১০:৩৪ অপরাহ্ন

সোমবার, ২০ মে , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : অক্টোবর ২২, ২০২১ ১১:৪৩ পূর্বাহ্ন
মাংসের বাজারে মিলবে উটপাখিও!
পোলট্রি

গরু, খাসি ও মুরগির মাংসের মতো এবার বাজারে মিলবে উটপাখির মাংসও। এ বিষয়ে গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছে ঢাকার সাভারের বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএলআরআইএ)। প্রাণিবিজ্ঞানীরা বলছেন, গবেষণার মাধ্যমে বাণিজ্যিক খামারে উটপাখি পালনে সম্ভাবনাময় ও ইতিবাচক ফলাফল পাওয়া গেছে। এখন মাঠ পর্যায়ে উটপাখি পালন সম্প্রসারণের অপেক্ষা। ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকেও হালাল উটপাখির মাংস। এ কারণে আমিষের চাহিদা পূরণে এ পাখি পালন সারা দেশে ছড়িয়ে দিতে চান তারা।

ইনস্টিটিউটের কর্মকর্তারা জানান, বছরখানেক আগে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে কিছু উটপাখি আনে বিএলআরআইএ। পরে এখানে প্রাথমিকভাবে পালন শুরু হয়।

তারা বলছেন, উটপাখির অবাধ প্রজনন, ডিম ফোটানো থেকে শুরু করে খাবার, লালন-পালন এবং এর মাংসের গুণাগুণ নিয়ে সবই ইতিবাচক ফলাফল পাওয়া গেছে। পাখিগুলো দেশের বিভিন্ন খামারিদের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন তারা।

বিএলআরআইয়ের এ প্রকল্প পরিচালক ও প্রধান বৈজ্ঞানিক ড. মো. সাজেদুল করিম সরকারজানান, এ পাখির মাংস বেশ সুস্বাদু। স্বাদ অনেকটা মুরগির মাংসের মতোই। তবে মুরগির মাংসের চেয়ে উটপাখির মাংসে কোলেস্টেরলের পরিমাণ অনেক কম। তাই এর মাংসের কদরও বেশ।এতদিন অনেকেই সৌন্দর্যবর্ধন ও শখে উটপাখি পালন করেছেন। তবে অনেকে জানতেনই না যে উটপাখির মাংস শতভাগ হালাল। এর লালন-পালন সহজলভ্য এবং এর মাংসকে জনপ্রিয় করার জন্য আমরা কাজ করছি। গুণাগুণ বিচারে উটপাখির মাংসের তুলনা হয় না।

পাখিদের মধ্যে সবচেয়ে বড় উটপাখি। তবে এরা উড়তে পারে না। এদের উচ্চতা হয় সাত থেকে আট ফুট পর্যন্ত। ওজন ১৫০ থেকে ১৮০ কেজি পর্যন্ত হতে পারে। উচ্চতার মতোই বড় উটপাখির ডিমও। একেকটি ডিমের গড় ওজন প্রায় দেড় কেজি।

বছরে একেকটি পাখি ডিম দেয় প্রায় ১০০টির মতো। মরুভূমির এ পাখি তৃণভোজী অর্থাৎ শুধু ঘাস ও লতাপাতা খেয়ে বেঁচে থাকে। ফলে চাষির পকেটের জন্যও হুমকি হবে না এ পাখি।

বিএলআরআইয়ের মহাপরিচালক ড. আব্দুল জলিল জানান, বাংলাদেশে উটপাখির মাংসের চাহিদা রয়েছে। একটা সময় মানুষ ব্রয়লার মুরগি খেতে চাইতো না। এখন ব্রয়লার মুরগি দিয়েই আমিষের চাহিদা পূরণ হচ্ছে। তেমনিভাবে অদূর ভবিষ্যতে দেশে আমিষের চাহিদা পূরণে বেশ ভূমিকা রাখবে উটপাখির মাংস।

প্রকাশ : অক্টোবর ৭, ২০২১ ১১:৫০ পূর্বাহ্ন
ব্রয়লারের ওজন বাড়াতে খামারিদের করণীয়
পোলট্রি

দেশে মাংসের চাহিদা পূরণে ব্রয়লারের ভূমিকা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এটি একদিকে যেমন মাংসের চাহিদা পূরণ করছে অন্যদিকে কমাচ্ছে বেকারত্ব।অনেকেই এখন খামার করে হয়েছেন স্বাবলম্বী। তবে এই মুরগির ওজন যত বেশি হয় তত তার চাহিদা থাকে বেশি। তাই ব্রয়লারের ওজন বাড়াতে খামারিদের জানতে হবে কিছু কৌশল।

ব্রয়লার মুরগির ওজন বাড়ানোর কিছু কৌশল:
খামার পরিষ্কার রাখা ব্রয়লারের ওজন বাড়ানোর প্রথম কৌশল।এতে খামারে রোগের প্রকোপ কমে যাবে এবং মুরগির দৈহিক বৃদ্ধি দ্রুত হবে। মুরগির খামারে বাচ্চা আসার ৪৫ মিনিট পূর্বে চিকগার্ডের ভেতরে প্রবা‌য়োটিক স্প্রে করে দিতে হবে। বাচ্চা ব্রুডারে ছাড়ার ৩০ মিনিট আগে পানির ড্রিকার দিয়ে দিতে হবে।

খামারে ব্রয়লার পালনের জন্য ১ দিনের বাচ্চার বয়স ৩৬ গ্রাম হতে হবে। বাচ্চা শারীরিকভাবে সুস্থ থাকতে হবে।ব্রয়লার খামারে যাতে সবসময়ই আলো প্রবেশ ও বায়ু চলাচল করতে পারে সেই ব্যবস্থা করতে হবে।

১৫ দিন বয়সের মধ্যে মুরগি গ্রাডিং শেষ করতে হবে। ১৮ দিন বয়সে গ্রথ আসার জন্য গুরের পানি খাওয়াতে হবে। ২০ দিন অতিবাহিত হলে মুরগি ফ্লাসিং করতে হবে। ২৫ দিন পর হইতে মাদি এবং ছোট মুরগি বিক্রি করতে হবে।ব্রুডিং এ তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ রাখতে হবে এবং দুই ব্যাচের মধ্যে ১৫ দিন বিরতি দিতে হবে। খামারের মুরগিগুলোকে যথাসময়ে ভ্যাকসিন প্রয়োগ করতে হবে। যে কোনো ঔষধ ব্যবহারকালে সেই ওষুধের মেয়াদ আছে কিনা তা ভালোভাবে দেখে নিতে হবে।

প্রকাশ : সেপ্টেম্বর ১, ২০২১ ৩:০৮ অপরাহ্ন
খামারে লাভজনক করতে হলে যা জানা জরুরী
পোলট্রি

আমাদের দেশে মাংসের চাহিদা পূরণে ব্রয়লার মুরগি বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। ব্রয়লার খামার লাভজনক করতে অতীব জরুরী বিষয়সমূহ কি কি রয়েছে সেগুলো খামারিদের ভালোভাবে জানতে হবে।

ব্রয়লার খামার লাভজনক করতে অতীব জরুরী বিষয়সমূহ:
দুই ফ্লকের মাঝে কমপক্ষে ১৪ দিনের বিরতি দেয়া । সম্পূর্ন ক্লিনিং এর পর কমপক্ষে ৩ দিন বিরতি দিয়ে পরবর্তী ফ্লক তোলা ।

পুরাতন ব্যাচের বর্জ্য যথাযথভাবে সরিয়ে খুব ভালভাবে শেড ক্লিনিং করে অতঃপর পরবর্তী ব্যাচের বাচ্চা উত্তোলন ।একই ফার্মে বিভিন্ন বয়সের মুরগি পালন না করা । সঠিক পন্থায় ব্রুডিং করা – পর্যাপ্ত তাপ, বায়ু চলাচল, ফিড, পানি, জায়গা, ইত্যাদি প্রদান ।

একটি ব্রুডারে বা গার্ডে; ইলেকট্রিক ব্রুডারের ক্ষেত্রে ২৫০-৩০০ মুরগির বেশি পালন করা উচিত নয় । গ্যাস ব্রুডারে (কোম্পানী অনুযায়ী) প্রতি গার্ডে ৫০০-১০০০ মুরগি পালন করা যেতে পারে ।

শেডে বাচ্চা তোলার ৪-৫ ঘন্টা পর সকল বাচ্চা পর্যাপ্ত ফিড ও পানি গ্রহন করেছে কিনা তার জন্য খাবার থলি (ক্রপ) চেক করুন; এটাই বাচ্চার ভবিষ্যত নির্ধারন করবে । কোনভাবেই মুরগি বা মুরগির বাচ্চা যেন পানিশূন্যতায় বা ডিহাইড্রেশনে না ভোগে সেদিকে লক্ষ্য রাখুন । ওভার হিটিং বা অতিরিক্ত তাপ প্রদানের কারনে এবং পর্যাপ্ত পানির সরবরাহ না থাকলে মুরগি ও বাচ্চার পানিশূন্যতা বা ডিহাইড্রেশন সমস্যা হয় । এতে মুরগি পর্যাপ্ত খাবার গ্রহন করে না; ছোট-বড় হয়, কাংখিত দৈহিক ওজন পাওয়া যায় না ।

আবহাওয়া অনুযায়ী প্রতি ১-৩ দিন পর পর একটু একটু করে মুরগির জায়গা বাড়াতে হবে যেন তাপ, খাদ্য, পানি গ্রহন, চলাচল এবং বিশ্রামের জন্য মুরগি পর্যাপ্ত জায়গা পায় ।

মুরগির ঘরের পর্দা অবশ্যই সবসময় নিচে আটকানো থাকবে । পর্দা নিচ হতে উপর দিকে উঠা-নামা করবে। মনে রাখতে হবে মুরগির জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন হল বাতাস চলাচল বা ভেন্টিলেশন ।সম্পূর্ন পালক না হওয়া পর্যন্ত এবং অত্যাধিক গরমের সময় ছাড়া অন্যান্য সময় মুরগির গায়ে সরাসরি বাতাস দেয়া যাবে না ।

৩-৫ দিন বয়স হতে অপেক্ষাকৃত হালকা বা দুর্বল বাচ্চাগুলোকে আলাদা করা । ৭-৮ দিন বয়স হতে সম্পুর্নভাবে ছোট-বড় মুরগি বাছাই বা গ্রেডিং শুরু করা ।মুরগির শেডে অবশ্যই ছোট-মাঝারি-বড় ৩ টি গ্রেডে মুরগি পালন করা ।সর্বদা বিশুদ্ধ পানি ও সুষম খাবার সরবরাহ করুন ।

ব্রুডিং চলাকালীন সময়ে খাবার পাত্র কখনও খালি রাখা যাবে না; খাদ্যের অপচয় রোধে পাত্রের ১/৩ অংশে খাবার প্রদান করুন ।

প্রথম ৭ দিন সপ্তাহে ২ বার এবং ৮ দিন বয়স হতে প্রতিদিন একবার(১) সম্পূর্ন খাবার শেষ হবার পর খাবার পাত্র ঝেড়ে ও পরিষ্কার করে নতুন খাবার দিন । ড্রিংকার মুরগির গলা বরাবর এবং ফিডার মুরগির পিঠ বরাবর উচ্চতায় রাখুন যেন মুরগি স্বাচ্ছ্যন্দে পানি ও খাবার খেতে পারে ।

বড় মুরগির ক্ষেত্রে প্রতি ৪ ফুটের মাঝে অবশ্যই ফিডার ও ড্রিংকার থাকতে হবে ।অতিরিক্ত গরমের সময় দুপুরে ২-৩ ঘন্টা খাবার সরবরাহ বন্ধ রেখে অতিরিক্ত ড্রিংকারে ঘন ঘন পানি দিতে হবে । গরম বেশি পরলে দুপুরে খাবার বন্ধ করার সময় ধীরে ধীরে বাড়ানো যাবে ।

প্রতিদিন ১-২ বার ভালভাবে লিটার নাড়িয়ে দিয়ে লিটারের যত্ন নিন । এসময় খাবার ও পানির পাত্র যেন নোংরা না হয় সেদিকে খেয়াল রাখুন । লিটার নাড়ানোর সময় ঘরের পর্দা কিছুটা নামিয়ে দিয়ে বাতাস চলাচল বৃদ্ধি করা উচিত যেন ধুলাবালির কারনে মুরগির শ্বাস কষ্ট না হয় । খামারে প্রবেশের পূর্বে হাত-পা সাবান দিয়ে ধুয়ে অতঃপর জীবাণুনাশক স্প্রে করুন ।

প্রকাশ : জুলাই ১৬, ২০২১ ৪:৩৮ অপরাহ্ন
ব্রয়লারের দাম কমলেও চড়া মাছ সবজির দাম!
পাঁচমিশালি

করোনা সংক্রমণ বাড়ছে হু হু করে। চলছে কঠোর বিধিনিষেধ। বন্ধ হয়ে আছে সবার আয় রোজগার। বিপাকে আছে নিম্ন আয়ের মানুষ। এমন সংকটময় সময়েও কমেনি নিত্যপণ্যের দাম। বেড়েছে আরও চাল, মাছসহ বিভিন্ন নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম। 

শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে দেখো যায়, নতুন করে দাম না বাড়লেও গত সপ্তাহের মতো এ সপ্তাহেও চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের সবজি। সেই সঙ্গে সাগরে মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞার প্রভাব পড়তে শুরু করেছে বাজারে। বছরের এই সময়ে এসেও বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে মাছ।

জানা যায়, প্রতি কেজি বেগুন (লম্বা) ৬০ টাকা, গোল বেগুন ৮০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, টমেটো ৮০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা। এসব বাজারে আলুর দাম ৫ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা কেজি। পেঁয়াজের দাম কমে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকা। চাল কুমড়া পিস ৪০ থেকে ৫০ টাকা, প্রতি পিস লাউ আকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়, মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৪০ টাকা, চিচিঙ্গা ৪০ টাকা, পটল ৪০ টাকা, ঢেঁড়স ৪০ টাকা, লতি ৬০ টাকা, ধুন্দুল ৫০ টাকা, কচুর গাট ৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্চে ৪০ টাকা কেজি। কাঁচা কলার হালি বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকায়। পেঁপে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা। শসার দাম বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। কাকরোল প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা, লেবুর হালি ১০ থেকে ১৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া রসুনের কেজি ৮০ থেকে ১৩০ টাকা, আদার দাম ২০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা। হলুদ ১৬০ টাকা থেকে ২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

মাছ বাজারে দেখা যায়, তেলাপিয়া মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা, রুই মাছ ২৩০ থেকে ২৮০ টাকা, মৃগেল ২০০ থেকে ২৫০ টাকা, চিংড়ি ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা, পাবদা ৪০০-৫০০ টাকা এবং রূপচাঁদা মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০০ থেকে ৮৫০ টাকা।

মাংসের বাজারে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, ১০ থেকে ২০ টাকা কমে ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৪০ টাকায়। লেয়ার মুরগি ২৩০-২৪০ টাকা আর সোনালি মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২৩০ টাকা।

মুরগির পাশাপাশি দাম অপরিবর্তিত রয়েছে গরু ও খাসির মাংসের। গরুর মাংসের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫৮০ থেকে ৬০০ টাকা। আর খাসির মাংসের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা।

বাজারে প্রতি কেজি চালে দাম বেড়েছে ২ থেকে ৩ টাকা। দাম বেড়ে বিআর-২৮ চাল বিক্রি হচ্ছে ৫২ থেকে ৫৩ টাকা, মিনিকেট ৬২ থেকে ৬৪ টাকা, পাইজাম প্রতি কেজি ৫০ টাকা, নাজিরশাইল বিক্রি হচ্ছে ৬৬ থেকে ৭০ টাকা। তবে পোলাওয়ের চাল আগের দামেই ৯০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

প্রকাশ : জুলাই ৬, ২০২১ ১১:২৯ পূর্বাহ্ন
অধিক ডিম ও মাংস উৎপাদনে দেশী মুরগি পালন করবেন যেভাবে
পোলট্রি

বাংলাদেশের গ্রাম এলাকায় প্রায় প্রতিটি পরিবার দেশী মুরগি পালন করে থাকে। এদের উৎপাদন ক্ষমতা বিদেশী মুরগির চেয়ে কম। উৎপাদন ব্যয়ও অতি নগণ্য। এটি অধিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পন্ন। এদের মাংস ও ডিমের মূল্য বিদেশী মুরগীর তুলনায় দ্বিগুণ, এর চাহিদাও খুবই বেশী। দেশী মুরগির মৃত্যুহার বাচ্চা বয়সে অধিক এবং অপুষ্টিজনিত কারনে উৎপাদন আশানুরূপ নয়। বাচ্চা বয়সে দেশী মোরগ-মুরগির মৃত্যুহার কমিয়ে এনে সম্পূরক খাদ্যের ব্যবস্থা করলে দেশী মুরগি থেকে অধিক ডিম ও মাংস উৎপাদন করা সম্ভব।

উল্লেখিত অবস্থার আলোকে বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট দেশী মুরগি উৎপাদনে উন্নত কৌশল শীর্ষক প্রযুক্তিটি উদ্ভাবন করেছে। এ কৌশল ব্যবহার করে খামারিরা দেশী মুরগি থেকে অধিক ডিম ও মাংস উৎপাদন করে পারিবারিক পুষ্টি ও আয় বৃদ্ধি করতে সক্ষম হবে।

উদ্দেশ্য:
সম্পুরক খাদ্য, রানীক্ষেত ও বসন্তের প্রতিষেধক প্রদান করে এবং বন্য জন্তুর কবল থেকে মুক্ত রেখে দেশী মুরগি, বিশেষ করে ছোট বাচ্চার মৃত্যুর হার কমিয়ে আনা যায়।
দেশী মুরগির দৈহিক ওজন ও ডিম উৎপাদন বৃদ্ধি করা।

প্রযুক্তি ব্যবহারের পদ্ধতি:
প্রযুক্তিটি গ্রামীণ পর্যায়ে সকল গৃহস্থ পরিবারই ব্যবহার করতে পারবেন। খামারের আকার অনুযায়ী প্রত্যেক খামারীর জন্য মোরগ-মুরগির সংখ্যা

নিম্নে দেওয়া হলো-
খামারের আকার আবাদী জমির পরিমাণ (শতাংশ) মোরগ/মুরগি
ছোট ৫০ শতাংশ ১টি মোরগ ও ৩টি মুরগি
মাঝারী ও বড় ৫০ ও তার অধিক ১টি মোরগ ও ৬টি মুরগি

দেশীয় পদ্ধতিতে দেশি মোরগ পালন:
অনেকেই জানতে চেয়ে ছিলেন যে সল্প মূলধন দিয়ে কি ব্যবসা করা যায়। তাদের জন্য দেশি মোরগ হতে পারে একটি সময়পযোগি ব্যবসা। সল্প জায়গায় অল্প টাকা বিনিয়োগ করে সল্প সময়ে অধিক আয় করা যায়। বসত বাড়িতে মুরগি চাষ হচ্ছে একটি সহজ এবং লাভজনক কাজ। বাড়ির গৃহিণীরা খামার স্থাপন ও পরিচালনা করতে পারে। একটি মোরগ একটি মুরগির তুলনায় দ্রুত বাড়ে আর বাজারে দেশি মোরগের প্রচুর চাহিদা থাকায় মোরগ বিক্রি করতে তেমন বেগ পেতে হয়না এবং বাজারে ভাল দাম ও পাওয়া যায়।

দেশি মোরগ আবদ্ধ ও ছেড়ে পালন করা যায়। তবে ছেড়ে পালন করলে বেশি লাভবান হওয়া যায় কারন মোরগ নিজের খাদ্য নিজে কুড়িয়ে খায়।এরা মুক্ত আলো বাতাস বিশেষ করে প্রচুর সূর্য কিরণে বেড়ে উঠে যা তাদের শরীরে ভিটামিন ‘ডি’ তৈরি করতে সাহায্য করে। এদের খাবারের জন্য তেমন কোন খরচ করতে হয় না।

মোরগ নির্বাচনঃ- দেশি মোরগ বা মুরগির বাচ্চা উৎপাদনের জন্য তেমন কোন হ্যাচারি গড়ে ওঠেনি তাই নিজেকে ই দেখে শুনে সুস্থ সবল ও নিরোগ মোরগ সংগ্রহ করতে হবে। মূলত ৪০০-৬০০ গ্রামের মোরগ দিয়ে শুরু করলে ভাল ফলাফল আশা করা যায়। কারন ঐ সময়ের পর মোরগ গুলো দ্রুত বাড়ে এবং সঠিক ব্যবস্থাপনা ও পরিচর্যা পেলে ২ মাস পর মোরগ গুলোর গড় ওজন ২ কেজির উপর হবে। প্রতি কিলো দেশি মোরগের মূল্য কেমন আছে সেটা নাই বা বললাম। আপনারা নিজেরা লাভ-ক্ষতি বের করে নিন।

মুরগির ঘর তৈরির নিয়মঃ- মোরগের জন্য খোলামেলা ঘর হতে হবে। ১.৫ মিটার (৫ ফুট) লম্বা X১.২ মিটার (৪ ফুট) চওড়া এবং ১ মিটার (৩.৫ ফুট) উঁচু ঘর তৈরি করতে হবে। ঘরের বেড়া বাঁশের তরজা বা কাঠের তক্তা দিয়ে তৈরি করতে হবে। এছাড়া মাটির দেয়ালও তৈরি করা যাবে। বেড়া বা দেওয়ালে আলো বাতাস চলাচলের জন্য ছিদ্র থাকতে হবে। ঘরের চাল খড়, টিন বা বাঁশের তরজার সাথে পলিথিন ব্যবহার করে তৈরি করা যাবে। এরকম ঘরে ১০-১৫টি মোরগ পালন করা যায়।

খাবারঃ- বাড়ির প্রতিদিনের বাড়তি বা বাসী খাদ্য যেমন ফেলে দেওয়া এঁটোভাত, তরকারি,
ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা গম, ধান, পোকামাকড়, শাক সবজির ফেলে দেওয়া অংশ, ঘাস, লাতা পাতা, কাঁকর, পাথর কুচি ইত্যাদি মুরগি কুড়িয়ে খায়।

পরিচর্যাঃ- ছেড়ে পালন পদ্ধতিতে মুরগি পরিচর্যার জন্য সময় বা লোকজনের তেমন দরকার পড়ে না। তারপরও কিছু বিষয় লক্ষ্য রাখতে হয়। সকালে মুরগির ঘর খুলে কিছু খাবার দিতে হবে। সন্ধ্যায় মুরগি ঘরে ওঠার আগে আবার কিছু খাবার দিতে হবে। ঘরে উঠলে দরজা বন্ধ করে দিতে হবে।মুরগির পায়খানা ঘরের মেঝেতে যেন লেপ্টে না যায় সেজন্য ঘরের মেঝেতে ধানের তুষ, করাতের গুঁড়া ২.৫ সে.মি. (১ ইঞ্চি) পুরু করে বিছাতে হবে। পায়খানা জমতে জমতে শক্ত জমাট বেঁধে গেলে বারবার তা উলট-পালট করে দিতে হবে এবং কিছুদিন পর পর পরিষ্কার করতে হবে। এ পদ্ধতিতে দেশি মোরগ পালন করা গেলে প্রায় তেমন কোন খরচ ছাড়াই ভাল একটা মুনাফা পাওয়া যাবে।

দেশি মুরগি পালনে যত্ন নিতে হবে:
সাকুল্যে ৫-১০টি মুরগি। বাড়ির আশপাশে চরে বেড়িয়ে বাড়ির উচ্ছিষ্ট খাবার, পোকামাকড়, কেঁচো, কচি ঘাসপাতা খায় তারা। সে অর্থে প্রতিপালনের কোনও খরচ নেই বললে চলে। আপাতদৃষ্টিতে লাভজনক মনে হলেও আসলে অতটা লাভ হয় না। ছাড়া মুরগি অন্যত্র ডিম পেড়ে আসে, কখনও রোগে মারা যায়। তাই দেশি মুরগির পালন লাভজনক করতে হলে কিছু নিয়ন্ত্রণ থাকা দরকার, সে জাত নির্বাচনেই হোক বা রোগ পরিচর্যায়।

প্রথমে আসি মুরগির জাতে। ব্রয়লার খামারের হাইব্রিড মুরগি উঠোনে ছেড়ে পালন করা যায় না। তাই খাঁটি জাতগুলোকে বাছতে হবে। যেমন, রোড আইল্যান্ড রেড (আরআইআর) বা ব্ল্যাক অস্ট্রালর্প। রঘুনাথপুর, বালুরঘাটের রাজ্য মুরগি খামারে লাল বা আরআইআর এবং কালো বা ব্ল্যাক অস্ট্রালর্প মুরগির বাচ্চা পাওয়া যায়। ইদানীং কালে বনরাজা, গিরিরাজা, গ্রামরপ্রিয়া ইত্যাদি জাত কৃত্রিম ভাবে তৈরি করা হয়েছে।

মুরগি রাতে রাখার জন্য ঘর বানাতে হবে। মাটি থেকে সামান্য উপরে বাঁশ বা কাঠ দিয়ে কম খরচে খড় বা টালি ঢেকে তৈরি ঘরগুলো যেন শুকনো, পরিষ্কার হয়। আর আলো-বাতাস খেলে। প্রতিটি পাখির জন্য গড়ে তিন বর্গফুট জায়গা ধরতে হবে।

দেশি মুরগি চরে বেড়িয়ে তার খাবার সংগ্রহ করে নিলেও এ ধরনের উন্নত জাতের মুরগির পুরো উৎপাদন ক্ষমতা কাজে লাগাতে অল্প পরিমাণে সুষম খাবার দেওয়া প্রয়োজন। চালের গুঁড়ো (৩০০ গ্রাম), খুদ বা গম ভাঙা (২৮০ গ্রাম), সর্ষে/ তিল খোল ( ২০০ গ্রাম), মাছ বা সোয়াবিন গুঁড়ো (২০০ গ্রাম), ভিটামিন ও খনিজ লবণ মিশ্রণ যেমন সাপ্লিভিট এম (২০ গ্রাম) মিশিয়ে মুরগির সংখ্যা অনুযায়ী মাথা পিছু ৫০-৭০ গ্রাম হিসাবে অর্ধেক সকালে ও অর্ধেক বিকালে খেতে দিতে হবে। রাতে মুরগি রাখার যে ঘর আছে, সেখানে নির্দিষ্ট পাত্রে জল ও খাবার দিতে হবে। যাতে সকালে ঘর থেকে বেরনো বা পরে ঘরে ঢোকার সময় ওই খাবার ও জল খাওয়া অভ্যাস তৈরি হয়। এই অভ্যাস থাকলে ওষুধ গুলে খাওয়াতে সুবিধা হয়। মুরগির খাবার সবসময় শুকনো ও পরিষ্কার রাখতে হবে। বেশি দিন জমা রাখলে ছত্রাক সংক্রমণ ঘটে।

সংকরায়ণ পদ্ধতিতে দেশি মুরগির সঙ্গে উন্নত মোরগ রেখে প্রাকৃতিক প্রজনন ঘটিয়ে দেশি মুরগির জিনগত উৎকর্ষতা বাড়ানো যায়। প্রতি ১০টি দেশি মুরগি পিছু ১টি উন্নত জাতের মোরগ রাখতে হবে। যে সংকর মুরগি জন্মাবে, তা দেশি মুরগির চেয়ে দ্রুত (৪-৫ মাস বয়সে) এবং প্রায় দ্বিগুণ (বছরে ১২০-১৪০টি) ডিম দেবে।

রোগব্যাধি মুরগি পালনের অন্যতম সমস্যা। তাই নিয়মিত মুরগির ঘর চুন বা জীবাণুনাশক দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে। প্রতি মাসে একবার করে কৃমিনাশক ওষুধ (পাইপেরাজিন তরল বয়স অনুযায়ী ০.৫-১ মিলি) জলে গুলে খাওয়াতে হবে। রানিক্ষেত বা বসন্তের মতো কয়েকটি সংক্রামক রোগ প্রতিরোধে নিয়মিত টিকাকরণ জরুরি। টিকা দেওয়ার দশ দিন আগে কৃমির ওষুধ খাওয়াতে হবে। টিকাকরণ বিশেষত রানিক্ষেত টিকা ৭-১০ দিন বয়সে নাকে বা চোখে এক ফোঁটা, ৩০ দিন বয়সে আর এক বার, ২ মাস বয়সে প্রথম কৃমির ওষুধ এবং আড়াই মাস বয়সে ডানার তলায় ০.৫ মিলি ইঞ্জেকশন অবশ্যই নিতে হবে। ঝিমুনি, সর্দি, শ্বাসকষ্ট, পাতলা বা রক্ত পায়খানা নজরে এলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যাকট্রিম ডিএস বা সেপম্যাক্স (১টি বড়ি ১০টি বড় বা ২০টি বাচ্চা মুরগির জন্য) খাবারে বা জলে গুলে ড্রপারে করে খাইয়ে দিতে হবে (৩/৫/৭ দিন)।

দেশী মুরগি বাণিজ্যিকভাবে পালন:
দেশী মুরগি বানিজ্যিকভাবে পালন কৌশল আয় বৃদ্ধি ও পারিবারিক পুষ্টির নিশ্চয়তা বিধানে দেশী মুরগী প্রতিপালন বিশেষ অবদান রাখতে পারে । আমরা সবাই বলে থাকি দেশী মুরগির উৎপাদন কম । কিন্তু বিভিন্ন পর্যায়ে বিশেষ লক্ষ্য এবং ব্যবস্থা গ্রহণ করে দেশী মুরগীর উৎপাদন দ্বিগুনের ও বেশী পাওয়া সম্ভব। দেশী মুরগি থেকে লাভ জনক উৎপাদন পওয়ায় বিভিন্ন কৌশল এখানে বর্ননা করা হয়েছে।

গবেষণায় দেখা গেছে দেশী মুরগির ডিম উৎপাদন বৃদ্ধি করে বাজারে বিক্রি করার চেয়ে ডিম ফুটিয়ে বাচ্চা তৈরী করে ৮-১২ সপ্তাহ বয়সে বিক্রি করলে লাভ বেশী হয়। এক সংঙ্গে ১০-১২ টি মুরগি নিয়ে পালন শূরু করতে হবে। তবে কখনও ১৫-১৬ টির বেশী নেওয়া ঠিক না । তাতে অনেক অসুবিধাই হয় । শুরুতে মুরগি গুলোকে কৃমি নাষক ঔষধ খাওয়ানোর পরে রানীক্ষেত রোগের টীকা দিতে হবে। মুরগির গায়ে উকুন থাকলে তাও মেরে নিতে হবে। প্রতিটি মুরগিকে দিনে ৫০-৬০ গ্রাম হারে সুষম খাদ্য দিতে হবে। আজকাল বাজারে লেয়ার মুরগির সুষম খাদ্য পাওয়া যায় । তা ছাড়া আধা আবদ্ধ এ পদ্ধতিতে পালন করলে লাভ বেশী হয়।

মুরগির সাথে অবশ্যই একটি বড় আকারের মোরগ থাকতে হবে। তা না হলে ডিম ফুটানো যাবে না । ডিম পাড়া শেষ হলে মুরগি উমে আসবে । তখন ডিম দিয়ে বাচ্চা ফুটানোর ব্যবস্থা নিতে হয়।এক সঙ্গে একটি মুরগির নীচে ১২-১৪ টি ডিম বসানো যাবে। খামারের আদলে বাঁশ, কাঠ খড়, বিচলী তাল নারকেল সুপারির পাতা দিয়ে যত কম খরচে স্থানান্তর যোগ্য ঘর তৈরী করা সম্ভব তা করা যায়। ঘর তৈরীর সময় লক্ষ্য রাখতে হবে যেন সঠিক মাপের হয় এবং পর্যাপ্ত আলো বাতাস চলাচল করতে পারে । বানানোর পর ঘরটিকে বাড়ীর সব চেয়ে নিরিবিলি স্থানে রাখতে হবে । মাটির উপর ইট দিয়ে তার উপর বসাতে হবে। তাহলে ঘর বেশী দিন টিকবে ।

ফুটানোর ডিম সংগ্রহ ও সংরক্ষনঃ- আরেকটি প্রয়োজনীয় ̧গুরুত্বপূর্ন কাজ। ডিম পাড়ার পর ডিম সসংগ্রহের সময় পেন্সিল দিয়ে ডিমের গায়ে তারিখ লিখে ঠান্ডা জায়গায় সংরক্ষন করতে হবে। ডিম পাড়া শেষ হলেই মুরগি কুঁচো হবে। গরম কালে ৫-৬ দিন বয়সের ডিম এবং শীত কালে ১০-১২ দিন বয়সের ডিম ফুটানোর জন্য নির্বাচন করতে হবে।

দেশী মুরগি পালন কৌশলের বিশেষ নজর দেয়ার ধাপ সমূহ:
উমে বসানো মুরগির পরিচর্যা করতে হবে। মুরগির সামনে পাত্রে সবসময় খাবার ও পানি দিয়ে রাখতে হবে যাতে সে ইচ্ছে করলেই খেতে পারে । তাহলে মুরগির ওজন হ্রাস পাবেনা এতে বাচ্চা তোলার পর আবার তাড়াতাড়ি ডিম পাড়া আরম্ভ করবে।

ডিম বসানোর ৭-৮ দিন পর আলোতে রাতের বেলা ডিম পরীক্ষা করলে বাচ্চা হয় নাই এমন ডিম ̧লো চেনা যাবে এবং বের করে অনতে হবে। বাচ্চা হওয়া ডিম ̧লো সুন্দর করে সাজিয়ে দিতে হবে। তবে খেয়াল রাখতে হবে যেন মুরগি বিরক্ত না হয়।
প্রতিটি ডিমের গায়ে সমভাভে তাপ লাগার জন ̈ দিনে কমপেক্ষ ৫-৬ বার ওলট পালট করে দিতে হবে।
বাতাসের আর্দ্রতা কম হলে বিশেষ করে খুব গরম ও শীতের সময় ডিম উমে বসানোর ১৮- ২০দিন পর্যন্ত কুসুম গরম পানিতে হাতের আঙ্গুল ভিজিয়ে পানি স্প্রে করে দিতে হবে।
*ফোটার পর ৫-৬ ঘন্টা পর্যন্ত মাকে দিয়ে বাচ্চাকে উম দিতে হবে। তাতে বাচ্চা শুকিয়ে ঝরঝরে হবে।

বাচ্চা ফুটার পর বাচ্চার পরিচর্যা ও ডিম পাড়া মুরগির পরিচর্যা :- গরম কালে বাচ্চার বয়স ৩-৪ দিন এবং শীত কালে ১০-১২ দিন পর্যন্ত বাচ্চার সাথে মাকে থাকতে দিতে হবে। তখন মুরগি নিজেই বাচ্চাকে উম দিবে। এতে কৃত্রিম উমের (ব্রুডিং ) প্রয়োজন হবে না। এ সময় মা মুরগিকে খাবার দিতে হবে। মা মুরগির খাবারের সাথে বাচ্চার খাবার ও কিছূ আলাদা করে দিতে হবে।

বাচ্চা গুলো মায়ের সাথে খাবার খাওয়া শিখবে। উপরোক্ত বর্ণিত সময়ের পর মুরগিকে বাচ্চা থেকে আলাদা করতে হবে। এ অবস্থায় বাচ্চাকে কৃত্রিম ভাবে ব্রুডিং ও খাবার দিতে হবে। তখন থেকেই বাচ্চা পালনের মত বাচ্চা পালন পদ্ধতির সব কিছুই পালন করতে হবে। মা মুরগিকে আলাদা করে লেয়ার খাদ্য দিতে হবে। এ সময় মা মুরগিকে তাড়াতাড়ি সুস্থ হওয়ার জন্য পানিতে দ্রবনীয় ভিটামিন দিতে হবে।

মা মুরগি ও বাচ্চা এমনভাবে আলাদা করতে হবে যেন তারা দৃষ্টির বাহিরে থাকে। এমন কি বাচ্চার চিচি শব্দ যেন মা মুরগি শুনতে না পায় । তা না হলে মা ও বাচ্চার ডাকা ডাকিতে কেউ কোন খাবার বা পানি কিছুই খাবে না । আলাদা করার পর অবস্থার সাথে খাপ খাইয়ে গেলে আর কোন সমস্য থাকে না ।প্রতিটি মুরগিকে এ সময় ৮০-৯০ গ্রাম লেয়ার খাবার দিতে হবে। সাথে সাথে ৫-৭ ঘন্টা চড়ে বেড়াতে দিতে হবে। প্রতি ৩-৪ মাস পর পর কৃমির ঔষধ এবং ৪-৫ মাস পর পর আর. ডি. ভি . টীকা দিতে হবে।

দেশে একটি মুরগি ডিম পাড়ার জন্য ২০ -২৪দিন সময় নেয় । ডিম থেকে বাচ্চা ফুটানোর জন্য ২১ দিন সময় নেয় । বাচ্চা লালন পালন করে বড় করে তোলার জন্য ৯০-১১০ দিন সময় নেয় । ডিম থেকে এ ভাবে (৯০-১১০ দিন ) বাচ্চা বড় করা পর্যন্ত একটি দেশী মুরগির উৎপাদন চক্র শেষ করতে স্বাভাবিক অবস্থায় ১২০- ১৩০ দিন সময় লাগে।

কিন্তু মাকে বাচ্চা থেকে আলাদা করার ফলে এই উৎপাদন চক্র ৬০ -৬২ দিনের মধ্যে সমাপ্ত হয়। বাকি সময় মুরগিকে ডিম পাড়ার কাজে ব্যবহার করা যায় । এই পালন পদ্ধতিকে ক্রিপ ফিডিং বলে । * ক্রিপ ফিডিং পদ্ধতিতে বাচ্চা পালন করলে মুরগিকে বাচ্চা পালনে বেশী সময় ব্যায় করতে হয় না । ফলে ডিম পাড়ার জন্য মুরগি বেশী সময় দিতে পারে । এই পদ্ধতিতে বাচ্চা ফুটার সংখ্যা বেশী হয় । দেখা গেছে বাচ্চার মৃত্যুহারও অনেক কম থাকে। মোট কথা অনেক দিক দিয়েই লাভবান হওয়া যায় । এই পদ্ধতি বর্তমানে অনেকে ব্যবহার করে লাভবান হচ্ছেন।

প্রকাশ : জুন ১২, ২০২১ ১১:৪৩ অপরাহ্ন
মাংস আমদানি নয় রপ্তানীর পরিকল্পনা করছে সরকার
প্রাণিসম্পদ

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, এবারের বাজেটে দেশের বাহির থেকে আর মাংস না আনার প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়েছে। পরিকল্পনা রয়েছে দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে মাংস রপ্তানী করার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অঙ্গীকার এ দেশের একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না। তিনি বলেন, নদী ভাঙনের শিকার হয়ে যারা গৃহহারা হয়েছেন বর্তমান সরকার অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সে সব পরিবারকে পুনর্বাসন করছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হাজার হাজার ভ‚মিহীন ও দরিদ্র পরিবারকে ঘর উপহার দিচ্ছেন।

শনিবার সকালে উপজেলা প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী উপলক্ষে আয়োজিত সভায় এবং দুপুরে স্বরূপকাঠির ইন্দুরহাট সংলগ্ন সন্ধ্যা নদীর ভাঙন রোধে বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ফেলানো কাজের উদ্বোধন উপলক্ষে এক সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন। সভায় মন্ত্রী শিক্ষিত বেকার যুবকদের চাকুরীর পিছনে না ঘুরে উদ্যোক্তা হওয়ার পরামর্শ দেন। এক্ষেত্রে সরকারের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহায়তার আশ্বাস দেন।

এসময় মন্ত্রী আরও বলেন, বৈশ্বিক মহামারির মধ্যেও অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার লাখ লাখ দরিদ্র মানুষকে ত্রাণ সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, নদী ভাঙনের কারণে মানুষ জমিজমা হারাচ্ছে। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সজাগ দৃষ্টি রয়েছে বলেই নদী ভাঙন মোকাবেলায় প্রতি বছর শত শত কোটি টাকা ব্যয় করছেন।

সরকারি স্বরূপকাঠি পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাঠে অনুষ্ঠিত প্রদর্শনী মেলা উপলক্ষে সভায় সভাপতিত্ব করেন ইউএনও মো. মোশারেফ হোসেন বক্তব্য রাখেন বরিশাল বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ বিভাগের পরিচালক দীপক রঞ্জন, উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল হক, পৌর মেয়র গোলাম কবির, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা তাপশ ঘোষ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম ফুয়াদ ও উপজেলা পোল্ট্রি খামার মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন প্রমুখ। দুপুরে কৌরিখাড়ায় সুধি সমাবেশে পানি উন্নয়ন বোর্ডের পিরোজপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুবে মাওলা মো. মেহেদী হাসানের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ মো. শাহ আলম, পানি উন্নয়ন বোর্ডের বরিশালের তত্তাবধায়ক প্রকৌশলী মো. শফি উদ্দিন, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল হক, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মোশারেফ হোসেনে, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আব্দুল হামিদ প্রমুখ।

পরে মন্ত্রী বিকেলে মন্ত্রী উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে মুজিব বর্ষ ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্টের পুরস্কার বিতরণ ও জেলেদের মাঝে গবাদী পশু বিতরণ করেন।

প্রকাশ : মে ৩, ২০২১ ৭:৫৯ অপরাহ্ন
করোনায় প্রাণিজ আমিষ নিশ্চিতে কাজ করছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়
প্রাণিসম্পদ

চলমান করোনা সংকট পরিস্থিতিতে জনগণের পুষ্টি চাহিদা পূরণ ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য ভোক্তা পর্যায়ে প্রাণিজ আমিষ সরবরাহ অত্যন্ত জরুরি। এটি বিবেচনায় রেখে করোনা পরিস্থিতিতে সরকার ঘোষিত বিধি-নিষেধ চলাকালেও মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের উৎপাদন, পরিবহণ, সরবরাহ ও বিপণন অব্যাহত রাখতে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় ও আওতাধীন দপ্তরের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারিরা দপ্তরে ও কর্মস্থলে সার্বক্ষণিক উপস্থিত থেকে কার্যক্রম পরিচালনা করছেন।

করোনা পরিস্থিতিতেও মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় ও মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন মৎস্য অধিদপ্তর ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের উদ্যোগে হাঁস-মুরগি (লাইভ), গবাদিপশু, মাছের পোনা, মাছ, মাংস, দুধ, ডিম, প্রাণিজাত পণ্য, মৎস্য ও পশু খাদ্যসহ এ ধরণের খাদ্য উৎপাদনে ব্যবহৃত উপকরণ, কৃত্রিম প্রজনন এবং পশু চিকিৎসায় ব্যবহৃত ঔষধ-সরঞ্জামাদি অবাধ উৎপাদন, পরিবহণ ও সরবরাহ এবং বিপণন অব্যাহত রাখা হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় মৎস্য অধিদপ্তর ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে ন্যায্যমূল্যে মাছ, মাংস, দুধ, ডিম ও দুগ্ধজাত পণ্যের ভ্রাম্যমান বিক্রয় কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছেন। এতে একদিকে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের খামারিরা যেমন ন্যায্যমূল্যে উৎপাদিত পণ্য সহজে বিপণন করতে পারছেন, অন্যদিকে ভোক্তারা চলমান বিধি-নিষেধের মধ্যেও চাহিদা অনুযায়ী মাছ, মাংস, দুধ, ডিম ও দুগ্ধজাত পণ্য সহজে ক্রয় করে তাদের প্রাণিজ আমিষের চাহিদা পূরণ করতে পারছেন।

করোনায় চলমান বিধি-নিষেধের মধ্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের উৎপাদন, পরিবহণ, সরবরাহ ও বিপণনজনিত উদ্ভুত সমস্যা সমাধান ও সারাদেশে ভ্রাম্যমাণ বিক্রয় কার্যক্রম সমন্বয়ের জন্য মৎস্য অধিদপ্তরে একটি ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরে আরেকটি কন্ট্রোল রুম কাজ করেছে। কন্ট্রোল রুম থেকে প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী গতকাল ০২ মে দেশের ৬৪টি জেলায় ৭২০ টি ভ্রাম্যমাণ বিক্রয় কেন্দ্র পরিচালনা করে ১ লক্ষ ১৯ হাজার ৫৬৮ লিটার দুধ, ৮ লক্ষ ৪৮ হাজার ৮০১ টি ডিম, ৫ হাজার ৯৩৪ কেজি গরুর মাংস, ১ হাজার ১৪০ কেজি খাসির মাংস, ৭৫ হাজার ৭২৬ কেজি মুরগি এবং ১৬১ মে. টন মাছ এবং অন্যান্য দুগ্ধজাত পণ্য বিক্রয় করা হয়েছে। যার আর্থিক মূল্য ৫ কোটি ৩০ লক্ষ টাকা।

করোনা পরিস্থিতিতে সারাদেশে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের উৎপাদন, পরিবহণ, সরবরাহ ও বিপণন সংক্রান্ত কার্যক্রম নিয়মিত তদারকী ও বিভিন্ন দিক-নির্দেশনা প্রদান করছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব রওনক মাহমুদ। এছাড়াও মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাগণ বিভিন্ন জেলায় সার্বক্ষণিক মাঠ পর্যায়ের কার্যক্রম মনিটরিং করছেন।

প্রকাশ : এপ্রিল ২৪, ২০২১ ১১:৫৩ অপরাহ্ন
গর্ভবতী গাভী জবাই নিয়ে যা বললেন মাংস ব্যবসায়ী
প্রাণিসম্পদ

প্রাচীনতম এ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের সুনাম নষ্ট করতে মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছেন নানা অভিযোগে দোকান থেকে বহিস্কৃত দোকান কর্মচারী ফারুক আহমদ। সংবাদ সম্মেলনে এমনটি জানান গর্ভবর্তী গাভী জবাইয়ের অভিযোগ ওঠা সিলেট নগরের শিবগঞ্জে ‘মাখন মিয়ার গোস্তের দোকান’র সত্বত্বাধিকারী মো. রিয়াজ উদ্দিন। একই সাথে তিনি তার বিরুদ্ধে আনা এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

শনিবার (২৪ এপ্রিল) সিলেট জেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেছেন মো. রিয়াজ উদ্দিন। সংবাদ সম্মেলনে রিয়াজ উদ্দিনের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন তার মেয়ে লিমা আক্তার মিম।

লিখিত বক্তব্যে তিনি উল্লেখ করেন, টাকা পয়সা হিসাবে গরমিলসহ নানা অনিয়মের কারণে প্রায় ২ মাস পূর্বে দোকানের প্রধান কারিগরের পদ থেকে বহিস্কার করি। এতে তিনি ক্ষুব্ধ হয়ে আমাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অবস্থান নেন। পরবর্তীতে আমাদের দোকানের পার্শ্ববর্তী মাংসের দোকানে যোগ দেন ফারুক। সেই দোকানে থেকে তিনি আমাদের দোকানের কাষ্টমারদের ডেকে নিয়ে যান। তাছাড়া আমাদের ক্ষতি হোক এমন ধরনের আচরণ করেন।

সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, বহিস্কারের পর থেকে ফারুক আমাদের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ‘মাখন মিয়ার গোস্তের দোকান’র বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যেপ্রনোদিতভাবে মিথ্যা অপপ্রচার করে যাচ্ছেন। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২২ এপ্রিল সকালে আমাদের জবাইকৃত গরু অন্ত:সত্ত্বা ছিলো বলে মিথ্যা অপপ্রচার চালান। প্রকৃত ঘটনা হচ্ছে ওই দিন সকালে আমরা একটি সুস্থ গরু স্বাস্থ্য নীতিমালা মেনে যথারীতি জবাই করি। কিন্তু গরু জবাই করার কয়েক ঘন্টা পর আমাদের দোকানের সাবেক কারিগর ফারুক ড্রেন থেকে একটি গরুর বাচ্চার ছবি তুলে আমাদের গরুর পেট থেকে বাচ্চা বের হয়েছে বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচার চালান। অথচ গত ২০ এপ্রিল দক্ষিণ সুনামঞ্জের পাথারিয়াবাজার থেকে আব্দুশ শুকুর মিয়ার কাছ থেকে পাঁকা রশিদের মাধ্যমে (রশিদ নং-৭৫) জবাই করার জন্য উপযুক্ত একটি গরু ক্রয় করে আনি। সেই গরুটি আমরা ২২ এপ্রিল সকালে সকল নিয়ম মেনে জবাই করে বিক্রির জন্য প্রস্তুত করি। পরে ফারুকের অপপ্রচারে আমরা বিস্মিত হয়ে যাই। আমাদের ঐতিহ্যবাহি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সুনাম নষ্ট করার চেষ্টা করায় আমরা ফারুক আহমদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

সংবাদ সম্মেলনে দাবি করা হয়, আমরা সব সময় হালালভাবে ব্যবসা পরিচালনা করে ক্রেতাদের উন্নত সেবা দিয়ে যাচ্ছি। ক্রেতাদের আস্তায় থাকার কারণে শিবগঞ্জে আমরা দীর্ঘদিন ধরে সফলতার সাথে ব্যবসা করে আসছি। আমরা সকল ক্রেতাসহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি যে, আমাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচারে যেন কেউ বিভ্রান্ত না হন।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন- ‘মাখন মিয়ার গোস্তের দোকান’র মালিক মো. রিয়াজ উদ্দিন ও তাঁর স্ত্রী মোছা. নয়ন তারা প্রমুখ।

উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার (২২ এপ্রিল) সকালে নগরীর শিবগঞ্জে ‘মাখন মিয়ার গোস্তের দোকান’ -এ গর্ভবতী একটি গাভি জবাই করে মাংস বিক্রির অভিযোগ পাওয়া যায়। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে সিলেট সিটি কর্পোরেশন গঠন করে ৩ সদস্যের একটি কমিটি।

ঘটনার ঠিক দুই দিন পর অভিযুক্ত দোকানদার তার দোকানে গাভী জবাইয়ের পর বাচ্চা পাওয়ার অভিযোগ সংবাদ সম্মেলন করে প্রত্যাখ্যান করেন।

প্রকাশ : এপ্রিল ২৪, ২০২১ ৩:৪৮ অপরাহ্ন
ইউটিউব দেখে মুরগির খামার, চাকরির পাশাপাশি বিকল্প আয়ের খোঁজে কবির
পোলট্রি

করোনা সংক্রমণ দিন দিন বাড়ছে। আর এই সংক্রমণে বিশ্বের পুরো অর্থনৈতিক অবস্থা হয়ে আছে কোণঠাসা। সেখান থেকে বাদ যায়নি বাংলাদেশও। বাংলাদেশের অনেক মানুষ অর্থনৈতিক শূণ্যতায় আছেন করোনার এই ক্রান্তিকালে। হারিয়েছেন অনেকে চাকরি, লস হয়েছে আর হচ্ছে ব্যবসায়। ঠিক এমন ক্রান্তিকালে মুরগির খামারের দিকে ঝুঁকছেন অনেক যুবক। তেমনি একজন হলেন ঠাকুরগাঁও জেলা বালিয়াডাঙ্গী থানা লাহিড়ী গ্রামের সানাউল কবির। তিনি চাকরির পাশাপাশি খামার করতে চান ভাগ্য বদল। এগ্রিভিউ২৪.কম এর একান্ত সাক্ষাৎকারে উঠে আসে তার খামারে ঝুঁকার নানাবিধ দিক।

ঢাকায় চাকরি করেন সানাউল কবির। করোনায় দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা শোচনীয় দেখে খুঁজতে থাকেন উদ্যোক্ত হওয়ার পথ। ঘাঁটতে থাকেন ইউটিউব এবং দারস্থ হোন পরমর্শের জন্য অনেকের। সর্বশেষ দেখলেন দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা পরিবর্তন এবং সঠিক পরিচর্যায় বেশি লাভবান হওয়ার অন্যতম উপায় মুরগির খামার। এতে একদিকে যেমন পাওয়া যাবে মুরগির মাংস আর অন্যদিকে পাওয়া যাবে পুষ্টিকর ডিম। হওয়া যাবে স্বাবলম্বী। এমন উদ্যোগ থেকেই তিনি গত ১২ মার্চ থেকে সাড়ে ১৭ হাজার টাকার ৫০০ বাচ্চা দিয়ে শুরু করেন ফাউমি মুরগির খামার। আজ প্রায় ৪০ দিন হয় তার খামারের বয়স।

শুরুর প্রায় ৪৫ দিনে আপনার খামারের কোন মুরগি মারা গিয়েছে? এমনটি জানতে চাইলে তিনি এগ্রিভিউ২৪.কম‘কে জানান, প্রথমে খামারে মুরগি তোলার সময় কয়েকটা বাচ্চা মারা গিয়েছে। আর এখন অবধি প্রায় ১০-১৫টার মত মুরগি মারা গিয়েছে। এছাড়া আর কোন ক্ষতি হইনি।

এত ব্যবসা থাকতে আপনি খামারের দিকে ঝুঁকলেন কেন? এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, মূলত আমি খুব অল্প বয়সে বিয়ে করি। আর আমার স্ত্রী‘কে আমার পরিবার এখনও মেনে নেয়নি। সেই সুবাদে পরিবার থেকে সাপোর্ট না পেয়ে স্ত্রীকে নিয়েই খামার শুরু করি। আর এতে আমি মনে করি,খামার করে একদিকে নিজে স্বাবলম্বী হওয়া সম্ভব। অন্যদিকে পাওয়া যাবে মুরগির মাংস। যা সবার জন্য উপকারী। আর পুষ্টিকর ডিম সবার জন্য দরকার। এবং মুরগি আর ডিম মানুষের নিত্য খাবারের তালিকায় পড়ে। মানুষ ডিম আর মুরগির মাংসের দিকে ঝোঁক বেশি। আর প্রতিদিন অন্যকিছু বেচা-কেনা হোক বা না হোক মুরগি আর মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে প্রচুর। তাই নিজে স্বাবলম্বী হওয়ার নেশায় আর পুষ্টিকর মাংস আর ডিম উৎপাদনের জন্য আামি খামারে দিকে ঝুঁকি।

নতুন খামার করতে গিয়ে পরিবার থেকে সাপোর্ট পাচ্ছেন কেমন? সানাউল কবির বলেন, পরিবার বলতে আমার একটা সন্তান এবং আমার স্ত্রী আছে। আমি এখনও চাকরি করি। মূলত খামারের বেশির ভাগ দেখা-শোনা আমার স্ত্রী করে। আমার ছোট মেয়েটিও তাকে সহযোগিতা করে। আর আমি যখন ঢাকা থাকি তখন আমি বিজ্ঞদের কাছ থেকে জেনে স্ত্রীকে মোবাইলেই বিভিন্ন দিক নির্দেশনা দিয়ে থাকি। বলতে পারেন আমার খামার বেশির ভাগ আমার স্ত্রী পরিচর্যা করে।

এই পেশায় লেগে থাকতে পারবেন? জ্বি-ইনশাআল্লাহ, আমি এই পেশায় লেগে থাকার জন্যই নেমেছি। সবার সঠিক পরামর্শ আর অনুপ্রেরণা পেলে আমি এতে লেগে থাকবো। এবং এই সেক্টরে ভালো কিছু করার চেষ্টা করবো।

আপনার গ্রামে মুরগি খামার কেমন? এমন প্রশ্নে তিনি এগ্রিভিউ২৪.কম‘কে বলেন, আমাদের চারপাশে কোন খামারী নেই। এখানে আমি কেবল একা। সাহস করে আমি শুরু করেছি। ইউটিউব দেখে দেখে শিখেছি কিভাবে খামার করতে হয়, কিভাবে পরিচর্যা করতে হয়। আর সেখান থেকে দেখেই খামার করা। এখন এই লাইনে যারা বিজ্ঞ আছেন তাদের সাথে পরামর্শ করে খামারকে আর উন্নতির দিকে নেয়ার চেষ্টায় আছি।

এগ্রিভিউ২৪.কম: আপনার জন্য শুভ কামনা।
কবির: এগ্রিভিউ২৪.কম‘কে ধন্যবাদ।

প্রকাশ : এপ্রিল ২৩, ২০২১ ৭:৩৪ অপরাহ্ন
রাজধানীর ২০টি স্থানে কম দামে দুধ, ডিম ও মাংস বিক্রি অব্যাহত
প্রাণিসম্পদ

করোনায় জনদূর্ভোগ কমাতে সরকারের উদ্যোগে দুধ, ডিম ও মাংস বিক্রি করায় বেশ উপকৃত হচ্ছেন নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষ। আর এসব খাদ্যপণ্য তারা পাচ্ছেন একেবারেই কম দামে। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, শুধ ঢাকা সিটিতেই ২০টি পয়েন্টে চলছে এই কার্যক্রম।

খামারে উৎপাদিত দুধ প্রতি লিটার ৬০, প্রতিপিস ডিম ৬ টাকা ও এককেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৫০০ টাকায়। সরকারের এ উদ্যোগে সন্তুষ্ট সব শ্রেণির ক্রেতা।

ঢাকা জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. কাজী রফিকুজ্জামান জানান, দেশব্যাপি এ উদ্যোগ বাস্তবায়নে খামারিদের কাছ থেকে কেনা দামেই সরকার ভোক্তাদের কাছে বিক্রি করছে।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরে অস্থায়ী ডিপো থেকে রাজধানীতে দুই শিফটে ২০টি পয়েন্টে প্রতিটি গাড়িতে বিক্রি করা হচ্ছে সাড়ে তিনশ’ লিটার দুধ, দুই হাজার পিস ডিম ও ৫০ কেজি মাংস।

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop