৬:০৭ পূর্বাহ্ন

সোমবার, ২০ মে , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : ডিসেম্বর ১৯, ২০২২ ৬:৪৩ অপরাহ্ন
ব্রয়লারের ওজন বাড়াতে যে কৌশল জানা থাকা জরুরী
পোলট্রি

ব্রয়লার পালনে দেশের প্রাণিজ আমিষের ঘাটতি অনেকাংশে পূরণ হচ্ছে।এতে খামারিরা লাভবান হচ্ছেন, সেইসাথে অবদান রাখছেন জাতীয় উন্নয়নে। তবে, ব্রয়লার মুরগি পালনে কিছুটা ঝুঁকিও রয়েছে। মুরগি পালনে দ্রুত বৃদ্ধি একটি কাঙ্খিত আশা থাকে।

ব্রয়লারের ওজন বাড়ানোর কয়েকটি কৌশল
খামার পরিষ্কার রাখা ব্রয়লারের ওজন বাড়ানোর প্রথম কৌশল। এতে খামারে রোগের প্রকোপ কমে যাবে এবং মুরগির দৈহিক বৃদ্ধি দ্রুত হবে। মুরগির খামারে বাচ্চা আসার ৪৫ মিনিট পূর্বে চিকগার্ডের ভেতরে প্রবা‌য়োটিক স্প্রে করে দিতে হবে।

বাচ্চা ব্রুডারে ছাড়ার ৩০ মিনিট আগে পানির ড্রিকার দিয়ে দিতে হবে। খামারে ব্রয়লার পালনের জন্য ১ দিনের বাচ্চার বয়স ৩৬ গ্রাম হতে হবে। বাচ্চা শারীরিকভাবে সুস্থ থাকতে হবে।

ব্রয়লার খামারে যাতে সবসময়ই আলো প্রবেশ ও বায়ু চলাচল করতে পারে সেই ব্যবস্থা করতে হবে। ১৫ দিন বয়সের মধ্যে মুরগি গ্রাডিং শেষ করতে হবে। ১৮ দিন বয়সে গ্রথ আসার জন্য গুরের পানি খাওয়াতে হবে। ২০ দিন অতিবাহিত হলে মুরগি ফ্লাসিং করতে হবে।

প্রকাশ : ডিসেম্বর ১৫, ২০২২ ৩:২৫ অপরাহ্ন
ব্রয়লার খামারে খাদ্য প্রয়োগে করণীয়
পোলট্রি

ব্রয়লার মুরগির বাণিজ্যিক খামারে খাদ্য প্রয়োগের নিয়ম খামারিদের জেনে রাখা দরকার। আমাদের দেশে ডিম ও মাংসের চাহিদা পূরণ করতে বর্তমানে ব্যাপকহারে মুরগি পালন করা হচ্ছে। অনেকেই ব্রয়লার মুরগি পালন করে লাভবান হচ্ছেন। তবে বাণিজ্যিকভাবে ব্রয়লার মুরগি পালনে বেশ কিছু সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়।

ব্রয়লার মুরগির বাণিজ্যিক খামারে খাদ্য প্রয়োগে বিবেচ্যঃ

১। সুষম খাদ্যে অতিরিক্ত চর্বি জাতীয় জিনিস খাওয়ালে অতিরিক্ত দাম পাওয়া যায় না। কিন্তু গরম আবহাওয়া বা অতিরিক্ত তাপের দিনে অতিরিক্ত চর্বি বা তেল জাতীয় খাদ্য উপাদান প্রদান করতে হবে।

৩। ব্রয়লার মুরগি তার সুষম খাবারের ৬৪% আমিষ দেহের কাজে লাগাতে পারে। ব্রয়লারের প্রয়োজনীয় আমিষ তিন ভাগে ভাগ করা যেতে পারে-(ক) কলা বৃদ্ধির জন্য ব্রয়লার মুরগির শরীরে ১৮% আমিষ আছে।

৪। পালক গঠনের জন্য ব্রয়লার মুরগির পালকে ৮২% আমিষ আছে এবং গড়ে পালকেরওজন সমস্ত দেহের ৭০%। গরমকালে ব্রয়লার সুষম খাদ্যে বেশি আমিষ দরকার শীতকালের তুলনায়। কারণটা হল মুরগি গরমকালে কম খায়। ঠিক যতটুকু অ্যামাইনো অ্যাসিড দরকার ঠিক ততটুকুই ব্রয়লার মুরগিকে দিতে হবে।

৫। যেহেতু বেশি পরিমাণে অপরিহার্য অ্যামাইনো অ্যাসিড দেহের ক্ষতি করে। কম অ্যামইনো অ্যাসিড আবারদেহের বৃদ্ধিকে রোধ করে দেবে। মাদি ব্রয়লার মুরগির চেয়ে মদ্দা ব্রয়লারমুরগি তাড়াতাড়ি বাড়ে। সুতরাং খামারের ভালর জন্য মাদি মদ্দা একসঙ্গে না পালন করে আলাদা আলাদা করা লাভজনক।

৬। প্রথম চার সপ্তাহ মদ্দা ও মাদি ব্রয়লার মুরগির আমিষের প্রয়োজন একই রকম। ৪ সপ্তাহ পরে মদ্দা ব্রয়লার মাদির চেয়ে ২% থেকে ৪ %বেশি আমিষের দরকার হয়। মাদিকে বেশি আমিষ দিলে সেটা খুব একটা কাজে আসেনা।

৭। ব্রয়লার মুরগির জন্য খনিজ এবং ভিটামিন খুবই দরকারি। এছাড়াও ক্যালসিয়াম এবং ফসফরাসের ব্রয়লারের জন্য খুবই উপকারি। খাবারের সমস্ত ক্যালসিয়াম যেন ১% গন্ডি কখনো না পেরিয়ে যায়। ভিটামিন খাদ্য বিপাকক্রিয়ায় সহায়তা করে থাকে।

প্রকাশ : ডিসেম্বর ১৩, ২০২২ ৯:২০ অপরাহ্ন
ব্রয়লার বাচ্চা পরিবহণে খামারিদের সতর্কতা
পোলট্রি

ব্রয়লার খামার করে লাভবান হয়েছেন যেমন অনেক খামারী তেমনি মাংসের চাহিদাও পূরণ হয়েছে সবার। তবে এতে লাভ পেতে হলে শুরু থেকেই করতে হবে যত্ন। আর এই যত্নে শুরুটা হতে হবে ব্রয়লার খামার বাচ্চা পরিবহণ থেকে। কারণ ব্রয়লারের বাচ্চা পরিবহণের সময় কোন সমস্যা হলে মুরগির জটিলতার সৃষ্টি হতে পারে।

ব্রয়লার খামারে বাচ্চা পরিবহণ করার সময় সতর্কতা:
ব্রয়লারের বাচ্চা পরিবহণ করার সময় এমনভাবে বাচ্চাগুলো পরিবহণ করতে হবে যাতে সূর্যের আলো সরাসরি বাচ্চার শরীরে এসে না পড়ে। এছাড়াও বৃষ্টির পানিতে বাচ্চাগুলো যাতে না ভিজে যায় সেদিকেও লক্ষ্য রাখতে হবে। গরমকালে ব্রয়লার মুরগির বাচ্চা পরিবহণ করতে হলে সকালের দিকে বাচ্চা পরিবহণ করতে হবে। এ সময় কোনভাবেই দুপুর কিংবা প্রচন্ড রোদে বাচ্চা পরিবহণ করা যাবে না। এতে বাচ্চা ক্ষতি হতে পারে। আর শীতের দিনে বাচ্চা দুপুর বা রোদের সময় পরিবহণ করা ভালো।

ব্রয়লার খামারের জন্য বাচ্চা পরিবহণ করার সময় লক্ষ্য করতে হবে পরিবহণ বাক্স জীবাণুমুক্ত আছে কিনা। যদি না থাকে তাহলে বাক্সগুলো ভালোভাবে জীবাণুমুক্ত করে তার পর বাচ্চা পরিবহণ করতে হবে। সম্ভব হলে বাচ্চা পরিবহণের যানবাহন জীবাণুনাশক নিয়ে স্প্রে করে দিতে হবে। বাচ্চা পরিবহণের সময় যদি বেশি তাপ কিংবা বেশি ঠাণ্ডা থাকে তাহলে তাপ ও ঠাণ্ডা থেকে বাচ্চাগুলোকে রক্ষা করেই তারপর বাচ্চাগুলো পরিবহণ করতে হবে।

ব্রয়লারের বাচ্চা পরিবহণ করার সময় সকল প্রকার ধকল থেকে বাচ্চাগুলোকে রক্ষা করার জন্য প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

এগ্রিভিউ/এসএমএ

প্রকাশ : ডিসেম্বর ১২, ২০২২ ১০:৪৪ পূর্বাহ্ন
ব্রয়লারকে টিকা দেওয়ার আগে যে সতর্কতা জরুরী
পোলট্রি

আমাদের দেশে বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে বর্তমানে অনেকেই মুরগি পালন করে স্বাবলম্বী হচ্ছেন। এসব খামারিদের মধ্যে অনেকেই ব্রয়লার মুরগি পালন করছেন। তবে, খামারে ব্রয়লার মুরগি পালনে টিকা দেওয়ার আগের সতর্কতাগুলো খামারিদের সঠিকভাবে জেনে রাখতে হবে।

ব্রয়লার মুরগি পালনে টিকা দেওয়ার আগের সতর্কতা:
ব্রয়লার মুরগিকে টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে কোন অসুস্থ মুরগিকে টিকা প্রদান করা যাবে না। এতে টিকার কার্যকারিতা নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি নানা জটিলতা দেখা দিতে পারে। এমনকি মুরগি আরও বেশি অসুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। টিকা দেওয়ার জন্য আবহাওয়া যখন ঠান্ডা সেই সময়ে টিকা দিতে হবে। এতে করে টিকা কার্যকর হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে ও মুরগির রোগের আশঙ্কাও অনেকাংশেই কমে যায়।

টিকা দেওয়ার জন্য ব্যবহৃত উপকরণসমূহ ফুটন্ত পানিতে সিদ্ধ করে নিতে হবে। এতে টিকার মাধ্যমে ব্রয়লার মুরগির শরীরে কোন জীবাণু প্রবেশ করতে পারবে না। ব্রয়লার মুরগিকে টিকা দেওয়ার সময় যত্ন সহকারে ধরতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে যাতে কোনভাবেই মুরগি আঘাত না পায়। এতেও টিকার কার্যকারিতা নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

ব্রয়লার মুরগিকে টিকা দেওয়ার আগেই খেয়াল করতে হবে কোন ধকল আছে কিনা। ব্রয়লার মুরগিকে যে কোন ধরনের ধকলমুক্ত অবস্থায় টিকা প্রয়োগ করতে হবে। তা না হলে টিকার কার্যকারিতা নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে।টিকা জীবাণুমুক্তকরণের জন্য রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করা যাবে না। এতে প্রদান করা টিকার কার্যকারিতা নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

প্রকাশ : ডিসেম্বর ৪, ২০২২ ৯:৫৭ পূর্বাহ্ন
ব্রয়লারের ওজন বাড়াতে করণীয়
পোলট্রি

দেশে মাংসের চাহিদা পূরণে ব্রয়লারের ভূমিকা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এটি একদিকে যেমন মাংসের চাহিদা পূরণ করছে অন্যদিকে কমাচ্ছে বেকারত্ব।অনেকেই এখন খামার করে হয়েছেন স্বাবলম্বী। তবে এই মুরগির ওজন যত বেশি হয় তত তার চাহিদা থাকে বেশি। তাই ব্রয়লারের ওজন বাড়াতে খামারিদের জানতে হবে কিছু কৌশল।

ব্রয়লার মুরগির ওজন বাড়ানোর কিছু কৌশল:
খামার পরিষ্কার রাখা ব্রয়লারের ওজন বাড়ানোর প্রথম কৌশল।এতে খামারে রোগের প্রকোপ কমে যাবে এবং মুরগির দৈহিক বৃদ্ধি দ্রুত হবে। মুরগির খামারে বাচ্চা আসার ৪৫ মিনিট পূর্বে চিকগার্ডের ভেতরে প্রবা‌য়োটিক স্প্রে করে দিতে হবে। বাচ্চা ব্রুডারে ছাড়ার ৩০ মিনিট আগে পানির ড্রিকার দিয়ে দিতে হবে।

খামারে ব্রয়লার পালনের জন্য ১ দিনের বাচ্চার বয়স ৩৬ গ্রাম হতে হবে। বাচ্চা শারীরিকভাবে সুস্থ থাকতে হবে।ব্রয়লার খামারে যাতে সবসময়ই আলো প্রবেশ ও বায়ু চলাচল করতে পারে সেই ব্যবস্থা করতে হবে।

১৫ দিন বয়সের মধ্যে মুরগি গ্রাডিং শেষ করতে হবে। ১৮ দিন বয়সে গ্রথ আসার জন্য গুরের পানি খাওয়াতে হবে। ২০ দিন অতিবাহিত হলে মুরগি ফ্লাসিং করতে হবে। ২৫ দিন পর হইতে মাদি এবং ছোট মুরগি বিক্রি করতে হবে।ব্রুডিং এ তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ রাখতে হবে এবং দুই ব্যাচের মধ্যে ১৫ দিন বিরতি দিতে হবে। খামারের মুরগিগুলোকে যথাসময়ে ভ্যাকসিন প্রয়োগ করতে হবে। যে কোনো ঔষধ ব্যবহারকালে সেই ওষুধের মেয়াদ আছে কিনা তা ভালোভাবে দেখে নিতে হবে।

প্রকাশ : ডিসেম্বর ১, ২০২২ ৬:১২ অপরাহ্ন
পোল্ট্রির বাচ্চা ছোট-বড় সমস্যায় করণীয়
পোলট্রি

ব্রয়লার পালনে বাচ্চা ছোট-বড় হওয়া সমস্যায় করণীয় কি তা আমাদের দেশের অনেক খামারিরাই জানেন না। এই সমস্যাতে অনেক খামারিরাই পড়ে থাকেন। এতে খামারের উৎপাদন কমে যাওয়ার পাশাপাশি খামারিরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকেন।

ব্রয়লার পালনে বাচ্চা ছোট-বড় হওয়া সমস্যায় করণীয়:
প্রায়ই দেখা যায় একই ব্যাচে একই বয়সের ব্রয়লার বাচ্চা কিছু দিন পর কতকগুলো বেশ ছোট হয়ে গেছে। এর জন্য দৃশ্যমান অদৃশ্যমান অনেক কারণ জড়িত। দৃশ্যমান বা পরিবেশগত কারণের মধ্যে প্রথম থেকেই প্রয়োজনের তুলনায় কম খাদ্য ও পানির পাত্র থাকা।

প্রথম সপ্তাহে বিশেষ করে এক-তিন দিন বয়স পর্যন্ত বাচ্চার চলাচল সীমিত থাকে এবং খাদ্য না চেনার কারণে খাদ্য খাওয়ায় তেমন প্রতিযোগিতা থাকে না। তাই এই সময়ে যেসব বাচ্চা এক বা দুই দিন খাদ্য ভালোভাবে খেতে পারে না সেগুলোই দুর্বল হয়ে পড়ে। ফলে পরে খাদ্য খাওয়া প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়ে ছোট হয়ে যায়।

পুরুষ বাচ্চার দৈহিক বৃদ্ধি স্ত্রী বাচ্চার চেয়ে ২০-২৫ ভাগ বেশি হওয়ায় স্ত্রী বাচ্চা ছোট হয়। মিশ্রিত গ্রেডের বাচ্চা এক সাথে পালন করা। বিভিন্ন বয়সের মুরগির ডিম এক সাথে ফুটানো হলে পুলের ডিমের বাচ্চা ছোট হয়। ব্রুডিং পিরিয়ডে কাáিক্ষত তাপ না পাওয়া।

সমস্যার প্রতিকারঃ

মিশ্রিত গ্রেডের বাচ্চা না কিনে একই এ বা বি গ্রেডের বাচ্চা কিনতে হবে। বাচ্চা ছোট-বড় দৃশ্যমান হওয়ার সাথে সাথে আলাদা করে বিশেষভাবে যত্ন নিতে হবে। কাঙ্ক্ষিত পরিমাণ খাদ্য ও পানির পাত্র দিতে হবে।

প্রকাশ : নভেম্বর ২৭, ২০২২ ৯:০৪ পূর্বাহ্ন
ব্রয়লারের ওজন বাড়াতে খামারি যা করবেন
পোলট্রি

দেশে মাংসের চাহিদা পূরণে ব্রয়লারের ভূমিকা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এটি একদিকে যেমন মাংসের চাহিদা পূরণ করছে অন্যদিকে কমাচ্ছে বেকারত্ব।অনেকেই এখন খামার করে হয়েছেন স্বাবলম্বী। তবে এই মুরগির ওজন যত বেশি হয় তত তার চাহিদা থাকে বেশি। তাই ব্রয়লারের ওজন বাড়াতে খামারিদের জানতে হবে কিছু কৌশল।

ব্রয়লার মুরগির ওজন বাড়ানোর কিছু কৌশল:
খামার পরিষ্কার রাখা ব্রয়লারের ওজন বাড়ানোর প্রথম কৌশল।এতে খামারে রোগের প্রকোপ কমে যাবে এবং মুরগির দৈহিক বৃদ্ধি দ্রুত হবে। মুরগির খামারে বাচ্চা আসার ৪৫ মিনিট পূর্বে চিকগার্ডের ভেতরে প্রবা‌য়োটিক স্প্রে করে দিতে হবে। বাচ্চা ব্রুডারে ছাড়ার ৩০ মিনিট আগে পানির ড্রিকার দিয়ে দিতে হবে।

খামারে ব্রয়লার পালনের জন্য ১ দিনের বাচ্চার বয়স ৩৬ গ্রাম হতে হবে। বাচ্চা শারীরিকভাবে সুস্থ থাকতে হবে।ব্রয়লার খামারে যাতে সবসময়ই আলো প্রবেশ ও বায়ু চলাচল করতে পারে সেই ব্যবস্থা করতে হবে।

১৫ দিন বয়সের মধ্যে মুরগি গ্রাডিং শেষ করতে হবে। ১৮ দিন বয়সে গ্রথ আসার জন্য গুরের পানি খাওয়াতে হবে। ২০ দিন অতিবাহিত হলে মুরগি ফ্লাসিং করতে হবে। ২৫ দিন পর হইতে মাদি এবং ছোট মুরগি বিক্রি করতে হবে।ব্রুডিং এ তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ রাখতে হবে এবং দুই ব্যাচের মধ্যে ১৫ দিন বিরতি দিতে হবে। খামারের মুরগিগুলোকে যথাসময়ে ভ্যাকসিন প্রয়োগ করতে হবে। যে কোনো ঔষধ ব্যবহারকালে সেই ওষুধের মেয়াদ আছে কিনা তা ভালোভাবে দেখে নিতে হবে।

প্রকাশ : নভেম্বর ২৪, ২০২২ ৯:০৭ পূর্বাহ্ন
ব্রয়লারের কেজি মাত্র ১১৫ টাকা, বিপর্যয়ে খামারিরা!
পোলট্রি

আবারও খামারি পর্যায়ে কমল ব্রয়লারের দাম। কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে গড়ে মাত্র ১১৫ থেকে ১২৫ টাকা করে। যাতে হতাশ হয়ে যাচ্ছেন খামারিরা। প্রতিনিয়ত দাম কমতে একধরনের অনিহা আর হতাশার মাঝে আছেন তারা।

বাংলাদেশ পোল্ট্রি খামার রক্ষা জাতীয় পরিষদ (বি.পি.কে.আর.জে.পি) এবং পোল্ট্রি প্রফেশনাল’স বাংলাদেশ(পিপিবি) এর গত কয়েকদিনের বাজার পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, সারাদেশে গড়ে প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হয়েছে ১১৫-১২৫ টাকা পর্যন্ত।

গাজীপুরে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হয়েছে ১১৬ টাকা দরে। টাঙ্গাইলে ১১৫-১২৮ টাকা, সিলেটে ১২০ টাকা, ময়মনসিংহে ১১৫ টাকা, সিরাজগঞ্জে ১২৫ টাকা, ফরিদপুরে ১১৮ টাকা, নোয়াখালীতে ১২২ টাকা, বগুড়া ১২০ টাকা, বরিশালে ১২৫ টাকা। তবে খুচরা বাজারে চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে ব্রয়লার মুরগি ও ডিমের দাম।

খুব শিঘ্রই ন্যায্যমূল্যে ব্রয়লার করতে চান খামারিরা।

প্রকাশ : নভেম্বর ১৫, ২০২২ ৮:২০ অপরাহ্ন
ব্রয়লারের খামারে বাণিজ্যিকভাবে লাভের মুখ দেখতে যা করবেন
পোলট্রি

আমাদের দেশের অনেকেই এখন ব্রয়লার পালনের দিকে ঝুঁকছেন। এতে এখন বাণিজ্যিকভাবে লাভবান হচ্ছেন বেশ। তবে বাণিজ্যিকভাবে ব্রয়লার মুরগি পালনে বেশ কিছু সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়।

ব্রয়লার মুরগির বাণিজ্যিক খামারে খাদ্য প্রয়োগে যা করতে হবে:
সুষম খাদ্যে অতিরিক্ত চর্বি জাতীয় জিনিস খাওয়ালে অতিরিক্ত দাম পাওয়া যায় না। কিন্তু গরম আবহাওয়া বা অতিরিক্ত তাপের দিনে অতিরিক্ত চর্বি বা তেল জাতীয় খাদ্য উপাদান প্রদান করতে হবে। ব্রয়লার মুরগি তার সুষম খাবারের ৬৪ শতাংশ আমিষ দেহের কাজে লাগাতে পারে। ব্রয়লারের প্রয়োজনীয় আমিষ তিন ভাগে ভাগ করা যেতে পারে-(ক) কলা বৃদ্ধির জন্য ব্রয়লার মুরগির শরীরে ১৮ শতাংশ আমিষ আছে।

পালক গঠনের জন্য ব্রয়লার মুরগির পালকে ৮২ শতাংশ আমিষ আছে এবং গড়ে পালকেরওজন সমস্ত দেহের ৭০ শতাংশ। গরমকালে ব্রয়লার সুষম খাদ্যে বেশি আমিষ দরকার শীতকালের তুলনায়। কারণটা হল মুরগি গরমকালে কম খায়। ঠিক যতটুকু অ্যামাইনো অ্যাসিড দরকার ঠিক ততটুকুই ব্রয়লার মুরগিকে দিতে হবে। যেহেতু বেশি পরিমাণে অপরিহার্য অ্যামাইনো অ্যাসিড দেহের ক্ষতি করে। কম অ্যামইনো অ্যাসিড আবারদেহের বৃদ্ধিকে রোধ করে দেবে। মাদি ব্রয়লার মুরগির চেয়ে মদ্দা ব্রয়লারমুরগি তাড়াতাড়ি বাড়ে। সুতরাং খামারের ভালর জন্য মাদি মদ্দা একসঙ্গে না পালন করে আলাদা আলাদা করা লাভজনক।

প্রথম চার সপ্তাহ মদ্দা ও মাদি ব্রয়লার মুরগির আমিষের প্রয়োজন একই রকম। ৪ সপ্তাহ পরে মদ্দা ব্রয়লার মাদির চেয়ে ২ শতাংশ থেকে ৪শতাংশ বেশি আমিষের দরকার হয়। মাদিকে বেশি আমিষ দিলে সেটা খুব একটা কাজে আসেনা।

ব্রয়লার মুরগির জন্য খনিজ এবং ভিটামিন খুবই দরকারি। এছাড়াও ক্যালসিয়াম এবং ফসফরাসের ব্রয়লারের জন্য খুবই উপকারি। খাবারের সমস্ত ক্যালসিয়াম যেন ১ শতাংশ গন্ডি কখনো না পেরিয়ে যায়। ভিটামিন খাদ্য বিপাকক্রিয়ায় সহায়তা করে থাকে।

প্রকাশ : নভেম্বর ১২, ২০২২ ৫:৩৬ অপরাহ্ন
দ্রুত ব্রয়লারের ওজন বৃদ্ধিতে যা করবেন
পোলট্রি

দেশের অনেকেই বর্তমানে ব্রয়লার খামারের দিকে ঝুঁকছেন। এর ওজন বেশি হলে লাভও বেশি হবে। আর তাই এর ওজনের নজর দিতে হবে। আর নজর দেওয়ার জন্য কতগুলো বিষয়ের উপর খেয়াল রাখতে হয়। আজকের লেখায় দ্রুত ব্রয়লারের ওজন বৃদ্ধি করার প্রক্রিয়া সম্পর্কে আলোচনা করা হলো।

কাঙ্খিত টার্গেট ওজনের জন্য যা করতে হবে-

সর্বপরি গুণগত মানসম্পন্ন বাচ্চা। পরিমিত জায়গা এবং পযার্প্ত খাদ্য ও পানির পাত্র। সময়মত পাত্র পরিষ্কার করে খাদ্য ও পানি সরবরাহ করা। ভাল ব্রুডিং ব্যবস্থাপনা। সুষম খাদ্য ও নিরাপদ পানি। বাচ্চা ব্রুডারে ছাড়ার পর ১ম ২৪ ঘন্টায় খাদ্য থলি ১০০ ভাগ ভরা। ১ম দিন গ্লুকোজ / চিনি / ভিটামিন/ এন্টিবায়োটিক না খাওয়ানো।

কাঙ্খিত ওজন আসলে-
মাংস বৃদ্ধি ত্বরান্বিত হবে, ফলে দ্রুত ওজন আসবে। বাচ্চার পরিপাকতন্ত্র বা খাদ্যনালী পরিপূর্ণ ভাবে বৃদ্ধি পাবে, ফলে খাদ্য হজম ভালভাবে হবে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির অঙ্গগুলো পরিপক্ক হবে ফলে টিকা ভালভাবে কাজ করবে। মৃত্যু হার কম হবে। এফ.সি.আর (FCR) ভাল হবে। ইউনিফরমিটি ভাল হবে।

ব্রুডারে ছাড়ার পূর্বে এবং ৭ম দিনে বাচ্চার ওজন পরিমাপ করে মূল্যায়ন করতে হবে ব্যাচ শেষে কি পরিমাণ ওজন আসবে। সর্বাধিক ওজন তথা লাভের জন্য ৭ম দিনের ওজনের দিকে অধিক গুরুত্ব দিতে হবে।

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop