগ) বেইজড সোলার ইরিগেশন সিস্টেম তৈরি করা হয়েছে। যেখানে একটি ১৫০০ ওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন সোলার মডিউল ব্যবহার করে .৭৫ কিলো ওয়াট সাবমারসিবল পাম্প চালানো হয়। পরে সেই পাম্পের মাধ্যমে ৫০০ লিটার ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন জলাধার পূর্ণ করা হয়। জলাধারের পানি ব্যবহার করেই ড্রিপ ইরিগেশনের মাধ্যমে প্রতিটি গাছের গোড়ায় গোড়ায় পানি দেয়া হয়। এই সম্পন্ন প্রক্রিয়াটি ওয়াইফাই (ওয়্যারলেস নেটওয়ার্ক)নির্ভর অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।
এ সময় অতিথিরা মোবাইলের মাধ্যমে বেগুন গাছে ইরিগেশন (গাছে পানি দেওয়া) দেয়ার বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করেন। উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ইউনিভার্সিটি অব ইলিনয়-আরবানা শ্যাম্পেইনের সহযোগী ডিন এবং এক্সটেনশন ইমিরিটাসের পরিচালক ডক্টর জর্জ ছাপার। এছাড়া কৃষি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. নজরুল ইসলাম, সেচ ও পানি ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আবদুল মজিদ, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের ক্ষুদ্রসেচ বিভাগের সদস্য পরিচালক ধীরেন্দ্র চন্দ্র দেবনাথ, আসমি-বাংলাদেশ প্রকল্পের পরিচালক ও কৃষিশক্তি ও যন্ত্র বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মঞ্জুরুল আলম  এবং  সহযোগী পরিচালক ও কৃষিশক্তি ও যন্ত্র বিভাগের অধ্যাপক ড. চয়ন কুমার সাহা, কৃষিশক্তি ও যন্ত্র বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আবদুল আওয়াল, অধ্যাপক ড. মো. রোস্তম আলী, অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আশিক-ই রব্বানী, অধ্যাপক কৃষিশক্তি ও যন্ত্র বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. আনিসুর রহমান, সহকারী অধ্যাপক টুম্পা রাণী সরকার,পিএইচডি ফেলো শীবেন্দ্র নারায়ন গোপ ও জনসংযোগ ও প্রকাশনা দফতর এর উপ-পরিচালক কৃষিবিদ দীন মোহাম্মদ দীনু এবং অনুষদের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

প্রকাশ : অক্টোবর ৩০, ২০২২ ৬:০৬ অপরাহ্ন
বাকৃবি ভেটেরিনারি অনুষদের নতুন ডিন প্রফেসর ড. মো. আব্দুল আউয়াল
কৃষি বিভাগ

কৃষিবিদ দীন মোহাম্মদ দীনু: বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) ভেটেরিনারি অনুষদের নতুন ডিন এর দায়িত্ব গ্রহণ করলেন এনাটমি এন্ড হিস্টোলজি বিভাগের প্রফেসর ড. মোঃ আব্দুল আউয়াল।

রবিবার(৩০ অক্টোবর) সকাল ১১ ঘটিকায় বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি অনুষদ কন্ফারেন্স হলে সাবেক ডিন প্রফেসর ড. মোঃ মকবুল হোসেন ভেটেরিনারি অনুষদের ডিন এর দায়িত্ব প্রফেসর ড. মোঃ আব্দুল আউয়াল এর নিকট হস্তান্তর করেন।

দায়িত্ব হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাকৃবি ভাইস চ্যান্সেলর (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর ড. মো. রফিকুল ইসলাম।

প্রফেসর ড. আউয়াল ১৯৮৮ সনে বাকৃবিতে লেকচারার হিসেবে যোগদান করেন। পরে তিনি একই বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৯৯১ সনে সহকারী প্রফেসর, ১৯৯৭ সনে সহযোগী প্রফেসর এবং ২০০২ সন থেকে অদ্যবধি প্রফেসর হিসেবে শিক্ষাদান করে যাচ্ছেন।

এছাড়াও তিনি পোহাং ইউনির্ভাসিটি অব সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি, দক্ষিন কোরিয়ায় ২০০৪-০৫ পর্যন্ত ভিজিটিং প্রফেসর হিসেবে কর্মরত ছিলেন। প্রফেসর ড. আউয়াল বিভিন্ন সময় এনাটমি এন্ড হিস্টোলজি বিভাগের প্রধানসহ বিভিন্ন প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন করেন। তার জাতীয় এবং আর্ন্তজাতিক পর্যায়ে মোট ৬৪ টি গবেষনা প্রবন্ধ রয়েছে।
অনুষ্ঠানে ভেটেরিনারি অনুষদের শিক্ষকমন্ডলীগণসহ আমন্ত্রিত অতিথিগন উপস্থিত ছিলেন।

প্রকাশ : অক্টোবর ২৯, ২০২২ ২:৫৯ অপরাহ্ন
গাভীর একাধিক ভ্রুণ উৎপাদন ও প্রতিস্থাপনে সফলতা পেয়েছে বাকৃবির গবেষক দল 
ক্যাম্পাস

সাধারণত মাংস, দুধ উৎপাদন, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাসহ বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য উন্নয়নের লক্ষ্যে গবাদি পশুর জাত উন্নয়ন করা হয়। বাংলাদেশে গাভীর কৃত্রিম প্রজননে সাধারণত উন্নত গাভীর শুক্রানু ডিম্বানুর সঙ্গে নিষিক্ত করে জাত উন্নয়ন করা হয়।

কিন্তু এ প্রক্রিয়ায় একটি সমস্যা হলো শুক্রাণু দিয়ে গাভীর গর্ভে শুধু একটি বাচ্চা জন্ম দেয়া সম্ভব। এ সমস্যা সমাধানে গাভীর গর্ভে একাধিক ভ্রুণ উৎপাদন এবং তা সংরক্ষণ করে একাধিক গাভীর গর্ভে প্রতিস্থাপনে সফলতা পেয়েছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) একদল গবেষক।

গবেষণাটির গবেষক দলের প্রধান হিসেবে ছিলেন বাকৃবির সার্জারি ও অবস্টেট্রিক্স বিভাগের অধ্যাপক ড. নাছরীন সুলতানা জুয়েনা। এছাড়াও গবেষণা প্রকল্পটির সহকারী গবেষক হিসেবে যুক্ত রয়েছেন বাকৃবির মাইক্রোবায়োলজি ও হাইজিন বিভাগের অধ্যাপক ড. মারজিয়া রহমান এবং সদস্য হিসেবে রয়েছেন অধ্যাপক ড. মো. মাহমুদুল আলম। এছাড়াও বিভিন্ন পর্যায়ে অধ্যাপক ড. ফরিদা ইয়াসমীন বারি, অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মোশাররফ উদ্দীন ভূঁইয়া, ড. জয়ন্ত ভট্টাচার্য, ডা. জান্নাতুল মাওয়া, ডা. সংগীতা সাহা, ডা. মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন গবেষণা কার্যক্রমের সাথে যুক্ত রয়েছেন।

দ্য অর্গানাইজেশন ফর উইমেন ইন সায়েন্স ফর দ্যা ডেভেলপিং ওয়ার্ল্ড (ওডব্লিউএসডি) এবং ইউনেস্কোর অর্থায়নে ‘বাংলাদেশের দেশি গাভীতে ভ্রুণ স্থানান্তরের পরে প্রাপকের গ্রহণযোগ্যতা এবং গর্ভধারণকে অনুকূল করা’ শীর্ষক সাব-প্রকল্পের অধীনে এ গবেষণাটি পরিচালিত হয়।

গবেষণার প্রধান গবেষক অধ্যাপক ড. নাছরীন সুলতানা জুয়েনা বলেন, স্বল্পতম সময়ে উচ্চ গুণসম্পন্ন অধিক সংখ্যক গবাদি পশুর বাচ্চা উৎপাদন এবং উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করে জাত উন্নয়নের মাধ্যমে দ্রুত দুধ ও মাংস উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে এ গবেষণা করা হয়। সাধারণত গাভী বছরে ১টির মতো বাচ্চা প্রসব করতে পারে।

কিন্তু প্রযুক্তির উৎকর্ষতায় একটি নির্বাচিত উন্নত জাতের গাভী থেকে প্রজননের মাধ্যমে বছরে ২৫ থেকে ৩০টি উচ্চগুণসম্পন্ন ভ্রুণ উৎপাদন করা সম্ভব এবং যার মাধ্যমে প্রথমবারেই ভ্রুণ প্রতিস্থাপন করে সাধারণ গাভী থেকে উন্নত জাতের বাছুর উৎপাদন করা যেতে পারে। এতে করে একজন খামারি অতি অল্প সময়ে গবাদিপশুর জাত উন্নয়ন করতে পারবেন।

তিনি আরও বলেন, শুক্রানুর তুলনায় ভ্রুণ দীর্ঘদিন পর্যন্ত সংরক্ষণ করা যায়। এই পদ্ধতিতে উৎপাদন খরচ তুলনামূলক বেশি হলেও বাড়তি উৎপাদনে অধিক লাভবান হওয়ার সুযোগ থাকবে। প্রান্তিক পর্যায়ে খামারিদের কাছে এই প্রযুক্তিটি পৌঁছে দিলে অধিক মাংস ও দুধ উৎপাদন করে লাভবান হবেন তারা। এছাড়া জৈব নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা, পশুর জাত উন্নয়ন ও প্রজননে অক্ষম গাভীর জন্য এই প্রক্রিয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

তবে প্রতিস্থাপন পদ্ধতির সীমাবদ্ধতা নিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশে এই পদ্ধতিতে যে সকল গবেষণা যন্ত্রাংশ প্রয়োজন তা দেশে অপ্রতুল। এছাড়া মাঠ পর্যায়ে প্রযুক্তিগত জ্ঞানের অভাবও রয়েছে। এসব সীমাবদ্ধতা পূরণ করে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্ব বৃদ্ধিতে প্রাণীসম্পদ অধিদপ্তরের সহযোগিতা চান তিনি।

গবেষণা কার্যক্রমটি নিয়ে শুক্রবার (২৮ অক্টোবর) সকালে ঢাকায় প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে ‘বাংলাদেশে গবাদি পশুর ভ্রুণ উৎপাদন ও স্থানান্তরের সম্ভাবনা’ শীর্ষক একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন কালে এসব কথা বলেন বাকৃবির সার্জারি ও অবস্টেট্রিক্স বিভাগের অধ্যাপক ড. নাছরীন সুলতানা জুয়েনা।

সেমিনারে বাকৃবির ভেটেরিনারি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. মকবুল হোসেনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মনজুর মোহাম্মদ শাহজাদা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ভেটেরিনারি এসোসিয়েশনের (বিভিএ) মহাসচিব ডা. মো. হাবিবুর রহমান মোল্লা, বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিল (বিপিআইসিসি) সভাপতি মশিউর রহমান, দ্যা অর্গানাইজেশন ফর উইমেন ইন সায়েন্স ফর দ্যা ডেভেলপিং ওয়ার্ল্ড (ওডব্লিউএসডি) এর বাংলাদেশ জাতীয় পর্যায়ের সভাপতি ডা. মোছা. মাহবুবা বেগম, বাংলাদেশ ভেটেরিনারি কাউন্সিলের (বিভিসি) সভাপতি ডা. মো. মনজুর কাদির এবং বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিএলআরআই) মহাপরিচালক ডা. এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন।

সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মনজুর মোহাম্মদ শাহজাদা বলেন, ভ্রুণ স্থানান্তর নিয়ে গবেষণাটি বর্তমান সময়ের প্রেক্ষিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ও যুগোপযোগী গবেষণা। এ প্রযুক্তি যেন দ্রুতই মাঠ পর্যায়ে ছড়িয়ে দেয়া যায় এ বিষয়ে প্রাণীসম্পদ অধিদপ্তর সবসময় সহযোগিতা করবে।

প্রকাশ : অক্টোবর ২৮, ২০২২ ৯:০৯ অপরাহ্ন
টাইমস হায়ার এডুকেশনের বিষয়ভিত্তিক র‍্যাংকিংয়ে দেশ সেরা বাকৃবি
ক্যাম্পাস

বৈশ্বিক বিশ্ববিদ্যালয় র‍্যাংকিং প্রকাশকারী আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান টাইমস হায়ার এডুকেশন (টিএইচই) ২০২৩ এর জন্য বিষয়ভিত্তিক র‍্যাঙ্কিংয়ে দেশ সেরা হয়েছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি)।

র‍্যাংকিংয়ে লাইফ সায়েন্স ক্যাটাগরিতে বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে সবার উপরে বাকৃবি স্থান করে নিয়েছে।

গত ২৫ অক্টোবর প্রকাশিত ওই তালিকায় বাংলাদেশ থেকে স্থান পায় বাকৃবি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি)। দু’টি বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈশ্বিক অবস্থান ৬০১ থেকে ৮০০তম এর মধ্যে। তবে বাকৃবির প্রাপ্ত স্কোর ২৮ দশমিক ৬ যেখানে ঢাবির প্রাপ্ত স্কোর ২৩ দশমিক ৪ হওয়ায় বাকৃবির অবস্থান বাংলাদেশের মধ্যে সবার উপরে রয়েছে।

শুক্রবার (২৮অক্টোবর) সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক কমপ্লেক্স ভবনের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত ‘বিষয়ভিত্তিক র‍্যাংকিংয়ে দেশ সেরা বাকৃবি’ শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন বাকৃবির ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাস্যুরেন্স সেলের (আইকিউএসি) পরিচালক অধ্যাপক ড. সুকুমার সাহা।

সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন আইকিউএসি’র অতিরিক্ত পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. হারুন অর-রশীদ, অধ্যাপক ড. মো. গোলজার হোসেন, আইকিউএসি’র সাবেক অতিরিক্ত পরিচালক ও বিশ্ববিদ্যালয় র‍্যাংকিং তত্ত্বাবধায়ন কমিটির সদস্য অধ্যাপক ড. মো. আলমগীর হোসেন।

সংবাদ সম্মেলনে আইকিউএসি’র পরিচালক অধ্যাপক ড. সুকুমার সাহা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর গবেষণাকর্ম, শিক্ষা কার্যক্রম, গবেষণাকর্মের সাইটেশন, শিল্প থেকে আয় এবং আন্তর্জাতিক দৃষ্টিভঙ্গির মানদণ্ডের ওপর নির্ভর করে টাইমস হায়ার এডুকেশন তাদের ওয়েবসাইটে বিশ্বের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর র‍্যাংকিং তালিকা প্রকাশ করে। ১১ টি বিষয়ভিত্তিক ক্যাটাগরিতে এই র‍্যাংকিং করা হয়। এর মধ্যে লাইফ সায়েন্স বা জীবন বিজ্ঞান, ইঞ্জিনিয়ারিং, কম্পিউটার বিজ্ঞান, ব্যবসা ও অর্থনীতি, সামাজিক বিজ্ঞান, শারীর বিজ্ঞান, ক্লিনিক্যাল অ্যান্ড হেলথ এ বিষয়গুলোর ওপর বিশ্বের ১ হাজার ১৭ টি বিশ্ববিদ্যালয় এ তালিকায় স্থান করে নিয়েছে।

তিনি আরও বলেন, গত ১২ অক্টোবর টাইমস হায়ার এডুকেশন (টিএইচই) ‘ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র‍্যাংকিং-২০২৩’ প্রকাশ করে। এবছর বিশ্বের ১০৪টি দেশের ১ হাজার ৭শ’ ৯৯ টি বিশ্ববিদ্যালয় ওই র‍্যাংকিং তালিকায় স্থান পেয়েছে। এ তালিকায় ঢাবি, বাকৃবি ও বুয়েটের সাথে এই প্রথমবার নর্থ সাউথ ও কুয়েট র‍্যাংকিংয়ে বাংলাদেশ থেকে স্থান করে নিয়েছে। টাইমস হায়ার এডুকেশনের বৈশ্বিক বিশ্ববিদ্যালগুলোর র‍্যাংকিংয়ে বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে বাকৃবি তৃতীয় স্থানে উঠে আসে। গ্লোবাল পজিশন র‍্যাংকিং তালিকায় থাকা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে ঢাবি ও নর্থ সাউথ এর বৈশ্বিক অবস্থান ৬০১-৮০০ তম এবং বাকৃবি, বুয়েট, ও কুয়েটের বৈশ্বিক অবস্থান ১২০১-১৫০০ তম। এ তালিকার শীর্ষে পাঁচে রয়েছে যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড ও ক্যামব্রিজ,যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড, স্টানফোর্ড ও এমআইটি।

এসময় আইকিউএসি’র অতিরিক্ত পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. গোলজার হোসেন বলেন, টাইমস হায়ার এডুকেশনের এই র‍্যাংকিং তালিকায় কোনো বিশ্ববিদ্যালয়কে স্থান পেতে বছরে ১৫০ সহ বিগত ৫ বছরে কমপক্ষে ১০০০ স্কোপাস ইন্ডেক্সড প্রকাশনা থাকতে হয় এবং টিএইচই ডাটা পোর্টালে বিশ্ববিদ্যালয়ের হালনাগাদ তথ্যাদি প্রদান করতে হয়। আমাদের প্রায় ৬২ দশমিক ৫ শতাংশ স্কোর আসে গবেষণা থেকে। তাই আমাদের গবেষণা বাড়াতে হবে। এইজন্য শুধু শিক্ষকদের একার পক্ষে এই গবেষণা বাড়ানো সম্ভব হবে না। শিক্ষার্থীদেরও গবেষণায় এগিয়ে আসতে হবে। বাকৃবি রিসার্চ সিস্টেমের অধীনে প্রতি বছর প্রায় পাঁচ শতাধিক গবেষণা চলমান রয়েছে।

প্রকাশ : অক্টোবর ১৮, ২০২২ ৬:২৭ অপরাহ্ন
বাকৃবিতে শেখ রাসেল দিবস-২০২২ পালিত
ক্যাম্পাস

দীন মোহাম্মদ দীনু, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ: বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতীয় দিবস উদযাপন কমিটির আয়োজনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলের ৫৯তম জন্মদিন ও শেখ রাসেল দিবস-২০২২ পালিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৯টায় বঙ্গবন্ধু প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পন করেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. রফিকুল ইসলাম।

পুস্পস্তবক অর্পন অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সকল শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা ও তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করা হয়।

দিবসটি পালন উপলক্ষে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতীয় দিবস উদযাপন কমিটির সভাপতি ও ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা প্রফেসর ড. খান মোঃ সাইফুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচী ও অনলাইন আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন, শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রী, কর্মকর্তা-কর্মচারি ও প্রিন্ট মিডিয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

প্রকাশ : অক্টোবর ১৮, ২০২২ ৬:০৫ অপরাহ্ন
বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে বাকৃবি’তে পালিত হলো ‘বিশ্ব ডিম দিবস’
ক্যাম্পাস

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পোল্ট্রি বিজ্ঞান বিভাগ নানান কর্মসূচির মধ্যদিয়ে পালন করলো বিশ্ব ডিম দিবস-২০২২।

মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর ২০২২) পোল্ট্রি বিজ্ঞান বিভাগের প্রধান প্রফেসর ড. মো. শহিদুর রহমান এর সভাপতিত্বে সকাল ১০টায় বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. রফিকুল ইসলাম দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে র‌্যালি উদ্বোধন করেন।

পরে সার্বজনীন ডিম বিতরণ এবং সৈয়দ নজরুল ইসলাম কনফারেন্স হলে সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

সেমিনারে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক ইউজিসি প্রফেসর এবং বাকৃবি সিন্ডিকেট সদস্য প্রফেসর ড. এস. এম. বুলবুল।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পশুপালন অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. ছাজেদা আখতার, ভেটেরিনারি অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো. মকবুল হোসেন, ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা প্রফেসর ড. খান মো. সাইফুল ইসলাম।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রফেসর ড মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, বিশ্ব ডিম দিবস পালনের মূল উদ্দেশ্য ডিম সম্পর্কিত কিছু ভ্রান্ত ধারণাকে ছাপিয়ে জনগণের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধি করা।

সবাইকে প্রতিদিন একটি ডিম খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলে জাতীয় স্বাস্থ্য সূচকের উন্নয়ন ঘটাতে হবে। নতুন প্রজন্মকে বিভিন্ন রকম ভাজাপোড়া বা জাঙ্ক ফুড থেকে বিরত হয়ে প্রতিদিন একটি ডিম খাওয়ার আহ্বান জানান।

পোল্ট্রি বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী প্রফেসর ড. বাপন দে এর সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রফেসর ড. মোঃ শওকত আলী এবং মুল প্রবন্ধ উপস্থ্পন করেন প্রফেসর ড. মোঃ বজলুর রহমান মোল্যা।

সেমিনারে বক্তারা আরও বলেন, উপজেলা, ইউনিয়ন, ওয়ার্ডভিত্তিক সেমিনার আয়োজন ও প্রচারের মাধ্যমে ডিমের গুনাগুন সম্পর্কে জনগনের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। সেইসাথে ডিমের দাম নিয়ন্ত্রণেও প্রশাসনকে এগিয়ে আসা তাগিদ পোষণ করেন।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন অনুষদের ডিন, রেজিস্ট্রার, প্রক্টর, পশুপালন অনুষদের শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দসহ আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ।

প্রকাশ : অক্টোবর ১১, ২০২২ ৫:১৭ অপরাহ্ন
বাকৃবির আইআইএফএসের নতুন পরিচালক অধ্যাপক ড. এনামুল হক
ক্যাম্পাস

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) ইন্টারডিসিপ্লিনারি ইনস্টিটিউট ফর ফুড সিকিউরিটির (আইআইএফএস) নতুন পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন কৃষি অনুষদের মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. এনামুল হক।

মঙ্গলবার (১১ অক্টোবর) বিষয়টি নিশ্চিত করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. ছাইফুল ইসলাম।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অধ্যাপক ড. মো. এনামুল হক শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি বাকৃবির আইআইএফএস ইনস্টিটিউটের অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করবেন। অধ্যাপক ড. এনামুল হক ভেটেরিনারি অনুষদের সার্জারি ও অবস্টেট্রিক্স বিভাগের অধ্যাপক ড. ফরিদা ইয়াসমীন বারির স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন। তিনি আগামী দুই বছরের জন্য আইআইএফএসের দায়িত্ব পালন করবেন। তিনি ৩ অক্টোবর ইনস্টিটিউটের দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন।

অধ্যাপক ড. মো. এনামুল হক ২০১৯ ও ২০২২ সালে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে রিসার্চ সিস্টেম (বাউরেস) থেকে গ্লোবাল রিসার্চ ইমপ্যাক্ট রিকগনাইজেশন অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন। তিনি ২০২০ সালে বাকৃবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এর আগে বাকৃবি গণতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরামের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন।

তিনি ২০০০ সালে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক হিসেবে যোগদান করেন। পরবর্তীতে ২০১২ সালে অধ্যাপক পদে উন্নীত হন।

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop