৩:১৩ অপরাহ্ন

বৃহস্পতিবার, ৯ মে , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : মার্চ ১, ২০২৩ ২:৫৮ অপরাহ্ন
লেয়ারের বাচ্চা পালনে যেসব ব্যবস্থা গ্রহণ করা জরুরী
পোলট্রি

লেয়ারের বাচ্চা পালনে যেসব ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে সেগুলো খামারিদের সঠিকভাবে জেনে খামার শুরু করতে হবে। লেয়ার খামারে উৎপাদন ঠিক রাখার জন্য বাচ্চার যত্ন নেওয়া জরুরী। বাচ্চার ভিত্তিতেই খামারের উৎপাদন অনেক ক্ষেত্রেই নির্ভর করে থাকে।

লেয়ারের বাচ্চা পালনে যেসব ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবেঃ
বাতাস চলাচলঃ
বাচ্চার যাতে ঠান্ডা না লাগে সে জন্য সীমিতভাবে বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা রাখতে হয়।
ছোট ঘরের উপরিভাগে দূষিত বাতাস বের হওয়ার জন্য ফাঁকা জায়গা রাখা হয়।
ঘরের দূষিত বাতাস বের হওয়া এবং বিশুদ্ধ বাতাস প্রবেশের জন্য বাতাস চলাচলের প্রয়োজন।
ঘরের আর্দ্রতাঃ

মেঝেতে যে লিটার বিছানো হয় তার আর্দ্রতা শতকরা ২০ ভাগ থাকা উচিত। লিটারের আর্দ্রতা কমে গেলে মুরগির দেহের জলীয় অংশ শুষে নেয়, ফলে ডিহাইড্রেশন হয়। লিটারের আর্দ্রতা বেশি হলে ঘরে এ্যামোনিয়ার উৎপাদন বৃদ্ধি পায় এবং মুরগির শ্বাস-কষ্টজনিত সমস্যা হয়।

লিটার ব্যবস্থাপনাঃ
ভিজা লিটার তাৎক্ষণিকভাবে সরিয়ে নেয়া।
শুকনো মেঝেতে ১ থেকে ২ ইঞ্চি পুরু করে লিটার সামগ্রী বিছানোর পর ব্রুডার গার্ড, হোভার এবং হিটিং সরঞ্জাম বসানোর ব্যবস্থা করতে হবে। লিটার জমাট বাঁধতে না দেয়া। খাঁচায় বাচ্চা ব্রুডিং করলে মেঝেতে লিটার বসানোর প্রয়োজন নেই। সরাসরি ব্রুডার খাঁচা স্থাপন করতে হয়।

খাদ্য ব্যবস্থাপনাঃ
প্রথম দুই দিন বিছানো কাগজের উপর গম বা ভূট্টা ভাঙ্গা বা চালের ক্ষুদ।
তৃতীয় দিন হতে ছয় সপ্তাহ পর্যন্ত সুষম বা সম্পূর্ণ ষ্টার্টার খাদ্য।
তৃতীয় দিন পাত্রে ষ্টার্টার রেশন দেয়া শুরু।
চতুর্থ দিন কাগজের উপর খাদ্য দেয়া বন্ধ করতে হবে।
পানি ব্যবস্থাপনাঃ

প্রাথমিভাবে ৪ থেকে ৫ ঘণ্টা গ্লুকোজ বা চিনি মিশ্রিত পানি প্রদান।
পরবর্তিতে ৩ দিন ভিটামিন মিশ্রিত পানি প্রদান।
ব্রুডারের তাপে পানি গরম হতে দেওয়া, কখনও ঠান্ডা পানি প্রদান করা উচিত নয়।

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ২০, ২০২৩ ৩:৩৯ অপরাহ্ন
ছাদে মুরগি পালনে যা করবেন
পোলট্রি

সাধারণত বাড়ির ছাদে সবজি ও ফল চাষ করা হয়। বর্তমানে বাড়ির ছাদে মাছও চাষ করা হচ্ছে। তবে বাড়ির ছাদে সবচেয়ে সহজ হলো মুরগি পালন করা। গ্রামে বা শহরের বাড়ির ছাদে মুরগি পালন করা যায়।

বাড়ির ছাদে পালন করার জন্য সবচেয়ে উপযোগী হলো মুরগি বা জাপানি কোয়েল পাখি। তবে কবুতর ও তিতির চাষ করা যেতে পারে। বিশেষ করে ছাদে মুরগি পালন করতে হলে ডিম উৎপাদনের জন্য লেয়ার মুরগি পালন করা ভালো। আমাদের দেশে লেয়ার মুরগির বিভিন্ন জাত রয়েছে। ছাদে পালনের উপযোগি কিছু হাইব্রিড জাত হলো লোহম্যান ব্রাউন, হাই-লাইন ব্রাউন, ব্যাবোলনা টেট্রা এস এল, নিক চিক ব্রাউন, বোভানস গোল্ড লাইন, বি. ভি. -৩০০, ইসা ব্রাউন ইত্যাদি।

হাইব্রিড জাতের মুরগি সাড়ে ৪ মাসে ডিম দেওয়া শুরু করে। তা প্রায় দেড় বছর পর্যন্ত দিয়ে থাকে। এতে জাত ভেদে প্রতিটি মুরগি বছরে প্রায় ২৮০-৩৩০টি পর্যন্ত ডিম দিয়ে থাকে।

দুটি ভাগে মুরগি পালন করা যায়। প্রথমে বাচ্চা মুরগি পালন, তারপর বয়স্ক মুরগি পালন। মুরগি পালনের অনেক গুলি পদ্ধতির মধ্যে ছাদে পালনের উপযোগি পদ্ধতি হল ব্যাটারি বা খাঁচা পদ্ধতি। বিশেষভাবে তৈরি খাঁচার ভিতর মুরগি পালন করা হয়। এ খাঁচা মুরগির সংখ্যার উপর নির্ভর করে এক তলা বা বহু তল তৈরি করা হয়। খাঁচা পদ্ধতিতে তুলনামূলক জায়গা কম লাগে এবং পদ্ধতিতে মুরগির রোগজীবাণুর আক্রমণ ও কম হয়। ডিম পাড়া মুরগির জন্য এটি একটি আর্দশ পদ্ধতি।

এই পদ্ধতিতে মুরগি পালন করলে তুলনা মুলক খাদ্য খরচ কম হয় এবং ডিম উৎপাদন বেশি হয়। খাচা তৈরিতে প্রাথমিক খরচ কিছুটা বেশি হয়। তবে একই খাঁচা বার বার ব্যবহার করা যায়।

৩ ফুট লম্বা, ১ ফুট চওড়া, ১.২ ফুট উচ্চতার একটি খাচায় ৬ টা মুরগি পালন করা যায়। এমন তিনটি খাচা একত্র করে একটি তিন তলা বিশিষ্ট খাচা তৈরি করা যায়। যেখানে মোট ১৮ টা মুরগি পালন করা যায়।

নিয়মিত পরিচর্যা এবং রোগবালাই দমন করতে হবে। নিয়মিত মল পরিস্কার করতে হবে, অতিরিক্ত খাবার না দেয়া সদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে, কোন রোগ বালাই বা চাল চলনে সমস্যা আছে কিনা লক্ষ্য রাখা, মুরগির মল তরল এবং চুনার মত কিনা সেদিকে লক্ষ্য রাখা, কোন রোগ বালাই বা সন্দেহজনক কিছু লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত ভেট ডক্টরের পরামর্শ নেয়া।

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ১৭, ২০২৩ ১০:২১ অপরাহ্ন
রেকর্ড ভেঙে সর্বোচ্চ দাম ব্রয়লারের
পোলট্রি

রাজধানীর মুরগির বাজার যেন লাগামছাড়া! একদিনের ব্যবধানে রেকর্ড গড়ে ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়ে কেজি ঠেকেছে ২৪০ টাকায়। এর উত্তাপ আবার ছড়িয়েছে ডিমের বাজারেও। শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর কারওয়ানবাজারের চিত্র দেখা যায়, হঠাৎ চড়ে গেছে রাজধানীর মুরগির বাজার। পোল্ট্রি খাতে অস্বস্তি। ভোক্তাদের চরম বিপাকে ফেলে দাম বাড়ার নতুন রেকর্ড ব্রয়লার মুরগির। একদিনের ব্যবধানে ৩০ টাকা বেড়ে কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ২৪০ টাকায়।

এক মাসের ব্যবধানে ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে প্রায় ১০০ টাকার মতো বেড়েছে। এদিকে দাম বেড়েছে সোনালি মুরগিরও; বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ৩৩০ টাকা। দুই সপ্তাহ আগেও যা পাওয়া যেত ২৬০ টাকায়। আর দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৫২০ টাকা কেজি দরে।

বিক্রেতারা জানান, এর আগে কখনোই এতো দামে কেনাবেচা হয়নি ব্রয়লার মুরগি। একদিনে এর দাম বেড়েছে কেজিতে ৩০ থেকে ৫০ টাকা।

বাজারে হঠাৎ এ দাম বাড়ার কারণ হিসেবে তারা জানান, অনেক দিন লোকসান গুনে অনেক খামার বন্ধ হয়ে গেছে। এর মধ্যে আবার বেড়ে গেছে খাদ্যসহ উৎপাদন খরচ।

ক্রেতারা বলেন, নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য এত দাম দিয়ে মুরগি কেনা কষ্টকর।

এদিকে চাহিদা মতো যোগান না পাওয়ার কথা জানালেন দাম বাড়তে থাকা ডিম বিক্রেতারাও। সপ্তাহ ব্যবধানে ডিমের দাম ডজন প্রতি বেড়েছে ৫ টাকা। বাজারে লাল ডিম ডজন প্রতি ১৪০ টাকা ও সাদা ডিম ডজন প্রতি বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ টাকায়।

এ পরিস্থিতিতে উৎপাদন পর্যায়ে তদারকি করে বাজারে ভোক্তাদের নাভিশ্বাস ওঠার যৌক্তিকতা নিরূপণের তাগিদ জানিয়েছেন ক্রেতা-বিক্রেতারা।

এছাড়া বাজারে অন্যান্য মাংসের দামও বাড়তি। গরুর মাংস কেজিপ্রতি ৭শ থেকে সাড়ে ৭শ টাকা এবং খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার থেকে ১ হাজার ১০০ টাকায়। তবে স্থিতিশীল রয়েছে চাল, ডাল, আটা, ময়দা ও সয়াবিনসহ অন্যান্য নিত্যপণ্য।

এর আগে গত ৩ ফেব্রুয়ারি এক কেজি ব্রয়লার মুরগির দাম ছাড়িয়ে যায় ১৯০ টাকা। পরের দুদিনে তা গিয়ে ঠেকে ২১০ টাকায়। তবে ৬ ফেব্রুয়ারি দাম কিছুটা কমলেও থেকে যায় ২শ টাকার ওপরে।

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ১০, ২০২৩ ৬:১৬ অপরাহ্ন
সোনালী মুরগির অধিক ডিম পেতে যা করবেন
পোলট্রি

আমাদের দেশে মুরগির মাংস এবং ডিমের চাহিদা ব্যাপক। এই মুরগির মাংস এবং ডিমের চাহিদা পূরণে গড়ে উঠেছে নানান মুরগির খামার। আর এসব খামারের মধ্যে অন্যতম হলো সোনালি মুরগির খামার। যা অনেক আগ থেকেই আমাদের দেশে গ্রামাঞ্চলে পালন করা হচ্ছে। এরমধ্যে অনেকে কেবল ডিমের চাহিদা পূরণেও এই সোনালি মুরগির খামার করে থাকেন।

ডিম উৎপাদনের জন্য সোনালী মুরগি পালনে যা করা জরুরীঃ

সোনালি মুরগি পালনের ক্ষেত্রে শুরুতেই মনে রাখতে হবে এটি একটি ব্যবসা। আর ব্যবসাকে হেলার চোখে দেখার কিছু নেই। সোনালী মুরগি পালনে উদাসীনতা দেখালে মুরগি পালনে লোকসান দেখা দিতে পারে। সেজন্য সোনালি মুরগি পালনের প্রতিটি পদক্ষেপ গুরুত্বের সাথে নিতে হবে। সোনালীর ক্ষেত্রে ব্রূডিং এর সময় “এস্পারজিলোসিস” হবার অনেক সম্ভবনা থাকে। সেজন্য মুরগির ব্রূডিং কালে লিটারে তুঁতের পানি ছিটিয়ে ব্রূডিং করাতে হবে। এতে ঝুঁকি অনেকটাই কমে যায়।

সোনালি মুরগি পালনের ক্ষেত্রে অনেক খামারিরা ভ্যাকসিন প্রদান নিয়ে অনেকটা উদাসীনতা দেখায়। সময়মতো মুরগিকে ভ্যাকসিন দিনে না পারলে অনেক সময় খামারিদের লোকসানে পড়তে হয়। আর সেজন্য ভ্যাকসিনসূচী অনুযায়ী ভ্যাকসিন প্রদান করতে হবে।সোনালি মুরগি পালনের ক্ষেত্রে লেয়ার মুরগির মতোই আলোকসূচি মেনে চলতে হবে। লেয়ার মুরগির মতোই সোনালি মুরগিতে আলোক নিয়ম মানলে সবচেয়ে ভাল হয়।

সোনালি মুরগি পালনের ক্ষেত্রে মুরগির বয়স ৮ থেকে ১০ সপ্তাহ হলে পুরুষ ও স্ত্রী সোনালী মুরগীগুলোকে পৃথক করতে হবে। সাধারনত মুরগী গুলোর ঝুটি ও পালক দেখেই পুরুষ ও স্ত্রী সোনালী মুরগী চেনা যায়। যেহেতু আপনার উদ্দেশ্য ডিম উৎপাদন তাই পুরুষ গুলো রাখার কোন প্রয়োজন নেই।সোনালী মুরগি সাধারনত দিনে ৮০ থেকে ১০০ গ্রাম খাবার গ্রহন করে। অতিরিক্ত বা কম খাবার দেয়া কোনটিই ঠিক না। এক্ষেত্রে মোট খাদ্যের ৬০% সকালে দিয়ে দিতে হবে। আর বাকি ৪০% খাবার ২০% -২০% করে দুপুরে ও বিকেলে দিতে হবে।

খামারের মুরগিগুলোর বয়স ১৪ থেকে ১৬ সপ্তাহ হলে মুরগীগুলোকে খাঁচায় তুলতে হবে। মেঝেতে মুরগিগুলোকে না রেখে খাঁচায় রাখলে বিভিন্ন সুবিধা পাওয়া যায়।

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ২, ২০২৩ ১০:৪৬ অপরাহ্ন
বৃহস্পতিবার (২ ‍ফেব্রুয়ারি) পোল্ট্রি ও ডিমের সর্বশেষ পাইকারী বাজার দর
পোলট্রি

পোল্ট্রি পণ্য (ডিম ও মুরগীর) আজকের পাইকারী মূল্য(টাকা) নিন্মরুপ:-
তারিখ:০২/০২/২০২৩ ইং
★এখানে বর্ণিত পোল্ট্রি পণ্যের মূল্য মূলত : পোল্ট্রি খামারিদের প্রাপ্ত মূল্য।
ইউনাইটেড এগ(সেল পয়েন্ট)
লাল ডিম=১০.৭০ (খুচরা)
সাদা ডিম=১০.৩০ (খুচরা)
ডাম্পিং মার্কেট-
লাল(বাদামী) ডিম=১০.০৫
সাদা ডিম=৯.৫৫
গাজীপুর:-
লাল(বাদামী)ডিম=৯.৭৫
সাদা ডিম=৯.২৫
ব্রয়লার মুরগী=১৫০/কেজি
কালবার্ড লাল=২২০/কেজি
কালবার্ড সাদা=১৫৫/কেজি
সোনালী মুরগী=২৩০/ কেজি
বাচ্চার দর:-
লেয়ার লাল=৩০-৩৫
লেয়ার সাদা=৩০-৩৫
ব্রয়লার=৪৩-৪৪
ডায়মন্ডঃ-
লাল(বাদামী) বড়
ডিম=১০.১০
লাল(বাদামী) মাঝারি ডিম=৯.৮৫
চট্টগ্রাম:-
লাল(বাদামী) ডিম=১০.৩০
সাদা ডিম=
ব্রয়লার মুরগী=১৫০/কেজি
কালবার্ড লাল=২৩৫/কেজি
সোনালী মুরগী=২২৫/কেজি
বাচ্চার দর:-
লেয়ার লাল=৩৫-৩৮
লেয়ার সাদা=৩৬-৪০
ব্রয়লার=৪১-৪৪
রাজশাহী:-
লাল(বাদামী) ডিম=৯.৫০
সাদা ডিম=৯.০০
ব্রয়লার মুরগী =/কেজি
সোনালী =/কেজি
খুলনা:-
লাল(বাদামী) ডিম=১০.০০
সাদা ডিম=
বরিশাল:-
লাল(বাদামী) ডিম=৯.৫০
ব্রয়লার মুরগী=১৪০/কেজি
কালবার্ড লাল=২১০/কেজি
সোনালী মুরগী=২৩০/কেজি বাচ্চার দর:-
লেয়ার লাল =২৫
ব্রয়লার=৪২-৪৩
ময়মনসিংহ:-
লাল(বাদামী) ডিম=১০.০০
ব্রয়লার মুরগী=১৫০ কেজি
সোনালী মুরগী=২৪০/ কেজি
সিলেট=
লাল(বাদামী)ডিম=১০.৫০
সাদা ডিম=১০.৪০
ব্রয়লার মুরগী=১৬০/কেজি
বাচ্চার দর:-
লেয়ার লাল =৩০-৩৫
লেয়ার সাদা =
ব্রয়লার =৪০-৪২
রংপুর:-
লাল(বাদামী) ডিম=৯.৮০
কাজী(রংপুর):-
লাল(বাদামী) ডিম=১০.১৫
বাচ্চার দর:-
লেয়ার লাল=
ব্রয়লার=
হাইব্রিড সুপার=৩৬
সোনালী হাইব্রিড=৩৩
বগুড়া :
লাল(বাদামী)ডিম=১০.১৫
ব্রয়লার মুরগী=১৫০/কেজি
সোনালী মুরগী =২৪০/কেজি
কাজী(বগুড়া):-
লাল(বাদামী) ডিম=১০.১৩
বাচ্চার দর:-
লেয়ার লাল=
ব্রয়লার=
হাইব্রিড সুপার=৩৬
সোনালী হাইব্রিড =৩৩
টাংগাইল :–
লাল(বাদামী) ডিম=৯.৯৫
সাদা ডিম=
ব্রয়লার মুরগী=১৫০/১৫৫কেজি
সোনালী মুরগী=/কেজি
কিশোরগঞ্জ:-
লাল(বাদামী) ডিম=৯.৯০
ব্রয়লার মুরগী=/কেজি
নরসিংদী :-
লাল(বাদামী) ডিম=৯.৯০
সিরাজগঞ্জ :-
লাল(বাদামী) ডিম=৯.৮০
ব্রয়লার মুরগী=১৫০/কেজি
কালবার্ড লাল=২২০/কেজি
সোনালী মুরগী=২৩০/কেজি
ফরিদপুর :-
লাল(বাদামী) ডিম=১০.১৫
কাজী(ফরিদপুর) :-
লাল(বাদামী) ডিম=১০.৩৩
ব্রয়লার মুরগী=১৫০/কেজি
লেয়ার মুরগী=২১৫/কেজি
সোনালী মুরগী=২২৫/কেজি
বাচ্চার দর:-
লেয়ার লাল=
ব্রয়লার=
হাইব্রিড সুপার=৩৬
সোনালী হাইব্রিড =৩৩
পাবনা :-
লাল(বাদামী)ডিম=৯.৫০
সাদা ডিম=৯.২০
নোয়াখালী:-
লাল(বাদামী)ডিম=১০.২০
ব্রয়লার মুরগী=১৫০/কেজি
কালবার্ড লাল=২৩০/কেজি
সোনালী মুরগী=২২৫/কেজি
বাচ্চার দর:-
লেয়ার লাল =
লেয়ার সাদা =
ব্রয়লার =৪৪
পিরোজপুর (স্বরুপকাঠী:-
লাল(বাদামী) ডিম=৯.৩০
সাদা ডিম=৯.০০
ব্রয়লার মুরগী =/কেজি
যশোর :-
লাল(বাদামী) ডিম=১০.৪০
চুয়াডাঙ্গা:-
লাল(বাদামী ডিম)=১০.১০
কুমিল্লা:-
লাল (বাদামী) ডিম=৯.৭০
সাদা ডিম=৯.৩০
ব্রয়লার মুরগী=/ কেজি
কালবার্ড লাল=/কেজি
সোনালী মুরগী=/কেজি
লক্ষীপুর:-
লাল(বাদামী)ডিম=১০.১০
ব্রয়লার মুরগী=/কেজি
কালবার্ড লাল=/কেজি
সোনালী মুরগী=/কেজি
বাচ্চার দর:-
লেয়ার লাল =
লেয়ার সাদা =
ব্রয়লার =
কক্সবাজার :-
লাল (বাদামী) ডিম=৯.৮০
সাদা ডিম=৯.৬০
ব্রয়লার মুরগী =/কেজি
সোনালী মুরগী =/কেজি
একটি যৌথ উদ্যোগ: বাংলাদেশ পোল্ট্রি খামার রক্ষা জাতীয় পরিষদ (বি.পি.কে.আর.জে.পি) এবং পোল্ট্রি প্রফেশনাল’স বাংলাদেশ(পিপিবি)।
ধন্যবাদান্তে
মো:শিমুল হক রানা
যোগাযোগ:০১৮৫৫৯৪৪২৭০

প্রকাশ : জানুয়ারী ৩০, ২০২৩ ৯:৪৩ অপরাহ্ন
ব্রয়লার খামারে মুরগির শারীরিক বৃদ্ধি ঠিক রাখতে যা করবেন
পোলট্রি

ব্রয়লার খামারে মুরগির শারীরিক বৃদ্ধি ঠিক রাখতে করণীয় যে কাজগুলো রয়েছে সেগুলো ব্রয়লার পালনকারীদের সঠিকভাবে জানতে হবে। দেশে মাংসের চাহিদা পূরণ করতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে ব্রয়লার মুরগি। ব্রয়লার মুরগির খামার করে অনেকেই হচ্ছেন স্বাবলম্বী। খামারে ব্রয়লার মুরগি পালনে লাভবান হতে মুরগির শারীরিক বৃদ্ধি ঠিক রাখা দরকার।

ব্রয়লার খামারে মুরগির শারীরিক বৃদ্ধি ঠিক রাখতে করণীয়:
ব্রয়লার মুরগির খামার স্থাপনের সময় স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশে খামার স্থাপন করতে হবে। খামারে যাতে আলো ও বাতাস ঠিকমতো চলাচল করতে পারে সেদিকেও লক্ষ্য রাখতে হবে।

খামারে পালন করা ব্রয়লারকে খাদ্য প্রদানের সময় ভালোভাবে খেয়াল করতে হবে খাদ্যে যেন কোন প্রকার ময়লা কিংবা রোগের জীবাণু না থাকে। আর খাদ্য প্রদানের পাত্র নিয়মিতভাবে পরিষ্কার করতে হবে। খামারে ব্রয়লার মুরগির জন্য যেসব খাদ্য উপকরণ ব্যবহার করা হবে সেগুলো যেন মুরগির পরিপাকে কোন বাঁধার সৃষ্টি না করে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। এমন সমস্যায় মুরগির শারীরিক বৃদ্ধি বাঁধাগ্রস্ত হতে পারে।

ব্রয়লার মুরগির খাদ্য প্রদানের সময় খাদ্যের সাথে নিম্নমান সম্পন্ন কেমিক্যাল কিংবা কোন রাসায়নিক উপাদান দেওয়া যাবে না। প্রয়োজনে খাদ্য কেনার সময় তা ভালোভাবে পরীক্ষা করাতে হবে। ব্রয়লার মুরগির খামারকে নিয়মিত জীবাণুমুক্ত ও পরিষ্কার রাখতে হবে। এতে করে খামারের মুরগিগুলো সহজেই কোন রোগের দ্বারা আক্রান্ত হতে পারবে না। ফলে শারীরিক বৃদ্ধি স্বাভাবিক হবে।

ব্রয়লার মুরগির খামারের জন্য যে ওষুধ ব্যবহার করা হবে সেই ওষুধের গুণগত মান পরীক্ষা করাতে হবে। তার পরেই সেই ওষুধকে ব্রয়লার মুরগির খামারে ব্যবহার করতে হবে।

প্রকাশ : জানুয়ারী ২৪, ২০২৩ ২:৫০ অপরাহ্ন
মুরগি পালনে চমক দেখালেন মনিরুজ্জামান
পোলট্রি

দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলার ভিয়াইল গ্রামের বাসিন্দা মনিরুজ্জামান। উন্নত জীবনযাপনের জন্য পাড়ি জমিয়েছিলেন বিদেশে। কিন্তু সেখানেও খুব একটা সুবিধা করতে না পেরে দেশে ফিরে এসে মুরগি পালন শুরু করেন। নিজেকে সফল উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে চেয়েছেন। নিজের অদম্য ইচ্ছা শক্তি দিয়ে আজ তিনি একজন সফল উদ্যোক্তা। বর্তমানে নিজে মুরগি পালনের পাশপাশি অন্যকেও মুরগি পালন বিষয়ক বিভিন্ন পরামর্শ দিচ্ছেন।

জানা যায়, দেশে চলে আসার পর আর্থিক সংকটে পড়েন। হতাশ না হয়ে ইউটিউবে দেশের বিভিন্ন স্থানে লেয়ার মুরগির খামার দেখে নিজেও খামার করতে আগ্রহী হয়ে ওঠেন। স্বল্প পুজি নিয়ে শুরু করলেও এখন তিনি সকল খরচ বাদ দিয়ে প্রতি মাসে ২ থেকে আড়াই লাখ টাকা আয় করছেন। বর্তমানে তার খামারে স্থানীয়ভাবে ১৬ জনের কর্মসংস্থান হয়েছে ।

দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলার ভিয়াইল গ্রামের মনিরুজ্জামান জানান, অর্থ উপার্জনের জন্য ২০০৫ সালে আবুধাবি পাড়ি জমাই। কিন্তু দীর্ঘদিন কাজ করেও নিজের ভাগ্যের কোনো পরিবর্তন করতে পারছিলামনা তাই ২০০৯ সালে দেশে ফিরে আসি এবং চরম অর্থ সংকটে পড়ি। এরপর ইউটিউব ভিডিওতে দেশের বিভিন্ন স্থানে উন্নত জাতের মুরগির খামার দেখে উদ্বুদ্ধ হই।
তিনি আরও বলেন, শুরুতে ২০০ মুরগি কিনে খামার শুরু করি। সেই যে পথচলা শুরু আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। বর্তমানে আমার ফার্মে প্রায় ১৬ হাজার মুরগি রয়েছে। এর মধ্য থেকে প্রতিদিন ২ হাজার ডিম পাচ্ছি। এছাড়াও ডিম থেকে প্রতিমাসে ২৮-৩০ হাজার বাচ্চা উৎপাদন করা হয়। যা ২৬-৩৫ টাকা দরে স্থানীয় বাজারসহ জেলার আশেপাশের জেলাশহরগুলোতে বিক্রয় করা হচ্ছে।

প্রাণিসম্পদ অফিস সূত্রে জানা যায়, জেলার অনেকেই মুরগি পালন শুরু করেছেন। স্বল্প থেকে শুরু করে বাণিজ্যিকভাবে খামারিরা মুরগি পালনের মাধ্যমে স্বাবলম্বী হওয়ার পাশাপাশি সফলতাও পাচ্ছেন। স্থানীয় খামারিদের মুরগি পালন বিষয়ক বিভিন্ন সেবা ও পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে।

প্রকাশ : জানুয়ারী ১৭, ২০২৩ ৭:৫২ পূর্বাহ্ন
বাড়ির ছাদে মুরগি পালনে যা করবেন
পোলট্রি

সাধারণত বাড়ির ছাদে সবজি ও ফল চাষ করা হয়। বর্তমানে বাড়ির ছাদে মাছও চাষ করা হচ্ছে। তবে বাড়ির ছাদে সবচেয়ে সহজ হলো মুরগি পালন করা। গ্রামে বা শহরের বাড়ির ছাদে মুরগি পালন করা যায়।

বাড়ির ছাদে পালন করার জন্য সবচেয়ে উপযোগী হলো মুরগি বা জাপানি কোয়েল পাখি। তবে কবুতর ও তিতির চাষ করা যেতে পারে। বিশেষ করে ছাদে মুরগি পালন করতে হলে ডিম উৎপাদনের জন্য লেয়ার মুরগি পালন করা ভালো। আমাদের দেশে লেয়ার মুরগির বিভিন্ন জাত রয়েছে। ছাদে পালনের উপযোগি কিছু হাইব্রিড জাত হলো লোহম্যান ব্রাউন, হাই-লাইন ব্রাউন, ব্যাবোলনা টেট্রা এস এল, নিক চিক ব্রাউন, বোভানস গোল্ড লাইন, বি. ভি. -৩০০, ইসা ব্রাউন ইত্যাদি।

হাইব্রিড জাতের মুরগি সাড়ে ৪ মাসে ডিম দেওয়া শুরু করে। তা প্রায় দেড় বছর পর্যন্ত দিয়ে থাকে। এতে জাত ভেদে প্রতিটি মুরগি বছরে প্রায় ২৮০-৩৩০টি পর্যন্ত ডিম দিয়ে থাকে।

দুটি ভাগে মুরগি পালন করা যায়। প্রথমে বাচ্চা মুরগি পালন, তারপর বয়স্ক মুরগি পালন। মুরগি পালনের অনেক গুলি পদ্ধতির মধ্যে ছাদে পালনের উপযোগি পদ্ধতি হল ব্যাটারি বা খাঁচা পদ্ধতি। বিশেষভাবে তৈরি খাঁচার ভিতর মুরগি পালন করা হয়। এ খাঁচা মুরগির সংখ্যার উপর নির্ভর করে এক তলা বা বহু তল তৈরি করা হয়। খাঁচা পদ্ধতিতে তুলনামূলক জায়গা কম লাগে এবং পদ্ধতিতে মুরগির রোগজীবাণুর আক্রমণ ও কম হয়। ডিম পাড়া মুরগির জন্য এটি একটি আর্দশ পদ্ধতি।

এই পদ্ধতিতে মুরগি পালন করলে তুলনা মুলক খাদ্য খরচ কম হয় এবং ডিম উৎপাদন বেশি হয়। খাচা তৈরিতে প্রাথমিক খরচ কিছুটা বেশি হয়। তবে একই খাঁচা বার বার ব্যবহার করা যায়।

৩ ফুট লম্বা, ১ ফুট চওড়া, ১.২ ফুট উচ্চতার একটি খাচায় ৬ টা মুরগি পালন করা যায়। এমন তিনটি খাচা একত্র করে একটি তিন তলা বিশিষ্ট খাচা তৈরি করা যায়। যেখানে মোট ১৮ টা মুরগি পালন করা যায়।

নিয়মিত পরিচর্যা এবং রোগবালাই দমন করতে হবে। নিয়মিত মল পরিস্কার করতে হবে, অতিরিক্ত খাবার না দেয়া সদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে, কোন রোগ বালাই বা চাল চলনে সমস্যা আছে কিনা লক্ষ্য রাখা, মুরগির মল তরল এবং চুনার মত কিনা সেদিকে লক্ষ্য রাখা, কোন রোগ বালাই বা সন্দেহজনক কিছু লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত ভেট ডক্টরের পরামর্শ নেয়া।

প্রকাশ : জানুয়ারী ৫, ২০২৩ ১১:০২ পূর্বাহ্ন
প্রচন্ড এই শীতে মুরগির যত্ন নিবেন যেভাবে
পোলট্রি

স্বাভাবিকভাবে আমরা যেভাবে ব্রয়লারের যত্ন নিচ্ছি, কিন্তু বর্তমানে যেভাবে তাপমাত্রা নেমে গেছে তাতে আগের নিয়মে যত্ন নিলে হবে না। এতে মুরগির বিভিন্ন রোগ দেখা দিতে পারে। তাই এ সম্পর্কে জানা একজন খামারির জন্য খুবই জরুরি।

যেভাবে যত্ন নিবেন:
বয়সভেদে মুরগির ঘরের ভেতরের পরিবেশ ঠিক করতে হবে। যে বয়সের মুরগি পালন করা হবে সে বয়সের মুরগির জন্য ঘরে উপযোগী পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। ঘরের আশপাশের ঝোপ–জঙ্গল কেটে পরিষ্কার করতে হবে, যাতে দিনের আলো পরিপূর্ণভাবে ঘরের চালার ওপর পড়ে। ঘরের দরজা- জানালার ফাঁকা বন্ধ করে দিতে হবে যাতে ঠাণ্ডা বাতাস ঘরে প্রবেশ করতে না পারে।

শীতকালে লিটার হিসেবে ধানের শুকনা তুষ সবচেয়ে ভালো। তুষ মুরগিকে গরম রাখে। ব্রুডার হাউসে পা-১০ সেন্টিমিটার পুরু করে লিটারসামগ্রী বিছাতে হবে। মুরগি যদি ফ্লোরে পালন করা হয়, তাহলে বড় মুরগির জন্য লিটারের পুরুত্ব চার ইঞ্চির কম হবে না। লিটারসামগ্রী হতে হবে পরিচ্ছন্ন ও দূষণ মুক্ত।

শীতকালে মুরগি পালনে সবচেয়ে বড় সমস্যা তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা। বিশেষ করে এই শীতে। মুরগির ঘরে স্বাভাবিক তাপমাত্রা দরকার ৬৫-৭৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যখন পরিবেশের তাপমাত্রা খুব বেশি কমে যায়, তখন ব্রুডারে বাল্ব সংখ্যা বাড়িয়ে দিতে হবে। ঘরের চালা টিনের হলে হার্ডবোর্ড জাতীয় পদার্থ দিয়ে সিলিং দিতে হবে। ঘর উষ্ণ রাখতে টিনের বা ছাদের ওপর খড় বিছিয়ে দিতে হবে। ঘরে বাতাস চলাচালের ব্যবস্থা থাকতে হবে। মুরগির ঘরে আলো এমন ভাবে দিতে হবে যেন তা ঘরে সমভাবে ছড়িয়ে পড়ে। ব্রুডিং পিরিয়ডে প্রথম ‍তিন দিন নিরবিচ্ছিন্ন আলো দরকার।

মুরগির ঘরে ভেন্টিলেশন ব্যবস্থা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ভেন্টিলেশন ব্যবস্থা বাতাস প্রবাহের মাধ্যমে ঘরে উৎপন্ন বিষাক্ত বাতাস বের করে দেয় এবং বিশুদ্ধ বাতাস প্রবেশে সহায়ক ভূমিকা পালন করে । শীতকালে ঘরে ঠাণ্ডা বাতাস যাতে প্রবেশ করতে না পারে সে জন্য সব দরজা-জানালা বন্ধ রাখলেও ভেন্টিলেশন ব্যবস্থা অবশ্যই চালু রাখতে হবে।

শীতকালে ঠাণ্ডা আবহাওয়ায় মুরগি খাবার, বেশি খায়। অতিরিক্ত খাবার খেয়ে শরীরে তাপ উৎপাদন করে। এ জন্য রেশনে শর্করা–চর্বি উৎপাদনের উৎস কিছুটা বাড়িয়ে দিতে হবে। মুরগি যা খাবার গ্রহণ করে তার দ্বিগুণ পানি পান করে । তবে শীতকালে ঠাণ্ডার কারণে পানি গ্রহণের পরিমাণ কম হয়। তাই পানি গ্রহণের পরিমান ঠিক রাখতে প্রচণ্ড শীতের সময় সকালে ঠাণ্ডা পানি না দিয়ে হালকা গরম দিতে হবে।

শীতকালে পরিবেশের তাপমাত্রা কমে যাওয়ার কারণে এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জার প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়, তাই বাণিজ্যিকভাবে গড়ে ওঠা খামারের আশপাশে ১০০ গজের মধ্যে প্রতিদিন জীবাণুনাশক স্প্রে করতে হবে। মুক্ত পরিবেশে ছেড়ে পালন করা মুরগি যাতে খামারের সংস্পর্শে না আসে এটা খেয়াল রাখতে হবে এবং ওই সব মুরগির নিয়মিত টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। কারণ ওই সব মুরগি থেকেই ইভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা সংক্রমণের আশঙ্কা বেশি থাকে।

প্রকাশ : ডিসেম্বর ২৭, ২০২২ ১০:০৮ পূর্বাহ্ন
স্বল্প পুঁজিতে পোল্ট্রি পালন করে সাবলম্বী হবেন যেভাবে
পোলট্রি

অতীত কাল থেকে গ্রাম অঞ্চলের মানুষ হাঁস – মুরগি পালন করে তাদের সংসারের আর্থিক স্বাচ্ছন্দ্য এনেছেন । গ্রাম অঞ্চলের মানুষ কোনো রকম খরচ ছাড়া নিজের বাড়িতে ছোট্ট একটা ঘর করে মুরগি পালন করেন । মুরগি পালন করে যেমন ডিম মাংসের চিহিদা পূরণ করা যায় তেমন অর্থনৈতিক ভাবে কিছু উন্নতি লাভ করা যায় । তাই গ্রাম অঞ্চলের মানুষ এখন মুরগি পালনে উদ্যোগী হচ্ছে ।

বর্তমানে ডিম ও মাংসের ব্যাপক চাহিদা থাকায় পোল্ট্রি পালন এখন লাভজনক পেশায় পরিণত হয়েছে। অনেক বেকার যুবক এই পেশাকে এখন নিজের প্রধান জীবিকা হিসাবে নিয়েছে। এই পোল্ট্রি পালন করতে হলে কিভাবে করতে হবে আর জন্য কী কী পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে , কিভাবে পরিচর্যা করতে হবে , এবং এই পেশায় কেমন লাভ করা যায় ইত্যাদি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।

ডিপ – লিটার পদ্ধতিতে পোল্ট্রি পালন :
পোল্ট্রি পালন মূলত ডিপ – লিটার পদ্ধতিতে হয়ে থাকে। আলো বাতাসযুক্ত সাধারণ ঘরে বা কাঠের প্ল্যাটফর্মের ওপর খাঁচার মতো করে ঘর তৈরি করে নিতে হয় তারপর মেঝেতে চুম ও ব্লিচিং দিয়ে পরিষ্কার করে কাঠের গুঁড়ো , ধানের তুষ ইত্যাদি ছড়িয়ে ১০ থেকে ১৫ সেন্টিমিটার পুরু করে লিটার তৈরি করা হয়।

জল ও খাদ্য পাত্র: পোল্টি ফার্মের জন্য জল ও খাদ্য পাত্রের বিশেষভাবে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হয়।

পাত্রগুলো যাতে উল্টে না যায় তার জন্য বিশেষ ভাবে সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়। এর জন্য স্বয়ংক্রিয় খাবারের পাত্র এবং জলের পাত্র রাখতে হয়।
কিভাবে ডিপ – লিটারের পরিচর্যা নিতে হয় :
ডিপ – লিটারের বিশেষ ভাবে পরিচর্যা করতে হয় কারণ মুরগির বেড়ে উঠার অধিকাংশই নির্ভর করে এই লিটারের উপর।
১ লিটার সবসময় শুস্ক রাখা আবশ্যক।
২ লিটারের গভীরতা ঠিক রাখতে হয়
৩ বছরে অন্তত একবার লিটার পরিষ্কার করতে করতে হয়
৪ পোকামাকড়ের উপদ্রব থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য ঘরের দেওয়ালে উউঞ দিয়ে স্প্রে করতে হয়।
মুরগির খাদ্য দ্রব্য:
মুরগির সঠিক ভাবে বেড়ে উঠার জন্য প্রোটিন যুক্ত খাদ্য সরবরাহ করতে হয়। মুরগির খাদ্য মূলত গম , ভুট্টা ,চালের গুঁড়ো ,শুকটি মাছ ইত্যাদি দিয়ে তৈরি হয়। আবার উপযুক্ত পরিমানে ভিটামিন অ ,ই ২,উ ৩ খাদ্যে মিশিয়ে দিতে হয়।
পোল্ট্রি পালন কতটা লাভজনক :
পোল্ট্রি পালন অনেকটাই লাভজনক। পুষ্টির গুণমানের জন্য এর চাহিদা দিন দিন বেড়ে চলেছে। ৩১ থেকে ৩৫ দিনের মুরগির গড় ওজন দেড় থেকে পৌনে দুই কেজি হয়ে থাকে। একটি ১০০০ পোল্ট্রি মুরগির ফার্ম তৈরি করতে খরচ হয় মোট ৮০ হাজার টাকা।
৪০ দিনের মাথায় মুরগি বাজারজাত করলে সমস্ত খরচ বাদ দিয়ে ইনকাম থাকে ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা।পোল্ট্রি মুরগির রোগ প্রতিরোধ করার জন্য বিশেষভাবে যত্নবান হতে হয় সঠিক সময় মত ভ্যাকসিন প্রয়োগ করতে হয় ।

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop