৯:৫৮ পূর্বাহ্ন

সোমবার, ২০ মে , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : ডিসেম্বর ২০, ২০২২ ৯:৫৮ পূর্বাহ্ন
ব্রয়লারের দৈহিক ওজন বৃদ্ধিতে খামারিদের করণীয়
পোলট্রি

ব্রয়লারের দৈহিক ওজন বৃদ্ধিতে খামারিদের করণীয় যেসব কাজ রয়েছে সেগুলো ভালোভাবে জেনেই খামার শুরু করতে হবে। ব্রয়লার খামারগুলো আমাদের দেশে মাংসের চাহিদা পূরণে বিশেষ ভূমিকা পালন করছে। লাভের আশায় অনেকেই খামারে ব্রয়লার মুরগি পালন করছেন।

ব্রয়লারের দৈহিক ওজন বৃদ্ধিতে খামারিদের করণীয়:
ব্রয়লার খামারে বাচ্চা আনার আগ থেকে শুরু করে নিয়মিত খামার পরিষ্কার ও জীবাণুমুক্ত করতে হবে। এতে খামারে রোগের প্রকোপ কমে যাবে এবং মুরগির দৈহিক বৃদ্ধি দ্রুত হবে।যেখানে ব্রয়লার মুরগি পালন করা হবে সেখানে যাতে সব সময় আলো ও বাতাস চলাচল করতে পারে সেই ব্যবস্থা রাখতে হবে। তা না হলে খামারের মুরগি সহজেই রোগে আক্রান্ত হবে ও খামারি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।

ব্রয়লার মুরগির বাচ্চাকে শারীরিকভাবে সুস্থ থাকতে হবে। কোনভাবেই দুর্বল ও রোগা বাচ্চা খামারের জন্য নির্বাচন করা যাবে না। ব্রুডিং এ তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ রাখতে হবে এবং দুই ব্যাচের মধ্যে ১৫ দিন বিরতি দিতে হবে। ব্রুডিং এর সময় তাপমাত্রা যাতে খুব কম বা বেশি না হয় সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

ব্রয়লার খামারের লিটার সবসময় শুকনো রাখতে হবে। খামারের লিটার ভালো হলে মুরগি ভালো থাকবে। এজন্য নিয়মিত মুরগির লিটার পর্যবেক্ষণ করতে হবে। প্রয়োজন হলে লিটার পরিবর্তন করে নতুন লিটার দিতে হবে। ব্রয়লার মুরগিকে যথাসময়ে ভ্যাকসিন প্রয়োগ করতে হবে। যে কোনো ঔষধ ব্যবহারকালে সেই ওষুধের মেয়াদ আছে কিনা তা ভালোভাবে দেখে নিতে হবে। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

প্রকাশ : ডিসেম্বর ৪, ২০২২ ৯:৫৭ পূর্বাহ্ন
ব্রয়লারের ওজন বাড়াতে করণীয়
পোলট্রি

দেশে মাংসের চাহিদা পূরণে ব্রয়লারের ভূমিকা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এটি একদিকে যেমন মাংসের চাহিদা পূরণ করছে অন্যদিকে কমাচ্ছে বেকারত্ব।অনেকেই এখন খামার করে হয়েছেন স্বাবলম্বী। তবে এই মুরগির ওজন যত বেশি হয় তত তার চাহিদা থাকে বেশি। তাই ব্রয়লারের ওজন বাড়াতে খামারিদের জানতে হবে কিছু কৌশল।

ব্রয়লার মুরগির ওজন বাড়ানোর কিছু কৌশল:
খামার পরিষ্কার রাখা ব্রয়লারের ওজন বাড়ানোর প্রথম কৌশল।এতে খামারে রোগের প্রকোপ কমে যাবে এবং মুরগির দৈহিক বৃদ্ধি দ্রুত হবে। মুরগির খামারে বাচ্চা আসার ৪৫ মিনিট পূর্বে চিকগার্ডের ভেতরে প্রবা‌য়োটিক স্প্রে করে দিতে হবে। বাচ্চা ব্রুডারে ছাড়ার ৩০ মিনিট আগে পানির ড্রিকার দিয়ে দিতে হবে।

খামারে ব্রয়লার পালনের জন্য ১ দিনের বাচ্চার বয়স ৩৬ গ্রাম হতে হবে। বাচ্চা শারীরিকভাবে সুস্থ থাকতে হবে।ব্রয়লার খামারে যাতে সবসময়ই আলো প্রবেশ ও বায়ু চলাচল করতে পারে সেই ব্যবস্থা করতে হবে।

১৫ দিন বয়সের মধ্যে মুরগি গ্রাডিং শেষ করতে হবে। ১৮ দিন বয়সে গ্রথ আসার জন্য গুরের পানি খাওয়াতে হবে। ২০ দিন অতিবাহিত হলে মুরগি ফ্লাসিং করতে হবে। ২৫ দিন পর হইতে মাদি এবং ছোট মুরগি বিক্রি করতে হবে।ব্রুডিং এ তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ রাখতে হবে এবং দুই ব্যাচের মধ্যে ১৫ দিন বিরতি দিতে হবে। খামারের মুরগিগুলোকে যথাসময়ে ভ্যাকসিন প্রয়োগ করতে হবে। যে কোনো ঔষধ ব্যবহারকালে সেই ওষুধের মেয়াদ আছে কিনা তা ভালোভাবে দেখে নিতে হবে।

প্রকাশ : নভেম্বর ১৮, ২০২২ ৯:৪১ পূর্বাহ্ন
শীতকালে মুরগির খামার পরিচর্যায় যা করবেন
পোলট্রি

শীতকালে বাংলাদেশে তাপমাত্রা সর্বনিম্ন ৪-৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত নেমে যায়। এ সময় খামারিদের নানা সমস্যায় পড়তে হয়। এ কারণে শীতকালে মুরগি পালনে বিশেষ পরিচর্যার দরকার হয়।

শীতকালে একজন খামারীকে যে বিষয়গুলো মাথায় রাখতে হবে:
বাসস্থান : শীতকালে বয়সভেদে মুরগির ঘরের ভেতরের পরিবেশ ঠিক করতে হবে। যে বয়সের মুরগি পালন করা হবে সে বয়সের মুরগির জন্য ঘরে উপযোগী পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। ঘরের আশপাশের ঝোপ-জঙ্গল কেটে পরিষ্কার করতে হবে, যাতে দিনের আলো পরিপূর্ণভাবে ঘরের চালার ওপর পড়ে।

লিটার : শীতকালে লিটার হিসেবে ধানের শুকনা তুস সবচেয়ে ভালো। তুষ মুরগিকে গরম রাখে। ব্রুডার হাউসে ৫-১০ সেন্টিমিটার পুরু করে লিটারসামগ্রী বিছাতে হবে। মুরগি যদি ফ্লোরে পালন করা হয়, তাহলে বড় মুরগির জন্য লিটারের পুরুত্ব ৪ ইঞ্চির কম হবে না। লিটারসামগ্রী হতে হবে পরিচ্ছন্ন ও দূষণমুক্ত। কোনো কারণে পানি পড়ে লিটার ভিজে গেলে ভিজা লিটার ফেলে ওই স্খানে শুকনা লিটার বিছাতে হবে। লিটার যেন খুব শুকনা ধুলাময় না হয়।

তাপমাত্রা : শীতকালে মুরগি পালনে সবচেয়ে বড় সমস্যা তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা। মুরগির ঘরে স্বাভাবিক তাপমাত্রা দরকার ৬৫-৭৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট। তবে ব্রুডার হাউসে প্রাথমিক তাপমাত্রা দরকার পর্যায়ক্রমে ৩৫-২৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যখন পরিবেশের তাপমাত্রা খুব বেশি কমে যায়, তখন ব্রুডারে বাল্ব সংখ্যা বাড়িয়ে দিতে হবে। ঘরের চালা টিনের হলে হার্ডবোর্ড বা এই জাতীয় পদার্থ দিয়ে সিলিং দিতে হবে। ঘর উষä রাখতে টিনের বা ছাদের ওপর খড় বিছিয়ে দিতে হবে। ঘরে বাতাস চলাচলের ব্যবস্খা থাকতে হবে। ব্রুডিং পিরিয়ডে বাচ্চা যাতে সমভাবে তাপ পায় এ জন্য ৫০০ বাচ্চার জন্য ১০০ ওয়াটের তিনটি বাল্ব সংযুক্ত একটি ব্রুডার হার্ডবোর্ড বা প্লেনশিট দিয়ে তৈরি চিকগার্ডের মধ্যে স্খাপন করতে হবে।

আলো : মুরগির ঘরে আলো এমনভাবে দিতে হবে যেন তা ঘরে সমভাবে ছড়িয়ে পড়ে। ব্রুডিং পিরিয়ডে প্রথম তিন দিন নিরবচ্ছিন্ন আলো দরকার।

বাচ্চার ঘনত্ব : ব্রুডার হাউসে প্রতি বর্গমিটারে প্রথমে ৫০টি বাচ্চা রাখতে হবে এবং চার দিন বয়সের পর থেকে ক্রমান্বয়ে জায়গা বাড়িয়ে দিতে হবে। ১৪ দিন বয়সের পর ঘরের তাপমাত্রা ঠিক রেখে বাচ্চা যাতে পুরো ঘরে বিচরণ করতে পারে সে অনুযায়ী জায়গা বাড়াতে হবে। ডিমপাড়া মুরগির শরীরের তাপমাত্রা ঘরের তাপকে কিছুটা প্রশমিত করলেও উৎপাদনের জন্য এটা ভালো নয়। তাই ঘরে মুরগির ঘনত্ব কেমন হবে তা নির্ভর করবে ঘরের ধরন, ব্যবহৃত সরঞ্জামাদি, মুরগির বয়স, জাত ও পালন পদ্ধতির ওপর, পরিবেশের তাপমাত্রার ওপর নয়।

ভেন্টিলেশন : মুরগির ঘরে ভেন্টিলেশন ব্যবস্খা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ভেন্টিলেশন ব্যবস্খা বাতাস প্রবাহের মাধ্যমে ঘরে উৎপন্ন বিষাক্ত বাতাস বের করে এবং বিশুদ্ধ বাতাস প্রবেশ করে। শীতকালে ঘরে ঠাণ্ডা বাতাস যাতে প্রবেশ করতে না পারে সে জন্য সব দরজা-জানালা ব রাখলেও ভেন্টিলেশন ব্যবস্খা অবশ্যই চালু রাখতে হবে।

খাদ্য : শীতকালে ঠাণ্ডা আবহাওয়ায় মুরগি খাবার বেশি খায়। অতিরিক্ত খাবার খেয়ে শরীরে তাপ উৎপাদন করে। অর্থাৎ শীতকালে শরীরে বেশি ক্যালরি দরকার হয়। এ জন্য রেশনে শর্করা-চর্বি উৎপাদনের উৎস কিছুটা বাড়িয়ে দিতে হবে। তবে রেশনের সব খাদ্য উপাদানের পরিমাণগুলো ঠিক রেখে কিছু পরিমাণ তেল মিশিয়ে ক্যালরির পরিমাণ বাড়ানো যায়। ব্রুডিং অবস্খায় প্রথম তিন দিন লিটারের ওপর চট বা কাগজ বিছিয়ে তার ওপর খাদ্য ছিটিয়ে দিলে ভালো হয়। বাচ্চা মুরগিকে অল্প অল্প বার বার খাবার দিতে হবে। ফলে খাবার খাওয়ার প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি হয়। শীতকালে সব বয়সের মুরগির উৎপাদন ( গোশত, ডিম) কমে যায়। তাই সরবরাহকৃত খাবারে পর্যাপ্ত পুষ্টি উপাদানের থাকা নিশ্চিত করতে হবে।

পানি : মুরগি যা খাবার গ্রহণ করে তার দ্বিগুণ পানি পান করে। তবে শীতকালে ঠাণ্ডার কারণে পানি গ্রহণের পরিমাণ কম হয়। তাই পানি গ্রহণের পরিমাণ ঠিক রাখতে প্রচণ্ড শীতের সময় সকালে ঠাণ্ডা পানি না দিয়ে হালকা গরম দিতে হবে। পানি ভরার আগে পাত্র ভালোভাবে পরিষ্কার করতে হবে।

ভ্যাক্সিনেশন : সঠিক খামার ব্যবস্খাপনার জন্য একটি ভ্যাক্সিনেশন কর্মসূচি প্রণয়ন করতে হবে। ব্রয়লারের জন্য রানীক্ষেত এবং গামবোরো এই দু’টি ভ্যাক্সিনই যথেষ্ট, তবে ব্রিডার খামারের জন্য সম্পূর্ণ ভ্যাক্সিনেশন কর্মসূচি অনুসরণ করতে হবে। শীতকালে পরিবেশের তাপমাত্রা কমে যাওয়ার কারণ বিশেষ করে এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা ও রানীক্ষেত রোগ সংক্রমণ বেড়ে যেতে পারে। ধারণা করা হয় রানীক্ষেত রোগ প্রতিরোধ করার মাধ্যমে এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা সংক্রমণ কমানো যায়। এ জন্য সময়মতো রানীক্ষেত রোগের ভ্যাক্সিন নিয়মিত করতে হবে।

জীবাণুনাশক স্প্রে : শীতকালে পরিবেশের তাপমাত্রা কমে যাওয়ার কারণে এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জার প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়, তাই বাণিজ্যিকভাবে গড়ে ওঠা খামারের আশপাশে ১০০ গজের মধ্যে প্রতিদিন জীবাণুনাশক স্প্রে করতে হবে। মুক্ত পরিবেশে ছেড়ে পালন করা মুরগি যাতে খামারের সংস্পর্শে না আসে এটা খেয়াল রাখতে হবে। এবং ওই সব মুরগি নিয়মিত টিকা প্রদানের ব্যবস্খা নিশ্চিত করতে হবে। কারণ ওই সব মুরগি থেকেই এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা সংক্রমণের আশঙ্কা বেশি থাকে।

প্রকাশ : নভেম্বর ১৮, ২০২২ ৯:৩২ পূর্বাহ্ন
মুরগির খামার গড়ে তুলতে যা যা দরকার
পোলট্রি

দেশে উন্নত জাতের মুরগি পালনে জনগণের উত্সাহ দিন দিন বেড়ে চলেছে। আর মুরগি পালনের জন্য বাংলাদেশের আবহাওয়াও বেশ উপযোগী। জনগণের উত্সাহের সঙ্গে সঙ্গে সরকারও উন্নত জাতের মুরগি পালনে সার্বিক সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে। কেননা, ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার চাপে আমিষ জাতীয় খাদ্যের ঘাটতি কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে পুষ্টির অভাবে মানসিক বিকাশ বিঘ্নিত হচ্ছে দেশের অগণিত শিশুর।

অবিশ্বাস্য হলেও সত্য যে, উন্নত বিশ্বে বছরে মাথাপিছু ডিমের প্রাপ্যতা যেখানে ২০০; সেখানে আমাদের দেশে মাত্র ১৫ থেকে ১৬টি। এ ঘাটতি কাটিয়ে উঠতে প্রত্যেক বসতবাড়িতে উন্নতজাতের মুরগি চাষ অপরিহার্য। উন্নত জাতের একটি মুরগি ছয় মাস বয়সে ডিমপাড়া শুরু করে এবং বছরে ২০০ থেকে ২৫০ টি ডিম দেয়। অন্যদিকে ব্রয়লার (মাংস উত্পাদক মুরগি) মুরগি দুই মাসেই দেড় থেকে দুই কেজি মাংস দেয়। বসতবাড়িতে অল্প শ্রম ও কম খরচে মুরগি পুষে পরিবারের প্রোটিন জাতীয় খাদ্যের ঘাটতি সহজেই মেটানো যায়।

মুরগি পালনে যা করতে হবে:
থাকার ঘর : একটি মোরগের সংসার গড়তে প্রথমে প্রয়োজন হবে মুরগির ঘর ঠিক করা। মুরগির থাকার ঘর উচ্চতায় চার ফুট, প্রস্থে সাড়ে ৪ ফুট এবং দৈর্ঘ্য ৬ ফুট করুন। এর ভেতরে ডিম পাড়ার খাঁচি, খাবার পাত্র ও পানির পাত্র রাখুন। আরও খেয়াল রাখবেন
(১) ঘর সব সময় শুকনো ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।
(২) খোলামেলা স্থানে ঘর বানাবেন
(৩) ঘরের মেঝে তিন ইঞ্চি পুরু হয় এ পরিমাণ তুস, কাঠের গুঁড়া বা বালির সঙ্গে আধা কেজি গুঁড়া চূর্ণ ভালোভাবে মিশিয়ে সমানভাবে বিছিয়ে দিন।
(৪) মেঝের কাঠের গুঁড়া বা তুস ৭ দিন পরপর ওলট-পালট করে দেবেন। স্যাঁতসঁতে হলে বা জমাট বেধে গেলে তা পরিবর্তন করে দেবেন। ঘরে আটকে না রেখে বাইরেও মুরগি পালন করতে পারেন।

সংগ্রহের স্থান : উন্নত জাতের মুরগি কোথায় পাবেন এ নিয়ে ভাবনার কোনোই কারণ নেই। ঢাকার মণিপুর কেন্দ্রীয় মোরগ-মুরগি খামার থেকে কিংবা কৃষি খামার সড়কের পশুসম্পদ অধিদপ্তরের বিক্রয় কেন্দ্র থেকে উন্নত জাতের মুরগি সংগ্রহ করুন। চট্টগ্রাম এবং রাজশাহী শহরে যারা উন্নত জাতের মুরগি লালন-পালনে আগ্রহী তারা যথাক্রমে চট্টগ্রামের পাহাড়তলী এবং রাজশাহীর রাজবাড়ী হাট আঞ্চলিক মুরগির খামার থেকে উন্নত জাতের মুরগি সংগ্রহ করতে পারেন। এ ছাড়া সিলেট, বগুড়া, কুমিল্লা, যশোর, কুষ্টিয়া, পাবনা, রংপুর, রাজশাহী, কুড়িগ্রাম, বরিশাল, চুয়াডাঙ্গা, নোয়াখালী, রাঙামাটি, সীতাকুণ্ড, টাঙ্গাইল, ঠাকুরগাঁও, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, ফরিদপুর, দিনাজপুর, মাদারীপুর, পটুয়াখালী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, জয়পুরহাট, সিরাজগঞ্জ, গোপালগঞ্জ আর জামালপুরে সরকারি মুরগি খামার আছে। স্ব-স্ব এলাকার বাসিন্দারা এসব খামার থেকে উন্নত জাতের মুরগি সংগ্রহ করে নিন।

খাদ্য : অধিক ডিম পেতে হলে মুরগিকে দৈনিক সুষম খাবার খেতে দেবেন, প্রত্যহ প্রতিটি মুরগিকে ১১৫ গ্রাম সুষম খাদ্য, পর্যাপ্ত পরিমাণে বিশুদ্ধ পানি ও ২৫ গ্রাম সবুজ শাক-সবজি বা কচি ঘাস কুচি কুচি করে কেটে খেতে দিন।
আপনি নিজেই সুষম খাদ্য তৈরি করতে পারেন। সুষম খাদ্যের উপাদানগুলো নিম্নরূপ :
খাদ্য উত্পাদন-গম/ভুট্টা ভাঙা বা চালের খুদ ৪০০ গ্রাম। গমের ভুসি ৫০ গ্রাম। চালের কুঁড়া (তুষ ছাড়া) ২৫০ গ্রাম। তিলের খৈল ১২০ গ্রাম। শুঁটকি মাছের গুঁড়া ১০০ গ্রাম। ঝিনুকের গুঁড়া ৭৫ গ্রাম। সুষম খাদ্য মোট ১,০০০ গ্রাম বা ১ কেজি।

রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা : আপনার মুরগিকে সুস্থ রাখতে নিয়মিত টিকা দেয়ার ব্যবস্থা নেবেন। পশুসম্পদ বিভাগ থেকে বিনামূল্যে রানীক্ষেত, কলেরা, বসন্ত রোগের প্রতিষেধক টিকা সংগ্রহ করতে পারেন। আরেকটু খেয়াল রাখবেন, আপনার মুরগি অসুস্থ হলে সঙ্গে সঙ্গে পশু চিকিত্সালয়ের পরামর্শ নেবেন। অসুস্থ মুরগিকে চিহ্নিত করে তত্ক্ষণাত্ আলাদা করে রাখুন। তা ছাড়া রোগাক্রান্ত মুরগির বিষ্ঠা ও লালা সতর্কতার সঙ্গে সংগ্রহ করে তা মাটিতে পুঁতে রাখার ব্যবস্থা নেবেন।

আয়-ব্যয় : এক মোরগের সংসারের জন্য একটি ঘর (খাবার পাত্রসহ) তৈরি কর বাবদ প্রায় ২ হাজার টাকা খরচ হবে এবং ঘর কয়েক বছর ব্যবহার করা যাবে। ছয় মাস বয়সের ৯টি মুরগি এবং ১টি মোরগের ক্রয়মূল্য ২ হাজার টাকা। ১ বছর পর এ ১০টি মুরগিকে প্রায় একই দামে বিক্রি করা যাবে। ডিম কিনলে ১টির দাম পড়বে ৮ টাকা। মুরগির বাচ্চা কিনলে ১টির দাম পড়বে ৩০ টাকা। ৯টির দাম হবে ২৭০ টাকা। প্রতি মাসে মুরগির খাবার ক্রয় বাবদ প্রায় ৮০০ টাকা ব্যয় হবে। যদি আপনি নিজেই মুরগির সুষম খাবার তৈরি করেন তাহলে খরচ আরও কম হবে।

৯টি মুরগি থেকে প্রতিদিন গড়ে ৬টি ডিম পাওয়া যাবে। ডিম বিক্রি করে প্রতি মাসে গড়ে ১৪৪০ টাকা আয় করতে পারেন। উত্পাদিত ডিম, খাবার এবং বাচ্চা ফুটানোর ডিম হিসেবে ব্যবহার করা যাবে। আপনার শ্রমে উত্পাদিত ডিমের একটি অংশ দিয়ে যদি বাচ্চা ফুটানো যায়, তাহলে দেশ এবং জাতি বেশ কিছু ফুটফুটে উন্নত জাতের মোরগ-মুরগির বাচ্চা পাবে।

প্রকাশ : নভেম্বর ১৬, ২০২২ ৮:২৬ অপরাহ্ন
মাঝারি ও ছোট মুরগি খামারিদের জন্যে সৃজনশীল প্রশিক্ষণ ব্যবস্থা
পোলট্রি

জুলাই থেকে শুরু হওয়া মাঝারি ও ছোট আকারের মুরগি খামারিদের জন্যে সম্মিলিতভাবে ওয়ান হেলথ্ পোল্ট্রি হাব বাংলাদেশ, সংশ্লিষ্ট উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় এবং ভেটেরিনারি হাসপাতাল, আফতাব বহুমুখী ফার্মস্ লিমিটেড এবং প্যারাগণ গ্রুপ লিমিটেড ২দিন ব্যাপী আয়োজন করেন প্রশিক্ষণ কর্মসূচি।

এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচির প্রথম পর্ব শেষ হলো গত ১৪ই নভেম্বর। চট্টগ্রাম জেলার সাতটি উপজেলায় এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।

এই ধারাবাহিক প্রশিক্ষণ কর্মসূচির মাধ্যমে চট্টগ্রামের ১০৭ জন খামারিকে মুরগি লালন-পালন বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। ওয়ান হেলথ্ পোল্ট্রি হাব, বাংলাদেশ এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে এনেছে ভিন্নতা। সরকারি পর্যায়ে কর্মরত ভেটেরিনারিয়ান, বেসরকারি সেক্টরে নিয়োজিত ভেটেরিনারিয়ান, একাডেমিক ভেটেরিনারিয়ান, উপজেলা মেডিক্যাল কর্মকর্তা, স্নাতোকোত্তর এবং ইন্টার্ন শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে গঠিত প্রশিক্ষকদলের মাধ্যমে এই খামারিদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়।

এই প্রশিক্ষণে সৃজনশীল উপায়ে খামার পর্যায়ের বিভিন্ন সমস্যার দৃশ্যপটে খামারিদের অংশগ্রহণমূলক আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করার চেষ্টা করা হয়।

খামারিদের জন্যে বিশেষ শিক্ষাসামগ্রী, খামার বিষয়ক বই, লিফলেট এবং ওয়ান হেলথ পোল্ট্রি হাব, বাংলাদেশ কর্তৃক রচিত “পোল্ট্রি ম্যানুয়াল” নামের এই পু্স্তিকা প্রদান করা হয়। খামারিদের মুরগির খামারের জীব-নিরাপত্তা বিষয়ক একটি সচেতনামূলক ভিডিওর মাধ্যমে জীবনিরাপত্তা থাকার ভিত্তিতে দুইটি খামারের লাভের পার্থক্য বিষয়টি বুঝানো হয়। খামারিদের নিয়ে প্রশিক্ষণগণের খামার পরিদর্শন এবং সেই খামারের জীবনিরাপত্তা যাচাই ছিলো এই প্রশিক্ষণের একটি অন্যতম আয়োজন।

সেই সাথে অনলাইন প্লাটফর্ম জুমের মাধ্যমে চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মাসুদুজ্জামানের সাথে সরাসরি খামারিগণ তাদের খামারের নানাবিধও সমস্যা নিয়ে আলোচনা করে উক্ত প্রশিক্ষণে। মুরগির বাচ্চার গুণাগুণ, পালন, জীব-নিরাপত্তা, এন্টিবায়োটিকের প্রয়োগ, ভেটেরিনারিয়ানের পরামর্শগ্রহণ প্রভৃতি বিষয়ে খামারিদের জ্ঞান মূল্যায়নের দরুন বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদানের পূর্বে এবং পরে তাদের যাচাই করা হয়। খামারিদের খামারকরণে উত্সাহিত ও মনোযোগী করতে, ওয়ান হেলথ্ পোল্ট্রি হাববাংলাদেশ খামারিদের পুরষ্কার এবং সার্টিফিকেট প্রদান করে।

বিভিন্ন পর্যায়ে ভেটেরিনারিয়ানগণ ওয়ান হেলথ্ পোল্ট্রি হাব, বাংলাদেশের এই নতুন ধরনের খামারি প্রশিক্ষণের প্রশংসা করে বলেন, “আপনারা কিভাবে ২দিন ব্যাপী (সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা) খামারিদের মনোযোগ ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছেন! গতানুগতিক প্রশিক্ষণগুলোতে খামারিগণ এতো মনোযোগ দিতে চায় না এবং প্রশিক্ষণগুলো অংশমূলকও হয় না। তাই,প্রশিক্ষকরা জানতে পারেনা যে তারা এই প্রশিক্ষণটি থেকে কি শিখেছে, যেটা কিনা আমাদের প্রশিক্ষণ আয়োজনের প্রধান লক্ষ্য। এই দিক থেকে ওয়ান হেলথ্ পোল্ট্রি হাব, বাংলাদেশের খামার পর্যায়ে এই প্রশিক্ষণ অবশ্যই প্রশংসার দাবি রাখে।”

এই প্রশিক্ষণে খামারিদের প্রাণিখাতের বিভিন্ন আইন যেমন, রোগসংক্রান্ত আইন (খামার নিবন্ধন, জীব-নিরাপত্তা, টিকা প্রদান, রোগসংক্রান্ত রিপোর্ট), প্রাণিখাদ্য আইন এবং প্রাণিকল্যাণ আইন বিষয়ে সচেতনতার জন্যে একটি পর্ব রাখা হয়। প্রাণবন্তভাবে খামারিগণ এই পর্বে অংশ নেয় এবং নানাবিধও আইন মেনে চলার বিষয়ে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়।

চন্দনাইশ উপজেলায় আয়োজিত ৭ম প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাসরিন আক্তার। নাসরিন আক্তার বলেন, “পোল্ট্রি শিল্প টিকিয়ে রাখতে খামারিদের প্রশিক্ষিত করার কোনো বিকল্প নেই।

এই ধরনের প্রায়োগিক প্রশিক্ষণ থেকে আমাদের প্রান্তিক খামারিরা অনেক উপকৃত হবেন এবং এর মাধ্যমে সাধারণ ভোক্তাসমাজ ভেজালমুক্ত পোল্ট্রি পণ্য পেতে সক্ষম হবে। ”এছাড়া প্রশিক্ষণে উপস্থিত ছিলেন ডা. রুপেন চাকমা (উপজেলা লাইভস্টক অফিসার, চন্দনাইশ উপজেলা প্রাণিসম্পদ হাসপাতাল); ডা. মাইদুল ইসলাম (এসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার-টেকনিক্যাল সার্ভিস, আফতাব বহুমুখী ফার্মস্ লিমিটেড); ডা. মোহাম্মদ ফয়সাল(লাইভস্টক এক্সটেনশান অফিসার, চন্দনাইশ)।

ডা. রুপেন চাকমা খামারিদের উদ্দেশ্যে বলেন, “আপনারা অনেক অভিজ্ঞ এবং বহু বছর যাবত্ মুরগি প্রতিপালন করছেন, তবুও আপনাদের মুরগি রোগাক্রান্ত হচ্ছে। যার মাধ্যমে বুঝা যায়, আপনাদের আরো প্রশিক্ষণের প্রয়োজন। আমি মনে করি, আমরা সৌভাগ্যবান কারণ ওয়ান হেলথ্ পোল্ট্রি হাব বাংলাদেশ চট্টগ্রামের অনেক উপজেলার মাঝে এই উপজেলার খামারিদের প্রশিক্ষণের জন্যে বাছাই করেছেন। আশা করছি, আপনারা এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে উপকৃত হয়েছেন।”

ওয়ান হেলথ্ পোল্ট্রি হাব বাংলাদেশের ন্যাশনাল কো-অর্ডিনেটর প্রফেসর মোঃ আহসানুল হক এবং তার বাংলাদেশ হাব টিম, খামারিদের শিক্ষা এবং প্রশিক্ষণের জন্য উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় এবং ভেটেরিনারি হাসপাতালগুলোকে“সেন্ট্রাল অব এক্সিলেন্স” হিসেবেকাজ করতে পারে বলে মনে করেন।

প্রফেসর হক জানান, “ওয়ান হেলথ্ পোল্ট্রি হাব বাংলাদেশ বিভিন্ন পর্যায়ের খামারি প্রশিক্ষণের একটি মডেল করতে চায়। সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে কর্মরত প্রাণি ও মনুষ্যসেবাখাতের প্রধান অংশীদারদের অংশগ্রহণে এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচিকে আরো টেকসই ও বেগবান করতে সহায়ক হবে।

 

তিনি আরো বলেন,”ওয়ান হেলথ্ কনসেপ্টকে কেন্দ্র করে এই পুরো প্রশিক্ষণ কর্মসূচি আয়োজন করা হচ্ছে। ডাক্তার এবং ভেটের মেলবন্ধনে একই প্লাটফরম থেকে খামারিদের জুনোটিক এবং এন্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স এর মতো গুরুত্বপূর্ণসমস্যাগুলো খামারিদের সামনে তুলে ধরা হয় এই প্রশিক্ষণে।”

এই প্রশিক্ষণসমূহের শিক্ষণীয় উপকরণ তৈরি এবং এর ভবিষ্যত প্রয়োগসহ সামগ্রিক পর্যালোচনার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখছেন প্রফেসর আয়োনা সিলভা ফ্লেচার (রয়েল ভেটেরিনারি কলেজ) এবং রবিন এলডার্স (অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি)।ইউকে গবেষণা উদ্ভাবনের জিসিএরএফ-এর মাধ্যমে এই প্রশিক্ষণের অর্থায়ন করা হচ্ছে।

প্রকাশ : নভেম্বর ১৫, ২০২২ ৮:২০ অপরাহ্ন
ব্রয়লারের খামারে বাণিজ্যিকভাবে লাভের মুখ দেখতে যা করবেন
পোলট্রি

আমাদের দেশের অনেকেই এখন ব্রয়লার পালনের দিকে ঝুঁকছেন। এতে এখন বাণিজ্যিকভাবে লাভবান হচ্ছেন বেশ। তবে বাণিজ্যিকভাবে ব্রয়লার মুরগি পালনে বেশ কিছু সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়।

ব্রয়লার মুরগির বাণিজ্যিক খামারে খাদ্য প্রয়োগে যা করতে হবে:
সুষম খাদ্যে অতিরিক্ত চর্বি জাতীয় জিনিস খাওয়ালে অতিরিক্ত দাম পাওয়া যায় না। কিন্তু গরম আবহাওয়া বা অতিরিক্ত তাপের দিনে অতিরিক্ত চর্বি বা তেল জাতীয় খাদ্য উপাদান প্রদান করতে হবে। ব্রয়লার মুরগি তার সুষম খাবারের ৬৪ শতাংশ আমিষ দেহের কাজে লাগাতে পারে। ব্রয়লারের প্রয়োজনীয় আমিষ তিন ভাগে ভাগ করা যেতে পারে-(ক) কলা বৃদ্ধির জন্য ব্রয়লার মুরগির শরীরে ১৮ শতাংশ আমিষ আছে।

পালক গঠনের জন্য ব্রয়লার মুরগির পালকে ৮২ শতাংশ আমিষ আছে এবং গড়ে পালকেরওজন সমস্ত দেহের ৭০ শতাংশ। গরমকালে ব্রয়লার সুষম খাদ্যে বেশি আমিষ দরকার শীতকালের তুলনায়। কারণটা হল মুরগি গরমকালে কম খায়। ঠিক যতটুকু অ্যামাইনো অ্যাসিড দরকার ঠিক ততটুকুই ব্রয়লার মুরগিকে দিতে হবে। যেহেতু বেশি পরিমাণে অপরিহার্য অ্যামাইনো অ্যাসিড দেহের ক্ষতি করে। কম অ্যামইনো অ্যাসিড আবারদেহের বৃদ্ধিকে রোধ করে দেবে। মাদি ব্রয়লার মুরগির চেয়ে মদ্দা ব্রয়লারমুরগি তাড়াতাড়ি বাড়ে। সুতরাং খামারের ভালর জন্য মাদি মদ্দা একসঙ্গে না পালন করে আলাদা আলাদা করা লাভজনক।

প্রথম চার সপ্তাহ মদ্দা ও মাদি ব্রয়লার মুরগির আমিষের প্রয়োজন একই রকম। ৪ সপ্তাহ পরে মদ্দা ব্রয়লার মাদির চেয়ে ২ শতাংশ থেকে ৪শতাংশ বেশি আমিষের দরকার হয়। মাদিকে বেশি আমিষ দিলে সেটা খুব একটা কাজে আসেনা।

ব্রয়লার মুরগির জন্য খনিজ এবং ভিটামিন খুবই দরকারি। এছাড়াও ক্যালসিয়াম এবং ফসফরাসের ব্রয়লারের জন্য খুবই উপকারি। খাবারের সমস্ত ক্যালসিয়াম যেন ১ শতাংশ গন্ডি কখনো না পেরিয়ে যায়। ভিটামিন খাদ্য বিপাকক্রিয়ায় সহায়তা করে থাকে।

প্রকাশ : অক্টোবর ২৬, ২০২২ ৫:১১ অপরাহ্ন
পাঁচ মুরগি দিয়ে ভাগ্য বদল জাহাঙ্গীরের
পোলট্রি

রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলার বাংলাট গ্রামে জাহাঙ্গীর পরিবার নিয়ে থাকেন। বাবা মারা গেছেন অনেক দিন আগে। ফরিদপুর ন্যাশনাল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে সপ্তম সেমিস্টার পর্যন্ত পড়েছেন। এরপর অর্থাভাবে আর পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়নি তার।

জাহাঙ্গীরের বাবার ছিল ব্রয়লার মুরগির খামার। ছোটবেলা থেকেই খামারে বাবাকে সাহায্য করেছেন। ভাগ্য বদলের আশায় একসময় বিদেশেও পাড়ি জমিয়েছিলেন। কিন্তু ভাগ্য তার সহায় হয়নি। পরে দেশে চলে আসেন। কিছুদিন বেকার থাকার পর আবারও ভারতে চলে যান। উদ্দেশ্য সেখানে কোনো কাজের ব্যবস্থা করা। সেখানে তার এক বন্ধুর মুরগির খামার দেখে নিজেও আগ্রহী হলেন বিদেশি জাতের মুরগির খামার গড়তে। তখন দেশে ফ্যান্সি মুরগির খামার ছিল না। দু-একজন পুষতেন শুধু শখের বশে।

২০১৬ সালে ভারত থেকে ফেরার পথে ওই বন্ধুর কাছ থেকে পাঁচটি ফ্যান্সি মুরগি নিয়ে এসেছিলেন। সেটা দিয়ে তার খামারের যাত্রা শুরু। অল্প কয়েক দিনেই মুরগি ডিম দিল। ডিম ফুটে বাচ্চা হলো।

বন্ধুর পরামর্শ ছাড়াও ইন্টারনেট ঘেঁটে ফ্যান্সি জাতের মুরগি পালনের কৌশল রপ্ত করেন। আর বাবার খামারে ব্রয়লার মুরগি পালনের অভিজ্ঞতা তো ছিলই। কিছুদিনের মধ্যেই জাহাঙ্গীর দেখলেন, দেশে এই মুরগির বেশ ভালো চাহিদা রয়েছে। বিশেষ করে শৌখিন ব্যক্তিরা এ ধরনের মুরগির প্রধান ক্রেতা। দামও ভালো।

এবার তিনি পুরোদমে বাণিজ্যিকভাবে ফ্যান্সি মুরগি উৎপাদনে মন দিলেন। ইত্যাদি অ্যাগ্রো অ্যান্ড হ্যাচারি দিলেন খামারের নাম। তিন শতক জায়গাজুড়ে ৬০টি খাঁচায় তিনি মুরগি রেখেছেন। এখন প্রায় ৪০ জাতের মুরগি রয়েছে তার খামারে।

এগুলোর মধ্যে ব্রাহামা, সিল্কি, কাদাকনাথ, সিলভার সেব্রাইট, গোল্ডেন সেব্রাইট, সিলভার পলিশ ক্যাপ, অর্পিংটন, ইয়োকোহামা, অনাকাদুরি, ফনিক্স, সুমাত্রা, কলম্বিয়ান লাইট ব্রাহামা, মলটেট কোচিন, ফিজেল কোচিন, সুলতান, এরাকোনা, উইন্ডোট গোল্ডেন, উইন্ডোট সিলভার, বেলজিয়াম বেয়ার্ড, মিসরীয় ফাওমি ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। মুরগির দাম প্রজাতিভেদে ২০ হাজার থেকে এক লাখ টাকার মতো। কিছুদিন আগে উইনডট জাতের এক জোড়া মুরগি এক লাখ টাকায় বিক্রি করেছেন বলে জাহাঙ্গীর জানান।

বর্তমানে জাহাঙ্গীরের খামারে বড় এবং বাচ্চা মিলিয়ে প্রায় ৩০০ মুরগি আছে। যার আনুমানিক মূল্য ১৫ লাখ টাকা। বছরে তিনি ২৫ থেকে ৩০ লাখ টাকার মুরগি বিক্রি করেন। মুরগির খামারে জাহাঙ্গীরের ভাগ্য বদলেছে। খামারের লাভের টাকায় ছেলে-মেয়েদের পড়াশোনার খরচ দিচ্ছেন। কিছু জমিও কিনেছেন।

তিনি বলেন, ‘দেখতে অনেক সুন্দর। খেতেও ভালো বলে শৌখিন মানুষ এই মুরগি কেনেন। বাচ্চা এবং বড়, দুই ধরনের মুরগি বিক্রি করি। সাধারণত অনলাইনে বেশি বিক্রি হয়। মুরগির ডিম থেকে ইনকিউবেটরের মাধ্যমে বাচ্চা উৎপাদন করি। কোনো কোনো সময় আমদানিকারকদের মাধ্যমেও মুরগি সংগ্রহ করি। বিদেশে গিয়েও অনেক জাতের মুরগি এনেছি।’ সব খরচ বাদেই খামার থেকে তার আয় মাসে ৮০ থেকে ৯০ হাজার টাকা। কোনো কোনো মাসে তা লাখ ছাড়িয়ে যায় বলে জানান জাহাঙ্গীর।

সাধারণ মুরগির মতো দুই বেলা খাবার দিতে হয় বিদেশি জাতের এই মুরগিগুলোকে। ভ্যাকসিনও দেওয়া লাগে। শীতকালে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের প্রয়োজন পড়ে। খাঁচা পদ্ধতিতে পালন করায় রোগবালাই একটু কম হয়। তিনি জানান, দেশের বাইরে এই মুরগির প্রচুর চাহিদা রয়েছে। সুযোগ না থাকায় রপ্তানি করতে পারছেন না। পোষা পাখির মতো এই মুরগিগুলোকেও পোষ মানানো যায়। জাহাঙ্গীরেরও কিছু পোষা মুরগি আছে। যারা বাসায় তার সঙ্গেই থাকে।

জাহাঙ্গীর বলেন, ‘কেউ যদি শখ থেকে এই মুরগি লালন-পালন করতে চান, তাহলে আমার পরামর্শ থাকবে, শুরুতেই সব বড় মুরগি কেনার দরকার নেই। দু-একটি দেশি জাতের মুরগি দিয়ে শুরু করতে পারেন। তারপর বিদেশি জাতের এক জোড়া বাচ্চা কিনলেন। আগে মুরগি পালনের কৌশলগুলো শিখতে হবে, অভ্যস্ত হতে হবে। বুঝেশুনে শুরু করলে ভালো হবে।’

সূত্র: কালের কণ্ঠ

প্রকাশ : অক্টোবর ১৮, ২০২২ ৩:২০ অপরাহ্ন
জেনে নিন খামারে মোরগ-মুরগির প্রকারভেদ
পোলট্রি

বাংলাদেশে খামারে এখন মূলত চার ধরণের মোরগ-মুরগির লালন-পালন করা হয় ব্রয়লার, লেয়ার, কক, সোনালী। এখন এই তালিকায় নতুন করে যোগ হচ্ছে বাউ মুরগি।

শুধুমাত্র মাংসের জন্য যেসব মুরগি লালনপালন করা হয়, সেগুলো ব্রয়লার। ডিম পাড়া মুরগিকে বলে লেয়ার। তবে ডিম পাড়ার বয়স শেষ হয়ে গেলে সেগুলোকেও মাংসের জন্য বিক্রি করা হয়ে থাকে।

মূলত কানাডা এবং ইউরোপীয় দেশগুলোর মুরগির জাত থেকে লেয়ার বা ব্রয়লারের জাত তৈরি করা হয়।

মিশরের ফায়োমিন মুরগির সঙ্গে আমেরিকান রোড আইল্যান্ড মোরগ মিশিয়ে যে জাত তৈরি করা হয়, সেটার নাম দেয়া হয় সোনালী। এগুলোও খামারে বড় করা হয়। এগুলো যেমন মাংসের জন্য বিক্রি করা হয়, আবার অনেকে ডিমের জন্য লালন পালন করেন। এগুলোর ডিম অনেকটা দেশি মুরগির ডিমের মতোই হয়।

প্যারেন্টিং ফার্ম থেকে এরকম একদিনের মুরগির বাচ্চা বড় করে সেগুলোকে ব্রয়লারের মতোই লালনপালন করে বিক্রি করা হয়। কক বা পাকিস্তানি মুরগি বলে যেটা পরিচিত, সেটাও আসলে খামারে পালন করা মোরগ।

ডিম পাড়া মুরগির সঙ্গে যখন বাচ্চা ফোটানো হয়, যেখানে প্রথমেই ছেলে-মেয়ে জাত আলাদা করে ফেলা হয়। মুরগি বড় হয়ে হয় ডিম পাড়া লেয়ার। আর মোরগগুলোকে আলাদাভাবে বড় করে পরবর্তীতে বিক্রি করা হয়, যা অনেকের কাছে কক বা পাকিস্তানি মুরগি বলেও পরিচিত।

গবেষকরা বলছেন, একসময় মিশরীয় স্ত্রী জাতের মুরগির বাচ্চা পাকিস্তান থেকে আমদানি করা হতো। এই কারণে এগুলোকে অনেকে পাকিস্তানি মুরগি বলে চেনেন। তবে এখন এগুলো বাংলাদেশেই উৎপাদিত হচ্ছে।

প্রকাশ : অক্টোবর ১২, ২০২২ ১০:১৩ পূর্বাহ্ন
দুটি ইউরোপিয়ান সিল্কি মুরগি দিয়ে শুরু করে লাখপতি জয়
পোলট্রি

পাঁচ হাজার টাকা দিয়ে শখের বসেই দুটি ইউরোপিয়ান সিল্কি মুরগি কিনে বাড়ির ছাদে পুষতে শুরু করেছিলেন সাতক্ষীরা পৌরসভার মুনজিতপুর গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে সুজন হাসান জয়। প্রথমে খাপ খাওয়াতে একটু কষ্ট হলেও পরবর্তীতে শখের মুরগি পালন থেকেই আয়ের পথ খুলে যায় জয়ের।

ইউরোপিয়ান সিল্কির পাশাপাশি তার খামারে রয়েছে, ইউরোপিয়ান ব্রামা, কোচিন, ফিজেল, নেদারল্যান্ডের পলিশক্যাপ, সেভরাইট, হোয়াইট ফেস, মালয়েশিয়ার সেরমা, ভারতীয় কোসামোসহ ২০ প্রজাতির মুরগি।

ডিম থেকে বাচ্চা ফুটানো ইনকিউবেটর মেশিনও বসিয়েছেন তিনি। বিদেশি বিভিন্ন প্রজাতির মুরগির ডিম থেকে ফুটানো বাচ্চা বিক্রি করেই মাসে ২০-৩০ হাজার টাকা বাড়তি আয় করছেন সুজন হাসান জয়।

জয় জানান, অনার্স দ্বিতীয় বর্ষেই পড়াশোনায় ইতি টেনেছেন। অন্যান্যদের তুলনায় একটু আগেই বিয়ে করায় যোগ দেন একটি এনজিওতে। কিন্তু আগে থেকেই মুরগি পালনের শখ ছিল। তাই ২০১৬ সালের দিকে নিজের গোছানো টাকা দিয়েই দুটি ইউরোপিয়ান সিল্কি জাতের মুরগি কেনেন। মুরগি দুটি ডিম দিতে শুরু করলে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। এরপর একে একে ইউরোপিয়ান ব্রামা, কোচিন, ফিজেল, নেদারল্যান্ডের পলিশক্যাপ, সেভরাইট, হোয়াইট ফেস, মালয়েশিয়ার সেরমা, ভারতীয় কোসামোসহ অন্তত ২০ প্রজাতির মুরগি সংগ্রহ করেন। এরই মধ্যে অনলাইনে তথা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের মাধ্যমে মুরগির বাচ্চা বিক্রি শুরু হয়। উপার্জিত অর্থ দিয়েই ইনকিউবেটর যন্ত্র কেনাসহ খামারের যাবতীয় খরচ বের করেছেন তিনি।

প্রথমে তাকে বাড়ি থেকে সাপোর্ট করতো না। কিন্তু যখন বুঝলো এটা লাভজনক, তখন আর কেউ বাধা তো দেয়নি, বরং উৎসাহ দেয় হয় বলে জানান।

জয় আরও জানান, খামারে মুরগির খাবার, ওষুধপত্র ও বিদ্যুৎ বিল দিয়ে মাসে খরচ হয় ১২-১৫ হাজার টাকা। এই খরচ বাদ দিয়েও মাসে গড়ে ২০-৩০ হাজার টাকা আয় হয়। এখন জয়ের খামার থেকে রাজধানী ঢাকাসহ বগুড়া, বরিশাল, খুলনা, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রামের সৌখিন খামারিরা বিদেশি জাতের মুরগি কিনে নিয়ে যান।

এক জোড়া মুরগির বাচ্চা প্রজাতি ভেদে দেড় হাজার টাকা থেকে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়। এছাড়া প্রাপ্ত বয়স্ক মুরগির জোড়া প্রজাতি ভেদে ৫ হাজার টাকা থেকে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়।

বিদেশি জাতের মুরগি পালনে প্রথমে খাপ খাওয়াতে একটু কষ্ট হলেও তা সম্ভব উল্লেখ করে সুজন তিনি আগ্রহী যুবকদের উদ্দেশ্যে বলেন, এখন অনেকেই বাড়িতে বাণিজ্যিকভাবে কবুতর ও পাখি পালন করছেন। ঠিক একইভাবে বিদেশি জাতের মুরগিও বাণিজ্যিকভাবে পালন ও তা থেকে বাড়তি আয় করা সম্ভব বলে জানান।

প্রকাশ : অক্টোবর ৯, ২০২২ ১২:৩৫ অপরাহ্ন
মুরগির খামারে লস হলেও ঘুরে দাঁড়ালেন ছাগলের খামার করে!
প্রাণিসম্পদ

লাভের আশায় বন্ধুদের সঙ্গে লেয়ার মুরগির খামার গড়ে তুলেছিলেন মো. জাকারিয়া। কিন্তু করোনা মহামারিতে হারিয়ে যায় বিনিয়োগের পাঁচ লাখ টাকা। তবুও নিরাশ হননি। ঘুরে দাঁড়িয়েছেন ব্ল্যাক বেঙ্গল জাতের ছাগলের খামারে।

মো. জাকারিয়ার গ্রামের বাড়ি সিরাজগঞ্জ। একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে রাজশাহীতে কর্মরত রয়েছেন তিনি। সেই সুবাদে রাজশাহীর পবা উপজেলার হরিয়ান ইউনিয়নের কালিয়াপাড়া এলাকায় ৬ বিঘা জায়গায় গড়ে তুলেছেন ওয়াফা এগ্রো ফার্ম।

খামারি জানান, তার এক বন্ধু দীর্ঘ দিন ধরে মুরগির খামারি। লাভের আশায় সেই বন্ধুর সঙ্গে আমিও মুরগির খামারে বিনিয়োগ করি। ৪ হাজার লেয়ার মুরগির খামার গড়ে তুলি। কিন্তু করোনা মহামারিতে ডিম বিক্রি করতে পারিনি। ফলে পুঁজি হারিয়ে যায়।

তিনি আরও জানান, ছাগলের খামারের এই জায়গা মুরগির খামারের জন্য লিজ নিয়েছিলাম। লোকসানের কারণে ওই পথে আর হাঁটিনি। শেষে অনেক ভেবে-চিন্তে ছাগলের খামার গড়ে তুলি।

প্রথমে অর্ধেক জায়গায় ঘাস চাষ করি। বাকি অর্ধেক জাগায়গায় শেড এবং ছাগলের বিচরণ ক্ষেত্র তৈরি করি। অল্প কিছু ছাগল নিয়ে খামারের যাত্রা শুরু করি। এখন খামারে সব মিলিয়ে দুই শতাধিক ছাগল রয়েছে।

সব মিলিয়ে এখন পর্যন্ত খামারে বিনিয়োগ করা হয়েছে ৩০ লাখ টাকা। দেড় বছরের মধ্যে বিনিয়োগ উঠে এসেছে। সামনে বছর থেকে লাভের আশা করছি। সুষ্ঠু পরিকল্পনা মাফিক ছাগলের খামার করলে লোকসানের ঝুঁকি নেই বলে জানান তিনি।

এই খামারির ভাষ্য, তারা ছাগলকে প্রাকৃতিক খাবার দেন। নিয়মিত ভ্যাকসিনও দেন। বাজারে এমন ছাগলের চাহিদা ভালো। গত কোরবানিতে কিছু খাসি বাজারে তুলেছিলেন, সাড়াও পেয়েছেন। আসছে কোরবানিতে উৎকৃষ্টমানের খাসি সরবরাহ করতে পারবেন তারা।

ওয়াফা এগ্রো ফার্মে চারজন কর্মী কাজ করেন। এদেরই একজন মো. পলাশ মণ্ডল। নওগাঁর নিয়ামতপুরের শিবপুর এলাকার বাসিন্দা পলাশ পেশায় কৃষি শ্রমিক ছিলেন। বাড়িতে গরু-ছাগল রয়েছে তার। সেই অভিজ্ঞতা থেকে ছাগলের খামারে কাজ করছেন।

পলাশ মণ্ডল বলেন, তারা চারজন কর্মী রয়েছেন। একেকজন একেক কাজ করেন। তিনি ছাগলের খাবার দেওয়া থেকে দেখাশোনা করেন। তার হাতে অনেক ছাগলের বাচ্চা প্রসব হয়েছে। নিজের সন্তানের মতো এগুলো লালনপালন করে বড় করছেন।

খামারের আরেক কর্মী রমজান আলী। তিনি ছাগলের রোগ-বালাইয়ের বিষয়টি খেয়াল রাখেন। রমজান জানান, এই জাতের ছাগলের তেমন রোগ-বালাই নেই। ঠান্ডা এবং পাতলা পায়খানা হয়।

কোনো ছাগল আক্রান্ত হলে তার তথ্য রেজিস্টারে সংরক্ষণ করি। চিকিৎসকের পরামর্শ মতো ওষুধ দেওয়া হয়। নিয়মিত ভ্যাকসিনও দেওয়া হয়। ছাগলের ঠান্ডা ঠিক না হলে নিউমোনিয়া হয়। এটিই সবচেয়ে মারাত্মক। ফলে এ নিয়ে খুব সতর্ক থাকতে হয়।

তবে ছাগলের খামারে লাভবান হতে খামার শুরুর আগে ন্যূনতম বেসিক ট্রেনিং নেওয়ার তাগিদ দিয়েছেন রাজশাহীর ছাগল উন্নয়ন খামারের উপপরিচালক সিরাজুল ইসলাম।

তিনি বলেন, আমাদের দেশে মূলত ছাগল পালন হয় গতানুগতিক পদ্ধতিতে। কিন্তু খামার করতে গেলে সবার আগে খাবারের সংস্থান করতে হবে। ৭০ শতাংশ ঘাস এবং ৩০ শতাংশ দানাদার খাবার দেওয়া গেলে ভালবান হওয়া যায়।

ঢাকা পোস্ট

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop