১২:৪৮ পূর্বাহ্ন

বৃহস্পতিবার, ৯ মে , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : মার্চ ৮, ২০২৩ ৯:১৫ অপরাহ্ন
ব্রয়লার বাচ্চা বৃদ্ধিতে যা করবেন খামারী
পোলট্রি

বর্তমান সময়ে দেশে ব্যাপকহারে লোকজন খামারে মুরগি পালন করছেন। খামারে পালন করা মুরগিগুলোর মধ্যে বেশিরভাগই ব্রয়লার মুরগি। এর সঠিক পরিচর্যার মাধ্যমে আরও বেশি লাভবান হওয়া সম্ভব।

ব্রয়লারের বাচ্চার বৃদ্ধিতে প্রয়োজনীয় যত্ন ও পরিচর্যা:
ব্রয়লারের বাচ্চার বৃদ্ধির জন্য ঘরটা এমন হওয়া দরকার যেন সেখানে ৮ সপ্তাহ পর্যন্ত বাচ্চা তার দরকারি জিনিস পর্যাপ্ত পরিমাণে পায়। এখানে বাচ্চার প্রাথমিক দরকার তাপ। ইংরেজীতে জায়গাটা বা ঘরটাকে বলা হয় ব্রডিং ইউনিট। ৮ সপ্তাহ পরে বাচ্চাকে নিয়ে যাওয়া হয় বাচ্চা পালন ঘরে। এখানে বাচ্চা থাকবে ৮-২০ সপ্তাহ পর্যন্ত।

ব্রয়লার মুরগি ৮ সপ্তাহ পরে যায় বিক্রির জায়গায়। আর বাচ্চা মুরগি বাচ্চা পালন ঘরে। ২০ সপ্তাহ পরে বাচ্চা মুরগি যায় পাকাপাকিভাবে ডিমপাড়া ঘরে। ২০ সপ্তাহ পরে মুরগি পালন করার জন্য খাচাও অনেকে ব্যবহার করেন। এখানে ডিম দেওয়া মুরগি ৭৮-৮০ সপ্তাহ থাকে। এরপরেই মুরগি বাজারে মাংস হয়ে বিক্রি হতে চলে যায়।

একদিনের মুরগির বাচ্চাকে ২ ভাবে বড় করা যায়। যেমন-

১। স্বাভাবিক ভাবে।
২। কৃত্রিম ভাবে।

বাচ্চা পালনে বিস্তৃত পরিসরে যাবার আগে এটা জানা দরকার যে, কৃত্রিমভাবে ডিম ফুটিয়ে যেসব বাচ্চা তৈরি করা হয়েছে তাদের কৃত্রিমভাবে বড় করা উচিত। স্বাভাবিকভাবে ডিম ফোটাবার কারণও ছিল অনেক। আগে খাবার ডিম হিসেবে মুরগি-মোরগ পালন করা হত।

মুরগির খাবার এমনভাবে দিতে হবে যাতে বাচ্চা মুরগি সেখানে মুখ দিতে না পারে। বাচ্চা এবং ধাত্রী মায়ের জন্য প্রচুর পরিষ্কার ঠান্ডা পানির ব্যবস্থা করতে হবে।

পরিচর্যাসমূহ:
খাঁচা বা বাচ্চাদের আশ্রয় স্থান রীতিমত পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন এবং কীটনাশক ওষুধ দিয়ে উকুন, মাইট এবং টিক প্রভূতি রক্তচোষা পরজীবী কীটদের ধ্বংস করতে হবে। বাচ্চা যেখানে চরে বেড়াবে সে জায়গাটা জাল দিয়ে ঘেরা থাকবে। চরে বেড়াবার জায়গাটা যেন ইদুর বেড়ালে নষ্ট করে না দেয়।

প্রথম সপ্তাহে রোগের জন্য টিকা দিতে হবে ও প্রথম সপ্তাহেই ঠোট ছেটে দিতে হবে। বাচ্চাদের বয়স ৬ থেকে ৮ সপ্তাহ হলে মুরগি বসন্ত এবং রানীক্ষেত রোগের বিরুদ্ধে টিকা প্রদান করতে হবে।

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ১৭, ২০২৩ ১০:২১ অপরাহ্ন
রেকর্ড ভেঙে সর্বোচ্চ দাম ব্রয়লারের
পোলট্রি

রাজধানীর মুরগির বাজার যেন লাগামছাড়া! একদিনের ব্যবধানে রেকর্ড গড়ে ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়ে কেজি ঠেকেছে ২৪০ টাকায়। এর উত্তাপ আবার ছড়িয়েছে ডিমের বাজারেও। শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর কারওয়ানবাজারের চিত্র দেখা যায়, হঠাৎ চড়ে গেছে রাজধানীর মুরগির বাজার। পোল্ট্রি খাতে অস্বস্তি। ভোক্তাদের চরম বিপাকে ফেলে দাম বাড়ার নতুন রেকর্ড ব্রয়লার মুরগির। একদিনের ব্যবধানে ৩০ টাকা বেড়ে কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ২৪০ টাকায়।

এক মাসের ব্যবধানে ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে প্রায় ১০০ টাকার মতো বেড়েছে। এদিকে দাম বেড়েছে সোনালি মুরগিরও; বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ৩৩০ টাকা। দুই সপ্তাহ আগেও যা পাওয়া যেত ২৬০ টাকায়। আর দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৫২০ টাকা কেজি দরে।

বিক্রেতারা জানান, এর আগে কখনোই এতো দামে কেনাবেচা হয়নি ব্রয়লার মুরগি। একদিনে এর দাম বেড়েছে কেজিতে ৩০ থেকে ৫০ টাকা।

বাজারে হঠাৎ এ দাম বাড়ার কারণ হিসেবে তারা জানান, অনেক দিন লোকসান গুনে অনেক খামার বন্ধ হয়ে গেছে। এর মধ্যে আবার বেড়ে গেছে খাদ্যসহ উৎপাদন খরচ।

ক্রেতারা বলেন, নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য এত দাম দিয়ে মুরগি কেনা কষ্টকর।

এদিকে চাহিদা মতো যোগান না পাওয়ার কথা জানালেন দাম বাড়তে থাকা ডিম বিক্রেতারাও। সপ্তাহ ব্যবধানে ডিমের দাম ডজন প্রতি বেড়েছে ৫ টাকা। বাজারে লাল ডিম ডজন প্রতি ১৪০ টাকা ও সাদা ডিম ডজন প্রতি বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ টাকায়।

এ পরিস্থিতিতে উৎপাদন পর্যায়ে তদারকি করে বাজারে ভোক্তাদের নাভিশ্বাস ওঠার যৌক্তিকতা নিরূপণের তাগিদ জানিয়েছেন ক্রেতা-বিক্রেতারা।

এছাড়া বাজারে অন্যান্য মাংসের দামও বাড়তি। গরুর মাংস কেজিপ্রতি ৭শ থেকে সাড়ে ৭শ টাকা এবং খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার থেকে ১ হাজার ১০০ টাকায়। তবে স্থিতিশীল রয়েছে চাল, ডাল, আটা, ময়দা ও সয়াবিনসহ অন্যান্য নিত্যপণ্য।

এর আগে গত ৩ ফেব্রুয়ারি এক কেজি ব্রয়লার মুরগির দাম ছাড়িয়ে যায় ১৯০ টাকা। পরের দুদিনে তা গিয়ে ঠেকে ২১০ টাকায়। তবে ৬ ফেব্রুয়ারি দাম কিছুটা কমলেও থেকে যায় ২শ টাকার ওপরে।

প্রকাশ : জানুয়ারী ৩০, ২০২৩ ৯:৪৩ অপরাহ্ন
ব্রয়লার খামারে মুরগির শারীরিক বৃদ্ধি ঠিক রাখতে যা করবেন
পোলট্রি

ব্রয়লার খামারে মুরগির শারীরিক বৃদ্ধি ঠিক রাখতে করণীয় যে কাজগুলো রয়েছে সেগুলো ব্রয়লার পালনকারীদের সঠিকভাবে জানতে হবে। দেশে মাংসের চাহিদা পূরণ করতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে ব্রয়লার মুরগি। ব্রয়লার মুরগির খামার করে অনেকেই হচ্ছেন স্বাবলম্বী। খামারে ব্রয়লার মুরগি পালনে লাভবান হতে মুরগির শারীরিক বৃদ্ধি ঠিক রাখা দরকার।

ব্রয়লার খামারে মুরগির শারীরিক বৃদ্ধি ঠিক রাখতে করণীয়:
ব্রয়লার মুরগির খামার স্থাপনের সময় স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশে খামার স্থাপন করতে হবে। খামারে যাতে আলো ও বাতাস ঠিকমতো চলাচল করতে পারে সেদিকেও লক্ষ্য রাখতে হবে।

খামারে পালন করা ব্রয়লারকে খাদ্য প্রদানের সময় ভালোভাবে খেয়াল করতে হবে খাদ্যে যেন কোন প্রকার ময়লা কিংবা রোগের জীবাণু না থাকে। আর খাদ্য প্রদানের পাত্র নিয়মিতভাবে পরিষ্কার করতে হবে। খামারে ব্রয়লার মুরগির জন্য যেসব খাদ্য উপকরণ ব্যবহার করা হবে সেগুলো যেন মুরগির পরিপাকে কোন বাঁধার সৃষ্টি না করে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। এমন সমস্যায় মুরগির শারীরিক বৃদ্ধি বাঁধাগ্রস্ত হতে পারে।

ব্রয়লার মুরগির খাদ্য প্রদানের সময় খাদ্যের সাথে নিম্নমান সম্পন্ন কেমিক্যাল কিংবা কোন রাসায়নিক উপাদান দেওয়া যাবে না। প্রয়োজনে খাদ্য কেনার সময় তা ভালোভাবে পরীক্ষা করাতে হবে। ব্রয়লার মুরগির খামারকে নিয়মিত জীবাণুমুক্ত ও পরিষ্কার রাখতে হবে। এতে করে খামারের মুরগিগুলো সহজেই কোন রোগের দ্বারা আক্রান্ত হতে পারবে না। ফলে শারীরিক বৃদ্ধি স্বাভাবিক হবে।

ব্রয়লার মুরগির খামারের জন্য যে ওষুধ ব্যবহার করা হবে সেই ওষুধের গুণগত মান পরীক্ষা করাতে হবে। তার পরেই সেই ওষুধকে ব্রয়লার মুরগির খামারে ব্যবহার করতে হবে।

প্রকাশ : জানুয়ারী ১৩, ২০২৩ ২:৩৬ অপরাহ্ন
ব্রয়লার মুরগির মাংস স্বাস্থ্যের জন্য ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ নয়
পোলট্রি

ব্রয়লার মুরগির মাংসে সহনশীল মাত্রার চেয়ে কম পরিমাণ অ্যান্টিবায়োটিক এবং ভারী ধাতুর অবশিষ্টাংশ থাকে। ফলে এটি একটি নিরাপদ খাদ্য।

ব্রয়লারের মাংস জনস্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ নয়।

বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) সচিবালয়ে পিআইডির কনফারেন্স রুমে ব্রয়লার মুরগির মাংসে মানবস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর অ্যান্টিবায়োটিক, হেভি মেটাল (ভারী ধাতু) ও অন্যান্য উপাদানের উপস্থিতি রয়েছে কি না, তা নিয়ে গবেষণায় প্রাপ্ত ফল প্রকাশ নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।

গবেষণার ফল তুলে ধরেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক। এ সময় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, কৃষি সচিব ওয়াহিদা আক্তার, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব ড. নাহিদ রশীদ।

বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও প্রধান গবেষক ড. রফিকুল ইসলাম, বিআরসির সাবেক সদস্য পরিচালক ড. মনিরুল ইসলাম এবং গবেষণা টিমের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, ব্রয়লার মুরগির মাংস খাওয়া নিরাপদ কি না, এ নিয়ে আমাদের অনেকের মধ্যেই ভ্রান্ত ধারণা বা দ্বিধা-দ্বন্দ্ব রয়েছে। বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেক প্রচারণায় দেখা যায় যে, ব্রয়লার মাংসে অ্যান্টিবায়োটিক, হেভি মেটাল ও অন্যান্য ক্ষতিকর পদার্থের উপস্থিতি রয়েছে, যা মানব স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। এ ধরনের বিভ্রান্তিমূলক তথ্যের ফলে সাধারণ জনগণের মাঝে অনেক সময় ব্রয়লার মাংস সম্পর্কে ভ্রান্ত ধারণা ছড়িয়ে পড়ে। ফলে তারা ব্রয়লার মাংস খাওয়া কমিয়ে দেয়। এতে ব্রয়লার শিল্পের ওপর একটি বড় ধরনের ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে। সম্প্রতি এর নজির আমরা প্রত্যক্ষ করেছি। ২০২০ সালে শুরু হওয়া কোভিড-১৯ প্রাদুর্ভাবের প্রথম দিকে পুষ্টিসমৃদ্ধ ব্রয়লার মাংস খাওয়া অনেক কমে যায়।

তিনি বলেন, দেশে ব্রয়লার মুরগি খুবই সম্ভাবনাময় একটি খাত। চাহিদা বাড়াতে পারলে দেশে যে পরিমাণ খামার ও অবকাঠামো রয়েছে। এর পুরোপুরি ব্যবহারের মাধ্যমে উৎপাদন আরও বহুগুণে বাড়ানো সম্ভব। সেজন্য মানুষের কাছে মুরগির মাংস জনপ্রিয় করতে হবে। এটি করতে পারলে একদিকে আমিষের চাহিদা পূরণের মাধ্যমে সুস্থ, সবল ও মেধাবী জাতি গঠন সহজতর হবে। অন্যদিকে ব্রয়লার মুরগির বাজার দ্রুত বিকশিত হবে, মুরগির মাংস প্রক্রিয়াকরণ শিল্প স্থাপন বৃদ্ধি পাবে, কর্মসংস্থান তৈরি হবে এবং রপ্তানির মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রাও অর্জন করা সম্ভব হবে। এ ছাড়া সুস্থ ও মেধাবী জাতি গঠনে, আমিষের চাহিদা পূরণে ও কর্মসংস্থান তৈরিতে ব্রয়লার মুরগির মাংস খাওয়ার বিষয়ে প্রচারণা ও জনসচেতনতা গড়ে তুলতে হবে।

গবেষণার ফল তুলে ধরে কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ব্রয়লার মুরগির মাংসে, হাড়ে ও কম্পোজিটে মূলত দুটি অ্যান্টিবায়োটিক (অক্সিটেট্রাসিাইক্লিন ও ডক্সিসাইক্লিন) এবং তিনটি হেভি মেটালের (আর্সেনিক, ক্রোমিয়াম ও লেড) সামান্য উপস্থিতি রয়েছে, যা অস্বাভাবিক নয় এবং তা সর্বোচ্চ সহনশীল সীমার অনেক নিচে। খামার এবং বাজারের ব্রয়লার মাংসের চেয়ে সুপারশপের ব্রয়লার মাংসে অ্যান্টিবায়োটিক ও হেভি মেটালের পরিমাণ কম রয়েছে।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী বলেন, পোল্ট্রি খাতে একটি বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে। একটা সময় গ্রামে নিজস্ব আঙিনায় হাঁস-মুরগি পালন করা হতো। এখন এটি শিল্পে পরিণত হয়েছে। দেশের মানুষের আমিষের একটা বড় চাহিদা মেটায় এই খাত। ফলে নিজ উদ্যোগে অনেকেই এই খাতে এসে গ্রামীণ অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখছেন। তবে কিছু ভুল-ভ্রান্তিমূলক তথ্যের কারণে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। এজন্য আমরা একটি গবেষণা পরিচালনা করেছি।

তিনি বলেন, বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য পোল্ট্রি খাত বড় ভূমিকা পালন করছে। তাই আমরা চেষ্টা করছি পোলট্রি খাতকে আরও আধুনিক করতে এবং এই খাতের বিকাশকে সরকারি পৃষ্টপোষকতা দিতে। এই লক্ষ্যে পোল্ট্রি খাদ্য আমদানিতে শুল্কে রেয়াত দিতে এনবিআরকে অনুরোধ করেছি। পোল্ট্রি খাতকে সামনে নিয়ে একটি কল্যাণকর অধ্যায় রচনার জন্য কাজ করছি।

গবেষণায় দেখা গেছে, ব্রয়লার মাংসে গড়ে ৮ পিপিবি অক্সিটেট্রাসাইক্লিন, ৯ দশমিক ১ পিপিবি ডক্সিসাইক্লিন, ৬ দশমিক ২ পিপিবি আর্সেনিক, ১৯০ দশমিক ৭ পিপিবি ক্রোমিয়াম ও ২৫৯ দশমিক ১ পিপিবি লেড রয়েছে (সারণি-১), যা সর্বোচ্চ সহনশীল/অবশিষ্ট সীমার চেয়ে যথাক্রমে ১২ দশমিক ৫ গুণ, ১০ দশমিক ৯ গুণ, ৬ দশমিক ৫ গুণ, ৫ দশমিক ২ গুণ এবং ২৩ দশমিক ১ গুণ কম।

ব্রয়লার মুরগির হাড়ের নমুনা পরীক্ষণের ফলাফলে দেখা যায়, ৫৩ দশমিক ৭ পিপিবি অক্সিটেট্রাসাইক্লিন, ২৭ পিপিবি ডক্সিসাইক্লিন, ৭.২ পিপিবি আর্সেনিক, ৪৩৯ দশমিক ৯ পিপিবি ক্রোমিয়াম এবং ৪৬৪ দশমিক ৬ পিপিবি লেড রয়েছে (সারণি-২), যা সর্বোচ্চ অবশিষ্ট সীমার চেয়ে যথাক্রমে ১ দশমিক ৮ গুণ, ৩ দশমিক ৭ গুণ, ৫ দশমিক ৫ গুণ, ২ দশমিক ২৭ গুণ এবং ১২ দশমিক ৯ গুণ কম।

ব্রয়লার মুরগির কম্পোজিটে (কলিজা, কিডনি এবং গিজার্ডের সমন্বয়ে) গড়ে ১৪ দশমিক ৫ পিপিবি অক্সিটেট্রাসাইক্লিন, ১৭ দশমিক ২ পিপিবি ডক্সিসাইক্লিন, ১০ দশমিক ৯ পিপিবি আর্সেনিক, ২৩৯ দশমিক ২ পিপিবি ক্রোমিয়াম এবং ৩০৭ দশমিক ৬ পিপিবি লেড রয়েছে (সারণি-৩), যা সর্বোচ্চ অবশিষ্ট সীমার চেয়ে যথাক্রমে ৬ দশমিক ৮ গুণ, ৫ দশমিক ৮ গুণ, ৩ দশমিক ৬ গুণ, ৪ দশমিক ১৮ গুণ এবং ১৯ দশমিক ৫ গুণ কম।

বাজার ও খামার থেকে সংগৃহীত ব্রয়লার মুরগির খাদ্যে গড়ে ১৯ দশমিক ২ পিপিবি ডক্সিসাইক্লিন, ৪ দশমিক ১৯ পিপিবি টাইলোসিন, ৭ দশমিক ৬ পিপিবি আর্সেনিক, ২ হাজার ১৫৩ দশমিক ৩ পিপিবি ক্রোমিয়াম শূন্য দশমিক ৮ পিপিবি অক্সিটেট্রাসাইক্লিন এবং ৪৭৮ দশমিক ৬ পিপিবি লেড রয়েছে, যা আর্সেনিকের ক্ষেত্রে ১৮৪ দশমিক ২ গুণ, ক্রোমিয়ামের ক্ষেত্রে ৯ দশমিক ২ গুণ ও লেডের ক্ষেত্রে ২০ দশমিক ৮ গুণ সর্বোচ্চ অবশিষ্ট সীমার চেয়ে কম।

প্রকাশ : জানুয়ারী ৯, ২০২৩ ৮:৫৬ পূর্বাহ্ন
পোল্ট্রি খামারে খাবার প্রয়োগে খামারি যা করবেন
পোলট্রি

ব্রয়লার মুরগির বাণিজ্যিক খামারে খাদ্য প্রয়োগের নিয়ম খামারিদের জেনে রাখা দরকার। আমাদের দেশে ডিম ও মাংসের চাহিদা পূরণ করতে বর্তমানে ব্যাপকহারে মুরগি পালন করা হচ্ছে। অনেকেই ব্রয়লার মুরগি পালন করে লাভবান হচ্ছেন। তবে বাণিজ্যিকভাবে ব্রয়লার মুরগি পালনে বেশ কিছু সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়।

ব্রয়লার মুরগির বাণিজ্যিক খামারে খাদ্য প্রয়োগে বিবেচ্যঃ

১। সুষম খাদ্যে অতিরিক্ত চর্বি জাতীয় জিনিস খাওয়ালে অতিরিক্ত দাম পাওয়া যায় না। কিন্তু গরম আবহাওয়া বা অতিরিক্ত তাপের দিনে অতিরিক্ত চর্বি বা তেল জাতীয় খাদ্য উপাদান প্রদান করতে হবে।

৩। ব্রয়লার মুরগি তার সুষম খাবারের ৬৪% আমিষ দেহের কাজে লাগাতে পারে। ব্রয়লারের প্রয়োজনীয় আমিষ তিন ভাগে ভাগ করা যেতে পারে-(ক) কলা বৃদ্ধির জন্য ব্রয়লার মুরগির শরীরে ১৮% আমিষ আছে।

৪। পালক গঠনের জন্য ব্রয়লার মুরগির পালকে ৮২% আমিষ আছে এবং গড়ে পালকেরওজন সমস্ত দেহের ৭০%। গরমকালে ব্রয়লার সুষম খাদ্যে বেশি আমিষ দরকার শীতকালের তুলনায়। কারণটা হল মুরগি গরমকালে কম খায়। ঠিক যতটুকু অ্যামাইনো অ্যাসিড দরকার ঠিক ততটুকুই ব্রয়লার মুরগিকে দিতে হবে।

৫। যেহেতু বেশি পরিমাণে অপরিহার্য অ্যামাইনো অ্যাসিড দেহের ক্ষতি করে। কম অ্যামইনো অ্যাসিড আবারদেহের বৃদ্ধিকে রোধ করে দেবে। মাদি ব্রয়লার মুরগির চেয়ে মদ্দা ব্রয়লারমুরগি তাড়াতাড়ি বাড়ে। সুতরাং খামারের ভালর জন্য মাদি মদ্দা একসঙ্গে না পালন করে আলাদা আলাদা করা লাভজনক।

৬। প্রথম চার সপ্তাহ মদ্দা ও মাদি ব্রয়লার মুরগির আমিষের প্রয়োজন একই রকম। ৪ সপ্তাহ পরে মদ্দা ব্রয়লার মাদির চেয়ে ২% থেকে ৪ %বেশি আমিষের দরকার হয়। মাদিকে বেশি আমিষ দিলে সেটা খুব একটা কাজে আসেনা।

৭। ব্রয়লার মুরগির জন্য খনিজ এবং ভিটামিন খুবই দরকারি। এছাড়াও ক্যালসিয়াম এবং ফসফরাসের ব্রয়লারের জন্য খুবই উপকারি। খাবারের সমস্ত ক্যালসিয়াম যেন ১% গন্ডি কখনো না পেরিয়ে যায়। ভিটামিন খাদ্য বিপাকক্রিয়ায় সহায়তা করে থাকে।

প্রকাশ : জানুয়ারী ৫, ২০২৩ ১০:৪৫ পূর্বাহ্ন
ব্রয়লারের বাচ্চার বৃদ্ধিতে প্রয়োজনীয় যত্ন নিবেন যেভাবে
পোলট্রি

বর্তমান সময়ে দেশে ব্যাপকহারে লোকজন খামারে মুরগি পালন করছেন। খামারে পালন করা মুরগিগুলোর মধ্যে বেশিরভাগই ব্রয়লার মুরগি। এর সঠিক পরিচর্যার মাধ্যমে আরও বেশি লাভবান হওয়া সম্ভব।

ব্রয়লারের বাচ্চার বৃদ্ধিতে প্রয়োজনীয় যত্ন ও পরিচর্যা:
ব্রয়লারের বাচ্চার বৃদ্ধির জন্য ঘরটা এমন হওয়া দরকার যেন সেখানে ৮ সপ্তাহ পর্যন্ত বাচ্চা তার দরকারি জিনিস পর্যাপ্ত পরিমাণে পায়। এখানে বাচ্চার প্রাথমিক দরকার তাপ। ইংরেজীতে জায়গাটা বা ঘরটাকে বলা হয় ব্রডিং ইউনিট। ৮ সপ্তাহ পরে বাচ্চাকে নিয়ে যাওয়া হয় বাচ্চা পালন ঘরে। এখানে বাচ্চা থাকবে ৮-২০ সপ্তাহ পর্যন্ত।

ব্রয়লার মুরগি ৮ সপ্তাহ পরে যায় বিক্রির জায়গায়। আর বাচ্চা মুরগি বাচ্চা পালন ঘরে। ২০ সপ্তাহ পরে বাচ্চা মুরগি যায় পাকাপাকিভাবে ডিমপাড়া ঘরে। ২০ সপ্তাহ পরে মুরগি পালন করার জন্য খাচাও অনেকে ব্যবহার করেন। এখানে ডিম দেওয়া মুরগি ৭৮-৮০ সপ্তাহ থাকে। এরপরেই মুরগি বাজারে মাংস হয়ে বিক্রি হতে চলে যায়।

একদিনের মুরগির বাচ্চাকে ২ ভাবে বড় করা যায়। যেমন-

১। স্বাভাবিক ভাবে।
২। কৃত্রিম ভাবে।

বাচ্চা পালনে বিস্তৃত পরিসরে যাবার আগে এটা জানা দরকার যে, কৃত্রিমভাবে ডিম ফুটিয়ে যেসব বাচ্চা তৈরি করা হয়েছে তাদের কৃত্রিমভাবে বড় করা উচিত। স্বাভাবিকভাবে ডিম ফোটাবার কারণও ছিল অনেক। আগে খাবার ডিম হিসেবে মুরগি-মোরগ পালন করা হত।

মুরগির খাবার এমনভাবে দিতে হবে যাতে বাচ্চা মুরগি সেখানে মুখ দিতে না পারে। বাচ্চা এবং ধাত্রী মায়ের জন্য প্রচুর পরিষ্কার ঠান্ডা পানির ব্যবস্থা করতে হবে।

পরিচর্যাসমূহ:
খাঁচা বা বাচ্চাদের আশ্রয় স্থান রীতিমত পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন এবং কীটনাশক ওষুধ দিয়ে উকুন, মাইট এবং টিক প্রভূতি রক্তচোষা পরজীবী কীটদের ধ্বংস করতে হবে। বাচ্চা যেখানে চরে বেড়াবে সে জায়গাটা জাল দিয়ে ঘেরা থাকবে। চরে বেড়াবার জায়গাটা যেন ইদুর বেড়ালে নষ্ট করে না দেয়।

প্রথম সপ্তাহে রোগের জন্য টিকা দিতে হবে ও প্রথম সপ্তাহেই ঠোট ছেটে দিতে হবে। বাচ্চাদের বয়স ৬ থেকে ৮ সপ্তাহ হলে মুরগি বসন্ত এবং রানীক্ষেত রোগের বিরুদ্ধে টিকা প্রদান করতে হবে।

প্রকাশ : জানুয়ারী ৪, ২০২৩ ৫:০৯ অপরাহ্ন
পোল্ট্রি খামারে যেসব ব্যবস্থাপনা জরুরী
পোলট্রি

মুরগির খামারের মাধ্যমে বর্তমান সময়ে অনেক বেকার যুবকরা স্বাবলম্বী হচ্ছেন। ব্রয়লার মুরগির পালনের মাধ্যমে দেশে মাংসের চাহিদা অনেকাংশেই পূরণ হচ্ছে। ব্রয়লার মুরগির খামারে যেসব ব্যবস্থা অবশ্যই থাকতে হবে সেগুলো খামারিদের ভালোভাবে জেনে রাখা দরকার।

ব্রয়লার মুরগির খামারে যেসব ব্যবস্থা অবশ্যই থাকতে হবে:
ব্রয়লার মুরগির খামারে পর্যাপ্ত পরিমাণে আলো ও বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা রাখতে হবে। এতে খামারে স্যাঁতস্যাঁতে ভাব বা গাসের সৃষ্টি হবে না। ব্রয়লার মুরগির খামার জনবসতি থেকে কিছুটা দূরে এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো এমন স্থানে হতে হবে।

ব্রয়লারের খামারে প্রয়োজনীয় তাপের ব্যবস্থা করতে হবে। আর গরমের দিনে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য ফ্যান ও প্রয়োজনীয় ভ্যান্টিলেশন ব্যবস্থা রাখতে হবে। ব্রয়লারের খামার কিছুটা উঁচু স্থানে নির্মাণ করতে হবে। খামারে বন্যার পানি ও অন্যান্য প্রতিকূল আবহাওয়া থেকে যাতে রক্ষা করা যায় সেই ব্যবস্থা রাখতে হবে।

সম্ভব হলে ব্রয়লার খামারের চারদিকে উঁচু দেয়াল বা বেড়া দিয়ে দিতে হবে যাতে প্রতিকুল আবহাওয়া, বন্যপ্রাণী কিংবা শত্রুর হতে রক্ষা করা যায়।

প্রকাশ : ডিসেম্বর ২৬, ২০২২ ১০:৩১ অপরাহ্ন
পোল্ট্রি বাচ্চা পরিবহনে খামারিরা যা করবেন
পোলট্রি

ব্রয়লার খামার করে লাভবান হয়েছেন যেমন অনেক খামারী তেমনি মাংসের চাহিদাও পূরণ হয়েছে সবার। তবে এতে লাভ পেতে হলে শুরু থেকেই করতে হবে যত্ন। আর এই যত্নে শুরুটা হতে হবে ব্রয়লার খামার বাচ্চা পরিবহণ থেকে। কারণ ব্রয়লারের বাচ্চা পরিবহণের সময় কোন সমস্যা হলে মুরগির জটিলতার সৃষ্টি হতে পারে।

ব্রয়লার খামারে বাচ্চা পরিবহণ করার সময় সতর্কতা:
ব্রয়লারের বাচ্চা পরিবহণ করার সময় এমনভাবে বাচ্চাগুলো পরিবহণ করতে হবে যাতে সূর্যের আলো সরাসরি বাচ্চার শরীরে এসে না পড়ে। এছাড়াও বৃষ্টির পানিতে বাচ্চাগুলো যাতে না ভিজে যায় সেদিকেও লক্ষ্য রাখতে হবে। গরমকালে ব্রয়লার মুরগির বাচ্চা পরিবহণ করতে হলে সকালের দিকে বাচ্চা পরিবহণ করতে হবে। এ সময় কোনভাবেই দুপুর কিংবা প্রচন্ড রোদে বাচ্চা পরিবহণ করা যাবে না। এতে বাচ্চা ক্ষতি হতে পারে। আর শীতের দিনে বাচ্চা দুপুর বা রোদের সময় পরিবহণ করা ভালো।

ব্রয়লার খামারের জন্য বাচ্চা পরিবহণ করার সময় লক্ষ্য করতে হবে পরিবহণ বাক্স জীবাণুমুক্ত আছে কিনা। যদি না থাকে তাহলে বাক্সগুলো ভালোভাবে জীবাণুমুক্ত করে তার পর বাচ্চা পরিবহণ করতে হবে। সম্ভব হলে বাচ্চা পরিবহণের যানবাহন জীবাণুনাশক নিয়ে স্প্রে করে দিতে হবে। বাচ্চা পরিবহণের সময় যদি বেশি তাপ কিংবা বেশি ঠাণ্ডা থাকে তাহলে তাপ ও ঠাণ্ডা থেকে বাচ্চাগুলোকে রক্ষা করেই তারপর বাচ্চাগুলো পরিবহণ করতে হবে।

ব্রয়লারের বাচ্চা পরিবহণ করার সময় সকল প্রকার ধকল থেকে বাচ্চাগুলোকে রক্ষা করার জন্য প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

এগ্রিভিউ/এসএমএ

প্রকাশ : ডিসেম্বর ২১, ২০২২ ৯:৪৫ পূর্বাহ্ন
ব্রয়লার খামারে লাভের মুখ দেখার কৌশল
পোলট্রি

আমাদের দেশে পোল্ট্রি খামার করে সহজেই লাভবান হওয়া যায়। পোল্ট্রি খামার করে অনেকেই তাদের বেকারত্ব দূর করে স্বাবলম্বী হচ্ছেন।পোল্ট্রি খামার করে অনেকেই আবার লোকসানের সম্মুখীন হয়ে থাকেন। তবে কিছু কৌশল জানা থাকলে লস কাটিয়ে,লাভের মুখ দেখা সম্ভব।

পোলট্রি খামার লাভজনক করার কৌশল:

খুব ভালো জৈব নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা। সঠিক উপায়ে খামার ব্যবস্থাপনা করা।

খামারে দক্ষ জনবল রাখা। খামারে স্বাস্থ্যকর পরিবেশ বজায় রাখা। সঠিক সময়ে খামারে খাদ্য সরবরাহ করা।

খামারে সময়মত এন্টিবায়োটিকের ব্যবহার করা। খামারে সঠিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করা। পোল্ট্রি খামারকে রোগমুক্ত এবং উৎপাদনশীল রাখতে মুরগি পালনের।

খামারে উল্লেখিত কৌশল প্রয়োগ করা জরুরী। আমরা যদি মুরগি পালনে কিংবা মুরগির খামার স্থাপনে প্রথম কৌশল যথাযথভাবে প্রয়োগ করি তাহলে সেক্ষেত্রে উৎপাদন খরচ অনেক কম হবে এবং লাভ বেশি পাওয়া যাবে।

প্রকাশ : ডিসেম্বর ২০, ২০২২ ৯:৫৮ পূর্বাহ্ন
ব্রয়লারের দৈহিক ওজন বৃদ্ধিতে খামারিদের করণীয়
পোলট্রি

ব্রয়লারের দৈহিক ওজন বৃদ্ধিতে খামারিদের করণীয় যেসব কাজ রয়েছে সেগুলো ভালোভাবে জেনেই খামার শুরু করতে হবে। ব্রয়লার খামারগুলো আমাদের দেশে মাংসের চাহিদা পূরণে বিশেষ ভূমিকা পালন করছে। লাভের আশায় অনেকেই খামারে ব্রয়লার মুরগি পালন করছেন।

ব্রয়লারের দৈহিক ওজন বৃদ্ধিতে খামারিদের করণীয়:
ব্রয়লার খামারে বাচ্চা আনার আগ থেকে শুরু করে নিয়মিত খামার পরিষ্কার ও জীবাণুমুক্ত করতে হবে। এতে খামারে রোগের প্রকোপ কমে যাবে এবং মুরগির দৈহিক বৃদ্ধি দ্রুত হবে।যেখানে ব্রয়লার মুরগি পালন করা হবে সেখানে যাতে সব সময় আলো ও বাতাস চলাচল করতে পারে সেই ব্যবস্থা রাখতে হবে। তা না হলে খামারের মুরগি সহজেই রোগে আক্রান্ত হবে ও খামারি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।

ব্রয়লার মুরগির বাচ্চাকে শারীরিকভাবে সুস্থ থাকতে হবে। কোনভাবেই দুর্বল ও রোগা বাচ্চা খামারের জন্য নির্বাচন করা যাবে না। ব্রুডিং এ তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ রাখতে হবে এবং দুই ব্যাচের মধ্যে ১৫ দিন বিরতি দিতে হবে। ব্রুডিং এর সময় তাপমাত্রা যাতে খুব কম বা বেশি না হয় সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

ব্রয়লার খামারের লিটার সবসময় শুকনো রাখতে হবে। খামারের লিটার ভালো হলে মুরগি ভালো থাকবে। এজন্য নিয়মিত মুরগির লিটার পর্যবেক্ষণ করতে হবে। প্রয়োজন হলে লিটার পরিবর্তন করে নতুন লিটার দিতে হবে। ব্রয়লার মুরগিকে যথাসময়ে ভ্যাকসিন প্রয়োগ করতে হবে। যে কোনো ঔষধ ব্যবহারকালে সেই ওষুধের মেয়াদ আছে কিনা তা ভালোভাবে দেখে নিতে হবে। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop